

বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে একটি হত্যাচেষ্টা মামলায় গত মে মাসে গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে ছিলেন নুসরাত ফারিয়া। সে সময় তাকে গ্রেপ্তার করায় শিল্পাঙ্গনের অনেকেই বিস্ময় প্রকাশ করেছিলেন, সেই সঙ্গে ক্ষোভও। এর দুই দিন পর কারামুক্ত হন ফারিয়া।
কারাগার থেকে বেরিয়ে তার পাশে থাকার জন্য সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন অভিনেত্রী।
সেই সঙ্গে এক ফেসবুক পোস্টে তিনি জানিয়েছিলেন, গত কয়েক দিন ছিল তার জীবনের সবচেয়ে দুঃসহ ও সংবেদনশীল সময়।
এর মধ্যে কেটে গেছে প্রায় চার মাস। সে বিষয় নিয়ে আর কোনো কথা বলেননি ফারিয়া। হত্যা মামলায় জামিনের দীর্ঘদিন পর গ্রেপ্তার ইস্যুতে অবশেষে মুখ খুললেন অভিনেত্রী।
নিউইয়র্ক থেকে প্রচারিত বাংলা ভাষাভাষীদের গণমাধ্যম ‘ঠিকানা’র বিশেষ শো ‘ফ্রাইডে নাইট উইথ জায়েদ খান’-এ বিষয়গুলো নিয়ে কথা বলেন তিনি।
গ্রেপ্তার ইস্যুতে নুসরাত ফারিয়া বলেন, এ রকম কিছু হবে আশা করিনি। কখনো দুঃস্বপ্নেও ভাবিনি। যার জীবন স্কিন কেয়ার, মেকআপ, একটু ঘোরাফেরা, শপিং করা, পরিবারের সঙ্গে সময় কাটানো, বন্ধুদের সঙ্গে কোথাও ভালো খেতে যাওয়া, এই ছোট ছোট জিনিস নিয়ে যে খুশি তার জীবনে এত জটিলতা! কী করব না করব এগুলো নিয়ে যখন চিন্তা করতে হয় তখন ভীষণ হতাশ হই।
এরপর ফারিয়া বলেন, আমি মনে করি, এটাকেই বড় হওয়া বলে। পরিস্থিতি মানুষকে বড় করে। আমার মনে হয় পুরো ঘটনাতে আমি অবশ্যই মানসিকভাবে বড় হয়েছি। এবং ওইটার (গ্রেপ্তার) পর এটা আমার প্রথম সাক্ষাৎকার। আমি কোথাও কথা বলিনি। এমন না যে আমি কথা বলতে চাইনি। আমি এখনো কথার জন্য মানসিকভাবে প্রস্তুত নই।
অভিনেত্রী আরো বলেন, আমি মনে করি, আমার সঙ্গে যেটা হয়েছে, সেটা অন্য কারো সঙ্গে হতে পারত। অনেকের সঙ্গেই হয়তো বা হচ্ছে, হবে। আমি এ বিষয়ে জানি না। তবে আমি ভাগ্যবান। আমার কাজের মাধ্যমে গোটা দেশের মানুষের ভালোবাসা পেয়েছি। যাদের দোয়া ভালোবাসার কারণে আমি আজকে আপনার (জায়েদ খান) সামনে দাঁড়িয়ে আছি। আমার পরিবার, বাবা-মা, ভাই-বোন তাদের সবার দোয়া এবং ভালোবাসার কারণে কঠিন সময় পার করতে পেরেছি।
হত্যা মামলায় জামিনের অল্প কিছুদিনের মধ্যেই লাইট ক্যামেরা, অ্যাকশনের জগতে নুসরাত। অভিনেত্রীর কথায়, তার (গ্রেপ্তার) ঠিক ১০-১৫ দিন পর থেকে আমি আবার কাজ করা শুরু করেছি। তবে পুরো ঘটনাটা আমাকে একটা জিনিস শিখিয়ে দিয়েছে, কোনো কিছুই স্থায়ী নয়। জীবন খুবই অস্থায়ী, অনিশ্চয়তা ভরা। যেকোনো সময় যেকোনো কিছু হতে পারে। এ জন্য নিজেকে মানসিকভাবে তৈরি থাকতে হবে। তুমি যদি সৎ থাকো তাহলে পৃথিবীর কোনো খারাপ শক্তি তোমাকে আটকে রাখতে পারবে না। তোমাকে বিপদের সম্মুখীন করবে কিন্তু সেই বিপদ থেকে সৃষ্টিকর্তা নিজেই তোমাকে বাঁচিয়ে নিয়ে আসবেন। এটা আমার জীবন থেকে পাওয়া সবচেয়ে বড় শিক্ষা।
সব শেষে দর্শক, সংবাদিক এবং শোবিজের সহকর্মীদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন অভিনেত্রী। নুসরাতের কথায়, আমি আমার দর্শকদের কাছে কৃতজ্ঞ কারণ, তারা যেভাবে একসাথে হয়ে আমার জন্য কথা বলেছেন। আমার মিডিয়ার সহকর্মীরা, সাংবাদিক ভাই-বোনেরা, জন্মের পর থেকে এখন অবধি যাদের চিনি প্রত্যেকটা মানুষ আমার জন্য কথা বলেছেন, কেঁদেছেন। শিল্পী নুসরাত ফারিয়া হিসেবে আমার মনে হয় না এর থেকে বড় অর্জন পাওয়ার আছে।
মন্তব্য করুন


গাজীপুরের কালীগঞ্জে বাবার কবরের পাশে চিরনিদ্রায় শায়িত হবেন বাংলা চলচ্চিত্রের ‘মিয়া ভাই’ খ্যাত বীর মুক্তিযোদ্ধা আকবর হোসেন খান দুলু ওরফে চিত্রনায়ক ফারুক। তার বাবা আজগর হোসেন পাঠান উপজেলার তুমুলিয়া ইউনিয়নের সোমটিওরী কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের পাশে পারিবারিক কবরস্থানে শায়িত আছেন। সেখানেই ফারুকের মরদেহ দাফন করা হবে।
সোমবার (১৫ মে) বিকেলে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন চিত্রনায়ক ফারুকের ভগ্নিপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা কে.বি.এম মফিজুর রহমান খান।
তিনি বলেন, ‘তার (ফারুক) স্ত্রী ফারজানা পাঠান মেয়ে ফারিহা তাবাসসুম পাঠান, ছেলে রওশন হোসেনসহ সকল আত্মীয় স্বজনের সাথে কথা বলে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। জীবিত অবস্থায় ফারুক সবাইকে (অসিয়ত) বলে গিয়েছেন, যেন মৃত্যুর পর তাকে গাজীপুরের কালীগঞ্জ উপজেলার দক্ষিণ সোম গ্রামে পারিবারিক কবরস্থানে তার বাবা আজগর হোসেন পাঠানের কবরের পাশে শায়িত করা হয়।’
তিনি জানান, চিত্রনায়ক ও সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা আকবর হোসেন পাঠান দুলু ওরফে ফারুকের প্রথম নামাজে জানাজা সিঙ্গাপুরে অনুষ্ঠিত হবে। আগামীকাল মঙ্গলবার (১৬ মে) সকাল ৭টা ৫০ মিনিটে ইউএস বাংলার ফ্লাইটে হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে তার মরদেহ আসবে। পরে সকাল ৯টায় রাজধানী ঢাকার উত্তরায় নিজ বাসায় নিয়ে যাওয়া হবে।
জানাজা শেষে সোমটিওরী কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ সংলগ্ন পারিবারিক কবরস্থানে বাবা আজগর হোসেন পাঠানের পাশে শায়িত হবেন এই কিংবদন্তি অভিনেতা।
উল্লেখ্য, চিত্রনায়ক ফারুক সোমবার (১৫ মে) স্থানীয় সময় সকাল ১০টায় সিঙ্গাপুর মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৭৫ বছর। তিনি স্ত্রী ফারজানা পাঠান, কন্যা ফারিহা তাবাসসুম পাঠান ও পুত্র রওশন হোসেন, আত্মীয়-স্বজন, বন্ধু-বান্ধবসহ অসংখ্য ভক্তবৃন্দ রেখে গেছেন। মঙ্গলবার (১৬ মে) সকালে তার মরদেহ দেশে আনা হবে।
মন্তব্য করুন


মানুষ বড় হয়ে শৈশবে ফিরে যেতে চায়। শৈশবের তোলা ছবি সাামাজিক মাধ্যমে শেয়ার করে বর্তমানের সঙ্গে মিল খোঁজার চেষ্টা করেন অনেকেই। সম্প্রতি ভারতের এক জনপ্রিয় অভিনেত্রী তার শৈশবের একিটি ছবি সামাজিক মাধ্যমে শেয়ার করেন। কে এই অভিনেত্রী? চলুন জেনে নিই─
থ্রোব্যাক ছবির সুন্দর ছোট্ট মেয়েটি বড় হয়ে এখন অভিনেত্রী আদাহ শর্মা। আসলে এই মেয়েটি আর কেউ নয়, ‘দ্য কেরালা স্টোরির’ নায়িকা। তবে ছবিতে তাকে মোটেও চেনা যাচ্ছে না। তবে ছোট থেকেই সে খুব সুন্দরী ছিল।
‘দ্য কেরালা স্টোরি’ সিনেমাতে অন্যতম মুখ্য চরিত্রে দেখা গিয়েছে আদাহ শর্মাকে। আদাহ হিন্দি এবং তেলুগু সিনেমায় অভিনয় করেন। সোশ্যাল মিডিয়াতেও খুব সক্রিয় তিনি।অভিনেত্রী আদাহ শর্মা টিভি শোতে অভিনয়ের জন্য সবচেয়ে বেশি পরিচিত। চলচ্চিত্রে আসেন ২০০৮ সালে। ‘১৯২০’ সিনেমার মাধ্যমে তার অভিনয়ে আত্মপ্রকাশ। আদাহ শর্মা ‘হাসি তো ফাসি’, ‘সুব্রামানিয়াম ফর সেল’, ‘বাইপাস রোড’ এবং ‘হাম হ্যায় রাহি কার কে’-এর মতো ছবিতেও অভিনয় করেছেন।
আদাহ শর্মা ওয়েব শো ‘পতি পাতনি ওউর পাঙ্গা’য় একজন ট্রান্সজেন্ডারের চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন। বর্তমানে তিনি ‘দ্য কেরালা স্টোরি’র শালিনী উন্নীকৃষ্ণণের চরিত্রের জন্য শিরোনামে রয়েছেন।
মন্তব্য করুন


বিনোদন ডেস্ক:
‘শেরশাহ’ মুক্তির পর বলিউডি নায়ক সিদ্ধার্থ মালহোত্রা বলেছিলেন, নায়িকা কিয়ারা আদভানির সঙ্গে রোমান্টিক সিনেমা তিনি মিস করতে চান না। যদিও গত কয়েক বছরে এই দম্পতিকে একসঙ্গে পর্দায় না পেয়ে দর্শকরা তাদের মিস করেছেন। এখন কিয়ারা জানালেন, একে অপরের হাত ধরে ফের পর্দায় আসতে চলেছেন তারা।
এবারের ৭৭তম কান চলচ্চিত্র উৎসবের লাল গালিচায় প্রথমবারের মত পা রাখেন কিয়ারা। সেখানে ‘উইমেন ইন সিনেমা গালা’তে অংশ নিয়ে নতুন কাজের খবর দেন এই অভিনেত্রী।
টাইমস অব ইন্ডিয়া লিখেছে, এই আলোচনার সূত্রপাত হয় কিয়ারা-সিদ্ধার্থ অভিনীত ব্লকবাস্টার সিনেমা ‘শেরশাহ’কে ঘিরে। ক্যাপ্টেন বিক্রম বাত্রার জীবন আর কার্গিল যুদ্ধের প্রেক্ষাপটে নির্মিত অ্যাকশনধর্মী ওই সিনেমায় প্রেমের অংশ নেহাত কম থাকলেও, এ চলচ্চিত্রই কিয়ারা-সিদ্ধার্থকে ‘রোমান্টিক জুটি’ আখ্যা দিয়েছে। তাদের অনুরাগীরা চান এক পূর্ণাঙ্গ প্রেমের সিনেমায় তাদের জুটি হিসেবে দেখতে।
কানে ‘শেরশাহ’ প্রসঙ্গ উঠলে কিয়ারা বলেন, “আমি জানি, ‘শেরশাহ’ আমাদের প্রেমিক-প্রেমিকা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করে দিয়েছে। আমি এবং সিদ্ধার্থ অফুরান ভালোবাসা পেয়েছি। হতাশ করছি না। আমাদের ফের একসঙ্গে শিগগিরই দেখা যাবে। আমরা চাই আবার জুটি হিসেবে সবার ভালোবাসা কুড়াতে। আমরা যেন আমাদের অভিনীত চরিত্রের প্রতি সুবিচার করতে পারি।”
তবে সিনেমা এবং প্রযোজক ও পরিচালকের নাম সামনে আননেনি কিয়ারা। তাদের আগামী কাজ সম্পর্কে জানতে একটু অপেক্ষা করতে অনুরোধ করেছেন সবাইকে। গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে সাত পাকে বাঁধা পড়েন কিয়ারা ও সিদ্ধার্থ। এরপর দুজন আলাদাভাবে কয়েকটি সিনেমায় কাজ করেছেন।
মন্তব্য করুন


বিনোদন ডেস্ক:
দক্ষিণী আবেদনময়ী অভিনেত্রী তামান্না ভাটিয়াকে নিয়ে ভক্তদের মাঝে উত্তেজনা সব সময় তুঙ্গে থাকে। ব্যক্তিগত জীবন থেকে শুরু করে লাভ-লাইফ কোনটাই বাদ যায় না। সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ইনস্টাগ্রাম স্টোরিতে একটি পোস্ট শেয়ার করে নিজের এমন এক গোপন তথ্য ফাঁস করলেন যা শুনলে চমকে যাবেন।
পোস্টে তামান্না লিখেছেন, ‘আমার একটা খারাপ অভ্যাস আছে, আমি সবাইকে বলি যে আমি সব সময় যেকোনো কিছুর জন্য প্রস্তুত, কিন্তু বাস্তবে আমি রাত ৮টার পর কোথাও যেতে চাই না বা কিছু করতেও চাই না। এমনকি কিছু করতেও ভাল লাগে না।’
তামান্না আরও বলেন, ‘যদি আমি কারোর সঙ্গে দেখা করি, সেখানে খাবার এবং পার্কিংয়ের ব্যবস্থা থাকা উচিত, তবে এটা পুরোটাই আমার মেজাজ এবং ক্লান্তির ওপর নির্ভর করে।’
ব্যক্তি জীবনে তামান্না সম্পর্ক জড়িয়েছে বলিউডের উঠতি তারকা বিজয় ভার্মার সঙ্গে। গত বছর তাদের প্রথম ডেটিংয়ের গুঞ্জন ছড়িয়ে পড়েছিলো। ভাইরাল হওয়া এক ভিডিওতে একে অপরকে চুম্বন করার পরই তাদের নিয়ে নেট দুনিয়াঢ চর্চা শুরু হয়েছিলো। অবশেষে তা স্বীকার করে নিয়েছিলেন তারা।
বিজয়-তামান্নার প্রেমের চর্চা দিনদিনই বেড়েই চলেছে৷ প্রেমের খবর স্বীকার করে নেওয়ার পর থেকেই আরও বেশি করে শিরোনামে রয়েছেন তারকা জুটি৷ বিজয়-তামান্নার সম্পর্ক এখন টক অফ দ্য টাউন ৷ ওয়ার্ক ফ্রন্টের কথা বলতে গেলে, সম্প্রতি ‘আরনমানই ৪’ ছবিতে তামান্না ভাটিয়াকে দেখা যাবে।
মন্তব্য করুন


বিনোদন ডেস্ক:
ভারতীয় অভিনেত্রী দেবলীনা ভট্টাচার্য পুত্রসন্তানের মা হয়েছেন। গতকাল বৃহস্পতিবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একটি পোস্ট দিয়ে ভক্ত-অনুরাগীদের সঙ্গে সুখবরটি শেয়ার করেছেন তিনি।
দেবলীনা ভট্টাচার্য একটি ছোট ভিডিও ক্লিপ শেয়ার করে আনন্দের মুহূর্ত তুলে ধরেছেন। ভিডিওতে দেবলীনা ও তার স্বামী শানওয়াজ শেখকে শুভেচ্ছায় শুভেচ্ছা জানিয়েছেন ভক্তরা।
ভিডিওর ক্যাপশনে তিনি লিখেছেন, “আমাদের জীবনের সবচেয়ে আনন্দের সঙ্গী, আমাদের সন্তান ১৮ ডিসেম্বর পৃথিবীতে এসেছে। আমরা আনন্দে আত্মহারা।”
গত ১৫ আগস্ট একটি পোস্টে দেবলীনা তার অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার খবর জানিয়েছিলেন। অভিনেত্রী ২০২২ সালের ডিসেম্বরে তার জিম প্রশিক্ষক শানওয়াজ শেখকে বিয়ে করেছিলেন। ভিনধর্মে বিয়ে নিয়ে চর্চা হয়েছিল প্রচুর।
দেবলীনা শেষবার ‘ছটি মাইয়া কি বিটিয়া’ ধারাবাহিকে অভিনয় করেছেন। এই ধারাবাহিকে তিনি ছোট দেবীর চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন। এছাড়া তিনি ‘গোপী বহু’ চরিত্রে ছোটপর্দায় জনপ্রিয় ছিলেন। তার অভিনীত ধারাবাহিকটির নাম ছিল ‘সাথ নিভানা সাথিয়া’। জনপ্রিয় রিয়্যালিটি শো ‘বিগ বস ১৩’-এও অংশগ্রহণ করেছিলেন দেবলীনা।
মন্তব্য করুন


বিনোদন ডেস্ক:
ঢাকাই সিনেমার নায়িকা ও দন্ত চিকিৎসক মিষ্টি জান্নাত আরেক চিত্রনায়িকা তমা মির্জা’র বিরুদ্ধে ২০ কোটি টাকার মানহানির মামলা করার ঘোষণা দিয়েছেন। তমা মির্জার পাঠানো আইনি নোটিশে মিষ্টির বিরুদ্ধে ১০ কোটি টাকার মানহানির মামলার খবরের পর মিষ্টি জান্নাত এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
জানা গেছে, মানহানিকর মন্তব্যের অভিযোগ এনে জনসম্মুখে ক্ষমা চাওয়া এবং দশ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ চেয়ে আইনি নোটিশটি মিষ্টির বিরুদ্ধে দিয়েছেন তমা। বৃহস্পতিবার (২৩ মে) রেজিস্ট্রি ডাকযোগে তমা মির্জার পক্ষে নোটিশটি পাঠান তার আইনজীবী ব্যারিস্টার সজীব মাহমুদ আলম। আগামী সাত দিনের মধ্যে এ নোটিশের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
তবে এখনো নোটিশ পাননি বলে জানিয়েছেন মিষ্টি জান্নাত। সংবাদ মাধ্যমের বরাতে এই ব্যাপারে অবগত হয়েছেন বলে জানিয়েছেন এই আলোচিত চিত্রনায়িকা।
এ প্রসঙ্গে মিষ্টি জান্নাত বলেন, পরিষ্কার বলতে চাই, সাক্ষাৎকারে আমি তার নাম উল্লেখ করে কিছুই বলিনি। উনি কেন গায়ে মাখলেন জানি না। এখন আমি পাল্টা আইনি ব্যবস্থা নেব। এরকম মিথ্যা নোটিশ দিয়ে হয়রানি করার মানে কি? এখন আমাকেও আইনের দ্বারস্থ হতে হবে। এরই মধ্যে আইনজীবীর সঙ্গে কথা বলেছি। ভিত্তিহীন অভিযোগ এনে আমার সম্মানহানি করায় উল্টো ২০ কোটি টাকার মানহানি মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছি। সাপ্তাহিক ছুটির দিন শেষ হলেই ব্যবস্থা নেব।
মূলত উপস্থাপক শাহরিয়ার নাজিম জয়কে কেন্দ্র করে ঘটনার সূত্রপাত। মিষ্টি জান্নাতের একটি ভিডিও সাক্ষাৎকার মোটেও ভালোভাবে নেননি তমা মির্জা। সম্প্রতি তমা মির্জা নিজের ফেসবুকে এক স্ট্যাটাস দিয়েছিলেন। এতে তমা কারো নাম উল্লেখ না করলেও স্পষ্ট তিনি মিষ্টি জান্নাতকে ইঙ্গিত করে স্ট্যাটাসটি দিয়েছিলেন। এরপর সবকিছু ছিল নীরব ভূমিকায়। হঠাৎ করে তমার আইনি নোটিশের খবরে ফের উত্তাল ঢালিউড।
মিষ্টি জান্নাত বলেন, বিষয়টি ছিল জয় ভাই ও আমার মধ্যে। মাঝখানে তিনি এসে ঢুকে গেলেন। ইঙ্গিতপূর্ণ একটা স্ট্যাটাস দিয়ে শুরুটা কিন্তু তিনিই করেছেন। তারপরও আমি চুপচাপ ছিলাম। ঘটনা যখন শেষের দিকে তখন তিনি উড়ে এসে জুড়ে বসেছেন। কোনো ইউটিউবার যদি আমার সাক্ষাৎকারের সঙ্গে নিজের মন মতো থাম্বনেল এবং ক্যাপশন জুড়ে দেয় সেই দায়ভার তো আমি নেব না। কারণ, আমি তো তাকে নিয়ে কিছু বলিনি। সে বিষয়টি নিয়ে আমার সঙ্গে কথা বলতে পারত। তা না করে আদালতে গিয়েছে। এখন আমিও আইনি ভাবেই বিষয়টি দেখব।
মন্তব্য করুন


বিনোদন ডেস্ক:
বর্তমানে বলিউডের প্রথম সারির অভিনেত্রী আলিয়া ভাট। তার অভিনয় প্রতিভা নিয়ে সবাই প্রশংসায় পঞ্চমুখ। একের পর এক ছবি বক্স অফিসে হিট। পেয়েছেন একাধিক মর্যাদাপূর্ণ পুরস্কার। বলিউড পাড়ায় কেউ কেউ তার প্রশংসায় বলে থাকেন ‘বিউটি ইউথ ব্রেইন’।
তবে অসাধারণ প্রতিভাবান এই অভিনেত্রী এক জটিল মানসিক রোগে আক্রান্ত। সে জন্য চিকিৎসাও চলে তার। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে নিজের রোগের কথা প্রকাশ্যে আনেন অভিনেত্রী নিজেই।
আলিয়া জানান, তিনি ‘এডিএইচডি’ (অ্যাটেনশন ডেফিশিট/হাইপার অ্যাক্টিভিটি ডিসঅর্ডার) রোগে আক্রান্ত।
এই রোগের অন্যতম লক্ষণ হল মানসিক চাঞ্চল্য, অস্থির ভাব ও অতিরিক্ত উত্তেজনা। কোনো কিছুতে মনযোগ দিতে বেগ পেতে হয়।
আলিয়া জানান, কয়েকটি পরীক্ষার মাধ্যমে জানা যায়, তিনিও এই রোগের শিকার। শৈশবে এই রোগের জন্য সমস্যায় পড়তে হয়েছিল তাকে পঠনপাঠনের ক্ষেত্রেও। ক্লাস চলাকালীন প্রায়ই অন্য মনস্ক হয়ে পড়তেন আলিয়া। বন্ধুদের সঙ্গে কথা বলতে বলতেও মনঃসংযোগ হারিয়ে ফেলতেন। তার বন্ধুরা বিষয়টা লক্ষ করেছিলেন। কিন্তু কেন এমন হয়, বুঝতে পারতেন না আলিয়া।
তবে ক্যামেরার সামনে যখন অভিনয় করেন তখন এই সমস্যাটা তার হয় না। তখন মনযোগ অক্ষত থাকে। মস্তিষ্কও শান্ত থাকে। বর্তমানে একমাত্র কন্যা রাহার সঙ্গে সময় কাটানোর সময়ও কোনো অসুবিধা হয় না। তার মন স্থির থাকে। নিজের অভিনয়ের কাজ ও মেয়ের সঙ্গ —এই দুই সময় মন সবচেয়ে শান্ত থাকে বলে নিজেই জানিয়েছেন আলিয়া।
এমনকি বিয়ের দিন সাজগোজের জন্যও স্থির হয়ে বসে থাকতে পারবেন না বলে জানিয়ে দিয়েছিলেন আলিয়া। রূপটানশিল্পী পুনীত বি সইনি তার থেকে দু’ঘণ্টা সময় চেয়েছিলেন। কিন্তু এতটা সময় টানা বসে থাকতে পারবেন না বলে জানান তিনি। তার চেয়ে নিজের মতো বসে বিশ্রাম করতে চেয়েছিলেন আলিয়া।
উল্লেখ্য, বর্তমানে তিনি আলিয়া তার ছবি ‘জিগরা’ নিয়ে ব্যস্ত। বরাবরের মতোই অভিনয়ের জন্য প্রশংসিত হচ্ছেন তিনি। আলিয়ার ভাইয়ের চরিত্রে অভিনয় করেছেন বেদাঙ্গ রায়না।
মন্তব্য করুন


ছোটবেলায় যৌন নির্যাতনের শিকার হয়েছিলেন পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ অভিনেত্রী জামিলা জামিল। এরপর থেকে তার ভেতর সব সময় একধরনের ট্রমা কাজ করে। এড়িয়ে চলেন রগরগে দৃশ্যে অভিনয়, এমনকী কোনো ছবিতে এমন দৃশ্য থাকলে তা দেখেনও না তিনি। আর এ কারণেই নেটফ্লিক্সের সিরিজ ‘ইউ’-এর অডিশন থেকে বেরিয়ে আসেন অভিনেত্রী।
সম্প্রতি ‘দ্য গুড প্লেস’ খ্যাত তারকা পডক্রাশড পডকাস্টে তার নিজের চিন্তাভাবনা তুলে ধরেন। জামিলা বলেন, “নেটফ্লিক্সের সিরিজ 'ইউ'-এর চতুর্থ সিজনের জন্য আমার অডিশন দেওয়ার কথা ছিল। তবে যখন জানতে পারি এই চরিত্রটি বেশ সেক্সি, তখনই আমি অডিশন থেকে সরে আসার কথা জানিয়ে দিই। কারণ, এ ধরনের যৌন দৃশ্যে আমি স্বচ্ছন্দ নই।’ যদিও ঠিক কোন দৃশ্যের জন্য তিনি অডিশন দিচ্ছিলেন, তা প্রকাশ্যে আনেননি জামিলা জামিল।
কেন যৌন দৃশ্যে তিনি স্বচ্ছন্দ নন, তার অন্যতম কারণ হিসাবে শৈশবের 'ট্রমা' (মানসিক আঘাত), শৈশবের যৌন নির্যাতনের কথা সামনে এনেছেন জামিলা জামিল। অভিনেত্রী জানান, তার শৈশব ভীষণই কঠিন, নোংরা ছিল। শৈশবে তার ওপর চলা যৌন নির্যতনের কথা তিনি ভুলতে পারেননি, সেগুলো থেকে বের হয়ে আসতে পারেননি। আর তারই ফলস্বরূপ তিনি নিজের জন্য এই নিয়ম তৈরি করেছেন। সিদ্ধান্ত নিয়েছেন কখনো কোনো যৌন দৃশ্যে তিনি অভিনয় করবেন না।
তার কথায়, ‘অন্য অভিনেতাদের কাছে যৌনদৃশ্য যেমন, আমার কাছে এটা ঠিক তেমন নয়। এমনকী ছবিতে কোনো যৌন দৃশ্য থাকলে সেটা আমি দেখি না, এড়িয়ে যাই।’
জামিলা জামিল জানান, তিনি ‘ইউ’-এর নির্মাতাদের স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, যদি যৌন দৃশ্য ছাড়া সিরিজে অন্য কোনো চরিত্রে তাকে প্রয়োজন হয়, তাহলে তাকে তারা ডাকতে পারেন।
‘সি-হাল্ক’ অভিনেত্রী আরও স্পষ্ট করে বলেন, ‘এটা লজ্জার কিছু নয়। তবে আমি অনুভব করি যে এটির চারপাশে একটি বিশ্রীতা রয়েছে।’
মন্তব্য করুন


বিনোদন ডেস্ক:
গোটা দুনিয়ার সিনেপ্রেমী দর্শকের নজর এখন ফ্রান্সের কান সৈকতে। কারণ সেখানেই যে বসেছে সিনেমার সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ কান চলচ্চিত্র উৎসবের আসর। এরই মধ্যে সেখানে উপস্থিত হয়েছেন বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে পরিচালক, প্রযোজক, অভিনয়শিল্পীরা। প্রথমবারের মতো সেখানে এবার গিয়েছেন বলিউড অভিনেত্রী কিয়ারা আদভানি।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমসের খবরে জানা যায়, প্রতিবারই কানে বলিউড অভিনেত্রীদের ভালো প্রভাব থাকে। লাল গালিচায় ভিন্ন ভিন্ন পোশাকে নজর কাড়েন তারা। এবারও তার ব্যতিক্রম হয়নি। এরই মধ্যে ঐশ্বরিয়া রায় বচ্চন, অদিতি রাও হায়দারি, সবিতা ধুলিপালা ও উর্বশী রাওতেলা লাল গালিচায় নজর কেড়েছেন।
‘রেড সি ফিল্ম ফাউন্ডেশন উইমেন ইন সিনেমা’ গালায় ভারতের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করেছেন তিনি। রেড কার্পেটে হাঁটার আগে নায়িকা তার ইনস্টাগ্রাম হ্যান্ডেলে কান চলচ্চিত্র উৎসবে নিজের সাজসজ্জার একটি ভিডিও শেয়ার করেছেন। ভিডিওটি শেয়ার করে কবির সিং’খ্যাত নায়িকা ক্যাপশনে লিখেছেন, ‘রিভেরায় মিলনমেলা।’
এ সময় নায়িকার কানে দেখা যায় মানানসই মুক্তার লম্বা দুল ও পায়ে সাদা হাই হিল। এক হাতে আংটি, অন্য হাতের কবজিতে সুন্দর কাজ করা রিস্টব্যান্ড। কিয়ারার এ পোশাকটি ডিজাইন করেছেন প্রবাল গুরুং। তবে এর মূল্য প্রকাশ করা হয়নি।
মন্তব্য করুন


বিনোদন ডেস্ক:
লায়লা আক্তার ফারহাদের করা ধর্ষণ মামলায় আলোচিত টিকটকার আব্দুল্লাহ আল মামুন ওরফে প্রিন্স মামুনের রিমান্ড ও জামিন দুটোই নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত। আজ মঙ্গলবার দুপুরে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মামুনুর রশীদ শুনানি শেষে এ আদেশ দেন।
আজ প্রিন্স মামুনকে আদালতে হাজির করে তার সাত দিনের রিমান্ডের আবেদন করেন তদন্তকারী কর্মকর্তা ক্যান্টনমেন্ট থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মুহাম্মদ শাহাজাহান। অপরদিকে প্রিন্সের আইনজীবী রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিনের আবেদন করেন। উভয়পক্ষে শুনানি শেষে আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
এর আগে ৯ জুন প্রিন্স মামুনের বিরুদ্ধে রাজধানীর ক্যান্টনমেন্ট থানায় ধর্ষণ মামলা করেন লায়লা আক্তার। মামলার পর গতকাল রাত সাড়ে ৯টার দিকে কুমিল্লা থেকে পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে।
মামলার অভিযোগে লায়লা বলেন, ‘প্রিন্স মামুনের সঙ্গে গত তিন বছর আগে ফেসবুকের মাধ্যমে আমার পরিচয় হয়। পরিচয়ের একপর্যায়ে মামুন আমাকে বিয়ে করবে মর্মে প্রলোভন দেখিয়ে আমার সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক স্থাপন করেন। তিনি আমাকে জানান, তার ঢাকায় থাকার মতো নিজস্ব কোনো বাসা নেই। যেহেতু প্রেমের সম্পর্ক সৃষ্টি হয় এবং মামুন আমাকে বিয়ে করবে বলে জানান, তাই তার কথা সরল মনে বিশ্বাস করে তাকে আমার বাসায় থাকার অনুমতি দেই।’
মামলার অভিযোগে আরও লায়লা আরও বলেন, ‘২০২২ সালের ৭ জানুয়ারি মামুন তার মাকে সঙ্গে নিয়ে আমার বাসায় এসে বসবাস করতে থাকেন। ওইদিন থেকে তিনি আমার বাসায় আমার সঙ্গে একই রুমে থাকতে শুরু করেন। বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে একাধিকবার শারীরিক সম্পর্ক করেন। মামুন আমার বাসায় থাকাকালে তার বাবা-মা মাঝেমধ্যেই সেখানে এসে অবস্থান করতেন। আমি মামুনকে একাধিকবার বিয়ের বিষয় বললে তিনি বিভিন্ন অজুহাতে সময়ক্ষেপণ করতে থাকেন। সর্বশেষ চলতি বছরের ১৪ মার্চ মামুন আবার আমাকে ধর্ষণ করেন। পরে তাকে বিয়ের বিষয়ে বললে তিনি ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে। সেইসঙ্গে আমাকে বিভিন্ন অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করেন।’
মন্তব্য করুন