

বছর সাতেক আগে নাসিমাকে বিয়ে করেন সুদান প্রবাসী জাকির মিয়া। কঠোর পরিশ্রম করে সুদানের রাজধানী খার্তুমে একটি দোকানের মালিক বনে যান তিনি। সিলেটের এ বাসিন্দা ২০১৯ সালে স্ত্রীসহ এক বছরের সন্তানকে সুদান নিয়ে যান। দেশটিতে যাওয়ার পর এ দম্পতির আরেক সন্তান পৃথিবীতে আসে। দুই সন্তানকে নিয়ে সুদানে ভালোই চলছিল জাকির-নাসিমার দাম্পত্য জীবন। কিন্তু সুদানের সংঘাত তাদের সুখের সংসারকে ভিন্ন পথে ঠেলে দিয়েছে।
যুদ্ধকবলিত সুদান থেকে দেশে ফেরা ১৩৬ জনের একজন নাসিমা। তিনি দুই সন্তান ও তার ছোট ভাইকে নিয়ে দেশে ফিরেছেন। কিন্তু নাসিমার স্বামী তাদের সঙ্গে দেশে ফেরেননি। নাসিমা বলেন, ওখানে আমরা ভালোই ছিলাম। হঠাৎ করে সব অন্যরকম হয়ে গেল। কোনোরকমে সন্তানদের নিয়ে চলে এলাম। ওদের বাবা ওখানে রয়ে গেলেন। দোকান রেখে উনি আসতে চাইলেন না। ওনার জন্য চিন্তা হচ্ছে, যদি কিছু হয়ে যায়।
সুদানফেরত লক্ষ্মীপুরের বাসিন্দা মো. শাহজাহান খার্তুমে থাকতেন। খার্তুমে নিজ চোখে সংঘাত দেখা শাহাজাহান এখনো ট্রমার মধ্যে আছেন। কথা বলতে গেলে তার চোখ বেয়ে নেমে আসে জল। বিমানবন্দরে আলাপকালে তিনি বলেন, কীভাবে যে বেঁচে আসছি সৃষ্টিকর্তা বলতে পারবেন। শূন্য হাতে জীবনটা নিয়ে কোনোরকমে ফিরে এসেছি। চোখের সামনে গোলাগুলি দেখেছি। যা কিছু সঙ্গে ছিল সবই এক দল নিয়ে গেছে। কয়টা জামা ছাড়া কিছুই আনতে পারিনি।
মন্তব্য করুন


নির্বাচনের জন্য সার্বিক প্রস্তুতি চলমান। উৎসবমুখর, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য ভোটের প্রেক্ষাপটে সব ধরনের পূর্ব প্রস্তুতিই এগোচ্ছে— এমনটাই জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
সোমবার আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত উপদেষ্টা কমিটির বৈঠক শেষে সচিবালয়ে এ কথা বলেন উপদেষ্টা।
তিনি বলেন, নির্বাচনের প্রস্তুতি খুবই ভালো। সব বাহিনী তাদের প্রশিক্ষণ চালিয়ে যাচ্ছে, যা জানুয়ারির মধ্যেই শেষ হবে। সুষ্ঠু ও উৎসবমুখর নির্বাচনের জন্য সব রকম ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। ভোটের সময় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বডি ক্যামেরা থাকবে। যাতে প্রতিটি কেন্দ্রে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবারহ থাকে, তা নিশ্চিত করা হবে।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, নির্বাচনের আগে খুন-অপরাধ বন্ধ হয়ে যাবে না। আমার কাছে তো ম্যাজিক নেই, বলবো যে লাইট অফ বন্ধ হয়ে যাবে আর তা হয়ে গেল। ব্যাপারটা এমন না।
জাতীয় পার্টি ইস্যুতে উপদেষ্টা বলেন, সব রাজনৈতিক দল এখন মাঠে। অনেকে বের হতে চায় না, ঘরে বসে রাজনীতি করতে চায়। তাদের পার্টি অফিস নিয়ে সমস্যা আছে।
এ সময় রংপুরে মুক্তিযোদ্ধা ও তার স্ত্রীর হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় জড়িতদের খুঁজে বের করতে কঠোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলেও জানান তিনি।
মন্তব্য করুন


বিচার ব্যবস্থাকে আরও সহজ করতে হবে। সুবিধা না পেলেও বিচারকদের দায়িত্ব পালন করতে হবে বলে জানিয়েছেন আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল।
রোববার (২০ এপ্রিল) সকালে বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে সহকারী জজ বা সমপর্যায়ের বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তাদের জন্য আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
সীমাবদ্ধতা মেনে দায়িত্ব পালনে বিচারকদের সর্বোচ্চ চেষ্টা করার আহ্বান জানিয়ে আইন উপদেষ্টা বলেন, বিচারকদের অন্যায়-অবিচার করার কোনো সুযোগ নেই। সুবিধার সঙ্গে দায়িত্ব পালনের কোনো সম্পর্ক নেই। সুবিধা না পেলেও বিচারকদের দায়িত্ব পালন করতে হবে।
তিনি জানান, বিচার বিভাগেও সীমাবদ্ধতা আছে। তবে সীমাবদ্ধতা মেনে সর্বোচ্চ চেষ্টা করতে হবে। বিচার ব্যবস্থাকে আরও সহজ করতে হবে।
আসিফ নজরুল জানায়, বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট এমনভাবে প্রস্তুত করতে হবে যেন উপমহাদেশের অন্যান্য দেশগুলো থেকে প্রশিক্ষণার্থীরা বাংলাদেশে আসেন। আওয়ামী লীগ সরকারের সময় বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে এসে অনেকেই রাজনৈতিক বক্তব্য দিতেন।
অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, কোটা আন্দোলনের সময় গ্রেফতার ১৭ বছর বয়সি শিক্ষার্থী হাসনাতুল ইসলাম ফাইয়াজের মামলার তদন্ত দ্রুত শেষ করতে অনুরোধ করা হয়েছে। তদন্ত কার্যক্রম শেষ না হলে আইন মন্ত্রণালয়ের কিছু করার নেই।
তিনি আরও জানান, এ মামলায় দুজনের ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি আছে। সেটি ৮ মাসেও কেন প্রত্যাহার হয়নি সেটা সংশ্লিষ্টরা বলতে পারবেন। তার ভাইকে কোনো আশ্বাস দেওয়া হয়নি। বিচার প্রক্রিয়া সম্পর্কে অবহিত করা হয়েছে।
মন্তব্য করুন


বাংলাদেশ ও সৌদি আরবের মধ্যে সাধারণ কর্মী নিয়োগ সংক্রান্ত একটি গুরুত্বপূর্ণ দ্বিপাক্ষিক চুক্তি সোমবার (০৬ অক্টোবর) রিয়াদে স্বাক্ষরিত হয়েছে। এই চুক্তিকে দুই দেশের মধ্যে শ্রমবাজার সম্প্রসারণ ও অভিবাসন ব্যবস্থার ইতিহাসে এক নতুন মাইলফলক হিসেবে দেখা হচ্ছে।
বাংলাদেশ সরকারের পক্ষে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল এবং সৌদি আরব সরকারের পক্ষে মানবসম্পদ ও সামাজিক উন্নয়ন মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার আহমেদ বিন সোলাইমান আল-রাজী চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন।
সৌদি আরব ও বাংলাদেশের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছরের ইতিহাসে এটাই প্রথমবারের মতো সাধারণ কর্মী নিয়োগ বিষয়ে আনুষ্ঠানিক চুক্তি। এর আগে বাংলাদেশ থেকে সৌদি আরবে কর্মী পাঠানো হতো অনানুষ্ঠানিকভাবে। ১৯৭৬ সালে প্রথম বাংলাদেশ থেকে সৌদি আরবে শ্রমিক পাঠানো শুরু হয়। তখন থেকে আজ পর্যন্ত প্রায় ৩০ লাখের বেশি বাংলাদেশি শ্রমিক সৌদি আরবে কাজ করছেন, যা বাংলাদেশের রেমিট্যান্স প্রবাহের সবচেয়ে বড় উৎস হিসেবে ভূমিকা রাখছে।
এর আগে, ২০১৫ সালে গৃহকর্মী নিয়োগ এবং ২০২২ সালে দক্ষতা যাচাই ও স্বীকৃতি সংক্রান্ত দুটি বিশেষ চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। তবে সাধারণ কর্মী নিয়োগে এটিই প্রথম আনুষ্ঠানিক চুক্তি, যা প্রবাসী কর্মীদের অধিকার ও সুরক্ষা নিশ্চিত করার দিক থেকে একটি যুগান্তকারী পদক্ষেপ বলে বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন।
চুক্তি স্বাক্ষরের মাধ্যমে এখন বাংলাদেশ থেকে সৌদি আরবে দক্ষ, আধা-দক্ষ ও সাধারণ শ্রমিক পাঠানোর সুযোগ আরও বৃদ্ধি পাবে। দুই দেশের যৌথ উদ্যোগে প্রশিক্ষণ, দক্ষতা যাচাই, নিরাপদ অভিবাসন ও নিয়োগ প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা নিশ্চিতের ওপর গুরুত্ব দেয়া হবে। পাশাপাশি নিয়োগকর্তা ও কর্মীর মধ্যে চুক্তিভিত্তিক সম্পর্ক, আকামা নবায়ন, এবং সময়মতো এক্সিট ভিসা প্রদানের বিষয়গুলো আরও সুনির্দিষ্টভাবে বাস্তবায়িত হবে।
চুক্তি স্বাক্ষরের আগে দুই দেশের প্রতিনিধিদলের মধ্যে অনুষ্ঠিত বৈঠকে ড. আসিফ নজরুল সৌদি কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানান, যেন কর্মীদের অধিকার সুরক্ষিত থাকে, আকামা নবায়নের দায়িত্ব নিয়োগকর্তারা যথাযথভাবে পালন করে এবং দেশে ফেরত যেতে ইচ্ছুক কর্মীরা যেন দ্রুত এক্সিট ভিসা পায়।
তিনি আরও বলেন, ‘বাংলাদেশ থেকে দক্ষ কর্মী প্রেরণের আগে আমরা প্রশিক্ষণ ও স্কিল সার্টিফিকেশন নিশ্চিত করব। এর মাধ্যমে সৌদি আরব আরও গুণগত শ্রমশক্তি পাবে।’
জবাবে সৌদি মানবসম্পদ ও সামাজিক উন্নয়ন মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার আহমেদ বিন সোলাইমান আল-রাজী বলেন, ‘বাংলাদেশ আমাদের এক গুরুত্বপূর্ণ শ্রমবাজার অংশীদার। এই চুক্তি শুধু নিয়োগ নয়, মানবসম্পদ উন্নয়নের ক্ষেত্রেও এক নতুন অধ্যায় সূচনা করবে।’
তিনি কর্মী কল্যাণ, দক্ষতা উন্নয়ন, এবং আইনি সুরক্ষা নিশ্চিত করতে উভয় দেশের মন্ত্রণালয়কে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করার নির্দেশ দেন।
এছাড়াও বাংলাদেশে সৌদি বিনিয়োগে প্রশিক্ষণকেন্দ্র স্থাপন, কর্মী নিয়োগে ডিজিটাল যাচাইকরণ ব্যবস্থা চালু, নারী কর্মীদের সুরক্ষা এবং অবৈধ দালাল চক্র দমনে যৌথ মনিটরিং সিস্টেম গড়ে তোলার বিষয়েও বৈঠকে আলোচনা হয়।
চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে সৌদি আরবে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মো. দেলওয়ার হোসেন, মিশন উপপ্রধান এস. এম. নাজমুল হাসান, শ্রম কাউন্সেলর মুহাম্মাদ রেজায়ে রাব্বী, সৌদি মানবসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাসহ দুই দেশের সংশ্লিষ্ট প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
প্রবাসীকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এই চুক্তি কার্যকর হলে সৌদি আরবে বাংলাদেশি কর্মীর সংখ্যা আগামী দুই বছরের মধ্যে অন্তত ২০ শতাংশ বৃদ্ধি পাবে। বর্তমানে সৌদি আরবে প্রায় ২৭ লাখ বাংলাদেশি কর্মরত আছেন, যারা বছরে প্রায় ৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স পাঠান।
চুক্তির মাধ্যমে বাংলাদেশি কর্মীরা দক্ষতা অনুযায়ী ভালো বেতন, উন্নত কর্মপরিবেশ, চিকিৎসা ও আবাসন সুবিধা পাবেন। একই সঙ্গে কর্মীদের জন্য একটি যৌথ অনলাইন ডেটা প্ল্যাটফর্ম তৈরি করা হবে, যেখানে নিয়োগ ও কর্মচুক্তির তথ্য সংরক্ষিত থাকবে।
এই ঐতিহাসিক চুক্তিকে কেন্দ্র করে দুই দেশের কূটনৈতিক সম্পর্ক আরও গভীর হবে বলে আশা করছে বাংলাদেশ সরকার। প্রবাসীকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা বলেন, ‘দক্ষ কর্মী রপ্তানি শুধু রেমিট্যান্স বাড়াবে না, এটি বাংলাদেশের বৈদেশিক সম্পর্ক ও আন্তর্জাতিক শ্রমবাজারে ভাবমূর্তি আরও উজ্জ্বল করবে।’
মন্তব্য করুন


ডেস্ক রিপোর্ট:
জুলাই-আগস্ট গণহত্যার ঘটনায় করা মামলায় গ্রেফতারি পরোয়ানাভুক্ত আসামি ও ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) মিরপুর বিভাগের সাবেক উপ-কমিশনার (ডিসি) জসিম উদ্দীন মোল্লাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। জুলাই-আগস্ট গণহত্যার ঘটনায় এ মামলায় প্রথমবারের মতো পুলিশের কোনো কর্মকর্তাকে কারাগারে পাঠানো হলো।
আজ (৩০ অক্টোবর) বিকেলে এ মামলায় তাকে ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়। শুনানিতে রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনের প্রেক্ষিতে ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তুজার নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের বিচারিক প্যানেল এ আদেশ দেন। বিচারিক প্যানেলের অন্য সদস্যরা হলেন বিচারপতি শফিউল আলম মাহমুদ ও বিচারক মো. মহিতুল হক এনাম চৌধুরী।
বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে জসিম উদ্দীন মোল্লাকে ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয় এবং বিকেল ৪টা ৩৫ মিনিটে শুনানি শুরু হয়।
এর আগে, বুধবার রংপুর থেকে পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে। ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর গাজী এম এইচ তামিম জানান, প্রাথমিক তদন্তে জসিম উদ্দীনের বিরুদ্ধে জুলাই-আগস্টের গণহত্যার সঙ্গে সংশ্লিষ্টতার সুনির্দিষ্ট প্রমাণ পেয়েছে ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউশন টিম।
এর আগে, ১৩ আগস্ট রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে উপসচিব মো. মাহবুর রহমান শেখের সই করা এক প্রজ্ঞাপনে জসিম উদ্দীনকে রংপুর রেঞ্জ ডিআইজি কার্যালয়ে সংযুক্ত করা হয়। তিনি ডিএমপির মিরপুর বিভাগের উপ-কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন।
উল্লেখ্য, ২৭ অক্টোবর চেয়ারম্যান বিচারপতি গোলাম মর্তুজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল ডিএমপির সাবেক কমিশনার হাবিবুর রহমানসহ ১৭ পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন। তাদের আগামী ২০ নভেম্বর ট্রাইব্যুনালে হাজির করার নির্দেশ দেন আদালত। জসিম উদ্দীন সেই ১৭ জনের একজন।
মন্তব্য করুন


সরকার চাইলে জাতীয় নির্বাচনের আগে স্থানীয় সরকার নির্বাচন আয়োজন করতে পারে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ। তিনি বলেছেন, ডিসেম্বরে জাতীয় সংসদ নির্বাচন আয়োজনের লক্ষ্যে প্রস্তুতি নিচ্ছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। তবে এ মুহূর্তে অন্য কোনো নির্বাচনের প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে না।
মঙ্গলবার ইউএনডিপিসহ উন্নয়ন সহযোগী ১৮টি দেশের রাষ্ট্রদূত ও প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করে নির্বাচন কমিশন। বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সাথে কথা বলেন নির্বাচন কমিশনার আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ। তিনি বলেন, "আমরা আগেই বলেছিলাম, আমাদেরকে সম্ভাব্য দ্রুততম সময়ের কথা মাথায় রেখে প্রস্তুতি নিতে হবে। আমাদের অবস্থান এখনও অপরিবর্তিত রয়েছে।"
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, "প্রধান উপদেষ্টা ১৬ ডিসেম্বরের বক্তব্যে বলেছিলেন, যদি অল্প পরিমাণে সংস্কারসহ নির্বাচন করতে হয় এবং রাজনৈতিক মতৈক্য হয়, তাহলে ২০২৫ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন করা সম্ভব। তবে যদি ব্যাপক সংস্কারের সুযোগ দেওয়া হয়, তাহলে ২০২৬ সালের জুন নাগাদ নির্বাচন আয়োজন করা যেতে পারে।"
স্থানীয় সরকার নির্বাচন নিয়ে বৈঠকে কোনো আলোচনা হয়েছে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে আবুল ফজল বলেন, "একটি প্রশ্ন উঠেছিল, দুটি নির্বাচন একসঙ্গে করা যায় কিনা। এ বিষয়ে আলোচনা হয়েছে এবং এতে কতটা সময় লাগতে পারে তা নিয়ে আলোচনা হয়েছে।"
নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, জাতীয় ও স্থানীয় সরকারের নির্বাচন একসঙ্গে আয়োজন করা সম্ভব নয়। অতীত অভিজ্ঞতা থেকে দেখা গেছে, স্থানীয় সরকারের সব নির্বাচন ধাপে ধাপে আয়োজন করতে গেলে এক বছর সময় লাগে। যদি স্থানীয় সরকারের নির্বাচন পুরোপুরি আয়োজন করা হয়, তাহলে জাতীয় নির্বাচনের সময় পিছিয়ে যাবে। বর্তমানে জাতীয় নির্বাচনই নির্বাচন কমিশনের অগ্রাধিকার। তবে সরকার যদি স্থানীয় সরকার নির্বাচন আয়োজনের সিদ্ধান্ত নেয়, তাহলে তা বাস্তবায়ন করতে হবে। এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত সরকারের।
আবুল ফজল আরও বলেন, "স্থানীয় সরকার নির্বাচন কতটুকু হবে, কোন কোন প্রতিষ্ঠানের নির্বাচন হবে, তা সরকারই সিদ্ধান্ত নেবে। তখন নির্বাচন কমিশন বলতে পারবে, এটি জাতীয় নির্বাচনকে প্রভাবিত করবে কিনা। তার আগে এ বিষয়ে কিছু বলা সম্ভব নয়।"
ইউএনডিপি ছাড়াও এই বৈঠকে যুক্তরাষ্ট্র, জাপান, যুক্তরাজ্য, ইতালি, সুইজারল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া, স্পেন, কানাডা, জার্মানি, চীন, নেদারল্যান্ডস, নরওয়ে, সুইডেন, ডেনমার্ক, ফ্রান্স, দক্ষিণ কোরিয়া, ইইউ এবং তুরস্কের প্রতিনিধিরা অংশ নেন।
মন্তব্য করুন


পবিত্র রমজান উপলক্ষ্যে অপরাধ নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে আজ থেকে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) তাদের সর্বাত্মক অভিযান শুরু করেছে। এই সময়ে ডিবি পরিচয়ে কাউকে তুলে নেওয়া বা বাসায় তল্লাশি করার চেষ্টা করা হলে, তা ডিবিকে জানানোর অনুরোধ করেছে সংস্থাটি।
শনিবার (১ মার্চ) বেলা ১১টায় রাজধানীর মিন্টো রোডে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে ডিএমপি অতিরিক্ত কমিশনার (গোয়েন্দা) রেজাউল করিম মল্লিক এসব তথ্য জানান।
ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা প্রধান রেজাউল করিম মল্লিক বলেন, মহানগর এলাকায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি উন্নতির দিকে রয়েছে। এই সময়ে মার্কেট, শপিংমল, বাস টার্মিনালসহ ঢাকার প্রবেশদ্বারগুলোতে সাধারণ মানুষের চাপ বেড়ে যায়। এসব এলাকায় যাতে কোনোভাবে অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি সৃষ্টি না হয়, সেজন্য ছদ্মবেশে ডিবির সদস্যরা দায়িত্ব পালন করবেন।
তিনি আরও বলেন, রমজান ও ঈদকে কেন্দ্র করে অপরাধ নিয়ন্ত্রণে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) বিশেষ অভিযানে আজ থেকে মাঠে নেমেছে। এই সময়ে গুরুত্বপূর্ণ মামলার তদন্ত ও চিহ্নিত আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলবে।
ঢাকা মহানগরসহ দেশবাসীকে পবিত্র রমজানের শুভেচ্ছা জানিয়ে রেজাউল করিম মল্লিক বলেন, ডিবি পুলিশ সাধারণ মানুষের আস্থা অর্জন করেছে এবং অপরাধীদের জন্য আতঙ্কের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
ডিবির গোয়েন্দা তথ্য অনুযায়ী, অপরাধীদের মধ্যে একটি বড় অংশই ১৫ থেকে ৩০ বছর বয়সী। পতিত সরকারের কিছু লোকজন কিশোর গ্যাং সদস্যদের দিয়ে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি উত্তপ্ত করার চেষ্টা করছেন বলেও তথ্য রয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন ডিএমপি যুগ্ম কমিশনার (ডিবি দক্ষিণ) মোহাম্মদ নাসিরুল ইসলাম, ডিএমপি যুগ্ম কমিশনার (ডিবি উত্তর) মোহাম্মদ রবিউল হোসেন ভূঁইয়া, ডিএমপি যুগ্ম কমিশনার (সাইবার সিকিউরিটি) সৈয়দ হারুন অর রশীদ ও ডিএমপির মুখপাত্র উপকমিশনার মুহাম্মদ তালেবুর রহমান।
মন্তব্য করুন


মব সৃষ্টিকারীরা নির্বাচনের সময় সুবিধা করতে পারবে না বলে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দীন।
সোমবার (১ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন কমিশন ভবনে যুক্তরাষ্ট্রের ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রদূত ট্র্যাসি এন জ্যাকবসনের সঙ্গে বৈঠকের পর সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি।
সিইসি জানান, জাতীয় সংসদে ৩০০ আসনের নির্বাচন একসঙ্গে হবে। তখন ওই ৩০০ জায়গাতেই ‘মব’ ভাগ হয়ে যাবে। যারা মব সৃষ্টি করেন, তারা নিজ নিজ এলাকায় চলে যাবে। তখন একসঙ্গে এত লোক একত্রে আর পাওয়া যাবে না। যারা মব সৃষ্টি করতে চায় বা মব সৃষ্টি করবে, তারা নির্বাচনের সময় সুবিধা করতে পারবে না।
নাসির উদ্দীন জানায়, যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধি মূলত জানতে চেয়েছেন—নির্বাচন কমিশনের প্রস্তুতি কোন পর্যায়ে রয়েছে। যেহেতু ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় নির্বাচনের সম্ভাবনা রয়েছে।
জবাবে তিনি বলেন, ‘আমরা ৫ আগস্ট প্রধান উপদেষ্টার কাছ থেকে নির্বাচনি চিঠি পাওয়ার পর থেকেই প্রস্তুতি জোরদার করেছি। যদিও তার আগেই বড় বড় কাজগুলো শুরু করে দেওয়া হয়েছিল, যেন প্রস্তুতির ঘাটতি না থাকে। নির্বাচন কমিশনকে যাতে কোনো ব্লেম (দোষ) দিতে না পারে।’
মন্তব্য করুন


গোপালগঞ্জে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সমাবেশস্থলে হামলার উপযুক্ত জবাব দেয়ার ঘোষণা দিয়েছেন দলটির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম। আজ বুধবার দুপুরে গোপালগঞ্জ শহরের পৌরপার্ক এলাকায় সমাবেশ স্থলে তিনি এ ঘোষণা দেন। এদিন দুপুর ২টার দিকে গোপালগঞ্জ সদরে সমাবেশ মঞ্চে এসে পৌঁছান এনসিপির কেন্দ্রীয় নেতারা।
নাহিদ ইসলাম বলেন, যুদ্ধ নয়, শান্তি ও দেশ গড়ার আহ্বান জানাতে গোপালগঞ্জ এসেছি। মুজিববাদ ও সন্ত্রাসীদের হাত থেকে এ জেলাকে মুক্ত করতে হবে।
এনসিপির সদস্য সচিব আখতার হোসেন বলেন, ককটেল বিস্ফোরণ ও হামলা করে হিংস্র সন্ত্রাসীরা আমাদের দমিয়ে রাখতে পারেনি। দেশের মানুষ আওয়ামী লীগকে তওবা করার সুযোগ দিয়েছে। জনগণের জীবন বিপন্ন করতে চাইলে মানুষ ছেড়ে দিবেনা। তিনি বলেন, মুজিবাদ ও মুজিববাদী সংবিধান দেশের সার্বভৌমত্বের জন্য হুমকি। তাই মুজিববাদীর সংবিধানের কবর রচনা করতে হবে।
জুলাই পদযাত্রার বাস্তবায়ন কমিটির প্রধান ও এনসিপির যুগ্ম আহ্বায়ক অনিক রায় বলেন, গোপালগঞ্জ থেকেই মুজিববাদের কবর রচনা হবে, আওয়ামী লীগকে নিশ্চিহ করা হবে। আওয়ামী লীগ ভারতীয় দল, এ দলের কথা শুনে নিজেদের জীবন বিপন্ন করবেন না।
প্রসঙ্গত, বুধবার দুপুর ১টা ৩৫ মিনিটের দিকে গোপালগঞ্জ শহরের পৌরপার্ক এলাকায় এনসিপি সমাবেশ মঞ্চে হামলা চালায় স্থানীয় কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগ ও নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা। তারা মঞ্চে থাকা সাউন্ড বক্স, মাইক ও চেয়ার ভাঙচুর করেন এবং উপস্থিত এনসিপির নেতা-কর্মীদের ওপর হামলা চালান।
এর আগে. জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) ‘মার্চ টু গোপালগঞ্জ’ কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে উত্তেজনার মধ্যে ইউএনও’র গাড়ি বহরে হামলা, পুলিশের গাড়িতে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে।
মন্তব্য করুন


দেশের সার্বভৌমত্বের প্রশ্নে অনেকে কেন নিরব আছেন, এই বিষয়ে মন্তব্য করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক আসিফ নজরুল।
বৃহস্পতিবার বিকালে তিনি তার ভেরিফায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্টে এ মন্তব্য করেন।
তিনি লেখেন, "জাতীয় সঙ্গীত প্রসঙ্গে যারা সরব ছিলেন, দেশের সার্বভৌমত্বের প্রশ্নে তাদের অনেকে কেন নিরব?"
এদিকে, দেশের চলমান পরিস্থিতিতে এই স্ট্যাটাসটি সোশ্যাল মিডিয়ায় দ্রুত ভাইরাল হয়ে যায়। বেশিরভাগ নেটিজেনরা এই স্ট্যাটাসে তার সঙ্গে একাত্মতা পোষণ করেছেন।
আতিক ইউ খান নামে একজন মন্তব্য করেন, "তাদের মাঝে দেশপ্রেম নেই, যার কারণে তারা জাতীয় সংগীতে প্রেম খুঁজে। আর তার কারণ হলো জাতীয় সঙ্গীতের রচয়িতা একজন ভারতীয়।"
মো. সাইফুল ইসলাম নামে একজন লিখেছেন, "এদের কাছে দেশ বড় না, আওয়ামী চেতনা বড়। ফ্যাসিবাদী আওয়ামী চেতনা হচ্ছে হিন্দুস্তানের গোলামীর চেতনা।"
মন্তব্য করুন


জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব ও জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের সদস্যসচিব মো. মোখলেস উর রহমান জানিয়েছেন, ফরিদপুর ও কুমিল্লাকে আলাদা বিভাগ করার সুপারিশ করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৭ ডিসেম্বর) সচিবালয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে সচিবালয়ে কর্মরত সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এ তথ্য জানান।
এ সময় জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের প্রধান আব্দুল মুয়ীদ চৌধুরীসহ কমিশনের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব বলেন, আমরা সারা দেশের মানচিত্র দেখে ফরিদপুর ও কুমিল্লাকে আলাদা বিভাগ করার সুপারিশ করেছি। যদি সরকার মনে করে, তারা ১০টি বিভাগ করে দেবে।
মন্তব্য করুন