বিদায়ঘণ্টা বাজছে ২০২৪ সালের। আর কয়েকদিন পরেই চলতি বছরকে বিদায় জানানো হবে। নানা কারণে আলোচিত ছিল বছরটি। রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট থেকে শুরু করে বিনোদন, সব ক্ষেত্রেই ছিল উত্তাপ। বিশেষ করে সারাবছর জুড়ে দর্শকরা বেশ কয়েকটি গানে মেতে ছিলেন।
সাধারণ মানুষের মুখে মুখে তো বটেই, বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়া যেমন টিকটক, ইনস্টাগ্রামে ভিডিওতেও রীতিমতো ঝড় তোলে গানগুলো।
চলুন এক নজরে দেখে নিই, ২০২৪ কাঁপানো সেরা ৮ গানের নাম-
তওবা তওবা: চলতি বছরের শুরুতেই গানের জগতে ঝড় তোলে বলিউডের ‘বেড নিউজ’ সিনেমার গান তওবা তওবা। অভিনেতা ভিকি কৌশল ও অভিনেত্রী তৃপ্তি দিমড়ির নাচের সঙ্গে সংগীত প্রেমীরাও লুফে নেন এ গানের মিউজিকের প্রতিটি বিট।
দুষ্টু কোকিল: শাকিব খান ও মিমি চক্রবর্তী অভিনীত ঈদে মুক্তি পাওয়া সিনেমা ‘তুফান’-এর গান দুষ্টু কোকিল। রায়হান রাফির পরিচালিত এ সিনেমায় সংগীত শিল্পী কণার গাওয়া এ গান রীতিমতো পাগল করে দেয় বাঙালি শ্রোতাদের। ইউটিউবে গানটির বর্তমান ভিউ সংখ্যা ২৩৮ মিলিয়ন। তবে অনেক নেটিজেনই এ গানটি শুনে দাবি করেন, ‘ড্রিম গার্ল টু’-র ‘দিলকা টেলিফোন’ গানের সঙ্গে মিল রয়েছে দুষ্টু কোকিল গানটির।
আচো আচো: ২০২৪ সালে রাতারাতি ভাইরাল হওয়া গান ছিল তামান্না ভাটিয়া অভিনীত ‘আরানমানাই ফোর’ সিনেমার আচো আচো গানটি। মুক্তির এক মাসের মধ্যেই ২৭২ মিলিয়ন ভিউ পার করে গানটি।
ইমি ইমি: শ্রেয়া ঘোষাল আর টাইকের গাওয়া ইমি ইমি গানটিও চলতি বছর কাপিয়েছিল নেটপাড়া। মিউজিক ভিডিওতে গানের সঙ্গে জ্যাকুলিন ফার্নান্দেজের নাচও ছিল জনপ্রিয়তার শীর্ষে। এ বছরের ভাইরাল নাচগুলোর মধ্যে অন্যতম ছিল ইমি ইমি নাচ। গানটির জনপ্রিয়তায় বর্তমানে ইউটিউবে ২১৫ মিলিয়ন ভিউ ছাড়িয়েছে।
আশা কোডা: ভিনদেশি এ গানের অর্থ না বুঝলেও জাদুকরী সংগীতের সুরে বিশ্ববাসীকে মাতিয়েছে সাই অভিয়ানঙ্কর ও সাই স্মৃতির গাওয়া আশা কোডা গান। জাদুকরী সুরের গানটি আরও ভাইরাল করে তোলে টিকটকার ও ইনস্টাগ্রাম ব্যবহারকারীরা। ইউটিউবে গানটির বর্তমান ভিউ সংখ্যা ১৭৮ মিলিয়ন।
চুট্টামালে: শিল্পা রাও ও রাম জোগায়ের গান চুট্টামালে ঝড় তোলে বছরের শেষের দিকে। দেবারা সেকেন্ড সিঙ্গেল সিনেমার এ গানে জুনিয়র এনটিআর ও জাহ্নবী কাপুরের রসায়ন মুগ্ধ করে দর্শকদের। গানটি নেট দুনিয়ায় প্রকাশের পর এতটাই জনপ্রিয় হয় যে, এক মাসের মাথায় ৫০ মিলিয়ন ভিউ পার করে। বর্তমানে ২৬৭ মিলিয়ন ভিউ ছাড়িয়েছে গানটির।
আজ কি রাত: ‘স্ত্রী টু’ সিনেমার আইটেম সং আজ কি রাত। সিনেমার এ গানে কন্ঠ দিয়েছেন মধুবানতি বাগচী, ডিব্যা কুমার, শচীন জিগার। সিনেমা মুক্তি পাওয়ার পর থেকেই প্রেক্ষাগৃহ কাঁপিয়েছে এ গান। শুধু গানের সুর নয়, অভিনেত্রী তামান্না ভাটিয়ার নাচের মুদ্রাও চলতি বছর কাঁপিয়েছে বিনোদন পাড়া। ইউটিউবে ৬৮৭ মিলিয়ন ভিউ সংখ্যা ছাড়িয়েছে গানটি।
মেরে মেহবুব: বছরের একেবারে শেষ দিকে বাজিমাত করে রাজকুমার রাও ও তৃপ্তি দিমড়ি অভিনীত ‘ভিকি বিদ্যা কা ওয়াও ওয়ালা ভিডিও’ সিনেমার গান মেরে মেহবুব। গানটি নেট দুনিয়ায় মুক্তির পরই ঝড় তোলে দর্শকমহলে। সেই সঙ্গে রাজকুমার ও তৃপ্তির নাচে পাগল হয়ে যায় সিনেমা ও সংগীতপ্রেমীরা। বর্তমানে এ গানের দর্শক ভিউর সংখ্যা ১২৮ মিলিয়ন ছাড়িয়েছে।
চলতি বছর বিভিন্ন সামাজিক, পারিবারিক অনুষ্ঠান ও উৎসব মুখর পরিবেশে সেরা এ ৮ গানেরই বেশি রাজত্ব চোখে পড়ার মতো ছিল। সেরা এ ৮ গানের সুরে মন্ত্রমুগ্ধ ছিলেন দর্শক ও সিনেপ্রেমীরা।
মন্তব্য করুন
দুই বাংলার জনপ্রিয় অভিনেত্রী রাফিয়াত রশিদ মিথিলা একটি সুখবর শেয়ার করেছেন। সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে তিনি জানান, দীর্ঘ চার বছর ধরে আটকে থাকা সিনেমা ‘জলে জ্বলে তারা’ অবশেষে মুক্তি পাচ্ছে এই মাসেই।
গতকাল শুক্রবার (৩১ জানুয়ারি) দুপুরে মিথিলা ফেসবুকে একটি খবরের ছবি শেয়ার করে ক্যাপশনে লেখেন, ‘আমাদের সিনেমা, অরুণ চৌধুরী পরিচালিত ছবি ‘জলে জ্বলে তারা’। আসছে ভালোবাসা দিবসে আপনার কাছের প্রেক্ষাগৃহে।’
সরকারি অনুদানপ্রাপ্ত ‘জলে জ্বলে তারা’ সিনেমার শুটিং শুরু হয় ২০২১ সালে। কিন্তু শুটিং শুরুর মাত্র তিন মাস পর করোনা মহামারি ও আর্থিক সংকটের কারণে সিনেমার কাজ বন্ধ হয়ে যায়।
একাধিকবার শুটিং বন্ধ হয়ে যাওয়া এ সিনেমার কাজ শেষ হলেও প্রেক্ষাগৃহে মুক্তির ক্ষেত্রে দেখা দেয় নানা জটিলতা। অসংখ্যবার মুক্তির তারিখ ঠিক করা হলেও শেষ পর্যন্ত প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পায়নি সিনেমাটি।
রোমান্টিক ঘরানার সিনেমা হওয়ায় সিনেমা সংশ্লিষ্টরা এবার চলতি মাসের ভালোবাসা দিবসেই প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি দিতে চলেছেন নতুন এ সিনেমাটি।
এ সিনেমায় মিথিলার সঙ্গে জুটি গড়েছেন ছোট পর্দার জনপ্রিয় অভিনেতা এফ এস নাঈম। ক্যারিয়ারে নাঈমকে এই প্রথমবারের মতো কোনো সিনেমায় প্রধান চরিত্রে অভিনয় করতে দেখবেন দর্শকরা।
মুক্তি প্রতীক্ষিত এ সিনেমায় মিথিলা ও নাঈম ছাড়াও আরও অভিনয় করেছেন ফজলুর রহমান বাবু, মনিরা মিঠু, আজাদ আবুল কালাম, নূর ইমরান মিঠু প্রমুখ।
মন্তব্য করুন
বিনোদন ডেস্ক:
গত সাত বছর ধরে সম্পর্কে জড়িয়ে ছিলেন সোনাক্ষী সিনহা ও জাহির ইকবাল। গত ২৩ জুন এ তারকা জুটি আইনি মোতাবেক বিয়ের পিঁড়িতে বসেন। এর পর রিসেপশনের আয়োজন হয়। এ তারকা জুটির বিয়েতে ছিল না কোনো ধর্মীয় আচার। বিয়ের পর সোনাক্ষী ধর্ম পরিবর্তন করবেন না বলেও জানিয়েছিলেন জ়াহির ইকবালের বাবা।
এদিকে বিয়ের দিন রিসেপশেন দেখা যায়নি অভিনেত্রীর দুই ভাই লব সিনহা ও কুশ সিনহার। এ নিয়ে চারদিকে সমালোচনা শুরু হয়। বিয়েতে এসেছিলেন শত্রুঘ্ন সিন্হাসহ পরিবারের অন্য সদস্যরা। এ নিয়ে নেটিজেনদের মাঝে মিশ্র সমালোচনা হয়।
নানা রকম সমালোচনার মাঝে অবশেষে মুখ খুললেন লব সিন্হা। সামাজিকমাধ্যমে একটি পোস্ট করে সোনাক্ষী ও জ়াহিরের বিয়ে নিয়ে কথা বলেন তিনি। লব সিনহা বলেন, এত সমালোচনা সত্ত্বেও পরিবারের প্রতি তার ভালোবাসা কোনোভাবেই কমবে না। পরিবারই তার কাছে প্রাথমিক বিষয়।
কেন তিনি বিয়েতে উপস্থিত থাকেননি জানিয়ে লব সিনহা লিখেছেন— ‘কেন আমি বিয়েতে উপস্থিত থাকিনি, এটিই হলো প্রশ্ন! আমার বিরুদ্ধে কিছু মিথ্যে কথা প্রচার করে কোনো লাভ নেই। আমার কাছে সব সময় আমার পরিবারই অগ্রাধিকার পাবে।‘
এমন প্রশ্ন সোনাক্ষীর আরেক ভাই কুশ সিনহাকে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেন, সেই সময় লব বলেছিল— ‘দু’একটা দিন সময় দিন। আমার যদি মনে হয়, তা হলে আমি নিশ্চয়ই এই প্রশ্নের উত্তর দেব।‘
বিয়েতে আসেন শত্রুঘ্ন সিনহা। বাবা হিসেবে মেয়ের বিয়েতে আবেগপ্রবণ হয়ে পড়বেন এটাই স্বাভাবিক। সিনহা পরিবারের নয়নমণি সোনাক্ষী সিনহা। মা-বাবার চোখের মধ্যমণি। তাই বিয়ের দিনে বাবা শত্রুঘ্ন সিনহা আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েন। কন্যার জীবনের নতুন ইনিংসে যেমন তিনি উচ্ছ্বসিত, তেমনি চাপাকান্না বুকে কষ্ট।
নিজস্ব অ্যাপার্টমেন্ট ‘অওরিয়েত’-এ ঘনিষ্ঠ আত্মীয়স্বজনদের সাক্ষী রেখে আইনি বিয়ে সারেন সোনাক্ষী সিনহা ও জাহির ইকবাল। পরনে নবদম্পতির দুধ সাদা পোশাক। মেয়ের পাশেই হাসিমুখে দাঁড়িয়েছিলেন শত্রুঘ্ন সিনহা।
সেই অনুষ্ঠানে প্রবীণ অভিনেতা বললেন, ‘মেয়েকে পছন্দের পাত্রের হাতে তুলে দেবেন বলে সব বাবাই এই দিনটির জন্য অপেক্ষা করে থাকেন। জাহিরের সঙ্গে আমার মেয়েকে সব থেকে বেশি খুশি থাকতে দেখেছি। তারা সুখে থাকুক, এ প্রার্থনাই করি।‘
জাহির ইকবালের প্রশংসায় পঞ্চমুখ শত্রুঘ্ন সিনহা বলেন, ‘গুড বয়’ জাহির। খুব ভালো ছেলে। আমার মেয়েকে ভালো রাখবে ওৃ।‘ তিনি আরও বলেন, ’৪৪ বছর আগে আমি একজন সফল, সুন্দরী ও ভীষণ ট্যালেন্টেড একটি মেয়েকে নিজের পছন্দে বিয়ে করেছিলাম। সে হচ্ছে পুনম সিনহা। আজ আমার মেয়ে সোনাক্ষীর পালা। ওর পছন্দই আমাদের পছন্দ। ওর নিজের জীবনসঙ্গী বেছে নেওয়ার এই সিদ্ধান্তকে আমি পূর্ণ সমর্থন করি।‘
উল্লেখ্য, এর আগে সোনাক্ষী-জাহিরের বিয়ের খবর গণমাধ্যমে প্রকাশ্যে আসতেই শোনা গিয়েছিল শত্রুঘ্ন নাকি এ বিষয়ে কিছুই জানেন না বলে জানান। তিনি বলেছিলেন— এই প্রজন্মের সন্তান কারও অনুমতি নেওয়ার প্রয়োজন মনে করে না। ওরা শুধু নিজেদের সিদ্ধান্ত জানায়।
সেই থেকেই জল্পনার সূত্রপাত যে, জামাই হিসেবে জাহির ইকবালকে হয়তো পছন্দ নয় শত্রুঘ্ন সিনহার তাই এমন কথা বলেছিলেন! তবে বিয়ের দুদিন আগেই নিন্দুকদের ‘চুপ’ করে দিয়ে জাহির ইকবালকে বুকে টেনে নেন শত্রুঘ্ন সিনহা।
মন্তব্য করুন
বিনোদন ডেস্ক:
এবার মুম্বাইয়ে বিলাসবহুল বাড়ি কিনলেন বলিউড অভিনেতা রাজকুমার রাও। এর আগে ওই বাড়ির মালিকানা ছিল শ্রীদেবী এবং বনি কাপুরের কন্যা জাহ্নবীর। তার কাছ থেকে ৪৪ কোটি রুপিতে বাড়িটি কিনেছেন রাজকুমার ও তার স্ত্রী পত্রলেখা।
মায়ানগরীতে নিজেদের একটা বাড়ির স্বপ্ন পূরণ হল জানিয়ে রাজকুমার জানালেন, ‘তার এই স্বপ্নের নেপথ্যে রয়েছেন বলিউড কিং খান শাহরুখ খান। শাহরুখই নাকি তাকে একটা কথা শিখিয়েছিলেন। বলেছিলেন- বেটা, যখনই বাড়ি কেনার পরিকল্পনা করবে, সামর্থ্যের বাইরে গিয়ে বাড়ি কিনবে। যাতে আমি নিজে আরও বেশি পরিশ্রমী হই। এই কথাটা আমার মনে গেঁথে গিয়েছিল।’
উল্লেখ্য, চলতি মাসের ১০ তারিখে প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পাবে রাজকুমারের নতুন ছবি ‘শ্রীকান্ত’। এর পরে ৩১মে রাজকুমার অভিনীত ‘মিস্টার অ্যান্ড মিসেস মাহি’ ছবিটি মুক্তি পাবে। এই ছবিতে রাজকুমারের সঙ্গে জুটি বেঁধেছেন জাহ্নবী কাপুর।
মন্তব্য করুন
২০২৪ সাল প্রায় শেষের পথে। এ বছর দেশের সিনেমা হলে মুক্তি পেয়েছে প্রায় ৪৫টি সিনেমা। রাজনৈতিক পরিস্থিতির কারণে বছরের মাঝামাঝি কয়েক মাস সিনেমা মুক্তি স্থগিত ছিল। তবে বছরের শেষ প্রান্তে এসে বেশ কিছু সিনেমা প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেয়ে আলোচনায় আসে। ঢাকাই সিনেমার এই বছরের আলোচিত অভিনেত্রীদের নিয়ে আজকের আলোচনা—
জয়া আহসান
বছরের শেষদিকে মুক্তি পেয়েছে জয়া আহসানের অভিনীত 'নকশী কাঁথার জমিন'। আকরাম খান পরিচালিত এ সিনেমাটি মুক্তির আগে প্রদর্শিত হয় গোয়া ফিল্ম ফেস্টিভ্যালসহ একাধিক আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে। হাসান আজিজুল হকের গল্প 'বিধবাদের কথা' অবলম্বনে নির্মিত এ সিনেমা মুক্তির পর জয়া আহসান আবারো আলোচনায়। বছরের শুরুতে নূরুল আলম আতিকের 'পেয়ারার সুবাস' সিনেমায় তার অভিনয় দারুণ প্রশংসিত হয়।
পূজা চেরী
এ বছর পূজা চেরীর দুটি সিনেমা মুক্তি পায়— 'লিপস্টিক' (পরিচালক কামরুজ্জামান রোমান) এবং 'আগন্তুক' (পরিচালক সুমন ধর)। চলচ্চিত্রের পাশাপাশি পূজা এ বছর ওয়েব ফিল্মেও কাজ করেছেন। বিভিন্ন ইভেন্টে সরব উপস্থিতি ও কাজের মাধ্যমে আলোচনায় ছিলেন এই ঢালিউড অভিনেত্রী।
মেহজাবীন চৌধুরী
টানা ১৫ বছর ধরে বিনোদন অঙ্গনে কাজ করছেন মেহজাবীন। এ বছর তার চলচ্চিত্রে অভিষেক ঘটে। 'প্রিয় মালতী' সিনেমার মাধ্যমে তিনি প্রথমবারের মতো প্রেক্ষাগৃহের দর্শকদের সামনে আসেন। এ সিনেমাটি বিভিন্ন আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে প্রদর্শিত হয় এবং মুক্তির পর তার অভিনয়ে মুগ্ধ হন দর্শক ও সমালোচকরা। এছাড়া তার অভিনীত 'সাবা' সিনেমা বুসানসহ বিশ্বের বিভিন্ন উৎসবে প্রদর্শিত হয়।
শবনম বুবলী
শবনম বুবলী এ বছর 'মায়া দ্য লাভ', 'রিভেঞ্জ', এবং মিশুক মুনিরের 'দেয়ালের দেশ' সিনেমায় অভিনয় করেন। বিশেষত 'দেয়ালের দেশ' সিনেমায় তার অভিনয় নতুন করে নজর কেড়েছে। এ ছাড়া রায়হান রাফীর 'টান' ও 'সাত নম্বর ফ্লোর' সিনেমার মাধ্যমে তার জনপ্রিয়তা বাড়লেও কিছুটা সমালোচনার মুখেও পড়তে হয়। বছরের শেষদিকে 'পিনিক' সিনেমায় নেতিবাচক চরিত্রে অভিনয়ের ঘোষণা দিয়ে আলোচনায় আসেন তিনি।
তাসনিয়া ফারিণ
তাসনিয়া ফারিণের অভিনীত 'ফাতিমা' সিনেমাটি মুক্তি পায় এ বছর। ধ্রুব হাসান পরিচালিত এ সিনেমায় অভিনয়ের জন্য তিনি ইরানের ফজর ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে পুরস্কৃত হন। কলকাতার 'প্রতীক্ষা' সিনেমায় দেবের বিপরীতে অভিনয়ের কথা থাকলেও অনিশ্চয়তার কারণে সিনেমাটি ছেড়ে দেন ফারিণ। এ সিদ্ধান্ত নিয়েও তিনি ছিলেন আলোচনায়।
কুসুম সিকদার
দীর্ঘ অভিনয় জীবনে এবার প্রথমবারের মতো চলচ্চিত্র নির্মাণে নাম লেখান কুসুম সিকদার। তার পরিচালিত এবং অভিনীত 'শরতের জবা' সিনেমাটি এ বছর মুক্তি পায়। নিজের লেখা গল্পগ্রন্থ 'অজাগতিক ছায়া' থেকে নেওয়া গল্পে নির্মিত এ সিনেমা নিয়ে আলোচনায় ছিলেন তিনি।
এভাবেই ২০২৪ সালে ঢাকাই সিনেমার এই অভিনেত্রীরা তাঁদের কাজ ও অর্জনের জন্য সারা বছর আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে ছিলেন।
মন্তব্য করুন
বলিউড অভিনেতা জায়েদ খান যিনি সিনেমা 'ম্যায় হুঁ না'-এ লক্ষ্মণের চরিত্রে অভিনয়ের মাধ্যমে জনপ্রিয়তা অর্জন করেছিলেন, ব্যক্তিগত জীবনে সুজান খানের ভাই এবং হৃত্বিক রোশনের প্রাক্তন শ্যালক। শাহরুখ খানের ছোট ভাইয়ের চরিত্রে তাঁর অভিনয় প্রশংসিত হলেও বলিউডে তাঁর বাকি সিনেমাগুলো বাণিজ্যিকভাবে ব্যর্থ ছিল। তবে অভিনয়ে ফ্লপ হলেও জায়েদ খান একজন সফল ব্যবসায়ী এবং প্রায় ১৫০০ কোটি টাকার সম্পত্তির মালিক।
জায়েদ খান পরিচালক সঞ্জয় খানের ছেলে এবং অভিনেতা ফিরোজ খানের ভাগ্নে। ২০০৩ সালে মাত্র ২২ বছর বয়সে তিনি বলিউডে পা রাখেন। তাঁর প্রথম সিনেমা ‘চুরা লিয়া হ্যায় তুমনে’ বক্স অফিসে ব্যর্থ হলেও, ২০০৪ সালের ‘ম্যায় হুঁ না’ সিনেমায় পার্শ্ব চরিত্রে অভিনয় করে তিনি দর্শকদের নজর কাড়েন। এরপর ‘দশ’ সিনেমাও গড়পড়তা সাফল্য পেয়েছিল।
২০০৫ থেকে ২০১২ সাল পর্যন্ত, জায়েদ আরও ১০টি সিনেমায় অভিনয় করেন, যার মধ্যে ছিল ‘ফাইট ক্লাব’, ‘মিশন ইস্তাম্বুল’ এবং ‘তেজ’। কিন্তু এই সিনেমাগুলোও বক্স অফিসে ব্যর্থ হয়। সর্বশেষ ২০১৫ সালে মুক্তি পাওয়া ‘শরাফত গয়ি তেল লেনে’ সিনেমাটিও কোনো সাফল্য আনতে পারেনি।
২০১৭ সালে তিনি টিভি শো ‘হাসিল’ দিয়ে অভিনয়ে ফেরার চেষ্টা করেছিলেন। মোট ১৫টি ছবিতে অভিনয়ের মধ্যে জায়েদের হিট সিনেমার সংখ্যা মাত্র ১টি, ১৩টি ফ্লপ, এবং একটি গড়পড়তা সিনেমা।
ব্যবসায়িক সফলতা ও সম্পত্তি
অভিনয়ে ব্যর্থ হলেও জায়েদ খান ব্যবসায়িক ক্ষেত্রে সফল। বিভিন্ন স্টার্টআপ এবং ব্যবসায়ে বিনিয়োগ করে তিনি বিপুল পরিমাণ সম্পদ গড়েছেন। একটি প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে যে, ২০২৪ সালে জায়েদ প্রায় ১৫০০ কোটি টাকার সম্পত্তির মালিক, যা বলিউডের শীর্ষ তারকা যেমন রণবীর কাপুর (৫৫০ কোটি), প্রভাস (৪০০ কোটি), এবং আল্লু অর্জুন (৩৫০ কোটি)-এর থেকেও বেশি।
এক সাক্ষাৎকারে জায়েদ বলেছিলেন, "মানুষের উচিত নিজের সামর্থ্যের মধ্যে থাকা। যদি ফেরারি কেনার সামর্থ্য থাকে, তবে মার্সিডিজ কিনো; আর যদি মার্সিডিজ কেনার সামর্থ্য থাকে, তবে ফিয়াট কিনো।" তিনি সামাজিক মিডিয়ার যুগে মানুষের অযথা প্রতিযোগিতাকে দায়ী করেছেন এবং সবাইকে দায়িত্বশীলভাবে চলার পরামর্শ দিয়েছেন।
২০২৪ সালে জায়েদ তাঁর ইনস্টাগ্রামে অভিনয়ে ফেরার ইচ্ছার কথা জানিয়েছেন। তবে তাঁর কামব্যাক প্রজেক্ট নিয়ে বিস্তারিত কিছু বলেননি। তিনি জানিয়েছেন, নিজের ব্যবসা এবং অভিনয়ের মধ্যে সামঞ্জস্য বজায় রেখে এগিয়ে যেতে চান।
অভিনয়ে সফল না হলেও জায়েদ খানের ব্যবসায়িক দক্ষতা এবং বাস্তববাদী জীবনদর্শন তাঁকে তাঁর সমসাময়িকদের থেকে আলাদা করেছে।
মন্তব্য করুন
‘করণ অর্জুন’ ছবিটি পরিচালনা করতে গিয়ে কালঘাম ছুটেছিল বলিউড পরিচালক-প্রযোজক রাকেশ রোশনের। ছবির দুই প্রধান নায়ক, শাহরুখ খান ও সালমান খান, এর অন্যতম কারণ ছিলেন। সম্প্রতি মুক্তি পেয়েছে তথ্যচিত্র সিরিজ ‘দ্য রোশনস’। সেখানে পরিচালক রাকেশ রোশন বলিউড বাদশাহ শাহরুখ খান ও ভাইজানখ্যাত সালমান খানের সঙ্গে কাজ করার অভিজ্ঞতা শেয়ার করেছেন। তিনি জানান, প্রতিদিন শুটিংয়ে যাওয়ার আগে ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করতেন।
এই ছবির গল্প নিয়ে শাহরুখ ও সালমানের কোনো আগ্রহই ছিল না। রাকেশ রোশন বলেন, "তাদের প্রতি কোনো আস্থা ছিল না, এবং তারা ছবির বিষয়ে মোটেও সিরিয়াস ছিল না।" এমনকি এই তথ্যচিত্রে শাহরুখ খান নিজেই স্বীকার করেছেন যে, সেই সময় তিনি দুর্ব্যবহার করতেন। এজন্য তিনি রাকেশ রোশনের স্ত্রীর কাছ থেকেও বকুনি খেয়েছিলেন। রাকেশ রোশন ভয়ে ভয়ে থাকতেন, যাতে তিনি নিজের মেজাজ হারিয়ে ফেলেন না।
পরিচালক জানান, "সব ছবিতেই আমি নিশ্চিন্তে কাজ করেছি, কিন্তু 'করণ অর্জুন' ছবিতে প্রথম থেকেই সমস্যা ছিল। একেক দিন ভাবতাম, কেন এসব ঘটছে? তবে মেনে নিয়েছিলাম।" তিনি আরও বলেন, "প্রতিদিন সকালে প্রার্থনা করতাম— যেন আমি মেজাজ হারিয়ে না ফেলি। এই ছেলে দুটো অপরিণত। তারা যেমন আচরণ করছে করুক, আমি যেন মাথা গরম না করি এবং কাজটা শেষ করি।"
রাকেশ রোশন জানান, সালমান ও শাহরুখের ছবির গল্প নিয়ে কোনো আগ্রহই ছিল না। তিনি মনে করেন, "একদিন একটি দৃশ্যের শুটিংয়ের সব কিছু প্রস্তুত হয়ে গিয়েছিল, সূর্য ডোবার মুখে, কিন্তু তারা কোথাও ছিল না। শেষ মুহূর্তে তারা এল এবং তাড়াহুড়ো করে শুটিং শুরু করল।"
এই সিরিজে বর্ষীয়ান অভিনেতা শত্রুঘ্ন সিংহও তার অভিজ্ঞতা শেয়ার করেছেন। তিনি বলেন, "ওরা সত্যিই খুব যন্ত্রণা দিয়েছিল রাকেশ রোশনের, কোনো সহযোগিতা করেনি। এমন পরিস্থিতি দেখে রাকেশের স্ত্রী তাদের খুব বকাঝকা করেছিলেন।"
শাহরুখ খান তার কথায় বলেন, "সালমান আর আমার মধ্যে আমার আচরণ তুলনামূলক ভালো ছিল। অন্তত আমি সামনে ভালো ব্যবহার করতাম। আমরা দুজন বাচ্চা মিলে একজন পিতৃসম ব্যক্তিকে খুব জ্বালিয়েছিলাম।"
মন্তব্য করুন
বলিউডের প্রথম সারির পরিচালকদের মধ্যে যাঁর নাম দর্শক ও সমালোচকদের কাছে সমাদৃত, তিনি হচ্ছেন অনুরাগ কাশ্যপ। এই মায়ানগরীকে বিদায় জানাচ্ছেন এ স্বনামধন্য পরিচালক। হঠাৎ এ সিদ্ধান্ত নিলেন কেন তিনি? কারণ বলিউড নিয়ে তিনি নাকি মহাবিরক্ত। সন্তোষজনকভাবে কাজ করতে পারছেন না- এমন অভিযোগই করলেন অনুরাগ কাশ্যপ।
তিনি বলেন, বর্তমানে চলচ্চিত্রের মানোন্নয়ন অপেক্ষা ছবির বাণিজ্যিক দিকে বেশি মনোনিবেশ করা হয়। ছবির কাজ শুরুর আগেই স্থির হয়ে যাচ্ছে কীভাবে প্রচার করা হবে, লাভের অঙ্কের পরিমাণ কত হতে পারে ইত্যাদি। এ বিষয়টি নিয়েই তিনি হতাশ। অনুরাগ এমন জায়গায় ছবি বানাতে চান, যেখানে উদ্দীপনা থাকবে। তাই তিনি দক্ষিণী ইন্ডাস্ট্রিতে পাড়ি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলেও জানান।
পরিচালক বলেন, যে যে ছবি ইতোমধ্যে তৈরি রয়েছে, সেগুলোর রিমেক করা হচ্ছে। এই মানসিকতাতেই আমার সমস্যা। এ ছাড়া নতুন প্রজন্মের অভিনেতাদের মধ্যে নেতিবাচক প্রবণতা তৈরি করছে ‘কাস্টিং এজেন্সি’। ভালো অভিনেতা হওয়ার প্রচেষ্টা নয়, বরং রাতারাতি তারকা হওয়ার পেছনে ছুটছেন তারা। তাতে আখেরে কারও লাভ হচ্ছে না, বরং ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে ছবি। তিনি বলেন, অভিনয়ের ওয়ার্কশপে নয়, শুধুই জিমে পাঠানো হচ্ছে তাদের। আদ্যপান্ত গ্ল্যামারকে প্রাধান্য দেওয়া হচ্ছে।
অনুরাগ বলেন, তাদের এমনভাবে মগজ ধোলাই করা হচ্ছে, তারা অভিনয়ে দক্ষতা চেয়ে প্রচারের আলোয় বেশি আকৃষ্ট হচ্ছেন। ছবি নির্মাতাদের সঙ্গে অভিনেতাদের দূরত্ব তৈরি হচ্ছে এবং এর জন্য দায়ী একমাত্র ‘কাস্টিং এজেন্সি’। নতুন প্রজন্মের অভিনেতাদের মাধ্যমে শুধুই অর্থ উপার্জন তাদের লক্ষ্য, নতুন অভিনেতা তৈরির দিকে তাদের নজর নেই বলেও জানান পরিচালক।
মন্তব্য করুন
নতুন মা হওয়া বলিউডের তারকা অভিনেত্রী দীপিকা পাড়ুকোন বলেছেন মেয়ের জন্য যখন তাকে রাত জাগতে হয়, তখন কোনো কোনো সময়ে সিদ্ধান্ত নিতে সমস্যায় পড়ে যান তিনি। এর কারণ হল 'ঘুম কম হওয়ার ক্লান্তি'।
হিন্দুস্তান টাইমস লিখেছে, গেল সপ্তাহে বিশ্ব মানসিক স্বাস্থ্য দিবস উপলক্ষে ‘লাইভ লাভ লাফ ফাউন্ডেশন’র অনুষ্ঠানে নতুন মা হওয়ার পর কী ধরনের সমস্যার মধ্য দিয়ে তাকে যেতে হচ্ছে সে সব বলেছেন দীপিকা। মানসিক চাপ এবং ঘুম না হওয়ার কারণে কী কী ঘটছে সেসব নিয়েও কথা বলেন নায়িকা।
অভিনেত্রী বলেন, “যখন ঠিকমত ঘুম হয় না, অতিরিক্ত স্ট্রেস থাকে তখন আমার সিদ্ধান্ত নিতে সমস্যা হয়, আবার ভুলভাল সিদ্ধান্তও নিয়ে ফেলি।” চলতি বছর ৮ সেপ্টেম্বর কন্যা সন্তানের মা-বাবা হয়েছেন দীপিকা ও রাণবীর সিং। দীপিকা তার এই সময়ের দুঃখ, কষ্ট, রাগ নিয়েও কথা বলেন।
তিনি জানান, “এটা একদম স্বাভাবিক। মানুষমাত্রই তার রাগ, কষ্ট হবে। আর এই অনুভূতিগুলো আমাদের অনেক কিছুই শেখায়। কিন্তু এগুলো থেকে আমি কী শিখছি, পজেটিভলি কীভাবে তাতে রিঅ্যাক্ট করছি সেটাই আসল। কাজের মধ্যে থাকতে হবে। ধৈর্য ধরতে হবে।”
সন্তান জন্মের পর দীপিকা জানিয়েছিলেন, তিনি তার মেয়ের যতœ ন্যানির হাতে ছাড়তে চাইছেন না। তার এবং রাণবীরের সিদ্ধান্ত হল তারা নিজে হাতে মেয়েকে বড় করবেন। এ কাজে বড়জোর তাদের দুই পরিবারের সদস্যরা সঙ্গে থাকতে পারেন।
এছাড়া এখনই মেয়ের ছবি প্রকাশ করতে রাজি নয় দীপিকা ও রাণবীর। তারা চাইছেন প্রচারের আলো থেকে সন্তানকে দূরে রাখতে। এমনকি সন্তানের বয়স এক মাসের বেশি হলেও তার নাম প্রকাশ করেননি তারকা দম্পতি।
মন্তব্য করুন
বিনোদন ডেস্ক:
ভারতের হিন্দি সিনেমা ও ছোটপর্দার অন্যতম জনপ্রিয় মুখ হিনা খান ক্যানসারে আক্রান্ত। সম্প্রতি তার ব্রেস্ট ক্যানসার শনাক্ত হয়েছে। গতকাল শুক্রবার অভিনেত্রী নিজেই জানিয়েছেন ক্যানসারোর কথা।
হিনা খান অফিসিয়াল ফেসবুক পোস্টে বলেন, ‘চলমান গুঞ্জন আমার নজরে পড়েছে। যারা আমার ভক্ত, যারা আমাকে ভালোবাসেন, সবার সঙ্গে একটি গুরুত্বপূর্ণ খবর ভাগ করে নিচ্ছি। আমার ব্রেস্ট ক্যানসার শনাক্ত হয়েছে, এখন স্টেজ থ্রিতে রয়েছে। চ্যালেঞ্জিং একটি রোগ শনাক্ত হওয়ার পরও বলছি, আমি ভালো আছি। ক্যানসারমুক্ত হওয়ার বিষয়ে আত্মবিশ্বাসী আমি। এরই মধ্যে আমার চিকিৎসা শুরু হয়েছে। ক্যানসারমুক্ত হওয়ার জন্য যা যা করণীয়, তা করার জন্যও প্রস্তুত আমি।’
তিনি আরও বলেন, ‘আপনাদের প্রতি সম্মান জানিয়ে বলছি, এ সময়ে আমার প্রাইভেসি রক্ষায় সহযোগিতা করুন। আমার জন্য দোয়া করবেন।’
২০০৮ সালে ‘ইয়ে রিশতা কেয়া কেহলতা হ্যায়’ ধারাবাহিকের মাধ্যমে অভিনয়ে নাম লেখান হিনা খান। পরবর্তীকালে চলচ্চিত্রে অভিনয় শুরু করেন। তবে ছোট পর্দায় তার পরিচিতি ব্যাপক।
মন্তব্য করুন
বিনোদন ডেস্ক:
ফ্যাশন দুনিয়ার সবচেয়ে বড় আয়োজন মেট গালা। সেই ‘মেট গালা’ তে তারকাদের দুর্দান্ত সব লুক ট্রেন্ড করছে। আর তাদের ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ছে।এবার বিশ্বের অন্যতম বড় এই ফ্যাশন ইভেন্ট মেট গালাতে শাড়ি পরে হাজির হয়ে নজর কাড়লেন বলিউড অভিনেত্রী আলিয়া ভাট।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমসের খবরে জানা যায়, ভারতীয় ফ্যাশন ডিজাইনার সব্যসাচী মুখোপাধ্যায়ের ডিজাইন করা শাড়িতে ট্র্যাডিশনাল লুকে লাল গালিচা মাতিয়েছেন তিনি। মেট গালায় আলিয়ার সাজ মুগ্ধ করেছে ভক্তদের। মেট গালায় তোলা বেশ কিছু ছবি নিজের ইনস্টাগ্রামে পোস্ট করেছেন আলিয়া ভাট।
আলোচিত এই শাড়িটি তৈরি করতে সময় লেগেছে ১৯৬৫ ঘণ্টা। এতে সিল্ক ফ্লস, গ্লাস বিডিং এবং রতœপাথর দিয়ে হাতের কাজ করা হয়েছে। সঙ্গে রয়েছে গোলাপী এবং সবুজ রঙের ফুল, পুঁতির ট্যাসেল। এগুলোও হাতে বসানো। শাড়ির অন্যতম আরেক আকর্ষণ হল সামনের দিকে থাকা রাফলড প্লিট। ব্লাউজেও রয়েছে সূক্ষ্ম হাতের কাজ।
গয়না হিসেবে সব্যসাচী বেছে নেন একটি টিকলি। মাথায় ছিল একটি ব্যান্ড, স্টেটমেন্ট কানের দুল, হাই হিল ও আংটি। সঙ্গে ছিল মেসি হেয়ার।
মেট গালায় এটি ছিল আলিয়া ভাটের দ্বিতীয় উপস্থিতি। ২০২৩ সালে মেট্রোপলিটন মিউজিয়াম অফ আর্টের আইকনিক সিঁড়িতে প্রথমবার পা রাখেন আলিয়া।
মন্তব্য করুন