জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের প্রধান আব্দুল মুয়ীদ চৌধুরী জানিয়েছেন, সরকারি চাকরি ও অন্যান্য ক্ষেত্রে পুলিশ ভেরিফিকেশন তুলে দেওয়ার সুপারিশ করা হবে।
আজ মঙ্গলবার সচিবালয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে সচিবালয় বিটে কর্মরত সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এ কথা বলেন।
সরকারি চাকরি, পাসপোর্ট ইত্যাদিতে পুলিশ ভেরিফিকেশন নিয়ে হওয়া হয়রানির অভিযোগ সম্পর্কে কমিশন প্রধান বলেন, "পুলিশ ভেরিফিকেশন কোথাও থাকবে না, এয়ারপোর্টেও থাকবে না। প্রত্যেক নাগরিকের পাসপোর্ট পাওয়ার অধিকার রয়েছে।"
এছাড়া, দলীয় ভিত্তিতে ক্যাডার পদে পদোন্নতি দেওয়ার বিষয়ে আব্দুল মুয়ীদ চৌধুরী বলেন, "উপ-সচিব ও যুগ্ম সচিব পর্যায়ে পরীক্ষা ছাড়া কোনো পদোন্নতি দেওয়া হবে না। পরীক্ষায় ৭০ নম্বর না পেলে পদোন্নতি দেওয়া হবে না। এর মাধ্যমে আন্তঃক্যাডার বৈষম্য দূর হবে। যেকোনো ক্যাডারের কেউ যদি ৭০ নম্বর পান, তবে তিনি প্রশাসন ক্যাডারে আসতে পারবেন।"
তিনি আরও বলেন, "আমরা তথ্য অধিকার আইনকে খুব গুরুত্ব দিচ্ছি। প্রতিটি জেলা এবং বিভাগে এ বিষয়ে দেখভাল করার জন্য একজন কর্মকর্তা নিয়োগ করা হবে। তবে এখনো তথ্য অধিকার আইনের যথাযথ প্রয়োগ হচ্ছে না।"
মতবিনিময় সভায় জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব ও জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের সদস্য সচিব মো. মোখলেস উর রহমানসহ অন্যান্য সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
মন্তব্য করুন
ডেস্ক রিপোর্টঃ
শিক্ষকরা রাজনীতিতে জড়ালে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার।
শনিবার (১১ জানুয়ারি) সকালে ময়মনসিংহে জাতীয় প্রাথমিক শিক্ষা একাডেমি (নেপ)-এ দশম গ্রেডের কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা শেষে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার এ মন্তব্য করেন।
তিনি বলেন, শিক্ষায় গুণগত মান বৃদ্ধিতে সরকার নিরলসভাবে কাজ করছে। এ লক্ষ্যে কারিকুলাম ও পরীক্ষা পদ্ধতিতে পরিবর্তন আনা হয়েছে। বাচ্চাদের সামগ্রিক বিকাশ নিশ্চিত করতে শুধুমাত্র বইয়ের ওপর নির্ভরশীলতা কমিয়ে খেলাধুলা ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডে অংশগ্রহণ বাড়ানোর পরামর্শ দেন। এজন্য শিক্ষক ও অভিভাবকদের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধির আহ্বান জানান তিনি।
বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর রেজিস্ট্রেশনের আওতায় আনার মাধ্যমে পড়াশোনার খরচ কমানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলেও উল্লেখ করেন উপদেষ্টা।
ড. বিধান রঞ্জন রায় জানান, পরিমার্জন এবং টেন্ডার বাতিলের কারণে কিছু ক্লাসে বই বিতরণে বিলম্ব হয়েছে। তবে জানুয়ারির মধ্যেই প্রাথমিকের চতুর্থ ও পঞ্চম শ্রেণির সব বই বিতরণ সম্পন্ন হবে।
এ সময় অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন নেপের পরিচালক ফরিদ আহমেদ, উপপরিচালক সাদিয়া উম্মুল বানিন, জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মিজানুর রহমান খানসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা। পরে তিনি দশম গ্রেডের কর্মকর্তাদের মৌলিক প্রশিক্ষণ কর্মশালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যোগ দেন।
মন্তব্য করুন
ডেস্ক রিপোর্ট:
মাত্র পাঁচ বছরের এক ছোট্ট শিশু, মুনতাহা আক্তার জেরিন। তার মিষ্টি হাসি ও চঞ্চলতা পরিবারের সবাইকে মুগ্ধ করত। প্রতিবেশীরাও তাকে আপন করে নিয়েছিলেন। তবে নির্মমভাবে হত্যার শিকার হতে হয় এই শিশুটিকে, এবং এতে জড়িত ছিলেন তার সাবেক গৃহশিক্ষিকা।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, মুনতাহার গৃহশিক্ষক ছিলেন শামীমা বেগম মার্জিয়া (২৫)। কিছুদিন আগে তার খারাপ আচরণের কারণে মুনতাহার বাবা তাকে পড়াতে নিষেধ করেন। এ কারণে ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন মার্জিয়া। প্রতিশোধ নিতে গত ৩ নভেম্বর মার্জিয়া ও তার মা আলিফজান বিবি শিশুটিকে কৌশলে তাদের ঘরে নিয়ে যান।
ঘরের ভেতর ওড়না ও রশি দিয়ে শ্বাসরোধ করে মুনতাহাকে হত্যা করা হয়। এরপর তার মরদেহ বস্তাবন্দি করে ঘরে রাখা হয়। গভীর রাতে মরদেহটি পলিথিনে মুড়িয়ে ঘরের পাশের নালায় পুঁতে রাখা হয়। পরদিন ভোরে মরদেহটি পুকুরে ফেলার সময় স্থানীয়রা তা উদ্ধার করেন। এসময় আলিফজান বিবিকে আটক করে স্থানীয় জনতা।
এ ঘটনায় চারজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তারা হলেন শিশু মুনতাহার গৃহশিক্ষক শামীমা বেগম মার্জিয়া, তার মা আলিফজান বিবি, প্রতিবেশী ইসলাম উদ্দিন (৪০), এবং মামুনুর রশিদের স্ত্রী নাজমা বেগম (৩৫)।
মুনতাহা সিলেটের কানাইঘাট উপজেলার সদর ইউনিয়নের বীরদল ভাড়ারিফৌদ গ্রামের বাসিন্দা শামীম আহমদের মেয়ে। রোববার বাদ আসর বীরদল পুরানফৌদ জামে মসজিদে জানাজা শেষে গ্রামের পঞ্চায়েত কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়। জানাজায় শত শত মানুষ অংশগ্রহণ করেন।
গত ৩ নভেম্বর দুপুরে মুনতাহা পার্শ্ববর্তী বাড়ির শিশুদের সঙ্গে খেলতে যায়। বিকেল পর্যন্ত না ফেরায় পরিবার খোঁজাখুঁজি শুরু করে। সন্ধান না পেয়ে মুনতাহার বাবা থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন।
নিখোঁজ হওয়ার পর পুলিশসহ বিভিন্ন বাহিনী ও আত্মীয়স্বজন সম্ভাব্য সব জায়গায় খোঁজ করে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ঘটনাটি ভাইরাল হলে অনেকেই মুনতাহাকে খুঁজে পেতে সাহায্যের জন্য আবেগঘন পোস্ট দেন এবং স্বেচ্ছাসেবায় যুক্ত হন।
মন্তব্য করুন
দেশের শ্রম আইনকে আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার (আইএলও) মানদণ্ডে উন্নীত করতে গুরুত্বপূর্ণ শ্রম সংস্কার বাস্তবায়নে অন্তর্বর্তী সরকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
৪ ফেব্রুয়ারি (মঙ্গলবার) কারখানা শ্রমিকদের নিরাপত্তা উন্নয়নে কাজ করা সংগঠন ‘নিরাপন’র নেতাদের সঙ্গে সাক্ষাৎকালে প্রধান উপদেষ্টা এ কথা জানান। প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনায় নিরাপনের নেতারা তার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।
নিরাপনের চেয়ারপারসন সাইমন সুলতানা এবং স্বাধীন পরিচালক তপন চৌধুরী প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেন। বৈঠকে শীর্ষস্থানীয় পশ্চিমা ব্র্যান্ড ও খুচরা বিক্রেতাদের প্রতিনিধিরাও উপস্থিত ছিলেন।
প্রধান উপদেষ্টা নিরাপন কর্মকর্তাদের বলেন, অন্তর্বর্তী সরকার দেশের শ্রম আইনকে আইএলও’র মানদণ্ডে উন্নীত করতে গুরুত্বপূর্ণ শ্রম সংস্কার বাস্তবায়নে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। আমরা এরই মধ্যে কিছু পদক্ষেপ নিয়েছি। শিগগির আপনারা পরিবর্তন দেখতে পাবেন।
প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ দূত লুতফে সিদ্দিকী জানান, অন্তর্বর্তী সরকার শ্রমিক ইউনিয়ন ও পোশাক প্রস্তুতকারকদের সঙ্গে ১৮ দফা চুক্তি স্বাক্ষর করেছে, যা এই খাতের স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করেছে এবং রপ্তানি বৃদ্ধিতে সহায়তা করেছে।
সাইমন সুলতানা পোশাক শিল্পে সংস্কার কার্যক্রম শুরুর জন্য প্রধান উপদেষ্টাকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, নিরাপন তার স্থানীয় অংশীদার ‘ব্র্যাক’ ও ‘আমাদের কথা’র মাধ্যমে নিরাপত্তা ব্যবস্থাপনার জন্য উদ্ভাবনী টুল উন্নয়ন ও বাস্তবায়নে নেতৃত্ব দিচ্ছে। ব্র্যান্ড প্রতিনিধিরাও বাংলাদেশের কারখানার নিরাপত্তার উন্নতিতে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেন।
সাক্ষাৎকালে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের এসডিজি বিষয়ক মুখ্য সমন্বয়ক লামিয়া মোরশেদ এবং বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিআইডিএ) চেয়ারম্যান চৌধুরী আশিক মাহমুদ বিন হারুন উপস্থিত ছিলেন।
মন্তব্য করুন
মানব পাচারের শিকার হয়ে মিয়ানমারের স্ক্যাম সেন্টারে বন্দি জীবন কাটানো ১৮ বাংলাদেশি অবশেষে দেশে ফিরেছেন। মঙ্গলবার (১৮ মার্চ) দিবাগত রাত ১২টা ৪৫ মিনিটে থাই এয়ারওয়েজের একটি ফ্লাইটে তারা ঢাকায় পৌঁছান। বিমানবন্দরে তাদের জরুরি সহায়তা দিয়েছে ব্র্যাক মাইগ্রেশন প্রোগ্রামের কর্মীরা।
জানা গেছে, ভালো চাকরি ও উচ্চ বেতনের প্রলোভন দেখিয়ে মানব পাচারকারীরা দুবাইসহ মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশ থেকে এই বাংলাদেশিদের প্রথমে থাইল্যান্ডে নিয়ে যায়। সেখান থেকে তাদের মিয়ানমারের স্ক্যাম সেন্টারে পাঠানো হয়। পাচারকারীরা তাদের জোরপূর্বক সাইবার অপরাধমূলক কাজে নিয়োজিত করে। কেউ কাজ করতে অস্বীকার করলে তাদের বৈদ্যুতিক শকসহ নানা ধরনের শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করা হতো।
ব্র্যাকের সহযোগী পরিচালক শরিফুল হাসান (মাইগ্রেশন এন্ড ইয়ুথ প্ল্যাটফর্ম) জানান, ভুক্তভোগীদের পরিবারের পক্ষ থেকে তাদের উদ্ধারের জন্য ব্র্যাকের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। এরপর বাংলাদেশ সরকারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, সিআইডি এবং থাইল্যান্ডে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাসের সঙ্গে সমন্বয় করে তাদের উদ্ধার কার্যক্রম চালানো হয়। সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় এই ১৮ বাংলাদেশি দুঃসহ বন্দিদশা থেকে মুক্তি পান।
উদ্ধার হওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে রয়েছেন ওমর ফারুক, রাশেদুল ইসলাম, মো. আলিফ, রায়হান সোবহান, শেখ আরমান, মো. পাভেল চৌধুরী, মনির হোসেন, মো. ইসমাইল হোসেন, মো. নিজাম উদ্দীন, জহির উদ্দিন, তানভীর আকন্দ রাফি, তোয়ানুর খলিলুল্লাহ, মো. সায়মন হোসেন, মো. উজ্জ্বল হোসেন, মেহেদী হাসান, মো. কায়সার হোসেন, মো. শাহ আলম ও মো. আকাশ আলী।
উদ্ধার হওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে চট্টগ্রামের মো. আলিফ বলেন, "দুবাইতে আমি জাহাজে কাজ করতাম। আমাকে উচ্চ বেতনে ডাটা এন্ট্রির কাজের প্রলোভন দেখিয়ে থাইল্যান্ডে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে পাচারকারীরা আমাকে থাই-মিয়ানমার সীমান্তের ম্যাসটে নিয়ে যায়। সেখানে আমার মতো বিভিন্ন দেশের আরও অনেক মানুষকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে স্ক্যাম সেন্টারে বিক্রি করে দেওয়া হয়। আমি ছয় মাস ধরে ভয়াবহ নির্যাতনের মধ্যে বন্দি ছিলাম। জীবন বাঁচাতে আমি স্ক্যাম সেন্টারে কাজ করতে বাধ্য হই।"
সিআইডির অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোস্তাফিজুর রহমান জানান, পাচারকারীদের মূল হোতা ইফতেখারুল ইসলাম রনির বিরুদ্ধে মানব পাচারের অভিযোগে দেশের বিভিন্ন থানায় ৮টি মামলা দায়ের করা হয়েছে। গত ১৮ জানুয়ারি তাকে চট্টগ্রাম এয়ারপোর্ট থেকে আটক করা হয়। পাচারকারী চক্রের আরেক নেতা আব্দুল্লাহ আল নোমানকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
ব্র্যাকের শরিফুল হাসান আরও জানান, "সাইবার স্ক্যাম মানব পাচারের একটি ভয়াবহ রূপ। কম্পিউটার অপারেটর, টাইপিস্ট, কল সেন্টার অপারেটরসহ বিভিন্ন পদে আকর্ষণীয় বেতনের প্রলোভন দেখিয়ে অনলাইন মাধ্যমে (ভুয়া ওয়েবসাইট, ই-মেইল, ফেসবুক, হোয়াটসঅ্যাপ, টেলিগ্রাম ইত্যাদি) নিয়োগের বিজ্ঞাপন দেওয়া হয়। এরপর সুকৌশলে তাদের স্ক্যাম সেন্টারে নিয়ে গিয়ে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে স্ক্যামের কাজ করানো হয়। থাইল্যান্ড, মিয়ানমার, লাওস, ভিয়েতনাম ও কম্বোডিয়ায় কাজের প্রলোভন দেখিয়ে এই ধরনের প্রতারণার ঘটনা ঘটছে। সরকার ইতিমধ্যে এসব দেশে যাওয়ার বিষয়ে সতর্কতা জারি করেছে। এই নতুন ধরনের প্রতারণা সম্পর্কে বিদেশগামীসহ সবাইকে সচেতন হতে হবে।"
মন্তব্য করুন
ঢাকা মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ আদালত সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদ ও তার বড় মেয়ে ফারহিন রিশতা বিনতে বেনজীরের আয়কর নথি জব্দের নির্দেশ দিয়েছেন। আজ সোমবার আদালতের বিচারক মো. জাকির হোসেন গালিব এ আদেশ দেন।
দুদকের উপপরিচালক হাফিজুল ইসলাম পৃথক আবেদনে আয়কর নথি জব্দের জন্য আবেদন করেন। দুদকের পক্ষে প্রসিকিউটর মাহমুদ হোসেন জাহাঙ্গীর শুনানি করেন।
এর আগে ৮ জানুয়ারি আদালত বেনজীর আহমেদের স্ত্রী জিশান মির্জা ও ছোট মেয়ে তাহসিন রাইসা বিনতে বেনজীরের আয়কর নথি জব্দের আদেশ দিয়েছিলেন।
এছাড়া, গত ১৫ ডিসেম্বর দুদক সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদ ও তার পরিবার সদস্যদের বিরুদ্ধে চারটি মামলা দায়ের করেছিল।
মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, বেনজীর আহমেদ ৯ কোটি ৪৪ লাখ টাকা জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন করেছেন এবং ২ কোটি ৬২ লাখ টাকা সম্পদের তথ্য গোপন করেছেন। তার স্ত্রী জিশান মির্জা ৩১ কোটি ৬৯ লাখ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জন করেছেন এবং ১৬ কোটি ১ লাখ টাকার তথ্য গোপন করেছেন। তাদের বড় মেয়ে ফারহিন রিশতা বিনতে বেনজীর ৮ কোটি ৭৫ লাখ টাকার এবং মেজ মেয়ে তাহসিন রাইসা বিনতে বেনজীর ৫ কোটি ৫৯ লাখ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জন করেছেন।
মন্তব্য করুন
জুলাই-আগস্টে গণহত্যার ঘটনায় মানবতা বিরোধী অপরাধের মামলায় পলাতক সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সাবেক স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালকে হাজির হতে দুটি পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের নির্দেশ দিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল। আগামী ২৪ জুন এই মামলার পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করা হয়েছে।
আজ সোমবার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তুজা মজুমদারের নেতৃত্বে তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল এ আদেশ দেন।
এসময় মামলার আরেক আসামি সাবেক পুলিশ প্রধান চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন ট্রাইব্যুনালে হাজির ছিলেন। আদালতে প্রসিকিউশনের পক্ষে শুনানি করেন চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম।
গত ১ জুন জুলাই-আগস্টে গণহত্যার ঘটনায় মানবতা বিরোধী অপরাধের মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তিনজনের বিরুদ্ধে ৫টি অভিযোগ আমলে নেয় ট্রাইব্যুনাল। মামলার অপর দুই আসামি হলেন— সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল এবং সাবেক পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী মামুন। একইসঙ্গে এই মামলায় শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান কামালের বিরুদ্ধে নতুন করে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়।
মন্তব্য করুন
ডেস্ক রিপোর্টঃ
ইউরোপীয় ইউনিয়নের কূটনীতিকদের সঙ্গে বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস ইউরোপীয় ইউনিয়নের দেশগুলোর ভিসা সেন্টার দিল্লি থেকে সরিয়ে ঢাকায় অথবা প্রতিবেশী কোনো দেশে স্থানান্তরের অনুরোধ করেছেন।
সোমবার (৯ ডিসেম্বর) দুপুর ১২টায় রাজধানীর তেজগাঁওয়ে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
১৯ সদস্যের প্রতিনিধিদলটির নেতৃত্বে ছিলেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ইউরোপীয় ইউনিয়নের হেড অব ডেলিগেশন মাইকেল মিলার। প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠকে অংশ নেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন।
প্রায় আড়াই ঘণ্টাব্যাপী এ বৈঠকে ১৫ জন প্রতিনিধি তাদের মতামত তুলে ধরেন। বৈঠকে শ্রম অধিকার, বাণিজ্য সুবিধা, জলবায়ু পরিবর্তন, মানবাধিকার, ইন্টারন্যাশনাল ক্রাইম ট্রাইব্যুনাল অ্যাক্ট, রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন বাস্তবায়ন ও টেকসই ভবিষ্যৎ নির্মাণে উভয়ের অঙ্গীকার ও করণীয় সম্পর্কে আলোচনা হয়েছে।
বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘ডিসেম্বর মাসে গোটা মাসজুড়ে আমরা বিজয় উদযাপন করি। বিজয়ের মাসে আপনাদের সঙ্গে এমন একটি ইন্টার্যাক্টিভ আলোচনায় অংশ নিতে পেরে আমি খুব আনন্দিত। ’
বাংলাদেশে জুলাই-আগস্টে গণঅভ্যুত্থানে শহীদ ও আহতের প্রতি সম্মান প্রদর্শন করেন প্রধান উপদেষ্টা। এ সময় তিনি গত ১৬ বছর ধরে অত্যাচার, শোষণ, বলপূর্বক গুম, মানবাধিকার লঙ্ঘনের সম্পর্কে সংক্ষেপে কূটনীতিকদের সামনে তুলে ধরেন। তিনি অর্থনৈতিক শ্বেতপত্রের বিষয় উল্লেখ করে দুর্নীতি, অর্থপাচার এবং ব্যাংকিং সিস্টেমকে কীভাবে বিপর্যস্ত করা হয়েছিল সেসব কথা জানান।
বাংলাদেশ সম্পর্কে ব্যাপক আকারে অপতথ্য ছড়ানো হচ্ছে বলে উল্লেখ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তিনি বলেন, ‘আমরা এই মিসইনফরমেশন ঠেকাতে আপনাদের সহযোগিতা কামনা করি।
মন্তব্য করুন
রাশিয়ার স্বাধীন সংবাদমাধ্যম কোমারসেন্ট জানিয়েছে, রাশিয়া-ইউক্রেন সীমান্তের ব্রায়ান্সকে রুশ সেনাদের একটি সুখোই এসইউ-৩৪, একটি এসইউ-৩৫ এবং দু’টি এমআই-৮ হেলিকপ্টার ভূপাতিত করেছে ইউক্রেন।
যদি এ প্রতিবেদনটি সঠিক হয় তাহলে এটি কিয়েভের জন্য বিশাল সামরিক সাফল্য হবে বলে রোববার (১৪ মে) এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।
শনিবার (১৩ মে) কোমারসেন্ট ওই প্রতিবেদনে আরও জানিয়েছে, হামলার প্রস্তুতি নেওয়া রুশ এ যুদ্ধবিমান ও হেলিকপ্টারগুলো একইসঙ্গে ভূপাতিত করা হয়। যেখানে এ আকাশযানগুলো ভূপাতিত করা হয়েছে সেটি ইউক্রেনের সীমান্তের খুব কাছে অবস্থিত।
সংবাদমাধ্যমটির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘প্রাথমিক তথ্য অনুযায়ী… যুদ্ধবিমানগুলো ইউক্রেনের চেরনিহিভ অঞ্চলে ক্ষেপণাস্ত্র সরবরাহ ও বোমা হামলা চালানোর জন্য যাচ্ছিল। অপরদিকে হেলিকপ্টারগুলোর এ হামলার সহায়ক হিসেবে পাশে পাশে যাচ্ছিল।’
কোমারসেন্ট এ প্রতিবেদনের পক্ষে কোনো প্রমাণ দেয়নি। তবে এ সংবাদমাধ্যমটিতে যে তথ্য দেওয়া হয়েছে, সামরিক ব্লগাররাও সেই একই কথা বলেছেন।
সামরিক আকাশযান বিধ্বস্ত হওয়ার ব্যাপারে এখন পর্যন্ত কোনো মন্তব্য করেনি রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়। এছাড়া ইউক্রেনও মুখ চেপে বসে আছে। দেশটি সাধারণত রাশিয়ার মূল ভূখণ্ডের ভেতর চালানো কোনো হামলা নিয়ে কিছু বলে না।
তবে ইউক্রেনে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমগুলোতে এ নিয়ে ব্যাপক উদ্দীপনা এবং আলোচনা চলছে। অনেকে বলছেন একসঙ্গে চারটি এয়ারক্রাফট বিধ্বস্ত হওয়ার ঘটনা কোনো দুর্ঘটনা নয়।
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির উপদেষ্টা মিখাইল পোদোলায়েক অবশ্য এ নিয়ে একটি টুইট করেছেন। তিনি বলেছেন, ‘রাশিয়ার বিমানগুলো ইউক্রেনের চেরনিহিভে ক্ষেপণাস্ত্র-বোমা হামলা চালাতে চেয়েছিল। কিন্তু অজ্ঞাত ব্যক্তিদের মাধ্যমে এগুলো ধ্বংস হয়েছে। এটি তাৎক্ষণিক বিচার।’
রাশিয়ার সরকারি বার্তাসংস্থা টাস নিউজ শনিবার এক প্রতিবেদনে জানায়, ব্রায়ান্সকে একটি এসইউ-৩৪ যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত হয়েছে। কিন্তু এর বেশি আর কিছু জানায়নি টাস।
মন্তব্য করুন
গত বছরে (২০২৪ সালে) বাংলাদেশে মোট ৬,৩৫৯টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৮,৫৪৩ জন নিহত এবং ১২,৬০৮ জন আহত হয়েছেন।
শনিবার (৪ জানুয়ারি) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে এক সংবাদ সম্মেলনে এই তথ্য জানান বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির মহাসচিব মো. মোজাম্মেল হক চৌধুরী। সংগঠনটি প্রতিবছরের মতো গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদ মনিটরিং করে এই প্রতিবেদন তৈরি করেছে।
মোজাম্মেল হক চৌধুরী সংবাদ সম্মেলনে বলেন, গত ১০ বছরে মোটরসাইকেলের সংখ্যা ১৫ লাখ থেকে বেড়ে ৬০ লাখে দাঁড়িয়েছে। পাশাপাশি নতুন করে ৬০ লাখ ব্যাটারিচালিত রিকশা এবং ছোট যানবাহন রাস্তায় প্রবাহিত হচ্ছে। সরকারের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে এসব যানবাহন অবাধে চলাচল করায় সড়ক দুর্ঘটনা এবং প্রাণহানির হার ভয়াবহভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে।
সড়ক দুর্ঘটনার কিছু কারণ তুলে ধরেন যাত্রী কল্যাণ সমিতির মহাসচিব। তিনি বলেন, সড়ক দুর্ঘটনার প্রধান কারণ হলো বেপরোয়া গতি ও বিপদজনক ওভারটেকিং, সড়কের নির্মাণ ত্রুটি, ফিটনেসবিহীন যানবাহন, যাত্রী ও পথচারীদের অসতর্কতা, চালকদের অদক্ষতা এবং ট্রাফিক আইন সম্পর্কে অজ্ঞতা। এছাড়া পরিবহন মালিকদের বেপরোয়া মনোভাব, গাড়ি চালানোর সময় মোবাইল বা হেডফোন ব্যবহার, মাদক সেবন করে গাড়ি চালানো, অরক্ষিত রেলক্রসিং এবং রোড ডিভাইডারের পর্যাপ্ত উচ্চতা না থাকা এর অন্যতম কারণ।
এই সড়ক দুর্ঘটনা রোধে যাত্রী কল্যাণ সমিতি বেশ কিছু সুপারিশ করেছে। এসব সুপারিশের মধ্যে রয়েছে, মানুষের জীবন রক্ষায় সরকারের সড়ক নিরাপত্তা বিষয়ে প্রথম অগ্রাধিকার দেওয়া, দ্রুত সড়ক নিরাপত্তা আইন প্রণয়ন করে ব্যাপক কার্যক্রম শুরু করা, সড়ক নিরাপত্তায় বাজেট বরাদ্দ বৃদ্ধি, সড়ক পরিবহন মন্ত্রণালয়ে সড়ক নিরাপত্তা উইং চালু করা।
এছাড়া সড়ক নিরাপত্তা নিয়ে এরই মধ্যে প্রণীত সুপারিশমালার বাস্তবায়ন শুরু করা হয়েছে। দেশে সড়ক-মহাসড়কে রোড সাইন, রোড মার্কিং (ট্রাফিক চিহ্ন) স্থাপন, জেব্রা ক্রসিং আঁকা ও আলোকসজ্জার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। গণপরিবহন চালকদের আধুনিক প্রশিক্ষণ ও নৈতিক শিক্ষা দেওয়ার ব্যবস্থা, সড়ক পরিবহন সেক্টরে সুশাসন প্রতিষ্ঠা, অনিয়ম ও দুর্নীতি বন্ধ করার পাশাপাশি গাড়ির নিবন্ধন, ফিটনেস ও চালকদের লাইসেন্স প্রদানের পদ্ধতি আধুনিকায়ন করার সুপারিশও করা হয়েছে।
এছাড়া সড়ক দুর্ঘটনায় আর্থিক সহায়তার জন্য তহবিলের আবেদন সময়সীমা ৬ মাস বৃদ্ধি করা, স্মার্ট গণপরিবহন ব্যবস্থা গড়ে তুলতে দেশের বিভিন্ন স্থানে মানসম্মত নতুন বাস সার্ভিস চালু করার উদ্যোগ নেওয়ার কথা বলা হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক রোবায়েত ফেরদৌস বলেন, পরিবহন সেক্টরে সড়ক দুর্ঘটনা কমাতে অন্তর্বর্তী সরকারের কোনো ভূমিকা ছিল না। এসব দুর্ঘটনা কাঠামোগত হত্যাকাণ্ড, এবং নিরাপদ সড়ক নিশ্চিত করতে সরকার, পরিবহন মালিক-শ্রমিকদের সম্মিলিতভাবে কাজ করতে হবে।
এছাড়া সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন সমাজ উন্নয়ন কর্মী আবদুল্লাহ আল জহির স্বপন, যাত্রী কল্যাণ সমিতির সহ-সভাপতি তাওহীদুল হক, যুগ্ম মহাসচিব মনিরুল হক, প্রচার সম্পাদক মাহমুদুল হাসান রাসেল, দুর্ঘটনা মনিটরিং সেলের সদস্য মো. জিয়াউল হক চৌধুরী প্রমুখ।
মন্তব্য করুন
শিক্ষা উপদেষ্টা ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ জানিয়েছেন, যারা বই ছাপানোর ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধকতা তৈরি করেছেন, তাদের তালিকা প্রণয়ন করা হচ্ছে। একইসঙ্গে তিনি জানান, জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের (এনসিটিবি) অধীন শিক্ষার্থীদের জন্য বিনামূল্যের পাঠ্যবই আর বিদেশে ছাপানো হবে না।
বুধবার রাজধানীর আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে পাঠ্যবইয়ের অনলাইন সংস্করণ উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ বলেন, “বই ছাপানোর বাণিজ্য বা একচেটিয়া ব্যবসা আরও সুশৃঙ্খল করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। উন্নতমানের ছাপা, ভালো মানের কাগজ এবং মজবুত মলাট নিশ্চিত করা হবে। এখন থেকে বই দেশেই ছাপা হবে।”
তিনি আরও বলেন, “শিক্ষা মন্ত্রণালয়সহ সব মন্ত্রণালয়ে শুদ্ধি অভিযান চালানোর পরিকল্পনা রয়েছে। যারা মুদ্রণ শিল্পের সঙ্গে জড়িত থেকে দুর্নীতিগ্রস্ত হয়েছেন, তাদের মধ্যে অনেককে বদলি করা হয়েছে। অতীতে যারা শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন, তাদের বিষয়ে অনুসন্ধানের জন্য দুর্নীতি দমন কমিশনকে (দুদক) জানানো হবে।”
বই বিতরণের ক্ষেত্রে বিভিন্ন বাধার মুখে পড়ার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, “আগের বাজারমূল্যে বই ছাপানো হয়েছে। যারা এই প্রক্রিয়ায় বাধা সৃষ্টি করেছেন, তাদের তালিকা তৈরি করা হচ্ছে। আগামী বছর যারা সরকারে থাকবেন, তাদের কাছে সেই তালিকা হস্তান্তর করা হবে।”
তিনি আরও জানান, দলীয় রাজনীতি নিরপেক্ষভাবে বইয়ে অন্তর্ভুক্ত করার জন্য পাঠ্যবইগুলো শুদ্ধ ও পরিমার্জন করা হয়েছে। আগের নিয়মে নবম ও দশম শ্রেণিতে শুধু সাধারণ গণিত ও সাধারণ বিজ্ঞান পড়ানো হতো, তবে এখন উচ্চতর গণিত ও উচ্চতর বিজ্ঞানও অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
মন্তব্য করুন