কুমিল্লায় সাংবাদিক সাফির উপর হামলাকারি ৪ আসামি জামিনে মুক্তি পেয়েছেন। সাংবাদিক সাফির উপর হামলার ১১ দিন পার হলেও কোতয়ালি থানা পুলিশ কোন আসামিকে গ্রেফতার করতে পারেনি। অথচ স্থানীয় সূত্রমতে, আসামি নিজ বাড়িতে, এলাকাতে অবাধে ঘোরাঘুরি করেছেন। হামলার দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কোতয়ালি থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই)মো: সাইফুল গতকাল ১৪ জুন রাতে আসামিদের বাড়িতে গিয়ে খোজে আসেন।কোতয়ালি থানা পুলিশের এমন আচরণকে রহস্যজনক বলে মন্তব্য করেছেন স্থানীয়রা।
৪ জুন বুধবার দুপুরে কুমিল্লা দুর্গাপুর গোমতির ভেড়িবাঁধ এলাকায় বুড়িচং প্রেস ক্লাবের দপ্তর সম্পাদক সাংবাদিক মো: সাফির উপর হামলা চালিয়েছে মাদককারবারিরা। বুধবার দুপুরে কুরবানির গরু ক্রয় করার জন্য শাফি বাবুবাজার এলাকায় যাচ্ছিলেন। সেখানে আগে থেকে উৎপাতে থাকা দুর্গাপুর এলাকার দুলাল মিয়ার ছেলে জনি, মৃত মনু মিয়ার ছেলে দুলাল মিয়া, মাহাবুব এবং মাহবুবের ছেলে সায়িমসহ অজ্ঞাত ৪-৫ জনের একটি চক্র তার ওপর হামলা চালায়। হামলাকারীরা তাকে পিটিয়ে মারাত্মকভাবে আহত করে। এ সময় তার সঙ্গে থাকা গরু ক্রয়ের দেড় লাখ টাকা ছিনিয়ে নেয়।
৪ জুন রাতে আহত সাফির মা বাদী হয়ে কোতোয়ালি মডেল থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন। কিন্তু রহস্যজনকভাবে ১০ জুন পর্যন্ত অভিযোগ এফআইআর করেনি কোতয়ালি থানা পুলিশ। ওই দিন সাংবাদিকরা এ অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে পরদিন ১১ জুন পুলিশ মামলা হিসেবে অভিযোগটি নেয়। তবে আসামিদের গ্রেফতারের বিষয়ে পুলিশ সব সময় রহস্যজনক ভূমিকা পালন করেছে। আজ ধরবো, কাল ধরবো, ২৪ ঘন্টায় আসামি গ্রেফতার হবে ইত্যাদি বলে সময় কালক্ষেপন করেছেন কোতয়ালি থানা পুলিশ। এমনটাই মনে করছেন কুমিল্লার কর্মরত সাংবাদিকরা।
স্থানীয় সূত্র জানায়, আসামিরা প্রকাশ্যেই এলাকায় ঘোরাঘুরি করেছে। পুলিশ তাদের গ্রেফতার করবে না, এটা তো এলাকায় আলোচিত বিষয় ছিল। তাই হয়েছে। আজ সব আসামি জামিন পেয়েছে।
আহত সাংবাদিক মো: সাফি জানান, গতকাল রাতে মামলার তদন্তকারি কর্মকর্তা এসআই সাইফুল সাহেব আমাদের লোককে ফোন করে আসামির বাড়ির ঠিকানা চেয়েছেন। আজ তো সবাই জামিন পেলেন। আজ আদালতে আসামিরা জামিন পাওয়ার পর এসআই সাইফুল সাহেব আমাকে বললো-আপনার বিরুদ্ধে মামলা দিবে আসামি পক্ষ। একটু সজাগ থাকেন।
কুমিল্লা প্রেসক্লাবের সাংগঠনিক সম্পাদক ইমতিয়াজ আহমেদ জিতু জানান, আমরা অসংখ্যবার পুলিশকে অনুরোধ করেছি, তদন্ত করে আসামিদের আইনের আওতায় আনার জন্য। কিন্তু কোথাও না কোথাও চরম অবহেলা হয়েছে। আসামিদের জামিন নেওয়ার সুযোগ করে দেওয়া হয়েছে, যা দু:খজনক ও লজ্জার বিষয়।আমাদের কাছে আগেই তথ্য ছিল, আসামিরা গ্রেফতার হবে না। এ বিষয়টি আমি ১০ জুন কোতয়ালি থানার সেকেন্ড অফিসার ফারুক সাহেবকে অবহিত করেছি। তিনি আমাদের বলেছিলেন, আজই আসামি গ্রেফতার হবে। কিন্তু দিন শেষে সবই হতাশাজনক।
কুমিল্লা প্রেসক্লাবের সভাপতি কাজী এনামুল হক ফারুক জানান, আসামিদের এতদিনেও গ্রেফতার করতে না পারাটা চরম ব্যর্থতার শামিল। খুবই দু:খজনক বিষয়টি।
কোতয়ালি থানার সেকেন্ড অফিসার ফারুক জানান, আমরা চেষ্টা করেছি আসামি গ্রেফতার করার জন্য ।
কোতয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহিনুল ইসলাম জানান, আসামি গ্রেফতার জন্য আমার চেষ্টার ত্রুটি ছিল না।
কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মহিনুল ইসলাম জানান, হামলার পর পরই পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। আসামিদের গ্রেফতার করতে পুলিশ কাজ করছে।
মন্তব্য করুন
ডেস্ক রিপোর্ট:
বান্দরবানের রুমা উপজেলায় সেনাবাহিনীর সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে কুকি-চিন ন্যাশনাল আর্মির (কেএনএ) তিন সদস্য নিহত হয়েছে। এ সময় ঘটনাস্থল থেকে বিপুল পরিমাণ অস্ত্র ও সরঞ্জামাদি উদ্ধার করা হয়েছে।
আজ রবিবার আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
আইএসপিআর জানিয়েছে, রুমা উপজেলার গভীর জঙ্গলে কেএনএ-র একটি গোপন আস্তানার সন্ধান পায় সেনাবাহিনী। এরপর অভিযান চালালে দুই পক্ষের মধ্যে বন্দুকযুদ্ধ শুরু হয়, যার ফলে কেএনএ-র তিন সন্ত্রাসী নিহত হয়। সেনাবাহিনীর এই অভিযান এখনো চলমান রয়েছে।
প্রসঙ্গত, ২০২২ সালের এপ্রিলে কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট (কেএনএফ) বান্দরবানে আত্মপ্রকাশ করে। জানা যায়, কেএনএফ-এর সামরিক শাখা কেএনএ-এর শতাধিক সদস্য তিন বছর আগে মিয়ানমারের কাচিন প্রদেশে গেরিলা প্রশিক্ষণ গ্রহণ করে।
২০২১ সালে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত একটি দল ফিরে আসে এবং এই দলটি পাহাড়ি এলাকায় অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টির চেষ্টা করছে বলে অভিযোগ রয়েছে।
মন্তব্য করুন
ডেস্ক রিপোর্টঃ
শৃঙ্খলার সঙ্গে না বসার কারণে এবার রাজশাহীর সারদায় পুলিশ একাডেমিতে ৪০তম ক্যাডেট–২০২৩ ব্যাচে প্রশিক্ষণরত অর্ধশতাধিক ক্যাডেট উপপরিদর্শকে (এসআই) কাছে কারণ দর্শানোর নোটিশ (শোকজ) দেওয়া হয়েছে। গত সোমবার ও বৃহস্পতিবার তাদের নোটিশ দেওয়া হয়।
প্রশিক্ষণ মাঠে নাশতা নিয়ে হইচই করার কারণে সম্প্রতি একই ব্যাচের ৭০৪ জন প্রশিক্ষণার্থীর মধ্যে ২৫২ জনকে শোকজ করা হয়েছিল। জবাব সন্তোষজনক না হওয়ায় তাদের চাকরি থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।
একাডেমি সূত্র জানায়, গত সোমবার ওই ব্যাচের ১০ জন এসআইকে দ্বিতীয় দফায় শোকজ করা হয়। এরপর ২৪ অক্টোবর তৃতীয় দফায় আরও ৪৯ জনকে শোকজ করা হয়। তিন দিনের মধ্যে তাদের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
২৪ অক্টোবর প্রশিক্ষণরত এক এসআইকে দেওয়া শোকজ নোটিশে বলা হয়, গত ২১ আগস্ট সন্ধ্যা ৭টা থেকে রাত সাড়ে ৮টা পর্যন্ত চেমনি মেমোরিয়াল হলে আইনের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ধারার ওপর প্রশিক্ষণরত ক্যাডেট এসআইদের ক্লাস ছিল। প্রশিক্ষণ চলাকালে পরিদর্শক পদমর্যাদার চারজন প্রশিক্ষক দেখতে পান, সিটে বসার সময় ওই এসআই শৃঙ্খলার সঙ্গে না বসে এলোমেলোভাবে বসে হইচই করে বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি করেছেন। একজন প্রশিক্ষক বারবার শৃঙ্খলার সঙ্গে বসতে বললেও তিনি নির্দেশ অমান্য ও কর্ণপাত না করে বসা নিয়ে হইচই করতে থাকেন।
নোটিশে আরও বলা হয়, পাঠদান চলাকালে এই এসআইয়ের ক্লাসে কোনো মনোযোগ ছিল না এবং পাশাপাশি বসে কথা বলছিলেন। এ জন্য একজন প্রশিক্ষক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে একাডেমির অধ্যক্ষের কাছে লিখিত প্রতিবেদন দাখিল করেছেন। তাই বিধি অনুযায়ী কেন তাকে চলমান মৌলিক প্রশিক্ষণ হতে অব্যাহতি দেওয়া হবে না, তা কৈফিয়ত তলবনামা প্রাপ্তির পরবর্তী তিন দিনের মধ্যে ওই এসআইকে দাখিলের জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়।
এ বিষয়ে কথা বলতে চাইলেও পুলিশ একাডেমির পক্ষ থেকে কেউ কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।
মন্তব্য করুন
স্টাফ রিপোর্টারঃ
পূর্বমধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় সৃষ্ট নিম্নচাপটি ঘূর্ণিঝড় ‘দানা’ এ পরিণত হয়েছে। এর প্রভাবে দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কারণে নোয়াখালীর দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ার সঙ্গে জেলা সদরসহ সারা দেশের নৌ যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে।
বুধবার (২৩ অক্টোবর) দুপুর ২টা থেকে উপজেলা প্রশাসনের নির্দেশে সব ধরনের নৌযান চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করেন হাতিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মিল্টন চাকমা। তিনি বলেন, ৩ নম্বর হুশিয়ারি সংকেত চলার সাথে সাথে নৌ যোগাযোগ বন্ধ রাখতে বলা আছে। একই সাথে মাছ ধরার নৌকাগুলোকে সতর্কতার সঙ্গে চলতে বলা হয়েছে।
অপরদিকে, ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে বুধবার ভোর থেকে নোয়াখালীর বিভিন্ন এলাকায় হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টিপাত শুরু হয়। তবে বেলা বাড়ার সাথে সাথে বৃষ্টিপাত কিছুটা বেড়েছে।
জেলা আবহাওয়া অফিসের উচ্চ পর্যবেক্ষক আরজুল ইসলাম জানান, গত ২৪ ঘন্টায় জেলাতে ২০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। তবে ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ কিছুটা বাড়তে পারে। এ কারণে ৩ নম্বর দূরবর্তী হুঁশিয়ারি সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
এদিকে সকাল থেকে বৃষ্টির পরিমাণ বৃদ্ধি পাওয়ায় গত বন্যায় বিভিন্ন সড়কে যে খাদাখন্দের সৃষ্টি হয়েছে সেগুলোতে পানি জমে গেছে। এছাড়াও কিছু নিচু এলাকায় সাময়িক জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। হঠাৎ বৃষ্টির কারণে বিপাকে পড়েছে খেটে খাওয়া মানুষজন।
মন্তব্য করুন
ডেস্ক রিপোর্টঃ
ভারতের অভ্যন্তরে মারা যাওয়া রিজাউল করিমের লাশ হস্তান্তর করেছে বিএসএফ।
শনিবার (২৬ অক্টোবর) বেলা ১১টার দিকে নেত্রকোনা ব্যাটালিয়নের (৩১ বিজিবি) মাধ্যমে তার লাশ হস্তান্তর করে বিএসএফ।
রেজাউল করিম শেরপুর জেলার নারায়নপুর গ্রামের আব্দু সাত্তারের ছেলে। তিনি ওষুধ ব্যবসায়ী ছিলেন। তিনি স্বল্পমূল্যে ওষুধ আনার জন্য ওই দিন ভারতের প্রবেশ করার পর রাত ৯টার দিকে সীমান্তে গুলির শব্দ পায় স্থানীয়রা। এরপর রেজাউল করিম আর ফেরত আসেনি।
বিএসএফ সূত্রে জানা যায়, গত বৃহস্পতিবার (২৪ অক্টোবর) সন্ধ্যায় বিজিবির নেত্রকোনা ব্যাটালিয়নের (৩১ বিজিবি) অধীনস্থ মুন্সিপাড়া বিওপির দায়িত্বপূর্ণ ময়মনসিংহের ধোবাউড়া উপজেলার দীগলবাঘ এলাকার সীমান্ত পিলারের নিকট দিয়ে সাতজন বাংলাদেশি নাগরিক কাঁটাতার দিয়ে ভারতের অভ্যন্তরে অনুপ্রবেশ করে। এসময় ১৮১ বিএসএফ ব্যাটালিয়নের দমদমা ক্যাম্পের টহলরত বিএসএফ সদস্যরা তাদের চ্যালেঞ্জ করলে ছয়জন পালাতে সক্ষম হলেও একজন সেখানে একটি কালভার্ট হতে পড়ে গিয়ে মাথায় আঘাতপ্রাপ্ত হয়ে অচেতন হয়ে কালভার্টের পানিতে তলিয়ে যায়।
সূত্র থেকে আরও বলা হয়েছে, তাৎক্ষণিক বিএসএফ সদস্যরা তাকে উদ্ধার করে স্থানীয় প্রাইমারি হেলথ কেয়ার সেন্টারে ভর্তি করে এবং সেখানেই তার মৃত্যু হয়। ভারতে মৃত ব্যক্তির ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়েছে।
শনিবার বেলা ১১টার দিকে নেত্রকোনা ব্যাটালিয়ন (৩১ বিজিবি) এর অধীনস্থ বিজয়পুর বিওপির বিপরীতে ২০০ বিএসএফ ব্যাটালিয়নের বাগমারা এলসি দিয়ে নেত্রকোনা জেলা পুলিশের মাধ্যমে মৃত রিজাউলের পরিবারের সদস্যদের উপস্থিতিতে মরদেহটি হস্তান্তর করে।
রিজাউলের লাশ পাওয়ার পর বাংলাদেশে পুনরায় সুরতহাল ও ময়নাতদন্ত করে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে।
মন্তব্য করুন
চাঁদপুর নৌরুটে শরিয়তপুর, ভোলা, বরিশাল, নারায়ণগঞ্জ ও ঢাকাগামী লঞ্চ চলাচল প্রায় ৬০ ঘণ্টা ধরে বন্ধ থাকার পর স্বাভাবিক হয়েছে। ঘূর্ণিঝড় মোখার প্রভাবে সৃষ্ট বৈরী আবহাওয়ার কারণে শুক্রবার রাত ১০টা ১৫ মিনিট থেকে বন্ধ থাকার পর সোমবার (১৫ মে) সকাল ৯টার দিকে পুনরায় লঞ্চ চলাচল স্বাভাবিক হয়।
বিষয়টি ঢাকা পোস্টকে নিশ্চিত করেছেন চাঁদপুর নদী বন্দরের নৌনিরাপত্তা ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা বিভাগ এবং বন্দর ও পরিবহন বিভাগের ভারপ্রাপ্ত উপপরিচালক শাহাদাত হোসেন।
তিনি ঢাকা পোস্টকে বলেন, বঙ্গোপসাগরের ঘূর্ণিঝড় মোখা বাংলাদেশের উপকূল অতিক্রম করে যাওয়া এবং আবহাওয়া সংক্রান্ত প্রতিকূল পরিস্থিতি পূর্বের তুলনায় স্বাভাবিক হওয়ায় বিআইডব্লিউটিএ এর চেয়ারম্যানের নির্দেশনা মোতাবেক প্রায় ৬০ ঘণ্টা পর আজ সোমবার সকাল ৯টা ১৫ মিনিট থেকে পুনরায় ঢাকা-চাঁদপুর, চাঁদপুর-নারায়ণগঞ্জসহ চাঁদপুর নৌপথের লঞ্চসহ সকল ধরনের নৌযান চলাচল পুনরায় শুরু করার ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।
আনোয়ারুল হক/এবিএস
মন্তব্য করুন
স্টাফ রিপোর্টার:
৬ষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের ৩য় ধাপের আওতাধীন গোসাইরহাট উপজেলা নির্বাচনে ২ জন প্রার্থীর তথ্য গোপন করে মনোনয়নপত্র বৈধতা পাওয়ার অভিযোগ উঠেছে।
গত ৫ মে গোসাইরহাট উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র যাচাই বাছাই অনুষ্ঠিত হয়। অভিযোগ উঠেছে যে, সেখানে নির্বাচনী বিধিমোতাবেক ২ জন চেয়ারম্যান প্রার্থী তাদের মনোনয়নপত্রের সাথে দাখিলকৃত হলফনামায় তাদের মামলা সংক্রান্ত
উধরষু ইধহমষধফবংয গরৎৎড়ৎ
কোনো সঠিক তথ্য উপস্থাপন করেন নাই। তারপরও কর্তৃপক্ষ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন ২০২৪ চেয়ারম্যান প্রার্থী মোশারফ হোসেন এবং জাকির হোসেন দুলালের মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা করেন।
স্থানীয় একাধিক সূত্র জানায়, চেয়ারম্যান প্রার্থী মোশারফ হোসেন তার হলফনামায় একাধিক মামলার তথ্য গোপন করেছেন। যেমন, ২০০২ সালের মোহাম্মদপুর থানাতে দন্ড বিধি ৩০২/৩৪ অনুযায়ী মামলা নং-৩৯/২০০২ , ২য় মামলা ২০০৬ সালের তেজগাঁও থানাতে অস্ত্র আইনের ধারা ১৯ (ক) অনুযায়ী জি আর নং-৭৯৮/২০০৬, ৩য় মামলা ২০০৪ সালের মিরপুর থানাতে দন্ড বিধি ৩৪১/৩২৩/৩৭৯/৫০৬ দন্ড বিধি অনুযায়ী জি আর নং- ৮২/২০০৪, চতুর্থ মামলা ২০০৪ সালের সবুজবাগ থানাতে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন এর ৯(৩) ধার অনুযায়ী জি আর নং-৪০২/২০০৪ সহ আরো অনেক মামলা তিনি গোপন করেছেন।
অপর প্রার্থী জাকির হোসেন দুলাল তার হলফনামায় নিম্নের মামলার তথ্য গোপন করেছেন। ২০১৯ সালের গোসাইরহাট থানাতে বিস্ফোরক দ্রব্য আইনের ৩ (এ) অনুযায়ী এফআইআর -০৭/৩৫ ।
এই মামলাগুলো ছাড়াও এই ২ জন প্রার্থীর বিরুদ্ধে আরও একাধিক মামলা সংক্রান্ত সত্যতা পাওয়া গিয়েছে। মোশারফ হোসেন ও জাকির হোসেন দুলাল এর এতগুলো মামলা থাকা সত্ত্বেও তারা তাদের হলফনামায় ইচ্ছাকৃত মামলার তথ্য গোপন করেছেন, যা উপজেলা পরিষদ নির্বাচন বিধিমালা, ২০১৩ এর বিধি ১৭ এর উপ-বিধি (৩) দফা (ঙ) এর পরিপন্থি।
যেহেতু উপজেলা পরিষদ নির্বাচন বিধিমালা, ২০১৩ এর বিধি ১৭ এর উপ-বিধি (৩) এর দফা (ঙ) অনুযায়ী মনোনয়নপদত্রর সাথে হলফনামা দাখিলের বিধান রয়েছে এবং মোশারফ হোসেন ও জাকির হোসেন দুলাল তাদের হলফনামায় অসম্পূর্ণ তথ্য প্রদান করেছেন বিধায়, উপজেলা পরিষদ নির্বাচন বিধিমালা, ২০১৩ এর বিধি ১৭ এর উপ-বিধি (৩) এর দফা (ঙ) অনুযায়ী তাদের মনোনয়নপত্র অবৈধ হওয়ার কথা।
এই ঘটনা বাইরে প্রকাশের পর নির্বাচনী এলাকা গোসাইরহাটে ভোটার ও অন্যান্য চেয়ারম্যান প্রার্থীদের মধ্যে ব্যাপক সমালোচনা ও উদ্বেগের সৃষ্টি হয়েছে।
গোসাইরহাট উপজেলার ভোটার দেলোয়ার হোসেন ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, “নির্বাচিত হওয়ার আগেই তারা অবৈধ, তাদের কাছ থেকে কিভাবে গোসাইরহাটবাসীর উন্নয়ন হবে!?” আরো একজন ভোটার আল-আমিন বলেন, “এতগুলো মামলায় অভিযুক্ত প্রার্থীদের মনোনয়ন অতিসত্ত্বর বাতিল করা হোক ও যোগ্য প্রার্থীদের নিয়েই সুষ্ঠ ভোট অনুষ্ঠিত হোক”। এছাড়াও সাধারণ মানুষের আলোচনায় সুষ্ঠ ভোট না হওয়ার আশংকা প্রকট হচ্ছে।
গোসাইরহাট উপজেলা পরিষদের একজন চেয়ারম্যান প্রার্থী প্রশ্ন করেন,”আমার হলফনামায় মাত্র ১টি নিষ্পত্তিকৃত মামলার তথ্য না দেওয়াতে, নির্বাচন কমিশনার আমার মনোনয়নপত্রটি স্থগিত করলেন, অথচ মোশারফ হোসেন ও জাকির হোসেন দুলাল এতগুলো মামলার তথ্য গোপন করেও কিভাবে তাদের মনোনয়নপত্র বৈধতা পায়? ” তিনি আরো বলেন, “আমি আশা করি আগামী আপিল শুনানীর দিনে, নির্বাচন কর্মকর্তা সঠিক সিদ্ধান্ত নিবেন এবং অবাধ ও নিরপেক্ষ একটি ভোট উপহার দিবেন”
উল্লেখ্য, গোসাইরহাট উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের মনোনয়ন বৈধতার আপীলের শুনানী আগামী ১১ মে অনুষ্ঠিত হবে। সাধারণ ভোটার ও সকল প্রার্থী ১১ মে নির্বাচন কমিশনার থেকে সঠিক সিদ্ধান্তের আশায় থাকবে।
মন্তব্য করুন
কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে অটো মিশুক চালক সৈকত হত্যার ঘটনা জড়িত অন্যতম আসামি তুহিন মজুমদারকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-১১ সিপিসি-২ সদস্যরা।
গ্রেফতার হওয়া তুহিন মজুমদার চৌদ্দগ্রাম উপজেলার বসন্তপুর গ্রামের বাবুল মজুমদারের ছেলে। ৭ আগস্ট রাতে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
গত ০৩ জুলাই রাতে চৌদ্দগ্রাম উপজেলার মুন্সীরহাট ইউনিয়নের বাহেরগড়া এলাকার নাঙ্গলিয়া খাল পাড়ে সৈকত (১৯) নামে এক অটোমিশুক চালক নৃশংসভাবে খুন হয়।
প্রাথমিকভাবে জানা যায়, ভিকটিম তাফরুল ইসলাম সৈকত (১৯) অটো মিশুক চালানোর উদ্দেশ্যে গত ০২ জুলাই বিকাল ৫ টায় বাড়ী থেকে বের হয়। রাত ১১ টা অতিবাহিত হওয়ার পরও সৈকত বাড়ীতে না ফেরায় তার পরিবার তাকে বিভিন্ন স্থানে খোজ করতে থাকে। পরবর্তীতে বিকাল সাড়ে ৫ টায় চৌদ্দগ্রামের মুন্সীরহাট ইউনিয়নের বাহেরগড়া এলাকার নাঙ্গলিয়া খাল পাড়ে ভিকটিম সৈকত (১৯) এর লাশ পাওয়া যায়।
উক্ত ঘটনায় ভিকটিমের বাবা বাদী হয়ে চৌদ্দগ্রাম থানায় অজ্ঞাতনামা আসামীদের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন, যার মামলা নং-০৭। উক্ত ঘটনার সাথে জড়িতদের দ্রুত সময়ের মধ্যে আইনের আওতায় নিয়ে আসতে র্যাব গোয়েন্দা নজরদারী বৃদ্ধি ও ছায়াতদন্ত শুরু করে।
গোয়েন্দা নজরদারী ও ছায়াতদন্তে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে উক্ত ঘটনার সাথে জড়িত অন্যতম আসামী তুহিন মজুমদার (৩২) এর অবস্থান চৌদ্দগ্রাম থানা এলাকায় শনাক্ত করা হয়। পরবর্তীতে গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে ও তথ্য-প্রযুক্তির সহায়তায় ০৭ আগষ্ট রাতে র্যাবের অভিযানে চৌদ্দগ্রাম থানাধীন বসন্তপুর এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে উক্ত হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত অন্যতম আসামী তুহিন মজুমদারকে (৩২) গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃত আসামীকে জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, গ্রেফতারকৃত আসামী সহ অন্যান্য আসামীদের সাথে ভিকটিমের সু-সম্পর্ক ছিল। সে সূত্র ধরে গত ০১ জুলাই রাতে গ্রেফতারকৃত আসামী সহ তার অন্যান্য সহযোগী আসামীরা একত্রে মিলিত হয়ে ভিকটিমকে হত্যা করে তার অটো মিশুকটি ছিনিয়ে নেওয়ার পরিকল্পনা করে। তারই ধারাবাহিকতায় ঘটনার দিন ০২ জুলাই রাত ১১ টায় আসামীরা অটো মিশুকসহ ভিকটিমকে নিয়ে চৌদ্দগ্রাম থানাধীন মুন্সীরহাট ইউনিয়নের বাহেরগড়া এলাকার নাঙ্গলিয়া খাল এলাকায় গিয়ে সবাই মিলে বসে গল্প করে। এক পর্যায়ে পূর্ব পরিকল্পনা মোতাবেক গ্রেফতারকৃত আসামীর নির্দেশে ঘটনাস্থলের পাশে লুকিয়ে রাখা চাপাতি দিয়ে অন্যান্য আসামীরা ভিকটিমকে কুপিয়ে হত্য করে ভিকটিমের মৃত্যু নিশ্চিত করে ভিকটিমের কাছে থাকা নগদ টাকা, মোবাইল এবং অটো মিশুকটি নিয়ে লাশ খালে ফেলে দিয়ে পালিয়ে যায়।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃত আসামী উক্ত হত্যাকান্ডের সাথে তার সম্পৃক্ততার বিষয়ে তথ্য প্রদান করে।
গ্রেফতারকৃতের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য চৌদ্দগ্রাম থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
র্যাব-১১, সিপিসি ২ এর কোম্পানি কমান্ডার মেজর সাদমান ইবনে আলম অভিযানের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
মন্তব্য করুন
কুমিল্লা নগরীতে ৫ আগস্ট আইনজীবী আবুল কালাম আজাদ হত্যা মামলায় উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে ৫ নং ওয়ার্ড বিএনপির সাবেক আহবায়ক ইশতিয়াক সরকার বিপুকে জড়ানো হয়েছে।
রবিবার ( ১০ আগষ্ট) সকালে কুমিল্লা প্রেস ক্লাব মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলন করে এ কথা বলেন ৫ নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি ইমতিয়াজ সরকার নিপু।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, আমার ছোট ভাই ইসতিয়াক সরকার বিপু ছাত্রজীবন থেকেই বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের রাজনীতিতে সক্রিয়। ১৯৮৯ সাল থেকে সে ছাত্রদলের একজন সক্রিয় কর্মী। ১৯৯০ সালের স্বৈরাচার এরশাদ বিরোধী গণঅভ্যুত্থানে ছাত্রদল কর্মী হিসেবে সক্রিয় ভূমিকা পালন করে। এরই ধারাবাহিকতায় পরবর্তীতে ২০১৭ সালে কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা যুবদলের সহ-সভাপতি নির্বাচিত হয়। বিগত ফ্যাসিস্ট আওয়ামীলীগ সরকারের সময় বেশ কয়েকবার তাদের দ্বারা হামলা ও মামলার শিকার হয়। ২০১৮ সালের আওয়ামী লীগের দেয়া দুইটি মিথ্যা মামলায় কারাবরণ করে। দুঃখের বিষয় গণঅভ্যুথানের পরেও বর্তমান সময়ে সেই মামলাগুলো এখনো চলমান রয়েছে।
ফ্যাসিস্ট হাসিনার বিদায়ের পর ইসতিয়াক সরকার বিপু ৫নং ওয়ার্ড বিএনপির আহ্বায়ক নির্বাচিত হয়। সাথে সাথে শুরু হয় রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র। এরপরের ঘটনা আপনারা সকলেই অবগত আছেন। সম্ভাব্য কাউন্সিলর নির্বাচন ও ৫ নং ওয়ার্ড বিএনপিতে নিজেকে উপস্থাপন করার সাথে সাথেই নানামুখী ষড়যন্ত্র চলতে থাকে। এতে আওয়ামীলীগের পতিত নেতাকর্মীরাও নিজেদের শত্রুদের সাথে সখ্যতা ও হাত মেলায়। তাদের প্রতিপক্ষতা ও হিংসা এমন পর্যায়ে পৌঁছায় যে, ৫ আগস্ট আইনজীবী আবুল কালাম আজাদ হত্যায় ষড়যন্ত্রমূলকভাবে তাকে জড়াতে নানাহ আইনী জটিলতা চালায়। ইতিমধ্যে আমরা জানতে পেরেছি এমন কূটকৌশল ও আইনি জটিলতা তারা চূড়ান্ত করে ফেলেছে। নিজেদের দলের একজন ত্যাগী কর্মীকে ফাঁসাতে এমন জঘন্য অপকর্ম করতেও তারা পিছপা হয়নি।
অথচ ৫ আগস্ট ফ্যাসিস্ট হাসিনার পতনের পর দুপুরে ইসতিয়াক সরকার বিপু মোগলটুলি এলাকা থেকে বিজয় মিছিল নিয়ে পূবালী চত্বরে যায়। এরপর পুলিশের ফোনে খবর পায় কুমিল্লা কোতয়ালি থানায় হামলা হতে পারে। তখন বিকেল বেলা সে তার নেতাকর্মীদেরকে নিয়ে কুমিল্লা কোতোয়ালি থানায় উপস্থিত হয় এবং অবস্থান নেয়। ওই সময়ে থানায় উপস্থিত পুলিশ সদস্যগণ তাঁদের নিরাপত্তার জন্য অনুরোধ জানায়। এসময় কোতয়ালী থানায় আরো উপস্থিত ছিলেন কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা বিএনপির সদস্য সচিব আশিকুর রহমান মাহমুদ ওয়াসিম, বিএনপি নেতা নিজাম উদ্দিন কায়সার ও সাবেক কাউন্সিলর গোলাম কিবরিয়াসহ মহানগর ও ৫নং ওয়ার্ড বিএনপির নেতৃবৃন্দ ও ছাত্র জনতা । উপস্থিত নেতৃবৃন্দ থানায় মাইকে বক্তব্য রাখেন, যার ভিডিও ফুটেজ কোতয়ালি থানার সিসিটিভি ক্যামেরায় ও বিভিন্ন কর্মীদের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এখনো রয়েছে। রাতে যখন বিপু এলাকায় ফিরে আসেন তখন জানতে পারেন আইনজীবী আবুল কালাম গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। একই ব্যক্তি একই সময়ে পৃথক দুইটি ঘটনায় উপস্থিত থাকতে পারেন না।
আইনজীবি আবুল কালাম আজাদ হত্যার ঘটনাটি জঘন্যতম অপরাধ। তিনি বিএনপি ঘরানার আইনজীবী ছিলেন। আমরা তাঁর পরিবারের প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন করছি এবং এই হত্যাকান্ডের সুষ্ঠু বিচারের দাবী জানাচ্ছি। যারা এই হত্যা কান্ডটি সংঘটিত করে তারা আওয়ামীলীগের রাজনীতির সাথে জড়িত। হত্যার সময়ের সিসিটিভি ফুটেজ ও প্রত্যক্ষদর্শীদের মোবাইলে ধারণকৃত ফুটেজ অবশ্যই পুলিশের কাছে আছে, পুলিশ তা জানেও। ওই ফুটেজ সমূহ যাচাই-বাছাই করলে হত্যার সময় বিপু এই ঘটনায় ছিল না বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ার পরও ষড়যন্ত্র থেমে নেই ।
মামলায় ইসতিয়াক সরকার বিপু স্বাভাবিকভাবেই আসামির তালিকায় ছিল না, থাকবার কথাও নয়। কিন্তু পরে রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রে বিপুকে জড়িত করতে উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়। যে ১৬৪ ধারার জবানবন্দিতে বিপুর নামটি জড়ায় সেও আইনজীবী হত্যা মামলার এজাহার নামীয় আসামি নয়। পরবর্তীতে অন্য মামলায় তাকে গ্রেফতার করা হলে তাকে এবং তার পরিবারকে বুঝানো হয় তার গ্রেফতারের সাথে বিপুর সম্পর্ক রয়েছে। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে সে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দিতে বিপুকে জড়িয়ে বক্তব্য দেয়। ওই ১৬৪ ধারায় জবানবন্দিতে বিপু তাকে গ্রেপ্তার করিয়ে দিয়েছে বলেও বক্তব্য দেয়। শুধু তাই নয় এই মামলায় ৫নং ওয়ার্ডের আরো কয়েকজন নিরপরাধ মানুষকে জড়ানোর চেষ্টা চূড়ান্ত করা হয়েছে ।
পরবর্তীতে এই ষড়যন্ত্র আরো শক্তিশালী করতে আরও আইনী জটিলতা তৈরি করা হচ্ছে বলেও আমরা জানতে পেরেছি। আমরা এই কুচক্র, অপপ্রচার ও ষড়যন্ত্রের তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি।
আমরা গত কিছুদিন আগে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি ভিডিও ভাইরাল হতে দেখেছি। যেখানে “ফেইস দ্যা পিপল”এর সাংবাদিক সাইফুর রহমান সাগর এই হত্যা মামলার বাদীকে প্রশ্ন করেন ইসতিয়াক সরকার বিপু নামে কাউকে চিনেন কিনা! এবং বাদী সঙ্গে সঙ্গেই উত্তর দেন “না আমি ওই নামের কাউকে চিনি না তদুপরি নামটি আমি এই প্রথম আপনার মুখেই শুনলাম”।
পরিশেষে আমরা বলতে চাই, আইনজীবী আবুল কালাম আজাদ হত্যার ঘটনাটি একটি জঘন্যতম অপরাধ। ওই হত্যার সুষ্ঠু বিচার হোক আমরাও চাই। তবে রাজনৈতিক দ্বন্দ্বে মিথ্যা ও উদ্দেশ্য প্রণোদিত ভাবে ইসতিয়াক সরকার বিপুকে জড়ানো হচ্ছে, শুধুমাত্র ফাঁসাতে। আমরা এর প্রতিবাদ জানাচ্ছি। পুলিশ ও এলাকার মানুষ সব সত্য জানে। তাই সাংবাদিকদের মাধ্যমে আমরা ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে সত্য জানাতে ও হয়রানির হাত থেকে রক্ষা পেতে এবং সুবিচার দাবি করছি।
মন্তব্য করুন
ডেস্ক রিপোর্টঃ
নোয়াখালীর সদর উপজেলায় সেপটিক ট্যাংক থেকে এক ব্যাটারি চালিত অটোরিকশা চালকের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
সোমবার (৯ ডিসেম্বর) দুপুরের দিকে উপজেলার কালাদরাপ ইউনিয়নের ৩নম্বর ওয়ার্ডের চুলডগি এলাকার জামালের বাড়ির বাথরুমের সেপটি ট্যাংকি থেকে এই মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
নিহত মো.রবিন হোসেন (১৬) একই ইউনিয়নের ৮নম্বর ওয়ার্ডের রাজহরিতালুক গ্রামের মাকু মিয়া সওদাগর বাড়ির মো.ইউনূসের ছেলে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, রবিন পেশায় একজন ব্যাটারি চালিত অটোরিকশা চালক ছিলেন। সে তার সৎমা রুনা আক্তারের সাথে একই বাড়িতে বসবাস করত। নভেম্বর মাসে তার বাবা ঢাকা যাওয়ার সময় তার অটোরিকশা ছেলেকে চালাতে দিয়ে যান। গত ৩ ডিসেম্বর সন্ধ্যার দিকে উপজেলার কালাদরাপ ইউনিয়নের ডিবি রোড থেকে অটোরিকশাসহ নিখোঁজ হন রবিন। পরে পরিবারের সদস্যরা জানতে পারে ওই দিন সন্ধ্যার দিকে একই গ্রামের জুয়েল (২৬) সহ অজ্ঞাত কয়েকজন লোককে স্থানীয়রা তার সাথে মোবাইল নিয়ে ধস্তাধস্তি করতে দেখেন। এ বিষয়ে জুয়েলকে রবিনের বিষয়ে জিজ্ঞাসা করলে তিনি এলামেলো কথাবার্তা বলেন। পরে জুয়েলকে স্থানীয়রা মারধর করে পুলিশে সোপর্দ করে। নিখোঁজের ৬দিন পর সোমবার সকালে স্থানীয় লোকজন বাথরুমের সেপটি ট্যাংকে তার মরদেহ দেখতে পেয়ে পুলিশে খবর দেয়।
সুধারাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামরুল ইসলাম বলেন, গলায় কাপড় পেঁচিয়ে রবিনকে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় নিহতের সৎমা ৫ ডিসেম্বর প্রথমে থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। পরে পুলিশ ভিকটিমকে না পেয়ে সেটিকে অপহরণ মামলা হিসেবে রুজু করে। এর পর পরই ভিকটিমের মোবাইলের সূত্র ধরে দুজনকে আটক করা করা হয়। তারা ভিকটিমের মোবাইল ব্যবহার করছিল।
ওসি কামরুল ইসলাম আরও বলেন, আজ সকালে বাথরুমের সেপটি ট্যাংকির সামনে গিয়ে একটি কুকুর ঘেউ ঘেউ করতে থাকে। পরবর্তীতে স্থানীয়রা এসে বাথরুমের সেপটি ট্যাংকের স্ল্যাবের মুখ খুললে রবিনের মরদেহ দেখতে পায়।
মন্তব্য করুন
ডেস্ক রিপোর্টঃ
সারাদেশে আজ বুধবার রাতের মধ্যে ১৮ জেলায় সর্বোচ্চ ৬০ কিলোমিটার বেগে ঝড় হতে পারে। একইসঙ্গে এসব জেলায় বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। আজ রাত ১টা পর্যন্ত দেশের নদীবন্দরের জন্য দেওয়া পূর্বাভাসে এসব তথ্য জানিয়েছেন আবহাওয়া অধিদপ্তর।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ শাহানাজ সুলতানা জানিয়েছেন, রাত ১টার মধ্যে রংপুর, রাজশাহী, পাবনা, বগুড়া, টাঙ্গাইল, ময়মনসিংহ, যশোর, খুলনা, বরিশাল, পটুয়াখালী, নোয়াখালী, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, ঢাকা, ফরিদপুর, মাদারীপুর ও সিলেটের ওপর দিয়ে দক্ষিণ-পশ্চিম অথবা পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫ থেকে ৬০ কিলোমিটার বেগে অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এসব এলাকার নদীবন্দরগুলোকে ১ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
এদিকে, বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত ঘূর্ণিঝড় ‘দানা’ আরও পশ্চিম-উত্তরপশ্চিম দিকে অগ্রসর ও ঘনীভূত হয়েছে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। আজ আবহাওয়া অধিদপ্তরের ৫ নম্বর বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এ বিষয়ে আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ আবদুর রহমান বলেন, পূর্বমধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত ঘূর্ণিঝড় ‘দানা’ আরও পশ্চিম-উত্তরপশ্চিম দিকে অগ্রসর ও ঘনীভূত হয়ে একই এলাকায় (১৬.৭° উত্তর অক্ষাংশ এবং ৮৯.৪° পূর্ব দ্রাঘিমাংশ) অবস্থান করছে। এটি বুধবার দুপুর ১২টায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ৬৬৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ৬০০ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিমে, মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ৬৪০ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণপূর্বে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ৫৯৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণপূর্বে অবস্থান করছিল। ঘূর্ণিঝড়টি আরও পশ্চিম-উত্তরপশ্চিম দিকে অগ্রসর ও ঘনীভূত হতে পারে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, বর্তমানে ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৫৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৬২ কিলোমিটার, যা দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়ার আকারে ঘণ্টায় ৮৮ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। সেই সঙ্গে ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের নিকটবর্তী এলাকায় সাগর খুবই উত্তাল রয়েছে।
এমন অবস্থায় চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ২ নম্বর দূরবর্তী হুঁশিয়ারি সংকেত নামিয়ে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। সেই সঙ্গে উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারগুলোকে দ্রুত নিরাপদ আশ্রয়ে সরে যেতে বলেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
মন্তব্য করুন