

ডেস্ক রিপোর্টঃ
ভারতে আধ্যাত্মিক ব্যক্তিত্ব হিসেবে পরিচয় দেওয়া ২৯ বছর বয়সী ধর্ম প্রচারক জয়া কিশোরীকে নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্যাপক সমালোচনা চলছে। সম্প্রতি কলকাতার এই মেয়ের হাতে বিশ্ববিখ্যাত ফ্যাশন কোম্পানি ডিওর-এর ২ লাখ রুপির ব্যাগ দেখা গেছে। সেই ব্যাগটি গরুর বাছুরের চামড়া দিয়ে তৈরি।
ভারতজুড়ে প্রচুর ভক্ত রয়েছে জয়ার। অনেকেই বিভিন্ন ধর্মীয় বচন শুনতে তার প্রোগ্রামে যুক্ত হন। ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের খবর, সম্প্রতি এয়ারপোর্টে তাকে দামি ব্যগটি নিয়ে ঘুরতে দেখা গেছে।
সংবাদমাধ্যম বলছে, শুধু দামের কারণে নয়, ব্যাগটি যে উপাদান দিয়ে তৈরি সেটাই বিতর্কের কেন্দ্রবিন্দুতে। ডিওর-এর ওয়েবসাইট অনুযায়ী, 'Dior Book Tote' হ্যান্ডব্যাগটি কটন এবং বাছুরের চামড়া দিয়ে তৈরি। যেহেতু জয়া হিন্দু ধর্মীয় প্রচারক, তাই তিনি নিজেই বাছুরের চামড়া দিয়ে তৈরি ব্যাগ নিয়ে ঘোরার কারণে ব্যাপক ট্রলের শিকার হয়েছেন।
এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রায়ই আধ্যাত্মিক বিকাশের জন্য বৈষয়িক সম্পত্তি ত্যাগ করার গুরুত্বের উপর জোর দিতেন জয়া কিশোরী। তাই এত দামি ব্যাগ দেখে অনেকেই তার বার্তার সত্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন।
জয়ার ব্যাগ নিয়ে ঘোরাফেরা করার ফুটেজ শেয়ার করে এক্স পোস্টে অনেকেই সমালোচনা করে যাচ্ছেন। একজন লিখেছেন, 'জয়া কিশোরী মানুষকে বস্তুবাদী হতে নিষেধ করেন, কিন্তু তিনি নিজেই ২ লক্ষ রুপির বেশি দামের একটি বিলাসবহুল ব্যাগ ব্যবহার করেন। তারা বেশিরভাগই এরকম, আমাদের ধর্মকে ব্যবহার করে মুনাফা অর্জন এবং বিলাসবহুল জীবনযাপন করে।'
এক্স ব্যবহারকারীরা জয়ার অন্যান্য ব্যয়বহুল সম্পদ নিয়েও চর্চা শুরু করেছেন। যেমন- এর আগেও দামি রোলেক্স ঘড়ি পরে দেখা গেছে ওই ধর্ম প্রচারককে।
তথ্যসূত্র: এনডিটিভি, হিন্দুস্তান টাইমস
মন্তব্য করুন


ডেস্ক রিপোর্টঃ
অস্ট্রেলিয়ার একটি জাতীয় উদ্যানে ভয়াবহ দাবানল ছড়িয়ে পড়েছে। শুক্রবার (২৭ ডিসেম্বর) দেশটির দমকল কর্মীরা বলেছেন, দাবানল নিয়ন্ত্রণে তারা লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন। এটি সিঙ্গাপুরের আকারের একটি অঞ্চলকে গ্রাস করেছে।
মেলবোর্ন থেকে ২৪০ কিলোমিটার পশ্চিমে অবস্থিত গ্র্যাম্পিয়ান্স ন্যাশনাল পার্কের ৭৪ হাজার হেক্টর (১ লাখ ৮৩ হাজার একর) এলাকা দাবানলে পুড়ে গেছে বলে জানিয়েছেন রাজ্য নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্রের মুখপাত্র লুক হেগার্টি।
অস্ট্রেলিয়ার জাতীয় সম্প্রচারমাধ্যম এবিসিকে তিনি বলেন, আমরা সিঙ্গাপুরের আকারের আগুন নিয়ে কথা বলছি।
পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য ভিক্টোরিয়া গত সপ্তাহ থেকে চরম দাবানল পরিস্থিতির মুখোমুখি হয়েছে। অসংখ্য দাবানল কয়েক ডজন গ্রামীণ সম্প্রদায়কে সরে যেতে বাধ্য করেছে।
লুক হেগার্টি জানান, পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হলেও ৩৬০ কিলোমিটারের বেশি পরিধির আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে এখনো সময় লাগবে।
এ ঘটনায় কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি বলেও জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
মন্তব্য করুন


আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন, হামাসের সামরিক এবং প্রশাসনিক কাঠামো নির্মূল না করা পর্যন্ত যুদ্ধ অব্যাহত রাখা হবে।
তিনি বলেছেন, যুদ্ধ বন্ধ করার ক্ষেত্রে ইসরাইলের যে শর্ত রয়েছে সেটি পরিবর্তিত হয়নি; হামাসের সামরিক ও প্রশাসনিক কাঠামো ধ্বংস করা, সব জিম্মিকে মুক্ত করা এবং নিশ্চিত করা যে, গাজা আবারও ইসরাইলের জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়াবে না।
ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজায় চলমান যুদ্ধ বন্ধে শুক্রবার একটি প্রস্তাব উত্থাপন করেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। এ প্রস্তাবে বাইডেন বলেছেন, প্রথমে ছয় সপ্তাহের জন্য যুদ্ধবিরতি হবে, এরপর ইসরাইলি বাহিনী গাজার জনবহুল এলাকা থেকে সরে যাবে, গাজায় বিপুল ত্রাণ পৌঁছানোর ব্যবস্থা করা হবে, কয়েকশো ফিলিস্তিনি বন্দিকে মুক্তি দেবে ইসরাইল, হামাস মুক্তি দেবে ইসরাইলি জিম্মিদের— যার মধ্যে থাকবে পুরুষ সেনারাও।
এরপর গাজার পুনর্গঠনের কাজ শুরু হবে। সবশেষে দুই পক্ষের মধ্যে সব ধরনের হামলা বন্ধ অর্থাৎ স্থায়ী যুদ্ধবিরতি হবে। বাইডেন এটিকে ইসরাইলের প্রস্তাব হিসেবেই অভিহিত করেছেন।
তবে মার্কিন প্রেসিডেন্টের এ প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছেন দখলদার ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু।
তিনি আরও বলেছেন, স্থায়ী যুদ্ধবিরতি হওয়ার আগ পর্যন্ত ইসরাইল তার শর্তে অটল থাকবে। এসব শর্ত পূরণ হওয়ার আগে ইসরাইল স্থায়ী যুদ্ধবিরতিতে রাজি হবে এমন ধারণা বাস্তব হওয়ার কোনো সম্ভাবনা নেই।
এদিকে বাইডেন যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব দেওয়ার পর তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় হামাস বলেছে, তারা এতে ‘ইতিবাচক’।
এছাড়া ইসরাইলের বিরোধী দলগুলোও এতে সমর্থন জানিয়েছেন। হামাসের হাতে যেসব জিম্মি রয়েছেন তাদের পরিবারের সদস্যরাও এই শর্ত কার্যকর করার জন্য দাবি জানাচ্ছেন।
মন্তব্য করুন


টেলিভিশনে ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁর ভাষণের পর তার এক আত্মীয়কে মারধরের ঘটনা ঘটেছে। এই হামলাকে দৃশ্যত রাজনৈতিকভাবে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে মনে করা হচ্ছে এবং এই ঘটনায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে আটজনকে।
হামলার শিকার ভুক্তভোগী ওই ব্যক্তি ফ্রান্সের ফার্স্ট লেডি ব্রিজিত ম্যাক্রোঁর আত্মীয়। বুধবার (১৭ মে) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, টেলিভিশনে ফরাসি প্রেসিডেন্টের ভাষণের পর ফার্স্ট লেডি ব্রিজিত ম্যাক্রোঁর ভাতিজার সন্তানকে মারধরের অভিযোগে আটজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। হামলার শিকার ওই ব্যক্তির নাম জ্যঁ-ব্যাপটিস্ট ট্রোগনিক্স। গত সোমবার ফ্রান্সের উত্তরাঞ্চলীয় শহর অ্যামিয়েন্সে সরকার বিরোধী বিক্ষোভকারীরা তাকে মারধর করে।
বিবিসি বলছে, হামলার শিকার জ্যঁ-ব্যাপটিস্ট ট্রোগনিক্স মাথায়, বাহু ও পায়ে আঘাত পেয়েছেন। পরে তার স্ক্যান করা হয় এবং সেই রিপোর্ট তিনি এখনও হাতে পাননি। প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ এই হামলাকে ‘অগ্রহণযোগ্য’ বলে অভিহিত করেছেন। একইসঙ্গে ‘গণতন্ত্রে সহিংসতার কোনও স্থান নেই’ বলেও জানিয়েছেন তিনি।
অ্যামিয়েন্স শহরে জ্যঁ-ব্যাপটিস্ট ট্রোগনেক্সের পারিবারিক চকলেটের দোকানের বাইরে আক্রমণের এই ঘটনা ঘটে। মূলত এই ব্যবসা প্রতিষ্ঠানটি বারবারই বিক্ষোভকারীদের হামলার লক্ষ্যবস্তু হয়েছে।
স্থানীয় পুলিশ বলছে, হামলার পর তারা আটজনকে গ্রেপ্তার করেছে। অবশ্য হামলার সময় স্থানীয়রা বাধা দিলে হামলাকারীরা ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়।
মঙ্গলবার কথা বলার সময় ফ্রান্সের ফার্স্ট লেডি ব্রিজিত ম্যাক্রোঁ বলেন, তিনি তার পরিবারের সাথে সম্পূর্ণ একাত্মতা প্রকাশ করেছেন এবং ‘কাপুরুষতা, বোকামি এবং সহিংসতামূলক’ হামলার নিন্দা করেছেন।
তিনি বলেন, ‘আমি বারবার এই সহিংসতার নিন্দা করেছি, যা শুধুমাত্র দেশকে সবচেয়ে খারাপ দিকে নিয়ে যেতে পারে।’
জ্যঁ-ব্যাপটিস ট্রোগনেক্সের বাবা জ্যঁ-আলেক্সান্দ্রে ট্রোগনিক্স ফরাসি মিডিয়াকে বলেছেন, হামলাকারীরা ‘সীমা অতিক্রম করেছে’ এবং ‘প্রেসিডেন্ট, তার স্ত্রী এবং আমাদের পরিবারকে’ অপমান করেছে। এছাড়া হামলায় হতবাক হওয়ার কথাও জানান তিনি।
ফ্রান্সের রিপাবলিকান দলের প্রেসিডেন্ট এরিক সিওটি হামলার নিন্দা করেছেন এবং হামলাকারীদের শাস্তির দাবি জানিয়েছেন। এক টুইটে তিনি লিখেছেন, ‘গণতান্ত্রিক বিতর্ককে হ্যাঁ বলুন, সহিংসতা ও সন্ত্রাসকে না বলুন।’
ব্রিজিত ম্যাক্রোঁর পরিবার ছয় প্রজন্ম ধরে অ্যামিয়েন্স শহরে জ্যঁ ট্রোগনিক্স চকলেটের দোকান চালাচ্ছে বলে জানিয়েছে বিবিসি।
মন্তব্য করুন


আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
মিশরের রাজধানী কায়রোতে দ্বিতীয় দিনের মতো শুরু হয়েছে যুদ্ধবিরতি আলোচনা। এতে মধ্যস্থতা করছে কাতার ও মিশর কর্তৃপক্ষ। তবে হামাসের এক নেতা জানিয়েছেন, ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ব্যক্তিগতভাবে যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে বাধা দিচ্ছেন।
এছাড়া যুদ্ধবিরতি চুক্তি কার্যকর করতে ইসরাইলেও চলছে সরকারবিরোধী বিক্ষোভ। চুক্তি কার্যকর ও জিম্মিদের ফিরিয়ে আনতে নেতানিয়াহু প্রশাসনকে চাপ দিচ্ছেন তারা।
যুদ্ধবিধ্বস্ত উত্তর গাজায় এরই মধ্যে দুর্ভিক্ষ দেখা দিয়েছে বলে জানিয়েছে জাতিসংঘ। যা পুরো যুদ্ধবিধ্বস্ত উপত্যকাটিতে ছড়িয়ে পড়ছে। কারণ ইসরাইল প্রয়োজনীয় খাদ্য সরবরাহে বাধা দিচ্ছে।
গত ৭ অক্টোবরের পর ইসরাইলের হামলায় ৩৪ হাজার ৬৫৪ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন ৭৭ হাজার ৯০৮ জন।
অন্যদিকে যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের পর বেশ কয়েকটি দেশের একাধিক বিশ্ববিদ্যালয়ে ছড়িয়ে পড়েছে ইসরাইলবিরোধী আন্দোলন। গত মাস থেকে যুক্তরাষ্ট্রের কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে সর্বপ্রথম এ বিক্ষোভ শুরু হয়। একপর্যায়ে তা দেশটির অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়েও ছড়িয়ে পড়ে। পরে তা কানাডা, যুক্তরাজ্য, অস্ট্রেলিয়া, ফ্রান্সের মতো দেশগুলোতে বিস্তৃত হতে শুরু করে। আসুন দেখে নেওয়া যাক, বিশ্বের কোন কোন দেশে এ আন্দোলন চলছে।
মন্তব্য করুন


আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
তাপপ্রবাহ ও অসহনীয় গরমে ভারতের উত্তরপশ্চিমাঞ্চলীয় রাজ্যরাজস্থানে অন্তত ৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। চলতি মাসের শুরু থেকে এখন পর্যন্ত হিট স্ট্রোক ও গরমে অসুস্থতাজনিত কারণে তাদের মৃত্যু হয়। ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন থেকে এই তথ্য জানা যায়।
গত বৃহস্পতিবার রাজস্থানের তাপমাত্রা ছিল ৪৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। রাজ্য সরকার অবশ্য এই দাবি মানতে নারাজ। তারা বলছে, মৃত্যুর কারণ উদঘাটনে তদন্ত শুরু করেছে তারা। গরমের কারণেই যে মারা গেছেন তা নিশ্চিত নয়।
চলতি বছর গ্রীষ্মের শুরু থেকে ব্যাপক তাপপ্রবাহ বয়ে চলেছে রাজধানী নয়াদিল্লিসহ ভারতের অধিকাংশ রাজ্যে। গত বেশ কিছুদিন ধরে দিল্লির তাপমাত্রা ৪২ ডিগ্রি থেকে ৪৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে ওঠানামা করছে। রাজস্থানে প্রতিবছরই অনেক বেশি গরম পড়ে।
উত্তর ও উত্তরপশ্চিমাঞ্চলীয় রাজ্যগুলোতে এ বছর বৃষ্টিপাত হয়েছে স্বাভাবিক মাত্রার চেয়ে কম।
মন্তব্য করুন


আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ
বাংলাদেশ-পাকিস্তানের মধ্যে শিগগিরই সরাসরি ফ্লাইট চালু হতে যাচ্ছে। পাকিস্তানে নিযুক্ত বাংলাদেশের ডেপুটি হাইকমিশনার এস এম মাহবুবুল আলম এই তথ্য জানিয়েছেন। তার ভাষ্য, সরাসরি ফ্লাইট চালু হলে উভয় দেশের ব্যবসায়িক সম্প্রদায়ের মধ্যে সম্পর্ক উল্লেখযোগ্যভাবে শক্তিশালী হবে।
ডেপুটি হাইকমিশনার জানান, পাকিস্তানের ব্যবসায়ী সংগঠন হায়দরাবাদ চেম্বার অব স্মল ট্রেডার্স অ্যান্ড স্মল ইন্ডাস্ট্রির (এইচসিএসটিএসআই) সহযোগিতায় একটি প্রদর্শনীর আয়েজন করা হবে। সেখানে দুই দেশের আমদানিকারক ও রপ্তানিকারকরা অংশ নেবে।
এছাড়া মাহবুবুল আলম ২০২৫ সালের জানুয়ারিতে ঢাকায় হতে যাওয়া বার্ষিক বাণিজ্য প্রদর্শনী অর্থাৎ আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলায় অংশ নেওয়ার জন্য পাকিস্তানের ব্যবসায়ী সম্প্রদায়কে আমন্ত্রণও জানিয়েছেন। তিনি আশ্বাস দিয়েছেন, এই প্রদর্শনীতে পাকিস্তানের ব্যবসায়ীদের অংশগ্রহণের সুবিধার্থে ভিসা প্রক্রিয়া সহজ করা হবে।
এক্সপ্রেস ট্রিবিউন বলছে, সম্প্রতি হায়দরাবাদ চেম্বার পরিদর্শনকালে বাংলাদেশের ডেপুটি হাইকমিশনার এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস পাকিস্তানের সঙ্গে বাণিজ্য বাড়ানোর সম্ভাবনাকে কাজে লাগানোর বিষয়ে আগ্রহী।
এসময় তিনি পাকিস্তানের ব্যবসায়ীদের কাছে বাংলাদেশকে অত্যন্ত আকর্ষণীয় বাজার হিসেবে বর্ণনা করেন ও এইচসিএসটিএসআইকে ঢাকায় তাদের একটি প্রতিনিধি দল পাঠাতে বলেন। তিনি ব্যবসায়ীদের ভিসা প্রক্রিয়া পর্যবেক্ষণ ও ত্বরান্বিত করারও প্রতিশ্রুতি দেন।
অনুষ্ঠানে এইচসিএসটিএসআই-এর সভাপতি মুহাম্মদ সেলিম মেমন উভয় বাংলাদেশ-পাকিস্তানের মধ্যে বাণিজ্য সম্পর্কের উল্লেখযোগ্য অগ্রগতির কথা তুলে ধরেন। তাছাড়া ইতিহাসে প্রথমবারের মতো গত ১১ নভেম্বর পাকিস্তান থেকে বাংলাদেশে সরাসরি কার্গো জাহাজ পৌঁছানোর বিষয়টিকে তিনি মাইলফলক হিসেবে উল্লেখ করেন।
সেলিম মেনন বলেন, পাকিস্তান-বাংলাদেশ সম্পর্ক অভিন্ন ইতিহাস, সংস্কৃতি ও বাণিজ্যের সঙ্গে জড়িত। দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার এই উদ্যোগ উভয় দেশের বৃহত্তর বাণিজ্য সহযোগিতার পথ আরও প্রশস্ত করবে।
মেমন এসময় বাংলাদেশি ব্যবসায়ীদের পাকিস্তানের প্রদর্শনীতে সক্রিয়ভাবে অংশ নেওয়ার জন্য আহ্বান জানান, বিপরীতে বাংলাদেশের বাণিজ্য মেলায় যোগদানের জন্য পাকিস্তানি ব্যবসায়ীদের যথাযথ সুবিধা নিশ্চিতেরও আহ্বান জানান। এছাড়া মেনন ঢাকায় শুল্ক ছাড়পত্র পেতে পাকিস্তানি পণ্য রপ্তানিকারকরা যেসব চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হয়ে থাকেন, সেগুলো দ্রুত সমাধানের আহ্বান জানান।
মন্তব্য করুন


ডেস্ক রিপোর্টঃ
বাংলাদেশের সব নাগরিকের নিরাপত্তা নিশ্চিতে অন্তর্বর্তী সরকারের নেওয়া অব্যাহত পদক্ষেপগুলোকে স্বাগত জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। মঙ্গলবার (৩ ডিসেম্বর) যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তর এ কথা জানিয়েছে।
বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা দেওয়ার ক্ষেত্রে অন্তর্বর্তী সরকারের কথিত 'নিষ্ক্রিয়তা'র অভিযোগের ব্যাপারটি যুক্তরাষ্ট্র কিভাবে দেখছে, ভয়েস অফ আমেরিকা বাংলার করা এ প্রশ্নের জবাবে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর থেকে পাঠানো এক ইমেইলে এক মুখপাত্র এ কথা জানান।
মুখপাত্র জানান, আমরা সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের সদস্যদের উপর সহিংসতা ও তাদের প্রতি অসহিষ্ণুতার যেকোন ঘটনার নিন্দা জানাই এবং বাংলাদেশের সব নাগরিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য অন্তর্বর্তী সরকারের নেওয়া অব্যাহত পদক্ষেপগুলোকে স্বাগত জানাই।
বাংলাদেশে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ওপর নিপীড়নের যে ঘটনাগুলো ঘটছে সে বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থানের ব্যাপারে জানতে চাইলে, পররাষ্ট্র দপ্তর থেকে জানানো হয়, যুক্তরাষ্ট্র ধর্ম বা বিশ্বাসের স্বাধীনতা এবং মতপ্রকাশের স্বাধীনতা, শান্তিপূর্ণ সমাবেশ ও সংগঠন ( করার স্বাধীনতা কে ) মৌলিক স্বাধীনতা হিসেবে সমর্থন করে। আমরা নিয়মিতভাবে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারসহ আমাদের সকল অংশীদারদের কাছে সেই সমর্থনের কথা জানাই।
বাংলাদেশে ইসকনকে ‘সন্ত্রাসী সংগঠন’ হিসেবে ঘোষণা করার দাবি ও চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের জামিন না পাওয়া প্রসঙ্গে আরেকটি প্রশ্নের উত্তরে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র জানান, বাংলাদেশের আইন অনুযায়ী ও সংবিধানে ( নাগরিকদের ) যে অধিকারগুলোর নিশ্চয়তা দেওয়া হয়েছে, তার আলোকে এ ইস্যুগুলো সমাধান করার দায়িত্ব বাংলাদেশ সরকারের। আমরা বাংলাদেশসহ সকল দেশকে মত প্রকাশের স্বাধীনতা, শান্তিপূর্ণ সমাবেশ ও সংগঠন করার স্বাধীনতা এবং ধর্ম বা বিশ্বাসের স্বাধীনতা সমুন্নত রাখার জন্য আহ্বান জানাই।
ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে ক্রমবর্ধমান উত্তেজনার মধ্যে আঞ্চলিক নিরাপত্তা প্রোমোটে যুক্তরাষ্ট্র কী ধরণের পদক্ষেপ নেওয়ার পরিকল্পনা করছে বলে প্রশ্ন করা হলে পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র জানান, আমরা বাংলাদেশ ও ভারত উভয়ের সাথেই আমাদের সম্পর্ককে গভীরভাবে মূল্য দিই। তাদের একে অপরের সাথে কূটনৈতিক সম্পর্কের ব্যাপারটি আমরা বাংলাদেশ ও ভারতের সরকারের উপরই ছেড়ে দিয়েছি।
মন্তব্য করুন


আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ
লেবাননের রাজধানী বৈরুতে হিজবুল্লাহর গোয়েন্দা সদর দপ্তরে হামলা চালানোর কথা জানিয়েছে ইসরাইলি সামরিক বাহিনী।
রোববার এক বিবৃতিতে ইসরাইলি সামরিক বাহিনী জানায়, গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে আজ ভোরে এই হামলা চালায় তারা।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘হামলায় বেসামরিক হতাহত কমাতে’ বেশ কিছু পদক্ষেপ আগে থেকেই নেওয়া হয়েছিল, যে কারণে ওই এলাকায় আগে থেকে সতর্কতা দেওয়া হয়েছিল।
ইসরাইলি সামরিক বাহিনী জানিয়েছে, তাদের এই হামলায় আল-হাজ আব্বাস সালামা মারা গেছেন।
আল-হাজ আব্বাস সালামা হিজবুল্লাহর দক্ষিণ ফ্রন্টের একজন সিনিয়র কমান্ডার ছিলেন। এ সময় রাদা আব্বাস আওয়াদা এবং আহমাদ আলী হুসেন নামে আরও দুইজন হিজবুল্লাহ যোদ্ধা মারা গেছেন।
ইসরাইলি বাহিনীর বিবৃতিতে বলা হয়, আওয়াদা হিজবুল্লাহর একজন সিনিয়র যোগাযোগ বিশেষজ্ঞ ছিলেন।
এছাড়া হুসেন একটি অস্ত্র তৈরির ইউনিটের প্রধান হিসেবে কাজ করেছেন।
তবে, এই হামলার বিষয়ে এখনো কোন মন্তব্য করেনি হিজবুল্লাহ।
মন্তব্য করুন


আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ
ভারতের আগরতলায় বাংলাদেশের সহকারী হাইকমিশনে ‘হিন্দু সংঘর্ষ সমিতি’র হামলা, ভাঙচুর ও জাতীয় পতাকায় আগুন দেওয়ার ঘটনায় এখন পর্যন্ত ৭ জনকে আটক করা হয়েছে। এছাড়া, এ ঘটনার কারণে ত্রিপুরা সরকার মঙ্গলবার (৩ ডিসেম্বর) ৩ পুলিশ কর্মকর্তাকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করেছে ও এক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাকে প্রত্যাহার করেছে। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।
এদিকে, ভারতের নাগাল্যান্ড রাজ্যের ইংরেজি সংবাদমাধ্যম মুরং এক্সপ্রেসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ত্রিপুরা সরকার তিন পুলিশ কর্মকর্তাকে বরখাস্ত করার পাশাপাশি একজন সহকারী কমান্ড্যান্ট পদমর্যাদার কর্মকর্তাকে প্রত্যাহার করেছে। ত্রিপুরা পুলিশের শীর্ষ এক কর্মকর্তা জানান, সোমবারের ঘটনা তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে রাজ্য সরকার ও এই তদন্তভার পড়েছে সাউদার্ন রেঞ্জের ডেপুটি ইন্সপেক্টর জেনারেলের (ডিআইজি) ওপর।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই কর্মকর্তা জানান, ৩ জন সাব-ইন্সপেক্টর দিলু জমাতিয়া, দেবব্রত সিনহা ও জয়নাল হোসেনকে বরখাস্ত করা হয়েছে। তাছাড়া সহকারী কমান্ড্যান্ট (ডিএসপি পদমর্যাদার কর্মকর্তা) কান্তি নাথ ঘোষকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। ওই কর্মকর্তা আরও জানান, ৪ পুলিশ কর্মকর্তার দায়িত্বে অবহেলার জন্য এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।সারারাত বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে বাংলাদেশ হাইকমিশন কার্যালয়ে নিরাপত্তা লঙ্ঘনের ঘটনায় জড়িত সন্দেহে ৭ জনকে আটক করা হয়েছে। তাদের জড়িত থাকার বিষয়ে প্রাথমিক তদন্ত শেষে গ্রেফতারের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
বাংলাদেশে রাষ্ট্রদ্রোহিতার মামলায় সাবেক ইসকন নেতা চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের গ্রেফতারের প্রতিবাদে আয়োজিত এক বিক্ষোভ মিছিল থেকে প্রায় ৫০ জন ব্যক্তি বাংলাদেশ সহকারী হাইকমিশনের ভেতরে প্রবেশ করে হামলা চালায় ও ভাঙচুর করেন। ঘটনার পরপরই ঢাকা এর তীব্র প্রতিক্রিয়া জানায়।
ঢাকার অভিযোগ, স্থানীয় পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সক্রিয় ছিল না ও এই ঘটনা মিশনের কর্মীদের মধ্যে গভীর নিরাপত্তাহীনতার অনুভূতি তৈরি করেছে। সেই সঙ্গে নয়াদিল্লিকে ‘তৎক্ষণাৎ পদক্ষেপ’ নেওয়ার আহ্বান জানায় বাংলাদেশ।
ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় অবশ্য প্রতিক্রিয়া জানিয়ে বলেছে, এই ঘটনা গভীরভাবে দুঃখজনক। কূটনৈতিক এবং কনস্যুলার সম্পত্তি কোনোভাবেই লক্ষ্যবস্তু হওয়া উচিত নয়। ভারত সরকার বাংলাদেশ হাইকমিশনের জন্য নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরও শক্তিশালী করার পদক্ষেপ নিচ্ছে।
এর আগে সোমবার দুপুরে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় ত্রিপুরা রাজ্যের উত্তর আগরতলায় বাংলাদেশের সহকারী হাইকমিশন প্রাঙ্গণে হামলার ঘটনা ঘটে। বিশ্ব হিন্দু পরিষদসহ ভারতের বিভিন্ন ডানপন্থি সংগঠনের শতাধিক সদস্য এই হামলা চালায়। সেসময় কিছু লোক জোর করে হাইকমিশন চত্বরে প্রবেশ করেন ও বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা অবমাননা করেন।
পুলিশ দ্রুত হামলাকারীদের সেখান থেকে সরিয়ে দেয়। ঘটনার পরপরই পুলিশ গোয়েন্দা বিভাগের মহাপরিচালক অনুরাগ ও দক্ষিণাঞ্চলীয় রেঞ্জের ডেপুটি ইন্সপেক্টর জেনারেল কৃষ্ণেন্দু চক্রবর্তী সোমবার বিকেলে বাংলাদেশ হাইকমিশন পরিদর্শন করেন ও মিশনের কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলেন। গোয়েন্দা বিভাগের ডিরেক্টর জেনারেল ও ডিআইজি বাংলাদেশ হাইকমিশনের কর্মকর্তাদের সর্বোচ্চ নিরাপত্তা নিশ্চিত করার আশ্বাস দিয়েছেন। এরই মধ্যে কার্যালয়ের চারপাশে ত্রিপুরা পুলিশের নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে।
ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহা আগরতলায় বাংলাদেশের হাইকমিশনে নিরাপত্তা লঙ্ঘনের ঘটনার নিন্দা জানিয়েছেন। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, ‘বাংলাদেশে হিন্দুদের ওপর হামলার প্রতিবাদে অনেক মানুষ আগরতলার গান্ধী মূর্তির পাদদেশে জড়ো হয়েছিলেন ও শান্তিপূর্ণ অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছিলেন। কিন্তু কিছু যুবক হঠাৎ করেই আগরতলায় বাংলাদেশের সহকারী হাইকমিশনের কার্যালয়ে প্রবেশের চেষ্টা করে। আমি এই ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাই। শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ চলতে পারে, তবে এ ধরনের আচরণ মোটেও কাম্য নয়।
এদিকে, ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সোমবার এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, বাংলাদেশে হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর নির্যাতনের প্রতিবাদে ভারতের বিভিন্ন স্থানে বিক্ষোভের সংখ্যা বাড়ার পর বাংলাদেশ হাইকমিশন ও এর উপ-সহকারী হাইকমিশনগুলোর নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, সোমবার আগরতলায় বাংলাদেশের সহকারী হাইকমিশন কার্যালয়ে নিরাপত্তা লঙ্ঘনের ঘটনা অত্যন্ত দুঃখজনক। কূটনৈতিক এবং কনস্যুলার সম্পত্তি কোনো অবস্থাতেই লক্ষ্যবস্তু হওয়া উচিত নয়। সরকার দিল্লিতে বাংলাদেশ হাইকমিশন এবং দেশের অন্যান্য উপ-সহকারী হাইকমিশনগুলোর নিরাপত্তা বাড়ানোর পদক্ষেপ নিয়েছে।
সূত্র: এনডিটিভি
মন্তব্য করুন


ডেস্ক রিপোর্টঃ
পাকিস্তানের কারাবন্দি সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান অসহযোগ আন্দোলনের ডাক দিয়েছেন। সেইসঙ্গে সমর্থকদের আগামী সপ্তাহে একটি সমাবেশ করার আহ্বান জানিয়েছেন। ইসলামাবাদে নিজ দলের প্রাণঘাতী বিক্ষোভ মিছিলের কয়েকদিন পর এমন হুঁশিয়ারি দিলেন ইমরান।
স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার (৫ ডিসেম্বর) এক্স পোস্টে ইমরান খান সমর্থকদের ১৩ ডিসেম্বর উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় শহর খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশের রাজধানী পেশোয়ারে সমবেত হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। অঞ্চলটি তার দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) শাসিত।
এক্স বার্তায় ইমরান খান ২৫ নভেম্বরের বিক্ষোভ মিছিলে দমনপীড়ন এবং গত বছরের ৯ মে সহিংসতায় অন্তত ১২ জন সমর্থক নিহত হওয়ার ঘটনায় বিচারবিভাগীয় তদন্ত দাবি করেন। গ্রেপ্তার হওয়া সমস্ত রাজনৈতিক কর্মীদেরও মুক্তি দিতে হবে বলে উল্লেখ করেন।
ইমরান বলেন, যদি এই দুটি দাবি মানা না হয়, তবে ১৪ ডিসেম্বর থেকে একটি অসহযোগ আন্দোলন শুরু হবে। যে কোনো পরিণতির জন্য সরকার দায়ী থাকবে।
এদিকে পাকিস্তান সরকার ২৫ নভেম্বরের বিক্ষোভ মিছিলে কোনো প্রাণহানির ঘটনা অস্বীকার করেছে, উল্টো বলেছে, ইমরান খানের সমর্থকরা গত বছরের ৯ মে সামরিক স্থাপনায় হামলা চালিয়েছিল।
৯ মে'র ওই হামলার অভিযোগে গতকাল বৃহস্পতিবার ইমরান খানকে অভিযুক্ত করা হয়। তবে তিনি নিজেকে নির্দোষ দাবি করেন। গত বছরের শেষ দিক থেকে কারাগারে থাকা ৭২ বছর বয়সী সাবেক এই ক্রিকেট তারকার বিরুদ্ধে কয়েক ডজন মামলার মধ্যে এটি সর্বশেষ।
ইমরান ও তার দল বলছে, ২০২২ সালে ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার আগে সেনাবাহিনীর জেনারেলদের সঙ্গে মতবিরোধের পর রাজনীতি থেকে দূরে রাখতেই তাকে এসব মামলা সাজানো হয়েছে। তবে সেনাবাহিনী এ অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
মন্তব্য করুন