বিনোদন ডেস্ক:
ঢাকাই সিনেমার নায়িকা ও দন্ত চিকিৎসক মিষ্টি জান্নাত আরেক চিত্রনায়িকা তমা মির্জা’র বিরুদ্ধে ২০ কোটি টাকার মানহানির মামলা করার ঘোষণা দিয়েছেন। তমা মির্জার পাঠানো আইনি নোটিশে মিষ্টির বিরুদ্ধে ১০ কোটি টাকার মানহানির মামলার খবরের পর মিষ্টি জান্নাত এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
জানা গেছে, মানহানিকর মন্তব্যের অভিযোগ এনে জনসম্মুখে ক্ষমা চাওয়া এবং দশ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ চেয়ে আইনি নোটিশটি মিষ্টির বিরুদ্ধে দিয়েছেন তমা। বৃহস্পতিবার (২৩ মে) রেজিস্ট্রি ডাকযোগে তমা মির্জার পক্ষে নোটিশটি পাঠান তার আইনজীবী ব্যারিস্টার সজীব মাহমুদ আলম। আগামী সাত দিনের মধ্যে এ নোটিশের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
তবে এখনো নোটিশ পাননি বলে জানিয়েছেন মিষ্টি জান্নাত। সংবাদ মাধ্যমের বরাতে এই ব্যাপারে অবগত হয়েছেন বলে জানিয়েছেন এই আলোচিত চিত্রনায়িকা।
এ প্রসঙ্গে মিষ্টি জান্নাত বলেন, পরিষ্কার বলতে চাই, সাক্ষাৎকারে আমি তার নাম উল্লেখ করে কিছুই বলিনি। উনি কেন গায়ে মাখলেন জানি না। এখন আমি পাল্টা আইনি ব্যবস্থা নেব। এরকম মিথ্যা নোটিশ দিয়ে হয়রানি করার মানে কি? এখন আমাকেও আইনের দ্বারস্থ হতে হবে। এরই মধ্যে আইনজীবীর সঙ্গে কথা বলেছি। ভিত্তিহীন অভিযোগ এনে আমার সম্মানহানি করায় উল্টো ২০ কোটি টাকার মানহানি মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছি। সাপ্তাহিক ছুটির দিন শেষ হলেই ব্যবস্থা নেব।
মূলত উপস্থাপক শাহরিয়ার নাজিম জয়কে কেন্দ্র করে ঘটনার সূত্রপাত। মিষ্টি জান্নাতের একটি ভিডিও সাক্ষাৎকার মোটেও ভালোভাবে নেননি তমা মির্জা। সম্প্রতি তমা মির্জা নিজের ফেসবুকে এক স্ট্যাটাস দিয়েছিলেন। এতে তমা কারো নাম উল্লেখ না করলেও স্পষ্ট তিনি মিষ্টি জান্নাতকে ইঙ্গিত করে স্ট্যাটাসটি দিয়েছিলেন। এরপর সবকিছু ছিল নীরব ভূমিকায়। হঠাৎ করে তমার আইনি নোটিশের খবরে ফের উত্তাল ঢালিউড।
মিষ্টি জান্নাত বলেন, বিষয়টি ছিল জয় ভাই ও আমার মধ্যে। মাঝখানে তিনি এসে ঢুকে গেলেন। ইঙ্গিতপূর্ণ একটা স্ট্যাটাস দিয়ে শুরুটা কিন্তু তিনিই করেছেন। তারপরও আমি চুপচাপ ছিলাম। ঘটনা যখন শেষের দিকে তখন তিনি উড়ে এসে জুড়ে বসেছেন। কোনো ইউটিউবার যদি আমার সাক্ষাৎকারের সঙ্গে নিজের মন মতো থাম্বনেল এবং ক্যাপশন জুড়ে দেয় সেই দায়ভার তো আমি নেব না। কারণ, আমি তো তাকে নিয়ে কিছু বলিনি। সে বিষয়টি নিয়ে আমার সঙ্গে কথা বলতে পারত। তা না করে আদালতে গিয়েছে। এখন আমিও আইনি ভাবেই বিষয়টি দেখব।
মন্তব্য করুন
বিনোদন ডেস্ক:
বলিউডের অন্যতম জনপ্রিয় অভিনেত্রী রাবিনা ট্যান্ডন। বিতর্কে জড়াতে খুব একটা দেখা যায় না তাকে। তবে এই অভিনেত্রী এবার নিজেকে বিতর্কে জড়ালেন। পথচারীদের হামলার শিকার হয়েছেন এ অভিনেত্রী।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের এক প্রতিবেদনে উঠে এসেছে, মুম্বাইয়ের রাস্তায় মধ্যরাতে রাবিনার চালক বেপরোয়া গাড়ি চালানোর কারণে মুম্বাইয়ের কার্টার রোডে রিজভি কলেজের সামনে একই পরিবারের তিনজন আহত হয়েছেন। এই ঘটনার পর স্থানীয়রা যখন তার গাড়ি ঘিরে ধরেন তখন অভিনেত্রী নেমে আসেন।
এই ঘটনায় ক্ষমা চেয়ে বিষয়টা মেটানোর বদলে নাকি অভিনেত্রী তাদের উপর পাল্টা চড়াও হয়ে তর্ক করেন। তাতে তারা ক্ষেপে যান।
যারা এই দুর্ঘটনায় পড়েছিলেন তাদের মধ্যে বয়স্ক মানুষও ছিলেন। তারা অভিনেত্রীকে মারতে এলে তখন তিনি ক্ষমা চাইতে শুরু করেন এবং অনুরোধ করেন তাকে যেন মারা না হয়। আর সেই ঘটনার ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে।
এছাড়া জানা গিয়েছে এদিন অভিনেত্রী মদ্যপ অবস্থায় ছিলেন। তিনি, তার স্বামী এবং যাদের তিনি হেনস্থা করেছিলেন সকলেই থানায় গিয়েছিলেন। তবে পুলিশ অভিনেত্রীর বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করতে দেয়নি, এমনটাই জানিয়েছেন আহতদের স্বজন।
মন্তব্য করুন
বিনোদন ডেস্ক:
অভিনয় ও নাচের জন্য বলিউডে বেশ জনপ্রিয় অভিনেত্রী মাধুরী দীক্ষিত। তিনি এবার খবরের শিরোনামে হয়েছেন তার নতুন গাড়ির জন্য।
মাধুরী এবং তার স্বামী ডা. শ্রীরাম নেনে সম্প্রতি একটি অত্যন্ত দামি গাড়ি কিনেছেন, যা ইতোমধ্যেই তাদের ভক্তদের মধ্যে ব্যাপক আলোচনা সৃষ্টি করেছে। তাদের লাল রঙের ফেরারি 296 GTS গাড়িটির মূল্য ৬.২৪ কোটি টাকা। এই গাড়িতে 2992 cc ইঞ্জিন রয়েছে এবং এটি একটি ভেরিয়েন্টে পাওয়া যায়।
গাড়িটির পেছনের মিড-ইঞ্জিন এবং রিয়ার-হুইল ড্রাইভ সিস্টেম রয়েছে। মাধুরীর নতুন গাড়ি সংগ্রহে ফেরারি 296 GTS ছাড়াও আরও কিছু বিলাসবহুল গাড়ি রয়েছে।
মাধুরী দীক্ষিতের সংগ্রহে বেশ কিছু গাড়ি রয়েছে। তার সংগ্রহে রয়েছে একটি Mercedes-Maybach S560, Range Rover Vogue, এবং Porsche 911 Turbo S। এই গাড়িগুলোর দাম প্রায় ৩.০৮ কোটি টাকা। মাধুরী দীক্ষিতের গাড়ি সংগ্রহের মধ্যে এসব গাড়ি তাদের বিলাসিতা এবং দাম দিয়ে অনেকেরই দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে।
মাধুরী দীক্ষিত শেষ দেখা গিয়েছিল আনিস বাজমীর পরিচালিত ‘ভুল ভুলাইয়া 3’-তে। এই ছবিতে মাধুরী দীক্ষিতের সঙ্গে অভিনয় করেছেন বিদ্যা বালান, তৃপ্তি দিমরি, রাজপাল যাদব, বিজয় রাজ, সঞ্জয় মিশ্র, অশ্বিনী কালসেকর এবং রাজেশ শর্মা।
মন্তব্য করুন
বিনোদন ডেস্ক:
বলিউড অভিনেত্রী মালাইকা আরোরা। সম্প্রতি নিজের একটি ফ্ল্যাট ভাড়া দিয়েছে অভিনেত্রী। কারণ হিসেবে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম আনন্দবাজার জানিয়েছে, অর্থকষ্টে রয়েছেন তিনি।
মালাইকাকে সিনেমা থেকে এখন বেশিরভাগ সময় বিচারকের আসনেই দেখা যায়। আর সেখানে তিনি পারিশ্রমিক যে কম নেন তেমনটাও না। কিন্তু ধারণা করা হচ্ছে আর্থিকভাবে কিছুটা সমস্যায় আছেন অভিনেত্রী। এজন্যই নিজের পালি হিলস্-এর ফ্ল্যাটটি ভাড়া দিয়েছেন। যা ভাড়া নিয়েছেন মুম্বাইয়ের খ্যাতনামা পোশাকশিল্পী কশিশ হন্স।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম আনন্দবাজার পত্রিকার খবরে জানা যায়, মুম্বাইয়ে অভিজাত এলাকা, যেমন বান্দ্রা, পালি হিলসে, এমন বেশ কিছু জায়গায় ফ্ল্যাট রয়েছে অভিনেত্রীর। তারই একটি ফ্ল্যাট ভাড়া দিয়েছেন তিনি। মাসিক দেড় লাখ টাকায় ফ্ল্যাটটি তিন বছরের জন্য ভাড়া দিয়েছেন মালাইকা। তবে প্রতি বছর ৫ শতাংশ করে বাড়বে ভাড়া। এ ছাড়া বান্দ্রায় যে ফ্ল্যাটটি রয়েছে অভিনেত্রীর, সেটিও না কি ভাড়া দেওয়া রয়েছে। যদিও মালাইকা নিজে যে বাড়িতে থাকেন বান্দ্রা এলাকাতেই, সেটির আনুমানিক মূল্য প্রায় ১৬ কোটি টাকা।
সম্প্রতি অভিনেত্রী আরও একটি ফ্ল্যাট কিনেছেন, যেটি তৈরি হয়ে হাতে পাওয়া নিয়ে বেশ কিছু জটিলতা দেখা দিয়েছে।
উল্লেখ্য, আরবাজ খানের সঙ্গে মালাইকার বিবাহ বিচ্ছেদের বেশ কয়েক বছর হয়ে গেছে। বিবাহ বিচ্ছেদের পর থেকেই ‘খান’ পদবি নিজের নাম থেকে সরিয়ে দিয়েছেন মালাইকা।তবে ছেলে আরহাহের কারণে সৌজন্যমূলক একটা সম্পর্ক বজায় রেখেছেন তারা।
মন্তব্য করুন
‘করণ অর্জুন’ ছবিটি পরিচালনা করতে গিয়ে কালঘাম ছুটেছিল বলিউড পরিচালক-প্রযোজক রাকেশ রোশনের। ছবির দুই প্রধান নায়ক, শাহরুখ খান ও সালমান খান, এর অন্যতম কারণ ছিলেন। সম্প্রতি মুক্তি পেয়েছে তথ্যচিত্র সিরিজ ‘দ্য রোশনস’। সেখানে পরিচালক রাকেশ রোশন বলিউড বাদশাহ শাহরুখ খান ও ভাইজানখ্যাত সালমান খানের সঙ্গে কাজ করার অভিজ্ঞতা শেয়ার করেছেন। তিনি জানান, প্রতিদিন শুটিংয়ে যাওয়ার আগে ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করতেন।
এই ছবির গল্প নিয়ে শাহরুখ ও সালমানের কোনো আগ্রহই ছিল না। রাকেশ রোশন বলেন, "তাদের প্রতি কোনো আস্থা ছিল না, এবং তারা ছবির বিষয়ে মোটেও সিরিয়াস ছিল না।" এমনকি এই তথ্যচিত্রে শাহরুখ খান নিজেই স্বীকার করেছেন যে, সেই সময় তিনি দুর্ব্যবহার করতেন। এজন্য তিনি রাকেশ রোশনের স্ত্রীর কাছ থেকেও বকুনি খেয়েছিলেন। রাকেশ রোশন ভয়ে ভয়ে থাকতেন, যাতে তিনি নিজের মেজাজ হারিয়ে ফেলেন না।
পরিচালক জানান, "সব ছবিতেই আমি নিশ্চিন্তে কাজ করেছি, কিন্তু 'করণ অর্জুন' ছবিতে প্রথম থেকেই সমস্যা ছিল। একেক দিন ভাবতাম, কেন এসব ঘটছে? তবে মেনে নিয়েছিলাম।" তিনি আরও বলেন, "প্রতিদিন সকালে প্রার্থনা করতাম— যেন আমি মেজাজ হারিয়ে না ফেলি। এই ছেলে দুটো অপরিণত। তারা যেমন আচরণ করছে করুক, আমি যেন মাথা গরম না করি এবং কাজটা শেষ করি।"
রাকেশ রোশন জানান, সালমান ও শাহরুখের ছবির গল্প নিয়ে কোনো আগ্রহই ছিল না। তিনি মনে করেন, "একদিন একটি দৃশ্যের শুটিংয়ের সব কিছু প্রস্তুত হয়ে গিয়েছিল, সূর্য ডোবার মুখে, কিন্তু তারা কোথাও ছিল না। শেষ মুহূর্তে তারা এল এবং তাড়াহুড়ো করে শুটিং শুরু করল।"
এই সিরিজে বর্ষীয়ান অভিনেতা শত্রুঘ্ন সিংহও তার অভিজ্ঞতা শেয়ার করেছেন। তিনি বলেন, "ওরা সত্যিই খুব যন্ত্রণা দিয়েছিল রাকেশ রোশনের, কোনো সহযোগিতা করেনি। এমন পরিস্থিতি দেখে রাকেশের স্ত্রী তাদের খুব বকাঝকা করেছিলেন।"
শাহরুখ খান তার কথায় বলেন, "সালমান আর আমার মধ্যে আমার আচরণ তুলনামূলক ভালো ছিল। অন্তত আমি সামনে ভালো ব্যবহার করতাম। আমরা দুজন বাচ্চা মিলে একজন পিতৃসম ব্যক্তিকে খুব জ্বালিয়েছিলাম।"
মন্তব্য করুন
গত ৫ মে মুক্তি পায় বাঙালি পরিচালক সুদীপ্ত সেন নির্মিত ‘দ্য কেরালা স্টোরি’। ট্রেলার প্রকাশের পরপরই এই নিয়ে বিতর্ক মাথাচাড়া দিয়ে ওঠে। ছবি মুক্তির পর দ্বিগুণ হয় বিতর্ক। যার জেরেই মুক্তির চার দিনের মাথায় এই ছবিকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করে পশ্চিমবঙ্গ সরকার। অভিযোগ, এই ছবি সাম্প্রদায়িকতাকে উস্কানি দিচ্ছে।
অশান্তি এড়াতে তাই পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ছবিটিকে এ রাজ্যে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেন। তিনি জানান, রাজ্যের শান্তিশৃঙ্খলা বজায় রাখতেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। মমতার নির্দেশের পরের দিনই ছবিটিতে নিষেধাজ্ঞা তোলার আর্জিতে শীর্ষ আদালতে যান নির্মাতারা। সেন্সর বোর্ডের ছাড়পত্র থাকা সত্ত্বেও বাংলায় কেন দেখানো হবে না এই ছবি? কারণ জানতে চেয়ে শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হয় টিম ‘দ্য কেরালা স্টোরি’।
প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বাধীন ডিভিশন বেঞ্চ এই প্রসঙ্গে গত সপ্তাহে নোটিশ দেয় রাজ্য সরকারকে। বুধবার পরবর্তী শুনানি। তার আগে রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়, এই ছবি পক্ষপাতদুষ্ট। এখানে তথ্য বিকৃত করা হয়েছে যা বিশেষ সম্প্রদায়ের ভাবাবেগে আঘাত আনতে পারে। রাজ্যের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি ও আইনশৃঙ্খলার পরিবেশ নষ্টের আশঙ্কা রয়েছে বলে জানিয়েছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার।
এই ছবির ওপর পশ্চিমবঙ্গে নিষেধাজ্ঞা আরোপের সিদ্ধান্তের সমালোচনা করে সুপ্রিম কোর্ট। শুনানি চলাকালীন দেশের প্রধান বিচারপতি প্রশ্ন করেন, ‘ভারতের অন্যান্য অংশে এই ছবি মুক্তি পেতে পারলে পশ্চিমবঙ্গে নয় কেন?’ পাল্টা রাজ্য সরকারের যুক্তি, রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখা রাজ্য প্রশাসনের দায়িত্ব। রাজ্য সরকার প্রযোজক বিপুল শাহকে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার দাবিও খারিজ করে দিয়েছে।
প্রসঙ্গত, পশ্চিমবঙ্গে নিষিদ্ধ হলেও ভারতজুড়ে রমরমিয়ে ব্যবসা করছে ছবিটি। ইতোমধ্যে দেড় শ কোটি রুপির আয় ছাড়িয়েছে। এতে বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন আদা শর্মা, যোগিতা বিহানি, সোনিয়া বালানি, সিদ্ধি ইদনানি, দেবদর্শিনী, বিজয় কৃষ্ণ, প্রণয় পাচৌরি, প্রণব মিশ্র প্রমুখ।
মন্তব্য করুন
বিনোদন ডেস্ক:
এবার বলিউডের উঠতি নায়িকা অনন্যা পান্ডের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক ভাঙল অভিনেতা আদিত্য রায় কাপুরের। তাদের ঘনিষ্ঠ এক বন্ধু বম্বে টাইমসকে বলেন, ‘এক মাস আগে আদিত্য-অনন্যা তাদের সম্পর্কের ইতি টেনেছেন। তাদের ব্রেকআপ হলেও তাদের মাঝে সৌহাদ্যপূর্ণ সম্পর্ক রয়েছে।’
এর আগে ‘খালি পিলি’ সিনেমার সহশিল্পী অর্থাৎ শহিদ কাপুরের ভাই ইশান কাট্টারের সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়েছিলেন অনন্যা। সেই সময় শহিদ কাপুরের পরিবারের সঙ্গেও তার ঘনিষ্ঠতা ছিল। ইশানকে নিয়েও মালদ্বীপে ছুটি কাটিয়েছেন অনন্যা। এরপর আদিত্যর সঙ্গে সম্পর্কে জড়ান অনন্যা। এ জুটি দীর্ঘ ২ বছর সম্পর্কে ছিলেন। যদিও বিচ্ছেদের বিষয়ে এখনো মুখ খুলেননি তাদের কেউ-ই।
সম্প্রতি সময়ে অনন্যা পান্ডে কাজের চেয়ে ব্যক্তিগত জীবনে একাধিক প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে খবরের শিরোনাম হয়েছেন। তবে অভিনেতা আদিত্য রায় কাপুরের সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়ে কোনো রাখঢাক করেননি অনন্যা।
উল্লেখ্য, ২০১৯ সালে ‘স্টুডেন্ট অব দ্য ইয়ার’ সিনেমার মাধ্যমে বলিউডে পা রাখেন অনন্যা পান্ডে। তারপর বেশ কিছু সিনেমায় দেখা গেছে তাকে। অনন্যা পান্ডে অভিনীত সর্বশেষ মুক্তিপ্রাপ্ত সিনেমা ‘খো গায়ে হাম কাঁহা’।
মন্তব্য করুন
শুনতে অবাক লাগলেও ঘটনা সত্যি। মুম্বাইয়ের যানজট থেকে বাঁচতে অচেনা এক ব্যক্তির বাইকে চেপে বসেন বলিউড শাহেনশাহ অমিতাভ বচ্চন। এবং সেটিতে করে সঠিক সময়ে শুটিংয়ে পৌঁছান। পুরো ঘটনায় বেশ কৃতজ্ঞ অভিনেতা। সোশ্যাল হ্যান্ডেলে ছবি প্রকাশ করে ধন্যবাদ জানিয়েছেন অচেনা বন্ধুটিকে।
ইনস্টাগ্রাম হ্যান্ডেলে বিগ বি লিখলেন, ‘এই যাত্রার জন্য ধন্যবাদ বন্ধু। তোমায় চিনি না। কিন্তু তুমি যে দায়িত্ব নিয়ে আমায় পৌঁছে দিলে, প্রশংসনীয়। মুম্বাইয়ের জ্যাম থেকে বাঁচিয়ে তাড়াতাড়ি আমায় পৌঁছে দিলে, ধন্যবাদ! হলুদ জামা এবং সাদা টুপির মালিক।’
এই আপদকালীন যাত্রায় নামও জানেননি সেই আগন্তুকের। কিন্তু তারপরও ধন্যবাদ জানাতে ভোলেননি অমিতাভ।
এমন একটি নয়নাভিরাম দৃশ্য দেখে মুগ্ধতা ঝরে পড়েছে নেটাগরিকদের কণ্ঠে। পাশাপাশি সতর্ক করেছেন উভয়কেই। হেলমেট না পরতেই কেউ কেউ বলে বসলেন, ‘দুজনেই হেলমেট ব্যবহার করুন। কখন বিপদ আসে বলা যায় না।’
মন্তব্য করুন
দেশের জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী হৃদয় খান সংগীতের পাশাপাশি তার ব্যক্তিগত জীবন নিয়েও মাঝে মধ্যেই আলোচনায় আসেন। বিশেষ করে বারবার বিয়ে ও বিচ্ছেদের কারণে তিনি একাধিকবার শিরোনাম হয়েছেন।
এই তারকা গায়ক ক্যারিয়ারের শুরুর দিকে ২০১০ সালে পূর্ণিমা আকতার নামের একজনকে বিয়ে করেছিলেন। কিন্তু মাত্র ছয় মাস পরেই তাদের সংসার ভেঙে যায়। এর কয়েক বছর পর তিনি নিজের থেকে বয়সে বড় জনপ্রিয় মডেল ও অভিনেত্রী সুজানা জাফরকে বিয়ে করে আলোচনায় আসেন। ২০১৪ সালের ১ আগস্ট তিনি সুজানাকে বিয়ে করেন, কিন্তু এই বিয়েও বেশি দিন টিকে না। ২০১৫ সালের ৬ এপ্রিল তাদের বিচ্ছেদ ঘটে।
সুজানার সঙ্গে বিচ্ছেদের কিছুদিন পরই ২০১৭ সালের ১০ সেপ্টেম্বর পারিবারিক আয়োজনে হুমায়রাকে বিয়ে করেন হৃদয় খান। কিন্তু এই বিয়েও টিকল না। এবার জানা গেল, হুমায়রার সঙ্গেও বিচ্ছেদ হয়েছে হৃদয় খানের।
বিয়ের পর কয়েক বছর সংসার করলেও হৃদয় খানের আচরণ ও জীবনযাপনে অতিষ্ঠ হয়ে হুমায়রা তাকে ডিভোর্স দিয়েছেন। হৃদয় খানের পারিবারিক সূত্র থেকে সংবাদমাধ্যমকে এই তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে। সূত্রটি জানিয়েছে, অনেক আগেই হুমায়রা ও হৃদয়ের বিচ্ছেদ হয়েছে। হৃদয়ের ওপর বিভিন্ন কারণে বিরক্ত হয়ে হুমায়রা ডিভোর্স লেটার পাঠিয়েছেন। তবে বিষয়টি হৃদয় ও তার পরিবার গোপন রেখেছিলেন।
এ ব্যাপারে জানতে সংবাদমাধ্যম হৃদয় খানের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, "বিষয়টি খুবই সেনসেটিভ। এ জন্য আপাতত এ নিয়ে কোনো কথা বলতে চাই না। তবে অন্য কোনো কথা থাকলে বলুন।"
অন্যদিকে, হৃদয় খানের বাবা সংগীত পরিচালক রিপন খান এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে অস্বীকার করেন। তিনি বলেন, "এ ব্যাপারে কোনো কথা বলতে চাই না আমি। হৃদয়ের সঙ্গেও বিষয়টি নিয়ে আমার কোনো আলোচনা হয়নি। এ নিয়ে কথা বলতে ইচ্ছুক নই।"
মন্তব্য করুন
বিনোদন ডেস্কঃ
টিভি নাটকের জনপ্রিয় অভিনেতা জাহিদ হাসান। তবে ইদানীং ওটিটি কনটেন্টের কাজে ব্যস্ত তিনি। দীর্ঘদিন ধরেই বিশেষ দিবসের কোনো নাটক ছাড়া টিভিতে তার উপস্থিতি মিলছে না।
অভিনেতা নিজেও বলেছেন, টিভি নাটকে অভিনয় তিনি কমিয়ে দিয়েছেন। এখন মনযোগী হয়েছেন ওয়েবের কাজে।
কিছুদিন আগেই জানিয়েছেন নতুন তিন ওয়েবের কাজে যুক্ত হওয়ার খবর। সম্প্রতি সিরিজটির কাজও তিনি শেষ করেছেন। তবে এ বিষয়ে এখনই বিস্তারিত বলতে নারাজ এ অভিনেতা। এটুকু নিশ্চিত যে, রায়হান রাফী পরিচালিত এ সিরিজের নাম ‘যাহা বলিব যত্য বলিব’।
এখানেও তৈরি হয়েছে নায়িকা নিয়ে রহস্য! এতে আগে থেকেই প্রার্থনা ফারদিন দীঘির কাজ করার কথা ছিল। কিন্তু দীঘি জানান, তিনি এ সিরিজে কাজ করেননি।
তাহলে কে করেছে? এরইমধ্যে গুঞ্জন উঠে তমা মির্জার নাম। তবে এর সত্যতা এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি। অভিনয়শিল্পী, নির্মাতা ও প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান কেউ এখনই এ বিষয়ে কথা বলতে আগ্রহী নন। শিগগিরই আনুষ্ঠানিকভাবে বিস্তারিত জানানো হবে বলে নিশ্চিত করেন তারা।
জাহিদ হাসান বলেন, আমার কাজ অভিনয় করা। আমি সেটিই করছি। প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান আনুষ্ঠানিকভাবে সব কিছু গণমাধ্যমে জানাবে। তাদের নিশ্চয়ই প্রচারের প্ল্যান রয়েছে।
জানা গেছে, কক্সবাজারের এক বিচারবহির্ভূত হত্যাকান্ড ঘিরে এই সিরিজের গল্প। এটি একটি অনলাইন পেইড ভার্সনের জন্য নির্মিত হয়েছে। তবে একে প্রথমে সিনেমা ট্যাগ দিয়ে প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি দেওয়ার চিন্তা করছে প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান।
এর আগেও তারা একই প্রক্রিয়ায় ‘৩৬-২৪-৩৬’ নামে একটি ওয়েব কনটেন্ট সিনেমা বলে প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি দিয়েছে। সেটি অবশ্য দর্শক খরায় মুখ থুবরে পড়ে।
মন্তব্য করুন
নির্মাতা আদনান আল রাজীবের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে প্রেমের সম্পর্কে জড়িত অভিনেত্রী মেহজাবীন চৌধুরী। শোবিজ জগতে এই খবরটি কারও অজানা নয়। এবার তাদের এই সম্পর্ককে বিয়ের বন্ধনে আবদ্ধ করতে চলেছেন এই জুটি।
চলতি মাসেই আদনান আল রাজীবের সঙ্গে বিয়ের পিঁড়িতে বসতে চলেছেন মেহজাবীন চৌধুরী। অভিনেত্রীর ঘনিষ্ঠ সূত্র থেকে এই তথ্য জানা গেছে।
সবকিছু ঠিক থাকলে আগামী ২৪ ফেব্রুয়ারি বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করবেন মেহজাবীন ও রাজীব। এর একদিন আগে, অর্থাৎ ২৩ ফেব্রুয়ারি গায়ে হলুদের অনুষ্ঠানটি সম্পন্ন হবে। ঢাকার অদূরের একটি রিসোর্টে এই বিয়ের আয়োজন চলছে বলে জানা গেছে।
অন্যদিকে, আদনান আল রাজীবের সঙ্গে সম্পর্ক নিয়ে শুরু থেকেই নীরব মেহজাবীন চৌধুরী। বিয়ের খবর নিয়েও কোনো মন্তব্য করেননি এই অভিনেত্রী। তার সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি কোনো সাড়া দেননি।
২০১৯ সালে আদনান আল রাজীবের সঙ্গে ঢাকার একটি শপিং মলে মেহজাবীনের হাত ধরে হাঁটার একটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়। এরপর থেকেই তাদের সম্পর্ক নিয়ে গুঞ্জন ছড়ায়। পরবর্তীতে এই জুটিকে কক্সবাজারসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে এবং বিদেশেও ঘুরতে দেখা গেছে।
মেহজাবীন চৌধুরী ২০০৯ সালে একটি রিয়েলিটি শোয়ের মাধ্যমে মিডিয়া জগতে প্রবেশ করেন। এরপর থেকে তিনি নাটকে নিয়মিত অভিনয় করে আসছেন। তবে এখনও পর্যন্ত তিনি কোনো চলচ্চিত্রে অভিনয় করেননি। অন্যদিকে, আদনান আল রাজীব দেশের অন্যতম জনপ্রিয় নির্মাতা হিসেবে পরিচিত।
সূত্র: ইত্তেফাক
মন্তব্য করুন