

৮ আগস্টকে ‘নতুন বাংলাদেশ দিবস’ হিসেবে পালনের সরকারি সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে দেশজুড়ে ব্যাপক সমালোচনার ঝড় উঠেছিল। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম থেকে শুরু করে রাজনৈতিক মহল এবং বুদ্ধিজীবীদের অনেকেই এ প্রস্তাবের যৌক্তিকতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন। সর্বস্তরের এমন জোরালো আপত্তির মুখে অবশেষে সরকার সেই বিতর্কিত সিদ্ধান্ত বাতিল করেছে।
রোববার (২৯ জুন) সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম জানিয়েছেন, ৮ আগস্ট কোনো দিবস পালিত হচ্ছে না, ৫ আগস্ট পালিত হবে গণঅভ্যুত্থান দিবস।
নিজের ভেরিফায়েড পেজে দেওয়া পোস্টে তিনি জানায়, রোববার রাজধানীর তেজগাঁওয়ে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এছাড়া ১৬ জুলাই ‘জুলাই শহীদ দিবস’ পালনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে উপদেষ্টা পরিষদ।
এর আগে গত বুধবার (২৫ জুন) ৮ আগস্ট নতুন বাংলাদেশ দিবস ১৬ জুলাই শহীদ আবু সাঈদ দিবস ঘোষণা করে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে আলাদা পরিপত্র জারি করা হয়েছিল।
পরিপত্রে দিবসটিকে প্রতি বছর যথাযথ মর্যাদায় প্রতিপালন করতে সংশ্লিষ্ট সব মন্ত্রণালয়, বিভাগ ও সংস্থাকে অনুরোধ করা হয়েছিল। দিবসটি পালনের জন্য জাতীয় ও আন্তর্জাতিক দিবস পালন সংক্রান্ত মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের পরিপত্রের ‘খ’ শ্রেণিভুক্ত করা হয়েছিল।তবে আজ সেটি বাতিল হয়ে গেল।
মন্তব্য করুন


বাংলাদেশে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের বিরুদ্ধে সহিংস ঘটনা নিয়ে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দেওয়া তথ্য বিভ্রান্তিকর ও অতিরঞ্জিত বলে জানিয়েছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার।
শুক্রবার (২০ ডিসেম্বর) রাতে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং তাদের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে এ বিষয়ে একটি পোস্ট করেছে। CA Press Wing Facts পেজে প্রকাশিত ওই পোস্টে বলা হয়েছে, ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে ইন্ডিয়া টুডে, আনন্দবাজারসহ বিভিন্ন ভারতীয় গণমাধ্যমে খবর প্রকাশ হয়েছে যে, বাংলাদেশে ২০২২ সালে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের বিরুদ্ধে ৪৭টি, ২০২৩ সালে ৩০২টি এবং ২০২৪ সালে ২,২০০টি সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে। অথচ এই তথ্য বিভ্রান্তিকর এবং অতিরঞ্জিত।
পোস্টে আরও জানানো হয়, স্বাধীন মানবাধিকার সংস্থা আইন ও সালিশ কেন্দ্রের (আসক) তথ্য অনুযায়ী, ২০২৪ সালের জানুয়ারি থেকে নভেম্বর পর্যন্ত বাংলাদেশে ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে সহিংস ঘটনার সংখ্যা ১৩৮টি। এই সময়ে ৩৬৮টি বাড়ি-ঘরে হামলা চালানো হয়েছে এবং ৮২ জন আহত হয়েছেন।
বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকার প্রতিটি ঘটনার যথাযথ তদন্ত করছে এবং দোষীদের আইনের আওতায় আনতে বদ্ধপরিকর। পুলিশের সদর দপ্তরের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, ৪ আগস্ট থেকে ১০ ডিসেম্বর পর্যন্ত অন্তত ৯৭টি মামলা দায়ের করা হয়েছে এবং এ সময়ে ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের ওপর হামলার অভিযোগে ৭৫ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
এসব ঘটনার বেশিরভাগই ৫ আগস্ট থেকে ৮ আগস্টের মধ্যে সংঘটিত হয়েছে, যখন দেশে কোনো কার্যকর সরকার ছিল না। এসব সহিংসতার বড় অংশ রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে সংঘটিত হয়েছে।
প্রেস উইং থেকে সবার প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে, এ ধরনের অপরাধ নিয়ে বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়ানো থেকে বিরত থাকতে।
মন্তব্য করুন


ক্ষমতার অপব্যবহার করে রাজধানীর পূর্বাচল নতুন শহর প্রকল্পে শেখ রেহানার ১০ কাঠা সরকারি প্লট বরাদ্দ নেওয়ার অভিযোগে দায়ের করা মামলার রায় ঘোষণা করা হয়েছে। দুর্নীতি দমন কমিশনের করা মামলাটিতে মানবতাবিরোধী অপরাধে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত শেখ হাসিনাকে ৫ বছর কারাদণ্ড, তার বোন শেখ রেহানার ৭ বছর কারাদণ্ড, মেয়ে ব্রিটিশ এমপি টিউলিপ সিদ্দিকের ২ বছর কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। একইসঙ্গে তাদের প্রত্যেককে ১ লাখ টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে।
এছাড়াও অন্য ১৪ জন অভিযুক্তদের বিভিন্ন মেয়াদে কারা ও অর্থদণ্ড দেওয়া হয়েছে। ঢাকার বিশেষ জজ-৪ এর বিচারক রবিউল আলম এই রায় ঘোষণা করেন।
মামলার অভিযোগ থেকে জানা গেছে, শেখ রেহানার বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহার ও অনিয়মের মাধ্যমে পূর্বাচল নতুন শহর প্রকল্পে ১০ কাঠা প্লট বরাদ্দ নেওয়ার অভিযোগে গত ১৩ জানুয়ারি মামলাটি দায়ের করেন দুদকের উপ-পরিচালক সালাহউদ্দিন। মামলায় শেখ রেহানা, টিউলিপ রিজওয়ানা সিদ্দিক ও শেখ হাসিনাসহ ১৫ জনকে আসামি করা হয়।
মামলার অন্যান্য আসামিদের মধ্যে রয়েছেন জাতীয় গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মো. সাইফুল ইসলাম সরকার, সিনিয়র সহকারী সচিব পুরবী গোলদার, অতিরিক্ত সচিব অলিউল্লাহ, সচিব কাজী ওয়াছি উদ্দিন, রাজউক-এর সাবেক চেয়ারম্যানের পিএ মো. আনিছুর রহমান মিঞা, সাবেক সদস্য মোহাম্মদ খুরশীদ আলম, তন্ময় দাস, মোহাম্মদ নাসির উদ্দীন, মেজর (ইঞ্জি.) সামসুদ্দীন আহমদ চৌধুরী (অব.), সাবেক পরিচালক মো. নুরুল ইসলাম, সহকারী পরিচালক মাজহারুল ইসলাম, উপ-পরিচালক নায়েব আলী শরীফ এবং পরবর্তীতে যুক্ত হওয়া দুই আসামি-সাবেক প্রধানমন্ত্রীর একান্ত সচিব-১ মোহাম্মদ সালাহ উদ্দিন ও সাবেক গৃহায়ন ও গণপূর্ত প্রতিমন্ত্রী শরীফ আহমেদ।
গত ৩১ জুলাই ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪ এর বিচারক রবিউল আলম তিন মামলায় আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন। এই মামলায় ৩২ জন সাক্ষী আদালতে সাক্ষ্য দিয়েছেন।
রায় ঘোষণার পরে মামলাটির সমন্বয়ের দায়িত্বে থাকা দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পাবলিক প্রসিকিউটর মঈনুল হাসান তাৎক্ষণিকভাবে জাগো নিউজকে বলেন, আমরা সব সাক্ষ্য-প্রমাণে আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণ করতে সক্ষম হয়েছি।
মন্তব্য করুন


জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, স্বৈরশাসকরা একবার ক্ষমতা থেকে চলে গেলে আর ফিরে আসে না। আওয়ামী লীগের যুগের শেষ সময় এসে গেছে। তিনি বলেন, ‘বিশ্ব ইতিহাসে দেখা গেছে, একবার পালিয়ে যাওয়া স্বৈরশাসকরা আর ফিরে আসতে পারেনি। এরা মূলত ডামি সরকার। সামান্য ধাক্কাতেই ভেঙে পড়ে।’
সোমবার (৩০ ডিসেম্বর) ঠাকুরগাঁও সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয়ের বড়মাঠে জামায়াতে ইসলামী আয়োজিত কর্মী সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। জেলা জামায়াতের আমির অধ্যাপক বেলাল উদ্দীন প্রধানের সভাপতিত্বে এই কর্মী সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
ডা. শফিকুর রহমান বলেন, আওয়ামী লীগ ২০১৪ সালের নির্বাচনে ১৫৪টি আসনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়লাভ করেছিল, আর ২০১৮ সালে অনুষ্ঠিত হয়েছিল কথিত ‘মিডনাইট নির্বাচন’। তিনি আরও বলেন, ২০২৪ সালের নির্বাচনও ছিল একটি প্রহসন।
তিনি অভিযোগ করে বলেন, আওয়ামী লীগ বারবার হুংকার দিচ্ছে যে তারা আবার ফিরে আসবে এবং আগের মতো ক্ষমতা দখল করবে। কিন্তু জনগণ তাদের এসব ষড়যন্ত্র বুঝে ফেলেছে।
জামায়াত আমির আরও বলেন, বিগত সময়ের শাসকরা জনগণের আমানতের প্রতি বিশ্বস্ত ছিলেন না। তারা জনগণের সম্পদ আত্মসাৎ করেছেন, চুরি-ডাকাতি ও লুটপাট করেছেন এবং সেই অর্থ বিদেশে পাচার করেছেন।
প্রতিবেশী দেশ ভারতের প্রতি ইঙ্গিত করে তিনি বলেন, ভারত যেন বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ অশান্তির কারণ না হয়। ১৯৭২ সাল থেকে শুরু করে বাংলাদেশে সংগঠিত অপরাধগুলোর তদন্তের ভিত্তিতে শ্বেতপত্র প্রকাশের দাবিও জানান তিনি।
তিনি আরও অভিযোগ করেন, আওয়ামী লীগ সংখ্যালঘুদের বিপদের মুখে ফেলে দিয়ে ইসলামপন্থীদের ওপর দোষ চাপানোর চেষ্টা করেছে।
ঠাকুরগাঁওয়ের উন্নয়ন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এখানে মেডিকেল কলেজ, প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় বা পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় নেই। এটি বৈষম্যের প্রমাণ। আগামী পরিকল্পনা কমিশনে ঠাকুরগাঁওয়ের জন্য একটি বড় প্রকল্প গ্রহণ করতে হবে।
সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান, মাওলানা আব্দুল হালিম, শিবিরের সাবেক সভাপতি দেলাওয়ার হোসেন, জেলা জামায়াতের সাবেক আমির মাওলানা আব্দুল হাকিমসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা।
মন্তব্য করুন


ভোটার তালিকা হালনাগাদে ২১ লাখ মৃত ভোটার শনাক্ত করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন। তিনি জানিয়েছেন, এদের অনেকেই অতীতে ভোট দিয়েছেন।
সোমবার (৬ অক্টোবর) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন কমিশন ভবনে গণমাধ্যমের সঙ্গে সংলাপে সিইসি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সুষ্ঠু, সুন্দর ও নিরপেক্ষভাবে আয়োজন করতে আমরা বদ্ধপরিকর। এটা শুধু কথার কথা নয়। একটি স্বচ্ছ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের জন্য গণমাধ্যমের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। মিথ্যা ও ভুয়া তথ্য প্রতিরোধে গণমাধ্যম কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারে।’
প্রবাসী ভোটারদের ভোটের সুযোগ নিশ্চিত করার পরিকল্পনার কথাও জানান সিইসি। তিনি বলেন, ‘আমরা চাই নির্বাচনটি আয়নার মতো স্বচ্ছ হোক। এজন্য প্রবাসে যারা দায়িত্ব পালন করছেন, সেই সরকারি চাকরিজীবীদেরও ভোটের আওতায় আনা হবে। প্রায় ১০ লাখ সরকারি কর্মচারী এবার ভোট দিতে পারবেন।’
শুভেচ্ছা বক্তব্যে সিইসি আরও বলেন, ভোটার তালিকা হালনাগাদে ২১ লাখ মৃত ভোটার চিহ্নিত করা হয়েছে। এদের অনেকেই আগে ভোট দিয়ে যেতেন।
সিইসি আরও বলেন, ‘গণমাধ্যমের সহযোগিতা ছাড়া লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড ও নির্বাচনের অনুকূল পরিবেশ তৈরি সম্ভব নয়। সবার সহযোগিতা চাচ্ছি। একইসঙ্গে এআই-এর অপব্যবহার রোধে ইলেকট্রনিক মিডিয়ারও ভূমিকা রাখতে হবে।’
আগারগাঁওয়ের এই সংলাপে প্রধান নির্বাচন কমিশনার ছাড়াও অন্য চার কমিশনার ও ইসির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
ইসির এই সংলাপে সোমবার সকাল সাড়ে ১০টায় টেলিভিশন মিডিয়া ও দুপুর আড়াইটায় পত্রিকা ও অনলাইন সাংবাদিকদের সঙ্গে আলোচনা হয়। দুই পর্বে প্রায় ৫০ জন গণমাধ্যম প্রতিনিধির অংশগ্রহণের কথা জানায় নির্বাচন কমিশন।
আগামীকাল (৭ অক্টোবর) নারী নেত্রী ও নির্বাচন বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে বসবে ইসি। এরপর মুক্তিযোদ্ধা, রাজনৈতিক দল ও অন্যান্য অংশীজনদের সঙ্গে ধারাবাহিক সংলাপ অনুষ্ঠিত হবে।
গত ২৮ সেপ্টেম্বর সুশীল সমাজ, বুদ্ধিজীবী ও শিক্ষাবিদদের সঙ্গে সংলাপের মধ্য দিয়ে এ কার্যক্রম শুরু করে নির্বাচন কমিশন। তবে ওইদিন আমন্ত্রিতদের মধ্যে অর্ধেকেরও বেশি প্রতিনিধি সংলাপে অংশ নেননি।
মন্তব্য করুন


বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময় ঢাকা জেলার সাভারে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী কাইয়ুম হত্যা মামলায় সাবেক দুর্যোগ ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. এনামুর রহমানকে পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। বুধবার (১২ ফেব্রুয়ারি) সকালে তাকে আদালতে হাজির করা হয়। এ সময় মামলার তদন্ত কর্মকর্তা তার ১০ দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেন।
রাষ্ট্রপক্ষে ঢাকার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর ইকবাল হোসেন রিমান্ড মঞ্জুরের পক্ষে শুনানি করেন। অন্যদিকে, আসামিপক্ষের আইনজীবীরা রিমান্ড বাতিলের পক্ষে জামিন আবেদন করেন। শুনানি শেষে ঢাকার অতিরিক্ত চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কে এম মহিউদ্দিনের আদালত এ আদেশ দেন। এ ছাড়া সাভার থানার আরও ৬টি মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন মঞ্জুর করেছেন আদালত।
উল্লেখ্য, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময় ঢাকা জেলার সাভার বাসস্ট্যান্ডে ৫ আগস্ট দুপুরে গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিবিএর শিক্ষার্থী কাইয়ুম। এ ঘটনায় তার মা কুলছুম বেগম সাভার মডেল থানায় মামলা দায়ের করেন।
মন্তব্য করুন


দেশে ব্যবসা-বাণিজ্য কমে যাওয়া এবং বেকারত্ব বৃদ্ধির বিষয়ে মন্তব্য করে অর্থনৈতিক উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেছেন, বিভিন্ন খাতে অর্থনৈতিক সহায়তা ও প্রণোদনার মাধ্যমে এই পরিস্থিতি পুনরুদ্ধারে সরকার কাজ করছে।
বুধবার (৫ মার্চ) সচিবালয়ে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সাথে আলোচনায় তিনি এ কথা জানান।
তিনি বলেন, বাজারে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বেশি থাকলেও তা গত বছরের তুলনায় বাড়েনি। তবে, নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বেশি থাকায় কিছু মানুষের কষ্ট হচ্ছে এটা সত্য। সরকার দাম কমানোর চেষ্টা করছে।
কর্মসংস্থান সৃষ্টির জন্য নানা ধরনের উদ্যোগ চলছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, বেকারত্বের হার কমানো গেলে অর্থনৈতিক অবস্থারও উন্নতি হবে। এ বিষয়ে বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) সাথে আলোচনা হয়েছে।
ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ হওয়া প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আগের সরকারের সময় অনেকের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করতে হয়েছে তাদের নিজেদের কারণেই। সেসব প্রতিষ্ঠানের শ্রমিকদের কর্মসংস্থানের চেষ্টা করা হবে। তবে, সবাইকে কাজ দেওয়া সরকারের পক্ষে সম্ভব নয়।
মন্তব্য করুন


জুলাই-আগস্টের গণঅভ্যুত্থানের সময় পুলিশের লুট হওয়া অস্ত্রের খোঁজ দিলে পুরস্কার মিলবে বলে জানান স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
আজ রোববার সচিবালয়ে আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত কোর কমিটির বৈঠক শেষে উপদেষ্টা এ কথা জানায়।
তিনি বলেন, আমাদের যে হাতিয়ারগুলো হারিয়ে গেছে, এগুলো উদ্ধারের জন্য আমরা একটা সার্কুলার দিচ্ছি। একটি পুরস্কারও ঘোষণা করছি। যে তথ্য দেবে তাকে আমরা কত টাকা দিতে পারি, সে বিষয়টি নিজেদের ভেতর একটা কমিটি করে আমরা দু-চার দিনের মধ্যে হয়তো মিডিয়ায় ঘোষণা দিয়ে দেবো। কেউ যদি খবর দিতে পারে সে পুরস্কার পাবে।
লুট হওয়া ৭০০টিরও বেশি পুলিশের অস্ত্রের এখনো খোঁজ মেলেনি বলেও জানিয়েছেন উপদেষ্টা।
গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনা সরকারের পতন হয়। পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়, সরকার পতনের পর বিভিন্ন থানা-ফাঁড়িসহ পুলিশের নানান স্থাপনা থেকে ৫ হাজার ৭৫০টি আগ্নেয়াস্ত্র লুট হয়। গোলাবারুদ লুট হয় ৬ লাখ ৫১ হাজার ৬০৯টি। লুট হওয়া আগ্নেয়াস্ত্র-গোলাবারুদের মধ্যে আছে বিভিন্ন ধরনের রাইফেল, এসএমজি (স্মল মেশিনগান), এলএমজি (লাইট মেশিনগান), পিস্তল, শটগান, গ্যাসগান, কাঁদানে গ্যাস লঞ্চার, কাঁদানে গ্যাসের শেল, কাঁদানে গ্যাসের স্প্রে, সাউন্ড গ্রেনেড ও বিভিন্ন বোরের গুলি।
লুট হওয়া আগ্নেয়াস্ত্র-গোলাবারুদ উদ্ধারে গত বছরের ৪ সেপ্টেম্বর যৌথ অভিযান শুরু হয়। অভিযানে লুট হওয়া অনেক অস্ত্র উদ্ধার করা হয়।
মন্তব্য করুন


ডেস্ক রিপোর্টঃ
গত ১৫ বছরে পুলিশ বাহিনীতে ৮০ থেকে ৯০ হাজার সদস্যকে রাজনৈতিক পরিচয়ে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন ডিএমপি কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী।
সোমবার (৯ ডিসেম্বর) মিন্টো রোডে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
ডিএমপি কমিশনার বলেন, গত ১৫ বছরে পুলিশ বাহিনীতে নিয়োগের আগে নানাভাবে তাদের তথ্য যাচাই করা হয়েছে। নিয়োগ পার্থী কোন দলের, তার বাবা কোন দলের, দাদা কোন দলের এবং আরও পূর্বপুরুষ কোন দলের তা খবর নেওয়া হয়েছে। দুই লাখ পুলিশের মধ্যে ৮০ থেকে ৯০ হাজার পুলিশ সদস্য এভাবে নিয়োগপ্রাপ্ত হয়েছেন।
তিনি বলেন, এই ৮০ থেকে ৯০ হাজার পুলিশ সদস্যকে তো বলতে পারি না ‘গো হোম’ (বাসায় ফিরে যাও)। তবে যারা দুষ্টু, যারা পেশাদারত্বের বাইরে গিয়ে নানা অপকর্মে লিপ্ত হয়েছিলেন, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
সাজ্জাত আলী আরও বলেন, পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে যখন পুলিশ ইনঅ্যাক্টিভ হয়ে পড়ে, তখন ঢাকা শহরে ডাকাতি, লুটপাট শুরু হয়। তখন ৮০ বছরের বৃদ্ধও লাঠি নিয়ে পাহাড়া দিয়েছেন। তখন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ ট্রমার মধ্যে পড়ে যায়। এরপর সদ্যবিদায়ী ডিএমপি কমিশনারসহ অন্যরা পুলিশকে সক্রিয় করতে কাজ শুরু করেন।
তিনি বলেন, ঢাকা শহরের প্রধান সমস্যা ট্রাফিক। এই শহরে বিপুল সংখ্যক ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা চলাচল করছে। অটোরিকশা যদি বন্ধ না হয় তাহলে ঢাকা শহরের ঘর থেকে বের হলে আর হাঁটার জায়গা থাকবে না। মানুষের মুভমেন্ট বন্ধ হয়ে যাবে।
এই পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, ঢাকা শহরের ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা অত্যন্ত বিশৃঙ্খল অবস্থায় রয়েছে। ট্রাফিক আইন কেউ মানতে চান না। হকাররা ফুটপাত দখল করে নিয়েছেন। আমি দায়িত্ব নেওয়ার পর সড়কে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে কাজ শুরু করেছি। ট্রাফিক আইনে দ্বিগুণ হারে মামলা করা হচ্ছে। ঢাকাবাসীর সহযোগিতা ছাড়া ট্রাফিক ব্যবস্থা উন্নত হবে না।
ইদানিং ছিনতাইয়ের ঘটনা অহরহ হচ্ছে জানিয়ে ডিএমপি কমিশনার বলেন, বিভিন্নভাবে আমাকে জানানো হয়েছে ছিনতাই বেড়েছে। ছিনতাই প্রতিরোধে ডিবি ও থানা পুলিশকে সক্রিয় করা হয়েছে।
তিনি বলেন, চাঁদাবাজি হচ্ছে, কিন্তু সমাজ থেকে প্রতিরোধ করা না গেলে চাঁদাবাজি বন্ধ করা কঠিন। আপনারা কেউ চাঁদা দেবেন না। আমরা পুলিশ জনগণের পাশে থাকবো।
ছাত্র-জনতার আন্দোলনে ঢাকা মহানগর পুলিশ পেশাদারিত্বের বাইরে গিয়ে কাজ করেছে বলে মন্তব্য করে ডিএমপি কমিশনার বলেন, এ ঘটনায় আমি ঢাকাসহ দেশবাসীর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করছি।
তিনি বলেন, ডিএমপির ওই সময়ের অপেশাদার আচরণের কারণে বদলি ও দোষী সদস্যদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
মন্তব্য করুন


এবার সারা দেশে প্রায় ৩৩ হাজার পূজা মণ্ডপে দুর্গাপূজা হবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
তিনি বলেছেন, পূজাকে কেন্দ্র করে কোনো ধরনের নিরাপত্তা ঝুঁকি নেই। এবার পূজা আয়োজন কমিটি কোনো ধরনের উদ্বেগ প্রকাশ করেনি। গতবার শান্তিপূর্ণভাবে পূজা উদযাপন করা হয়েছিল। এবার আরো শান্তিপূর্ণভাবে পূজা উদযাপন করা হবে।
আজ সোমবার সচিবালয়ে শারদীয় দুর্গাপূজা উদযাপন উপলক্ষে নিরাপত্তা ও আইনশৃঙ্খলা বিষয়ক সভা শেষে উপদেষ্টা এ কথা জানান।
তিনি বলেন, ২৪ ঘণ্টা পূজামণ্ডপগুলো পর্যবেক্ষণে থাকবে। আমাদের পক্ষ থেকে পর্যাপ্ত আনসার নিয়োগ দেওয়া হবে। দুর্গাপূজা উপলক্ষে সারা দেশে মণ্ডপগুলোতে শুধু আনসার সদস্যই থাকবেন তিন লাখ। এ ছাড়া পুলিশসহ অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীও দায়িত্ব পালন করবেন।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, বিসর্জনের সময়সীমা ঠিক করে দেওয়া হয়েছে। সন্ধ্যা ৭টার মধ্যে প্রতিমা বিসর্জন শেষ করতে হবে। স্থানীয় প্রশাসন এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বিষয়টি তদারকি করবে।
মন্তব্য করুন


দেশে বর্তমানে আইন-শৃঙ্খলার যে পরিস্থিতি বিরাজ করছে, সেই পরিস্থিতিতে আগামী নির্বাচন করা সম্ভব বলে জানান স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। তিনি বলেন, ভোট সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ করতে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর পাশাপাশি সব দলকেও সহযোগিতা করতে হবে।
আজ সোমবার ঢাকার কেরানীগঞ্জে ঢাকা-৩ সংসদীয় আসনের ৩ নম্বর ভোটকেন্দ্র তেঘরিয়া উচ্চ বিদ্যালয় পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি।
তিনি বলেন, নির্বাচন উপলক্ষে পুলিশ সদস্যদের শরীরে থাকা ৪০ হাজার বডিক্যামেরা সেন্টার থেকে মনিটর করা হবে।
সেই সঙ্গে অতিরিক্ত পুলিশ, আনসার মোতায়েনসহ ৮০ হাজার সেনাবাহিনী ও বিজিবি সদস্য থাকবে।
এ সময় স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা যেকোনো অন্যায় দেখলে তা প্রতিহত করতে জনগণের প্রতি আহ্বান জানান। এ ছাড়া দেশজুড়ে অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার অভিযান অব্যাহত থাকবে বলেও জানান।
তিনি আরো বলেন, গত জুলাইয়ের থেকে এই জুলাইয়ে পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে।
থানায় কেউ আসতো না। আনসার বাহিনী বিদ্রোহ করছিল, অন্যান্য বাহিনীগুলোও অতোটা সক্রিয় ছিল না। এখনও হয়তো আমরা কাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতিতে পৌঁছাতে পারিনি। তবে পরিস্থিতি যে পর্যায়ে আছে আমাদের নির্বাচন করতে কোনো সমস্যা নেই।
তিনি বলেন, নিরীহ নিরপরাধ ব্যক্তি যেন আইনের আওতায় না আসে এ বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে। টাকার লোভে অনেকের নামে জুলাই-আগস্টে মামলা হয়েছে। কোনো নিরীহ মানুষ যেন হয়রানির শিকার না হয়, সেই চেষ্টা করছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
মন্তব্য করুন