পতিত স্বৈরশাসক শেখ হাসিনাসহ ১২ জনের বিরুদ্ধে ‘রেড নোটিশ’ জারির জন্য আন্তর্জাতিক পুলিশ সংস্থা ইন্টারপোলের কাছে আবেদন জানানো হয়েছে। যে ১২ জনের বিরুদ্ধে রেড নোটিশ জারির আবেদন করেছে, তাঁদের প্রত্যেকের বিরুদ্ধে বাংলাদেশের আদালত থেকে বিভিন্ন মামলায় ওয়ারেন্ট বা গ্রেপ্তারি পরোয়ানা রয়েছে।
জুলাই-আগস্ট গণহত্যা মামলার আসামি বিদেশে পলাতক ওই ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে রেড নোটিশ জারি করতে ইন্টারপোলের কাছে পৃথক তিনটি ধাপে আবেদন করেছে বাংলাদেশ পুলিশের ন্যাশনাল সেন্ট্রাল ব্যুরো (এনসিবি)। শনিবার (১৯ এপ্রিল) পুলিশ ও আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
শেখ হাসিনা ছাড়া আরো যাদের বিরুদ্ধে রেড নোটিশ জারির আবেদন করা হয়েছে তারা হলেন—আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সাবেক সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান, সাবেক মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক, সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ, সাবেক বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী জাহাঙ্গীর কবির নানক, সাবেক শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) সাবেক মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস, সাবেক প্রধানমন্ত্রীর প্রতিরক্ষাবিষয়ক উপদেষ্টা মেজর জেনারেল (অব.) তারিক আহমেদ সিদ্দিক, সাবেক বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ, সাবেক তথ্য প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত ও সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদ।
বিদেশে পালিয়ে থাকা আসামিদের অবস্থান শনাক্ত করতে ইন্টারপোল সহযোগিতা করে থাকে। অন্যদিকে বিদেশে পলাতক ব্যক্তিদের সম্ভাব্য অবস্থান সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া গেলে সেটিও সংশ্লিষ্ট দেশ ইন্টারপোলকে জানায়। যে ১২ জনের বিরুদ্ধে রেড নোটিশ জারির আবেদন করা হয়েছে, সেগুলো এখন ইন্টারপোলে প্রক্রিয়াধীন।
ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে গত বছরের ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা ভারতে পালিয়ে যান। এখনো সেখানেই অবস্থান করছেন তিনি। ইন্টারপোলে রেড নোটিশ জারির আবেদনের বাইরে ভারতসহ যেসব দেশের সঙ্গে বাংলাদেশের বন্দী প্রত্যর্পণ চুক্তি রয়েছে, সে চুক্তির আওতায় বিদেশে পলাতক ব্যক্তিদের ফেরানোর চেষ্টাও রয়েছে অন্তর্বর্তী সরকারের পক্ষ থেকে।
মন্তব্য করুন
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী জানিয়েছেন, সচিবালয়ে ঘটে যাওয়া ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের বিষয়ে তদন্তের জন্য একটি কমিটি গঠন করা হবে।
আজ বৃহস্পতিবার সকাল ৯টার দিকে সচিবালয়ের সামনে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে তিনি এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, "আগুন লাগে সচিবালয়ের ষষ্ঠ তলায়। ফায়ার সার্ভিস রাত ১টা ৫২ মিনিটে আগুন লাগার খবর পায় এবং ১টা ৫৪ মিনিটে কাজ শুরু করে। সকাল ৮টা ৫ মিনিটে আগুন সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে আসে। এই ঘটনায় ফায়ার সার্ভিসের একজন সদস্য শাহাদাত বরণ করেছেন। তিনি সচিবালয় থেকে একটি পাইপ বের করার সময় একটি ট্রাকের ধাক্কায় আহত হন এবং পরে মারা যান। তার সঙ্গে আরও দুই থেকে তিনজন আহত হয়েছেন, তবে তারা সবাই বর্তমানে সুস্থ আছেন।"
উপদেষ্টা আরও জানান, "আগুনটি ষষ্ঠ তলায় লেগে ওপরের দিকে ছড়িয়েছে, তবে নিচে নামেনি। এই ঘটনার তদন্তে হাই পাওয়ারের একটি কমিটি গঠন করতে কেবিনেট সচিব এবং স্বরাষ্ট্র সচিবকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।"
প্রসঙ্গত, বুধবার দিবাগত রাত ১টা ৫২ মিনিটে আগুন লাগার খবর পায় ফায়ার সার্ভিস। আগুনের তীব্রতা বাড়ায় পর্যায়ক্রমে ১৮টি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে কাজ শুরু করে। অবশেষে সকাল ৮টা ৫ মিনিটে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা হয়।
আগুন নিয়ন্ত্রণে ফায়ার সার্ভিসের সঙ্গে পুলিশ ও সেনাবাহিনী সহযোগিতা করে। প্রাথমিক পর্যায়ে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্য সংখ্যা বৃদ্ধি করা হয় এবং পরে সচিবালয় এলাকায় বিজিবি সদস্য মোতায়েন করা হয়।
মন্তব্য করুন
নিত্য পণ্যের চড়া দামে সাধারণ মানুষের কষ্ট হচ্ছে, তবে আমাদের পক্ষ থেকে ইচ্ছে করে তাদের কষ্ট দেওয়া হচ্ছে না, এমন মন্তব্য করেছেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহ উদ্দিন আহমেদ। তিনি বলেন, সিস্টেমের সঠিক কাজ না হওয়ার কারণে এই সমস্যা সৃষ্টি হয়েছে। রোববার (২৬ জানুয়ারি) সকালে জাতীয় রাজস্ব ভবনে অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক কাস্টমস দিবসের অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি।
ড. সালেহ উদ্দিন আহমেদ আরও বলেন, ন্যাশনাল সিঙ্গেল উইন্ডোর মতো একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্প বাস্তবায়নে ছয় বছর সময় লেগেছে, যা সাধারণভাবে অস্বাভাবিক। এই প্রকল্পে প্রয়োজনীয় অনেক আইন ও পদ্ধতি তৈরি করা হয়েছে, তবে সমস্যা হচ্ছে এর বাস্তবায়ন নিয়ে।
এ সময় জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান বলেন, আইন প্রয়োগে কঠোর হতে হবে এবং পণ্য আমদানি প্রক্রিয়ায় মিথ্যা ঘোষণা দিয়ে জটিলতা সৃষ্টি থেকে বিরত থাকতে হবে। তিনি আরও বলেন, ব্যবসা-বাণিজ্য এবং জীবনযাত্রা সহজ করতে সরকার সচেষ্ট।
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে ন্যাশনাল সিঙ্গেল উইন্ডো উদ্বোধন হবে। এর মাধ্যমে বন্দরে আমদানি ও রপ্তানি পণ্য খালাস প্রক্রিয়া সহজ ও দ্রুত করা যাবে। এই প্রকল্প বাস্তবায়নে ইতোমধ্যে ৩৯টি সংস্থার সঙ্গে সমঝোতা চুক্তি সই করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড।
মন্তব্য করুন
ডেস্ক রিপোর্টঃ
বাংলাদেশের জলসীমায় অবৈধ অনুপ্রবেশের অভিযোগে ৩১ জেলেসহ ভারতীয় দুটি ট্রলিং জাহাজ আটক করেছে বাংলাদেশ নৌবাহিনী।
মঙ্গলবার (১৫ অক্টোবর) বিকালে নৌ-বাহিনীর যুদ্ধ জাহাজ বিএনএস শহীদ আকতার উদ্দিন নিয়মিত অভিযান পরিচালনাকালে কুয়াকাটা সংলগ্ন বঙ্গোপসাগর থেকে জয় জগন্নাথ ও মা বাসন্তী নামের দুটি ট্রলিং জসহাজসহ জেলেদের আটক করে। আটককৃতদের বাড়ি ভারতের চব্বিশ পরগনা জেলার বিভিন্ন গ্রামে।
বুধবার (১৬ অক্টোবর) সকাল দশটায় পায়রা বন্দরের জেটি এলাকায় সংবাদ সম্মেলনে বিষয়টি নিশ্চিত করেন বিএনএস শহীদ আকতার উদ্দিন জাহাজের কমান্ডিং অফিসার লেফটেন্যান্ট কমান্ডার মশিউল ইসলাম।
মশিউল ইসলাম বলেন, আটককৃত জেলে ও জাহাজ দুটিকে কলাপাড়া থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে।
উল্লেখ্য, মা ইলিশ রক্ষায় ১৩ সেপ্টেম্বর থেকে ৩ নভেম্বর পর্যন্ত সাগর ও নদীতে ২২ দিন মাছ ধরার উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে সরকার।
মন্তব্য করুন
আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক উপদেষ্টা আসিফ নজরুল বলেছেন, আইন ও নীতিমালা মেনে চললে জনগণের সেবা ও কল্যাণ নিশ্চিত করাই জেলা প্রশাসকদের প্রধান দায়িত্ব। তিনি জোর দিয়ে বলেন, "আপনারা যদি আইন ও বিবেক অনুযায়ী কাজ করেন, তাহলে জনগণের প্রতিপক্ষ হওয়ার কোনো কারণ নেই। এটি আইন ও সংবিধানের পরিপন্থী।"
মঙ্গলবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে ডিসি সম্মেলনের তৃতীয় ও শেষ দিনের পঞ্চম অধিবেশন শেষে সাংবাদিকদের সাথে আলোচনায় তিনি এসব কথা বলেন। এই অধিবেশনে আইন ও বিচার বিভাগ, লেজিসলেটিভ ও সংসদবিষয়ক বিভাগ এবং প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধিরা অংশ নেন।
আসিফ নজরুল বলেন, "ডিসি সম্মেলন আমার জন্য একটি নতুন অভিজ্ঞতা ছিল। এটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ছিল, কারণ মাঠ পর্যায়ে প্রশাসনিক বাস্তবতা এবং চ্যালেঞ্জগুলি ডিসিরা ভালোভাবে বুঝেন।" তিনি আরও উল্লেখ করেন, "ডিসিরা আমাদের জানিয়েছেন যে অবৈধ বালু উত্তোলনকারীদের গ্রেপ্তারের পর তারা দ্রুত জামিন পেয়ে যাচ্ছেন, যা তাদের জন্য একটি বড় চিন্তার বিষয়। অ্যাটর্নি জেনারেল বলেছেন, আদালতের কাজই হলো উপযুক্ত ক্ষেত্রে জামিন দেওয়া। তবে এ ধরনের বিষয়গুলোর মধ্যে সমন্বয়ের প্রয়োজন রয়েছে।"
তিনি আরও বলেন, "আইন মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে আমরা ডিসিদের বিভিন্ন পদক্ষেপ সম্পর্কে অবহিত করেছি। মামলার ক্ষেত্রে সলিসিটর উইংকে আরও কার্যকরভাবে সমন্বয়ের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। এছাড়া, ডিসি অফিসে ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে স্থান সংকুলানের সমস্যা নিয়েও আলোচনা হয়েছে এবং এর সমাধানের জন্য পদক্ষেপ নেওয়া হবে।"
প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান বিষয়ে আসিফ নজরুল বলেন, "আমরা ডিসিদের অনুরোধ করেছি, এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষার পর ছাত্ররা যে কয়েক মাস সময় পায়, সে সময়টাতে তাদের কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে (টিটিসি) নিয়ে আসার ব্যবস্থা করা হোক।" তিনি আরও যোগ করেন, "ডিসিরা আমাদের গুরুত্বপূর্ণ পরামর্শ দিয়েছেন। তারা বলেছেন, বিদেশে যেতে ইচ্ছুক সকলের একটি ডাটাবেজ তৈরি করা উচিত, শুধু প্রশিক্ষণপ্রাপ্তদের নয়। আমরা এই পরামর্শ গুরুত্বের সাথে বিবেচনা করছি এবং শীঘ্রই এই কাজ শুরু হবে।"
তিনি আরও বলেন, "জেলা ও বিভাগীয় পর্যায়ে সচেতনতা বৃদ্ধি এবং সরকারি নিয়োগ সংস্থাগুলোকে শক্তিশালী করার বিষয়েও ডিসিরা পরামর্শ দিয়েছেন। এটি আমাদের চিন্তাভাবনার সাথে মিলে গেছে।"
প্রশাসনের মেধাবী কর্মকর্তারা জেলা প্রশাসক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন উল্লেখ করে আসিফ নজরুল বলেন, "দুর্ভাগ্যবশত, অতীতের একটি ফ্যাসিস্ট সরকার এই দক্ষ প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের জনগণের ওপর অত্যাচার ও নিপীড়নের কাজে ব্যবহার করেছে। তবে আমরা চাই, ভবিষ্যতে যেই দলই ক্ষমতায় আসুক, প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের এই বিশাল সম্ভাবনাকে জনগণের সেবায় নিয়োজিত করা হোক। সংবিধানেও এটিই প্রত্যাশিত।"
তিনি আরও বলেন, "সারা দেশে অনেক কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র (টিটিসি) তৈরি হয়েছে, কিন্তু সেগুলো থেকে প্রত্যাশিত সেবা পাওয়া যাচ্ছে না। শুধু টিটিসি নয়, বাংলাদেশে অনেক ভবন ও কর্মকর্তা-কর্মচারী থাকলেও সেবার মান নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে। গত ছয় মাসে আমি এটি অনুভব করেছি। আমরা ভালো কিছু করার জন্য সর্বাত্মক চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।"
মন্তব্য করুন
ডেস্ক রিপোর্টঃ
সাবেক সেনাপ্রধান আজিজ আহমেদ ও তার স্ত্রী দিলশাদ নাহার কাকলীর দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার (১৭ অক্টোবর) ঢাকা মহানগর দায়রা জজ মোহাম্মদ আসসামছ জগলুল হোসেনের আদালত দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এ আদেশ দেন।
এদিন দুদকের উপপরিচালক জাকারিয়া তাদের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা চেয়ে আবেদন করেন। এসময় দুদকের পাবলিক প্রসিকিউটর মাহমুদ হোসেন জাহাঙ্গীর শুনানি করেন। শুনানি শেষে আদালত তাদের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞার আদেশ দেন।
আবেদনে তদন্তকারী কর্মকর্তা উল্লেখ করেন, আজিজ আহমেদের বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহার, বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে নিজ নামে ও তার পরিবারের সদস্যদের নামে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনসহ বিভিন্ন ব্যাংক ও হন্ডির মাধ্যমে বিদেশে অর্থপাচার করে মালেশিয়া, সিঙ্গাপুর ও দুবাইয়ে ব্যবসা পরিচালনা ও বাড়ি ক্রয়ের অভিযোগটি অনুসন্ধানাধীন রয়েছে।
অনুসন্ধানকালে অভিযোগ সংশ্লেষে রেকর্ডপত্র/তথ্যাদি সংগ্রহের কার্যক্রম চলমান রয়েছে। অনসন্ধানকালে বিশ্বস্তসূত্রে জানা যায় যে, অভিযোগ তারা দেশ ত্যাগের চেষ্টায় রয়েছেন। সুষ্ঠু অনুসন্ধানের স্বার্থে তাদের বিদেশগমন রহিতকরণ প্রয়োজন।
মন্তব্য করুন
ডেস্ক রিপোর্ট:
ড. মুহাম্মদ ইউনূস, বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা, বলেছেন যে তিনি রাজনীতিতে যোগ দেওয়ার বা কোনো রাজনৈতিক দল গঠনের ইচ্ছা পোষণ করেন না। তিনি যুক্তরাজ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যম ফিনান্সিয়াল টাইমসকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেন, তার সরকার এখনো নির্বাচনের রূপরেখা চূড়ান্ত করেনি। সাক্ষাৎকারটি বুধবার (৩০ অক্টোবর) প্রকাশিত হয়েছে।
তিনি বলেন, "আমাদের কাজ হলো সবকিছু স্বাভাবিক করা এবং প্রয়োজনীয় সংস্কার সম্পন্ন করা। নির্বাচনের সব প্রস্তুতি সম্পন্ন হলে আমরা রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করবো।"
ড. ইউনূস আওয়ামী লীগের প্রতি কঠোর মনোভাব প্রকাশ করে বলেন, ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে ক্ষমতাচ্যুত স্বৈরাচার শেখ হাসিনার দল আওয়ামী লীগে ফ্যাসিবাদের সব বৈশিষ্ট্য দেখা গেছে। তিনি দাবি করেন, বাংলাদেশে তাদের কোনো স্থান নেই।
ফিনান্সিয়াল টাইমস জানায়, শান্তিতে নোবেলজয়ী ড. ইউনূসের এই বক্তব্য থেকে বোঝা যায়, তার নেতৃত্বাধীন সরকার শেখ হাসিনা ও আওয়ামী লীগের প্রতি কঠোর অবস্থান নিয়েছে। এছাড়া, তিনি উল্লেখ করেন, সরকার শেখ হাসিনাকে ভারতের কাছ থেকে ফেরত চাইবে না, যাতে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে কূটনৈতিক উত্তেজনা না বাড়ে।
ড. ইউনূস আরও বলেন, "আওয়ামী লীগ দেশের জনগণের অধিকার কেড়ে নিয়েছে এবং প্রতিষ্ঠানগুলোকে নিজেদের স্বার্থে ব্যবহার করেছে। গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় কোনো ফ্যাসিবাদী দলের অবস্থান থাকার প্রয়োজন নেই।"
দেশের বিরোধী রাজনৈতিক দল ও মানবাধিকার সংস্থাগুলো দীর্ঘদিন ধরেই শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে নির্বাচন কারচুপি ও বিচারবহির্ভূত হত্যার অভিযোগ করে আসছে। শেখ হাসিনার ক্ষমতাচ্যুতি পরবর্তী সময়ে দেশে আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড নিষিদ্ধ করার দাবিও উঠেছে।
ড. ইউনূস বলেন, "আওয়ামী লীগ ভেঙে যেতে পারে বলে আমার ধারণা। তবে অন্তর্বর্তী সরকার তাদের ভাগ্য নির্ধারণ করবে না। তাদের রাজনৈতিক অবস্থান নির্ধারণ এবং ভবিষ্যতে তারা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে কিনা, সেই সিদ্ধান্ত রাজনৈতিক দলগুলোর ঐকমত্যের ভিত্তিতে নেওয়া হবে।"
ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্কে সাম্প্রতিক অবনতির বিষয়ে তিনি বলেন, "আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের রায়ের পর আমরা ভারতের কাছে শেখ হাসিনাকে ফেরত চাইতে পারি। তবে রায় ঘোষণার আগে এই পদক্ষেপ নেওয়ার প্রয়োজন নেই।"
ড. ইউনূস বলেন, "আমাদের প্রতিবেশী সম্পর্ক থাকা প্রয়োজন। ভারত যদি বাংলাদেশের উন্নয়ন প্রকল্পে সমর্থন দেয়, তবে তা উভয় দেশের জন্যই উপকারী হবে।"
মন্তব্য করুন
সংবিধানের ১১৬ অনুচ্ছেদের কারণে অধস্তন আদালতের বিচারকরা সরকারের হাতে জিম্মি হয়ে পড়েছেন এবং স্বাধীনভাবে দায়িত্ব পালন করতে অক্ষম, বলে মন্তব্য করেছেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির।
গত বৃহস্পতিবার, হাইকোর্টে সংবিধানের ১১৬ অনুচ্ছেদে উল্লেখিত অধস্তন আদালতের বিচারকদের নিয়ন্ত্রণ (কর্মস্থল নির্ধারণ, পদোন্নতি ও ছুটি মঞ্জুরিসহ) রাষ্ট্রপতির উপর ন্যস্ত থাকাকে কেন অসাংবিধানিক ঘোষণা করা হবে না, তা জানিয়ে জারি করা রুলের শুনানির সময় এই মন্তব্য করেন শিশির মনির।
এদিন, বিচারপতি ফারাহ মাহবুব এবং বিচারপতি দেবাশীষ রায় চৌধুরীর বেঞ্চে এই রুলের শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদ উদ্দিন এবং সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল মুজাহিদুল ইসলাম শাহীন।
শিশির মনির আরও বলেন, সংবিধানের ১১৬ অনুচ্ছেদের কারণে অধস্তন আদালতের বিচারকরা সরকারের কাছে জিম্মি হয়ে পড়েন এবং তারা স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারেন না। বিচারকদের ওপর এমন চাপ রয়েছে যে, তাদের রাতে কোর্ট বসিয়ে সাজা দিতে বাধ্য করা হয়েছে, এবং সরকারের পছন্দের আদেশ না দেওয়ার কারণে অনেক বিচারককে পদবিন্যাস করে বান্দরবানে পাঠানো হয়েছে। তিনি আরও বলেন, এমন পরিস্থিতিতে অনেক বিচারককে কষ্টে চোখের পানি ফেলতে দেখা গেছে।
তিনি যুক্ত করেন, এই অনুচ্ছেদটি অপসারণ করা হলে বিচার বিভাগের স্বাধীনতা প্রতিষ্ঠিত হবে এবং বিচার বিভাগের পৃথক সচিবালয়ের স্বপ্ন পূরণ হবে।
এছাড়া, ২৭ অক্টোবর হাইকোর্টে সংবিধানের ১১৬ অনুচ্ছেদে বর্ণিত অধস্তন আদালতের বিচারকদের নিয়ন্ত্রণ সম্পর্কিত বিষয়টি কেন অসাংবিধানিক হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করা হয়েছিল। এর আগে, ২৫ আগস্ট এই বিধানের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে রিট দায়ের করা হয়। রিটে দাবি করা হয়, অধস্তন আদালতের বিচারকদের নিয়ন্ত্রণ এবং শৃঙ্খলাবিধির দায়িত্ব রাষ্ট্রপতির উপর ন্যস্ত থাকলে বিচার বিভাগের স্বাধীনতা ক্ষুন্ন হয়।
রিট আবেদনকারীদের মধ্যে ছিলেন, সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মোহাম্মদ সাদ্দাম হোসেন, মো. আসাদ উদ্দিন, মো. মুজাহিদুল ইসলাম, মো. জহিরুর ইসলাম, মোস্তাফিজুর রহমান, শাইখ মাহাদী, আবদুল্লাহ সাদিক, মো. মিজানুল হক, আমিনুল ইসলাম শাকিল এবং যায়েদ বিন আমজাদ।
রিট আবেদনে আইন মন্ত্রণালয়ের লেজিসলেটিভ ও পার্লামেন্টারি অ্যাফেয়ার্স বিভাগ, আইন ও বিচার বিভাগের সচিব এবং সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রারকে বিবাদী করা হয়।
রিটে ২০১৭ সালে প্রণীত বাংলাদেশ জুডিশিয়াল সার্ভিস (ডিসিপ্লিনারি) রুলসের সাংবিধানিক বৈধতাও চ্যালেঞ্জ করা হয়। রিটে বিচার বিভাগের জন্য পৃথক সচিবালয় প্রতিষ্ঠার নির্দেশনা এবং ২০১২ সালের সুপ্রিম কোর্টের আদেশ বাস্তবায়নের অগ্রগতি রিপোর্ট দাখিলের নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে।
রিট আবেদনে আরও বলা হয়:
১. বিচার বিভাগের স্বাধীনতা সংবিধানের মৌলিক কাঠামো। ১১৬ অনুচ্ছেদ এটি ক্ষতিগ্রস্ত করেছে, এবং একইসাথে বিচারকদের শৃঙ্খলাবিধি বাস্তবায়ন কার্যত আইন মন্ত্রণালয়ের হাতে ন্যস্ত করা হয়েছে।
২. সংবিধানের চতুর্থ সংশোধনী বিলুপ্ত হয়েছে, পঞ্চম সংশোধনী অসাংবিধানিক ঘোষিত হয়েছে এবং পঞ্চদশ সংশোধনীতে ১১৬ এর বিধান বহাল রাখা হয়েছে, যা বিচার বিভাগের স্বাধীনতা এবং আইনের শাসনের পরিপন্থি।
৩. পৃথক সচিবালয় না থাকার কারণে বিচার বিভাগের স্বাধীনতা কার্যত স্থবির হয়ে পড়েছে। আইন মন্ত্রণালয়ের নিয়ন্ত্রণে থাকা অধস্তন আদালতের বিচারকরা স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারছেন না।
মন্তব্য করুন
পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা আসিফ বলেছেন, ভারত গত বুধবার তাদের কিছু শহরে দুই থেকে তিনবার হামলা চালানোর চেষ্টা করেছে এবং এখনও ভারতের আক্রমণের ঝুঁকি অব্যাহত রয়েছে। তিনি সতর্ক করে দিয়ে বলেন, "যদি ভারত কোনো কারণ বা প্রমাণ ছাড়াই কোনো পদক্ষেপ নেয়, তাহলে আমরা জবাব দেব। পাকিস্তানকে এর উত্তর দিতেই হবে। আমরা যদি এখনই ভারতের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিই, তাহলে আমাদের যুক্তিসঙ্গত কারণ থাকবে। তবে আমরা ভারতে বেসামরিক নাগরিকদের লক্ষ্য করব না।"
পাকিস্তানের বেসরকারি চ্যানেল জিও টিভি-এর অনুষ্ঠান 'আজ শাহজাইব খানজাদা কে সাথ'-এ বক্তব্য রাখার সময় তিনি এসব কথা বলেন।
খাজা আসিফ বলেন, "ভারত কিছু শহরকে দুই থেকে তিনবার টার্গেট করার চেষ্টা করেছে, অন্তত রাডারের মাধ্যমে, যাতে প্রয়োজনে সেখানে হামলা চালানো যায়।" তিনি আরও উল্লেখ করেন, "আক্রমণ প্রতিহত করতে কিছু শহরে আলো নিভিয়ে দেওয়া হয়েছিল। তবে আমরা এর জন্য সম্পূর্ণ প্রস্তুত এবং এর চরম মূল্য দিতে হবে।"
তিনি স্পষ্ট ভাষায় জানান, "ভারত যা করছে, আমরা তা সহ্য করব না, বরং কঠোর জবাব দেব।" এছাড়াও, তিনি বলেন যে দুই সপ্তাহ আগে শুরু হওয়া সংকট এখনও শেষ হয়নি।
মন্তব্য করুন
রাজধানীর গুলশানে ইউএন হাউজের উদ্বোধন করেছেন জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস। শনিবার (১৫ মার্চ) সকালে তিনি আনুষ্ঠানিকভাবে ইউএন হাউজ উদ্বোধন করেন এবং জাতিসংঘের কার্যালয় পরিদর্শন করেন। এরপর বাংলাদেশ ও জাতিসংঘের মধ্যে সম্পর্ক প্রতিষ্ঠার ৫০তম বার্ষিকী উপলক্ষ্যে আয়োজিত একটি অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে বিভিন্ন আলোকচিত্র প্রদর্শনী ঘুরে দেখেন তিনি।
সংক্ষিপ্ত ব্রিফিংয়ে গুতেরেস বলেন, এই গুরুত্বপূর্ণ সময়ে বাংলাদেশকে সমর্থন দেওয়ার জন্য জাতিসংঘ দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। তিনি নিকট অতীতের তুলনায় আরও কার্যকরভাবে বাংলাদেশের পাশে থাকার অঙ্গীকারও ব্যক্ত করেন। এ সময় শিল্প মন্ত্রণালয় ও গৃহায়ণ এবং গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠান শেষে দুপুরে হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে জাতিসংঘ মহাসচিবের সঙ্গে বিএনপি প্রতিনিধি দলের সংস্কার প্রস্তাবনা নিয়ে আলোচনা হওয়ার কথা রয়েছে। এ বৈঠক শেষে তিনি তরুণ ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের সঙ্গে আরেকটি বৈঠকে অংশ নেবেন। এছাড়া, বিকেলে জাতিসংঘ মহাসচিব এবং পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন একটি যৌথ সংবাদ সম্মেলনে অংশ নেবেন বলে জানা গেছে।
মন্তব্য করুন
জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান মো. আবদুর রহমান খান জানিয়েছেন, চলতি করবর্ষে জমা দেওয়া অনলাইন আয়কর রিটার্নের মধ্যে ৬৬ শতাংশই শূন্য রিটার্ন।
সোমবার (২৪ মার্চ) সকালে আগারগাঁওয়ের এনবিআর ভবনে ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরামের (ইআরএফ) সঙ্গে আয়োজিত প্রাক বাজেট আলোচনায় তিনি বলেন, ১৫ লাখ অনলাইন রিটার্নের ১০ লাখই সাড়ে ৩ লাখ টাকার নিচে। তার মানে আমরা সঠিক করদাতাদের ধরতে পারছি না।
২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেটে করমুক্ত আয়সীমা সাড়ে ৩ লাখ টাকা করা হয়। অর্থাৎ ১০ লাখ করদাতা তাদের আয়কর বিবরণীতে যে বার্ষিক আয় দেখিয়েছেন তার বিপরীতে কোনো কর দিতে হয়নি।
আলোচনা সভায় ইআরএফ সভাপতি দৌলত আকতার মালা মূল্যস্ফীতির সঙ্গে সম্পর্ক রেখে ব্যক্তি করদাতাদের কর ছাড়ের সীমা সাড়ে তিন লাখ থেকে পাঁচ লাখ টাকা করার প্রস্তাব করেন।
জবাবে এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, আমাদের সাড়ে তিন লাখ থেকে ৪ লাখ বা ৫ লাখ টাকায় নিয়ে আসা যৌক্তিক কথা। সমস্যা হলো- যেমন ধরেন এখন ডিজিটালি রিটার্ন সাবমিশন হওয়ায় সব তথ্যগুলো আমার হাতে চলে আসছে। আজকে দেখলাম ১৫ লাখ ১৫ হাজার হয়েছে। প্রতিদিন কিন্তু ২-৩ হাজার করে রিটার্ন পাচ্ছি এখন। আমাদের অনলাইন রিটার্ন এখনও চালু আছে। অনলাইন রিটার্ন বন্ধ নেই। আবার অনেকেই রিভাইজড রিটার্ন দিতে পারছেন অনলাইনে, এটা একটা বড় সুবিধা হয়েছে।
শূন্য আয়কর বিবরণী প্রসঙ্গে এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, ১৫ লাখ রিটার্নের মধ্যে ১০ লাখ রিটার্নই জমা পড়েছে সাড়ে তিন লাখ টাকার নিচে। এরা এক টাকাও ট্যাক্স দেয়নি। টু থার্ড। পেপার রিটার্নের ক্ষেত্রেও একই চিত্র। মফস্বলে যান, চিত্র কিন্তু একই। এটি বাড়িয়ে চার লাখ করলে শূন্য রিটার্নের সংখ্যা আরও এক লাখ বেড়ে যাবে।
করদাতারা কর দিতে চায় না জানিয়ে তিনি বলেন, কোয়ালিটি ট্যাক্সপেয়ারের সংখ্যা খুবই কম। এখন যদি আমরা এই সিলিংটাকে একটু বাড়িয়ে দেই, আমরা আলোচনা করব, দেবো না এটা বলছি না। শুধু এতটুকু বলছি, আরও বড় একটা গ্রুপ যারা মিনিমাম কর দিতো, তারাও ওই যে জিরো ট্যাক্সে চলে যাবে। এইটা হলো অসুবিধা।
ইআরএফের দেওয়া প্রস্তাবের মধ্যে রয়েছে- বাজেটে মধ্যবিত্ত ও দরিদ্র শ্রেণীর ওপর করের বোঝা কমাতে বাড়তি দেওয়া কর এমএফএসের মাধ্যমে ফেরতের ব্যবস্থা করা, নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যাদির ওপর করহার ৫ শতাংশে সীমিত রাখা, বেসরকারি প্রভিডেন্ট ফান্ডকে করমুক্ত করা, ব্যক্তিশ্রেণির করহার ৩০-৩৫ শতাংশ করা, ভ্যাটের হার ৭ শতাংশ করা, প্রত্যক্ষ করের দিকে জোর দেওয়া, বাজার মূল্যায়ন পদ্ধতির মাধ্যমে কর আদায় ইত্যাদি।
ব্যাংকে আমানতের ওপর আবগারি শুল্ক থাকায় অনেকে ব্যাংক টাকা রাখতে চাইছেন না উল্লেখ করে ইআরএফ সভাপতি বলেন, এরকম অবস্থায় ৫/১০ লাখ টাকা পর্যন্ত জমার ওপর আবগারি শুল্ক প্রত্যাহার এবং মুনাফার ওপর কর কমানো যেতে পারে।
এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, করের হার বাড়বে না এটা যেমন সত্য, আবার হার বাড়বেও। যারা এতদিন রিডিউসড রেটে ট্যাক্স দিতো, তারা মোর অর লেস রেগুলার রেটে চলে যাবে। এটা আমাদের একটা সুপারিশ থাকবে। এটা হলে সবার জন্য ভালো হয়।বৈষম্যমুক্ত করতে চাইলে এটা আমাদের করতে হবে। কর্মকর্তাদের বলেছি, আরও সময় লাগুক। যেখানে কাজ করব, ছোট এরিয়া সবার কাছ থেকে নেব। পাশের কোনো দোকানদার বলবে না একজন দিচ্ছে, আরেকজন দিচ্ছে না। এ রকম যেন না হয়।
মন্তব্য করুন