

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, সামাজিক ব্যবসা (সোশ্যাল বিজনেস) শুধু বাংলাদেশ নয়, বরং পুরো বিশ্বকে বদলে দেওয়ার ক্ষমতা রাখে।
তিনি আরও বলেন, পৃথিবীতে সবার জন্য স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করার একমাত্র সঠিক পথ হল সামাজিক ব্যবসা। এর মাধ্যমে স্বাস্থ্যসেবার চ্যালেঞ্জগুলো সফলভাবে মোকাবেলা করা সম্ভব।
শুক্রবার (২৭ জুন) সাভারের জিরাবো সামাজিক কনভেনশন সেন্টারে দুদিনের ‘সোশ্যাল বিজনেস ডে’-এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
‘সবার জন্য স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে সামাজিক ব্যবসা সর্বোত্তম পন্থা’ এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে এবারের সোশ্যাল বিজনেস ডে উদযাপন করা হচ্ছে।
এবারের সম্মেলনে বিশ্বের ৩৮টি দেশ থেকে ১ হাজার ৪০০ জনেরও বেশি প্রতিনিধি অংশ নিয়েছেন। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য, সরকারের সিনিয়র কর্মকর্তা, বাংলাদেশে নিযুক্ত বিভিন্ন দেশের কূটনীতিক এবং বিদেশি অতিথিরা উপস্থিত ছিলেন।
মন্তব্য করুন


পৃথক দুটি হত্যা মামলায় সাবেক তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলককে তিন দিন এবং সাবেক সিনিয়র সচিব মো. শাহ কামালকে দুই দিন রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি দিয়েছেন আদালত।
পুলিশের পৃথক আবেদনের শুনানি নিয়ে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালত সোমবার সকালে এ আদেশ দেন।
এছাড়া পৃথক মামলায় জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ) সভাপতি হাসানুল হক ইনু, সাবেক খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম, পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন ও ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) সাবেক অতিরিক্ত উপমহাপরিদর্শক (এডিশনাল ডিআইজি) মশিউর রহমানকে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, সকাল ৭টার পর আসামিদের কারাগার থেকে ঢাকার সিএমএম আদালতের হাজতখানায় আনা হয়। সকাল ৯টার দিকে তাদের আদালতের এজলাস কক্ষে তোলা হয়। সকাল সাড়ে ১০টার মধ্যে শুনানি শেষে তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেওয়া হয়।
জানা যায়, শাহবাগ থানায় দায়ের করা মানিক মিয়া হত্যা মামলায় পলককে আদালতে হাজির করে সাত দিন রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করে পুলিশ। অপরদিকে আসামিপক্ষ থেকে রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন নাকচ করে জামিনের আবেদন করা হয়। উভয় পক্ষের শুনানি নিয়ে আদালত পলকের তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
মামলার তথ্য অনুযায়ী, গত ৫ আগস্ট ঢাকা মেডিকেলের সামনে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে মানিক মিয়াকে গুলি করে হত্যা করা হয়।
গত ১৪ আগস্ট গ্রেফতার হন পলক। ৬ মামলায় তার মোট ৩৭ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর হয়েছে।
এদিকে পল্টন থানায় দায়ের করা যুবদল নেতা শামীম মোল্লা হত্যা মামলায় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সাবেক সিনিয়র সচিব শাহ কামালকে দুই দিন রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করার অনুমতি দিয়েছেন আদালত।
এর আগে শাহ কামালকে আদালতে হাজির করে সাত দিন রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করে পুলিশ। অপরদিকে আসামিপক্ষ থেকে রিমান্ডে নেওয়া আবেদন নাকচ করে জামিনের আবেদন করা হয়। আদালত উভয় পক্ষের শুনানি নিয়ে তার দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
রাজধানীর নয়াপল্টনে গত বছরের ২৮ অক্টোবর বিএনপির মহাসমাবেশের দিন যুবদল নেতা শামীম মোল্লাকে হত্যার অভিযোগে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরসহ ৭০৪ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়। এ মামলায় শাহ কামালকে গ্রেফতার দেখিয়ে রিমান্ডের আবেদন করে পুলিশ।
শাহ কামাল গত ১৭ আগস্ট রাজধানীর মহাখালী থেকে গ্রেফতার হন। পরদিন বৈদেশিক মুদ্রা নিয়ন্ত্রণ আইনের মামলায় তার পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।
মন্তব্য করুন


লুটের টাকা সরাসরি দরিদ্র জনগোষ্ঠীর কল্যাণে ব্যয় করার সিদ্ধান্ত দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা।
সোমবার (১৯শে মে) এক গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে বলে জানান প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।
সোমবার এক গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকের পর সাংবাদিকদের এ কথা জানায় প্রেস সচিব।
প্রেস সচিব জানায়, ‘প্রধান উপদেষ্টা বলেছেন, লুটের টাকা ম্যানেজমেন্টে একটি ফান্ড গঠনের জন্য। এই অর্থ ডিপোজিটর এবং একইসঙ্গে দরিদ্র জনগোষ্ঠীর কল্যাণে ব্যয় হবে।’
তিনি আরও জানান, ‘লুটের অর্থের পরিমাণ অনেক। এটি বাজেট বা অন্য কোনো খাতে না এনে পুরোপুরি দরিদ্র জনগণের জন্য ব্যবহারের সিদ্ধান্ত দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা।’
এছাড়াও বৈঠকে আরও বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে আলোচনা হয়েছে বলে জানান প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।
উল্লেখ্য, পতিত আওয়ামী লীগের ১৬ বছরের শাসনামলে পাচার ও লুট হওয়া অর্থ ফেরাতে নানা উদ্যোগ নিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। এরইমধ্যে বেশ কিছু জায়গা থেকে লুট ও পাচার হওয়া অর্থ ফেরত দেওয়ার ব্যাপারে ইতিবাচক সাড়াও মিলেছে। আর দেশে সাবেক সরকারের সুবিধাভোগীদের অবৈধ সম্পদ বাজেয়াপ্ত করা হচ্ছে। আর সেই অর্থই এবার দরিদ্র জনগোষ্ঠীর কল্যাণে ব্যয় করার কথা জানাল সরকার।
মন্তব্য করুন


অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, পতিত শক্তি গন্ডগোল লাগিয়ে নির্বাচন আয়োজন ভন্ডুল করার চেষ্টা করছে। এ অপচেষ্টাকে প্রতিহত করতে ফ্যাসিবাদবিরোধী সব শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। অভ্যুত্থানের সব শক্তি মিলে একটি সুন্দর নির্বাচন করতে না পারলে এ সুযোগ আমাদের হাতছাড়া হয়ে যাবে।
শনিবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের শীর্ষস্থানীয় নেতাদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে এ আহ্বান জানান তিনি।
নির্বাচন ভণ্ডুল করার অপচেষ্টাকে রুখে দিতে হবে: প্রধান উপদেষ্টাপ্রধান উপদেষ্টা বলেন, পরাজিত শক্তি যখনই সুযোগ পাচ্ছে তখনই নানান রকম গন্ডগোল সৃষ্টি করছে। এসব করে তারা দেশের স্বাভাবিক অগ্রযাত্রা ব্যাহত করছে। যখনই নির্বাচনের প্রস্তুতি নিয়ে আমরা অগ্রসর হচ্ছি তখনই নানান ষড়যন্ত্র সামনে আসছে। কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে কোনো ষড়যন্ত্র করেই গণতান্ত্রিক অগ্রযাত্রা বাধাগ্রস্ত করা যাবে না। কারণ ফ্যাসিবাদ প্রশ্নে সবগুলো গণতান্ত্রিক শক্তির ঐক্য স্পষ্ট।
সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজনের জন্য সব রাজনৈতিক দলের সহযোগিতা প্রত্যাশা করেন তিনি। উপস্থিত রাজনৈতিক নেতারাও প্রধান উপদেষ্টাকে সর্বাত্মক সহযোগিতার আশ্বাস দেন।
বৈঠকে জাতীয় গণফ্রন্টের আমিনুল হক টিপু বিশ্বাস, ১২ দলীয় জোটের মোস্তফা জামাল হায়দার, নেজামে ইসলাম পার্টির মাওলানা আব্দুল মাজেদ আতহারী, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের মাওলানা ইউসুফ আশরাফ, ন্যাশনাল পিপলস পার্টির ফরিদুজ্জামান ফরহাদ, বাংলাদেশ জাসদের ড. মুশতাক হোসেন, ন্যাশনালিস্ট ডেমোক্রেটিক মুভমেন্টের ববি হাজ্জাজ, ইসলামী ঐক্যজোটের মুফতি সাখাওয়াত হোসাইন রাজি, ভাসানী জনশক্তি পার্টির রফিকুল ইসলাম বাবলু, বাংলাদেশ লেবার পার্টির ডা. মোস্তাফিজুর রহমান ইরান, বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দলের (মার্কসবাদী) মাসুদ রানা এবং জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের মঞ্জুরুল ইসলাম আফেন্দী উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠকের শুরুতে মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে বিমান দুর্ঘটনার নিহতদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন ও মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয়।
মন্তব্য করুন


অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদে থাকা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া ও মাহফুজ আলম পদত্যাগ করেছেন।
বুধবার সন্ধ্যায় তারা পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন বলে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের একটি সূত্র নিশ্চিত করেছে।
জুলাই গণঅভ্যুত্থানে নেতৃত্ব দেওয়া ছাত্রদের প্রতিনিধি হিসেবে অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা ছিলেন আসিফ মাহমুদ ও মাহফুজ আলম। আসিফ মাহমুদ স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় এবং যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টার দায়িত্ব পালন করছিলেন। মাহফুজ আলম তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টার দায়িত্ব পালন করছিলেন।
আসিফ মাহমুদ অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের শুরুতেই উপদেষ্টা হিসেবে নিয়োগ পান। তিনি প্রথমে শ্রম ও কর্মসংস্থান এবং যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পান। পরে শ্রম মন্ত্রণালয় বাদ দিয়ে তাকে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সময় মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দেওয়া হয়।
এর আগে আজ বুধবার বিকেলে সচিবালয়ে স্থানীয় সরকার বিভাগের সম্মেলন কক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে আসিফ মাহমুদ জানান, তিনি নির্বাচন করবেন, তবে কোন দল থেকে করবেন সেটা পরবর্তীসময়ে জানানো হবে।
আপনি সম্পদের বিবরণী দাখিল করবেন কি না- জানতে চাইলে উপদেষ্টা বলেন, আমি সম্পদের বিবরণী আজ সকালেই দাখিল করেছি। আমার যে কূটনৈতিক পাসপোর্ট আছে সেটাও আমি বাতিল করেছি।
আপনি কি আগামীকাল উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে পদত্যাগপত্র জমা দেবেন নাকি আজ দিয়েছেন- এ বিষয়ে আসিফ মাহমুদ বলেন, উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে আমাকে ডাকা হয়েছে। বাকিটা প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে আপনাদের জানানো হবে।
উপদেষ্টা পরিষদে প্রধান উপদেষ্টা ছাড়া উপদেষ্টা ছিলেন ২২ জন। আসিফ মাহমুদ ও মাহফুজ আলম পদত্যাগ করায় উপদেষ্টাদের সংখ্যা এখন ২০ জন।
মন্তব্য করুন


ডেস্ক রিপোর্টঃ
আগামী বৃহস্পতিবারের মধ্যে ছাত্রলীগকে ‘সন্ত্রাসী সংগঠন’ আখ্যা দিয়ে নিষিদ্ধের জন্য আল্টিমেটাম দিয়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক আব্দুল হান্নান মাসউদ। তিনি বলেছেন, যে ছাত্রলীগের হাতে মানুষের মৃত্যু হয়েছে তাদের রাজনীতি করার কোনো অধিকার নেই।
মঙ্গলবার বিকালে কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদত্যাগ নিয়ে বিভ্রান্তিকর বক্তব্য দেওয়ায় বর্তমান রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের পদত্যাগের দাবিতে আয়োজিত গণজমায়েতে তিনি এই সময় বেঁধে দেন।
রাষ্ট্রপ্রধানের পদত্যাগ ও ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধের দাবিতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ডাকে কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে গণজমায়েত কর্মসূচি চলছে। সেখানে প্ল্যাটফর্মটির সমন্বয়করাসহ শিক্ষার্থী, জনতা অবস্থান নিয়েছেন।
গত ১৫ জুলাই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের ওপর নৃশংস হামলা চালায় ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। হামলায় আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের অনেকেই মারধরের শিকার হয়েছিলেন। আক্রান্ত শিক্ষার্থীদের মধ্যে ছাত্রীরাও ছিলেন।
এ ঘটনায় ছাত্রলীগের নেতাকর্মীসহ ৩৯১ জনের নামপরিচয় উল্লেখ করে শাহবাগ থানায় মামলার আবেদন করা হয়েছে। সোমবার বিকালে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক ঢাবি শিক্ষার্থী মাহিন সরকার শাহবাগ থানায় এ মামলার আবেদন করেন। এরপর বিকালে শাহবাগ থানার অভ্যন্তরে প্রেস ব্রিফিং করেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়করা।
প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে শেখ হাসিনার পদত্যাগের দালিলিক প্রমাণ নিজের কাছে নেই— মানবজমিনকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের এমন মন্তব্য দেশের রাজনীতিতে উত্তাপ-আলোচনা সৃষ্টি করেছে বেশ। এমন মন্তব্যের জেরে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের পদত্যাগ চাইছেন শিক্ষার্থীদেরসহ অনেকে। যদিও সোমবার রাতে রাষ্ট্রপতির প্রেস উইং থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, শেখ হাসিনার পদত্যাগের বিষয়টি মীমাংসিত। এ বিষয়ে নতুন করে কোনো বিতর্ক সৃষ্টি করে অন্তর্বর্তী সরকারকে অস্থিতিশীল কিংবা বিব্রত করা থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানান রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন।
মন্তব্য করুন


বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন জানিয়েছেন, ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় দুই দিন ধরে যে ফ্লাইট বিপর্যয় হয়েছে তার মাশুল সরকার মওকুফ করে দেবে।
রোববার বিমানবন্দরের কার্গো (৮ নম্বর) গেটের সামনে সাংবাদিকদের এ কথা জানান তিনি।
এ সময় বাণিজ্য উপদেষ্টা বলেন ‘অর্থনৈতিক পরিমাণ নিদিষ্ট করার চেষ্টা করা হচ্ছে। ফায়ার সার্ভিস সঠিকভাবেই কাজ করতে পেরেছে। যত অভিযোগ আসছে সব আমলে নিয়েই তদন্ত করা হবে। সব কিছুই অনুসন্ধান করা হচ্ছে, শুরুতে মালামাল সরানোর মতো অবস্থা ছিল না।’
উপদেষ্টা আরও বলেন, ‘২ দিন ধরে যে ফ্লাইট বিপর্যয় হয়েছে তার মাশুল সরকার মওকুফ করে দেবে।’
শনিবার দুপুরে কার্গো ভিলেজে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের কারণে দেশের প্রধান বিমানবন্দর হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে সব ধরনের ফ্লাইট চলাচল স্থগিত করা হয়।
মন্তব্য করুন


পার্বত্য চট্টগ্রাম আবার অস্থিতিশীল করে তুলতে সক্রিয় হয়ে উঠেছে ভারতীয় মদতপুষ্ট সশস্ত্র সংগঠন ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট বা ইউপিডিএফ। ধর্ষণের নাটক সাজিয়ে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা লাগানো, অস্ত্র ও প্রশিক্ষণ নিয়ে পাহাড়ে হামলা চালানো এবং চাঁদাবাজি ও অপহরণের মতো কার্যক্রমে জড়িয়ে পড়েছে সংগঠনটির সদস্যরা। নিরাপত্তা বাহিনীর মতে, পতিত স্বৈরশাসক শেখ হাসিনা পালিয়ে যাওয়ার পর ভারত আবার পাহাড়ে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টির মাধ্যমে বাংলাদেশের সার্বভৌমত্বকে হুমকির মুখে ফেলতে চাইছে।
এ পরিস্থিতিতে পাহাড়ে দায়িত্ব পালন করা সেনাবাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, পার্বত্যাঞ্চলে অন্তত আড়াইশ নতুন সেনা ক্যাম্প স্থাপন করা ছাড়া কোনো বিকল্প নেই। তাদের যুক্তি, নতুন ক্যাম্প হলে প্রতিটি রুটে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া জানানো যাবে, অস্ত্রপ্রবাহ বন্ধ হবে এবং চাঁদাবাজি ও অপহরণ বন্ধ করা সম্ভব হবে। রাষ্ট্রের সার্বভৌমত্ব রক্ষা ও নিরাপত্তা নিশ্চিতে পার্বত্য চট্টগ্রামে সেনা ক্যাম্প বৃদ্ধি জরুরি।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে সেনাবাহিনীর বেশ কয়েকজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এসব তথ্য জানান।
এসব সেনা কর্মকর্তার দাবি, শান্তিচুক্তির পর ক্যাম্প কমে যাওয়ায় সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলো নতুন করে শক্তি সঞ্চয় করেছে এবং এখন তারা প্রকাশ্যে চাঁদাবাজি, অপহরণ ও হত্যাকাণ্ড চালাচ্ছে। পাহাড়ের সশস্ত্র গ্রুপগুলো গত এক বছরে প্রায় ৩৫০ কোটি টাকা চাঁদা তুলেছে। গোয়েন্দা রিপোর্ট অনুযায়ী, এর মধ্যে ইউপিডিএফ তুলেছে ১০৪ কোটি টাকা। চাঁদা নেওয়ার তালিকায় রয়েছে সাধারণ মানুষ, ব্যবসায়ী, কৃষি, যানবাহন, ঠিকাদার, কাঠ, বাঁশ ও অপহরণ। এর মধ্যে সশস্ত্র গ্রুপগুলো রাঙামাটি জেলা থেকে ২৪৪ কোটি, খাগড়াছড়ি থেকে ৮৬ কোটি এবং বান্দরবান থেকে ২০ কোটি টাকা চাঁদা তুলেছে।
শুধু চাঁদা নয়; অপহরণ ও হত্যার সঙ্গেও জড়িত ইউপিডিএফ। ২০০৯ থেকে এ পর্যন্ত ৩৩২ জনকে অপহরণ করে সশস্ত্র গোষ্ঠীটি। এর মধ্যে পাহাড়িরাও ছিলেন। সর্বশেষ চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঁচ শিক্ষার্থীকে অপহরণ করার ঘটনা ঘটে। তাদের হাতে ২০০৯ সাল থেকে এ পর্যন্ত ৮৯ জন হত্যার শিকার হয়েছেন, যাদের মধ্যে ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর সদস্য যেমন রয়েছেন, তেমনি সেনাবাহিনীর ১৬ সদস্যও রয়েছেন।
ইউপিডিএফ এবং তাদের সহযোগীরা ভারতের মিজোরামে স্থাপিত ক্যাম্প থেকে অস্ত্র ও প্রশিক্ষণ নিয়ে এসে বাংলাদেশের ভেতরে নাশকতা চালাচ্ছে। সেনাবাহিনী মনে করে, সীমান্তবর্তী দুর্গম এলাকায় দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য ক্যাম্প স্থাপন অপরিহার্য। বর্তমানে খাগড়াছড়িতে ৯০, রাঙামাটিতে ৭০ এবং বান্দরবানে ৫০টিসহ ২১০টি ক্যাম্প থাকলেও পাহাড়ের ভৌগোলিক বাস্তবতায় তা যথেষ্ট নয়। আরো অন্তত আড়াইশ নতুন ক্যাম্প হলে সন্ত্রাসীরা আর মাথা তুলতে পারবে না।
সশস্ত্র গোষ্ঠীর প্রতি সদয় ছিল হাসিনার সরকার
সেনা সদর বলছে, শেখ হাসিনার আমলে সশস্ত্র গ্রুপগুলোর প্রতি নমনীয় থাকার অলিখিত নির্দেশ ছিল, যার ফলে সন্ত্রাসীরা রাজনৈতিক মদত ও প্রশাসনিক শৈথিল্য কাজে লাগিয়ে শক্তিশালী হয়। কিন্তু বর্তমান নীতি হলো ‘নো কম্প্রোমাইজ’। অর্থাৎ সন্ত্রাসীদের সঙ্গে কোনো ধরনের আপস বা আলোচনার জায়গা নেই, সরাসরি অ্যাকশনই একমাত্র পথ। কারণ, গোষ্ঠীগুলো কখনো সাধারণ মানুষের প্রতিনিধিত্ব করে না; তারা পাহাড়ি ও বাঙালি- উভয় জনগোষ্ঠীকেই জিম্মি করে রেখেছে।
পাহাড়ে দায়িত্ব পালন করা একজন ব্রিগেড কমান্ডার জানান, ইউপিডিএফ ও অন্যান্য সন্ত্রাসী গ্রুপের কার্যক্রম এখন শুধু চাঁদাবাজি বা অপহরণের মধ্যে সীমাবদ্ধ নেই। তারা ভারতের মিজোরাম থেকে সরাসরি প্রশিক্ষণ ও অস্ত্র নিয়ে এসে পাহাড়ে হামলা চালাচ্ছে। সীমান্তবর্তী এলাকায় নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করতে হলে অতিরিক্ত সেনা ক্যাম্প স্থাপন অপরিহার্য। আমরা মনে করি, কমপক্ষে আড়াইশ নতুন ক্যাম্প প্রয়োজন।
খাগড়াছড়ি জোনের দায়িত্বে থাকা একজন লেফটেন্যান্ট কর্নেল বলেন, যেভাবে মিথ্যা ধর্ষণের নাটক সাজানো হলো, সামনে আরো বড় কোনো ঘটনা ঘটানো হতে পারে। এ ধরনের ষড়যন্ত্র ঠেকাতে সেনাদের দ্রুত উপস্থিতি জরুরি। কিন্তু বিস্তীর্ণ পাহাড়ি এলাকার অনেক জায়গায় সেনা ক্যাম্প নেই, ফলে সন্ত্রাসীরা ফাঁকফোকর কাজে লাগায়। তাই আমরা আড়াইশ ক্যাম্প স্থাপনের দাবি তুলেছি।
বান্দরবানে দায়িত্ব পালন করা একজন মেজর জানান, ইউপিডিএফের চাঁদাবাজি ও হত্যাকাণ্ডের তথ্য আমাদের হাতে আছে। তারা ভারতের গোয়েন্দা সংস্থার প্রত্যক্ষ সহায়তায় চলছে। প্রতিটি রুট আমরা চিহ্নিত করেছি। এখন প্রয়োজন তাৎক্ষণিক নিয়ন্ত্রণ। নতুন ক্যাম্পগুলো হলে আমরা এক ঘণ্টার মধ্যেই যেকোনো স্থানে অভিযান চালাতে পারব।
রাঙামাটির এক জোন কমান্ডার বলেন, আমাদের হাতে গোয়েন্দা প্রমাণ রয়েছে যে, ইউপিডিএফের অন্তত ছয়টি ক্যাম্প ভারতের মিজোরামে। তাদের লোকজন প্রশিক্ষণ নিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করছে। সীমান্ত পাহাড়ে ক্যাম্প বাড়ানো ছাড়া এ অনুপ্রবেশ ঠেকানো যাবে না। জাতীয় সার্বভৌমত্ব রক্ষার জন্য সেনা ক্যাম্পের সংখ্যা আড়াইশতে উন্নীত করা জরুরি।
সার্বিক বিষয়ে খাগড়াছড়িতে দায়িত্ব পালন করা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল হাসান মাহমুদ বলেন, নতুন সেনা ক্যাম্প স্থাপনের বিষয়টি প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের এখতিয়ারভুক্ত। আমরা এখন আমাদের যা পুঁজি আছে, সেগুলো নিয়ে নজরদারি করছি। ধর্ষণের ঘটনাকে পুঁজি করে সাধারণ পাহাড়ি নারী ও কোমলমতি শিক্ষার্থীদের সামনে দিয়ে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা সৃষ্টির চেষ্টা করছে ইউপিডিএফ। এসব কর্মসূচিতে বহিরাগত সন্ত্রাসীদের দিয়ে দেশীয় ও স্বয়ংক্রিয় অস্ত্র ব্যবহার করে ফায়ারিং করা হয়েছে। সেনাবাহিনী দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় সর্বোচ্চ ভূমিকা রাখবে।
নিরাপত্তা বিশ্লেষক মোহাম্মদ এমদাদুল ইসলাম জানান, পার্বত্য চট্টগ্রামে বর্তমানে ক্রমবর্ধমান সন্ত্রাসী তৎপরতা, চাঁদাবাজি, অপহরণ ও হত্যাকাণ্ড নতুন মাত্রা পেয়েছে। সেনা ক্যাম্প প্রত্যাহার চাইলে কেন আমরা তা প্রত্যাহার করব? আমরা আমাদের কৌশলে এগিয়ে যাব।
নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ড. শহীদুজ্জামান বলেন, ইউপিডিএফ এবং অন্যান্য সশস্ত্র গোষ্ঠী ভারতের মিজোরাম ও ত্রিপুরা থেকে প্রশিক্ষণ ও অস্ত্র নিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করছে, যা আমাদের জন্য শঙ্কার বিষয়। সীমান্তবর্তী দুর্গম এলাকায় দ্রুত প্রতিক্রিয়া এবং কার্যকর নজরদারি ছাড়া দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষা করা সম্ভব নয়। সে কারণে আড়াইশ নতুন সেনা ক্যাম্প স্থাপন এখন একান্ত জরুরি। এসব ক্যাম্প স্থাপন করা হলে সেনাবাহিনী দ্রুত প্রতিক্রিয়া দেখাতে পারবে এবং সন্ত্রাসী কার্যক্রম কার্যকরভাবে দমন করা সম্ভব হবে।
মন্তব্য করুন


প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেছেন, ভোট বানচালের ক্ষমতা কারো নেই। তিনি মনে করেন, সবদল সৎ থাকলে সুষ্ঠু নির্বাচন নিয়ে কোনো বাধা নেই, দেশের মানুষ উৎসব মুখর পরিবেশে ভোট দিতে আসবে।
বৃহস্পতিবার রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে নাগরিক কোয়ালিশন আয়োজিত ‘সুষ্ঠু নির্বাচনের প্রত্যাশা ও চ্যালেঞ্জ’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে বক্তৃতা করেন তিনি।
প্রেস সচিব বলেন, আগামী জাতীয় নির্বাচন ভালো হবে, তার একটা প্রতিফলন দেখা গেছে ডাকসুতে।
তিনি বলেন, সরকার নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় কোনো পক্ষপাতিত্ব করবে না এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর মাধ্যমে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে, যাতে ভোটাররা নির্ভয়ে ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারেন।
শফিকুল আলম বলেন, প্রধান উপদেষ্টা বলেছেন ফেব্রুয়ারিতেই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এ সময়সূচি থেকে কেউ সরে আসতে চাইলে তা জাতির জন্য মহাবিপর্যয় ডেকে আনবে।
তিনি জানান, নির্বাচনী নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে প্রায় ৮ লাখ পুলিশ, বিজিবি ও আনসার সদস্য মোতায়েন থাকবে।
শফিকুল আলম উল্লেখ করেন, সুষ্ঠু নির্বাচন শুধু সরকারের ইচ্ছায় নয়, সমাজের বিভিন্ন অংশ ও রাজনৈতিক দলগুলোর সদিচ্ছার ওপরও নির্ভর করে। ‘ইলেকশন করে সোসাইটি, পলিটিক্যাল পার্টিগুলো- তারা যদি চায়, তাহলে একটি ভালো নির্বাচন অবশ্যই সম্ভব, যোগ করেন তিনি।
প্রেস সচিব বলেন, জনগণ যদি বন্যার জলের মতো ভোট দিতে কেন্দ্রে ছুটে আসেন, তাহলে কোনো শক্তিই সুষ্ঠু নির্বাচন ঠেকাতে পারবে না। উদাহরণ হিসেবে ডাকসু নির্বাচনের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘জাতীয় নির্বাচন ভালো হবে, তার একটা প্রতিফলন দেখা গেছে ডাকসুতে। ডাকসুতে যেমন হয়েছে, ঠিক তেমনি সুষ্ঠু ও উৎসবমুখর পরিবেশে জাতীয় নির্বাচনও সম্ভব।’
তিনি বলেন, সবাই নিজ নিজ অবস্থানে সৎ থেকে দায়িত্ব পালন করলে আগামী নির্বাচন হবে একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন।
মন্তব্য করুন


বাংলাদেশের বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফাওজুল কবির খান আজ শনিবার এক সেমিনারে জানিয়েছেন, ভারতীয় কোম্পানি আদানি গ্রুপ সবসময় বাংলাদেশে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধের হুমকি দেয়। তিনি এই মন্তব্যটি ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (এফবিসিসিআই) মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত এক জ্বালানি সেমিনারে করেছেন।
তিনি বলেন, "আমার প্রতিদিনের শুরু হয় জ্বালানির মূল্য পরিশোধের চাপ নিয়ে। বাংলাদেশে বিদ্যুৎ রপ্তানিকারী ভারতীয় কোম্পানি আদানি গ্রুপ সবসময় আমাদের বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ করার হুমকি দেয়।"
এছাড়াও, ফাওজুল কবির খান জ্বালানি খাতে সরকারি ভর্তুকি নিয়ে হতাশা প্রকাশ করে বলেন, "৭২ টাকায় গ্যাস কিনে ৩০ টাকায় কতদিন দেওয়া যাবে? বিদ্যুৎ ও গ্যাসের দাম বাড়ানোর জন্য সরকারের ওপর প্রচণ্ড চাপ রয়েছে। আমি জানি না, কতদিন দাম না বাড়িয়ে থাকতে পারব।"
তিনি আরও বলেন, গত ১৫ বছরে বিদ্যুৎ ও জ্বালানিখাতে লুটপাটকারীদের বিচারের জন্য একটি জ্বালানি ট্রাইব্যুনাল গঠন করা প্রয়োজন। এই দাবি তুলে জ্বালানি বিশেষজ্ঞ ড. শামসুল আলম বলেন, "বর্তমান সরকার কোনো পিছুটান ছাড়াই গ্যাস ও বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর আগে, এখানে অপচয় ও দুর্নীতি বন্ধের উদ্যোগ নিতে হবে।"
মন্তব্য করুন


জুলাই অভ্যুত্থান দমানোর চেষ্টায় মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ক্ষমতাচ্যুত শেখ হাসিনা ও তার সরকারের স্বররাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের মৃত্যুদণ্ড চেয়েছে প্রসিকিউশন।
বৃহস্পতিবার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ এ যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে এ দাবি জানান প্রধান কৌঁসুলি মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম।
এ মামলার অপর আসামি সাবেক আইজিপি চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল-মামুন ইতোমধ্যে নিজের দোষ স্বীকার করে রাজসাক্ষী হিসেবে জবানবন্দি দিয়েছেন।
তাজুল ইসলাম বলেন, তারা মনে করেন, সাবেক আইজিপি মামুন তার জবানবন্দিতে ঘটনা সম্পর্কে সত্য প্রকাশ করেছেন। তার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে ট্রাইব্যুনাল।
এ মামলার পলাতক আসামি শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান খানের পক্ষে রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী হচ্ছেন মো. আমির হোসেন। তিনি যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করার জন্য প্রস্তুতি নিতে এক সপ্তাহ সময় আবেদন করেন। ট্রাইব্যুনাল আগামী সোমবার থেকে যুক্তিতর্ক উপস্থাপনের নির্দেশ দেন।
বিচারপতি মো. গোলাম মর্তুজা মজুমদার নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ এ এই মামলার বিচার চলছে। এই ট্রাইব্যুনালের অপর দুই সদস্য হলেন বিচারপতি মো. শফিউল আলম মাহমুদ ও বিচারক মো. মোহিতুল হক এনাম চৌধুরী।
গত ১০ জুলাই শেখ হাসিনাসহ তিন আসামির বিরুদ্ধে আন্দোলন দমনে ১৪০০ জনকে হত্যার উসকানি, প্ররোচনা ও নির্দেশ দান, ‘সুপিরিয়র কমান্ড রেসপনসেবলিটি’ এবং ‘জয়েন্ট ক্রিমিনাল এন্টারপ্রাইজের’ মোট পাঁচ অভিযোগে বিচার শুরুর আদেশ দেয় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১।
মামলার ৫৪তম ও শেষ সাক্ষী ছিলেন তদন্তকারী কর্মকর্তা মো. আলমগীর। গত ৬ অক্টোবর তার জেরা শেষ করেন আসামি পক্ষের রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী আমির হোসেন।
জামায়াতে ইসলামী, এনসিপিসহ কয়েকটি দল নির্বাচনের আগেই শেখ হাসিনা ও আওয়ামী লীগের বিচার শেষ করার দাবি জানিয়ে আসছে।
আইন উপদেষ্টা অধ্যাপক আসিফ নজরুল সম্প্রতি এক ফেইসবুক পোস্টে বলেছেন, অন্তর্বর্তী সরকারের শাসনামলেই এ বিচার শেষ হবে বলে তিনি আশা করছেন।
মন্তব্য করুন