

আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
মুক্তিকামী ফিলিস্তিনিদের সশস্ত্র সংগঠন হামাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে ইসরায়েলকে আরও বোমা সরবরাহ করতে বাইডেন প্রশাসনকে আহ্বান জানিয়েছেন মার্কিন সিনেটর লিন্ডসে গ্রাহাম। তিনি এই যুদ্ধের সঙ্গে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে জাপানের বিরুদ্ধে আণবিক বোমা ব্যবহারের তুলনা করেন।
লিন্ডসে গ্রাহাম বলেন, পার্ল হারবারের আক্রমণের পর আমরা নাগাসাকি ও হিরোশিমায় যেভাবে জবাব দিয়েছিলাম, ইসরায়েলেরও তেমন টা করা উচিত। তাদেরকে সেই বোমা সরবারহ করা উচিত।
সম্প্রতি অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকার রাফাহ সীমান্তে বারবার নিষেধের পরও ইসরায়েলে সামরিক অভিযানের পরিকল্পনা করায় তাদের অস্ত্র ও গোলাবারুদ পাঠানো বন্ধ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। এপ্রিল মাসের শুরু থেকেই মার্কিন প্রশাসন পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে শেষ পর্যন্ত এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে। বিশেষ করে একাধিক ধরনের বোমার সরবরাহ বন্ধ রাখছে বাইডেন প্রশাসন, যেগুলি দিয়ে ইসরায়েল গাজার শহরাঞ্চলে আক্রমণ চালাতে পারে।
বোমা সরবরাহ সীমিত করা ও রাফাহ সীমান্তে অভিযান নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলের সম্পর্ক কিছুটা শীতল হয়ে পড়েছে। তবে ইসরায়েলের কট্টর সমর্থন লিন্ডসে গ্রাহাম। তিনি বলেন, এই যুদ্ধে ইসরায়েলের জয় নিশ্চিতে পর্যাপ্ত বোমা সরবরাহ করা উচিত। কোনোভাবেই তাদের হারতে দেওয়া যাবে না।
গত বছরের ৭ অক্টোবর অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকা থেকে ইসরায়েল অভিমুখে হাজার হাজার রকেট ছুড়ে মুক্তিকামী ফিলিস্তিনিদের সশস্ত্র সংগঠন হামাস। এতে ইসরায়েলে নিহত হন এক হাজার ৪০০ জন। এরপরেই বছরের পর বছর ধরে গাজায় চলা সামরিক পদক্ষেপ জোরাল করে ইসরায়েলি বাহিনী। এতে প্রাণ হারিয়েছে ৩৫ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি, আহত ৭৪ হাজারেরও বেশি। হতাহতদের বেশিরভাগই বেসামরিক। এমন অবস্থায় বিশ্বজুড়ে যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানানো হচ্ছে।
মন্তব্য করুন


ডেস্ক রিপোর্টঃ
১৭ বছর পর কারাগার থেকে মুক্তি পেলেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আবদুস সালাম পিন্টু। মঙ্গলবার (২৪ ডিসেম্বর) সকালে গাজীপুরের কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে তিনি বের হন।
আবদুস সালাম পিন্টুর কারামুক্তির বিষয়টি নিশ্চিত করেছে বিএনপির মিডিয়া সেল।
বেলা পৌনে ১২টার দিকে ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে বিএনপির মিডিয়া সেল জানায়, রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রমূলক মিথ্যা মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে প্রায় ১৭ বছর কারাগারে বন্দি ছিলেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুস সালাম পিন্টু।
অবশেষে মঙ্গলবার বেলা ১১টায় কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে তিনি মুক্তি পেয়েছেন।
পোস্টে বেশ কিছু ছবিও দেয়া হয়েছে যাতে দেখা যাচ্ছে, নেতাকর্মীদের ফুলেল শুভেচ্ছায় সিক্ত হচ্ছেন পিন্টু। এসময় ছাদ খোলা গাড়িতে মাথা বের করে শুভেচ্ছা গ্রহণ করেন তিনি।
মন্তব্য করুন


ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) চিকিৎসাধীন মাগুরার সেই শিশুটি মারা গেছে। বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) বেলা ১টার দিকে তাকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা।
সিএমএইচের পেডিয়াট্রিক নিউরোলজি বিভাগের অধ্যাপক কর্নেল নাজমুল হক এবং বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ভেরিফাইড ফেসবুক পেজে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে। এছাড়া শিশুটির মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছে সেনাবাহিনী।
অধ্যাপক কর্নেল নাজমুল হক জানান, সকালে শিশুটির দুই দফায় কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট হয়। প্রথমবার সিপিআর দেওয়ার পর তার হৃদস্পন্দন ফিরে এলেও বেলা ১২টায় আবারও কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট হয়। এবার সিপিআর দেওয়ার পরও তার হৃদস্পন্দন ফিরিয়ে আনা সম্ভব হয়নি। শেষে তাকে মৃত ঘোষণা করা হয়।
সেনাবাহিনীর বিবৃতিতে বলা হয়েছে, অত্যন্ত দুঃখের সাথে জানানো যাচ্ছে যে, মাগুরার নির্যাতিত শিশুটি আজ দুপুর ১টায় ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেছে (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। সিএমএইচের আধুনিক চিকিৎসা ব্যবস্থা এবং বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা সত্ত্বেও তাকে বাঁচানো সম্ভব হয়নি। শিশুটির সকালে তিনবার কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট হয়। দুবার তাকে স্থিতিশীল করা গেলেও তৃতীয়বার আর হৃদস্পন্দন ফিরে আসেনি। গত ৮ মার্চ সংকটাপন্ন অবস্থায় শিশুটিকে ঢাকা সিএমএইচে ভর্তি করা হয়।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, শিশুটির শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি বাংলাদেশ সেনাবাহিনী গভীর সমবেদনা জানাচ্ছে এবং যেকোনো প্রয়োজনে তাদের পাশে থাকার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেছে। এছাড়া শিশুটির বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করেছে সেনাবাহিনী।
মন্তব্য করুন


কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার বাঙ্গরা বাজার থানায় একই পরিবারের ৩জন মাদক কারবারীকে গণপিটুনি দিয়ে হত্যা করেছে এলাকাবাসী।
বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৮টার সময় বাঙ্গরা বাজার থানাধীন আকবপুর ইউনিয়নের কড়ইবাড়ি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
নিহতারা হলেন, কড়ইবাড়ি গ্রামের খলিলুর রহমানের স্ত্রী রোকসানা আক্তার রুবি(৫০), তার ছেলে রাসেল মিয়া(৩৫), ও তার মেয়ে জোনাকি আক্তার (২৫),
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, দীর্ঘদিন যাবত রোকসানা আক্তার রুবি নিজে ও তার পরিবারের সদস্যরা এলাকায় রমরমা মাদক ব্যবসা করে আসছিল।
যারাই রুবির মাদক ব্যবসায় বাধা দিত, তাদেরকেই মামলা দিয়ে হয়রানি করত রুবি। বিভিন্ন সময় তাদের বিরুদ্ধে মুরাদনগর, বাঙ্গরা সহ বিভিন্ন থানায় বহু মামলা রয়েছে।
ফলে স্থানীয় গ্রামবাসী ক্ষিপ্ত হয়ে বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে মাদক ব্যবসায়ী রুবির বাড়িতে হামলা করে তাদেরকে গণপিটুনি দেয়। এ সময় গণপিটুনিতে ঘটনাস্থলেই রোকসানা আক্তার রুবি, তার ছেলে রাসেল মিয়া ও তার মেয়ে জোনাকি আক্তার মৃত্যুবরণ করে।
অপরদিকে রোকসানা আক্তার রুবির আরেক মেয়ে রুমা আক্তার (৩০) এই গণপিটুনির শিকার হয়ে চিকিৎসাধীন রয়েছে। স্থানীয়দের দাবি গণপিটুনিতে রুমা আক্তারও নিহত হয়েছে।
তবে বাঙ্গরা বাজার থানার ওসি মাহফুজুর রহমান ৩ জনের হত্যার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, ঘটনাস্থল থেকে তিনজনের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
মন্তব্য করুন


সারাদেশে গত ২৪ ঘণ্টায় এডিস মশাবাহিত ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে চারজন মারা গেছেন। এই সময়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৮৪৫ জন।
এ নিয়ে চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে ২৮ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ডেঙ্গুতে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১৯২ জন এবং শনাক্ত রোগী বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪৬ হাজার ৫১ জনে।
রোববার (২৮ সেপ্টেম্বর) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোলরুম থেকে পাঠানো ডেঙ্গু বিষয়ক নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানায়, গত ২৪ ঘণ্টায় যারা ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন তাদের মধ্যে বরিশাল বিভাগে ১৬৬ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে ৯১ জন, ঢাকা বিভাগে ১৬৪ জন, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনে ৯৭ জন, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে ১১২ জন, খুলনা বিভাগে ১০১ জন, ময়মনসিংহ বিভাগে ৩৭ জন, রাজশাহী বিভাগে ৫৪ জন, রংপুর বিভাগে ১৭ জন এবং সিলেট বিভাগে ছয়জন রয়েছেন।
২৪ ঘণ্টায় যে চারজনের মৃত্যু হয়েছে তাদের মধ্যে দুজনের মৃত্যু ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনে এবং দুজনের ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে।
গত ২৪ ঘণ্টায় ৬৫৮ ডেঙ্গুরোগী হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পেয়েছেন। এ নিয়ে চলতি বছর আক্রান্ত রোগীদের মধ্যে এখন পর্যন্ত ছাড়পত্র পেয়েছেন ৪৩ হাজার ৬২৯ জন।
২০২৪ সালে দেশে মোট ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছিল ১ লাখ ১ হাজার ২১৪ জন এবং মৃত্যু হয়েছিল ৫৭৫ জনের। এর আগের বছর ২০২৩ সালে ডেঙ্গুতে মারা যান সর্বোচ্চ ১ হাজার ৭০৫ জন এবং আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন ৩ লাখ ২১ হাজার ১৭৯ জন।
মন্তব্য করুন


এইচএসসি পরীক্ষা শুরু হতে মাত্র ১০ দিন বাকি। আগামী ২৬ জুন (বৃহস্পতিবার) থেকে সারাদেশে একযোগে শুরু হবে এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা। পরীক্ষার ঠিক আগমুহূর্তে ফরম পূরণের সুযোগ বাড়িয়েছে শিক্ষা বোর্ড কর্তৃপক্ষ।
সোমবার (১৬ জুন) ঢাকা শিক্ষা বোর্ড এইচএসসি পরীক্ষার ফরম পূরণের সময়সীমা বাড়ানোর বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে। পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক প্রফেসর এস. এম. কামাল উদ্দিন হায়দার স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ২০২৫ সালের এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের জন্য বিলম্ব ফিসহ ফরম পূরণের সময় ১৮ থেকে ১৯ জুন পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। সোনালী সেবার মাধ্যমে ফি জমা দেওয়ার শেষ তারিখও ১৯ জুন নির্ধারণ করা হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, এই সময়ের মধ্যে সংশ্লিষ্ট শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোকে অবশ্যই শিক্ষার্থীদের ফরম পূরণের কাজ শেষ করতে হবে। প্রতিষ্ঠান প্রধানরা বিষয়টি নিশ্চিত করবেন। এই সময়সীমার পর কোনোভাবেই ফরম পূরণের আবেদন গ্রহণ করা হবে না।
বাংলাদেশ আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটির তথ্য অনুযায়ী, এবার সারাদেশের ৯ হাজার ৩১৪টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মোট ১২ লাখ ৫১ হাজার ১১১ জন পরীক্ষার্থী এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় অংশ নেবে। ২ হাজার ৭৯৭টি কেন্দ্রে এই পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। তত্ত্বীয় পরীক্ষা শুরু হবে ২৬ জুন থেকে যা চলবে ১০ আগস্ট পর্যন্ত। এরপর ১১ থেকে ২১ আগস্ট পর্যন্ত ব্যবহারিক পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।
মন্তব্য করুন


ডেস্ক রিপোর্ট:
বঙ্গবন্ধুসহ পরিবারের সদস্যদের হত্যাকাণ্ডের ছয় বছর পর তার কন্যা শেখ হাসিনা দেশে ফিরলে জিয়াউর রহমান তাকে ধানমন্ডির ৩২ নম্বরের পৈতৃক বাড়িতে ঢুকতে দেননি।কিন্তু তাকে গাড়ি-বাড়ি দিতে চেয়েছিলেন। সেই প্রস্তাব তিনি প্রত্যাখ্যান করেছেন। আজ শুক্রবার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসে গণভবনে দেশে ফেরার ঘটনাপ্রবাহের স্মৃতিচারণে এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
১৯৮১ সালের ১৭ মে স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের স্মৃতিচারণ করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘ঝড়-বৃষ্টি মাথায় নিয়ে সেদিন সাধারণ মানুষ সেখানে গিয়েছিল। মানিক মিয়া অ্যাভিনিউতে বক্তব্য রাখলাম, সব থেকে বড় কথা হলো, আমি যখন যাই, তখন কামাল, জামাল, রোজি, খুকি সবাই বিমানবন্দরে ছিল। আমি যখন ফিরে আসলাম, হাজার হাজার মানুষ, কিন্তু আমি পেলাম বনানীতে সারি সারি কবর।’
তিনি বলেন, ‘৩২ নম্বরে আমরা মিলাদ পড়তে চাইলাম, আমাকে ঢুকতে দেয়নি জিয়াউর রহমান। উল্টো বলেছিল বাড়ি দেবে, গাড়ি দেবে, সব দেবে। বলেছিলাম, তার কাছ থেকে কিছু নেব না। খুনির কাছ থেকে আমি কিছু নিতে পারি না।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমি যখন দিল্লিতে ছিলাম, সেখানে গিয়ে জিয়াউর রহমান আমার সঙ্গে দেখা করতে চেয়েছিল। তার স্ত্রীও দেখা করতে চেয়েছিল, আমি দেখা করি নাই। লন্ডনে যখন, তখনও দেখা করতে চেয়েছিল, আমরা দেখা করিনি। আমি যখন আসলাম ৩২ নম্বরে ঢুকতে দেবে না, উল্টো বাড়ি-গাড়ি সাধবে, সেটা তো আমার কাছে গ্রহণযোগ্য না।’
দেশে ফিরে কোথায় উঠবেন, থাকবেন সেটা জানতেন না উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘শুধু আমার পরার কাপড়-চোপড়, দুটো স্যুটকেস ও পুতুলকে (মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুল) নিয়ে আমি চলে এসেছি। তারপর এই যাত্রা শুরু। আওয়ামী লীগের হাজার হাজার নেতাকর্মী ও দলকে গোছানোর চেষ্টা করেছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘আজকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান নেই, কিন্তু অন্তত এইটুকু বলতে পারি, তার বাংলাদেশ কিছুটা হলেও যে আকাঙ্ক্ষা নিয়ে স্বাধীন করেছিলেন এবং যে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা নিয়ে দেশ স্বাধীন করেছিলেন, কিছুটা হলেও সেটা আমরা বাস্তবায়ন করতে পেরেছি।’
তার নির্বাসিত সময়, দেশে ফেরার পরের পরিস্থিতি এবং আওয়ামী লীগ সংগঠন গোছানোর বিষয়গুলোর উল্লেখ করে বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, ‘সেদিন ফিরে এসেছিলাম। এত বড় দল পরিচালনা করার অভিজ্ঞতা ছিল না, ছাত্রলীগ করার সময় নেতা হওয়ার চেষ্টা করি নাই। দলের প্রয়োজনে যে দায়িত্ব দিয়েছে, সেটাই পালন করেছি। কিন্তু যখন এ দায়িত্ব (আওয়ামী লীগ সভাপতি) পেলাম, এটা বড় দায়িত্ব।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘আজকে বাংলাদেশে আওয়ামী লীগ সবচেয়ে শক্তিশালী বড় সংগঠন। জনগণের কাছে গ্রহণযোগ্য দল আওয়ামী লীগ। প্রতিবার চক্রান্ত হয়, সেটা মোকাবিলা করে আমরা বেরিয়ে আসি। আমাদের তা ধরে রাখতে হবে। বাংলাদেশের মানুষ রক্ত দিয়ে যে অধিকারগুলো আদায় করেছিল, সেটা আমরা সমুন্নত করতে পেরেছি। কিন্তু আমাদের সামনে এগিয়ে যেতে হবে।’
সরকারপ্রধান বলেন, ‘কী পেলাম, না পেলাম, সেই চিন্তা করিনি। ভবিষ্যৎ কী, সেই চিন্তাও করি না। চিন্তা করি দেশের মানুষের ভবিষ্যৎটা আরও সুন্দরভাবে গড়ে তুলে দিয়ে যাব। সেটাই আমাদের লক্ষ্য।’
দলীয় নেতাদের তিনি বলেন, ‘এটাই মনে রাখবেন, একটা দল করি শুধু নেতা হওয়া না, মানুষের জন্য কতটুকু করতে পারলাম, কী দিতে পারলাম, কী দিয়ে গেলাম, এটাই রাজনৈতিক মানুষের জীবনের বড় কথা। এই কথাটা মাথায় রাখতে পারলে দেশের মানুষের জন্য অনেক কিছুই করা যেতে পারে।’
সংগঠনকে শক্তিশালী করার তাগিদ দিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, ‘আর যেন যুদ্ধাপরাধী, খুনিরা বাংলাদেশের মানুষের ভাগ্য নিয়ে ছিনিমিনি খেলতে না পারে, এই ব্যাপারে সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে, বলিষ্ঠ ভূমিকা রাখতে হবে।’
১৯৭৫-পরবর্তী যুদ্ধাপরাধীরা মন্ত্রী-এমপি-উপদেষ্টা হয়েছিল উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধ যারা করছেন তারাই অপরাধী হয়ে গেল। যারা বিরোধিতা করেছিল, গণহত্যা করেছিল, তারাই ক্ষমতায়। ওই অবস্থায় দেশে ফিরেছিলাম। আমার তো কিছুই ছিল না। একটা বিশ্বাস ছিল, দেশের জনগণ ও আওয়ামী লীগের অগণিত নেতাকর্মী। এরপর লড়াই-সংগ্রাম করে এইটুকু বলতে পারি, পঞ্চমবারের মতো আওয়ামী লীগ ক্ষমতা এসেছে।’
আজকের বাংলাদেশ বদলে যাওয়া বাংলাদেশ বলে মন্তব্য করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘মানুষের যদি রাজনৈতিক চিন্তা-চেতনা না থাকে, দেশপ্রেম না থাকে, সামনের দিকে এগিয়ে যাওয়ার প্রত্যয় না থাকে, তাহলে সেটা এগোতে পারে না। পঁচাত্তরে যারা ক্ষমতায় ছিল, তারা নিজেদের ক্ষমতা কুক্ষিগত করার চেষ্টা করেছিল, দেশের কোনো উন্নতি করতে পারেনি। আজকে আমরা বলতে পারি, দেশটা বদলে যাওয়া, বদলাতে পেরেছি। সামনে আরও বদলাতে হবে। কারণ আমার বাবার একটাই স্বপ্ন ছিল, দেশটাকে গড়ার। আমাদের পরিকল্পনা সেটাই আছে।’
আওয়ামী লীগের সংগ্রামের কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনা, কারফিউ, প্রতি রাতে মার্শাল ল, দেশের মানুষের কোনো আশা নেই, শুধু হতাশা। এই হতাশ জাতিকে টেনে তোলা যায় না। তাদের মাঝে আশার আলো জাগাতে হয়, ভবিষ্যৎ দেখাতে হয়, উন্নত জীবনের চিত্র তুলে ধরতে হয়। তবেই মানুষকে নিয়ে কাজ করা যায়। আমরা সেটাই করার চেষ্টা করছি।’
১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের আগে বিদেশে যাওয়ার ঘটনা বর্ণনা করেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘আশা করেছিলাম আমরা খুব তাড়াতাড়ি ফিরে আসব। কিন্তু সেই ফিরে আসা আর হয়নি।’
আওয়ামী লীগের সভাপতি নির্বাচিত হওয়া প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আমি জানতাম না যে, আমাকে এত বড় একটা দায়িত্ব দেওয়া হবে। আমি কখনো এটা ভাবতে পারিনি।’
মন্তব্য করুন


সরকারের নির্দেশে মাওলানা জুবায়ের ও মাওলানা সাদের অনুসারীদের বিশ্ব ইজতেমার মাঠ ছাড়ার ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। সরকার ধর্মীয় স্বার্থে উস্কানিমূলক বক্তব্য থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানিয়েছে। বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) সংঘর্ষে হতাহতের ঘটনার পর এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) জানিয়েছে, কামারপাড়া, আবদুল্লাহপুর, উত্তরা, এবং তুরাগ নদীর দক্ষিণ-পশ্চিম এলাকায় পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। ইজতেমা মাঠের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে দুই পক্ষের সংঘর্ষে হতাহতের ঘটনায় পরিস্থিতি সামাল দিতে সাদপন্থিরা মাঠ ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে জানান রেজা আরিফ।
তিনি বলেন, সরকার সতর্ক করে দিয়েছে যে, দুই পক্ষ মুখোমুখি হলে বড় ধরনের সমস্যা সৃষ্টি হতে পারে। সংঘর্ষ এড়াতে সরকারের অনুরোধে সম্মান জানিয়ে উভয় পক্ষকে মাঠ ছাড়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। মাঠের নিয়ন্ত্রণ সরকার নিজ হাতে নেবে এবং কোনো পক্ষকেই সেখানে অবস্থান করতে দেওয়া হবে না।
এর আগে, বুধবার ভোরে টঙ্গীর ইজতেমা মাঠে সংঘর্ষে তিনজন নিহত হন। তারা হলেন—কিশোরগঞ্জের বাচ্চু মিয়া (৭০), বগুড়ার তাইজুল ইসলাম (৬৫) এবং ঢাকার বেলাল (৬০)। সংঘর্ষে আহতদের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, আগামী ২০ ডিসেম্বর থেকে পাঁচ দিনের জোড় ইজতেমার প্রস্তুতি নিতে সাদ অনুসারীরা মাঠে প্রবেশের চেষ্টা করলে জুবায়েরপন্থিদের সঙ্গে তাদের সংঘর্ষ হয়। মঙ্গলবার রাত তিনটার পর সাদপন্থিরা কামারপাড়া ব্রিজ পার হয়ে মাঠে প্রবেশ করে। এসময় জুবায়েরপন্থিদের বাধা উপেক্ষা করে তারা বিদেশি নিবাসের গেট খুলে মাঠে ঢোকে এবং সংঘর্ষে লিপ্ত হয়।
পরিস্থিতি সামাল দিতে সরকারের উপদেষ্টারা একটি জরুরি বৈঠক করেন। বৈঠকে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরীর সভাপতিত্বে ভূমি উপদেষ্টা এ এফ হাসান আরিফ, গৃহায়ন ও গণপূর্ত উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান, তথ্য উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম এবং ধর্ম উপদেষ্টা আ ক ম খালিদ হোসেন উপস্থিত ছিলেন।
সরকারের এই সিদ্ধান্ত উভয় পক্ষের সংঘর্ষ এড়াতে এবং ইজতেমার সুষ্ঠু পরিবেশ বজায় রাখতে নেওয়া হয়েছে।
মন্তব্য করুন


ডেস্ক রিপোর্ট:
জুলাই-আগস্টের গণঅভ্যুত্থানের স্মৃতিকে স্মরণীয় করতে গণভবনে দ্রুত একটি জাদুঘর নির্মাণের নির্দেশ দিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস।
আজ সোমবার প্রধান উপদেষ্টা গণভবন পরিদর্শন করেন। এসময় তার সঙ্গে ছিলেন উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান, নাহিদ ইসলাম ও আসিফ মাহমুদ। এছাড়া প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মাহফুজ আলমও উপস্থিত ছিলেন। এ সময় অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, “জাদুঘরে শেখ হাসিনার শাসনামলের বিভিন্ন দুঃসহ স্মৃতি এবং তাকে উৎখাতের সময় জনগণের ক্ষোভের নিদর্শনগুলো সংরক্ষিত থাকা উচিত।”
জুলাই-আগস্টের গণঅভ্যুত্থানের স্মৃতিকে স্মরণীয় করতে গণভবনে দ্রুত একটি জাদুঘর নির্মাণের নির্দেশ দিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস।
আজ সোমবার প্রধান উপদেষ্টা গণভবন পরিদর্শন করেন। এসময় তার সঙ্গে ছিলেন উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান, নাহিদ ইসলাম ও আসিফ মাহমুদ। এছাড়া প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মাহফুজ আলমও উপস্থিত ছিলেন। এ সময় অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, “জাদুঘরে শেখ হাসিনার শাসনামলের বিভিন্ন দুঃসহ স্মৃতি এবং তাকে উৎখাতের সময় জনগণের ক্ষোভের নিদর্শনগুলো সংরক্ষিত থাকা উচিত।”
গত ৫ আগস্ট ছাত্র ও সাধারণ জনগণের অভ্যুত্থানের মুখে শেখ হাসিনা বাংলাদেশ থেকে পালিয়ে ভারতে আশ্রয় নেন। এরপর লাখো জনতা গণভবনে প্রবেশ করে বিক্ষোভ প্রদর্শন করে। তারা গণভবনের দেয়াল এবং বিভিন্ন কক্ষে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে নানা ক্ষোভ প্রকাশ করে গ্রাফিতি আঁকে।
প্রধান উপদেষ্টা আরও বলেন, “গণভবনের এই জাদুঘরে একটি 'আয়নাঘর' পুনর্নির্মাণ করা উচিত, যেখানে শেখ হাসিনার কুখ্যাত নিরাপত্তা সংস্থাগুলো গোপনে বিরোধী ও ভিন্নমত পোষণকারীদের আটক করে নির্যাতন চালাতো। জাদুঘরে পরিদর্শনকারী দর্শনার্থীরা এই আয়নাঘর দেখে নির্যাতনের সেই দুঃসহ স্মৃতিগুলো স্মরণ করতে পারবে।”
অধ্যাপক ইউনূস উপদেষ্টা দলকে জাদুঘর বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে পরামর্শ করতে বলেন এবং চলতি বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে জাদুঘরের জন্য একটি চূড়ান্ত প্রস্তাব প্রস্তুত করতে নির্দেশ দেন।
উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম বলেন, “শেখ হাসিনার শাসনের ২০০৯ সাল থেকে ঘটে যাওয়া সকল অপকর্মের স্মৃতিগুলো এই জাদুঘরে সংরক্ষিত থাকবে।” এছাড়া অন্যান্য দেশে বিপ্লব ও বিদ্রোহের স্মৃতিকে সংরক্ষণে কী ধরনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে, সে সম্পর্কে জানার জন্যও বিভিন্ন দেশের বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে পরামর্শ করা হয়েছে বলে তিনি জানান।
মন্তব্য করুন


কারাগারে থাকা বন্দিদের জামিন পাওয়ার পরও আদেশ না পৌঁছানোয় বিভিন্ন সময়ে দুর্ভোগে পড়তে হয়। এ নিয়ে সুখবর দিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল।
তিনি বলেছেন, আদালত থেকে জামিন পাওয়ার পর আসামিকে ১২টি ধাপ অতিক্রম করতে হয়। এর কোনো কোনো ধাপে টাকাও খরচ করতে হয়। সব ধাপে হয়রানির শিকার হতে হয়। তাই এসব নিরসনে বুধবার থেকে অনলাইনে জামিননামা পাঠানো হবে। এর ফলে জামিন পাওয়ার পর এক ক্লিকে জামিননামা সংশ্লিষ্ট কারাগারে চলে যাবে।
মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্ট অডিটোরিয়ামে অ্যাটর্নি জেনারেল অফিসের ইন্টার্নশিপ প্রোগ্রামের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
আসিফ নজরুল বলেন, আমরা আইন মন্ত্রণালয় থেকে অনেকগুলো সংস্কার করেছি। একদম নিজেরা করেছি। কারো কোনো সহযোগিতা ছাড়া। বুধবার অনলাইন জামিননামা (বেইল বন্ড) উদ্বোধন করবো। এই জামিননামাটা, একটা লোক জামিন পাওয়ার আদালত থেকে শুরু করে ছাড়া (মুক্তি) পাওয়া পর্যন্ত ১২টা প্রক্রিয়াতে যেতে হয়। কোনো কোনো ধাপে টাকা দিতে হয়। ১২টা ধাপে তাকে হয়রানির সম্মুখীন হতে হয়। আগামীকাল বুধবার আমরা পাইলট প্রকল্প চালু করতে যাচ্ছি। একটা ক্লিক করবে, আদালতের রায় থেকে জামিননামা সরাসরি জেলখানায় পৌঁছে যাবে যেখানে আসামি আছে। এটা সরকারের টাকা দিয়ে করেছি। কারো সহযোগিতা লাগেনি।
তিনি আরও বলেন, আমাদের সরবকারের অনেক টাকা বিশ্বাস করেন। অনেক টাকা। আমার প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংকে ১৬শ' কোটি টাকা আছে। আমাদের আইজিআর অফিসে (রেজিস্টার অফিস) ১৫শ' কোটি টাকা আছে। এগুলো কেউ খেয়াল করে না। আমরা নিজের টাকা নিজে ব্যবহার করে অনেক ভালো কাজ করতে পারি।
এক প্রশ্নের জবাবে আইন উপদেষ্টা বলেন, বিচার বিভাগের পৃথক সচিবালয় অন্তর্বর্তী সরকারের সময়ই হবে। বিচার বিভাগ পৃথক সচিবালয় আইন, গুমের আইন, দুদক আইন, হিউম্যান রাইটস আইন আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যে সম্পন্ন হবে বলে জানান তিনি।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান। বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল আরশাদুর রউফ, ব্যারিস্টার অনীক আর হক।
মন্তব্য করুন


শ্রম আইন লঙ্ঘনের মামলায় নোবেল বিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ চারজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেছেন আদালত। অভিযোগ গঠনের মাধ্যমে এ মামলায় ড. ইউনূসসহ চারজনের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক বিচার শুরু হলো। অন্য তিনজন হলেন এমডি মো. আশরাফুল হাসান, পরিচালক নুরজাহান বেগম ও মো. শাহজাহান।
মঙ্গলবার (৬ জুন) ঢাকার শ্রম আদালতের বিচারক বেগম শেখ মেরিনা সুলতানা অভিযোগ গঠন করে আদেশ দেন। এর আগে, সকালে আদালতে হাজির হন ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
আদালতে ড. ইউনূসের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার আবদুল্লাহ আল মামুন। আদেশের পর ড. ইউনূস সাংবাদিকদের বলেন, এ আদেশের বিরুদ্ধে আপিল করা হবে।
গত ৮ মে শ্রম আইন লঙ্ঘনের মামলা বাতিলের আবেদন খারিজের বিরুদ্ধে গ্রামীণ টেলিকমের চেয়ারম্যান নোবেল বিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের লিভ টু আপিল খারিজ করে দেন আপিল বিভাগ।
গত বছরের ১৭ আগস্ট বিচারপতি এস এম কুদ্দুস জামান ও বিচারপতি ফাহমিদা কাদেরের হাইকোর্ট বেঞ্চ মামলা বাতিলে ইউনূসের আবেদনে জারি করা রুল খারিজ করে রায় দেন। এরপর ড. মুহাম্মদ ইউনূস আপিল বিভাগে আবেদন করেন।
২০২১ সালের ৯ সেপ্টেম্বর ঢাকার তৃতীয় শ্রম আদালতে কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান অধিদপ্তরের শ্রম পরিদর্শক আরিফুজ্জামান বাদী হয়ে ড. ইউনূসসহ চার জনের বিরুদ্ধে এ মামলা করেন।
ইউনূস ছাড়াও এমডি মো. আশরাফুল হাসান, পরিচালক নুরজাহান বেগম ও মো. শাহজাহানকে মামলায় বিবাদী করা হয়। মামলায় শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশনে নির্দিষ্ট লভ্যাংশ জমা না দেওয়া, শ্রমিকদের চাকরি স্থায়ী না করা, গণছুটি নগদায়ন না করায় শ্রম আইনের ৪-এর ৭, ৮, ১১৭ ও ২৩৪ ধারায় অভিযোগ আনা হয়। পরে ওই মামলার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে আবেদন করা হয়।
একই বছরের ১২ ডিসেম্বর হাইকোর্ট মামলার কার্যক্রম স্থগিত করে রুল দিয়েছিলেন। এরপর রাষ্ট্রপক্ষ আপিল বিভাগে আবেদন করে।
ওই আবেদনের শুনানি নিয়ে মামলা বাতিলে জারি করা রুল দুই মাসের মধ্যে নিষ্পত্তির নির্দেশ দেওয়া হয়।
মন্তব্য করুন