তুর্কি বার্তা সংস্থা আনাদোলু এজেন্সির তথ্য অনুযায়ী, ইসরায়েল ইরানে একটি বড় আক্রমণের প্রস্তুতি নিচ্ছে। সংক্রান্ত এক কর্মকর্তার বরাতে জানানো হয়েছে, গত মাসে হিজবুল্লাহ নেতা হাসান নাসরাল্লাহ এবং হামাস নেতা ইসমাইল হানিয়াকে হত্যার প্রতিশোধ হিসেবে ইরান ইসরায়েলের দিকে ১৮০টি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইসরায়েল তাদের স্বার্থ রক্ষা করতে একটি বড় হামলা চালানোর পরিকল্পনা করছে, যদিও তারা এ ব্যাপারে প্রকাশ্যে কিছু জানায়নি। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই কর্মকর্তা বলেন, “ইসরায়েল বড় হামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে। নিজেদের আত্মরক্ষা জোরদার করে তারা এই হামলা চালাবে।” তবে সূত্রটি হামলার বিষয়ে বিস্তারিত কিছু জানাননি।
এছাড়াও, মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন জানিয়েছে, ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু এবং অন্যান্য কর্মকর্তারা যুক্তরাষ্ট্রকে আশ্বস্ত করেছেন যে, তারা তেল ও পারমাণবিক স্থাপনার পরিবর্তে ইরানের সামরিক স্থাপনায় সীমিত আক্রমণের পরিকল্পনা করছে।
যুক্তরাষ্ট্রের একাধিক সূত্রের মতে, ইসরায়েল আগামী ৫ নভেম্বরের আগে, অর্থাৎ মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগেই ইরানে হামলা চালাতে পারে। চলতি মাসেই এ হামলার সম্ভাবনা রয়েছে বলে মার্কিন কর্মকর্তারা ধারণা করছেন।
মন্তব্য করুন
চীনা এক যাত্রীর কাছ থেকে চুরি করা নগদ অর্থ গিলে ফেলেছেন ফিলিপাইনের বিমানবন্দরের এক কর্মী। এই ঘটনার ভিডিও ফুটেজ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়ে যাওয়ার পর ফিলিপাইনের কর্তৃপক্ষ ওই কর্মীর বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করেছে।
সংবাদমাধ্যম সিএনএন ফিলিপাইনের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত ৮ সেপ্টেম্বর ম্যানিলার নিনয় অ্যাকুইনো আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ১ নম্বর টার্মিনালে ওই ঘটনা ঘটেছে।
বিমানবন্দরের পরিবহন নিরাপত্তা কার্যালয় (ওটিএস) মঙ্গলবার ফেসবুকে এই ঘটনা সম্পর্কে একটি বিবৃতি পোস্ট করেছে। এতে বলা হয়েছে, চীনা এক পর্যটকের ব্যাগ থেকে চুরি করা ৩০০ মার্কিন ডলার নগদ অর্থ গিলে ফেলার ঘটনায় জড়িত নিরাপত্তা কর্মকর্তার পরিচয় পাওয়া গেছে এবং ইতিমধ্যে প্রমাণ সংগ্রহের কাজ শুরু হয়েছে।
অনলাইনে ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে দেখা যায়, ওই নিরাপত্তা কর্মকর্তা তার মুখে নগদ অর্থ ভরছেন। হাতের একটি আঙুল ব্যবহার করে মুখের মধ্যে অর্থ ঢুকিয়ে দিচ্ছেন তিনি। এক পর্যায়ে পানি দিয়ে তা গিলেও ফেলেন। এ সময় রুমাল দিয়ে মুখ আড়াল করতেও দেখা যায় তাকে।
মন্তব্য করুন
হোয়াইট হাউসের ওভাল অফিসে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভান্সের সঙ্গে এক বৈঠকে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সঙ্গে তীব্র বাক্বিতণ্ডা হয়। এ ঘটনায় একপর্যায়ে জেলেনস্কিকে হোয়াইট হাউস ত্যাগ করতে বলা হয়। মার্কিন এক কর্মকর্তা এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন। ঘটনাটির পর মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও কড়া প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন। শনিবার (১ ফেব্রুয়ারি) বিবিসির লাইভ প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
মার্কো রুবিও বলেছেন, জেলেনস্কির উচিত ক্ষমা চাওয়া। সিএনএনকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, আজ প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ও ভলোদিমির জেলেনস্কির যে বৈঠক হয়েছে তা বিপর্যয়কর। ইউক্রেনীয় এই নেতার উচিত ক্ষমা চাওয়া।
জেলেনস্কি সম্পর্কে রুবিও আরও বলেন, সেখানে গিয়ে তার প্রতিপক্ষ হওয়ার কোনো প্রয়োজন ছিল না।
মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরও উল্লেখ করেন, "আপনি যখন আক্রমণাত্মকভাবে কথা বলা শুরু করবেন এবং প্রেসিডেন্ট একজন চুক্তিবিশেষজ্ঞ, তিনি সারাজীবন চুক্তি করেছেন— তখন আপনি মানুষকে চুক্তির টেবিলে আনতে পারবেন না।"
রুবিও তার সাক্ষাৎকারে এও উল্লেখ করেন যে, জেলেনস্কি সম্ভবত শান্তিচুক্তি চান না।
২০২২ সালের ফেব্রুয়ারি মাস থেকে ইউক্রেন ও রাশিয়ার মধ্যে যুদ্ধ চলছে। তিন বছরেরও বেশি সময় ধরে চলা এই যুদ্ধে সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন প্রশাসনের কাছ থেকে ইউক্রেন কয়েক শ কোটি ডলারের অস্ত্র ও আর্থিক সহায়তা পেয়েছে।
তবে ট্রাম্প দ্বিতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় আসার পর থেকে ইউক্রেন নতুন করে সংকটে পড়ে। এই যুদ্ধের জন্য জেলেনস্কিকে দায়ী করেন ট্রাম্প। তাই গতকালের বৈঠকটি নিয়ে সবার নজর ছিল। তবে শেষ পর্যন্ত ওই বৈঠক চরম বিশৃঙ্খলার মধ্যে শেষ হয়।
মন্তব্য করুন
আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
লেবাননের সশস্ত্র সংগঠন হিজবুল্লাহর সঙ্গে যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হলেও গাজায় হামলা অব্যাহত রেখেছে ইসরাইলি বাহিনী। বৃহস্পতিবারও ইসরাইল বোমা হামলা চালিয়েছে, যার ফলে গাজায় নতুন করে ১৭ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন।
উত্তর গাজার বেইট লাহিয়া এলাকায় কামাল আদওয়ানের বাড়ি এবং একটি হাসপাতালের কাছে দুটি পৃথক বিমান হামলায় ছয়জন নিহত হন, এবং দক্ষিণ গাজার খান ইউনিস এলাকায় একটি মোটরসাইকেল লক্ষ্য করে ইসরাইলি হামলায় চারজন নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
এছাড়া গাজার আটটি ঐতিহাসিক শরণার্থী শিবিরের একটি নুসিরাত এলাকায় ইসরাইলি বিমানগুলি একটি বহুতল ভবন ধ্বংস করে দেয়। ওই এলাকায় মসজিদের বাইরের রাস্তাগুলিও ধ্বংস করা হয়। স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা জানান, নুসিরাত এলাকায় অন্তত সাতজন নিহত হয়েছেন।
চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, নুসিরাতের পশ্চিমাঞ্চলে ট্যাঙ্কের গোলাগুলিতে দুজন নিহত হয়েছেন—যাদের মধ্যে একজন নারী ও এক শিশু রয়েছে। কাছাকাছি একটি বাড়িতে বিমান হামলায় আরও পাঁচজন নিহত হয়েছেন।
এভাবে, গত ১৩ মাসে গাজায় ইসরাইলি হামলায় মোট ৪৪ হাজার ২০০ জনেরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন, এবং লক্ষাধিক মানুষ আহত হয়েছেন।
মন্তব্য করুন
ডেস্ক রিপোর্ট:
মিয়ানমারের জান্তা প্রধান মিন অং হ্লাইংয়ের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে (আইসিসি) গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির আবেদন করা হয়েছে। রোহিঙ্গা জনগণের ওপর নির্যাতন চালিয়ে মানবতাবিরোধী অপরাধ সংঘটিত করার অভিযোগে আইসিসির প্রসিকিউটর করিম খান এই আবেদন করেছেন।
গত সপ্তাহে করিম খানের অনুরোধে, দখলদার ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু এবং সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্টের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছে আইসিসি। এই পরোয়ানা জারির পর, যুক্তরাষ্ট্রের ব্যাপক চাপের মুখে আছেন তিনি।
আইসিসির একটি তিন সদস্যবিশিষ্ট প্যানেল মিয়ানমারের জান্তা প্রধানের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবেন। তারা দেখবেন, মিন অং হ্লাইংয়ের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির জন্য ‘উপযুক্ত কারণ’ আছে কি না।
মিয়ানমারের এই জান্তা প্রধানের নেতৃত্বে রোহিঙ্গাদের ওপর ব্যাপক অত্যাচার ও নির্যাতন চালানো হয়েছে। এর ফলে লাখ লাখ রোহিঙ্গা বাংলাদেশে আশ্রয় নিতে বাধ্য হয়েছে।
প্রসিকিউটরের আবেদনের পর আইসিসির বিচারকরা গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির বিষয়ে কখন সিদ্ধান্ত নেবেন, সে ব্যাপারে কোনো নির্দিষ্ট সময়সীমা নেই। তবে সাধারণত, তিন মাসের মধ্যে এমন আবেদনের বিষয়ে বিচারকরা সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকেন।
প্রসিকিউটরের অফিস এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, মিয়ানমারের জান্তা প্রধানের বিরুদ্ধে একটি বিস্তৃত, স্বাধীন এবং নিরপেক্ষ তদন্তের পর তারা তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির অনুরোধ করেছে। এছাড়া মিয়ানমারের আরও উচ্চপদস্থ ব্যক্তির বিরুদ্ধেও পরোয়ানা জারির আবেদন করা হবে।
২০১৭ সালে মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর অত্যাচার থেকে বাঁচতে বাংলাদেশে প্রবেশ করে প্রায় সাড়ে সাত লাখ রোহিঙ্গা। জাতিসংঘের একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘গণহত্যার উদ্দেশ্যে’ রোহিঙ্গাদের ওপর এই নির্যাতন চালানো হয়েছিল।
মিয়ানমার আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের সদস্য নয়, তবে ২০১৮ এবং ২০১৯ সালে আদালতটির বিচারকরা বলেছিলেন, মিয়ানমারের এই অপরাধের বিচার করার এখতিয়ার তাদের আছে। কারণ, মিয়ানমারের প্রতিবেশী বাংলাদেশ আইসিসির সদস্য, এবং যেসব অপরাধ সংঘটিত হয়েছে, সেগুলো দুই দেশের সীমান্তবর্তী এলাকায় ঘটেছে।
আইসিসি গত পাঁচ বছর ধরে রোহিঙ্গা নির্যাতন নিয়ে তদন্ত করছে, তবে মিয়ানমারে আদালতের প্রসিকিউটরকে প্রবেশ করতে না দেওয়ায় তদন্তে বাধা সৃষ্টি হয়েছে। এর মধ্যে, ২০২১ সালে অভ্যুত্থান ঘটিয়ে মিয়ানমারের নেত্রী অং সান সুচিকে ক্ষমতাচ্যুত করেন সেনাপ্রধান। তারপর থেকে সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে সশস্ত্র বিদ্রোহ শুরু হয়, এবং সুচিকে ক্ষমতাচ্যুত করার পর তদন্ত প্রক্রিয়া আরও জটিল হয়ে পড়ে।
মন্তব্য করুন
আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
অবরুদ্ধ গাজা, যেন এক ভয়ঙ্কর মৃত্যুপুরি। যেদিকে চোখ যায়, সেদিকেই লাশের মিছিল। ইট-পাথর ও কংক্রিটের নিচে ছিন্নভিন্ন দেহাবশেষ। ইসরাইলি বাহিনীর বোমার আঘাতে ঝরে পড়ছে নিরীহ তাজা প্রাণ। তবে গাজাবাসীর এই করুণ দৃশ্য দেখে মানসিকভাবে আক্রান্ত হয়েছেন ইসরাইলি সেনারা।
সম্প্রতি গাজা ও লেবাননে যুদ্ধের ফলে ইসরাইলের কমপক্ষে ছয় সেনা আত্মহত্যা করেছেন। দীর্ঘস্থায়ী যুদ্ধের কারণে সৃষ্ট মানসিক যন্ত্রণা এই আত্মহত্যার মূল কারণ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। আনাদুলু এজেন্সি এই তথ্য জানিয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মানসিক অসুস্থতার চিকিৎসা নিচ্ছেন ইসরাইলের সামরিক বাহিনীর আরও হাজার হাজার সদস্য। দেশটির একটি সংবাদ মাধ্যম এই তথ্য প্রকাশ করেছে। তবে আত্মহত্যার সংখ্যা আরও বেশি হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
প্রতিবেদনটিতে বলা হয়েছে, মানসিক সমস্যায় ভোগা তিন ভাগের এক ভাগ সেনার মধ্যেই রয়েছে পোস্ট ট্রমাটিক স্ট্রেস ডিসঅর্ডারের (PTSD) লক্ষণ। তাদের দাবি, চলমান যুদ্ধে আহত সেনাদের চেয়ে মানসিক রোগে ভুগছে এমন সেনার সংখ্যা অনেক বেশি। এক তদন্ত রিপোর্টে জানানো হয়েছে, মানসিক আঘাতে ভুগছে এমন সেনার সংখ্যা শারীরিক আঘাতপ্রাপ্ত সেনাদের সংখ্যা ছাড়িয়ে যেতে পারে।
ইয়েদিওথ আহরোনোথ বিশেষজ্ঞদের উদ্ধৃত করে জানিয়েছে, সামরিক অভিযান শেষ হয়ে গেলে এবং সেনারা স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসার পর এই মানসিক স্বাস্থ্য সংকট কেটে যাবে।
আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
এদিকে, ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু যুক্তরাজ্যে প্রবেশ করলে গ্রেফতার হতে পারেন বলে ইঙ্গিত দিয়েছে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন ১০ নং ডাউনিং স্ট্রিট। নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের (আইসিসি) গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হওয়ার পর শুক্রবার ডাউনিং স্ট্রিট এমন ইঙ্গিত দিয়েছে।
ডাউনিং স্ট্রিটের এক মুখপাত্র এ ব্যাপারে সুনির্দিষ্ট কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি। যুক্তরাজ্যে প্রবেশ করলে নেতানিয়াহুকে আটক করা হবে কিনা, এমন প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রীর মুখপাত্র ‘পরিস্থিতিগত প্রশ্নে’ মন্তব্য করতে অস্বীকার করেছেন। তবে তিনি বলেছেন, ‘ব্রিটিশ সরকার তার আইনি বাধ্যবাধকতা পূরণ করবে।’
ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর মুখপাত্র নিশ্চিত করেছেন যে দেশের অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক আইনের অধীন থাকা বাধ্যবাধকতাগুলো সব সময় মেনে চলে যুক্তরাজ্য সরকার। গাজায় যুদ্ধাপরাধ ও মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে বৃহস্পতিবার নেতানিয়াহু এবং ইসরাইলের সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্টের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করে আইসিসি। চুক্তি অনুযায়ী, এই আদালতের সদস্য দেশগুলো এই পরোয়ানা কার্যকর করতে বাধ্য। চুক্তি স্বাক্ষরকারী দেশগুলোর মধ্যে যুক্তরাজ্যও রয়েছে।
নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির পর ডাউনিং স্ট্রিট জানিয়েছিল, যুক্তরাজ্য সরকার আইসিসির স্বাধীনতাকে সম্মান করে এবং গাজায় অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির জন্য চাপ অব্যাহত রাখবে। যুক্তরাজ্যের ইন্টারন্যাশনাল ক্রিমিনাল কোর্ট অ্যাক্ট ২০০১ অনুযায়ী, সর্বোচ্চ আদালত যদি কোনো গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন, তবে একজন মনোনীত মন্ত্রী অনুরোধটি একজন উপযুক্ত বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তার কাছে পাঠান, এবং ওই কর্মকর্তা পরোয়ানাটি যুক্তরাজ্যে কার্যকর করার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন।
মন্তব্য করুন
আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
রাশিয়ার নভায়া জমলিয়া দ্বীপপুঞ্জে পারমাণবিক পরীক্ষা পুনরায় শুরু করার জন্য পরীক্ষাকেন্দ্রটি সম্পূর্ণ প্রস্তুত বলে জানিয়েছে রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়।
শনিবার রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের ১২তম মেইন ডিরেক্টরেটের সাবেক প্রধান কর্নেল জেনারেল ভ্লাদিমির ভেরখভতসেভ এ তথ্য জানিয়েছেন।
এ বিষয়ে রুশ উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই রিয়াবকভ এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের উত্তেজনা বৃদ্ধিকারী নীতির প্রেক্ষিতে রাশিয়া পারমাণবিক পরীক্ষা পুনরায় চালুর বিষয়ে বিবেচনা করছে।
ভেরখভতসেভ জানান, নভায়া জমলিয়া দ্বীপপুঞ্জের পরীক্ষাকেন্দ্রটি কয়েক বছর ধরেই পারমাণবিক পরীক্ষা পুনরায় চালুর জন্য সম্পূর্ণ প্রস্তুত। যদি কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে অনুমোদন পাওয়া যায়, তাহলে আমরা অদূর ভবিষ্যতেই তা বাস্তবায়ন করতে সক্ষম।
রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের ১২তম মেইন ডিরেক্টরেট পারমাণবিক অস্ত্রের নিরাপত্তা এবং রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব পালন করে আসছে।
এই কেন্দ্রে সোভিয়েত ইউনিয়ন মোট ৭১৫টি পারমাণবিক পরীক্ষা চালিয়েছে। নভায়া জমলিয়ায় সর্বশেষ পারমাণবিক পরীক্ষা করা হয়েছিল ১৯৯০ সালের ২৪ অক্টোবর।
রাশিয়ার এই ঘোষণাটি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের উদ্বেগ বাড়িয়েছে। কারণ এটি ১৯৯৬ সালের পরমাণু অস্ত্র পরীক্ষা নিষেধাজ্ঞা চুক্তির (CTBT) নীতিমালার সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ নয়। তাই দেশটির এমন সিদ্ধান্ত বিশ্বব্যাপী সামরিক উত্তেজনা এবং পারমাণবিক অস্ত্র প্রতিযোগিতার সম্ভাবনাকে আরও বাড়িয়ে তুলতে পারে।
সামরিক বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যুক্তরাষ্ট্র ও অন্যান্য পশ্চিমা দেশের সঙ্গে ক্রমবর্ধমান উত্তেজনার প্রেক্ষিতে রাশিয়ার এই পদক্ষেপ একটি শক্তির প্রদর্শন এবং তাদের পারমাণবিক সক্ষমতা প্রদর্শনের কৌশল।
মন্তব্য করুন
মার্কিন লেখিকা ও সামাজিক মাধ্যমের প্রভাবশালী ব্যক্তিত্ব অ্যাশলে সেন্ট ক্লেয়ার দাবি করেছেন যে তিনি টেসলার সিইও ইলন মাস্কের সন্তানের মা। এই দাবির পরিপ্রেক্ষিতে নীরবতা ভেঙে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন মার্কিন এই বিলিয়নিয়ার।
স্থানীয় সময় শুক্রবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) ৩১ বছর বয়সী অ্যাশলে এক্স (পূর্বে টুইটার) অ্যাকাউন্টে জানান, মাস্কের সঙ্গে তার পরিচয় হয়েছিল প্রায় তিন বছর আগে। আর পাঁচ মাস আগে তিনি ইলন মাস্কের সন্তানের মা হয়েছেন।
অ্যাশলে লিখেছেন, ‘পাঁচ মাস আগে আমি একটি শিশুর জন্ম দিয়েছি। আর ইলন মাস্ক সেই সন্তানের বাবা।’
অ্যাশলে বলেন, তিনি নিজের ও তার সন্তানের নিরাপত্তা এবং গোপনীয়তার কথা চিন্তা করে এতদিন সন্তানের বাবার পরিচয় গোপন রেখেছিলেন। তবে কিছু ট্যাবলয়েড পত্রিকা মনগড়া খবর প্রকাশ করায় তিনি সত্যি কথা সামনে আনলেন। তিনি আরও বলেন, ‘আমি চাই, আমাদের সন্তান একটি স্বাভাবিক ও নিরাপদ পরিবেশে বড় হোক। আমি গণমাধ্যমকে অনুরোধ করব, আমাদের গোপনীয়তাকে সম্মান করুন। এই নিয়ে অনুসন্ধানী প্রতিবেদনের পেছনে না ছোটার জন্য অনুরোধ করছি।’
তবে অ্যাশলের এই দাবির প্রতিক্রিয়ায় ইলন মাস্ক সরাসরি কোনো মন্তব্য বা বিবৃতি দেননি। তিনি এ সম্পর্কিত একটি পোস্ট শেয়ার করে মাত্র একটি শব্দ লিখেছেন, ‘হোয়া’। সাধারণত আশ্চর্য বা মজাদার কোনো অনুভূতি প্রকাশ করতে তিনি এই ধরনের শব্দ ব্যবহার করেন।
ইলন মাস্ক যে পোস্টটি শেয়ার করেছেন, সেই পোস্টে লেখা ছিল, অ্যাশলে সেন্ট ক্লেয়ার ইলন মাস্ককে ফাঁসাতে পাঁচ বছর সময় নিয়েছেন।
যদি এই পুরো ঘটনা সত্যি হয়, তাহলে অ্যাশলে ইলন মাস্কের ১৩তম সন্তানের মা হবেন। এর আগে ইলন মাস্ক চারটি বিয়ে করেছেন এবং তার বেশ কয়েকটি সন্তান রয়েছে।
মন্তব্য করুন
চীনের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির গতি ত্বরান্বিত করতে ২০২৫ সালে আরও সক্রিয় পদক্ষেপ নেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং।
মঙ্গলবার (৩১ ডিসেম্বর) নতুন বছরের আগমনে দেওয়া এক ভাষণে তিনি আশা প্রকাশ করেছেন যে, ২০২৪ সালের শেষে চীনের জিডিপি অন্তত ১৭ দশমিক ৮ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলার ছাড়িয়ে যাবে। খবরটি রয়টার্সের।
টেলিভিশনে সম্প্রচারিত ভাষণে শি জিনপিং বলেন, গত বছরে চীন দেশের ভিতরে এবং বাইরের পরিবর্তিত পরিস্থিতির সঙ্গে তাল মিলিয়ে উন্নয়নের উচ্চমান ধরে রাখতে সর্বাত্মক নীতিমালা প্রণয়ন করেছে।
চীন দীর্ঘদিন ধরে নির্মাণ ব্যবসায় মন্দা, স্থানীয় সরকারের ঋণের ঊর্ধ্বগতি এবং ভোক্তাদের আস্থার অভাবে অর্থনৈতিক চাপের মধ্যে রয়েছে। গত বছর এই পরিস্থিতি কাটিয়ে ওঠার জন্য কঠোর পরিশ্রম করতে হয়েছে দেশটিকে। এর মধ্যে, ডোনাল্ড ট্রাম্পের পুনরায় নির্বাচিত হওয়ার ফলে উচ্চ রফতানি শুল্ক আরোপের আশঙ্কাও বাড়িয়েছে।
তিনি বলেন, চলমান অর্থনৈতিক ব্যবস্থায় নতুন কিছু চ্যালেঞ্জ রয়েছে। দেশের সীমানার বাইরে পরিবর্তিত পরিস্থিতির কারণে অনিশ্চয়তা সৃষ্টি হয়েছে, পাশাপাশি পুরোনো থেকে নতুন চালিকাশক্তিতে রূপান্তরের চাপও বাড়ছে।
তবে, কঠোর পরিশ্রমের মাধ্যমে সব বাধা অতিক্রম করা সম্ভব হবে বলে তিনি আশাবাদী। শি জিনপিং আরও বলেন, ‘‘প্রতিবারের মতো আমরা ঝড়বৃষ্টির মধ্য দিয়ে বেড়ে উঠব, কঠিন সময়ের মধ্যে আমরা শক্তিশালী হয়ে উঠব। নিজেদের সক্ষমতার ওপর আমাদের বিশ্বাস রাখতে হবে।’’
চীনের কর্তৃপক্ষ গত সেপ্টেম্বরে ঋণের সুদের হার হ্রাস এবং বাড়ি ক্রয়ে বিধিনিষেধ কমানোর মতো পদক্ষেপ নিয়ে নির্মাণ ব্যবসা ও অভ্যন্তরীণ চাহিদা চাঙা করার চেষ্টা করেছে।
বিদায়ী বছরের শেষ মাসে শীর্ষস্থানীয় কয়েকজন নেতা ২০২৫ সালে তুলনামূলক সহজ মুদ্রানীতি প্রণয়ন করার আহ্বান জানিয়েছেন। এর বাস্তবায়ন হলে, বিগত ১৪ বছরের মধ্যে সবচেয়ে কম বিধিনিষেধমূলক নীতিমালা আসবে। পাশাপাশি, ২০২৫ সালে ভোক্তা ব্যয় এবং বন্ড ইস্যু বৃদ্ধির জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সূত্রের বরাতে রয়টার্স জানিয়েছে, ২০২৫ সালে ৪১১ বিলিয়ন মার্কিন ডলার সমমূল্যের ট্রেজারি বন্ড ইস্যু করতে সম্মত হয়েছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।
মন্তব্য করুন
আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
এবার নেটফ্লিক্সে অভিষেক হতে যাচ্ছে সাবেক ইংলিশ ফুটবল অধিনায়ক ডেভিড বেকহামের পত্নী ভিক্টোরিয়ার। তার এই আসন্ন নেটফ্লিক্স শোই নাকি প্রিন্স হ্যারির পত্নী মেগান মার্কেলকে ‘হুমকির’ মুখে ফেলেছে। শোটি নাকি সাসেক্সের ডাচেসকে অত্যন্ত ক্ষুব্ধ করবে।
সম্প্রতি ফ্যাবুলাসের নতুন একটি প্রতিবেদনে এমনটাই দাবি করা হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গায়িকা থেকে ফ্যাশন ডিজাইনারে পরিণত হওয়া ভিক্টোরিয়ার এই নেটফ্লিক্স প্রজেক্ট মেগান এবং তার মধ্যকার বিরোধকে আরও তীব্র করবে।
উভয়ের মধ্যে এই বিরোধ শুরু হয়েছিল ২০১৮ সালে, যখন মেগান অভিযোগ করেছিলেন যে, ভিক্টোরিয়া তার ব্যক্তিগত তথ্য গণমাধ্যমে ফাঁস করেছেন।
এ প্রসঙ্গে রয়্যাল লেখক ইঙ্গ্রিড সেওয়ার্ড মন্তব্য করেছেন, ভিক্টোরিয়ার নেটফ্লিক্স শো মেগান মার্কেলের শোয়ের আগে মুক্তি পাবে বলে তিনি বিরক্ত হতে পারেন। তবে তিনি এমনভাবে আচরণ করবেন যেন এতে তার কিছুই যায় আসে না।
ফ্যাবুলাসকে ইঙ্গ্রিড বলেন, "আমি নিশ্চিত, তিনি (মেগান মার্কেল) ক্ষুব্ধ হবেন, কারণ তিনি সবকিছু নিয়ন্ত্রণে রাখতে পছন্দ করেন। আমি মনে করি, নেটফ্লিক্সে ভিক্টোরিয়ার শো আগে মুক্তি পাওয়ায় তিনি বিরক্ত হবেন, তবে তিনি গভীরভাবে তা সহ্য করে যাবেন।"
রাজপরিবারের এই লেখক আরও যোগ করেন, "তিনি (মেগান মার্কেল) বিরক্ত হতে পারেন, তবে তা প্রকাশ করতে পারবেন না। তিনি যথেষ্ট অভিজ্ঞ অভিনেত্রী; তিনি জানেন কীভাবে এ ধরনের পরিস্থিতি সামলাতে হয়। তাকে বলতে হবে, 'অসাধারণ! ভিক্টোরিয়া কত চমৎকার!
মন্তব্য করুন
আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
যুক্তরাষ্ট্রের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের শুল্ক হুমকি মোকাবিলা নিয়ে কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর সঙ্গে মতবিরোধের জেরে দেশটির উপপ্রধানমন্ত্রী ও অর্থমন্ত্রী ক্রিস্টিয়া ফ্রিল্যান্ড পদত্যাগ করেছেন।
সোমবার, ট্রুডোর কাছে পাঠানো একটি চিঠিতে তিনি তার পদত্যাগের ঘোষণা দেন। চিঠিতে তিনি কানাডার জন্য সর্বোত্তম পথ নিয়ে ট্রুডোর সঙ্গে মতবিরোধ এবং ট্রাম্পের ‘আগ্রাসী অর্থনৈতিক জাতীয়তাবাদ’ নীতির ‘গুরুতর চ্যালেঞ্জ’ তুলে ধরেন।
ফ্রিল্যান্ড বলেন, ট্রুডো যখন তাকে জানান যে, তিনি আর ফ্রিল্যান্ডকে তার সরকারের শীর্ষ অর্থনৈতিক উপদেষ্টা হিসেবে দেখতে চান না, তার এক সপ্তাহ পরেই পদত্যাগের এই সিদ্ধান্ত আসে। ফ্রিল্যান্ডের ধারণা ছিল যে, তিনি পার্লামেন্টে সরকারের বার্ষিক আর্থিক আপডেট উপস্থাপন করবেন, কিন্তু তার কয়েক ঘণ্টা আগে তিনি পদত্যাগের ঘোষণা দেন।
ফ্রিল্যান্ডের পদত্যাগের এই ঘোষণা ট্রুডোর প্রশাসনকে সংকটে ফেলতে পারে, কারণ এটি ইতিমধ্যেই নড়বড়ে সংখ্যালঘু সরকারের দিকে চলে যাচ্ছে।
নয় বছর ক্ষমতায় থাকার পর, জাস্টিন ট্রুডোর বিরুদ্ধে একের পর এক পদত্যাগের আহ্বান আসছে। অনেকের ধারণা, তিনি তার দলের ভবিষ্যতের জন্য বোঝা হয়ে দাঁড়িয়েছেন। এক জরিপের ফল অনুযায়ী, ২০১৫ সালে প্রথমবার নির্বাচিত হওয়ার সময় ট্রুডোর গ্রহণযোগ্যতা ছিল ৬৩ শতাংশ, কিন্তু ২০২৪ সালের জুন মাসে তা কমে ২৮ শতাংশে পৌঁছেছে।
সোমবার ফ্রিল্যান্ডের পদত্যাগের পর পাঁচজন লিবারেল সংসদ সদস্য প্রকাশ্যে ট্রুডোর পদত্যাগের আহ্বান জানান।
মন্তব্য করুন