আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
মিশরের রাজধানী কায়রোতে দ্বিতীয় দিনের মতো শুরু হয়েছে যুদ্ধবিরতি আলোচনা। এতে মধ্যস্থতা করছে কাতার ও মিশর কর্তৃপক্ষ। তবে হামাসের এক নেতা জানিয়েছেন, ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ব্যক্তিগতভাবে যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে বাধা দিচ্ছেন।
এছাড়া যুদ্ধবিরতি চুক্তি কার্যকর করতে ইসরাইলেও চলছে সরকারবিরোধী বিক্ষোভ। চুক্তি কার্যকর ও জিম্মিদের ফিরিয়ে আনতে নেতানিয়াহু প্রশাসনকে চাপ দিচ্ছেন তারা।
যুদ্ধবিধ্বস্ত উত্তর গাজায় এরই মধ্যে দুর্ভিক্ষ দেখা দিয়েছে বলে জানিয়েছে জাতিসংঘ। যা পুরো যুদ্ধবিধ্বস্ত উপত্যকাটিতে ছড়িয়ে পড়ছে। কারণ ইসরাইল প্রয়োজনীয় খাদ্য সরবরাহে বাধা দিচ্ছে।
গত ৭ অক্টোবরের পর ইসরাইলের হামলায় ৩৪ হাজার ৬৫৪ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন ৭৭ হাজার ৯০৮ জন।
অন্যদিকে যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের পর বেশ কয়েকটি দেশের একাধিক বিশ্ববিদ্যালয়ে ছড়িয়ে পড়েছে ইসরাইলবিরোধী আন্দোলন। গত মাস থেকে যুক্তরাষ্ট্রের কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে সর্বপ্রথম এ বিক্ষোভ শুরু হয়। একপর্যায়ে তা দেশটির অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়েও ছড়িয়ে পড়ে। পরে তা কানাডা, যুক্তরাজ্য, অস্ট্রেলিয়া, ফ্রান্সের মতো দেশগুলোতে বিস্তৃত হতে শুরু করে। আসুন দেখে নেওয়া যাক, বিশ্বের কোন কোন দেশে এ আন্দোলন চলছে।
মন্তব্য করুন
ইসরায়েলের বিমান বাহিনী সিরিয়ায় ইতিহাসের সবচেয়ে বড় হামলা চালিয়েছে আসাদ সরকারের পতনের পর। ইসরায়েলের নিরাপত্তা–সংশ্লিষ্ট সূত্রের বরাতে দেশটির সংবাদমাধ্যম এই তথ্য জানিয়েছে। আল জাজিরার খবরে এমনই উল্লেখ করা হয়েছে।
সিরিয়ার ভূখণ্ডে অন্তত ২৫০টিরও বেশি সামরিক লক্ষ্যবস্তুতে আক্রমণ করেছে ইসরায়েল। গত ২৪ বছর ধরে ক্ষমতায় থাকা বাশার আল-আসাদ বিদ্রোহীদের আক্রমণে গত রোববার দেশ ছেড়ে পালিয়ে রাশিয়ায় আশ্রয় নিয়েছেন।
রাষ্ট্রনিয়ন্ত্রিত ইসরায়েলি আর্মি রেডিও অসমর্থিত সূত্রের বরাতে জানিয়েছে, হামলার লক্ষ্যবস্তু ছিল আসাদের সামরিক ঘাঁটি, কয়েক ডজন যুদ্ধবিমান, ভূমি থেকে নিক্ষেপযোগ্য ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা, উৎপাদন ক্ষেত্র, গুদাম এবং ভূমি থেকে ভূমিতে নিক্ষেপযোগ্য ক্ষেপণাস্ত্র।
ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু আসাদ সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করার কৃতিত্ব দাবি করেছেন। সিরিয়া-ইসরায়েল সীমান্ত পরিদর্শনে গিয়ে নেতানিয়াহু বলেন, “আসাদ সরকারের প্রধান সমর্থক ইরান ও হিজবুল্লাহর ওপর আমরা যে আঘাত হেনেছি, তার প্রত্যক্ষ ফলাফল এটি।”
মন্তব্য করুন
আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
রাশিয়ায় ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন সরবরাহের অভিযোগে ইরানের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করলো ইউরোপের দেশগুলোর জোট ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)। ইরানের বেশ কয়েকজন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের ওপর এই নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে।
সোমবার ইউরোপীয় কাউন্সিল জানায়, ইউক্রেনের বিরুদ্ধে যুদ্ধে ব্যবহারের জন্য মস্কোয় অস্ত্র ও সরঞ্জাম সরবরাহের কারণে ইরানের সাত ব্যক্তি ও সাতটি প্রতিষ্ঠানের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হলো। তাদের সম্পদ জব্দ করা হবে ও তারা ইউরোপে ভ্রমণ করতে পারবেন না।
নিষেধাজ্ঞা পাওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে রয়েছেন- ইরানের উপ-প্রতিরক্ষামন্ত্রী সৈয়দ হামজা ঘালানদারি, ইসলামিক রেভল্যুশনারি গার্ড কর্পসের কুদস ফোর্সের উচ্চপদস্থ সদস্য ও ইরানের তিনটি বিমান সংস্থা যার মধ্যে ইরান এয়ারও রয়েছে।
ইউরোপীয় কমিশনের সভাপতি উরসুলা ভন ডার লায়েন এই নিষেধাজ্ঞাকে স্বাগত জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ইউক্রেনের বিরুদ্ধে রাশিয়ার আগ্রাসী যুদ্ধে ইরান সরকারের সমর্থন অগ্রহণযোগ্য ও এটি অবশ্যই বন্ধ হতে হবে। এমন পরিস্থিতিতে আমি রাশিয়ায় ইরানের ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র সরবরাহের প্রতিক্রিয়ায় আমাদের এই নিষেধাজ্ঞা আরোপকে স্বাগত জানাই।
ইউক্রেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আন্দ্রি সিবিহাও এই নিষেধাজ্ঞাকে স্বাগত জানিয়েছেন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে দেওয়া পোস্টে তিনি লিখেছেন, যারা আগ্রাসনকে সমর্থন দেয়, তাদের অবশ্যই দায় নিতে হবে ও মূল্য দিতে হবে।
ইইউ’র নিষেধাজ্ঞা আরোপের পর মঙ্গলবার ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ইসমাইল বাঘাই বলেন, ইরান রাশিয়ায় কোনও ক্ষেপণাস্ত্র সরবরাহ করেনি। এসব নিষেধাজ্ঞা আন্তর্জাতিক আইনের পরিপন্থী।
এর আগে সোমবার ইসরায়েলে ক্ষেপণাস্ত্র হামলার অভিযোগে ইরানের শীর্ষ সামরিক কর্মকর্তাদের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে যুক্তরাজ্য। এছাড়া গত শুক্রবার ইরানের তেল খাতের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে যুক্তরাষ্ট্র।
মন্তব্য করুন
আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ
ভারতের কেরালার ওয়ানাড় লোকসভা উপনির্বাচনে মনোনয়ন জমার মধ্য দিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে নির্বাচনী রাজনীতিতে প্রবেশ করলেন কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক প্রিয়াঙ্কা গান্ধী।
আগামী ১৩ নভেম্বর ওই আসনে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচনী এলাকা ওয়ানাড় আগে প্রিয়াঙ্কার ভাই রাহুল গান্ধীর দখলে ছিল। রাহুল সেখান থেকে ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে জয়লাভ করেছিলেন।
যানা গেছে, সোনিয়া গান্ধী, রাহুল গান্ধী, কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে এবং সর্বভারতীয় কংগ্রেস কমিটির সাধারণ সম্পাদক কেসি বেণুগোপালসহ কংগ্রেস নেতাদের উপস্থিতিতে ওয়ানাড় কালেক্টরেটে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন প্রিয়াঙ্কা।
মনোনয়ন জমার আগে কালপেট্টায় বিশাল জনসভায় ভাষণ দেন তিনি। সেখানে তার ৩৫ বছরের রাজনৈতিক অভিজ্ঞতার কথা তুলে ধরেন। ১৯৮৯ সালে প্রয়াত বাবা রাজীব গান্ধীর পক্ষে প্রচারের মাধ্যমে তার রাজনৈতিক জীবন শুরু হয়েছিল বলে জানান।
এদিকে, রাহুল গান্ধীও ভোটারদের তার বোনকে সমর্থন করার আহ্বান জানিয়েছেন। এক রোড-শোতে প্রিয়াঙ্কার স্বামী রবার্ট বঢরা এবং তাদের এক সন্তানকেও খোলা ছাদের গাড়িতে দেখা গেছে।
মন্তব্য করুন
আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
ইউক্রেনের বিভিন্ন শহরে রাশিয়ার হামলায় অন্তত ২৩ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি। ইউক্রেনের কর্মকর্তারা এই মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভে দিনে চালানো বিরল হামলায় অন্তত ৯ জন নিহত হয়েছে। শহরটির মেয়র জানিয়েছেন, উদ্ধারকাজের সময় একটি শিশু হাসপাতালেও ক্ষেপণাস্ত্র আঘাত হেনেছে।
কিরিভিহ রিহ শহরের সামরিক প্রশাসনের প্রধান জানিয়েছেন, ওই এলাকায় রাশিয়ার হামলায় অন্তত ১০ জন নিহত হয়েছে। এছাড়াও পেক্রোভস্কে তিন জন নিহত হয়েছে, ডিনিপ্রো শহরে একজন নিহত হয়েছে।
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি পোল্যান্ড শহরে থাকা অবস্থায় জানিয়েছেন, এই দিন তার দেশে ৪০টির বেশি ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানো হয়েছে।
জেলেনস্কি বলেছেন, কিয়েভ, দিনিপ্রো, কিরিভি রিহসহ বিভিন্ন শহরে ৪০টির বেশি বিভিন্ন ধরনের ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানো হয়েছে। এতে আবাসিক ভবন, অবকাঠামো ও শিশু হাসপাতাল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
মন্তব্য করুন
আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ
আদানি গ্রুপের কাছ থেকে বিদ্যুৎ আমদানির পরিমাণ অর্ধেকে নামিয়ে এনেছে বাংলাদেশ। এর কারণ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে, শীতকালে বিদ্যুতের চাহিদা তুলনামূলক কমে যাওয়া। কয়েকশ মিলিয়ন ডলারের বকেয়া নিয়ে মতবিরোধের মধ্যেই এমন সিদ্ধান্ত নিলো বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (পিডিবি)। সোমবার (২ ডিসেম্বর) ব্রিটিশ বার্তাসংস্থা রয়টার্স এসব তথ্য জানিয়েছে।
বাংলাদেশ বকেয়া পরিশোধে দেরি করায় আদানি পাওয়ার ৩১ অক্টোবর থেকে বাংলাদেশে বিদ্যুৎ সরবরাহ অর্ধেক করে দিয়েছে। সেসময় বাংলাদেশ বৈদেশিক মুদ্রার ঘাটতির মুখোমুখি ছিল। এরই ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশ সরকার আদানিকে আপাতত অর্ধেক বিদ্যুৎ সরবরাহ বজায় রাখতে বলেছে। তবে পুরোনো বকেয়া পরিশোধের আশ্বাস দিয়েছে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।
বাংলাদেশ পাওয়ার ডেভেলপমেন্ট বোর্ডের (বিপিডিবি) চেয়ারম্যান মো. রেজাউল করিম বলেন, আদানি আমাদের সরবরাহ কমিয়ে দেওয়ায় আমরা একই সঙ্গে হতবাক ও ক্ষুব্ধ হয়েছি। শীতের সময় বিদ্যুৎ চাহিদা কম থাকায় আমরা তাদের বলেছি, প্ল্যান্টের দুটি ইউনিট চালানোর প্রয়োজন নেই।
২০১৭ সালে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারের সঙ্গে সই হওয়া ২৫ বছরের একটি চুক্তির অধীনে ভারতের ঝাড়খণ্ডে অবস্থিত আদানি গ্রুপের ২০০ কোটি ডলারের বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে বাংলাদেশে বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হচ্ছে। কেন্দ্রটির দুটি ইউনিট রয়েছে, প্রতিটির উৎপাদন ক্ষমতা প্রায় ৮০০ মেগাওয়াট।
জানা যায়, নভেম্বরে প্ল্যান্টটি মাত্র ৪১ দশমিক ৮২ শতাংশ সক্ষমতায় চালু ছিল, যা এ বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন। ১ নভেম্বর থেকে প্ল্যান্টের একটি ইউনিট বন্ধ।
বিপিডিবির একটি সূত্র জানিয়েছে, গত শীতে বাংলাদেশ আদানি থেকে প্রতিমাসে প্রায় এক হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ কিনেছিল। তারা আরও জানায়, আদানি পিডিবিকে জিজ্ঞেস করেছিল তারা আবার কবে থেকে স্বাভাবিক ক্রয় শুরু করবে, তবে এ বিষয়ে এখনো কোনো নির্দিষ্ট উত্তর দেওয়া হয়নি।
আদানি পাওয়ারের একজন মুখপাত্র বলেন, আমরা বাংলাদেশে বিদ্যুৎ সরবরাহ চালিয়ে যাচ্ছি। তবে বকেয়া পরিশোধ নিয়ে তৈরি হওয়া পরিস্থিতি আমাদের জন্য একটি বড় উদ্বেগের কারণ। এটি প্ল্যান্টের কার্যক্রমকে টেকসই রাখতে চ্যালেঞ্জ সৃষ্টি করছে।
তিনি আরও বলেন, আমরা বিপিডিবি ও সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ করছি। তারা আমাদের আশ্বস্ত করেছেন যে, শিগগির সব বকেয়া পরিশোধ করা হবে। মুখপাত্রের মতে, আদানি আত্মবিশ্বাসী বাংলাদেশ তাদের প্রতিশ্রুতি পূরণ করবে, যেমনভাবে আদানি তাদের চুক্তির দায়বদ্ধতা বজায় রেখেছে।
বিপিডিবি চেয়ারম্যান রেজাউল করিম জানান, বাংলাদেশের এখন পর্যন্ত আদানির প্রায় ৬৫০ মিলিয়ন ডলার বকেয়া রয়েছে। এর মধ্যে গত মাসে প্রায় ৮৫ মিলিয়ন ডলার এবং অক্টোবরে ৯৭ মিলিয়ন ডলার পরিশোধ করা হয়েছে।
অন্যদিকে, আদানি পাওয়ারের একটি সূত্র নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানিয়েছে, বকেয়ার পরিমাণ এখন প্রায় ৯০০ মিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছে। আদালত আদানির সঙ্গে হওয়া চুক্তি বাতিল না করলে বাংলাদেশ সরকার চুক্তির আওতায় বিদ্যুৎ কেনার দাম অনেকটা কমাতে চায় বলে রোববার রয়টার্সকে জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের বিদ্যুৎ ও জ্বালানি উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান।
বাংলাদেশের আদালত আদানি চুক্তিটি তদন্ত করে দেখার নির্দেশ দিয়েছেন। তবে আদানি পাওয়ারের মুখপাত্র বলেছেন, বাংলাদেশ চুক্তি পুনর্মূল্যায়ন করছে বলে তাদের কাছে এমন কোনো ইঙ্গিত নেই।
জানা গেছে, ২০২৪ সালের ৩০ জুন শেষ হওয়া অর্থবছরে আদানির বিদ্যুতের প্রতি ইউনিট খরচ ছিল ১৪ টাকা ৮৭ পয়সা। তুলনায় অন্যান্য ভারতীয় সরবরাহকারীর গড় ইউনিট খরচ ছিল ৯ টাকা ৫৭ পয়সা। বাংলাদেশে খুচরা বিদ্যুতের দাম প্রতি ইউনিট ৮ টাকা ৯৫ পয়সা। ফলে সরকারকে বার্ষিক ৩২০ বিলিয়ন টাকা (২.৭ বিলিয়ন ডলার) বিদ্যুৎ ভর্তুকি দিতে হচ্ছে।
উপদেষ্টা ফাওজুল কবির খান বলেন, দাম বেশি হওয়ায় সরকারকে ভর্তুকি দিতে হচ্ছে। আমরা চাই শুধু আদানির ক্ষেত্রে নয়, বিদ্যুতের দাম সামগ্রিকভাবেই গড় খুচরা মূল্যের নিচে নেমে আসুক। তবে আদানির কাছ থেকে বিদ্যুৎ ক্রয় অব্যাহত থাকবে।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের নিজস্ব চাহিদা পূরণের জন্য যথেষ্ট স্থানীয় সক্ষমতা রয়েছে। যদিও গ্যাস সংকট বা অন্যান্য সমস্যায় কিছু বিদ্যুৎকেন্দ্র বসে রয়েছে অথবা সক্ষমতার চেয়ে কম বিদ্যুৎ উৎপাদন করছে। তবে আদানি সরবরাহ কমিয়ে অর্ধেক করে দেওয়ার পরও কোনো সমস্যা হয়নি।
সূত্র: রয়টার্স
মন্তব্য করুন
আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
অবশেষে ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিতে যাচ্ছে নরওয়ে, আয়ারল্যান্ড ও স্পেন। দেশগুলোর নেতারা জানিয়েছেন, আগামী সপ্তাহে আনুষ্ঠানিকভাবে এই স্বীকৃতি দেওয়া হবে। মধ্যপ্রাচ্যে শান্তি ফেরাতেই তাদের এই উদ্যোগ। তবে দেশ তিনটির এমন পদক্ষেপে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে ইসরায়েল।
নরওয়ের প্রধানমন্ত্রী জোনাস গহর স্টোর বুধবার (২২ মে) বলেছেন, দ্বি-রাষ্ট্র সমাধান ইসরায়েলের সর্বোত্তম স্বার্থ ছিল। আগামী ২৮ মের মধ্যে এই স্বীকৃতি আসতে পারে।
নরওয়ের ঘোষণার পরপরই আয়ারল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী সাইমন হ্যারিস বলেন, তার দেশও ফিলিস্তিনকে একটি রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেবে।
হ্যারিস বলেন, আয়ারল্যান্ড, নরওয়ে ও স্পেন ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিতে যাচ্ছে। আমরা সবাই এখন এই সিদ্ধান্ত কার্যকরে জাতীয়ভাবে পদক্ষেপ গ্রহণ করবো।
স্পেনের প্রধানমন্ত্রী পেদ্রো সানচেজ বুধবার বলেছেন, দেশটির মন্ত্রী পরিষদও ২৮ মে ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দেবে।
কিছুদিন ধরেই ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার ইঙ্গিত দিচ্ছে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্য আয়ারল্যান্ড, স্পেন, স্লোভেনিয়া ও মাল্টা। সমন্বিতভাবে এই ঘোষণা দেওয়ার ইঙ্গিত দেয় তারা। দেশগুলোর মতে, মধ্যপ্রাচ্যে স্থায়ী শান্তির জন্য দ্বি-রাষ্ট্রীয় সমাধান অপরিহার্য।
মন্তব্য করুন
ডেস্ক রিপোর্টঃ
বাংলাদেশের সব নাগরিকের নিরাপত্তা নিশ্চিতে অন্তর্বর্তী সরকারের নেওয়া অব্যাহত পদক্ষেপগুলোকে স্বাগত জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। মঙ্গলবার (৩ ডিসেম্বর) যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তর এ কথা জানিয়েছে।
বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা দেওয়ার ক্ষেত্রে অন্তর্বর্তী সরকারের কথিত 'নিষ্ক্রিয়তা'র অভিযোগের ব্যাপারটি যুক্তরাষ্ট্র কিভাবে দেখছে, ভয়েস অফ আমেরিকা বাংলার করা এ প্রশ্নের জবাবে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর থেকে পাঠানো এক ইমেইলে এক মুখপাত্র এ কথা জানান।
মুখপাত্র জানান, আমরা সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের সদস্যদের উপর সহিংসতা ও তাদের প্রতি অসহিষ্ণুতার যেকোন ঘটনার নিন্দা জানাই এবং বাংলাদেশের সব নাগরিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য অন্তর্বর্তী সরকারের নেওয়া অব্যাহত পদক্ষেপগুলোকে স্বাগত জানাই।
বাংলাদেশে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ওপর নিপীড়নের যে ঘটনাগুলো ঘটছে সে বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থানের ব্যাপারে জানতে চাইলে, পররাষ্ট্র দপ্তর থেকে জানানো হয়, যুক্তরাষ্ট্র ধর্ম বা বিশ্বাসের স্বাধীনতা এবং মতপ্রকাশের স্বাধীনতা, শান্তিপূর্ণ সমাবেশ ও সংগঠন ( করার স্বাধীনতা কে ) মৌলিক স্বাধীনতা হিসেবে সমর্থন করে। আমরা নিয়মিতভাবে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারসহ আমাদের সকল অংশীদারদের কাছে সেই সমর্থনের কথা জানাই।
বাংলাদেশে ইসকনকে ‘সন্ত্রাসী সংগঠন’ হিসেবে ঘোষণা করার দাবি ও চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের জামিন না পাওয়া প্রসঙ্গে আরেকটি প্রশ্নের উত্তরে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র জানান, বাংলাদেশের আইন অনুযায়ী ও সংবিধানে ( নাগরিকদের ) যে অধিকারগুলোর নিশ্চয়তা দেওয়া হয়েছে, তার আলোকে এ ইস্যুগুলো সমাধান করার দায়িত্ব বাংলাদেশ সরকারের। আমরা বাংলাদেশসহ সকল দেশকে মত প্রকাশের স্বাধীনতা, শান্তিপূর্ণ সমাবেশ ও সংগঠন করার স্বাধীনতা এবং ধর্ম বা বিশ্বাসের স্বাধীনতা সমুন্নত রাখার জন্য আহ্বান জানাই।
ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে ক্রমবর্ধমান উত্তেজনার মধ্যে আঞ্চলিক নিরাপত্তা প্রোমোটে যুক্তরাষ্ট্র কী ধরণের পদক্ষেপ নেওয়ার পরিকল্পনা করছে বলে প্রশ্ন করা হলে পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র জানান, আমরা বাংলাদেশ ও ভারত উভয়ের সাথেই আমাদের সম্পর্ককে গভীরভাবে মূল্য দিই। তাদের একে অপরের সাথে কূটনৈতিক সম্পর্কের ব্যাপারটি আমরা বাংলাদেশ ও ভারতের সরকারের উপরই ছেড়ে দিয়েছি।
মন্তব্য করুন
আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ
ইসরায়েল ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় অবিরাম বিমান ও স্থল হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। এতে গাজার হাসপাতাল, স্কুল, শরণার্থী শিবির, মসজিদ, গির্জাসহ হাজার হাজার ভবন ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংস হয়ে গেছে। টানা এক বছরেরও বেশি সময় ধরে চালানো এই হামলায় এখন পর্যন্ত নিহত হয়েছেন ৪২ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি। সর্বক্ষনিক এই আগ্রাসনে গাজা ভূখণ্ড পরিণত হয়েছে ধ্বংসস্তুপে।
প্রভাবশালী মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন জানিয়েছে, গাজায় ইসরায়েলি হামলায় নিহত ফিলিস্তিনিদের মরদেহ ছিড়ে খেয়ে ফেলছে কুকুর। এতে করে নিহত অনেকের মরদেহ শনাক্ত করা কঠিন হয়ে পড়েছে।
বুধবার (১৬ অক্টোবর) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে মার্কিন এই সংবাদমাধ্যমটি।
যুদ্ধ-বিধ্বস্ত গাজার উত্তরাঞ্চলের জরুরি পরিষেবার প্রধান ফারেস আফানা সিএনএনকে বলেছেন, তিনি এবং তার সহকর্মীরা উত্তর গাজায় নিহত ফিলিস্তিনিদের মরদেহ পেয়েছেন। যার মধ্যে কিছু মরদেহ প্রাণীদের খেয়ে ফেলার লক্ষণ রয়েছে।
তিনি বলেন, ক্ষুধার্ত কুকুরেরা রাস্তায় এসব মরদেহ খাচ্ছে। আর এ কারণে আমাদের জন্য মরদেহ শনাক্ত করা কঠিন হয়ে পড়েছে।
উত্তর গাজা এবং জাবালিয়া এলাকায় ইসরায়েলের বিমান ও স্থল হামলার কথা উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, ইসরায়েলি বাহিনী সবকিছু ধ্বংস করছে। ইসরায়েলের দাবি, গাজার এই এলাকায় হামাস সদস্যরা পুনরায় সংগঠিত হয়েছে।
গাজা স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষের মতে, গাজায় এখন পর্যন্ত ৪২ হাজার ৪০০ জনেরও বেশি লোক নিহত হয়েছেন। যাদের বেশিরভাগই নারী ও শিশু। এছাড়া ৯৯ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি আহত হয়েছেন।
সূত্র-দৈনিক ইত্তেফাক
মন্তব্য করুন
ডেস্ক রিপোর্টঃ
ভারতে আধ্যাত্মিক ব্যক্তিত্ব হিসেবে পরিচয় দেওয়া ২৯ বছর বয়সী ধর্ম প্রচারক জয়া কিশোরীকে নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্যাপক সমালোচনা চলছে। সম্প্রতি কলকাতার এই মেয়ের হাতে বিশ্ববিখ্যাত ফ্যাশন কোম্পানি ডিওর-এর ২ লাখ রুপির ব্যাগ দেখা গেছে। সেই ব্যাগটি গরুর বাছুরের চামড়া দিয়ে তৈরি।
ভারতজুড়ে প্রচুর ভক্ত রয়েছে জয়ার। অনেকেই বিভিন্ন ধর্মীয় বচন শুনতে তার প্রোগ্রামে যুক্ত হন। ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের খবর, সম্প্রতি এয়ারপোর্টে তাকে দামি ব্যগটি নিয়ে ঘুরতে দেখা গেছে।
সংবাদমাধ্যম বলছে, শুধু দামের কারণে নয়, ব্যাগটি যে উপাদান দিয়ে তৈরি সেটাই বিতর্কের কেন্দ্রবিন্দুতে। ডিওর-এর ওয়েবসাইট অনুযায়ী, 'Dior Book Tote' হ্যান্ডব্যাগটি কটন এবং বাছুরের চামড়া দিয়ে তৈরি। যেহেতু জয়া হিন্দু ধর্মীয় প্রচারক, তাই তিনি নিজেই বাছুরের চামড়া দিয়ে তৈরি ব্যাগ নিয়ে ঘোরার কারণে ব্যাপক ট্রলের শিকার হয়েছেন।
এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রায়ই আধ্যাত্মিক বিকাশের জন্য বৈষয়িক সম্পত্তি ত্যাগ করার গুরুত্বের উপর জোর দিতেন জয়া কিশোরী। তাই এত দামি ব্যাগ দেখে অনেকেই তার বার্তার সত্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন।
জয়ার ব্যাগ নিয়ে ঘোরাফেরা করার ফুটেজ শেয়ার করে এক্স পোস্টে অনেকেই সমালোচনা করে যাচ্ছেন। একজন লিখেছেন, 'জয়া কিশোরী মানুষকে বস্তুবাদী হতে নিষেধ করেন, কিন্তু তিনি নিজেই ২ লক্ষ রুপির বেশি দামের একটি বিলাসবহুল ব্যাগ ব্যবহার করেন। তারা বেশিরভাগই এরকম, আমাদের ধর্মকে ব্যবহার করে মুনাফা অর্জন এবং বিলাসবহুল জীবনযাপন করে।'
এক্স ব্যবহারকারীরা জয়ার অন্যান্য ব্যয়বহুল সম্পদ নিয়েও চর্চা শুরু করেছেন। যেমন- এর আগেও দামি রোলেক্স ঘড়ি পরে দেখা গেছে ওই ধর্ম প্রচারককে।
তথ্যসূত্র: এনডিটিভি, হিন্দুস্তান টাইমস
মন্তব্য করুন
ভারত, অস্ট্রেলিয়া, যুক্তরাষ্ট্র ও জাপানকে নিয়ে গঠিত নিরাপত্তা বিষয়ক জোট কোয়াডের শীর্ষ পর্যায়ের বৈঠক বাতিল করা হয়েছে। আগামী সপ্তাহে অস্ট্রেলিয়ার সিডনিতে এ চার দেশের প্রধানমন্ত্রী ও প্রেসিডেন্টদের সম্মেলনে যোগ দেওয়ার কথা ছিল। তবে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন তার অস্ট্রেলিয়া সফর বাতিল করায় সম্মেলনটিও বাতিল করা হয়েছে।
বুধবার (১৭) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন।
অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী অ্যান্থনি আলবানিস বুধবার সকালেও আশা প্রকাশ করেছিলেন নির্ধারিত সূচি অনুযায়ী সম্মেলনটি হবে। কিন্তু পরবর্তীতে তিনি জানান, এটি বাতিলই করা হয়েছে।
১৭ থেকে ১৯ মে জাপানে গ্রুপ অব সেভেন জি-৭ জোটের সম্মেলন হবে। এখন কোয়াডভুক্ত দেশগুলোর নেতারা জি-৭ জোটের সম্মেলনের ফাঁকে আলাদাভাবে বৈঠক করতে পারেন।
যদিও জাপানে এ চার দেশের প্রধানদের আলাদা বৈঠক হওয়ার বিষয়টি এখনো নিশ্চিত হয়নি। তবে অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, ‘আমাদের কথা বলার বিষয়টি ভালো হবে।’
তিনি আরও বলেছেন, ‘কোয়াড একটি গুরুত্বপূর্ণ জোট। আমরা চাই নেতৃস্থানীয় পর্যায়ে বৈঠকটি হবে এবং আমরা এ সপ্তাহের শেষে এ নিয়ে আলোচনা করব।’
কয়েক সপ্তাহে আগেই মার্কিন প্রেসিডেন্ট বাইডেনের অস্ট্রেলিয়া সফরের বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছিল। এছাড়া তার পাপুয়া নিউ গিনিতেও যাওয়ার কথা ছিল। ঐতিহাসিক এ সফরে দেশটির সংসদে বক্তব্য দিতেন তিনি।
জাপানে কোয়াড সদস্য দেশগুলোর বিশেষ বৈঠক হবে নাকি হবে না এ বিষয়টি নিশ্চিত না হলেও, বাইডেনের সঙ্গে অজি প্রধানমন্ত্রী আলাদাভাবে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করবেন। এছাড়া বাইডেনকে আলাদাভাবেও অস্ট্রেলিয়ায় আসার আমন্ত্রণ জানিয়েছেন তিনি।
এদিকে বাইডেনের অস্ট্রেলিয়া সফর বাতিলের কারণ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে— তিনি নিজ দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়গুলো নিয়ে ব্যস্ত থাকবেন।
মন্তব্য করুন