বিনোদন ডেস্ক:
বলিউড বাদশা শাহরুখ খান বৃহস্পতিবার (২৩ মে) বিকেলে আহমেদাবাদের কেডি হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়েছেন। বুধবার (২২ মে) সকালে অসুস্থ বোধ করায় তড়িঘড়ি হাসপাতালে ভর্তি হতে হয়েছিল কিং খানকে।
জানা গেছে, তীব্র তাবদাহের জেরেই হিটস্ট্রোকে আক্রান্ত হন তিনি। তার অসুস্থতার খবর প্রকাশ্যে আসতেই গত চব্বিশ ঘণ্টায় সোশ্যাল মিডিয়ায় একেবারে ঝড় বয়ে গেছে! তবে হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেলেও আপাতত চিকিৎসকদের পরামর্শ মেনেই চলতে হবে শাহরুখ খানকে।
বৃহস্পতিবার হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়েই আহমেদাবাদ থেকে স্পেশাল চার্টার্ড বিমানে মুম্বাইয়ের উদ্দেশে উড়ে যাচ্ছেন বাদশা। যেহেতু ডিহাইড্রেশন হয়ে বুধবার সকালে বিপত্তি ঘটেছিল, তাই কিং খানকে আপাতত বিশ্রামে থাকার পরামর্শই দিয়েছেন চিকিৎসা।
এদিনই আবার বন্ধু জুহি চাওলা জানিয়েছেন, আগামী ২৬ মে ফাইনাল ম্যাচে উপস্থিত থাকবেন বাদশা। তবে চিকিৎসকদের এমন সাবধান বাণীর পর আদৌ সেই ম্যাচে কিং খান নাইট শিবিরকে উৎসাহ দিতে মাঠে উপস্থিত থাকতে পারবেন কিনা- সন্দেহ দেখা দিয়েছে।
বিগত কয়েকদিন ধরে ভীষণ ব্যস্ততার মধ্যে কেটেছে শাহরুখের। নাইট শিবিরের পাশে থাকতে গত সোমবারই ভোট দিয়ে আহমেদাবাদে পৌঁছেছিলেন। এদিকে আহমেদাবাদে এখন তাপপ্রবাহ চলছে। এর কারণেই বুধবার অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি।
ফলে বেলা বাড়তেই দেরি না করে মাল্টি স্পেশালিটি কেডি হাসপাতালে ভর্তি করা হয় বলিউড সুপারস্টারকে। হাসপাতালে শাহরুখের ভর্তি হওয়ার খবর শুনে এদিন বিকেলেই মুম্বই থেকে আহমেদাবাদে ছুটে গিয়েছেন স্ত্রী গৌরী খান।
জানা গেছে, তীব্র গরমের কারণেই ‘হিটস্ট্রোক’ হয়েছে শাহরুখের। তবে বাদশার শারীরিক পরিস্থিতি নিয়ে গত চব্বিশ ঘণ্টায় তার টিমের পক্ষ থেকে কোনো বিবৃতি প্রকাশ না করায়, অনেকেই সন্দিহান ছিলেন। শেষে শাহরুখের অসুস্থতা নিয়ে তার ম্যানেজার পূজা দাদলানি মুখ খুলেছেন।
মন্তব্য করুন
গত ৫ মে মুক্তি পায় বাঙালি পরিচালক সুদীপ্ত সেন নির্মিত ‘দ্য কেরালা স্টোরি’। ট্রেলার প্রকাশের পরপরই এই নিয়ে বিতর্ক মাথাচাড়া দিয়ে ওঠে। ছবি মুক্তির পর দ্বিগুণ হয় বিতর্ক। যার জেরেই মুক্তির চার দিনের মাথায় এই ছবিকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করে পশ্চিমবঙ্গ সরকার। অভিযোগ, এই ছবি সাম্প্রদায়িকতাকে উস্কানি দিচ্ছে।
অশান্তি এড়াতে তাই পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ছবিটিকে এ রাজ্যে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেন। তিনি জানান, রাজ্যের শান্তিশৃঙ্খলা বজায় রাখতেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। মমতার নির্দেশের পরের দিনই ছবিটিতে নিষেধাজ্ঞা তোলার আর্জিতে শীর্ষ আদালতে যান নির্মাতারা। সেন্সর বোর্ডের ছাড়পত্র থাকা সত্ত্বেও বাংলায় কেন দেখানো হবে না এই ছবি? কারণ জানতে চেয়ে শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হয় টিম ‘দ্য কেরালা স্টোরি’।
প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বাধীন ডিভিশন বেঞ্চ এই প্রসঙ্গে গত সপ্তাহে নোটিশ দেয় রাজ্য সরকারকে। বুধবার পরবর্তী শুনানি। তার আগে রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়, এই ছবি পক্ষপাতদুষ্ট। এখানে তথ্য বিকৃত করা হয়েছে যা বিশেষ সম্প্রদায়ের ভাবাবেগে আঘাত আনতে পারে। রাজ্যের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি ও আইনশৃঙ্খলার পরিবেশ নষ্টের আশঙ্কা রয়েছে বলে জানিয়েছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার।
এই ছবির ওপর পশ্চিমবঙ্গে নিষেধাজ্ঞা আরোপের সিদ্ধান্তের সমালোচনা করে সুপ্রিম কোর্ট। শুনানি চলাকালীন দেশের প্রধান বিচারপতি প্রশ্ন করেন, ‘ভারতের অন্যান্য অংশে এই ছবি মুক্তি পেতে পারলে পশ্চিমবঙ্গে নয় কেন?’ পাল্টা রাজ্য সরকারের যুক্তি, রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখা রাজ্য প্রশাসনের দায়িত্ব। রাজ্য সরকার প্রযোজক বিপুল শাহকে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার দাবিও খারিজ করে দিয়েছে।
প্রসঙ্গত, পশ্চিমবঙ্গে নিষিদ্ধ হলেও ভারতজুড়ে রমরমিয়ে ব্যবসা করছে ছবিটি। ইতোমধ্যে দেড় শ কোটি রুপির আয় ছাড়িয়েছে। এতে বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন আদা শর্মা, যোগিতা বিহানি, সোনিয়া বালানি, সিদ্ধি ইদনানি, দেবদর্শিনী, বিজয় কৃষ্ণ, প্রণয় পাচৌরি, প্রণব মিশ্র প্রমুখ।
মন্তব্য করুন
করোনার পর বলিউডে বড় ধরনের মন্দা দেখা দিয়েছে। শীর্ষ তারকাদের অনেক সিনেমা বক্স অফিসে মুখ থুবড়ে পড়েছে, আবার কিছু স্বল্প বাজেটের সিনেমা বিপুল সাফল্য অর্জন করেছে। সিনেমার হিট-ফ্লপের হিসাব করতে গিয়ে বারবার উঠে এসেছে নামী তারকাদের উচ্চ পারিশ্রমিকের বিষয়টি। এর ফলে সিনেমার বাজেট বেড়ে যায়, অনেক টিকিট বিক্রি হলেও লগ্নির টাকা ওঠে না।
এবার বলিউডের কিংবদন্তি গীতিকার এবং চিত্রনাট্যকার জাভেদ আখতার জানালেন, শুধু তারকারাই নন; তাদের হেয়ারস্টাইলিস্টরাও মোটা অঙ্কের অর্থ আয় করেন। সিনেমার বাজেট বহুগুণে বাড়িয়ে দিতে তারকাদের ‘স্টাফ’দের ভূমিকা কম নয়।
সম্প্রতি কৌতুকশিল্পী স্বপন বর্মার কমেডি শো-তে উপস্থিত হয়ে সিনেমার সেটে তারকাদের কাজকর্ম দেখার অভিজ্ঞতা শেয়ার করেছেন জাভেদ আখতার।
তিনি বলেন, “আজকাল তারকাদের ১৮-১৯ জন কর্মচারী লাগে। জিমের জন্য একটি ভ্যানিটি ভ্যান লাগে এবং খাবার তৈরির জন্যও দুটি ভ্যান দরকার হয়।”
জাভেদ আখতার এ বিষয়টিকে কটাক্ষ করে বলেন, “তাদের (অভিনয়শিল্পীদের) চুল ঠিক করে দেওয়ার জন্যও কেউ দিনে ৭৫ হাজার রুপি চার্জ করে। আগে জানলে আমিও সে কাজই করতাম।”
পুরানো যুগের সঙ্গে বর্তমান পরিস্থিতির তুলনা টেনে তিনি যোগ করেন, “আগে তারকারা ই-রেগুলার এবং শৃঙ্খলাহীন ছিলেন। তারা বেশিরভাগ সময়ই সেটে দেরি করতেন, তবে তখন এত সুযোগ সুবিধা ভোগ করার মতো টাকাও ছিল না।”
উল্লেখ্য, সেলিম-জাভেদ হলেন বলিউডের সবচেয়ে সফল চিত্রনাট্যকার জুটি। তারা ‘শোলে’, ‘জাঞ্জির’, ‘দিওয়ার’সহ বহু ব্লকবাস্টার সিনেমার চিত্রনাট্য লিখেছেন।
মন্তব্য করুন
দক্ষিণী সিনেমার জনপ্রিয় অভিনেতা আল্লু অর্জুনের গ্রেফতারির ঘটনায় শুরু থেকেই উত্তেজনা ছড়িয়েছে। অবশেষে তেলেঙ্গানা হাইকোর্ট তাকে অন্তর্বর্তী জামিন দিয়েছেন। তবে এই ঘটনায় বিস্ফোরক মন্তব্য করেছেন বলিউড অভিনেত্রী কঙ্গনা রানাউত। তিনি বলেছেন, “বড় মাপের মানুষ হলেই দায় এড়ানো যায় না। যা ঘটেছে, তা অত্যন্ত দুঃখজনক। তবে এই ঘটনায় প্রত্যেকেরই দায়বদ্ধতা রয়েছে।”
আনন্দবাজার পত্রিকার প্রতিবেদন অনুযায়ী, আল্লু অর্জুনকে তার শয়নকক্ষ থেকে গ্রেফতার করা হয়। হায়দরাবাদের সন্ধ্যা প্রেক্ষাগৃহে ‘পুষ্পা ২: দ্য রুল’-এর প্রিমিয়ার চলাকালীন উপচে পড়া ভিড়ের কারণে পদপিষ্ট হয়ে একজন নারীর মৃত্যু হয়। এই ঘটনার পর অভিনেতাসহ সাতজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়। গতকাল, ১৩ ডিসেম্বর, পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে। যদিও কিছুক্ষণের মধ্যেই হাইকোর্ট থেকে অন্তর্বর্তী জামিন পান তিনি।
কঙ্গনা রানাউত বলেছেন, “ঘটনাটি অত্যন্ত দুঃখজনক। আমি নিজেও আল্লু অর্জুনজির বড় ভক্ত। কিন্তু কিছু কিছু ক্ষেত্রে আমাদের দৃষ্টান্ত তৈরি করা উচিত। তিনি জামিন পেয়েছেন, কিন্তু শুধু উচ্চস্তরের মানুষ বলেই যেন কোনো ফল ভোগ করতে না হয়— এটি ঠিক নয়। মানুষের জীবনের মূল্য অপরিসীম।”
তিনি আরও বলেন, “সমাজে যাদের প্রভাব রয়েছে, তাদের চলার পথে আরও সচেতন থাকা উচিত। ধূমপানের বিজ্ঞাপন হোক বা প্রেক্ষাগৃহে এমন অনিয়ন্ত্রিত ভিড়— কোনোভাবেই দায়িত্ব এড়ানো যায় না। প্রেক্ষাগৃহে তারা উপস্থিত ছিলেন, তাই প্রত্যেকেরই দায়িত্ববোধ থাকা উচিত।”
উল্লেখ্য, ১৩ ডিসেম্বর সকালে হায়দরাবাদ পুলিশ আল্লু অর্জুনকে তার বাড়ি থেকে গ্রেফতার করে। এই ঘটনায় সন্ধ্যা প্রেক্ষাগৃহের মালিকসহ আরও দুইজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এফআইআরে নাম থাকা বাকি অভিযুক্তরাও অন্তর্বর্তী জামিন পেয়েছেন।
মন্তব্য করুন
দিন দুয়েক আগেই ঢাকাই সিনেমার জনপ্রিয় নায়িকা পরীমণি জানিয়েছিলেন তীব্র জ্বরে ভুগছেন তিনি। শরীরের তাপমাত্রা ১০৩ ডিগ্রি। এ খবর জানানোর ঠিক পরপরই ১৪ মে গভীর রাতে পরীমণির পোস্ট থেকে জানা যাচ্ছে, শরীর আরও বেশি খারাপ হওয়ায় তাকে হাসপাতালে ভর্তি করতে হয়েছে।
নায়িকার ফেসবুক পোস্ট থেকে জানা যায়, রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি তিনি। হাসপাতালে পরীমণির সঙ্গেই রয়েছে তার ছেলে রাজ্য। নিজেই হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার খবর সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে অনুরাগীদের জানিয়েছেন অভিনেত্রী।
হাসপাতালের বিছানায় শুয়ে ছবি পোস্ট করে অভিনেত্রী লিখেছেন, ‘মায়েদের জীবন সত্যিই কঠিন সুন্দর।’ সঙ্গে নিজেই নিজেকে মা দিবসের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।
মন্তব্য করুন
জনপ্রিয় অভিনেত্রী মেহজাবীন চৌধুরী ২০১০ সালে সুন্দরী প্রতিযোগিতার মাধ্যমে শোবিজ জগতে যাত্রা শুরু করেন। এর পর থেকে তিনি বিজ্ঞাপন, নাটক এবং ওটিটি প্ল্যাটফর্মে কাজ করে দর্শকদের মন জয় করেছেন। তবে, বড়পর্দায় নিজেকে দেখার স্বপ্ন ছিল তার অনেক দিনের। ১৪ বছরের সেই অপেক্ষার অবসান ঘটিয়ে অবশেষে তার স্বপ্ন পূরণ হলো। গতকাল শুক্রবার দেশের ২০টি প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেয়েছে তার অভিনীত প্রথম মুক্তিপ্রাপ্ত সিনেমা ‘প্রিয় মালতী’।
শুটিংয়ের হিসাবে এটি মেহজাবীনের দ্বিতীয় সিনেমা হলেও, এটি তার প্রথম মুক্তিপ্রাপ্ত চলচ্চিত্র। তাই বড়পর্দায় নিজেকে দেখার অভিজ্ঞতা তার জন্য ভীষণ আবেগঘন।
মেহজাবীন বলেন, ‘ছোটপর্দায় যারা কাজ করেন, তাদের প্রায় সবারই ইচ্ছা থাকে বড়পর্দায় নিজেকে দেখার। আমার ক্ষেত্রেও একই রকম। ছোটপর্দার কাজ করতে করতেই বড়পর্দার স্বপ্ন দেখতাম। অবশেষে “প্রিয় মালতী” দিয়ে সেই স্বপ্ন পূরণ হলো।’
এর আগে, গত বৃহস্পতিবার রাতে তিনি নিজের ফেসবুকে একটি বার্তা দেন। সেখানে তিনি লেখেন, ‘আজ আমার জীবনের অন্যতম কাঙ্ক্ষিত দিন। এই দিনটির জন্য আমি ১৪ বছর ধরে অপেক্ষা করেছি এবং সাধনা করেছি।’
মেহজাবীন আরও বলেন, ‘এই মুহূর্তে আমি আমার জীবনের প্রতিটি মানুষের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করতে চাই। ২০১০ সালে লাক্স-চ্যানেল আই সুপারস্টার থেকে যাত্রা শুরু করে আজ পর্যন্ত যারা আমার পাশে থেকেছেন—প্রতিটি মেন্টর, সহশিল্পী, পরিচালক, সহকারী, ক্রু মেম্বার, মেকআপ আর্টিস্ট, কোরিওগ্রাফার এবং ইন্ডাস্ট্রির সহকর্মীরা—সবাইকে।’
‘প্রিয় মালতী’ সিনেমায় নিজের নামে অভিনয় করেছেন মেহজাবীন চৌধুরী। এটি পরিচালনা করেছেন শঙ্খ দাশগুপ্ত। সিনেমাটিতে আরও অভিনয় করেছেন আজাদ আবুল কালাম, সমু চৌধুরী, নাদের চৌধুরী, শহীদুল আলম সাচ্চু, মোমেনা চৌধুরী, রিজভী রিজু, শাহজাহান সম্রাট, আনিসুল হক বরুণ প্রমুখ। সিনেমাটি প্রযোজনা করেছে ফ্রেম পার সেকেন্ড।
মন্তব্য করুন
বিনোদন ডেস্ক:
বলিউড অভিনেত্রী ক্যাটরিনা কাইফ যখনই রেড কার্পেটে হাজির হন, তখনই তিনি তার অনন্য স্টাইলের মাধ্যমে ভক্তদের হৃদয় জয় করে নেন। সম্প্রতি, তিনি একটি অনুষ্ঠানে দেখা গেছেন আন্তর্জাতিক ফ্যাশন ব্র্যান্ড গানির একটি ডেনিম ম্যাক্সি ড্রেস পরে। এই ড্রেসটির মূল্য ৪০,৪৯৬ রুপি। ডেনিমের দুই রকম শেডের তৈরি এই পোশাকের তলাটা স্কার্টের মতো হলেও, ওপরের অংশটি শার্টের ডিজাইনে। এটি স্লিভলেস এবং এতে একটি কলার রয়েছে।
ক্যাটরিনা কাইফের উপস্থিতি মানেই তার ভক্তদের জন্য নতুন এক আনন্দের হাওয়া। যদিও সম্প্রতি তিনি পর্দায় ও প্রকাশ্যে অনেক কম দেখা দিয়েছেন, তবে তার এই ডেনিম ড্রেসের মাধ্যমে তিনি আবারও আলোচনায় এসেছেন। খোলা চুল ও কালো স্টিলেটোতে তাকে দেখা গিয়েছে, যা তাকে অসাধারণ গ্ল্যামারাস করে তুলেছে। ভক্তরা মন্তব্য করেছেন, "একমাত্র ক্যাটরিনা-ই ডেনিমেও এত গ্ল্যামারাস দেখতে পারেন।" ফ্যাশন বিশ্লেষকরা মনে করেন, এই পোশাক ক্যাটরিনাকে একসঙ্গে গ্ল্যামারাস ও প্রফেশনাল লুক দিয়েছে।
ক্যাটরিনার মতো এই স্টাইলকে কম খরচে নিজেরাতে চাইলে আপনার জন্যও সহজ। স্টাইলিস্টরা জানান, গোড়ালি ছোঁয়া ডেনিম স্কার্টের সঙ্গে ডেনিম শার্ট পরলেও আপনি একদম ফ্যাশনেবল দেখতে পারেন। কলকাতার পোশাকশিল্পীরা জানান, গত এক বছর ধরে ‘ডেনিম অন ডেনিম লুক’ একটি ট্রেন্ড হিসেবে উঠে এসেছে, এবং এই ট্রেন্ডে আপনি গা ভাসাতে পারেন।
মন্তব্য করুন
বিনোদন ডেস্ক:
ইকুয়েডরের মডেল ল্যান্ডি পারাগা গোবুরোকে প্রকাশ্য দিবালোকে গুলি করে হত্যা করেছে অস্ত্রধারীরা।
নিউইয়র্ক পোস্ট এক প্রতিবেদনে জানায়, গত রোববার ২৩ বছর বয়সী মডেলকে হত্যা করা হয়। ধারণা করা হচ্ছে, কুখ্যাত এক গ্যাংস্টার দলের সঙ্গে গোপন যোগাযোগের কারণেই খুন হয়েছেন ল্যান্ডি।
সিসিটিভির ফুটেজে দেখা যায়, রেস্তোরাঁয় বসে এক ব্যক্তির সঙ্গে কথা বলছিলেন ল্যান্ডি। তখন মাস্ক পরা দুই অস্ত্রধারী ভেতরে ঢুকে গুলি চালায়। রেস্তোরাঁর মেঝে রক্তে ভেসে যায়।
নিরাপত্তারক্ষীরা আসার আগেই অস্ত্রধারীরা পালিয়ে যায়। এই ঘটনার কারণ ও হত্যাকারীদের খুঁজতে এর মধ্যেই তদন্ত শুরু করেছে স্থানীয় পুলিশ। শনিবার এক বিয়ের দাওয়াতে হাজির হয়েছিলেন ল্যান্ডি। এর পরদিনই নির্মমভাবে খুন হলেন তিনি।
২০২২ সালে সুন্দরী প্রতিযোগিতা ‘মিস ইকুয়েডর’-এ অংশ নেন ল্যান্ডি। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তার ১০ লাখের বেশি অনুসারী ছিল।
মন্তব্য করুন
বিনোদন ডেস্ক:
বলিউড অভিনেত্রী দীপিকা পাড়ুকোন মানেই ভক্তদের কাছে এক দারুণ উন্মাদনার নাম। তার সে যে কোনো সংবাদই সবার কাছে ভীষণ আগ্রহের।
সেপ্টেম্বরে দীপিকার ঘরে নতুন অতিথি আসতে যাচ্ছে। গর্ভবতী হওয়া সত্ত্বেও সিনেমার কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন তিনি। সামনে ‘সিংহাম’ সিনেমার সিক্যুয়ালে দেখা যাবে দীপিকাকে।
অন্যান্য অনেক নায়িকার মতোই দীপিকার একটি অদ্ভূত অভ্যাস রয়েছে। সবসময়েই, নিজের ব্যাগে একটি পেনসিল নিয়ে ঘোরেন দীপিকা।
এ প্রসঙ্গে সম্প্রতি একটি সাক্ষাৎকারে দীপিকা জানান, সবসময়ে তিনি ব্যাগে একটি খাতা আর পেনসিল রাখতে পছন্দ করেন। দীপিকা টেকনোলজি পছন্দ করলেও, বিভিন্ন বিষয় তিনি মোবাইলে না টাইপ করে, খাতায় লিখে রাখতে পছন্দ করেন।
তাই এ কারণে যেখানেই যান না কেন, দীপিকার ব্যাগে থাকে একটি খাতা ও একটি পেনসিল। কলম রেখে পেনসিল কেন- সেই কথাও খোলসা করেছিলেন দীপিকা পাড়ুকোন।
অভিনেত্রী বলেন তিনি পেনসিল ছোলা, আর ভুল হলে ইরেজার দিয়ে সেটা মুছে ফেলার বিষয়টা খুব পছন্দ করেন। শুধু এই একটা কারণ নয়, দীপিকা পেনসিল ব্যবহার করেন আরও একটি কাজেও।
দীপিকা যে জিনিসটি সবসময় ব্যাগে রাখেন
দীপিকা জানিয়েছেন, যদি কোনো সংলাপ বলতে গিয়ে তিনি বারে বারে আটকে যান, তাহলে বিশেষ একটি ব্যায়াম করেন তিনি। দাঁতের মধ্যে পেনসিল চেপে ধরে সেই সংলাপটি বলতে থাকেন কয়েকবার।
এরপরে দাঁত থেকে পেনসিল বের করে নিলেও, সেই সংলাপটি ঝরঝরে হয়ে যায়। এই কাজটিই নাকি আর ও একটি কারণ, যার জন্য কলম নয়, ব্যাগে পেনসিল রাখতেই পছন্দ করেন দীপিকা।
এছাড়া দীপিকা নিজের ব্যাগে মাউথ ফ্রেশনার, ফেস মিস্ট, পারফিউম, মোবাইল স্ট্যান্ডের মতো ছোট ছোট জিনিস নিয়ে ঘুরতে পছন্দ করেন। সঙ্গে থাকে দীপিকার বাড়ির চাবি ও চুল বাঁধার জিনিসও।
মন্তব্য করুন
১৯৬৬ সালের ঐতিহাসিক ছয় দফা আন্দোলনের সক্রিয় কর্মী ছিলেন সদ্য প্রয়াত অভিনেতা আকবর হোসেন পাঠান ফারুক। তখন তার নামে ৩৬টি মামলায় হয়। ছাত্র রাজনীতিতে তিনি তখন বেশ সক্রিয়, সিনেমা অভিনয় নিয়ে কোনো ভাবনাই ছিল না তার।
তবে একের পর এক যখন মামলা হতে থাকল তখন তার বন্ধুরাই বলল, ‘সিনেমায় ঢুকে যাও।’ সেই ঘটনার বিবরণ দিয়ে ফারুক বিবিসি বাংলাকে বলেছিলেন, ‘আমার নামে হয়রানিমূলক ৩৬টি মামলা হয়। এগুলো থেকে বাঁচার জন্য আমার কিছু বন্ধুবান্ধব বলে, চলচ্চিত্রে ঢুকে যাও। এরপরই চলচ্চিত্রে আসি।’
ফারুকের প্রথম সিনেমা ‘জলছবি’। ছবিটি নিয়ে তিনি বলেন, ‘১৯৬৮ সালে ছবিটির শুটিং শুরু হয় কিন্তু মুক্তি পায় ১৯৭১-এ। মুক্তির তারিখ ২৫-এ মার্চ বা এর দুই কী তিন দিন আগে, ঠিক মনে নেই। ছবিতে আমার সহকর্মী ছিলেন কবরী। বলা যায়, আমার সিনেমাজীবন শুরুই হয় কবরীর সঙ্গে।’
সাক্ষাৎকারে চলচ্চিত্র অভিনয়শিল্পীদের পারিশ্রমিক নিয়েও আক্ষেপ করতে শোনা যায় অভিনেতাকে। এ প্রসঙ্গে বলতে গিয়েই তিনি জানান প্রথম সিনেমা ‘জলছবি’র পারিশ্রমিক কত ছিল। ফারুক বলেন, ‘আমাকে যথাযথ সম্মান ও সম্মানী দেওয়া হয়নি। আমাকে প্রথম ছবিতে পাঁচ শ টাকা দেওয়া হয়েছিল।’
বর্ণাঢ্য ক্যারিয়ারে তিনি অভিনয় করেছেন ‘আবার তোরা মানুষ হ’, ‘আলোর মিছিল’, ‘সুজন সখী’, ‘লাঠিয়াল’, ‘সূর্যগ্রহণ’, ‘মাটির মায়া’, ‘নয়নমনি’, ‘সারেং বৌ’, ‘গোলাপি এখন ট্রেনে’, ‘নাগরদোলা’, ‘দিন যায় কথা থাকে’, ‘কথা দিলাম’, ‘মাটির পুতুল’, ‘সাহেব’, ‘ছোট মা’, ‘এতিম’, ‘ঘরজামাই’, ‘মিয়া ভাই’র মতো অসংখ্য সিনেমায়।
ফারুক তার অভিনয়ের জন্য ১৯বার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারে মনোনীত হয়েছিলেন। কিন্তু তার হাতে পুরস্কার উঠেছিল কেবলই একবার। অবশ্য ২০১৬ সালে তাকে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারে আজীবন সম্মাননায় ভূষিত করা হয়। অভিনয়ের বাইরে তিনি ঢাকা ১৭ আসনের ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের নির্বাচিত সংসদ সদস্য ছিলেন।
মন্তব্য করুন
বিনোদন ডেস্ক:
ঢাকাই সিনেমার আলোচিত চিত্রনায়িকা পরীমনি। ঢালিউডে তার মতো সুন্দরী নায়িকা কমই রয়েছে বলে মনে করেন অনেকেই। তিনি নাকি পরীর মতোই সুন্দর। যদিও সিনেমার ক্যারিয়ার থেকে ব্যক্তিজীবন নিয়েই সবসময় আলোচনায় থাকেন এই নায়িকা। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও সরব থাকেন পরীমনি।
বর্তমানে দুই সন্তান নিয়ে সুখের সংসার এই নায়িকার। মা হওয়ার পর থেকে নিজের প্রতি খুব একটা যতœ নিতে পারেননি তিনি। ব্যস্ত থেকেছেন সন্তানদের নিয়ে। এখন আবারও আগের রূপ-ছন্দে ফেরার চেষ্টা করছেন পরী।
বুধবার সকালে শাড়িতে উষ্ণতা ছড়াতে দেখা গেল অভিনেত্রীকে। ধূসর রঙের একটি শাড়িতে কোনো একটি রাস্তার পাশে হেঁটেছেন পরীমনি। গানের ছন্দে, ফুল হাতে বিভিন্ন পোজ দিয়েও ছবি তুলেছেন তিনি।
পরীমনির এই ছবি-ভিডিওতে মুগ্ধ হয়েছে তার ভক্তরা। অনেকেই পুরোনো সেই পরীকে খুঁজে পেয়েছেন। নায়িকার ভিডিওতে বিভিন্ন ধরণের মন্তব্য করেছেন। যার বেশ কিছু মন্তব্যের জবাবও দিয়েছেন পরী।
এর আগে মঙ্গলবার রাতে নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্টে জিমের পোশাকে একটি ছবি প্রকাশ করেন অভিনেত্রী। সেখানে পরী লেখেন, ‘খুব শিগগিরই দেখা হচ্ছে পরী’। বোঝাই যাচ্ছে, মেদ ঝরাতে, নিজেকে ফিট করতে কঠোর পরিশ্রম করছেন তিনি।
মন্তব্য করুন