বলিউড তারকা সালমান খান পশ্চিমবঙ্গের এ সপ্তাহে কলকাতা সফরে গিয়েছিলেন। যেখানেই সালমান পা রেখেছেন, তাকে দেখতে ভক্তরা ভিড় জমিয়েছিলেন। কিন্তু সালমানের সঙ্গে আলাদা করে দেখা করার সুযোগ পেয়েছিলেন টলিপাড়ার অভিনেত্রী আয়ুশী তালুকদার।
সালমানের ভক্ত আয়ুশী বলেন, যে দিন প্রথম শুনেছিলাম যে, উনি কলকাতায় আসছেন, তখন থেকে আমি চেষ্টা করছিলাম। কিন্তু তার চারপাশে কড়া নিরাপত্তা। তাই বুঝতে পারছিলাম না, কীভাবে সাক্ষাৎ কবে। শেষে অভিনেত্রী পূজা বন্দ্যোপাধ্যায়ের চেষ্টায় সালমানের সঙ্গে দেখা করেন আয়ুশী।
তিনি বলেন, পূজা মুম্বাইয়ে কাজ করেন। সালমানের টিমের একজনের সঙ্গে তার পরিচয় ছিল। তাতেই বিষয়টা সহজ হয়ে যায়।
আয়ুশী জানালেন, শোয়ের শেষে মাঝরাতে সালমানের হোটেলের স্যুইটে সুপারস্টারের সঙ্গে তিনি ও পূজা দেখা করেন। উচ্ছ্বসিত কণ্ঠে বললেন, শেরা দরজার বাইরে ছিলেন। আমি ভেতরে ঢোকার পর চোখের সামনে সালমানকে দেখে বিশ্বাস করতে পারছিলাম না! আমাদের দেখেই এমনভাবে সোফায় বসতে বললেন যেন কত দিনের পরিচিত।
তারপর শো কেমন হয়েছে, আয়ুশীর কাছে তা জানতে চান সালমান। আয়ুশী বললেন, উনি তার আগেই ৩-৪ ঘণ্টা পারফর্ম করেছেন। এ দিকে রাত ২টার দিকে আবার মুম্বাইয়ের বিমান ধরবেন। কিন্তু দেখে বোঝার উপায় নেই।
সালমানের সঙ্গে শুধু ছবি তোলাই নয়, অভিনেতার আতিথেয়তায় মুগ্ধ আয়ুশী। বললেন, উনি আমাদের স্ন্যাক্স অফার করলেন। আমি সেটা খাব কী, তখন সময়টা আমার জন্য থেমে গিয়েছিল।
সালমানের জন্য তার টিমের তরফে কলকাতার বিশেষ বিরিয়ানির বন্দোবস্ত করা হয়েছিল। আয়ুশী বললেন, উনি জানতেন যে, আমরা শো দেখে সরাসরি এসেছি। আমাদের বিরিয়ানি অফার করলেন। আরও একবার আমার অবাক হওয়ার পালা। কিন্তু শেষ পর্যন্ত আর খাইনি।
মুম্বাই ফিরে ‘টাইগার ৩’ ছবির শুটিংয়ে যোগ দেবেন সালমান। মঙ্গলবার এই শিডিউলে সালমানের সঙ্গে শাহরুখ খানের ক্যামিয়ো অংশের শুটিং হওয়ার কথা। আয়ুশীকে সেই শুটিংয়ে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন সালমান। তিনি বলেন, ‘‘পুজাদির বাড়ির পাশেই লোকেশন। আমাকে শুটিং দেখতে আমন্ত্রণ করেছেন সালমান। হতেই পারে, সোমবার রাতেই আমি ফ্লাইটে মুম্বাই পৌঁছে যেতে পারি!
সালমানের সঙ্গে মাত্র ১৫ মিনিটের জন্য দেখা করেছিলেন আয়ুশী। বললেন, অল্প কয়েকজন বলিউড তারকার সঙ্গে দেখা করার সৌভাগ্য আমার হয়েছে। কিন্তু সালমানের সামনে সেগুলো তুচ্ছ। এই অভিজ্ঞতা কোনো দিন ভুলতে পারব না।
মন্তব্য করুন
বিনোদন ডেস্ক:
সদ্যই মুক্তি পেয়েছে সোনাক্ষী সিনহা অভিনীত সিরিজ ‘হীরামান্ডি।’ সঞ্জয় লীলা বানসালি পরিচালিত সিরিজটিতে সোনাক্ষীর অভিনয় বেশ প্রশংসাও পাচ্ছে। এরইমধ্যে শোনা যাচ্ছে, বিয়ের পিঁড়িতে বসতে চান অভিনেত্রী।
বেশ কয়েক বছর ধরেই প্রেম, সম্পর্ক, বিয়ে নিয়ে খুব একটা মুখ খুলতে দেখা যায়নি সোনাক্ষী সিনহাকে। যখনই এসব প্রশ্ন উঠেছে, তখনই পুরো বিষয়টা এড়িয়ে গিয়েছেন। তবে বলিউডের বাতাসে উড়ছিল সোনাক্ষী ও জাহির ইকবালের প্রেমের খবর। গত বছর সালমান খানের পার্টিতেও একসঙ্গে হাজির হয়েছিলেন সোনাক্ষী ও জাহির।
এরপর থেকেই আলোচনায় দু'জনের প্রেম। তবে দু'জন প্রেমের বিষয়ে সরাসরি কিছু না বললেও নিজেদের প্রেম চালিয়ে যাচ্ছেন তা বলাই বাহুল্য। তবে কি জাহিরকেই বিয়ে করতে যাচ্ছেন সোনাক্ষী?
সম্প্রতি কপিল শর্মার শো’তে এসেছিলেন সোনাক্ষী। সেখানে কপিল হঠাৎ সোনাক্ষীকে বিয়ে নিয়ে প্রশ্ন করে বসেন। সোনাক্ষী তখন উত্তর দেন, ‘কাটা গায়ে নুনের ছিঁটা! আমি কিন্তু বিয়ে করতে একেবারে তৈরি।’
তবে খুব চালাকি করে জাহিরের প্রসঙ্গ এড়িয়ে গিয়েছেন অভিনেত্রী।
মন্তব্য করুন
নির্মাতা আদনান আল রাজীবের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে প্রেমের সম্পর্কে জড়িত অভিনেত্রী মেহজাবীন চৌধুরী। শোবিজ জগতে এই খবরটি কারও অজানা নয়। এবার তাদের এই সম্পর্ককে বিয়ের বন্ধনে আবদ্ধ করতে চলেছেন এই জুটি।
চলতি মাসেই আদনান আল রাজীবের সঙ্গে বিয়ের পিঁড়িতে বসতে চলেছেন মেহজাবীন চৌধুরী। অভিনেত্রীর ঘনিষ্ঠ সূত্র থেকে এই তথ্য জানা গেছে।
সবকিছু ঠিক থাকলে আগামী ২৪ ফেব্রুয়ারি বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করবেন মেহজাবীন ও রাজীব। এর একদিন আগে, অর্থাৎ ২৩ ফেব্রুয়ারি গায়ে হলুদের অনুষ্ঠানটি সম্পন্ন হবে। ঢাকার অদূরের একটি রিসোর্টে এই বিয়ের আয়োজন চলছে বলে জানা গেছে।
অন্যদিকে, আদনান আল রাজীবের সঙ্গে সম্পর্ক নিয়ে শুরু থেকেই নীরব মেহজাবীন চৌধুরী। বিয়ের খবর নিয়েও কোনো মন্তব্য করেননি এই অভিনেত্রী। তার সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি কোনো সাড়া দেননি।
২০১৯ সালে আদনান আল রাজীবের সঙ্গে ঢাকার একটি শপিং মলে মেহজাবীনের হাত ধরে হাঁটার একটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়। এরপর থেকেই তাদের সম্পর্ক নিয়ে গুঞ্জন ছড়ায়। পরবর্তীতে এই জুটিকে কক্সবাজারসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে এবং বিদেশেও ঘুরতে দেখা গেছে।
মেহজাবীন চৌধুরী ২০০৯ সালে একটি রিয়েলিটি শোয়ের মাধ্যমে মিডিয়া জগতে প্রবেশ করেন। এরপর থেকে তিনি নাটকে নিয়মিত অভিনয় করে আসছেন। তবে এখনও পর্যন্ত তিনি কোনো চলচ্চিত্রে অভিনয় করেননি। অন্যদিকে, আদনান আল রাজীব দেশের অন্যতম জনপ্রিয় নির্মাতা হিসেবে পরিচিত।
সূত্র: ইত্তেফাক
মন্তব্য করুন
বলিউডের প্রথম সারির পরিচালকদের মধ্যে যাঁর নাম দর্শক ও সমালোচকদের কাছে সমাদৃত, তিনি হচ্ছেন অনুরাগ কাশ্যপ। এই মায়ানগরীকে বিদায় জানাচ্ছেন এ স্বনামধন্য পরিচালক। হঠাৎ এ সিদ্ধান্ত নিলেন কেন তিনি? কারণ বলিউড নিয়ে তিনি নাকি মহাবিরক্ত। সন্তোষজনকভাবে কাজ করতে পারছেন না- এমন অভিযোগই করলেন অনুরাগ কাশ্যপ।
তিনি বলেন, বর্তমানে চলচ্চিত্রের মানোন্নয়ন অপেক্ষা ছবির বাণিজ্যিক দিকে বেশি মনোনিবেশ করা হয়। ছবির কাজ শুরুর আগেই স্থির হয়ে যাচ্ছে কীভাবে প্রচার করা হবে, লাভের অঙ্কের পরিমাণ কত হতে পারে ইত্যাদি। এ বিষয়টি নিয়েই তিনি হতাশ। অনুরাগ এমন জায়গায় ছবি বানাতে চান, যেখানে উদ্দীপনা থাকবে। তাই তিনি দক্ষিণী ইন্ডাস্ট্রিতে পাড়ি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলেও জানান।
পরিচালক বলেন, যে যে ছবি ইতোমধ্যে তৈরি রয়েছে, সেগুলোর রিমেক করা হচ্ছে। এই মানসিকতাতেই আমার সমস্যা। এ ছাড়া নতুন প্রজন্মের অভিনেতাদের মধ্যে নেতিবাচক প্রবণতা তৈরি করছে ‘কাস্টিং এজেন্সি’। ভালো অভিনেতা হওয়ার প্রচেষ্টা নয়, বরং রাতারাতি তারকা হওয়ার পেছনে ছুটছেন তারা। তাতে আখেরে কারও লাভ হচ্ছে না, বরং ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে ছবি। তিনি বলেন, অভিনয়ের ওয়ার্কশপে নয়, শুধুই জিমে পাঠানো হচ্ছে তাদের। আদ্যপান্ত গ্ল্যামারকে প্রাধান্য দেওয়া হচ্ছে।
অনুরাগ বলেন, তাদের এমনভাবে মগজ ধোলাই করা হচ্ছে, তারা অভিনয়ে দক্ষতা চেয়ে প্রচারের আলোয় বেশি আকৃষ্ট হচ্ছেন। ছবি নির্মাতাদের সঙ্গে অভিনেতাদের দূরত্ব তৈরি হচ্ছে এবং এর জন্য দায়ী একমাত্র ‘কাস্টিং এজেন্সি’। নতুন প্রজন্মের অভিনেতাদের মাধ্যমে শুধুই অর্থ উপার্জন তাদের লক্ষ্য, নতুন অভিনেতা তৈরির দিকে তাদের নজর নেই বলেও জানান পরিচালক।
মন্তব্য করুন
বিনোদন ডেস্ক:
মালাইকা আরোরা ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে খোলামেলা আলোচনা করতে পছন্দ করেন। গত কয়েক বছরে তাকে বিভিন্ন কারণে ট্রোল করা হয়েছে, যার মধ্যে তার হাঁটার ধরন এবং আরবাজ খানের সঙ্গে বিবাহবিচ্ছেদের বিষয়টি উল্লেখযোগ্য। এছাড়া, বয়সে ছোট অর্জুন কাপুরের সঙ্গে তার সম্পর্ক নিয়েও নানা সমালোচনা উঠেছে। যদিও মালাইকা হাস্যরসের সাথে একবার দাবি করেছেন যে, তিনি কোনো স্কুলের বাচ্চার সঙ্গে প্রেম করছেন না, তাই এই বিষয়ে এত আলোচনা হওয়ার কিছু নেই।
মালাইকা অর্জুনের চেয়ে ১২ বছরের ছোট। তারা এক ছাদের নিচে দীর্ঘ সময় কাটিয়েছেন। অনেকের মতে, মালাইকা অর্জুনের জীবন নষ্ট করছেন। তবে, তাদের সম্পর্কের মধ্যে ফাটল ধরেছে বলে গুঞ্জনও শোনা যাচ্ছে।
নিজের প্রেম জীবন নিয়ে কথা বলতে গিয়ে মালাইকা জানান, তিনি অর্জুনের জীবন নষ্ট করছেন না। তিনি বলেন, “দুর্ভাগ্যবশত আমি কেবল এক বৃদ্ধা নই, বরং আমার চেয়ে বয়সে অনেক ছোট একজন যুবকের সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়েছি। এটা আমার সাহস, তাই না? আপনাদের মনে হতে পারে, আমি ওর জীবন নষ্ট করছি। কিন্তু আমি কি একজন স্কুল ছাত্রের সঙ্গে প্রেম করছি? আর সে আমার জন্য স্কুল মিস করছে? তার লেখাপড়ার ক্ষতি হচ্ছে কি আমার জন্য?”
তিনি আরও বলেন, “অর্জুন প্রাপ্তবয়স্ক। আমরা দু'জনেই অ্যাডাল্ট। নিজেদের জীবনের সিদ্ধান্ত নিজেরাই নিতে পারি। যদি কোনো বয়সে বড় মানুষ একজন অল্প বয়সী মেয়েকে বিয়ে করেন, তখন তাকে খেলোয়াড় বলা হয়। কিন্তু উল্টোটা ঘটলে সবাই বলতে থাকেন যে, বিশেষ চাহিদার কারণে নারীটি এমন করেছেন।”
মন্তব্য করুন
বিনোদন ডেস্ক:
আম্বানি পরিবারের বিয়ে নিয়ে আবারও শোরগোল চলছে গত কয়েকদিন ধরে। মুম্বাইয়ের বিকেসির জিও ওয়ার্ল্ড কনভেনশন সেন্টারে ১২ জুলাই আম্বানিপুত্রের গ্র্যান্ড বিবাহের অনুষ্ঠানে বলিউডের জনপ্রিয় সব তারকাদের মেলা বসেছিল।
বিয়েতে বলিউড তারকা জুটি রণবীর কাপুর ও আলিয়া ভাট কাপুরও উপস্থিত ছিলেন। রণবীর কাপুর সাদা শেরওয়ানি ও পায়জামা পরে এসেছিলেন। তবে, হট পিংক কালারের শাড়ি পরে আলাদাভাবে সবার নজর কাড়েন আলিয়া ভাট। মনিশ মলহোত্রার আর্কাইভাল উইভ কালেকশন থেকে আলিয়া ভাট এই সিল্ক শাড়িটি কিনেছিলেন বলে জানা যায়।
গোলাপি রঙা পিওর সিল্কের শাড়িটিতে ৯৯ শতাংশ খাঁটি রুপার কাজ করা হয়েছে। রুপার কাজের পাশাপাশি সম্পূর্ণ শাড়িতে গোল্ডেন অ্যান্টিক কাজ ফুটিয়ে তুলতে ৬ গ্রাম স্বর্ণ ব্যবহার হয়। এদিকে শাড়িটির ব্যাপারে ডিজাইনার মনিশ মলহোত্রা একটি বিশেষ তথ্য জানিয়েছেন, আলিয়ার শাড়িটি গুজরাটের ঐতিহ্যবাহী অশাবলী শাড়ি, যা প্রায় ১৬০ বছরের পুরোনো!
আলিয়ার চুলে স্লিক বান ও খোঁপায় জড়ানো ফুল তো ছিলই। এছাড়াও ট্র্যাডিশনাল শাড়ির সঙ্গে মানানসই জুয়েলারি পান্না ও সোনার হার, মাং টিকা ও ঝুমকা ঘরানার দুল পরেও বিশেষভাবে নজর কাড়েন এই অভিনেত্রী। নেটিজেনদের মতে, দুর্দান্ত লাগছিল সেদিন মিষ্টি এ অভিনেত্রীকে।
মন্তব্য করুন
বিনোদন ডেস্ক:
ঢাকাই সিনেমার আলোচিত চিত্রনায়িকা পরীমনি। ঢালিউডে তার মতো সুন্দরী নায়িকা কমই রয়েছে বলে মনে করেন অনেকেই। তিনি নাকি পরীর মতোই সুন্দর। যদিও সিনেমার ক্যারিয়ার থেকে ব্যক্তিজীবন নিয়েই সবসময় আলোচনায় থাকেন এই নায়িকা। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও সরব থাকেন পরীমনি।
বর্তমানে দুই সন্তান নিয়ে সুখের সংসার এই নায়িকার। মা হওয়ার পর থেকে নিজের প্রতি খুব একটা যতœ নিতে পারেননি তিনি। ব্যস্ত থেকেছেন সন্তানদের নিয়ে। এখন আবারও আগের রূপ-ছন্দে ফেরার চেষ্টা করছেন পরী।
বুধবার সকালে শাড়িতে উষ্ণতা ছড়াতে দেখা গেল অভিনেত্রীকে। ধূসর রঙের একটি শাড়িতে কোনো একটি রাস্তার পাশে হেঁটেছেন পরীমনি। গানের ছন্দে, ফুল হাতে বিভিন্ন পোজ দিয়েও ছবি তুলেছেন তিনি।
পরীমনির এই ছবি-ভিডিওতে মুগ্ধ হয়েছে তার ভক্তরা। অনেকেই পুরোনো সেই পরীকে খুঁজে পেয়েছেন। নায়িকার ভিডিওতে বিভিন্ন ধরণের মন্তব্য করেছেন। যার বেশ কিছু মন্তব্যের জবাবও দিয়েছেন পরী।
এর আগে মঙ্গলবার রাতে নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্টে জিমের পোশাকে একটি ছবি প্রকাশ করেন অভিনেত্রী। সেখানে পরী লেখেন, ‘খুব শিগগিরই দেখা হচ্ছে পরী’। বোঝাই যাচ্ছে, মেদ ঝরাতে, নিজেকে ফিট করতে কঠোর পরিশ্রম করছেন তিনি।
মন্তব্য করুন
বাংলা চলচ্চিত্রের ‘মিয়া ভাই’ খ্যাত বীর মুক্তিযোদ্ধা আকবর হোসেন খান দুলু ওরফে চিত্রনায়ক ফারুকের মরদেহ দেশে পৌঁছেছে। মঙ্গলবার (১৬ মে) সকাল ৭টা ৪০ মিনিটের ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের একটি বিশেষ ফ্লাইটে তার মরদেহ দেশে পৌঁছায়।
বিমানবন্দর সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
এর আগে সিঙ্গাপুরের স্থানীয় সময় মঙ্গলবার ভোর ৫টা ৪০ মিনিটে ইউএস-বাংলার বিএস-৩০৮ ফ্লাইটটি নায়ক ফারুকের মরদেহ নিয়ে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা হয়।
সোমবার (১৫ মে) স্থানীয় সময় সকাল ১০টায় সিঙ্গাপুর মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন চিত্রনায়ক ফারুক। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৭৫ বছর। তিনি স্ত্রী ফারজানা পাঠান, কন্যা ফারিহা তাবাসসুম পাঠান ও পুত্র রওশন হোসেন, আত্মীয়-স্বজন, বন্ধু-বান্ধবসহ অসংখ্য ভক্তবৃন্দ রেখে গেছেন।
তার ভগ্নিপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা কে.বি.এম মফিজুর রহমান খান জানান, গাজীপুরের কালীগঞ্জে বাবার কবরের পাশে চিরনিদ্রায় শায়িত হবেন চিত্রনায়ক ফারুক। তার বাবা আজগর হোসেন পাঠান উপজেলার তুমুলিয়া ইউনিয়নের সোমটিওরী কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের পাশে পারিবারিক কবরস্থানে শায়িত আছেন। সেখানেই ফারুকের মরদেহ দাফন করা হবে।
তিনি বলেন, ‘তার (ফারুক) স্ত্রী ফারজানা পাঠান মেয়ে ফারিহা তাবাসসুম পাঠান, ছেলে রওশন হোসেনসহ সকল আত্মীয় স্বজনের সাথে কথা বলে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। জীবিত অবস্থায় ফারুক সবাইকে (অসিয়ত) বলে গিয়েছেন, যেন মৃত্যুর পর তাকে গাজীপুরের কালীগঞ্জ উপজেলার দক্ষিণ সোম গ্রামে পারিবারিক কবরস্থানে তার বাবা আজগর হোসেন পাঠানের কবরের পাশে শায়িত করা হয়।’
তিনি জানান, চিত্রনায়কের মরদেহ মঙ্গলবার (১৬ মে) সকাল ৯টায় রাজধানী ঢাকার উত্তরায় নিজ বাসায় নিয়ে যাওয়া হবে।
বেলা ১১টায় জাতীয় শহীদ মিনারে সর্বস্তরের জনগণের শ্রদ্ধা জ্ঞাপনের জন্য নেওয়া হবে। বাদ জোহর এফডিসিতে চলচ্চিত্র সংশ্লিষ্টরা শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করবেন এবং সেখানে দ্বিতীয় নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। এরপর বাদ আসর গুলশান আজাদ মসজিদে তৃতীয় জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। সবশেষ সন্ধ্যা ৭টায় গাজীপুরের কালীগঞ্জ উপজেলার তুমুলিয়া দক্ষিণ সোম গ্রামের বাড়িতে চতুর্থ জানাজা সোমটিওরী কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ সংলগ্ন ঈদগাহ ময়দানে অনুষ্ঠিত হবে।
জানাজা শেষে সোমটিওরী কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ সংলগ্ন পারিবারিক কবরস্থানে বাবা আজগর হোসেন পাঠানের পাশে শায়িত হবেন এই কিংবদন্তি অভিনেতা।
মন্তব্য করুন
গত ৫ মে মুক্তি পায় বাঙালি পরিচালক সুদীপ্ত সেন নির্মিত ‘দ্য কেরালা স্টোরি’। ট্রেলার প্রকাশের পরপরই এই নিয়ে বিতর্ক মাথাচাড়া দিয়ে ওঠে। ছবি মুক্তির পর দ্বিগুণ হয় বিতর্ক। যার জেরেই মুক্তির চার দিনের মাথায় এই ছবিকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করে পশ্চিমবঙ্গ সরকার। অভিযোগ, এই ছবি সাম্প্রদায়িকতাকে উস্কানি দিচ্ছে।
অশান্তি এড়াতে তাই পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ছবিটিকে এ রাজ্যে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেন। তিনি জানান, রাজ্যের শান্তিশৃঙ্খলা বজায় রাখতেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। মমতার নির্দেশের পরের দিনই ছবিটিতে নিষেধাজ্ঞা তোলার আর্জিতে শীর্ষ আদালতে যান নির্মাতারা। সেন্সর বোর্ডের ছাড়পত্র থাকা সত্ত্বেও বাংলায় কেন দেখানো হবে না এই ছবি? কারণ জানতে চেয়ে শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হয় টিম ‘দ্য কেরালা স্টোরি’।
প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বাধীন ডিভিশন বেঞ্চ এই প্রসঙ্গে গত সপ্তাহে নোটিশ দেয় রাজ্য সরকারকে। বুধবার পরবর্তী শুনানি। তার আগে রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়, এই ছবি পক্ষপাতদুষ্ট। এখানে তথ্য বিকৃত করা হয়েছে যা বিশেষ সম্প্রদায়ের ভাবাবেগে আঘাত আনতে পারে। রাজ্যের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি ও আইনশৃঙ্খলার পরিবেশ নষ্টের আশঙ্কা রয়েছে বলে জানিয়েছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার।
এই ছবির ওপর পশ্চিমবঙ্গে নিষেধাজ্ঞা আরোপের সিদ্ধান্তের সমালোচনা করে সুপ্রিম কোর্ট। শুনানি চলাকালীন দেশের প্রধান বিচারপতি প্রশ্ন করেন, ‘ভারতের অন্যান্য অংশে এই ছবি মুক্তি পেতে পারলে পশ্চিমবঙ্গে নয় কেন?’ পাল্টা রাজ্য সরকারের যুক্তি, রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখা রাজ্য প্রশাসনের দায়িত্ব। রাজ্য সরকার প্রযোজক বিপুল শাহকে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার দাবিও খারিজ করে দিয়েছে।
প্রসঙ্গত, পশ্চিমবঙ্গে নিষিদ্ধ হলেও ভারতজুড়ে রমরমিয়ে ব্যবসা করছে ছবিটি। ইতোমধ্যে দেড় শ কোটি রুপির আয় ছাড়িয়েছে। এতে বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন আদা শর্মা, যোগিতা বিহানি, সোনিয়া বালানি, সিদ্ধি ইদনানি, দেবদর্শিনী, বিজয় কৃষ্ণ, প্রণয় পাচৌরি, প্রণব মিশ্র প্রমুখ।
মন্তব্য করুন
গাজীপুরের কালীগঞ্জে বাবার কবরের পাশে চিরনিদ্রায় শায়িত হবেন বাংলা চলচ্চিত্রের ‘মিয়া ভাই’ খ্যাত বীর মুক্তিযোদ্ধা আকবর হোসেন খান দুলু ওরফে চিত্রনায়ক ফারুক। তার বাবা আজগর হোসেন পাঠান উপজেলার তুমুলিয়া ইউনিয়নের সোমটিওরী কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের পাশে পারিবারিক কবরস্থানে শায়িত আছেন। সেখানেই ফারুকের মরদেহ দাফন করা হবে।
সোমবার (১৫ মে) বিকেলে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন চিত্রনায়ক ফারুকের ভগ্নিপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা কে.বি.এম মফিজুর রহমান খান।
তিনি বলেন, ‘তার (ফারুক) স্ত্রী ফারজানা পাঠান মেয়ে ফারিহা তাবাসসুম পাঠান, ছেলে রওশন হোসেনসহ সকল আত্মীয় স্বজনের সাথে কথা বলে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। জীবিত অবস্থায় ফারুক সবাইকে (অসিয়ত) বলে গিয়েছেন, যেন মৃত্যুর পর তাকে গাজীপুরের কালীগঞ্জ উপজেলার দক্ষিণ সোম গ্রামে পারিবারিক কবরস্থানে তার বাবা আজগর হোসেন পাঠানের কবরের পাশে শায়িত করা হয়।’
তিনি জানান, চিত্রনায়ক ও সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা আকবর হোসেন পাঠান দুলু ওরফে ফারুকের প্রথম নামাজে জানাজা সিঙ্গাপুরে অনুষ্ঠিত হবে। আগামীকাল মঙ্গলবার (১৬ মে) সকাল ৭টা ৫০ মিনিটে ইউএস বাংলার ফ্লাইটে হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে তার মরদেহ আসবে। পরে সকাল ৯টায় রাজধানী ঢাকার উত্তরায় নিজ বাসায় নিয়ে যাওয়া হবে।
জানাজা শেষে সোমটিওরী কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ সংলগ্ন পারিবারিক কবরস্থানে বাবা আজগর হোসেন পাঠানের পাশে শায়িত হবেন এই কিংবদন্তি অভিনেতা।
উল্লেখ্য, চিত্রনায়ক ফারুক সোমবার (১৫ মে) স্থানীয় সময় সকাল ১০টায় সিঙ্গাপুর মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৭৫ বছর। তিনি স্ত্রী ফারজানা পাঠান, কন্যা ফারিহা তাবাসসুম পাঠান ও পুত্র রওশন হোসেন, আত্মীয়-স্বজন, বন্ধু-বান্ধবসহ অসংখ্য ভক্তবৃন্দ রেখে গেছেন। মঙ্গলবার (১৬ মে) সকালে তার মরদেহ দেশে আনা হবে।
মন্তব্য করুন
বিনোদন ডেস্ক:
অভিনয় ও নাচের জন্য বলিউডে বেশ জনপ্রিয় অভিনেত্রী মাধুরী দীক্ষিত। তিনি এবার খবরের শিরোনামে হয়েছেন তার নতুন গাড়ির জন্য।
মাধুরী এবং তার স্বামী ডা. শ্রীরাম নেনে সম্প্রতি একটি অত্যন্ত দামি গাড়ি কিনেছেন, যা ইতোমধ্যেই তাদের ভক্তদের মধ্যে ব্যাপক আলোচনা সৃষ্টি করেছে। তাদের লাল রঙের ফেরারি 296 GTS গাড়িটির মূল্য ৬.২৪ কোটি টাকা। এই গাড়িতে 2992 cc ইঞ্জিন রয়েছে এবং এটি একটি ভেরিয়েন্টে পাওয়া যায়।
গাড়িটির পেছনের মিড-ইঞ্জিন এবং রিয়ার-হুইল ড্রাইভ সিস্টেম রয়েছে। মাধুরীর নতুন গাড়ি সংগ্রহে ফেরারি 296 GTS ছাড়াও আরও কিছু বিলাসবহুল গাড়ি রয়েছে।
মাধুরী দীক্ষিতের সংগ্রহে বেশ কিছু গাড়ি রয়েছে। তার সংগ্রহে রয়েছে একটি Mercedes-Maybach S560, Range Rover Vogue, এবং Porsche 911 Turbo S। এই গাড়িগুলোর দাম প্রায় ৩.০৮ কোটি টাকা। মাধুরী দীক্ষিতের গাড়ি সংগ্রহের মধ্যে এসব গাড়ি তাদের বিলাসিতা এবং দাম দিয়ে অনেকেরই দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে।
মাধুরী দীক্ষিত শেষ দেখা গিয়েছিল আনিস বাজমীর পরিচালিত ‘ভুল ভুলাইয়া 3’-তে। এই ছবিতে মাধুরী দীক্ষিতের সঙ্গে অভিনয় করেছেন বিদ্যা বালান, তৃপ্তি দিমরি, রাজপাল যাদব, বিজয় রাজ, সঞ্জয় মিশ্র, অশ্বিনী কালসেকর এবং রাজেশ শর্মা।
মন্তব্য করুন