মন্তব্য করুন
ডিসেম্বরে জাতীয় সংসদ নির্বাচন আয়োজনের লক্ষ্যে প্রস্তুতি নিচ্ছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এই মুহূর্তে ইসি অন্য কোনো নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছে না। তবে সরকার চাইলে জাতীয় নির্বাচনের আগে স্থানীয় সরকার নির্বাচন আয়োজন করতে ইসি প্রস্তুত রয়েছে।
মঙ্গলবার ইউএনডিপিসহ উন্নয়ন সহযোগী ১৮টি দেশের রাষ্ট্রদূত ও প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করে ইসি। বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সাথে কথা বলেন নির্বাচন কমিশনার আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ। তিনি জানান, প্রধান উপদেষ্টা ১৬ ডিসেম্বরের বক্তব্যে বলেছিলেন, যদি অল্প পরিমাণে সংস্কারসহ নির্বাচন করতে হয় এবং রাজনৈতিক মতৈক্য গড়ে ওঠে, তাহলে ২০২৫ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন সম্ভব। আর যদি ব্যাপক সংস্কারের সুযোগ দেওয়া হয়, তাহলে ২০২৬ সালের জুন নাগাদ নির্বাচন আয়োজন করা যেতে পারে।
আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ বলেন, "আমরা বলেছিলাম, আমাদেরকে সম্ভাব্য সবচেয়ে আগের তারিখ ধরে প্রস্তুতি নিতে হবে। আমাদের অবস্থান এখনও অপরিবর্তিত।"
স্থানীয় সরকার নির্বাচন নিয়ে বৈঠকে আলোচনা হয়েছে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, "একটি প্রশ্ন উঠেছিল, দুটি নির্বাচন একসঙ্গে করা যায় কিনা। এতে কত সময় লাগতে পারে, সে বিষয়ে আলোচনা হয়েছে।"
নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, জাতীয় ও স্থানীয় সরকার নির্বাচন একসঙ্গে আয়োজন করা সম্ভব নয়। অতীত অভিজ্ঞতা থেকে দেখা গেছে, স্থানীয় সরকার নির্বাচন ধাপে ধাপে আয়োজন করতে গেলে এক বছর সময় লাগে। যদি সব স্থানীয় সরকার নির্বাচন সম্পন্ন করতে হয়, তাহলে জাতীয় নির্বাচনের সময় পিছিয়ে যাবে। বর্তমানে জাতীয় নির্বাচনই ইসির অগ্রাধিকার। তাই ইসি এখন শুধু জাতীয় নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছে। তবে সরকার যদি স্থানীয় সরকার নির্বাচন আয়োজনের সিদ্ধান্ত নেয়, তাহলে ইসি তা বাস্তবায়ন করবে। এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত সরকারের।
আরেক প্রশ্নের জবাবে আবুল ফজল বলেন, "স্থানীয় সরকার নির্বাচন কতটুকু হবে, কোন কোন প্রতিষ্ঠানের হবে, সে সিদ্ধান্ত নেবে সরকার। তখন ইসি বলতে পারবে, এটা জাতীয় নির্বাচনকে প্রভাবিত করবে কিনা। তার আগে এ বিষয়ে কিছু বলা সম্ভব নয়।"
ইউএনডিপি ছাড়াও এই বৈঠকে যুক্তরাষ্ট্র, জাপান, যুক্তরাজ্য, ইতালি, সুইজারল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া, স্পেন, কানাডা, জার্মানি, চীন, নেদারল্যান্ডস, নরওয়ে, সুইডেন, ডেনমার্ক, ফ্রান্স, দক্ষিণ কোরিয়া, ইইউ এবং তুরস্কের প্রতিনিধিরা অংশ নেন।
মন্তব্য করুন
আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
চলতি বছরের নভেম্বরে অনুষ্ঠিত হবে মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন। এই নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন বর্তমান ক্ষমতাসীন প্রেসিডেন্ট ডেমোক্র্যাটিক দলের প্রার্থী জো বাইডেন ও সাবেক প্রেসিডেন্ট রিপাবলিকান দলের প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প।
এ উপলক্ষে স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার (বাংলাদেশ সময় শুক্রবার সকাল ৭টায়) প্রথমবারের মতো বিতর্কে অংশ নিয়েছেন তারা। বিতর্কের আয়োজন করে সিএনএন ও এবিসি। সিএনএনের আটলান্টা স্টুডিওতে বিতর্কটি অনুষ্ঠিত হয়।
সিএনএন এর জরিপ অনুযায়ী এই বিতর্কে হেরে গেছেন বর্তমান প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।
এরপর যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে প্রভাবশালী সংবাদপত্র নিউ ইয়র্ক টাইমস শুক্রবার একটি সম্পাদকীয়তে প্রেসিডেন্ট জো-বাইডেনকে ভোট থেকে সরে দাঁড়ানোর এবং নভেম্বরে হোয়াইট হাউসে ডোনাল্ড ট্রাম্পকে চ্যালেঞ্জ করার জন্য অন্য ডেমোক্র্যাটকে মনোনয়ন দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে।
বাইডেনকে ‘একজন মহান সরকারি কর্মচারীর ছায়া’ হিসেবে বর্ণনা করে সংবাদপত্রের সম্পাদকীয় পরিষদ বলেছে, “প্রেসিডেন্ট এবং ট্রাম্পের মধ্যে বৃহস্পতিবারের বিতর্ক প্রমাণ করেছে ৮১ বছর বয়সী বাইডেন- তার নিজের পরীক্ষায় ব্যর্থ হয়েছেন। দ্বিতীয় মেয়াদে তিনি কী করবেন, তার ব্যাখা দিতে হিমশিম খেয়েছেন। হিমশিম খেয়েছেন ট্রাম্পের উসকানির জবাব দিতে। হিমশিম খেয়েছেন ট্রাম্পকে তার মিথ্যা কথা, ব্যর্থতা ও ভয়ানক সব পরিকল্পনার জন্য জবাবদিহি করাতে। একাধিকবার তিনি একটা বাক্য শেষ করতে গিয়ে সংগ্রাম করেছেন।”
বাইডেন এখন যা করতে পারেন, তা হলো, তিনি পুনরায় নির্বাচন করছেন না—এই ঘোষণা দেওয়া। দেখা যাচ্ছে, প্রেসিডেন্ট এক বেপরোয়া জুয়ায় লিপ্ত আছেন। ট্রাম্পের দ্বিতীয় মেয়াদে প্রেসিডেন্ট হওয়া ঠেকাতে ডেমোক্র্যাট নেতাদের মধ্যে নিজেকে স্পষ্টবাদী, বাধ্যকারী ও উদ্যোমী ব্যক্তি হিসেবে উপস্থাপন করার মতো অধিকতর যোগ্য বিকল্প রয়েছেন।
ট্রাম্প ও বাইডেনের ঘাটতিগুলোর মধ্যে এর যেকোনোটি বেছে নিতে ভোটারদের বাধ্য করার মধ্য দিয়ে দেশের স্থিতিশীলতা ও নিরাপত্তা ঝুঁকি গ্রহণ করার কোনও কারণ দলের নেই। আমেরিকানরা যা নিজেদের চোখে দেখেছেন, বাইডেনের সেই বয়স ও দুর্বলতা তারা এড়িয়ে যাবেন বা হিসেবে নেবেন না— সরলভাবে এটা আশা করা হবে এক বড় জুয়া’, বলেছে নিউইয়র্ক টাইমস।
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ) শনিবার সন্ধ্যায় উত্তর ২৪ পরগনা জেলার হাকিমপুর সীমান্ত চৌকির কাছ থেকে বাংলাদেশের এক জ্যেষ্ঠ পুলিশ কর্মকর্তাকে আটক করেছে। তিনি অবৈধভাবে ভারতীয় ভূখণ্ডে প্রবেশের চেষ্টা করছিলেন বলে অভিযোগ বিএসএফের।
বিএসএফ জানায়, সন্ধ্যা ৬টা থেকে ৭টার মধ্যে নিয়মিত টহলের সময় ওই কর্মকর্তাকে সন্দেহজনকভাবে সীমান্ত অতিক্রম করতে দেখে আটক করা হয়। তার কাছ থেকে উদ্ধার হওয়া কাগজপত্রে তিনি বাংলাদেশ পুলিশের একজন সিনিয়র কর্মকর্তা বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে। তবে তদন্তের স্বার্থে তার নাম-পরিচয় প্রকাশ করা হয়নি।
পরে তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
ভারতীয় কর্মকর্তারা জানায়, এ ধরনের ঘটনা অত্যন্ত বিরল। এর আগে কোনো দায়িত্বে থাকা বাংলাদেশি পুলিশ কর্মকর্তা ভারতীয় ভূখণ্ডে এভাবে প্রবেশ করতে গিয়ে ধরা পড়েননি।
ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত বিশ্বের দীর্ঘতম আন্তর্জাতিক সীমান্তগুলোর একটি, যার দৈর্ঘ্য প্রায় ৪ হাজার ৯৬ কিলোমিটার। এর মধ্যে পশ্চিমবঙ্গেই রয়েছে প্রায় ২ হাজার ২১৭ কিলোমিটার। নদীঘেরা ভৌগোলিক অবস্থান, ঘনবসতি এবং শহরাঞ্চলের নিকটবর্তী হওয়ায় উত্তর ২৪ পরগনার সীমান্ত এলাকায় অনুপ্রবেশ, চোরাচালান ও মানবপাচারের ঝুঁকি সবসময়ই বেশি থাকে।
বিএসএফ দীর্ঘদিন ধরে এই সীমান্ত এলাকায় অবৈধ অনুপ্রবেশ, মাদক ও গরু পাচার, জাল মুদ্রা চোরাচালান রোধে কাজ করছে। এ জন্য সীমান্তজুড়ে নজরদারি বাড়ানো, উন্নত প্রযুক্তির ব্যবহার এবং বেড়া নির্মাণের মতো ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
ভারতীয় কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, আটক কর্মকর্তা এককভাবে প্রবেশের চেষ্টা করেছিলেন, নাকি কোনো চক্রের হয়ে কাজ করছিলেন—তা এখনো স্পষ্ট নয়। তদন্ত অব্যাহত রয়েছে।
এক কর্মকর্তা জানান, এ ঘটনা সীমান্তে সর্বক্ষণ সতর্ক থাকার প্রয়োজনীয়তা আরও একবার সামনে এনেছে। পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ ও গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর সঙ্গে সমন্বয় বাড়ানো হয়েছে।
সূত্র: হিন্দুস্তান টাইমস
মন্তব্য করুন
স্পোর্টস ডেস্কঃ
সাকিব আল হাসানের দেশে ফেরার ব্যাপারে সবুজ সংকেত দিয়েছিলেন ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ। তাইতো তাকে দলে রেখেই দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে মিরপুর টেস্টে ১৫ সদস্যের দল ঘোষণা করেছিল বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। তবে নিরাপত্তা সঙ্কটে পড়তে হতে পারে, তাই সাকিবকে পরে দেশে না ফেরার পরামর্শ দেওয়া হয়।
আগামী ২১ অক্টোবর শুরু হতে যাওয়া মিরপুর টেস্টে সাকিবের কারণে ফাঁকা হয়ে যাওয়া জায়গায় কে আসবেন, সেটি নিয়ে অনেক কৌতুহল ছিল। ধোঁয়াশায় ছিল দক্ষিণ আফ্রিকাও। অবশেষে সাকিবের বদলি ক্রিকেটারের নাম ঘোষণা করল বিসিবি। এই জায়গায় তরুণ স্পিনার হাসান মুরাদের নাম ঘোষণা করেছে সংস্থাটি।
বাংলাদেশের হয়ে সাদা পোশাকে এখনো নামা হয়নি হাসান মুরাদের। তবে দুইটি টি-টোয়েন্টি খেলেছেন এই বাঁহাতি স্পিনার। যদিও গত বছর নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজের স্কোয়াডে ছিলেন তিনি। ২০২০ যুব বিশ্বকাপজয়ী দলের অন্যতম সদস্য এই মুরাদ। ঘরোয়া ক্রিকেটে নিয়মিত পারফর্ম করে আসছেন তিনি।
ভারতে বসেই টেস্ট থেকে অবসরের ঘোষণা দেন সাকিব। তখন ইচ্ছা প্রকাশ করেন, ক্যারিয়ারের শেষ টেস্টটি মিরপুরে খেলতে চান তিনি। সবকিছু ঠিকমতোই চলছিল, দলেও জায়গা পান তিনি। দেশের উদ্দেশে যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক থেকে রওনাও দিয়েছিলেন। তবে দুবাইয়ে ট্রানজিট নেওয়ার সময়ই তাকে দেশে না ফিরতে পরামর্শ দেওয়া হয়।
সাকিবকে দেশে না ফিরতে পরামর্শ দিয়েছেন ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ। সাকিবের দেশে না আসার বিষয়ে আসিফ মাহমুদ গণমাধ্যমকে গতকাল জানান, অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতিতে যাতে না পড়তে হয় তাই তাকে দেশে না আসার পরামর্শ দিয়েছি। বিদায়ী টেস্ট খেলতে মিরপুর আসবেন না সাকিব আল হাসান।
সাকিব যাতে দেশে ফিরতে না পারেন সেজন্য অনেক আগে থেকেই আন্দোলন করে আসছেন কিছু লোক। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সাকিবের কুশপুত্তলিকা দাহ করা হয়েছে। মিরপুরে স্টেডিয়াম এলাকায় হয়েছে বিক্ষোভ মিছিল, মানববন্ধন।
মিরপুর টেস্টে বাংলাদেশের স্কোয়াড
নাজমুল হোসেন শান্ত(অধিনায়ক), সাদমান ইসলাম, মাহমুদুল হাসান, জাকির হাসান, মুমিনুল হক, মুশফিকুর রহিম, লিটন দাস (উইকেটকিপার), জাকের আলী, মেহেদী হাসান মিরাজ, তাইজুল ইসলাম, নাঈম হাসান, তাসকিন আহমেদ, হাসান মাহমুদ, নাহিদ রানা ও হাসান মুরাদ।
মন্তব্য করুন
সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়ের বিরুদ্ধে ৬০ কোটি টাকার বেশি অবৈধ সম্পদ অর্জন ও অর্থপাচারের অভিযোগে মামলা দায়ের করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। দুদকের মহাপরিচালক মো. আক্তার হোসেন আজ বৃহস্পতিবার এক নিয়মিত মিডিয়া ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানায়।
আক্তার হোসেন বলেন, ২০০০ সাল থেকে ২০২৫ সালের মধ্যে সজীব ওয়াজেদ ৫৪ কোটি ৩৯ লাখ ২০ হাজার ৯৭৮ টাকার স্থাবর এবং ৬ কোটি ৭৮ লাখ ৮৪ হাজার ৮৯১ টাকার অস্থাবর সম্পদ অর্জন করেছেন। তার বৈধ আয়ের পরিমাণ ছিল মাত্র ১ কোটি ৩২ লাখ ৮ হাজার ৫৪২ টাকা। এ হিসেবে তার অবৈধ সম্পদের পরিমাণ দাঁড়ায় ৬০ কোটি ১৪ লাখ ৭৩ হাজার ৯৭০ টাকা।
দুদকের অনুসন্ধানে দেখা যায়, দায়িত্ব পালনকালে ক্ষমতার অপব্যবহার করে সজীব ওয়াজেদ অসৎ উদ্দেশ্যে সম্পদ অর্জন করেছেন। এছাড়া হুন্ডি ও অন্যান্য মাধ্যমে ৫৪ কোটি ৪ লাখ ৩২ হাজার ২৫৮ টাকা বিদেশে পাচার করে যুক্তরাষ্ট্রে দুটি বাড়ি ক্রয় বা বিনিয়োগ করেছেন।
তার নামে থাকা দুটি ব্যাংক হিসাবে ৩ কোটি ৪৬ লাখ ২২ হাজার ৫৭ টাকার সন্দেহজনক লেনদেনসহ মোট ৫৭ কোটি ৫০ লাখ ৫৪ হাজার ৩১৫ টাকার লেনদেনের প্রমাণ পাওয়া গেছে।
দুদক মহাপরিচালক বলেন, এসব কার্যক্রম দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪; মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২ এবং দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন, ১৯৪৭ অনুযায়ী শাস্তিযোগ্য অপরাধ। তাই মামলা দায়েরের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে।
এছাড়া দুদক শত কোটি টাকার লুটপাটের অভিযোগে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের বিপণন ও বিক্রয় বিভাগের কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান শুরু করেছে।
দুদকের মহাপরিচালক বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রে ৫৪ কোটি টাকার দুটি বাড়ির সন্ধান পেয়েছি। সেগুলো আয়কর নথিতে দেখানো হয়নি এবং বিদেশে পাচার করা হয়েছে।’
এর আগে, সজীব ওয়াজেদের বিরুদ্ধে পূর্বাচলে প্লট জালিয়াতির অভিযোগে মামলার বিচারিক কাজ শুরু হয়েছে। এছাড়া বিদেশে ৩০০ মিলিয়ন ডলার পাচার, সিআরআই'র নামে অর্থ লুটপাটসহ একাধিক দুর্নীতির তদন্তও চলছে।
মন্তব্য করুন
আসন্ন ঈদুল ফিতরে বাসের টিকিট অগ্রিম বিক্রি শুরু হবে আগামী ১৪ মার্চ থেকে। অগ্রিম হিসেবে ২৫ মার্চ থেকে ঈদের আগ পর্যন্ত মোট ৭ দিনের টিকিট বিক্রি করা হবে। বৃহস্পতিবার (৬ মার্চ) বাংলাদেশ বাস-ট্রাক মালিক সমিতির ঈদ সংক্রান্ত প্রস্তুতিমূলক সভায় এই সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
এ বিষয়ে সমিতির ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক শুভঙ্কর ঘোষ রাকেশ জানান, ১৪ মার্চ থেকে অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু হবে। এই দিন থেকে একযোগে অনলাইন এবং কাউন্টার থেকে বাসের টিকিট পাওয়া যাবে। তবে এবার অনেক পরিবহন কোম্পানি পুরোপুরি অনলাইনে টিকিট বিক্রি করবে। ফলে যাত্রীরা দুইভাবে টিকিট কিনতে পারবেন।
তিনি আরও জানান, বিআরটিএর নির্ধারিত ভাড়ার বাইরে বাড়তি কোনো ভাড়া নেয়া যাবে না। সব মালিকদের এই নির্দেশনা দেয়া হয়েছে এবং তারা বিআরটিএর নির্ধারিত ভাড়া অনুযায়ী টিকিট বিক্রি করবেন।
এছাড়া, ঈদের সময় যাত্রীদের নিরাপত্তা ও সেবা নিশ্চিত করতে মালিক সমিতির মনিটরিং টিম টার্মিনালে অবস্থান করবে। বিশেষ করে নাইট কোচের নিরাপত্তার জন্য ভিডিও রেকর্ডিংসহ বিভিন্ন ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে এবং তারপর গাড়ি ছাড়ার পরিকল্পনা করা হয়েছে।
মন্তব্য করুন
দেশের প্রথম মনোরেল নির্মিত হতে যাচ্ছে বন্দরনগরী চট্টগ্রামে। নগরীর যানজট নিরসনে এই প্রকল্প বাস্তবায়নে উদ্যোগ নিয়েছে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (চসিক)।
রোববার (১ জুন) সকালে নগরীর ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের সঙ্গে জার্মানি প্রতিষ্ঠান ওরাসকম ও মিশরের প্রতিষ্ঠান আরব কন্ট্রাক্টর গ্রুপের এ সংক্রান্ত সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষর হয়। প্রতিষ্ঠান দুটি নগরীতে ফিজিবিলিটি স্টাডি করবে।
চুক্তি অনুযায়ী ওরাসকম ও আরব কন্ট্রাক্টর গ্রুপ মনোরেল নির্মাণের সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের (ফিজিবিলিটি স্টাডি) কাজ শুরু করার কথা রয়েছে।
মনোরেল প্রকল্পের অর্থায়ন, প্রযুক্তি ও বাস্তবায়ন কাঠামো তুলে ধরেন আরব কন্ট্রাক্টরস ও ওরাসকম পেনিনসুলা কনসোর্টিয়ামের চিফ রিপ্রেজেন্টেটিভ কাউসার আলম চৌধুরী।
তিনি জানান, ‘চট্টগ্রাম বাংলাদেশের বাণিজ্যিক রাজধানী। এখানে যানজট ও পরিবহণ সংকট ক্রমবর্ধমান। মনোরেল একটি আধুনিক ও পরিবেশবান্ধব সমাধান। আমরা এই প্রকল্পে পূর্ণাঙ্গ বিনিয়োগ করতে আগ্রহী।’
তিনি জানায়, প্রকল্পটি পাবলিক-প্রাইভেট পার্টনারশিপ (পিপিপি) মডেলে বাস্তবায়ন করা হবে। প্রকল্পের সম্ভাব্য তিনটি রুট হচ্ছে : লাইন-১ (২৬.৫ কি.মি.) কালুরঘাট থেকে বিমানবন্দর পর্যন্ত (বহদ্দারহাট, চকবাজার, লালখান বাজার, দেওয়ানহাট ও পতেঙ্গা হয়ে), লাইন-২ (১৩.৫ কি.মি.): সিটি গেট থেকে শহীদ বাশিরুজ্জামান স্কয়ার (এ.কে. খান, নিমতলী, সদরঘাট ও ফিরিঙ্গি বাজার হয়ে) পর্যন্ত লাইন-৩ (১৪.৫ কি.মি.): অক্সিজেন থেকে ফিরিঙ্গি বাজার (মুরাদপুর, পাঁচলাইশ, আন্দরকিল্লা ও কোতোয়ালি হয়ে) পর্যন্ত।
সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে মনোরেল প্রকল্প চট্টগ্রাম নগরীর গণপরিবহন খাতে যুগান্তকারী পরিবর্তন আনতে চলেছে উল্লেখ করে চসিক মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন বলেন, এই প্রকল্পের মধ্য দিয়ে চট্টগ্রামকে দক্ষিণ এশিয়ার গেটওয়ে হিসেবে গড়ে তোলা হবে। প্রস্তাবিত মনোরেল প্রকল্পটির মোট দৈর্ঘ্য হবে প্রায় ৫৪ কিলোমিটার এবং এতে বিনিয়োগ হবে প্রায় ২০ থেকে ২৫ হাজার কোটি টাকা। পুরো অর্থায়ন আনবে বিদেশি বিনিয়োগকারী প্রতিষ্ঠান-ওরাসকম কনস্ট্রাকশন ও আরব কন্ট্রাক্টরস।
তিনি বলেন, ‘এই বিনিয়োগের জন্য চসিকের কোনো আর্থিক দায় থাকবে না। কেবল আমরা প্রয়োজনীয় লজিস্টিক সাপোর্ট ও ভূমি বরাদ্দ দেব। এই মনোরেল শুধু যানজট নিরসনে নয়, বরং চট্টগ্রামকে একটি পরিবেশবান্ধব, পর্যটন ও ব্যবসাবান্ধব নগরীতে রূপান্তর করার দিকেও এগিয়ে নেবে। এটি দক্ষিণ এশিয়ার সঙ্গে সংযোগের একটি আধুনিক সেতুবন্ধন তৈরি করবে। মনোরেল থেকে রাজস্ব আসবে শুধু টিকিট নয়, বরং বিজ্ঞাপন, স্টেশনে দোকানপাট, আশপাশের সম্পত্তিমূল্য বৃদ্ধির মাধ্যমেও। একটি ভাল গণপরিবহন ব্যবস্থা গড়ে তুলতে পারলে ৫-৭ গুণ পর্যন্ত অর্থনৈতিক রিটার্ন পাওয়া যায়।’
অনুষ্ঠানে গ্রেটার চিটাগাং ইকোনমিক ফোরামের প্রেসিডেন্ট আমীর হুমায়ুন মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ‘চট্টগ্রামকে একটি স্মার্ট ও টেকসই নগরীতে রূপান্তরের অংশ হিসেবে মনোরেল প্রকল্প অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আমরা ব্যবসায়ী, পেশাজীবী ও নগরবাসীকে নিয়ে একটি ইকোনমিক ফোরাম গঠন করে এই প্রকল্পকে বাস্তবায়নে কাজ করবো।’
চসিক কর্মকর্তারা জানান, মনোরেল একটি আধুনিক গণপরিবহন ব্যবস্থা, যা একক রেলপথ দিয়ে চলে। এটি সাধারণত উঁচু পিলারের ওপর স্থাপন করা হয়। মনোরেল প্রযুক্তি মেট্রোরেলের তুলনায় প্রায় ৪০ শতাংশ খরচ সাশ্রয়ী। এটি কম জায়গায় স্থাপন করা সম্ভব, ফলে ঘনবসতিপূর্ণ শহর বা স্থাপনার মধ্য দিয়েও সহজে চলাচল করতে পারে। মনোরেলের যাত্রী ধারণক্ষমতা তুলনামূলকভাবে কিছুটা কম হলেও এটি দ্রুত নির্মাণযোগ্য এবং শহরের যানজট কমাতে কার্যকর। বর্তমানে জাপান, চীন, দক্ষিণ কোরিয়া, মালয়েশিয়া ও ভারতের কিছু শহরে মনোরেল সফলভাবে চালু রয়েছে।
কর্মকর্তারা আরও জানান, এর আগে ২০২১ সাল থেকে বিদেশি আরও কয়েকটি প্রতিষ্ঠান মনোরেল নির্মাণে চসিককে প্রস্তাব দিয়েছিল। এ বিষয়ে তারা কয়েকবার তৎকালীন সিটি মেয়রের সঙ্গে বৈঠক করেছিল। কিন্তু নানা কারণে এটি আর আলোর মুখ দেখেনি।
মন্তব্য করুন
সীমান্ত পুরোপুরি নিরাপদ রয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন স্বরাষ্ট্র ও কৃষি মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। বুধবার (২৩ এপ্রিল) চট্টগ্রামের সার্কিট হাউসে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে অনুষ্ঠিত এক সভা শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা জানান।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘বর্তমান সমস্যাগুলো চিহ্নিত করে সমাধানের উপায় নিয়ে আজ বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে। শুধু আইন-শৃঙ্খলা নয়, সকল গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুতে এখানে পর্যালোচনা করা হয়েছে।’
তিনি আরও যোগ করেন, ‘আইন-শৃঙ্খলা ব্যবস্থা আরও জোরদার করার কৌশল নিয়ে আলোচনা হয়েছে। এছাড়া পাহাড়ের মাটি কেটে নেওয়া, অবৈধ পাহাড় ধ্বংসসহ পরিবেশগত নানা সমস্যা নিয়েও আমরা কথা বলেছি।’
মিয়ানমার সীমান্ত প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আরাকান সীমান্ত একটি জটিল অঞ্চল। আমরা মিয়ানমার সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ রাখলেও বাস্তবে সীমান্তের নিয়ন্ত্রণ আরাকান আর্মির হাতে। এখানে বাণিজ্যিক লেনদেনের ক্ষেত্রে দ্বৈত করের সমস্যা রয়েছে—একদিকে মিয়ানমার সরকার, অন্যদিকে আরাকান আর্মি উভয়ই শুল্ক আদায় করে। তবে আমরা এই সমস্যা সমাধানে কাজ করছি। সর্বোপরি, আমাদের সীমান্ত সম্পূর্ণ সুরক্ষিত।’
সাম্প্রতিক সময়ে আরাকান সংক্রান্ত ভাইরাল ভিডিও ও টিকটক কনটেন্ট সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘আরাকান আর্মির সঙ্গে দীর্ঘদিনের সংঘাতের প্রেক্ষাপটে কিছু সামাজিক জটিলতা তৈরি হয়েছে। তাদের কিছু সদস্য বাংলাদেশে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হচ্ছে—এটা স্বীকার করতেই হবে। তবে ভাইরাল ভিডিওগুলোর সবই সত্য নয়, আবার সবটা মিথ্যও বলা যাবে না। এখানে সতর্কতার সঙ্গে বিচার করা জরুরি।’
পার্বত্য অঞ্চলের শান্তি প্রসঙ্গে উপদেষ্টা বলেন, ‘আমার ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা থেকে বলছি—পাহাড়ের বর্তমান অবস্থা আগের তুলনায় অনেক বেশি স্থিতিশীল। আমি এখানে তিন দফায় দায়িত্ব পালন করেছি। একসময় ল্যান্ডমাইনের বিস্ফোরণে গণহারে প্রাণহানি হতো, যা মিডিয়ায়ও আসত না। এখন পর্যটকরা নির্বিঘ্নে সাজেক পর্যন্ত ভ্রমণ করছেন। ছোটখাটো অপরাধ সমতলেও ঘটে, শুধু পাহাড়কে দোষারোপ করা যায় না।’
যৌথ বাহিনীর তৎপরতা সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় যৌথ বাহিনীর অভিযান কোনোভাবেই কমেনি। বরং গণমাধ্যম ও জনসাধারণের সহযোগিতায় পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে।’
সাংবাদিকদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘সত্য ঘটনা প্রকাশে আপনাদের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তবে কোনো কোনো ক্ষেত্রে ভিত্তিহীন সংবাদ পরিবেশনের সুযোগ নিয়ে প্রতিবেশী দেশের কিছু মহল বিভ্রান্তি ছড়ায়। বাংলাদেশের সাংবাদিকরা সর্বদা সততার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করেন—এ ধারা বজায় রাখার অনুরোধ রইল।’
ঢাকা কলেজ ও সিটি কলেজের সংঘাত প্রসঙ্গে তার পরামর্শ, ‘এরা আমাদেরই তরুণ ভাই। তাদের মধ্যে সম্প্রীতির বার্তা পৌঁছে দিতে হবে।’
চট্টগ্রামের রাউজানে সম্প্রতি বেড়ে যাওয়া হত্যাকাণ্ড সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘ফটিকছড়ি, রাউজান, পটিয়া ও সাতকানিয়া—এ অঞ্চলে পাহাড় ও সমতলের মিশ্র অবস্থান। সন্ত্রাসীরা অপরাধ করে পাহাড়ে আত্মগোপন করছে। আমরা স্থানীয় পুলিশকে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছি। কোনো অপরাধী প্রকাশ্যে থাকলে তাৎক্ষণিক আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
মন্তব্য করুন
ডেস্ক রিপোর্টঃ
ঢাকার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে আওয়ামী লীগ সমর্থিত বেশ কয়েকজন নেতাকর্মীকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে। শনিবার (১৯ অক্টোবর) বেলা সাড়ে ১২টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, জাতীয় দিবসের তালিকা থেকে ১৫ আগস্ট ও ৭ মার্চ বাদ দেওয়ার প্রতিবাদে জড়ো হয়েছিলেন আওয়ামী লীগের কর্মী–সমর্থকেরা। মানববন্ধন করতে চাইলে বাধা ও একপর্যায়ে তাদের মারধর করা হয়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বেলা ১২টার দিকে ১০-১৫ জন আওয়ামী লীগ সমর্থক নেতাকর্মী প্রেস ক্লাবের সামনে এসেছিলেন মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করতে। তা শোনার পরই বিএনপির ৫০-৬০ নেতাকর্মী এসে তাদের ধাওয়া দেয়। এ সময় আওয়ামী লীগের একজন কর্মীকে বিএনপি সমর্থিত ৪-৫ জন বেধড়ক মারধর করেন।
এদিকে এ ঘটনার একটি ভিডিও সামজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। সেখানে দেখা যায়, বিএনপির নেতাকর্মীরা বলছেন, ‘ওই ধর ধর, আওয়ামী লীগ ধর, সব কয়কারে ধর-পালাইতেছে।’
বিএনপির নেতাকর্মীদের ধাওয়া খেয়ে দৌড়াতে দৌড়াতে আওয়ামী লীগের একজন কর্মী বলেন, ‘এই দেশে আওয়ামী লীগের ইতিহাস কেউ কখনও মুছতে পারবে না। আমরা ছিলাম, আছি, থাকবো ইনশাআল্লাহ।’
মন্তব্য করুন