

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সাহায্য করেছিল, তবে এটি তাদের জন্য ছিল ব্যবসা। এমনটাই মনে করেন ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ।
বৃহস্পতিবার (২৩ জানুয়ারি) তিনি সাংবাদিকদের বলেন, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় ফ্যাসিবাদকে পরাজিত করার জন্য সোভিয়েত ইউনিয়নকে সর্বোচ্চ মূল্য দিতে হয়েছিল। হ্যাঁ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সাহায্য করেছিল, তবে তাদের জন্য এটি ছিল ব্যবসা।
দিমিত্রি পেসকভ বলেন, ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে জয়লাভের সবচেয়ে বড় মূল্য আমাদের সোভিয়েত ইউনিয়নকে দিতে হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র নিঃসন্দেহে আমাদের সাহায্য করেছে। গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছে। তবে আমেরিকা সর্বদা সবখান থেকে অর্থ উপার্জন করে, আমেরিকার জন্য এটি সর্বদা ব্যবসায়ের বিষয়।
বর্তমানের সময়েও যুক্তরাষ্ট্র এ ধরণের ব্যবসা করছে বলেও মন্তব্য করেন ক্রেমলিনের মুখপাত্র। বলেন, এখন যুক্তরাষ্ট্র ইউক্রেনকে সাহায্য করে এবং ইউরোপীয়দের কাছে তার ব্যয়বহুল সম্পদ বিক্রি করে অর্থ উপার্জন করছে। সুতরাং আপনি যেভাবেই বিশ্লেষণ করেন না কেন, এটি একটি সফল ব্যবসা।
ক্রেমলিনের মুখপাত্র বলেন, প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ক্ষমতায় আসার পর দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় যুক্তরাষ্ট্রকে দেওয়া সহায়তার জন্য ওয়াশিংটন ঋণ পরিশোধও বন্ধ করে দেয়। এটিও ব্যবসা ছিল!
যদিও এর আগে ট্রাম্প তার ট্রুথ সোশ্যাল পেজে এক পোস্টে লিখেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের কখনই ভুলে যাওয়া উচিত নয়, রাশিয়া আমাদের দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ জিততে সহায়তা করেছিল এবং এই প্রক্রিয়ায় প্রায় ৬ কোটি প্রাণ হারিয়েছিল।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে সোভিয়েত ইউনিয়ন সবচেয়ে বেশি ক্ষতির সম্মুখীন হয়। রাশিয়ান প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের মতে, মোট ক্ষতির মধ্যে অপূরণীয় ছিল ২৬.৬ মিলিয়ন মানুষ। এদের মধ্যে প্রায় ১৮ মিলিয়ন বেসামরিক এবং প্রায় ৮.৭ মিলিয়ন সামরিক সৈনিক ছিল। এদের মধ্যে ১০ লাখ সোভিয়েত সৈন্য ও অফিসার রয়েছেন যারা ইউরোপের মুক্তির জন্য তাদের জীবন উৎসর্গ করেছিলেন।
মন্তব্য করুন


ফিলিপাইনে ৬ দশমিক ৯ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্পে অন্তত ২৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। মঙ্গলবার (৩০ সেপ্টেম্বর) রাত ১০টার দিকে দেশটির মধ্যাঞ্চলে এই ভূমিকম্প আঘাত হানে। বুধবার (১ অক্টোবর) এসব তথ্য জানায় ফিলিপাইনের জাতীয় দুর্যোগ সংস্থা
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি জানায়, ভূমিকম্পের কেন্দ্র থেকে প্রায় ১৭ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত বোগো শহরে সবচেয়ে বেশি প্রাণহানি হয়েছে। সেখানে এখন পর্যন্ত ১৯ জনের মৃত্যু হয়েছে ও আহত হয়েছেন অন্তত ১১৯ জন।
বোগো ছাড়াও সেবুসহ একাধিক শহর ও পৌরসভায় জরুরি অবস্থা ঘোষণা করা হয়েছে। ভূমিকম্পের ফলে এসব শহরের বিদ্যুৎসংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় ও বহু ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ভূমিকম্পের পর সেবু প্রদেশজুড়ে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছে কর্তৃপক্ষ। এরই অংশ হিসেবে সেখানকার সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ক্লাস বন্ধ রাখা হয়েছে।
বিবিসি বলছে, সান রেমিজিও পৌরসভাতেও জরুরি অবস্থা ঘোষণা করা হয়েছে। শহরের একটি ক্রীড়া কমপ্লেক্সে ধ্বংসস্তূপের নিচে কয়েকজন আটকা পড়ায় উদ্ধার অভিযান চলছে।
স্থানীয় কর্মকর্তারা জানান, ভূমিকম্প আঘাত হানার সময় সেখানে বাস্কেটবল খেলা চলছিল। দুর্যোগের পর প্রায় ২০ জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে, যাদের মধ্যে অন্তত একজনের মৃত্যু হয়েছে।
এছাড়া ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত আরও কয়েকটি শহর ও পৌরসভা জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছে। এসব এলাকাতেও হতাহতের খবর পাওয়া গেছে। বোগো, সান রেমিজিও ও দানবান্তায়ান এলাকায় টেলিযোগাযোগ ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
এদিকে, ভূমিকম্পের পর সুনামি সতর্কতা জারি করা হলেও পরে তা প্রত্যাহার করে ফিলিপাইন ইনস্টিটিউট অব ভলকানোলজি অ্যান্ড সিসমোলজি। সংস্থাটি জানায়, সমুদ্রপৃষ্ঠে সামান্য পরিবর্তন হলেও এর প্রভাব কেটে গেছে।
মন্তব্য করুন


সৌদি আরবে জিলহজ মাসের চাঁদ দেখা গেছে মঙ্গলবার (২৭ মে)। সে অনুসারে দেশটিতে চলতি বছর পবিত্র হজের মূল আনুষ্ঠানিকতা শুরু হচ্ছে আগামী ৪ জুন। সৌদি আরবের পর্যবেক্ষণকেন্দ্রগুলো পবিত্র জিলহজ মাসের চাঁদ দেখা যাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করার পর দেশটির সুপ্রিম কোর্ট এ ঘোষণা দিয়েছেন।
সৌদি আরব কর্তৃপক্ষ বলছে, এ বছর আরাফাত ময়দানের আনুষ্ঠানিকতা পালন করা হবে ৫ জুন। আর দেশটিতে পবিত্র ঈদুল আজহা পালিত হবে পরদিন, ৬ জুন। সোমবার (২৬ মে) এক সংবাদ সম্মেলনে সৌদি আরবের হজবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী তৌফিক আল-রাবিয়াহ জানান, ইতিমধ্যে বিভিন্ন দেশ থেকে ১০ লাখের বেশি হজযাত্রী সৌদি আরবে পৌঁছেছেন।
পবিত্র হজ ইসলাম ধর্মের পাঁচটি মূল স্তম্ভের একটি। শারীরিক ও আর্থিকভাবে সক্ষম যেকোনো মুসলমানের জীবনে অন্তত একবার হজ পালন করা ফরজ।
প্রতিবছর জিলহজ মাসের ৮ থেকে ১৩ তারিখের মধ্যে হজের মূল আনুষ্ঠানিকতাগুলো সম্পন্ন করা হয়। এই সময়ের মধ্যে হজযাত্রীরা চার দিনের বিভিন্ন ধর্মীয় আনুষ্ঠানিকতায় অংশ নেন। চার দিনের মধ্যে দ্বিতীয় দিন লাখ লাখ হাজি আরাফাতের ময়দানে উপস্থিত হন ও নামাজ আদায় করেন। এ পবিত্র ময়দানেই সেই পাহাড় অবস্থিত, যেখান থেকে মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) বিদায় হজের ঐতিহাসিক ভাষণ দিয়েছিলেন।
হজযাত্রীদের আরেক কাঙ্ক্ষিত গন্তব্য পবিত্র মদিনা নগরী। সেখানে রয়েছে মহানবী (সা.)-এর পবিত্র রওজা মোবারক। মদিনা সফর হজের আনুষ্ঠানিকতার অংশ না হলেও, প্রত্যেক মুসলমানের আত্মার সঙ্গে নিবিড়ভাবে জড়িয়ে আছে নবীজির রওজা মোবারক জিয়ারত করার বিষয়টি।
সৌদি সরকারের তথ্য অনুযায়ী, গত বছর প্রায় ১৮ লাখ ধর্মপ্রাণ মুসলমান হজ পালনে অংশ নিয়েছিলেন। তবে ওই বছর হজ পালনকালে সৌদি আরবে তাপমাত্রা বেড়ে ৫১ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসে পৌঁছেছিল। গরমের কারণে ও অন্যান্য অসুস্থতায় ওই বছর ১ হাজার ৩০০-এর বেশি হজযাত্রী মারা যান।
মন্তব্য করুন


আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
লেবাননের সশস্ত্র সংগঠন হিজবুল্লাহর সঙ্গে যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হলেও গাজায় হামলা অব্যাহত রেখেছে ইসরাইলি বাহিনী। বৃহস্পতিবারও ইসরাইল বোমা হামলা চালিয়েছে, যার ফলে গাজায় নতুন করে ১৭ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন।
উত্তর গাজার বেইট লাহিয়া এলাকায় কামাল আদওয়ানের বাড়ি এবং একটি হাসপাতালের কাছে দুটি পৃথক বিমান হামলায় ছয়জন নিহত হন, এবং দক্ষিণ গাজার খান ইউনিস এলাকায় একটি মোটরসাইকেল লক্ষ্য করে ইসরাইলি হামলায় চারজন নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
এছাড়া গাজার আটটি ঐতিহাসিক শরণার্থী শিবিরের একটি নুসিরাত এলাকায় ইসরাইলি বিমানগুলি একটি বহুতল ভবন ধ্বংস করে দেয়। ওই এলাকায় মসজিদের বাইরের রাস্তাগুলিও ধ্বংস করা হয়। স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা জানান, নুসিরাত এলাকায় অন্তত সাতজন নিহত হয়েছেন।
চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, নুসিরাতের পশ্চিমাঞ্চলে ট্যাঙ্কের গোলাগুলিতে দুজন নিহত হয়েছেন—যাদের মধ্যে একজন নারী ও এক শিশু রয়েছে। কাছাকাছি একটি বাড়িতে বিমান হামলায় আরও পাঁচজন নিহত হয়েছেন।
এভাবে, গত ১৩ মাসে গাজায় ইসরাইলি হামলায় মোট ৪৪ হাজার ২০০ জনেরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন, এবং লক্ষাধিক মানুষ আহত হয়েছেন।
মন্তব্য করুন


আন্তর্জাতিক ডেস্ক
গাজার সংঘাতে মোহাম্মদ আল-তালমাস নামে আরও এক সাংবাদিক নিহত হয়েছেন। তিনি ১৩ জানুয়ারি, সোমবার গুরুতর আহত অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন। গাজা সিটিতে ইসরায়েলি বাহিনীর বোমা বর্ষণের সময় তিনি আহত হন। এ খবরটি আল জাজিরা জানায়।
গাজার সরকারি মিডিয়া অফিস সাংবাদিকদের ওপর হামলা এবং হত্যাকাণ্ডের তীব্র নিন্দা জানিয়েছে। ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে এখন পর্যন্ত গাজার বিভিন্ন স্থানে হামলার ঘটনায় ২০৪ জন সাংবাদিক নিহত হয়েছেন।
আল-তালমাস বার্তা সংস্থা সাফারের সাংবাদিক ছিলেন। তিনি গাজা সিটিতে ইসরায়েলি বাহিনীর বিমান হামলায় নিহত হয়েছেন বলে জানা গেছে।
টেলিগ্রামে পোস্ট করা এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ইন্টারন্যাশনাল ফেডারেশন অব জার্নালিস্ট, ফেডারেশন অব আরব জার্নালিস্ট এবং বিশ্বের সকল দেশের সাংবাদিক সংস্থাকে গাজার ফিলিস্তিনি সাংবাদিক এবং মিডিয়া কর্মীদের বিরুদ্ধে এ ধরনের হামলা ও হত্যাকাণ্ডের বিচার দাবি করতে বলা হয়েছে।
এদিকে, গাজায় যুদ্ধবিরতির আলোচনা বেশ এগিয়েছে। কাতারের আমিরের সঙ্গে বৈঠকের পর হামাসের একটি প্রতিনিধি দল জানিয়েছে, গাজার যুদ্ধবিরতির আলোচনা ভালভাবে এগিয়ে চলছে। তবে যুদ্ধবিরতি নিয়ে আলোচনা চললেও, অন্যদিকে গাজায় হামলা অব্যাহত রেখেছে দখলদার বাহিনী।
বেশ কিছু মেডিক্যাল সূত্র জানিয়েছে, গত ১৩ জানুয়ারি, সোমবার ভোর থেকে এখন পর্যন্ত কমপক্ষে ৭০ ফিলিস্তিনিকে হত্যা করা হয়েছে। এর মধ্যে ১৪ জানুয়ারি, মঙ্গলবার ১২ জন প্রাণ হারিয়েছে। ইসরায়েলি বাহিনীর উত্তর গাজা অবরোধের শততম দিন পার হয়েছে।
২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের সীমান্তে প্রবেশ করে আকস্মিক হামলা চালায় ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। এরপরই গাজায় পাল্টা আক্রমণ চালায় ইসরায়েল।
এখন পর্যন্ত গাজায় এক বছরের বেশি সময় ধরে ধ্বংসযজ্ঞ চালাচ্ছে ইসরায়েলি বাহিনী। সেখানে কমপক্ষে ৪৬ হাজার ৫৮৪ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে, এছাড়া আহত হয়েছে আরও ১ লাখ ৯ হাজার ৭৩১ জন। প্রতিদিনই ইসরায়েলি হামলায় নিরীহ ফিলিস্তিনিরা প্রাণ হারাচ্ছে।
মন্তব্য করুন


আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
মরুভূমির দেশ সৌদি আরবে নজিরবিহীন বৃষ্টি ও ভয়াবহ বন্যা দেখা দিয়েছে। যার ফলে দেশটির একাধিক শহরের রাস্তাঘাট ও আবাসিক এলাকায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি দেখা দিয়েছে।
সৌদি আবহাওয়া বিভাগের পূর্বাভাস অনুযায়ী, আবহাওয়ার এই নিম্নচাপ আরও কয়েক দিন ধরে চলতে পারে।
একসঙ্গে সৌদি আরবের জাতীয় আবহাওয়া কেন্দ্র মঙ্গলবার দেশটির বিভিন্ন অঞ্চলে বিভিন্ন স্তরের সতর্কতা জারি করেছে। পবিত্র দুই শহর মক্কা ও মদিনা এবং পূর্বাঞ্চলের কয়েকটি এলাকায় রেড অ্যালার্ট জারি করা হয়েছে। যা সবচেয়ে উচ্চ স্তরের সতর্কতার নির্দেশক।
এছাড়া রাজধানী রিয়াদ, মধ্যাঞ্চল এবং দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় আসির ও জাজান প্রদেশে কম মাত্রার কমলা সতর্কতা জারি করা হয়েছে। তবে সেখানেও নাগরিকদের সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে।
এমন পরিস্থিতিতে সৌদি আরবের রেড ক্রিসেন্ট অথরিটি এবং অন্যান্য উদ্ধার সংস্থাগুলো পুরোপুরি প্রস্তুত রয়েছে। রেড ক্রিসেন্ট নিশ্চিত করেছে যে, তাদের অ্যাম্বুলেন্স সেবা ও উদ্ধার কার্যক্রম অব্যাহত রাখতে তারা সর্বোচ্চ প্রস্তুত রয়েছে।
সৌদি কর্তৃপক্ষ নাগরিকদের সতর্ক থাকার এবং বিশেষত লাল সতর্কতার আওতাভুক্ত এলাকায় নিরাপত্তা নির্দেশিকা মেনে চলার পরামর্শ দিয়েছে।
অন্যদিকে সিভিল ডিফেন্স কর্তৃপক্ষ জনগণকে উপত্যকা, নিচু এলাকা এবং এমন জায়গা এড়ানোর আহ্বান জানিয়েছে, যেখানে বৃষ্টির পানি জমা হতে পারে।
এদিকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচারিত ভিডিওতে দেখা গেছে, বন্যার পানি রাস্তাঘাটের গাড়িগুলোকে ভাসিয়ে নিয়ে যাচ্ছে এবং ভবনগুলো ডুবে যাচ্ছে। প্রবল বৃষ্টি ও বজ্রঝড়ের কারণে পানি ক্রমশ বাড়ছে, যা সৌদি আরবে বিরল একটি দৃশ্য।
মন্তব্য করুন


আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
ভারতের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ মন্তব্য করেছেন যে, বাংলাদেশ থেকে অনুপ্রবেশ বন্ধ হলেই পশ্চিমবঙ্গে শান্তি ফিরবে। তার মতে, বাংলাদেশ থেকে অবৈধ অনুপ্রবেশের কারণেই পশ্চিমবঙ্গ এবং ভারতের বিভিন্ন অঞ্চলে শান্তি বিঘ্নিত হচ্ছে। তিনি আরও বলেন, পশ্চিমবঙ্গের শান্তি তখনই সম্পূর্ণভাবে স্থায়ী হবে, যখন এই অনুপ্রবেশ পুরোপুরি বন্ধ করা সম্ভব হবে।
রবিবার পেট্রাপোল স্থলবন্দরে ভারতের সবচেয়ে বড় যাত্রী টার্মিনাল ভবন এবং 'মৈত্রী দ্বার' নামে একটি কার্গো গেট উদ্বোধনকালে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এই মন্তব্য করেন। তিনি উল্লেখ করেন যে, 'ল্যান্ড পোর্ট অথরিটি অফ ইন্ডিয়া' (এলপিএআই) এই অঞ্চলে শান্তি ও উন্নয়ন স্থাপনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। বৈধ যাতায়াতের ব্যবস্থা না থাকলে মানুষ অবৈধভাবে সীমান্ত পেরিয়ে আসে এবং এটি পশ্চিমবঙ্গসহ গোটা ভারতের শান্তি বিঘ্নিত করে।
অমিত শাহ বলেন, ২০২৬ সালের পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভা নির্বাচনে পরিবর্তন ঘটাতে হবে এবং অনুপ্রবেশ পুরোপুরি বন্ধ করার প্রতিশ্রুতি দেন। তার মতে, এটি বাস্তবায়িত হলে সীমান্তবর্তী দেশগুলোর সঙ্গে অংশীদারত্ব আরও শক্তিশালী হবে। ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশ ছাড়াও নেপাল, ভুটান ও মিয়ানমারের সঙ্গে সংস্কৃতি, ভাষা ও আদান-প্রদান বাড়বে, যা এক নতুন অংশীদারিত্বের সূচনা করবে।
উত্তর চব্বিশ পরগনার পেট্রাপোল বন্দরে আয়োজিত অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে অমিত শাহ আরও বলেন, এলপিএআই একটি ছোট প্রতিষ্ঠান হলেও এর গুরুত্ব অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ভারত ও প্রতিবেশী দেশগুলোর সম্পর্ক উন্নয়নে ভাষা ও সংস্কৃতির আদান-প্রদানের মাধ্যমে এলপিএআই গত দশ বছরে বিশেষ ভূমিকা পালন করেছে।
অমিত শাহ আরও বলেন, এই ল্যান্ড পোর্ট অথরিটি নরেন্দ্র মোদির চারটি ‘পি’ সূত্র অনুসরণ করে কাজ করে—প্রসপারিটি (সমৃদ্ধি), পিস (শান্তি), পার্টনারশিপ (অংশীদারত্ব) এবং প্রগ্রেস (উন্নতি)।
অনুষ্ঠানে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় জাহাজ ও বন্দর প্রতিমন্ত্রী শান্তনু ঠাকুর, এলপিএআই এর চেয়ারম্যান আদিত্য মিশ্র, বিএসএফ এর ডিজি দলজিৎ সিং চৌধুরী এবং কেন্দ্রের জয়েন্ট ডিরেক্টর পৌসুমী বসু।
মন্তব্য করুন


বিশ্বের অন্যতম ব্যস্ত বাণিজ্যিক জলপথ দক্ষিণ চীন সাগরে ভাসমান ব্যারিয়ার বসিয়েছে চীন। অভিযোগ উঠেছে, সাগরের এমন জায়গায় ব্যারিয়ার বসানো হয়েছে— যেটি আন্তর্জাতিক আইন অনুসারে দেশটির সার্বভৌম এলাকার মধ্যে পড়ে না।
চীনের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ তুলেছে এই সাগরপাড়ের অন্যতম দেশ ফিলিপাইন। দেশটির কোস্টগার্ড বাহিনীর মুখপাত্র জায়ে তারিয়েলা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে (সাবেক টুইটার) সেই ব্যারিয়ারের ছবি পোস্ট করে জানিয়েছেন, সাগরের স্কারবোরোফ শোয়াল নামের এলাকার একটি অংশে বসানো হয়ে এই ব্যারিয়ার এবং এটির কারণে ফিলিপাইনের মৎসজীবীরা মাছ ধরার জন্য সেখানে যেতে পারছেন না।
আন্তর্জাতিক সমুদ্র আইন অনুসারে স্কারবোয়াফ শোয়াল কোনোভাবেই চীনের সার্বভৌম এলাকার মধ্যে পড়ে না দাবি করে এক্স পোস্টে জায়ে তারিয়েলা বলেন, ‘আমাদের সমুদ্র অধিকার ও মেরিটাইম ডোমেইন রক্ষার স্বার্থে এই ইস্যুতে ফিলিপাইনসহ দক্ষিণ চীন সাগরের উপকূলবর্তী অন্যান্য দেশের সরকারকে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি।’
মন্তব্য করুন


আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প এবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রয়োজনীয় ২৭০ ইলেকটোরাল কলেজ ভোটের ম্যাজিক ফিগার ছাড়িয়ে গেছেন। উইসকনসিন অঙ্গরাজ্যে ১০টি এবং আলাস্কায় ৩টি ইলেকটোরাল কলেজ ভোট পাওয়ার মাধ্যমে তিনি মোট ২৭৯ ইলেকটোরাল ভোট অর্জন করেছেন। এই ভোটসংখ্যা নিয়ে তিনি যুক্তরাষ্ট্রের ৪৭তম প্রেসিডেন্ট হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন।
এর আগে, ট্রাম্প নিজেকে বিজয়ী ঘোষণা করেছিলেন যখন তার ইলেকটোরাল ভোট সংখ্যা ছিল ২৬৬, যা ম্যাজিক ফিগার থেকে চার ভোট কম। এখন প্রয়োজনীয় ভোটসংখ্যা অর্জন করায় তার জয় নিশ্চিত হয়েছে।
অন্যদিকে, ডেমোক্র্যাটিক পার্টির প্রার্থী কমলা হ্যারিস পেয়েছেন ২২৩টি ইলেকটোরাল কলেজ ভোট।
মন্তব্য করুন


চীনা এক যাত্রীর কাছ থেকে চুরি করা নগদ অর্থ গিলে ফেলেছেন ফিলিপাইনের বিমানবন্দরের এক কর্মী। এই ঘটনার ভিডিও ফুটেজ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়ে যাওয়ার পর ফিলিপাইনের কর্তৃপক্ষ ওই কর্মীর বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করেছে।
সংবাদমাধ্যম সিএনএন ফিলিপাইনের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত ৮ সেপ্টেম্বর ম্যানিলার নিনয় অ্যাকুইনো আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ১ নম্বর টার্মিনালে ওই ঘটনা ঘটেছে।
বিমানবন্দরের পরিবহন নিরাপত্তা কার্যালয় (ওটিএস) মঙ্গলবার ফেসবুকে এই ঘটনা সম্পর্কে একটি বিবৃতি পোস্ট করেছে। এতে বলা হয়েছে, চীনা এক পর্যটকের ব্যাগ থেকে চুরি করা ৩০০ মার্কিন ডলার নগদ অর্থ গিলে ফেলার ঘটনায় জড়িত নিরাপত্তা কর্মকর্তার পরিচয় পাওয়া গেছে এবং ইতিমধ্যে প্রমাণ সংগ্রহের কাজ শুরু হয়েছে।
অনলাইনে ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে দেখা যায়, ওই নিরাপত্তা কর্মকর্তা তার মুখে নগদ অর্থ ভরছেন। হাতের একটি আঙুল ব্যবহার করে মুখের মধ্যে অর্থ ঢুকিয়ে দিচ্ছেন তিনি। এক পর্যায়ে পানি দিয়ে তা গিলেও ফেলেন। এ সময় রুমাল দিয়ে মুখ আড়াল করতেও দেখা যায় তাকে।
মন্তব্য করুন


দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সাহায্য করেছিল, তবে এটি তাদের জন্য ছিল ব্যবসা। এমনটাই মনে করেন ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ।
বৃহস্পতিবার (২৩ জানুয়ারি) তিনি সাংবাদিকদের বলেন, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় ফ্যাসিবাদকে পরাজিত করার জন্য সোভিয়েত ইউনিয়নকে সর্বোচ্চ মূল্য দিতে হয়েছিল। হ্যাঁ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সাহায্য করেছিল, তবে তাদের জন্য এটি ছিল ব্যবসা।
দিমিত্রি পেসকভ বলেন, ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে জয়লাভের সবচেয়ে বড় মূল্য আমাদের সোভিয়েত ইউনিয়নকে দিতে হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র নিঃসন্দেহে আমাদের সাহায্য করেছে। গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছে। তবে আমেরিকা সর্বদা সবখান থেকে অর্থ উপার্জন করে, আমেরিকার জন্য এটি সর্বদা ব্যবসায়ের বিষয়।
বর্তমানের সময়েও যুক্তরাষ্ট্র এ ধরণের ব্যবসা করছে বলেও মন্তব্য করেন ক্রেমলিনের মুখপাত্র। বলেন, এখন যুক্তরাষ্ট্র ইউক্রেনকে সাহায্য করে এবং ইউরোপীয়দের কাছে তার ব্যয়বহুল সম্পদ বিক্রি করে অর্থ উপার্জন করছে। সুতরাং আপনি যেভাবেই বিশ্লেষণ করেন না কেন, এটি একটি সফল ব্যবসা।
ক্রেমলিনের মুখপাত্র বলেন, প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ক্ষমতায় আসার পর দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় যুক্তরাষ্ট্রকে দেওয়া সহায়তার জন্য ওয়াশিংটন ঋণ পরিশোধও বন্ধ করে দেয়। এটিও ব্যবসা ছিল!
যদিও এর আগে ট্রাম্প তার ট্রুথ সোশ্যাল পেজে এক পোস্টে লিখেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের কখনই ভুলে যাওয়া উচিত নয়, রাশিয়া আমাদের দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ জিততে সহায়তা করেছিল এবং এই প্রক্রিয়ায় প্রায় ৬ কোটি প্রাণ হারিয়েছিল।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে সোভিয়েত ইউনিয়ন সবচেয়ে বেশি ক্ষতির সম্মুখীন হয়। রাশিয়ান প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের মতে, মোট ক্ষতির মধ্যে অপূরণীয় ছিল ২৬.৬ মিলিয়ন মানুষ। এদের মধ্যে প্রায় ১৮ মিলিয়ন বেসামরিক এবং প্রায় ৮.৭ মিলিয়ন সামরিক সৈনিক ছিল। এদের মধ্যে ১০ লাখ সোভিয়েত সৈন্য ও অফিসার রয়েছেন যারা ইউরোপের মুক্তির জন্য তাদের জীবন উৎসর্গ করেছিলেন।
মন্তব্য করুন