ইসরায়েলের বিমান বাহিনী সিরিয়ায় ইতিহাসের সবচেয়ে বড় হামলা চালিয়েছে আসাদ সরকারের পতনের পর। ইসরায়েলের নিরাপত্তা–সংশ্লিষ্ট সূত্রের বরাতে দেশটির সংবাদমাধ্যম এই তথ্য জানিয়েছে। আল জাজিরার খবরে এমনই উল্লেখ করা হয়েছে।
সিরিয়ার ভূখণ্ডে অন্তত ২৫০টিরও বেশি সামরিক লক্ষ্যবস্তুতে আক্রমণ করেছে ইসরায়েল। গত ২৪ বছর ধরে ক্ষমতায় থাকা বাশার আল-আসাদ বিদ্রোহীদের আক্রমণে গত রোববার দেশ ছেড়ে পালিয়ে রাশিয়ায় আশ্রয় নিয়েছেন।
রাষ্ট্রনিয়ন্ত্রিত ইসরায়েলি আর্মি রেডিও অসমর্থিত সূত্রের বরাতে জানিয়েছে, হামলার লক্ষ্যবস্তু ছিল আসাদের সামরিক ঘাঁটি, কয়েক ডজন যুদ্ধবিমান, ভূমি থেকে নিক্ষেপযোগ্য ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা, উৎপাদন ক্ষেত্র, গুদাম এবং ভূমি থেকে ভূমিতে নিক্ষেপযোগ্য ক্ষেপণাস্ত্র।
ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু আসাদ সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করার কৃতিত্ব দাবি করেছেন। সিরিয়া-ইসরায়েল সীমান্ত পরিদর্শনে গিয়ে নেতানিয়াহু বলেন, “আসাদ সরকারের প্রধান সমর্থক ইরান ও হিজবুল্লাহর ওপর আমরা যে আঘাত হেনেছি, তার প্রত্যক্ষ ফলাফল এটি।”
মন্তব্য করুন
আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের নাগরিক ও কোম্পানির ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে ইরান। আজ বৃহস্পতিবার ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাসের বিপক্ষে গিয়ে ইসরায়েলকে সমর্থন করায় তাদের ওপর এই নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়।
ইরান জানিয়েছে সাত মার্কিন নাগরিক আছে তাদের নিষেধাজ্ঞার তালিকায়। এর মধ্যে আছেন জেনারেল ব্রায়ান পি ফেন্টন, তিনি যুক্তরাষ্ট্রের বিশেষ অভিযানের কমান্ডার হিসেবে রয়েছেন। আছেন ভাইস অ্যাডমিরাল ব্রাড কুপার, তিনি মার্কিন নৌবাহিনীর পঞ্চম বহরের সাবেক কমান্ডার।
ব্রিটিশ নাগরিক ও প্রতিষ্ঠানও আছে এই নিষেধাজ্ঞায়। ব্রিটিশ প্রতিরক্ষামন্ত্রী গ্র্যান্ট শ্যাপস আছেন ইরানের নিষেধাজ্ঞার তালিকায়। ব্রিটিশ সেনাবাহিনীর কৌশলগত কমান্ডের কমান্ডার জেমস হকেনহল এবং লোহিত সাগরের রয়্যাল নেভির বহরের ওপরেও নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে ইরান।
এছাড়াও মার্কিন অস্ত্র নির্মাতা লকহিড মার্টিন, শেভরন এবং ব্রিটিশ এলবিট সিস্টেমস, পার্কার মেগিট ও রাফাল ইউকের ওপরও বিধি-নিষেধ আরোপ করেছে ইরান।
ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, এই নিষেধাজ্ঞার আওতায় ওই ব্যক্তি ও কোম্পানি বা প্রতিষ্ঠানের সম্পদ ও ব্যাংক অ্যাকাউন্ট জব্দ করা হবে। তারা কোনোভাবেই ইরানি ভূখণ্ডে প্রবেশ করতে পারবে না।
মন্তব্য করুন
যুক্তরাজ্যের পার্লামেন্ট ভবন একটি ইউনেস্কো ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ। শতাব্দীপ্রাচীন এই ভবন বহু ইতিহাসের সাক্ষী। কিন্তু সেই ভবনই আর কতদিন রক্ষা করা যাবে, তা নিয়ে এমনপিদের মধ্যে আলোচনা শুরু হয়েছে।
হাউস অব কমন্সে পাবলিক অ্যাকাউন্টস কমিটি যে রিপোর্ট দিয়েছে তাতে বলা হয়েছে, ভবনের বিভিন্ন জায়গা থেকে পানি চুঁইয়ে পড়ছে। বিভিন্ন জায়গায় ফাটল দেখা গেছে। আগুন লাগলে তা নেভানোর মতো যথেষ্ট ব্যবস্থা নেই। ফলে বড় কোনও বিপর্যয় ঘটলে ভবনটি ভেঙে পড়তে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছে।
আর তাই অবিলম্বে এই ভবনের সংস্কার প্রয়োজন বলে রিপোর্টে বলা হয়েছে।
আইনপ্রণেতাদের বক্তব্য, ভবনটির এখন যা অবস্থা তা সংস্কার করতে বহু অর্থ ব্যয় হবে। কিন্তু আরও সময় ব্যয় করলে খরচ বহু গুণ বেড়ে যাবে। যা করদাতাদের টাকা থেকেই নিতে হবে। এছাড়া আরও অপেক্ষা করলে ভবনটি সংস্কারের অযোগ্যও হয়ে পড়তে পারে।
এখনও পর্যন্ত যা কাজ হয়েছে তা কার্যত ধর তক্তা মার পেরেক গোছের বলে জানিয়েছে পার্লামেন্টের কমিটি। তাতেই সপ্তাহে দুই মিলিয়ন পাউন্ড করে খরচ হয়েছে।
ওয়েস্টমিনস্টার রাজপ্রাসাদটিকেই যুক্তরাজ্যের পার্লামেন্ট হিসেবে ব্যবহার করা হয়। এর আগেও এর সংস্কার নিয়ে বার বার আলোচনা হয়েছে। কিন্তু কখনোই সামগ্রিক সংস্কারের ব্যবস্থা হয়নি। আলোচনাও খুব ধীর গতিতে এগিয়েছে।
২০১৮ সালে এমপিরা ভোটাভুটির মাধ্যমে ঠিক করেছিলেন, ২০২০ সালে ভবনটি কিছুদিনের জন্য খালি করে দেওয়া হবে। সে সময় সংস্কারের কাজ করা যাবে। কিন্তু ২০২০ সালে সকলে পার্লামেন্ট ভবন ছেড়ে যেতে চাননি। ফলে সংস্কারও সম্ভব হয়নি।
যারা ভবনটি ছেড়ে যেতে চাননি, তারা বার বার বলেছেন, পার্লামেন্ট ঠিকমতো সংস্কার করতে হলে বহু বছর সময় লেগে যাবে। এতদিন ওই ভবন ছেড়ে অন্যত্র পার্লামেন্ট চালানো সম্ভব নয়।
২০১৬ সাল থেকে পার্লামেন্ট ভবনে অন্তত ৪৪টি অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। যার ফলে এখন ২৪ ঘণ্টা দমকলকর্মীরা ভবনটি পাহারা দেন। ১৮৩৪ সালে অগ্নিকাণ্ডেই নষ্ট হয়েছিল পুরোনো ওয়েস্টমিনস্টার প্রাসাদ। এরপর চার্লস ব্যারি নামক এক স্থপতি নতুন ভবনটি তৈরি করেন। নিও গথিক স্থাপত্যের সেই ভবনই এখন যুক্তরাজ্যের পার্লামেন্ট।
মন্তব্য করুন
আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ
লেবাননের রাজধানী বৈরুতে হিজবুল্লাহর গোয়েন্দা সদর দপ্তরে হামলা চালানোর কথা জানিয়েছে ইসরাইলি সামরিক বাহিনী।
রোববার এক বিবৃতিতে ইসরাইলি সামরিক বাহিনী জানায়, গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে আজ ভোরে এই হামলা চালায় তারা।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘হামলায় বেসামরিক হতাহত কমাতে’ বেশ কিছু পদক্ষেপ আগে থেকেই নেওয়া হয়েছিল, যে কারণে ওই এলাকায় আগে থেকে সতর্কতা দেওয়া হয়েছিল।
ইসরাইলি সামরিক বাহিনী জানিয়েছে, তাদের এই হামলায় আল-হাজ আব্বাস সালামা মারা গেছেন।
আল-হাজ আব্বাস সালামা হিজবুল্লাহর দক্ষিণ ফ্রন্টের একজন সিনিয়র কমান্ডার ছিলেন। এ সময় রাদা আব্বাস আওয়াদা এবং আহমাদ আলী হুসেন নামে আরও দুইজন হিজবুল্লাহ যোদ্ধা মারা গেছেন।
ইসরাইলি বাহিনীর বিবৃতিতে বলা হয়, আওয়াদা হিজবুল্লাহর একজন সিনিয়র যোগাযোগ বিশেষজ্ঞ ছিলেন।
এছাড়া হুসেন একটি অস্ত্র তৈরির ইউনিটের প্রধান হিসেবে কাজ করেছেন।
তবে, এই হামলার বিষয়ে এখনো কোন মন্তব্য করেনি হিজবুল্লাহ।
মন্তব্য করুন
আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
রাশিয়ায় ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন সরবরাহের অভিযোগে ইরানের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করলো ইউরোপের দেশগুলোর জোট ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)। ইরানের বেশ কয়েকজন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের ওপর এই নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে।
সোমবার ইউরোপীয় কাউন্সিল জানায়, ইউক্রেনের বিরুদ্ধে যুদ্ধে ব্যবহারের জন্য মস্কোয় অস্ত্র ও সরঞ্জাম সরবরাহের কারণে ইরানের সাত ব্যক্তি ও সাতটি প্রতিষ্ঠানের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হলো। তাদের সম্পদ জব্দ করা হবে ও তারা ইউরোপে ভ্রমণ করতে পারবেন না।
নিষেধাজ্ঞা পাওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে রয়েছেন- ইরানের উপ-প্রতিরক্ষামন্ত্রী সৈয়দ হামজা ঘালানদারি, ইসলামিক রেভল্যুশনারি গার্ড কর্পসের কুদস ফোর্সের উচ্চপদস্থ সদস্য ও ইরানের তিনটি বিমান সংস্থা যার মধ্যে ইরান এয়ারও রয়েছে।
ইউরোপীয় কমিশনের সভাপতি উরসুলা ভন ডার লায়েন এই নিষেধাজ্ঞাকে স্বাগত জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ইউক্রেনের বিরুদ্ধে রাশিয়ার আগ্রাসী যুদ্ধে ইরান সরকারের সমর্থন অগ্রহণযোগ্য ও এটি অবশ্যই বন্ধ হতে হবে। এমন পরিস্থিতিতে আমি রাশিয়ায় ইরানের ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র সরবরাহের প্রতিক্রিয়ায় আমাদের এই নিষেধাজ্ঞা আরোপকে স্বাগত জানাই।
ইউক্রেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আন্দ্রি সিবিহাও এই নিষেধাজ্ঞাকে স্বাগত জানিয়েছেন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে দেওয়া পোস্টে তিনি লিখেছেন, যারা আগ্রাসনকে সমর্থন দেয়, তাদের অবশ্যই দায় নিতে হবে ও মূল্য দিতে হবে।
ইইউ’র নিষেধাজ্ঞা আরোপের পর মঙ্গলবার ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ইসমাইল বাঘাই বলেন, ইরান রাশিয়ায় কোনও ক্ষেপণাস্ত্র সরবরাহ করেনি। এসব নিষেধাজ্ঞা আন্তর্জাতিক আইনের পরিপন্থী।
এর আগে সোমবার ইসরায়েলে ক্ষেপণাস্ত্র হামলার অভিযোগে ইরানের শীর্ষ সামরিক কর্মকর্তাদের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে যুক্তরাজ্য। এছাড়া গত শুক্রবার ইরানের তেল খাতের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে যুক্তরাষ্ট্র।
মন্তব্য করুন
আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকার একটি ভবনে নিজেদের ট্যাংক থেকে ছোড়া গোলার আঘাতে পাঁচ ইসরায়েলি সেনা নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও সাতজন, যাদের মধ্যে তিনজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। বুধবার (১৫ মে) গাজার জাবালিয়া শহরে এই ঘটনা ঘটে। এ ঘটনার অধিকতর তদন্ত চলছে বলে জানিয়েছে ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ)।
বৃহস্পতিবার (১৬ মে) সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইসরায়েল জানায়, নিহত সেনারা হলেন ক্যাপ্টেন রয় বেইট ইয়াকভ (২২), স্টাফ সার্জেন্ট গিলাদ আরিয়ে বোইম (২২), সার্জেন্ট ড্যানিয়েল চেমু (২০), সার্জেন্ট ইলান কোহেন (২০), স্টাফ সার্জেন্ট বেতজালেল ডেভিড শাশুয়া (২১)। তারা সবাই প্যারাট্রুপার্স ব্রিগেডের ২০২ ম্বর ব্যাটালিয়নে কর্মরত ও অতি রক্ষণশীল কোম্পানির অংশ ছিলেন।
আইডিএফ বলছে, এই দুর্ঘটনার পেছনে কয়েকটি কারণ থাকতে পারে। সেগুলোর মধ্যে রয়েছে প্রতিরক্ষা বাহিনীর শাখাগুলোর মধ্যে যোগাযোগের অভাব, সৈন্যদের ক্লান্তি কিংবা নিয়ম বা যুদ্ধ কৌশলের প্রতি পর্যাপ্ত মনোযোগ না দেওয়া।
আইডিএফের প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, বুধবার প্যারাট্রুপারদের সঙ্গে জাবালিয়ায় হামলা চালাতে গিয়েছিল তাদের ট্যাংক বাহিনী। সেদিন সন্ধ্যা ৭টার দিকে একটি ভবন লক্ষ্য করে ট্যাংক থেকে দুটি গোলা ছোড়া হয়। ট্যাংক সেনারা ভেবেছিলেন, ভবনের ভেতরে হামাসের প্রতিরোধ যোদ্ধারা আছেন। কিন্তু আসলে সেখানে ছিলেন ইসরায়েলি সেনারাই।
টাইমস অব ইসরায়েলের প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, বুধবার সকালে ট্যাঙ্ক বাহিনী জাবালিয়ায় পৌঁছায়। তাদের কয়েক ঘন্টা পরে প্যারাট্রুপাররা সেখানে পৌঁছান ও একটি ভবনে অবস্থান নেন। ওইদিন সন্ধ্যায় প্যারাট্রুপারদের আরেকটি দল ওই এলাকায় পৌঁছায়। প্যারাট্রুপারদের দ্বিতীয় দলটি ওই ভবনে প্রবেশের বিষয়টি বাইরে অবস্থান নেওয়া দুটি ট্যাংকের ভেতরে থাকা সৈন্যদের জানান। এরপরও ভবটিতে ট্যাংক থেকে হামলা চালানো হয়।
এদিকে, ট্যাংক বাহিনীর দাবি, তারা একটি জানালা দিয়ে ভবনটির ভেতরে অস্ত্রের ব্যারেল দেখতে পেয়েছিলেন। এতে তাদের সন্দেহ হয় যে ভবনটির ভেতরে শত্রু বাহিনী অর্থাৎ হামাসের প্রতিরোধ যোদ্ধারা রয়েছেন। ফলে তারা দুটি শেল নিক্ষেপ করেন।
এই পাঁচ সেনার তাদের মৃত্যুতে গাজায় হামাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে গিয়ে নিহত ইসরায়েলি সৈন্যের সংখ্যা ২৭৮ এ পৌঁছালো।
মন্তব্য করুন
সমুদ্রের তলদেশে পড়ে থাকা বিশ্ববিখ্যাত জাহাজ টাইটানিকের নতুন ভিডিও প্রকাশ করেছে একটি সংস্থা। তারা জানিয়েছে, এবারের ভিডিওতে টাইটানিকের যে চিত্র ওঠে এসেছে তা আগে কখনো দেখা যায়নি।
১৯১২ সালে সাউদাম্পটন থেকে নিউইয়র্কে যাওয়ার পথে বিশাল বরফ খন্ডের সঙ্গে ধাক্কা লেগে আটলান্টিক মহাসাগরে ডুবে যায় টাইটানিক। জাহাজডুবির ঘটনায় প্রায় ১ হাজার ৫০০ মানুষ প্রাণ হারান। আটলান্টিক মহাসাগরের ১২ হাজার ৫০০ ফুট গভীরে এখন জাহাজটি পড়ে আছে।
দুর্ঘটনার ৭৩ বছর পর ১৯৮৫ সালে সমুদ্রের অতল গভীরে টাইটানিকের সন্ধান পাওয়া যায়। এরপর থেকেই এ জাহাজটির প্রতি মানুষের কৌতুহল আরও বেড়ে যায়।
এই কৌতুহল মেটাতেই গভীর সমুদ্রে ম্যাপিং ও স্ক্যান করে টাইটানিক জাহাজটির থ্রিডি ভিডিও ধারণা করা হয়েছে। ভিডিওটি দেখলে মনে হয় যেন, জাহাজটির আশপাশে কোনো পানি নেই। শুধুমাত্র একটি খালি জায়গায় এটি পড়ে আছে।
ভিডিও ধারণ করার কাজটি করেছে গভীর সমুদ্রের তলদেশ মাপা প্রতিষ্ঠান ম্যাগেলান লিমিটেড এবং আটলান্টিক প্রোডাকশনস। ২০২২ সালে কাজটি করা হয়।
আগে টাইটানিকের যেসব ভিডিও বা ছবি প্রকাশ করা হয়েছে সেগুলো ঘোলা বা অস্পষ্ট ছিল। এছাড়া পুরো জাহাজটির চিত্রও তুলে ধরা সম্ভব হয়নি।
তবে নতুন ভিডিওতে জাহাজটির পুরো ধ্বংসাবশেষের চিত্র ওঠে এসেছে। এতে স্পষ্টভাবে দেখা যাচ্ছে টাইটানিকটি দুই খন্ড হয়ে পড়ে আছে। জাহাজটির বো, স্টার্ন এমনকি প্রপেলারটির নাম্বারও ক্যামেরায় ধরা পড়েছে।
অবশ্য এ ভিডিও ধারণে সমুদ্রের নিচে যাননি বিশেষজ্ঞরা। তারা সমুদ্রের উপর থেকেই সাবমার্সিবল ব্যবহার করে ও ২০০ ঘণ্টারও বেশি সময় ব্যয় করে জাহাজটি মাপামাপি এবং ছবি তুলেছেন।
জাহাজটির প্রত্যেকটি অ্যাঙ্গেল থেকে ৭০ হাজারের বেশি ছবি তোলা হয়েছে। এরপর সেগুলো সাজিয়ে তৈরি করা হয়েছে থ্রিডি ভিডিও।
নতুন এ ভিডিওতে জাহাজের ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র বিষয়গুলোও ওঠে এসেছে। ধ্বংসাবশেষের মধ্যে মদের বোতল, মানুষের জুতাসহ বেশ কিছু জিনিস দেখা গেছে। ভিডিও দেখুন এ লিংকে
মন্তব্য করুন
ডেস্ক রিপোর্টঃ
বাংলাদেশ থেকে ফিরে ভারতের পররাষ্ট্রসচিব বিক্রম মিশ্রি দেশটির সংসদের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়বিষয়ক স্থায়ী কমিটিকে ব্রিফ করেছেন। এতে উপস্থিত ছিলেন কমিটির সভাপতি কংগ্রেস নেতা শশী থারুর।
বিক্রম মিশ্রি কমিটিকে জানান, সোমবার ঢাকা সফরের সময় তিনি অন্তর্বর্তী সরকারকে জানিয়েছেন, ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক কোনো বিশেষ রাজনৈতিক দল বা সরকারের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়। ভারত বাংলাদেশের জনগণের সাথে সম্পর্ককে অগ্রাধিকার দেয় এবং যে কোনো সরকারের সঙ্গে সম্পর্ক বজায় রাখবে।
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের সমালোচনা করে শেখ হাসিনা যে বক্তব্য-বিবৃতি দিচ্ছেন তা ভারত সমর্থন করে না। এটি দুই দেশের সম্পর্কের একটি ক্ষুদ্র প্রতিবন্ধক।’
ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বলেন, শেখ হাসিনা তার মন্তব্যের জন্য ‘ব্যক্তিগত যোগাযোগ ডিভাইস’ ব্যবহার করছেন। ভারত সরকার তাকে (শেখ হাসিনা) এমন কোনো প্ল্যাটফর্ম বা সুযোগ–সুবিধা দেয়নি, যা দিয়ে তিনি ভারতের মাটিতে বসে রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড চালিয়ে যেতে পারেন। এটি তৃতীয় কোনো দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে ভারতের হস্তক্ষেপ না করার ঐতিহ্যগত রীতির অংশ।
বিক্রম মিশ্রি বলেন, বাংলাদেশে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ওপর সহিংসতার অভিযোগের স্বীকৃতির নিয়ে ভারত উদ্বিগ্ন ছিল। তবে সবশেষ খবর হলো, শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর থেকে এ সংক্রান্ত সহিংসতার ঘটনায় ৮৮ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশের কর্তৃপক্ষ। এ খবরকে ভারত স্বাগত জানায়।
সূত্র : দ্য হিন্দু
মন্তব্য করুন
আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ
ফিলিস্তিনের গাজায় নিঃশর্ত ও স্থায়ী যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব পাস করেছে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদ। জাতিসংঘের ফিলিস্তিনি শরণার্থীবিষয়ক সংস্থার ইউএনআরডব্লিউএ’র সমর্থনেও আলাদা প্রস্তাব পাস হয়েছে। ইসরায়েল আইন করে এই সংগঠনকে তাদের দেশে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে।
বুধবার (১১ ডিসেম্বর) পাস হওয়া ওই প্রস্তাবে বলা হয়েছে, গাজা ভূখণ্ডে অবিলম্বে নিঃশর্তে স্থায়ী যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করতে হবে। কর্মকর্তাদের মতে, গত এক বছরেরও বেশি সময় ধরে চলা এই যুদ্ধের ফলে গাজায় ৪৪ হাজার মানুষ নিহত হয়েছেন।
এই প্রস্তাবকে অবশ্যপ্রতীকী পদক্ষেপ মনে করা হচ্ছে, কারণ ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্র তা খরিজ করে দিয়েছে। আর ইসরায়েলের ওপর এই প্রস্তাব মানার কোনো আইনি বাধ্যবাধকতাও নেই। তবে রাজনৈতিক দিক থেকে দেখতে গেলে এর একটা চাপ আছে। কারণ, এতগুলো দেশ যখন কোনো প্রস্তাবে সমর্থন দেয়, তখন তাকে পুরো বিশ্বের মত প্রকাশ বলে বিবেচনা করা হয়।
এদিকে, যুক্তরাষ্ট্রের বক্তব্য ছিল, গাজায় ইসরায়েলি জিম্মিদের মুক্ত করার শর্তে যুদ্ধবিরতি হতে পারে। না হলে হামাস ওই বন্দিদের মুক্তি দেবে না। যুক্তরাষ্ট্রের ডেপুটি অ্যাম্বাসেডর রবার্ট উড বলেছেন, এই প্রস্তাবের ভাষা ভুল ও লজ্জাজনক।
বুধবার যুদ্ধবিরতির ওই প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দেয় ১৫৮টি দেশ। বিপক্ষে ভোট পড়ে ৯টি। আর ১৩টি দেশ ভোটদান থেকে বিরত থাকে। প্রস্তাবে বলা হয়েছে, অবিলম্বে নিঃশর্তে, স্থায়ী যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করতে হবে। বন্দিদের নিঃশর্তে মুক্তি দিতে হবে।
এদিন সাধারণ পরিষদে আরেকটি প্রস্তাব অনুমোদিত হয়। সেখানে ফিলিস্তিনি উদ্বাস্তুদের নিয়ে জাতিসংঘের সংগঠন ইউএনআরডব্লিউএ নিয়ে এই প্রস্তাবের পক্ষে ১৫৯টি দেশ ভোট দেয়, ইসরায়েল, যুক্তরাষ্ট্র-সহ সাতটি দেশ এর বিরুদ্ধে ভোট দেয়। ১১টি দেশ ভোটদানে বিরত থাকে।
এই প্রস্তাবে ইউএনআরডব্লিউএ নিয়ে ইসরায়েলের আইনের নিন্দা করা হয়েছে। বলা হয়েছে, ইসরায়েল যেন ইউএনআরডব্লিউএ-কে যথাযোগ্য মর্যাদা দেয় এবং তাদের কাজে যেন কোনও বাধা না দেয়।
এই প্রস্তাব পাস করার আগে জাতিসংঘের সদস্য দেশগুলোর অনেকেই তাদের ভাষণে ফিলিস্তিনকে সমর্থন জানায়।
জাতিসংঘে ফিলিস্তিনের দূত রিয়াদ মানসুর বলেন, গাজা এখন যন্ত্রণার ক্ষতচিহ্ন হয়ে আছে। স্লোভেনিয়ার দূত বলেছেন, গাজা পুরোপুরি ধ্বংস হয়ে গেছে। আলজেরিয়ার ডেপুটি অ্যাম্বাসেডার বলেছেন, ফিলিস্তিনের দুরবস্থা নিয়ে চুপ করে থাকার জন্য বিশ্বকে বড় মূল্য দিতে হবে।
মন্তব্য করুন
ডেস্ক রিপোর্টঃ
সংযুক্ত আরব আমিরাতে ভ্রমণের জন্য আগামী ফেব্রুয়ারি থেকে বাংলাদেশিদের জন্য ভিসা উন্মুক্ত করা হবে, এমন তথ্য জানিয়েছেন আমিরাতে নিযুক্ত বাংলাদেশ রাষ্ট্রদূত আব্দুল্লাহ হামুদি।
সোমবার (২৩ ডিসেম্বর) দুবাইয়ে বাংলাদেশ কমিউনিটির পক্ষ থেকে সিনিয়র সচিব মুশফিকুল ফজল আনসারীকে সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে যোগদানকালে তিনি এ তথ্য দেন।
রাষ্ট্রদূত আব্দুল্লাহ হামুদি জানান, জানুয়ারি থেকে ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি সময়ে ভিসা জটিলতা দূর হয়ে যাবে এবং বাংলাদেশিদের জন্য বিভিন্ন ধরনের ভিসা, বিশেষ করে ভ্রমণ ভিসা উন্মুক্ত করা হবে। বর্তমানে বাংলাদেশসহ বেশ কয়েকটি দেশের জন্য আমিরাতের ভিসা বন্ধ রয়েছে। তবে, বাংলাদেশের জন্য এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি হবে, কারণ সেখানে বাংলাদেশির সংখ্যা ১২ লাখ ছাড়িয়েছে, যা অন্যান্য দেশের তুলনায় সর্বোচ্চ।
সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রদূত মুশফিকুল ফজল আনসারী বলেন, 'আমিরাতে বাংলাদেশিদের শ্রমের অবদান অনস্বীকার্য। বাংলাদেশিরা এই দেশের উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে, বিশেষ করে নির্মাণকাজ এবং বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পে।' তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশিদের জন্য দক্ষ শ্রমিকসহ অন্যান্য পেশায় সুযোগ বাড়ানো উচিত এবং ভিসা প্রক্রিয়া সহজীকরণের আহ্বান জানান।
মুশফিকুল ফজল আনসারী আমিরাতের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্কের গুরুত্ব তুলে ধরে বলেন, 'আমিরাতের রাষ্ট্রপ্রধান বাংলাদেশের প্রতি তার সহযোগিতার হাত বাড়িয়েছেন এবং ভবিষ্যতে আরও দৃঢ় সম্পর্ক আশা করা হচ্ছে।'
এছাড়া, অনুষ্ঠানে অন্যান্য অতিথির মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ইঞ্জিনিয়ার মোয়াজ্জেম হোসেন, ড. রেজা খান, এবং দুবাইয়ের ভারপ্রাপ্ত কনসাল জেনারেল আশফাক হোসেন।
মন্তব্য করুন
আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
সংযুক্ত আরব আমিরাত ও ওমানের পর এবার সৌদি আরবেও ব্যাপক বৃষ্টিপাতে বন্যার সৃষ্টি হয়েছে। দেশটির বিভিন্ন স্থানে অতিমাত্রায় বৃষ্টির পানি জমে বন্যা দেখা দিয়েছে। ক্ষয়ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছেন জনগণ। টানা কয়েকদিনের বৃষ্টিতে সৃষ্ট বন্যার পানিতে অনেক জায়গায় সাধারণ মানুষের গাড়ি ডুবে গেছে এবং রাস্তাঘাট বন্ধ হয়ে গেছে।
সাধারণ মানুষকে সহায়তা করার জন্য জরুরি সেবার কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা তাৎক্ষণিকভাবে কাজ শুরু করে দিয়েছেন। এদিকে উপসাগরীয় দেশটির আবহাওয়া কর্তৃপক্ষের জনসাধারনের ভ্রমণের ওপর সতর্কতার জারি করেছে। দেশটিতে স্কুলও বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। স্কাই নিউজ এবং সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রচারিত কিছু ভিডিও ফুটেজে দেখা গেছে, সোমবার আল-উলা এবং আল-মদিনা প্রদেশে আকস্মিক বন্যা হানা দিয়েছে।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশিত বিভিন্ন ভিডিওতে দেখা গেছে, পবিত্র নগরী মদিনার মসজিদে নববীর কাছে প্রবল বৃষ্টি হচ্ছে। সৌদির জাতীয় আবহাওয়া কেন্দ্র মদিনার জন্য সর্বোচ্চ লাল সতর্কতা জারি করেছে। তারা আবহাওয়ার পূর্বাভাসে জানিয়েছে, মদিনায় আরো বজ্রসহ বৃষ্টি এবং ঝড়োহাওয়া বয়ে যেতে পারে।
মদিনা অঞ্চলের সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তর সাধারণ মানুষকে সতর্ক থাকার অনুরোধ করেছে। বৃষ্টির সময় উপত্যকা এবং জলধারাগুলো থেকে দূরে থাকার আহ্বান জানিয়েছে তারা। এছাড়া কৃষিপণ্য পরিবহনের রাস্তা দিয়ে চলাচলের সময় বিশেষ সতর্কতা অবলম্বন করতে বলা হয়েছে।
সৌদির দক্ষিণ-পূর্বে প্রতিবেশী সংযুক্ত আরব আমিরাত এবং ওমানে আকস্মিক বন্যার কয়েকদিন পরেই এই অঞ্চলে এমন বৃষ্টিপাত হচ্ছে। বছরের এই সময় বিরল বৃষ্টি জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে বলে ধারণা করা হচ্ছে। ২০২২ সালের নভেম্বরে সৌদি আরব ভারি বৃষ্টিপাতের কারণে উপকূলীয় বন্যার কবলে পড়েছিল।
মন্তব্য করুন