দিন দুয়েক আগেই ঢাকাই সিনেমার জনপ্রিয় নায়িকা পরীমণি জানিয়েছিলেন তীব্র জ্বরে ভুগছেন তিনি। শরীরের তাপমাত্রা ১০৩ ডিগ্রি। এ খবর জানানোর ঠিক পরপরই ১৪ মে গভীর রাতে পরীমণির পোস্ট থেকে জানা যাচ্ছে, শরীর আরও বেশি খারাপ হওয়ায় তাকে হাসপাতালে ভর্তি করতে হয়েছে।
নায়িকার ফেসবুক পোস্ট থেকে জানা যায়, রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি তিনি। হাসপাতালে পরীমণির সঙ্গেই রয়েছে তার ছেলে রাজ্য। নিজেই হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার খবর সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে অনুরাগীদের জানিয়েছেন অভিনেত্রী।
হাসপাতালের বিছানায় শুয়ে ছবি পোস্ট করে অভিনেত্রী লিখেছেন, ‘মায়েদের জীবন সত্যিই কঠিন সুন্দর।’ সঙ্গে নিজেই নিজেকে মা দিবসের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।
মন্তব্য করুন
বিনোদন ডেস্ক:
ঢাকাই সিনেমার আলোচিত চিত্রনায়িকা পরীমনি। ঢালিউডে তার মতো সুন্দরী নায়িকা কমই রয়েছে বলে মনে করেন অনেকেই। তিনি নাকি পরীর মতোই সুন্দর। যদিও সিনেমার ক্যারিয়ার থেকে ব্যক্তিজীবন নিয়েই সবসময় আলোচনায় থাকেন এই নায়িকা। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও সরব থাকেন পরীমনি।
বর্তমানে দুই সন্তান নিয়ে সুখের সংসার এই নায়িকার। মা হওয়ার পর থেকে নিজের প্রতি খুব একটা যতœ নিতে পারেননি তিনি। ব্যস্ত থেকেছেন সন্তানদের নিয়ে। এখন আবারও আগের রূপ-ছন্দে ফেরার চেষ্টা করছেন পরী।
বুধবার সকালে শাড়িতে উষ্ণতা ছড়াতে দেখা গেল অভিনেত্রীকে। ধূসর রঙের একটি শাড়িতে কোনো একটি রাস্তার পাশে হেঁটেছেন পরীমনি। গানের ছন্দে, ফুল হাতে বিভিন্ন পোজ দিয়েও ছবি তুলেছেন তিনি।
পরীমনির এই ছবি-ভিডিওতে মুগ্ধ হয়েছে তার ভক্তরা। অনেকেই পুরোনো সেই পরীকে খুঁজে পেয়েছেন। নায়িকার ভিডিওতে বিভিন্ন ধরণের মন্তব্য করেছেন। যার বেশ কিছু মন্তব্যের জবাবও দিয়েছেন পরী।
এর আগে মঙ্গলবার রাতে নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্টে জিমের পোশাকে একটি ছবি প্রকাশ করেন অভিনেত্রী। সেখানে পরী লেখেন, ‘খুব শিগগিরই দেখা হচ্ছে পরী’। বোঝাই যাচ্ছে, মেদ ঝরাতে, নিজেকে ফিট করতে কঠোর পরিশ্রম করছেন তিনি।
মন্তব্য করুন
দেশের জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী হৃদয় খান সংগীতের পাশাপাশি তার ব্যক্তিগত জীবন নিয়েও মাঝে মধ্যেই আলোচনায় আসেন। বিশেষ করে বারবার বিয়ে ও বিচ্ছেদের কারণে তিনি একাধিকবার শিরোনাম হয়েছেন।
এই তারকা গায়ক ক্যারিয়ারের শুরুর দিকে ২০১০ সালে পূর্ণিমা আকতার নামের একজনকে বিয়ে করেছিলেন। কিন্তু মাত্র ছয় মাস পরেই তাদের সংসার ভেঙে যায়। এর কয়েক বছর পর তিনি নিজের থেকে বয়সে বড় জনপ্রিয় মডেল ও অভিনেত্রী সুজানা জাফরকে বিয়ে করে আলোচনায় আসেন। ২০১৪ সালের ১ আগস্ট তিনি সুজানাকে বিয়ে করেন, কিন্তু এই বিয়েও বেশি দিন টিকে না। ২০১৫ সালের ৬ এপ্রিল তাদের বিচ্ছেদ ঘটে।
সুজানার সঙ্গে বিচ্ছেদের কিছুদিন পরই ২০১৭ সালের ১০ সেপ্টেম্বর পারিবারিক আয়োজনে হুমায়রাকে বিয়ে করেন হৃদয় খান। কিন্তু এই বিয়েও টিকল না। এবার জানা গেল, হুমায়রার সঙ্গেও বিচ্ছেদ হয়েছে হৃদয় খানের।
বিয়ের পর কয়েক বছর সংসার করলেও হৃদয় খানের আচরণ ও জীবনযাপনে অতিষ্ঠ হয়ে হুমায়রা তাকে ডিভোর্স দিয়েছেন। হৃদয় খানের পারিবারিক সূত্র থেকে সংবাদমাধ্যমকে এই তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে। সূত্রটি জানিয়েছে, অনেক আগেই হুমায়রা ও হৃদয়ের বিচ্ছেদ হয়েছে। হৃদয়ের ওপর বিভিন্ন কারণে বিরক্ত হয়ে হুমায়রা ডিভোর্স লেটার পাঠিয়েছেন। তবে বিষয়টি হৃদয় ও তার পরিবার গোপন রেখেছিলেন।
এ ব্যাপারে জানতে সংবাদমাধ্যম হৃদয় খানের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, "বিষয়টি খুবই সেনসেটিভ। এ জন্য আপাতত এ নিয়ে কোনো কথা বলতে চাই না। তবে অন্য কোনো কথা থাকলে বলুন।"
অন্যদিকে, হৃদয় খানের বাবা সংগীত পরিচালক রিপন খান এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে অস্বীকার করেন। তিনি বলেন, "এ ব্যাপারে কোনো কথা বলতে চাই না আমি। হৃদয়ের সঙ্গেও বিষয়টি নিয়ে আমার কোনো আলোচনা হয়নি। এ নিয়ে কথা বলতে ইচ্ছুক নই।"
মন্তব্য করুন
বিনোদন ডেস্ক:
বলিউডের জনপ্রিয় দম্পতি অভিষেক বচ্চন ও ঐশ্বরিয়া রাই বচ্চনের সম্পর্ক নিয়ে চলছে নানা ধরনের গুঞ্জন। বলা চলে প্রতিদিনই তাদের সম্পর্কের নতুন নতুন খবর সামনে আসছে। এতদিন বিভিন্ন ধরনের গুঞ্জন শোনা গেলেও অভিষেক ও ঐশ্বরিয়া এই বিষয়ে কখনোই কিছু বলেননি। তবে এবার সেই গুঞ্জনে নতুন মাত্রা যোগ করেছে একটি ভিডিও। ভিডিওটি দেখে সমালোচকরা মন্তব্য করেছেন, ঐশ্বরিয়ার বিচ্ছেদ হতে চলেছে!
কিছুদিন আগে দুবাইয়ে নারীর ক্ষমতায়ন বিষয়ক একটি আলোচনাসভায় অংশ নিয়েছিলেন ঐশ্বরিয়া। ওই মঞ্চে ওঠার পর পর্দায় তার নাম দেখা যায়, যেখানে ‘ঐশ্বরিয়া রাই’ লেখা ছিল, কিন্তু ‘বচ্চন’ পদবি সেখানে ছিল না। এই ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশ হওয়ার পর ডিভোর্সের গুঞ্জন আরও জোরালো হয়ে ওঠে।
তবে আসলে ঐশ্বরিয়া এখনও অফিশিয়ালি ‘রাই বচ্চন’ নামেই পরিচিত। তার ইনস্টাগ্রাম প্রোফাইলেও এটা স্পষ্টভাবে দেখা যায়। জানা গেছে, দুবাইয়ের ওই অনুষ্ঠানে নারীর স্বাধীনতা ও নারী শক্তির ওপর আলোচনা হচ্ছিল, আর এজন্য আয়োজকরা ঐশ্বরিয়ার নামের পাশে তার জন্মনাম ‘রাই’ ব্যবহার করেছেন, যেখানে স্বামীর পদবি ‘বচ্চন’ ব্যবহার করেননি।
এটি ছিল আন্তর্জাতিক নারী নির্যাতন বিরোধী দিবস উপলক্ষে একটি ভিডিও। ঐশ্বরিয়া এই ভিডিওটি একটি জনপ্রিয় প্রসাধনী সংস্থার হয়ে তৈরি করেছেন। সেখানে তিনি সব নারীদের মাথা উঁচু করে বাঁচার এবং নিজের মর্যাদা নিয়ে জীবনের পথে চলার আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলছেন, “নিজের মর্যাদার সঙ্গে কখনো আপস করবেন না।”
এদিকে, কখনো ডিভোর্সের গুঞ্জন, কখনো দূরত্ব বাড়ানোর খবর, আবার কখনো বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কের কারণে তিক্ততার শোনা যাচ্ছে। এমনকি শোনা যাচ্ছে যে, ঐশ্বরিয়া এখন শ্বশুরবাড়ি ছেড়ে তার মেয়ে আরাধ্যাকে নিয়ে নিজের পিতৃবাড়িতে অবস্থান করছেন। তার শাশুড়ি জয়া বচ্চন ও ননদ শ্বেতা নন্দার সঙ্গে নাকি তার সম্পর্ক খুব একটা ভালো যাচ্ছে না।
মন্তব্য করুন
বিনোদন ডেস্ক:
‘অ্যানিমেল’ সিনেমায় অভিনয় করে রাতারাতি ভারতের ন্যাশনাল ক্রাশের খেতাব পেয়েছিলেন তৃপ্তি দিমরি। কিন্তু সে খ্যাতি যেন জৌলুস হারাচ্ছে।
বলিউডের অন্দরমহলে গুঞ্জন ছড়িয়েছে, ‘আশিকি থ্রি’ থেকে কাদ দেওয়া হয়েছে তৃপ্তিকে। যার নেপথ্যে রয়েছেন পরিচালক অনুরাগ বসু।
সোমবার থেকেই এমন খবরে সয়লার ভারতীয় বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যম। তবে এই গুঞ্জনের ২৪ ঘণ্টা পেরোতে না পেরোতেই মুখ খুললেন অনুরাগ। এই নির্মাতা বললেন, তৃপ্তি সিনেমাতে থাকছেন না, এমন কথা আমি একবারও বলিনি। সে কথা তৃপ্তিও জানেন।
তা হলে কি তৃপ্তি ‘আশিকী থ্রি’তে থাকছেন? সে বিষয়ে অবশ্য কোন পাকা কথা দেননি পরিচালক। মুখ বন্ধ রেখেছেন ‘ভুলভুলাইয়া থ্রি’র নায়িকাও। ফলে ধোঁয়াশা বেড়েই চলেছে। অনুরাগের এই জবাব ইতোমধ্যেই সমাজিকমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। তাইতো নতুন করে চর্চা শুরু।
‘ভুলভুলাইয়া থ্রি’ সিনেমায় কার্তিক-তৃপ্তির রসায়ন ভালো লেগেছিল দর্শকদের। তাই তাদের আশা, আবারও এই জুটির দেখা মিলবে পর্দায়। এদিকে সিনেমার আনুষ্ঠানিক ঘোষণার সময় থেকেই আলোচনার কেন্দ্রে ‘আশিকী থ্রি’।
একাধিক নায়ক-নায়িকার নাম সেসময় প্রকাশ্যে এসেছিল। তাদের মধ্যে পরিচালক বেছে নিয়েছিলেন কার্তিক-তৃপ্তিকে। তার আগে ‘অ্যানিমেল’ মুক্তি পেয়েছে। এতে রণবীর কাপুরের বিপরীতে সাহসী দৃশ্যে অভিনয় করে সাড়া ফেলে দিয়েছিলেন তৃপ্তি। ফলে তাকে পছন্দ হয়েছিল প্রযোজনা সংস্থারও।
তবে এখন গুঞ্জন উঠেছে অতি সাহসই নাকি কাল হয়ে দাঁড়িয়েছে তৃপ্তির জন্য। অত্যধিক শরীর দেখানোর ফলে সারল্য হারিয়ে ফেলেছেন নায়িকা। তাই নাকি ‘আশিকী থ্রি’ থেকে বাদ পড়তে পারেন তৃপ্তি!
‘
মন্তব্য করুন
২০২৪ সাল প্রায় শেষের পথে। এ বছর দেশের সিনেমা হলে মুক্তি পেয়েছে প্রায় ৪৫টি সিনেমা। রাজনৈতিক পরিস্থিতির কারণে বছরের মাঝামাঝি কয়েক মাস সিনেমা মুক্তি স্থগিত ছিল। তবে বছরের শেষ প্রান্তে এসে বেশ কিছু সিনেমা প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেয়ে আলোচনায় আসে। ঢাকাই সিনেমার এই বছরের আলোচিত অভিনেত্রীদের নিয়ে আজকের আলোচনা—
জয়া আহসান
বছরের শেষদিকে মুক্তি পেয়েছে জয়া আহসানের অভিনীত 'নকশী কাঁথার জমিন'। আকরাম খান পরিচালিত এ সিনেমাটি মুক্তির আগে প্রদর্শিত হয় গোয়া ফিল্ম ফেস্টিভ্যালসহ একাধিক আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে। হাসান আজিজুল হকের গল্প 'বিধবাদের কথা' অবলম্বনে নির্মিত এ সিনেমা মুক্তির পর জয়া আহসান আবারো আলোচনায়। বছরের শুরুতে নূরুল আলম আতিকের 'পেয়ারার সুবাস' সিনেমায় তার অভিনয় দারুণ প্রশংসিত হয়।
পূজা চেরী
এ বছর পূজা চেরীর দুটি সিনেমা মুক্তি পায়— 'লিপস্টিক' (পরিচালক কামরুজ্জামান রোমান) এবং 'আগন্তুক' (পরিচালক সুমন ধর)। চলচ্চিত্রের পাশাপাশি পূজা এ বছর ওয়েব ফিল্মেও কাজ করেছেন। বিভিন্ন ইভেন্টে সরব উপস্থিতি ও কাজের মাধ্যমে আলোচনায় ছিলেন এই ঢালিউড অভিনেত্রী।
মেহজাবীন চৌধুরী
টানা ১৫ বছর ধরে বিনোদন অঙ্গনে কাজ করছেন মেহজাবীন। এ বছর তার চলচ্চিত্রে অভিষেক ঘটে। 'প্রিয় মালতী' সিনেমার মাধ্যমে তিনি প্রথমবারের মতো প্রেক্ষাগৃহের দর্শকদের সামনে আসেন। এ সিনেমাটি বিভিন্ন আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে প্রদর্শিত হয় এবং মুক্তির পর তার অভিনয়ে মুগ্ধ হন দর্শক ও সমালোচকরা। এছাড়া তার অভিনীত 'সাবা' সিনেমা বুসানসহ বিশ্বের বিভিন্ন উৎসবে প্রদর্শিত হয়।
শবনম বুবলী
শবনম বুবলী এ বছর 'মায়া দ্য লাভ', 'রিভেঞ্জ', এবং মিশুক মুনিরের 'দেয়ালের দেশ' সিনেমায় অভিনয় করেন। বিশেষত 'দেয়ালের দেশ' সিনেমায় তার অভিনয় নতুন করে নজর কেড়েছে। এ ছাড়া রায়হান রাফীর 'টান' ও 'সাত নম্বর ফ্লোর' সিনেমার মাধ্যমে তার জনপ্রিয়তা বাড়লেও কিছুটা সমালোচনার মুখেও পড়তে হয়। বছরের শেষদিকে 'পিনিক' সিনেমায় নেতিবাচক চরিত্রে অভিনয়ের ঘোষণা দিয়ে আলোচনায় আসেন তিনি।
তাসনিয়া ফারিণ
তাসনিয়া ফারিণের অভিনীত 'ফাতিমা' সিনেমাটি মুক্তি পায় এ বছর। ধ্রুব হাসান পরিচালিত এ সিনেমায় অভিনয়ের জন্য তিনি ইরানের ফজর ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে পুরস্কৃত হন। কলকাতার 'প্রতীক্ষা' সিনেমায় দেবের বিপরীতে অভিনয়ের কথা থাকলেও অনিশ্চয়তার কারণে সিনেমাটি ছেড়ে দেন ফারিণ। এ সিদ্ধান্ত নিয়েও তিনি ছিলেন আলোচনায়।
কুসুম সিকদার
দীর্ঘ অভিনয় জীবনে এবার প্রথমবারের মতো চলচ্চিত্র নির্মাণে নাম লেখান কুসুম সিকদার। তার পরিচালিত এবং অভিনীত 'শরতের জবা' সিনেমাটি এ বছর মুক্তি পায়। নিজের লেখা গল্পগ্রন্থ 'অজাগতিক ছায়া' থেকে নেওয়া গল্পে নির্মিত এ সিনেমা নিয়ে আলোচনায় ছিলেন তিনি।
এভাবেই ২০২৪ সালে ঢাকাই সিনেমার এই অভিনেত্রীরা তাঁদের কাজ ও অর্জনের জন্য সারা বছর আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে ছিলেন।
মন্তব্য করুন
বলিউড অভিনেতা জায়েদ খান যিনি সিনেমা 'ম্যায় হুঁ না'-এ লক্ষ্মণের চরিত্রে অভিনয়ের মাধ্যমে জনপ্রিয়তা অর্জন করেছিলেন, ব্যক্তিগত জীবনে সুজান খানের ভাই এবং হৃত্বিক রোশনের প্রাক্তন শ্যালক। শাহরুখ খানের ছোট ভাইয়ের চরিত্রে তাঁর অভিনয় প্রশংসিত হলেও বলিউডে তাঁর বাকি সিনেমাগুলো বাণিজ্যিকভাবে ব্যর্থ ছিল। তবে অভিনয়ে ফ্লপ হলেও জায়েদ খান একজন সফল ব্যবসায়ী এবং প্রায় ১৫০০ কোটি টাকার সম্পত্তির মালিক।
জায়েদ খান পরিচালক সঞ্জয় খানের ছেলে এবং অভিনেতা ফিরোজ খানের ভাগ্নে। ২০০৩ সালে মাত্র ২২ বছর বয়সে তিনি বলিউডে পা রাখেন। তাঁর প্রথম সিনেমা ‘চুরা লিয়া হ্যায় তুমনে’ বক্স অফিসে ব্যর্থ হলেও, ২০০৪ সালের ‘ম্যায় হুঁ না’ সিনেমায় পার্শ্ব চরিত্রে অভিনয় করে তিনি দর্শকদের নজর কাড়েন। এরপর ‘দশ’ সিনেমাও গড়পড়তা সাফল্য পেয়েছিল।
২০০৫ থেকে ২০১২ সাল পর্যন্ত, জায়েদ আরও ১০টি সিনেমায় অভিনয় করেন, যার মধ্যে ছিল ‘ফাইট ক্লাব’, ‘মিশন ইস্তাম্বুল’ এবং ‘তেজ’। কিন্তু এই সিনেমাগুলোও বক্স অফিসে ব্যর্থ হয়। সর্বশেষ ২০১৫ সালে মুক্তি পাওয়া ‘শরাফত গয়ি তেল লেনে’ সিনেমাটিও কোনো সাফল্য আনতে পারেনি।
২০১৭ সালে তিনি টিভি শো ‘হাসিল’ দিয়ে অভিনয়ে ফেরার চেষ্টা করেছিলেন। মোট ১৫টি ছবিতে অভিনয়ের মধ্যে জায়েদের হিট সিনেমার সংখ্যা মাত্র ১টি, ১৩টি ফ্লপ, এবং একটি গড়পড়তা সিনেমা।
ব্যবসায়িক সফলতা ও সম্পত্তি
অভিনয়ে ব্যর্থ হলেও জায়েদ খান ব্যবসায়িক ক্ষেত্রে সফল। বিভিন্ন স্টার্টআপ এবং ব্যবসায়ে বিনিয়োগ করে তিনি বিপুল পরিমাণ সম্পদ গড়েছেন। একটি প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে যে, ২০২৪ সালে জায়েদ প্রায় ১৫০০ কোটি টাকার সম্পত্তির মালিক, যা বলিউডের শীর্ষ তারকা যেমন রণবীর কাপুর (৫৫০ কোটি), প্রভাস (৪০০ কোটি), এবং আল্লু অর্জুন (৩৫০ কোটি)-এর থেকেও বেশি।
এক সাক্ষাৎকারে জায়েদ বলেছিলেন, "মানুষের উচিত নিজের সামর্থ্যের মধ্যে থাকা। যদি ফেরারি কেনার সামর্থ্য থাকে, তবে মার্সিডিজ কিনো; আর যদি মার্সিডিজ কেনার সামর্থ্য থাকে, তবে ফিয়াট কিনো।" তিনি সামাজিক মিডিয়ার যুগে মানুষের অযথা প্রতিযোগিতাকে দায়ী করেছেন এবং সবাইকে দায়িত্বশীলভাবে চলার পরামর্শ দিয়েছেন।
২০২৪ সালে জায়েদ তাঁর ইনস্টাগ্রামে অভিনয়ে ফেরার ইচ্ছার কথা জানিয়েছেন। তবে তাঁর কামব্যাক প্রজেক্ট নিয়ে বিস্তারিত কিছু বলেননি। তিনি জানিয়েছেন, নিজের ব্যবসা এবং অভিনয়ের মধ্যে সামঞ্জস্য বজায় রেখে এগিয়ে যেতে চান।
অভিনয়ে সফল না হলেও জায়েদ খানের ব্যবসায়িক দক্ষতা এবং বাস্তববাদী জীবনদর্শন তাঁকে তাঁর সমসাময়িকদের থেকে আলাদা করেছে।
মন্তব্য করুন
নির্মাতা আদনান আল রাজীবের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে প্রেমের সম্পর্কে জড়িত অভিনেত্রী মেহজাবীন চৌধুরী। শোবিজ জগতে এই খবরটি কারও অজানা নয়। এবার তাদের এই সম্পর্ককে বিয়ের বন্ধনে আবদ্ধ করতে চলেছেন এই জুটি।
চলতি মাসেই আদনান আল রাজীবের সঙ্গে বিয়ের পিঁড়িতে বসতে চলেছেন মেহজাবীন চৌধুরী। অভিনেত্রীর ঘনিষ্ঠ সূত্র থেকে এই তথ্য জানা গেছে।
সবকিছু ঠিক থাকলে আগামী ২৪ ফেব্রুয়ারি বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করবেন মেহজাবীন ও রাজীব। এর একদিন আগে, অর্থাৎ ২৩ ফেব্রুয়ারি গায়ে হলুদের অনুষ্ঠানটি সম্পন্ন হবে। ঢাকার অদূরের একটি রিসোর্টে এই বিয়ের আয়োজন চলছে বলে জানা গেছে।
অন্যদিকে, আদনান আল রাজীবের সঙ্গে সম্পর্ক নিয়ে শুরু থেকেই নীরব মেহজাবীন চৌধুরী। বিয়ের খবর নিয়েও কোনো মন্তব্য করেননি এই অভিনেত্রী। তার সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি কোনো সাড়া দেননি।
২০১৯ সালে আদনান আল রাজীবের সঙ্গে ঢাকার একটি শপিং মলে মেহজাবীনের হাত ধরে হাঁটার একটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়। এরপর থেকেই তাদের সম্পর্ক নিয়ে গুঞ্জন ছড়ায়। পরবর্তীতে এই জুটিকে কক্সবাজারসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে এবং বিদেশেও ঘুরতে দেখা গেছে।
মেহজাবীন চৌধুরী ২০০৯ সালে একটি রিয়েলিটি শোয়ের মাধ্যমে মিডিয়া জগতে প্রবেশ করেন। এরপর থেকে তিনি নাটকে নিয়মিত অভিনয় করে আসছেন। তবে এখনও পর্যন্ত তিনি কোনো চলচ্চিত্রে অভিনয় করেননি। অন্যদিকে, আদনান আল রাজীব দেশের অন্যতম জনপ্রিয় নির্মাতা হিসেবে পরিচিত।
সূত্র: ইত্তেফাক
মন্তব্য করুন
বলিউডের প্রথম সারির পরিচালকদের মধ্যে যাঁর নাম দর্শক ও সমালোচকদের কাছে সমাদৃত, তিনি হচ্ছেন অনুরাগ কাশ্যপ। এই মায়ানগরীকে বিদায় জানাচ্ছেন এ স্বনামধন্য পরিচালক। হঠাৎ এ সিদ্ধান্ত নিলেন কেন তিনি? কারণ বলিউড নিয়ে তিনি নাকি মহাবিরক্ত। সন্তোষজনকভাবে কাজ করতে পারছেন না- এমন অভিযোগই করলেন অনুরাগ কাশ্যপ।
তিনি বলেন, বর্তমানে চলচ্চিত্রের মানোন্নয়ন অপেক্ষা ছবির বাণিজ্যিক দিকে বেশি মনোনিবেশ করা হয়। ছবির কাজ শুরুর আগেই স্থির হয়ে যাচ্ছে কীভাবে প্রচার করা হবে, লাভের অঙ্কের পরিমাণ কত হতে পারে ইত্যাদি। এ বিষয়টি নিয়েই তিনি হতাশ। অনুরাগ এমন জায়গায় ছবি বানাতে চান, যেখানে উদ্দীপনা থাকবে। তাই তিনি দক্ষিণী ইন্ডাস্ট্রিতে পাড়ি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলেও জানান।
পরিচালক বলেন, যে যে ছবি ইতোমধ্যে তৈরি রয়েছে, সেগুলোর রিমেক করা হচ্ছে। এই মানসিকতাতেই আমার সমস্যা। এ ছাড়া নতুন প্রজন্মের অভিনেতাদের মধ্যে নেতিবাচক প্রবণতা তৈরি করছে ‘কাস্টিং এজেন্সি’। ভালো অভিনেতা হওয়ার প্রচেষ্টা নয়, বরং রাতারাতি তারকা হওয়ার পেছনে ছুটছেন তারা। তাতে আখেরে কারও লাভ হচ্ছে না, বরং ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে ছবি। তিনি বলেন, অভিনয়ের ওয়ার্কশপে নয়, শুধুই জিমে পাঠানো হচ্ছে তাদের। আদ্যপান্ত গ্ল্যামারকে প্রাধান্য দেওয়া হচ্ছে।
অনুরাগ বলেন, তাদের এমনভাবে মগজ ধোলাই করা হচ্ছে, তারা অভিনয়ে দক্ষতা চেয়ে প্রচারের আলোয় বেশি আকৃষ্ট হচ্ছেন। ছবি নির্মাতাদের সঙ্গে অভিনেতাদের দূরত্ব তৈরি হচ্ছে এবং এর জন্য দায়ী একমাত্র ‘কাস্টিং এজেন্সি’। নতুন প্রজন্মের অভিনেতাদের মাধ্যমে শুধুই অর্থ উপার্জন তাদের লক্ষ্য, নতুন অভিনেতা তৈরির দিকে তাদের নজর নেই বলেও জানান পরিচালক।
মন্তব্য করুন
বিনোদন ডেস্ক:
বলিউড অভিনেত্রী দীপিকা পাড়ুকোন মানেই ভক্তদের কাছে এক দারুণ উন্মাদনার নাম। তার সে যে কোনো সংবাদই সবার কাছে ভীষণ আগ্রহের।
সেপ্টেম্বরে দীপিকার ঘরে নতুন অতিথি আসতে যাচ্ছে। গর্ভবতী হওয়া সত্ত্বেও সিনেমার কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন তিনি। সামনে ‘সিংহাম’ সিনেমার সিক্যুয়ালে দেখা যাবে দীপিকাকে।
অন্যান্য অনেক নায়িকার মতোই দীপিকার একটি অদ্ভূত অভ্যাস রয়েছে। সবসময়েই, নিজের ব্যাগে একটি পেনসিল নিয়ে ঘোরেন দীপিকা।
এ প্রসঙ্গে সম্প্রতি একটি সাক্ষাৎকারে দীপিকা জানান, সবসময়ে তিনি ব্যাগে একটি খাতা আর পেনসিল রাখতে পছন্দ করেন। দীপিকা টেকনোলজি পছন্দ করলেও, বিভিন্ন বিষয় তিনি মোবাইলে না টাইপ করে, খাতায় লিখে রাখতে পছন্দ করেন।
তাই এ কারণে যেখানেই যান না কেন, দীপিকার ব্যাগে থাকে একটি খাতা ও একটি পেনসিল। কলম রেখে পেনসিল কেন- সেই কথাও খোলসা করেছিলেন দীপিকা পাড়ুকোন।
অভিনেত্রী বলেন তিনি পেনসিল ছোলা, আর ভুল হলে ইরেজার দিয়ে সেটা মুছে ফেলার বিষয়টা খুব পছন্দ করেন। শুধু এই একটা কারণ নয়, দীপিকা পেনসিল ব্যবহার করেন আরও একটি কাজেও।
দীপিকা যে জিনিসটি সবসময় ব্যাগে রাখেন
দীপিকা জানিয়েছেন, যদি কোনো সংলাপ বলতে গিয়ে তিনি বারে বারে আটকে যান, তাহলে বিশেষ একটি ব্যায়াম করেন তিনি। দাঁতের মধ্যে পেনসিল চেপে ধরে সেই সংলাপটি বলতে থাকেন কয়েকবার।
এরপরে দাঁত থেকে পেনসিল বের করে নিলেও, সেই সংলাপটি ঝরঝরে হয়ে যায়। এই কাজটিই নাকি আর ও একটি কারণ, যার জন্য কলম নয়, ব্যাগে পেনসিল রাখতেই পছন্দ করেন দীপিকা।
এছাড়া দীপিকা নিজের ব্যাগে মাউথ ফ্রেশনার, ফেস মিস্ট, পারফিউম, মোবাইল স্ট্যান্ডের মতো ছোট ছোট জিনিস নিয়ে ঘুরতে পছন্দ করেন। সঙ্গে থাকে দীপিকার বাড়ির চাবি ও চুল বাঁধার জিনিসও।
মন্তব্য করুন
বিনোদন ডেস্ক:
গত সাত বছর ধরে সম্পর্কে জড়িয়ে ছিলেন সোনাক্ষী সিনহা ও জাহির ইকবাল। গত ২৩ জুন এ তারকা জুটি আইনি মোতাবেক বিয়ের পিঁড়িতে বসেন। এর পর রিসেপশনের আয়োজন হয়। এ তারকা জুটির বিয়েতে ছিল না কোনো ধর্মীয় আচার। বিয়ের পর সোনাক্ষী ধর্ম পরিবর্তন করবেন না বলেও জানিয়েছিলেন জ়াহির ইকবালের বাবা।
এদিকে বিয়ের দিন রিসেপশেন দেখা যায়নি অভিনেত্রীর দুই ভাই লব সিনহা ও কুশ সিনহার। এ নিয়ে চারদিকে সমালোচনা শুরু হয়। বিয়েতে এসেছিলেন শত্রুঘ্ন সিন্হাসহ পরিবারের অন্য সদস্যরা। এ নিয়ে নেটিজেনদের মাঝে মিশ্র সমালোচনা হয়।
নানা রকম সমালোচনার মাঝে অবশেষে মুখ খুললেন লব সিন্হা। সামাজিকমাধ্যমে একটি পোস্ট করে সোনাক্ষী ও জ়াহিরের বিয়ে নিয়ে কথা বলেন তিনি। লব সিনহা বলেন, এত সমালোচনা সত্ত্বেও পরিবারের প্রতি তার ভালোবাসা কোনোভাবেই কমবে না। পরিবারই তার কাছে প্রাথমিক বিষয়।
কেন তিনি বিয়েতে উপস্থিত থাকেননি জানিয়ে লব সিনহা লিখেছেন— ‘কেন আমি বিয়েতে উপস্থিত থাকিনি, এটিই হলো প্রশ্ন! আমার বিরুদ্ধে কিছু মিথ্যে কথা প্রচার করে কোনো লাভ নেই। আমার কাছে সব সময় আমার পরিবারই অগ্রাধিকার পাবে।‘
এমন প্রশ্ন সোনাক্ষীর আরেক ভাই কুশ সিনহাকে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেন, সেই সময় লব বলেছিল— ‘দু’একটা দিন সময় দিন। আমার যদি মনে হয়, তা হলে আমি নিশ্চয়ই এই প্রশ্নের উত্তর দেব।‘
বিয়েতে আসেন শত্রুঘ্ন সিনহা। বাবা হিসেবে মেয়ের বিয়েতে আবেগপ্রবণ হয়ে পড়বেন এটাই স্বাভাবিক। সিনহা পরিবারের নয়নমণি সোনাক্ষী সিনহা। মা-বাবার চোখের মধ্যমণি। তাই বিয়ের দিনে বাবা শত্রুঘ্ন সিনহা আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েন। কন্যার জীবনের নতুন ইনিংসে যেমন তিনি উচ্ছ্বসিত, তেমনি চাপাকান্না বুকে কষ্ট।
নিজস্ব অ্যাপার্টমেন্ট ‘অওরিয়েত’-এ ঘনিষ্ঠ আত্মীয়স্বজনদের সাক্ষী রেখে আইনি বিয়ে সারেন সোনাক্ষী সিনহা ও জাহির ইকবাল। পরনে নবদম্পতির দুধ সাদা পোশাক। মেয়ের পাশেই হাসিমুখে দাঁড়িয়েছিলেন শত্রুঘ্ন সিনহা।
সেই অনুষ্ঠানে প্রবীণ অভিনেতা বললেন, ‘মেয়েকে পছন্দের পাত্রের হাতে তুলে দেবেন বলে সব বাবাই এই দিনটির জন্য অপেক্ষা করে থাকেন। জাহিরের সঙ্গে আমার মেয়েকে সব থেকে বেশি খুশি থাকতে দেখেছি। তারা সুখে থাকুক, এ প্রার্থনাই করি।‘
জাহির ইকবালের প্রশংসায় পঞ্চমুখ শত্রুঘ্ন সিনহা বলেন, ‘গুড বয়’ জাহির। খুব ভালো ছেলে। আমার মেয়েকে ভালো রাখবে ওৃ।‘ তিনি আরও বলেন, ’৪৪ বছর আগে আমি একজন সফল, সুন্দরী ও ভীষণ ট্যালেন্টেড একটি মেয়েকে নিজের পছন্দে বিয়ে করেছিলাম। সে হচ্ছে পুনম সিনহা। আজ আমার মেয়ে সোনাক্ষীর পালা। ওর পছন্দই আমাদের পছন্দ। ওর নিজের জীবনসঙ্গী বেছে নেওয়ার এই সিদ্ধান্তকে আমি পূর্ণ সমর্থন করি।‘
উল্লেখ্য, এর আগে সোনাক্ষী-জাহিরের বিয়ের খবর গণমাধ্যমে প্রকাশ্যে আসতেই শোনা গিয়েছিল শত্রুঘ্ন নাকি এ বিষয়ে কিছুই জানেন না বলে জানান। তিনি বলেছিলেন— এই প্রজন্মের সন্তান কারও অনুমতি নেওয়ার প্রয়োজন মনে করে না। ওরা শুধু নিজেদের সিদ্ধান্ত জানায়।
সেই থেকেই জল্পনার সূত্রপাত যে, জামাই হিসেবে জাহির ইকবালকে হয়তো পছন্দ নয় শত্রুঘ্ন সিনহার তাই এমন কথা বলেছিলেন! তবে বিয়ের দুদিন আগেই নিন্দুকদের ‘চুপ’ করে দিয়ে জাহির ইকবালকে বুকে টেনে নেন শত্রুঘ্ন সিনহা।
মন্তব্য করুন