

ডেস্ক রিপোর্টঃ
বাংলাদেশ থেকে ফিরে ভারতের পররাষ্ট্রসচিব বিক্রম মিশ্রি দেশটির সংসদের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়বিষয়ক স্থায়ী কমিটিকে ব্রিফ করেছেন। এতে উপস্থিত ছিলেন কমিটির সভাপতি কংগ্রেস নেতা শশী থারুর।
বিক্রম মিশ্রি কমিটিকে জানান, সোমবার ঢাকা সফরের সময় তিনি অন্তর্বর্তী সরকারকে জানিয়েছেন, ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক কোনো বিশেষ রাজনৈতিক দল বা সরকারের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়। ভারত বাংলাদেশের জনগণের সাথে সম্পর্ককে অগ্রাধিকার দেয় এবং যে কোনো সরকারের সঙ্গে সম্পর্ক বজায় রাখবে।
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের সমালোচনা করে শেখ হাসিনা যে বক্তব্য-বিবৃতি দিচ্ছেন তা ভারত সমর্থন করে না। এটি দুই দেশের সম্পর্কের একটি ক্ষুদ্র প্রতিবন্ধক।’
ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বলেন, শেখ হাসিনা তার মন্তব্যের জন্য ‘ব্যক্তিগত যোগাযোগ ডিভাইস’ ব্যবহার করছেন। ভারত সরকার তাকে (শেখ হাসিনা) এমন কোনো প্ল্যাটফর্ম বা সুযোগ–সুবিধা দেয়নি, যা দিয়ে তিনি ভারতের মাটিতে বসে রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড চালিয়ে যেতে পারেন। এটি তৃতীয় কোনো দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে ভারতের হস্তক্ষেপ না করার ঐতিহ্যগত রীতির অংশ।
বিক্রম মিশ্রি বলেন, বাংলাদেশে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ওপর সহিংসতার অভিযোগের স্বীকৃতির নিয়ে ভারত উদ্বিগ্ন ছিল। তবে সবশেষ খবর হলো, শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর থেকে এ সংক্রান্ত সহিংসতার ঘটনায় ৮৮ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশের কর্তৃপক্ষ। এ খবরকে ভারত স্বাগত জানায়।
সূত্র : দ্য হিন্দু
মন্তব্য করুন


আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সাবেক সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের কীভাবে দেশ ছাড়লেন, এ বিষয়ে পুলিশকে ব্যাখ্যা দিতে নির্দেশ দিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। ট্রাইব্যুনাল আগামী ১৫ দিনের মধ্যে পুলিশ প্রধান (আইজিপি) থেকে এ বিষয়ে ব্যাখ্যা চাওয়ার জন্য নির্দেশ দিয়েছেন।
আজ মঙ্গলবার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে গণহত্যাসহ মানবতাবিরোধী অপরাধ সংঘটনের অভিযোগে দায়ের করা মামলার শুনানি শেষে চিফ প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম এসব কথা বলেন। তিনি জানান, 'আমরা আদালতের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছি যে, ওবায়দুল কাদের গত তিন মাস বাংলাদেশে ছিলেন। গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হওয়ার পর থেকে তিনি কোথায় ছিলেন, কীভাবে তিনি পালিয়েছেন এবং কেন তাকে গ্রেপ্তার করা হয়নি—এ বিষয়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কাছে ব্যাখ্যা চাওয়া হয়েছে। আদালত নির্দেশ দিয়েছে, ১৫ দিনের মধ্যে এই ব্যাখ্যা দেওয়া হোক।'
তিনি আরও বলেন, 'আদালতের নির্দেশনা থাকা সত্ত্বেও যদি কেউ কাউকে পালাতে সাহায্য করেন, তাহলে তার বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়ার সুযোগ রয়েছে।'
তাজুল ইসলাম আরও জানান, 'গুমের ঘটনার মধ্যে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সম্পৃক্ততা পেয়েছে গুম কমিশন। গুম কমিশনের রিপোর্ট ট্রাইব্যুনালে উপস্থাপন করা হয়েছে। তিনি ছিলেন জুলাই-আগস্ট গণহত্যার নিউক্লিয়াস।'
'তার (শেখ হাসিনা) বিরুদ্ধে তদন্ত শেষ করার জন্য ট্রাইব্যুনাল দুই মাস সময় দিয়েছে। এছাড়া তার বিরুদ্ধে ইন্টারপোলের রেড নোটিশের অগ্রগতি সম্পর্কে আইজিপির কাছে জানতে চাওয়া হয়েছে,' যোগ করেন তিনি।
এদিকে, ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর আব্দুল্লাহ আল নোমান জানিয়েছেন, জুলাই-আগস্টের গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে দায়ের করা দুই মামলায় শেখ হাসিনা, ওবায়দুল কাদেরসহ ৪৬ জনের বিরুদ্ধে তদন্ত এক মাসের মধ্যে শেষ করার নির্দেশ দিয়েছিল ট্রাইব্যুনাল। তদন্ত শেষ করে আজ প্রতিবেদন জমা দেওয়ার কথা ছিল।
এই ৪৬ জনের মধ্যে রয়েছেন- সাবেক আওয়ামী লীগ সরকারের মন্ত্রী আনিসুল হক, ফারুক খান, দীপু মনি, আব্দুর রাজ্জাক, শাজাহান খান, কামাল আহমেদ মজুমদার, গোলাম দস্তগীর গাজী, আমির হোসেন আমু, কামরুল ইসলাম, সাবেক উপদেষ্টা তৌফিক-ই ইলাহী চৌধুরী, সালমান এফ রহমান, সাবেক প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলক, ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন, জাসদ সভাপতি হাসানুল হক ইনু, সাবেক বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক এবং সাবেক স্বরাষ্ট্র সচিব জাহাংগীর আলম।
উল্লেখ্য, ছাত্র-জনতার আন্দোলন দমাতে গণহত্যাসহ মানবতাবিরোধী অপরাধ সংঘটনের অভিযোগে গত ১৭ অক্টোবর সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার সরকারের সাবেক মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রীসহ ৪৬ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছিলেন ট্রাইব্যুনাল।
মন্তব্য করুন


গোপালগঞ্জে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) পূর্বঘোষিত কর্মসূচিতে সন্ত্রাসী হামলার ঘটনায় গভীর উদ্বেগ জানিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
আজ বুধবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ছাত্র-জনতার আন্দোলনে আওয়ামী স্বৈরাচারী শাসকগোষ্ঠীর পতনের পর দুষ্কৃতকারীরা আবারো দেশে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টিসহ নৈরাজ্যের মাধ্যমে ফায়দা হাসিলের অপতৎপরতায় লিপ্ত হয়েছে। গোপালগঞ্জে এনসিপির পূর্বঘোষিত কর্মসূচির ওপর বর্বরোচিত হামলা, ককটেল বিস্ফোরণ, ইউএনওসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর গাড়িতে অগ্নিসংযোগ ও পুলিশ সদস্যদের আহত করার বর্বর ঘটনা সেই অপতৎপরতারই বহিঃপ্রকাশ।
তিনি বলেন, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির চরম অবনতির কারণে আওয়ামী দোসররা মরণকামড় দিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারকে বেকায়দায় ফেলে ফায়দা লুটতে দেশে অরাজক পরিস্থিতি সৃষ্টির জন্য এখন মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে। এসব দুষ্কৃতকারীকে কঠোর হাতে দমন ছাড়া বিকল্প কোনো পথ নেই।
ফখরুল বলেন, গণতন্ত্র ও মানুষের ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠাসহ দেশে যাতে আবারও ফ্যাসিবাদের উত্থান হতে না পারে, সে জন্য দেশের মানুষের জানমাল রক্ষায় দল-মতনির্বিশেষে সবা শ্রেণি-পেশার মানুষকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। এর ব্যত্যয় হলে দেশ আবারও স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব হুমকির মুখে পড়বে।
বিএনপি মহাসচিব বিবৃতিতে গোপালগঞ্জে এনসিপির পূর্বঘোষিত কর্মসূচিতে হামলাকারী দুষ্কৃতকারীদের অবিলম্বে গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির জোর আহ্বান জানান।
তিনি আহত পুলিশ সদস্যদের আশু সুস্থতা কামনা করেন।
মন্তব্য করুন


যতদিন দায়িত্বে আছেন ততদিন সারের দাম বাড়বে না বলে জানিয়েছেন কৃষি ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা অবসরপ্রাপ্ত লেফটেন্যান্ট জেনারেল জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে কৃষি মন্ত্রণালয়ের গত এক বছরের অর্জন ও সার্বিক অগ্রগতি নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা জানান।
কৃষি উপদেষ্টা বলেন, সার নিয়ে একটি নীতিমালা ইতোমধ্যে হয়ে গেছে। এটি চূড়ান্তভাবে অনুমোদনের জন্য জাতীয় কমিটিতে যাবে। জাতীয় কমিটির প্রধান শিল্প উপদেষ্টা। উনি বাইরে আছেন, আগামী সপ্তাহে আমরা মিটিং করে অনুমোদনটা দিয়ে দেবো। নীতিমালায় আমরা সারের ডিলারের ক্ষেত্রে একটি বড় ধরনের পরিবর্তন নিয়ে আসছি।
তিনি বলেন, সারের দাম বাড়ানো হয়নি। সার পাচার হয়। সারের পাচার রোধে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীগুলোকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
পেট্রোবাংলা সার উৎপাদনে গ্যাসের দাম বাড়ানোর কথা বলেছে- এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে উপদেষ্টা বলেন, পেট্রোবাংলা যদি গ্যাসের দাম বাড়ায়, তারপর যে সার উৎপাদন হবে, সেক্ষেত্রেও দাম বাড়বে না। অন্তত আমি যতদিন আছি স্যারের দাম বাড়বে না।
মন্তব্য করুন


বাংলাদেশের জন্য রাষ্ট্রদূত হিসেবে পেশাদার কূটনীতিক ব্রেন্ট ক্রিস্টেনসেনকে মনোনীত করেছে ট্রাম্প প্রশাসন। গতকাল মঙ্গলবার (২ সেপ্টেম্বর) এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর।
এতে বলা হয়েছে, সিনিয়র ফরেন সার্ভিসের সদস্য ও ভার্জিনিয়ার বাসিন্দা ব্রেন্ট ক্রিস্টেনসেনকে বাংলাদেশে যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত হিসেবে মনোনীত করা হয়েছে। একাধিক নিয়োগ ও মনোনয়নের অংশ হিসেবে এই পদে তার নাম প্রস্তাব করা হয়েছে বলে জানিয়েছে মার্কিন পররাষ্ট্র বিভাগ।
ক্রিস্টেনসেনের পাশাপাশি বর্তমান স্টেট ডিপার্টমেন্টের মুখপাত্র ট্যামি ব্রুসকে জাতিসংঘে রাষ্ট্রদূত এবং সের্গেই গরকে ভারতে রাষ্ট্রদূত হিসেবে মনোনীত করা হয়েছে। তিনটি নিয়োগই দেশটির সিনেটে অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে।
ব্রেন্ট ক্রিস্টেনসেন বর্তমানে ওয়াশিংটনে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরে আন্ডার সেক্রেটারি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি এর আগে ২০১৯ থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত তিন বছর ঢাকায় মার্কিন দূতাবাসে রাজনৈতিক বিভাগে কাউন্সিলর হিসেবে নিয়োজিত ছিলেন।
কর্মজীবনের শুরুতে পররাষ্ট্র দপ্তরের পাকিস্তান ও বাংলাদেশবিষয়ক অফিসে বাংলাদেশ কান্ট্রি অফিসার হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি। অবশ্য বর্তমানে এ নামে আর কোনো অফিস নেই।
মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের প্রকাশিত প্রোফাইল অনুসারে, ব্রেন্ট ক্রিস্টেনসেনের পুরো নাম ব্রেন্ট টি ক্রিস্টেনসেন। তিনি মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের পলিটিক্যাল-মিলিটারি অ্যাফেয়ার্স ব্যুরোর আঞ্চলিক নিরাপত্তা ও অস্ত্র হস্তান্তর অফিসের ডেপুটি ডিরেক্টর (২০১৬-২০১৯) এবং হাউস ফরেন অ্যাফেয়ার্স কমিটির এশিয়া ও প্যাসিফিক সাব-কমিটির সংখ্যাগরিষ্ঠ দলের স্টাফে পারসন ফেলো (২০১৫-২০১৬) হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।
এ ছাড়াও উত্তর কোরিয়া নীতির জন্য বিশেষ প্রতিনিধির বিশেষ সহকারী, ইস্ট এশিয়া ও প্যাসিফিক অ্যাফেয়ার্স ব্যুরোর সাইবার কো-অর্ডিনেটর, ম্যানিলায় মার্কিন দূতাবাসে অর্থনীতিবিষয়ক ডেপুটি কাউন্সেলর, সান সালভাদরে মার্কিন দূতাবাসে ডেপুটি ইকোনমিক কাউন্সেলর, রিয়াদে মার্কিন দূতাবাসে অর্থনৈতিক কর্মকর্তা এবং হো চি মিন সিটিতে মার্কিন কনস্যুলেট জেনারেলের ভাইস কনসাল হিসেবে কাজ করেছেন।
সিনেটে অনুমোদন পেলে রাষ্ট্রদূত হিসেবে পিটার হাসের স্থলাভিষিক্ত হবেন ক্রিস্টেনসেন। গত বছর বাংলাদেশে মার্কিন রাষ্ট্রদূত হিসেবে বিদায় নেওয়ার পর অবসরে যান হাস। তারপর থেকে ঢাকাস্থ মার্কিন দূতাবাস রাষ্ট্রদূতশূন্য রয়েছে।
হাসের পর মার্কিন পররাষ্ট্র বিভাগ অবসরপ্রাপ্ত আরেক পেশাদার কূটনীতিক ট্রেসি অ্যান জ্যাকবসনকে বাংলাদেশে ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রদূতের দায়িত্ব দিয়ে পাঠায়।
তিনি চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে এই পদে দায়িত্বে রয়েছেন।
মন্তব্য করুন


আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য করতে নির্বাচন কমিশন (ইসি) প্রতিশ্রুতিবদ্ধ বলে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন। রোববার সুশীল সমাজের প্রতিনিধি দলের সঙ্গে নির্বাচন কমিশনের সংলাপে এমনটা জানান তিনি।
সিইসি বলেন, নির্বাচনের প্রস্তুতিতে এগিয়ে গেছে কমিশন। দেশে সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন করতে নির্বাচন কমিশন প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
এ এম এম নাসির উদ্দিন বলেন, দেশে যারা নির্বাচনের কাজে থাকেন তারা ভোট দিতে পারেন না। এবার সবার ভোটের ব্যবস্থা করা হবে। এটি একটি মাইলফলক।
তিনি বলেন, বর্তমান কমিশন দায়িত্ব নেয়ার পর আরপিও সংশোধনসহ বিভিন্ন কাজ করেছে। পোস্টাল ব্যালট আইনে থাকলেও প্রয়োগ ছিল না, এটি নিয়েও কাজ করছে ইসি।
মন্তব্য করুন


স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেছেন, ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মাঠে থাকবে ১ লাখ সেনা। এছাড়া নৌবাহিনী, বিমানবাহিনীসহ সব বাহিনীর সদস্যরা মোতায়েন থাকবেন।
তিনি বলেন, জনগণই নির্বাচনের মূল শক্তি। জনগণ যখন নির্বাচনমুখী হবে, তখন তা কেউ আটকাতে পারবে না। যেহেতু ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন, সেই বিষয়ে কিছু আলোচনা হয়েছে। বিভিন্ন ধরনের পরামর্শও এসেছে। এসব বিষয়ে নীতিনির্ধারণী পর্যায়ে আলোচনা করে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে প্রস্তুত করা হবে। আসন্ন দুর্গাপূজা শান্তিপূর্ণ ও উৎসবমুখর পরিবেশে উদযাপনে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মাঠে থাকবে।
বুধবার দুপুরে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউসে চট্টগ্রাম বিভাগের ১১ জেলার জেলা প্রশাসক, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও বিভিন্ন দপ্তর-সংস্থার কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা এসব কথা বলেন।
এ সময় চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার হাসিব আজিজ, চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি আহসান হাবিব পলাশসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা আরও বলেন, নির্বাচন শুধু আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ওপর নির্ভর করে না, এটি নির্ভর করে জনগণের ওপর। জনগণই আসল শক্তি। রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে যদি মতৈক্য হয়, তবে সেটি ইতিবাচক হবে। এর পাশাপাশি নির্বাচন কমিশনের আইন ও ব্যবস্থাপনারও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। গণমাধ্যমও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। জাতীয় নির্বাচনের জন্য ইতোমধ্যে প্রশিক্ষণ শুরু হয়ে গেছে, সদস্য সংখ্যাও বৃদ্ধি করা হয়েছে। বর্তমানে মাঠে প্রায় ৩০ হাজার সেনা আছে, নির্বাচনের সময় তা এক লাখে উন্নীত হবে। নৌবাহিনী, বিমানবাহিনী, বিজিবি, কোস্টগার্ড, আনসারসহ সবাই মাঠে থাকবে।
অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারের বিষয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, অস্ত্র উদ্ধারে পুলিশের অনেক সফলতা রয়েছে। অনেক কষ্ট করে অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। তবে কিছু অস্ত্র এখনো বাইরে রয়েছে। চট্টগ্রামের ভৌগোলিক অবস্থার কারণে, বিশেষ করে পাহাড়ি এলাকায় অভিযান কিছুটা কঠিন। ফটিকছড়ি, রাউজানের মতো অর্ধেক পাহাড়ি, অর্ধেক সমতল এলাকায় সমস্যা থাকলেও উদ্ধার অভিযান চলছে। নির্বাচনের আগেও অভিযান চলবে।
নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের মিছিলের বিষয়ে তিনি বলেন, বুধবার ঢাকাতেও মিছিল করেছে। ঢাকার কমিশনার ফোন করেছিলেন, আমি বলেছি এগুলো আইনের আওতায় আনতে। গ্রেফতারও করা হয়। তারপরও তারা জামিন পেয়ে যায়। আমরা চেষ্টা করছি, যাতে তারা সহজে জামিন না পায়।
সাংবাদিকরা প্রশ্ন করেন, নির্বাচনের আগে ছাত্রলীগের মিছিলের সংখ্যা বাড়বে কিনা? এমন প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন- নির্বাচনের আগে মিছিলের সংখ্যা বাড়বে, তবে ছাত্রলীগের নয়। সবাই মাঠে নামবে। ছোটখাটো এসব (ছাত্রলীগের) মিছিল আর হবে না।
তিনি আরও বলেন, মিয়ানমারের সেনারা এখন সীমান্ত এলাকায় নেই। পুরোটা আরাকান আর্মি দখল করেছে। তবে আমাদের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখছে। আরাকান আর্মি মাদক নির্ভরশীল, প্রচুর মাদক আসে। এর পরিবর্তে আমাদের দেশ থেকে চাল, সার, ওষুধপত্র ও অন্যান্য জিনিসপত্র যায়। আমরা আলোচনা করছি, যাতে এগুলো আর না যায় এবং মাদকও ঢুকতে না পারে। মাদক আমাদের সমাজকে ধ্বংস করছে। এজন্য আমরা ফোর্স বৃদ্ধি করেছি, মাদক সমস্যা কমে আসবে।
রোহিঙ্গা ইস্যু নিয়ে তিনি বলেন, রোহিঙ্গা নিয়ে বাংলাদেশ কোনো হুমকির মুখে নেই। আমাদের লক্ষ্য যত দ্রুত সম্ভব তাদের নিজ দেশে ফেরত পাঠানো। যত তাড়াতাড়ি তাদের ফেরত পাঠানো যাবে, তত দ্রুত সমস্যার সমাধান হবে।
আসন্ন দুর্গাপূজা সম্পর্কে বলেন, এবারের দুর্গাপূজা শান্তিপূর্ণ ও উৎসবমুখর হবে বলে আমরা আশা করছি। কোনো স্থানে বড় ধরনের কোনো সমস্যা নেই। দুর্গাপূজা একটি ধর্মীয় অনুষ্ঠান, এজন্য এর পবিত্রতা রক্ষা করা জরুরি। উদযাপনে ভেতরে দুই ভাগ বা তিন ভাগ। এটি কোনো বাধা হবে না। এটি পুণ্য কাজ, তাই কোনো বাধা সৃষ্টি হবে না বলে আমরা আশা করি।
তিনি অন্যান্য ধর্মের মানুষদেরও অনুরোধ করেছেন, যাতে সহযোগিতা করে পূজার আয়োজন শান্তিপূর্ণভাবে হয়। ধর্মীয় পবিত্রতা রক্ষা পায়।
মন্তব্য করুন


আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে আনুষ্ঠানিকভাবে রোডম্যাপ ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। ইসির রোডম্যাপ অনুযায়ী চলতি বছরের ডিসেম্বরের প্রথমার্ধে তফসিল এবং ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
বৃহস্পতিবার (২৮ আগস্ট) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন কমিশন ভবনের মিডিয়া সেন্টারে এ রোডম্যাপ ঘোষণ করেন ইসির সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ।
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে সংসদীয় আসনের সীমানা নির্ধারণ, ভোটার তালিকা চূড়ান্ত, রাজনৈতিক দল নিবন্ধন ও দেশীয় পর্যবেক্ষক সংস্থার নিবন্ধন চূড়ান্ত করাসহ ২৪টি গুরুত্বপূর্ণ কার্যাবলি প্রাধান্য দিয়ে রোডম্যাপ ঘোষণা করে ইসি। নির্বাচন কমিশনের ঘোষিত রোডম্যাপ অনুযায়ী সংসদ নির্বাচন হবে ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে এবং তফসিল ঘোষণা হবে ডিসেম্বরের প্রথমার্ধে।
ইসি রোডম্যাপে জানায়, তফসিল ঘোষণার দুই মাস আগে হেলিকপ্টার সহায়তার প্রয়োজন হবে এমন ভোটকেন্দ্র বাছাই করে সম্ভাব্য ভোটকেন্দ্র, কক্ষ সংখ্যা, কাছের হেলিপোর্ট, যাত্রা শুরু ও শেষ এবং প্রাসঙ্গিক অন্যান্য তথ্য জানানোর জন্য জেলা নির্বাচন অফিসার, রাঙ্গামাটি, বান্দরবান এবং খাগড়াছড়িকে নির্দেশনা দেওয়া হবে।
এছাড়া তফসিল ঘোষণার ১০ দিন আগে কাছের টেইক অব ও ল্যান্ডিং স্টেশন নির্দিষ্ট করে সম্ভাব্য ভোটকেন্দ্র ও কক্ষ সংখ্যার ভিত্তিতে যাতায়াতের জন্য ভোটগ্রহণ কর্মকর্তা নির্ধারণ করে হেলিকপ্টার সহায়তা সংক্রান্ত প্রস্তাবনা প্রস্তুত করতে হবে।
মন্তব্য করুন


নারীর এগিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে আত্মবিশ্বাস অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। যদি কোনো নারী আত্মবিশ্বাস ও নিজের উপর আস্থা রেখে সামনে এগিয়ে যেতে চায়, তাহলে তাকে কেউ দাবিয়ে রাখতে পারে না। নারীর পিছিয়ে থাকার পেছনে অন্যতম কারণ হিসেবে আমি তার মধ্যে আস্থা ও আত্মবিশ্বাসের অভাবকেই দায়ী মনে করি।
আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষে জাতীয় বার্তা সংস্থা বাসসকে দেওয়া বিশেষ সাক্ষাৎকারে এ কথা বলেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফরিদা আখতার।
তিনি বলেন, নারীর একটি ইতিবাচক দিক হলো—সে সামান্য সুযোগ পেলেই তা কাজে লাগিয়ে সামনে এগিয়ে যেতে চায়। নারীর আত্মবিশ্বাস, নিজের উপর আস্থা রাখা এবং কাজের ক্ষেত্রগুলো প্রস্তুত করে সমাজে নিজের অবস্থান তৈরি করতে হয়।
কোনো কোনো ক্ষেত্রে নারীর এগিয়ে যাওয়ার পথে বাধা হয়ে দাঁড়ায় তার পরিবার ও কর্মপরিবেশ। ফরিদা আখতার বলেন, পরিবার বা কর্মক্ষেত্রে নারীর প্রতি সম্মান ও সহযোগিতার বিষয়টিকে গুরুত্ব দিলে নারীর এগিয়ে যাওয়া সহজ হয়।
তিনি আরও বলেন, আন্তর্জাতিক নারী দিবস সারাবিশ্বের পাশাপাশি আমাদের দেশের নারীদের জন্যও গুরুত্বপূর্ণ। একটি দেশের উন্নয়নের মানদণ্ড অনেকটাই নির্ভর করে সেদেশে নারীর অবস্থান ও অবস্থার উপর।
গত ৫ আগস্ট নতুন বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে ছেলেদের পাশাপাশি মেয়েরাও নেতৃত্ব দিয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, সে সময় থেকে একটি প্রতিক্রিয়াশীল গোষ্ঠী মাথাচাড়া দিয়ে উঠার চেষ্টা করছে। কারণ তারা দেখছে, নারীরা যেভাবে এগিয়ে আসছে, তাদের দমাতে হবে। এসব বিষয় আমাদের কারও চোখ এড়ায়নি।
তিনি বলেন, ‘এখানে ধর্মীয় কথাটা না এনে আমি বলছি—একটি প্রতিক্রিয়াশীল গোষ্ঠী মেয়েদের পিছিয়ে দিতে ধর্মের অপব্যবহার করছে। এটা আমার কাছে সঠিক বলে মনে হয়েছে। সম্প্রতি মেয়েদের ফুটবল খেলায় বাধা দেওয়ার চেষ্টা করা হয়েছে, কিন্তু তা সম্ভব হয়নি। নারীদের পিছিয়ে দিতে নানাভাবে দমিয়ে রাখার চেষ্টা চলছে।
তিনি আরও বলেন, এ ধরনের কর্মকাণ্ডকে আমি একদিকে নারী নির্যাতন হিসেবে দেখি, অন্যদিকে এটাকে সন্ত্রাস হিসেবেও দেখি। আইনিভাবে সেই দৃষ্টিকোণ থেকেই এটাকে দেখতে হবে এবং অপরাধীদের সঙ্গে কোনো আপস না করে দ্রুত শাস্তির আওতায় আনতে হবে।
ফরিদা আখতার বলেন, অধিকারের জায়গায় নারীকে নিজের উদ্যোগেই সচেতন হতে হবে। নারীকে তার প্রতিবন্ধকতাগুলো সম্পর্কে সজাগ থাকতে হবে।
নিজের মন্ত্রণালয়ে কর্মরত নারীদের কাজ অনেকটাই অদৃশ্য থেকে যায় উল্লেখ করে উপদেষ্টা বলেন, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের অধিকাংশ কাজ নারীরাই করে থাকে। মাঠপর্যায়ে যেসব খাদ্য উৎপাদন হয়, শাকসবজি চাষ, পশুপাখি ও মৎস্য উৎপাদনের পেছনে নারীর শ্রম রয়ে যায় অনুল্লেখ্য। মাঠ পর্যায়ে অনেক প্রান্তিক নারী নিরলসভাবে কাজ করছে, কিন্তু তাদের কাজের কেউ মূল্যায়ন করছে না। এখন আমার দায়িত্ব হলো এসব নারীদের স্বীকৃতি আদায়ের চেষ্টা করা এবং তাদের কর্মকাণ্ড সমাজের কাছে তুলে ধরা।
তিনি বলেন, ইতিমধ্যে স্থানীয়ভাবে নারী মৎস্যজীবীদের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করার নির্দেশ দিয়েছি, যেন পরিসংখ্যানে এসব লড়াকু নারীদের অংশগ্রহণ দেখতে পাওয়া যায়। শুধু মুখে বা কাগজে-কলমে নারীর উন্নয়নের কথা বললে হবে না। বিভিন্ন সেক্টরে কর্মরত নারীদের কাজের বিষয়টিকে সামনে আনতে হবে। অন্যদিকে, তাদের বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা দেওয়া হলে তারা আরও বেশি কাজে মনোযোগী হবে।
তিনি আরও বলেন, আমি আসলে বদ্ধ ঘরে বসে বক্তৃতার মধ্যে থাকতে চাই না। তাদের নিয়ে কাজ করতে চাই। ৮ মার্চ নারীর জন্য এ দিবসটি নারীর অধিকার ও সংগ্রামের স্বীকৃতি হিসেবে জাতিসংঘ একটি বিশেষ দিন হিসেবে রেখেছে। সুতরাং, এ দিবসটিকে সঠিকভাবে উদযাপন করা উচিত।
ফরিদা আখতার বলেন, ‘নিজের কাজের অভিজ্ঞতা থেকে বলছি, নারী কোথাও কোথাও অনেক পিছিয়ে রয়েছে।’
মন্তব্য করুন


আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের অর্থ বরাদ্দের ক্ষেত্রে কোনো কার্পণ্য করা হবে না বলে জানান অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ।
আজ মঙ্গলবার সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠক শেষে তিনি সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।
আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের অর্থ বরাদ্দের বিষয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে অর্থ উপদেষ্টা জানান, নির্বাচনের জন্য অর্থের যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছিল, সেখানে আমরা কোনো কার্পণ্য করব না।
বৈঠকের সিদ্ধান্তের বিষয়ে তিনি বলেন, চট্টগ্রাম বন্দরে কনটেইনার হ্যান্ডলিংয়ের বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়েছে। ডিএপি, ইউরিয়া সার কেনার অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এলএনজির বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এলএনজি এলে আমরা হয়তো সারের সরবরাহ বাড়াতে পারবো। রংপুরে ৩০টি স্কুল রিনভেন্ট করার বিষয়ে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
বৈঠক শেষে শ্রম ও কর্মসংস্থান উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ড. এম সাখাওয়াত হোসেনের কাছে এনবিআরকে অত্যাবশ্যকীয় সেবা ঘোষণা করে জারি করা প্রজ্ঞাপনের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, যে প্রজ্ঞাপন আপনারা দেখেছেন দ্যাট ইজ ফাইনাল। এর পরেও কোনো প্রজ্ঞাপন নেই, আগেও প্রজ্ঞাপন নেই। আমি প্রজ্ঞাপন জারি করার লোক। আই এম নট এ ডিসিশন মেকার (আমি কোনো সিদ্ধান্তদাতা নই)। ওনারা সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, আমি প্রজ্ঞাপন জারি করেছি।
আরেক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আলোচনার দরকার আছে কি নেই, সে বিষয়ে কথা বলার আগেই ওনারা প্রত্যাহার করে নিয়েছেন। এখন ওনাদের দাবি-দাওয়া আছে কি না সেটা বুঝলে পরে আমরা বসবো।
বন্দরের স্থবিরতা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, পুরোপুরি বন্ধ ছিল না। পণ্য যা বন্দরে ঢুকেছে সেগুলো এখন জাহাজিকরণ হবে। ক্ষতির পরিমাণ এখনো নিরূপণ করা হয়নি। তবে খুব বেশি একটা ক্ষতি হয়নি।
আন্দোলনকারীদের ইঙ্গিত করে শ্রম উপদেষ্টা বলেন, আপনি নেই বলে কোনো কাজ থেমে থাকবে এটা বাংলাদেশে হবে না, পৃথিবীর কোনো দেশে হয় না।
মন্তব্য করুন


স্থানীয় সরকার নির্বাচনে দলীয় প্রতীক থাকছে না বলে জানান স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় এবং যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া।
আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে নিজের ফেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এক পোস্টে এ তথ্য জানায় তিনি।
আসিফ মাহমুদ জানান, স্থানীয় সরকার নির্বাচনে থাকছে না দলীয় প্রতীক। আজ উপদেষ্টা পরিষদ বৈঠকে স্থানীয় সরকার বিভাগ কর্তৃক উত্থাপিত এ সংক্রান্ত ৪টি আইনের সংশোধনী অনুমোদন করা হয়েছে।
২০১৫ সালে স্থানীয় সরকারের আইন সংশোধন করে চেয়ারম্যান পদে দলীয় প্রতীকে প্রার্থী দেওয়ার বিধান যুক্ত করা হয়। ২০১৭ সালে প্রথমবারের মতো দলীয় প্রতীকে স্থানীয় সরকারের এই নির্বাচন হয়।
মন্তব্য করুন