স্টাফ রিপোর্টার:
তাবলীগ জামাতের একটি পক্ষের প্রতি বৈষম্যের অভিযোগ তুলে তা অবিলম্বে ন্যায় ও সমতার ভিত্তিতে দূর করার আহ্বান জানানো হয়েছে।
বুধবার (১৫ জানুয়ারি) সকালে কুমিল্লা প্রেসক্লাবের মিলনায়তনে সচেতন ছাত্র সমাজের ব্যানারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এমন দাবি করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে বক্তারা জানান, আগামী ২০ জানুয়ারির মধ্যে এই দাবি বাস্তবায়ন না হলে প্রধান উপদেষ্টার বাসভবনের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করা হবে।
কুমিল্লা মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থী মোহাম্মদ ইবরাহিম খলিল লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন। তিনি বলেন, “আমরা দুঃখের সঙ্গে লক্ষ্য করেছি যে, তাবলীগ জামাতের দুই গ্রুপের মধ্যে এক গ্রুপের প্রতি চরম বৈষম্য করা হচ্ছে। ইজতেমায় প্রধান মুরুব্বিদের অংশগ্রহণ, কাকরাইল মসজিদ ব্যবহারের অনুমতি, টঙ্গীর ইজতেমা ময়দানের নিয়ন্ত্রণ ও ইজতেমার সময় বরাদ্দে বৈষম্যমূলক আচরণ করা হচ্ছে। এ ধরনের বৈষম্য ন্যায় ও সমতার ভিত্তিতে দ্রুত দূর করা জরুরি।”
তিনি আরও জানান, “যদি আগামী ২০ জানুয়ারির মধ্যে আমাদের দাবি মেনে নেওয়া না হয়, তবে আমরা প্রধান উপদেষ্টার বাসভবনের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করতে বাধ্য হব।”
এ সময় কুৃমিল্লা সেট্রল মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থী আব্দুল কাইয়ুম,উইলস স্কুলের ঢাকার শিক্ষার্থী মো.আবু বক্কর,কৃষি প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট বাঞ্ছারামপুরের শিক্ষার্থী মো.আনাস খাঁন, ফতেয়াদ নায়েব আলী কলেজের শিক্ষার্থী মো.মহিউদ্দিনসহ অনেকেই উপস্থিত ছিলেন।
মন্তব্য করুন
জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক সারজিস আলম বলেছেন, সামনে নতুন নির্বাচিত সরকার আসবে। তাই ভোট টাকার বিনিময়ে না দিয়ে যোগ্য এবং সৎ প্রার্থীকে ভোট দিতে হবে।
বুধবার (২৫ ডিসেম্বর) দুপুরে পঞ্চগড়ের আটোয়ারী মডেল পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে শীতবস্ত্র বিতরণ অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, "নতুন বাংলাদেশ, নতুন সরকার। সামনে নতুন নির্বাচিত সরকার আসবে। সেই সঙ্গে নতুন মেম্বার, চেয়ারম্যান থেকে শুরু করে এমপি-মন্ত্রীর নির্বাচন হবে। ভোটের দিন আমরা টাকার বিনিময়ে ভোট না দিয়ে যোগ্য এবং সৎ প্রার্থীকে ভোট দিতে হবে।"
সারজিস আলম আরও বলেন, "পাঁচ বছরের জন্য একজন প্রতিনিধিকে নির্বাচিত করার সুযোগ আমাদের কাছে মাত্র একবার আসে। যদি আমরা সেই সুযোগ কয়েকশ টাকার বিনিময়ে নষ্ট করি, তাহলে আগামী পাঁচ বছর সেই প্রতিনিধি আমাদের উপর জুলুম করবে। এ দায়ভার আমরা এড়াতে পারব না। তাই ব্যক্তিগতভাবে আমাদের সচেতন হতে হবে এবং দায়িত্বশীল আচরণ করতে হবে।"
মন্তব্য করুন
কুমিল্লা সদর দক্ষিণ উপজেলার পদুয়ার বাজার বিশ্বরোড এলাকায় যৌথভাবে একটি চেকপোস্ট স্থাপন করেছে । এ সময় ট্রাফিক আইন লঙ্ঘনের দায়ে ২টি মোটরসাইকেলের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়। এ সময় মোট ৮ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয় এবং ১টি মোটরসাইকেল জব্দ করা হয়।
সোমবার (২ মে) বেলা সাড়ে ১১ টার দিকে এত তদারকি অভিযান পরিচালিত হয়।
যৌথভাবে পরিচালিত এই চেকপোস্টে সেনাবাহিনীর সদস্যরা অংশগ্রহণ করেন। যান চলাচলে শৃঙ্খলা নিশ্চিত ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় সেনাবাহিনীর এই তৎপরতা স্থানীয়দের প্রশংসা কুড়িয়েছে।
মন্তব্য করুন
ডেস্ক রিপোর্টঃ
২০২৪ সালের শেষ দিনে (৩১ ডিসেম্বর), বায়ুদূষণের ক্ষেত্রে বিশ্বের শহরগুলোর তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে উঠে এসেছে বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকা। এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্সে (এআইকিউ) ২১০ স্কোর নিয়ে ঢাকার বায়ুর মান ‘খুবই অস্বাস্থ্যকর’ পর্যায়ে রয়েছে। তালিকার শীর্ষে রয়েছে পাকিস্তানের করাচি (২৩৭ স্কোর) এবং তৃতীয় স্থানে ভারতের দিল্লি (২০৪ স্কোর)।
সকাল ১১টায় আইকিউএয়ার থেকে প্রাপ্ত তথ্যে দেখা গেছে, শুধু আজ নয়, পুরো মাসজুড়েই ঢাকার মানুষ অস্বাস্থ্যকর বায়ুর সঙ্গে লড়াই করেছে। গতকালও একই সময়ে ঢাকার বায়ুমান অস্বাস্থ্যকর পর্যায়ে ছিল।
বায়ুমান পরিস্থিতি: ঢাকার দূষিত এলাকা
প্রতিবেদন অনুসারে, ঢাকার মধ্যে সবচেয়ে দূষিত বাতাস মিরপুরের ইস্টার্ন হাউজিং এলাকায় (২৬১ স্কোর) পাওয়া গেছে। এরপরে রয়েছে বেচারাম দেউড়ি (৩৬২), মার্কিন দূতাবাস এলাকা (২৪৬), মহাখালীর আইসিডিডিআরবি এলাকা (২৩৩), কল্যাণপুর (২২৯), গুলশানের গ্রেস ইন্টারন্যাশনাল স্কুল (২৩৬), তেজগাঁওয়ের শান্তা টাওয়ার এলাকা (২১০), এবং গুলশান ২ এর রব ভবন এলাকা (২১১)।
বায়ুমান সূচক অনুযায়ী দূষণের মাত্রা:
০-৫০: ভালো
৫১-১০০: মাঝারি বা সহনীয়
১০১-১৫০: সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর
১৫১-২০০: অস্বাস্থ্যকর
২০১-৩০০: খুবই অস্বাস্থ্যকর
ঢাকার দূষণের কারণ ও সতর্কতা:
বাতাসে অতিক্ষুদ্র বস্তুকণা বা পিএম ২.৫-এর উচ্চমাত্রাই ঢাকার বায়ুদূষণের প্রধান কারণ। আজ এর মাত্রা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মানমাত্রার তুলনায় প্রায় ২৬ গুণ বেশি।
আইকিউএয়ার জানিয়েছে, এই অবস্থায় নিজেকে সুরক্ষিত রাখতে হলে বাইরে গেলে মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক। খোলা জায়গায় ব্যায়াম এড়িয়ে চলতে হবে এবং ঘরের জানালা বন্ধ রাখতে হবে।
মন্তব্য করুন
ডেস্ক রিপোর্টঃ
নোয়াখালীর সদর উপজেলায় সেপটিক ট্যাংক থেকে এক ব্যাটারি চালিত অটোরিকশা চালকের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
সোমবার (৯ ডিসেম্বর) দুপুরের দিকে উপজেলার কালাদরাপ ইউনিয়নের ৩নম্বর ওয়ার্ডের চুলডগি এলাকার জামালের বাড়ির বাথরুমের সেপটি ট্যাংকি থেকে এই মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
নিহত মো.রবিন হোসেন (১৬) একই ইউনিয়নের ৮নম্বর ওয়ার্ডের রাজহরিতালুক গ্রামের মাকু মিয়া সওদাগর বাড়ির মো.ইউনূসের ছেলে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, রবিন পেশায় একজন ব্যাটারি চালিত অটোরিকশা চালক ছিলেন। সে তার সৎমা রুনা আক্তারের সাথে একই বাড়িতে বসবাস করত। নভেম্বর মাসে তার বাবা ঢাকা যাওয়ার সময় তার অটোরিকশা ছেলেকে চালাতে দিয়ে যান। গত ৩ ডিসেম্বর সন্ধ্যার দিকে উপজেলার কালাদরাপ ইউনিয়নের ডিবি রোড থেকে অটোরিকশাসহ নিখোঁজ হন রবিন। পরে পরিবারের সদস্যরা জানতে পারে ওই দিন সন্ধ্যার দিকে একই গ্রামের জুয়েল (২৬) সহ অজ্ঞাত কয়েকজন লোককে স্থানীয়রা তার সাথে মোবাইল নিয়ে ধস্তাধস্তি করতে দেখেন। এ বিষয়ে জুয়েলকে রবিনের বিষয়ে জিজ্ঞাসা করলে তিনি এলামেলো কথাবার্তা বলেন। পরে জুয়েলকে স্থানীয়রা মারধর করে পুলিশে সোপর্দ করে। নিখোঁজের ৬দিন পর সোমবার সকালে স্থানীয় লোকজন বাথরুমের সেপটি ট্যাংকে তার মরদেহ দেখতে পেয়ে পুলিশে খবর দেয়।
সুধারাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামরুল ইসলাম বলেন, গলায় কাপড় পেঁচিয়ে রবিনকে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় নিহতের সৎমা ৫ ডিসেম্বর প্রথমে থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। পরে পুলিশ ভিকটিমকে না পেয়ে সেটিকে অপহরণ মামলা হিসেবে রুজু করে। এর পর পরই ভিকটিমের মোবাইলের সূত্র ধরে দুজনকে আটক করা করা হয়। তারা ভিকটিমের মোবাইল ব্যবহার করছিল।
ওসি কামরুল ইসলাম আরও বলেন, আজ সকালে বাথরুমের সেপটি ট্যাংকির সামনে গিয়ে একটি কুকুর ঘেউ ঘেউ করতে থাকে। পরবর্তীতে স্থানীয়রা এসে বাথরুমের সেপটি ট্যাংকের স্ল্যাবের মুখ খুললে রবিনের মরদেহ দেখতে পায়।
মন্তব্য করুন
র্যাব-১১, সিপিসি-২ এর একটি বিশেষ আভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কুমিল্লা সদরের কোটেশ্বর এলাকায় মাদক বিরোধী অভিযান পরিচালনা করে ইব্রাহিম হোসেন অপু (৩৮) নামের এক মাদক ব্যবসায়ীকে আটক করে। এ সময় তার কাছ হতে ৩৭.৫ কেজি গাঁজা উদ্ধার করা হয়।
অন্য একটি অভিযানে গত ২৬ জুন রাতে র্যাব-১১, সিপিসি-২ এর একটি বিশেষ আভিযানিক দল সদরের আমড়াতলী এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে মোঃ হানিফ মিয়া (৩৭) নামের এক মাদক ব্যবসায়ীকে আটক করে । এ সময় তার কাছ হতে ৬৪ কেজি গাঁজা ও মাদক পরিবহণ কাজে ব্যবহৃত একটি সিএনজি উদ্ধার করা হয়।
২৬ জুন রাতে এ দুটি অভিযান পরিচনা করা হয়।
আটক হওয়া ইব্রাহিম হোসেন অপু (৩৮) কুমিল্লা সদরের লালবাজার গ্রামের মৃত আব্দুল লতিফ মিয়ার ছেলে এবং মোঃ হানিফ মিয়া (৩৭) একই থানার মনিপুর গ্রামের মৃত শফিক মিয়ার ছেলে।
জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় যে, তারা দীর্ঘদিন ধরে কুমিল্লার সীমান্তবর্তী এলাকা হতে মাদকদ্রব্য গাঁজা সংগ্রহ করে কুমিল্লার বিভিন্ন স্থানে মাদক ব্যবসায়ী ও মাদক সেবীদের নিকট পাইকারি ও খুচরা মূল্যে বিক্রয় করে আসছে।
আসামীদ্বয়ের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে ।
অভিযানের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন র্যাব-১১,সিপিসি-২ এর কোম্পানি অধিনায়ক লে: কমান্ডার মাহমুদুল হাসান।
মন্তব্য করুন
দীর্ঘদিন অসুস্থ থাকা বাংলা চলচ্চিত্রের নন্দিত চিত্রনায়ক, বীর মুক্তিযোদ্ধা ও ঢাকা ১৭ আসনের সংসদ সদস্য আকবর হোসেন পাঠান (ফারুক)-এর মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার মো. শামসুল হক টুকু। সোমবার (১৫ মে) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ডেপুটি স্পিকারের প্রেসসচিব সোয়াইব হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
এ সময় ডেপুটি স্পিকার তার রুহের মাগফেরাত কামনা করেন এবং শোক সন্তপ্ত পরিবার-পরিজন ও শুভানুধ্যায়ীদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।
এর আগে সোমবার (১৫ মে) স্থানীয় সময় সকাল ১০টার দিকে সিঙ্গাপুরের মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আকবর হোসেন পাঠান (ফারুক) মৃত্যুবরণ করেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৭৪ বছর।
১৯৪৮ সালের ১৮ আগস্ট ঢাকায় জন্মগ্রহণ করেন ফারুক। এইচ আকবর পরিচালিত ‘জলছবি’ চলচ্চিত্রে অভিনয়ের মাধ্যমে ১৯৭১ সালে ঢাকাই সিনেমার তার অভিষেক হয়। এরপর ‘লাঠিয়াল’, ‘সুজন সখী’, ‘নয়নমনি’, ‘সারেং বৌ’, ‘গোলাপী এখন ট্রেনে’, ‘সাহেব’, ‘আলোর মিছিল’, ‘দিন যায় কথা থাকে’, ‘মিয়া ভাই’সহ শতাধিক চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন।
ফারুক ১৯৭৫ সালে ‘লাঠিয়াল’ সিনেমা জন্য শ্রেষ্ঠ পার্শ্ব অভিনেতা হিসেবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পান। এছাড়া ২০১৬ সালে আজীবন সম্মাননায় ভূষিত হন।
মন্তব্য করুন
স্টাফ রিপোর্টারঃ
কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে প্রাণ গেল নেছার উদ্দিন নিশান (১৫) নামে এক কিশোরের।
সে উপজেলার চিওড়া ইউনিয়নের চিলপাড়া গ্রামের মৃত. আবদুল বারেকের ছেলে।
ঘটনাটি ঘটেছে সোমবার দুপুরে উপজেলার কনকাপৈত বাজারের বাংলাদেশ স্টীল ওয়ার্কশপে। তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরী বিভাগের চিকিৎসক মো: আবুল হাশেম সবুজ।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, নিশান কনকাপৈত বাজারের বাংলাদেশ স্টীল ওয়ার্কশপে গত ৫ বছর ধরে কাজ করে আসছেন। সোমবার দুপুরে ওয়ার্কশপের মালিক ইয়াকুব মিয়াজী একটি অটো রিক্সা রিফেয়ারিং এর কাজ করছিলেন। এ সময় নিশান মালিকের পিছনের দাঁড়িয়ে কাজ দেখছিলেন। হঠাৎ করে সে মাটিতে আছড়ে পড়ে। এ সময় ওয়ার্কশপের মালিক ইয়াকুব মিয়াজী তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে এলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
ওয়ার্কশপের মালিক ইয়াকুব মিয়াজী বলেন, নিশান আমার দোকানে গত ৫ বছর ধরে কাজ শিখছিলেন। সোমবার দুপুরে আমি একটি অটো রিক্সায় ইলেকট্রনিক শর্ট দিয়ে রিফারিং এর কাজ করছিলাম। সে আমার পিছনে দাঁড়িয়ে ছিল। হঠাৎ করে সে মাটিতে লুটে পড়ে গেলে আমি তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে আসলে হাসপাতালের ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
চৌদ্দগ্রাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক আবুল হাশেম সবুজ বলেন, হাসপাতালে নিয়ে আসার আগেই বিদ্যুৎ স্পৃষ্ট কিশোর নিশান মৃত্যু বরণ করে। ইসিজি রিপোর্টে দেখা যায় সে বিদ্যুৎ স্পৃষ্টে মারা গেছে।
চৌদ্দগ্রাম থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এ.টি.এম আক্তার উজ জামান বলেন, বিদ্যুৎ স্পৃষ্টে এক কিশোরের মৃত্যুর খবর পেয়ে হাসপাতাল থেকে তার লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। এ বিষয়ে অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। অন্যথায় আইনী প্রক্রিয়া শেষে স্বজনদের কাছে লাশ হস্তান্তর করা হবে।
মন্তব্য করুন
জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের সিনিয়র কনসালটেন্ট হৃদরোগ, বাতজ্বর ও ডায়াবেটিকস এর মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ডাক্তার মো: রুহুল আমিনকে ফাঁসাতে নানা অপবাদ দিয়ে মিথ্যা অপপ্রচারে নেমেছে কিশোরগঞ্জ জেলার একটি মহল। এমন অভিযোগ পাওয়া গেছে।
এ বিষয়ে ডাক্তার রুহুল আমিন জানান, কিশোরগঞ্জের নিকলী ও বাজিতপুর এলাকায় আমি ১২ বছর যাবত চেম্বার করি।এ এলাকার হাজার হাজার রোগী আমার চিকিৎসায় উপকৃত হয়েছেন এবং হচ্ছেন। নিকলী হেল্থকেয়ার ডায়াগনস্টিক এর মালিক ওমর ফারুক চৌধুরী ও তার স্ত্রী বিলকিস বিভিন্ন সময় রিপোর্ট জালিয়াতি ও ভুয়া রিপোর্ট করে আমার কাছে ধরা পড়ে। এসব কারনে বিভিন্ন সময় আমি চেম্বার ছেড়ে দেয়ার হুমকি দেই।তারা আর এসব ভুল করবেনা মর্মে ক্ষমা চায় এবং আমাকে বিভিন্নজনকে দিয়ে সুপারিশ করিয়ে চেম্বার করার অনুরোধ করে। আমি ভুল ও জালিয়াতি না করার প্রতিশ্রুতি পেয়ে চেম্বার অব্যাহত রাখি। উল্লেখ্য আমি নিকলী ও পাশ্ববর্তী সরারচর বাজারে দুইটি চেম্বার করি।
বৃহস্পতিবার বিকেলে সরারচর, শুক্রবার সকালে নিকলী ও শুক্রবার বিকেলে পুনরায় সরারচর চেম্বার করি। বৃহস্পতিবার রাতে আমি নিকলী চেম্বার মালিকের বাসায় একটি রুমে থাকি। আমার পরিবার ২০১৭ সালে বাজিতপুর থেকে ঢাকায় চলে আসার পর থেকে আমি ওদের বাসায় প্রতি বৃহস্পতিবার রাতে অবস্থান করতে হয়। চলতি বছরের ২৩ মার্চ সেহরির সময় চেম্বার মালিক ওমর ফারুক চৌধুরীর মাদকাসক্ত ছেলে ওমর বেলায়েত (পূণ্য)আমার কক্ষে মাদকাসক্ত অবস্থায় প্রবেশ করে আমার মানিব্যাগ ও মোবাইল নিয়ে যায় এবং আমাকে শারীরিকভাবে আহত করে।
তখন ওর বাবা-মা ৯৯৯ এ কল দিলে মাদকাসক্ত ও উন্মাদ ছেলেকে ফায়ার সার্ভিসের সহযোগীতায় পুলিশ দেশীয় অস্ত্রসহ ও আমার লুন্ঠিত মালামালসহ আটক করে।ছেলে পুলিশের হাতে আটক অবস্থায় বের হওয়ার পর আমাকে হত্যার হুমকি দেয়।আমি চেম্বার মালিককে জানাই ছেলেকে জেল থেকে বের করলে আমাকে জানাতে এবং জেল থেকে রিহ্যাবে দিতে।কিন্তু তারা তা না করে আমাকে না জানিয়ে ছেলেকে জেল থেকে মুক্ত করে। আমি বিষয়টি জেনে আমার নিরাপত্তা ইস্যুটিতে দুঃশ্চিন্তাগ্রস্ত হয়ে ওদেরকে নিকলী চেম্বার ছেড়ে দেয়ার মৌখিক নোটিশ দেই। তারা আমাকে বিভিন্নভাবে ম্যানেজের চেষ্টা করে।তারপরও আমি ১৮ এপ্রিল চেম্বারে না বসলে আমাকে নারীঘটিত ব্যাপারে ফাঁসিয়ে দেয়ার হুমকি দেয়। ঐদিন সন্ধ্যার পর কয়েকজন ব্যাক্তি সাংবাদিক পরিচয়ে আমার সরারচর চেম্বারে এসে জানায় - নিকলীর ফারুক চৌধুরী ও তার স্ত্রী বিলকিস আমার বিরুদ্ধে তাদের মেয়েকে শ্লীলতাহানির অভিযোগ করেছেন।
এর মধ্যে তারা বিভিন্নভাবে আমাকে ও আমার পরিবারকে নানাভাবে হুমকি দিতে থাকে এবং সাংবাদিক পরিচয়ে কিছু ব্যাক্তি আমার কাছে নিউজ করার হুমকি দিয়ে টাকা দাবি করতে থাকে। এতে আমি ১৯ এপ্রিল টঙ্গী থানায় একটি সাধারণ ডায়রি দায়ের করি। আমি কাউকে টাকা না দেয়ায় ২২ এপ্রিল কিছু ব্যাক্তি আমার বিরুদ্ধে কুরুচিপূর্ণ ও মানহানিকর ফেসবুকে পোস্ট করতে থাকে। ২৩ এপ্রিল তারা ঠিক একমাস আগে যে মামলায় তাদের নিজের ছেলের বিরুদ্ধে আমার ও তার নিজের বাবা-মায়ের উপর হামলার করেছিলো সেই ঘটনাকেই ভিন্নখাতে সাজিয়ে আমার বিরুদ্ধে তাদের মেয়েকে শ্লীলতাহানির মামলা করে। আমি মাত্র একটি চেম্বার না করার পরপরই আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রমুলক মামলা করে। অথচ আমি ১২ বছর তাদের চেম্বারে রোগী দেখার পরও তারা কোনদিন আমার বিরুদ্ধে ন্যুনতম অভিযোগ করেনি।
এমতাবস্থায় বিভিন্ন ফেসবুক প্রোফাইল ও সংবাদপত্র আমার বিরুদ্ধে কুরুচিপূর্ণ ও মুখরোচক ভুয়া নিউজ করে আমার ও আমার পরিবারের জীবনকে দূর্বিসহ করে তুলেছে। তাছাড়া আমার বিরুদ্ধে নিকলী থানায় ভুয়া অভিযোগ দায়ের করে আমাকে প্রচন্ড হয়রানি করছে। এমতাবস্থায় দেশের বিবেকবান মানুষ, ছাত্রজনতা, ডাক্তার সমাজ, বিবেকবান সাংবাদিক ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রতি আমার অনুরোধ একজন ডাক্তারকে ভয়াবহ হয়রানি থেকে রক্ষা করুন।
মন্তব্য করুন
মহান বিজয় দিবস-২০২৪ উদযাপন উপলক্ষে ক্রীড়া পরিদপ্তর, যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনায় কুমিল্লা জেলা ক্রীড়া অফিসের উদ্যোগে প্রীতি কারাতে প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সোমবার ( ১৬ ডিসেম্বর) বিকাল ৩ টায় কুমিল্লা জেলা স্টেডিয়াম জিমনেসিয়ামে কুমিল্লা নগরীর বালক-বালিকাদের অংশগ্রহণে প্রীতি কারাতে প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়েছে ।
এ প্রতিযোগিতার অনুষ্ঠানে কুমিল্লা জেলা ক্রীড়া কর্মকর্তা সুমন কুমার মিত্রের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কুমিল্লা জেলা প্রশাসনের রেভিনিউ ডেপুটি কালেক্টর (আরডিসি) মো: মঈন উদ্দিন।
এ সময় বিশেষ অতিথি হিসেব উপস্থিত ছিলেন ক্রীড়া ব্যক্তিত্ব ও সংগঠক বদরুল হুদা জেনু, কুমিল্লা জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাবেক যুগ্ম সম্পাদক মাহবুবুল আলম চপলসহ আরো অনেকে উপস্থিত ছিলেন।
মন্তব্য করুন
আগামী ২০ মে ‘ম্যাঙ্গো স্পেশাল ট্রেন’ চালু হচ্ছে বলে জানিয়েছেন চাঁপাইনবাবগঞ্জের জেলা প্রশাসক একেএম গালিভ খাঁন।
সোমবার (১৫ মে) সকালে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে আম পরিবহন সংক্রান্ত মতবিনিময় সভায় তিনি এ তথ্য জানান।
তিনি আরও জানান, সভায় চাঁপাইনবাবগঞ্জ, রাজশাহী ও নওগাঁ থেকে কুরিয়ার সার্ভিসে একই খরচে আম পরিবহনের প্রস্তাব করা হয়েছে। এ বিষয়ে তিন জেলার জেলা প্রশাসকরা ঐক্যমতে পৌঁছেছেন। এ নিয়ে কুরিয়ার সার্ভিসগুলোকে সিদ্ধান্ত জানাতে বলা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে এই তিন জেলা থেকে ১০ টাকা কেজি দরে আম পরিবহনের প্রস্তাব করা হয়েছে।
জেলা প্রশাসক একেএম গালিভ খাঁন জানান, এবার ‘ম্যাঙ্গো স্পেশাল ট্রেন’ ট্রেনে ৯টি করে ওয়াগন থাকবে। এছাড়া আম পরিবহন ও বাজারে সতর্ক অবস্থায় থাকবে জেলা প্রশাসনের মোবাইল কোর্ট। আমের বাজারে চাঁদাবাজি কঠোরভাবে দমন করা হবে। সড়কে আম পরিবহনে কোনো ধরনের হয়রানি সহ্য করা হবে না। এমনকি কুরিয়ার সার্ভিস বা অন্যান্য পরিবহনে বেশি ভাড়া নিলে বা সেবাগ্রহীতাদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করলে ভোক্তা সংরক্ষণ আইনে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মন্তব্য করুন