

আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
রাশিয়ায় ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন সরবরাহের অভিযোগে ইরানের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করলো ইউরোপের দেশগুলোর জোট ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)। ইরানের বেশ কয়েকজন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের ওপর এই নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে।
সোমবার ইউরোপীয় কাউন্সিল জানায়, ইউক্রেনের বিরুদ্ধে যুদ্ধে ব্যবহারের জন্য মস্কোয় অস্ত্র ও সরঞ্জাম সরবরাহের কারণে ইরানের সাত ব্যক্তি ও সাতটি প্রতিষ্ঠানের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হলো। তাদের সম্পদ জব্দ করা হবে ও তারা ইউরোপে ভ্রমণ করতে পারবেন না।
নিষেধাজ্ঞা পাওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে রয়েছেন- ইরানের উপ-প্রতিরক্ষামন্ত্রী সৈয়দ হামজা ঘালানদারি, ইসলামিক রেভল্যুশনারি গার্ড কর্পসের কুদস ফোর্সের উচ্চপদস্থ সদস্য ও ইরানের তিনটি বিমান সংস্থা যার মধ্যে ইরান এয়ারও রয়েছে।
ইউরোপীয় কমিশনের সভাপতি উরসুলা ভন ডার লায়েন এই নিষেধাজ্ঞাকে স্বাগত জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ইউক্রেনের বিরুদ্ধে রাশিয়ার আগ্রাসী যুদ্ধে ইরান সরকারের সমর্থন অগ্রহণযোগ্য ও এটি অবশ্যই বন্ধ হতে হবে। এমন পরিস্থিতিতে আমি রাশিয়ায় ইরানের ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র সরবরাহের প্রতিক্রিয়ায় আমাদের এই নিষেধাজ্ঞা আরোপকে স্বাগত জানাই।
ইউক্রেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আন্দ্রি সিবিহাও এই নিষেধাজ্ঞাকে স্বাগত জানিয়েছেন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে দেওয়া পোস্টে তিনি লিখেছেন, যারা আগ্রাসনকে সমর্থন দেয়, তাদের অবশ্যই দায় নিতে হবে ও মূল্য দিতে হবে।
ইইউ’র নিষেধাজ্ঞা আরোপের পর মঙ্গলবার ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ইসমাইল বাঘাই বলেন, ইরান রাশিয়ায় কোনও ক্ষেপণাস্ত্র সরবরাহ করেনি। এসব নিষেধাজ্ঞা আন্তর্জাতিক আইনের পরিপন্থী।
এর আগে সোমবার ইসরায়েলে ক্ষেপণাস্ত্র হামলার অভিযোগে ইরানের শীর্ষ সামরিক কর্মকর্তাদের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে যুক্তরাজ্য। এছাড়া গত শুক্রবার ইরানের তেল খাতের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে যুক্তরাষ্ট্র।
মন্তব্য করুন


ভারত, অস্ট্রেলিয়া, যুক্তরাষ্ট্র ও জাপানকে নিয়ে গঠিত নিরাপত্তা বিষয়ক জোট কোয়াডের শীর্ষ পর্যায়ের বৈঠক বাতিল করা হয়েছে। আগামী সপ্তাহে অস্ট্রেলিয়ার সিডনিতে এ চার দেশের প্রধানমন্ত্রী ও প্রেসিডেন্টদের সম্মেলনে যোগ দেওয়ার কথা ছিল। তবে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন তার অস্ট্রেলিয়া সফর বাতিল করায় সম্মেলনটিও বাতিল করা হয়েছে।
বুধবার (১৭) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন।
অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী অ্যান্থনি আলবানিস বুধবার সকালেও আশা প্রকাশ করেছিলেন নির্ধারিত সূচি অনুযায়ী সম্মেলনটি হবে। কিন্তু পরবর্তীতে তিনি জানান, এটি বাতিলই করা হয়েছে।
১৭ থেকে ১৯ মে জাপানে গ্রুপ অব সেভেন জি-৭ জোটের সম্মেলন হবে। এখন কোয়াডভুক্ত দেশগুলোর নেতারা জি-৭ জোটের সম্মেলনের ফাঁকে আলাদাভাবে বৈঠক করতে পারেন।
যদিও জাপানে এ চার দেশের প্রধানদের আলাদা বৈঠক হওয়ার বিষয়টি এখনো নিশ্চিত হয়নি। তবে অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, ‘আমাদের কথা বলার বিষয়টি ভালো হবে।’
তিনি আরও বলেছেন, ‘কোয়াড একটি গুরুত্বপূর্ণ জোট। আমরা চাই নেতৃস্থানীয় পর্যায়ে বৈঠকটি হবে এবং আমরা এ সপ্তাহের শেষে এ নিয়ে আলোচনা করব।’
কয়েক সপ্তাহে আগেই মার্কিন প্রেসিডেন্ট বাইডেনের অস্ট্রেলিয়া সফরের বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছিল। এছাড়া তার পাপুয়া নিউ গিনিতেও যাওয়ার কথা ছিল। ঐতিহাসিক এ সফরে দেশটির সংসদে বক্তব্য দিতেন তিনি।
জাপানে কোয়াড সদস্য দেশগুলোর বিশেষ বৈঠক হবে নাকি হবে না এ বিষয়টি নিশ্চিত না হলেও, বাইডেনের সঙ্গে অজি প্রধানমন্ত্রী আলাদাভাবে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করবেন। এছাড়া বাইডেনকে আলাদাভাবেও অস্ট্রেলিয়ায় আসার আমন্ত্রণ জানিয়েছেন তিনি।
এদিকে বাইডেনের অস্ট্রেলিয়া সফর বাতিলের কারণ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে— তিনি নিজ দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়গুলো নিয়ে ব্যস্ত থাকবেন।
মন্তব্য করুন


ডেস্ক রিপোর্টঃ
বাংলাদেশের সব নাগরিকের নিরাপত্তা নিশ্চিতে অন্তর্বর্তী সরকারের নেওয়া অব্যাহত পদক্ষেপগুলোকে স্বাগত জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। মঙ্গলবার (৩ ডিসেম্বর) যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তর এ কথা জানিয়েছে।
বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা দেওয়ার ক্ষেত্রে অন্তর্বর্তী সরকারের কথিত 'নিষ্ক্রিয়তা'র অভিযোগের ব্যাপারটি যুক্তরাষ্ট্র কিভাবে দেখছে, ভয়েস অফ আমেরিকা বাংলার করা এ প্রশ্নের জবাবে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর থেকে পাঠানো এক ইমেইলে এক মুখপাত্র এ কথা জানান।
মুখপাত্র জানান, আমরা সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের সদস্যদের উপর সহিংসতা ও তাদের প্রতি অসহিষ্ণুতার যেকোন ঘটনার নিন্দা জানাই এবং বাংলাদেশের সব নাগরিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য অন্তর্বর্তী সরকারের নেওয়া অব্যাহত পদক্ষেপগুলোকে স্বাগত জানাই।
বাংলাদেশে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ওপর নিপীড়নের যে ঘটনাগুলো ঘটছে সে বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থানের ব্যাপারে জানতে চাইলে, পররাষ্ট্র দপ্তর থেকে জানানো হয়, যুক্তরাষ্ট্র ধর্ম বা বিশ্বাসের স্বাধীনতা এবং মতপ্রকাশের স্বাধীনতা, শান্তিপূর্ণ সমাবেশ ও সংগঠন ( করার স্বাধীনতা কে ) মৌলিক স্বাধীনতা হিসেবে সমর্থন করে। আমরা নিয়মিতভাবে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারসহ আমাদের সকল অংশীদারদের কাছে সেই সমর্থনের কথা জানাই।
বাংলাদেশে ইসকনকে ‘সন্ত্রাসী সংগঠন’ হিসেবে ঘোষণা করার দাবি ও চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের জামিন না পাওয়া প্রসঙ্গে আরেকটি প্রশ্নের উত্তরে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র জানান, বাংলাদেশের আইন অনুযায়ী ও সংবিধানে ( নাগরিকদের ) যে অধিকারগুলোর নিশ্চয়তা দেওয়া হয়েছে, তার আলোকে এ ইস্যুগুলো সমাধান করার দায়িত্ব বাংলাদেশ সরকারের। আমরা বাংলাদেশসহ সকল দেশকে মত প্রকাশের স্বাধীনতা, শান্তিপূর্ণ সমাবেশ ও সংগঠন করার স্বাধীনতা এবং ধর্ম বা বিশ্বাসের স্বাধীনতা সমুন্নত রাখার জন্য আহ্বান জানাই।
ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে ক্রমবর্ধমান উত্তেজনার মধ্যে আঞ্চলিক নিরাপত্তা প্রোমোটে যুক্তরাষ্ট্র কী ধরণের পদক্ষেপ নেওয়ার পরিকল্পনা করছে বলে প্রশ্ন করা হলে পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র জানান, আমরা বাংলাদেশ ও ভারত উভয়ের সাথেই আমাদের সম্পর্ককে গভীরভাবে মূল্য দিই। তাদের একে অপরের সাথে কূটনৈতিক সম্পর্কের ব্যাপারটি আমরা বাংলাদেশ ও ভারতের সরকারের উপরই ছেড়ে দিয়েছি।
মন্তব্য করুন


আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
দক্ষিণ লেবানন থেকে হিজবুল্লাহর গোলাবর্ষণে নর্দার্ন ইসরাইলের আপার গ্যালিলি অঞ্চলের মেতুলা শহরে নয়টি ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এ খবর দিয়েছে ইসরাইলের সেনাবাহিনী। তবে ওই হামলায় কারও হতাহতের খবর জানাননি তারা।
এদিকে লেবাননের সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহ শুক্রবার জানিয়েছে, তারা ইসরাইলি সামরিক স্থাপনায় বেশ কয়েকটি হামলা চালিয়েছে।
প্রসঙ্গত, গাজায় ইসরাইলের অভিযান শুরু হওয়ার পর থেকেই লেবানন-ইসরাইল সীমান্তে আন্তঃসীমান্ত হামলা নিত্যদিনের ঘটনায় পরিণত হয়েছে। হিজবুল্লাহ বলছে, ফিলিস্তিনি জনগণের সমর্থনে ইসরাইলের ওপর তারা হামলা করছে। কেবল গাজায় স্থায়ী যুদ্ধবিরতি নিশ্চিত হওয়ার পরই তারা থামবে।
ইসরাইলের নির্মম হামলায় রোববার গাজার খান ইউনিসের পশ্চিমে আল-মাওয়াসি শরণার্থী শিবিরে ইসরাইলি বিমান হামলায় অন্তত ৭১ জন নিহত ও ২৮৯ জন আহত হয়েছেন।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, গত ৭ অক্টোবর থেকে গাজায় ইসরাইলের যুদ্ধে এ পর্যন্ত অন্তত ৩৮ হাজার ৩৪৫ জন নিহত ও ৮৮ হাজার ২৯৫ জন আহত হয়েছেন।
মন্তব্য করুন


আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
চলতি বছর তীব্র তাপপ্রবাহে ভারতের বিহার, উত্তর প্রদেশ ও ওড়িশায় নির্বাচনী কর্মকর্তাসহ অন্তত ৩৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। তীব্র গরমে হিটস্ট্রোকে তারা মারা গেছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
ভারতের কেন্দ্রীয় আবহাওয়া দপ্তর (আইএমডি) এক পূর্বাভাসে জানিয়েছে, শনিবার (১ জুন) অঞ্চলগুলোয় তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকবে।
চলতি বছর প্রচণ্ড গ্রীষ্ম দেখছে ভারত। চলতি সপ্তাহে রাজধানী দিল্লির কিছু অংশে তাপমাত্রা ৫২ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াসে উঠে যায়।
তবে কয়েকদিনের মধ্যে ভারতের উত্তর-পশ্চিম ও মধ্যাঞ্চলে গরম কমে আসতে পারে। এছাড়া চলমান তাপপ্রবাহ আরও দুদিন অব্যাহত থাকতে পারে বলে আভাস দিয়েছে দেশটির কর্তৃপক্ষ। এ সময় স্বাভাবিকের চেয়ে তাপমাত্রা ৪ দশমিক ৫ ডিগ্রি থেকে ৬ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেশি হতে পারে।
বৃহস্পতিবার বিহারে মারা গেছেন ১৪ জন। এর মধ্যে নির্বাচনী কাজে যুক্ত ১০ জন রয়েছেন। ভারতের লোকসভা নির্বাচনের সপ্তম তথা শেষ ধাপে শনিবার বিহারের কিছু অংশে ভোট হচ্ছে। মে মাসের শুরু থেকে ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে তাপপ্রবাহ শুরু হয়। বৃষ্টিপাত কম হওয়ায় দীর্ঘস্থায়ী হচ্ছে তাপপ্রবাহ।
মন্তব্য করুন


আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ
গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর আগ্রাসন থামার কোনো লক্ষণই দেখা যাচ্ছে না। অবরুদ্ধ এই উপত্যকার এমন কোনো স্থান বাকি নেই যেখানে দখলদার বাহিনী হামলা চালায়নি। গাজার স্কুল, হাসপাতাল, আবাসিক ভবন, মসজিদ সবকিছুই যেন এক ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, সেখানে গত ৪৮ ঘণ্টায় ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় ১১৫ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। এছাড়া আহত হয়েছে আরও ৪৮৭ জন।
এদিকে হিজবুল্লাহ জানিয়েছে, তেল আবিবে ইসরায়েলের গোয়েন্দা ঘাঁটিসহ বেশ কিছু স্থানে হামলা চালানো হয়েছে। এছাড়া উত্তরাঞ্চলীয় হাইফা শহরের একটি নৌঘাঁটিতেও রকেট হামলা চালিয়েছে হিজবুল্লাহ। তবে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী জানিয়েছে, ওই হামলার ঘটনায় কেউ হতাহত হয়নি।
হিজবুল্লাহ বলছে, তারা ইসরায়েলের নিরিত এলাকায় ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে। সেখানে বড় ধরনের বিস্ফোরণের খবর পাওয়া গেছে। টেলিগ্রামে এক পোস্টে লেবাননভিত্তিক গোষ্ঠীটি জানিয়েছে, গাজায় ফিলিস্তিনি জনগণের প্রতি সংহতি এবং লেবাননের জনগণকে রক্ষায় তারা এই হামলা চালিয়েছে।
হিজবুল্লাহর হামলার পর বেন গুরিয়ন বিমানবন্দরে বিমান চলাচল স্থগিত করা হয়েছে এবং ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী তেল আবিবে জরুরি অবস্থা জারি করেছে।
অপরদিকে গাজার বিভিন্ন স্থানে ধ্বংসস্তুপে চাপা পড়া ফিলিস্তিনিদের সহায়তা দেওয়া উদ্ধারকর্মীদের কাজে বাধা দিচ্ছে ইসরায়েলি বাহিনী। এর আগে জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক কার্যালয় (ওএইচসিএইচআর) বলেছে, হত্যা এবং বাস্তুচ্যুতির মাধ্যমে গাজার উত্তরাঞ্চলে ফিলিস্তিনি জনসংখ্যাকে ধ্বংসের কারণ হয়ে উঠছে ইসরায়েল। ওই এলাকা ধ্বংসস্তুপে পরিণত করেছে দখলদার বাহিনী।
গাজায় এক বছরের বেশি সময় ধরে ধ্বংসযজ্ঞ চালাচ্ছে ইসরায়েল। এই সময়ের মধ্যে কমপক্ষে ৪২ হাজার ৭১৮ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। এছাড়া আহত হয়েছে আরও এক লাখ ২৮২ জন।
গত বছরের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের সীমান্তে প্রবেশ করে আকস্মিক হামলা চালায় ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। সে সময় ইসরায়েলে হামাসের হামলায় কমপক্ষে এক হাজার ১৩৯ জন নিহত হয় এবং দুই শতাধিক মানুষকে জিম্মি হিসেবে অপহরণ করে নিয়ে যাওয়া হয়।
মন্তব্য করুন


আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ
ফিলিস্তিনের গাজায় নিঃশর্ত ও স্থায়ী যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব পাস করেছে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদ। জাতিসংঘের ফিলিস্তিনি শরণার্থীবিষয়ক সংস্থার ইউএনআরডব্লিউএ’র সমর্থনেও আলাদা প্রস্তাব পাস হয়েছে। ইসরায়েল আইন করে এই সংগঠনকে তাদের দেশে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে।
বুধবার (১১ ডিসেম্বর) পাস হওয়া ওই প্রস্তাবে বলা হয়েছে, গাজা ভূখণ্ডে অবিলম্বে নিঃশর্তে স্থায়ী যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করতে হবে। কর্মকর্তাদের মতে, গত এক বছরেরও বেশি সময় ধরে চলা এই যুদ্ধের ফলে গাজায় ৪৪ হাজার মানুষ নিহত হয়েছেন।
এই প্রস্তাবকে অবশ্যপ্রতীকী পদক্ষেপ মনে করা হচ্ছে, কারণ ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্র তা খরিজ করে দিয়েছে। আর ইসরায়েলের ওপর এই প্রস্তাব মানার কোনো আইনি বাধ্যবাধকতাও নেই। তবে রাজনৈতিক দিক থেকে দেখতে গেলে এর একটা চাপ আছে। কারণ, এতগুলো দেশ যখন কোনো প্রস্তাবে সমর্থন দেয়, তখন তাকে পুরো বিশ্বের মত প্রকাশ বলে বিবেচনা করা হয়।
এদিকে, যুক্তরাষ্ট্রের বক্তব্য ছিল, গাজায় ইসরায়েলি জিম্মিদের মুক্ত করার শর্তে যুদ্ধবিরতি হতে পারে। না হলে হামাস ওই বন্দিদের মুক্তি দেবে না। যুক্তরাষ্ট্রের ডেপুটি অ্যাম্বাসেডর রবার্ট উড বলেছেন, এই প্রস্তাবের ভাষা ভুল ও লজ্জাজনক।
বুধবার যুদ্ধবিরতির ওই প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দেয় ১৫৮টি দেশ। বিপক্ষে ভোট পড়ে ৯টি। আর ১৩টি দেশ ভোটদান থেকে বিরত থাকে। প্রস্তাবে বলা হয়েছে, অবিলম্বে নিঃশর্তে, স্থায়ী যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করতে হবে। বন্দিদের নিঃশর্তে মুক্তি দিতে হবে।
এদিন সাধারণ পরিষদে আরেকটি প্রস্তাব অনুমোদিত হয়। সেখানে ফিলিস্তিনি উদ্বাস্তুদের নিয়ে জাতিসংঘের সংগঠন ইউএনআরডব্লিউএ নিয়ে এই প্রস্তাবের পক্ষে ১৫৯টি দেশ ভোট দেয়, ইসরায়েল, যুক্তরাষ্ট্র-সহ সাতটি দেশ এর বিরুদ্ধে ভোট দেয়। ১১টি দেশ ভোটদানে বিরত থাকে।
এই প্রস্তাবে ইউএনআরডব্লিউএ নিয়ে ইসরায়েলের আইনের নিন্দা করা হয়েছে। বলা হয়েছে, ইসরায়েল যেন ইউএনআরডব্লিউএ-কে যথাযোগ্য মর্যাদা দেয় এবং তাদের কাজে যেন কোনও বাধা না দেয়।
এই প্রস্তাব পাস করার আগে জাতিসংঘের সদস্য দেশগুলোর অনেকেই তাদের ভাষণে ফিলিস্তিনকে সমর্থন জানায়।
জাতিসংঘে ফিলিস্তিনের দূত রিয়াদ মানসুর বলেন, গাজা এখন যন্ত্রণার ক্ষতচিহ্ন হয়ে আছে। স্লোভেনিয়ার দূত বলেছেন, গাজা পুরোপুরি ধ্বংস হয়ে গেছে। আলজেরিয়ার ডেপুটি অ্যাম্বাসেডার বলেছেন, ফিলিস্তিনের দুরবস্থা নিয়ে চুপ করে থাকার জন্য বিশ্বকে বড় মূল্য দিতে হবে।
মন্তব্য করুন


আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ
মাত্র ৪ মিনিটের ব্যবধানে ইসরাইলে ৭০টি রকেট হামলা চালিয়েছে লেবাননভিত্তিক সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহ। আতঙ্কে সতর্ক সাইরেন বেজে উঠেছে ইসরাইলি শহরে। খবর বিবিসির
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স এ দেওয়া এক পোস্টে ইসরাইল জানায়, সকাল ১১টা ৯ মিনিট থেকে ১১টা ১২ মিনিটের মধ্যে ওয়েস্টার্ন গ্যালি ও আপার গ্যালির মধ্যে সতর্ক সাইরেন বেজে ওঠে।
৭০টি রকেটই লেবানন থেকে নিক্ষেপ করা হয়েছে বলে জানিয়েছে ইসরাইলি সামরিক বাহিনী।
গত বছরের ৭ অক্টোবর অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকা থেকে ইসরাইল অভিমুখে হাজার হাজার রকেট ছুড়ে মুক্তিকামী ফিলিস্তিনিদের সশস্ত্র সংগঠন হামাস। এতে ইসরাইলে নিহত হয়েছেন এক হাজার ৪০০ জন।
এরপর বছরের পর বছর অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় চালানো নিপীড়ন আরও জোরালো করে ইসরাইলি বাহিনী। সেদিনের পর থেকে চালানো সামরিক অভিযানে প্রাণ হারিয়েছে ৪০ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি, আহত ৯০ হাজারেরও বেশি। হতাহতদের বেশিরভাগই বেসামরিক।
গাজায় ইসরাইলি অভিযান শুরুর পর থেকে একাধিকবার লেবানন সীমান্তে সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে। দুই দেশই সীমান্ত থেকে বেসামরিক নাগরিকদের সরিয়ে নিয়েছে। লেবাননের উত্তরাঞ্চলীয় সীমান্তের নিয়ন্ত্রণ হিজবুল্লাহর কাছে।
ইসরাইলের সঙ্গে সংঘাতে এখন পর্যন্ত শতাধিক যোদ্ধা নিহত হয়েছেন। তবে এখন সীমান্তবর্তী এলাকা ছাপিয়ে এবার পরস্পরের সীমান্ত থেকে মূল ভূখণ্ডের বেশ ভেতরে হামলা চালানো শুরু করেছে দুই দেশ। এতে করে ক্রমেই বেড়ে চলছে নিহতের সংখ্যা।
মন্তব্য করুন


আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ
ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা ভূখণ্ডে জরুরিভিত্তিতে মানবিক সহায়তার প্রবেশাধিকার বাড়ানোর জন্য ইসরায়েলকে ৩০ দিনের সময় বেঁধে দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।
আর তা না হলে ইসরায়েলকে দেওয়া মার্কিন সরকারের কিছু সামরিক সহায়তায় কাটছাঁট করা হবে বলেও সতর্ক করে দিয়েছে ওয়াশিংটন। বিষয়টি জানিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে ইসরায়েলি সরকারকে ইতোমধ্যেই একটি চিঠিও দেওয়া হয়েছে।
বুধবার (১৬ অক্টোবর) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে ইসরায়েলকে চিঠিটি পাঠানো হয় গত রোববার। এই চিঠিটি মার্কিন সরকারের পক্ষ থেকে তার মিত্র দেশটির কাছে এখন পর্যন্ত জ্ঞাত সবচেয়ে কঠোর লিখিত সতর্কতা।
এছাড়া উত্তর গাজায় ইসরায়েলের নতুন আক্রমণের মধ্যে মার্কিন চিঠি হাতে পেল ইসরায়েল। এই আক্রমণে বিপুল সংখ্যক বেসামরিক হতাহতের ঘটনা ঘটছে বলে জানা গেছে।
চিঠিতে বলা হয়েছে, গাজায় অবনতিশীল মানবিক পরিস্থিতি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের গভীর উদ্বেগ রয়েছে। এতে আরও বলা হয়েছে, ইসরায়েল গত মাসে গাজার উত্তর ও দক্ষিণাঞ্চলের মধ্যে মানবিক সহয়িতার পরিবহনের প্রায় ৯০ শতাংশকেই বাধা দিয়েছে।
এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের দেওয়া এই চিঠিটি ইসরায়েল পর্যালোচনা করছে বলে একজন ইসরায়েলি কর্মকর্তা জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, ইসরায়েল “এই বিষয়টিকে গুরুত্ব সহকারে নিচ্ছে” এবং যুক্তরাষ্ট্রের সাথে “দেশটির উত্থাপিত উদ্বেগের সমাধান” করতে চায়।
ইসরায়েল এর আগে বলেছে, তারা গাজার উত্তরে হামাস যোদ্ধাদের লক্ষ্যবস্তু করে হামলা চালাচ্ছে এবং মানবিক সাহায্যের প্রবেশ বন্ধ করছে না।
এছাড়া গাজায় ক্রসিং পরিচালনার দায়িত্বে থাকা ইসরায়েলি সামরিক সংস্থা কোগাট গত সোমবার বলেছে, বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচির সাহায্য বহনকারী ৩০টি লরি ইরেজ ক্রসিং দিয়ে উত্তর গাজায় প্রবেশ করেছে।
এর আগে জাতিসংঘ বলেছিল, উত্তরে কোনও ধরনের খাদ্য সহায়তা বিতরণ করা হয়নি এবং সেখানে ৪ লাখ ফিলিস্তিনির বেঁচে থাকার জন্য প্রয়োজনীয় সহায়তা ও অন্যান্য সরঞ্জাম শেষ হয়ে গেছে।
টানা এক বছরেরও বেশি সময় ধরে গাজায় আগ্রাসন চালাচ্ছে ইসরায়েল। যুক্তরাষ্ট্র এখন পর্যন্ত ইসরায়েলের সবচেয়ে বড় অস্ত্র সরবরাহকারী এবং ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী গত এক বছরে গাজায় হামাসের বিরুদ্ধে আগ্রাসন অব্যাহত রাখতে মার্কিন সরবরাহকৃত বিমান, গাইডেড বোমা, ক্ষেপণাস্ত্র এবং শেলগুলোর ওপর অনেক বেশি নির্ভর করেছে।
এদিকে ইসরায়েল সরকারের কাছে পাঠানো যুক্তরাষ্ট্রের এই চিঠির বিষয়বস্তু মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্টও নিশ্চিত করেছে। এই চিঠিতে সই করেছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেন এবং প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিন।
এতে বলা হয়েছে, “আমরা এখন গাজার অবনতিশীল মানবিক পরিস্থিতির বিষয়ে মার্কিন সরকারের গভীর উদ্বেগকে জানানোর জন্য লিখছি এবং এই পরিস্থিতি বদলের জন্য এই মাসেই আপনার সরকারের কাছ থেকে জরুরি এবং টেকসই পদক্ষেপ চাই।”
এতে আরও বলা হয়েছে, এলাকা খালি করার ইসরায়েলি আদেশ ১৭ লাখ লোককে সংকীর্ণ উপকূলীয় আল-মাওয়াসি এলাকায় বাধ্য করেছে, সেখানে তারা চরম ভিড়ের কারণে “মারাত্মক সংক্রামনের উচ্চ ঝুঁকিতে” রয়েছেন এবং মানবিক সংস্থাগুলো রিপোর্ট করেছে, তাদের বেঁচে থাকার মতো প্রয়োজন মেটানো যাচ্ছে না।
মন্তব্য করুন


আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
সংযুক্ত আরব আমিরাত ও ওমানের পর এবার সৌদি আরবেও ব্যাপক বৃষ্টিপাতে বন্যার সৃষ্টি হয়েছে। দেশটির বিভিন্ন স্থানে অতিমাত্রায় বৃষ্টির পানি জমে বন্যা দেখা দিয়েছে। ক্ষয়ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছেন জনগণ। টানা কয়েকদিনের বৃষ্টিতে সৃষ্ট বন্যার পানিতে অনেক জায়গায় সাধারণ মানুষের গাড়ি ডুবে গেছে এবং রাস্তাঘাট বন্ধ হয়ে গেছে।
সাধারণ মানুষকে সহায়তা করার জন্য জরুরি সেবার কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা তাৎক্ষণিকভাবে কাজ শুরু করে দিয়েছেন। এদিকে উপসাগরীয় দেশটির আবহাওয়া কর্তৃপক্ষের জনসাধারনের ভ্রমণের ওপর সতর্কতার জারি করেছে। দেশটিতে স্কুলও বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। স্কাই নিউজ এবং সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রচারিত কিছু ভিডিও ফুটেজে দেখা গেছে, সোমবার আল-উলা এবং আল-মদিনা প্রদেশে আকস্মিক বন্যা হানা দিয়েছে।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশিত বিভিন্ন ভিডিওতে দেখা গেছে, পবিত্র নগরী মদিনার মসজিদে নববীর কাছে প্রবল বৃষ্টি হচ্ছে। সৌদির জাতীয় আবহাওয়া কেন্দ্র মদিনার জন্য সর্বোচ্চ লাল সতর্কতা জারি করেছে। তারা আবহাওয়ার পূর্বাভাসে জানিয়েছে, মদিনায় আরো বজ্রসহ বৃষ্টি এবং ঝড়োহাওয়া বয়ে যেতে পারে।
মদিনা অঞ্চলের সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তর সাধারণ মানুষকে সতর্ক থাকার অনুরোধ করেছে। বৃষ্টির সময় উপত্যকা এবং জলধারাগুলো থেকে দূরে থাকার আহ্বান জানিয়েছে তারা। এছাড়া কৃষিপণ্য পরিবহনের রাস্তা দিয়ে চলাচলের সময় বিশেষ সতর্কতা অবলম্বন করতে বলা হয়েছে।
সৌদির দক্ষিণ-পূর্বে প্রতিবেশী সংযুক্ত আরব আমিরাত এবং ওমানে আকস্মিক বন্যার কয়েকদিন পরেই এই অঞ্চলে এমন বৃষ্টিপাত হচ্ছে। বছরের এই সময় বিরল বৃষ্টি জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে বলে ধারণা করা হচ্ছে। ২০২২ সালের নভেম্বরে সৌদি আরব ভারি বৃষ্টিপাতের কারণে উপকূলীয় বন্যার কবলে পড়েছিল।
মন্তব্য করুন


আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
মিশরের রাজধানী কায়রোতে দ্বিতীয় দিনের মতো শুরু হয়েছে যুদ্ধবিরতি আলোচনা। এতে মধ্যস্থতা করছে কাতার ও মিশর কর্তৃপক্ষ। তবে হামাসের এক নেতা জানিয়েছেন, ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ব্যক্তিগতভাবে যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে বাধা দিচ্ছেন।
এছাড়া যুদ্ধবিরতি চুক্তি কার্যকর করতে ইসরাইলেও চলছে সরকারবিরোধী বিক্ষোভ। চুক্তি কার্যকর ও জিম্মিদের ফিরিয়ে আনতে নেতানিয়াহু প্রশাসনকে চাপ দিচ্ছেন তারা।
যুদ্ধবিধ্বস্ত উত্তর গাজায় এরই মধ্যে দুর্ভিক্ষ দেখা দিয়েছে বলে জানিয়েছে জাতিসংঘ। যা পুরো যুদ্ধবিধ্বস্ত উপত্যকাটিতে ছড়িয়ে পড়ছে। কারণ ইসরাইল প্রয়োজনীয় খাদ্য সরবরাহে বাধা দিচ্ছে।
গত ৭ অক্টোবরের পর ইসরাইলের হামলায় ৩৪ হাজার ৬৫৪ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন ৭৭ হাজার ৯০৮ জন।
অন্যদিকে যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের পর বেশ কয়েকটি দেশের একাধিক বিশ্ববিদ্যালয়ে ছড়িয়ে পড়েছে ইসরাইলবিরোধী আন্দোলন। গত মাস থেকে যুক্তরাষ্ট্রের কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে সর্বপ্রথম এ বিক্ষোভ শুরু হয়। একপর্যায়ে তা দেশটির অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়েও ছড়িয়ে পড়ে। পরে তা কানাডা, যুক্তরাজ্য, অস্ট্রেলিয়া, ফ্রান্সের মতো দেশগুলোতে বিস্তৃত হতে শুরু করে। আসুন দেখে নেওয়া যাক, বিশ্বের কোন কোন দেশে এ আন্দোলন চলছে।
মন্তব্য করুন