

বর্তমান পরিস্থিতিতে সিরিয়ার দ্রুত সহায়তার প্রয়োজনীয়তা অনুভব করে দেশটির জন্য ৫০ মিলিয়ন ইউরো সহায়তার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে জার্মানি। দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী আনালেনা বেয়ারবক জানান, সিরিয়াকে সহায়তা দেওয়ার বিষয়টি অত্যন্ত জরুরি।
রবিবার সৌদি আরবের রাজধানী রিয়াদে পৌঁছেছেন জার্মান পররাষ্ট্রমন্ত্রী আনালেনা বেয়ারবক। তিনি একটি আঞ্চলিক সম্মেলনে যোগ দিতে রিয়াদে গেছেন। সম্মেলনে সিরিয়ার অন্তর্বর্তী সরকারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদ আল-শিবানিও উপস্থিত থাকবেন।
সম্মেলনের আগে এক সাক্ষাৎকারে বেয়ারবক সাংবাদিকদের বলেন, সিরিয়ার ক্ষমতাচ্যুত প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের মিত্রদের ওপর, যারা মানবাধিকার লঙ্ঘনে জড়িত, তাদের বিরুদ্ধে জার্মানি নিষেধাজ্ঞা বজায় রাখবে।
তিনি আরও বলেন, "ক্ষমতার এই পরিবর্তনকালে সিরিয়াকে দ্রুত অর্থনৈতিক সহায়তা প্রদান অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আমরা সিরিয়ার জনগণের পাশে দাঁড়াবো, যাদের এখনও মৌলিক সহায়তার প্রয়োজন রয়েছে। আমরা খাদ্য, জরুরি আশ্রয়, এবং স্বাস্থ্যসেবা সহায়তা দিতে আরও ৫০ মিলিয়ন ইউরো দেব।"
এর আগে দামেস্ক সফরের সময় বেয়ারবক বলেছিলেন, সিরিয়ার ওপর ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার বিষয়টি নির্ভর করবে সেখানে একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক রাজনৈতিক প্রক্রিয়া শুরু হওয়া বা না হওয়ার উপর।
উল্লেখ্য, ৭ জানুয়ারি দ্য ফাইনান্সিয়াল টাইমসের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, সিরিয়ার ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নিতে ইউরোপীয় ইউনিয়নকে আহ্বান জানাচ্ছে জার্মানি।
মন্তব্য করুন


প্রতিশোধ নিতে ইসরায়েলজুড়ে নতুন করে পাল্টা ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে ইরান। রোববার (১৫ জুন) কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার লাইভ প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, হাইফা, তেল আবিবসহ ইসরায়েলের বিভিন্ন শহরে ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় এখন পর্যন্ত সাতজন নিহত হয়েছে। চিকিৎসক ও স্থানীয় মিডিয়া এই তথ্য নিশ্চিত করেছে।
ইসরায়েলের তেল আবিব মেট্রোপলিটন এলাকার বাত ইয়াম শহরেও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে ইরান। এতে এখন পর্যন্ত ৩৫ জন নিখোঁজ রয়েছে। সেই সঙ্গে আহতের সংখ্যা ১০০ ছাড়িয়েছে।
ইসরায়েলের জরুরি পরিষেবা মেগান ডেভিড অ্যাডম জানিয়েছে, বাত ইয়ামে যে তিনজন নিহত হয়েছে তাদের মধ্যে একজন ১০ বছর বয়সী শিশু রয়েছে। এ ছাড়া নিহত অন্য দুইজন নারীর মধ্যে একজনের বয়স ৬৯ এবং আরেকজনের বয়স ৮০ বছর।
এদিকে ইরানে হামলা অব্যাহত রেখেছে ইসরায়েলি বাহিনী। সর্বশেষ, ইরানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের সদরদপ্তরে হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। এ ছাড়া নতুন করে এবার ইরানের তেল স্থাপনা ও গ্যাসক্ষেত্রে হামলা চালাচ্ছে ইসরায়েলি বাহিনী।
ইসরায়েলের হামলায় ইরানে এখন পর্যন্ত দুই শতাধিক নিহত হয়েছে। নিহতের মধ্যে ইরানের শীর্ষ সামরিক কর্মকর্তা ও কমান্ডার ও অন্তত ১২ জন পরমাণুবিজ্ঞানী রয়েছেন।
মন্তব্য করুন


বর্তমান পরিস্থিতিতে সিরিয়ার দ্রুত সহায়তার প্রয়োজনীয়তা অনুভব করে দেশটির জন্য ৫০ মিলিয়ন ইউরো সহায়তার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে জার্মানি। দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী আনালেনা বেয়ারবক জানান, সিরিয়াকে সহায়তা দেওয়ার বিষয়টি অত্যন্ত জরুরি।
রবিবার সৌদি আরবের রাজধানী রিয়াদে পৌঁছেছেন জার্মান পররাষ্ট্রমন্ত্রী আনালেনা বেয়ারবক। তিনি একটি আঞ্চলিক সম্মেলনে যোগ দিতে রিয়াদে গেছেন। সম্মেলনে সিরিয়ার অন্তর্বর্তী সরকারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদ আল-শিবানিও উপস্থিত থাকবেন।
সম্মেলনের আগে এক সাক্ষাৎকারে বেয়ারবক সাংবাদিকদের বলেন, সিরিয়ার ক্ষমতাচ্যুত প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের মিত্রদের ওপর, যারা মানবাধিকার লঙ্ঘনে জড়িত, তাদের বিরুদ্ধে জার্মানি নিষেধাজ্ঞা বজায় রাখবে।
তিনি আরও বলেন, "ক্ষমতার এই পরিবর্তনকালে সিরিয়াকে দ্রুত অর্থনৈতিক সহায়তা প্রদান অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আমরা সিরিয়ার জনগণের পাশে দাঁড়াবো, যাদের এখনও মৌলিক সহায়তার প্রয়োজন রয়েছে। আমরা খাদ্য, জরুরি আশ্রয়, এবং স্বাস্থ্যসেবা সহায়তা দিতে আরও ৫০ মিলিয়ন ইউরো দেব।"
এর আগে দামেস্ক সফরের সময় বেয়ারবক বলেছিলেন, সিরিয়ার ওপর ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার বিষয়টি নির্ভর করবে সেখানে একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক রাজনৈতিক প্রক্রিয়া শুরু হওয়া বা না হওয়ার উপর।
উল্লেখ্য, ৭ জানুয়ারি দ্য ফাইনান্সিয়াল টাইমসের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, সিরিয়ার ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নিতে ইউরোপীয় ইউনিয়নকে আহ্বান জানাচ্ছে জার্মানি।
মন্তব্য করুন


দেশজুড়ে বাড়তে থাকা বন্দুক সন্ত্রাস নিয়ন্ত্রণে কেন্দ্রীয় সরকারের উদ্যোগে একটি দপ্তর খোলার ঘোষণা দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিস হবেন সেই দপ্তরের প্রধান।
গত কয়েক বছরে বন্দুক হামলায় নিহতদের স্মরণে শনিবার হোয়াইট হাউসের রোজ গার্ডেন এক স্বরণসভার আয়োজন করা হয়েছিল। সেখানে যুক্তরাষ্ট্রের পার্লামেন্ট কংগ্রেসের বেশ কয়েকজন আইনপ্রণেতা ও বন্দুক সহিংসতায় নিহতদের আত্মীয়দের উপস্থিতিতে বাইডেন বলেন, ‘ঝড়ের মতো বাড়তে থাকা বন্দুক সহিংসতায় যুক্তরাষ্ট্র ছারখার হয়ে যাচ্ছে। এই সংকট নিয়ন্ত্রণে আমার নেতৃত্বাধীন প্রশাসন নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে।’
‘এই প্রচেষ্টার ধারাবাহিকতায় শিগগিরই একটি নতুন দপ্তর খোলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার, যেটির কাজ হবে এ সহিংসতা নিয়ন্ত্রণে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা। ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিস হবেন সেই দপ্তরের প্রধান।’
ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিস তার বক্তব্যে বলেন, ‘এক্ষেত্রে নষ্ট করার মতো সময় কিংবা জীবন— কোনোটাই আমাদের হাতে নেই। কারণ, প্রকৃত স্বাধীনতার সঙ্গে জনগণের জীবনের নিরাপত্তার বিষয়টি সরাসরি সম্পর্কিত।’
প্রসঙ্গত, মার্কিন সংবাদমাধ্যম ইউএসএ টুডে এবং নর্থইস্টার্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের যৌথ উদ্যোগে নির্মিত ডাটাবেইজের তথ্য অনুসারে, ২০২৩ সালের জানুয়ারি থেকে এ পর্যন্ত বন্দুক সহিংসতার জেরে যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন অঙ্গরাজ্যে ৩৫টি গণহত্যার ঘটনা ঘটেছে। এছাড়া বন্দুক সহিংসতার কারণে যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে গত ৯ মাসে নিহত হয়েছেন অন্তত ১৭১ জন।
তবে নতুন দপ্তর খোলা হলে তা যুক্তরাষ্ট্রে ক্রমবর্ধমান বন্দুক সহিংসতা নিয়ন্ত্রণে কতখানি কাজে আসবে, তা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছেন অনেক মার্কিন রাজনীতি বিশ্লেষক।
কারণ, বন্দুক সহিংসতা নিয়ন্ত্রণের প্রাথমিক ধাপ হলো আইন প্রণয়নের মাধ্যমে বন্দুক বাণিজ্য, অর্থাৎ কেনা-বেচা নিয়ন্ত্রণ করা। বাইডেন প্রশাসন এর আগে কয়েকবার বন্দুকের সহজলভ্যতা নিয়ন্ত্রণে আইন প্রণয়নের উদ্যোগ নিতে চেয়েছে; কিন্তু প্রত্যেকবারই তা ঠেকিয়ে দিয়েছেন কংগ্রেসের নিম্নকক্ষ হাউস অব রিপ্রেজেনেটিটিভস এবং উচ্চকক্ষ সিনেটের রিপাবলিকান আইনপ্রণেতারা।
বর্তমানে এটি আরও কঠিন, কারণ গত বছর কংগ্রেসের নির্বাচনে নিম্নকক্ষ হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভসে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করেছে রিপাবলিকান পার্টি।
তবে ধারণা করা হচ্ছে, আগামী ২০২৪ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে এই বন্দুক সহিংসতাকে গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু হিসেবে হাজির করার প্রস্তুতি নিচ্ছে জো বাইডেনের দল ডেমোক্রেটিক পার্টি। যদি সত্যিই এমন হয়, সেক্ষেত্রে আগামী নির্বাচনেও ভাইস প্রেসিডেন্ট পদে কমলা হ্যারিসের দাঁড়ানোর সম্ভাবনা প্রবল।
মন্তব্য করুন


মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সৌদি আরব সফরের পরিকল্পনা করছেন। এ সফরে বড় ধরনের বাণিজ্যিক চুক্তি হতে পারে বলেও ইঙ্গিত দিয়েছেন তিনি। ফরাসি বার্তা সংস্থা এএফপি’র এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার (৬ মার্চ) ট্রাম্প সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমি সৌদি আরব যাচ্ছি।’ তবে তিনি কখন সফর করবেন তা স্পষ্ট করে বলেননি।
সৌদি আরব সফরে তিনি রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে দেখা করবেন কি না এমন প্রশ্নের জবাবে ট্রাম্প জানান, তার সফরের মূল উদ্দেশ্য বাণিজ্য।
ট্রাম্প আরও বলেন, ‘আমি বলেছিলাম, আপনারা (সৌদি আরব) যদি আমেরিকান কোম্পানিগুলোকে এক ট্রিলিয়ন ডলার দেন, চার বছরের জন্য এক ট্রিলিয়ন ডলারে ক্রয় করতে সম্মত হন, তাহলে আমি যাব। তারা এতে সম্মত হয়েছে, তাই আমি সেখানে যাচ্ছি।’
দ্বিতীয় মেয়াদে হোয়াইট হাউসে ফেরার পর এখন পর্যন্ত ট্রাম্প বিদেশ সফর করেননি। তবে তার প্রথম মেয়াদে ২০১৭ সালে ক্ষমতা গ্রহণের পর তিনি সৌদি আরবে প্রথম সফরে যান।
সম্প্রতি তিনি বলেছেন, ২০১৭ সালে তিনি তার প্রথম সফরে ব্রিটেনের পরিবর্তে সৌদি আরব সফরের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। কারণ, সৌদি আরব ৪৫০ বিলিয়ন ডলার মূল্যের মার্কিন পণ্য কেনার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল।
ট্রাম্প সৌদি আরবের সাথে ঘনিষ্ঠ ব্যবসায়িক সম্পর্ক গড়ে তুলেছেন। গত ডিসেম্বরে ট্রাম্প অর্গানাইজেশন জেদ্দায় ট্রাম্প টাওয়ার নির্মাণের ঘোষণা দিয়েছে।
মন্তব্য করুন


আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
ভারতের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ মন্তব্য করেছেন যে, বাংলাদেশ থেকে অনুপ্রবেশ বন্ধ হলেই পশ্চিমবঙ্গে শান্তি ফিরবে। তার মতে, বাংলাদেশ থেকে অবৈধ অনুপ্রবেশের কারণেই পশ্চিমবঙ্গ এবং ভারতের বিভিন্ন অঞ্চলে শান্তি বিঘ্নিত হচ্ছে। তিনি আরও বলেন, পশ্চিমবঙ্গের শান্তি তখনই সম্পূর্ণভাবে স্থায়ী হবে, যখন এই অনুপ্রবেশ পুরোপুরি বন্ধ করা সম্ভব হবে।
রবিবার পেট্রাপোল স্থলবন্দরে ভারতের সবচেয়ে বড় যাত্রী টার্মিনাল ভবন এবং 'মৈত্রী দ্বার' নামে একটি কার্গো গেট উদ্বোধনকালে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এই মন্তব্য করেন। তিনি উল্লেখ করেন যে, 'ল্যান্ড পোর্ট অথরিটি অফ ইন্ডিয়া' (এলপিএআই) এই অঞ্চলে শান্তি ও উন্নয়ন স্থাপনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। বৈধ যাতায়াতের ব্যবস্থা না থাকলে মানুষ অবৈধভাবে সীমান্ত পেরিয়ে আসে এবং এটি পশ্চিমবঙ্গসহ গোটা ভারতের শান্তি বিঘ্নিত করে।
অমিত শাহ বলেন, ২০২৬ সালের পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভা নির্বাচনে পরিবর্তন ঘটাতে হবে এবং অনুপ্রবেশ পুরোপুরি বন্ধ করার প্রতিশ্রুতি দেন। তার মতে, এটি বাস্তবায়িত হলে সীমান্তবর্তী দেশগুলোর সঙ্গে অংশীদারত্ব আরও শক্তিশালী হবে। ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশ ছাড়াও নেপাল, ভুটান ও মিয়ানমারের সঙ্গে সংস্কৃতি, ভাষা ও আদান-প্রদান বাড়বে, যা এক নতুন অংশীদারিত্বের সূচনা করবে।
উত্তর চব্বিশ পরগনার পেট্রাপোল বন্দরে আয়োজিত অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে অমিত শাহ আরও বলেন, এলপিএআই একটি ছোট প্রতিষ্ঠান হলেও এর গুরুত্ব অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ভারত ও প্রতিবেশী দেশগুলোর সম্পর্ক উন্নয়নে ভাষা ও সংস্কৃতির আদান-প্রদানের মাধ্যমে এলপিএআই গত দশ বছরে বিশেষ ভূমিকা পালন করেছে।
অমিত শাহ আরও বলেন, এই ল্যান্ড পোর্ট অথরিটি নরেন্দ্র মোদির চারটি ‘পি’ সূত্র অনুসরণ করে কাজ করে—প্রসপারিটি (সমৃদ্ধি), পিস (শান্তি), পার্টনারশিপ (অংশীদারত্ব) এবং প্রগ্রেস (উন্নতি)।
অনুষ্ঠানে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় জাহাজ ও বন্দর প্রতিমন্ত্রী শান্তনু ঠাকুর, এলপিএআই এর চেয়ারম্যান আদিত্য মিশ্র, বিএসএফ এর ডিজি দলজিৎ সিং চৌধুরী এবং কেন্দ্রের জয়েন্ট ডিরেক্টর পৌসুমী বসু।
মন্তব্য করুন


ডেস্ক রিপোর্ট:
মুম্বইয়ে নৃশংসভাবে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে মহারাষ্ট্রের বিধায়ক ও সাবেক মন্ত্রী বাবা সিদ্দিককে। তার এই মৃত্যুকে ঘিরে ভারতে তোলপাড় চলছে। সব মিডিয়ায় সংবাদ শিরোনাম হয়েছে এ ঘটনা। লোকমুখে ছড়িয়ে পড়েছে ভয়াবহ সব কাহিনী। কারণ, বাবা সিদ্দিক একজন নামকরা রাজনীতিক ছিলেন। হত্যাকাণ্ডে দু’জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তারা হলেন হরিয়ানার গুরমাইল বলজিত সিং (২৩) এবং উত্তর প্রদেশের ধর্মরাজ কাশ্যপ (১৯)। তৃতীয় জন উত্তরপ্রদেশের শিব কুমার গৌতম হিসেবে শনাক্ত করা হয়েছে। অন্যদিকে চতুর্থ একজন এই ঘটনা নিয়ন্ত্রণ করেছেন বলে মনে করা হয়। তিনি পলাতক রয়েছেন। তবে লরেন্স বিষ্ণুই শনিবার রাতের হত্যাকাণ্ডের মূল হোতা হিসেবে মনে করা হচ্ছে। তাকে পুলিশি হেফাজতে নেয়া হয়েছে। বলা হচ্ছে, তিনি একটি কুখ্যাত গ্যাংয়ের সদস্য। এই গ্যাংয়ের নাম লরেন্স বিষ্ণুই। তারা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে হত্যার দায় স্বীকার করেছে। অভিযোগ আছে লরেন্স বিষ্ণুই পাঞ্জাবের খালিস্তানপন্থি আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত। এই গ্যাংয়ে অস্ত্র চালাতে দক্ষ এমন সদস্য আছে ৭০০।
কে এই লরেন্স বিষ্ণুই: লরেন্স বিষ্ণুইয়ের জন্ম ১৯৯৩ সালে ভারতের পাঞ্জাব রাজ্যে। ২০১০ সাল পর্যন্ত তাঁর জীবন কেটেছে রাজ্যের আবোহার শহরে। এরপর তিনি ডিএভি কলেজে ভর্তি হতে চণ্ডিগড়ে পাড়ি জমান। ২০১১ সালে যোগ দেন পাঞ্জাব ইউনিভার্সিটি ক্যাম্পাস স্টুডেন্টস কাউন্সিলে। সেখানে তার পরিচয় হয় ‘গ্যাংস্টার’ গোল্ডি ব্রারের সঙ্গে। এরপর ধীরে ধীরে অপরাধে জড়িয়ে পড়েন তিনি। বিষ্ণুইয়ের বিরুদ্ধে দুই ডজনের বেশি ফৌজদারি মামলা রয়েছে। রয়েছে হত্যা ও চাঁদাবাজির অভিযোগ। যদিও এসব অভিযোগের কোনোটাই স্বীকার করেননি তিনি। গ্যাংয়ের সদস্যদের মাধ্যমে কারাগারে বসেও বাইরের অপরাধজগৎ নিয়ন্ত্রণ করেন তিনি। ২০১০ থেকে ২০১২ সালের মধ্যে চণ্ডিগড়ে অপরাধ কর্মকাণ্ড শুরু করেন বিষ্ণুই। ২০১৩ সাল নাগাদ তিনি ত্রাস সৃষ্টিকারী এক চরিত্রে পরিণত হন। কয়েকটি হত্যার সঙ্গে তার নাম জড়িয়ে পড়ে। পরে তার গ্যাং মদ বেচাকেনা ও অস্ত্র চোরাচালানে অর্থ লগ্নি শুরু করে। হত্যাকারীসহ ভয়ংকর সব অপরাধীদেরও আশ্রয় ও সুরক্ষা দিয়ে আসছে তারা। লরেন্স বিষ্ণুইয়ের নাম নতুন করে সামনে আসে ২০২২ সালে। সে বছরের ২৯ মে পাঞ্জাবের গায়ক সিধু মুসওয়ালাকে হত্যা করা হয়।
কারাগারে বিষ্ণুই: ২০১৪ সালে রাজস্থান পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধ হয় লরেন্স বিষ্ণুইয়ের। এরপর তিনি কারাবন্দী হন। সেখান থেকেই আরও সংঘবদ্ধভাবে অপরাধজগৎ নিয়ন্ত্রণ করছেন তিনি। কারাগারে থাকাকালে জস্বিন্দর সিং ওরফে রকি নামের আরেক অপরাধীর সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা বাড়ে তার। ২০১৬ সালে হত্যাকাণ্ডের শিকার হন রকি। বন্দী অবস্থায়ও লরেন্স বিষ্ণুইয়ের প্রভাব-প্রতিপত্তি বেড়েই চলেছিল। রাজস্থানের ভারতপুর জেলায় যে কারাগারে তিনি বন্দী ছিলেন, সেখানকার কর্মকর্তাদের হাত করে নানা কার্যসিদ্ধি করতেন। ২০২১ সালে তাকে সেখান থেকে দিল্লির তিহার কারাগারে সরিয়ে নেওয়া হয়। এই কারাগারের কর্মকর্তাদের ভাষ্যমতে, আইপি কলের মাধ্যমে গ্যাংয়ের সদস্যদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখতেন বিষ্ণুই। এ ছাড়া ২০২৩ সালে ভারতের ডানপন্থী নেতা সুখদেব সিং গোগামেদিকে জয়পুরে গুলি করে হত্যা করা হয়। ওই হত্যাকাণ্ডের একটি ভিডিওতে দেখা যায়, সুখদেবের সঙ্গে অস্ত্রধারী একজন চা পান করছেন। তিনিই গুলি চালান। পরে বিষ্ণুইয়ের গ্যাংয়ের সদস্য রোহিত গোদারা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট দিয়ে সুখদেবকে হত্যার দায় স্বীকার করেন। ২০১৮ সালে বলিউড তারকা সালমান খানকে ঘিরে ব্যাপক আলোচনার সৃষ্টি করে বিষ্ণুই গ্যাং। সে বছর মুম্বইয়ে সালমানের বাসায় হানা দেন সাম্পাথ নাথ নামে বিষ্ণুই গ্যাংয়ের এক সদস্য। তিনি দাবি করেন, কালো হরিণ শিকারের কারণে সালমানকে হত্যার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল তার ওপর। বিরল প্রজাতির এই হরিণকে বিষ্ণুই সম্প্রদায়ের মানুষ অত্যন্ত পবিত্র বলে মনে করে। সালমান খানকে সরাসরি হত্যার হুমকিও দিয়েছিলেন লরেন্স বিষ্ণুই। ভারতের যোধপুরে আদালতে এক শুনানি চলাকালে তিনি বলেছিলেন, ‘সালমান খানকে এই যোধপুরেই হত্যা করা হবে। তারপর তিনি আমাদের সত্যিকারের পরিচয় জানতে পারবেন।’
এরপর ২০২৩ সালের ১৪ এপ্রিল মুম্বইয়ের বান্দ্রায় সালমান খানের বাসার বাইরে গুলি চালানো হয়। এই এলাকাতেই শনিবার হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছেন বাবা সিদ্দিক। সালমানের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতাও ছিল তার। সালমানের বাসার বাইরে গুলির পর সে সময় পুলিশ জানিয়েছিল, এ কাজের জন্য দু’জনকে ভাড়া করেছিল বিষ্ণুই গ্যাং।
মন্তব্য করুন


ডেস্ক রিপোর্ট:
জাতিসংঘের এইড চিফ মার্টিন গ্রিফিথস এক বিবৃতিতে বলেছেন, "বিশ্ব কয়েক সপ্তাহ ধরে ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষের কাছে রাফাহকে রক্ষা করার জন্য আবেদন জানালেও সেখানে অবিলম্বে একটি স্থল অভিযান চালানোর সম্ভাবনা রয়েছে। সহজ ভাষায় বললে, রাফাহতে স্থল অভিযান চালালে সেটি এমন এক ট্র্যাজেডি হবে যা ভাষায় বর্ণনা করা সম্ভব না।”
গাজার রাফাহতে অবস্থিত উদ্বাস্তুদের একটি ক্যাম্প।
মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) জাতিসংঘ সতর্ক করে জানিয়েছে, ইসরায়েল শীঘ্রই গাজার রাফাতে হামলা চালাতে পারে। সংস্থাটি জোর দিয়ে বলেছে, গাজায় সাহায্য প্রদানে ইসরায়েলের ধীর অগ্রগতিকে আক্রমণের জন্য প্রস্তুত হওয়ার বা ন্যায্যতা দেওয়ার একটি অজুহাত হিসেবে দেখা উচিত নয়।
জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস ইসরায়েলের ওপর প্রভাব আছে এমন দেশগুলোকে সম্ভাব্য হামলা প্রতিরোধ করার জন্য আহ্বান জানিয়েছেন। বর্তমানে ১.২ মিলিয়নেরও বেশি উদ্বাস্তু ফিলিস্তিনি রাফাতে আশ্রয় নিয়েছেন।
প্রায় সাত মাসব্যাপী যুদ্ধ বন্ধ করার জন্য এবং ইসরায়েলি জিম্মিদের ফিরিয়ে আনার জন্য হামাসের সর্বশেষ প্রস্তাবের প্রতিক্রিয়া যাই হোক না কেন মঙ্গলবার ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু একটি 'দীর্ঘ প্রতিশ্রুত' হামলা চালানো হবে বলে প্রতিজ্ঞা করেছেন।
জাতিসংঘের এইড চিফ মার্টিন গ্রিফিথস এক বিবৃতিতে বলেছেন, "বিশ্ব কয়েক সপ্তাহ ধরে ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষের কাছে রাফাহকে রক্ষা করার জন্য আবেদন জানালেও সেখানে অবিলম্বে একটি স্থল অভিযান চালানোর সম্ভাবনা রয়েছে। সহজ ভাষায় বললে, রাফাহতে স্থল অভিযান চালালে সেটি এমন এক ট্র্যাজেডি হবে যা ভাষায় বর্ণনা করা সম্ভব না।"
গাজার উত্তরাঞ্চলে মানবসৃষ্ট দুর্ভিক্ষের প্রভাব কিছুটা কমানো সম্ভব হয়েছে বলে আন্তোনিও গুতেরেস জানালেও তিনি সেখানে আরো সাহায্য পাঠানোর ওপর জোর দিয়েছেন। গুতেরেস বিশেষভাবে ইসরায়েলের প্রতি গাজার উত্তরাঞ্চলের দুটি সংযোগস্থল খুলে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি রক্ষা করার আহ্বান জানিয়েছেন।
মার্চ মাসে জাতিসংঘ-সমর্থিত একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছিল, গাজায় দুর্ভিক্ষ আসন্ন এবং সম্ভবত মে মাসের মধ্যে গাজার উত্তরাঞ্চলে গাজায় ও জুলাই মাসের মধ্যে ছিটমহলগুলোতে দুর্ভিক্ষ ছড়িয়ে পড়তে পারে। গুতেরেস বলেন, গাজার উত্তরাঞ্চলের অসহায় মানুষ "ইতোমধ্যেই ক্ষুধা ও রোগে মারা যাচ্ছে।"
সাহায্য বাড়াতে এবং রাফাহতে হামলা এড়াতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র তার মিত্র ইসরায়েলের উপর কী প্রভাব রাখতে পারে এমন প্রশ্ন করা হলে গুতেরেস বলেন, "একটি সম্পূর্ণ বিধ্বংসী ট্র্যাজেডি এড়াতে সম্ভাব্য সব ধরনের চাপ প্রয়োগ করাই গুরুত্বপূর্ণ।"
মার্কিন সেক্রেটারি অব স্টেট অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন বলেছেন, গাজায় সাহায্য বাড়ানোর জন্য ইসরায়েলকে যে পদক্ষেপ নিতে হবে তা নিয়ে তিনি বুধবার (১ মে) নেতানিয়াহুর সাথে আলোচনা করবেন।
৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামাসের হামলায় হাজারের ওপর মানুষ নিহত হয় এবং ২৫০ জনের বেশী মানুষকে জিম্মি করে গাজায় নিয়ে যাওয়া হয়। তারপরেই হামাসকে সম্পূর্ণ ধ্বংস করার উদ্দেশ্যে ও জিম্মিদের উদ্ধার করতে গাজায় সামরিক অভিযান চালানো শুরু করে ইসরায়েল। ৭ অক্টোবরের পর থেকে ইসরায়েলি হামলায় গাজায় মৃতের সংখ্যা ৩৫ হাজার ছাড়িয়েছে বলে জানিয়েছে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।
মন্তব্য করুন


দিল্লির ৪৪টি স্কুলে সোমবার (৯ ডিসেম্বর) বোমা হামলার হুমকি দেওয়া হয়েছে। হুমকি পাওয়া স্কুলগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো ডিপিএস আরকে পুরাম এবং জিডি গোয়েঙ্কা স্কুল। খবর এনডিটিভির।
প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, হুমকি পাওয়ার পরপরই স্কুলগুলো থেকে শিক্ষার্থীদের নিরাপদে বাড়ি পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে এবং ঘটনাটি পুলিশকে জানানো হয়েছে। এই হুমকি ইমেইলের মাধ্যমে দেওয়া হয়েছে। এনডিটিভি ওই ইমেইলের একটি কপি হাতে পেয়েছে।
ইমেইলটি রোববার রাত ১১টা ৩৮ মিনিটে পাঠানো হয়। সেখানে দাবি করা হয়েছে, স্কুল ভবনের ভেতরে একাধিক বোমা লুকিয়ে রাখা হয়েছে। ইমেইলে আরও বলা হয়েছে, বোমাগুলো আকারে ছোট হলেও সেগুলো অত্যন্ত সতর্কতার সঙ্গে লুকানো হয়েছে।
ইমেইল প্রেরক বোমা নিষ্ক্রিয় করার জন্য ৩০ হাজার ডলার দাবি করেছেন। তিনি আরও বলেছেন, বোমাগুলো ভবনে বড় কোনো ক্ষতি করবে না, তবে এতে বহু মানুষ আহত হতে পারে।
এই ঘটনার পর দিল্লি পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে। সকালে যখন স্কুল বাসগুলো শিক্ষার্থীদের নিতে আসতে শুরু করে এবং অভিভাবকরা সন্তানদের স্কুলে নামিয়ে দিতে আসেন, তখনই বোমা হামলার সতর্কতা দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে।
জিডি গোয়েঙ্কা স্কুল থেকে দিল্লি ফায়ার ডিপার্টমেন্ট সকাল ৬টা ১৫ মিনিটে প্রথম একটি বোমা হামলার হুমকির ফোন পায়। এরপর সকাল ৭টা ৬ মিনিটে ডিপিএস আরকে পুরাম স্কুল থেকেও ফোন আসে।
বোমা নিষ্ক্রিয়কারী দল, স্থানীয় পুলিশ এবং ফায়ার ডিপার্টমেন্টের সদস্যরা দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে তল্লাশি শুরু করে। পুলিশের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, এখন পর্যন্ত সন্দেহজনক কিছু পাওয়া যায়নি।
মন্তব্য করুন


ফিলিপাইনে ৬ দশমিক ৯ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্পে অন্তত ২৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। মঙ্গলবার (৩০ সেপ্টেম্বর) রাত ১০টার দিকে দেশটির মধ্যাঞ্চলে এই ভূমিকম্প আঘাত হানে। বুধবার (১ অক্টোবর) এসব তথ্য জানায় ফিলিপাইনের জাতীয় দুর্যোগ সংস্থা
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি জানায়, ভূমিকম্পের কেন্দ্র থেকে প্রায় ১৭ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত বোগো শহরে সবচেয়ে বেশি প্রাণহানি হয়েছে। সেখানে এখন পর্যন্ত ১৯ জনের মৃত্যু হয়েছে ও আহত হয়েছেন অন্তত ১১৯ জন।
বোগো ছাড়াও সেবুসহ একাধিক শহর ও পৌরসভায় জরুরি অবস্থা ঘোষণা করা হয়েছে। ভূমিকম্পের ফলে এসব শহরের বিদ্যুৎসংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় ও বহু ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ভূমিকম্পের পর সেবু প্রদেশজুড়ে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছে কর্তৃপক্ষ। এরই অংশ হিসেবে সেখানকার সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ক্লাস বন্ধ রাখা হয়েছে।
বিবিসি বলছে, সান রেমিজিও পৌরসভাতেও জরুরি অবস্থা ঘোষণা করা হয়েছে। শহরের একটি ক্রীড়া কমপ্লেক্সে ধ্বংসস্তূপের নিচে কয়েকজন আটকা পড়ায় উদ্ধার অভিযান চলছে।
স্থানীয় কর্মকর্তারা জানান, ভূমিকম্প আঘাত হানার সময় সেখানে বাস্কেটবল খেলা চলছিল। দুর্যোগের পর প্রায় ২০ জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে, যাদের মধ্যে অন্তত একজনের মৃত্যু হয়েছে।
এছাড়া ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত আরও কয়েকটি শহর ও পৌরসভা জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছে। এসব এলাকাতেও হতাহতের খবর পাওয়া গেছে। বোগো, সান রেমিজিও ও দানবান্তায়ান এলাকায় টেলিযোগাযোগ ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
এদিকে, ভূমিকম্পের পর সুনামি সতর্কতা জারি করা হলেও পরে তা প্রত্যাহার করে ফিলিপাইন ইনস্টিটিউট অব ভলকানোলজি অ্যান্ড সিসমোলজি। সংস্থাটি জানায়, সমুদ্রপৃষ্ঠে সামান্য পরিবর্তন হলেও এর প্রভাব কেটে গেছে।
মন্তব্য করুন


ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে যুদ্ধবিরতি ধরে রাখা অত্যন্ত কঠিন এবং তা যেকোনো সময় ভেঙে যেতে পারে বলে মন্তব্য করেন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও। তিনি বলেন, যুদ্ধবিরতির সবচেয়ে বড় জটিলতা হলো সেটি বজায় রাখা। রুবিওর ভাষায়, ‘প্রতিদিন আমরা খেয়াল রাখছি পাকিস্তান ও ভারতের মধ্যে কী ঘটছে।’
রোববার (১৭ আগস্ট) মার্কিন সম্প্রচারমাধ্যম এনবিসি নিউজে প্রচারিত এক সাক্ষাৎকারে রুবিও বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দুই প্রতিবেশী পরাশক্তির মধ্যে সম্ভাব্য পারমাণবিক সংঘাত এড়াতে ভূমিকা রেখেছেন। রাশিয়া–ইউক্রেন যুদ্ধের প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, অস্ত্রবিরতি তখনই কার্যকর হয় যখন উভয় পক্ষ গুলি চালানো বন্ধে রাজি হয়। কিন্তু রাশিয়া এখনো তাতে সম্মত হয়নি।
তার মতে, ইউক্রেনে সাড়ে তিন বছরের যুদ্ধের মতো পরিস্থিতির পর যুদ্ধবিরতি হলেও তা দ্রুত ভেঙে যেতে পারে। তবে লক্ষ্য কেবল অস্ত্রবিরতি নয়, বরং এমন এক শান্তিচুক্তি যা বর্তমানেও যুদ্ধ রোধ করবে এবং ভবিষ্যতেও সংঘাত এড়াবে।
ফক্স বিজনেসকে দেওয়া আরেক সাক্ষাৎকারে রুবিও আবারও ট্রাম্পের দাবির প্রতিধ্বনি করে বলেন, ‘আমরা ভাগ্যবান যে, আমাদের একজন প্রেসিডেন্ট আছেন যিনি শান্তিকে অগ্রাধিকার দিয়েছেন। আমরা তা দেখেছি কম্বোডিয়া ও থাইল্যান্ডে, ভারত–পাকিস্তানের মধ্যে, রুয়ান্ডা ও কঙ্গোতে। বিশ্বজুড়ে যেখানে সুযোগ পাওয়া যায় আমরা শান্তি প্রতিষ্ঠার চেষ্টা চালাব।’
প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ১০ মে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দাবি করেছিলেন, দীর্ঘ আলোচনার পর যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় ভারত ও পাকিস্তান ‘তাৎক্ষণিক পূর্ণাঙ্গ’ যুদ্ধবিরতিতে পৌঁছেছে। এরপর থেকে প্রায় ৪০ বার তিনি বলেছেন যে, তিনি ভারত–পাকিস্তান সংঘাত মিটিয়ে দিয়েছেন এবং দুই দেশকে আশ্বস্ত করেছেন, সংঘাত থামালে আমেরিকা তাদের সঙ্গে বড় অঙ্কের বাণিজ্য করবে।
গত শুক্রবার রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে বৈঠকের দিনও ট্রাম্প বারবার একই দাবি পুনরাবৃত্তি করেন এবং দিল্লির রাশিয়ার তেল কেনার প্রসঙ্গ তোলেন। ট্রাম্পের ভাষায়, ‘ভারত ও পাকিস্তান যুদ্ধবিমান ভূপাতিত করছিল। সেটা পারমাণবিক পর্যায়ে চলে যেতে পারত। আমি সেটি ঠেকিয়েছি। যুদ্ধ খুবই খারাপ, আর আমি তা এড়ানোর চেষ্টা করি। যুক্তরাষ্ট্রের শক্তিকে আমি সেই কাজেই ব্যবহার করি।’
অন্যদিকে পাকিস্তান প্রকাশ্যে যুক্তরাষ্ট্রের দাবির সঙ্গে সুর মিলিয়েছে এবং ট্রাম্পকে কৃতিত্ব দিয়েছে। যুদ্ধের পর পাকিস্তানের সেনাপ্রধান আসিম মুনির দুই দফা যুক্তরাষ্ট্র সফর করেছেন। এ সময় ওয়াশিংটন ইসলামাবাদের সঙ্গে তেল চুক্তির ঘোষণাও দিয়েছে।
মন্তব্য করুন