বিনোদন ডেস্কঃ
মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে ওপেন কনসার্টের আয়োজন করবে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপি। সেখানে গাইবেন বিভিন্ন প্রজন্মের একঝাঁক শিল্পী।
বিজয় দিবসের এই কনসার্টে জেমসসহ গাইবেন খুরশিদ আলম, সৈয়দ আব্দুল হাদী, বেবী নাজনীন, কনক চাঁপা, মনির খান, রাফা, প্রীতম, ইমরান, কনা, মৌসুমী, জেফার ও একদল লোকশিল্পী। এ ছাড়া কনসার্টে অংশ নেবে ডিফারেন্ট টার্চ, সোলস, আর্ক, শিরোনামহীন, আর্টসেল, সোনার বাংলা সার্কাসের মতো বেশ কয়েকটি ব্যান্ড।
আজ মঙ্গলবার (১০ ডিসেম্বর) রাজধানীর গুলশানের উদয় টাওয়ারে ‘সবার আগে বাংলাদেশ’ শীর্ষক এক সংবাদ সম্মেলনে এই কনসার্টের ঘোষণা দেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব শহীদ উদ্দিন চৌধুরী।
এ বছর সার্বজনীনভাবে বিজয় দিবস উদযাপনের উদ্যোগ নিয়েছে বিএনপি। ভিন্নদেশী সাংস্কৃতিক আগ্রাসন থেকে মুক্তি ও নতুন প্রজন্মকে দেশের ইতিহাস ও সংস্কৃতির সঙ্গে পরিচিত করাতে ১৬ ডিসেম্বর রাজধানীর মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ের এই কনসার্টে বাংলাদেশের গান ও সংস্কৃতি তুলে ধরা হবে বলে জানানো হয়েছে।
১৬ ডিসেম্বর বিকেল ৩টা থেকে শুরু হয়ে কনসার্ট চলবে রাত ১১টা পর্যন্ত। তরুণ প্রজন্মকে এই কনসার্টে আসার আমন্ত্রণ জানিয়েছেন বিএনপি নেতা শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি।
মন্তব্য করুন
বিনোদন ডেস্ক:
এবার একটি কনসার্টে ভারতের জনপ্রিয় গায়িকা সুনিধি চৌহানের দিকে ছুড়ে মারা হলো পানির বোতল। লাইভ কনসার্টে উন্মাদনার তুঙ্গে ঘটে গেল এ অনভিপ্রেত ঘটনা।
মঞ্চে পারফর্ম করার সময় গায়ক-অভিনেতাদের ওপর হামলা এর আগেও হয়েছে। গত বছর অরিজিৎ সিং-কে হাত ধরে এত জোরে টান দেওয়া হয়েছিল যে, গায়ককে হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে হয়েছিল।
গায়িকা ভারতের উত্তরাখন্ডের দেরাদুনের এসজিআরআর বিশ্ববিদ্যালয়ে পারফর্ম করেছিলেন। এদিন অনুষ্ঠানে ‘শিলা কি জওয়ানি’, ‘ধুম মচালে’, ‘ক্রেজি কিয়া রে’, ‘দেশি গার্ল’, ‘কমলি’, ‘শাকি শাকি’-র মতো গান তিনি উপহার দিয়েছেন দর্শকদের। তিনি যখন শ্রোতাদের তার গানে মাতিয়ে রাখছিলেন, তখন মেতে উঠেছিল গোটা স্টেডিয়াম। ঠিক সেই সময়, সামনের সারিতে বসা এক ব্যক্তি তার দিকে পানির বোতল ছুড়ে মারেন।
এ ঘটনা রীতিমতো হতবাক করে দেয় সুনিধি চৌহানকে। কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে নিজেকে সামলে নেন তিনি। তারপর সেই ভক্তের দিকে তাকিয়ে ভর্ৎসনা করেন। যদিও সেই ভর্ৎসনার জন্য বেছে নেন সংগীতের পথ।
সুরে-সুরেই তিনি বলে ওঠেন- ‘আপনি আমার দিকে বোতল নিক্ষেপ করলে কী হবে? অনুষ্ঠানটি বন্ধ করে দেওয়া হবে। আপনি কি এটি চান?’
সুনিধি চৌহান এই কনসার্ট থেকে কিছু ছবিও শেয়ার করেন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। গ্লিটারি টপ, কালো শর্টস গায়ে ছিল গায়িকার। টপে ছাপানো ছিল 'ঝঈ ০১'। খোলা চুল, পায়ে লং বুট। একেবারে রকস্টার লুক।
ক্যাপশনে তিনি লিখলেন- ‘তুমি কি কখনো ছিলে আমার পার্টিতে? দেখো সেটা কেমন হয়।
মন্তব্য করুন
বিনোদন ডেস্কঃ
জনপ্রিয় মার্কিন গায়িকা সেলেনা গোমেজ বাগদান সেরেছেন। এই তারকার ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে অনেক আগে থেকেই ভক্ত-অনুরাগীদের কৌতূহল ছিল। বিশেষ করে কানাডিয়ান গায়ক জাস্টিন বিবারের সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়ে বহুবার সংবাদের শিরোনাম হয়েছেন এ গায়িকা। কিন্তু সেই সম্পর্কও টেকেনি। ২০১৮ সালে তাদের ৬ বছরের সম্পর্কে ভাঙন ধরতেই হেইলি বল্ডউইনের সঙ্গে বাগদান সেরে নেন জাস্টিন বিবার। এ বিষয়টি যখন সেলেনা জানতে পারেন, তখন বেশ আঘাত পেয়েছিলেন তিনি।
সেই থেকে নিজের কাজেই মন দেন সেলেনা গোমেজ। ২০১৯ সালে সংগীতশিল্পী বেনি ব্ল্যাঙ্কোর সঙ্গে একটি গানে কাজ করেন গায়িকা। এরপর কেটে যায় কয়েক বছর। ২০২৩ সালের ডিসেম্বরে নিজেদের প্রেমের কথা প্রকাশ্যে আনেন তারা। বেনির সঙ্গে ৫ বছরের সম্পর্কের মধ্য দিয়ে অবশেষে পূর্ণতা পেল সেলেনার প্রেম।
সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ ইনস্টাগ্রাম একটি পোস্টে চোখ আটকে যায় সেলেনার ভক্ত-অনুরাগীদের। গায়িকার সেই পোস্টে দেখা যায়, সেলেনার অনামিকা আঙুলে ঝলমলিয়ে উঠেছে একটি হীরের আংটি! শুধু তাই নয়, দ্বিতীয় ছবিতে নিজের আংটির দিকে মুগ্ধ হয়ে তাকিয়ে আছেন গায়িকা। তৃতীয় ছবিতে হাসিতে ভরা মুখে বাগদানের আনন্দ উপভোগ করছেন তিনি। আর চতুর্থ ছবিতে বেনিকে পাশে নিয়ে গালে চুম্বনের মুহূর্ত ক্যামেরাবন্দি করেছেন সেলেনা গোমেজ। সেই পোস্টের ক্যাপশনে এ গায়িকা লিখেছেন— এখন শুরুটা চিরকালের জন্য।
এদিকে অনুরাগীদেরও আর বুঝতে বাকি নেই যে, প্রেমিক বেনি ব্লাঙ্কোকে নিয়েই বাগদান সেরে নিয়েছেন তাদের প্রিয় গায়িকা। মন্তব্যের ঘর ভরে ওঠে তাদের শুভেচ্ছাবার্তায়। তাদের সঙ্গে মজা করে মন্তব্য করেছেন বেনিও। তিনি লিখেছেন— আরে অপেক্ষা করুন, এটা আমার বউ।
বেনি ব্ল্যাঙ্কো একজন খ্যাতনামা সংগীত প্রযোজক ও গায়ক। তিনি এড শিরান, চার্লি পুথ, উইজ খলিফা, বিটিএস, এমিনেম, জাস্টিন বিবার, হ্যালসি, ক্যাটি পেরি, রিহানাদের মতো শিল্পীদের সঙ্গে নিয়মিত কাজ করেছেন। ২০১৯ সালে গোমেজের জনপ্রিয় ‘সেইম ওল্ড লাভ’ ও ‘আই কান্ট গেট এনাফ’ গান দুটিতে একসঙ্গে কাজ করেছিলেন সেলেনা ও ব্ল্যাঙ্কো। ২০২৩ সালে সম্পর্কে থাকার বিষয়টি অফিসিয়ালি জানানোর আগে ভুলবশত সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নিজেদের প্রেমের খবর জানিয়ে দিয়েছিলেন সেলেনা। সেই মন্তব্যটি অবশ্য মুছেও ফেলেছিলেন তিনি।
মন্তব্য করুন
বিনোদন ডেস্ক:
বিয়ে করতে যাচ্ছেন সালমান খানের ভক্ত ‘বিগ বস’ প্রতিযোগী ও অভিনেতা-গায়ক আবদু রোজিক। সম্প্রতি তিনি নিজেই একটি ভিডিও বার্তা পোস্ট করে এই সুখবর ভাগ করে নিয়েছেন।
১৯ বছর বয়সী আমিরাকে বিয়ে করছেন ২০ বছর বয়সী আবদু। আমিরা শারজার মেয়ে।
এক ভিডিও বার্তায় আবদু জানান, তিনি তার জীবনের ভালোবাসা খুঁজে পেয়েছেন এবং গাঁটছড়া বাঁধতে প্রস্তুত। গেল বুধবার নিজের ইনস্টাগ্রাম হ্যান্ডেলে বিয়ের আংটির একটি ছবিও পোস্ট করেছেন আবদু। সাদা শার্ট, কালো ব্লেজার ও ম্যাচিং প্যান্টে ক্যামেরার সামনে বসে লাজুক মুখে বিয়ের কথা জানান তিনি।
ভিডিও বার্তায় আবদু বলেন, বন্ধুরা, আপনারা জানেন যে আমার বয়স ২০ বছর এবং আমি এমন একটি মেয়ের প্রেমে পড়ার স্বপ্ন দেখেছি যে আমাকে সম্মান করবে, যে আমাকে খুব ভালোবাসবে। এটা আমার স্বপ্ন ছিল। হঠাৎ খুঁজে পেলাম সেই মেয়েকে যে আমাকে সম্মান করছে, অনেক বেশি ভালোবাসা দিচ্ছে। আমি জানি না কীভাবে এটি বলব কারণ আমি খুব উত্তেজিত। একটা গয়নার বাক্স বের করে আবদু বলল, ‘তোমাদের সবার জন্য একটা সারপ্রাইজ আছে। ’
ক্যাপশনে আবদু লেখেন, আমি জীবনে কখনো ভাবিনি যে আমি এমন একজন ভালোবাসার মানুষ পেয়ে যাব যে আমাকে সম্মান করবে। আমি কতটা খুশি তা ভাষায় প্রকাশ করতে পারব না।
খালিজ টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে দুবাইয়ের শপিং মলের সিপ্রিয়ানি ডলসিতে আমিরার সঙ্গে আবদুর দেখা হয়। আগামী ৭ জুলাই সংযুক্ত আরব আমিরাতে তাদের বিয়ের অনুষ্ঠান হবে, বিষয়টি নিশ্চিত করেছে আবদুর ব্যবস্থাপনা প্রতিষ্ঠান ইন্টারন্যাশনাল ফাইটিং চ্যাম্পিয়নশিপ ম্যানেজমেন্ট (আইএফসিএম)।
আবদু তাজিকিস্তানের একজন জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী। তিনি ‘বিগ বস ১৬’-তে অংশগ্রহণের মাধ্যমে ভারতে প্রচুর জনপ্রিয়তা অর্জন করেছিলেন। তবে পূর্ব পেশাগত বাধ্যবাধকতার কারণে স্বেচ্ছায় ‘বিগ বস ১৬’ ত্যাগ করেন আবদু। ছোটবেলা থেকেই দারিদ্রের মধ্যে দিয়ে বড় হওয়া আবদু সেই সময় থেকেই রিকেট রোগে আক্রান্ত। ফলে থেমে যায় তার শারীরিক বৃদ্ধি।
মন্তব্য করুন
বিনোদন ডেস্ক:
এবার বলিউডের উঠতি নায়িকা অনন্যা পান্ডের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক ভাঙল অভিনেতা আদিত্য রায় কাপুরের। তাদের ঘনিষ্ঠ এক বন্ধু বম্বে টাইমসকে বলেন, ‘এক মাস আগে আদিত্য-অনন্যা তাদের সম্পর্কের ইতি টেনেছেন। তাদের ব্রেকআপ হলেও তাদের মাঝে সৌহাদ্যপূর্ণ সম্পর্ক রয়েছে।’
এর আগে ‘খালি পিলি’ সিনেমার সহশিল্পী অর্থাৎ শহিদ কাপুরের ভাই ইশান কাট্টারের সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়েছিলেন অনন্যা। সেই সময় শহিদ কাপুরের পরিবারের সঙ্গেও তার ঘনিষ্ঠতা ছিল। ইশানকে নিয়েও মালদ্বীপে ছুটি কাটিয়েছেন অনন্যা। এরপর আদিত্যর সঙ্গে সম্পর্কে জড়ান অনন্যা। এ জুটি দীর্ঘ ২ বছর সম্পর্কে ছিলেন। যদিও বিচ্ছেদের বিষয়ে এখনো মুখ খুলেননি তাদের কেউ-ই।
সম্প্রতি সময়ে অনন্যা পান্ডে কাজের চেয়ে ব্যক্তিগত জীবনে একাধিক প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে খবরের শিরোনাম হয়েছেন। তবে অভিনেতা আদিত্য রায় কাপুরের সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়ে কোনো রাখঢাক করেননি অনন্যা।
উল্লেখ্য, ২০১৯ সালে ‘স্টুডেন্ট অব দ্য ইয়ার’ সিনেমার মাধ্যমে বলিউডে পা রাখেন অনন্যা পান্ডে। তারপর বেশ কিছু সিনেমায় দেখা গেছে তাকে। অনন্যা পান্ডে অভিনীত সর্বশেষ মুক্তিপ্রাপ্ত সিনেমা ‘খো গায়ে হাম কাঁহা’।
মন্তব্য করুন
বিনোদন ডেস্ক:
বলিউড থেকে রাজনীতির মাঠে আসা অভিনেত্রী কঙ্গনা রানাউত এবার বড় ঘোষণা দিলেন। ২০২৪-এর লোকসভা নির্বাচনে হিমাচল প্রদেশের মান্ডি থেকে বিজেপির প্রার্থী হয়েছেন তিনি। গত মঙ্গলবার তিনি নিজের মনোনয়ন জমা দেন। এই ভোটে জিতলে তিনি অভিনয় ছেড়ে দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন।
কঙ্গনা যেকোনো বিষয় নিয়ে স্পষ্ট কথা বলতে স্বচ্ছন্দবোধ করেন। তাকে ঠোঁট কাটা হিসেবে সবাই জানে। কেননা তিনি যেকোনো কথাই অকপটে বলে ফেলেন।
সম্প্রতি আজতক বাংলাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে মাণ্ডির বিজেপি প্রার্থী কঙ্গনাকে প্রশ্ন করা হয়, যদি মাণ্ডি আসন থেকে তিনি জয়ী হন তাহলে কি জনগণকে দেওয়া প্রতিশ্রুতি পূরণে তিনি ধীরে ধীরে বলিউড ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি থেকে সরে আসবেন?
জবাবে কঙ্গনার সাফ কথা, ‘হ্যাঁ অবশ্যই।’
তিনি এও বলেন, ‘একাধিক চলচ্চিত্র নির্মাতা আমায় বলেছেন- আমি একজন ভালো অভিনেত্রী। আমি যেন অভিনয় না ছাড়ি। আমি ভালো অভিনয় করি ঠিকই। সবটাই আমি প্রশংসা হিসেবে নিই।’
বলিউড তারকা জানান, তিনি ভোটের ডিউটি অত্যন্ত সিরিয়াসলি নেন। কঙ্গনা তার হলফনামায় জানিয়েছেন, তার ৯১ কোটি টাকার সম্পত্তি রয়েছে।
কঙ্গনার বিরুদ্ধে কংগ্রেসের হয়ে লড়ছেন বিক্রমাদিত্য সিং। তার পারিবারিক রাজনৈতিক ব্যাকগ্রাউন্ড বেশ শক্তিশালী। তার মা-বাবা দুজনই হিমাচলের হেভিওয়েট রাজনীতিক হিসেবে পরিচিত।
‘আউটসাইডার’ থেকে নিজেকে বলিউডের ‘কুইন’ খ্যাতি পেয়েছেন কঙ্গনা। এবার ভোটের মাঠে তার নতুন পরীক্ষা।
মন্তব্য করুন
বাংলা চলচ্চিত্রের ‘মিয়া ভাই’ খ্যাত বীর মুক্তিযোদ্ধা আকবর হোসেন খান দুলু ওরফে চিত্রনায়ক ফারুকের মরদেহ দেশে পৌঁছেছে। মঙ্গলবার (১৬ মে) সকাল ৭টা ৪০ মিনিটের ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের একটি বিশেষ ফ্লাইটে তার মরদেহ দেশে পৌঁছায়।
বিমানবন্দর সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
এর আগে সিঙ্গাপুরের স্থানীয় সময় মঙ্গলবার ভোর ৫টা ৪০ মিনিটে ইউএস-বাংলার বিএস-৩০৮ ফ্লাইটটি নায়ক ফারুকের মরদেহ নিয়ে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা হয়।
সোমবার (১৫ মে) স্থানীয় সময় সকাল ১০টায় সিঙ্গাপুর মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন চিত্রনায়ক ফারুক। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৭৫ বছর। তিনি স্ত্রী ফারজানা পাঠান, কন্যা ফারিহা তাবাসসুম পাঠান ও পুত্র রওশন হোসেন, আত্মীয়-স্বজন, বন্ধু-বান্ধবসহ অসংখ্য ভক্তবৃন্দ রেখে গেছেন।
তার ভগ্নিপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা কে.বি.এম মফিজুর রহমান খান জানান, গাজীপুরের কালীগঞ্জে বাবার কবরের পাশে চিরনিদ্রায় শায়িত হবেন চিত্রনায়ক ফারুক। তার বাবা আজগর হোসেন পাঠান উপজেলার তুমুলিয়া ইউনিয়নের সোমটিওরী কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের পাশে পারিবারিক কবরস্থানে শায়িত আছেন। সেখানেই ফারুকের মরদেহ দাফন করা হবে।
তিনি বলেন, ‘তার (ফারুক) স্ত্রী ফারজানা পাঠান মেয়ে ফারিহা তাবাসসুম পাঠান, ছেলে রওশন হোসেনসহ সকল আত্মীয় স্বজনের সাথে কথা বলে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। জীবিত অবস্থায় ফারুক সবাইকে (অসিয়ত) বলে গিয়েছেন, যেন মৃত্যুর পর তাকে গাজীপুরের কালীগঞ্জ উপজেলার দক্ষিণ সোম গ্রামে পারিবারিক কবরস্থানে তার বাবা আজগর হোসেন পাঠানের কবরের পাশে শায়িত করা হয়।’
তিনি জানান, চিত্রনায়কের মরদেহ মঙ্গলবার (১৬ মে) সকাল ৯টায় রাজধানী ঢাকার উত্তরায় নিজ বাসায় নিয়ে যাওয়া হবে।
বেলা ১১টায় জাতীয় শহীদ মিনারে সর্বস্তরের জনগণের শ্রদ্ধা জ্ঞাপনের জন্য নেওয়া হবে। বাদ জোহর এফডিসিতে চলচ্চিত্র সংশ্লিষ্টরা শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করবেন এবং সেখানে দ্বিতীয় নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। এরপর বাদ আসর গুলশান আজাদ মসজিদে তৃতীয় জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। সবশেষ সন্ধ্যা ৭টায় গাজীপুরের কালীগঞ্জ উপজেলার তুমুলিয়া দক্ষিণ সোম গ্রামের বাড়িতে চতুর্থ জানাজা সোমটিওরী কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ সংলগ্ন ঈদগাহ ময়দানে অনুষ্ঠিত হবে।
জানাজা শেষে সোমটিওরী কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ সংলগ্ন পারিবারিক কবরস্থানে বাবা আজগর হোসেন পাঠানের পাশে শায়িত হবেন এই কিংবদন্তি অভিনেতা।
মন্তব্য করুন
বিনোদন ডেস্কঃ
কলকাতার চলচ্চিত্র উৎসবে জায়গা হয়নি বাংলাদেশের। আগামী ৪ ডিসেম্বর শুরু হতে যাওয়া এই উৎসবে স্থান পেয়েছে ২৯টি দেশের ১৮০টি সিনেমা। আর এবারই প্রথম ‘কলকাতা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব (কেআইএফএফ)’-এ থাকছে না বাংলাদেশের নাম। রাজনৈতিক অবস্থা ও ভিসা জটিলতার কারণেই এমনটা হয়েছে বলে জানিয়েছেন উৎসবের চেয়ারম্যান গৌতম ঘোষ।
কলকাতার উৎসবে বাংলাদেশের সিনেমার জায়গা না পেলেও ‘ঢাকা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব’-এ ঠিকই থাকছে ভারতীয় সিনেমা। আগামী ১১ জানুয়ারি শুরু হবে উৎসবের ২৩তম আসর। ৯ দিনব্যাপী এই উৎসবে প্রদর্শিত হবে ৭৫টি দেশের প্রায় ২৫০টি সিনেমা। যদিও এখনো পর্যন্ত পূর্ণাঙ্গ তালিকা প্রকাশ করেনি আয়োজক কর্তৃপক্ষ। তবে তাদের ফেসবুক পেজে প্রকাশিত ‘এশিয়ান ফিল্ম কমপিটিশন’ বিভাগের তালিকা রয়েছে দুটি ভারতীয় সিনেমা। এগুলো হলো- জটলা সিদ্ধার্থের ‘ইন দ্য বেলি অব আ টাইগার’ ও সৌমিক রায় চৌধুরীর ‘বেলাইন’। এছাড়াও ‘সিনেমা অব দ্য ওয়ার্ল্ড’ বিভাগে আছে সৃজিত মুখার্জির ‘পদাতিক’।
বিষয়টি নিয়ে ঢাকা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবের আয়োজক রেইনবো ফিল্ম সোসাইটির সভাপতি আহমেদ মুজতবা জামাল বলেন, ‘সরকারি আয়োজনে অনুষ্ঠিত হয় কলকাতা চলচ্চিত্র উৎসব। সেখানে বাংলাদেশের সিনেমা কেন নেই- এর উত্তর দিতে পারবে উৎসব কর্তৃপক্ষ ও তাদের সরকার। ভারতের গোয়ায় অনুষ্ঠিত ইফিতে কিন্তু বাংলাদেশের সিনেমা প্রদর্শিত হয়েছে। আর ঢাকা চলচ্চিত্র উৎসব সরকারি কোনো আয়োজন হয় না। আমরা সিনেমাকে প্রাধান্য দিয়েছি। এখানে পাকিস্তানের সিনেমা যেমন আছে, তেমনি ভারত, চীনসহ ৭০টির বেশি দেশের সিনেমা আছে। আমরা কোনো দেশ বিবেচনায় সিনেমা নির্বাচন করছি না। এছাড়া সরকার থেকে আমাদের এমন কোনো নির্দেশনা দেওয়া হয়নি যে নির্দিষ্ট কোনো দেশের সিনেমা দেখানো যাবে না।’
তিনি আরও বলেন, ‘এবার চলচ্চিত্র উৎসবে ভারতের সিনেমার সংখ্যা কমে গেছে। অন্যান্যবার ২৫-৩০টি সিনেমা থাকে। এবার মাত্র ৫-৬টি সিনেমা আছে। তাছাড়া ভারতের কোনো ফিল্মমেকার, কলাকুশলী বা অতিথি কেউ আসছেন না ভিসা জটিলতার কারণে।’
গতবার ‘ঢাকা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব’-এ আলো ছড়িয়েছিলেন ইরানের নির্মাতা মাজিদ মাজিদি, ভারতের শর্মিলা ঠাকুর, অঞ্জন দত্তরা।
মন্তব্য করুন
বিনোদন ডেস্কঃ
মুম্বাইয়ে প্রকাশ্য দিবালোকে সম্প্রতি খুন হন ভারতীয় রাজনৈতিক দল জাতীয়তাবাদী কংগ্রেস পার্টির (এনসিপি) নেতা ও সাবেক মন্ত্রী বাবা সিদ্দিকি। এই হত্যার দায় স্বাকীর করেছেন ভারতের প্রভাবশালী গ্যাংস্টার লরেন্স বিষ্ণোই।
এই হত্যাকাণ্ডের পর থেকে সালমান খানে নিরাপত্তা নিয়ে তৈরি হয়েছে নানা অনিশ্চয়তা। প্রতিদিন নানাভাবে লরেন্স বিষ্ণোই গ্যাংয়ের পক্ষ থেকে হুমকি দেওয়ার চিঠি পাওয়ায় দু-চোখ এক করতে পারছেন না সালমানের ভাই আরবাজ, সোহেল। গোটা খান পরিবার রীতিমত আতঙ্কে কাটছে প্রতিটি মহুর্ত।
এমনকি ছেলেকে নিয়ে বেশ দুশ্চিন্তায় রয়েছেন সালমানের বাবা সেলিম খান। ভারতীয় গণমাধ্যমে এক সাক্ষাৎকারে সালমানের বাবা জানান যে, কৃষ্ণসার হরিণ সালমান শিকার করেননি। তাই লরেন্স বিষ্ণোই গ্যাংয়ের কাছে বিনা কারণে তার ছেলের ক্ষমা চাওয়ার কোনো প্রশ্নই আসে না’।
সেলিম খান বলেন, যে কারণে সালমান বার বার প্রাণনাশের হুমকি পাচ্ছে, সে ঘটনার সঙ্গে সালমান যুক্ত না। সালমান অন্তত আমাকে মিথ্যা কথা বলবে না। কৃষ্ণসার হরিণ সালমান শিকার করেননি। আমার ছেলে পশু-পাখিদের খুবই ভালোবাসে।
তিনি বলেন, এমন কাজ সে করতে পারেই না। তাই লরেন্স বিষ্ণোই গ্যাংয়ের কাছে বিনা কারণে ক্ষমা চাইবে কেন? আমার মনে হয় এই বিষয়টা একটু ভেবে দেখা দরকার।
প্রসঙ্গত, বাবা সিদ্দিকির খুনের দায় বিষ্ণোই গ্যাং নেওয়ার পর থেকেই সালমান খানের ঝুঁকি আরও বেড়েছে। কারণ, সোশাল মিডিয়া পোস্টে তাদের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, যে বা যারা সালমান খানের ঘনিষ্ঠ, তাদের সকলকেই এর দাম দিতে হবে।
চলতি বছরেই সালমানের গ্যালাক্সি অ্যাপার্টমেন্টের বাইরে গুলিবর্ষণ করেছিল এ গ্যাং। এবার বাব সিদ্দিকির খুন, তারপর বৃহস্পতিবার মুম্বাই ট্র্যাফিক পুলিশের হোয়াটসঅ্যাপে আবারও সালমান খানের নামে হুমকির চিঠি।
মন্তব্য করুন
গাজীপুরের কালীগঞ্জে বাবার কবরের পাশে চিরনিদ্রায় শায়িত হবেন বাংলা চলচ্চিত্রের ‘মিয়া ভাই’ খ্যাত বীর মুক্তিযোদ্ধা আকবর হোসেন খান দুলু ওরফে চিত্রনায়ক ফারুক। তার বাবা আজগর হোসেন পাঠান উপজেলার তুমুলিয়া ইউনিয়নের সোমটিওরী কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের পাশে পারিবারিক কবরস্থানে শায়িত আছেন। সেখানেই ফারুকের মরদেহ দাফন করা হবে।
সোমবার (১৫ মে) বিকেলে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন চিত্রনায়ক ফারুকের ভগ্নিপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা কে.বি.এম মফিজুর রহমান খান।
তিনি বলেন, ‘তার (ফারুক) স্ত্রী ফারজানা পাঠান মেয়ে ফারিহা তাবাসসুম পাঠান, ছেলে রওশন হোসেনসহ সকল আত্মীয় স্বজনের সাথে কথা বলে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। জীবিত অবস্থায় ফারুক সবাইকে (অসিয়ত) বলে গিয়েছেন, যেন মৃত্যুর পর তাকে গাজীপুরের কালীগঞ্জ উপজেলার দক্ষিণ সোম গ্রামে পারিবারিক কবরস্থানে তার বাবা আজগর হোসেন পাঠানের কবরের পাশে শায়িত করা হয়।’
তিনি জানান, চিত্রনায়ক ও সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা আকবর হোসেন পাঠান দুলু ওরফে ফারুকের প্রথম নামাজে জানাজা সিঙ্গাপুরে অনুষ্ঠিত হবে। আগামীকাল মঙ্গলবার (১৬ মে) সকাল ৭টা ৫০ মিনিটে ইউএস বাংলার ফ্লাইটে হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে তার মরদেহ আসবে। পরে সকাল ৯টায় রাজধানী ঢাকার উত্তরায় নিজ বাসায় নিয়ে যাওয়া হবে।
জানাজা শেষে সোমটিওরী কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ সংলগ্ন পারিবারিক কবরস্থানে বাবা আজগর হোসেন পাঠানের পাশে শায়িত হবেন এই কিংবদন্তি অভিনেতা।
উল্লেখ্য, চিত্রনায়ক ফারুক সোমবার (১৫ মে) স্থানীয় সময় সকাল ১০টায় সিঙ্গাপুর মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৭৫ বছর। তিনি স্ত্রী ফারজানা পাঠান, কন্যা ফারিহা তাবাসসুম পাঠান ও পুত্র রওশন হোসেন, আত্মীয়-স্বজন, বন্ধু-বান্ধবসহ অসংখ্য ভক্তবৃন্দ রেখে গেছেন। মঙ্গলবার (১৬ মে) সকালে তার মরদেহ দেশে আনা হবে।
মন্তব্য করুন
দুই বাংলার জনপ্রিয় অভিনেত্রী রাফিয়াত রশিদ মিথিলা একটি সুখবর শেয়ার করেছেন। সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে তিনি জানান, দীর্ঘ চার বছর ধরে আটকে থাকা সিনেমা ‘জলে জ্বলে তারা’ অবশেষে মুক্তি পাচ্ছে এই মাসেই।
গতকাল শুক্রবার (৩১ জানুয়ারি) দুপুরে মিথিলা ফেসবুকে একটি খবরের ছবি শেয়ার করে ক্যাপশনে লেখেন, ‘আমাদের সিনেমা, অরুণ চৌধুরী পরিচালিত ছবি ‘জলে জ্বলে তারা’। আসছে ভালোবাসা দিবসে আপনার কাছের প্রেক্ষাগৃহে।’
সরকারি অনুদানপ্রাপ্ত ‘জলে জ্বলে তারা’ সিনেমার শুটিং শুরু হয় ২০২১ সালে। কিন্তু শুটিং শুরুর মাত্র তিন মাস পর করোনা মহামারি ও আর্থিক সংকটের কারণে সিনেমার কাজ বন্ধ হয়ে যায়।
একাধিকবার শুটিং বন্ধ হয়ে যাওয়া এ সিনেমার কাজ শেষ হলেও প্রেক্ষাগৃহে মুক্তির ক্ষেত্রে দেখা দেয় নানা জটিলতা। অসংখ্যবার মুক্তির তারিখ ঠিক করা হলেও শেষ পর্যন্ত প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পায়নি সিনেমাটি।
রোমান্টিক ঘরানার সিনেমা হওয়ায় সিনেমা সংশ্লিষ্টরা এবার চলতি মাসের ভালোবাসা দিবসেই প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি দিতে চলেছেন নতুন এ সিনেমাটি।
এ সিনেমায় মিথিলার সঙ্গে জুটি গড়েছেন ছোট পর্দার জনপ্রিয় অভিনেতা এফ এস নাঈম। ক্যারিয়ারে নাঈমকে এই প্রথমবারের মতো কোনো সিনেমায় প্রধান চরিত্রে অভিনয় করতে দেখবেন দর্শকরা।
মুক্তি প্রতীক্ষিত এ সিনেমায় মিথিলা ও নাঈম ছাড়াও আরও অভিনয় করেছেন ফজলুর রহমান বাবু, মনিরা মিঠু, আজাদ আবুল কালাম, নূর ইমরান মিঠু প্রমুখ।
মন্তব্য করুন