র্যাব-১১, সিপিসি-২ এর একটি বিশেষ আভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কুমিল্লা সদরের কোটেশ্বর এলাকায় মাদক বিরোধী অভিযান পরিচালনা করে ইব্রাহিম হোসেন অপু (৩৮) নামের এক মাদক ব্যবসায়ীকে আটক করে। এ সময় তার কাছ হতে ৩৭.৫ কেজি গাঁজা উদ্ধার করা হয়।
অন্য একটি অভিযানে গত ২৬ জুন রাতে র্যাব-১১, সিপিসি-২ এর একটি বিশেষ আভিযানিক দল সদরের আমড়াতলী এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে মোঃ হানিফ মিয়া (৩৭) নামের এক মাদক ব্যবসায়ীকে আটক করে । এ সময় তার কাছ হতে ৬৪ কেজি গাঁজা ও মাদক পরিবহণ কাজে ব্যবহৃত একটি সিএনজি উদ্ধার করা হয়।
২৬ জুন রাতে এ দুটি অভিযান পরিচনা করা হয়।
আটক হওয়া ইব্রাহিম হোসেন অপু (৩৮) কুমিল্লা সদরের লালবাজার গ্রামের মৃত আব্দুল লতিফ মিয়ার ছেলে এবং মোঃ হানিফ মিয়া (৩৭) একই থানার মনিপুর গ্রামের মৃত শফিক মিয়ার ছেলে।
জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় যে, তারা দীর্ঘদিন ধরে কুমিল্লার সীমান্তবর্তী এলাকা হতে মাদকদ্রব্য গাঁজা সংগ্রহ করে কুমিল্লার বিভিন্ন স্থানে মাদক ব্যবসায়ী ও মাদক সেবীদের নিকট পাইকারি ও খুচরা মূল্যে বিক্রয় করে আসছে।
আসামীদ্বয়ের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে ।
অভিযানের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন র্যাব-১১,সিপিসি-২ এর কোম্পানি অধিনায়ক লে: কমান্ডার মাহমুদুল হাসান।
মন্তব্য করুন
অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় মোখার প্রভাব কেটে যাওয়ায় বরিশাল থেকে সব ধরনের নৌযান চলাচলের অনুমতি দিয়েছে বিআইডব্লিউটিএ। সোমবার (১৫ মে) সকাল ৯টা থেকে অভ্যন্তরীণ ১১টি ও দূরপাল্লার একটি সব মিলিয়ে ১২টি রুটে লঞ্চ চলাচল শুরু হয়েছে।
বিষয়টি ঢাকা পোস্টকে নিশ্চিত করেছেন বরিশাল নদী বন্দর কর্মকর্তা মো. আব্দুর রাজ্জাক।
আব্দুর রাজ্জাক জানান, এর আগে ঘূর্ণিঝড় মোখার কারণে ২ দিন সব ধরনের নৌযান চলাচল বন্ধ ঘোষণা করে বিআইডব্লিউটিএ কর্তৃপক্ষ। আবহাওয়া স্বাভাবিক হওয়ায় সেই নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া হয়েছে।
এর আগে ঘূর্ণিঝড় মোখার প্রভাবে পায়রা সমুদ্র বন্দরে ৮ নম্বর মহাবিপদ সংকেত ঘোষণার পর বরিশালের অভ্যন্তরীণ রুটের লঞ্চ চলাচল বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নেয় বিআইডব্লিউটিএ। শুরুতে শুধুমাত্র যাত্রীবাহী লঞ্চ চলাচল বন্ধ ঘোষণা করা হলেও পরবর্তীতে বরিশালের ১২টি নৌরুটে সব ধরনের নৌযান চলাচলে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে বিআইডব্লিউটিএ। এমনকি সব ধরনের নৌযান নিরাপদে নোঙর করে রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়।
সৈয়দ মেহেদী হাসান/এবিএস
মন্তব্য করুন
স্টাফ রিপোর্টারঃ
বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশন (বিএডিসি) নোয়াখালী জেলা অফিসে দুই সাংবাদিকের ওপর হামলার ঘটনায় মামলা হয়েছে।
রোববার (২০ অক্টোবর) দুপুরে সুধারাম মডেল থানায় ভুক্তভোগী সাংবাদিক মাহবুবুর রহমান বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন। মামলায় বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশন (বিএডিসি) নোয়াখালী জেলা কার্যালয়ের স্টোরকিপার মিরাজ হোসেন ওরফে শান্তকে আসামী করা হয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত তাকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ।
মামলার বাদী মাহবুবুর রহমান। তিনি দৈনিক বাংলা পত্রিকা ও অনলাইন পোর্টাল নিউজ বাংলার জেলা প্রতিনিধি এবং নোয়াখালী প্রেসক্লাবের কার্য্যনির্বাহী সদস্য । এ ঘটনায় দেশ টেলিভিশনের জেলা প্রতিনিধি মাওলা জিয়াউল আহসান সুজন ও লাঞ্ছিত হন।
মাহবুবুর রহমান অভিযোগ করে বলেন, গত ১৭ অক্টোবর আমি লিখিত অভিযোগ দায়ের করি। এরপর পুলিশ মামলা নিতে গড়িমসি করে। অবশেষে তিন দিন পর পুলিশ মামলা রুজু করে।
মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেন সুধারাম মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. কামরুল ইসলাম। তিনি বলেন, এ ঘটনায় একজনকে আসামি করে মামলা নেওয়া হয়েছে। পুলিশ আসামিকে গ্রেপ্তারে চেষ্টা চালাচ্ছে।
প্রসঙ্গত, গত ১৬ অক্টোবর বুধবার দুপুরে বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশন (বিএডিসি) নোয়াখালী জেলা কার্যালয়ে উপ পরিচালক বরাবরে তথ্য চেয়ে আবেদন ফরম জমা দিতে যায় সাংবাদিক মাহবুবুর রহমান ও দেশ টিভির জেলা প্রতিনিধি মাওলা রকিবুল আহসান সুজন। সেখানে উপপরিচালক (বীজ বিপণন) নুরুল আলমের সঙ্গে তার কক্ষে কথা বলার সময় প্রতিষ্ঠানের স্টোরকিপার মিরাজ হোসেন ওরফে শান্ত কক্ষে প্রবেশ করে হঠাৎ ভিডিও করা শুরু করেন। একপর্যায়ে সাংবাদিকেরা চাঁদা নিতে এসেছেন, এমন দাবি করে চিৎকার-চেঁচামেচি শুরু করেন। তাকে চিৎকার-চেঁচামেচি ও ভিডিও করা বন্ধ করতে বলা হলে কর্মচারী মিরাজ হোসেন তাঁকে কিলঘুষি দিতে শুরু করেন। পরে মারধরের জন্য লাঠি নিতে মিরাজ কক্ষ থেকে বের হলে কক্ষে থাকা অপর সাংবাদিক রকিবুল আহসান দরজা বন্ধ করে দেন। গত বৃহস্পতিবার ১৭ অক্টোবর উপ পরিচালক নুরুল আলম এঘটনার ব্যাখ্যা চেয়ে একটি চিঠি দেন। চিঠিতে স্টোর কিপার মিরাজ হোসনকে তিন কার্যদিবসের মধ্যে 'এঘটনা কেন ঘটিয়েছেন' মর্মে ব্যাখ্যা দেয়ার জন্য নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
মন্তব্য করুন
ডেস্ক রিপোর্টঃ
বাংলাদেশের জলসীমায় অবৈধ অনুপ্রবেশের অভিযোগে ৩১ জেলেসহ ভারতীয় দুটি ট্রলিং জাহাজ আটক করেছে বাংলাদেশ নৌবাহিনী।
মঙ্গলবার (১৫ অক্টোবর) বিকালে নৌ-বাহিনীর যুদ্ধ জাহাজ বিএনএস শহীদ আকতার উদ্দিন নিয়মিত অভিযান পরিচালনাকালে কুয়াকাটা সংলগ্ন বঙ্গোপসাগর থেকে জয় জগন্নাথ ও মা বাসন্তী নামের দুটি ট্রলিং জসহাজসহ জেলেদের আটক করে। আটককৃতদের বাড়ি ভারতের চব্বিশ পরগনা জেলার বিভিন্ন গ্রামে।
বুধবার (১৬ অক্টোবর) সকাল দশটায় পায়রা বন্দরের জেটি এলাকায় সংবাদ সম্মেলনে বিষয়টি নিশ্চিত করেন বিএনএস শহীদ আকতার উদ্দিন জাহাজের কমান্ডিং অফিসার লেফটেন্যান্ট কমান্ডার মশিউল ইসলাম।
মশিউল ইসলাম বলেন, আটককৃত জেলে ও জাহাজ দুটিকে কলাপাড়া থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে।
উল্লেখ্য, মা ইলিশ রক্ষায় ১৩ সেপ্টেম্বর থেকে ৩ নভেম্বর পর্যন্ত সাগর ও নদীতে ২২ দিন মাছ ধরার উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে সরকার।
মন্তব্য করুন
ডেস্ক রিপোর্ট:
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেছেন, ১৫ জানুয়ারির মধ্যে প্রোক্লেমেশন অব জুলাই রেভ্যুলুশন ঘোষণা করতে হবে। ৩১ ডিসেম্বরের পর এতগুলো দিন পেরিয়ে গেলেও সরকারের পক্ষ থেকে দৃশ্যমান কোনো পদক্ষেপ দেখতে পাইনি। এ দেশে অন্য কোনো দেশের দাদাগিরি চলবে না বলেও হুঙ্কার দেন তিনি।
বুধবার বিকালে কুমিল্লা টাউন হল মাঠে নগরীতে লিফলেট বিতরণ এবং জনসংযোগ শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি। এর আগে কুমিল্লা পুলিশ লাইন থেকে জনসংযোগ ও লিফলেট বিতরণ শুরু করে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন ও জাতীয় নাগরিক কমিটি।
হাসনাত বলেন, কুমিল্লা থেকে ফ্যাসিবাদ বিরোধী আন্দোলনের সূচনা শুরু হয়েছে এবং তা অব্যাহত থাকবে। চব্বিশের বাংলাদেশে আগামীর স্বপ্ন কুমিল্লা থেকে যাত্রা শুরু হবে। আর আপনারা জানেন, কুমিল্লা থেকে ফ্যাসিবাদবিরোধী ধ্বনি সব সময় উচ্চারিত হয়েছে। আগামী ৭ দিন পর্যায়ক্রমে দেশের বিভিন্ন জেলায় এ কর্মসূচি পালন করা হবে। দেশটা ফ্যাসিবাদের অষ্টেপৃষ্ঠে শিকলে বাঁধা ছিল। জুলাই গণঅভ্যুত্থানের পর ফ্যাসিবাদের শিকলমুক্ত করেছে ভয়হীন তরুণ প্রজন্ম। যে প্রজন্মটাকে আমরা অলস ভাবতাম, মোবাইল নিয়ে পড়ে থাকত, ওই প্রজন্মই দিন শেষে আমাদের কথা বলার অধিকার ফিরিয়ে দিয়েছে। আমরা অতীতের রাজনীতির পুনরাবৃত্তি চাই না। তাই বাংলাদেশের প্রচলিত রাজনৈতিক ধারা পরিবর্তন করতে হবে।
অন্তর্বর্তী সরকারকে উদ্দেশ করে হাসনাত বলেন, জুলাই অভ্যুত্থানে শহিদ ও আহতদের আর্তনাদ আমরা এখনো শুনতে পাই। আমলাতান্ত্রিক জটিলতার দোহাই দিয়ে তাদের সুবিধাপ্রাপ্তির অধিকার থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে। চব্বিশ পরবর্তী বাংলাদেশে আমলাতান্ত্রিক জটিলতার দোহাই চলবে না। এ দেশে অন্য কোনো দেশের দাদাগিরি চলবে না।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন- কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক তারিকুল ইসলাম, কুমিল্লা জেলার আহ্বায়ক সাকিব হোসাইন, সদস্য সচিব রুবেল হোসেন, মহানগর সদস্য সচিব রাশেদুল হাসান প্রমুখ।
মন্তব্য করুন
ডেস্ক রিপোর্টঃ
সিলেটে পুরোনো গ্যাসকূপ (সিলেট-৭) সংস্কার করতে গিয়ে নতুন করে গ্যাসের সন্ধান পাওয়া গেছে। দুই দফা পরীক্ষা শেষে বিষয়টি নিশ্চিত হয়েছে সিলেট গ্যাস ফিল্ড লিমিটেড কর্তৃপক্ষ।
মঙ্গলবার (২২ অক্টোবর) দ্বিতীয় দফায় পরীক্ষা করা হয়। এতে মাত্র এক হাজার ২০০ মিটার গভীরতায় গ্যাসের সন্ধান মেলে।
সিলেট গ্যাস ফিল্ড লিমিটেডের (এসজিএফএল) ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মো. মিজানুর রহমান জাগো নিউজকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, পুরাতন গ্যাসকূপ সিলেট-৭ নম্বরে চলতি বছরের জুলাই মাস থেকে মেরামতে কাজ করছি। ১৪ অক্টোবর দুই হাজার ১০ মিটার গভীরতায় পরীক্ষা করে গ্যাসের সন্ধান পাওয়া যায়। আজ ওই কূপের আরেকটি জোনে এক হাজার ২০০ মিটার গভীরতায় ফের গ্যাসের সন্ধান মেলে।
তিনি আরও বলেন, আনুষ্ঠানিকভাবে পরীক্ষা করলে জানা যাবে কী হরিমাণ গ্যাস মজুত রয়েছে। গ্যাস পরীক্ষা করতে আরও তিন-চারদিন সময় লাগতে পারে। তবে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা যাচ্ছে, প্রতিদিন গড়ে সাড়ে ৮ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস উত্তোলন করা যাবে।
মিজানুর রহমান বলেন, বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টাকে সিলেটে আনার প্রস্তুতি চলছে। তিনি এলে আনুষ্ঠানিকভাবে সবকিছু বলা যাবে।
এর আগে ২৪ মে সিলেটের কৈলাশটিলা ৮ নম্বর কূপে গ্যাস পাওয়ার কথা জানায় সিলেট গ্যাস ফিল্ডস লিমিটেড (এসজিএফএল)। এ নিয়ে গত এক বছরে সিলেটের পাঁচটি কূপে গ্যাসের সন্ধান মিললো।
১৯৫৫ সালে সিলেটের হরিপুরে প্রথম গ্যাসের সন্ধান পাওয়া যায়। এরপর আবিষ্কার হতে থাকে একের পর এক গ্যাসক্ষেত্র। দেশে বর্তমানে গ্যাসক্ষেত্রের সংখ্যা হচ্ছে ২৯টি। তার মধ্যে এসজিএফএল নিয়ন্ত্রণে আছে পাঁচটি। এই গ্যাসক্ষেত্রগুলো হচ্ছে- হরিপুর, রশিদপুর, ছাতক, কৈলাশটিলা ও বিয়ানীবাজার গ্যাসফিল্ড।
মন্তব্য করুন
ডেস্ক রিপোর্টঃ
ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়ের ধলেশ্বরী টোল প্লাজায় বেপরোয়া গতির বাসের ধাক্কায় একই পরিবারের ৪ জনসহ মোট ৬ জন নিহত হয়েছে।এই ঘটনায় ঘাতক বাসটির চালক মোহাম্মদ নুরুদ্দিনকে গ্রেফতার করেছে এলিট ফোর্স র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)।
শনিবার (২৮ ডিসেম্বর) বিকেলে র্যাব সদরদপ্তরের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মুনীম ফেরদৌস এ তথ্য জানান।
তিনি জানান, ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়েতে ধলেশ্বরী টোল প্লাজায় যাত্রীবাহী বাসের ধাক্কায় ঘাতক বাসটির চালক মোহাম্মদ নুরুদ্দিনকে শুক্রবার রাতে নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
লে. কর্নেল মুনীম ফেরদৌস আরও বলেন, দুর্ঘটনার পর বাসচালক আত্মগোপনে সিদ্ধিরগঞ্জ লুকিয়ে ছিলেন। গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়। এ ঘটনায় আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।
গতকাল শুক্রবার বেলা ১১টার দিকে ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়ের ধলেশ্বরী টোল প্লাজায় দাঁড়িয়ে থাকা ৩ টি গাড়িতে ধাক্কা দেয় যাত্রীবাহী একটি বাস। এতে একই পরিবারের ৪ জনসহ দুটি গাড়ির ৬ আরোহী নিহত ও ৪ জন আহত হন। দুর্ঘটনার পর ঘটনাস্থলেই ৫ জন ও বিকেলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আরও একজন মারা যান।
নিহতরা হলেন- মুন্সিগঞ্জের সিরাজদিখান উপজেলার নন্দনকোনা গ্রামের বাসিন্দা ও দুর্ঘটনাকবলিত প্রাইভেটকারের মালিক নুর আলমের স্ত্রী আমেনা আক্তার (৪০), তার বড় মেয়ে ইসরাত জাহান (২৪), ছোট মেয়ে রিহা মনি (১১), ইসরাত জাহানের ছেলে আইয়াজ হোসেন (২), মোটরসাইকেলের চালক সুমন মিয়ার স্ত্রী রেশমা আক্তার (২৬) ও তার ছেলে মো. আবদুল্লাহ (৭)।
আহত হয়ে চিকিৎসাধীন আছেন প্রাইভেটকারের মালিক নুর আলম (৪২), তার বোন ফাহমিদা আক্তার (১৭), প্রাইভেটকারের চালক হাবিবুর রহমান (৩৮) ও মোটরসাইকেলের চালক সুমন মিয়া (৪২)।
শুক্রবার দুর্ঘটনার পর পুরান ঢাকার স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয় আহত ব্যক্তিদের।
হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা গেছে, দুর্ঘটনায় ১০ জনকে এ হাসপাতালে নেওয়া হয়। এর মধ্যে ৫ জন হাসপাতালে নেওয়ার আগেই মারা যান। আহত ৫ জনের মধ্যে ৩ জনকে হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়। ২ জনকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। বাকি ৩ জনের মধ্যে গুরুতর আহত রেশমাকে জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন প্রতিষ্ঠানে (পঙ্গু হাসপাতাল) পাঠানো হয়েছিল। পরে তারা জানতে পারেন, শুক্রবার বিকেলে সেখানে রেশমার মৃত্যু হয়।
মন্তব্য করুন
ডেস্ক রিপোর্টঃ
কক্সবাজারে উত্তাল সমুদ্র সৈকতে নেমে প্রাণ গেল এক শিক্ষার্থীর। শনিবার (২৬ অক্টোবর) দুপুর ১টার দিকে সৈকতের সুগন্ধা পয়েন্টে এ ঘটনা ঘটে।
মারা যাওয়া মাহমুদুর রহমান (১৬) কক্সবাজার সদর উপজেলার ঝিলংজা ইউনিয়নের বাংলাবাজার এলাকার দিদারুল আলমের ছেলে। স্থানীয় জুমছড়ি দাখিল মাদরাসার নবম শ্রেণির ছাত্র সে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও লাইফ গার্ড সদস্যদের বরাতে জেলা প্রশাসনের পর্যটন সেলের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. তানভীর হোসেন বলেন, সকালে মাহমুদুর রহমান ছয় বন্ধুকে নিয়ে সৈকতে ঘুরতে যায়। তারা সৈকতের সুগন্ধা পয়েন্টে পৌঁছার পর কিছু সময় ফুটবল খেলে। পরে সাগরে গিয়ে গোসলে নামে।
মাহমুদুরের বন্ধুরা জানিয়েছে, গোসলের এক পর্যায়ে পানিতে তলিয়ে যায় সে। এতে ভেসে যেতে থাকলে বন্ধুদের চিৎকারে লাইফ গার্ড ও বিচ কর্মীরা এগিয়ে এসে মুমূর্ষু অবস্থায় মাহমুদুরকে উদ্ধার করে।
পরে তাকে কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
সৈকতে বিপদাপন্ন পর্যটকদের উদ্ধারে কাজ করা সি সেইফ লাইফ গার্ডের কর্মী মো. ওসমান গণি বলেন, ঘূর্ণিঝড় ‘দানা’ চলে গেলেও সাগর এখনো উত্তাল। অন্য সময়ের চেয়ে ঢেউয়ের সাইজ বড় হয়ে আঁচড়ে পড়ছে। এসময় হাঁটুপানির নিচে গিয়ে গোসল করা অনিরাপদ। আমরা মাইকিং করে তা বলছি, তবে সৈকতে নামা পর্যটক বা দর্শনার্থীরা কর্ণপাত করছেন না।
তিনি আরও বলেন, শিক্ষার্থী মাহমুদরাও সেভাবে বুকসমান পানিতে নেমে দুর্ঘটনায় পড়েছে। আমরা তৎক্ষণাৎ উদ্ধারে নামলেও অস্বাভাবিক ঢেউয়ের কারণে তাকে উদ্ধারে বেগ পেতে হয়েছে।
কক্সবাজার সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. আশিকুর রহমান বলেন, হাসপাতালে আনার আগেই তার মৃত্যু হয়। মরদেহটি মর্গে রয়েছে। আইনি প্রক্রিয়া শেষে স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
মন্তব্য করুন
কুমিল্লা সদর দক্ষিণের বিজয়পুর ইউনিয়নের রামচন্দ্রপুর পল্টারপাড় এলাকায় কৃষক রুহুল আমিন হত্যা মামলার আসামিরা আদালত থেকে জামিন নিয়ে এসে নিহতের পরিবারকে হত্যা মামলাটি তুলে নেয়ার জন্য চাপ দিচ্ছে। মামলা তুলতে অপারগতা প্রকাশ করায় নিহতের পরিবারকে প্রাণনাশের হুমকি দিচ্ছে আসামিরা। আসামিদের ভয়ে কোন সাক্ষী আদালতে যেতে চায় না।
এ ঘটনায় হত্যাকারীদের আইনের আওতায় এনে ফাঁসির দাবিতে শনিবার দুপুরে কুমিল্লা প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেছেন নিহতের স্ত্রী জাহানারা বেগম ও কন্যা রোকেয়া।
সংবাদ সম্মেলনে তারা জানান, কৃষক রুহুল আমিন মসজিদে আজান দিতেন। এই আজানকে কেন্দ্র করে হত্যাকারীরা কিছু বখাটে ছেলে রুহুল আমিন এর বিরুদ্ধে লেলিয়ে দেন। এ ঘটনায় প্রতিবাদ করায় স্থানীয় মৃত. আব্দুল লতিফের ছেলে মো: লোকমান হোসেন (৩৮), মো: কবির হোসেন (৩৫) ও মোঃ মীর হোসেন (৩০), শফিক মিয়ার ছেলে নাজমুল হোসেন (২২) ও কবির হোসেনের স্ত্রী শাহিনুর আক্তার ২০২৪ সালের ২০ ডিসেম্বর সকাল সাড়ে দশটায় রুহুল আমিন কে সবার সামনে পিটিয়ে হত্যা করা হয়। এ ঘটনা তাদেরকে আসামি করে পরদিন হত্যা মামলা দায়ের করা হয়। পরে তারা আদালত থেকে জামিনে বের হয়ে এসে আমাদেরকে মামলা তুলে নিতে চাপ প্রয়োগ করতে থাকেন। আমরা মামলা তুলতে অপারগতা প্রকাশ করলে তারা আমাদের পুরো পরিবারকে প্রাণনাশের হুমকি দেয়। এই ঘটনায় থানায় অভিযোগ করেছি। আমরা এখন নিরাপত্তাহীনতায় ভুগতেছি। আমরা প্রশাসনের কাছে দুই হাত জোড় করে অনুরোধ করছি এসব সন্ত্রাসীদের আইনের আওতায় এনে ফাঁসি প্রদান করুন।
হত্যাকারীরা একসময় আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে জড়িত ছিলেন। ৫ আগস্টের পর তারা এখন বিএনপি নেতা কর্মীদের সাথে ঘুরাঘুরি করে।
মন্তব্য করুন
র্যাব-১১, সিপিসি-২ একটি বিশেষ আভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কুমিল্লার সদর দক্ষিণ উপজেলার মনোহরপুর এলাকায় বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে ০১ টি বিদেশী পিস্তল, ০১ টি ম্যাগাজিন ও ০১ রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়। এসময় অজ্ঞাতনামা ০১ জন আসামী পালিয়ে যায়।
২৯ জুন ভোররাতে র্যাব এই অভিযান পরিচালনা করে।
প্রাথমিক অনুসন্ধানে জানা যায়, অজ্ঞাতনামা পলাতক আসামী কুমিল্লার বিভিন্ন স্থানে অবৈধভাবে অস্ত্র প্রদর্শন করে সন্ত্রাসী কার্যক্রম সহ বিভিন্ন ধর্তব্য অপরাধ সংগঠিত করে আসছিল।
উক্ত বিষয়ে অজ্ঞাতনামা পলাতক আসামীর বিরুদ্ধে সদর দক্ষিণ মডেল থানায় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
অভিযানের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন র্যাব-১১, সিপিসি ২ এর কোম্পানি অধিনায়ক লে: কমান্ডার মাহমুদুল হাসান।
মন্তব্য করুন
ডেস্ক রিপোর্ট:
মাত্র পাঁচ বছরের এক ছোট্ট শিশু, মুনতাহা আক্তার জেরিন। তার মিষ্টি হাসি ও চঞ্চলতা পরিবারের সবাইকে মুগ্ধ করত। প্রতিবেশীরাও তাকে আপন করে নিয়েছিলেন। তবে নির্মমভাবে হত্যার শিকার হতে হয় এই শিশুটিকে, এবং এতে জড়িত ছিলেন তার সাবেক গৃহশিক্ষিকা।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, মুনতাহার গৃহশিক্ষক ছিলেন শামীমা বেগম মার্জিয়া (২৫)। কিছুদিন আগে তার খারাপ আচরণের কারণে মুনতাহার বাবা তাকে পড়াতে নিষেধ করেন। এ কারণে ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন মার্জিয়া। প্রতিশোধ নিতে গত ৩ নভেম্বর মার্জিয়া ও তার মা আলিফজান বিবি শিশুটিকে কৌশলে তাদের ঘরে নিয়ে যান।
ঘরের ভেতর ওড়না ও রশি দিয়ে শ্বাসরোধ করে মুনতাহাকে হত্যা করা হয়। এরপর তার মরদেহ বস্তাবন্দি করে ঘরে রাখা হয়। গভীর রাতে মরদেহটি পলিথিনে মুড়িয়ে ঘরের পাশের নালায় পুঁতে রাখা হয়। পরদিন ভোরে মরদেহটি পুকুরে ফেলার সময় স্থানীয়রা তা উদ্ধার করেন। এসময় আলিফজান বিবিকে আটক করে স্থানীয় জনতা।
এ ঘটনায় চারজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তারা হলেন শিশু মুনতাহার গৃহশিক্ষক শামীমা বেগম মার্জিয়া, তার মা আলিফজান বিবি, প্রতিবেশী ইসলাম উদ্দিন (৪০), এবং মামুনুর রশিদের স্ত্রী নাজমা বেগম (৩৫)।
মুনতাহা সিলেটের কানাইঘাট উপজেলার সদর ইউনিয়নের বীরদল ভাড়ারিফৌদ গ্রামের বাসিন্দা শামীম আহমদের মেয়ে। রোববার বাদ আসর বীরদল পুরানফৌদ জামে মসজিদে জানাজা শেষে গ্রামের পঞ্চায়েত কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়। জানাজায় শত শত মানুষ অংশগ্রহণ করেন।
গত ৩ নভেম্বর দুপুরে মুনতাহা পার্শ্ববর্তী বাড়ির শিশুদের সঙ্গে খেলতে যায়। বিকেল পর্যন্ত না ফেরায় পরিবার খোঁজাখুঁজি শুরু করে। সন্ধান না পেয়ে মুনতাহার বাবা থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন।
নিখোঁজ হওয়ার পর পুলিশসহ বিভিন্ন বাহিনী ও আত্মীয়স্বজন সম্ভাব্য সব জায়গায় খোঁজ করে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ঘটনাটি ভাইরাল হলে অনেকেই মুনতাহাকে খুঁজে পেতে সাহায্যের জন্য আবেগঘন পোস্ট দেন এবং স্বেচ্ছাসেবায় যুক্ত হন।
মন্তব্য করুন