বর্ণাঢ্য আয়োজনের মধ্য দিয়ে সারাদেশের মতো কুমিল্লায়ও কাব কার্নিভাল ২০২৫ উদযাপিত হয়েছে।
সোমবার কুমিল্লা নগরীর হোচ্ছামিয়া উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে উদযাপিত কার্নিভালে প্রধান অতিথি ছিলেন কুমিল্লা আদর্শ সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা ফাতেমা তুজ জোহরা। সভাপতিত্ব করেন কুমিল্লা আদর্শ সদর উপজেলা শিক্ষা অফিসার মোঃ আবদুল্লাহ আল মামুন।
অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন,কাব উপজেলা কমিশনার মোঃ নজরুল ইসলাম,কাব উপজেলা কোষাধ্যক্ষ মোঃ জাহাঙ্গীর আলম, সুভাষ বীর।এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন কাব লিডার ফাহমিদা আক্তার, হোচ্ছামিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিক খোদেজা বেগম। অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন মোঃ সাইফুল ইসলাম।
মহারাজা সেজে পুরো অনুষ্ঠানটিকে প্রাণবন্ত করে রাখেন শান্তনু পাল। এসময় মহারাজা তার প্রধান সেনাপতিতে সাথে নিয়ে অনুষ্ঠানস্থল ঘুরে ঘুরে দেখেন।
কার্নিভালে কুমিল্লা আদর্শ সদর উপজেলার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কাব সদস্যরা অংশ নেয়। দিনব্যাপী অনুষ্ঠানে ছিলে আরো নানা কর্মকাণ্ড।
মন্তব্য করুন
কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার বাঙ্গরা বাজার থানায় একই পরিবারের ৩জন মাদক কারবারীকে গণপিটুনি দিয়ে হত্যা করেছে এলাকাবাসী।
বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৮টার সময় বাঙ্গরা বাজার থানাধীন আকবপুর ইউনিয়নের কড়ইবাড়ি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
নিহতারা হলেন, কড়ইবাড়ি গ্রামের খলিলুর রহমানের স্ত্রী রোকসানা আক্তার রুবি(৫০), তার ছেলে রাসেল মিয়া(৩৫), ও তার মেয়ে জোনাকি আক্তার (২৫),
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, দীর্ঘদিন যাবত রোকসানা আক্তার রুবি নিজে ও তার পরিবারের সদস্যরা এলাকায় রমরমা মাদক ব্যবসা করে আসছিল।
যারাই রুবির মাদক ব্যবসায় বাধা দিত, তাদেরকেই মামলা দিয়ে হয়রানি করত রুবি। বিভিন্ন সময় তাদের বিরুদ্ধে মুরাদনগর, বাঙ্গরা সহ বিভিন্ন থানায় বহু মামলা রয়েছে।
ফলে স্থানীয় গ্রামবাসী ক্ষিপ্ত হয়ে বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে মাদক ব্যবসায়ী রুবির বাড়িতে হামলা করে তাদেরকে গণপিটুনি দেয়। এ সময় গণপিটুনিতে ঘটনাস্থলেই রোকসানা আক্তার রুবি, তার ছেলে রাসেল মিয়া ও তার মেয়ে জোনাকি আক্তার মৃত্যুবরণ করে।
অপরদিকে রোকসানা আক্তার রুবির আরেক মেয়ে রুমা আক্তার (৩০) এই গণপিটুনির শিকার হয়ে চিকিৎসাধীন রয়েছে। স্থানীয়দের দাবি গণপিটুনিতে রুমা আক্তারও নিহত হয়েছে।
তবে বাঙ্গরা বাজার থানার ওসি মাহফুজুর রহমান ৩ জনের হত্যার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, ঘটনাস্থল থেকে তিনজনের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
মন্তব্য করুন
বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় কুমিল্লার দেবিদ্বার উপজেলার ধামতী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মহিউদ্দিন আহমেদ মিঠু চিকিৎসা ও ব্যবসার জন্য চীনে অবস্থান করেছিলেন। গত ১৮ জুলাই থেকে তিনি চীনে অবস্থান করছেন। এছাড়াও চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে সংসদ নির্বাচনের পর থেকেই সাবেক এমপি আবুল কালাম আজাদের লোকজনের হুমকি-ধমকির জন্য এলাকায় সব সময় অবস্থান করতে পারেননি এই ইউপি চেয়ারম্যান। অথচ তাকে ৫ আগষ্ট সকাল ১০ টায় উপজেলার নিউ মার্কেট চত্ত্বরের মারধরের একটি মামলায় ৮১ নম্বর আসামি করা হয়েছে। চীনে অবস্থান করে কিভাবে মারধরের মামলার আসামি হলেন , এ বিষয়টি বেশ সমালোচনার জন্ম দিয়েছে এলাকায়।
দেবিদ্বার উপজেলার দক্ষিণ ভিংলা বাড়ির মো: নাজমুল হক বাদি হয়ে কুমিল্লার বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট ৪ নং আমলী আদালতে এ মামলাটি দায়ের করেন।
তবে স্থানীয় একাধিক সূত্র নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, দেবিদ্বার উপজেলায় আওয়ামী লীগের মত বিএনপির মধ্যেও গ্রুপিং রয়েছে। আওয়ামী লীগে যেমন রাজী মোহাম্মদ ফখরুল ও আবুল কালাম আজাদের দুই গ্রুপ ছিল, তেমনি বিএনপিতেও সাবেক সংসদ সদস্য মনজুরুল আহসান মুন্সি ও কুমিল্লা উত্তর জেলা বিএনপির সদস্য সচিব তারেক মুন্সির আলাদা আলাদা গ্রুপ রয়েছে। ফলে আওয়ামী লীগের একটা অংশ অপর অংশকে বিপদে ফেলার জন্য বিএনপির নেতাকর্মীদের সাথে সর্ম্পক উন্নয়ন করে বিভিন্ন মামলায় নাম জড়িয়ে দিচ্ছে। এতে করে কোন প্রকার সংঘর্ষে না থেকেও মামলার আসামি হচ্ছেন অনেকে। ফলে প্রকৃত ভুক্তভোগির ন্যায় বিচার পাওয়া নিয়ে সৃষ্টি হয়েছে জটিলতা।
স্থানীয় সূত্র জানায়, মহিউদ্দিন আহমেদ মিঠু স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে ধামতী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। বিগত সংসদ নির্বাচনে সাবেক এমপি আবুল কালাম আজাদ এবং উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে এমপি আজাদের ভাই মামুনের পক্ষে কাজ না করায় প্রতিপক্ষের হুমকি-ধমকির ফলে ইউপি কার্যালয়েও যেতে পারতেন না চেয়ারম্যান মহিউদ্দিন মিঠু। চেয়ারম্যান মিঠুর বসতজমিতে হামলা-ভাংচুর হয়েছে। তাঁর জমি দখলের পায়তারাও হচ্ছে। যার ফলে বছরজুড়ে নির্যাতনের শিকার হয়েছেন এই চেয়ারম্যান। ফলে জুলাই মাসে অসুস্থ্য হয়ে চীনে যান চেয়ারম্যান মিঠু। সেখানেই বর্তমানে অবস্থান করছেন। সেই চীনে থেকে রাজনৈতিক কারনে মামলার আসামি হয়েছেন চেয়ারম্যান মিঠু।
এই বিষয়ে জানতে মামলার বাদি মো: নাজমুল হকের মুঠোফোনে কল দিলে তিনি কল রিসিভ করেন নি।
এই বিষয়ে ধামতী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মহিউদ্দিন আহমেদ মিঠু জানান, আমি বেশ কয়েক মাস ধরে অসুস্থ্য। তাই চিকিৎসার জন্য বিদেশে অবস্থান করছি। আমাকে অন্যায়ভাবেই মামলার আসামি করা হয়েছে। আশা করি প্রশাসন সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে এ বিষয়টির সমাধান করবেন।
এই বিষয়ে জানতে দেবিদ্বার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার (ওসি) মুঠোফোনে কল দিলে তিনি কল রিসিভ করেন নি।
মন্তব্য করুন
কুমিল্লা থেকে প্রকাশিত দৈনিক পূর্বাশা ও দৈনিক আমাদের কুমিল্লা পত্রিকার ডিক্লারেশন বাতিলের প্রতিবাদে ও সারাদেশে বন্ধ হওয়া টেলিভিশন ও গণমাধ্যম খুলে দেওয়ার দাবিতে সাংবাদিক কল্যাণ পরিষদ কুমিল্লার আয়োজনে বৃহস্পতিবার (২৮ আগষ্ট) বেলা সাড়ে ১১ টায় কুমিল্লা প্রেসক্লাব মিলনায়তনে সাংবাদিকদের প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সাংবাদিক কল্যাণ পরিষদ কুমিল্লার সভাপতি ও সিটিভি নিউজ টুয়েন্টিফোর ডটকম এর সম্পাদক ওমর ফারুকী তাপসের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত প্রতিবাদ সভায় বক্তব্য রাখেন কুমিল্লা প্রেসক্লাবের সভাপতি ও একাত্তর টিভির জেলা প্রতিনিধি কাজী এনামুল হক ফারুক, কুমিল্লা প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি আবুল হাসানাত বাবুল, কুমিল্লা প্রেসক্লাবের সাবেক সহ-সভাপতি অশোক কুমার বড়ুয়া, কুমিল্লা প্রেসক্লাবের সিনিয়র সদস্য দৈনিক পূর্বাশার স্টাফ রিপোর্টার মোঃ শহীদুল্লাহ , আরটিভির প্রতিনিধি গোলাম কিবরিয়া, কুমিল্লা প্রেসক্লাবের সহ সাধারণ সম্পাদক বাহার রায়হান, কুমিল্লা প্রেসক্লাবের সাংগঠনিক সম্পাদক ও দৈনিক পূর্বাশা পত্রিকার ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক ইমতিয়াজ আহমেদ জিতু, ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের নেতা ও দৈনিক আমার দেশ কুমিল্লা দক্ষিণ প্রতিনিধি সাংবাদিক শাহ আলম শফি, সাংবাদিক ইউনিয়নের কেন্দ্রীয় সদস্য ও দৈনিক স্বদেশ বিচিত্রা পত্রিকার সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক মোঃ শহীদুল্লাহ মিয়াজী, যমুনা টেলিভিশনের কুমিল্লা ব্যুরো প্রধান রফিকুল ইসলাম চৌধুরী খোকন, দৈনিক সকালের খবর পত্রিকার কুমিল্লা প্রতিনিধি ও কুমিল্লা প্রেসক্লাবের নির্বাহী সদস্য মামশাদ কবির, দৈনিক আমাদের কুমিল্লার সাবেক স্টাফ রিপোর্টার ও বুড়িচং প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক জহিরুল হক বাবু, দৈনিক পূর্বাশার স্টাফ রিপোর্টার জসিম উদ্দিন চৌধুরী , টেলিভিশন জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশন কুমিল্লার সাধারণ সম্পাদক ও নাগরিক টেলিভিশনের কুমিল্লা প্রতিনিধি দেলোয়ার হোসেন আকাইদ , সাংবাদিক কল্যাণ পরিষদের সাধারণ সম্পাদক ও দৈনিক পূর্বাশার প্রতিনিধি মনির হোসেন , কুমিল্লা ফটো সংবাদের ফোরামের সভাপতি আশিকুর রহমান , দেশ টিভির কুমিল্লা জেলা প্রতিনিধি সুমন কবির ভূঁইয়া, দৈনিক স্বাধীন ভোর পত্রিকার সম্পাদক সোহাগ মিয়াজী , কুমিল্লা প্রেসক্লাবের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক নেকবর হোসেন, কুমিল্লা প্রেসক্লাবের প্রচার সম্পাদক ও দৈনিক আমাদের কুমিল্লার সাবেক ফটো সাংবাদিক এন কে রিপন, কালের কন্ঠ পত্রিকার প্রতিনিধি জাহিদ পাটোয়ারী , চেতনা ৭১ নিউজের সম্পাদক মাইনুল হক স্বপন, দৈনিক ডাক প্রতিদিন পত্রিকার প্রতিনিধি আয়েশা আক্তার, দৈনিক রূপসী বাংলার প্রতিনিধি ফারুক আজম , দৈনিক সমাচার পত্রিকার প্রতিনিধি মোঃ শাফি, দৈনিক আজকের কুমিল্লার প্রতিনিধি হাবিবুর রহমান মুন্না , দৈনিক আজকের কুমিল্লার স্টাফ রিপোর্টার রাকিবুল ইসলাম রানা, দৈনিক খোলা কাগজের প্রতিনিধি শাহ ইমরান , ৭১ টিভির ক্যামেরা পার্সন সাইদুর রহমান সোহাগ, দৈনিক পূর্বাশার প্রতিনিধি তামিম আহমেদ ।
সভায় বক্তারা বলেন, কুমিল্লা থেকে প্রকাশিত দৈনিক আমাদের কুমিল্লা ও দৈনিক পূর্বাশা পত্রিকা নিয়মিত প্রকাশিত হতো। বাতিলের পূর্বে কোন নোটিশ না দিয়েই এই পত্রিকা দুটি বন্ধ করে দেওয়া হয়। গণতন্ত্রের বিকাশ ও সুশাসনের জন্য সংবাদপত্রের স্বাধীনতা অত্যান্ত জরুরী। সংবাদপত্র বন্ধ করলে সাংবাদিকরা বেকার হয়ে যায়। গণমাধ্যমের কণ্ঠরোধ করলে সমাজে অন্যায় অবিচার বেড়ে যায়। তাই সংবাদপত্রের স্বাধীনতার লক্ষ্যে বন্ধ হওয়া টেলিভিশন ও পত্রিকাসমূহ অবিলম্বে খুলে দেয়ার দাবী জানান সাংবাদিক সমাজ।
মন্তব্য করুন
চট্টগ্রামে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) চান্দগাঁও ক্যাম্পের অফিস থেকে পলাশ সাহা নামে এক কর্মকর্তার গুলিবিদ্ধ মরদেহ পাওয়া গেছে।
বুধবার (৭ মে) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে নগরের বহদ্দারহাটে অবস্থিত র্যাব-৭ এর চান্দগাঁও ক্যাম্পের তৃতীয় তলার একটি রুম থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।
পলাশ সাহা (৩৭) র্যাব-৭ এর জ্যেষ্ঠ সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন। তিনি ৩৭তম বিসিএসের পুলিশ ক্যাডারের কর্মকর্তা ছিলেন।
পাঁচলাইশ জোনের সহকারী কমিশনার (এসি) আরিফ হোসেন জানান, পলাশ সাহাকে তার অফিস কক্ষে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় মৃত পাওয়া যায়। ঘটনাস্থলে তার পরিবারের উদ্দেশে লেখা একটি চিরকুট পাওয়া গেছে। পুলিশ এখন বিষয়টি তদন্ত করছে।
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পুলিশ ফাঁড়ির সূত্রে জানা গেছে, মরদেহটি হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে। খবর পেয়ে পলাশ সাহার স্ত্রী হাসপাতালে পৌঁছেছেন।
মন্তব্য করুন
মাত্র ৯ টাকার একটি ওষুধ ৮০ টাকায় বিক্রির অভিযোগে কুমিল্লা নগরীর রাজগঞ্জ বাজারে অবস্থিত ‘সাহ মেডিকেল হল’কে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করেছে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। রবিবার (১৩ জুলাই) সকালে পরিচালিত অভিযানে একাধিক অনিয়ম উদ্ঘাটিত হলে তাৎক্ষণিকভাবে এ জরিমানা আরোপ করা হয়।
অভিযানে নেতৃত্ব দেন জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর, কুমিল্লার সহকারী পরিচালক মো. কাউছার মিয়া। তিনি বলেন, “সাহা মেডিকেল হলের বিক্রয়কর্মীরা নির্ধারিত খুচরা মূল্য (MRP) অমান্য করে অতিরিক্ত দামে ওষুধ বিক্রি করছিলেন। এটি সম্পূর্ণভাবে ভোক্তার সঙ্গে প্রতারণা এবং আইন লঙ্ঘনের শামিল। এ ধরনের অপকর্ম কখনোই বরদাশত করা হবে না।”
অভিযান সূত্রে জানা যায়, ৯ টাকা মূল্যের একটি ওষুধের প্যাকেট একজন রোগীর কাছে ৮০ টাকায় বিক্রি করা হয়। এর বাইরে আরও কিছু ওষুধের ক্ষেত্রেও অতিরিক্ত দাম নেওয়ার প্রমাণ মেলে। এছাড়াও প্রতিষ্ঠানটির স্টোর পরিচালনায় প্রয়োজনীয় কাগজপত্র, মূল্যতালিকা এবং ভোক্তার অভিযোগ জানাবার সুবিধাজনক ব্যবস্থার অভাব পাওয়া যায়।
মো. কাউছার মিয়া আরও জানান, “জনস্বার্থে এবং রোগীদের অধিকার রক্ষায় আমাদের এই অভিযান অব্যাহত থাকবে। ভোক্তার অধিকার নিশ্চিত করতে আমরা নিয়মিত বাজার তদারক করে যাচ্ছি। যারা আইন মানছে না, তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
অভিযানে সহায়তা করেন কুমিল্লা জেলা স্যানিটারি ইন্সপেক্টর মো. আবুল কালাম আজাদ, অফিস সহকারী ফরিদা ইয়াসমিন এবং কুমিল্লা জেলা পুলিশের একটি টিম।
এই ঘটনার পর ভোক্তাসাধারণের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। অনেকেই এমন কঠোর পদক্ষেপকে স্বাগত জানিয়েছেন। স্থানীয় এক ক্রেতা বলেন, “আমরা তো গরীব মানুষ, ওষুধই যখন এভাবে দাম বাড়িয়ে দেয়, তখন কোথায় যাব? এই রকম নিয়মিত অভিযান দরকার।”
বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, দেশের ওষুধখাতের স্বচ্ছতা এবং ভোক্তা সুরক্ষার জন্য নিয়মিত নজরদারি ও আইন প্রয়োগ অত্যন্ত জরুরি। বিশেষ করে প্রান্তিক জনগোষ্ঠী যাতে প্রতারিত না হয়, সে বিষয়ে সরকারকে আরও কঠোর হতে হবে।
প্রসঙ্গত, ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন, ২০০৯ অনুযায়ী, কোনো পণ্য বা সেবার ক্ষেত্রে নির্ধারিত দামের অতিরিক্ত অর্থ আদায় করলে তা শাস্তিযোগ্য অপরাধ হিসেবে গণ্য হয়।
মন্তব্য করুন
গত ২৬ জুন মুরাদনগরের পঞ্চকিট্রি ইউনিয়নের বাহারচর গ্রামে এক হিন্দু নারীর সাথে অশোভনীয় ঘটনা ঘটে যা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে।
প্রাথমিক তদন্ত ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায় যে, ভুক্তভোগী নারীর স্বামী দীর্ঘ ৫ বছর ধরে বিদেশে অবস্থান করছেন। এ সময়ে একই গ্রামের এবং পূর্বপরিচিত মোঃ ফজর আলী (৩২) এর সাথে উক্ত নারী ব্যক্তিগত সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন। একই সাথে ফজর আলীর ছোট ভাই শাহপরান এর সাথেও তার (ভুক্তভোগী) সখ্যতা গড়ে উঠে।
ঘটনার দিন রাতে বড় ভাই ফজর আলী উক্ত নারীর ঘরে অবস্থানকালে ছোট ভাই শাহপরান ও কয়েকজন স্থানীয় ব্যক্তি ঘরে ঢুকে তাদেরকে মারধর করে এবং ভিডিও ধারণ করে।
উক্ত মারধরের ফলে ফজর আলী আহত হয়ে প্রথমত কুমিল্লা এবং পরবর্তীতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হয়। এ ঘটনার প্রেক্ষিতে গত ২৭ জুন উক্ত নারী মুরাদনগর থানায় ধর্ষণের অভিযোগে একটি মামলা দায়ের করেন।
উল্লেখ্য যে, এ বিষয়ে তিনি (ভুক্তভোগী) ডাক্তারী পরীক্ষা করাতে রাজি হননি। এ ব্যাপারে প্রশাসন ও যৌথ বাহিনী যথেষ্ট তৎপর রয়েছে এবং মোঃ ফজর আলীকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে আটক করেছে কুমিল্লা জেলা পুলিশ। এছাড়া ভিডিও ধারণ ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অশোভন ভিডিও ছড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগে ইতোমধ্যে সর্বমোট ৪ জনকে গ্রেফতার করেছে জেলা পুলিশ।
বিভিন্ন সূত্র থেকে জানা যায় যে, বিষয়টি ব্যক্তিগত সম্পর্কজনিত এবং পারস্পারিক সমঝোতার মাধ্যমে সংঘটিত হয়েছে। এখানে বলপ্রয়োগ, দরজা ভাঙ্গা বা ধর্ষণের সরাসরি কোন সম্পৃক্ততা সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হয়নি।
তথাপি প্রকৃত ঘটনাটি তদন্তের পূর্বেই অশোভন ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দিয়ে ঘটনাটি ভিন্নখাতে প্রবাহিত করার চেষ্টা করা হচ্ছে।
বিষয়টি নিঃসন্দেহে অনাকাঙ্খিত। তবে আইন প্রযোগকারী সংস্থা কর্তৃক দুত তদন্তের মাধ্যমে প্রকৃত ঘটনা উদঘাটন পূর্বক দোষীদের অচিরেই শাস্তির আওতায় আনা হবে বলে আশা করা যায়।
মন্তব্য করুন
দেশের প্রথম মনোরেল নির্মিত হতে যাচ্ছে বন্দরনগরী চট্টগ্রামে। নগরীর যানজট নিরসনে এই প্রকল্প বাস্তবায়নে উদ্যোগ নিয়েছে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (চসিক)।
রোববার (১ জুন) সকালে নগরীর ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের সঙ্গে জার্মানি প্রতিষ্ঠান ওরাসকম ও মিশরের প্রতিষ্ঠান আরব কন্ট্রাক্টর গ্রুপের এ সংক্রান্ত সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষর হয়। প্রতিষ্ঠান দুটি নগরীতে ফিজিবিলিটি স্টাডি করবে।
চুক্তি অনুযায়ী ওরাসকম ও আরব কন্ট্রাক্টর গ্রুপ মনোরেল নির্মাণের সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের (ফিজিবিলিটি স্টাডি) কাজ শুরু করার কথা রয়েছে।
মনোরেল প্রকল্পের অর্থায়ন, প্রযুক্তি ও বাস্তবায়ন কাঠামো তুলে ধরেন আরব কন্ট্রাক্টরস ও ওরাসকম পেনিনসুলা কনসোর্টিয়ামের চিফ রিপ্রেজেন্টেটিভ কাউসার আলম চৌধুরী।
তিনি জানান, ‘চট্টগ্রাম বাংলাদেশের বাণিজ্যিক রাজধানী। এখানে যানজট ও পরিবহণ সংকট ক্রমবর্ধমান। মনোরেল একটি আধুনিক ও পরিবেশবান্ধব সমাধান। আমরা এই প্রকল্পে পূর্ণাঙ্গ বিনিয়োগ করতে আগ্রহী।’
তিনি জানায়, প্রকল্পটি পাবলিক-প্রাইভেট পার্টনারশিপ (পিপিপি) মডেলে বাস্তবায়ন করা হবে। প্রকল্পের সম্ভাব্য তিনটি রুট হচ্ছে : লাইন-১ (২৬.৫ কি.মি.) কালুরঘাট থেকে বিমানবন্দর পর্যন্ত (বহদ্দারহাট, চকবাজার, লালখান বাজার, দেওয়ানহাট ও পতেঙ্গা হয়ে), লাইন-২ (১৩.৫ কি.মি.): সিটি গেট থেকে শহীদ বাশিরুজ্জামান স্কয়ার (এ.কে. খান, নিমতলী, সদরঘাট ও ফিরিঙ্গি বাজার হয়ে) পর্যন্ত লাইন-৩ (১৪.৫ কি.মি.): অক্সিজেন থেকে ফিরিঙ্গি বাজার (মুরাদপুর, পাঁচলাইশ, আন্দরকিল্লা ও কোতোয়ালি হয়ে) পর্যন্ত।
সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে মনোরেল প্রকল্প চট্টগ্রাম নগরীর গণপরিবহন খাতে যুগান্তকারী পরিবর্তন আনতে চলেছে উল্লেখ করে চসিক মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন বলেন, এই প্রকল্পের মধ্য দিয়ে চট্টগ্রামকে দক্ষিণ এশিয়ার গেটওয়ে হিসেবে গড়ে তোলা হবে। প্রস্তাবিত মনোরেল প্রকল্পটির মোট দৈর্ঘ্য হবে প্রায় ৫৪ কিলোমিটার এবং এতে বিনিয়োগ হবে প্রায় ২০ থেকে ২৫ হাজার কোটি টাকা। পুরো অর্থায়ন আনবে বিদেশি বিনিয়োগকারী প্রতিষ্ঠান-ওরাসকম কনস্ট্রাকশন ও আরব কন্ট্রাক্টরস।
তিনি বলেন, ‘এই বিনিয়োগের জন্য চসিকের কোনো আর্থিক দায় থাকবে না। কেবল আমরা প্রয়োজনীয় লজিস্টিক সাপোর্ট ও ভূমি বরাদ্দ দেব। এই মনোরেল শুধু যানজট নিরসনে নয়, বরং চট্টগ্রামকে একটি পরিবেশবান্ধব, পর্যটন ও ব্যবসাবান্ধব নগরীতে রূপান্তর করার দিকেও এগিয়ে নেবে। এটি দক্ষিণ এশিয়ার সঙ্গে সংযোগের একটি আধুনিক সেতুবন্ধন তৈরি করবে। মনোরেল থেকে রাজস্ব আসবে শুধু টিকিট নয়, বরং বিজ্ঞাপন, স্টেশনে দোকানপাট, আশপাশের সম্পত্তিমূল্য বৃদ্ধির মাধ্যমেও। একটি ভাল গণপরিবহন ব্যবস্থা গড়ে তুলতে পারলে ৫-৭ গুণ পর্যন্ত অর্থনৈতিক রিটার্ন পাওয়া যায়।’
অনুষ্ঠানে গ্রেটার চিটাগাং ইকোনমিক ফোরামের প্রেসিডেন্ট আমীর হুমায়ুন মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ‘চট্টগ্রামকে একটি স্মার্ট ও টেকসই নগরীতে রূপান্তরের অংশ হিসেবে মনোরেল প্রকল্প অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আমরা ব্যবসায়ী, পেশাজীবী ও নগরবাসীকে নিয়ে একটি ইকোনমিক ফোরাম গঠন করে এই প্রকল্পকে বাস্তবায়নে কাজ করবো।’
চসিক কর্মকর্তারা জানান, মনোরেল একটি আধুনিক গণপরিবহন ব্যবস্থা, যা একক রেলপথ দিয়ে চলে। এটি সাধারণত উঁচু পিলারের ওপর স্থাপন করা হয়। মনোরেল প্রযুক্তি মেট্রোরেলের তুলনায় প্রায় ৪০ শতাংশ খরচ সাশ্রয়ী। এটি কম জায়গায় স্থাপন করা সম্ভব, ফলে ঘনবসতিপূর্ণ শহর বা স্থাপনার মধ্য দিয়েও সহজে চলাচল করতে পারে। মনোরেলের যাত্রী ধারণক্ষমতা তুলনামূলকভাবে কিছুটা কম হলেও এটি দ্রুত নির্মাণযোগ্য এবং শহরের যানজট কমাতে কার্যকর। বর্তমানে জাপান, চীন, দক্ষিণ কোরিয়া, মালয়েশিয়া ও ভারতের কিছু শহরে মনোরেল সফলভাবে চালু রয়েছে।
কর্মকর্তারা আরও জানান, এর আগে ২০২১ সাল থেকে বিদেশি আরও কয়েকটি প্রতিষ্ঠান মনোরেল নির্মাণে চসিককে প্রস্তাব দিয়েছিল। এ বিষয়ে তারা কয়েকবার তৎকালীন সিটি মেয়রের সঙ্গে বৈঠক করেছিল। কিন্তু নানা কারণে এটি আর আলোর মুখ দেখেনি।
মন্তব্য করুন
স্টাফ রিপোর্টারঃ
কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে প্রাণ গেল নেছার উদ্দিন নিশান (১৫) নামে এক কিশোরের।
সে উপজেলার চিওড়া ইউনিয়নের চিলপাড়া গ্রামের মৃত. আবদুল বারেকের ছেলে।
ঘটনাটি ঘটেছে সোমবার দুপুরে উপজেলার কনকাপৈত বাজারের বাংলাদেশ স্টীল ওয়ার্কশপে। তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরী বিভাগের চিকিৎসক মো: আবুল হাশেম সবুজ।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, নিশান কনকাপৈত বাজারের বাংলাদেশ স্টীল ওয়ার্কশপে গত ৫ বছর ধরে কাজ করে আসছেন। সোমবার দুপুরে ওয়ার্কশপের মালিক ইয়াকুব মিয়াজী একটি অটো রিক্সা রিফেয়ারিং এর কাজ করছিলেন। এ সময় নিশান মালিকের পিছনের দাঁড়িয়ে কাজ দেখছিলেন। হঠাৎ করে সে মাটিতে আছড়ে পড়ে। এ সময় ওয়ার্কশপের মালিক ইয়াকুব মিয়াজী তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে এলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
ওয়ার্কশপের মালিক ইয়াকুব মিয়াজী বলেন, নিশান আমার দোকানে গত ৫ বছর ধরে কাজ শিখছিলেন। সোমবার দুপুরে আমি একটি অটো রিক্সায় ইলেকট্রনিক শর্ট দিয়ে রিফারিং এর কাজ করছিলাম। সে আমার পিছনে দাঁড়িয়ে ছিল। হঠাৎ করে সে মাটিতে লুটে পড়ে গেলে আমি তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে আসলে হাসপাতালের ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
চৌদ্দগ্রাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক আবুল হাশেম সবুজ বলেন, হাসপাতালে নিয়ে আসার আগেই বিদ্যুৎ স্পৃষ্ট কিশোর নিশান মৃত্যু বরণ করে। ইসিজি রিপোর্টে দেখা যায় সে বিদ্যুৎ স্পৃষ্টে মারা গেছে।
চৌদ্দগ্রাম থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এ.টি.এম আক্তার উজ জামান বলেন, বিদ্যুৎ স্পৃষ্টে এক কিশোরের মৃত্যুর খবর পেয়ে হাসপাতাল থেকে তার লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। এ বিষয়ে অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। অন্যথায় আইনী প্রক্রিয়া শেষে স্বজনদের কাছে লাশ হস্তান্তর করা হবে।
মন্তব্য করুন
কুমিল্লায় নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে পালিত হয়েছে আন্তর্জাতিক কাস্টমস দিবস ।"কাস্টমস সেবায় প্রতিশ্রুতি, দক্ষতা, নিরাপত্তা প্রগতি" এ স্লোগানকে ধারণ করে রবিবার (২৬ জানুয়ারি) কুমিল্লা নগরীর একটি অভিজাত হোটেলে দিবসটি পালিত হয়।
দিবস উপলক্ষে কাস্টমস কুমিল্লা অঞ্চলের ছয় জেলার আমদানি ও রপ্তানিকারক, ব্যবসায়ীসহ বিভিন্ন প্রতিনিধিদের উপস্থিতে একটি সেমিনারের আয়োজন করা হয়।
সেমিনারে কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেট কুমিল্লার কমিশনার মোঃ মাহফুজুল হক ভূঁইয়ার সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, কর-অঞ্চল কুমিল্লার কর কমিশনার শেখ মোঃ মনিরুজ্জামান।
আরও উপস্থিত ছিলেন ভ্যাট কমিশনারেট, কুমিল্লার অতিরিক্ত কমিশনার মির্জা সহিদুজ্জামান এবং যুগ্ম কমিশনার মোঃ পায়েল পাশা, স্নিগ্ধা বিশ্বাস ও ফাহাদ আল ইসলাম।
সেমিনারে বক্তারা বলেন, আধুনিক রাষ্ট্র ব্যবস্থায় ব্যবসা-বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বৃদ্ধি, দেশজ শিল্পের সংরক্ষণ, রাষ্ট্রীয় ও সামাজিক নিরাপত্তা রক্ষা, আত্মনির্ভরশীল জাতি গঠনে, রাজস্বের আহরণে কাস্টমসের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ। শুধুমাত্র রাজস্ব আহরণে নয়, আমদানি রপ্তানি নিরাপত্তায়ও কাস্টমসের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। আন্তর্জাতিক বাণিজ্য সম্প্রসারণে বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার আওতায় বাণিজ্য সহজীকরণের পাশাপাশি আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে ঝুঁকি প্রশমনে কাস্টমসকে গুরুত্বপূর্ন ভূমিকা পালন করতে হয়।
এসময় কাস্টমস সেবায় প্রতিশ্রুতি, দক্ষতা, নিরাপত্তা, প্রগতি ও দেশের সার্বিক উন্নয়নে সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার আহ্বান জানানো হয়।
মন্তব্য করুন
ডেস্ক রিপোর্টঃ
দেশের একমাত্র প্রবাল দ্বীপ সেন্টমার্টিনে পর্যটক সীমিত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টা পরিষদ।
মঙ্গলবার (২২ অক্টোবর) সন্ধ্যায় রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমির মিলনায়তনে এক বিফ্রিংয়ে এ কথা জানান প্রধান উপদেষ্টার উপপ্রেস সচিব অপূর্ব জাহাঙ্গীর।
উপদেষ্টা পরিষদের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, সেন্টমার্টিনে নভেম্বর মাসে পর্যটক যেতে পারবে, তবে রাত্রিযাপন করতে পারবেন না। ডিসেম্বর-জানুয়ারি মাসে সর্বোচ্চ ২ হাজার জন পর্যটক রাত্রিযাপন করতে পারবেন। ফেব্রুয়ারি মাসে সেন্টমার্টিনে পর্যটন পুরোপুরি বন্ধ থাকবে।
প্রধান উপদেষ্টার উপপ্রেস সচিব অপূর্ব জাহাঙ্গীর বলেন, সেন্টমার্টিনে পর্যটক সীমিত করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। নভেম্বর মাসে পর্যটকরা যেতে পারবেন, কিন্তু রাতে থাকতে পারবেন না। ডিসেম্বর, জানুয়ারিতে প্রতিদিন ২ হাজারের বেশি পর্যটক সেন্টমার্টিন যেতে পারবে না। আর ফেব্রুয়ারি মাসে পর্যটক যাওয়া বন্ধ রাখা হবে। তখন সেন্টমার্টিন পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করা হবে।
এসময় প্রধান উপদেষ্টার উপপ্রেস সচিব মো. আবুল কালাম আজাদ মজুমদার, সহকারী প্রেস সচিব নাইম আলী ও সুচিস্মিতা তিথি উপস্থিত ছিলেন।
মন্তব্য করুন