

‘অপারেশন সিঁদুর’ নামে ভারতের চালানো ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় পাকিস্তানে বহু শিশু নিহত হয়। এবার সেই নিহত শিশুদের নামে ভারতে আল-ফাত ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে পাকিস্তান। পাকিস্তানের রাষ্ট্রীয় সংবাদ মাধ্যম পিটিআই এ তথ্য জানিয়েছে।
এক এক্স পোস্টে পিটিআই জানিয়েছে, পাকিস্তানের পাল্টা আক্রমণ অব্যাহত রয়েছে।
শহীদ পাকিস্তানি শিশুদের নামে পাকিস্তানের আল-ফাত ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়া হয়েছে। পাকিস্তান এই শহীদ নিষ্পাপ শিশুদের কথা ভুলে যায়নি এবং ভুলবেও না। ভারতের আগ্রাসনে এই নিষ্পাপ পাকিস্তানি শিশুরা শহীদ হয়েছে।
পোস্টে দুইটি ছবি যুক্ত করা হয়েছে যেখানে ক্ষেপণাস্ত্র বহনকারী একটি সামরিক যান দেখা যাচ্ছে।
যানটিতে লাগানো একটি পোস্টারে লেখা রয়েছে— হাওয়া বিবি, উরওয়া জুবায়ের, মোহাম্মদ বিন জুবায়ের, উওয়াইম জুবায়ের, উমর জুবায়ের, উমর মুসা, ইরতাজার ভালোবাসায়।
‘অপারেশন বুনিয়ান-উন-মারসুস’ নামের এই অপারেশনে ভারতের ব্রহ্মোস ক্ষেপণাস্ত্র সংরক্ষণ কেন্দ্র ধ্বংস করা হয়েছে বলে জানিয়েছে দেশটির গণমাধ্যম পিটিআই। এছাড়া ভারতের উধমপুরের একটি এবং পাঠানকোটের দুইটি বিমানঘাঁটি ধ্বংস করা হয়েছে।
মন্তব্য করুন


মালয়েশিয়ায় কর্মরত বাংলাদেশি শ্রমিকদের দেশে ফিরতে আরও সহজ করে তুলতে মাল্টিপল (একাধিক) প্রবেশাধিকার ভিসা ইস্যু করার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় মালয়েশিয়ার হাইকমিশনার মোহদ শুহাদা ওসমান সাক্ষাৎ করতে এলে তিনি এই আহ্বান জানান।
গত বছরের মে মাসে নির্ধারিত সময়সীমার মধ্যে মালয়েশিয়া যেতে না পারা ১৮ হাজার বাংলাদেশি শ্রমিককে প্রবেশের সুযোগ দেওয়ার জন্য তিনি মালয়েশিয়াকে অনুরোধ জানান।
হাইকমিশনার জানান, মালয়েশিয়া ও বাংলাদেশের কর্মকর্তাদের নিয়ে গঠিত একটি যৌথ কারিগরি কমিটি গত ৩১ ডিসেম্বর কুয়ালালামপুরে এক সভা করেছে এবং মঙ্গলবার এ বিষয়ে আরেকটি সভা অনুষ্ঠিত হবে।
প্রধান উপদেষ্টা গত অক্টোবরে ঢাকায় মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিমের সঙ্গে বৈঠকের কথা স্মরণ করে বলেন, তিনি আশা করেন, মালয়েশিয়া দ্রুত এই প্রক্রিয়া সম্পন্ন করবে, যাতে পরবর্তী ব্যাচের বাংলাদেশি শ্রমিকরা কর্মসংস্থানের জন্য মালয়েশিয়ায় যাওয়ার প্রস্তুতি নিতে পারে।
তিনি মালয়েশিয়াকে আসিয়ানের চেয়ারম্যান হওয়ার জন্য অভিনন্দন জানিয়ে বলেন, বাংলাদেশকে আসিয়ানের সেক্টরাল ডায়ালগ পার্টনার হিসেবে গ্রহণ এবং পরবর্তীতে পূর্ণ সদস্যপদ পাওয়ার জন্য মালয়েশিয়ার সমর্থন কামনা করেন।
ড. ইউনূস আরও জানান, বাংলাদেশ আসন্ন আন্তর্জাতিক রোহিঙ্গা সংকট সম্মেলনে আসিয়ানের সমর্থন চাইবে, যা ২০২৫ সালে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের রেজ্যুলিউশন ৭৯/১৮২-এর আলোকে আহ্বান করা হবে।
মালয়েশিয়ার নতুন হাইকমিশনারকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, বাংলাদেশের যুবশক্তির সুবিধা গ্রহণ করতে আরও বিনিয়োগ বাড়ানোর এবং মালয়েশিয়ার কারখানাগুলো বাংলাদেশে স্থানান্তর করার বিষয়ে কাজ করার জন্য অনুরোধ করেন।
ড. ইউনূস বলেন, বাংলাদেশ চতুর্থ দ্বিপাক্ষিক পরামর্শমূলক বৈঠকে (বিসিএম) অংশগ্রহণের জন্য মালয়েশিয়ার পক্ষ থেকে একটি সুবিধাজনক তারিখের অপেক্ষায় রয়েছে।
তিনি আরও জানান, বাংলাদেশ ২০২৫ সালের মধ্যভাগে ঢাকায় পররাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ে ‘৫ম যৌথ কমিশন’ বৈঠক আয়োজনের জন্যও প্রস্তুত।
এ সময় এসডিজি বিষয়ক সিনিয়র সচিব লামিয়া মুরশেদ উপস্থিত ছিলেন।
মন্তব্য করুন


দেশের শ্রম আইনকে আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার (আইএলও) মানদণ্ডে উন্নীত করতে গুরুত্বপূর্ণ শ্রম সংস্কার বাস্তবায়নে অন্তর্বর্তী সরকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
৪ ফেব্রুয়ারি (মঙ্গলবার) কারখানা শ্রমিকদের নিরাপত্তা উন্নয়নে কাজ করা সংগঠন ‘নিরাপন’র নেতাদের সঙ্গে সাক্ষাৎকালে প্রধান উপদেষ্টা এ কথা জানান। প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনায় নিরাপনের নেতারা তার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।
নিরাপনের চেয়ারপারসন সাইমন সুলতানা এবং স্বাধীন পরিচালক তপন চৌধুরী প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেন। বৈঠকে শীর্ষস্থানীয় পশ্চিমা ব্র্যান্ড ও খুচরা বিক্রেতাদের প্রতিনিধিরাও উপস্থিত ছিলেন।
প্রধান উপদেষ্টা নিরাপন কর্মকর্তাদের বলেন, অন্তর্বর্তী সরকার দেশের শ্রম আইনকে আইএলও’র মানদণ্ডে উন্নীত করতে গুরুত্বপূর্ণ শ্রম সংস্কার বাস্তবায়নে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। আমরা এরই মধ্যে কিছু পদক্ষেপ নিয়েছি। শিগগির আপনারা পরিবর্তন দেখতে পাবেন।
প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ দূত লুতফে সিদ্দিকী জানান, অন্তর্বর্তী সরকার শ্রমিক ইউনিয়ন ও পোশাক প্রস্তুতকারকদের সঙ্গে ১৮ দফা চুক্তি স্বাক্ষর করেছে, যা এই খাতের স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করেছে এবং রপ্তানি বৃদ্ধিতে সহায়তা করেছে।
সাইমন সুলতানা পোশাক শিল্পে সংস্কার কার্যক্রম শুরুর জন্য প্রধান উপদেষ্টাকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, নিরাপন তার স্থানীয় অংশীদার ‘ব্র্যাক’ ও ‘আমাদের কথা’র মাধ্যমে নিরাপত্তা ব্যবস্থাপনার জন্য উদ্ভাবনী টুল উন্নয়ন ও বাস্তবায়নে নেতৃত্ব দিচ্ছে। ব্র্যান্ড প্রতিনিধিরাও বাংলাদেশের কারখানার নিরাপত্তার উন্নতিতে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেন।
সাক্ষাৎকালে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের এসডিজি বিষয়ক মুখ্য সমন্বয়ক লামিয়া মোরশেদ এবং বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিআইডিএ) চেয়ারম্যান চৌধুরী আশিক মাহমুদ বিন হারুন উপস্থিত ছিলেন।
মন্তব্য করুন


পুলিশের গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) অতিরিক্ত কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন মো. শফিকুল ইসলাম। আজ বুধবার (২৭ আগস্ট) ডিএমপি কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী স্বাক্ষরিত এক আদেশে এই পদায়ন করা হয়।
জানা গেছে, শফিকুল ইসলাম ১৮তম বিসিএস ব্যাচের একজন সদস্য। এর আগে তিনি ডিআইজি হিসেবে হাইওয়ে পুলিশে কর্মরত ছিলেন।
শফিকুল ইসলামের গ্রামের বাড়ি বগুড়ার সারিয়াকান্দি। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর শেষ করে তিনি ১৯৯৯ সালে ১৮তম বিসিএস পুলিশ ক্যাডারে যোগ দেন। পেশাগত জীবনের শুরুতে তিনি লক্ষ্মীপুরে সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। পরে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের সহকারী পুলিশ কমিশনার (এসি) হন। ২০০২ সালে তিনি ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশে বদলি হয়ে প্রায় পাঁচ বছর কাজ করেন।
পরে সারদা পুলিশ একাডেমিতে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ট্রেনিং) হিসেবে যোগ দেন। ২০০৭ সালের জুনে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে অংশ নিতে লাইবেরিয়ায় পাঠানো হয় তাকে। মিশন শেষে ২০১০ সালে চট্টগ্রামে অতিরিক্ত পুলিশ সুপারের দায়িত্ব পান। এরপর দ্বিতীয় দফায় লাইবেরিয়া মিশনে যান তিনি।
২০১৩ সালে শফিকুল ইসলাম পুলিশ সুপার পদে পদোন্নতি পান এবং সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) হন। এক বছর পরই আবার জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে যোগ দেন আইভরি কোস্টে। দেশে ফিরে তিনি হাইওয়ে পুলিশের এসপি হন। ২০১৯ সালে তাকে নৌ পুলিশের এসপির দায়িত্ব দেওয়া হয়।
২০২১ সালে পদোন্নতি পেয়ে একই সংস্থার অতিরিক্ত ডিআইজি (অ্যাডমিন অ্যান্ড অপারেশন্স) হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। পরবর্তী সময়ে ডিআইজি পদে পদোন্নতি পেয়ে হাইওয়ে পুলিশে যোগ দেন।
প্রসঙ্গত, ডিবিপ্রধানের পদটি প্রায় সাড়ে চার মাস ধরে শূন্য। গত ১২ এপ্রিল ডিবির তৎকালীন প্রধান রেজাউল করিম মল্লিককে কোনো সুনির্দিষ্ট কারণ ছাড়াই দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়। পরে তাকে ঢাকা রেঞ্জ ডিআইজি করা হয়। তার পর থেকে যুগ্ম কমিশনার পদমর্যাদার একজন কর্মকর্তা ডিবির এ ইউনিটের দায়িত্বে ছিলেন।
মন্তব্য করুন


সারা দেশে জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) সেবা কার্যক্রম সাময়িক বন্ধ রয়েছে। আজ মঙ্গলবার সকালে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগের মহাপরিচালক এ এস এম হুমায়ুন কবীর।
সার্ভারে প্রবেশের সময় ওটিপি (ওয়ান টাইম পাসওয়ার্ড) না আসায় এই সমস্যা দেখা দিয়েছে বলে জানা গেছে। তবে ছবি তোলা বায়োমেট্রিক গ্রহণের কার্যক্রম চলমান আছে।
হুমায়ুন কবীর জানায়, এনআইডি সার্ভারে লগইন করার জন্য ইউজার আইডি ও পাসওয়ার্ড দেওয়ার পর একটি ওয়ান টাইম পাসওয়ার্ডের (ওটিপি) প্রয়োজন হয়। সে ওটিপি না আসায় কর্মকর্তারা সার্ভার ঢুকতে পারছেন না।
সমস্যার সমাধান হয়ে গেলে দ্রুতই এনআইডির অনলাইন সেবা চালু হবে বলে জানান তিনি।
মন্তব্য করুন


পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন এবং পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন, ঢাকার প্রতিটি ভবনে সেপটিক ট্যাংক বা এসটিপি (স্যুয়ারেজ ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট) স্থাপন বাধ্যতামূলক করতে হবে।
বুধবার রাজধানীর র্যাডিসন ব্লু ওয়াটার গার্ডেন হোটেলে ‘নির্মিত/নির্মাণাধীন ভবনসমূহে সেপটিক ট্যাংক/এসটিপি স্থাপন’ বিষয়ক অংশীজনের সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ কথা বলেছেন।
পরিবেশ উপদেষ্টা বলেন, ঢাকা শহরের হাসপাতাল, বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানসহ সব স্থাপনার জন্য এসটিপি স্থাপন কোনোভাবেই কঠিন কাজ নয়। ঢাকাকে একটি ব্রাউন শহর থেকে সবুজ ও স্মার্ট নগরীতে রূপান্তর করতে হলে কার্যকর স্যুয়ারেজ ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করা জরুরি।
তিনি আরো বলেন, রাজধানীর নদী ও খাল দূষণমুক্ত করা কঠিন হলেও, তা অসম্ভব নয়। এ জন্য সমন্বিত উদ্যোগ নিতে হবে এবং উৎস থেকে বর্জ্য ফেলার প্রবণতা বন্ধ করতে হবে। শুধু ড্রেজিং করে কিংবা দায় এড়িয়ে সমস্যা সমাধান সম্ভব নয়
সভায় পরিবেশ উপদেষ্টা দীর্ঘমেয়াদি ভিশন, কার্যকর গভর্নেন্স এবং আইনগত সংস্কারের ওপর গুরুত্ব দেন। তিনি আশা প্রকাশ করেন, রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) আইন সংশোধন ও কার্যকর বাস্তবায়নের মাধ্যমে ঢাকা একটি আধুনিক, পরিচ্ছন্ন ও পরিবেশবান্ধব নগরীতে রূপান্তরিত হবে।
তিনি নগরীর ছাদবাগান, সড়ক বিভাজকে সবুজায়ন এবং পার্ক সংরক্ষণের মাধ্যমে পরিবেশবান্ধব উন্নয়ন নিশ্চিত করার আহ্বান জানান। একইসঙ্গে ভবন নির্মাণে সেপটিক ট্যাংক ও এসটিপি স্থাপনের বাধ্যবাধকতা কার্যকরভাবে বাস্তবায়নের ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
রাজউকের চেয়ারম্যান প্রকৌশলী মো. রিয়াজুল ইসলামের সভাপতিত্বে সভায় বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজ এবং গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব আব্দুল মতিন। বক্তৃতা করেন রাজউকের সদস্য (পরিকল্পনা) মো. গিয়াস উদ্দিন ও রাজউকের উপনগর পরিকল্পনাবিদ সাঈদ রেজাউল হক।
বিষয়ভিত্তিক উপস্থাপনা করেন ওয়াটারএইড বাংলাদেশ’র কান্ট্রি ডিরেক্টর হাসিন জাহান, ডাইকি এক্সিস বাংলাদেশ’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক রুই ওয়াসে ও প্রধান নির্বাহী শফিকুল ইসলাম।
সভায় অংশগ্রহণকারীরা ঢাকা শহরকে টেকসই ও বাসযোগ্য নগরীতে রূপান্তরের জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিয়ে মতামত তুলে ধরেন।
মন্তব্য করুন


বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে রাজধানীর যাত্রাবাড়ী থানার আসাদুল হক বাবু হত্যা মামলায় বেসরকারি টিভি চ্যানেল মাইটিভির চেয়ারম্যান নাসির উদ্দিন সাথীর ছেলে কন্টেন্ট ক্রিয়েটর তৌহিদ আফ্রিদির ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
সোমবার (২৫ আগস্ট) শুনানি শেষে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সারাহ ফারজানা হক তার এ রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
এদিন দুপুর ২টা ২৫ মিনিটে তাকে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে আনা হয়। এ সময় তাকে সিএমএম আদালতের হাজতখানায় রাখা হয়। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সিআইডির পুলিশ পরিদর্শক খান মো. এরফান জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাকে ৭ রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করেন। শুনানির সময় তাকে এজলাসে তোলা হয়। রাষ্ট্রপক্ষ তার সর্বোচ্চ সাত দিনের রিমান্ড মঞ্জুর চেয়ে শুনানি করেন। আসামি পক্ষের আইনজীবীরা রিমান্ড বাতিল ও জামিন চেয়ে শুনানি করেন। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে আদালত তার এ রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
রোববার (২৪ আগস্ট) রাতে সিআইডির একটি দল বরিশাল থেকে তৌহিদ আফ্রিদিকে গ্রেফতার করে। এর আগে ১৭ আগস্ট রাজধানীর গুলশান থেকে আফ্রিদির বাবা নাসিরকে গ্রেফতার করা হয়। পরদিন এ মামলায় তার ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।
মামলার সূত্রে জানা গেছে, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন চলাকালে গত বছরের ৫ আগস্ট যাত্রাবাড়ী থানাধীন পাকা রাস্তার উপর আন্দোলনে অংশ নেন মো. আসাদুল হক বাবু। ঘটনার দিন দুপুর আড়াইটায় আসামিদের ছোড়া গুলি আসাদুলের বুকে ও ডান পাশে লাগে। পরে হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় গত বছরের ৩০ আগস্ট যাত্রাবাড়ী থানায় হত্যা মামলা করেন নিহতের বাবা জয়নাল আবেদীন। এ মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ২৫ জনকে আসামি করা হয়। এ মামলায় নাসির উদ্দিন ২২ নম্বর ও তার ছেলে তৌহিদ আফ্রিদি ১১ নাম্বার এজাহারনামীয় আসামি।
মন্তব্য করুন


সারাদেশে গত ২৪ ঘণ্টায় এডিস মশাবাহিত ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে চারজন মারা গেছেন। এই সময়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৮৪৫ জন।
এ নিয়ে চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে ২৮ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ডেঙ্গুতে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১৯২ জন এবং শনাক্ত রোগী বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪৬ হাজার ৫১ জনে।
রোববার (২৮ সেপ্টেম্বর) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোলরুম থেকে পাঠানো ডেঙ্গু বিষয়ক নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানায়, গত ২৪ ঘণ্টায় যারা ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন তাদের মধ্যে বরিশাল বিভাগে ১৬৬ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে ৯১ জন, ঢাকা বিভাগে ১৬৪ জন, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনে ৯৭ জন, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে ১১২ জন, খুলনা বিভাগে ১০১ জন, ময়মনসিংহ বিভাগে ৩৭ জন, রাজশাহী বিভাগে ৫৪ জন, রংপুর বিভাগে ১৭ জন এবং সিলেট বিভাগে ছয়জন রয়েছেন।
২৪ ঘণ্টায় যে চারজনের মৃত্যু হয়েছে তাদের মধ্যে দুজনের মৃত্যু ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনে এবং দুজনের ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে।
গত ২৪ ঘণ্টায় ৬৫৮ ডেঙ্গুরোগী হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পেয়েছেন। এ নিয়ে চলতি বছর আক্রান্ত রোগীদের মধ্যে এখন পর্যন্ত ছাড়পত্র পেয়েছেন ৪৩ হাজার ৬২৯ জন।
২০২৪ সালে দেশে মোট ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছিল ১ লাখ ১ হাজার ২১৪ জন এবং মৃত্যু হয়েছিল ৫৭৫ জনের। এর আগের বছর ২০২৩ সালে ডেঙ্গুতে মারা যান সর্বোচ্চ ১ হাজার ৭০৫ জন এবং আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন ৩ লাখ ২১ হাজার ১৭৯ জন।
মন্তব্য করুন


ঢাকায় যুক্তরাষ্ট্রের ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রদূত ট্র্যাসি এন জ্যাকবসন বাংলাদেশে উন্নয়ন এবং সন্ত্রাসবাদ মোকাবিলা সহ বিভিন্ন বিষয়ে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রতি তাদের দেশের সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করেছেন।
সোমবার (২০ জানুয়ারি) রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাৎকালে তিনি বলেন, "আমরা একটি জাতি হিসেবে আপনাদের সরকারকে বিভিন্ন বিষয়ে সহায়তা করতে প্রস্তুত।"
প্রধান উপদেষ্টা চলমান সংস্কার উদ্যোগ, জুলাই ঘোষণাপত্র নিয়ে রাজনৈতিক ঐকমত্য গড়ে তোলার প্রচেষ্টা এবং পরবর্তী সাধারণ নির্বাচন পরিকল্পনা সম্পর্কে আলোচনা করেন।
জুলাই ঘোষণাপত্র প্রসঙ্গে প্রধান উপদেষ্টা জানান, তিনি ফেব্রুয়ারির শুরুর দিকে রাজনৈতিক দলগুলোর কাছ থেকে ঐকমত্যের প্রত্যাশা করছেন।
তিনি বলেন, "এ পর্যন্ত আমি কোনো ভিন্ন মত শুনিনি।" জুলাই ঘোষণাপত্র বিষয়ে ঐকমত্য গড়ে তোলার রাজনৈতিক প্রক্রিয়াকে ‘কঠিন’ উল্লেখ করে তিনি বলেন, প্রস্তাবিত ঘোষণাপত্রের মূল বিষয়বস্তু হবে ‘ঐক্য’।
প্রধান উপদেষ্টা আরও বলেন, "সরকার শুধু একটি সুবিধাদাতা ভূমিকা পালন করবে। আমার কাজ হচ্ছে ঐকমত্য গড়ে তোলা। আমি কোনো ধারনা চাপিয়ে দিচ্ছি না।"
তিনি বলেন, একবার রাজনৈতিক দলগুলো সংস্কার প্রস্তাবের বিষয়ে একমত হলে, সরকার তাদের তা স্বাক্ষর করার অনুরোধ করবে, যাতে একটি ‘জুলাই চার্টার’ গড়ে তোলা যায়।
ড. ইউনূস আরও বলেন, "আমরা জানি না বিষয়বস্তুতে অনেক কিছু থাকবে, নাকি কিছু বিষয় থাকবে," মার্কিন কূটনীতিককে তিনি বলেন।
এসময় রাষ্ট্রদূত ট্র্যাসি এন জ্যাকবসন কয়েকজন সাংবাদিক গ্রেফতার এবং ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে সহিংসতার কিছু রিপোর্ট নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন।
প্রধান উপদেষ্টা তখন বলেন, তার সরকার দেশের প্রত্যেক নাগরিকের জন্য ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
ঘণ্টাব্যাপী এই বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টা এবং রাষ্ট্রদূত ট্র্যাসি এন জ্যাকবসন বাংলাদেশের সঙ্গে প্রতিবেশী দেশগুলোর সম্পর্ক, রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে অগ্রগতি এবং মিয়ানমারের নিরাপত্তা পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করেন।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, বাংলাদেশ তার প্রতিবেশীদের সঙ্গে সম্পর্ককে মূল্যায়ন করে। এই ধারণা থেকেই সার্ক সৃষ্টি হয়েছিল এবং আমরা এর উদ্ভাবক।
তিনি সার্ক পুনরুজ্জীবিত করার সাম্প্রতিক উদ্যোগ এবং এটিকে ইউরোপীয় ইউনিয়নের মতো একটি প্ল্যাটফর্মে রূপান্তরিত করার পরিকল্পনার কথা উল্লেখ করেন।
ড. ইউনূস রোহিঙ্গা শরণার্থীদের জন্য মানবিক সহায়তা দেওয়ায় যুক্তরাষ্ট্রকে ধন্যবাদ জানান এবং রোহিঙ্গা শরণার্থীদের বাংলাদেশ থেকে প্রত্যাবাসনের জন্য এবং মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে একটি নিরাপদ অঞ্চল তৈরির জন্য যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তা কামনা করেন।
প্রধান উপদেষ্টা উল্লেখ করেন, বাংলাদেশ যুক্তরাষ্ট্রের তুলা আমদানির শীর্ষস্থানে রয়েছে এবং তিনি দেশটিকে আরও বেশি পোশাক এবং টেক্সটাইল পণ্য আমদানির আহ্বান জানান, যা যুক্তরাষ্ট্র থেকে তুলার বৃহত্তর আমদানির সুযোগ সৃষ্টি করবে।
এসময় প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের এসডিজি-বিষয়ক মুখ্য সমন্বয়ক লামিয়া মোরশেদ উপস্থিত ছিলেন।
মন্তব্য করুন


বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন বৈধ ঘোষণা করে হাইকোর্টের রায় বাতিল করেছেন আপিল বিভাগ। এ সংক্রান্ত রায়ে দলটির নিবন্ধন ফিরিয়ে দিতে নির্বাচন কমিশনকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তবে দলটির প্রতীক নিয়ে কোনো স্পষ্ট নির্দেশনা না দিয়ে এ বিষয়টি নির্বাচন কমিশনের বিবেচনার উপর ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে রাজনৈতিক দল হিসেবে জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন বাতিল করে রায় দেয় হাইকোর্ট। এক যুগ পর সেই রায় বাতিল করে দিলো আপিল বিভাগ।
হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে জামায়াতে ইসলামীর আপিল শুনানি করে প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগের চার বিচারকের বেঞ্চ রোববার এ রায় দেয়। বেঞ্চের অপর সদস্যরা হলেন- বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলাম, বিচারপতি জোবায়ের রহমান চৌধুরী, বিচারপতি মো. রেজাউল হক।
রোববার মামলাটি কার্যতালিকায় এক নম্বরে রাখা হয়েছে। গত ১৪ মে আপিলের শুনানি শেষে রায়ের জন্য আজ দিন ধার্য করেছিলেন আদালত।
ঐতিহাসিক এ রায়ের মধ্য দিয়ে দীর্ঘদিন পর ভোটের রাজনীতিতে ফেরার এমনকি দলীয় প্রতীক নিয়ে আগামী ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনে অংশ নেওয়ার পথ খুলল জামায়াতে ইসলামীর।
জামায়াতকে নির্বাচন কমিশনের দেওয়া নিবন্ধনের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে ২০০৯ সালে রিট করা হয়। ওই রিটের চূড়ান্ত শুনানি নিয়ে সংখ্যাগরিষ্ঠ মতের ভিত্তিতে জামায়াতের নিবন্ধন অবৈধ ঘোষণা করে ২০১৩ সালের ১ আগস্ট রায় দেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে আদালত এই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করার সনদ দেন, যা একই বছর আপিল হিসেবে রূপান্তরিত হয়। রায়ের বিরুদ্ধে ২০১৩ সালে নিয়মিত লিভ টু আপিল (আপিলের অনুমতি চেয়ে আবেদন) করে জামায়াতে ইসলামী।
উল্লেখ্য, জুলাই গণঅভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার আগে তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকার গত বছরের ১ আগস্ট জামায়াতকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছিল।
মন্তব্য করুন


আগামী ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় নির্বাচন না হলে বাংলাদেশে অভ্যন্তরীণ অস্থিতিশীলতা তৈরি হওয়ার পাশাপাশি জাতীয় নিরাপত্তাও বিঘ্নিত হবে বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ। তবে তিনি এ-ও বলেছেন, ‘রাষ্ট্রের কাঠামোগত পরিবর্তনগুলোর ব্যাপারে যদি একমত না হওয়া যায়, তাহলে আমার শঙ্কা হচ্ছে, নির্বাচনের মাধ্যমে আমরা যে জায়গায় দাঁড়াব, তাতে মৌলিক কোনো হেরফের ঘটবে না।’
শনিবার (১৩ আগস্ট) বিকেলে প্রথম আলোর কার্যালয়ে এক গোলটেবিল বৈঠকে অংশ নিয়ে আলী রীয়াজ এ কথাগুলো বলেন। ‘নির্বাচনের জন্য রাজনৈতিক সমঝোতার পথ’ শিরোনামে এ বৈঠকের আয়োজন করে প্রথম আলো।
বৈঠকে ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি বলেন, ‘রাজনৈতিক দলগুলোর কাছে আমি বারবার আহ্বান করেছি। তারা যথেষ্ট পরিমাণে সাড়া দিয়েছে, কিন্তু কোনো না কোনো সময় তো প্রক্রিয়াটা শেষ করতে হবে, এটা তো অনিঃশেষ প্রক্রিয়া হতে পারে না। সে ক্ষেত্রে নির্বাচনটা করতে হবে। ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন না হলে বাংলাদেশে কেবল অভ্যন্তরীণ অস্থিতিশীলতা তৈরি হবে, তা নয়; জাতীয় নিরাপত্তা বিঘ্নিত হবে। আমি তা-ই মনে করি। সেই কারণে রাজনৈতিক দলগুলোর প্রয়োজন এ জিনিসটা মোকাবিলা করা।’
আলী রীয়াজ বলেন, ‘আগামী নির্বাচনটি আমরা করছি এ কারণে যে রাষ্ট্রকাঠামোর ক্ষেত্রে কতগুলো পরিবর্তন আমরা নিশ্চিত করতে চাই। সংস্কার কমিশনে কাজ করার সময় আমরা দেখেছি, গত ১৬ বছরের যে সংকট, সেটা ১৬ বছরের সংকট নয়। ১৬ বছরের সংকটের ভয়াবহতাটা আমরা দেখতে পেয়েছি; কারণ, একটা ব্যক্তিতান্ত্রিক স্বৈরতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। কিন্তু কাঠামোগত দিক থেকে আমরা বিভিন্নভাবে এই জায়গায় এসে দাঁড়িয়েছি।’
আলী রীয়াজ বলেন, `এখন যদি আমরা ওই কাঠামোটা ঠিক রাখি, একেবারেই সামান্য পরিবর্তন করি, আপনি নির্বাচন করে কোথায় যাবেন? একজন বিজয়ী হবে, একটি দল ক্ষমতায় যাবে, দেশ শাসন করবে? আমরা একটা কনসলিডেটেড ডেমোক্রেসি চাই। তিন দফা (১৯৭৩, ১৯৯১ ও ২০০৯) চেষ্টা করেও যেটা আমরা পাইনি। কাঠামোগত পরিবর্তনগুলোর ব্যাপারে যদি একমত না হওয়া যায়, তাহলে আমার শঙ্কা হচ্ছে, পরবর্তী সময় আরেকটা নির্বাচনের মাধ্যমে আমরা যে জায়গায় দাঁড়াব, তাতে মৌলিক কোনো হেরফের ঘটবে না। শেখ হাসিনার ব্যক্তিতান্ত্রিক স্বৈরতন্ত্রের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে এবং এর পরপর রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে যে ঐক্য প্রতিষ্ঠিত হয়েছে, সেটা ফ্র্যাগমেন্টেড হয়েছে। এর কারণেই পার্থক্যগুলো তৈরি হয়েছে। আমরা কী চাই, সেটা যদি স্পষ্ট হয় এই নির্বাচনের মধ্য দিয়ে, তাহলে আমার ধারণা, এই জায়গায় আসা যাবে।’
মন্তব্য করুন