

ডেস্ক রিপোর্টঃ
নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে চাঁদপুরের পদ্মা-মেঘনা নদীতে ইলিশ শিকারের দায়ে ১৪ জেলেকে ৬ দিন করে বিনাশ্রম কারাদণ্ড, ১ জেলেকে ২ হাজার টাকা জরিমানা ও অপ্রাপ্ত বয়স্ক হওয়ায় ৭ কিশোর জেলেকে মুচলেকা রেখে ছেড়ে দিয়েছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।
মঙ্গলবার (২৯ অক্টোবর) দুপুরে কোস্টগার্ড চাঁদপুর স্টেশনে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সহকারী কমিশনার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মো. আসাদুজ্জামান সরকার।
কারাদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন আমির হোসেন গাজী, হারুন ঢালী, মো. জাহাঙ্গীর, রিয়াদ রাঢ়ি, রমজান ব্যাপারী,হৃদয় মোল্লা, রিপন খান, মো. ফয়সাল, জনি ব্যাপারী, আল-আমীন মোল্লা, বাদশা হাওলাদার. কিরন খান, ওমর ফাটল রাঢ়ি ও নাজমুল হাসান। ২ হাজার টাকা জরিমানা করা হয় মো. ইব্রাহিমকে। আর মুচলেকা রেখে ছেড়ে দেওয়া অপ্রাপ্ত কিশোর জেলেরা হলেন মো. সোহেল, মো. হাবীব, শামীম, কাজল, পারভেজ, ওমর ও মো. হাসিব। আটক এসব জেলেদের বাড়ি শহরের টিলাবাড়ি, বহরিয়া ও গোবিন্দিয়া গ্রামে।
সহকারী মৎস্য কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান বলেন, জেলা ও উপজেলা টাস্কফোর্স সোমবার (২৮ অক্টোবর) রাত ৮টা থেকে মঙ্গলবার (২৯ অক্টোবর) সকাল ৮টা পর্যন্ত অভয়াশ্রম এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে। এ সময় ২২ জেলেকে ইলিশ ধরা অবস্থায় হাতেনাতে আটক, ১০ হাজার মিটার কারেন্টজাল ও ৩ কেজি ইলিশ জব্দ করা হয়। জব্দ কারেন্টজাল কোস্টগার্ড চাঁদপুর ষ্টেশনে আগুনে পুড়িয়ে নষ্ট করা হয় এবং ইলিশ মাছ দুস্থদের মাঝে বিতরণ করা হয়।
মন্তব্য করুন


কুমিল্লার এএফসি হেল্থ লিমিটেড হাসপাতালের ৪ মালিকের বিরুদ্ধে চুক্তি ভঙ্গের অভিযোগ এনে সংবাদ সম্মেলন ও মানববন্ধন করেছে বিনিয়োগকারীরা।
বুধবার (১ অক্টোবর) সকালে কুমিল্লা প্রেসক্লাবে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে হাসপাতালটি পুনরায় চালুর জোর দাবি জানানো হয়। পরে প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়।
লিখিত বক্তব্যে বিনিয়োগকারীরা অভিযোগ করে বলেন, হাসপাতালটি যখন নানা অব্যবস্থাপনা ও সংকটে বন্ধ হওয়ার পথে ছিল, তখন ২৩ জন বিনিয়োগকারী মিলে প্রায় ৫ কোটি টাকা বিনিয়োগ করে সেটি সচল করেছিলেন। অথচ মালিকপক্ষ ৪ জন যথাক্রমে মাহবুব আরব মজুমদার, এস এম সাইফুর রহমান, জুয়েল খান ও সাইফুল আমিন এখন চুক্তিভঙ্গ করে নতুনভাবে অন্যদের কাছ থেকে অর্থ নিচ্ছে। এ ধরনের প্রতারণার ফলে বিনিয়োগকারীরা চরম আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন।
তারা আরও বলেন, “আমরা নিজেরা ক্ষতিগ্রস্ত হলেও কুমিল্লাবাসীর স্বাস্থ্যসেবার কথা ভেবে হাসপাতালটি চালু করেছিলাম। অথচ মালিকপক্ষ আমাদের সাথে প্রতারণা করেছে। আমরা অবিলম্বে হাসপাতাল পুনরায় চালুর ব্যবস্থা চাই।”
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন পরিচালক খায়রুন্নেসা, হাবিবুর রহমান, মামুনুর রশীদ রিপন, জসিম উদ্দিন, মামুনুর রহমান, আসাদুজ্জামান রাসেল, মোজাম্মেল হকসহ আরও অনেকে।
উল্লেখ্য, এএফসি হেল্থ লিমিটেড হাসপাতালটি কুমিল্লা অঞ্চলে হৃদরোগ চিকিৎসায় আধুনিক সরঞ্জামসহ উন্নত স্বাস্থ্যসেবা দেওয়ার উদ্দেশ্যে কার্যক্রম শুরু করেছিল।
মন্তব্য করুন


ডেস্ক রিপোর্ট:
আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, আজ বুধবার যশোর, কুষ্টিয়া, চুয়াডাঙ্গা, পাবনা, রাজশাহী, বাগেরহাট ও সাতক্ষীরা জেলা সমূহের ওপর দিয়ে অতি তীব্র তাপপ্রবাহ এবং টাঙ্গাইল, ফরিদপুর, গোপালগঞ্জ, নারায়নগঞ্জ, নওগা, সিরাজগঞ্জ, দিনাজপুর এবং খুলনা বিভাগের অবশিষ্টাংশের ওপর দিয়ে তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। এছাড়া দেশের অন্যত্র মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকতে পারে।
আবহাওয়া অফিস আরো জানায়, সারাদেশে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। জলীয় বাষ্পের আধিক্যের কারণে অস্বন্তিভাব বিরাজমান থাকতে পারে।
আজ সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ৭২ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে জানানো হয়েছে, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের দু’-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা, ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি, বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সাথে কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলা বৃষ্টি হতে পারে। এছাড়া দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে।
আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, আগামীকাল থেকে দেশের পূর্বাঞ্চলের কিছু কিছু জায়গা হতে তাপপ্রবাহ প্রশমিত হতে পারে। এই সময়ে দিনের তাপমাত্রা ১ থেকে ২ ডিগ্রি কমতে পারে।
সিনপটিক অবস্থা: লঘুচাপের বর্ধিতাংশ পশ্চিমবঙ্গ থেকে বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চল হয়ে উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। গতকাল দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল যশোরে ৪৩ দশমিক ৮ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং আজকের সর্বনিম্ন দিনাজপুরে ২২ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গতকাল ঢাকায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৮ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং সর্বনিম্ন ২৯ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
আজ সকাল ৬টায় ঢাকায় বাতাসের আপেক্ষিক আর্দ্রতা ছিল ৮৫ শতাংশ। ঢাকায় আজ সূর্যান্ত সন্ধ্যা ৬টা ২৭ মিনিটে এবং আগামীকাল সূর্যোদয় ভোর ৫টা ২৪ মিনিটে। সূত্র : বাসস
মন্তব্য করুন


কুমিল্লায় সাংবাদিক সাফির উপর হামলাকারি ৪ আসামি জামিনে মুক্তি পেয়েছেন। সাংবাদিক সাফির উপর হামলার ১১ দিন পার হলেও কোতয়ালি থানা পুলিশ কোন আসামিকে গ্রেফতার করতে পারেনি। অথচ স্থানীয় সূত্রমতে, আসামি নিজ বাড়িতে, এলাকাতে অবাধে ঘোরাঘুরি করেছেন। হামলার দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কোতয়ালি থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই)মো: সাইফুল গতকাল ১৪ জুন রাতে আসামিদের বাড়িতে গিয়ে খোজে আসেন।কোতয়ালি থানা পুলিশের এমন আচরণকে রহস্যজনক বলে মন্তব্য করেছেন স্থানীয়রা।
৪ জুন বুধবার দুপুরে কুমিল্লা দুর্গাপুর গোমতির ভেড়িবাঁধ এলাকায় বুড়িচং প্রেস ক্লাবের দপ্তর সম্পাদক সাংবাদিক মো: সাফির উপর হামলা চালিয়েছে মাদককারবারিরা। বুধবার দুপুরে কুরবানির গরু ক্রয় করার জন্য শাফি বাবুবাজার এলাকায় যাচ্ছিলেন। সেখানে আগে থেকে উৎপাতে থাকা দুর্গাপুর এলাকার দুলাল মিয়ার ছেলে জনি, মৃত মনু মিয়ার ছেলে দুলাল মিয়া, মাহাবুব এবং মাহবুবের ছেলে সায়িমসহ অজ্ঞাত ৪-৫ জনের একটি চক্র তার ওপর হামলা চালায়। হামলাকারীরা তাকে পিটিয়ে মারাত্মকভাবে আহত করে। এ সময় তার সঙ্গে থাকা গরু ক্রয়ের দেড় লাখ টাকা ছিনিয়ে নেয়।
৪ জুন রাতে আহত সাফির মা বাদী হয়ে কোতোয়ালি মডেল থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন। কিন্তু রহস্যজনকভাবে ১০ জুন পর্যন্ত অভিযোগ এফআইআর করেনি কোতয়ালি থানা পুলিশ। ওই দিন সাংবাদিকরা এ অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে পরদিন ১১ জুন পুলিশ মামলা হিসেবে অভিযোগটি নেয়। তবে আসামিদের গ্রেফতারের বিষয়ে পুলিশ সব সময় রহস্যজনক ভূমিকা পালন করেছে। আজ ধরবো, কাল ধরবো, ২৪ ঘন্টায় আসামি গ্রেফতার হবে ইত্যাদি বলে সময় কালক্ষেপন করেছেন কোতয়ালি থানা পুলিশ। এমনটাই মনে করছেন কুমিল্লার কর্মরত সাংবাদিকরা।
স্থানীয় সূত্র জানায়, আসামিরা প্রকাশ্যেই এলাকায় ঘোরাঘুরি করেছে। পুলিশ তাদের গ্রেফতার করবে না, এটা তো এলাকায় আলোচিত বিষয় ছিল। তাই হয়েছে। আজ সব আসামি জামিন পেয়েছে।
আহত সাংবাদিক মো: সাফি জানান, গতকাল রাতে মামলার তদন্তকারি কর্মকর্তা এসআই সাইফুল সাহেব আমাদের লোককে ফোন করে আসামির বাড়ির ঠিকানা চেয়েছেন। আজ তো সবাই জামিন পেলেন। আজ আদালতে আসামিরা জামিন পাওয়ার পর এসআই সাইফুল সাহেব আমাকে বললো-আপনার বিরুদ্ধে মামলা দিবে আসামি পক্ষ। একটু সজাগ থাকেন।
কুমিল্লা প্রেসক্লাবের সাংগঠনিক সম্পাদক ইমতিয়াজ আহমেদ জিতু জানান, আমরা অসংখ্যবার পুলিশকে অনুরোধ করেছি, তদন্ত করে আসামিদের আইনের আওতায় আনার জন্য। কিন্তু কোথাও না কোথাও চরম অবহেলা হয়েছে। আসামিদের জামিন নেওয়ার সুযোগ করে দেওয়া হয়েছে, যা দু:খজনক ও লজ্জার বিষয়।আমাদের কাছে আগেই তথ্য ছিল, আসামিরা গ্রেফতার হবে না। এ বিষয়টি আমি ১০ জুন কোতয়ালি থানার সেকেন্ড অফিসার ফারুক সাহেবকে অবহিত করেছি। তিনি আমাদের বলেছিলেন, আজই আসামি গ্রেফতার হবে। কিন্তু দিন শেষে সবই হতাশাজনক।
কুমিল্লা প্রেসক্লাবের সভাপতি কাজী এনামুল হক ফারুক জানান, আসামিদের এতদিনেও গ্রেফতার করতে না পারাটা চরম ব্যর্থতার শামিল। খুবই দু:খজনক বিষয়টি।
কোতয়ালি থানার সেকেন্ড অফিসার ফারুক জানান, আমরা চেষ্টা করেছি আসামি গ্রেফতার করার জন্য ।
কোতয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহিনুল ইসলাম জানান, আসামি গ্রেফতার জন্য আমার চেষ্টার ত্রুটি ছিল না।
কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মহিনুল ইসলাম জানান, হামলার পর পরই পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। আসামিদের গ্রেফতার করতে পুলিশ কাজ করছে।
মন্তব্য করুন


স্টাফ রিপোর্টারঃ
বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশন (বিএডিসি) নোয়াখালী জেলা অফিসে দুই সাংবাদিকের ওপর হামলার ঘটনায় মামলা হয়েছে।
রোববার (২০ অক্টোবর) দুপুরে সুধারাম মডেল থানায় ভুক্তভোগী সাংবাদিক মাহবুবুর রহমান বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন। মামলায় বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশন (বিএডিসি) নোয়াখালী জেলা কার্যালয়ের স্টোরকিপার মিরাজ হোসেন ওরফে শান্তকে আসামী করা হয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত তাকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ।
মামলার বাদী মাহবুবুর রহমান। তিনি দৈনিক বাংলা পত্রিকা ও অনলাইন পোর্টাল নিউজ বাংলার জেলা প্রতিনিধি এবং নোয়াখালী প্রেসক্লাবের কার্য্যনির্বাহী সদস্য । এ ঘটনায় দেশ টেলিভিশনের জেলা প্রতিনিধি মাওলা জিয়াউল আহসান সুজন ও লাঞ্ছিত হন।
মাহবুবুর রহমান অভিযোগ করে বলেন, গত ১৭ অক্টোবর আমি লিখিত অভিযোগ দায়ের করি। এরপর পুলিশ মামলা নিতে গড়িমসি করে। অবশেষে তিন দিন পর পুলিশ মামলা রুজু করে।
মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেন সুধারাম মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. কামরুল ইসলাম। তিনি বলেন, এ ঘটনায় একজনকে আসামি করে মামলা নেওয়া হয়েছে। পুলিশ আসামিকে গ্রেপ্তারে চেষ্টা চালাচ্ছে।
প্রসঙ্গত, গত ১৬ অক্টোবর বুধবার দুপুরে বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশন (বিএডিসি) নোয়াখালী জেলা কার্যালয়ে উপ পরিচালক বরাবরে তথ্য চেয়ে আবেদন ফরম জমা দিতে যায় সাংবাদিক মাহবুবুর রহমান ও দেশ টিভির জেলা প্রতিনিধি মাওলা রকিবুল আহসান সুজন। সেখানে উপপরিচালক (বীজ বিপণন) নুরুল আলমের সঙ্গে তার কক্ষে কথা বলার সময় প্রতিষ্ঠানের স্টোরকিপার মিরাজ হোসেন ওরফে শান্ত কক্ষে প্রবেশ করে হঠাৎ ভিডিও করা শুরু করেন। একপর্যায়ে সাংবাদিকেরা চাঁদা নিতে এসেছেন, এমন দাবি করে চিৎকার-চেঁচামেচি শুরু করেন। তাকে চিৎকার-চেঁচামেচি ও ভিডিও করা বন্ধ করতে বলা হলে কর্মচারী মিরাজ হোসেন তাঁকে কিলঘুষি দিতে শুরু করেন। পরে মারধরের জন্য লাঠি নিতে মিরাজ কক্ষ থেকে বের হলে কক্ষে থাকা অপর সাংবাদিক রকিবুল আহসান দরজা বন্ধ করে দেন। গত বৃহস্পতিবার ১৭ অক্টোবর উপ পরিচালক নুরুল আলম এঘটনার ব্যাখ্যা চেয়ে একটি চিঠি দেন। চিঠিতে স্টোর কিপার মিরাজ হোসনকে তিন কার্যদিবসের মধ্যে 'এঘটনা কেন ঘটিয়েছেন' মর্মে ব্যাখ্যা দেয়ার জন্য নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
মন্তব্য করুন


কুমিল্লা সদরের পাঁচথুবি ইউনিয়নের ৪,৫ ও ৬ নং ওয়ার্ডের সংরক্ষিত মেম্বার ইয়াসমিন আক্তারের ৯৪ শতক আয়তনের পুকুরটি দখল করে মাছ ধরে নিয়ে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে স্থানীয় দুর্বৃত্তরা। এমন অভিযোগ এনে কোতয়ালি মডেল থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন মেম্বার ইয়াসমিন আক্তারের স্বামী মো: ফিরোজ আহাম্মদ ।
স্থানীয় মিরপুর এলাকার বাসিন্দা মোঃ সোহেল, মনির হোসেন (মনু মিয়া), মো: জাকির হোসেন (৫০),মোঃ সফিক মিয়া (৫৫), রুহুল আমীন (৪৫), রুপ মিয়ার ছেলে মো: সোহেলকে অভিযুক্ত করে থানায় অবহিত করা হয়।
মোঃ ফিরোজ আহমেদ জানান, আমাদের মালিকানাধীন দখলীয় সরকারী রিকুইজসানকৃত ১৯/৫৯ মুলে দখলীয় বাড়ির সামনের পুকুর রয়েছে, যেখানে আমরা মাছ চাষ করি। উপরে উল্লেখিত ৭/৮ জন আইন কানুনের তোয়াক্কা না করে বিগত বছরের ৬ আগস্ট পুকুরটি দখল করার চেষ্টা করে। কয়েকবার জোরপূর্বক মাছ তুলে নিয়ে যায়। আজ দুপুরে এসে পুকুরের বাশগুলো উঠিয়ে নিয়ে যায় । আজ রাতে তারা সবগুলো মাছ তুলে নিয়ে যাবে বলে আমাদের হুমকি দিয়ে যায়।আমার অজান্তে ইতিপূর্বে বহুবার আমার পুকুরের মাছ রাতের আধারে বিষ দিয়া মেরে ফেলার হুমকি দেয় এবং মাছ ধরে নিয়ে যায়। যাহার দরুন আমার আর্থিক ক্ষতি সাধন হচ্ছে। বেশি বাড়াবাড়ি করলে আমাকে এলাকার থাকতে দিবে না, হত্যা করে লাশ গুম করবে এবং সন্ত্রাসী দ্বারা মারধর করবে, এমন হুমকি দিয়ে গেছে। এমতাবস্থায় আমরা প্রাণহানির আশঙ্কা করছি, সেই সাথে মাছগুলো আজ রাতে লুট হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। আমি সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।
মন্তব্য করুন


ডেস্ক রিপোর্টঃ
শৃঙ্খলার সঙ্গে না বসার কারণে এবার রাজশাহীর সারদায় পুলিশ একাডেমিতে ৪০তম ক্যাডেট–২০২৩ ব্যাচে প্রশিক্ষণরত অর্ধশতাধিক ক্যাডেট উপপরিদর্শকে (এসআই) কাছে কারণ দর্শানোর নোটিশ (শোকজ) দেওয়া হয়েছে। গত সোমবার ও বৃহস্পতিবার তাদের নোটিশ দেওয়া হয়।
প্রশিক্ষণ মাঠে নাশতা নিয়ে হইচই করার কারণে সম্প্রতি একই ব্যাচের ৭০৪ জন প্রশিক্ষণার্থীর মধ্যে ২৫২ জনকে শোকজ করা হয়েছিল। জবাব সন্তোষজনক না হওয়ায় তাদের চাকরি থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।
একাডেমি সূত্র জানায়, গত সোমবার ওই ব্যাচের ১০ জন এসআইকে দ্বিতীয় দফায় শোকজ করা হয়। এরপর ২৪ অক্টোবর তৃতীয় দফায় আরও ৪৯ জনকে শোকজ করা হয়। তিন দিনের মধ্যে তাদের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
২৪ অক্টোবর প্রশিক্ষণরত এক এসআইকে দেওয়া শোকজ নোটিশে বলা হয়, গত ২১ আগস্ট সন্ধ্যা ৭টা থেকে রাত সাড়ে ৮টা পর্যন্ত চেমনি মেমোরিয়াল হলে আইনের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ধারার ওপর প্রশিক্ষণরত ক্যাডেট এসআইদের ক্লাস ছিল। প্রশিক্ষণ চলাকালে পরিদর্শক পদমর্যাদার চারজন প্রশিক্ষক দেখতে পান, সিটে বসার সময় ওই এসআই শৃঙ্খলার সঙ্গে না বসে এলোমেলোভাবে বসে হইচই করে বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি করেছেন। একজন প্রশিক্ষক বারবার শৃঙ্খলার সঙ্গে বসতে বললেও তিনি নির্দেশ অমান্য ও কর্ণপাত না করে বসা নিয়ে হইচই করতে থাকেন।
নোটিশে আরও বলা হয়, পাঠদান চলাকালে এই এসআইয়ের ক্লাসে কোনো মনোযোগ ছিল না এবং পাশাপাশি বসে কথা বলছিলেন। এ জন্য একজন প্রশিক্ষক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে একাডেমির অধ্যক্ষের কাছে লিখিত প্রতিবেদন দাখিল করেছেন। তাই বিধি অনুযায়ী কেন তাকে চলমান মৌলিক প্রশিক্ষণ হতে অব্যাহতি দেওয়া হবে না, তা কৈফিয়ত তলবনামা প্রাপ্তির পরবর্তী তিন দিনের মধ্যে ওই এসআইকে দাখিলের জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়।
এ বিষয়ে কথা বলতে চাইলেও পুলিশ একাডেমির পক্ষ থেকে কেউ কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।
মন্তব্য করুন


কুমিল্লা কালেক্টরেট স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ নার্গিছ আক্তারকে স্বপদে বহালের দাবীতে বিবৃতি দিয়েছে বিশিষ্ট নাগরিকরা। লিখিত এক বিবৃতিতে তারা জানান, আমরা গভীর উদ্বেগের সাথে লক্ষ্য করছি যে, ২০১৪ সালে প্রতিষ্ঠিত কুমিল্লা কালেক্টরেট স্কুল, বর্তমানে স্কুল এন্ড কলেজটি প্রতিষ্ঠাকাল থেকেই ভালো পড়াশুনা এবং ভালো ফলাফল করে আসছিল। ৫ই আগস্ট ২০২৪ এর পর স্কুলটিতে বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি হয়। এই পরিস্থিতির কারণে অধ্যক্ষ নার্গিছ আক্তারকে তাঁর দায়িত্ব পালন করতে দিচ্ছে না। আমরা মনে করি এটা অন্যায় ।
অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে যদি কোনো অভিযোগ থাকে তাহলে আইন-আদালতের মাধ্যমে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ার আগ পর্যন্ত দায়িত্ব পালনে বাধা দেওয়ার অধিকার করো আছে বলে আমরা মনে করি না । আর যেহেতু এটি একটি স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান এবং এটি জেলা প্রশাসকের নিয়ন্ত্রণে, তাই জেলা প্রশাসকের কাছে অধ্যক্ষকে পূর্ণ নিরাপত্তাসহ কর্মস্থলে যোগদান করানোর দাবী জানাচ্ছি। ইতোমধ্যে অনেক দিন হয়ে গেছে, অধ্যক্ষবিহীন বা অধ্যক্ষের অনুপস্থিতে পড়াশুনা চরমভাবে বিঘ্নিত হচ্ছে। তাই অবিলম্বে অধ্যক্ষ মহোদয়কে সম্পূর্ণ নিরাপত্তাসহ যোগদান করানোর জন্য জেলাপ্রশাসককে আহ্বান জানাই ।
বিবৃতিতে স্বাক্ষর করেছেন- সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব জহিরুল হক দুলাল, ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব অধ্যক্ষ শফিকুর রহমান , কুমিল্লা মেডিকেল কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ ডা. মোসলেহ উদ্দিন আহমেদ , মুক্তিযোদ্ধা হাজী মো. ফরিদ উদ্দীন, রাজনীতিবিদ আবদুর রাজ্জাক , সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব আবুল কাশেম , রাজনীতিবিদ শেখ আবদুল মান্নান , লেখক ও গবেষক আহসানুল কবীর, কবি ও কথাশিল্পী সফিকুল বোরহান , কবি ও প্রকাশক হালিম আবদুল্লাহ, কবি ও গীতিকার শিহাব উদ্দিন, চিত্রশিল্পী মো. শাহ আলম, নাট্যকর্মী নন্দন ভৌমিক, কবি ও কথাশিল্পী গাজী মোহাম্মদ ইউনুস , সাংস্কৃতিক কর্মী জসীম উদ্দিন আহমেদ, সংগীত শিল্পী নির্মল সূত্রধর , আইনজীবী স্বর্ণকমল নন্দী পলাশ ।
মন্তব্য করুন


কুমিল্লা সদর উপজেলার ২নং দূর্গাপুর (উঃ) ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান সোনিয়া আক্তারের প্রতি অনাস্থা প্রদান ও অত্র ইউনিয়নে বিধি মোতাবেক প্রশাসক নিয়োগ প্রদানের জন্য উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে লিখিত আবেদন করেছেন ইউনিয়নের বিভিন্ন ওয়ার্ডের সদস্যরা। এরই প্রেক্ষিতে গত মঙ্গলবার (৯ আগষ্ট) সকালে উপজেলা সমবায় অফিসার মোঃ শরিফুল ইসলাম ভূঁইয়া ২ নং দুর্গাপুর উত্তর ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয় পরিদর্শনে যান এবং এবং কার্যালয়ের বিভিন্নজনের সাথে কথা বলেন। তবে অভিযোগকারী ওয়ার্ড সদস্য কেউই ওইদিন ইউনিয়ন পরিষদে যাননি।
তবে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক সুত্র জানায়, এখানে বিএনপির বেশ কয়েকজন নেতাকর্মী ইউনিয়ন সদস্যদের ঐদিন ইউনিয়ন পরিষদে আসতে বাধা প্রদান করে।
লিখিত অভিযোগে ইউপি সদস্য মোঃ আব্দুল মতিন, আব্দুল জলিল, মোহাম্মদ আবুল হোসাইন, মোঃ আসলাম খান, মোহাম্মদ খাইরুল ইসলাম, মোঃ জাহের, রোছমত আলী, নাজমুল হাসান, খোরশেদ আলমসহ আরো অনেকে উল্লেখ করেছেন, আমরা আদর্শ সদর উপজেলার ২নং দূর্গাপুর (উঃ) ইউনিয়নের নির্বাচিত সদস্য। ৫ আগষ্ট প্রেক্ষাপটে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এর দীর্ঘ অনুপস্থিতির কারণে অত্র ইউনিয়নের ৩নং প্যানেল চেয়ারম্যান সোনিয়া আক্তারকে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের দায়িত্ব দেয়া হয়। এক্ষেত্রে ১নং প্যানেল চেয়ারম্যান আব্দুল জলিল ও ২নং প্যানেল চেয়ারম্যান নাজমুল হাসানকে উপেক্ষা করা হয়, যাহা বিধি সম্মত নয়। ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান সোনিয়া আক্তার দায়িত্ব পাওয়ার পর হতে বিভিন্ন রকম অনিয়ম ও দূর্নীতির সাথে জড়িয়ে পরেন। ইউনিয়নের বিভিন্ন রকম ট্যাক্স টোল বৃদ্ধি করে দেয়। বিভিন্ন সরকারি অনুদানের বিষয় আমাদেরকে অবগত না করে প্রকল্প গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করেন নিজের ইচ্ছামত। পরবর্তীতে আমাদেরকে হাজিরা খাতায় স্বাক্ষর করতে বাধ্য করেন। আমাদেরকে বিভিন্ন প্রকার ভয় ভীতি প্রদর্শন করেন। জনগণের সামনে আমাদের কে হেয় প্রতিপন্ন করার জন্য অকথ্য ভাষায় গালাগালি করেন। ইউনিয়নের রিলিফ বন্টনে নানা অনিয়ম করেন। নিয়মিত অফিস করেন না, ফলে জনসাধারণ বিভিন্ন রকম ভোগান্তিতে পরেন। উল্লেখ্য যে, ইউনিয়নের হতদরিদ্র চাউলের ডিলারশীপ তার মায়ের নামে নিয়ে নিজে পরিচালনা করেন এবং বিতরণে নানা রকম অনিয়ম করেন। এহেন অবস্থায় আমরা নিম্ন স্বাক্ষরকারীগণ ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান সোনিয়া আক্তারের প্রতি অনাস্থা প্রদান করিলাম এবং বিধি মোতাবেক একজন প্রশাসক নিয়োগ করার জন্য মহোদয়ের নিকট সদয় আবেদন করছি।
সমবায় অফিসার মোঃ শরিফুল ইসলাম ভূঁইয়া জানান, যারা অভিযোগ করেছে তারা আমার পরি পরিদর্শনের দিন ইউনিয়ন পরিষদে আসেনি। ফলে আমি কথা বলতে পারিনি তাদের সাথে । তদন্ত চলছে। পরে বিস্তারিত জানাবো।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বেশ কয়েকজন ইউপি সদস্য জানান, আমাদেরকে পথে পথে বাঁধা প্রদান করা হয়েছে, হুমকি দেয়া হয়েছে। তাই আমরা আতঙ্কে ঐদিন ইউনিয়ন পরিষদে যেতে পারিনি। বিএনপি'র একটি শক্তিশালী মহল এর যুবলীগ নেত্রী ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান কে এই পদে বহাল রাখতে শক্তিশালী ভূমিকা পালন করছে।
এ বিষয়ে জানতে উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তার মুঠো ফোনে কল দিলে সংযোগ পাওয়া যায়নি।
মন্তব্য করুন


কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম উপজেলার মুন্সিরহাট ইউনিয়নের উনকোট গ্রামে বিশেষ অভিযানে এক আসামিকে গ্রেফতার করেছে সেনাবাহিনী।
সোমবার (১৬ সেপ্টেম্বর) ভোর প্রায় ৪ টায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে এ অভিযান পরিচালিত হয়।
গ্রেফতারকৃত মোহাম্মদ রাকিব হোসেন চৌদ্দগ্রামের উনকুট গ্রামের তাজুল ইসলামের পুত্র।
অভিযানের সময় আসামির কাছ থেকে দুটি ওয়াকিটকি সেট, দুটি ওয়াকিটকি চার্জার, একটি লাঠি ও একটি অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়।
মন্তব্য করুন


মহান বিজয় দিবস-২০২৪ উদযাপন উপলক্ষে ক্রীড়া পরিদপ্তর, যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনায় কুমিল্লা জেলা ক্রীড়া অফিসের উদ্যোগে প্রীতি কারাতে প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সোমবার ( ১৬ ডিসেম্বর) বিকাল ৩ টায় কুমিল্লা জেলা স্টেডিয়াম জিমনেসিয়ামে কুমিল্লা নগরীর বালক-বালিকাদের অংশগ্রহণে প্রীতি কারাতে প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়েছে ।
এ প্রতিযোগিতার অনুষ্ঠানে কুমিল্লা জেলা ক্রীড়া কর্মকর্তা সুমন কুমার মিত্রের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কুমিল্লা জেলা প্রশাসনের রেভিনিউ ডেপুটি কালেক্টর (আরডিসি) মো: মঈন উদ্দিন।
এ সময় বিশেষ অতিথি হিসেব উপস্থিত ছিলেন ক্রীড়া ব্যক্তিত্ব ও সংগঠক বদরুল হুদা জেনু, কুমিল্লা জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাবেক যুগ্ম সম্পাদক মাহবুবুল আলম চপলসহ আরো অনেকে উপস্থিত ছিলেন।
মন্তব্য করুন