

নির্মাতা আদনান আল রাজীবের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে প্রেমের সম্পর্কে জড়িত অভিনেত্রী মেহজাবীন চৌধুরী। শোবিজ জগতে এই খবরটি কারও অজানা নয়। এবার তাদের এই সম্পর্ককে বিয়ের বন্ধনে আবদ্ধ করতে চলেছেন এই জুটি।
চলতি মাসেই আদনান আল রাজীবের সঙ্গে বিয়ের পিঁড়িতে বসতে চলেছেন মেহজাবীন চৌধুরী। অভিনেত্রীর ঘনিষ্ঠ সূত্র থেকে এই তথ্য জানা গেছে।
সবকিছু ঠিক থাকলে আগামী ২৪ ফেব্রুয়ারি বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করবেন মেহজাবীন ও রাজীব। এর একদিন আগে, অর্থাৎ ২৩ ফেব্রুয়ারি গায়ে হলুদের অনুষ্ঠানটি সম্পন্ন হবে। ঢাকার অদূরের একটি রিসোর্টে এই বিয়ের আয়োজন চলছে বলে জানা গেছে।
অন্যদিকে, আদনান আল রাজীবের সঙ্গে সম্পর্ক নিয়ে শুরু থেকেই নীরব মেহজাবীন চৌধুরী। বিয়ের খবর নিয়েও কোনো মন্তব্য করেননি এই অভিনেত্রী। তার সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি কোনো সাড়া দেননি।
২০১৯ সালে আদনান আল রাজীবের সঙ্গে ঢাকার একটি শপিং মলে মেহজাবীনের হাত ধরে হাঁটার একটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়। এরপর থেকেই তাদের সম্পর্ক নিয়ে গুঞ্জন ছড়ায়। পরবর্তীতে এই জুটিকে কক্সবাজারসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে এবং বিদেশেও ঘুরতে দেখা গেছে।
মেহজাবীন চৌধুরী ২০০৯ সালে একটি রিয়েলিটি শোয়ের মাধ্যমে মিডিয়া জগতে প্রবেশ করেন। এরপর থেকে তিনি নাটকে নিয়মিত অভিনয় করে আসছেন। তবে এখনও পর্যন্ত তিনি কোনো চলচ্চিত্রে অভিনয় করেননি। অন্যদিকে, আদনান আল রাজীব দেশের অন্যতম জনপ্রিয় নির্মাতা হিসেবে পরিচিত।
সূত্র: ইত্তেফাক
মন্তব্য করুন


রাঘব-পরিণীতির প্রেম ছিল অনেকটাই ওপেন সিক্রেট। দুজন দুজনের প্রেমে মজলেও তা একটিবারও মুখ ফুটে স্বীকার করেননি। অবশেষে আংটি বদল হতেই প্রকাশ্যে আসে তাদের সম্পর্কটি। বাগদানের পর তাদের প্রেম নিয়ে মুখ খুললেন পরিণীতি।
সামাজিক মাধ্যমে এক পোস্টে পরিণীতি লেখেন, আমাদের সম্পর্ক ও বাগদান নিয়ে যেভাবে ইতিবাচক মনোভাব ছিল সবার, তা দেখে সত্য়িই আপ্লুত আমি ও রাধব। আপনাদের এরকম সঙ্গে থাকা আমাদের শক্তি দিয়েছে। অনুপ্রেরণা জুগিয়েছে।
‘আমাদের দুজনের পৃথিবীটা সম্পূর্ণ আলাদা। একেবারে বিপরীতধর্মী কর্মক্ষেত্র থেকে এসেছি। তবে আমাদের সম্পর্ক খুব অটুট। আর এই কারণেই খুব বড় পরিবারকে পেয়েছি আমরা। যা কিনা আমাদের সম্পর্কের ভিত।’
পোস্টে আত্মীয়-পরিজন, সহকর্মী ও বিশেষ করে সংবাদমাধ্যমকে ধন্যবাদ জানান অভিনেত্রী।
মন্তব্য করুন


দেশীয় শোবিজের মডেল ও অভিনেত্রী হুমায়রা সুবহা। তিনি বরাবরই আলোচনায় থাকতে পছন্দ করেন। অভিনয়ের চেয়ে তার ব্যক্তিজীবন নিয়ে চর্চা বেশি হয়। সম্প্রতি এক অ্যাওয়ার্ড অনুষ্ঠানে অংশ নিয়েছিলেন এই অভিনেত্রী।
সেখানে তিনি জানান, বিয়ে করার জন্য এখনও তার মনের মানুষ খুঁজে পাননি।
আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষে ‘গ্লোবাল স্টার মিডিয়া অ্যাওয়ার্ড ২০২৪’-এর অনুষ্ঠানে অভিনেত্রী বলেন, ‘ছোটবেলা থেকেই আমার দুটি ইচ্ছা ছিল। একটি হলো, আমি সিনেমার নায়িকা হবো এবং মিডিয়াতে সবাই আমাকে চিনবে ও ভালোবাসবে। আরেকটি হলো, আমি একজন ভালো ও সুন্দর গৃহিণী হবো। আমার ছোট্ট একটি সংসার হবে, দুটি বাচ্চা থাকবে, একজন ভালো স্বামী থাকবেন। আমি সংসারটাকে সাজিয়ে গুছিয়ে রাখবো। তবে এখনও আমার মনের মানুষ খুঁজে পাইনি।’
মন্তব্য করুন


বিনোদন ডেস্ক:
গত সাত বছর ধরে সম্পর্কে জড়িয়ে ছিলেন সোনাক্ষী সিনহা ও জাহির ইকবাল। গত ২৩ জুন এ তারকা জুটি আইনি মোতাবেক বিয়ের পিঁড়িতে বসেন। এর পর রিসেপশনের আয়োজন হয়। এ তারকা জুটির বিয়েতে ছিল না কোনো ধর্মীয় আচার। বিয়ের পর সোনাক্ষী ধর্ম পরিবর্তন করবেন না বলেও জানিয়েছিলেন জ়াহির ইকবালের বাবা।
এদিকে বিয়ের দিন রিসেপশেন দেখা যায়নি অভিনেত্রীর দুই ভাই লব সিনহা ও কুশ সিনহার। এ নিয়ে চারদিকে সমালোচনা শুরু হয়। বিয়েতে এসেছিলেন শত্রুঘ্ন সিন্হাসহ পরিবারের অন্য সদস্যরা। এ নিয়ে নেটিজেনদের মাঝে মিশ্র সমালোচনা হয়।
নানা রকম সমালোচনার মাঝে অবশেষে মুখ খুললেন লব সিন্হা। সামাজিকমাধ্যমে একটি পোস্ট করে সোনাক্ষী ও জ়াহিরের বিয়ে নিয়ে কথা বলেন তিনি। লব সিনহা বলেন, এত সমালোচনা সত্ত্বেও পরিবারের প্রতি তার ভালোবাসা কোনোভাবেই কমবে না। পরিবারই তার কাছে প্রাথমিক বিষয়।
কেন তিনি বিয়েতে উপস্থিত থাকেননি জানিয়ে লব সিনহা লিখেছেন— ‘কেন আমি বিয়েতে উপস্থিত থাকিনি, এটিই হলো প্রশ্ন! আমার বিরুদ্ধে কিছু মিথ্যে কথা প্রচার করে কোনো লাভ নেই। আমার কাছে সব সময় আমার পরিবারই অগ্রাধিকার পাবে।‘
এমন প্রশ্ন সোনাক্ষীর আরেক ভাই কুশ সিনহাকে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেন, সেই সময় লব বলেছিল— ‘দু’একটা দিন সময় দিন। আমার যদি মনে হয়, তা হলে আমি নিশ্চয়ই এই প্রশ্নের উত্তর দেব।‘
বিয়েতে আসেন শত্রুঘ্ন সিনহা। বাবা হিসেবে মেয়ের বিয়েতে আবেগপ্রবণ হয়ে পড়বেন এটাই স্বাভাবিক। সিনহা পরিবারের নয়নমণি সোনাক্ষী সিনহা। মা-বাবার চোখের মধ্যমণি। তাই বিয়ের দিনে বাবা শত্রুঘ্ন সিনহা আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েন। কন্যার জীবনের নতুন ইনিংসে যেমন তিনি উচ্ছ্বসিত, তেমনি চাপাকান্না বুকে কষ্ট।
নিজস্ব অ্যাপার্টমেন্ট ‘অওরিয়েত’-এ ঘনিষ্ঠ আত্মীয়স্বজনদের সাক্ষী রেখে আইনি বিয়ে সারেন সোনাক্ষী সিনহা ও জাহির ইকবাল। পরনে নবদম্পতির দুধ সাদা পোশাক। মেয়ের পাশেই হাসিমুখে দাঁড়িয়েছিলেন শত্রুঘ্ন সিনহা।
সেই অনুষ্ঠানে প্রবীণ অভিনেতা বললেন, ‘মেয়েকে পছন্দের পাত্রের হাতে তুলে দেবেন বলে সব বাবাই এই দিনটির জন্য অপেক্ষা করে থাকেন। জাহিরের সঙ্গে আমার মেয়েকে সব থেকে বেশি খুশি থাকতে দেখেছি। তারা সুখে থাকুক, এ প্রার্থনাই করি।‘
জাহির ইকবালের প্রশংসায় পঞ্চমুখ শত্রুঘ্ন সিনহা বলেন, ‘গুড বয়’ জাহির। খুব ভালো ছেলে। আমার মেয়েকে ভালো রাখবে ওৃ।‘ তিনি আরও বলেন, ’৪৪ বছর আগে আমি একজন সফল, সুন্দরী ও ভীষণ ট্যালেন্টেড একটি মেয়েকে নিজের পছন্দে বিয়ে করেছিলাম। সে হচ্ছে পুনম সিনহা। আজ আমার মেয়ে সোনাক্ষীর পালা। ওর পছন্দই আমাদের পছন্দ। ওর নিজের জীবনসঙ্গী বেছে নেওয়ার এই সিদ্ধান্তকে আমি পূর্ণ সমর্থন করি।‘
উল্লেখ্য, এর আগে সোনাক্ষী-জাহিরের বিয়ের খবর গণমাধ্যমে প্রকাশ্যে আসতেই শোনা গিয়েছিল শত্রুঘ্ন নাকি এ বিষয়ে কিছুই জানেন না বলে জানান। তিনি বলেছিলেন— এই প্রজন্মের সন্তান কারও অনুমতি নেওয়ার প্রয়োজন মনে করে না। ওরা শুধু নিজেদের সিদ্ধান্ত জানায়।
সেই থেকেই জল্পনার সূত্রপাত যে, জামাই হিসেবে জাহির ইকবালকে হয়তো পছন্দ নয় শত্রুঘ্ন সিনহার তাই এমন কথা বলেছিলেন! তবে বিয়ের দুদিন আগেই নিন্দুকদের ‘চুপ’ করে দিয়ে জাহির ইকবালকে বুকে টেনে নেন শত্রুঘ্ন সিনহা।
মন্তব্য করুন


ভারতীয় ক্রিকেটার যুজবেন্দ্র চাহাল ও তার স্ত্রী ধনশ্রী বর্মার বিবাহবিচ্ছেদ নিয়ে সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপক আলোচনা চলছে। তবে এবার সেই গুঞ্জন নিয়ে মুখ খুলেছেন ধনশ্রী।
বুধবার ধনশ্রী সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একটি পোস্ট দিয়ে বিষয়টি পরিষ্কার করেন। তিনি লেখেন, “গত কয়েকদিন আমার এবং আমার পরিবারের জন্য খুবই কঠিন সময় কেটেছে। সবচেয়ে হতাশাজনক বিষয় হলো, কিছু মানুষ যাচাই-বাছাই ছাড়াই ভিত্তিহীন তথ্য ছড়িয়ে আমার বিরুদ্ধে ভুল মন্তব্য ও ঘৃণা ছড়াচ্ছেন।”
তিনি আরও লেখেন, “আমি দীর্ঘদিন ধরে পরিশ্রম করে নিজের পরিচিতি তৈরি করেছি। আমার নীরবতা কোনো দুর্বলতার পরিচয় নয়, বরং এটি আমার শক্তি। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নেতিবাচকতা খুব সহজে ছড়িয়ে পড়ে। তবে অন্যদের উন্নতির জন্য সহানুভূতি ও সাহসের প্রয়োজন হয়।”
ধনশ্রী আরও বলেন, “আমি সততা ও মূল্যবোধে বিশ্বাসী। এগিয়ে যেতে চাই নিজের আদর্শ মেনে। সত্য একদিন না একদিন প্রকাশ পাবেই। তখন কোনো ব্যাখ্যার প্রয়োজন হবে না।”
এর আগেও চাহাল একটি রহস্যজনক পোস্ট করেছিলেন। তিনি ইনস্টাগ্রাম স্টোরিতে গ্রিক দার্শনিক সক্রেটিসের একটি উক্তি শেয়ার করেন। উক্তিটিতে লেখা ছিল, “নিস্তব্ধতারও সুর আছে। যারা বিকট শব্দের মধ্যেও তা শুনতে পারে, তারাই সেই সুর উপলব্ধি করতে পারে।”
এরপর থেকে চাহাল ও ধনশ্রীর সম্পর্ক নিয়ে গুঞ্জন আরও তীব্র হয়। চাহাল তার ইনস্টাগ্রাম থেকে স্ত্রীর সঙ্গে তোলা সব ছবি মুছে ফেলেছেন। যদিও ধনশ্রীর প্রোফাইলে এখনো তাদের একসঙ্গে তোলা ছবি রয়েছে।
চাহালের আরেকটি পোস্টও এই জল্পনাকে উসকে দিয়েছে। পোস্টটিতে তিনি লেখেন, “কঠোর পরিশ্রম মানুষের চরিত্রকে উজ্জ্বল করে। আপনি জানেন নিজের যাত্রাপথ কেমন ছিল, কীভাবে এই পর্যায়ে পৌঁছেছেন। সেই যাত্রায় যে ত্যাগ স্বীকার করেছেন তা আপনিই ভালোভাবে জানেন। নিজের বাবা-মাকে গর্বিত করার জন্য মাথা উঁচু করে সোজা দাঁড়ান।”
এই পোস্টে চাহাল বাবা-মায়ের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করলেও স্ত্রী ধনশ্রীর নাম উল্লেখ করেননি। যা তাদের বিচ্ছেদের গুঞ্জনকে আরও বাড়িয়ে তোলে।
উল্লেখ্য, যুজবেন্দ্র চাহাল ও ধনশ্রী বর্মার বিয়ে হয়েছিল ২০২০ সালের ২২ ডিসেম্বর। গুরুগ্রামের একটি অনুষ্ঠানে তারা বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন। ধনশ্রী ছিলেন চাহালের নাচের শিক্ষক। করোনার সময় অনলাইনে নাচের ক্লাস করার মাধ্যমে তাদের পরিচয়। এরপর থেকেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তারা নিয়মিত একসঙ্গে ছবি শেয়ার করতেন। তবে সাম্প্রতিক ঘটনাবলী দেখে অনুমান করা যাচ্ছে, তাদের সম্পর্ক এখন আর আগের মতো নেই।
মন্তব্য করুন


বিনোদন ডেস্ক:
দক্ষিণী তারকা যশ অভিনীত ছবি থেকে সরে গেলেন কারিনা কাপুর। ‘টক্সিক: আ ফেয়ারি টেল ফর গ্রোন-আপস’ ছবিতে যশের বোনের চরিত্রে অভিনয় করার কথা ছিল কারিনা কাপুর খানের। জোরকদমে প্রস্তুতি চলছে, আগেই খবর মিলেছিল। ভারতের ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির বিভিন্ন প্রান্ত থেকে অভিনেতাদের বাছাই করা হয়েছে। কিন্তু যশের বিপরীতে কে অভিনয় করবেন, তা নিয়ে জল্পনা চলছিল। অবশেষে যশের নায়িকা হিসেবে কিয়ারাকে চূড়ান্ত করা হয়েছে।
ড্রাগ মাফিয়াদের প্রেক্ষাপটে তৈরি এই অ্যাকশন ছবি। স্বাভাবিক ভাবেই ‘কেজিএফ’ খ্যাত যশকে নিয়ে উন্মাদনা দর্শকমহলে। সম্প্রতি একটি বিবৃতি জারি করা হয়েছে ছবি নির্মাতার তরফে। তাদের কথায়, ‘ছবি ঘিরে অনুরাগীদের মধ্যে যে উত্তেজনা তা সত্যিই প্রশংসনীয়। কিন্তু অনুমানের ভিত্তিতে ছবি সম্পর্কে কোনো তথ্য ছড়াবেন না।’ তারা জানান, ছবির কাস্টিং প্রায় শেষের দিকে। যাদের কাস্ট করা হয়েছে, ছবির জন্য তারা ১০০ শতাংশ উপযুক্ত।
তবে কারিনা কেন সরে এলেন ছবি থেকে, তা নিয়ে ধোঁয়াশা রয়েছে। সূত্রের খবর, তারিখ নিয়ে সমস্যার জেরেই কারিনার এ সিদ্ধান্ত। নির্মাতার তরফেও তারিখ বদল করার কোনো সম্ভাবনা নেই। স্বভাবতই ঘটনাটি নিয়ে কিছুটা হতাশ বেবোর অনুরাগীরা। কারিনার পরিবর্তে কাকে কাস্ট করা হবে, অপেক্ষায় দর্শক।
মন্তব্য করুন


বিনোদন ডেস্ক:
এবার একটি কনসার্টে ভারতের জনপ্রিয় গায়িকা সুনিধি চৌহানের দিকে ছুড়ে মারা হলো পানির বোতল। লাইভ কনসার্টে উন্মাদনার তুঙ্গে ঘটে গেল এ অনভিপ্রেত ঘটনা।
মঞ্চে পারফর্ম করার সময় গায়ক-অভিনেতাদের ওপর হামলা এর আগেও হয়েছে। গত বছর অরিজিৎ সিং-কে হাত ধরে এত জোরে টান দেওয়া হয়েছিল যে, গায়ককে হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে হয়েছিল।
গায়িকা ভারতের উত্তরাখন্ডের দেরাদুনের এসজিআরআর বিশ্ববিদ্যালয়ে পারফর্ম করেছিলেন। এদিন অনুষ্ঠানে ‘শিলা কি জওয়ানি’, ‘ধুম মচালে’, ‘ক্রেজি কিয়া রে’, ‘দেশি গার্ল’, ‘কমলি’, ‘শাকি শাকি’-র মতো গান তিনি উপহার দিয়েছেন দর্শকদের। তিনি যখন শ্রোতাদের তার গানে মাতিয়ে রাখছিলেন, তখন মেতে উঠেছিল গোটা স্টেডিয়াম। ঠিক সেই সময়, সামনের সারিতে বসা এক ব্যক্তি তার দিকে পানির বোতল ছুড়ে মারেন।
এ ঘটনা রীতিমতো হতবাক করে দেয় সুনিধি চৌহানকে। কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে নিজেকে সামলে নেন তিনি। তারপর সেই ভক্তের দিকে তাকিয়ে ভর্ৎসনা করেন। যদিও সেই ভর্ৎসনার জন্য বেছে নেন সংগীতের পথ।
সুরে-সুরেই তিনি বলে ওঠেন- ‘আপনি আমার দিকে বোতল নিক্ষেপ করলে কী হবে? অনুষ্ঠানটি বন্ধ করে দেওয়া হবে। আপনি কি এটি চান?’
সুনিধি চৌহান এই কনসার্ট থেকে কিছু ছবিও শেয়ার করেন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। গ্লিটারি টপ, কালো শর্টস গায়ে ছিল গায়িকার। টপে ছাপানো ছিল 'ঝঈ ০১'। খোলা চুল, পায়ে লং বুট। একেবারে রকস্টার লুক।
ক্যাপশনে তিনি লিখলেন- ‘তুমি কি কখনো ছিলে আমার পার্টিতে? দেখো সেটা কেমন হয়।
মন্তব্য করুন


দুই বাংলার জনপ্রিয় অভিনেত্রী রাফিয়াত রশিদ মিথিলা একটি সুখবর শেয়ার করেছেন। সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে তিনি জানান, দীর্ঘ চার বছর ধরে আটকে থাকা সিনেমা ‘জলে জ্বলে তারা’ অবশেষে মুক্তি পাচ্ছে এই মাসেই।
গতকাল শুক্রবার (৩১ জানুয়ারি) দুপুরে মিথিলা ফেসবুকে একটি খবরের ছবি শেয়ার করে ক্যাপশনে লেখেন, ‘আমাদের সিনেমা, অরুণ চৌধুরী পরিচালিত ছবি ‘জলে জ্বলে তারা’। আসছে ভালোবাসা দিবসে আপনার কাছের প্রেক্ষাগৃহে।’
সরকারি অনুদানপ্রাপ্ত ‘জলে জ্বলে তারা’ সিনেমার শুটিং শুরু হয় ২০২১ সালে। কিন্তু শুটিং শুরুর মাত্র তিন মাস পর করোনা মহামারি ও আর্থিক সংকটের কারণে সিনেমার কাজ বন্ধ হয়ে যায়।
একাধিকবার শুটিং বন্ধ হয়ে যাওয়া এ সিনেমার কাজ শেষ হলেও প্রেক্ষাগৃহে মুক্তির ক্ষেত্রে দেখা দেয় নানা জটিলতা। অসংখ্যবার মুক্তির তারিখ ঠিক করা হলেও শেষ পর্যন্ত প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পায়নি সিনেমাটি।
রোমান্টিক ঘরানার সিনেমা হওয়ায় সিনেমা সংশ্লিষ্টরা এবার চলতি মাসের ভালোবাসা দিবসেই প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি দিতে চলেছেন নতুন এ সিনেমাটি।
এ সিনেমায় মিথিলার সঙ্গে জুটি গড়েছেন ছোট পর্দার জনপ্রিয় অভিনেতা এফ এস নাঈম। ক্যারিয়ারে নাঈমকে এই প্রথমবারের মতো কোনো সিনেমায় প্রধান চরিত্রে অভিনয় করতে দেখবেন দর্শকরা।
মুক্তি প্রতীক্ষিত এ সিনেমায় মিথিলা ও নাঈম ছাড়াও আরও অভিনয় করেছেন ফজলুর রহমান বাবু, মনিরা মিঠু, আজাদ আবুল কালাম, নূর ইমরান মিঠু প্রমুখ।
মন্তব্য করুন


ব্যবসায়ী নাসির উদ্দিন মাহমুদের করা মামলায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির একদিনের মধ্যে জামিন পেয়েছেন চিত্রনায়িকা পরীমণি। আজ সোমবার আত্মসমর্পণ করলে তার জামিন আবেদন মঞ্জুর করেন আদালত। জামিন পাওয়ার পর পরীমণি আদালত থেকে ফিরে গণমাধ্যমের সামনে কথা বলেন।
তিনি ন্যায়বিচার পাওয়ার আশা ব্যক্ত করে বলেন, ‘শুরু থেকেই আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল ছিলাম, এখনও আছি। আমি আইনের ওপর বিশ্বাস রেখেছি। আর আপনারা যেভাবে আমাকে সাপোর্ট করেছেন, সেটা দেখে আমার দুঃখের সব মেঘ কেটে গেছে। আপনাদের সবার প্রতি আমি কৃতজ্ঞ।’
পরীমণি আরও বলেন, ‘এই মুহূর্তে আমার কিছুই বলার নেই। গতকাল থেকে আপনারা যেভাবে ভালোবাসা প্রকাশ করেছেন, আমি সারাজীবন সেই ভালোবাসার প্রতি কৃতজ্ঞ থাকব। আমি ধন্য।’
তিনি বলেন, ‘আইনের প্রতি আমার বিশ্বাস ছিল এবং আমি বিশ্বাস করি, আমি ন্যায়বিচার পাব। আপনারা আমার পাশে থাকবেন। আজ যেমন ভালোবাসা নিয়ে বাড়ি ফিরছি, সেই ভালোবাসার সঙ্গে জয় নিয়ে যেন বাড়ি ফিরতে পারি। আমার জন্য দোয়া করবেন।’
২০২২ সালের ৬ জুলাই পরীমণির বিরুদ্ধে হত্যাচেষ্টার অভিযোগে ব্যবসায়ী নাসির উদ্দিন মামলা দায়ের করেন। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) ঢাকা জেলার পরিদর্শক মো. মনির হোসেন ঢাকার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে পরীমণি ও তার কস্টিউম ডিজাইনার জুনায়েদ বোগদাদী জিমির বিরুদ্ধে প্রতিবেদন দাখিল করেন। প্রতিবেদন অনুযায়ী, তাদের বিরুদ্ধে মারধর ও ভয়ভীতি দেখানোর অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেছে।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, পরীমণি ও তার সহযোগীরা অ্যালকোহল পান করেন এবং দামি ক্লাবে ঢুকে পার্সেল নিয়ে মূল্য পরিশোধ না করেই চলে যান। পরীমণি তার পরিচিত পুলিশ কর্মকর্তাদের মাধ্যমে মিথ্যা মামলা করে হয়রানি ও ভয় দেখান।
আরও বলা হয়, ২০২১ সালের ৯ জুন রাতে সাভারের বোট ক্লাবে পরীমণি বাদী নাসির উদ্দিনকে ডেকে তার সঙ্গে কিছু সময় বসতে বলেন। এক পর্যায়ে পরীমণি নাসির উদ্দিনকে বিনামূল্যে ব্লু লেবেল হুইস্কি বোতল পার্সেল দেওয়ার জন্য চাপ দেন। নাসির উদ্দিন রাজি না হওয়ায় পরীমণি তাকে গালমন্দ করেন এবং এক পর্যায়ে গ্লাস ও মোবাইল ফোন ছুড়ে মারেন, যাতে নাসির উদ্দিন মাথায় ও বুকে আঘাত পান।
মামলায় আরও বলা হয়, পরীমণি ও তার সহযোগীরা নাসির উদ্দিনকে মারধর ও হত্যার হুমকি দেন এবং ভাঙচুর করেন। এই ঘটনাটি ধামাচাপা দেওয়ার জন্য পরীমণি সাভার থানায় বাদীসহ দুজনের বিরুদ্ধে ধর্ষণচেষ্টা ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগে মামলা দায়ের করেন।
এছাড়া, একই বছরের ৫ আগস্ট বনানী বাসা থেকে র্যাবের অভিযানে গ্রেপ্তার হন পরীমণি। পরে বনানী থানায় মাদক মামলায় তাকে কারাগারে প্রেরণ করা হয়। ২৭ দিন পর তিনি জামিনে মুক্তি পান।
মন্তব্য করুন


‘করণ অর্জুন’ ছবিটি পরিচালনা করতে গিয়ে কালঘাম ছুটেছিল বলিউড পরিচালক-প্রযোজক রাকেশ রোশনের। ছবির দুই প্রধান নায়ক, শাহরুখ খান ও সালমান খান, এর অন্যতম কারণ ছিলেন। সম্প্রতি মুক্তি পেয়েছে তথ্যচিত্র সিরিজ ‘দ্য রোশনস’। সেখানে পরিচালক রাকেশ রোশন বলিউড বাদশাহ শাহরুখ খান ও ভাইজানখ্যাত সালমান খানের সঙ্গে কাজ করার অভিজ্ঞতা শেয়ার করেছেন। তিনি জানান, প্রতিদিন শুটিংয়ে যাওয়ার আগে ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করতেন।
এই ছবির গল্প নিয়ে শাহরুখ ও সালমানের কোনো আগ্রহই ছিল না। রাকেশ রোশন বলেন, "তাদের প্রতি কোনো আস্থা ছিল না, এবং তারা ছবির বিষয়ে মোটেও সিরিয়াস ছিল না।" এমনকি এই তথ্যচিত্রে শাহরুখ খান নিজেই স্বীকার করেছেন যে, সেই সময় তিনি দুর্ব্যবহার করতেন। এজন্য তিনি রাকেশ রোশনের স্ত্রীর কাছ থেকেও বকুনি খেয়েছিলেন। রাকেশ রোশন ভয়ে ভয়ে থাকতেন, যাতে তিনি নিজের মেজাজ হারিয়ে ফেলেন না।
পরিচালক জানান, "সব ছবিতেই আমি নিশ্চিন্তে কাজ করেছি, কিন্তু 'করণ অর্জুন' ছবিতে প্রথম থেকেই সমস্যা ছিল। একেক দিন ভাবতাম, কেন এসব ঘটছে? তবে মেনে নিয়েছিলাম।" তিনি আরও বলেন, "প্রতিদিন সকালে প্রার্থনা করতাম— যেন আমি মেজাজ হারিয়ে না ফেলি। এই ছেলে দুটো অপরিণত। তারা যেমন আচরণ করছে করুক, আমি যেন মাথা গরম না করি এবং কাজটা শেষ করি।"
রাকেশ রোশন জানান, সালমান ও শাহরুখের ছবির গল্প নিয়ে কোনো আগ্রহই ছিল না। তিনি মনে করেন, "একদিন একটি দৃশ্যের শুটিংয়ের সব কিছু প্রস্তুত হয়ে গিয়েছিল, সূর্য ডোবার মুখে, কিন্তু তারা কোথাও ছিল না। শেষ মুহূর্তে তারা এল এবং তাড়াহুড়ো করে শুটিং শুরু করল।"
এই সিরিজে বর্ষীয়ান অভিনেতা শত্রুঘ্ন সিংহও তার অভিজ্ঞতা শেয়ার করেছেন। তিনি বলেন, "ওরা সত্যিই খুব যন্ত্রণা দিয়েছিল রাকেশ রোশনের, কোনো সহযোগিতা করেনি। এমন পরিস্থিতি দেখে রাকেশের স্ত্রী তাদের খুব বকাঝকা করেছিলেন।"
শাহরুখ খান তার কথায় বলেন, "সালমান আর আমার মধ্যে আমার আচরণ তুলনামূলক ভালো ছিল। অন্তত আমি সামনে ভালো ব্যবহার করতাম। আমরা দুজন বাচ্চা মিলে একজন পিতৃসম ব্যক্তিকে খুব জ্বালিয়েছিলাম।"
মন্তব্য করুন


ছোটবেলায় যৌন নির্যাতনের শিকার হয়েছিলেন পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ অভিনেত্রী জামিলা জামিল। এরপর থেকে তার ভেতর সব সময় একধরনের ট্রমা কাজ করে। এড়িয়ে চলেন রগরগে দৃশ্যে অভিনয়, এমনকী কোনো ছবিতে এমন দৃশ্য থাকলে তা দেখেনও না তিনি। আর এ কারণেই নেটফ্লিক্সের সিরিজ ‘ইউ’-এর অডিশন থেকে বেরিয়ে আসেন অভিনেত্রী।
সম্প্রতি ‘দ্য গুড প্লেস’ খ্যাত তারকা পডক্রাশড পডকাস্টে তার নিজের চিন্তাভাবনা তুলে ধরেন। জামিলা বলেন, “নেটফ্লিক্সের সিরিজ 'ইউ'-এর চতুর্থ সিজনের জন্য আমার অডিশন দেওয়ার কথা ছিল। তবে যখন জানতে পারি এই চরিত্রটি বেশ সেক্সি, তখনই আমি অডিশন থেকে সরে আসার কথা জানিয়ে দিই। কারণ, এ ধরনের যৌন দৃশ্যে আমি স্বচ্ছন্দ নই।’ যদিও ঠিক কোন দৃশ্যের জন্য তিনি অডিশন দিচ্ছিলেন, তা প্রকাশ্যে আনেননি জামিলা জামিল।
কেন যৌন দৃশ্যে তিনি স্বচ্ছন্দ নন, তার অন্যতম কারণ হিসাবে শৈশবের 'ট্রমা' (মানসিক আঘাত), শৈশবের যৌন নির্যাতনের কথা সামনে এনেছেন জামিলা জামিল। অভিনেত্রী জানান, তার শৈশব ভীষণই কঠিন, নোংরা ছিল। শৈশবে তার ওপর চলা যৌন নির্যতনের কথা তিনি ভুলতে পারেননি, সেগুলো থেকে বের হয়ে আসতে পারেননি। আর তারই ফলস্বরূপ তিনি নিজের জন্য এই নিয়ম তৈরি করেছেন। সিদ্ধান্ত নিয়েছেন কখনো কোনো যৌন দৃশ্যে তিনি অভিনয় করবেন না।
তার কথায়, ‘অন্য অভিনেতাদের কাছে যৌনদৃশ্য যেমন, আমার কাছে এটা ঠিক তেমন নয়। এমনকী ছবিতে কোনো যৌন দৃশ্য থাকলে সেটা আমি দেখি না, এড়িয়ে যাই।’
জামিলা জামিল জানান, তিনি ‘ইউ’-এর নির্মাতাদের স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, যদি যৌন দৃশ্য ছাড়া সিরিজে অন্য কোনো চরিত্রে তাকে প্রয়োজন হয়, তাহলে তাকে তারা ডাকতে পারেন।
‘সি-হাল্ক’ অভিনেত্রী আরও স্পষ্ট করে বলেন, ‘এটা লজ্জার কিছু নয়। তবে আমি অনুভব করি যে এটির চারপাশে একটি বিশ্রীতা রয়েছে।’
মন্তব্য করুন