

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ঘোষণা দিয়েছেন যে ১ ফেব্রুয়ারি থেকে কানাডা থেকে আমদানি করা সকল পণ্যের ওপর ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করা হবে। এ ঘোষণাটি হোয়াইট হাউসের পক্ষ থেকেও শুক্রবার কানাডাকে জানানো হয়েছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের এই সিদ্ধান্তের জবাবে পাল্টা ব্যবস্থা নেওয়ার হুমকি দিয়েছেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো।
ট্রুডো বলেছেন, ট্রাম্পের এই সিদ্ধান্তের তাৎক্ষণিক এবং দ্রুত জবাব দেওয়া হবে। শুক্রবার তিনি বলেন, কানাডা এই সিদ্ধান্তের জবাব দিতে প্রস্তুত এবং লক্ষ্য অর্জনের জন্য দৃঢ় ও উপযুক্ত পদক্ষেপ নেওয়া হবে। তিনি আরও বলেন, "আমরা এটি চাই না, কিন্তু যদি ট্রাম্প এগিয়ে আসেন, তাহলে আমরাও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব। সব বিকল্পই টেবিলে আছে।"
বিবিসির প্রতিবেদন অনুযায়ী, অটোয়ার কর্মকর্তারা কী ধরনের পাল্টা পদক্ষেপ নেওয়া যায় তা নিয়ে পরিকল্পনা করছেন। তবে তারা এখনই বিস্তারিত তথ্য প্রকাশ করতে চাইছেন না।
ট্রুডো তার বক্তব্যে কানাডার নাগরিকদের সতর্ক করে বলেছেন, সামনে কঠিন সময় আসতে পারে। তিনি কানাডা-যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্ক বিষয়ক এক উপদেষ্টা পরিষদের বক্তব্যে উল্লেখ করেন যে দেশটি বর্তমানে একটি সংকটময় পরিস্থিতির মুখোমুখি।
ট্রাম্প ও হোয়াইট হাউসের ঘোষণা অনুযায়ী, ১ ফেব্রুয়ারি শনিবার থেকে কানাডার পণ্য যুক্তরাষ্ট্রের সীমান্ত অতিক্রম করলেই ২৫ শতাংশ শুল্ক দিতে হবে। তবে এই শুল্কের আওতায় কানাডা থেকে আমদানি করা তেল অন্তর্ভুক্ত হবে না। আগামী ১৮ ফেব্রুয়ারি থেকে কানাডার তেলে ১০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করা হবে বলে যুক্তরাষ্ট্র জানিয়েছে।
মন্তব্য করুন


দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সাহায্য করেছিল, তবে এটি তাদের জন্য ছিল ব্যবসা। এমনটাই মনে করেন ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ।
বৃহস্পতিবার (২৩ জানুয়ারি) তিনি সাংবাদিকদের বলেন, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় ফ্যাসিবাদকে পরাজিত করার জন্য সোভিয়েত ইউনিয়নকে সর্বোচ্চ মূল্য দিতে হয়েছিল। হ্যাঁ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সাহায্য করেছিল, তবে তাদের জন্য এটি ছিল ব্যবসা।
দিমিত্রি পেসকভ বলেন, ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে জয়লাভের সবচেয়ে বড় মূল্য আমাদের সোভিয়েত ইউনিয়নকে দিতে হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র নিঃসন্দেহে আমাদের সাহায্য করেছে। গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছে। তবে আমেরিকা সর্বদা সবখান থেকে অর্থ উপার্জন করে, আমেরিকার জন্য এটি সর্বদা ব্যবসায়ের বিষয়।
বর্তমানের সময়েও যুক্তরাষ্ট্র এ ধরণের ব্যবসা করছে বলেও মন্তব্য করেন ক্রেমলিনের মুখপাত্র। বলেন, এখন যুক্তরাষ্ট্র ইউক্রেনকে সাহায্য করে এবং ইউরোপীয়দের কাছে তার ব্যয়বহুল সম্পদ বিক্রি করে অর্থ উপার্জন করছে। সুতরাং আপনি যেভাবেই বিশ্লেষণ করেন না কেন, এটি একটি সফল ব্যবসা।
ক্রেমলিনের মুখপাত্র বলেন, প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ক্ষমতায় আসার পর দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় যুক্তরাষ্ট্রকে দেওয়া সহায়তার জন্য ওয়াশিংটন ঋণ পরিশোধও বন্ধ করে দেয়। এটিও ব্যবসা ছিল!
যদিও এর আগে ট্রাম্প তার ট্রুথ সোশ্যাল পেজে এক পোস্টে লিখেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের কখনই ভুলে যাওয়া উচিত নয়, রাশিয়া আমাদের দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ জিততে সহায়তা করেছিল এবং এই প্রক্রিয়ায় প্রায় ৬ কোটি প্রাণ হারিয়েছিল।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে সোভিয়েত ইউনিয়ন সবচেয়ে বেশি ক্ষতির সম্মুখীন হয়। রাশিয়ান প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের মতে, মোট ক্ষতির মধ্যে অপূরণীয় ছিল ২৬.৬ মিলিয়ন মানুষ। এদের মধ্যে প্রায় ১৮ মিলিয়ন বেসামরিক এবং প্রায় ৮.৭ মিলিয়ন সামরিক সৈনিক ছিল। এদের মধ্যে ১০ লাখ সোভিয়েত সৈন্য ও অফিসার রয়েছেন যারা ইউরোপের মুক্তির জন্য তাদের জীবন উৎসর্গ করেছিলেন।
মন্তব্য করুন


দিল্লির ৪৪টি স্কুলে সোমবার (৯ ডিসেম্বর) বোমা হামলার হুমকি দেওয়া হয়েছে। হুমকি পাওয়া স্কুলগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো ডিপিএস আরকে পুরাম এবং জিডি গোয়েঙ্কা স্কুল। খবর এনডিটিভির।
প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, হুমকি পাওয়ার পরপরই স্কুলগুলো থেকে শিক্ষার্থীদের নিরাপদে বাড়ি পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে এবং ঘটনাটি পুলিশকে জানানো হয়েছে। এই হুমকি ইমেইলের মাধ্যমে দেওয়া হয়েছে। এনডিটিভি ওই ইমেইলের একটি কপি হাতে পেয়েছে।
ইমেইলটি রোববার রাত ১১টা ৩৮ মিনিটে পাঠানো হয়। সেখানে দাবি করা হয়েছে, স্কুল ভবনের ভেতরে একাধিক বোমা লুকিয়ে রাখা হয়েছে। ইমেইলে আরও বলা হয়েছে, বোমাগুলো আকারে ছোট হলেও সেগুলো অত্যন্ত সতর্কতার সঙ্গে লুকানো হয়েছে।
ইমেইল প্রেরক বোমা নিষ্ক্রিয় করার জন্য ৩০ হাজার ডলার দাবি করেছেন। তিনি আরও বলেছেন, বোমাগুলো ভবনে বড় কোনো ক্ষতি করবে না, তবে এতে বহু মানুষ আহত হতে পারে।
এই ঘটনার পর দিল্লি পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে। সকালে যখন স্কুল বাসগুলো শিক্ষার্থীদের নিতে আসতে শুরু করে এবং অভিভাবকরা সন্তানদের স্কুলে নামিয়ে দিতে আসেন, তখনই বোমা হামলার সতর্কতা দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে।
জিডি গোয়েঙ্কা স্কুল থেকে দিল্লি ফায়ার ডিপার্টমেন্ট সকাল ৬টা ১৫ মিনিটে প্রথম একটি বোমা হামলার হুমকির ফোন পায়। এরপর সকাল ৭টা ৬ মিনিটে ডিপিএস আরকে পুরাম স্কুল থেকেও ফোন আসে।
বোমা নিষ্ক্রিয়কারী দল, স্থানীয় পুলিশ এবং ফায়ার ডিপার্টমেন্টের সদস্যরা দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে তল্লাশি শুরু করে। পুলিশের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, এখন পর্যন্ত সন্দেহজনক কিছু পাওয়া যায়নি।
মন্তব্য করুন


আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট (নির্বাচিত) ডোনাল্ড ট্রাম্প আবারও গ্রিনল্যান্ড ও পানামা খাল দখল নিয়ে নিজের আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। তিনি ইঙ্গিত দিয়েছেন যে, এই দুটি জায়গা দখলে নিতে সামরিক ও অর্থনৈতিক শক্তি ব্যবহারের কথাও ভাবছেন।
৭ জানুয়ারি, মঙ্গলবার, ফ্লোরিডায় নিজের রিসোর্টে এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকরা ট্রাম্পকে প্রশ্ন করেন, তিনি কি পানামা খাল ও গ্রিনল্যান্ড দখলে সামরিক বা অর্থনৈতিক শক্তি প্রয়োগ করবেন না? তার নিশ্চয়তা কি দিতে পারবেন? এর জবাবে ট্রাম্প বলেন, "না, আমি এখনই আপনাকে এ বিষয়ে নিশ্চিত করে কিছু বলতে পারছি না। তবে আমি বলতে পারি, আমাদের অর্থনৈতিক নিরাপত্তার জন্য তাদের প্রয়োজন।"
গ্রিনল্যান্ড ও পানামা খাল উভয়কেই যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করেন ট্রাম্প। তিনি বলেন, "ডেনমার্ক যদি গ্রিনল্যান্ড বিক্রি করতে রাজি না হয়, তাহলে তাদের ওপর শুল্ক আরোপ করা হবে।"
এদিকে, ট্রাম্প কানাডা থেকে যুক্তরাষ্ট্রের পণ্য আমদানির ব্যয় ও কানাডাকে সামরিক সহায়তা দেওয়ার সমালোচনা করেন। তিনি কানাডা ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে থাকা সীমান্তকে "কৃত্রিমভাবে আঁকা রেখা" বলেও অভিহিত করেন।
তবে ডেনমার্ক ও পানামা ট্রাম্পের ধারণা অস্বীকার করেছে। ডেনমার্কের প্রধানমন্ত্রী মেটা ফ্রেডরিকসেন ট্রাম্পের মন্তব্যের প্রতিক্রিয়া জানিয়ে বলেন, "গ্রিনল্যান্ড বিক্রির জন্য নয় এবং আমরা একে অন্যের ঘনিষ্ঠ মিত্র ও অংশীদার হিসেবে কাজ করছি।"
পানামার পররাষ্ট্রমন্ত্রী জাভিয়ের মার্টিনেজ-আচা সাংবাদিকদের জানান, "পানামা খাল এখনো ও ভবিষ্যতেও শুধুমাত্র পানামার নিয়ন্ত্রণে থাকবে।"
কানাডার পররাষ্ট্রমন্ত্রী মেলানি জোলি ট্রাম্পের মন্তব্যের নিন্দা জানিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে পোস্ট করেন, "ট্রাম্পের মন্তব্য কানাডার শক্তির প্রতি পূর্ণ অবহেলা প্রকাশ করে। আমাদের অর্থনীতি শক্তিশালী, আমাদের জনগণ শক্তিশালী, এবং আমরা কখনো হুমকির সামনে নতজানু হবো না।"
অ্যাটলান্টিক কাউন্সিলের সাবেক কূটনীতিক ড্যানিয়েল ফ্রিড ট্রাম্পের মন্তব্যকে জাতীয় ক্ষমতার আঞ্চলিক সম্প্রসারণ হিসেবে চিত্রিত করে বলেন, "ট্রাম্প যদি গ্রিনল্যান্ড দখল করেন, তাহলে ন্যাটো ধ্বংস হয়ে যাবে, কারণ আমরা তখন আর ভ্লাদিমির পুতিনের জন্য কোনো হুমকি থাকবো না।"
গ্রিনল্যান্ডের জনসংখ্যা মাত্র ৫৭ হাজার। তবে এটি বিশ্বের বৃহত্তম দ্বীপ এবং আর্কটিক অঞ্চলে কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ। এখানে যুক্তরাষ্ট্রের একটি বড় স্পেস ফ্যাসিলিটি রয়েছে, এবং সেখানে পৃথিবীর বিরল কিছু পদার্থ ও উপাদানের বৃহত্তম মজুত রয়েছে, যা ব্যাটারি ও হাই-টেক ডিভাইস তৈরিতে ব্যবহৃত হয়।
ব্রিটিশ বার্তাসংস্থা রয়টার্স বলছে, এটি স্পষ্ট নয় যে ট্রাম্প কানাডা ও গ্রিনল্যান্ড নিয়ে কতটা সিরিয়াস। তবে তার এসব বক্তব্য বিশ্বব্যাপী ব্যাপক আলোচনার সৃষ্টি করেছে।
মন্তব্য করুন


যুক্তরাষ্ট্রের ৪৭তম প্রেসিডেন্ট হিসেবে ক্যাপিটল ওয়ান অ্যারেনায় শপথ নিয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প।
শপথ গ্রহণের পর তার প্রথম ভাষণে তিনি জানান, বাইডেন আমলের সব নির্বাহী আদেশ দ্রুত বাতিল করা হবে। শপথের অল্প কিছুক্ষণের মধ্যেই এই পরিকল্পনা কার্যকর করতে শুরু করেন তিনি।
জানা গেছে, শপথ নেওয়ার পরপরই ট্রাম্প ওভাল অফিসে গিয়ে একাধিক নির্বাহী আদেশে স্বাক্ষর করেন। এর মাধ্যমে তিনি বাইডেনের শাসনামলের ৭৮টি নির্বাহী আদেশ বাতিল করেন। এর মধ্যে প্যারিস জলবায়ু চুক্তি থেকে যুক্তরাষ্ট্রকে প্রত্যাহারের আদেশও রয়েছে।
ট্রাম্প আদেশে স্বাক্ষর করার পর সেটি জনসাধারণকে দেখান। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি এবং মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন জানায়, বিদায়ী প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ক্ষমতা ছাড়ার আগে রেকর্ডসংখ্যক ব্যক্তিকে ক্ষমা করেছেন। ট্রাম্প প্রশাসন এদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পারে, এমন আশঙ্কায় এ সিদ্ধান্ত নেন বাইডেন।
ট্রাম্প তার ভাষণে বলেন, "যে ক্ষমাগুলো দেওয়া হয়েছে, সেগুলোও দ্রুত বাতিল করা হবে।"
অর্থনৈতিক পরিস্থিতি সামলাতে ট্রাম্প মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে একটি নির্বাহী আদেশেও স্বাক্ষর করেন।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রধান বিচারপতি জন রবার্টস ট্রাম্পকে শপথ পাঠ করান। এ সময় বিদায়ী প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন, তার স্ত্রী জিল বাইডেনসহ অন্যান্য বিশিষ্ট ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।
২০১৭ সালে ন্যাশনাল মলে বড় আয়োজনের মধ্য দিয়ে ট্রাম্প প্রথমবার শপথ নিয়েছিলেন। তবে এবার তীব্র ঠান্ডা আবহাওয়ার কারণে শপথ অনুষ্ঠান ক্যাপিটল ভবনের ভেতরে আয়োজন করা হয়। উল্লেখ্য, ১৯৮৫ সালে একই কারণে প্রেসিডেন্ট রোনাল্ড রিগ্যান ক্যাপিটল ভবনের ভেতরে শপথ নিয়েছিলেন।
মন্তব্য করুন


১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে নয় মাসব্যাপী রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের মধ্য দিয়ে অর্জিত বাংলাদেশের মহান বিজয়কে ভারতের ঐতিহাসিক বিজয় হিসেবে দাবি করেছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।
মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে সোমবার (১৬ ডিসেম্বর) নরেন্দ্র মোদি তার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে একটি পোস্টে এ দাবি করেন।
নরেন্দ্র মোদির পোস্টে লেখা হয়, "আজ বিজয় দিবসে, আমরা ১৯৭১ সালের ভারতের ঐতিহাসিক বিজয়ে অবদান রাখা সাহসী সৈন্যদের সাহস ও আত্মত্যাগকে সম্মান জানাই। তাদের নিঃস্বার্থ উৎসর্গ এবং অটল সংকল্প আমাদের জাতিকে রক্ষা করেছে এবং আমাদের গৌরব এনে দিয়েছে। এই দিনটি তাদের অসাধারণ বীরত্ব এবং অদম্য চেতনার প্রতি শ্রদ্ধাঞ্জলি। তাদের আত্মত্যাগ চিরকাল প্রজন্মকে অনুপ্রাণিত করবে এবং আমাদের জাতির ইতিহাসে গভীরভাবে গেঁথে থাকবে।"
নরেন্দ্র মোদির এই মন্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ তার ফেসবুক আইডিতে লিখেছেন, "এটি বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে বাংলাদেশের স্বাধীনতার জন্য এই যুদ্ধ সংঘটিত হয়েছিল। কিন্তু মোদি দাবি করেছেন, এটি ভারতের যুদ্ধ এবং তাদের অর্জন। তাদের বক্তব্যে বাংলাদেশের অস্তিত্বকেই উপেক্ষা করা হয়েছে।"
তিনি আরও লেখেন, "যখন এই স্বাধীনতাকে ভারত নিজেদের অর্জন হিসেবে দাবি করে, তখন আমি একে বাংলাদেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব ও অখণ্ডতার প্রতি সরাসরি হুমকি হিসেবে দেখি। ভারতের এই হুমকির বিরুদ্ধে আমাদের লড়াই চালিয়ে যাওয়া অত্যাবশ্যক। এই লড়াই আমাদের চালিয়েই যেতে হবে।"
মন্তব্য করুন


ভারতের দিল্লিতে গত বুধবার বিধানসভা নির্বাচনের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) দেশটির স্থানীয় সময় সকাল ৮টা থেকে ভোট গণনা শুরু হয়েছে, যা সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত চলবে। তবে এরই মধ্যে দেশটির বুথফেরত জরিপের পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, অরবিন্দ কেজরিওয়ালের আম আদমি পার্টি (আপ)-কে হারিয়ে প্রায় ২৭ বছর পর সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে ক্ষমতায় আসতে চলেছে বিজেপি ও তার সহযোগী দলগুলো।
বুধবার দিল্লির ৭০টি বিধানসভা আসনে ভোটগ্রহণ হয়। সংখ্যাগরিষ্ঠতার ম্যাজিক নম্বর ৩৬। কেজরিওয়ালের আম আদমি পার্টি লড়েছে ৭০টি আসনে। বিজেপি প্রার্থী দিয়েছে ৬৮ আসনে। দুটি আসন তারা ছেড়েছে জেডিইউ এবং এলজেপি'কে (রামবিলাস)। অধিকাংশ সমীক্ষার ইঙ্গিত, বিজেপি জিততে পারে প্রায় ৪০টির বেশি আসনে।
টাইমস অব ইন্ডিয়া, এনডিটিভির লাইভ প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এখন পর্যন্ত বিশাল ব্যবধানে এগিয়ে আছে। এনডিটিভি তাদের খবরের প্রধান শিরোনামে লিখেছে, বিশাল জয়ের পথে বিজেপি।
আনন্দবাজার তাদের লাইভ নিউজে জানিয়েছে, ভোটগণনা শুরুর ৪০ মিনিট পরের পরিসংখ্যা বলছে, আপ ২০টি আসনে এগিয়ে। অন্যদিকে ২৫টি আসনে এগিয়ে বিজেপি। কংগ্রেস একটি আসনে এগিয়ে রয়েছে।
কী বলছে বুথ ফেরত সমীক্ষা?
চাণক্য স্ট্র্যাটেজিসের সমীক্ষা অনুযায়ী বিজেপি পেতে পারে ৩৯-৪৪টি আসন। আপ জিততে পারে ২৫-২৮টি আসনে। কংগ্রেসের ঝুলিতে থাকতে পারে দুই থেকে তিনটি আসন।
ডিভি রিসার্চের বুথ-ফেরত সমীক্ষা অবশ্য কংগ্রেসকে একটি আসনও দেয়নি। তাদের সমীক্ষা অনুযায়ী, বিজেপি পেতে পারে ৩৬-৪৪টি আসন এবং আম আদমি পার্টি জিততে পারে ২৬ থেকে ৩৪টি আসনে।
জেভিসির সমীক্ষার ইঙ্গিত বিজেপি পেতে পারে ৩৯-৪৫টি আসন। আম আদমি পার্টি জিততে পারে ২২ থেকে ৩১টি আসন এবং কংগ্রেস পেতে পারে শূন্য থেকে দু'টি আসন। ম্যাট্রিজের সমীক্ষা অনুযায়ী আপের ঝুলিতে থাকতে পারে ৩২-৩৭টি আসন। বিজেপি জিততে পারে ৩৫ থেকে ৪০টি আসনে। কংগ্রেসের ভাগ্যে একটি আসন জয়ের ইঙ্গিত দিয়েছে এই সমীক্ষাটি।
মন্তব্য করুন


যুক্তরাষ্ট্র ও চীন—বিশ্বের দুই বৃহত্তম অর্থনীতির মধ্যে চলমান বাণিজ্য উত্তেজনা এখন প্রায় পূর্ণাঙ্গ যুদ্ধে রূপ নিয়েছে। যদিও যুক্তরাষ্ট্র অন্য দেশগুলোর ওপর থেকে শুল্ক তিন মাসের জন্য স্থগিত রেখেছে, তবে গত বুধবার তারা চীনা পণ্যের ওপর অতিরিক্ত শুল্ক বাড়িয়ে দেয়। এরপরই বৃহস্পতিবার (১০ এপ্রিল) হোয়াইট হাউজ ঘোষণা করে যে ট্রাম্প প্রশাসন যুক্তরাষ্ট্রে আমদানিকৃত প্রায় সব চীনা পণ্যের ওপর ১৪৫% শুল্ক কার্যকর করতে যাচ্ছে।
চীনও এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে পাল্টা ব্যবস্থা নেয়। শুক্রবার (১১ এপ্রিল) বিবিসির লাইভ প্রতিবেদনে জানানো হয়, চীন মার্কিন পণ্যের ওপর ১২৫% হারে শুল্ক আরোপ করেছে। এর আগে, গত বুধবার চীন মার্কিন পণ্যে ৮৪% শুল্ক দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। এছাড়া, চীনের ব্যবসায়ীরা অনলাইন প্ল্যাটফর্ম অ্যামাজনে তাদের পণ্যের দাম বাড়ানোর প্রস্তুতি নিচ্ছেন।
এদিকে, চীনের এই সর্বশেষ পদক্ষেপের বিষয়ে এখনও কোনো প্রতিক্রিয়া জানায়নি ট্রাম্প প্রশাসন।
বিবিসির প্রতিবেদন অনুযায়ী, গত বছর এই দুই অর্থনৈতিক শক্তির মধ্যে মোট ৫৮৫ বিলিয়ন ডলার (৫৮ হাজার ৫০০ কোটি ডলার) মূল্যের পণ্য বাণিজ্য হয়েছে। তবে এই বাণিজ্যে ভারসাম্য যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে। কারণ, যুক্তরাষ্ট্র চীন থেকে ৪৪০ বিলিয়ন ডলার (৪৪ হাজার কোটি ডলার) মূল্যের পণ্য আমদানি করলেও চীন মার্কিন পণ্য আমদানি করেছে মাত্র ১৪৫ বিলিয়ন ডলার (১৪ হাজার ৫০০ কোটি ডলার)।
ফলে, ২০২৪ সালে যুক্তরাষ্ট্রের সাথে চীনের বাণিজ্য ঘাটতি দাঁড়িয়েছে ২৯৫ বিলিয়ন ডলার (২৯ হাজার ৫০০ কোটি ডলার), যা মার্কিন অর্থনীতির প্রায় ১% এর সমান। এই বিশাল বাণিজ্য ঘাটতিই যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যে বাণিজ্য সংঘাতের মূল কারণ হিসেবে দেখা যাচ্ছে।
মন্তব্য করুন


ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনিকে হত্যার ইসরাইলের পরিকল্পনা কয়েক দিন আগে আটকে দিয়েছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এ তথ্য দুজন মার্কিন কর্মকর্তা ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে জানিয়েছেন।
মার্কিন প্রশাসনের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, "ইরান কি এ পর্যন্ত কোনো আমেরিকানকে হত্যা করেছে? না। যতদিন তারা তা না করছে, ততদিন আমরা রাজনৈতিক নেতৃত্বকে টার্গেট করার বিষয়ে আলোচনা পর্যন্ত করছি না।"
খামেনিকে হত্যার পরিকল্পনা সম্পর্কে রয়টার্সের প্রতিবেদন নিয়ে প্রশ্ন করা হলে ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু রোববার ফক্স নিউজকে বলেন, "কখনো আলোচনা হয়নি, এমন অনেক বিষয় নিয়েও সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে। আমি এ বিষয়ে কিছু বলতে চাই না।"
ফক্স নিউজের 'স্পেশাল রিপোর্ট উইথ ব্রেট বেয়ার' অনুষ্ঠানে নেতানিয়াহু আরও বলেন, "আমরা যা করা প্রয়োজন, তা করি।"
তিনি এও উল্লেখ করেন যে ইরানে ইসরাইলের সামরিক অভিযানের ফলে সরকার পরিবর্তন হতে পারে। তেহরানের সৃষ্ট 'অস্তিত্বের হুমকি' মোকাবিলায় ইসরাইল প্রয়োজনীয় সবকিছুই করবে বলেও জানান তিনি।
এদিকে, বর্তমান সংঘাত আরও বিস্তৃত হওয়ার শঙ্কা বাড়ছে। তবে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বলেছেন, এটি সহজেই সমাধান করা সম্ভব। একই সঙ্গে তিনি ইরানকে সতর্ক করে বলেন, "যদি ইরান কোনো আমেরিকান টার্গেটে আঘাত করে, তাহলে যুক্তরাষ্ট্রও এই সংঘাতে জড়িয়ে পড়তে বাধ্য হবে।"
মন্তব্য করুন


ডেস্ক রিপোর্টঃ
ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে গত ৫ আগস্ট পতন হয় শেখ হাসিনা নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ সরকারের। ওই দিন দেশ ছেড়ে ভারতে পালিয়ে যান শেখ হাসিনা। এরপর থেকে বাংলাদেশে সংখ্যালঘুরা নির্যাতনের শিকার হচ্ছেন বলে খবর প্রকাশ করছে বিভিন্ন ভারতীয় সংবাদমাধ্যম।
ভারতীয় বিভিন্ন গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে দাবি করা হচ্ছে, নির্যাতনের শিকার হয়ে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষ বাংলাদেশ থেকে দলে দলে পালিয়ে ভারতে যাচ্ছেন।
তবে ভারতের প্রসিদ্ধ সংবাদমাধ্যম ‘দ্য হিন্দু’ এ ধরনের খবরকে ভুয়া বলে আখ্যা দিয়েছে।
সংবাদমাধ্যমটি জানিয়েছে, এ ধরনের কোনও ঘটনা ঘটছে না। হাসিনার সরকারের পতনের পর বাংলাদেশ থেকে দলে দলে মানুষের ভারতে পালিয়ে যাওয়া বা ভারতে ঢোকার কোনও চেষ্টা হয়নি।
রবিবার প্রকাশিত দ্য হিন্দুর প্রতিবেদনে পরিসংখ্যান উল্লেখ করে এমনটাই বলা হয়েছে।
দ্য হিন্দু বলছে, ৫ আগস্ট বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পালিয়ে ভারতে আশ্রয় নেওয়ার পর থেকে ২৭ নভেম্বর পর্যন্ত সীমান্তে এক হাজার ৩৯৩ বাংলাদেশি আটক হয়েছেন। এর আগে জানুয়ারি থেকে ৪ আগস্ট পর্যন্ত (আওয়ামী লীগ সরকারের সময়) ১ হাজার ১৪৪ জন বাংলাদেশিকে আটক করা হয়। যার অর্থ আওয়ামী লিগ সরকারের পতনের পর হাজার হাজার মানুষের সীমান্ত পাড়ি দেওয়ার কোনও চেষ্টার ঘটনা ঘটেনি।
সংবাদমাধ্যমটি জানিয়েছে, সব মিলিয়ে চলতি বছর এখন পর্যন্ত বাংলাদেশ সীমান্তে মোট ৩ হাজার ৯০৭ অনথিভুক্ত ব্যক্তি আটক হয়েছেন, যার মধ্যে রয়েছে- বাংলাদেশি, ভারতীয়, এবং অন্যান্য জাতীয়তার মানুষ। ২০২৩ সালে এ সময় পর্যন্ত আটক হওয়া বাংলাদেশিদের সংখ্যা ৩ হাজার ১৩৭, যা ২০২২ সালের ৩ হাজার ৭৪ জনের কাছাকাছি।
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী-বিএসএফ জানিয়েছে, গত আগস্ট মাস থেকে কঠোর নজরদারিতে রয়েছে সীমান্ত। এমএইচএ’র নির্দেশে বৈধ নথি ছাড়া কাউকে দেশে প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে না। গত ১ জানুয়ারি থেকে ৪ আগস্ট পর্যন্ত কোনও কাগজপত্র ছাড়াই বাংলাদেশে প্রবেশকারী ৮৭৩ ভারতীয়কে আটক করা হয়েছে।
বিএসএফের একজন সিনিয়র কর্মকর্তা বলেছেন, বাংলাদেশে চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের গ্রেফতারের পর সীমান্তে নজরদারি আরও বাড়ানো হয়েছে। সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের সদস্যরা তাদের নিরাপত্তার ভয়ে ভারতে প্রবেশ করতে চাইতে পারে। কিন্তু রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত এমন কোনও দৃশ্য দেখা যায়নি। উত্তরবঙ্গের দিনাজপুর থেকে কয়েকটি খবর পাওয়া গেলেও রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ভারতে আশ্রয়ের জন্য কোনও বড় ধরনের গণ-অভিবাসনের খবর পাওয়া যায়নি।
বিএসএফ আরও বলেছে, ৫ আগস্ট থেকে ২৭ নভেম্বর পর্যন্ত বাংলাদেশে পাড়ি জমাতে চেয়েছিলেন এমন ভারতীয়র সংখ্যা ৩৮৮ জন। এ বছর মিয়ানমারসহ অন্যান্য জাতিসত্তার ১০৯ জনকেও সীমান্তে আটক করা হয়েছে।
২০১৮, ২০১৯, ২০২০, ২০২১ এবং ২০২২ সালে সীমান্তে আটক বাংলাদেশির সংখ্যা ছিল যথাক্রমে ২ হাজার ৯৯৫ জন, ২ হাজার ৪৮০ জন, তিন হাজার ২৯৫ জন, দুই হাজার ৪৫১ জন এবং তিন হাজার ৭৪ জন।
অর্থাৎ ২০১৮ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত সীমান্তে আটক হওয়া বাংলাদেশিদের সংখ্যা ২,৪৮০ থেকে ৩,২৯৫-এর মধ্যে ওঠানামা করেছে। এই ধারাবাহিকতা থেকেই বোঝা যায়, বাংলাদেশে রাজনৈতিক অস্থিরতার মধ্যেও বড় ধরনের পরিবর্তন হয়নি।
বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের ৪ হাজার ৯৬ কিলোমিটার দীর্ঘ সীমান্ত রয়েছে। ভারতের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নির্দেশ মেনে বৈধ নথিপত্র ছাড়া কাউকে ভারতে প্রবেশের অনুমতি দিচ্ছে না দেশটির সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ।
৫ আগস্টের পর বিএসএফ বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) কর্মকর্তাদের সঙ্গে অনেক বার বৈঠক করেছে। সূত্র: দ্য হিন্দু
মন্তব্য করুন


ক্রিমিয়া উপদ্বীপের সেভাস্তোপোলে রাশিয়ার কৃষ্ণসাগর নৌবহরের সদরদপ্তরে ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় রুশ ৯ সৈন্য নিহত হয়েছেন। ইউক্রেনের সামরিক বাহিনীর এই হামলায় আরও ১৬ জন আহত হয়েছেন। হতাহতদের মধ্যে রাশিয়ার সামরিক বাহিনীর দুই জেনারেলও রয়েছেন বলে দাবি করেছে ইউক্রেনের সামরিক বাহিনী।
ইউক্রেনের শীর্ষ গোয়েন্দা অধিদপ্তরের প্রধান কিরিলো বুদানোভ বলেছেন, ‘আহতদের মধ্যে কৃষ্ণসাগর নৌবহর গ্রুপের কমান্ডার কর্নেল জেনারেল (আলেকজান্ডার) রোমানচুকের অবস্থা অত্যন্ত আশঙ্কাজনক। এছাড়া চিফ অব স্টাফ লেফটেন্যান্ট জেনারেল (ওলেগ) সেকভ সংজ্ঞাহীন রয়েছেন।’
শুক্রবার সেভাস্তোপোলে রাশিয়ার কৃষ্ণসাগর নৌবহরের সদরদপ্তরে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানোর দাবি করেছে ইউক্রেন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আসা হামলার একাধিক ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়, ভবনটির ছাদ থেকে সাদা ধোঁয়া আকাশে উড়ছে।
হামলার পরপরই রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বলেছিল, হামলায় তাদের নৌবহরের সামরিক এক কর্মী নিখোঁজ হয়েছেন। তবে বুদানোভ রাশিয়ার কৃষ্ণসাগর নৌবহরের কমান্ডার অ্যাডমিরাল ভিক্টর সোকোলভের মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করেননি।
তিনি বলেছেন, সদরদপ্তরের কর্মচারী নন এমন সাধারণ সামরিক কর্মীদের হতাহত সংখ্যা এখনও নির্ধারণ করা যায়নি। সামরিক কর্মীরা সেখানে দায়িত্ব পালন করছেন, নিরাপত্তা দিচ্ছেন এবং আরও অনেক কিছু করছেন। তবে হতাহতের ব্যাপারে যে পরিসংখ্যান দেওয়া হয়েছে, তাতে তারা অন্তর্ভুক্ত নয় বলে জানিয়েছেন তিনি।
২০১৪ সালে সামরিক অভিযান চালিয়ে ইউক্রেনের কাছ থেকে ক্রিমিয়া উপদ্বীপের দখল নেয় রাশিয়া। গত বছর ইউক্রেনে রুশ সামরিক অভিযান শুরুর পর এই অঞ্চলটি ইউক্রেনীয় আক্রমণের শিকার হতে শুরু করে। তবে সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে ক্রিমিয়ায় ইউক্রেনের হামলা ও হামলার চেষ্টা বেশ বৃদ্ধি পেয়েছে।
অবশ্য সামরিক অভিযান চালিয়ে ইউক্রেনের কাছ থেকে রাশিয়া ক্রিমিয়া দ্বীপের দখল নিলেও বিশ্বের বেশিরভাগ দেশ মস্কোর সেই দখলদারিত্বকে স্বীকৃতি দেয়নি। এছাড়া ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কিও ক্রিমিয়াকে রাশিয়ার দখলদারিত্ব থেকে মুক্ত করার প্রতিশ্রুতি দিয়ে রেখেছেন।
মন্তব্য করুন