ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধবিরতি যেকোনো সময় ভেঙে যেতে পারে: যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী

ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধবিরতি যেকোনো সময় ভেঙে যেতে পারে: যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী
ছবি: সংগৃহীত



ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে যুদ্ধবিরতি ধরে রাখা অত্যন্ত কঠিন এবং তা যেকোনো সময় ভেঙে যেতে পারে বলে মন্তব্য করেন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও। তিনি বলেন, যুদ্ধবিরতির সবচেয়ে বড় জটিলতা হলো সেটি বজায় রাখা। রুবিওর ভাষায়, ‘প্রতিদিন আমরা খেয়াল রাখছি পাকিস্তান ও ভারতের মধ্যে কী ঘটছে।’


রোববার (১৭ আগস্ট) মার্কিন সম্প্রচারমাধ্যম এনবিসি নিউজে প্রচারিত এক সাক্ষাৎকারে রুবিও বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দুই প্রতিবেশী পরাশক্তির মধ্যে সম্ভাব্য পারমাণবিক সংঘাত এড়াতে ভূমিকা রেখেছেন। রাশিয়া–ইউক্রেন যুদ্ধের প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, অস্ত্রবিরতি তখনই কার্যকর হয় যখন উভয় পক্ষ গুলি চালানো বন্ধে রাজি হয়। কিন্তু রাশিয়া এখনো তাতে সম্মত হয়নি।


তার মতে, ইউক্রেনে সাড়ে তিন বছরের যুদ্ধের মতো পরিস্থিতির পর যুদ্ধবিরতি হলেও তা দ্রুত ভেঙে যেতে পারে। তবে লক্ষ্য কেবল অস্ত্রবিরতি নয়, বরং এমন এক শান্তিচুক্তি যা বর্তমানেও যুদ্ধ রোধ করবে এবং ভবিষ্যতেও সংঘাত এড়াবে।


ফক্স বিজনেসকে দেওয়া আরেক সাক্ষাৎকারে রুবিও আবারও ট্রাম্পের দাবির প্রতিধ্বনি করে বলেন, ‘আমরা ভাগ্যবান যে, আমাদের একজন প্রেসিডেন্ট আছেন যিনি শান্তিকে অগ্রাধিকার দিয়েছেন। আমরা তা দেখেছি কম্বোডিয়া ও থাইল্যান্ডে, ভারত–পাকিস্তানের মধ্যে, রুয়ান্ডা ও কঙ্গোতে। বিশ্বজুড়ে যেখানে সুযোগ পাওয়া যায় আমরা শান্তি প্রতিষ্ঠার চেষ্টা চালাব।’


প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ১০ মে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দাবি করেছিলেন, দীর্ঘ আলোচনার পর যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় ভারত ও পাকিস্তান ‘তাৎক্ষণিক পূর্ণাঙ্গ’ যুদ্ধবিরতিতে পৌঁছেছে। এরপর থেকে প্রায় ৪০ বার তিনি বলেছেন যে, তিনি ভারত–পাকিস্তান সংঘাত মিটিয়ে দিয়েছেন এবং দুই দেশকে আশ্বস্ত করেছেন, সংঘাত থামালে আমেরিকা তাদের সঙ্গে বড় অঙ্কের বাণিজ্য করবে।


গত শুক্রবার রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে বৈঠকের দিনও ট্রাম্প বারবার একই দাবি পুনরাবৃত্তি করেন এবং দিল্লির রাশিয়ার তেল কেনার প্রসঙ্গ তোলেন। ট্রাম্পের ভাষায়, ‘ভারত ও পাকিস্তান যুদ্ধবিমান ভূপাতিত করছিল। সেটা পারমাণবিক পর্যায়ে চলে যেতে পারত। আমি সেটি ঠেকিয়েছি। যুদ্ধ খুবই খারাপ, আর আমি তা এড়ানোর চেষ্টা করি। যুক্তরাষ্ট্রের শক্তিকে আমি সেই কাজেই ব্যবহার করি।’


অন্যদিকে পাকিস্তান প্রকাশ্যে যুক্তরাষ্ট্রের দাবির সঙ্গে সুর মিলিয়েছে এবং ট্রাম্পকে কৃতিত্ব দিয়েছে। যুদ্ধের পর পাকিস্তানের সেনাপ্রধান আসিম মুনির দুই দফা যুক্তরাষ্ট্র সফর করেছেন। এ সময় ওয়াশিংটন ইসলামাবাদের সঙ্গে তেল চুক্তির ঘোষণাও দিয়েছে।

global fast coder

ইউটিউব সাবস্ক্রাইব করুন  

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

নির্বাচন নিয়ে ভারতের নসিহত অগ্রহণযোগ্য : উপদেষ্টা তৌহিদ

নির্বাচনে প্রায় ২০০ পর্যবেক্ষক পাঠাবে ইউরোপীয় ইউনিয়ন

‘ফ্যাসিস্ট-ডেভিলদের অপচেষ্টা সফল হবে না’

জাতীয় স্মৃতিসৌধে প্রধান উপদেষ্টার শ্রদ্ধা

নির্বাচনে ইউরোপীয় ইউনিয়নের ২০০ পর্যবেক্ষক নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করবেন

যেকোনো মূল্যে নির্বাচন হতে হবে : তারেক রহমান

নির্বাচনের প্রার্থীরা ব্যক্তিগত আগ্নেয়াস্ত্রের লাইসেন্স চাইলে অনুমতি পাবে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

গণতন্ত্রে রাজনৈতিক সহিংসতার কোনো জায়গা নেই : ফখরুল

তফসিল ঘোষণা, ভোট আগামী ১২ ফেব্রুয়ারি

সংসদ নির্বাচনে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিতে প্রশাসনে রদবদল চলবে: ইসি সচিব

১০

আমাদের নেতা যেদিন দেশে পা রাখবেন, সেদিন যেন সমগ্র বাংলাদেশ কেঁপে ওঠে: মির্জা ফখরুল

১১

পদত্যাগ করেছেন দুই উপদেষ্টা

১২

ইন্টারনেট বন্ধ করে গণহত্যার তথ্য লুকানোর মাস্টারমাইন্ড ছিলেন জয়: চিফ প্রসিকিউটর

১৩

আগামী নির্বাচনকে স্মরণীয় করে রাখতে হবে: প্রধান উপদেষ্টা

১৪

দেশের মানুষ ভ্যাট দিলেও ‘অনেক সময়’ সরকার পায় না: উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন

১৫

আমরা নির্বাচনের ট্রেনে উঠে গেছি: সিইসি

১৬

৪ নারীর হাতে বেগম রোকেয়া পদক তুলে দিলেন প্রধান উপদেষ্টা

১৭

অর্থ পাচারকারীদের বিরুদ্ধে সামাজিকভাবে ঘৃণা তৈরি করতে হবে: অর্থ উপদেষ্টা

১৮

নির্বাচনের জন্য সার্বিক প্রস্তুতি চলমান: উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর

১৯

ভোট দিতে নিবন্ধন করেছেন আড়াই লাখ প্রবাসী

২০

মৃত্যুদণ্ড থেকে খালাস পেলেন জামায়াত নেতা এটিএম আজহার

মৃত্যুদণ্ড থেকে খালাস পেলেন জামায়াত নেতা এটিএম আজহার
ছবি: সংগৃহীত

মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় জামায়াত নেতা এটিএম আজহারুল ইসলামকে মৃত্যুদণ্ড থেকে খালাস দিয়েছেন আপিল বিভাগ। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের মৃত্যুদণ্ডের রায় বাতিল করে সর্ব্বোচ আদালত এ রায় দেন।


মঙ্গলবার (২৭ মে) প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন সাত সদস্যের বেঞ্চ এই রায় ঘোষণা করেন। 


বাংলাদেশের বিচার বিভাগের ইতিহাসে এই প্রথম মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত কোনো ব্যক্তি আপিল বিভাগের রায়ে খালাস পেলেন। এই রায়ের ফলে জামায়াত নেতা আজহারুল ইসলামের মুক্তিতে বাধা নেই বলে জানিয়েছেন তার আইনজীবীরা।


আইনজীবী শিশির মনির জানান, ‘এই রায়ের জন্য প্রথম আল্লাহর শুকরিয়া আদায় করি। তাকে সকল অভিযোগ থেকে বেকসুর খালাস দেওয়া হয়েছে। এটি ছিল বিচারের নামে অবিচার।’


তিনি আরো বলেন, ‘এই রায়ের ফলে সত্য বিজয় হয়েছে, মিথ্যা পরাজিত হয়েছে। এটিএম আজহারের ওপর এটি ছিল নজিরবিহীন নির্যাতনে সামিল। পৃথিবির ইতিহাসে এটি একটি নজিরবিহীন ঘটনা হয়ে থাকবে।’


উল্লেখ্য, মুক্তিযুদ্ধের সময় মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ২০১৪ সালের ৩০ ডিসেম্বর আজহারুল ইসলামকে মৃত্যুদণ্ড দেয় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। ওই রায়ের বিরুদ্ধে ২০১৫ সালের ২৮ জানুয়ারি আপিল করেন আজহারুল ইসলাম। শুনানি শেষে ২০১৯ সালের ৩১ অক্টোবর আপিল বিভাগ মৃত্যুদণ্ড বহাল রাখে।


২০২০ সালের ১৫ মার্চ আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশিত হয়। এরপর তা পুনর্বিবেচনা চেয়ে ওই বছরের ১৯ জুলাই আপিল বিভাগে আবেদন করেন আজহারুল ইসলাম। গত ২৬ ফেব্রুয়ারি আপিল বিভাগ রিভিউ শুনে ফের আপিল শুনানির সিদ্ধান্ত দেয়। এটাই প্রথম মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলা, যেটি রিভিউ পর্যায়ে আসার পর ফের আপিল শুনানির অনুমতি পায়।


একাত্তরে যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে ২০১২ সালের ২২ অগাস্ট মগবাজারের বাসা থেকে আজহারুল ইসলামকে গ্রেফতার করা হয়। তখন থেকেই তিনি কারাগারে আছেন।

global fast coder

ইউটিউব সাবস্ক্রাইব করুন  

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

নির্বাচন নিয়ে ভারতের নসিহত অগ্রহণযোগ্য : উপদেষ্টা তৌহিদ

নির্বাচনে প্রায় ২০০ পর্যবেক্ষক পাঠাবে ইউরোপীয় ইউনিয়ন

‘ফ্যাসিস্ট-ডেভিলদের অপচেষ্টা সফল হবে না’

জাতীয় স্মৃতিসৌধে প্রধান উপদেষ্টার শ্রদ্ধা

নির্বাচনে ইউরোপীয় ইউনিয়নের ২০০ পর্যবেক্ষক নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করবেন

যেকোনো মূল্যে নির্বাচন হতে হবে : তারেক রহমান

নির্বাচনের প্রার্থীরা ব্যক্তিগত আগ্নেয়াস্ত্রের লাইসেন্স চাইলে অনুমতি পাবে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

গণতন্ত্রে রাজনৈতিক সহিংসতার কোনো জায়গা নেই : ফখরুল

তফসিল ঘোষণা, ভোট আগামী ১২ ফেব্রুয়ারি

সংসদ নির্বাচনে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিতে প্রশাসনে রদবদল চলবে: ইসি সচিব

১০

আমাদের নেতা যেদিন দেশে পা রাখবেন, সেদিন যেন সমগ্র বাংলাদেশ কেঁপে ওঠে: মির্জা ফখরুল

১১

পদত্যাগ করেছেন দুই উপদেষ্টা

১২

ইন্টারনেট বন্ধ করে গণহত্যার তথ্য লুকানোর মাস্টারমাইন্ড ছিলেন জয়: চিফ প্রসিকিউটর

১৩

আগামী নির্বাচনকে স্মরণীয় করে রাখতে হবে: প্রধান উপদেষ্টা

১৪

দেশের মানুষ ভ্যাট দিলেও ‘অনেক সময়’ সরকার পায় না: উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন

১৫

আমরা নির্বাচনের ট্রেনে উঠে গেছি: সিইসি

১৬

৪ নারীর হাতে বেগম রোকেয়া পদক তুলে দিলেন প্রধান উপদেষ্টা

১৭

অর্থ পাচারকারীদের বিরুদ্ধে সামাজিকভাবে ঘৃণা তৈরি করতে হবে: অর্থ উপদেষ্টা

১৮

নির্বাচনের জন্য সার্বিক প্রস্তুতি চলমান: উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর

১৯

ভোট দিতে নিবন্ধন করেছেন আড়াই লাখ প্রবাসী

২০

চেষ্টা করবো বাজেটে ভ্যাটের ওপর নির্ভরতা কমাতে: উপদেষ্টা

চেষ্টা করবো বাজেটে ভ্যাটের ওপর নির্ভরতা কমাতে: উপদেষ্টা
ছবি: সংগৃহীত

দেশে উচ্চ মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ করতে না পারার একটি বড় কারণ হিসেবে চাঁদাবাজির কথা বলেছেন অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ।


বিবিসি বাংলাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছেন, আগে যারা চাঁদাবাজি করতো তাদের পাশাপাশি রাজনীতিতে যারা জায়গা দখলের চেষ্টায় আছে তাদের লোকজন চাঁদাবাজি করছে এবং স্থানীয় পর্যায়ের অন্যান্য চাঁদাবাজরাও সক্রিয় আছে।


নির্বাচিত সরকার আসার আগে এটির পুরোপুরি সমাধান কঠিন বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি ।


অর্থ উপদেষ্টা বলেন, মূল্যস্ফীতি এখানে লিগ্যাসি প্রবলেম। গত দুই-তিন বছর ধরে মূল্যস্ফীতির এ রকম অবস্থা হয় নাই। প্রচুর আয়-উপার্জন হয়েছে, অনেকে টাকা উড়িয়েছে। কোটি কোটি টাকার মেগা প্রজেক্টস (আরেকটি সমস্যা)। মেগা প্রজেক্টের সমস্যা হলো, রিটার্ন আর আউটপুট দ্রুত আসে না। ব্রিজ হলো, সরবরাহ চেইনে তো দ্রুত কোনো প্রভাব নাই। অ্যাট দ্য সেম টাইম, রেমিট্যান্স অনেকটা কমে গেলো।


এর ফলে মূল্যস্ফীতি আমরা একেবারে নিয়ন্ত্রণ করতে পারি নাই, তা না। কিছুটা করেছি। খাদ্যে মূল্যস্ফীতি একটু বেড়েছে। কিন্তু নন-ফুডে আবার কিছুটা কমেছে। সামগ্রিকভাবে বেড়েছে। আমরা সরবরাহ ঠিক রাখার চেষ্টা করছি যতটা সম্ভব।


সাপ্লাই চেইন ইজ ব্রোকেন। আর অনেক মিডল ম্যান। মহাস্থানগড় থেকে একটি ট্রাক ঢাকায় আসবে। পাঁচ হাজার টাকা ভাড়া। কিন্তু শেষ পর্যন্ত চাঁদাবাজির কারণে ভাড়া পড়ে ১২ হাজার টাকা। চাঁদাবাজি তো কমে নাই।


চাঁদাবাজি কমানো নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, রাজনৈতিক সরকারের সুবিধা হলো, তার পলিটিক্যাল আর্মস ছিল। আমাদের তো সেরকম নাই। ইউ নো দ্য লিমিটিশেন। ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন, একজন দুজন ম্যাজিস্ট্রেট এটা নিয়ন্ত্রণ করতে পারে না।


চাঁদাবাজিতে এখন তিনটি বড় দল জড়িত। এক, আগে যারা ছিল তারাও আছে… (আওয়ামী লীগের); দুই, যারা এখন পলিটিক্যালি ইমার্জিং… মাঠপর্যায়ে আছে, তারাও চাঁদাবাজি করছে। তিন, স্থানীয় জনগণ। এগুলোকে নিয়ন্ত্রণ করা আমাদের জন্য ডিফিকাল্ট হয়ে যাচ্ছে।


রাজনৈতিক দলের ইস্যুতে প্রশ্ন করা হলে উপদেষ্টা বলেন, রাজনৈতিক দলের তো ভোটের দিকে নজর থাকে। তারা ক্ষমতায় যেতে চায়। বড় রাজনৈতিক দল যাদের একেবারে মাঠ পর্যায়ে কর্মী আছে, তাদের তো নিয়ন্ত্রণ করা এখন অন্তর্বর্তী সরকারের জন্য একটু কঠিন হয়ে পড়ছে।


দ্বিতীয়ত দুর্যোগের বিষয়টিও, কুমিল্লায় যেমন বন্যা হলো, শেরপুর-ময়মনসিংহে অতিবৃষ্টি হলো। প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে সমস্যার সম্মুখীন তো হয়েছি। তাই এখনো মুল্যস্ফীতি অনেক বেশি।


সমস্যাটা সমাধান হবে কি না, এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, আমরা চেষ্টা করছি। আমরা আশা করছি, জুনের মধ্যে মূল্যস্ফীতি ৮ এর নিচে নিয়ে আসতে পারবো। একেবারে পাঁচ-ছয়-চারে চলে যাওয়া অসম্ভব। পাঁচ-তো আদর্শিক অবস্থান।


সিন্ডিকেট নিয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, ভাঙতে চেষ্টা করছি। আমাদের এখন সরকারি কয়েকটি সংস্থার ওপর নির্ভর করতে হচ্ছে। যারা কিনা পর্যাপ্ত নয়। টিসিবি কার্ড দিয়ে বা ডেপুটি কমিশনার, ইউএনও দিয়ে তো মার্কেট কনট্রোল করা যাচ্ছে না। তারা একবার গেলো, পরে চলে এলো। মূল বিষয় হচ্ছে, জনগণকে সচেতন হতে হবে।


আমি ডেটা সংগ্রহ করছি, মহাস্থানগড় থেকে শুরু করে কুমিল্লার কংশনগরে ফুলকপি কত টাকা বিক্রি হচ্ছে। ওখানে বিক্রি হচ্ছে ১০ টাকায়। ১০ টাকা না, দুই-তিন টাকায়ও পাচ্ছে। ঢাকায় ২০ টাকায় কিনছেন। আমরা ওদিকে (প্রান্তিক পর্যায়) দামটা বাড়িয়ে দিই, কৃষক তো ভুগছে।


খুবই সত্য যে, পুলিশ আগের মতো সক্রিয় না। তাদের নানা কাজে ব্যবহার করা যাচ্ছে না, যেমন বাজারে যাও, ধরে নিয়ে আসো।


ব্যাংক নিয়ে উপদেষ্টা বলেন, বাংলাদেশ সরকার ব্যাংকিং খাত থেকে এই মুহূর্তে বড় ঋণ নিচ্ছে না। এর আগে কিন্তু ৬০ হাজার কোটি টাকা, ওইটার বেশিরভাগ কিন্তু সরকার নিয়েছিল। আর আমার ২২ হাজার কোটি সরকারকে দিই নাই। বেসরকারি খাতে দিয়েছি। অ্যান্ড দে আর প্রডিউসিং সামথিং। সো দ্যাট ইজ নট কমপ্লিটলি পিউর মানি ক্রিয়েশন। যেটা আমরা বলি যে, স্ট্রেলাইজেশন, আমরা টাকা ছাপাচ্ছি, কিন্তু স্ট্রেলাইজ করছি। কিছু কিছু লিকুইডিটি আবার কনট্রোল করছি।


ভ্যাট-ট্যাক্স নিয়ে প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা বলেন, আমার আর্গুমেন্টটা হলো, বাংলাদেশ ইজ এ মোস্ট লিস্ট ট্যাক্সড কান্ট্রি ইন দ্য ওয়ার্ল্ড। এমনকি ভুটানের তুলনায়ও। যাস্ট রেট ইনকাম ট্যাক্স অনুযায়ী আমরা বাড়াবো না তা তো না। এখনো তো বাকি আছে, এটা তো অনলি ভ্যাট, কেবল ১২ হাজার কোটি টাকার একটা... টার্গেট তো কয়েক লাখ কোটি টাকার রেভিনিউ। তাই ভ্যাট বাড়ানোর বিষয়ে আমরা রেশনালাইজড হতে চাই। পৃথিবীর কোনো দেশে ভ্যাট দুই দশমিক চার, পাঁচ, সাত, সাত দশমিক পাঁচ এ রকমও না।


বেশিরভাগ দেশে ন্যূনতম ভ্যাট ১৫ শতাংশ। আমরা ভাবছিলাম, পাঁচ যেগুলো আছে দশ করি, সাড়ে দশ করি। অলরেডি কয়েকটা পণ্যে আছে। এজন্য আমরা কিছুটা রেশনালাইজড করতে চেয়েছি। আর আমি চেষ্টা করবো, বাজেটে ভ্যাটের ওপর নির্ভরতা কমাতে।


আয়কর নিয়ে তিনি বলেন, আমরা অবশ্যই ট্যাক্স নেটটা (করজাল) বাড়াবো। প্রথমত, ট্যাক্স লিকেজ হয়, যারা ট্যাক্স দেওয়ার কথা, যত টাকার দেওয়ার কথা, তা দেয় না। কারণ, তারা টেবিলের নিচে সেটেল করে। এটা আমাদের কর সংগ্রহে বড় একটি দুর্বলতা। যতটা আমরা ধারণা করি, দেওয়ার কথা, তারা ততটা দেয় না। আমরা এনবিআরকে ডিজিটাইলাইজড করার চেষ্টা করছি। এবার যেমন আমরা ১২ লাখ (অনলাইনে রিটার্ন) পেয়েছি।


ব্যক্তিগত আয়করটা আমরা অনলাইন করেছি, কোম্পানিটা এখনো করা হয়নি, এটা করতে আরও সময় লাগবে। কোম্পানিরটা জটিল। এটা করলে কারও কাছে আর যেতে হচ্ছে না, তাই এখানে দুর্নীতিটা কম হবে।


আরেকটা বিষয় স্পর্শকাতর, অনেক সময় এক্সেস ট্যাক্স দেয়, রিটার্নটা পায় না। অন্য দেশে বেশি ট্যাক্স দিলে রিটার্ন আসে, বলা হয় আপনি এত টাকা বেশি দিয়েছেন। পরে এটা অ্যাডজাস্ট করা হয়।


আমাদের এখানে অথরাইজড ভ্যাটের বেলায় পায়, অন্যরা পায় না। এজন্যই তো ছোটখাটো মিষ্টির দোকান পর্যন্ত বলে, আমরা দেবো? রুটি পর্যন্ত আসার আগ পর্যন্ত আটা-ময়দায় দেওয়া উচিত ছিল। কিন্তু আমার কাছ থেকে সব আদায় করছে। সেটা হচ্ছে না, এটা একটা প্রবলেম।


অলরেডি কেবিনেটে সিদ্ধান্ত হয়েছে, করনীতি ও কর প্রশাসন আমি আলাদ করে দিচ্ছি। এনবিআর কেবল কর সংগ্রহ করবে। অ্যান্ড পলিসি ইজ ইউল বি ডান বাই ডিফারেন্ট বডি, ইন্ডিপেন্ডেন্ট।


২০০৮ সালে একটা সিদ্ধান্ত হয়েছিল, করনীতি ও কর প্রশাসন আলাদা হবে। কিন্তু এটা হয়নি। কারণ, এনবিআর অফিশিয়ালস এটিকে এলাউ করেনি। বলে কি, আমরা নিজরাই পলিসি করবো।


নিজেরা যদি পলিসি করি, ওটা আমার মন মতো করে করবো। একজনের ওপর ট্যাক্স চাপাবো, এটা এডজুডিকেট আমি করবো, রাইট অর রং। সেটা তো হয় না। পলিসি যারা করবে তারা সিদ্ধান্ত নেবে।


এটা করলে সুবিধা হবে কী তখন, ব্যবসায়ীরা বলছে, এনবিআরের কাছে আমার ধর্ণা দিতে হয়, টাক্স আরও কমান। এখন থেকে আপনারা আমাদের পলিসি দিয়ে দেবেন, আমার সেটি ফলো করবো। তখন কর সংগ্রহকারী আমাকে ডিসক্রিশিয়নারি কিছু করতে পারবে না। দিজ ইজ দ্য পলিসি, দিজ ইজ দ্য রেট।


অর্থ উপদেষ্টা বলেন, করদাতার সংখ্যা বাড়াবো। আর সিস্টেমটা্ও পরিবর্তন করছি। ডিজিটালাইজেশন প্লাস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন অ্যান্ড ট্যাক্স কালেকশন উইল বি ডিফারেন্ট জব।


করদাতাদের থেকে নেওয়া টাকার পরিমাণ বাড়বে, ২৫-৩০ শতাংশ থেকেও বাড়ানোর চিন্তা করছেন কি না, এমন প্রশ্নে অর্থ উপদেষ্টা বলেন, আমি ওটা চিন্তা করছি না। ট্যাক্স জিডিপির অনুপাত বাড়ানোর চিন্তা করছি।


সম্পদের অসমতা নিয়ে অর্থ উপদেষ্টা বলেন, ন্যারেটিভ হচ্ছে, আমাদের গ্রোথ অনেক হয়েছে। কিন্তু গ্রোথের সুফল তো লোকজন পায়নি। আমাদের আয়ের যে বৈষম্য... আয়ের চেয়ে বেশি খারাপ হলো সম্পদের বৈষম্য অনেক বেশি। একজনের ৫০টা ফ্ল্যাট-বাড়ি, দেশে-বিদেশে। এটি অবশ্যই বন্ধ করতে হবে।


আমরা একেবারে খুবই হাই গ্রোথ পাবো, আট থেকে নয় পাবো এটি না। আমরা প্রাক্কলন করেছি, পাঁচ দশমিক পাঁচ দুই শতাংশ পাবো। এর ফলটা যেন সবাই পায়, সমভাবে বলছি না, তবে সুফলটা যেন কাছাকাছি আকারে যায়। এটলিস্ট আশা করি, তা কৃষকের যাক, নারী কর্মীদের কাছে যাক, ছোট ছোট ব্যবসায়ীদের কাছে যাক।

global fast coder

ইউটিউব সাবস্ক্রাইব করুন  

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

নির্বাচন নিয়ে ভারতের নসিহত অগ্রহণযোগ্য : উপদেষ্টা তৌহিদ

নির্বাচনে প্রায় ২০০ পর্যবেক্ষক পাঠাবে ইউরোপীয় ইউনিয়ন

‘ফ্যাসিস্ট-ডেভিলদের অপচেষ্টা সফল হবে না’

জাতীয় স্মৃতিসৌধে প্রধান উপদেষ্টার শ্রদ্ধা

নির্বাচনে ইউরোপীয় ইউনিয়নের ২০০ পর্যবেক্ষক নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করবেন

যেকোনো মূল্যে নির্বাচন হতে হবে : তারেক রহমান

নির্বাচনের প্রার্থীরা ব্যক্তিগত আগ্নেয়াস্ত্রের লাইসেন্স চাইলে অনুমতি পাবে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

গণতন্ত্রে রাজনৈতিক সহিংসতার কোনো জায়গা নেই : ফখরুল

তফসিল ঘোষণা, ভোট আগামী ১২ ফেব্রুয়ারি

সংসদ নির্বাচনে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিতে প্রশাসনে রদবদল চলবে: ইসি সচিব

১০

আমাদের নেতা যেদিন দেশে পা রাখবেন, সেদিন যেন সমগ্র বাংলাদেশ কেঁপে ওঠে: মির্জা ফখরুল

১১

পদত্যাগ করেছেন দুই উপদেষ্টা

১২

ইন্টারনেট বন্ধ করে গণহত্যার তথ্য লুকানোর মাস্টারমাইন্ড ছিলেন জয়: চিফ প্রসিকিউটর

১৩

আগামী নির্বাচনকে স্মরণীয় করে রাখতে হবে: প্রধান উপদেষ্টা

১৪

দেশের মানুষ ভ্যাট দিলেও ‘অনেক সময়’ সরকার পায় না: উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন

১৫

আমরা নির্বাচনের ট্রেনে উঠে গেছি: সিইসি

১৬

৪ নারীর হাতে বেগম রোকেয়া পদক তুলে দিলেন প্রধান উপদেষ্টা

১৭

অর্থ পাচারকারীদের বিরুদ্ধে সামাজিকভাবে ঘৃণা তৈরি করতে হবে: অর্থ উপদেষ্টা

১৮

নির্বাচনের জন্য সার্বিক প্রস্তুতি চলমান: উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর

১৯

ভোট দিতে নিবন্ধন করেছেন আড়াই লাখ প্রবাসী

২০

ফোর্বসের বিলিয়নিয়ার তালিকায় সামিটের আজিজ খান

ফোর্বসের বিলিয়নিয়ার তালিকায় সামিটের আজিজ খান
আজিজ খান

ফোর্বস ২০২৪ সালের বিলিয়নিয়ারদের যে তালিকা প্রকাশ করেছে, সেখানে প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে জায়গা করে নিয়েছেন সামিট গ্রুপের চেয়ারম্যান মুহাম্মদ আজিজ খান।

ফোর্বসের এই তালিকায় ৭৮টি দেশের ২ হাজার ৭৮১ জন বিলিয়নিয়ারের প্রকাশ করা হযেছে।
সর্বশেষ খবর দ্য ডেইলি স্টার বাংলার গুগল নিউজ চ্যানেলে।

তালিকায় ২ হাজার ৫৪৫ নম্বরে রয়েছেন আজিজ খান, যার মোট সম্পদের পরিমাণ দেখানো হয়েছে ১ দশমিক ১ বিলিয়ন ডলার এবং আয়ের খাত হিসেবে রয়েছে জ্বালানি।

ফোর্বসের তথ্য অনুসারে, আজিজ খান বর্তমানে সিঙ্গাপুরের স্থায়ী বাসিন্দা। এর আগে তিনি সিঙ্গাপুরের ৪১তম ধনী ব্যক্তি হিসেবে জায়গা করে নিয়েছিলেন।

সামিট গ্রুপ বাংলাদেশের বেসরকারি খাতের একটি শীর্ষস্থানীয় প্রতিষ্ঠান, যারা বিদ্যুৎ, বন্দর, ফাইবার অপটিক্স, রিয়েল এস্টেট, তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস প্রভৃতির ব্যবসা করে।
সামিটের আজিজ খান এখন সিঙ্গাপুরের ৪১তম শীর্ষ ধনী: ফোর্বস
আরও
সামিটের আজিজ খান এখন সিঙ্গাপুরের ৪১তম শীর্ষ ধনী: ফোর্বস

ফোর্বসের সর্বশেষ এই তালিকায় ২৩৩ বিলিয়ন ডলারের সম্পদ নিয়ে প্রথম স্থানে রয়েছেন ফ্রান্সের ধনকুবের বার্নার্ড আর্নল্ট। ১৯৫ বিলিয়ন ডলার নিয়ে দ্বিতীয় অবস্থানে ইলন মাস্ক এবং ১৯৪ বিলিয়ন ডলার নিয়ে তৃতীয় অবস্থানে রয়েছেন জেফ বেজস।

এ ছাড়া, ফেসবুকের মালিক মার্ক জাকারবার্গ ১৭৭ বিলিয়ন ডলার নিয়ে রয়েছেন চতুর্থ অবস্থানে।

ফোর্বসের তালিকায় দীর্ঘসময় প্রথম অবস্থান ধরে রাখা বিল গেটস এবারের তালিকায় আছেন সপ্তম অবস্থানে। তার মোট সম্পদের পরিমাণ ১২৮ বিলিয়ন ডলার। ওয়ারেন বাফেট ১৩৩ বিলিয়ন ডলার নিয়ে আছেন ষষ্ঠ অবস্থানে।

তালিকায় প্রথম দশের মধ্যেই রয়েছেন ভারতীয় ধনকুবের মুকেশ আম্বানি। তার মোট সম্পদের পরিমাণ ১১৬ বিলিয়ন ডলার। ভারতীয় আরেক ধনকুবের গৌতম আদানির অবস্থান ১৭তম, যার মোট সম্পদের পরিমাণ দেখানো হয়েছে ৮৪ বিলিয়ন ডলার।

এ ছাড়া, দশম নামটি ল্যারি পেজের, যিনি গুগলের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা এবং এর মূল প্রতিষ্ঠান অ্যালফাবেটের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা।

তালিকায় সবচেয়ে বেশি বিলিয়নিয়ার রয়েছেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের। দেশটির মোট ৮১৩ জন বিলিয়নিয়ারের নাম রয়েছে এতে।

global fast coder

ইউটিউব সাবস্ক্রাইব করুন  

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

নির্বাচন নিয়ে ভারতের নসিহত অগ্রহণযোগ্য : উপদেষ্টা তৌহিদ

নির্বাচনে প্রায় ২০০ পর্যবেক্ষক পাঠাবে ইউরোপীয় ইউনিয়ন

‘ফ্যাসিস্ট-ডেভিলদের অপচেষ্টা সফল হবে না’

জাতীয় স্মৃতিসৌধে প্রধান উপদেষ্টার শ্রদ্ধা

নির্বাচনে ইউরোপীয় ইউনিয়নের ২০০ পর্যবেক্ষক নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করবেন

যেকোনো মূল্যে নির্বাচন হতে হবে : তারেক রহমান

নির্বাচনের প্রার্থীরা ব্যক্তিগত আগ্নেয়াস্ত্রের লাইসেন্স চাইলে অনুমতি পাবে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

গণতন্ত্রে রাজনৈতিক সহিংসতার কোনো জায়গা নেই : ফখরুল

তফসিল ঘোষণা, ভোট আগামী ১২ ফেব্রুয়ারি

সংসদ নির্বাচনে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিতে প্রশাসনে রদবদল চলবে: ইসি সচিব

১০

আমাদের নেতা যেদিন দেশে পা রাখবেন, সেদিন যেন সমগ্র বাংলাদেশ কেঁপে ওঠে: মির্জা ফখরুল

১১

পদত্যাগ করেছেন দুই উপদেষ্টা

১২

ইন্টারনেট বন্ধ করে গণহত্যার তথ্য লুকানোর মাস্টারমাইন্ড ছিলেন জয়: চিফ প্রসিকিউটর

১৩

আগামী নির্বাচনকে স্মরণীয় করে রাখতে হবে: প্রধান উপদেষ্টা

১৪

দেশের মানুষ ভ্যাট দিলেও ‘অনেক সময়’ সরকার পায় না: উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন

১৫

আমরা নির্বাচনের ট্রেনে উঠে গেছি: সিইসি

১৬

৪ নারীর হাতে বেগম রোকেয়া পদক তুলে দিলেন প্রধান উপদেষ্টা

১৭

অর্থ পাচারকারীদের বিরুদ্ধে সামাজিকভাবে ঘৃণা তৈরি করতে হবে: অর্থ উপদেষ্টা

১৮

নির্বাচনের জন্য সার্বিক প্রস্তুতি চলমান: উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর

১৯

ভোট দিতে নিবন্ধন করেছেন আড়াই লাখ প্রবাসী

২০

৪ দিনের রিমান্ডে কামরুল ও সোলায়মান

৪ দিনের রিমান্ডে কামরুল ও সোলায়মান
ছবি: সংগৃহীত

পল্টন মডেল থানার যুবদল নেতা শামীম হত্যা মামলায় সাবেক খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম ও সাবেক সংসদ সদস্য সোলায়মান সেলিমকে চার দিনের এবং পল্টন মডেল থানার বিএনপি কর্মী মকবুল হত্যা মামলায় এনবিআরের সাবেক চেয়ারম্যান নজিবুর রহমানকে তিন দিনের পুলিশ রিমান্ডে নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।


এছাড়া, রাজধানীর বিভিন্ন থানার মামলায় সালমান এফ রহমান, গোলাম কিবরিয়া টিপু, কামাল আহমেদ মজুমদার, চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন, অ্যাডভোকেট মাহবুব আলী, রাশেদ খান মেনন, হাসানুল হক ইনু ও মোজাম্মেল হককে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত।


বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) সকালে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতে আসামিদের হাজির করা হয়। শুনানি শেষে মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শরিফুর রহমান এসব আদেশ দেন।


আদালতে সাবেক খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম বলেন, "আমি এই এলাকার সংসদ সদস্য ছিলাম না। আমাকে এই হত্যার মাস্টারমাইন্ড বলা অমূলক। ২০১৭ সাল থেকে আমি ক্যান্সার আক্রান্ত। আমার শারীরিক অবস্থা বিবেচনা করার অনুরোধ করছি।"


নিউমার্কেট থানার হত্যা মামলায় সালমান এফ রহমানকে, হাতিরঝিল থানার মামলায় সাবেক সংসদ সদস্য গোলাম কিবরিয়া টিপুকে, মিরপুর, কাফরুল ও রামপুরা থানার পৃথক তিন মামলায় কামাল আহমেদ মজুমদারকে, মিরপুর মডেল থানার মামলায় সাবেক আইজিপি চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুনকে এবং দুটি মামলায় সাবেক সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট মাহবুব আলীকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।


এছাড়া মতিঝিল মডেল থানার মামলায় রাশেদ খান মেনন, হাসানুল হক ইনু ও মোজাম্মেল হককে গ্রেপ্তার দেখিয়ে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত।

global fast coder

ইউটিউব সাবস্ক্রাইব করুন  

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

নির্বাচন নিয়ে ভারতের নসিহত অগ্রহণযোগ্য : উপদেষ্টা তৌহিদ

নির্বাচনে প্রায় ২০০ পর্যবেক্ষক পাঠাবে ইউরোপীয় ইউনিয়ন

‘ফ্যাসিস্ট-ডেভিলদের অপচেষ্টা সফল হবে না’

জাতীয় স্মৃতিসৌধে প্রধান উপদেষ্টার শ্রদ্ধা

নির্বাচনে ইউরোপীয় ইউনিয়নের ২০০ পর্যবেক্ষক নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করবেন

যেকোনো মূল্যে নির্বাচন হতে হবে : তারেক রহমান

নির্বাচনের প্রার্থীরা ব্যক্তিগত আগ্নেয়াস্ত্রের লাইসেন্স চাইলে অনুমতি পাবে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

গণতন্ত্রে রাজনৈতিক সহিংসতার কোনো জায়গা নেই : ফখরুল

তফসিল ঘোষণা, ভোট আগামী ১২ ফেব্রুয়ারি

সংসদ নির্বাচনে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিতে প্রশাসনে রদবদল চলবে: ইসি সচিব

১০

আমাদের নেতা যেদিন দেশে পা রাখবেন, সেদিন যেন সমগ্র বাংলাদেশ কেঁপে ওঠে: মির্জা ফখরুল

১১

পদত্যাগ করেছেন দুই উপদেষ্টা

১২

ইন্টারনেট বন্ধ করে গণহত্যার তথ্য লুকানোর মাস্টারমাইন্ড ছিলেন জয়: চিফ প্রসিকিউটর

১৩

আগামী নির্বাচনকে স্মরণীয় করে রাখতে হবে: প্রধান উপদেষ্টা

১৪

দেশের মানুষ ভ্যাট দিলেও ‘অনেক সময়’ সরকার পায় না: উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন

১৫

আমরা নির্বাচনের ট্রেনে উঠে গেছি: সিইসি

১৬

৪ নারীর হাতে বেগম রোকেয়া পদক তুলে দিলেন প্রধান উপদেষ্টা

১৭

অর্থ পাচারকারীদের বিরুদ্ধে সামাজিকভাবে ঘৃণা তৈরি করতে হবে: অর্থ উপদেষ্টা

১৮

নির্বাচনের জন্য সার্বিক প্রস্তুতি চলমান: উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর

১৯

ভোট দিতে নিবন্ধন করেছেন আড়াই লাখ প্রবাসী

২০

আইনজীবী হত্যার প্রতিবাদে চিন্ময়ের মুক্তি দাবি করলেন শেখ হাসিনা

আইনজীবী হত্যার প্রতিবাদে চিন্ময়ের মুক্তি দাবি করলেন শেখ হাসিনা
শেখ হাসিনার ছবি

ডেস্ক রিপোর্ট:

চট্টগ্রামে আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফ হত্যার তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছেন ভারতে পালিয়ে যাওয়া আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। পাশাপাশি তিনি অবিলম্বে বাংলাদেশ সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র ও পুণ্ডরীক ধামের অধ্যক্ষ চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীর মুক্তির দাবি জানিয়েছেন।

বৃহস্পতিবার (২৮ নভেম্বর) আওয়ামী লীগের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে তিনি এই দাবি জানান।

অ্যাডভোকেট সাইফুল ইসলাম আলিফের নাম উল্লেখ না করে বিবৃতিতে শেখ হাসিনা বলেন, “চট্টগ্রামে একজন আইনজীবীকে হত্যা করা হয়েছে, এ হত্যার তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি। এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে যারা জড়িত, তাদের খুঁজে বের করে দ্রুত শাস্তি দিতে হবে। এই ঘটনার মাধ্যমে চরমভাবে মানবাধিকার লঙ্ঘিত হয়েছে। একজন আইনজীবী তার পেশাগত দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে নিহত হয়েছেন, এবং তাকে পিটিয়ে হত্যা করা সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড। যারা এটি করেছে, তারা যেই হোক না কেন, তাদের শাস্তি পেতেই হবে।”

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে ‘অসাংবিধানিকভাবে ক্ষমতা দখলকারী’ হিসেবে উল্লেখ করেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বিবৃতিতে তিনি বলেন, “ইউনূস সরকার যদি এ সন্ত্রাসীদের শাস্তি দিতে ব্যর্থ হয়, তাহলে মানবাধিকার লঙ্ঘনের দায়ে তাকেও শাস্তির মুখোমুখি হতে হবে। আমি দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি, এই ধরনের সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে সবাই ঐক্যবদ্ধভাবে রুখে দাঁড়ান। সাধারণ মানুষের জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা জরুরি।”

শেখ হাসিনা আরও বলেন, “বর্তমান ক্ষমতা দখলকারীরা সর্বক্ষেত্রেই ব্যর্থতার পরিচয় দিয়ে চলেছে। নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ করতে ব্যর্থ, মানুষের জীবনের নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ। সাধারণ মানুষের ওপর প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে এসব নির্যাতনের তীব্র নিন্দা জানাই।”

চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের নাম উল্লেখ না করে শেখ হাসিনা বলেন, “সনাতন ধর্মাবলম্বী সম্প্রদায়ের একজন শীর্ষ নেতাকে অন্যায়ভাবে গ্রেফতার করা হয়েছে, অবিলম্বে তাকে মুক্তি দিতে হবে। চট্টগ্রামে মন্দির পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। এর আগে মসজিদ, মাজার, গির্জা, মঠ এবং আহমাদিয়া সম্প্রদায়ের ঘরবাড়ি আক্রমণ করে ভাঙচুর ও লুটপাট করে আগুনে পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। সব সম্প্রদায়ের মানুষের ধর্মীয় স্বাধীনতা ও জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে।”

“আওয়ামী লীগের অগণিত নেতাকর্মী, ছাত্র-জনতা ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের হত্যা করার পরও হামলা-মামলা ও গ্রেফতারের মাধ্যমে হয়রানি চলছেই। আমি এসব নৈরাজ্যবাদী কার্যকলাপের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি,” বলে বিবৃতিতে জানান শেখ হাসিনা।

global fast coder

ইউটিউব সাবস্ক্রাইব করুন  

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

নির্বাচন নিয়ে ভারতের নসিহত অগ্রহণযোগ্য : উপদেষ্টা তৌহিদ

নির্বাচনে প্রায় ২০০ পর্যবেক্ষক পাঠাবে ইউরোপীয় ইউনিয়ন

‘ফ্যাসিস্ট-ডেভিলদের অপচেষ্টা সফল হবে না’

জাতীয় স্মৃতিসৌধে প্রধান উপদেষ্টার শ্রদ্ধা

নির্বাচনে ইউরোপীয় ইউনিয়নের ২০০ পর্যবেক্ষক নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করবেন

যেকোনো মূল্যে নির্বাচন হতে হবে : তারেক রহমান

নির্বাচনের প্রার্থীরা ব্যক্তিগত আগ্নেয়াস্ত্রের লাইসেন্স চাইলে অনুমতি পাবে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

গণতন্ত্রে রাজনৈতিক সহিংসতার কোনো জায়গা নেই : ফখরুল

তফসিল ঘোষণা, ভোট আগামী ১২ ফেব্রুয়ারি

সংসদ নির্বাচনে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিতে প্রশাসনে রদবদল চলবে: ইসি সচিব

১০

আমাদের নেতা যেদিন দেশে পা রাখবেন, সেদিন যেন সমগ্র বাংলাদেশ কেঁপে ওঠে: মির্জা ফখরুল

১১

পদত্যাগ করেছেন দুই উপদেষ্টা

১২

ইন্টারনেট বন্ধ করে গণহত্যার তথ্য লুকানোর মাস্টারমাইন্ড ছিলেন জয়: চিফ প্রসিকিউটর

১৩

আগামী নির্বাচনকে স্মরণীয় করে রাখতে হবে: প্রধান উপদেষ্টা

১৪

দেশের মানুষ ভ্যাট দিলেও ‘অনেক সময়’ সরকার পায় না: উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন

১৫

আমরা নির্বাচনের ট্রেনে উঠে গেছি: সিইসি

১৬

৪ নারীর হাতে বেগম রোকেয়া পদক তুলে দিলেন প্রধান উপদেষ্টা

১৭

অর্থ পাচারকারীদের বিরুদ্ধে সামাজিকভাবে ঘৃণা তৈরি করতে হবে: অর্থ উপদেষ্টা

১৮

নির্বাচনের জন্য সার্বিক প্রস্তুতি চলমান: উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর

১৯

ভোট দিতে নিবন্ধন করেছেন আড়াই লাখ প্রবাসী

২০

যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত: আহত-নিহতদের তালিকা তৈরিতে কমিটি গঠন

যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত: আহত-নিহতদের তালিকা তৈরিতে কমিটি গঠন
ছবি: সংগৃহীত

ঢাকার উত্তরার দিয়াবাড়ির মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের স্থায়ী ক্যাম্পাসে বিমানবাহিনীর একটি যুদ্ধবিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় হতাহতদের প্রকৃত সংখ্যা নিরূপণ এবং আহত, নিহত ও নিখোঁজদের নাম-ঠিকানাসহ তালিকা তৈরিতে ছয় সদস্যের একটি কমিটি গঠন করেছে প্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষ। 


দুর্ঘটনার তীব্রতায় তাৎক্ষণিকভাবে সঠিক তথ্য নিশ্চিত করা না গেলেও, বিদ্যালয়ের অভ্যন্তরে থাকা বহু মানুষ হতাহত হয়েছেন। এমন পরিস্থিতিতে মঙ্গলবার (২৩ জুলাই) অধ্যক্ষ মোহাম্মদ জিয়াউল আলমকে সভাপতি করে গঠিত এই কমিটিকে তিন কর্মদিবসের মধ্যে একটি পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।


কমিটির অন্যান্য সদস্যরা হলেন—উপাধ্যক্ষ (প্রশাসন) মো. মাসুদ আলম, প্রধান শিক্ষিকা খাদিজা আক্তার, কো-অর্ডিনেটর লুৎফুন্নেসা লোপা, অভিভাবক প্রতিনিধি মনিরুজ্জামান মোল্লা (শিক্ষার্থী: যাইমা জাহান, চতুর্থ শ্রেণি) এবং দ্বাদশ শ্রেণির দুই শিক্ষার্থী—মারুফ বিন জিয়াউর রহমান ও মো. ভাসনিম ভূঁইয়া প্রতিক। কমিটিকে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে সরাসরি ঘটনাস্থল পরিদর্শন, সংশ্লিষ্ট পরিবারদের সঙ্গে যোগাযোগ এবং নিশ্চিত তথ্য যাচাই করে তালিকা প্রস্তুত করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।


সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, কমিটির প্রতিবেদনটি শুধু অভ্যন্তরীণ ব্যবস্থাপনার জন্য নয়, প্রয়োজনে সরকার, উদ্ধারকারী সংস্থা ও অন্যান্য সহায়তাকারী কর্তৃপক্ষের কাছেও হস্তান্তর করা হবে। ইতোমধ্যে অধ্যক্ষের স্বাক্ষরে কমিটি গঠনের প্রজ্ঞাপন ই-মেইলের মাধ্যমে সংশ্লিষ্টদের কাছে পাঠানো হয়েছে এবং সেই অনুযায়ী কাজও শুরু করেছে সদস্যরা।


এছাড়া, এই কমিটি ছাড়াও দুর্ঘটনার সার্বিক দিক, উদ্ধার ও চিকিৎসা সহায়তা, অবকাঠামোগত ক্ষতি এবং নিরাপত্তা ঘাটতির বিষয়গুলো পর্যবেক্ষণের জন্য আলাদাভাবে প্রশাসনিক কর্মকর্তারা কাজ করছেন বলে জানা গেছে।


গত সোমবার দুপুরে মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের প্রাথমিক শাখায় বিমানবাহিনীর একটি যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত হয়। এতে বহু শিক্ষার্থী হতাহত হন।মর্মান্তিক এই ঘটনার পরদিন রাষ্ট্রীয়ভাবে শোক পালন করা হয়।

global fast coder

ইউটিউব সাবস্ক্রাইব করুন  

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

নির্বাচন নিয়ে ভারতের নসিহত অগ্রহণযোগ্য : উপদেষ্টা তৌহিদ

নির্বাচনে প্রায় ২০০ পর্যবেক্ষক পাঠাবে ইউরোপীয় ইউনিয়ন

‘ফ্যাসিস্ট-ডেভিলদের অপচেষ্টা সফল হবে না’

জাতীয় স্মৃতিসৌধে প্রধান উপদেষ্টার শ্রদ্ধা

নির্বাচনে ইউরোপীয় ইউনিয়নের ২০০ পর্যবেক্ষক নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করবেন

যেকোনো মূল্যে নির্বাচন হতে হবে : তারেক রহমান

নির্বাচনের প্রার্থীরা ব্যক্তিগত আগ্নেয়াস্ত্রের লাইসেন্স চাইলে অনুমতি পাবে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

গণতন্ত্রে রাজনৈতিক সহিংসতার কোনো জায়গা নেই : ফখরুল

তফসিল ঘোষণা, ভোট আগামী ১২ ফেব্রুয়ারি

সংসদ নির্বাচনে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিতে প্রশাসনে রদবদল চলবে: ইসি সচিব

১০

আমাদের নেতা যেদিন দেশে পা রাখবেন, সেদিন যেন সমগ্র বাংলাদেশ কেঁপে ওঠে: মির্জা ফখরুল

১১

পদত্যাগ করেছেন দুই উপদেষ্টা

১২

ইন্টারনেট বন্ধ করে গণহত্যার তথ্য লুকানোর মাস্টারমাইন্ড ছিলেন জয়: চিফ প্রসিকিউটর

১৩

আগামী নির্বাচনকে স্মরণীয় করে রাখতে হবে: প্রধান উপদেষ্টা

১৪

দেশের মানুষ ভ্যাট দিলেও ‘অনেক সময়’ সরকার পায় না: উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন

১৫

আমরা নির্বাচনের ট্রেনে উঠে গেছি: সিইসি

১৬

৪ নারীর হাতে বেগম রোকেয়া পদক তুলে দিলেন প্রধান উপদেষ্টা

১৭

অর্থ পাচারকারীদের বিরুদ্ধে সামাজিকভাবে ঘৃণা তৈরি করতে হবে: অর্থ উপদেষ্টা

১৮

নির্বাচনের জন্য সার্বিক প্রস্তুতি চলমান: উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর

১৯

ভোট দিতে নিবন্ধন করেছেন আড়াই লাখ প্রবাসী

২০

২০২৫ সাল বাংলাদেশে বিচার বিভাগের জন্য ‘নবযাত্রার বছর’: আশাবাদ প্রধান বিচারপতির

২০২৫ সাল বাংলাদেশে বিচার বিভাগের জন্য ‘নবযাত্রার বছর’: আশাবাদ প্রধান বিচারপতির
ছবি: সংগৃহীত

প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদ আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেছেন, তার ঘোষিত রোডম্যাপ বাস্তবায়ন করতে যে পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে, তার মাধ্যমে ২০২৫ সাল বাংলাদেশে বিচার বিভাগের জন্য একটি ‘নবযাত্রার বছর’ হবে।


বুধবার (১ জানুয়ারি ২০২৫) সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের গণসংযোগ কর্মকর্তা মো. শফিকুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।


বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, 'প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদ গত ১১ আগস্ট শপথ গ্রহণ করেন। দায়িত্ব গ্রহণের পর তিনি বিচার বিভাগের স্বচ্ছতা ও প্রাতিষ্ঠানিক উৎকর্ষতা নিশ্চিত করতে বিচার বিভাগের প্রতি মানুষের হারানো আস্থা পুনরুদ্ধারের জন্য একটি রোডম্যাপ ঘোষণা করেন। ২১ সেপ্টেম্বর ওই রোডম্যাপ ঘোষণার মাধ্যমে বিচার বিভাগে অর্থপূর্ণ সংস্কার নিশ্চিত করার জন্য বিভিন্ন স্বল্পমেয়াদি, মধ্যমেয়াদি এবং দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা ঘোষণা করা হয়।'


এ পরিকল্পনাগুলোর বাস্তবায়নের অংশ হিসেবে ইতোমধ্যে বিচার বিভাগের জন্য পৃথক সচিবালয় প্রতিষ্ঠা, উচ্চ আদালতের বিচারক নিয়োগে স্বাধীন কাউন্সিল গঠন, অধস্তন আদালতের বিচারকদের বদলি ও পদায়ন নীতিমালা প্রণয়নসহ উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি অর্জিত হয়েছে। এছাড়া, ষোড়শ সংশোধনীর রিভিউ দরখাস্ত চূড়ান্ত নিষ্পত্তি হওয়ার পর সুপ্রিম জুডিসিয়াল কাউন্সিল পুনর্গঠন করা হয়েছে এবং বর্তমানে এটি পূর্ণ গতিতে কার্যক্রম পরিচালনা করছে।


প্রধান বিচারপতি বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন যাতে বিচার বিভাগ থেকে সকল প্রকার দুর্নীতি দূর করা যায় এবং বিচারপ্রার্থীরা স্বচ্ছ ও জবাবদিহিতামূলক বিচারসেবা পায়। বিশেষভাবে, সুপ্রিম কোর্টের সেবার মানোন্নয়নে প্রধান বিচারপতি ১২ দফা নির্দেশনা দিয়েছেন এবং এসব নির্দেশনার বাস্তবায়নে মনিটরিং সভা নিয়মিতভাবে আয়োজিত হচ্ছে। সুপ্রিম কোর্টসহ দেশের অন্যান্য আদালতে সেবার মানোন্নয়নের জন্য একটি হেল্পলাইন চালু করা হয়েছে, যেখানে সেবাগ্রহীতা প্রয়োজনীয় তথ্যসেবা নিতে পারেন এবং যেকোনো অনিয়ম সম্পর্কে অবহিত করতে পারেন। অভিযোগসমূহের তদন্তের পর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।


প্রধান বিচারপতি ঘোষিত অন্যান্য পরিকল্পনাগুলোরও বাস্তবায়ন চলছে। বিশেষত, ই-জুডিসিয়ারি বাস্তবায়নে প্রধান বিচারপতি দেশের উচ্চ আদালত ও জেলা আদালতগুলোকে পুরোপুরি ই-জুডিসিয়ারির আওতায় আনতে উদ্যোগ গ্রহণ করবেন। এছাড়া, বিচার বিভাগে মেধার চর্চা বৃদ্ধির লক্ষ্যে ফেলোশিপ বাস্তবায়ন করতে নীতিমালা প্রণয়ন দ্রুত চলছে এবং ২০২৫ সালের প্রথম দিকেই এটি বাস্তবায়ন সম্ভব হবে।


বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, ‘বিচার বিভাগ জনগণের সেবার জন্য গঠন করা হয়েছে। তাই জনগণের প্রত্যাশা কী এবং সেই প্রত্যাশা পূরণে বিচার বিভাগ কীভাবে সক্ষমতা অর্জন করতে পারে, তা জানার জন্য প্রধান বিচারপতি ২০২৫ সালে দেশের সকল বিভাগীয় শহরের আদালতগুলোতে স্টেকহোল্ডার মিটিং আয়োজনের পরিকল্পনা করেছেন। এই মিটিংগুলো রোডম্যাপ বাস্তবায়নের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ ভিত্তি হিসেবে কাজ করবে। এর মাধ্যমে বিচারসেবা জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছানোর জন্য নানা পরিকল্পনা গ্রহণ করা হবে।'


আগামী ২ জানুয়ারি থেকে সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগে কোম্পানি সংক্রান্ত একটি বেঞ্চে কাগজবিহীন বিচারিক কার্যক্রম শুরু হবে। এই বেঞ্চের জন্য একটি অনলাইন প্ল্যাটফর্ম প্রস্তুত করা হয়েছে, যার মাধ্যমে সকল কাগজাদি অনলাইনে প্রদান করা হবে। ২০২৫ সালে সুপ্রিম কোর্টের অন্যান্য বেঞ্চেও পেপার-ফ্রি কার্যক্রম চালু করার পরিকল্পনা রয়েছে। প্রধান বিচারপতি আশা করেন, দীর্ঘমেয়াদে দেশের জেলা আদালতগুলোতেও পেপার-ফ্রি বিচারিক কার্যক্রম শুরু হবে।


গত ৭ ডিসেম্বর প্রধান বিচারপতির উপস্থিতিতে এক কনফারেন্সে বিচার বিভাগের মানোন্নয়নে বিভিন্ন অংশীজনের মতামত সংগ্রহ করা হয়। শিগগিরই ২০২৫ সালের মধ্যে প্রয়োজনীয় সংস্কার কার্যক্রম গ্রহণের জন্য একটি বিশদ কর্মপরিকল্পনা তৈরি করা হবে।

global fast coder

ইউটিউব সাবস্ক্রাইব করুন  

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

নির্বাচন নিয়ে ভারতের নসিহত অগ্রহণযোগ্য : উপদেষ্টা তৌহিদ

নির্বাচনে প্রায় ২০০ পর্যবেক্ষক পাঠাবে ইউরোপীয় ইউনিয়ন

‘ফ্যাসিস্ট-ডেভিলদের অপচেষ্টা সফল হবে না’

জাতীয় স্মৃতিসৌধে প্রধান উপদেষ্টার শ্রদ্ধা

নির্বাচনে ইউরোপীয় ইউনিয়নের ২০০ পর্যবেক্ষক নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করবেন

যেকোনো মূল্যে নির্বাচন হতে হবে : তারেক রহমান

নির্বাচনের প্রার্থীরা ব্যক্তিগত আগ্নেয়াস্ত্রের লাইসেন্স চাইলে অনুমতি পাবে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

গণতন্ত্রে রাজনৈতিক সহিংসতার কোনো জায়গা নেই : ফখরুল

তফসিল ঘোষণা, ভোট আগামী ১২ ফেব্রুয়ারি

সংসদ নির্বাচনে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিতে প্রশাসনে রদবদল চলবে: ইসি সচিব

১০

আমাদের নেতা যেদিন দেশে পা রাখবেন, সেদিন যেন সমগ্র বাংলাদেশ কেঁপে ওঠে: মির্জা ফখরুল

১১

পদত্যাগ করেছেন দুই উপদেষ্টা

১২

ইন্টারনেট বন্ধ করে গণহত্যার তথ্য লুকানোর মাস্টারমাইন্ড ছিলেন জয়: চিফ প্রসিকিউটর

১৩

আগামী নির্বাচনকে স্মরণীয় করে রাখতে হবে: প্রধান উপদেষ্টা

১৪

দেশের মানুষ ভ্যাট দিলেও ‘অনেক সময়’ সরকার পায় না: উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন

১৫

আমরা নির্বাচনের ট্রেনে উঠে গেছি: সিইসি

১৬

৪ নারীর হাতে বেগম রোকেয়া পদক তুলে দিলেন প্রধান উপদেষ্টা

১৭

অর্থ পাচারকারীদের বিরুদ্ধে সামাজিকভাবে ঘৃণা তৈরি করতে হবে: অর্থ উপদেষ্টা

১৮

নির্বাচনের জন্য সার্বিক প্রস্তুতি চলমান: উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর

১৯

ভোট দিতে নিবন্ধন করেছেন আড়াই লাখ প্রবাসী

২০

আগামীকাল থেকে বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোটার হালনাগাদ

আগামীকাল থেকে বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোটার হালনাগাদ
ছবি: সংগৃহীত

নির্বাচনের জন্য প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নির্ধারিত সময়সীমা মাথায় রেখে কাজ এগিয়ে নিচ্ছে নির্বাচন কমিশন। সেই লক্ষ্যে আগামীকাল থেকে শুরু হচ্ছে ভোটার তালিকা হালনাগাদ কার্যক্রম। ২০ জানুয়ারি থেকে ৩ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত দেশব্যাপী বাড়ি বাড়ি গিয়ে তথ্য সংগ্রহ করা হবে।


রোববার এক বক্তব্যে এ তথ্য জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন। তিনি জানান, সোমবার সাভারে একটি অনুষ্ঠানের মাধ্যমে কেন্দ্রীয়ভাবে এই কর্মসূচির উদ্বোধন করা হবে।


নির্বাচন ভবনে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে সিইসি নাসির উদ্দিন বলেন, ভোটার তালিকা হালনাগাদের জন্য প্রাথমিকভাবে নির্বাচন কমিশনকে ১৭৫টি ল্যাপটপ, ২০০ ডকুমেন্ট স্ক্যানার এবং ৪৩০০ ব্যাগ সরবরাহ করেছে ইউএনডিপি। আগামীকাল থেকে দেশজুড়ে এই কার্যক্রম শুরু হবে।


এই কার্যক্রমে অংশ নেবেন প্রায় ৬৫ হাজার কর্মী। সিইসি জানিয়েছেন, ভোটার তালিকা হালনাগাদ কার্যক্রমে লজিস্টিক সহায়তা দিচ্ছে ইউএনডিপি এবং নির্বাচন প্রক্রিয়ার অন্যান্য ধাপেও তাদের সহায়তা নেওয়া হতে পারে।


প্রধান উপদেষ্টা ইতোমধ্যেই ইঙ্গিত দিয়েছেন যে, চলতি বছরের শেষ অথবা আগামী বছরের শুরুর দিকে সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে পারে।


বিএনপির পক্ষ থেকে নির্বাচন ছয় মাসের মধ্যে আয়োজনের দাবি করা হলেও সিইসি নাসির উদ্দিন জানিয়েছেন, ভোটার তালিকা হালনাগাদে ছয় মাসের একটি পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। তিনি বলেন, “ছয় মাসের মধ্যে কাজ শেষ করার লক্ষ্যে পরিকল্পনা করা হয়েছে, তবে এতে কিছুটা কমবেশি হতে পারে।”


নির্বাচন কমিশনের কর্মকর্তারা ধারণা করছেন, এই হালনাগাদ কার্যক্রমে নতুন করে প্রায় ১৯ লাখ ভোটার যুক্ত হতে পারেন।

global fast coder

ইউটিউব সাবস্ক্রাইব করুন  

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

নির্বাচন নিয়ে ভারতের নসিহত অগ্রহণযোগ্য : উপদেষ্টা তৌহিদ

নির্বাচনে প্রায় ২০০ পর্যবেক্ষক পাঠাবে ইউরোপীয় ইউনিয়ন

‘ফ্যাসিস্ট-ডেভিলদের অপচেষ্টা সফল হবে না’

জাতীয় স্মৃতিসৌধে প্রধান উপদেষ্টার শ্রদ্ধা

নির্বাচনে ইউরোপীয় ইউনিয়নের ২০০ পর্যবেক্ষক নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করবেন

যেকোনো মূল্যে নির্বাচন হতে হবে : তারেক রহমান

নির্বাচনের প্রার্থীরা ব্যক্তিগত আগ্নেয়াস্ত্রের লাইসেন্স চাইলে অনুমতি পাবে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

গণতন্ত্রে রাজনৈতিক সহিংসতার কোনো জায়গা নেই : ফখরুল

তফসিল ঘোষণা, ভোট আগামী ১২ ফেব্রুয়ারি

সংসদ নির্বাচনে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিতে প্রশাসনে রদবদল চলবে: ইসি সচিব

১০

আমাদের নেতা যেদিন দেশে পা রাখবেন, সেদিন যেন সমগ্র বাংলাদেশ কেঁপে ওঠে: মির্জা ফখরুল

১১

পদত্যাগ করেছেন দুই উপদেষ্টা

১২

ইন্টারনেট বন্ধ করে গণহত্যার তথ্য লুকানোর মাস্টারমাইন্ড ছিলেন জয়: চিফ প্রসিকিউটর

১৩

আগামী নির্বাচনকে স্মরণীয় করে রাখতে হবে: প্রধান উপদেষ্টা

১৪

দেশের মানুষ ভ্যাট দিলেও ‘অনেক সময়’ সরকার পায় না: উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন

১৫

আমরা নির্বাচনের ট্রেনে উঠে গেছি: সিইসি

১৬

৪ নারীর হাতে বেগম রোকেয়া পদক তুলে দিলেন প্রধান উপদেষ্টা

১৭

অর্থ পাচারকারীদের বিরুদ্ধে সামাজিকভাবে ঘৃণা তৈরি করতে হবে: অর্থ উপদেষ্টা

১৮

নির্বাচনের জন্য সার্বিক প্রস্তুতি চলমান: উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর

১৯

ভোট দিতে নিবন্ধন করেছেন আড়াই লাখ প্রবাসী

২০

অক্টোবরে ১৯ দিনে রেমিট্যান্স ১৮,৪০০ কোটি টাকা ছাড়িয়েছে

অক্টোবরে ১৯ দিনে রেমিট্যান্স ১৮,৪০০ কোটি টাকা ছাড়িয়েছে
ডলারের ছবি

ডেস্ক রিপোর্ট:

সেপ্টেম্বর মাসের মতো চলমান অক্টোবর মাসেও রেমিট্যান্স বা প্রবাসী আয় বৃদ্ধির ধারা অব্যাহত রয়েছে। অক্টোবরের প্রথম ১৯ দিনে প্রবাসী বাংলাদেশিরা ১৫৩ কোটি ২৬ লাখ ৬০ হাজার ডলারের রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন। যা বাংলাদেশি মুদ্রায় (প্রতি ডলার ১২০ টাকা ধরে) প্রায় ১৮ হাজার ৪০০ কোটি টাকা।

বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ তথ্য অনুসারে, চলতি অক্টোবর মাসে প্রতিদিন গড়ে প্রায় ৮ কোটি ৫০ লাখ ডলারের বেশি বা ৯৬৮ কোটি টাকারও বেশি রেমিট্যান্স আসছে। এই ধারা অব্যাহত থাকলে মাস শেষে রেমিট্যান্স আড়াই বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে যাবে।

অক্টোবর মাসের প্রথম ১৯ দিনে সরকারি মালিকানাধীন ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে রেমিট্যান্স এসেছে ৪০ কোটি ৮২ লাখ ডলার, বিশেষায়িত দুই ব্যাংকের মধ্যে কৃষি ব্যাংকের মাধ্যমে এসেছে ৭ কোটি ৮২ লাখ ডলার। এছাড়া, বেসরকারি ব্যাংকের মাধ্যমে এসেছে ১০৪ কোটি ৯৬ লাখ ৬০ হাজার ডলার এবং বিদেশি ব্যাংকের মাধ্যমে এসেছে ৪০ লাখ ১০ হাজার ডলার।

তবে এই সময়ে ১১টি ব্যাংকের মাধ্যমে কোনো রেমিট্যান্স আসেনি। এদের মধ্যে রয়েছে রাষ্ট্র মালিকানাধীন বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক (বিডিবিএল), বিশেষায়িত রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক (রাকাব)। বেসরকারি ব্যাংকের মধ্যে রয়েছে কমিউনিটি ব্যাংক, সিটিজেন্স ব্যাংক, আইসিবি ইসলামিক ব্যাংক, পদ্মা ব্যাংক এবং ইউনিয়ন ব্যাংক। বিদেশি ব্যাংকের মধ্যে রয়েছে হাবিব ব্যাংক, ন্যাশনাল ব্যাংক অব পাকিস্তান, স্টেট ব্যাংক অব ইন্ডিয়া এবং উরি ব্যাংক।

গত সেপ্টেম্বর মাসে প্রবাসীরা ২৪০ কোটি ৪৮ লাখ ডলার (২.৪০ বিলিয়ন) রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় (প্রতি ডলার ১২০ টাকা ধরে) প্রায় ২৮ হাজার ৮৫৬ কোটি টাকা।

২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাইয়ে দেশে ১৯০ কোটি মার্কিন ডলারের রেমিট্যান্স এসেছিল। এর আগে জুনে ২৫৪ কোটি ১৬ লাখ ডলার, মে মাসে ২২৫ কোটি ৩৮ লাখ ডলার, এপ্রিলে ২০৪ কোটি ৪২ লাখ ডলার, মার্চে ১৯৯ কোটি ৭০ লাখ ডলার, ফেব্রুয়ারিতে ২১৬ কোটি ৪৫ লাখ ডলার এবং জানুয়ারিতে ২১১ কোটি ৩১ লাখ ডলার রেমিট্যান্স পাঠিয়েছিলেন প্রবাসীরা।

দেশের ইতিহাসে একক মাসে সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স এসেছিল ২০২০ সালের জুলাই মাসে, যার পরিমাণ ছিল ২৬০ কোটি ডলার। বছরভিত্তিক হিসাবে সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স এসেছিল ২০২০-২১ অর্থবছরে, যার পরিমাণ ছিল ২৪.৭৮ বিলিয়ন বা ২,৪৭৮ কোটি ডলার।

global fast coder

ইউটিউব সাবস্ক্রাইব করুন  

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

নির্বাচন নিয়ে ভারতের নসিহত অগ্রহণযোগ্য : উপদেষ্টা তৌহিদ

নির্বাচনে প্রায় ২০০ পর্যবেক্ষক পাঠাবে ইউরোপীয় ইউনিয়ন

‘ফ্যাসিস্ট-ডেভিলদের অপচেষ্টা সফল হবে না’

জাতীয় স্মৃতিসৌধে প্রধান উপদেষ্টার শ্রদ্ধা

নির্বাচনে ইউরোপীয় ইউনিয়নের ২০০ পর্যবেক্ষক নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করবেন

যেকোনো মূল্যে নির্বাচন হতে হবে : তারেক রহমান

নির্বাচনের প্রার্থীরা ব্যক্তিগত আগ্নেয়াস্ত্রের লাইসেন্স চাইলে অনুমতি পাবে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

গণতন্ত্রে রাজনৈতিক সহিংসতার কোনো জায়গা নেই : ফখরুল

তফসিল ঘোষণা, ভোট আগামী ১২ ফেব্রুয়ারি

সংসদ নির্বাচনে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিতে প্রশাসনে রদবদল চলবে: ইসি সচিব

১০

আমাদের নেতা যেদিন দেশে পা রাখবেন, সেদিন যেন সমগ্র বাংলাদেশ কেঁপে ওঠে: মির্জা ফখরুল

১১

পদত্যাগ করেছেন দুই উপদেষ্টা

১২

ইন্টারনেট বন্ধ করে গণহত্যার তথ্য লুকানোর মাস্টারমাইন্ড ছিলেন জয়: চিফ প্রসিকিউটর

১৩

আগামী নির্বাচনকে স্মরণীয় করে রাখতে হবে: প্রধান উপদেষ্টা

১৪

দেশের মানুষ ভ্যাট দিলেও ‘অনেক সময়’ সরকার পায় না: উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন

১৫

আমরা নির্বাচনের ট্রেনে উঠে গেছি: সিইসি

১৬

৪ নারীর হাতে বেগম রোকেয়া পদক তুলে দিলেন প্রধান উপদেষ্টা

১৭

অর্থ পাচারকারীদের বিরুদ্ধে সামাজিকভাবে ঘৃণা তৈরি করতে হবে: অর্থ উপদেষ্টা

১৮

নির্বাচনের জন্য সার্বিক প্রস্তুতি চলমান: উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর

১৯

ভোট দিতে নিবন্ধন করেছেন আড়াই লাখ প্রবাসী

২০

বদলে গেলো মঙ্গল শোভাযাত্রার নাম

বদলে গেলো মঙ্গল শোভাযাত্রার নাম
ছবি: সংগৃহীত

এবার থেকে বাংলা নববর্ষ বরণের অন্যতম আয়োজন ‘মঙ্গল শোভাযাত্রা’ নামটি আর থাকবে না। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের আয়োজনে রাজধানীতে বাংলা নববর্ষের এবারের শোভাযাত্রার নাম হবে ‘বর্ষবরণ আনন্দ শোভাযাত্রা’। এতদিন এই শোভাযাত্রা হতো ‘মঙ্গল শোভাযাত্রা’ নামে।


শুক্রবার (১১ এপ্রিল) বেলা ১১টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে নতুন নামকরণের এ তথ্য জানানো হয়।


সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদ পহেলা বৈশাখে উৎসবমুখর বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রার মাধ্যমে বাংলা নববর্ষ উদযাপন করে থাকে। এটি দেশের সাংস্কৃতিক অঙ্গনে বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ এবং গুরুত্ববহ বলে বিবেচিত হয়। প্রতি বছরের মতো এ বছরও চারুকলা অনুষদ পহেলা বৈশাখ ও বাংলা নববর্ষ-১৪৩২ উদযাপনের উদ্যোগ নিয়েছে। এ উপলক্ষে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা আয়োজনের কাজ চলছে।


এবারের শোভাযাত্রার স্লোগান হবে—‘নববর্ষের ঐকতান, ফ্যাসিবাদের অবসান’। এ প্রতিপাদ্যের আলোকে শোভাযাত্রায় তুলে ধরা হবে বাংলার চিরায়ত সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য ও লোকজ সংস্কৃতির রূপ। পাশাপাশি আয়োজকরা জানিয়েছেন, গত বছরের জুলাই-অগাস্টে ঘটে যাওয়া রাজনৈতিক পালাবদলের প্রেক্ষাপটে যে ‘ফ্যাসিবাদ’ বিদায় নিয়েছে, তা যেন আর কখনো ফিরে না আসে—এ বার্তাও ছড়িয়ে দেওয়া হবে শোভাযাত্রার মধ্য দিয়ে।


সংবাদ সম্মেলনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক নিয়াজ আহমদ খান, বাংলা নববর্ষ-১৪৩২ উদযাপনের কেন্দ্রীয় সমন্বয় কমিটির আহ্বায়ক ও প্রো-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. সায়মা হক বিদিশা, প্রো-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. মামুন আহমেদ, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক এম. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী, বাংলা নববর্ষ-১৪৩২ উদযাপনের কেন্দ্রীয় সমন্বয় কমিটির সদস্য-সচিব ও চারুকলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. আজহারুল ইসলাম শেখ, শোভাযাত্রার উপ-কমিটির সদস্য-সচিব অধ্যাপক এ এ এম কাওসার হাসান, প্রক্টর সাইফুদ্দীন আহমদ এবং কেন্দ্রীয় সমন্বয় কমিটি ও উপ-কমিটিগুলো সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।


১৯৮৯ সাল থেকে পহেলা বৈশাখে শোভাযাত্রা করে আসছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদ। শুরুতে শোভাযাত্রার নাম ছিল ‘আনন্দ শোভাযাত্রা’। তবে নব্বইয়ে স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনের প্রেক্ষাপটে অমঙ্গল দূর করে মঙ্গলের আহ্বান জানিয়ে শোভাযাত্রার নাম দেওয়া হয় ‘মঙ্গল শোভাযাত্রা’। এরপর থেকে গত তিন দশকেরও বেশি সময় ধরে এ নামেই শোভাযাত্রা করে আসছিল চারুকলা।


২০১৬ সালের ৩০ নভেম্বর মঙ্গল শোভাযাত্রাকে বিশ্ব সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের তালিকাভুক্ত করে ইউনেসকো।


গত ২৪ মার্চ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট ভবনে অনুষ্ঠিত এক সভায় জানানো হয়েছিল, এবারের পহেলা বৈশাখে চাকমা, মারমা, সাঁওতাল ও গারোসহ বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠীর অংশগ্রহণে অন্তর্ভুক্তিমূলক শোভাযাত্রা অনুষ্ঠিত হবে।


সবশেষ গত বুধবার রাজধানীর বেইলি রোডের ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত প্রেস ব্রিফিংয়ে এবারের বাংলা নববর্ষে চারুকলার শোভাযাত্রায় বাঙালি ছাড়াও ২৭টি জাতিগোষ্ঠী অংশ নেবে বলে জানান সংস্কৃতি উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী।


তিনি জানান, চৈত্র সংক্রান্তিতে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে কনসার্ট এবং নববর্ষের দিন ধানমন্ডি রবীন্দ্র সরোবরে সুরের ধারার অনুষ্ঠান হবে।

global fast coder

ইউটিউব সাবস্ক্রাইব করুন  

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

নির্বাচন নিয়ে ভারতের নসিহত অগ্রহণযোগ্য : উপদেষ্টা তৌহিদ

নির্বাচনে প্রায় ২০০ পর্যবেক্ষক পাঠাবে ইউরোপীয় ইউনিয়ন

‘ফ্যাসিস্ট-ডেভিলদের অপচেষ্টা সফল হবে না’

জাতীয় স্মৃতিসৌধে প্রধান উপদেষ্টার শ্রদ্ধা

নির্বাচনে ইউরোপীয় ইউনিয়নের ২০০ পর্যবেক্ষক নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করবেন

যেকোনো মূল্যে নির্বাচন হতে হবে : তারেক রহমান

নির্বাচনের প্রার্থীরা ব্যক্তিগত আগ্নেয়াস্ত্রের লাইসেন্স চাইলে অনুমতি পাবে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

গণতন্ত্রে রাজনৈতিক সহিংসতার কোনো জায়গা নেই : ফখরুল

তফসিল ঘোষণা, ভোট আগামী ১২ ফেব্রুয়ারি

সংসদ নির্বাচনে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিতে প্রশাসনে রদবদল চলবে: ইসি সচিব

১০

আমাদের নেতা যেদিন দেশে পা রাখবেন, সেদিন যেন সমগ্র বাংলাদেশ কেঁপে ওঠে: মির্জা ফখরুল

১১

পদত্যাগ করেছেন দুই উপদেষ্টা

১২

ইন্টারনেট বন্ধ করে গণহত্যার তথ্য লুকানোর মাস্টারমাইন্ড ছিলেন জয়: চিফ প্রসিকিউটর

১৩

আগামী নির্বাচনকে স্মরণীয় করে রাখতে হবে: প্রধান উপদেষ্টা

১৪

দেশের মানুষ ভ্যাট দিলেও ‘অনেক সময়’ সরকার পায় না: উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন

১৫

আমরা নির্বাচনের ট্রেনে উঠে গেছি: সিইসি

১৬

৪ নারীর হাতে বেগম রোকেয়া পদক তুলে দিলেন প্রধান উপদেষ্টা

১৭

অর্থ পাচারকারীদের বিরুদ্ধে সামাজিকভাবে ঘৃণা তৈরি করতে হবে: অর্থ উপদেষ্টা

১৮

নির্বাচনের জন্য সার্বিক প্রস্তুতি চলমান: উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর

১৯

ভোট দিতে নিবন্ধন করেছেন আড়াই লাখ প্রবাসী

২০