স্টাফ রিপোর্টার:
কুমিল্লার দেবিদ্বারে উপজেলা আওয়ামী লীগের মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এদিকে মতবিনিময় সভায় আসা আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীদের উপর একাধিক জায়গায় হামলার ঘটনা ঘটেছে।
মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) দুপুরে উপজেলার বনকুট এলাকায় এ মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। এর আগে সকালে বিভিন্ন এলাকায় হামলার ঘটনা ঘটেছে।
আওয়ামী লীগের সভাপতি সফিউদ্দিন সফিসহ স্হানীয় বিভিন্ন নেতাকর্মীদের মত বিনিময় সভায় আসার পথে বাঁধা প্রদান করেন এমপি আবুল কালাম আজাদের লোকজন। এ সময় এমপি আজাদের লোকজনের হামলায় ৬ জন আহত হয়। এ সময় যানবাহনও ভাঙচুর করা হয়।
দেবিদ্বার উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা কামাল চৌধুরী বলেন, সংসদ সদস্য আবুল কালাম আজাদের নির্দেশে উপজেলা ছাত্রলীগের আহ্বায়ক রনি ও যুগ্ম আহ্বায়ক সজীবের নেতৃত্বে বিভিন্ন মোড়ে মোড়ে মত বিনিময় সভায় আসা আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীদের উপর হামলা হয়।
মত বিনিময় সভায় অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সাবেক সাংসদ রাজী মোহাম্মদ ফখরুল। উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এ কে এম সফিউদ্দিন সফির সভাপতিত্বে এ সময় আরো উপস্হিত ছিলেন কুমিল্লা উত্তর জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক রোশান আলী মাস্টার, দেবিদ্বার উপজেলা পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান আবুল কাশেম ওমানী, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা কামাল চৌধুরী ও কুমিল্লা উত্তর জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের কার্য নির্বাহী সদস্য সাহিদা রোশন প্রমুখ।
মতবিনিময় সভায় বিভিন্ন ইউনিয়নের আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা তাদের বক্তব্যে বলেন, দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের পর গত চার মাস ধরে বিভিন্ন ইউনিয়নে আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীদের বাড়িতে বাড়িতে হামলা-ভাঙচুর করা হয়েছে। মারধর করে আহত করা হয়েছে শত শত আওয়ামীলীগ ও এর অংগ সংগঠনের নেতাকর্মীদের। আমাদের অপরাধ একটাই, আমরা নৌকার পক্ষে কাজ করেছি। আওয়ামী লীগের নেতা কর্মীদের মিথ্যা মামলায় আসামি করা হচ্ছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে এসব অন্যায়ের বিচার চাই আমরা।
কুমিল্লা উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রোশন আলী মাস্টার জানান, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান দেশের জন্য আন্দোলন ও সংগ্রাম করে জেল খেটেছেন। আমরা সেই স্বাধীনতার মহান স্থপতির আদর্শের রাজনীতি করি। তাই আপনারা ভয় পাবেন না, অন্যায় কারীদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদী হন। ইনশাল্লাহ জয় আমাদের হবে। দেবিদ্বারে অন্যায়ের প্রতিবাদ করতে হবে সকলকে। গণ আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে। অন্যায়ের প্রতিবাদ না করলে দেবিদ্বারে শান্তি আসবে না।
সাবেক সংসদ সদস্য রাজী মোহাম্মদ ফখরুল বলেন, রাজনীতি কখনো পুজি হতে পারে না। যখন পুজি হয় তখন জমি দখল হয়, হামলা-মামলা, চাদাবাজি হয়। প্রকৃত রাজনীতি করলে টাকা পয়সার মালিক হওয়া যায় না। তবে সম্মান পাওয়া যায়। আমি ১৫ বছরে আপনাদের জন্য কাজ করার চেষ্টা করেছি। দেবিদ্বার ছিল শান্তির জায়গা। আর এখন দেবিদ্বারজুড়ে হামলা-মামলা ও মারধরের ঘটনা ঘটছে। আজ মতবিনিময় সভায় আসার পথে মোড়ে মোড়ে বাঁধা দেয়া হল,মারধর করা হল। আপনারা এখন ক্ষমতায়, কিসের এত ভয় আপনাদের? একটা মতবিনিময় সভাকে কেন এত ভয়? দেবিদ্বারে গত ৪০ বছরে যা হয় নি,গত ৪ মাসে তা হচ্ছে দেবিদ্বারে। এই জুলুম-নির্যাতনের বিচার হবে একদিন । কোন ছাড় দেয়া হবে না। আগামী উপজেলা নির্বাচনে দেবিদ্বারকে আবর্জনামুক্ত করতে হবে, সন্ত্রাস ও দুর্নীতিমুক্ত দেবিদ্বার গড়ে তুলতে হবে।
মত বিনিময় সভায় আসার পথে বিভিন্ন মিডিয়ায় কর্মরত উপজেলার সাংবাদিকদেরও বাঁধা প্রদান করা হয় ।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন সংবাদকর্মী জানান, বর্তমানে আমরা খুব খারাপ সময় পার করছি। পথে পথে আমাদের বাধা প্রদান করা হয়েছে যাতে আমরা এই মত বিনিময় সভায় আসতে না পারি। আমাদের বলা হয়েছে আমরা যেন এই সংবাদটি প্রকাশ না করি।
উল্লেখ্য যে, মত বিনিময় সভায় আগামী ২৯ মে দেবিদ্বার উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে সম্ভাব্য চেয়ারম্যান প্রার্থী হিসেবে রোশন আলী মাস্টার কিংবা তার সহধর্মিনী সাহিদা রোশনকে প্রার্থী হওয়ার জন্য আহ্বান জানান স্থানীয় নেতাকর্মীরা।
মন্তব্য করুন
কুমিল্লা সদরের রঘুপুরের কার্তিকপুর এলাকায় ২৩ বীর -এর আওতায় সেনাবাহিনী-র্যাবের যৌথ অভিযানে বিপুল পরিমাণ অবৈধ অস্ত্র-গোলাবারুদসহ মোঃ আবু ওবায়েদ ওরফে শিমুল আটক হয়েছে।
আটক হওয়া মোঃ আবু ওবায়েদ ওরফে শিমুল কুমিল্লা সদরের চাঁপাপুর কার্তিকপুরের আব্দুল ওয়াহবের ছেলে।
সোমবার ( ১৬ জুন) ভোর ৪ টায় এ যৌথ অভিযান পরিচালনা করা হয়। এ সময় শিমুলের কাছ থেকে ১টি ৭.৬৫ মিমি পিস্তল, ২টি পাইপগান, ৩টি ককটেল, ৬ রাউন্ড শটগান গুলি, ১ রাউন্ড ৭.৬৫ মিমি গুলি, ১টি স্মার্টফোন, ১টি বাটন ফোন উদ্ধার করা হয়।
বিশ্বস্ত গোয়েন্দা তথ্য অনুযায়ী শিমুল কুমিল্লার চিহ্নিত সন্ত্রাসী রেজাউলের ডান হাত হিসেবে কাজ করে। এক সময় এই রেজাউল এমপি বাহারের জন্য অস্ত্র আনার দায়িত্বে ছিল। বর্তমানে সে নিজেকে এবং শিমুলকে মহানগর বিএনপির সভাপতি উদবাতুল বারি আবুর লোক হিসেবে পরিচয় দেয়। তারা অস্ত্র দিয়ে রাজনৈতিক সহিংসতা এবং চাঁদাবাজিতে জড়িত।
মন্তব্য করুন
স্টাফ রিপোর্টার:
কুমিল্লার দেবিদ্বার উপজেলার ধামতী ইউনিয়নে চরম অনিয়ম চলছে বলে নানা অভিযোগ রয়েছে। দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে নৌকা প্রতিকের প্রার্থী ও উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ঘোড়া প্রতিকের চেয়ারম্যান প্রার্থীর পক্ষে কাজ করায় ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামীলীগের কোষাধ্যক্ষ মহিউদ্দিন মিঠুকে ইউনিয়ন পরিষদে প্রবেশ করতে বাঁধা প্রদান করা হচ্ছে। আর ভিতরে কোনরকমে যদি প্রবেশ করেও কোন কাজ পরিচালনা করতে পারছে না। আওয়ামী লীগের অপর অংশের নেতাকর্মীরা ইউপির কাজ বন্টন করছে। এমন নানা ধরণের অভিযোগ স্থানীয় বিভিন্ন সূত্রে পাওয়া যাচ্ছে। সম্প্রতি টিসিবির কার্ড ও প্রধানমন্ত্রীর উপহারের চালও ভাগাভাগি করেছে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী ও কয়েকজন ওয়ার্ড মেম্বার। এমনই অভিযোগ উঠেছে।
ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মহিউদ্দিন মিঠু সমর্থিত নেতাকর্মী ও স্থানীয় সূত্র নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, বিগত দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে নৌকা প্রতিকের প্রার্থী ও উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ঘোড়া প্রতিকের চেয়ারম্যান প্রার্থীর পক্ষে কাজ করায় ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মহিউদ্দিন মিঠুকে বিভিন্নভাবে হয়রানি করা হচ্ছে। তিনি ইউনিয়ন পরিষদে তেমন যেতে পারেন না। উনার কাজকর্ম ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা ভাগাভাগি করে নিয়ে যায়। টিসিবি কার্ড ও চাল ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও কয়েকজন মিলে ভাগ করে নিজের মত করে বন্টন করেছে। সংসদ ও উপজেলা নির্বাচনের পর চেয়ারম্যান মিঠু সমর্থিত নেতাকর্মী ও সমর্থকদের উপর নানা নির্যাতন, হামলা-মারধর চলছেই। উনার জমি দখল ও কলা গাছ কেটে নিয়ে গেছে। ভয়ে-আতংকে তিনি এলাকাছাড়া।
ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মহিউদ্দিন মিঠু জানান, ইউনিয়নবাসী আমাকে ভোট দিয়ে চেয়ারম্যান নির্বাচিত করেছে তাদের সেবা করার জন্য। আমি বিগত সময়ে চেষ্টা করেছি সর্বোচ্চভাবে জনগণের সেবা করতে। জনগণও আমাকে সব কাজে সহায়তা করেছে। কিন্তু গত সংসদ নির্বাচন ও উপজেলা নির্বাচনের পর আমি বেশ বিপদে আছি। আমাকে আমার কার্যালয়ে যেতে দেওয়া হচ্ছে না। কোন কাজকর্ম আমি করতে পারছি না। পদে পদে বাঁধা প্রদান করা হচ্ছে আমাকে। এই দুইদিনে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও ইউনিয়নের কয়েকজন সুবিধেভোগি ওয়ার্ড মেম্বার টিসিবি ও চাল নিজেরাই ভাগাভাগি করে বন্টন করেছে। আমাকে একবারও জিগেস করেনি। আমি সব সময় কার্যালয়ে যোতে চাই। জনগণের সেবা করতে চাই। আমি যে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি তা মৌখিকভাবে এসিল্যান্ড সাহেবকে এবং পুলিশ সুপার ও বিভাগীয় কমিশনারকে লিখিতভাবে অভিযোগ করেছি।
এ বিষয়ে ইউনিয়নের ১ নং ওয়ার্ড মেম্বার মো: তোফায়েল হোসেন, ২ নং ওয়ার্ড মেম্বার আমির হোসেন চৌধুরী ও ৫ নং ওয়ার্ড মেম্বার মো: জামাল হোসেন জানান, চেয়ারম্যান মিঠু সাহেব অনেকদিন ধরে অসুস্থ্য। তিনি হাসপাতালে ভর্তি। তাই ইউনিয়ন পরিষদে আসতে পারে না। আমরা সবাই মিলে কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছি।
স্থানীয় সূত্র জানায়, অনেককেই ১০ কেজি করে চাল না দিয়ে ২৫০/৩০০ গ্রাম করে কম দেয়া হয়েছে। এছাড়া যারা দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে নৌকা প্রতিকের প্রার্থী ও উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ঘোড়া প্রতিকের প্রার্থীর পক্ষে কাজ করেছে তাদেরকে টিসিবি কার্ড ও প্রধানমন্ত্রীর উপহারকৃত চাল দেয়া হয়নি। এ নিয়ে স্থানীয়দের মাঝে চরম ক্ষোভ বিরাজ করছে। স্থানীয় বেশ কয়েকজন মহিলা জানান, আমরা গরীব মানুষ। কিন্তু টিসিবি কার্ড পাইনি। চালও পাইনি। আমাদের অপরাধ আমরা নৌকার পক্ষে কাজ করছি। চেয়ারম্যান সাহেবও নাই , আর আমরাও চাল পাই না।
এ বিষয়ে ধামতী ইউনিয়ন পরিষদের সচিব মোস্তাফিজুর রহমান জানান, চেয়ারম্যান সাহেবকে কার্যালয়ে আসতে কেউ বাঁধা দিচ্ছে কি না তা আমি বলতে পারবো না। আর টিসিবি ও চাল বিতরণ কে ভাগাভাগি করছে, তাও জানি না। কোন জায়গায় সমস্যা তা জানি না। চাল কম দেয়ার অভিযোগের ভিত্তিতে তিনি বলেন, অনেক বস্তায় চাল কম থাকে। তাই অনেককে ২০০/১০০ গ্রাম করে চাল কম দেয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে ধামতী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি শফিকুর রহমান সরকার জানান, ইউপি চেয়ারম্যান মিঠু অনিয়মিত। বেশিরভাগ সময় ইউনিয়ন পরিষদে আসে না। আমরা উনাকে কোন বাঁধা দেইনি আসতে। আর টিসিবি ও প্রধানমন্ত্রীর চাল ভাগাভাগি ও বিতরণ আমি করিনি। সব মেম্বাররা মিলে করেছে। তারা সবাই ভাগাভাগি করে নেওয়ার পর আমাকে এসে ২৫০/৩০০ কার্ড দিয়েছে। তারা বলছে গরীব মানুষের মাঝে বিতরণ করে দিতে। আমি না করেছি। তারা জোর করে দিয়ে গেছে। আমার বিরুদ্ধে আণীত অভিযোগ মিথ্যা। দলীয় অর্ন্তকোন্দল নিরসনে কোন ভূমিকা নিয়েছেন কিনা ? এ প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমরাই মিঠুকে চেয়ারম্যান বানিয়েছি। অথচ গত সাংসদ নির্বাচনে সে এমপি সাহেবের( স্বতন্ত্র এমপি আবুল কালাম আজাদ) বিরুদ্ধে কাজ করেছে। সম্প্রতি উপজেলা নির্বাচনেও সে আনারস প্রতিকের( এমপি আজাদের ছোট ভাই মামুন) বিপক্ষে কাজ করেছে। এসব কারণে এমপি সাহেবের সাথে তার দূরত্ব রয়েছে। তারপরেও এমপি সাহেব তার বিপক্ষে আজও কোন কথা বলেনি। সর্বোপরি আমরা তাকে কোন বাঁধা দেইনি।
মন্তব্য করুন
চাঁপাইনবাবগঞ্জের তেলকুপি সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফের গুলিতে এক বাংলাদেশি কৃষক গুলিবিদ্ধ হয়েছেন।
এ ঘটনা ঘটেছে শনিবার ভোর ৫টায়, বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তের ১৮০ সাব পিলার ৭এর তেলকুপি মুড়িয়া মাঠ এলাকায়। গুলিবিদ্ধ কৃষকের নাম হাবিল উদ্দীন (৩০), তিনি শিবগঞ্জ উপজেলার শাহবাজপুর ইউনিয়নের তেলকুপি মোল্লাটোলা গ্রামের বেলাল উদ্দীনের ছেলে।
স্থানীয় জনগণ ও জনপ্রতিনিধিরা জানিয়েছেন, ভোরে আন্তর্জাতিক মেইন পিলার ১৮০ সাব পিলার ৭এর কাছের তেলকুপি মুড়িয়া মাঠে গমের জমিতে কাজ করছিলেন হাবিল। ওই সময় ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী ১১৯ বিএসএফ ব্যাটালিয়নের গোপালনগর ক্যাম্পের জওয়ানরা হাবিলকে লক্ষ্য করে গুলি চালায়। গুলির আঘাতে গুরুতর আহত হলে তাকে প্রথমে চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা হাসপাতালে, পরে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
গুলিবিদ্ধ হাবিল জানিয়েছেন, তিনি জমিতে পানি দিতে গিয়েছিলেন। ভোরে ঘন কুয়াশার মধ্যে কাজ করার সময় বিএসএফ তাকে গুলি করে। হাবিলের ভাবি সুলেখা বেগম জানান, তাদের জমিতে সেচের মর্টার রয়েছে, যেখানে তার দেবর পানি দিচ্ছিলেন, এ সময় বিএসএফ তাকে লক্ষ্য করে গুলি করে। তিনি দাবি করেছেন, হাবিল একজন কৃষক, মাদক চোরাকারবারি নয়।
শাহবাজপুর ইউনিয়নের ৭ নং ওয়ার্ড সদস্য কাশেদ আলী জানিয়েছেন, বিজিবি ও স্থানীয়দের নিয়ে তিনি কয়েক দিন ধরে সন্ধ্যার পর সীমান্তে না যাওয়ার আহ্বান জানিয়ে আসছিলেন। আজ ভোরে হাবিল গুলিবিদ্ধ হন।
ইউপি চেয়ারম্যান নিজামুল হক রানা জানান, তিনি মেম্বারের সঙ্গে কথা বলেছেন এবং পরিবারের সদস্যরাও বলেছেন যে, হাবিল গমের জমিতে পানি দিতে গিয়েছিলেন এবং সেখানে বিএসএফ তাকে গুলি করেছে।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ ৫৯ বিজাটির অধিনায়ক লে. কর্নেল গোলাম কিবরিয়া জানান, তেলকুপি সীমান্তে আনুমানিক ১৫০ গজ ভারতের অভ্যন্তরে কয়েকজন চোরাচালানকারী সীমান্ত অতিক্রম করলে বিএসএফ টহলদল তাদের লক্ষ্য করে গুলি চালায়। পরে বিজিবি ঘটনাস্থলে পৌঁছালে চোরাকারবারিরা পালিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করে।
পরে জানা যায়, হাবিল নামে এক চিহ্নিত চোরাকারবারি বিএসএফের গুলিতে আহত হয়েছেন এবং তিনি রাজশাহী মেডিকেল কলেজে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তবে, বিজিবির দাবি অনুযায়ী তেলকুপি সীমান্ত এলাকায় কোনো কৃষক অবস্থান করছিল না।
এ ঘটনায় বিজিবি ও বিএসএফের মধ্যে পতাকা বৈঠকের আহ্বান জানানো হয়েছে এবং বিএসএফকে তীব্র প্রতিবাদ জানানো হয়েছে।
মন্তব্য করুন
স্টাফ রিপোর্টারঃ
বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশন (বিএডিসি) নোয়াখালী জেলা অফিসে দুই সাংবাদিকের ওপর হামলার ঘটনায় মামলা হয়েছে।
রোববার (২০ অক্টোবর) দুপুরে সুধারাম মডেল থানায় ভুক্তভোগী সাংবাদিক মাহবুবুর রহমান বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন। মামলায় বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশন (বিএডিসি) নোয়াখালী জেলা কার্যালয়ের স্টোরকিপার মিরাজ হোসেন ওরফে শান্তকে আসামী করা হয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত তাকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ।
মামলার বাদী মাহবুবুর রহমান। তিনি দৈনিক বাংলা পত্রিকা ও অনলাইন পোর্টাল নিউজ বাংলার জেলা প্রতিনিধি এবং নোয়াখালী প্রেসক্লাবের কার্য্যনির্বাহী সদস্য । এ ঘটনায় দেশ টেলিভিশনের জেলা প্রতিনিধি মাওলা জিয়াউল আহসান সুজন ও লাঞ্ছিত হন।
মাহবুবুর রহমান অভিযোগ করে বলেন, গত ১৭ অক্টোবর আমি লিখিত অভিযোগ দায়ের করি। এরপর পুলিশ মামলা নিতে গড়িমসি করে। অবশেষে তিন দিন পর পুলিশ মামলা রুজু করে।
মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেন সুধারাম মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. কামরুল ইসলাম। তিনি বলেন, এ ঘটনায় একজনকে আসামি করে মামলা নেওয়া হয়েছে। পুলিশ আসামিকে গ্রেপ্তারে চেষ্টা চালাচ্ছে।
প্রসঙ্গত, গত ১৬ অক্টোবর বুধবার দুপুরে বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশন (বিএডিসি) নোয়াখালী জেলা কার্যালয়ে উপ পরিচালক বরাবরে তথ্য চেয়ে আবেদন ফরম জমা দিতে যায় সাংবাদিক মাহবুবুর রহমান ও দেশ টিভির জেলা প্রতিনিধি মাওলা রকিবুল আহসান সুজন। সেখানে উপপরিচালক (বীজ বিপণন) নুরুল আলমের সঙ্গে তার কক্ষে কথা বলার সময় প্রতিষ্ঠানের স্টোরকিপার মিরাজ হোসেন ওরফে শান্ত কক্ষে প্রবেশ করে হঠাৎ ভিডিও করা শুরু করেন। একপর্যায়ে সাংবাদিকেরা চাঁদা নিতে এসেছেন, এমন দাবি করে চিৎকার-চেঁচামেচি শুরু করেন। তাকে চিৎকার-চেঁচামেচি ও ভিডিও করা বন্ধ করতে বলা হলে কর্মচারী মিরাজ হোসেন তাঁকে কিলঘুষি দিতে শুরু করেন। পরে মারধরের জন্য লাঠি নিতে মিরাজ কক্ষ থেকে বের হলে কক্ষে থাকা অপর সাংবাদিক রকিবুল আহসান দরজা বন্ধ করে দেন। গত বৃহস্পতিবার ১৭ অক্টোবর উপ পরিচালক নুরুল আলম এঘটনার ব্যাখ্যা চেয়ে একটি চিঠি দেন। চিঠিতে স্টোর কিপার মিরাজ হোসনকে তিন কার্যদিবসের মধ্যে 'এঘটনা কেন ঘটিয়েছেন' মর্মে ব্যাখ্যা দেয়ার জন্য নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
মন্তব্য করুন
ডেস্ক রিপোর্টঃ
দেশের একমাত্র প্রবাল দ্বীপ সেন্টমার্টিনে পর্যটক সীমিত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টা পরিষদ।
মঙ্গলবার (২২ অক্টোবর) সন্ধ্যায় রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমির মিলনায়তনে এক বিফ্রিংয়ে এ কথা জানান প্রধান উপদেষ্টার উপপ্রেস সচিব অপূর্ব জাহাঙ্গীর।
উপদেষ্টা পরিষদের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, সেন্টমার্টিনে নভেম্বর মাসে পর্যটক যেতে পারবে, তবে রাত্রিযাপন করতে পারবেন না। ডিসেম্বর-জানুয়ারি মাসে সর্বোচ্চ ২ হাজার জন পর্যটক রাত্রিযাপন করতে পারবেন। ফেব্রুয়ারি মাসে সেন্টমার্টিনে পর্যটন পুরোপুরি বন্ধ থাকবে।
প্রধান উপদেষ্টার উপপ্রেস সচিব অপূর্ব জাহাঙ্গীর বলেন, সেন্টমার্টিনে পর্যটক সীমিত করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। নভেম্বর মাসে পর্যটকরা যেতে পারবেন, কিন্তু রাতে থাকতে পারবেন না। ডিসেম্বর, জানুয়ারিতে প্রতিদিন ২ হাজারের বেশি পর্যটক সেন্টমার্টিন যেতে পারবে না। আর ফেব্রুয়ারি মাসে পর্যটক যাওয়া বন্ধ রাখা হবে। তখন সেন্টমার্টিন পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করা হবে।
এসময় প্রধান উপদেষ্টার উপপ্রেস সচিব মো. আবুল কালাম আজাদ মজুমদার, সহকারী প্রেস সচিব নাইম আলী ও সুচিস্মিতা তিথি উপস্থিত ছিলেন।
মন্তব্য করুন
বর্ণাঢ্য আয়োজনের মধ্য দিয়ে সারাদেশের মতো কুমিল্লায়ও কাব কার্নিভাল ২০২৫ উদযাপিত হয়েছে।
সোমবার কুমিল্লা নগরীর হোচ্ছামিয়া উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে উদযাপিত কার্নিভালে প্রধান অতিথি ছিলেন কুমিল্লা আদর্শ সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা ফাতেমা তুজ জোহরা। সভাপতিত্ব করেন কুমিল্লা আদর্শ সদর উপজেলা শিক্ষা অফিসার মোঃ আবদুল্লাহ আল মামুন।
অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন,কাব উপজেলা কমিশনার মোঃ নজরুল ইসলাম,কাব উপজেলা কোষাধ্যক্ষ মোঃ জাহাঙ্গীর আলম, সুভাষ বীর।এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন কাব লিডার ফাহমিদা আক্তার, হোচ্ছামিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিক খোদেজা বেগম। অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন মোঃ সাইফুল ইসলাম।
মহারাজা সেজে পুরো অনুষ্ঠানটিকে প্রাণবন্ত করে রাখেন শান্তনু পাল। এসময় মহারাজা তার প্রধান সেনাপতিতে সাথে নিয়ে অনুষ্ঠানস্থল ঘুরে ঘুরে দেখেন।
কার্নিভালে কুমিল্লা আদর্শ সদর উপজেলার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কাব সদস্যরা অংশ নেয়। দিনব্যাপী অনুষ্ঠানে ছিলে আরো নানা কর্মকাণ্ড।
মন্তব্য করুন
কুমিল্লা ইয়ুথ জার্নালিষ্ট এসোসিয়েশনের (২০২৫-২৬) ১৫ সদস্য বিশিষ্ট নতুন কমিটি গঠন করা হয়েছে। ২৬ জুন সাধারণ সভা শেষে ৩০ জুন দুপুরে সবার মতামতের ভিত্তিতে এই কমিটি ঘোষণা করা হয়।
নতুন কমিটিতে সভাপতি পদে কুমিল্লা টোয়েন্টি ফোর টিভির হেড অব নিউজ তামজিদ হোসেন লিপুকে সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক পদে খোলা কাগজের প্রতিনিধি শাহ ইমরান ও সাংগঠনিক সম্পাদক পদে দৈনিক পূর্বাশার সিনিয়র স্টাফ রিপোর্টার ম্যাক রানাকে নির্বাচিত করা হয়েছে।
কমিটির অন্যান্য পদে সিনিয়র সহ সভাপতি পদে দৈনিক পূর্বাশার সিনিয়র প্রতিবেদক মো: আলাউদ্দিন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পদে ডেইলি বাংলাদেশ মিররের বিশেষ প্রতিনিধি সালাহউদ্দিন সোহেল, কোষাধ্যক্ষ পদে চ্যানেল বাংলাদেশের জুয়েল খন্দকার, দপ্তর সম্পাদক পদে দৈনিক আজকের কুমিল্লার স্টাফ রিপোর্টার উজ্জ্বল হোসেন বিল্লাল, ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক পদে দৈনিক সংবাদের সৈয়দ রাজিব, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক পদে চ্যানেল বাংলাদেশের কন্ট্রিবিউটর বি এম মহিউদ্দিন, সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক পদে দৈনিক আজকের কুমিল্লার বার্তা সম্পাদক নাছরিন আক্তার ও আমোদ- প্রমোদ বিষয়ক সম্পাদক পদে দৈনিক পূর্বাশার সিনিয়র ডেস্ক ইনচার্জ সাবিয়া সুলতানা রয়েছেন।
নির্বাহী সদস্য পদে রয়েছেন বৈশাখী টিভির প্রতিনিধি আনোয়ার হোসেন, ডেইলি বাংলাদেশ মিররের সিনিয়র রিপোর্টার এড. সুদীপ রায় , দৈনিক মানবকন্ঠের মাহবুবুল আলম আরিফ ও দৈনিক যায় যায় দিনের বেলাল হোসাইন।
এ কমিটির উপদেষ্টা পদে রয়েছেন দৈনিক ইনকিলাবের স্টাফ রিপোর্টার সাদিক হোসেন মামুন, দৈনিক পূর্বাশার নির্বাহী সম্পাদক মাহবুব আলম বাবু, কানাডা প্রবাসী সাংবাদিক মাজহারুল ইসলাম বিপুল, দৈনিক আজকের কুমিল্লার সম্পাদক ইমতিয়াজ আহমেদ জিতু, মোহনা টিভির প্রতিনিধি তাওহিদ হোসেন মিঠু, বাসসের প্রতিনিধি দেলোয়ার হোসাইন আকাঈদ।
এছাড়া কমিটিতে সদস্য পদে রয়েছেন জিটিভির প্রতিনিধি সেলিম রেজা মুন্সি, দৈনিক আজকের জীবনের নেকবর হোসেন, দৈনিক বাংলার আলোড়নের বার্তা সম্পাদক হাবিবুর রহমান খান, মাই টিভির প্রতিনিধি আবু মুসা, দৈনিক রূপসী বাংলার এন কে রিপন, আরটিভির প্রতিনিধি জহিরুল হক বাবু, সময় টিভির প্রতিনিধি ইসতিয়াক আহমেদ, দৈনিক পূর্বাশার জসিম উদ্দিন চৌধুরী, জাগরণী টিভির প্রতিনিধি আশিকুর রহমান আশিক, দৈনিক আলোকিত কুমিল্লার সম্পাদক সাইফুল সুমন, সাপ্তাহিক মেগোতীর ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক আসিফ মান্না, সারাবাংলা টোয়েন্টি ফোরের প্রতিনিধি রাসেল সোহেল, এশিয়ান টিভির প্রতিনিধি মাহফুজ আনোয়ার সৌরভ, কুমিল্লা টোয়েন্টি ফোর টিভির আব্দুল মোতালেব নিখিল, ঢাকা মেইলের প্রতিনিধি সাকলাইন জোবায়ের, জাগো কুমিল্লার সম্পাদক অমিত মজুমদার, দৈনিক পূর্বাশার স্টাফ রিপোর্টার হাবিবুর রহমান মুন্না, দৈনিক ইত্তেফাকের দাউদকান্দি প্রতিনিধি শরীফ প্রধান, বার্তা টোয়েন্টি ফোরের মঈন নাসের খান রাফি, চ্যানেল এস এর প্রতিনিধি রাজিব সাহা, ডিবিসি টিভির ক্যামেরাপার্সন বিপ্লব।
মন্তব্য করুন
স্টাফ রিপোর্টার:
কুমিল্লার দেবিদ্বার উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ঘোড়া প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী সাহিদা আক্তারের পক্ষে নির্বাচনী প্রচারণায় নেমেছেন সাবেক সংসদ সদস্য রাজী মোহাম্মদ ফখরুল ও কুমিল্লা উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রোশন আলী মাস্টার।
শুক্রবার দুপুর থেকে রাত পর্যন্ত উপজেলার ভানী ইউনিয়ন, রাজামেহের, ধামতী, সুলতানপুর ও গুনাইঘর ইউনিয়নে গণসংযোগ করেন তারা । এ সময় গাড়ি ও মোটরসাইকেল বহর নিয়ে গণসংযোগ ও স্থানীয়দের সাথে প্রচারণায় অংশ নেন তারা। এ সময় উপজেলা আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গ সংংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য যে, আগামী ২৯ মে দেবিদ্বার উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।
মন্তব্য করুন
কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল হাই ভূঁইয়া কানুকে জুতার মালা পরিয়ে লাঞ্চিতের একটি ঘটনা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। ইতোমধ্যেই এ ঘটনায় প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনুছ সরকার অভিযুক্তদের গ্রেফতারে বিবৃতি দিয়েছেন। পাশাপাশি বলেছেন কানুর বিরুদ্ধে ৮-৯টি মামলা রয়েছে।
চৌদ্দগ্রাম থানা সূত্রেও জানা যায়, আব্দুল হাই কানুর বিরুদ্ধে ১টি হত্যাসহ একাধিক মামলা রয়েছে।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল ১ মিনিট ৪৬ সেকেন্ডের ভিডিওতে দেখা যায়, রবিবার দুপুরে স্থানীয় বাতিসা ইউনিয়নের কুলিয়ারা উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে মুক্তিযোদ্ধা ও কেন্দ্রীয় কৃষকলীগ নেতা আব্দুল হাই কানুকে জুতার মালা পড়ায় স্থানীয় প্রবাসী আবুল হাশেমসহ এলাকাবাসী।
এসময় স্থানীয়দের বলতে শোনা যায়, আব্দুল হাই কানুর কারণে তারা গত ১৫ বছর এলাকায় থাকতে পারেনি।
২০১৬ সালের আবু বক্কর ছিদ্দিক প্রকাশ রানা হত্যার প্রতিবাদে এবং কানু ও তার ছেলে বিপ্লবকে গ্রেফতার ও ফাঁসির দাবীতে স্থানীয় আ’লীগ সমাবেশ করে।
সমাবেশে উপজেলা আ’লীগের প্রচার সম্পাদক ও সাবেক চেয়ারম্যান মোশারফ হোসেন বলেন, আব্দুল হাই কানুর কারণে স্থানীয় আ’লীগ নেতাকর্মীরাও এলাকাছাড়া।
সোমবার সকালে সরেজমিনে পরিদর্শনে গেলে স্থানীয় জসিম উদ্দিন বলেন, আবদুল হাই কানুর সাথে আ’লীগ ব্যতিত আর কোন রাজনৈতিক দ্বন্ধ নেই।
ভাইরাল ভিডিওটি রাজনৈতিক নয়। এলাকার ভুক্তভোগীরা ঘটনা করেছে। এসময় আমিও সাথে ছিলাম। হত্যাকান্ডের শিকার রানা হত্যা মামলায় ১নং আসামী কানু। আওয়ামী লীগ নেতা শাহীন হত্যার ঘটনাও অন্যতম নির্দেশদাতা কানু মেম্বার। কুলিয়ারা উচ্চ বিদ্যালয়ের পরিচালনা কমিটির নির্বাচনে প্রতিদ্বন্ধী এক প্রার্থী আবদুল হালিম মজুমদারকে লাথি মেরে পুকুরে ফেলে দেয়। ঐ নির্বাচনে আমাকেও লাঞ্চিত করে।
স্থানীয় ট্রাক্টর চালক আনোয়ার হোসেন বলেন, পারিবারিক দ্বন্ধে এ ঘটনা ঘটেছে। এর সাথে রাজনীতির সম্পৃক্ততা নাই। গত ২০১৬ সালের ৩ই সেপ্টেম্বর যুবলীগ নেতা আবু বক্কর ছিদ্দিক প্রকাশ রানাকে গুলি করে ও কুপিয়ে হত্যা করে কানু মেম্বার। ঐদিন আমি নিজেও গুলির শব্দে ব্রীজ থেকে লাফ দিয়ে আহত হই। কানু মেম্বার আমার চাচা নুরুল ইসলাম মিনারকে রাতের আধাঁরে মারধর করে।
আবদুল হালিম মজুমদারের ভাই আবদুর রহমান (৮০) বলেন, কানু আমার ভাইকে বিদ্যালয়ের নির্বাচনের সময়ে লাথি মেরে পুকুরে ফেলে দেয়। আ’লীগ সরকারের সময়ে আমার ভাইয়ের থেকে ২৬লাখ টাকা চাঁদাবাজী করে। এমনকি আমার ঘর নির্মাণের সময় আমার থেকেও ৭ লাখ টাকা চাঁদা দাবী করে। এসময় তিনি সাংবাদিকদের আরও বলেন, বিদ্যালয়ের পরিচালনা কমিটির নির্বাচনের দ্বন্ধেই রবিবার দুপুরে কানুকে আটক করে এলাকাবাসী।
সাবেক ইউপি মেম্বার ও অবঃ সেনাসদস্য আবদুল হক বলেন, কানু এই এলাকায় গত ১৭ বছরে সন্ত্রাসের রাজনীতি কায়েম করেছে। একাধিক হত্যা, বাড়িঘর ভাংচুর এবং চাঁদাবাজীর সাথেও সে জড়িত। স্থানীয়রা পূর্বের ক্ষোভ থেকে এ ঘটনা ঘটিয়েছে।
চৌদ্দগ্রাম উপজেলা জামায়াতের সেক্রেটারী বেলাল হোসাইন বলেন, আ’লীগ নেতা আব্দুল হাই কানু হত্যাসহ একাধিক মামলার আসামী। পূর্বের বিভিন্ন বিরোধ থেকে এলাকাবাসী এ ঘটনা ঘটিয়েছে। এর সাথে রাজনৈতিক কোন সম্পৃক্ততা নাই। এমনটি ভাইরাল ভিডিওকে উল্লেখিত ব্যক্তিগত জামায়াতের কোন পদ-পদবীতে নাই।
চৌদ্দগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এটিএম আক্তারুজ্জামান সোমবার দুপুরে বলেন, আব্দুল হাই কানুর বিরুদ্ধে ৮-৯টি মামলার বিষয়ে পুরনো অপারেটরের মাধ্যমে জেনেছি। তবে আমার কাছে একটি হত্যা মামলা এবং একটি ভাংচুরের মামলার তথ্য রয়েছে। ভাইরাল ভিডিওতে অভিযুক্তদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ রহমতুল্লাহ বলেন, মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল হাই কানুকে লাঞ্ছিতের ঘটনা অপ্রত্যাশিত। মুক্তিযোদ্ধার পরিবারের সার্বক্ষণিক খোঁজখবর নিচ্ছি আমরা। পরিবার থেকে এখনো লিখিত কোন অভিযোগ দেয়া হয়নি। এ ঘটনায় একটা মামলার প্রস্তুতি চলছে।
কুমিল্লার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) আরাফাতুল ইসলাম বলেন, সকলের সম্মানের সাথে বেঁচে থাকার অধিকার রয়েছে। তিনি যদি কোন অপরাধ করে থাকেন আইন অনুযায়ী বিচার হবে। অপরাধীকে জুতার মালা পড়ানো সম্মানহানীর কোন সুযোগ আইনে নাই।
মন্তব্য করুন
ডেস্ক রিপোর্টঃ
ভারতের অভ্যন্তরে মারা যাওয়া রিজাউল করিমের লাশ হস্তান্তর করেছে বিএসএফ।
শনিবার (২৬ অক্টোবর) বেলা ১১টার দিকে নেত্রকোনা ব্যাটালিয়নের (৩১ বিজিবি) মাধ্যমে তার লাশ হস্তান্তর করে বিএসএফ।
রেজাউল করিম শেরপুর জেলার নারায়নপুর গ্রামের আব্দু সাত্তারের ছেলে। তিনি ওষুধ ব্যবসায়ী ছিলেন। তিনি স্বল্পমূল্যে ওষুধ আনার জন্য ওই দিন ভারতের প্রবেশ করার পর রাত ৯টার দিকে সীমান্তে গুলির শব্দ পায় স্থানীয়রা। এরপর রেজাউল করিম আর ফেরত আসেনি।
বিএসএফ সূত্রে জানা যায়, গত বৃহস্পতিবার (২৪ অক্টোবর) সন্ধ্যায় বিজিবির নেত্রকোনা ব্যাটালিয়নের (৩১ বিজিবি) অধীনস্থ মুন্সিপাড়া বিওপির দায়িত্বপূর্ণ ময়মনসিংহের ধোবাউড়া উপজেলার দীগলবাঘ এলাকার সীমান্ত পিলারের নিকট দিয়ে সাতজন বাংলাদেশি নাগরিক কাঁটাতার দিয়ে ভারতের অভ্যন্তরে অনুপ্রবেশ করে। এসময় ১৮১ বিএসএফ ব্যাটালিয়নের দমদমা ক্যাম্পের টহলরত বিএসএফ সদস্যরা তাদের চ্যালেঞ্জ করলে ছয়জন পালাতে সক্ষম হলেও একজন সেখানে একটি কালভার্ট হতে পড়ে গিয়ে মাথায় আঘাতপ্রাপ্ত হয়ে অচেতন হয়ে কালভার্টের পানিতে তলিয়ে যায়।
সূত্র থেকে আরও বলা হয়েছে, তাৎক্ষণিক বিএসএফ সদস্যরা তাকে উদ্ধার করে স্থানীয় প্রাইমারি হেলথ কেয়ার সেন্টারে ভর্তি করে এবং সেখানেই তার মৃত্যু হয়। ভারতে মৃত ব্যক্তির ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়েছে।
শনিবার বেলা ১১টার দিকে নেত্রকোনা ব্যাটালিয়ন (৩১ বিজিবি) এর অধীনস্থ বিজয়পুর বিওপির বিপরীতে ২০০ বিএসএফ ব্যাটালিয়নের বাগমারা এলসি দিয়ে নেত্রকোনা জেলা পুলিশের মাধ্যমে মৃত রিজাউলের পরিবারের সদস্যদের উপস্থিতিতে মরদেহটি হস্তান্তর করে।
রিজাউলের লাশ পাওয়ার পর বাংলাদেশে পুনরায় সুরতহাল ও ময়নাতদন্ত করে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে।
মন্তব্য করুন