

বিনোদন ডেস্ক:
‘অ্যানিমেল’ সিনেমায় অভিনয় করে রাতারাতি ভারতের ন্যাশনাল ক্রাশের খেতাব পেয়েছিলেন তৃপ্তি দিমরি। কিন্তু সে খ্যাতি যেন জৌলুস হারাচ্ছে।
বলিউডের অন্দরমহলে গুঞ্জন ছড়িয়েছে, ‘আশিকি থ্রি’ থেকে কাদ দেওয়া হয়েছে তৃপ্তিকে। যার নেপথ্যে রয়েছেন পরিচালক অনুরাগ বসু।
সোমবার থেকেই এমন খবরে সয়লার ভারতীয় বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যম। তবে এই গুঞ্জনের ২৪ ঘণ্টা পেরোতে না পেরোতেই মুখ খুললেন অনুরাগ। এই নির্মাতা বললেন, তৃপ্তি সিনেমাতে থাকছেন না, এমন কথা আমি একবারও বলিনি। সে কথা তৃপ্তিও জানেন।
তা হলে কি তৃপ্তি ‘আশিকী থ্রি’তে থাকছেন? সে বিষয়ে অবশ্য কোন পাকা কথা দেননি পরিচালক। মুখ বন্ধ রেখেছেন ‘ভুলভুলাইয়া থ্রি’র নায়িকাও। ফলে ধোঁয়াশা বেড়েই চলেছে। অনুরাগের এই জবাব ইতোমধ্যেই সমাজিকমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। তাইতো নতুন করে চর্চা শুরু।
‘ভুলভুলাইয়া থ্রি’ সিনেমায় কার্তিক-তৃপ্তির রসায়ন ভালো লেগেছিল দর্শকদের। তাই তাদের আশা, আবারও এই জুটির দেখা মিলবে পর্দায়। এদিকে সিনেমার আনুষ্ঠানিক ঘোষণার সময় থেকেই আলোচনার কেন্দ্রে ‘আশিকী থ্রি’।
একাধিক নায়ক-নায়িকার নাম সেসময় প্রকাশ্যে এসেছিল। তাদের মধ্যে পরিচালক বেছে নিয়েছিলেন কার্তিক-তৃপ্তিকে। তার আগে ‘অ্যানিমেল’ মুক্তি পেয়েছে। এতে রণবীর কাপুরের বিপরীতে সাহসী দৃশ্যে অভিনয় করে সাড়া ফেলে দিয়েছিলেন তৃপ্তি। ফলে তাকে পছন্দ হয়েছিল প্রযোজনা সংস্থারও।
তবে এখন গুঞ্জন উঠেছে অতি সাহসই নাকি কাল হয়ে দাঁড়িয়েছে তৃপ্তির জন্য। অত্যধিক শরীর দেখানোর ফলে সারল্য হারিয়ে ফেলেছেন নায়িকা। তাই নাকি ‘আশিকী থ্রি’ থেকে বাদ পড়তে পারেন তৃপ্তি!
‘
মন্তব্য করুন


বিনোদন ডেস্ক:
নেটফ্লিক্সে মুক্তি পেয়েছে বলিউড অভিনেত্রী মনীষা কৈরালার নতুন ওয়েব সিরিজ ‘হীরামান্ডি দ্য ডায়মন্ড বাজার’। সঞ্জয় লীলা বানসালি পরিচালিত এই সিরিজে মল্লিকা জান চরিত্রে অভিনয় করেছেন তিনি।
সম্প্রতি এই ছবির প্রচারে গিয়ে এক সাক্ষাৎকারে নিজের ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে খোলামেলা কথা বলেছেন পঞ্চাশোর্ধ্ব এই অভিনেত্রী।
মনীষা কৈরালা জানান, প্রেমের অপেক্ষায় রয়েছেন তিনি। নেপালি ব্যবসায়ী, স্বামী সম্রাট দাহালের সঙ্গে বিচ্ছেদ হয়েছে আগেই। আবার নতুন প্রেমের অপেক্ষায় এখন মনীষা।
অভিনেত্রী স্বীকার করেছেন, তিনি একজন জীবনসঙ্গী চান এবং প্রেমে থাকতে চান।
তিনি আরও বলেন, তিনি আবার প্রেম খুঁজতে প্রস্তুত।
মনীষা বলেন, ‘আমি অবশ্যই অনুভব করি যে আমার জীবনে যদি একজন মানুষ থাকত, আমার জীবনে যদি আমার একজন সঙ্গী থাকত, তা হলে হয়তো তাকে পেয়ে ভালো লাগত, কিন্তু তাকে খুব সৎ হতে হবে। আমার ভাগ্যে লেখা থাকলে পাবই। যদি না হয়, এটাও ঠিক আছে। আমি অনুভব করি, আমি একটি পূর্ণ জীবনযাপন করছি। আমি তার জন্য অপেক্ষা করছি না বা তার জন্য আমার সময় নষ্ট করছি না। যদি এটা বুঝতে হবে, অন্যথায় আমি আমার জীবন নিয়ে সন্তুষ্ট।’
তিনি আরও যোগ করেন, ‘আমি খুব শান্তিপূর্ণ এবং প্রেমময় পরিবারের সমর্থন পেয়েছি। আমি একজন ভালো ভাই, ভগ্নিপতি, ভালো বাবা-মা এবং ভালো ও স্নেহময় বন্ধু পেয়েছি। এ ছাড়া কাজ খুব ভালো চলছে। আমি ঘুরতে খুব পছন্দ করি। এটা করতে মজা পাই। তাই আমি খুব ভালো আছি। আমি মানসিক এবং শারীরিকভাবে প্রতিটি উপায়ে সম্পূর্ণ অনুভব করি। তবে হ্যাঁ, যদি আমার একজন সঙ্গী থাকত, তবে আমি এটি উপভোগ করতাম।’
উল্লেখ্য, এই সিরিজের মধ্য দিয়ে ২৮ বছর পর বানসালির সঙ্গে কাজ করছেন মনীষা। সিরিজটিতে মনীষা ছাড়া আরও অভিনয় করেছেন রিচা চাড্ডা, সোনাক্ষী সিনহা এবং অদিতি রাও হায়দারি প্রমুখ।
মন্তব্য করুন


বিনোদন ডেস্ক:
স্কুলজীবন থেকে পরিচিত সারা আলি খান এবং অনন্যা পাণ্ডে। বলিউডে তাদের বন্ধুত্ব নিয়ে বেশ আলোচনা হয়। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে সেই গল্প শেয়ার করেছেন অভিনেত্রী। যদিও বন্ধুত্ব রয়েছে, অনন্যা নাকি সারাকে ভয় পেতেন, যেন যমের মতো। সারার নাম শুনলেই তিনি সতর্ক হয়ে থাকতেন।
অনন্যার থেকে তিন বছরের বড় সারা। ছোট থেকেই বেশ ডাকাবুকো স্বভাবের ছিলেন তিনি। মুখের ওপর কথা বলতেন। অনন্যা বলেছেন, "সারা খুব ঠোঁটকাটা স্বভাবের ছিল, এখনও তাই রয়েছে। তবে স্কুলে আরও সাংঘাতিক ছিল। মুখে যা আসত, তাই বলে দিত। আমি ভয়ে ভয়ে থাকতাম, ভাবতাম এই বুঝি আমার সম্পর্কে কিছু বলল।"
এই কারণে সারাকে কিছুটা এড়িয়েই চলতেন অনন্যা। অভিনেত্রীর কথায়, "আমি যদি দেখতাম, সারা কোনো একটা সিঁড়ি থেকে নেমে আসছে, ওই পথ দিয়ে আমি যেতাম না।"
প্রথম দিকে অনন্যার নাম জানতেন না সারা। তাকে 'এই' বলে ডাকতেন সাইফ আলি খানের কন্যা।
অনন্যা স্মৃতিচারণ করে বলেন, "আমার মনে আছে, একসঙ্গে স্কুলে একটা নাটক করেছিলাম। সারাই মুখ্য চরিত্রে অভিনয় করছিল। আমি বোধহয় ওর মাথায় ছাতা ধরেছিলাম, পেছনে ছিলাম সারার।"
এ সময় সারা নাকি অনন্যাকে 'এই এই' বলে ডাকতেন এবং খুব রূঢ় ব্যবহার করতেন। যদিও এখন নাকি অনন্যার কাছে সেই কথা স্বীকার করেন না সারা। সারার দাবি, অনন্যার সঙ্গে তিনি নাকি খুব ভালই ব্যবহার করতেন।
মন্তব্য করুন


বিনোদন ডেস্ক:
ভারতের টলিউডের তিন কন্যা বেরিয়ে পড়েছিলেন রাতের শিকাগো দেখতে। ৪৪তম নর্থ আমেরিকা বেঙ্গলি কনফারেন্সে যোগ দিতে গিয়েছিলেন স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায়, সোহিনী সরকার ও শ্রাবন্তী চট্টোপাধ্যায়। এর ফাঁকেই যুক্তরাষ্ট্রের ওই শহরটির নাইটক্লাবে চুটিয়ে পার্টি করেছেন তারা। সামাজিকমাধ্যমে ভাইরাল এখন সেই ভিডিও।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমসের এক প্রতিবেদনে দেখা যায়, শিকাগোর নাইটক্লাবে চুটিয়ে পার্টি করেছেন স্বস্তিকা, সোহিনী, শ্রাবন্তীরা। সেলফি মুডে ভিডিও নিজদের ভিডিওবন্দি করেছেন শ্রাবন্তী। তার পেছনে দাঁড়িয়েছিলেন স্বস্তিকা। আর স্বস্তিকার পেছনে সোহিনী।
ক্লাবে তখন মায়াবী আলো আধারির খেলা। তাল মিলিয়ে চলছে মিউজিক। টলিপাড়ার তিন কন্যা উপভোগ করছিলেন এই মুহূর্ত। মেতেছিলেন উদ্দাম উন্মাদনায়। এক পর্যায়ে শ্রাবন্তীকে জড়িয়ে ধরে চুমুও খান স্বস্তিকা। মুহূর্তেই ভাইরাল হয়েছে ভিডিওটি।
আমেরিকার শিকাগোতে হয়ে গেল ৪৪তম নর্থ আমেরিকা বেঙ্গলি কনফারেন্স। তিন দিন (৪, ৫ ও ৬ জুলাই) ব্যাপী আয়োজিত এ কনফারেন্সে যোগ দিতে সেখানে গিয়েছিলেন স্বস্তিকারা। তারই এক ফাঁকে নাইট ক্লাবে গিয়েছিলেন সৌন্দর্যের আগুন উসকে দিতে।
কনফারেন্সে যোগ দিতে আরও উপস্থিত ছিলেন কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায়, সৃজিত মুখোপাধ্যায়, অরিন্দম শীল, মমতা শঙ্কর থেকে অনির্বাণ ভট্টাচার্য, ইশা সাহা, অর্জুন চক্রবর্তী, ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত।
মন্তব্য করুন


বিনোদন ডেস্ক:
বিশ্বজুড়ে শিশুদের উপর হামলা কেনো? এমন প্রশ্ন করে সোশ্যাল মিডিয়ায় সিনের মতামত জানিয়ে লিখেছেন ইউনিসেফের শুভেচ্ছা-দূত ও জনপ্রিয় বলিউড-হলিউড নায়িকা প্রিয়াঙ্কা চোপড়া।
রিয়াসির জঙ্গি হামলার ঘটনায় ভীণষ মর্মাহত এ নায়িকা। প্রিয়াঙ্কা প্রশ্ন তুলছেন কেন বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে পড়া ঘৃণার ঘটনায় বার বার বলি হতে হবে সাধারণ মানুষ এবং শিশুদের?
বোববার জম্মু-কাশ্মীরে আবারও একবার ভয়াবহ জঙ্গি হামলার ঘটনা ঘটে। ওই দিন রিয়াসির দিক থেকে জম্মুর কাটরায় বৈষ্ণো দেবী মন্দিরের দিকে যাচ্ছিল পুণ্যার্থীদের একটি বাস। সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে সেই বাসেই হামলা চালায় জঙ্গিরা। এতে মৃত্যু হয় ১০ জনের, ৩০ জনেরও বেশি আহত হয়েছে।
এ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে এনআইএ। প্রাথমিকভাবে সন্দেহ করা হচ্ছে পাকিস্তানি মদতপুষ্ট জঙ্গি গোষ্ঠীই এ হামলার পিছনে রয়েছে বলে দাবি করা হচ্ছে।
এ প্রসঙ্গে প্রিয়াঙ্কা ইনস্টাগ্রামে একটি স্টোরি শেয়ার করে করেছেন। এতে তিনি লিখেছেন, ‘বিধ্বস্ত আমি। নিরপরাধ তীর্থযাত্রীদের উপর জঘন্য হামলা চালানো হয়েছে। কেনো সাধারণ মানুষ এবং শিশুদের উপর এই হামলা? সারাবিশ্বে যেভাবে ঘৃণা ছড়াচ্ছে, তা আমার বোধগম্যতার বাইরে।’
তবে এ প্রথম নয়। বিশ্বজুড়ে চলা সন্ত্রাসের বিপক্ষে বার বার নিজের মতামত প্রকাশ করেছেন অভিনেত্রী। এরই মধ্যে প্রিয়াঙ্কা ফিলিস্তিনের পাশে দাঁড়িয়েছেন।
রাফায় ইসরায়েলি হামলার পরই সোশ্যাল মিডিয়ায় তিনি নিজের মত প্রকাশ করেছিলেন। এর আগে রাশিয়া-ইউক্রেন সংঘর্ষের সময়ও প্রিয়াঙ্কাকে দেখা গেঠে পোল্যান্ডে গিয়ে উদ্বাস্তু পরিবারের শিশুদের সঙ্গে সময় কাটাতে।
সেবারও শিশুদের নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন এ নায়িকা। সাবেক বিশ্বসুন্দরী এবং অভিনেত্রী দীর্ঘ দিন ধরেই ইউনিসেফের সঙ্গে যুক্ত। ২০১৬ সাল থেকে তিনি শুভেচ্ছা-দূত হিসেবে প্রতিষ্ঠানটির সঙ্গে কাজ করছেন।
মন্তব্য করুন


বিনোদন ডেস্ক:
দক্ষিণী আবেদনময়ী অভিনেত্রী তামান্না ভাটিয়াকে নিয়ে ভক্তদের মাঝে উত্তেজনা সব সময় তুঙ্গে থাকে। ব্যক্তিগত জীবন থেকে শুরু করে লাভ-লাইফ কোনটাই বাদ যায় না। সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ইনস্টাগ্রাম স্টোরিতে একটি পোস্ট শেয়ার করে নিজের এমন এক গোপন তথ্য ফাঁস করলেন যা শুনলে চমকে যাবেন।
পোস্টে তামান্না লিখেছেন, ‘আমার একটা খারাপ অভ্যাস আছে, আমি সবাইকে বলি যে আমি সব সময় যেকোনো কিছুর জন্য প্রস্তুত, কিন্তু বাস্তবে আমি রাত ৮টার পর কোথাও যেতে চাই না বা কিছু করতেও চাই না। এমনকি কিছু করতেও ভাল লাগে না।’
তামান্না আরও বলেন, ‘যদি আমি কারোর সঙ্গে দেখা করি, সেখানে খাবার এবং পার্কিংয়ের ব্যবস্থা থাকা উচিত, তবে এটা পুরোটাই আমার মেজাজ এবং ক্লান্তির ওপর নির্ভর করে।’
ব্যক্তি জীবনে তামান্না সম্পর্ক জড়িয়েছে বলিউডের উঠতি তারকা বিজয় ভার্মার সঙ্গে। গত বছর তাদের প্রথম ডেটিংয়ের গুঞ্জন ছড়িয়ে পড়েছিলো। ভাইরাল হওয়া এক ভিডিওতে একে অপরকে চুম্বন করার পরই তাদের নিয়ে নেট দুনিয়াঢ চর্চা শুরু হয়েছিলো। অবশেষে তা স্বীকার করে নিয়েছিলেন তারা।
বিজয়-তামান্নার প্রেমের চর্চা দিনদিনই বেড়েই চলেছে৷ প্রেমের খবর স্বীকার করে নেওয়ার পর থেকেই আরও বেশি করে শিরোনামে রয়েছেন তারকা জুটি৷ বিজয়-তামান্নার সম্পর্ক এখন টক অফ দ্য টাউন ৷ ওয়ার্ক ফ্রন্টের কথা বলতে গেলে, সম্প্রতি ‘আরনমানই ৪’ ছবিতে তামান্না ভাটিয়াকে দেখা যাবে।
মন্তব্য করুন


বলিউড তারকা সালমান খান পশ্চিমবঙ্গের এ সপ্তাহে কলকাতা সফরে গিয়েছিলেন। যেখানেই সালমান পা রেখেছেন, তাকে দেখতে ভক্তরা ভিড় জমিয়েছিলেন। কিন্তু সালমানের সঙ্গে আলাদা করে দেখা করার সুযোগ পেয়েছিলেন টলিপাড়ার অভিনেত্রী আয়ুশী তালুকদার।
সালমানের ভক্ত আয়ুশী বলেন, যে দিন প্রথম শুনেছিলাম যে, উনি কলকাতায় আসছেন, তখন থেকে আমি চেষ্টা করছিলাম। কিন্তু তার চারপাশে কড়া নিরাপত্তা। তাই বুঝতে পারছিলাম না, কীভাবে সাক্ষাৎ কবে। শেষে অভিনেত্রী পূজা বন্দ্যোপাধ্যায়ের চেষ্টায় সালমানের সঙ্গে দেখা করেন আয়ুশী।
তিনি বলেন, পূজা মুম্বাইয়ে কাজ করেন। সালমানের টিমের একজনের সঙ্গে তার পরিচয় ছিল। তাতেই বিষয়টা সহজ হয়ে যায়।
আয়ুশী জানালেন, শোয়ের শেষে মাঝরাতে সালমানের হোটেলের স্যুইটে সুপারস্টারের সঙ্গে তিনি ও পূজা দেখা করেন। উচ্ছ্বসিত কণ্ঠে বললেন, শেরা দরজার বাইরে ছিলেন। আমি ভেতরে ঢোকার পর চোখের সামনে সালমানকে দেখে বিশ্বাস করতে পারছিলাম না! আমাদের দেখেই এমনভাবে সোফায় বসতে বললেন যেন কত দিনের পরিচিত।
তারপর শো কেমন হয়েছে, আয়ুশীর কাছে তা জানতে চান সালমান। আয়ুশী বললেন, উনি তার আগেই ৩-৪ ঘণ্টা পারফর্ম করেছেন। এ দিকে রাত ২টার দিকে আবার মুম্বাইয়ের বিমান ধরবেন। কিন্তু দেখে বোঝার উপায় নেই।
সালমানের সঙ্গে শুধু ছবি তোলাই নয়, অভিনেতার আতিথেয়তায় মুগ্ধ আয়ুশী। বললেন, উনি আমাদের স্ন্যাক্স অফার করলেন। আমি সেটা খাব কী, তখন সময়টা আমার জন্য থেমে গিয়েছিল।
সালমানের জন্য তার টিমের তরফে কলকাতার বিশেষ বিরিয়ানির বন্দোবস্ত করা হয়েছিল। আয়ুশী বললেন, উনি জানতেন যে, আমরা শো দেখে সরাসরি এসেছি। আমাদের বিরিয়ানি অফার করলেন। আরও একবার আমার অবাক হওয়ার পালা। কিন্তু শেষ পর্যন্ত আর খাইনি।
মুম্বাই ফিরে ‘টাইগার ৩’ ছবির শুটিংয়ে যোগ দেবেন সালমান। মঙ্গলবার এই শিডিউলে সালমানের সঙ্গে শাহরুখ খানের ক্যামিয়ো অংশের শুটিং হওয়ার কথা। আয়ুশীকে সেই শুটিংয়ে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন সালমান। তিনি বলেন, ‘‘পুজাদির বাড়ির পাশেই লোকেশন। আমাকে শুটিং দেখতে আমন্ত্রণ করেছেন সালমান। হতেই পারে, সোমবার রাতেই আমি ফ্লাইটে মুম্বাই পৌঁছে যেতে পারি!
সালমানের সঙ্গে মাত্র ১৫ মিনিটের জন্য দেখা করেছিলেন আয়ুশী। বললেন, অল্প কয়েকজন বলিউড তারকার সঙ্গে দেখা করার সৌভাগ্য আমার হয়েছে। কিন্তু সালমানের সামনে সেগুলো তুচ্ছ। এই অভিজ্ঞতা কোনো দিন ভুলতে পারব না।
মন্তব্য করুন


বিনোদন ডেস্ক:
বিয়ে করতে যাচ্ছেন সালমান খানের ভক্ত ‘বিগ বস’ প্রতিযোগী ও অভিনেতা-গায়ক আবদু রোজিক। সম্প্রতি তিনি নিজেই একটি ভিডিও বার্তা পোস্ট করে এই সুখবর ভাগ করে নিয়েছেন।
১৯ বছর বয়সী আমিরাকে বিয়ে করছেন ২০ বছর বয়সী আবদু। আমিরা শারজার মেয়ে।
এক ভিডিও বার্তায় আবদু জানান, তিনি তার জীবনের ভালোবাসা খুঁজে পেয়েছেন এবং গাঁটছড়া বাঁধতে প্রস্তুত। গেল বুধবার নিজের ইনস্টাগ্রাম হ্যান্ডেলে বিয়ের আংটির একটি ছবিও পোস্ট করেছেন আবদু। সাদা শার্ট, কালো ব্লেজার ও ম্যাচিং প্যান্টে ক্যামেরার সামনে বসে লাজুক মুখে বিয়ের কথা জানান তিনি।
ভিডিও বার্তায় আবদু বলেন, বন্ধুরা, আপনারা জানেন যে আমার বয়স ২০ বছর এবং আমি এমন একটি মেয়ের প্রেমে পড়ার স্বপ্ন দেখেছি যে আমাকে সম্মান করবে, যে আমাকে খুব ভালোবাসবে। এটা আমার স্বপ্ন ছিল। হঠাৎ খুঁজে পেলাম সেই মেয়েকে যে আমাকে সম্মান করছে, অনেক বেশি ভালোবাসা দিচ্ছে। আমি জানি না কীভাবে এটি বলব কারণ আমি খুব উত্তেজিত। একটা গয়নার বাক্স বের করে আবদু বলল, ‘তোমাদের সবার জন্য একটা সারপ্রাইজ আছে। ’
ক্যাপশনে আবদু লেখেন, আমি জীবনে কখনো ভাবিনি যে আমি এমন একজন ভালোবাসার মানুষ পেয়ে যাব যে আমাকে সম্মান করবে। আমি কতটা খুশি তা ভাষায় প্রকাশ করতে পারব না।
খালিজ টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে দুবাইয়ের শপিং মলের সিপ্রিয়ানি ডলসিতে আমিরার সঙ্গে আবদুর দেখা হয়। আগামী ৭ জুলাই সংযুক্ত আরব আমিরাতে তাদের বিয়ের অনুষ্ঠান হবে, বিষয়টি নিশ্চিত করেছে আবদুর ব্যবস্থাপনা প্রতিষ্ঠান ইন্টারন্যাশনাল ফাইটিং চ্যাম্পিয়নশিপ ম্যানেজমেন্ট (আইএফসিএম)।
আবদু তাজিকিস্তানের একজন জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী। তিনি ‘বিগ বস ১৬’-তে অংশগ্রহণের মাধ্যমে ভারতে প্রচুর জনপ্রিয়তা অর্জন করেছিলেন। তবে পূর্ব পেশাগত বাধ্যবাধকতার কারণে স্বেচ্ছায় ‘বিগ বস ১৬’ ত্যাগ করেন আবদু। ছোটবেলা থেকেই দারিদ্রের মধ্যে দিয়ে বড় হওয়া আবদু সেই সময় থেকেই রিকেট রোগে আক্রান্ত। ফলে থেমে যায় তার শারীরিক বৃদ্ধি।
মন্তব্য করুন


বলিউডের প্রথম সারির পরিচালকদের মধ্যে যাঁর নাম দর্শক ও সমালোচকদের কাছে সমাদৃত, তিনি হচ্ছেন অনুরাগ কাশ্যপ। এই মায়ানগরীকে বিদায় জানাচ্ছেন এ স্বনামধন্য পরিচালক। হঠাৎ এ সিদ্ধান্ত নিলেন কেন তিনি? কারণ বলিউড নিয়ে তিনি নাকি মহাবিরক্ত। সন্তোষজনকভাবে কাজ করতে পারছেন না- এমন অভিযোগই করলেন অনুরাগ কাশ্যপ।
তিনি বলেন, বর্তমানে চলচ্চিত্রের মানোন্নয়ন অপেক্ষা ছবির বাণিজ্যিক দিকে বেশি মনোনিবেশ করা হয়। ছবির কাজ শুরুর আগেই স্থির হয়ে যাচ্ছে কীভাবে প্রচার করা হবে, লাভের অঙ্কের পরিমাণ কত হতে পারে ইত্যাদি। এ বিষয়টি নিয়েই তিনি হতাশ। অনুরাগ এমন জায়গায় ছবি বানাতে চান, যেখানে উদ্দীপনা থাকবে। তাই তিনি দক্ষিণী ইন্ডাস্ট্রিতে পাড়ি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলেও জানান।
পরিচালক বলেন, যে যে ছবি ইতোমধ্যে তৈরি রয়েছে, সেগুলোর রিমেক করা হচ্ছে। এই মানসিকতাতেই আমার সমস্যা। এ ছাড়া নতুন প্রজন্মের অভিনেতাদের মধ্যে নেতিবাচক প্রবণতা তৈরি করছে ‘কাস্টিং এজেন্সি’। ভালো অভিনেতা হওয়ার প্রচেষ্টা নয়, বরং রাতারাতি তারকা হওয়ার পেছনে ছুটছেন তারা। তাতে আখেরে কারও লাভ হচ্ছে না, বরং ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে ছবি। তিনি বলেন, অভিনয়ের ওয়ার্কশপে নয়, শুধুই জিমে পাঠানো হচ্ছে তাদের। আদ্যপান্ত গ্ল্যামারকে প্রাধান্য দেওয়া হচ্ছে।
অনুরাগ বলেন, তাদের এমনভাবে মগজ ধোলাই করা হচ্ছে, তারা অভিনয়ে দক্ষতা চেয়ে প্রচারের আলোয় বেশি আকৃষ্ট হচ্ছেন। ছবি নির্মাতাদের সঙ্গে অভিনেতাদের দূরত্ব তৈরি হচ্ছে এবং এর জন্য দায়ী একমাত্র ‘কাস্টিং এজেন্সি’। নতুন প্রজন্মের অভিনেতাদের মাধ্যমে শুধুই অর্থ উপার্জন তাদের লক্ষ্য, নতুন অভিনেতা তৈরির দিকে তাদের নজর নেই বলেও জানান পরিচালক।
মন্তব্য করুন


বাংলা চলচ্চিত্রের ‘মিয়া ভাই’ খ্যাত বীর মুক্তিযোদ্ধা আকবর হোসেন খান দুলু ওরফে চিত্রনায়ক ফারুকের মরদেহ ঢাকায় আনা হচ্ছে। মঙ্গলবার (১৬ মে) সিঙ্গাপুরের স্থানীয় সময় ভোর ৫টা ৪০ মিনিটে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের একটি বিশেষ ফ্লাইট তার মরদেহ নিয়ে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা হয় বলে এয়ারলাইন্সটির জনসংযোগ বিভাগের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।
ইউএস-বাংলার বিএস-৩০৮ ফ্লাইটটি নায়ক ফারুকের মরদেহ নিয়ে নির্ধারিত সময়সূচি অনুযায়ী সকাল ৭টা ৫০ মিনিটে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করবে।
সোমবার (১৫ মে) স্থানীয় সময় সকাল ১০টায় সিঙ্গাপুর মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন চিত্রনায়ক ফারুক। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৭৫ বছর। তিনি স্ত্রী ফারজানা পাঠান, কন্যা ফারিহা তাবাসসুম পাঠান ও পুত্র রওশন হোসেন, আত্মীয়-স্বজন, বন্ধু-বান্ধবসহ অসংখ্য ভক্তবৃন্দ রেখে গেছেন।
তার ভগ্নিপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা কে.বি.এম মফিজুর রহমান খান জানান, গাজীপুরের কালীগঞ্জে বাবার কবরের পাশে চিরনিদ্রায় শায়িত হবেন চিত্রনায়ক ফারুক। তার বাবা আজগর হোসেন পাঠান উপজেলার তুমুলিয়া ইউনিয়নের সোমটিওরী কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের পাশে পারিবারিক কবরস্থানে শায়িত আছেন। সেখানেই ফারুকের মরদেহ দাফন করা হবে।
তিনি বলেন, ‘তার (ফারুক) স্ত্রী ফারজানা পাঠান মেয়ে ফারিহা তাবাসসুম পাঠান, ছেলে রওশন হোসেনসহ সকল আত্মীয় স্বজনের সাথে কথা বলে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। জীবিত অবস্থায় ফারুক সবাইকে (অসিয়ত) বলে গিয়েছেন, যেন মৃত্যুর পর তাকে গাজীপুরের কালীগঞ্জ উপজেলার দক্ষিণ সোম গ্রামে পারিবারিক কবরস্থানে তার বাবা আজগর হোসেন পাঠানের কবরের পাশে শায়িত করা হয়।’
তিনি জানান, মঙ্গলবার (১৬ মে) সকাল ৭টা ৫০ মিনিটে ইউএস বাংলার ফ্লাইটে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে তার মরদেহ আসবে। পরে সকাল ৯টায় রাজধানী ঢাকার উত্তরায় নিজ বাসায় নিয়ে যাওয়া হবে।
বেলা ১১টায় জাতীয় শহীদ মিনারে সর্বস্তরের জনগণের শ্রদ্ধা জ্ঞাপনের জন্য নেওয়া হবে। বাদ জোহর এফডিসিতে চলচ্চিত্র সংশ্লিষ্টরা শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করবেন এবং সেখানে দ্বিতীয় নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। এরপর বাদ আসর গুলশান আজাদ মসজিদে তৃতীয় জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। সবশেষ সন্ধ্যা ৭টায় গাজীপুরের কালীগঞ্জ উপজেলার তুমুলিয়া দক্ষিণ সোম গ্রামের বাড়িতে চতুর্থ জানাজা সোমটিওরী কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ সংলগ্ন ঈদগাহ ময়দানে অনুষ্ঠিত হবে।
জানাজা শেষে সোমটিওরী কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ সংলগ্ন পারিবারিক কবরস্থানে বাবা আজগর হোসেন পাঠানের পাশে শায়িত হবেন এই কিংবদন্তি অভিনেতা।
মন্তব্য করুন


বিনোদন ডেস্ক:
‘শেরশাহ’ মুক্তির পর বলিউডি নায়ক সিদ্ধার্থ মালহোত্রা বলেছিলেন, নায়িকা কিয়ারা আদভানির সঙ্গে রোমান্টিক সিনেমা তিনি মিস করতে চান না। যদিও গত কয়েক বছরে এই দম্পতিকে একসঙ্গে পর্দায় না পেয়ে দর্শকরা তাদের মিস করেছেন। এখন কিয়ারা জানালেন, একে অপরের হাত ধরে ফের পর্দায় আসতে চলেছেন তারা।
এবারের ৭৭তম কান চলচ্চিত্র উৎসবের লাল গালিচায় প্রথমবারের মত পা রাখেন কিয়ারা। সেখানে ‘উইমেন ইন সিনেমা গালা’তে অংশ নিয়ে নতুন কাজের খবর দেন এই অভিনেত্রী।
টাইমস অব ইন্ডিয়া লিখেছে, এই আলোচনার সূত্রপাত হয় কিয়ারা-সিদ্ধার্থ অভিনীত ব্লকবাস্টার সিনেমা ‘শেরশাহ’কে ঘিরে। ক্যাপ্টেন বিক্রম বাত্রার জীবন আর কার্গিল যুদ্ধের প্রেক্ষাপটে নির্মিত অ্যাকশনধর্মী ওই সিনেমায় প্রেমের অংশ নেহাত কম থাকলেও, এ চলচ্চিত্রই কিয়ারা-সিদ্ধার্থকে ‘রোমান্টিক জুটি’ আখ্যা দিয়েছে। তাদের অনুরাগীরা চান এক পূর্ণাঙ্গ প্রেমের সিনেমায় তাদের জুটি হিসেবে দেখতে।
কানে ‘শেরশাহ’ প্রসঙ্গ উঠলে কিয়ারা বলেন, “আমি জানি, ‘শেরশাহ’ আমাদের প্রেমিক-প্রেমিকা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করে দিয়েছে। আমি এবং সিদ্ধার্থ অফুরান ভালোবাসা পেয়েছি। হতাশ করছি না। আমাদের ফের একসঙ্গে শিগগিরই দেখা যাবে। আমরা চাই আবার জুটি হিসেবে সবার ভালোবাসা কুড়াতে। আমরা যেন আমাদের অভিনীত চরিত্রের প্রতি সুবিচার করতে পারি।”
তবে সিনেমা এবং প্রযোজক ও পরিচালকের নাম সামনে আননেনি কিয়ারা। তাদের আগামী কাজ সম্পর্কে জানতে একটু অপেক্ষা করতে অনুরোধ করেছেন সবাইকে। গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে সাত পাকে বাঁধা পড়েন কিয়ারা ও সিদ্ধার্থ। এরপর দুজন আলাদাভাবে কয়েকটি সিনেমায় কাজ করেছেন।
মন্তব্য করুন