

ব্যবসায়ী নাসির উদ্দিন মাহমুদের করা মামলায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির একদিনের মধ্যে জামিন পেয়েছেন চিত্রনায়িকা পরীমণি। আজ সোমবার আত্মসমর্পণ করলে তার জামিন আবেদন মঞ্জুর করেন আদালত। জামিন পাওয়ার পর পরীমণি আদালত থেকে ফিরে গণমাধ্যমের সামনে কথা বলেন।
তিনি ন্যায়বিচার পাওয়ার আশা ব্যক্ত করে বলেন, ‘শুরু থেকেই আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল ছিলাম, এখনও আছি। আমি আইনের ওপর বিশ্বাস রেখেছি। আর আপনারা যেভাবে আমাকে সাপোর্ট করেছেন, সেটা দেখে আমার দুঃখের সব মেঘ কেটে গেছে। আপনাদের সবার প্রতি আমি কৃতজ্ঞ।’
পরীমণি আরও বলেন, ‘এই মুহূর্তে আমার কিছুই বলার নেই। গতকাল থেকে আপনারা যেভাবে ভালোবাসা প্রকাশ করেছেন, আমি সারাজীবন সেই ভালোবাসার প্রতি কৃতজ্ঞ থাকব। আমি ধন্য।’
তিনি বলেন, ‘আইনের প্রতি আমার বিশ্বাস ছিল এবং আমি বিশ্বাস করি, আমি ন্যায়বিচার পাব। আপনারা আমার পাশে থাকবেন। আজ যেমন ভালোবাসা নিয়ে বাড়ি ফিরছি, সেই ভালোবাসার সঙ্গে জয় নিয়ে যেন বাড়ি ফিরতে পারি। আমার জন্য দোয়া করবেন।’
২০২২ সালের ৬ জুলাই পরীমণির বিরুদ্ধে হত্যাচেষ্টার অভিযোগে ব্যবসায়ী নাসির উদ্দিন মামলা দায়ের করেন। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) ঢাকা জেলার পরিদর্শক মো. মনির হোসেন ঢাকার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে পরীমণি ও তার কস্টিউম ডিজাইনার জুনায়েদ বোগদাদী জিমির বিরুদ্ধে প্রতিবেদন দাখিল করেন। প্রতিবেদন অনুযায়ী, তাদের বিরুদ্ধে মারধর ও ভয়ভীতি দেখানোর অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেছে।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, পরীমণি ও তার সহযোগীরা অ্যালকোহল পান করেন এবং দামি ক্লাবে ঢুকে পার্সেল নিয়ে মূল্য পরিশোধ না করেই চলে যান। পরীমণি তার পরিচিত পুলিশ কর্মকর্তাদের মাধ্যমে মিথ্যা মামলা করে হয়রানি ও ভয় দেখান।
আরও বলা হয়, ২০২১ সালের ৯ জুন রাতে সাভারের বোট ক্লাবে পরীমণি বাদী নাসির উদ্দিনকে ডেকে তার সঙ্গে কিছু সময় বসতে বলেন। এক পর্যায়ে পরীমণি নাসির উদ্দিনকে বিনামূল্যে ব্লু লেবেল হুইস্কি বোতল পার্সেল দেওয়ার জন্য চাপ দেন। নাসির উদ্দিন রাজি না হওয়ায় পরীমণি তাকে গালমন্দ করেন এবং এক পর্যায়ে গ্লাস ও মোবাইল ফোন ছুড়ে মারেন, যাতে নাসির উদ্দিন মাথায় ও বুকে আঘাত পান।
মামলায় আরও বলা হয়, পরীমণি ও তার সহযোগীরা নাসির উদ্দিনকে মারধর ও হত্যার হুমকি দেন এবং ভাঙচুর করেন। এই ঘটনাটি ধামাচাপা দেওয়ার জন্য পরীমণি সাভার থানায় বাদীসহ দুজনের বিরুদ্ধে ধর্ষণচেষ্টা ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগে মামলা দায়ের করেন।
এছাড়া, একই বছরের ৫ আগস্ট বনানী বাসা থেকে র্যাবের অভিযানে গ্রেপ্তার হন পরীমণি। পরে বনানী থানায় মাদক মামলায় তাকে কারাগারে প্রেরণ করা হয়। ২৭ দিন পর তিনি জামিনে মুক্তি পান।
মন্তব্য করুন


গত ৫ মে মুক্তি পায় বাঙালি পরিচালক সুদীপ্ত সেন নির্মিত ‘দ্য কেরালা স্টোরি’। ট্রেলার প্রকাশের পরপরই এই নিয়ে বিতর্ক মাথাচাড়া দিয়ে ওঠে। ছবি মুক্তির পর দ্বিগুণ হয় বিতর্ক। যার জেরেই মুক্তির চার দিনের মাথায় এই ছবিকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করে পশ্চিমবঙ্গ সরকার। অভিযোগ, এই ছবি সাম্প্রদায়িকতাকে উস্কানি দিচ্ছে।
অশান্তি এড়াতে তাই পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ছবিটিকে এ রাজ্যে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেন। তিনি জানান, রাজ্যের শান্তিশৃঙ্খলা বজায় রাখতেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। মমতার নির্দেশের পরের দিনই ছবিটিতে নিষেধাজ্ঞা তোলার আর্জিতে শীর্ষ আদালতে যান নির্মাতারা। সেন্সর বোর্ডের ছাড়পত্র থাকা সত্ত্বেও বাংলায় কেন দেখানো হবে না এই ছবি? কারণ জানতে চেয়ে শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হয় টিম ‘দ্য কেরালা স্টোরি’।
প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বাধীন ডিভিশন বেঞ্চ এই প্রসঙ্গে গত সপ্তাহে নোটিশ দেয় রাজ্য সরকারকে। বুধবার পরবর্তী শুনানি। তার আগে রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়, এই ছবি পক্ষপাতদুষ্ট। এখানে তথ্য বিকৃত করা হয়েছে যা বিশেষ সম্প্রদায়ের ভাবাবেগে আঘাত আনতে পারে। রাজ্যের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি ও আইনশৃঙ্খলার পরিবেশ নষ্টের আশঙ্কা রয়েছে বলে জানিয়েছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার।
এই ছবির ওপর পশ্চিমবঙ্গে নিষেধাজ্ঞা আরোপের সিদ্ধান্তের সমালোচনা করে সুপ্রিম কোর্ট। শুনানি চলাকালীন দেশের প্রধান বিচারপতি প্রশ্ন করেন, ‘ভারতের অন্যান্য অংশে এই ছবি মুক্তি পেতে পারলে পশ্চিমবঙ্গে নয় কেন?’ পাল্টা রাজ্য সরকারের যুক্তি, রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখা রাজ্য প্রশাসনের দায়িত্ব। রাজ্য সরকার প্রযোজক বিপুল শাহকে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার দাবিও খারিজ করে দিয়েছে।
প্রসঙ্গত, পশ্চিমবঙ্গে নিষিদ্ধ হলেও ভারতজুড়ে রমরমিয়ে ব্যবসা করছে ছবিটি। ইতোমধ্যে দেড় শ কোটি রুপির আয় ছাড়িয়েছে। এতে বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন আদা শর্মা, যোগিতা বিহানি, সোনিয়া বালানি, সিদ্ধি ইদনানি, দেবদর্শিনী, বিজয় কৃষ্ণ, প্রণয় পাচৌরি, প্রণব মিশ্র প্রমুখ।
মন্তব্য করুন


২০২৪ সাল প্রায় শেষের পথে। এ বছর দেশের সিনেমা হলে মুক্তি পেয়েছে প্রায় ৪৫টি সিনেমা। রাজনৈতিক পরিস্থিতির কারণে বছরের মাঝামাঝি কয়েক মাস সিনেমা মুক্তি স্থগিত ছিল। তবে বছরের শেষ প্রান্তে এসে বেশ কিছু সিনেমা প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেয়ে আলোচনায় আসে। ঢাকাই সিনেমার এই বছরের আলোচিত অভিনেত্রীদের নিয়ে আজকের আলোচনা—
জয়া আহসান
বছরের শেষদিকে মুক্তি পেয়েছে জয়া আহসানের অভিনীত 'নকশী কাঁথার জমিন'। আকরাম খান পরিচালিত এ সিনেমাটি মুক্তির আগে প্রদর্শিত হয় গোয়া ফিল্ম ফেস্টিভ্যালসহ একাধিক আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে। হাসান আজিজুল হকের গল্প 'বিধবাদের কথা' অবলম্বনে নির্মিত এ সিনেমা মুক্তির পর জয়া আহসান আবারো আলোচনায়। বছরের শুরুতে নূরুল আলম আতিকের 'পেয়ারার সুবাস' সিনেমায় তার অভিনয় দারুণ প্রশংসিত হয়।
পূজা চেরী
এ বছর পূজা চেরীর দুটি সিনেমা মুক্তি পায়— 'লিপস্টিক' (পরিচালক কামরুজ্জামান রোমান) এবং 'আগন্তুক' (পরিচালক সুমন ধর)। চলচ্চিত্রের পাশাপাশি পূজা এ বছর ওয়েব ফিল্মেও কাজ করেছেন। বিভিন্ন ইভেন্টে সরব উপস্থিতি ও কাজের মাধ্যমে আলোচনায় ছিলেন এই ঢালিউড অভিনেত্রী।
মেহজাবীন চৌধুরী
টানা ১৫ বছর ধরে বিনোদন অঙ্গনে কাজ করছেন মেহজাবীন। এ বছর তার চলচ্চিত্রে অভিষেক ঘটে। 'প্রিয় মালতী' সিনেমার মাধ্যমে তিনি প্রথমবারের মতো প্রেক্ষাগৃহের দর্শকদের সামনে আসেন। এ সিনেমাটি বিভিন্ন আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে প্রদর্শিত হয় এবং মুক্তির পর তার অভিনয়ে মুগ্ধ হন দর্শক ও সমালোচকরা। এছাড়া তার অভিনীত 'সাবা' সিনেমা বুসানসহ বিশ্বের বিভিন্ন উৎসবে প্রদর্শিত হয়।
শবনম বুবলী
শবনম বুবলী এ বছর 'মায়া দ্য লাভ', 'রিভেঞ্জ', এবং মিশুক মুনিরের 'দেয়ালের দেশ' সিনেমায় অভিনয় করেন। বিশেষত 'দেয়ালের দেশ' সিনেমায় তার অভিনয় নতুন করে নজর কেড়েছে। এ ছাড়া রায়হান রাফীর 'টান' ও 'সাত নম্বর ফ্লোর' সিনেমার মাধ্যমে তার জনপ্রিয়তা বাড়লেও কিছুটা সমালোচনার মুখেও পড়তে হয়। বছরের শেষদিকে 'পিনিক' সিনেমায় নেতিবাচক চরিত্রে অভিনয়ের ঘোষণা দিয়ে আলোচনায় আসেন তিনি।
তাসনিয়া ফারিণ
তাসনিয়া ফারিণের অভিনীত 'ফাতিমা' সিনেমাটি মুক্তি পায় এ বছর। ধ্রুব হাসান পরিচালিত এ সিনেমায় অভিনয়ের জন্য তিনি ইরানের ফজর ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে পুরস্কৃত হন। কলকাতার 'প্রতীক্ষা' সিনেমায় দেবের বিপরীতে অভিনয়ের কথা থাকলেও অনিশ্চয়তার কারণে সিনেমাটি ছেড়ে দেন ফারিণ। এ সিদ্ধান্ত নিয়েও তিনি ছিলেন আলোচনায়।
কুসুম সিকদার
দীর্ঘ অভিনয় জীবনে এবার প্রথমবারের মতো চলচ্চিত্র নির্মাণে নাম লেখান কুসুম সিকদার। তার পরিচালিত এবং অভিনীত 'শরতের জবা' সিনেমাটি এ বছর মুক্তি পায়। নিজের লেখা গল্পগ্রন্থ 'অজাগতিক ছায়া' থেকে নেওয়া গল্পে নির্মিত এ সিনেমা নিয়ে আলোচনায় ছিলেন তিনি।
এভাবেই ২০২৪ সালে ঢাকাই সিনেমার এই অভিনেত্রীরা তাঁদের কাজ ও অর্জনের জন্য সারা বছর আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে ছিলেন।
মন্তব্য করুন


বিনোদন ডেস্ক:
ভারতীয় হিন্দি চলচ্চিত্রের জনপ্রিয় অভিনেতা ভিকি কৌশল সম্প্রতি জানিয়েছেন, ক্যাটরিনা কাইফকে জীবনসঙ্গী হিসেবে পেয়ে তিনি দারুণ আনন্দিত ও কৃতজ্ঞ।
ভিকি কৌশল ও ক্যাটরিনা কাইফের দাম্পত্য জীবন এখন তিন বছরে পা রেখেছে। এই তিন বছরে স্ত্রী ক্যাটরিনাকে নিয়ে তিনি অত্যন্ত সুখী। সম্প্রতি ভিকি তার স্ত্রীর প্রশংসায় ইন্টারনেটে একটি পোস্ট করে ব্যাপক সাড়া ফেলেছেন।
ভিকি কৌশল বলেন, “দীর্ঘ সময় একসঙ্গে কাটালে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে এক ধরনের সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক তৈরি হয়। পরস্পরের প্রতি ভালোবাসা ও শ্রদ্ধাবোধ তৈরি হয়, যা খুবই মূল্যবান।”
তিনি আরও বলেন, “প্রকৃত ভালোবাসা মানে একে অপরের ইতিবাচক এবং নেতিবাচক দিকগুলো মেনে নিয়ে চলা। ক্যাটরিনা এমন একজন মানুষ, যিনি আমার বাস্তবতাকে উপলব্ধি করান। তিনি সবসময় আমাকে বলেন, ‘এটা আরও ভালো হতে পারে, ওটা আরও ভালো হতে পারে।’ এমন একজন জীবনসঙ্গীকে পেয়ে আমি ধন্য, যিনি সবসময় আমার সঙ্গে সৎ থাকেন। তার দৃঢ়তা, প্রতিভা এবং অভিনয়ের মাধ্যমে যে পথ তিনি তৈরি করেছেন, তা থেকে আমি অনেক কিছু শিখেছি।”
ক্যাটরিনাকে নিয়ে আরও বলার সময় ভিকি বলেন, “আমি সবসময় ক্যাটরিনাকে সম্মান করব। তিনি কেবল একজন সুপারস্টারই নন, তার মধ্যে এক সুপারস্টারের হৃদয়ও রয়েছে। এ কারণেই আমি তার প্রেমে পড়েছি। আমি মনে করি, এমন একজন মানুষকে পেয়ে আমি ভাগ্যবান, যিনি আমার জীবনের ছোটখাটো সমস্যাগুলোর সমাধান করেন।”
ভিকির এই মন্তব্যগুলো সোশ্যাল মিডিয়ায় দ্রুত ভাইরাল হয়েছে। একজন লিখেছেন, “একজন সুপারস্টার এতটা বিনয়ী হতে পারে, সেটা কল্পনাই করা যায় না।” আরেকজন মন্তব্য করেছেন, “নিজের স্ত্রীর প্রশংসা এভাবে করা সত্যিই সহজ নয়।” তৃতীয় একজন লিখেছেন, “ভিকি, তুমি দারুণ মানুষ। তবে এর কৃতিত্ব তোমার মা-বাবারও প্রাপ্য।”
ভিকি কৌশলকে শীঘ্রই লক্ষ্মণ উতেকারের মহাকাব্যিক অ্যাকশন-ড্রামা ছাওয়া ছবিতে দেখা যাবে। এতে আরও অভিনয় করেছেন রাশমিকা মান্দানা, অক্ষয় খান্না, আশুতোষ রানা, দিব্যা দত্ত, নীল ভূপালম এবং প্রদীপ রাওয়াত। এছাড়া, তিনি সঞ্জয় লীলা বানশালির লাভ অ্যান্ড ওয়ার সিনেমায় রণবীর কাপুর ও আলিয়া ভাটের সঙ্গে কাজ শুরু করার প্রস্তুতি নিচ্ছেন।
মন্তব্য করুন


বিনোদন ডেস্কঃ
জনপ্রিয় মার্কিন গায়িকা সেলেনা গোমেজ বাগদান সেরেছেন। এই তারকার ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে অনেক আগে থেকেই ভক্ত-অনুরাগীদের কৌতূহল ছিল। বিশেষ করে কানাডিয়ান গায়ক জাস্টিন বিবারের সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়ে বহুবার সংবাদের শিরোনাম হয়েছেন এ গায়িকা। কিন্তু সেই সম্পর্কও টেকেনি। ২০১৮ সালে তাদের ৬ বছরের সম্পর্কে ভাঙন ধরতেই হেইলি বল্ডউইনের সঙ্গে বাগদান সেরে নেন জাস্টিন বিবার। এ বিষয়টি যখন সেলেনা জানতে পারেন, তখন বেশ আঘাত পেয়েছিলেন তিনি।
সেই থেকে নিজের কাজেই মন দেন সেলেনা গোমেজ। ২০১৯ সালে সংগীতশিল্পী বেনি ব্ল্যাঙ্কোর সঙ্গে একটি গানে কাজ করেন গায়িকা। এরপর কেটে যায় কয়েক বছর। ২০২৩ সালের ডিসেম্বরে নিজেদের প্রেমের কথা প্রকাশ্যে আনেন তারা। বেনির সঙ্গে ৫ বছরের সম্পর্কের মধ্য দিয়ে অবশেষে পূর্ণতা পেল সেলেনার প্রেম।
সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ ইনস্টাগ্রাম একটি পোস্টে চোখ আটকে যায় সেলেনার ভক্ত-অনুরাগীদের। গায়িকার সেই পোস্টে দেখা যায়, সেলেনার অনামিকা আঙুলে ঝলমলিয়ে উঠেছে একটি হীরের আংটি! শুধু তাই নয়, দ্বিতীয় ছবিতে নিজের আংটির দিকে মুগ্ধ হয়ে তাকিয়ে আছেন গায়িকা। তৃতীয় ছবিতে হাসিতে ভরা মুখে বাগদানের আনন্দ উপভোগ করছেন তিনি। আর চতুর্থ ছবিতে বেনিকে পাশে নিয়ে গালে চুম্বনের মুহূর্ত ক্যামেরাবন্দি করেছেন সেলেনা গোমেজ। সেই পোস্টের ক্যাপশনে এ গায়িকা লিখেছেন— এখন শুরুটা চিরকালের জন্য।
এদিকে অনুরাগীদেরও আর বুঝতে বাকি নেই যে, প্রেমিক বেনি ব্লাঙ্কোকে নিয়েই বাগদান সেরে নিয়েছেন তাদের প্রিয় গায়িকা। মন্তব্যের ঘর ভরে ওঠে তাদের শুভেচ্ছাবার্তায়। তাদের সঙ্গে মজা করে মন্তব্য করেছেন বেনিও। তিনি লিখেছেন— আরে অপেক্ষা করুন, এটা আমার বউ।
বেনি ব্ল্যাঙ্কো একজন খ্যাতনামা সংগীত প্রযোজক ও গায়ক। তিনি এড শিরান, চার্লি পুথ, উইজ খলিফা, বিটিএস, এমিনেম, জাস্টিন বিবার, হ্যালসি, ক্যাটি পেরি, রিহানাদের মতো শিল্পীদের সঙ্গে নিয়মিত কাজ করেছেন। ২০১৯ সালে গোমেজের জনপ্রিয় ‘সেইম ওল্ড লাভ’ ও ‘আই কান্ট গেট এনাফ’ গান দুটিতে একসঙ্গে কাজ করেছিলেন সেলেনা ও ব্ল্যাঙ্কো। ২০২৩ সালে সম্পর্কে থাকার বিষয়টি অফিসিয়ালি জানানোর আগে ভুলবশত সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নিজেদের প্রেমের খবর জানিয়ে দিয়েছিলেন সেলেনা। সেই মন্তব্যটি অবশ্য মুছেও ফেলেছিলেন তিনি।
মন্তব্য করুন


ছোটবেলায় যৌন নির্যাতনের শিকার হয়েছিলেন পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ অভিনেত্রী জামিলা জামিল। এরপর থেকে তার ভেতর সব সময় একধরনের ট্রমা কাজ করে। এড়িয়ে চলেন রগরগে দৃশ্যে অভিনয়, এমনকী কোনো ছবিতে এমন দৃশ্য থাকলে তা দেখেনও না তিনি। আর এ কারণেই নেটফ্লিক্সের সিরিজ ‘ইউ’-এর অডিশন থেকে বেরিয়ে আসেন অভিনেত্রী।
সম্প্রতি ‘দ্য গুড প্লেস’ খ্যাত তারকা পডক্রাশড পডকাস্টে তার নিজের চিন্তাভাবনা তুলে ধরেন। জামিলা বলেন, “নেটফ্লিক্সের সিরিজ 'ইউ'-এর চতুর্থ সিজনের জন্য আমার অডিশন দেওয়ার কথা ছিল। তবে যখন জানতে পারি এই চরিত্রটি বেশ সেক্সি, তখনই আমি অডিশন থেকে সরে আসার কথা জানিয়ে দিই। কারণ, এ ধরনের যৌন দৃশ্যে আমি স্বচ্ছন্দ নই।’ যদিও ঠিক কোন দৃশ্যের জন্য তিনি অডিশন দিচ্ছিলেন, তা প্রকাশ্যে আনেননি জামিলা জামিল।
কেন যৌন দৃশ্যে তিনি স্বচ্ছন্দ নন, তার অন্যতম কারণ হিসাবে শৈশবের 'ট্রমা' (মানসিক আঘাত), শৈশবের যৌন নির্যাতনের কথা সামনে এনেছেন জামিলা জামিল। অভিনেত্রী জানান, তার শৈশব ভীষণই কঠিন, নোংরা ছিল। শৈশবে তার ওপর চলা যৌন নির্যতনের কথা তিনি ভুলতে পারেননি, সেগুলো থেকে বের হয়ে আসতে পারেননি। আর তারই ফলস্বরূপ তিনি নিজের জন্য এই নিয়ম তৈরি করেছেন। সিদ্ধান্ত নিয়েছেন কখনো কোনো যৌন দৃশ্যে তিনি অভিনয় করবেন না।
তার কথায়, ‘অন্য অভিনেতাদের কাছে যৌনদৃশ্য যেমন, আমার কাছে এটা ঠিক তেমন নয়। এমনকী ছবিতে কোনো যৌন দৃশ্য থাকলে সেটা আমি দেখি না, এড়িয়ে যাই।’
জামিলা জামিল জানান, তিনি ‘ইউ’-এর নির্মাতাদের স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, যদি যৌন দৃশ্য ছাড়া সিরিজে অন্য কোনো চরিত্রে তাকে প্রয়োজন হয়, তাহলে তাকে তারা ডাকতে পারেন।
‘সি-হাল্ক’ অভিনেত্রী আরও স্পষ্ট করে বলেন, ‘এটা লজ্জার কিছু নয়। তবে আমি অনুভব করি যে এটির চারপাশে একটি বিশ্রীতা রয়েছে।’
মন্তব্য করুন


বিনোদন ডেস্ক:
ইকুয়েডরের মডেল ল্যান্ডি পারাগা গোবুরোকে প্রকাশ্য দিবালোকে গুলি করে হত্যা করেছে অস্ত্রধারীরা।
নিউইয়র্ক পোস্ট এক প্রতিবেদনে জানায়, গত রোববার ২৩ বছর বয়সী মডেলকে হত্যা করা হয়। ধারণা করা হচ্ছে, কুখ্যাত এক গ্যাংস্টার দলের সঙ্গে গোপন যোগাযোগের কারণেই খুন হয়েছেন ল্যান্ডি।
সিসিটিভির ফুটেজে দেখা যায়, রেস্তোরাঁয় বসে এক ব্যক্তির সঙ্গে কথা বলছিলেন ল্যান্ডি। তখন মাস্ক পরা দুই অস্ত্রধারী ভেতরে ঢুকে গুলি চালায়। রেস্তোরাঁর মেঝে রক্তে ভেসে যায়।
নিরাপত্তারক্ষীরা আসার আগেই অস্ত্রধারীরা পালিয়ে যায়। এই ঘটনার কারণ ও হত্যাকারীদের খুঁজতে এর মধ্যেই তদন্ত শুরু করেছে স্থানীয় পুলিশ। শনিবার এক বিয়ের দাওয়াতে হাজির হয়েছিলেন ল্যান্ডি। এর পরদিনই নির্মমভাবে খুন হলেন তিনি।
২০২২ সালে সুন্দরী প্রতিযোগিতা ‘মিস ইকুয়েডর’-এ অংশ নেন ল্যান্ডি। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তার ১০ লাখের বেশি অনুসারী ছিল।
মন্তব্য করুন


১৯৬৬ সালের ঐতিহাসিক ছয় দফা আন্দোলনের সক্রিয় কর্মী ছিলেন সদ্য প্রয়াত অভিনেতা আকবর হোসেন পাঠান ফারুক। তখন তার নামে ৩৬টি মামলায় হয়। ছাত্র রাজনীতিতে তিনি তখন বেশ সক্রিয়, সিনেমা অভিনয় নিয়ে কোনো ভাবনাই ছিল না তার।
তবে একের পর এক যখন মামলা হতে থাকল তখন তার বন্ধুরাই বলল, ‘সিনেমায় ঢুকে যাও।’ সেই ঘটনার বিবরণ দিয়ে ফারুক বিবিসি বাংলাকে বলেছিলেন, ‘আমার নামে হয়রানিমূলক ৩৬টি মামলা হয়। এগুলো থেকে বাঁচার জন্য আমার কিছু বন্ধুবান্ধব বলে, চলচ্চিত্রে ঢুকে যাও। এরপরই চলচ্চিত্রে আসি।’
ফারুকের প্রথম সিনেমা ‘জলছবি’। ছবিটি নিয়ে তিনি বলেন, ‘১৯৬৮ সালে ছবিটির শুটিং শুরু হয় কিন্তু মুক্তি পায় ১৯৭১-এ। মুক্তির তারিখ ২৫-এ মার্চ বা এর দুই কী তিন দিন আগে, ঠিক মনে নেই। ছবিতে আমার সহকর্মী ছিলেন কবরী। বলা যায়, আমার সিনেমাজীবন শুরুই হয় কবরীর সঙ্গে।’
সাক্ষাৎকারে চলচ্চিত্র অভিনয়শিল্পীদের পারিশ্রমিক নিয়েও আক্ষেপ করতে শোনা যায় অভিনেতাকে। এ প্রসঙ্গে বলতে গিয়েই তিনি জানান প্রথম সিনেমা ‘জলছবি’র পারিশ্রমিক কত ছিল। ফারুক বলেন, ‘আমাকে যথাযথ সম্মান ও সম্মানী দেওয়া হয়নি। আমাকে প্রথম ছবিতে পাঁচ শ টাকা দেওয়া হয়েছিল।’
বর্ণাঢ্য ক্যারিয়ারে তিনি অভিনয় করেছেন ‘আবার তোরা মানুষ হ’, ‘আলোর মিছিল’, ‘সুজন সখী’, ‘লাঠিয়াল’, ‘সূর্যগ্রহণ’, ‘মাটির মায়া’, ‘নয়নমনি’, ‘সারেং বৌ’, ‘গোলাপি এখন ট্রেনে’, ‘নাগরদোলা’, ‘দিন যায় কথা থাকে’, ‘কথা দিলাম’, ‘মাটির পুতুল’, ‘সাহেব’, ‘ছোট মা’, ‘এতিম’, ‘ঘরজামাই’, ‘মিয়া ভাই’র মতো অসংখ্য সিনেমায়।
ফারুক তার অভিনয়ের জন্য ১৯বার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারে মনোনীত হয়েছিলেন। কিন্তু তার হাতে পুরস্কার উঠেছিল কেবলই একবার। অবশ্য ২০১৬ সালে তাকে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারে আজীবন সম্মাননায় ভূষিত করা হয়। অভিনয়ের বাইরে তিনি ঢাকা ১৭ আসনের ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের নির্বাচিত সংসদ সদস্য ছিলেন।
মন্তব্য করুন


বলিউড অভিনেতা জায়েদ খান যিনি সিনেমা 'ম্যায় হুঁ না'-এ লক্ষ্মণের চরিত্রে অভিনয়ের মাধ্যমে জনপ্রিয়তা অর্জন করেছিলেন, ব্যক্তিগত জীবনে সুজান খানের ভাই এবং হৃত্বিক রোশনের প্রাক্তন শ্যালক। শাহরুখ খানের ছোট ভাইয়ের চরিত্রে তাঁর অভিনয় প্রশংসিত হলেও বলিউডে তাঁর বাকি সিনেমাগুলো বাণিজ্যিকভাবে ব্যর্থ ছিল। তবে অভিনয়ে ফ্লপ হলেও জায়েদ খান একজন সফল ব্যবসায়ী এবং প্রায় ১৫০০ কোটি টাকার সম্পত্তির মালিক।
জায়েদ খান পরিচালক সঞ্জয় খানের ছেলে এবং অভিনেতা ফিরোজ খানের ভাগ্নে। ২০০৩ সালে মাত্র ২২ বছর বয়সে তিনি বলিউডে পা রাখেন। তাঁর প্রথম সিনেমা ‘চুরা লিয়া হ্যায় তুমনে’ বক্স অফিসে ব্যর্থ হলেও, ২০০৪ সালের ‘ম্যায় হুঁ না’ সিনেমায় পার্শ্ব চরিত্রে অভিনয় করে তিনি দর্শকদের নজর কাড়েন। এরপর ‘দশ’ সিনেমাও গড়পড়তা সাফল্য পেয়েছিল।
২০০৫ থেকে ২০১২ সাল পর্যন্ত, জায়েদ আরও ১০টি সিনেমায় অভিনয় করেন, যার মধ্যে ছিল ‘ফাইট ক্লাব’, ‘মিশন ইস্তাম্বুল’ এবং ‘তেজ’। কিন্তু এই সিনেমাগুলোও বক্স অফিসে ব্যর্থ হয়। সর্বশেষ ২০১৫ সালে মুক্তি পাওয়া ‘শরাফত গয়ি তেল লেনে’ সিনেমাটিও কোনো সাফল্য আনতে পারেনি।
২০১৭ সালে তিনি টিভি শো ‘হাসিল’ দিয়ে অভিনয়ে ফেরার চেষ্টা করেছিলেন। মোট ১৫টি ছবিতে অভিনয়ের মধ্যে জায়েদের হিট সিনেমার সংখ্যা মাত্র ১টি, ১৩টি ফ্লপ, এবং একটি গড়পড়তা সিনেমা।
ব্যবসায়িক সফলতা ও সম্পত্তি
অভিনয়ে ব্যর্থ হলেও জায়েদ খান ব্যবসায়িক ক্ষেত্রে সফল। বিভিন্ন স্টার্টআপ এবং ব্যবসায়ে বিনিয়োগ করে তিনি বিপুল পরিমাণ সম্পদ গড়েছেন। একটি প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে যে, ২০২৪ সালে জায়েদ প্রায় ১৫০০ কোটি টাকার সম্পত্তির মালিক, যা বলিউডের শীর্ষ তারকা যেমন রণবীর কাপুর (৫৫০ কোটি), প্রভাস (৪০০ কোটি), এবং আল্লু অর্জুন (৩৫০ কোটি)-এর থেকেও বেশি।
এক সাক্ষাৎকারে জায়েদ বলেছিলেন, "মানুষের উচিত নিজের সামর্থ্যের মধ্যে থাকা। যদি ফেরারি কেনার সামর্থ্য থাকে, তবে মার্সিডিজ কিনো; আর যদি মার্সিডিজ কেনার সামর্থ্য থাকে, তবে ফিয়াট কিনো।" তিনি সামাজিক মিডিয়ার যুগে মানুষের অযথা প্রতিযোগিতাকে দায়ী করেছেন এবং সবাইকে দায়িত্বশীলভাবে চলার পরামর্শ দিয়েছেন।
২০২৪ সালে জায়েদ তাঁর ইনস্টাগ্রামে অভিনয়ে ফেরার ইচ্ছার কথা জানিয়েছেন। তবে তাঁর কামব্যাক প্রজেক্ট নিয়ে বিস্তারিত কিছু বলেননি। তিনি জানিয়েছেন, নিজের ব্যবসা এবং অভিনয়ের মধ্যে সামঞ্জস্য বজায় রেখে এগিয়ে যেতে চান।
অভিনয়ে সফল না হলেও জায়েদ খানের ব্যবসায়িক দক্ষতা এবং বাস্তববাদী জীবনদর্শন তাঁকে তাঁর সমসাময়িকদের থেকে আলাদা করেছে।
মন্তব্য করুন


বিনোদন ডেস্ক:
ঢাকাই সিনেমার নায়িকা ও দন্ত চিকিৎসক মিষ্টি জান্নাত আরেক চিত্রনায়িকা তমা মির্জা’র বিরুদ্ধে ২০ কোটি টাকার মানহানির মামলা করার ঘোষণা দিয়েছেন। তমা মির্জার পাঠানো আইনি নোটিশে মিষ্টির বিরুদ্ধে ১০ কোটি টাকার মানহানির মামলার খবরের পর মিষ্টি জান্নাত এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
জানা গেছে, মানহানিকর মন্তব্যের অভিযোগ এনে জনসম্মুখে ক্ষমা চাওয়া এবং দশ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ চেয়ে আইনি নোটিশটি মিষ্টির বিরুদ্ধে দিয়েছেন তমা। বৃহস্পতিবার (২৩ মে) রেজিস্ট্রি ডাকযোগে তমা মির্জার পক্ষে নোটিশটি পাঠান তার আইনজীবী ব্যারিস্টার সজীব মাহমুদ আলম। আগামী সাত দিনের মধ্যে এ নোটিশের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
তবে এখনো নোটিশ পাননি বলে জানিয়েছেন মিষ্টি জান্নাত। সংবাদ মাধ্যমের বরাতে এই ব্যাপারে অবগত হয়েছেন বলে জানিয়েছেন এই আলোচিত চিত্রনায়িকা।
এ প্রসঙ্গে মিষ্টি জান্নাত বলেন, পরিষ্কার বলতে চাই, সাক্ষাৎকারে আমি তার নাম উল্লেখ করে কিছুই বলিনি। উনি কেন গায়ে মাখলেন জানি না। এখন আমি পাল্টা আইনি ব্যবস্থা নেব। এরকম মিথ্যা নোটিশ দিয়ে হয়রানি করার মানে কি? এখন আমাকেও আইনের দ্বারস্থ হতে হবে। এরই মধ্যে আইনজীবীর সঙ্গে কথা বলেছি। ভিত্তিহীন অভিযোগ এনে আমার সম্মানহানি করায় উল্টো ২০ কোটি টাকার মানহানি মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছি। সাপ্তাহিক ছুটির দিন শেষ হলেই ব্যবস্থা নেব।
মূলত উপস্থাপক শাহরিয়ার নাজিম জয়কে কেন্দ্র করে ঘটনার সূত্রপাত। মিষ্টি জান্নাতের একটি ভিডিও সাক্ষাৎকার মোটেও ভালোভাবে নেননি তমা মির্জা। সম্প্রতি তমা মির্জা নিজের ফেসবুকে এক স্ট্যাটাস দিয়েছিলেন। এতে তমা কারো নাম উল্লেখ না করলেও স্পষ্ট তিনি মিষ্টি জান্নাতকে ইঙ্গিত করে স্ট্যাটাসটি দিয়েছিলেন। এরপর সবকিছু ছিল নীরব ভূমিকায়। হঠাৎ করে তমার আইনি নোটিশের খবরে ফের উত্তাল ঢালিউড।
মিষ্টি জান্নাত বলেন, বিষয়টি ছিল জয় ভাই ও আমার মধ্যে। মাঝখানে তিনি এসে ঢুকে গেলেন। ইঙ্গিতপূর্ণ একটা স্ট্যাটাস দিয়ে শুরুটা কিন্তু তিনিই করেছেন। তারপরও আমি চুপচাপ ছিলাম। ঘটনা যখন শেষের দিকে তখন তিনি উড়ে এসে জুড়ে বসেছেন। কোনো ইউটিউবার যদি আমার সাক্ষাৎকারের সঙ্গে নিজের মন মতো থাম্বনেল এবং ক্যাপশন জুড়ে দেয় সেই দায়ভার তো আমি নেব না। কারণ, আমি তো তাকে নিয়ে কিছু বলিনি। সে বিষয়টি নিয়ে আমার সঙ্গে কথা বলতে পারত। তা না করে আদালতে গিয়েছে। এখন আমিও আইনি ভাবেই বিষয়টি দেখব।
মন্তব্য করুন


পরিচালনায় নাম লিখিয়েছেন বলিউড কিং শাহরুখ খানের বড় ছেলে আরিয়ান খান। তিনি নতুন সিরিজ ‘বলিউড দ্য বা**ডস’ নিয়ে আসছেন। গত সোমবার ‘নেক্সট অন নেটফ্লিক্স’ ইভেন্টে চলতি বছরে মুক্তি পেতে যাওয়া সিরিজগুলোর নাম ঘোষণা করা হয়। সেই তালিকায় আরিয়ান খানের এই নতুন সিরিজটির নামও রয়েছে।
আরিয়ানের ‘বলিউড দ্য বা**ডস’ সিরিজটিতে প্রযোজনা ও অভিনয় করেছেন শাহরুখ খান নিজেই। অভিনেতা ও প্রযোজক হিসেবে ছেলের পরিচালনায় কাজ করতে গিয়ে কতটা চাপ অনুভব করেছেন, এমন প্রশ্নের জবাবে শাহরুখ তার নিজস্ব স্টাইলে বললেন, ‘অন্য সবাই কাজ করে, আমি শুধু নামেই প্রযোজক। এসব প্রযোজক, পরিচালক, লেখক—এরা আমার পোষাবে না… আই অ্যাম আ ব্লাডি স্টার। আমি পেছনে থেকে মিউজিক বাজাই। প্রযোজকদের সঙ্গে এসব কিছুই হয় না।’ শাহরুখের এই মজাদার উত্তরে উপস্থিত সবাই হাততালি দেন।
নেটফ্লিক্স এবং রেড চিলিজ এন্টারটেইনমেন্ট গত নভেম্বরে এই সিরিজটি ঘোষণা করেছিল। শাহরুখ খান ছাড়াও এই ৬ পর্বের সিরিজে সালমান খান, রণবীর কাপুর, বাদশা এবং ববি দেওলের ক্যামিও দেখা যাবে। গত বছরের মে মাসে সিরিজটির শুটিং শেষ করেছিলেন আরিয়ান। আর গত সোমবারই ‘বলিউড দ্য বা**ডস’ এর প্রথম টিজার প্রকাশিত হয়।
মন্তব্য করুন