

আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
আফগানিস্তানের বাঘলান প্রদেশে আকস্মিক বন্যায় একদিনে দুইশরও বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে। জাতিসংঘের আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা বার্তাসংস্থা এএফপিকে জানিয়েছে, শুক্রবার বাঘলানে অস্বাভাবিক ভারী বৃষ্টিপাত হয়। এতে সেখানে আকস্মিক বন্যার (ফ্ল্যাশ ফ্লাড) সৃষ্টি হয়। এ বন্যায় কয়েক হাজার বাড়িঘর ধ্বংস হয়েছে এবং ইতোমধ্যে ২০০ জনেরও বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে। আরও হতাহতের শঙ্কা রয়েছে।
শুধুমাত্র বাগলানি জাদিদ বিভাগে ১ হাজার ৫০০ ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংস হয়ে গেছে এবং ১০০ জনেরও বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছে আফগানিস্তানের জাতীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ।
তবে তালেবান সরকারের পক্ষ থেকে ৬২ জনের মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে।
আফগানিস্তানের আরও কয়েকটি প্রদেশে ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে এভাবে আকস্মিক বন্যার সৃষ্টি হয়েছে। দেশটির সরকার জানিয়েছে শনিবার উত্তরাঞ্চলের তাকহার প্রদেশে বন্যায় ২০ জন প্রাণ হারিয়েছেন।
শুক্রবারের বৃষ্টিতে বাদাকশান প্রদেশ, মধ্যাঞ্চলের ঘোর প্রদেশ এবং পশ্চিমাঞ্চলের হেরাতেও বিভিন্ন অবকাঠামো ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
আফগানিস্তানে গত শীত মৌসুমটি শুষ্ক ছিল। ফলে সেখানে যে পরিমাণ বৃষ্টি হচ্ছে এ বৃষ্টি মাটি শুষে নিতে পারছে না। দেশটি জলবায়ু পরিবর্তনের ব্যাপক হুমকিতে ছিল। যার ফলাফল এখন বাস্তবে দেখা যাচ্ছে।
বিজ্ঞানীদের মতে, এমন বড় প্রাকৃতিক বিপর্যয় মোকাবিলার জন্য দেশটি প্রস্তুত নয়। গত চার দশক আফগানিস্তানে যুদ্ধ-বিগ্রহ লেগে ছিল। এ কারণে দেশটির অর্থনীতি অন্যান্য দেশের তুলনায় অনেকটাই দুর্বল।
মন্তব্য করুন


ভারত, অস্ট্রেলিয়া, যুক্তরাষ্ট্র ও জাপানকে নিয়ে গঠিত নিরাপত্তা বিষয়ক জোট কোয়াডের শীর্ষ পর্যায়ের বৈঠক বাতিল করা হয়েছে। আগামী সপ্তাহে অস্ট্রেলিয়ার সিডনিতে এ চার দেশের প্রধানমন্ত্রী ও প্রেসিডেন্টদের সম্মেলনে যোগ দেওয়ার কথা ছিল। তবে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন তার অস্ট্রেলিয়া সফর বাতিল করায় সম্মেলনটিও বাতিল করা হয়েছে।
বুধবার (১৭) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন।
অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী অ্যান্থনি আলবানিস বুধবার সকালেও আশা প্রকাশ করেছিলেন নির্ধারিত সূচি অনুযায়ী সম্মেলনটি হবে। কিন্তু পরবর্তীতে তিনি জানান, এটি বাতিলই করা হয়েছে।
১৭ থেকে ১৯ মে জাপানে গ্রুপ অব সেভেন জি-৭ জোটের সম্মেলন হবে। এখন কোয়াডভুক্ত দেশগুলোর নেতারা জি-৭ জোটের সম্মেলনের ফাঁকে আলাদাভাবে বৈঠক করতে পারেন।
যদিও জাপানে এ চার দেশের প্রধানদের আলাদা বৈঠক হওয়ার বিষয়টি এখনো নিশ্চিত হয়নি। তবে অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, ‘আমাদের কথা বলার বিষয়টি ভালো হবে।’
তিনি আরও বলেছেন, ‘কোয়াড একটি গুরুত্বপূর্ণ জোট। আমরা চাই নেতৃস্থানীয় পর্যায়ে বৈঠকটি হবে এবং আমরা এ সপ্তাহের শেষে এ নিয়ে আলোচনা করব।’
কয়েক সপ্তাহে আগেই মার্কিন প্রেসিডেন্ট বাইডেনের অস্ট্রেলিয়া সফরের বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছিল। এছাড়া তার পাপুয়া নিউ গিনিতেও যাওয়ার কথা ছিল। ঐতিহাসিক এ সফরে দেশটির সংসদে বক্তব্য দিতেন তিনি।
জাপানে কোয়াড সদস্য দেশগুলোর বিশেষ বৈঠক হবে নাকি হবে না এ বিষয়টি নিশ্চিত না হলেও, বাইডেনের সঙ্গে অজি প্রধানমন্ত্রী আলাদাভাবে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করবেন। এছাড়া বাইডেনকে আলাদাভাবেও অস্ট্রেলিয়ায় আসার আমন্ত্রণ জানিয়েছেন তিনি।
এদিকে বাইডেনের অস্ট্রেলিয়া সফর বাতিলের কারণ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে— তিনি নিজ দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়গুলো নিয়ে ব্যস্ত থাকবেন।
মন্তব্য করুন


আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ
বাংলাদেশ-পাকিস্তানের মধ্যে শিগগিরই সরাসরি ফ্লাইট চালু হতে যাচ্ছে। পাকিস্তানে নিযুক্ত বাংলাদেশের ডেপুটি হাইকমিশনার এস এম মাহবুবুল আলম এই তথ্য জানিয়েছেন। তার ভাষ্য, সরাসরি ফ্লাইট চালু হলে উভয় দেশের ব্যবসায়িক সম্প্রদায়ের মধ্যে সম্পর্ক উল্লেখযোগ্যভাবে শক্তিশালী হবে।
ডেপুটি হাইকমিশনার জানান, পাকিস্তানের ব্যবসায়ী সংগঠন হায়দরাবাদ চেম্বার অব স্মল ট্রেডার্স অ্যান্ড স্মল ইন্ডাস্ট্রির (এইচসিএসটিএসআই) সহযোগিতায় একটি প্রদর্শনীর আয়েজন করা হবে। সেখানে দুই দেশের আমদানিকারক ও রপ্তানিকারকরা অংশ নেবে।
এছাড়া মাহবুবুল আলম ২০২৫ সালের জানুয়ারিতে ঢাকায় হতে যাওয়া বার্ষিক বাণিজ্য প্রদর্শনী অর্থাৎ আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলায় অংশ নেওয়ার জন্য পাকিস্তানের ব্যবসায়ী সম্প্রদায়কে আমন্ত্রণও জানিয়েছেন। তিনি আশ্বাস দিয়েছেন, এই প্রদর্শনীতে পাকিস্তানের ব্যবসায়ীদের অংশগ্রহণের সুবিধার্থে ভিসা প্রক্রিয়া সহজ করা হবে।
এক্সপ্রেস ট্রিবিউন বলছে, সম্প্রতি হায়দরাবাদ চেম্বার পরিদর্শনকালে বাংলাদেশের ডেপুটি হাইকমিশনার এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস পাকিস্তানের সঙ্গে বাণিজ্য বাড়ানোর সম্ভাবনাকে কাজে লাগানোর বিষয়ে আগ্রহী।
এসময় তিনি পাকিস্তানের ব্যবসায়ীদের কাছে বাংলাদেশকে অত্যন্ত আকর্ষণীয় বাজার হিসেবে বর্ণনা করেন ও এইচসিএসটিএসআইকে ঢাকায় তাদের একটি প্রতিনিধি দল পাঠাতে বলেন। তিনি ব্যবসায়ীদের ভিসা প্রক্রিয়া পর্যবেক্ষণ ও ত্বরান্বিত করারও প্রতিশ্রুতি দেন।
অনুষ্ঠানে এইচসিএসটিএসআই-এর সভাপতি মুহাম্মদ সেলিম মেমন উভয় বাংলাদেশ-পাকিস্তানের মধ্যে বাণিজ্য সম্পর্কের উল্লেখযোগ্য অগ্রগতির কথা তুলে ধরেন। তাছাড়া ইতিহাসে প্রথমবারের মতো গত ১১ নভেম্বর পাকিস্তান থেকে বাংলাদেশে সরাসরি কার্গো জাহাজ পৌঁছানোর বিষয়টিকে তিনি মাইলফলক হিসেবে উল্লেখ করেন।
সেলিম মেনন বলেন, পাকিস্তান-বাংলাদেশ সম্পর্ক অভিন্ন ইতিহাস, সংস্কৃতি ও বাণিজ্যের সঙ্গে জড়িত। দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার এই উদ্যোগ উভয় দেশের বৃহত্তর বাণিজ্য সহযোগিতার পথ আরও প্রশস্ত করবে।
মেমন এসময় বাংলাদেশি ব্যবসায়ীদের পাকিস্তানের প্রদর্শনীতে সক্রিয়ভাবে অংশ নেওয়ার জন্য আহ্বান জানান, বিপরীতে বাংলাদেশের বাণিজ্য মেলায় যোগদানের জন্য পাকিস্তানি ব্যবসায়ীদের যথাযথ সুবিধা নিশ্চিতেরও আহ্বান জানান। এছাড়া মেনন ঢাকায় শুল্ক ছাড়পত্র পেতে পাকিস্তানি পণ্য রপ্তানিকারকরা যেসব চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হয়ে থাকেন, সেগুলো দ্রুত সমাধানের আহ্বান জানান।
মন্তব্য করুন


আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ
লেবাননের রাজনৈতিক ও সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহর প্রধান হিসেবে শেখ নাঈম কাসেমের নাম ঘোষণা করা হয়েছে। গোষ্ঠীটির ডেপুটি সেক্রেটারি জেনারেল হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন তিনি। ৩০ বছরের বেশি সময় ধরে ইরান সমর্থিত গোষ্ঠীটির শীর্ষ নেতা হিসেবে রয়েছেন।
আজ মঙ্গলবার বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়, হাসান নাসরাল্লাহর স্থলাভিষিক্ত হতে যাচ্ছেন শেখ নাঈম কাসেম। হেজবুল্লাহর যে অল্প কয়েকজন নেতা এখন জীবিত আছেন, তিনি তাদের একজন।
গত ২৭ সেপ্টেম্বর লেবাননের রাজধানী বৈরুতে ইসরায়েলি বিমান হামলায় নিহত হন হাসান নাসরাল্লাহ। শিয়া ধর্মগুরু হাসান নাসরাল্লাহ ১৯৯২ সাল থেকে হেজবুল্লাহর নেতৃত্ব দিয়ে আসছিলেন। পরে তার সম্ভাব্য উত্তরসূরি হাশেম সাফিএদ্দিন বৈরুতের দক্ষিণাঞ্চলের একটি শহরতলীতে বিমান হামলায় নিহত হয়েছেন বলে জানায় ইসরায়েলি ডিফেন্স ফোর্স বা আইডিএফ।
১৯৮০-এর দশকের গোড়ার দিকে ইসরায়েলের বিরোধিতা করার জন্য এই অঞ্চলের সবচেয়ে প্রভাবশালী শিয়া শক্তি হেজবুল্লাহ প্রতিষ্ঠা করেছিল ইরান। তখন দেশটির গৃহযুদ্ধের সময় ইসরায়েলি বাহিনী দক্ষিণ লেবানন দখল করেছিল।
হেজবুল্লাহ বিশ্বের সবচেয়ে ভারী অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত অরাষ্ট্রীয় সামরিক বাহিনীর একটি, যেটিকে অর্থায়ন করেছে ইরান। হেজবুল্লাহর বিমান বিধ্বংসী ও জাহাজ বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্রের পাশাপাশি ইসরায়েলের গভীরে আঘাত হানতে সক্ষম ক্ষেপণাস্ত্র রয়েছে বলেও মনে করা হয়।
মন্তব্য করুন


আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
একমাস ইরানে বন্দি থাকার পর আটক ‘ইসরাইলি’ জাহাজের ৫ ভারতীয় নাবিককে মুক্তি দিল। বৃহস্পতিবার (৯ মে) ইরান থেকে ভারতের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছেন তারা। ইরানে ভারতীয় দূতাবাসের পক্ষ থেকে এই তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে। এ ঘটনায় ইরান সরকারকে ধন্যবাদ জানিয়েছে ভারত।
ভারতীয় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল বলেন, এমএসসি এরিসের ৫ জন নাবিককে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। আজ সন্ধ্যায় তারা ইরান থেকে ভারতের উদ্দেশে রওনা দিয়েছে। ভারতের দূতাবাসের সঙ্গে যোগাযোগ ও সহযোগিতার জন্য আমরা ইরানের কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ জানাই।
ভারতে ইরানের রাষ্ট্রদূত ইরাজ এলাহি জানিয়েছেন, জাহাজটিতে থাকা বাকি ভারতীয় ক্রুদের আটক করা হয়নি। তারা যে কোনো সময় দেশে ফিরে আসতে পারেন।
গত ১৩ এপ্রিল দুবাইয়ের উপকূলে একটি ইসরাইলি কার্গো জাহাজ আটক করে ইরানের ইসলামিক রেভেলিউশনারি গার্ড কর্পস (আইআরজিসি)। ওই জাহাজে ক্রুদের মধ্যে ১৭ জন ভারতীয় ছিলেন। তাদের সবাইকে আটক করে আইআরজিসি।
বিষয়টি জানার সঙ্গে সঙ্গে বন্দি নাবিকদের মুক্ত করে দেশে ফিরিয়ে আনতে তৎপরতা শুরু করে ভারত। ইরানে ভারতীয় দূতাবাসের পক্ষ থেকে সব ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হয়। ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এস জয়শঙ্কর ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেন আমির আব্দুল্লাহিয়ানের সঙ্গে ফোনকলে কথা বলেন।
বৃহস্পতিবার ইরানে ভারতীয় দূতাবাস জানায়, আটক ভারতীয়দের মধ্য থেকে ৫ জনকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। তারা ওইদিন সন্ধ্যায় ভারতের উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন। নাবিকদের উদ্ধারের বিষয়টিকে ভারতের বড়সড় কূটনৈতিক সাফল্য বলে মনে করা হচ্ছে।
জানা গেছে, আটক হওয়ার পাঁচ দিনের মধ্যেই অ্যান টেসা জোসেফ নামক কেরালার এক নারী নাবিককে মুক্তি দেয় ইরান। ভারতে ফিরে টেসা জানিয়েছিলেন, বন্দি থাকলেও ভারতীয় নাবিকদের কোনো অসুবিধা হচ্ছে না। তখনই জানা গিয়েছিল, আটক বাকি ১৬ নাবিককেও দ্রুত মুক্তি দেবে তেহরান। নাবিকদের জন্য কনসুলার অ্যাক্সেসের ব্যবস্থাও করা হয়।
মন্তব্য করুন


আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
৪ জুনের পর দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে আরও কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। পশ্চিমবঙ্গের পুরুলিয়ার জনসভা থেকে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এই হুঁশিয়ারি দিয়েছেন।
বিজেপি তৃতীয়বার ক্ষমতায় এলে কোনো দুর্নীতিবাজ কারাগারের বাইরে থাকবে না বলেও জানান তিনি।
পঞ্চম দফা ভোটের আগে রোববার (১৯ মে) পুরুলিয়ার গ্যাংগারা এলাকায় সভা ছিল মোদীর। জ্যোতির্ময় সিং মাহাতোর সমর্থনে প্রচার সারেন তিনি। সভার শুরু থেকে দুর্নীতি নিয়ে সুর চড়িয়েছেন মোদী।
তার অভিযোগ, কংগ্রেস ও তৃণমূল নেতাদের বাড়ি থেকে অবৈধ টাকা উদ্ধার হয়েছে। মোদীর খোঁচা, কংগ্রেসের নেতাদের বাড়ি থেকে টাকার পাহাড় উদ্ধার হচ্ছে। তৃণমূলের নেতা-মন্ত্রীদের বাড়িতেও টাকার পাহাড় উদ্ধার হচ্ছে। আমি তো জীবনে একসঙ্গে এত টাকা দেখিইনি।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী বলেন, তারা নিজেরা দুর্নীতি করে হাতেনাতে ধরা পড়ছে, আর মোদীকে দুষছে।
২০১৪ ও ২০১৯ সালের ভোটপ্রচারের উদাহরণও টেনে তোপ দাগেন মোদী। বলেন, আমি তো দেশবাসীদের কাছ থেকে কিছুই লুকাই না। ২০১৪ সালে আমি বলেছিলাম, দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেবো। ২০১৯ সালেও বলেছিলাম এক-এক করে সব দুর্নীতিবাজদের পাকড়াও করবো।
এর পরই হুঁশিয়ারি দিয়ে মোদী বলেন, চব্বিশে দাঁড়িয়ে বলছি, দুর্নীতিবাজদের কারাগারের বাইরে থাকতে দেবো না। মোদী হিসেবে আরও একটা গ্যারান্টি দিচ্ছি, ৪ জুনের পর নতুন সরকার তৈরি হতেই এরকম সব দুর্নীতিবাজদের জীবন কারাগারেই কাটবে।
মন্তব্য করুন


ডেস্ক রিপোর্টঃ
ভারতে আধ্যাত্মিক ব্যক্তিত্ব হিসেবে পরিচয় দেওয়া ২৯ বছর বয়সী ধর্ম প্রচারক জয়া কিশোরীকে নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্যাপক সমালোচনা চলছে। সম্প্রতি কলকাতার এই মেয়ের হাতে বিশ্ববিখ্যাত ফ্যাশন কোম্পানি ডিওর-এর ২ লাখ রুপির ব্যাগ দেখা গেছে। সেই ব্যাগটি গরুর বাছুরের চামড়া দিয়ে তৈরি।
ভারতজুড়ে প্রচুর ভক্ত রয়েছে জয়ার। অনেকেই বিভিন্ন ধর্মীয় বচন শুনতে তার প্রোগ্রামে যুক্ত হন। ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের খবর, সম্প্রতি এয়ারপোর্টে তাকে দামি ব্যগটি নিয়ে ঘুরতে দেখা গেছে।
সংবাদমাধ্যম বলছে, শুধু দামের কারণে নয়, ব্যাগটি যে উপাদান দিয়ে তৈরি সেটাই বিতর্কের কেন্দ্রবিন্দুতে। ডিওর-এর ওয়েবসাইট অনুযায়ী, 'Dior Book Tote' হ্যান্ডব্যাগটি কটন এবং বাছুরের চামড়া দিয়ে তৈরি। যেহেতু জয়া হিন্দু ধর্মীয় প্রচারক, তাই তিনি নিজেই বাছুরের চামড়া দিয়ে তৈরি ব্যাগ নিয়ে ঘোরার কারণে ব্যাপক ট্রলের শিকার হয়েছেন।
এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রায়ই আধ্যাত্মিক বিকাশের জন্য বৈষয়িক সম্পত্তি ত্যাগ করার গুরুত্বের উপর জোর দিতেন জয়া কিশোরী। তাই এত দামি ব্যাগ দেখে অনেকেই তার বার্তার সত্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন।
জয়ার ব্যাগ নিয়ে ঘোরাফেরা করার ফুটেজ শেয়ার করে এক্স পোস্টে অনেকেই সমালোচনা করে যাচ্ছেন। একজন লিখেছেন, 'জয়া কিশোরী মানুষকে বস্তুবাদী হতে নিষেধ করেন, কিন্তু তিনি নিজেই ২ লক্ষ রুপির বেশি দামের একটি বিলাসবহুল ব্যাগ ব্যবহার করেন। তারা বেশিরভাগই এরকম, আমাদের ধর্মকে ব্যবহার করে মুনাফা অর্জন এবং বিলাসবহুল জীবনযাপন করে।'
এক্স ব্যবহারকারীরা জয়ার অন্যান্য ব্যয়বহুল সম্পদ নিয়েও চর্চা শুরু করেছেন। যেমন- এর আগেও দামি রোলেক্স ঘড়ি পরে দেখা গেছে ওই ধর্ম প্রচারককে।
তথ্যসূত্র: এনডিটিভি, হিন্দুস্তান টাইমস
মন্তব্য করুন


আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
অবশেষে ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিতে যাচ্ছে নরওয়ে, আয়ারল্যান্ড ও স্পেন। দেশগুলোর নেতারা জানিয়েছেন, আগামী সপ্তাহে আনুষ্ঠানিকভাবে এই স্বীকৃতি দেওয়া হবে। মধ্যপ্রাচ্যে শান্তি ফেরাতেই তাদের এই উদ্যোগ। তবে দেশ তিনটির এমন পদক্ষেপে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে ইসরায়েল।
নরওয়ের প্রধানমন্ত্রী জোনাস গহর স্টোর বুধবার (২২ মে) বলেছেন, দ্বি-রাষ্ট্র সমাধান ইসরায়েলের সর্বোত্তম স্বার্থ ছিল। আগামী ২৮ মের মধ্যে এই স্বীকৃতি আসতে পারে।
নরওয়ের ঘোষণার পরপরই আয়ারল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী সাইমন হ্যারিস বলেন, তার দেশও ফিলিস্তিনকে একটি রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেবে।
হ্যারিস বলেন, আয়ারল্যান্ড, নরওয়ে ও স্পেন ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিতে যাচ্ছে। আমরা সবাই এখন এই সিদ্ধান্ত কার্যকরে জাতীয়ভাবে পদক্ষেপ গ্রহণ করবো।
স্পেনের প্রধানমন্ত্রী পেদ্রো সানচেজ বুধবার বলেছেন, দেশটির মন্ত্রী পরিষদও ২৮ মে ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দেবে।
কিছুদিন ধরেই ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার ইঙ্গিত দিচ্ছে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্য আয়ারল্যান্ড, স্পেন, স্লোভেনিয়া ও মাল্টা। সমন্বিতভাবে এই ঘোষণা দেওয়ার ইঙ্গিত দেয় তারা। দেশগুলোর মতে, মধ্যপ্রাচ্যে স্থায়ী শান্তির জন্য দ্বি-রাষ্ট্রীয় সমাধান অপরিহার্য।
মন্তব্য করুন


আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ
সিরিয়ায় জঙ্গি গোষ্ঠী ইসলামিক স্টেটের (আইএস) ৭৫টি ঘাঁটিতে বিমান হামলা চালিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। স্থানীয় সময় রোববার (৮ ডিসেম্বর) এসব হামলা চালানো হয়। মার্কিন সামরিক বাহিনী জানিয়েছে, আইএসের শীর্ষ নেতা, সহযোগী এবং বিভিন্ন ক্যাম্প লক্ষ্য করে এসব হামলা চালানো হয়েছে।
সামাজিক মাধ্যমে এক পোস্টে ইউএস সেন্ট্রাল কমান্ড জানিয়েছে, বি-৫২, এফ-১৫ এবং এ-১০ সহ একাধিক মার্কিন বিমান ৭৫টিরও বেশি লক্ষ্যবস্তুতে হামলা চালিয়েছে।
সিরিয়ার স্বৈরশাসক বাশার আল-আসাদ দেশ ছেড়ে পালিয়ে যাওয়ার পর দেশটির বিভিন্ন স্থানে হামলা চালাচ্ছে ইসরায়েল এবং যুক্তরাষ্ট্র।
দেশটিতে বিদ্রোহী সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর অভিযানের মুখে ব্যক্তিগত বিমানে করে দেশ ছাড়তে বাধ্য হন বাশার আল-আসাদ। বিশ্লেষকরা বলছেন, এর মাধ্যমেই সিরিয়ায় আসাদ পরিবারের ৫৩ বছরের শাসনামলের অবসান হলো।
২০০০ সালের জুলাই মাসে সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নেন বাশার আল-আসাদ। একই সময়ে তিনি বাথ পার্টির নেতা ও সামরিক বাহিনীর প্রধানের দায়িত্বও নেন। তবে তার শাসনের এক দশক পর অর্থাৎ ২০১১ সালে সিরিয়ার জনগণ গণতন্ত্রের দাবিতে আন্দোলনে মাঠে নামলে তিনি কঠোর দমননীতি গ্রহণ করেন।
২০০৩ সালের ইরাক যুদ্ধকে ঘিরে বাশার আল-আসাদের সঙ্গে পশ্চিমাদের সম্পর্কের অবনতি হয়। তিনি ইরাকে মার্কিন আগ্রাসনের বিরোধিতা করেছিলেন। সম্ভবত তার আশংকা ছিল যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাহিনীর পরবর্তী টার্গেট সিরিয়া হতে পারে।
যুক্তরাষ্ট্র সেসময় ইরাকে তাদের বিরোধীদের কাছে অস্ত্র চোরাচালানে সহায়তার জন্য দামেস্ককে দায়ী করছিল। ২০০৩ সালে যুক্তরাষ্ট্র সিরিয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা দেয়। এরপর ২০০৫ সালে লেবাননের প্রধানমন্ত্রী রফিক হারিরি বৈরুতে বিস্ফোরণে নিহত হলে এ ঘটনার জন্য অনেকে সিরিয়া ও তার সহযোগীদেরই দায়ী করে।
এদিকে ক্ষমতাচ্যুত প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদ ও তার পরিবার রাশিয়ার রাজধানী মস্কোতে পৌঁছেছেন বলে জানা গেছে। ক্রেমলিনের সূত্র উল্লেখ করে দেশটির রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা তাস এ তথ্য নিশ্চিত করেছে। খবরে বলা হয়েছে, মানবিক দিক বিবেচনা করে আসাদ ও তার পরিবারকে রাজনৈতিক আশ্রয় দিয়েছে রাশিয়া।
ক্রেমলিনের একটি সূত্র বলেছে, রাশিয়া সবসময় সিরিয়ার সংকটের একটি রাজনৈতিক সমাধানের পক্ষে ছিল। আমরা জাতিসংঘের তত্ত্বাবধানে আলোচনার পুনরারম্ভের জন্য জোর দিচ্ছি।
তাসের খবরে আরও বলা হয়েছে, রাশিয়ার কর্মকর্তারা সিরিয়ার সশস্ত্র বিরোধী গোষ্ঠীর সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন। বিদ্রোহীরা সিরিয়ায় অবস্থিত রাশিয়ার সামরিক ঘাঁটি ও কূটনৈতিক মিশনের নিরাপত্তার নিশ্চয়তা দিয়েছে।
এদিকে, সিরিয়ার পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করতে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের জরুরি বৈঠকের আহ্বান করেছে রাশিয়া। জাতিসংঘে দেশটির প্রথম উপ-স্থায়ী প্রতিনিধি দিমিত্রি পলিয়ানস্কি জানান, সোমবার এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
বার্তা সংস্থা এএফপি জানিয়েছে, কূটনৈতিক সূত্রগুলো বৈঠকের সময় নিশ্চিত করেছে। পলিয়ানস্কি বলেন, আসাদ সরকারের পতনের গভীরতা এবং এর প্রভাব রাশিয়া ও মধ্যপ্রাচ্যের জন্য কী হতে পারে, তা এখনই বলা কঠিন।
মন্তব্য করুন


আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
মুক্তিকামী ফিলিস্তিনিদের সশস্ত্র সংগঠন হামাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে ইসরায়েলকে আরও বোমা সরবরাহ করতে বাইডেন প্রশাসনকে আহ্বান জানিয়েছেন মার্কিন সিনেটর লিন্ডসে গ্রাহাম। তিনি এই যুদ্ধের সঙ্গে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে জাপানের বিরুদ্ধে আণবিক বোমা ব্যবহারের তুলনা করেন।
লিন্ডসে গ্রাহাম বলেন, পার্ল হারবারের আক্রমণের পর আমরা নাগাসাকি ও হিরোশিমায় যেভাবে জবাব দিয়েছিলাম, ইসরায়েলেরও তেমন টা করা উচিত। তাদেরকে সেই বোমা সরবারহ করা উচিত।
সম্প্রতি অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকার রাফাহ সীমান্তে বারবার নিষেধের পরও ইসরায়েলে সামরিক অভিযানের পরিকল্পনা করায় তাদের অস্ত্র ও গোলাবারুদ পাঠানো বন্ধ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। এপ্রিল মাসের শুরু থেকেই মার্কিন প্রশাসন পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে শেষ পর্যন্ত এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে। বিশেষ করে একাধিক ধরনের বোমার সরবরাহ বন্ধ রাখছে বাইডেন প্রশাসন, যেগুলি দিয়ে ইসরায়েল গাজার শহরাঞ্চলে আক্রমণ চালাতে পারে।
বোমা সরবরাহ সীমিত করা ও রাফাহ সীমান্তে অভিযান নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলের সম্পর্ক কিছুটা শীতল হয়ে পড়েছে। তবে ইসরায়েলের কট্টর সমর্থন লিন্ডসে গ্রাহাম। তিনি বলেন, এই যুদ্ধে ইসরায়েলের জয় নিশ্চিতে পর্যাপ্ত বোমা সরবরাহ করা উচিত। কোনোভাবেই তাদের হারতে দেওয়া যাবে না।
গত বছরের ৭ অক্টোবর অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকা থেকে ইসরায়েল অভিমুখে হাজার হাজার রকেট ছুড়ে মুক্তিকামী ফিলিস্তিনিদের সশস্ত্র সংগঠন হামাস। এতে ইসরায়েলে নিহত হন এক হাজার ৪০০ জন। এরপরেই বছরের পর বছর ধরে গাজায় চলা সামরিক পদক্ষেপ জোরাল করে ইসরায়েলি বাহিনী। এতে প্রাণ হারিয়েছে ৩৫ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি, আহত ৭৪ হাজারেরও বেশি। হতাহতদের বেশিরভাগই বেসামরিক। এমন অবস্থায় বিশ্বজুড়ে যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানানো হচ্ছে।
মন্তব্য করুন


ভারত মহাসাগরে চীনের একটি মাছ ধরার নৌকা ডুবে গেছে। এতে ৩৯ জন ক্রু ছিলেন এবং নৌকাডুবির পর তারা সবাই নিখোঁজ হয়েছেন। নিখোঁজ এই ক্রুদের মধ্যে চীনসহ অন্যান্য দেশের নাগরিকরাও আছেন।
চীনের রাষ্ট্রীয় মিডিয়ার বরাত দিয়ে বুধবার (১৭ মে) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভারত মহাসাগরে চীনা একটি মাছ ধরার নৌকা ডুবে গেছে এবং এর ৩৯ জন চীনা ও আন্তর্জাতিক ক্রু নিখোঁজ হয়েছেন।
ব্রডকাস্টার সিসিটিভি জানিয়েছে, মঙ্গলবার ভোরে এই ঘটনাটি ঘটেছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নিখোঁজ ক্রুদের মধ্যে চীনের ১৭ জন, ইন্দোনেশিয়ার ১৭ জন এবং ফিলিপাইনের পাঁচজন রয়েছেন।
সিসিটিভি আরও বলেছে, নৌকাডুবির ঘটনার পর নিখোঁজদের সন্ধানে সমন্বিত অনুসন্ধানের নির্দেশ দিয়েছেন চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। কিন্তু ‘এখন পর্যন্ত, নিখোঁজ কোনও ব্যক্তির সন্ধান পাওয়া যায়নি’। তবে আঞ্চলিক অনুসন্ধান ও উদ্ধার অভিযানে সহায়তার জন্য চীন ঘটনাস্থলের আশপাশে দু’টি বাণিজ্যিক জাহাজ মোতায়েন করেছে।
চীনের প্রধানমন্ত্রী লি কিয়াংকে উদ্ধৃত করে সংবাদমাধ্যমে বলা হয়েছে, ‘সমুদ্রে মাছ ধরার নৌযানের নিরাপত্তা ব্যবস্থাপনাকে আরও জোরদার করা এবং সামুদ্রিক চলাচলের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা বাস্তবায়ন করা প্রয়োজন।’
আল জাজিরা বলছে, চীনা সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে মাছ ধরার ওই নৌকা ডুবে যাওয়ার সঠিক অবস্থান চিহ্নিত করা হয়নি। এতে কেবল প্রকাশ করা হয়েছে যে, ভারত মহাসাগরের কেন্দ্রস্থলে নৌকাডুরি এই ঘটনা ঘটেছে। ভারত মহাসাগর মূলত দক্ষিণ এশিয়া ও আরব উপদ্বীপ থেকে পূর্ব আফ্রিকা এবং পশ্চিম অস্ট্রেলিয়া পর্যন্ত বিস্তৃত।
ফিলিপাইন কোস্ট গার্ড বুধবার বলেছে, তারা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছে এবং ম্যানিলায় চীনা দূতাবাসের পাশাপাশি জাহাজের সর্বশেষ অবস্থানের কাছাকাছি কাজ করা অনুসন্ধান ও উদ্ধারকারী দলের সাথে সমন্বয় করছে।
সংবাদমাধ্যম বলছে, চীন বিশ্বের বৃহত্তম গভীর সমুদ্রে মাছ ধরার বহর পরিচালনা করে বলে মনে করা হয়। চীনের রাষ্ট্রীয় সামুদ্রিক নিরাপত্তা সংস্থা এবং সহায়ক জাহাজের বিস্তৃত নেটওয়ার্কের অনেক জাহাজ একটানা কয়েক মাস বা এমনকি বছরজুড়ে সমুদ্রে অবস্থান করে।
অবশ্য নৌকা ডুবে যাওয়ার পেছনে কারণ কী হতে পারে তার কোনও ব্যাখ্যা পাওয়া যায়নি। তবে আবহাওয়া এবং উত্তাল সমুদ্র সাধারণত এই ধরনের ট্র্যাজেডির কারণ বলে মনে করা হয়।
মন্তব্য করুন