

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
গাজার সংঘাতে মোহাম্মদ আল-তালমাস নামে আরও এক সাংবাদিক নিহত হয়েছেন। তিনি ১৩ জানুয়ারি, সোমবার গুরুতর আহত অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন। গাজা সিটিতে ইসরায়েলি বাহিনীর বোমা বর্ষণের সময় তিনি আহত হন। এ খবরটি আল জাজিরা জানায়।
গাজার সরকারি মিডিয়া অফিস সাংবাদিকদের ওপর হামলা এবং হত্যাকাণ্ডের তীব্র নিন্দা জানিয়েছে। ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে এখন পর্যন্ত গাজার বিভিন্ন স্থানে হামলার ঘটনায় ২০৪ জন সাংবাদিক নিহত হয়েছেন।
আল-তালমাস বার্তা সংস্থা সাফারের সাংবাদিক ছিলেন। তিনি গাজা সিটিতে ইসরায়েলি বাহিনীর বিমান হামলায় নিহত হয়েছেন বলে জানা গেছে।
টেলিগ্রামে পোস্ট করা এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ইন্টারন্যাশনাল ফেডারেশন অব জার্নালিস্ট, ফেডারেশন অব আরব জার্নালিস্ট এবং বিশ্বের সকল দেশের সাংবাদিক সংস্থাকে গাজার ফিলিস্তিনি সাংবাদিক এবং মিডিয়া কর্মীদের বিরুদ্ধে এ ধরনের হামলা ও হত্যাকাণ্ডের বিচার দাবি করতে বলা হয়েছে।
এদিকে, গাজায় যুদ্ধবিরতির আলোচনা বেশ এগিয়েছে। কাতারের আমিরের সঙ্গে বৈঠকের পর হামাসের একটি প্রতিনিধি দল জানিয়েছে, গাজার যুদ্ধবিরতির আলোচনা ভালভাবে এগিয়ে চলছে। তবে যুদ্ধবিরতি নিয়ে আলোচনা চললেও, অন্যদিকে গাজায় হামলা অব্যাহত রেখেছে দখলদার বাহিনী।
বেশ কিছু মেডিক্যাল সূত্র জানিয়েছে, গত ১৩ জানুয়ারি, সোমবার ভোর থেকে এখন পর্যন্ত কমপক্ষে ৭০ ফিলিস্তিনিকে হত্যা করা হয়েছে। এর মধ্যে ১৪ জানুয়ারি, মঙ্গলবার ১২ জন প্রাণ হারিয়েছে। ইসরায়েলি বাহিনীর উত্তর গাজা অবরোধের শততম দিন পার হয়েছে।
২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের সীমান্তে প্রবেশ করে আকস্মিক হামলা চালায় ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। এরপরই গাজায় পাল্টা আক্রমণ চালায় ইসরায়েল।
এখন পর্যন্ত গাজায় এক বছরের বেশি সময় ধরে ধ্বংসযজ্ঞ চালাচ্ছে ইসরায়েলি বাহিনী। সেখানে কমপক্ষে ৪৬ হাজার ৫৮৪ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে, এছাড়া আহত হয়েছে আরও ১ লাখ ৯ হাজার ৭৩১ জন। প্রতিদিনই ইসরায়েলি হামলায় নিরীহ ফিলিস্তিনিরা প্রাণ হারাচ্ছে।
মন্তব্য করুন


দক্ষিণ কোরিয়া দাবি করেছে, ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধে উত্তর কোরিয়ার শতাধিক সেনা নিহত হয়েছে। দেশটির একজন সংসদ সদস্য জানান, চলতি মাসে রাশিয়ার হয়ে যুদ্ধে অংশ নেওয়ার পর থেকে অন্তত ১০০ জন উত্তর কোরীয় সেনা প্রাণ হারিয়েছে। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির এক প্রতিবেদনে এই তথ্য প্রকাশিত হয়েছে।
লি সাং-কওন নামে ওই এমপি জানান, হতাহতদের মধ্যে উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারাও রয়েছেন। সেনাদের অপরিচিত যুদ্ধক্ষেত্র এবং ড্রোন যুদ্ধের অভিজ্ঞতার অভাবের কারণে এই ক্ষয়ক্ষতির ঘটনা ঘটেছে।
গত অক্টোবর মাসে উত্তর কোরিয়া রাশিয়ার যুদ্ধে সহায়তার জন্য ১০ হাজার সেনা পাঠায়। চলতি সপ্তাহের শুরুতে, প্রথমবারের মতো উত্তর কোরিয়ার সেনাদের হতাহতের খবর পাওয়া যায়।
এর আগে, স্থানীয় সময় সোমবার মার্কিন প্রতিরক্ষা বিভাগের একজন মুখপাত্র উত্তর কোরীয় সেনাদের নিহত হওয়ার কথা জানান, তবে সুনির্দিষ্ট সংখ্যা উল্লেখ করেননি।
মন্তব্য করুন


ফিলিস্তিনের গাজাগামী ত্রাণবাহী নৌবহর ‘গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা’-এর সবশেষ জাহাজটিও আটক করেছে ইসরাইলি কমান্ডোরা। পোল্যান্ডের পতাকাবাহী এই নৌযানে ছয়জন আরোহী রয়েছেন। খবর আল জাজিরার।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, অবরুদ্ধ গাজায় ত্রাণ নিয়ে যাওয়া ফ্লোটিলার একমাত্র জাহাজ দ্য ম্যারিনেটকেও শুক্রবার (৩ অক্টোবর) সকালে ফিলিস্তিনি উপকূলের কাছে ইসরাইলি বাহিনী আটক করেছে।
লাইভস্ট্রিম ভিডিওতে দেখা গেছে, ইসরাইলি সেনারা জোরপূর্বক জাহাজটিতে প্রবেশ করছে।
ছয়জন নাবিক নিয়ে যাত্রা করা পোল্যান্ডের পতাকাবাহী ম্যারিনেট ছিল ‘গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা’র শেষ কার্যকর জাহাজ। এর আগে বহরের ৪৩টি জাহাজ আটক করে দখলদার বাহিনী।
ফ্লোটিলা বহরের প্রায় সব নৌযানে থাকা অধিকারকর্মীদের আটক করেছে ইসরাইল।
তাদের মধ্যে রয়েছেন সুইডিশ অধিকারকর্মী গ্রেটা থুনবার্গ। ইসরাইলের এমন পদক্ষেপকে ‘সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড’ উল্লেখ করে নিন্দা জানিয়েছে অনেক দেশ।
গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা সমুদ্রপথে গাজায় ত্রাণ নিয়ে যাওয়ার একটি বৈশ্বিক প্রচেষ্টা। এই নৌবহরে রয়েছে ৪০টির বেশি বেসামরিক নৌযান। এই বহরে প্রায় ৪৪টি দেশের ৫০০ মানুষের মধ্যে রয়েছেন যুক্তরাষ্ট্র, স্পেন, আয়ারল্যান্ড, ফ্রান্স, বেলজিয়ামসহ ইউরোপীয় পার্লামেন্টের নির্বাচিত প্রতিনিধি, আইনজীবী, অধিকারকর্মী, চিকিৎসক ও সাংবাদিক।
গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলার প্রথম বহর গত ৩১ আগস্ট স্পেনের বার্সেলোনা থেকে যাত্রা শুরু করে। এরপর ১৩ থেকে ১৫ সেপ্টেম্বর তিউনিসিয়া ও ইতালির সিসিলি দ্বীপ থেকে আরও নৌযান এই বহরে যুক্ত হয়। এছাড়া গ্রিসের সাইরাস দ্বীপ থেকে পরবর্তী সময়ে আরও কিছু নৌযান ত্রাণ নিয়ে বহরে যুক্ত হয়। বর্তমানে বহরটিতে ৪০টি বেশি নৌযান রয়েছে।
এই নৌবহরের ফিলিস্তিনি সংগঠন হামাসের সঙ্গে সম্পর্ক রয়েছে বলে শুরু থেকেই দাবি করে আসছে ইসরাইল। যদিও এর পক্ষে কোনো প্রমাণ দেখাতে পারেনি তারা।
মন্তব্য করুন


যুক্তরাষ্ট্র ইউক্রেনের জন্য ৫০০ মিলিয়ন ডলারের নতুন একটি সামরিক সহায়তা প্যাকেজ ঘোষণা করেছে। গতকাল বৃহস্পতিবার মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন এক বিবৃতিতে এ ঘোষণা দেন।
গত নভেম্বরে রাশিয়ায় হামলার জন্য ইউক্রেনকে যুক্তরাষ্ট্রের তৈরি ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহারের অনুমতি দেন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। এর ঠিক একদিন পরেই ইউক্রেনকে রাশিয়ার সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে অ্যান্টি-পার্সোনেল ল্যান্ড মাইন বা স্থলমাইন দেওয়ার জন্যও রাজি হন বাইডেন।
ধারণা করা হচ্ছে, নতুন নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দায়িত্ব গ্রহণের আগেই যত দ্রুত সম্ভব এই সহায়তা পাঠানোর চেষ্টা করছেন জো বাইডেন। সংবাদমাধ্যম রয়টার্সের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ট্রাম্পের বিজয়ের সম্ভাবনা ইউক্রেনের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের ভবিষ্যৎ সহায়তা নিয়ে শঙ্কা সৃষ্টি করেছে। এজন্য বাইডেন প্রশাসন আরও বেশি সময় পাবে না ইউক্রেনকে সহায়তা করার জন্য।
মাত্র এক সপ্তাহ আগে যুক্তরাষ্ট্র ইউক্রেনের জন্য ১২৫ মিলিয়ন ডলারের নতুন সামরিক সহায়তা প্যাকেজ ঘোষণা করেছিল। এর আগে ১০ দিন আগে ওয়াশিংটন ইউক্রেনকে ৭২৫ মিলিয়ন ডলারের ক্ষেপণাস্ত্র, গোলাবারুদ, অ্যান্টি-পার্সোনেল মাইন এবং অন্যান্য অস্ত্র পাঠানোর ঘোষণা দিয়েছিল। এবার আবারও একটি নতুন প্যাকেজ ঘোষণা করেছে বাইডেন প্রশাসন।
হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র জন কিরবি এর আগে বলেছিলেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বর্তমান প্রশাসন শেষ পর্যন্ত ইউক্রেনের জন্য অতিরিক্ত সামরিক প্যাকেজ প্রদান অব্যাহত রাখবে।
এদিকে, ইউক্রেনকে রাশিয়ার বিরুদ্ধে মার্কিন দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহারের অনুমতি দেওয়ার জন্য নব নির্বাচিত মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প কড়া সমালোচনা করেছেন। বৃহস্পতিবার টাইম ম্যাগাজিনের সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে ট্রাম্প অভিযোগ করেন, বাইডেন প্রশাসনের এই সিদ্ধান্ত যুদ্ধের মাত্রা বাড়িয়েছে।
ট্রাম্প বলেন, "যা ঘটছে তা এক ধরনের পাগলামি। এটা মূর্খতা। রাশিয়ায় কয়েকশ মাইল দূর থেকে ক্ষেপণাস্ত্র পাঠানোর ব্যাপারে আমি একেবারে একমত নই। আমাদের এটা করার কারণ কী! আমরা শুধু এই যুদ্ধটিকে আরও মারাত্মক করে তুলছি এবং পরিস্থিতির অবনতি ঘটাচ্ছি। এটা অনুমোদন দেওয়া উচিত হয়নি।"
মন্তব্য করুন


সৌদি আরবে জিলহজ মাসের চাঁদ দেখা গেছে মঙ্গলবার (২৭ মে)। সে অনুসারে দেশটিতে চলতি বছর পবিত্র হজের মূল আনুষ্ঠানিকতা শুরু হচ্ছে আগামী ৪ জুন। সৌদি আরবের পর্যবেক্ষণকেন্দ্রগুলো পবিত্র জিলহজ মাসের চাঁদ দেখা যাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করার পর দেশটির সুপ্রিম কোর্ট এ ঘোষণা দিয়েছেন।
সৌদি আরব কর্তৃপক্ষ বলছে, এ বছর আরাফাত ময়দানের আনুষ্ঠানিকতা পালন করা হবে ৫ জুন। আর দেশটিতে পবিত্র ঈদুল আজহা পালিত হবে পরদিন, ৬ জুন। সোমবার (২৬ মে) এক সংবাদ সম্মেলনে সৌদি আরবের হজবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী তৌফিক আল-রাবিয়াহ জানান, ইতিমধ্যে বিভিন্ন দেশ থেকে ১০ লাখের বেশি হজযাত্রী সৌদি আরবে পৌঁছেছেন।
পবিত্র হজ ইসলাম ধর্মের পাঁচটি মূল স্তম্ভের একটি। শারীরিক ও আর্থিকভাবে সক্ষম যেকোনো মুসলমানের জীবনে অন্তত একবার হজ পালন করা ফরজ।
প্রতিবছর জিলহজ মাসের ৮ থেকে ১৩ তারিখের মধ্যে হজের মূল আনুষ্ঠানিকতাগুলো সম্পন্ন করা হয়। এই সময়ের মধ্যে হজযাত্রীরা চার দিনের বিভিন্ন ধর্মীয় আনুষ্ঠানিকতায় অংশ নেন। চার দিনের মধ্যে দ্বিতীয় দিন লাখ লাখ হাজি আরাফাতের ময়দানে উপস্থিত হন ও নামাজ আদায় করেন। এ পবিত্র ময়দানেই সেই পাহাড় অবস্থিত, যেখান থেকে মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) বিদায় হজের ঐতিহাসিক ভাষণ দিয়েছিলেন।
হজযাত্রীদের আরেক কাঙ্ক্ষিত গন্তব্য পবিত্র মদিনা নগরী। সেখানে রয়েছে মহানবী (সা.)-এর পবিত্র রওজা মোবারক। মদিনা সফর হজের আনুষ্ঠানিকতার অংশ না হলেও, প্রত্যেক মুসলমানের আত্মার সঙ্গে নিবিড়ভাবে জড়িয়ে আছে নবীজির রওজা মোবারক জিয়ারত করার বিষয়টি।
সৌদি সরকারের তথ্য অনুযায়ী, গত বছর প্রায় ১৮ লাখ ধর্মপ্রাণ মুসলমান হজ পালনে অংশ নিয়েছিলেন। তবে ওই বছর হজ পালনকালে সৌদি আরবে তাপমাত্রা বেড়ে ৫১ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসে পৌঁছেছিল। গরমের কারণে ও অন্যান্য অসুস্থতায় ওই বছর ১ হাজার ৩০০-এর বেশি হজযাত্রী মারা যান।
মন্তব্য করুন


ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে যুদ্ধবিরতি ধরে রাখা অত্যন্ত কঠিন এবং তা যেকোনো সময় ভেঙে যেতে পারে বলে মন্তব্য করেন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও। তিনি বলেন, যুদ্ধবিরতির সবচেয়ে বড় জটিলতা হলো সেটি বজায় রাখা। রুবিওর ভাষায়, ‘প্রতিদিন আমরা খেয়াল রাখছি পাকিস্তান ও ভারতের মধ্যে কী ঘটছে।’
রোববার (১৭ আগস্ট) মার্কিন সম্প্রচারমাধ্যম এনবিসি নিউজে প্রচারিত এক সাক্ষাৎকারে রুবিও বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দুই প্রতিবেশী পরাশক্তির মধ্যে সম্ভাব্য পারমাণবিক সংঘাত এড়াতে ভূমিকা রেখেছেন। রাশিয়া–ইউক্রেন যুদ্ধের প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, অস্ত্রবিরতি তখনই কার্যকর হয় যখন উভয় পক্ষ গুলি চালানো বন্ধে রাজি হয়। কিন্তু রাশিয়া এখনো তাতে সম্মত হয়নি।
তার মতে, ইউক্রেনে সাড়ে তিন বছরের যুদ্ধের মতো পরিস্থিতির পর যুদ্ধবিরতি হলেও তা দ্রুত ভেঙে যেতে পারে। তবে লক্ষ্য কেবল অস্ত্রবিরতি নয়, বরং এমন এক শান্তিচুক্তি যা বর্তমানেও যুদ্ধ রোধ করবে এবং ভবিষ্যতেও সংঘাত এড়াবে।
ফক্স বিজনেসকে দেওয়া আরেক সাক্ষাৎকারে রুবিও আবারও ট্রাম্পের দাবির প্রতিধ্বনি করে বলেন, ‘আমরা ভাগ্যবান যে, আমাদের একজন প্রেসিডেন্ট আছেন যিনি শান্তিকে অগ্রাধিকার দিয়েছেন। আমরা তা দেখেছি কম্বোডিয়া ও থাইল্যান্ডে, ভারত–পাকিস্তানের মধ্যে, রুয়ান্ডা ও কঙ্গোতে। বিশ্বজুড়ে যেখানে সুযোগ পাওয়া যায় আমরা শান্তি প্রতিষ্ঠার চেষ্টা চালাব।’
প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ১০ মে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দাবি করেছিলেন, দীর্ঘ আলোচনার পর যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় ভারত ও পাকিস্তান ‘তাৎক্ষণিক পূর্ণাঙ্গ’ যুদ্ধবিরতিতে পৌঁছেছে। এরপর থেকে প্রায় ৪০ বার তিনি বলেছেন যে, তিনি ভারত–পাকিস্তান সংঘাত মিটিয়ে দিয়েছেন এবং দুই দেশকে আশ্বস্ত করেছেন, সংঘাত থামালে আমেরিকা তাদের সঙ্গে বড় অঙ্কের বাণিজ্য করবে।
গত শুক্রবার রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে বৈঠকের দিনও ট্রাম্প বারবার একই দাবি পুনরাবৃত্তি করেন এবং দিল্লির রাশিয়ার তেল কেনার প্রসঙ্গ তোলেন। ট্রাম্পের ভাষায়, ‘ভারত ও পাকিস্তান যুদ্ধবিমান ভূপাতিত করছিল। সেটা পারমাণবিক পর্যায়ে চলে যেতে পারত। আমি সেটি ঠেকিয়েছি। যুদ্ধ খুবই খারাপ, আর আমি তা এড়ানোর চেষ্টা করি। যুক্তরাষ্ট্রের শক্তিকে আমি সেই কাজেই ব্যবহার করি।’
অন্যদিকে পাকিস্তান প্রকাশ্যে যুক্তরাষ্ট্রের দাবির সঙ্গে সুর মিলিয়েছে এবং ট্রাম্পকে কৃতিত্ব দিয়েছে। যুদ্ধের পর পাকিস্তানের সেনাপ্রধান আসিম মুনির দুই দফা যুক্তরাষ্ট্র সফর করেছেন। এ সময় ওয়াশিংটন ইসলামাবাদের সঙ্গে তেল চুক্তির ঘোষণাও দিয়েছে।
মন্তব্য করুন


মিয়ানমারের স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে সাধারণ ক্ষমার আওতায় প্রায় ৬ হাজার বন্দীকে মুক্তি দেবে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশটির সামরিক সরকার। এদিন মোট ৫ হাজার ৮৬৪ জন বন্দীকে মুক্তি দেওয়া হবে। তাদের মধ্যে ১৮০ জন বিদেশিও রয়েছে। শনিবার (০৪ জানুয়ারি) দেশটির রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমে এই তথ্য জানানো হয়েছে। খবর রয়টার্সের।
মিয়ানমারের স্বাধীনতা দিবস প্রতি বছর ৪ জানুয়ারি পালিত হয়। ১৯৪৮ সালের এই দিনে মিয়ানমার (তৎকালীন বার্মা) ব্রিটিশ উপনিবেশ থেকে স্বাধীনতা অর্জন করে। এই দিনটি মিয়ানমারে একটি জাতীয় ছুটির দিন হিসেবে উদযাপিত হয় এবং দেশজুড়ে বিভিন্ন ধরনের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, পতাকা উত্তোলন, সামরিক কুচকাওয়াজ ও জনসমাবেশের আয়োজন করা হয়।
২০২১ সালের শুরুর দিকে সামরিক বাহিনী একটি নির্বাচিত বেসামরিক সরকারকে উৎখাত করে। তারপর গণতন্ত্রপন্থী আন্দোলনকে সহিংসভাবে দমন করলে মিয়ানমার সংকটে নিমজ্জিত রয়েছে, যা একটি জাতীয় সশস্ত্র বিদ্রোহের জন্ম দিয়েছে।
জান্তা সরকার বলেছে, তারা এ বছর নির্বাচন দেবে। তবে এই পরিকল্পনাকে প্রহসন বলে নিন্দা জানিয়েছে বিরোধী গোষ্ঠীগুলো।
জান্তার হাতে আটক থাকা ব্যক্তিদের মধ্যে মিয়ানমারের সাবেক নেত্রী নোবেল বিজয়ী অং সান সু চিও রয়েছেন। ৭৯ বছর বয়সী এই নেত্রী ১৪টি ফৌজদারি অভিযোগের আওতায় ২৭ বছরের কারাদণ্ড ভোগ করছেন। যার মধ্যে উসকানি, নির্বাচনী জালিয়াতি ও দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে। তবে তার আইনজীবীদের মতে, তিনি সব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
মন্তব্য করুন


বিশ্বের অন্যতম ব্যস্ত বাণিজ্যিক জলপথ দক্ষিণ চীন সাগরে ভাসমান ব্যারিয়ার বসিয়েছে চীন। অভিযোগ উঠেছে, সাগরের এমন জায়গায় ব্যারিয়ার বসানো হয়েছে— যেটি আন্তর্জাতিক আইন অনুসারে দেশটির সার্বভৌম এলাকার মধ্যে পড়ে না।
চীনের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ তুলেছে এই সাগরপাড়ের অন্যতম দেশ ফিলিপাইন। দেশটির কোস্টগার্ড বাহিনীর মুখপাত্র জায়ে তারিয়েলা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে (সাবেক টুইটার) সেই ব্যারিয়ারের ছবি পোস্ট করে জানিয়েছেন, সাগরের স্কারবোরোফ শোয়াল নামের এলাকার একটি অংশে বসানো হয়ে এই ব্যারিয়ার এবং এটির কারণে ফিলিপাইনের মৎসজীবীরা মাছ ধরার জন্য সেখানে যেতে পারছেন না।
আন্তর্জাতিক সমুদ্র আইন অনুসারে স্কারবোয়াফ শোয়াল কোনোভাবেই চীনের সার্বভৌম এলাকার মধ্যে পড়ে না দাবি করে এক্স পোস্টে জায়ে তারিয়েলা বলেন, ‘আমাদের সমুদ্র অধিকার ও মেরিটাইম ডোমেইন রক্ষার স্বার্থে এই ইস্যুতে ফিলিপাইনসহ দক্ষিণ চীন সাগরের উপকূলবর্তী অন্যান্য দেশের সরকারকে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি।’
মন্তব্য করুন


আন্তর্জাতিক ডেস্ক
শ্রীলঙ্কায় ভিসা নিয়ম ভঙ্গের অভিযোগে ৬ বাংলাদেশিকে আটক করা হয়েছে। বুধবার দেশটির পুলিশ জানায়, গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যায় দেশটির ওয়েস্টার্ন প্রভিন্স থেকে তাদের আটক করা হয়। চীনা বার্তা সংস্থা শিনহুয়ার প্রতিবেদনে এই তথ্য উল্লেখ করা হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, বন্দরনায়েকে আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের নিকটবর্তী সিডুয়া এলাকার একটি বাসভবন থেকে বাংলাদেশিদের আটক করা হয়। গ্রেপ্তারকৃতদের বয়স ১৮ থেকে ৪৩ বছরের মধ্যে, জানিয়েছে পুলিশ।
পুলিশ জানিয়েছে, আটককৃতদের নিয়ে এখনো তদন্ত চলছে।
এর আগে, গত মঙ্গলবার শ্রীলঙ্কার মন্ত্রিসভার মুখপাত্র ভিজথা হেরাথ বলেন, যারা ভিসার মেয়াদ শেষ হওয়ার পরেও অতিরিক্ত সময় ধরে শ্রীলঙ্কায় অবস্থান করছেন বা ভিসা বিধি লঙ্ঘনকারী কার্যকলাপে লিপ্ত হচ্ছেন, সরকারের পক্ষ থেকে তাদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।
মন্তব্য করুন


ভারতের দিল্লিতে গত বুধবার বিধানসভা নির্বাচনের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) দেশটির স্থানীয় সময় সকাল ৮টা থেকে ভোট গণনা শুরু হয়েছে, যা সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত চলবে। তবে এরই মধ্যে দেশটির বুথফেরত জরিপের পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, অরবিন্দ কেজরিওয়ালের আম আদমি পার্টি (আপ)-কে হারিয়ে প্রায় ২৭ বছর পর সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে ক্ষমতায় আসতে চলেছে বিজেপি ও তার সহযোগী দলগুলো।
বুধবার দিল্লির ৭০টি বিধানসভা আসনে ভোটগ্রহণ হয়। সংখ্যাগরিষ্ঠতার ম্যাজিক নম্বর ৩৬। কেজরিওয়ালের আম আদমি পার্টি লড়েছে ৭০টি আসনে। বিজেপি প্রার্থী দিয়েছে ৬৮ আসনে। দুটি আসন তারা ছেড়েছে জেডিইউ এবং এলজেপি'কে (রামবিলাস)। অধিকাংশ সমীক্ষার ইঙ্গিত, বিজেপি জিততে পারে প্রায় ৪০টির বেশি আসনে।
টাইমস অব ইন্ডিয়া, এনডিটিভির লাইভ প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এখন পর্যন্ত বিশাল ব্যবধানে এগিয়ে আছে। এনডিটিভি তাদের খবরের প্রধান শিরোনামে লিখেছে, বিশাল জয়ের পথে বিজেপি।
আনন্দবাজার তাদের লাইভ নিউজে জানিয়েছে, ভোটগণনা শুরুর ৪০ মিনিট পরের পরিসংখ্যা বলছে, আপ ২০টি আসনে এগিয়ে। অন্যদিকে ২৫টি আসনে এগিয়ে বিজেপি। কংগ্রেস একটি আসনে এগিয়ে রয়েছে।
কী বলছে বুথ ফেরত সমীক্ষা?
চাণক্য স্ট্র্যাটেজিসের সমীক্ষা অনুযায়ী বিজেপি পেতে পারে ৩৯-৪৪টি আসন। আপ জিততে পারে ২৫-২৮টি আসনে। কংগ্রেসের ঝুলিতে থাকতে পারে দুই থেকে তিনটি আসন।
ডিভি রিসার্চের বুথ-ফেরত সমীক্ষা অবশ্য কংগ্রেসকে একটি আসনও দেয়নি। তাদের সমীক্ষা অনুযায়ী, বিজেপি পেতে পারে ৩৬-৪৪টি আসন এবং আম আদমি পার্টি জিততে পারে ২৬ থেকে ৩৪টি আসনে।
জেভিসির সমীক্ষার ইঙ্গিত বিজেপি পেতে পারে ৩৯-৪৫টি আসন। আম আদমি পার্টি জিততে পারে ২২ থেকে ৩১টি আসন এবং কংগ্রেস পেতে পারে শূন্য থেকে দু'টি আসন। ম্যাট্রিজের সমীক্ষা অনুযায়ী আপের ঝুলিতে থাকতে পারে ৩২-৩৭টি আসন। বিজেপি জিততে পারে ৩৫ থেকে ৪০টি আসনে। কংগ্রেসের ভাগ্যে একটি আসন জয়ের ইঙ্গিত দিয়েছে এই সমীক্ষাটি।
মন্তব্য করুন


প্রতিশোধ নিতে ইসরায়েলজুড়ে নতুন করে পাল্টা ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে ইরান। রোববার (১৫ জুন) কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার লাইভ প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, হাইফা, তেল আবিবসহ ইসরায়েলের বিভিন্ন শহরে ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় এখন পর্যন্ত সাতজন নিহত হয়েছে। চিকিৎসক ও স্থানীয় মিডিয়া এই তথ্য নিশ্চিত করেছে।
ইসরায়েলের তেল আবিব মেট্রোপলিটন এলাকার বাত ইয়াম শহরেও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে ইরান। এতে এখন পর্যন্ত ৩৫ জন নিখোঁজ রয়েছে। সেই সঙ্গে আহতের সংখ্যা ১০০ ছাড়িয়েছে।
ইসরায়েলের জরুরি পরিষেবা মেগান ডেভিড অ্যাডম জানিয়েছে, বাত ইয়ামে যে তিনজন নিহত হয়েছে তাদের মধ্যে একজন ১০ বছর বয়সী শিশু রয়েছে। এ ছাড়া নিহত অন্য দুইজন নারীর মধ্যে একজনের বয়স ৬৯ এবং আরেকজনের বয়স ৮০ বছর।
এদিকে ইরানে হামলা অব্যাহত রেখেছে ইসরায়েলি বাহিনী। সর্বশেষ, ইরানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের সদরদপ্তরে হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। এ ছাড়া নতুন করে এবার ইরানের তেল স্থাপনা ও গ্যাসক্ষেত্রে হামলা চালাচ্ছে ইসরায়েলি বাহিনী।
ইসরায়েলের হামলায় ইরানে এখন পর্যন্ত দুই শতাধিক নিহত হয়েছে। নিহতের মধ্যে ইরানের শীর্ষ সামরিক কর্মকর্তা ও কমান্ডার ও অন্তত ১২ জন পরমাণুবিজ্ঞানী রয়েছেন।
মন্তব্য করুন