রাঘব-পরিণীতির প্রেম ছিল অনেকটাই ওপেন সিক্রেট। দুজন দুজনের প্রেমে মজলেও তা একটিবারও মুখ ফুটে স্বীকার করেননি। অবশেষে আংটি বদল হতেই প্রকাশ্যে আসে তাদের সম্পর্কটি। বাগদানের পর তাদের প্রেম নিয়ে মুখ খুললেন পরিণীতি।
সামাজিক মাধ্যমে এক পোস্টে পরিণীতি লেখেন, আমাদের সম্পর্ক ও বাগদান নিয়ে যেভাবে ইতিবাচক মনোভাব ছিল সবার, তা দেখে সত্য়িই আপ্লুত আমি ও রাধব। আপনাদের এরকম সঙ্গে থাকা আমাদের শক্তি দিয়েছে। অনুপ্রেরণা জুগিয়েছে।
‘আমাদের দুজনের পৃথিবীটা সম্পূর্ণ আলাদা। একেবারে বিপরীতধর্মী কর্মক্ষেত্র থেকে এসেছি। তবে আমাদের সম্পর্ক খুব অটুট। আর এই কারণেই খুব বড় পরিবারকে পেয়েছি আমরা। যা কিনা আমাদের সম্পর্কের ভিত।’
পোস্টে আত্মীয়-পরিজন, সহকর্মী ও বিশেষ করে সংবাদমাধ্যমকে ধন্যবাদ জানান অভিনেত্রী।
মন্তব্য করুন
বিনোদন ডেস্ক:
গত সাত বছর ধরে সম্পর্কে জড়িয়ে ছিলেন সোনাক্ষী সিনহা ও জাহির ইকবাল। গত ২৩ জুন এ তারকা জুটি আইনি মোতাবেক বিয়ের পিঁড়িতে বসেন। এর পর রিসেপশনের আয়োজন হয়। এ তারকা জুটির বিয়েতে ছিল না কোনো ধর্মীয় আচার। বিয়ের পর সোনাক্ষী ধর্ম পরিবর্তন করবেন না বলেও জানিয়েছিলেন জ়াহির ইকবালের বাবা।
এদিকে বিয়ের দিন রিসেপশেন দেখা যায়নি অভিনেত্রীর দুই ভাই লব সিনহা ও কুশ সিনহার। এ নিয়ে চারদিকে সমালোচনা শুরু হয়। বিয়েতে এসেছিলেন শত্রুঘ্ন সিন্হাসহ পরিবারের অন্য সদস্যরা। এ নিয়ে নেটিজেনদের মাঝে মিশ্র সমালোচনা হয়।
নানা রকম সমালোচনার মাঝে অবশেষে মুখ খুললেন লব সিন্হা। সামাজিকমাধ্যমে একটি পোস্ট করে সোনাক্ষী ও জ়াহিরের বিয়ে নিয়ে কথা বলেন তিনি। লব সিনহা বলেন, এত সমালোচনা সত্ত্বেও পরিবারের প্রতি তার ভালোবাসা কোনোভাবেই কমবে না। পরিবারই তার কাছে প্রাথমিক বিষয়।
কেন তিনি বিয়েতে উপস্থিত থাকেননি জানিয়ে লব সিনহা লিখেছেন— ‘কেন আমি বিয়েতে উপস্থিত থাকিনি, এটিই হলো প্রশ্ন! আমার বিরুদ্ধে কিছু মিথ্যে কথা প্রচার করে কোনো লাভ নেই। আমার কাছে সব সময় আমার পরিবারই অগ্রাধিকার পাবে।‘
এমন প্রশ্ন সোনাক্ষীর আরেক ভাই কুশ সিনহাকে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেন, সেই সময় লব বলেছিল— ‘দু’একটা দিন সময় দিন। আমার যদি মনে হয়, তা হলে আমি নিশ্চয়ই এই প্রশ্নের উত্তর দেব।‘
বিয়েতে আসেন শত্রুঘ্ন সিনহা। বাবা হিসেবে মেয়ের বিয়েতে আবেগপ্রবণ হয়ে পড়বেন এটাই স্বাভাবিক। সিনহা পরিবারের নয়নমণি সোনাক্ষী সিনহা। মা-বাবার চোখের মধ্যমণি। তাই বিয়ের দিনে বাবা শত্রুঘ্ন সিনহা আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েন। কন্যার জীবনের নতুন ইনিংসে যেমন তিনি উচ্ছ্বসিত, তেমনি চাপাকান্না বুকে কষ্ট।
নিজস্ব অ্যাপার্টমেন্ট ‘অওরিয়েত’-এ ঘনিষ্ঠ আত্মীয়স্বজনদের সাক্ষী রেখে আইনি বিয়ে সারেন সোনাক্ষী সিনহা ও জাহির ইকবাল। পরনে নবদম্পতির দুধ সাদা পোশাক। মেয়ের পাশেই হাসিমুখে দাঁড়িয়েছিলেন শত্রুঘ্ন সিনহা।
সেই অনুষ্ঠানে প্রবীণ অভিনেতা বললেন, ‘মেয়েকে পছন্দের পাত্রের হাতে তুলে দেবেন বলে সব বাবাই এই দিনটির জন্য অপেক্ষা করে থাকেন। জাহিরের সঙ্গে আমার মেয়েকে সব থেকে বেশি খুশি থাকতে দেখেছি। তারা সুখে থাকুক, এ প্রার্থনাই করি।‘
জাহির ইকবালের প্রশংসায় পঞ্চমুখ শত্রুঘ্ন সিনহা বলেন, ‘গুড বয়’ জাহির। খুব ভালো ছেলে। আমার মেয়েকে ভালো রাখবে ওৃ।‘ তিনি আরও বলেন, ’৪৪ বছর আগে আমি একজন সফল, সুন্দরী ও ভীষণ ট্যালেন্টেড একটি মেয়েকে নিজের পছন্দে বিয়ে করেছিলাম। সে হচ্ছে পুনম সিনহা। আজ আমার মেয়ে সোনাক্ষীর পালা। ওর পছন্দই আমাদের পছন্দ। ওর নিজের জীবনসঙ্গী বেছে নেওয়ার এই সিদ্ধান্তকে আমি পূর্ণ সমর্থন করি।‘
উল্লেখ্য, এর আগে সোনাক্ষী-জাহিরের বিয়ের খবর গণমাধ্যমে প্রকাশ্যে আসতেই শোনা গিয়েছিল শত্রুঘ্ন নাকি এ বিষয়ে কিছুই জানেন না বলে জানান। তিনি বলেছিলেন— এই প্রজন্মের সন্তান কারও অনুমতি নেওয়ার প্রয়োজন মনে করে না। ওরা শুধু নিজেদের সিদ্ধান্ত জানায়।
সেই থেকেই জল্পনার সূত্রপাত যে, জামাই হিসেবে জাহির ইকবালকে হয়তো পছন্দ নয় শত্রুঘ্ন সিনহার তাই এমন কথা বলেছিলেন! তবে বিয়ের দুদিন আগেই নিন্দুকদের ‘চুপ’ করে দিয়ে জাহির ইকবালকে বুকে টেনে নেন শত্রুঘ্ন সিনহা।
মন্তব্য করুন
দক্ষিণী সিনেমার জনপ্রিয় অভিনেতা আল্লু অর্জুনের গ্রেফতারির ঘটনায় শুরু থেকেই উত্তেজনা ছড়িয়েছে। অবশেষে তেলেঙ্গানা হাইকোর্ট তাকে অন্তর্বর্তী জামিন দিয়েছেন। তবে এই ঘটনায় বিস্ফোরক মন্তব্য করেছেন বলিউড অভিনেত্রী কঙ্গনা রানাউত। তিনি বলেছেন, “বড় মাপের মানুষ হলেই দায় এড়ানো যায় না। যা ঘটেছে, তা অত্যন্ত দুঃখজনক। তবে এই ঘটনায় প্রত্যেকেরই দায়বদ্ধতা রয়েছে।”
আনন্দবাজার পত্রিকার প্রতিবেদন অনুযায়ী, আল্লু অর্জুনকে তার শয়নকক্ষ থেকে গ্রেফতার করা হয়। হায়দরাবাদের সন্ধ্যা প্রেক্ষাগৃহে ‘পুষ্পা ২: দ্য রুল’-এর প্রিমিয়ার চলাকালীন উপচে পড়া ভিড়ের কারণে পদপিষ্ট হয়ে একজন নারীর মৃত্যু হয়। এই ঘটনার পর অভিনেতাসহ সাতজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়। গতকাল, ১৩ ডিসেম্বর, পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে। যদিও কিছুক্ষণের মধ্যেই হাইকোর্ট থেকে অন্তর্বর্তী জামিন পান তিনি।
কঙ্গনা রানাউত বলেছেন, “ঘটনাটি অত্যন্ত দুঃখজনক। আমি নিজেও আল্লু অর্জুনজির বড় ভক্ত। কিন্তু কিছু কিছু ক্ষেত্রে আমাদের দৃষ্টান্ত তৈরি করা উচিত। তিনি জামিন পেয়েছেন, কিন্তু শুধু উচ্চস্তরের মানুষ বলেই যেন কোনো ফল ভোগ করতে না হয়— এটি ঠিক নয়। মানুষের জীবনের মূল্য অপরিসীম।”
তিনি আরও বলেন, “সমাজে যাদের প্রভাব রয়েছে, তাদের চলার পথে আরও সচেতন থাকা উচিত। ধূমপানের বিজ্ঞাপন হোক বা প্রেক্ষাগৃহে এমন অনিয়ন্ত্রিত ভিড়— কোনোভাবেই দায়িত্ব এড়ানো যায় না। প্রেক্ষাগৃহে তারা উপস্থিত ছিলেন, তাই প্রত্যেকেরই দায়িত্ববোধ থাকা উচিত।”
উল্লেখ্য, ১৩ ডিসেম্বর সকালে হায়দরাবাদ পুলিশ আল্লু অর্জুনকে তার বাড়ি থেকে গ্রেফতার করে। এই ঘটনায় সন্ধ্যা প্রেক্ষাগৃহের মালিকসহ আরও দুইজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এফআইআরে নাম থাকা বাকি অভিযুক্তরাও অন্তর্বর্তী জামিন পেয়েছেন।
মন্তব্য করুন
বিনোদন ডেস্ক:
স্কুলজীবন থেকে পরিচিত সারা আলি খান এবং অনন্যা পাণ্ডে। বলিউডে তাদের বন্ধুত্ব নিয়ে বেশ আলোচনা হয়। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে সেই গল্প শেয়ার করেছেন অভিনেত্রী। যদিও বন্ধুত্ব রয়েছে, অনন্যা নাকি সারাকে ভয় পেতেন, যেন যমের মতো। সারার নাম শুনলেই তিনি সতর্ক হয়ে থাকতেন।
অনন্যার থেকে তিন বছরের বড় সারা। ছোট থেকেই বেশ ডাকাবুকো স্বভাবের ছিলেন তিনি। মুখের ওপর কথা বলতেন। অনন্যা বলেছেন, "সারা খুব ঠোঁটকাটা স্বভাবের ছিল, এখনও তাই রয়েছে। তবে স্কুলে আরও সাংঘাতিক ছিল। মুখে যা আসত, তাই বলে দিত। আমি ভয়ে ভয়ে থাকতাম, ভাবতাম এই বুঝি আমার সম্পর্কে কিছু বলল।"
এই কারণে সারাকে কিছুটা এড়িয়েই চলতেন অনন্যা। অভিনেত্রীর কথায়, "আমি যদি দেখতাম, সারা কোনো একটা সিঁড়ি থেকে নেমে আসছে, ওই পথ দিয়ে আমি যেতাম না।"
প্রথম দিকে অনন্যার নাম জানতেন না সারা। তাকে 'এই' বলে ডাকতেন সাইফ আলি খানের কন্যা।
অনন্যা স্মৃতিচারণ করে বলেন, "আমার মনে আছে, একসঙ্গে স্কুলে একটা নাটক করেছিলাম। সারাই মুখ্য চরিত্রে অভিনয় করছিল। আমি বোধহয় ওর মাথায় ছাতা ধরেছিলাম, পেছনে ছিলাম সারার।"
এ সময় সারা নাকি অনন্যাকে 'এই এই' বলে ডাকতেন এবং খুব রূঢ় ব্যবহার করতেন। যদিও এখন নাকি অনন্যার কাছে সেই কথা স্বীকার করেন না সারা। সারার দাবি, অনন্যার সঙ্গে তিনি নাকি খুব ভালই ব্যবহার করতেন।
মন্তব্য করুন
বিনোদন ডেস্ক:
জনপ্রিয় পাকিস্তানি অভিনেত্রী মাহিরা খান সম্প্রতি ভক্তদের প্রতি একটি আবেদন জানিয়েছেন। সেটা হলো- তারা যেন বলিউড বাদশা শাহরুখ খানের সঙ্গে তার কাজ করার অভিজ্ঞতা নিয়ে আর প্রশ্ন না করেন।
শনিবার করাচিতে অনুষ্ঠিত ১৭তম উর্দু সম্মেলনে কথা বলতে গিয়ে এই অনুরোধ জানান লাস্যময়ী অভিনেত্রী।
মাহিরা খান বলেন, ‘আমি নিজে থেকে কখনোই শাহরুখ খানের প্রসঙ্গ তুলিনা। কেউ জিজ্ঞেস করলে আমি শুধু তার প্রশ্নের উত্তর দিই’।
৩৯ বছর বয়সি এই অভিনেত্রী আরও বলেন, ‘সমস্যা হয় তখন, যখন আমি এ বিষয়ে উত্তর দেওয়ার পর লোকজন মন্তব্য করে যে আমি বারবার শাহরুখ খানকে নিয়ে কথা বলি। কিন্তু বিষয়টি মোটেই তেমন নয়’।
তিনি এ সময় জোর দিয়ে বলেন, ‘আমি চাই না কেউ আর এই বিষয়ে প্রশ্ন করুক। যাতে আমাকে কোনো উত্তর দিতে না হয়’।
মাহিরা খান ২০১৬ সালে বলিউডের ব্লকবাস্টার সিনেমা রইস-এ শাহরুখ খানের বিপরীতে অভিনয় করেন। বেশ কয়েক বছর ধরেই তিনি তার সেই অভিজ্ঞতা নিয়ে খোলামেলা কথা বলেছেন।
তবে বারবার এ বিষয়ে আলোচনা হওয়ায় এ নিয়ে এখন বিরক্তি প্রকাশ করেছেন অভিনেত্রী।
মন্তব্য করুন
বিনোদন ডেস্ক:
ফ্যাশন দুনিয়ার সবচেয়ে বড় আয়োজন মেট গালা। সেই ‘মেট গালা’ তে তারকাদের দুর্দান্ত সব লুক ট্রেন্ড করছে। আর তাদের ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ছে।এবার বিশ্বের অন্যতম বড় এই ফ্যাশন ইভেন্ট মেট গালাতে শাড়ি পরে হাজির হয়ে নজর কাড়লেন বলিউড অভিনেত্রী আলিয়া ভাট।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমসের খবরে জানা যায়, ভারতীয় ফ্যাশন ডিজাইনার সব্যসাচী মুখোপাধ্যায়ের ডিজাইন করা শাড়িতে ট্র্যাডিশনাল লুকে লাল গালিচা মাতিয়েছেন তিনি। মেট গালায় আলিয়ার সাজ মুগ্ধ করেছে ভক্তদের। মেট গালায় তোলা বেশ কিছু ছবি নিজের ইনস্টাগ্রামে পোস্ট করেছেন আলিয়া ভাট।
আলোচিত এই শাড়িটি তৈরি করতে সময় লেগেছে ১৯৬৫ ঘণ্টা। এতে সিল্ক ফ্লস, গ্লাস বিডিং এবং রতœপাথর দিয়ে হাতের কাজ করা হয়েছে। সঙ্গে রয়েছে গোলাপী এবং সবুজ রঙের ফুল, পুঁতির ট্যাসেল। এগুলোও হাতে বসানো। শাড়ির অন্যতম আরেক আকর্ষণ হল সামনের দিকে থাকা রাফলড প্লিট। ব্লাউজেও রয়েছে সূক্ষ্ম হাতের কাজ।
গয়না হিসেবে সব্যসাচী বেছে নেন একটি টিকলি। মাথায় ছিল একটি ব্যান্ড, স্টেটমেন্ট কানের দুল, হাই হিল ও আংটি। সঙ্গে ছিল মেসি হেয়ার।
মেট গালায় এটি ছিল আলিয়া ভাটের দ্বিতীয় উপস্থিতি। ২০২৩ সালে মেট্রোপলিটন মিউজিয়াম অফ আর্টের আইকনিক সিঁড়িতে প্রথমবার পা রাখেন আলিয়া।
মন্তব্য করুন
বিনোদন ডেস্ক:
‘শেরশাহ’ মুক্তির পর বলিউডি নায়ক সিদ্ধার্থ মালহোত্রা বলেছিলেন, নায়িকা কিয়ারা আদভানির সঙ্গে রোমান্টিক সিনেমা তিনি মিস করতে চান না। যদিও গত কয়েক বছরে এই দম্পতিকে একসঙ্গে পর্দায় না পেয়ে দর্শকরা তাদের মিস করেছেন। এখন কিয়ারা জানালেন, একে অপরের হাত ধরে ফের পর্দায় আসতে চলেছেন তারা।
এবারের ৭৭তম কান চলচ্চিত্র উৎসবের লাল গালিচায় প্রথমবারের মত পা রাখেন কিয়ারা। সেখানে ‘উইমেন ইন সিনেমা গালা’তে অংশ নিয়ে নতুন কাজের খবর দেন এই অভিনেত্রী।
টাইমস অব ইন্ডিয়া লিখেছে, এই আলোচনার সূত্রপাত হয় কিয়ারা-সিদ্ধার্থ অভিনীত ব্লকবাস্টার সিনেমা ‘শেরশাহ’কে ঘিরে। ক্যাপ্টেন বিক্রম বাত্রার জীবন আর কার্গিল যুদ্ধের প্রেক্ষাপটে নির্মিত অ্যাকশনধর্মী ওই সিনেমায় প্রেমের অংশ নেহাত কম থাকলেও, এ চলচ্চিত্রই কিয়ারা-সিদ্ধার্থকে ‘রোমান্টিক জুটি’ আখ্যা দিয়েছে। তাদের অনুরাগীরা চান এক পূর্ণাঙ্গ প্রেমের সিনেমায় তাদের জুটি হিসেবে দেখতে।
কানে ‘শেরশাহ’ প্রসঙ্গ উঠলে কিয়ারা বলেন, “আমি জানি, ‘শেরশাহ’ আমাদের প্রেমিক-প্রেমিকা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করে দিয়েছে। আমি এবং সিদ্ধার্থ অফুরান ভালোবাসা পেয়েছি। হতাশ করছি না। আমাদের ফের একসঙ্গে শিগগিরই দেখা যাবে। আমরা চাই আবার জুটি হিসেবে সবার ভালোবাসা কুড়াতে। আমরা যেন আমাদের অভিনীত চরিত্রের প্রতি সুবিচার করতে পারি।”
তবে সিনেমা এবং প্রযোজক ও পরিচালকের নাম সামনে আননেনি কিয়ারা। তাদের আগামী কাজ সম্পর্কে জানতে একটু অপেক্ষা করতে অনুরোধ করেছেন সবাইকে। গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে সাত পাকে বাঁধা পড়েন কিয়ারা ও সিদ্ধার্থ। এরপর দুজন আলাদাভাবে কয়েকটি সিনেমায় কাজ করেছেন।
মন্তব্য করুন
বিনোদন ডেস্কঃ
দেশের ঐতিহাসিক ৭ মার্চ, ১৫ আগস্ট জাতীয় শোকসহ আটটি দিবস বাতিল করতে যাচ্ছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। বুধবার প্রধান উপদেষ্টার ফেসবুক পেজে এ তথ্য জানানো হয়েছে। এমন খবরে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন নির্মাতা ও অভিনেত্রী মেহের আফরোজ শাওন।
এক ফেসবুক স্ট্যাটাসে তিনি লিখেছেন, ‘ঐতিহাসিক ৭ মার্চ জাতীয় দিবস হিসাবে বাতিল করা হলো আজ! আমি মেহের আফরোজ শাওন, বাংলাদেশের একজন সাধারণ নাগরিক হিসাবে অন্তবর্তীকালীন সরকারের এই সিদ্ধান্তের তীব্র প্রতিবাদ করলাম। ’
শাওন তার স্ট্যাটাসে আরও উল্লেখ করেন, ‘কিছুদিন পর দেখা যাবে ২৬ মার্চ স্বাধীনতা দিবস বাদ, নতুন স্বাধীনতা দিবস হিসেবে ৩৬ জুলাই পালিত হবে হয়তো!’
এরপর নিজেকে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের দালাল উল্লেখ করে শাওন লেখেন, ৭ মার্চের পক্ষে বলার জন্য যদি আমাকে ‘দালাল’ উপাধি পেতে হয় তবে আমি দালাল। আমি বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের দালাল, স্বাধীনতার স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দালাল।
প্রধান উপদেষ্টার ফেসবুক পেজে দেওয়া পোস্টে জানানো হয়– ঐতিহাসিক ৭ মার্চ, ১৭ মার্চ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্ম দিবস ও জাতীয় শিশু দিবস, ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার ভাই শহীদ ক্যাপ্টেন শেখ কামালের জন্মবার্ষিকী, ৮ আগস্ট শেখ হাসিনার মা বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের জন্মবার্ষিকী, ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুর মৃত্যুবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস, ১৮ অক্টোবর শেখ হাসিনার ছোট ভাই শেখ রাসেল দিবস, ৪ নভেম্বর জাতীয় সংবিধান দিবস ও ১২ ডিসেম্বর স্মার্ট বাংলাদেশ দিবস বাতিল হচ্ছে।
সাম্প্রতিক প্রেক্ষাপট বিবেচনা করে উপদেষ্টা পরিষদ এসব জাতীয় দিবস বাতিলের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে জানা গেছে। গত ৭ অক্টোবর তৎকালীন মন্ত্রিপরিষদ সচিব মাহবুব হোসেন স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে এ সিদ্ধান্তের কথা জানিয়ে সংশ্লিষ্ট অনুবিভাগকে এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়।
মন্তব্য করুন
রাঘব-পরিণীতির প্রেম ছিল অনেকটাই ওপেন সিক্রেট। দুজন দুজনের প্রেমে মজলেও তা একটিবারও মুখ ফুটে স্বীকার করেননি। অবশেষে আংটি বদল হতেই প্রকাশ্যে আসে তাদের সম্পর্কটি। বাগদানের পর তাদের প্রেম নিয়ে মুখ খুললেন পরিণীতি।
সামাজিক মাধ্যমে এক পোস্টে পরিণীতি লেখেন, আমাদের সম্পর্ক ও বাগদান নিয়ে যেভাবে ইতিবাচক মনোভাব ছিল সবার, তা দেখে সত্য়িই আপ্লুত আমি ও রাধব। আপনাদের এরকম সঙ্গে থাকা আমাদের শক্তি দিয়েছে। অনুপ্রেরণা জুগিয়েছে।
‘আমাদের দুজনের পৃথিবীটা সম্পূর্ণ আলাদা। একেবারে বিপরীতধর্মী কর্মক্ষেত্র থেকে এসেছি। তবে আমাদের সম্পর্ক খুব অটুট। আর এই কারণেই খুব বড় পরিবারকে পেয়েছি আমরা। যা কিনা আমাদের সম্পর্কের ভিত।’
পোস্টে আত্মীয়-পরিজন, সহকর্মী ও বিশেষ করে সংবাদমাধ্যমকে ধন্যবাদ জানান অভিনেত্রী।
মন্তব্য করুন
বিনোদন ডেস্ক:
ভারতীয় অভিনেত্রী দেবলীনা ভট্টাচার্য পুত্রসন্তানের মা হয়েছেন। গতকাল বৃহস্পতিবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একটি পোস্ট দিয়ে ভক্ত-অনুরাগীদের সঙ্গে সুখবরটি শেয়ার করেছেন তিনি।
দেবলীনা ভট্টাচার্য একটি ছোট ভিডিও ক্লিপ শেয়ার করে আনন্দের মুহূর্ত তুলে ধরেছেন। ভিডিওতে দেবলীনা ও তার স্বামী শানওয়াজ শেখকে শুভেচ্ছায় শুভেচ্ছা জানিয়েছেন ভক্তরা।
ভিডিওর ক্যাপশনে তিনি লিখেছেন, “আমাদের জীবনের সবচেয়ে আনন্দের সঙ্গী, আমাদের সন্তান ১৮ ডিসেম্বর পৃথিবীতে এসেছে। আমরা আনন্দে আত্মহারা।”
গত ১৫ আগস্ট একটি পোস্টে দেবলীনা তার অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার খবর জানিয়েছিলেন। অভিনেত্রী ২০২২ সালের ডিসেম্বরে তার জিম প্রশিক্ষক শানওয়াজ শেখকে বিয়ে করেছিলেন। ভিনধর্মে বিয়ে নিয়ে চর্চা হয়েছিল প্রচুর।
দেবলীনা শেষবার ‘ছটি মাইয়া কি বিটিয়া’ ধারাবাহিকে অভিনয় করেছেন। এই ধারাবাহিকে তিনি ছোট দেবীর চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন। এছাড়া তিনি ‘গোপী বহু’ চরিত্রে ছোটপর্দায় জনপ্রিয় ছিলেন। তার অভিনীত ধারাবাহিকটির নাম ছিল ‘সাথ নিভানা সাথিয়া’। জনপ্রিয় রিয়্যালিটি শো ‘বিগ বস ১৩’-এও অংশগ্রহণ করেছিলেন দেবলীনা।
মন্তব্য করুন
বিনোদন ডেস্কঃ
মুম্বাইয়ে প্রকাশ্য দিবালোকে সম্প্রতি খুন হন ভারতীয় রাজনৈতিক দল জাতীয়তাবাদী কংগ্রেস পার্টির (এনসিপি) নেতা ও সাবেক মন্ত্রী বাবা সিদ্দিকি। এই হত্যার দায় স্বাকীর করেছেন ভারতের প্রভাবশালী গ্যাংস্টার লরেন্স বিষ্ণোই।
এই হত্যাকাণ্ডের পর থেকে সালমান খানে নিরাপত্তা নিয়ে তৈরি হয়েছে নানা অনিশ্চয়তা। প্রতিদিন নানাভাবে লরেন্স বিষ্ণোই গ্যাংয়ের পক্ষ থেকে হুমকি দেওয়ার চিঠি পাওয়ায় দু-চোখ এক করতে পারছেন না সালমানের ভাই আরবাজ, সোহেল। গোটা খান পরিবার রীতিমত আতঙ্কে কাটছে প্রতিটি মহুর্ত।
এমনকি ছেলেকে নিয়ে বেশ দুশ্চিন্তায় রয়েছেন সালমানের বাবা সেলিম খান। ভারতীয় গণমাধ্যমে এক সাক্ষাৎকারে সালমানের বাবা জানান যে, কৃষ্ণসার হরিণ সালমান শিকার করেননি। তাই লরেন্স বিষ্ণোই গ্যাংয়ের কাছে বিনা কারণে তার ছেলের ক্ষমা চাওয়ার কোনো প্রশ্নই আসে না’।
সেলিম খান বলেন, যে কারণে সালমান বার বার প্রাণনাশের হুমকি পাচ্ছে, সে ঘটনার সঙ্গে সালমান যুক্ত না। সালমান অন্তত আমাকে মিথ্যা কথা বলবে না। কৃষ্ণসার হরিণ সালমান শিকার করেননি। আমার ছেলে পশু-পাখিদের খুবই ভালোবাসে।
তিনি বলেন, এমন কাজ সে করতে পারেই না। তাই লরেন্স বিষ্ণোই গ্যাংয়ের কাছে বিনা কারণে ক্ষমা চাইবে কেন? আমার মনে হয় এই বিষয়টা একটু ভেবে দেখা দরকার।
প্রসঙ্গত, বাবা সিদ্দিকির খুনের দায় বিষ্ণোই গ্যাং নেওয়ার পর থেকেই সালমান খানের ঝুঁকি আরও বেড়েছে। কারণ, সোশাল মিডিয়া পোস্টে তাদের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, যে বা যারা সালমান খানের ঘনিষ্ঠ, তাদের সকলকেই এর দাম দিতে হবে।
চলতি বছরেই সালমানের গ্যালাক্সি অ্যাপার্টমেন্টের বাইরে গুলিবর্ষণ করেছিল এ গ্যাং। এবার বাব সিদ্দিকির খুন, তারপর বৃহস্পতিবার মুম্বাই ট্র্যাফিক পুলিশের হোয়াটসঅ্যাপে আবারও সালমান খানের নামে হুমকির চিঠি।
মন্তব্য করুন