তুর্কি বার্তা সংস্থা আনাদোলু এজেন্সির তথ্য অনুযায়ী, ইসরায়েল ইরানে একটি বড় আক্রমণের প্রস্তুতি নিচ্ছে। সংক্রান্ত এক কর্মকর্তার বরাতে জানানো হয়েছে, গত মাসে হিজবুল্লাহ নেতা হাসান নাসরাল্লাহ এবং হামাস নেতা ইসমাইল হানিয়াকে হত্যার প্রতিশোধ হিসেবে ইরান ইসরায়েলের দিকে ১৮০টি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইসরায়েল তাদের স্বার্থ রক্ষা করতে একটি বড় হামলা চালানোর পরিকল্পনা করছে, যদিও তারা এ ব্যাপারে প্রকাশ্যে কিছু জানায়নি। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই কর্মকর্তা বলেন, “ইসরায়েল বড় হামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে। নিজেদের আত্মরক্ষা জোরদার করে তারা এই হামলা চালাবে।” তবে সূত্রটি হামলার বিষয়ে বিস্তারিত কিছু জানাননি।
এছাড়াও, মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন জানিয়েছে, ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু এবং অন্যান্য কর্মকর্তারা যুক্তরাষ্ট্রকে আশ্বস্ত করেছেন যে, তারা তেল ও পারমাণবিক স্থাপনার পরিবর্তে ইরানের সামরিক স্থাপনায় সীমিত আক্রমণের পরিকল্পনা করছে।
যুক্তরাষ্ট্রের একাধিক সূত্রের মতে, ইসরায়েল আগামী ৫ নভেম্বরের আগে, অর্থাৎ মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগেই ইরানে হামলা চালাতে পারে। চলতি মাসেই এ হামলার সম্ভাবনা রয়েছে বলে মার্কিন কর্মকর্তারা ধারণা করছেন।
মন্তব্য করুন
মালয়েশিয়ার ইমিগ্রেশন বিভাগ একটি ফুড কোর্টে অভিযান চালিয়ে নয়জন বাংলাদেশিসহ মোট ৫৮ জন অবৈধ অভিবাসীকে আটক করেছে। অভিবাসন আইনের বিভিন্ন ধারা লঙ্ঘনের অভিযোগে তাদের আটক করা হয়েছে।
বুধবার ইমিগ্রেশন বিভাগ, জাতীয় নিবন্ধন বিভাগ, মালয়েশিয়ান সিভিল ডিফেন্স ফোর্স, মানবপাচার ও অভিবাসন চোরাচালান বিরোধী বিভাগ এবং মানি লন্ডারিং অপরাধ তদন্ত দলের ৯৫ জন কর্মকর্তার সমন্বয়ে সেলাঙ্গর রাজ্যের পুচং শহরের একটি ফুড কোর্টে এই অভিযান চালানো হয়।
ইমিগ্রেশনের মহাপরিচালক দাতুক জাকারিয়া শাবান এক বিবৃতিতে জানান, স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ এবং এক সপ্তাহ ধরে নজরদারির পর এই অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযানে মোট ১০২ জনের কাগজপত্র পরীক্ষা করা হয়। এর মধ্যে ৫৮ জন অভিবাসীর বিরুদ্ধে বিভিন্ন অপরাধ ধরা পড়ে। তাদের অপরাধের মধ্যে রয়েছে মালয়েশিয়ায় অনুমোদিত সময়ের চেয়ে বেশি অবস্থান, অস্থায়ী কাজের পাসের অপব্যবহার এবং অবৈধ ব্যবসা পরিচালনা।
আটককৃতদের মধ্যে মিয়ানমারের ৩১ জন পুরুষ ও ১০ জন নারী, ইন্দোনেশিয়ার দুইজন পুরুষ ও একজন নারী, নয়জন বাংলাদেশি পুরুষ, চারজন ভারতীয় পুরুষ এবং একজন ভিয়েতনামি পুরুষ রয়েছেন। তাদের বয়স ১৮ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে।
আটককৃতদের পরবর্তী আইনি প্রক্রিয়ার জন্য বুকিত জলিল ইমিগ্রেশন ডিটেনশন সেন্টারে রাখা হয়েছে। ইমিগ্রেশনের মহাপরিচালক দাতুক জাকারিয়া শাবান এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
মন্তব্য করুন
আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
লেবাননের সশস্ত্র সংগঠন হিজবুল্লাহর সঙ্গে যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হলেও গাজায় হামলা অব্যাহত রেখেছে ইসরাইলি বাহিনী। বৃহস্পতিবারও ইসরাইল বোমা হামলা চালিয়েছে, যার ফলে গাজায় নতুন করে ১৭ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন।
উত্তর গাজার বেইট লাহিয়া এলাকায় কামাল আদওয়ানের বাড়ি এবং একটি হাসপাতালের কাছে দুটি পৃথক বিমান হামলায় ছয়জন নিহত হন, এবং দক্ষিণ গাজার খান ইউনিস এলাকায় একটি মোটরসাইকেল লক্ষ্য করে ইসরাইলি হামলায় চারজন নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
এছাড়া গাজার আটটি ঐতিহাসিক শরণার্থী শিবিরের একটি নুসিরাত এলাকায় ইসরাইলি বিমানগুলি একটি বহুতল ভবন ধ্বংস করে দেয়। ওই এলাকায় মসজিদের বাইরের রাস্তাগুলিও ধ্বংস করা হয়। স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা জানান, নুসিরাত এলাকায় অন্তত সাতজন নিহত হয়েছেন।
চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, নুসিরাতের পশ্চিমাঞ্চলে ট্যাঙ্কের গোলাগুলিতে দুজন নিহত হয়েছেন—যাদের মধ্যে একজন নারী ও এক শিশু রয়েছে। কাছাকাছি একটি বাড়িতে বিমান হামলায় আরও পাঁচজন নিহত হয়েছেন।
এভাবে, গত ১৩ মাসে গাজায় ইসরাইলি হামলায় মোট ৪৪ হাজার ২০০ জনেরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন, এবং লক্ষাধিক মানুষ আহত হয়েছেন।
মন্তব্য করুন
ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু পোল্যান্ড সফর বাতিল করেছেন। পোল্যান্ডের উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী লাদিস্লো বার্তোসজেউস্কি এক সাক্ষাৎকারে সতর্ক করেছিলেন যে, নেতানিয়াহু পোল্যান্ডে গেলে গ্রেপ্তার হতে পারেন। এই সতর্কবার্তার পর নেতানিয়াহু তার সফর বাতিলের সিদ্ধান্ত নেন।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় জার্মান নাৎসি বাহিনী পোল্যান্ডসহ আশপাশের দেশগুলোর ইহুদিদের যেসব বন্দি শিবিরে আটকে রেখেছিল, সেগুলো আউশউইৎজ নামে পরিচিত। পোল্যান্ডের বিভিন্ন অঞ্চলে এ ধরনের কয়েকটি আউশউইৎজ শিবির ছিল। ১৯৩৯ থেকে ১৯৪৫ সালের মধ্যে এসব শিবিরে প্রায় ১০ লাখ ১০ হাজার ইহুদিকে হত্যা করা হয়। নিহতদের বেশিরভাগই পোল্যান্ড ও সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নের নাগরিক ছিলেন।
যুদ্ধ শেষে আউশউইৎজ শিবির মুক্ত হওয়ার পর থেকে প্রতি বছর জানুয়ারি মাসে এই ঘটনাকে স্মরণ করা হয়। ২০২৪ সালের জানুয়ারিতে আউশউইৎজ মুক্তির ৮০তম বার্ষিকী উদযাপন হবে, যেখানে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুর অংশগ্রহণের কথা ছিল।
কিন্তু পোল্যান্ডের উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী বার্তোসজেউস্কি শনিবার এক সাক্ষাৎকারে বলেন, "আমরা ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরকে জানিয়ে দিয়েছি যে, নেতানিয়াহু যদি পোল্যান্ডে আসেন, তবে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের (আইসিসি) গ্রেপ্তারি পরোয়ানার ভিত্তিতে আমরা পদক্ষেপ নেব। কারণ, পোল্যান্ড আইসিসির নির্দেশনা মেনে চলার চুক্তিবদ্ধ দেশ।"
এই সতর্কবার্তার পর ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ পোল্যান্ডকে জানিয়েছে, নেতানিয়াহু এবার সেখানে আসবেন না।
উল্লেখ্য, গত নভেম্বরে গাজা উপত্যকায় সামরিক অভিযান পরিচালনা এবং সেখানকার বাসিন্দাদের খাদ্য, পানি ও ওষুধ থেকে বঞ্চিত করার অভিযোগে আইসিসি বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু এবং ইসরায়েলের সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োয়াভ গ্যালান্তের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে।
যদিও ইসরায়েল, যুক্তরাষ্ট্র, চীন ও রাশিয়া আইসিসিকে স্বীকৃতি দেয়নি, তবুও ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত ২৭টি দেশসহ বিশ্বের অনেক দেশ আইসিসির সনদে স্বাক্ষর করেছে। পোল্যান্ডও সেই তালিকায় থাকায় নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে থাকা পরোয়ানা কার্যকর করতে দেশটির আইনত বাধ্যবাধকতা রয়েছে।
সূত্র : জেরুজালেম পোস্ট
মন্তব্য করুন
যুক্তরাষ্ট্র ইউক্রেনের জন্য ৫০০ মিলিয়ন ডলারের নতুন একটি সামরিক সহায়তা প্যাকেজ ঘোষণা করেছে। গতকাল বৃহস্পতিবার মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন এক বিবৃতিতে এ ঘোষণা দেন।
গত নভেম্বরে রাশিয়ায় হামলার জন্য ইউক্রেনকে যুক্তরাষ্ট্রের তৈরি ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহারের অনুমতি দেন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। এর ঠিক একদিন পরেই ইউক্রেনকে রাশিয়ার সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে অ্যান্টি-পার্সোনেল ল্যান্ড মাইন বা স্থলমাইন দেওয়ার জন্যও রাজি হন বাইডেন।
ধারণা করা হচ্ছে, নতুন নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দায়িত্ব গ্রহণের আগেই যত দ্রুত সম্ভব এই সহায়তা পাঠানোর চেষ্টা করছেন জো বাইডেন। সংবাদমাধ্যম রয়টার্সের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ট্রাম্পের বিজয়ের সম্ভাবনা ইউক্রেনের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের ভবিষ্যৎ সহায়তা নিয়ে শঙ্কা সৃষ্টি করেছে। এজন্য বাইডেন প্রশাসন আরও বেশি সময় পাবে না ইউক্রেনকে সহায়তা করার জন্য।
মাত্র এক সপ্তাহ আগে যুক্তরাষ্ট্র ইউক্রেনের জন্য ১২৫ মিলিয়ন ডলারের নতুন সামরিক সহায়তা প্যাকেজ ঘোষণা করেছিল। এর আগে ১০ দিন আগে ওয়াশিংটন ইউক্রেনকে ৭২৫ মিলিয়ন ডলারের ক্ষেপণাস্ত্র, গোলাবারুদ, অ্যান্টি-পার্সোনেল মাইন এবং অন্যান্য অস্ত্র পাঠানোর ঘোষণা দিয়েছিল। এবার আবারও একটি নতুন প্যাকেজ ঘোষণা করেছে বাইডেন প্রশাসন।
হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র জন কিরবি এর আগে বলেছিলেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বর্তমান প্রশাসন শেষ পর্যন্ত ইউক্রেনের জন্য অতিরিক্ত সামরিক প্যাকেজ প্রদান অব্যাহত রাখবে।
এদিকে, ইউক্রেনকে রাশিয়ার বিরুদ্ধে মার্কিন দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহারের অনুমতি দেওয়ার জন্য নব নির্বাচিত মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প কড়া সমালোচনা করেছেন। বৃহস্পতিবার টাইম ম্যাগাজিনের সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে ট্রাম্প অভিযোগ করেন, বাইডেন প্রশাসনের এই সিদ্ধান্ত যুদ্ধের মাত্রা বাড়িয়েছে।
ট্রাম্প বলেন, "যা ঘটছে তা এক ধরনের পাগলামি। এটা মূর্খতা। রাশিয়ায় কয়েকশ মাইল দূর থেকে ক্ষেপণাস্ত্র পাঠানোর ব্যাপারে আমি একেবারে একমত নই। আমাদের এটা করার কারণ কী! আমরা শুধু এই যুদ্ধটিকে আরও মারাত্মক করে তুলছি এবং পরিস্থিতির অবনতি ঘটাচ্ছি। এটা অনুমোদন দেওয়া উচিত হয়নি।"
মন্তব্য করুন
দক্ষিণ কোরিয়া দাবি করেছে, ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধে উত্তর কোরিয়ার শতাধিক সেনা নিহত হয়েছে। দেশটির একজন সংসদ সদস্য জানান, চলতি মাসে রাশিয়ার হয়ে যুদ্ধে অংশ নেওয়ার পর থেকে অন্তত ১০০ জন উত্তর কোরীয় সেনা প্রাণ হারিয়েছে। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির এক প্রতিবেদনে এই তথ্য প্রকাশিত হয়েছে।
লি সাং-কওন নামে ওই এমপি জানান, হতাহতদের মধ্যে উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারাও রয়েছেন। সেনাদের অপরিচিত যুদ্ধক্ষেত্র এবং ড্রোন যুদ্ধের অভিজ্ঞতার অভাবের কারণে এই ক্ষয়ক্ষতির ঘটনা ঘটেছে।
গত অক্টোবর মাসে উত্তর কোরিয়া রাশিয়ার যুদ্ধে সহায়তার জন্য ১০ হাজার সেনা পাঠায়। চলতি সপ্তাহের শুরুতে, প্রথমবারের মতো উত্তর কোরিয়ার সেনাদের হতাহতের খবর পাওয়া যায়।
এর আগে, স্থানীয় সময় সোমবার মার্কিন প্রতিরক্ষা বিভাগের একজন মুখপাত্র উত্তর কোরীয় সেনাদের নিহত হওয়ার কথা জানান, তবে সুনির্দিষ্ট সংখ্যা উল্লেখ করেননি।
মন্তব্য করুন
পশ্চিম আফ্রিকার দেশ বেনিনের দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর সেমে-পোাজির একটি পেট্রোলের ডিপোতে আগুন লেগে এক শিশুসহ ৩৫ জন নিহত হয়েছেন। এছাড়া আহত হয়েছেন ১ ডজনেরও বেশি সংখ্যক মানুষ।
সেমে-পোজি শহরটি নাইজেরিয়ার সীমান্ত এলাকায় অবস্থিত। শনিবার স্থানীয় সময় সকালে ৯টার দিকে ওই ডিপোতে আগুন লাগে বলে এক বিবৃতি জানিয়েছে বেনিনের বিচার বিষয়ক মন্ত্রণালয়।
বেনিনের সরকারি প্রসিকিউট আবদৌবাকি আদম বোংলে জানান, যে ডিপোতে আগুন লেগেছে— সেখানে নাইজেরিয়া থেকে চোরাইপথে পেট্রোল আসতো। শনিবার সকালে এমন একটি চালান যখন আনলোড হচ্ছিল, সেসময় বিস্ফোরণ ঘটে এবং তার জেরেই আগুনের সূত্রপাত।
এ ঘটনায় নিহতদের সবাই ঘটনাস্থলেই মারা গেছেন বলে বিবৃতেতে উল্লেখ করেছেন বোংলে।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ইতোমধ্যে ভয়াবহ এই অগ্নিকাণ্ডের ছবি ছড়িয়ে পড়েছে। ভিডিওটিতে দেখা যাচ্ছে, একটি বাজার এলাকার দোকানে আগুন লেগেছে এবং বিরাট কালো ধোঁয়ার কুন্ডলি উঠছে। অনেক লোকজন নিরাপদ দূরত্বে থেকে দেখছেন সেই আগুন পরিস্থিতি।
তবে এই ভিডিওটি সত্যিই ঘটনাস্থলের কি না— যাচাই করতে পারে নি রয়টার্স।
মন্তব্য করুন
যুক্তরাষ্ট্রের কানসাস থেকে নিউ জার্সি পর্যন্ত কয়েকটি অঙ্গরাজ্যের প্রায় ছয় কোটি মানুষ তুষারঝড়, তুষারসহ বৃষ্টি এবং তীব্র ঠাণ্ডার কবলে পড়েছে। প্রতিকূল আবহাওয়ার কারণে এখন পর্যন্ত সাতটি অঙ্গরাজ্যে জরুরি অবস্থা জারি করা হয়েছে। একই সঙ্গে ব্যাহত হচ্ছে উড়োজাহাজ চলাচলও।
বিবিসির প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, নিউ জার্সির গভর্নর ফিল মারফি অঙ্গরাজ্যটির কয়েকটি কাউন্টিতে জরুরি অবস্থা জারি করেছেন। এর আগে কানসাস, মিজৌরি, কেন্টাকি, ভার্জিনিয়া, ওয়েস্ট ভার্জিনিয়া এবং আরকানসাসে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করা হয়েছে।
তুষারঝড়টি এখন মধ্য আটলান্টিক অঞ্চলের দিকে এগোচ্ছে। আবহাওয়াবিদদের পূর্বাভাস অনুযায়ী, সোমবার ওয়াশিংটনে ভারী তুষারপাত হতে পারে।
কানসাস ও মিজৌরির উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের সড়কগুলো তুষারের চাদরে ঢেকে গেছে। জাতীয় আবহাওয়া পরিষেবা ওই অঞ্চলের বাসিন্দাদের ভ্রমণ এড়িয়ে চলার পরামর্শ দিয়েছে। এছাড়া দক্ষিণের ওহাইও থেকে ওয়াশিংটন পর্যন্ত এলাকায় ১৫ থেকে ৩০ সেন্টিমিটার তুষারপাতের আশঙ্কা করা হচ্ছে।
সিনসিনাটি, ওয়াশিংটন এবং ফিলাডেলফিয়ায় তুষারঝড়ের কারণে আজ কয়েক'শ বিদ্যালয় বন্ধ থাকবে।
উড়োজাহাজ চলাচলের ট্র্যাকিং ওয়েবসাইট ফ্লাইটএওয়ার জানিয়েছে, খারাপ আবহাওয়ার কারণে যুক্তরাষ্ট্রে প্রায় ১ হাজার ৫০০ উড়োজাহাজের ফ্লাইট বাতিল করা হয়েছে। এছাড়া এক দিনে আরও ৫ হাজারের বেশি উড়োজাহাজের যাত্রায় বিলম্ব হয়েছে।
মন্তব্য করুন
আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
অবরুদ্ধ গাজা, যেন এক ভয়ঙ্কর মৃত্যুপুরি। যেদিকে চোখ যায়, সেদিকেই লাশের মিছিল। ইট-পাথর ও কংক্রিটের নিচে ছিন্নভিন্ন দেহাবশেষ। ইসরাইলি বাহিনীর বোমার আঘাতে ঝরে পড়ছে নিরীহ তাজা প্রাণ। তবে গাজাবাসীর এই করুণ দৃশ্য দেখে মানসিকভাবে আক্রান্ত হয়েছেন ইসরাইলি সেনারা।
সম্প্রতি গাজা ও লেবাননে যুদ্ধের ফলে ইসরাইলের কমপক্ষে ছয় সেনা আত্মহত্যা করেছেন। দীর্ঘস্থায়ী যুদ্ধের কারণে সৃষ্ট মানসিক যন্ত্রণা এই আত্মহত্যার মূল কারণ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। আনাদুলু এজেন্সি এই তথ্য জানিয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মানসিক অসুস্থতার চিকিৎসা নিচ্ছেন ইসরাইলের সামরিক বাহিনীর আরও হাজার হাজার সদস্য। দেশটির একটি সংবাদ মাধ্যম এই তথ্য প্রকাশ করেছে। তবে আত্মহত্যার সংখ্যা আরও বেশি হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
প্রতিবেদনটিতে বলা হয়েছে, মানসিক সমস্যায় ভোগা তিন ভাগের এক ভাগ সেনার মধ্যেই রয়েছে পোস্ট ট্রমাটিক স্ট্রেস ডিসঅর্ডারের (PTSD) লক্ষণ। তাদের দাবি, চলমান যুদ্ধে আহত সেনাদের চেয়ে মানসিক রোগে ভুগছে এমন সেনার সংখ্যা অনেক বেশি। এক তদন্ত রিপোর্টে জানানো হয়েছে, মানসিক আঘাতে ভুগছে এমন সেনার সংখ্যা শারীরিক আঘাতপ্রাপ্ত সেনাদের সংখ্যা ছাড়িয়ে যেতে পারে।
ইয়েদিওথ আহরোনোথ বিশেষজ্ঞদের উদ্ধৃত করে জানিয়েছে, সামরিক অভিযান শেষ হয়ে গেলে এবং সেনারা স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসার পর এই মানসিক স্বাস্থ্য সংকট কেটে যাবে।
আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
এদিকে, ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু যুক্তরাজ্যে প্রবেশ করলে গ্রেফতার হতে পারেন বলে ইঙ্গিত দিয়েছে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন ১০ নং ডাউনিং স্ট্রিট। নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের (আইসিসি) গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হওয়ার পর শুক্রবার ডাউনিং স্ট্রিট এমন ইঙ্গিত দিয়েছে।
ডাউনিং স্ট্রিটের এক মুখপাত্র এ ব্যাপারে সুনির্দিষ্ট কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি। যুক্তরাজ্যে প্রবেশ করলে নেতানিয়াহুকে আটক করা হবে কিনা, এমন প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রীর মুখপাত্র ‘পরিস্থিতিগত প্রশ্নে’ মন্তব্য করতে অস্বীকার করেছেন। তবে তিনি বলেছেন, ‘ব্রিটিশ সরকার তার আইনি বাধ্যবাধকতা পূরণ করবে।’
ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর মুখপাত্র নিশ্চিত করেছেন যে দেশের অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক আইনের অধীন থাকা বাধ্যবাধকতাগুলো সব সময় মেনে চলে যুক্তরাজ্য সরকার। গাজায় যুদ্ধাপরাধ ও মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে বৃহস্পতিবার নেতানিয়াহু এবং ইসরাইলের সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্টের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করে আইসিসি। চুক্তি অনুযায়ী, এই আদালতের সদস্য দেশগুলো এই পরোয়ানা কার্যকর করতে বাধ্য। চুক্তি স্বাক্ষরকারী দেশগুলোর মধ্যে যুক্তরাজ্যও রয়েছে।
নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির পর ডাউনিং স্ট্রিট জানিয়েছিল, যুক্তরাজ্য সরকার আইসিসির স্বাধীনতাকে সম্মান করে এবং গাজায় অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির জন্য চাপ অব্যাহত রাখবে। যুক্তরাজ্যের ইন্টারন্যাশনাল ক্রিমিনাল কোর্ট অ্যাক্ট ২০০১ অনুযায়ী, সর্বোচ্চ আদালত যদি কোনো গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন, তবে একজন মনোনীত মন্ত্রী অনুরোধটি একজন উপযুক্ত বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তার কাছে পাঠান, এবং ওই কর্মকর্তা পরোয়ানাটি যুক্তরাজ্যে কার্যকর করার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন।
মন্তব্য করুন
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
গাজার সংঘাতে মোহাম্মদ আল-তালমাস নামে আরও এক সাংবাদিক নিহত হয়েছেন। তিনি ১৩ জানুয়ারি, সোমবার গুরুতর আহত অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন। গাজা সিটিতে ইসরায়েলি বাহিনীর বোমা বর্ষণের সময় তিনি আহত হন। এ খবরটি আল জাজিরা জানায়।
গাজার সরকারি মিডিয়া অফিস সাংবাদিকদের ওপর হামলা এবং হত্যাকাণ্ডের তীব্র নিন্দা জানিয়েছে। ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে এখন পর্যন্ত গাজার বিভিন্ন স্থানে হামলার ঘটনায় ২০৪ জন সাংবাদিক নিহত হয়েছেন।
আল-তালমাস বার্তা সংস্থা সাফারের সাংবাদিক ছিলেন। তিনি গাজা সিটিতে ইসরায়েলি বাহিনীর বিমান হামলায় নিহত হয়েছেন বলে জানা গেছে।
টেলিগ্রামে পোস্ট করা এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ইন্টারন্যাশনাল ফেডারেশন অব জার্নালিস্ট, ফেডারেশন অব আরব জার্নালিস্ট এবং বিশ্বের সকল দেশের সাংবাদিক সংস্থাকে গাজার ফিলিস্তিনি সাংবাদিক এবং মিডিয়া কর্মীদের বিরুদ্ধে এ ধরনের হামলা ও হত্যাকাণ্ডের বিচার দাবি করতে বলা হয়েছে।
এদিকে, গাজায় যুদ্ধবিরতির আলোচনা বেশ এগিয়েছে। কাতারের আমিরের সঙ্গে বৈঠকের পর হামাসের একটি প্রতিনিধি দল জানিয়েছে, গাজার যুদ্ধবিরতির আলোচনা ভালভাবে এগিয়ে চলছে। তবে যুদ্ধবিরতি নিয়ে আলোচনা চললেও, অন্যদিকে গাজায় হামলা অব্যাহত রেখেছে দখলদার বাহিনী।
বেশ কিছু মেডিক্যাল সূত্র জানিয়েছে, গত ১৩ জানুয়ারি, সোমবার ভোর থেকে এখন পর্যন্ত কমপক্ষে ৭০ ফিলিস্তিনিকে হত্যা করা হয়েছে। এর মধ্যে ১৪ জানুয়ারি, মঙ্গলবার ১২ জন প্রাণ হারিয়েছে। ইসরায়েলি বাহিনীর উত্তর গাজা অবরোধের শততম দিন পার হয়েছে।
২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের সীমান্তে প্রবেশ করে আকস্মিক হামলা চালায় ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। এরপরই গাজায় পাল্টা আক্রমণ চালায় ইসরায়েল।
এখন পর্যন্ত গাজায় এক বছরের বেশি সময় ধরে ধ্বংসযজ্ঞ চালাচ্ছে ইসরায়েলি বাহিনী। সেখানে কমপক্ষে ৪৬ হাজার ৫৮৪ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে, এছাড়া আহত হয়েছে আরও ১ লাখ ৯ হাজার ৭৩১ জন। প্রতিদিনই ইসরায়েলি হামলায় নিরীহ ফিলিস্তিনিরা প্রাণ হারাচ্ছে।
মন্তব্য করুন
পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা আসিফ বলেছেন, ভারত গত বুধবার তাদের কিছু শহরে দুই থেকে তিনবার হামলা চালানোর চেষ্টা করেছে এবং এখনও ভারতের আক্রমণের ঝুঁকি অব্যাহত রয়েছে। তিনি সতর্ক করে দিয়ে বলেন, "যদি ভারত কোনো কারণ বা প্রমাণ ছাড়াই কোনো পদক্ষেপ নেয়, তাহলে আমরা জবাব দেব। পাকিস্তানকে এর উত্তর দিতেই হবে। আমরা যদি এখনই ভারতের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিই, তাহলে আমাদের যুক্তিসঙ্গত কারণ থাকবে। তবে আমরা ভারতে বেসামরিক নাগরিকদের লক্ষ্য করব না।"
পাকিস্তানের বেসরকারি চ্যানেল জিও টিভি-এর অনুষ্ঠান 'আজ শাহজাইব খানজাদা কে সাথ'-এ বক্তব্য রাখার সময় তিনি এসব কথা বলেন।
খাজা আসিফ বলেন, "ভারত কিছু শহরকে দুই থেকে তিনবার টার্গেট করার চেষ্টা করেছে, অন্তত রাডারের মাধ্যমে, যাতে প্রয়োজনে সেখানে হামলা চালানো যায়।" তিনি আরও উল্লেখ করেন, "আক্রমণ প্রতিহত করতে কিছু শহরে আলো নিভিয়ে দেওয়া হয়েছিল। তবে আমরা এর জন্য সম্পূর্ণ প্রস্তুত এবং এর চরম মূল্য দিতে হবে।"
তিনি স্পষ্ট ভাষায় জানান, "ভারত যা করছে, আমরা তা সহ্য করব না, বরং কঠোর জবাব দেব।" এছাড়াও, তিনি বলেন যে দুই সপ্তাহ আগে শুরু হওয়া সংকট এখনও শেষ হয়নি।
মন্তব্য করুন