

জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের প্রধান আব্দুল মুয়ীদ চৌধুরী জানিয়েছেন, সরকারি চাকরি ও অন্যান্য ক্ষেত্রে পুলিশ ভেরিফিকেশন তুলে দেওয়ার সুপারিশ করা হবে।
আজ মঙ্গলবার সচিবালয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে সচিবালয় বিটে কর্মরত সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এ কথা বলেন।
সরকারি চাকরি, পাসপোর্ট ইত্যাদিতে পুলিশ ভেরিফিকেশন নিয়ে হওয়া হয়রানির অভিযোগ সম্পর্কে কমিশন প্রধান বলেন, "পুলিশ ভেরিফিকেশন কোথাও থাকবে না, এয়ারপোর্টেও থাকবে না। প্রত্যেক নাগরিকের পাসপোর্ট পাওয়ার অধিকার রয়েছে।"
এছাড়া, দলীয় ভিত্তিতে ক্যাডার পদে পদোন্নতি দেওয়ার বিষয়ে আব্দুল মুয়ীদ চৌধুরী বলেন, "উপ-সচিব ও যুগ্ম সচিব পর্যায়ে পরীক্ষা ছাড়া কোনো পদোন্নতি দেওয়া হবে না। পরীক্ষায় ৭০ নম্বর না পেলে পদোন্নতি দেওয়া হবে না। এর মাধ্যমে আন্তঃক্যাডার বৈষম্য দূর হবে। যেকোনো ক্যাডারের কেউ যদি ৭০ নম্বর পান, তবে তিনি প্রশাসন ক্যাডারে আসতে পারবেন।"
তিনি আরও বলেন, "আমরা তথ্য অধিকার আইনকে খুব গুরুত্ব দিচ্ছি। প্রতিটি জেলা এবং বিভাগে এ বিষয়ে দেখভাল করার জন্য একজন কর্মকর্তা নিয়োগ করা হবে। তবে এখনো তথ্য অধিকার আইনের যথাযথ প্রয়োগ হচ্ছে না।"
মতবিনিময় সভায় জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব ও জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের সদস্য সচিব মো. মোখলেস উর রহমানসহ অন্যান্য সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
মন্তব্য করুন


ঢাকার পূর্বাচলে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) প্লট বরাদ্দে দুর্নীতির আলাদা তিন মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাত বছর করে মোট ২১ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার দুপুরে ঢাকার পঞ্চম বিশেষ জজ আদালতের বিচারক মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ আল মামুন এ রায় ঘোষণা করেন।
পৃথক তিন মামলায় আসামির সংখ্যা ৪৭। তবে ব্যক্তি হিসাবে এই সংখ্যা ২৩। শেখ হাসিনা, সজীব ওয়াজেদ জয় ও সায়মা ওয়াজেদ পুতুল ছাড়া অপর ২০ আসামি হলেন সাবেক গৃহায়ণ ও গণপূর্ত প্রতিমন্ত্রী শরীফ আহমেদ, জাতীয় গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সাবেক সিনিয়র সহকারী সচিব পূরবী গোলদার, রাজউকের সাবেক চেয়ারম্যান মো. আনিছুর রহমান মিঞা, সাবেক সদস্য (উন্নয়ন নিয়ন্ত্রণ) শফি উল হক, সাবেক সদস্য (এস্টেট ও ভূমি) মোহাম্মদ খুরশীদ আলম, সাবেক সদস্য (পরিকল্পনা) মোহাম্মদ নাসির উদ্দীন, মেজর (ইঞ্জি.) সামসুদ্দীন আহমদ চৌধুরী, রাজউকের সাবেক উপপরিচালক (এস্টেট ও ভূমি-৩) নায়েব আলী শরীফ, প্রশাসনিক কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম সরকার, অতিরিক্ত সচিব (প্রশাসন) কাজী ওয়াছি উদ্দিন, জাতীয় গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সাবেক সচিব শহীদ উল্লা খন্দকার, সদস্য (প্রশাসন ও অর্থ) কবির আল আসাদ, সদস্য (উন্নয়ন নিয়ন্ত্রণ) তন্ময় দাস, সদস্য (এস্টেট ও ভূমি) মো. নুরুল ইসলাম, সাবেক সদস্য (পরিকল্পনা) মোহাম্মদ নাসির উদ্দীন, পরিচালক (এস্টেট ও ভূমি-২) শেখ শাহিনুল ইসলাম, পরিচালক (এস্টেট ও ভূমি-৩) মো. কামরুল ইসলাম, উপপরিচালক মো. হাফিজুর রহমান, উপপরিচালক হাবিবুর রহমান, প্রধানমন্ত্রীর সাবেক একান্ত সচিব মোহাম্মাদ সালাউদ্দিন। আসামিদের মধ্যে একমাত্র মোহাম্মদ খুরশীদ আলম গ্রেফতার আছেন।
৯১ জনের সাক্ষ্যগ্রহণে উঠে আসে, রাজধানীতে জমি থাকা সত্ত্বেও তা গোপন করে সরকারি প্লট নেন শেখ হাসিনা ও তার ছেলে-মেয়ে।
অবৈধভাবে রাজউকের ৩০ কাঠা প্লট নেওয়ার অভিযোগে মামলাটি করে দুদক। আদালতে আসামিদের উপস্থিত হতে সমন, গ্রেফতারি পরোয়ানা ও পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হলেও অনুপস্থিত থাকেন তারা। এতে পলাতক অবস্থায়ই শেখ হাসিনাসহ ২৩ জনের বিরুদ্ধে চলে বিচারকাজ।
দুদকের অভিযোগপত্রে বলা হয়, রাজউকের আবাসন নীতি লঙ্ঘন করে প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতাবলে ছেলে-মেয়েসহ নিজের নামে সরকারি জমি নেন শেখ হাসিনা। দাখিল করেন মিথ্যা হলফনামাও।
মূলত গত বছরের ৫ আগস্ট রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর আওয়ামী লীগ শাসনামলের অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ সামনে আসতে থাকে।
জানা গেছে, ‘ক্ষমতার অপব্যবহার ও অনিয়মের মাধ্যমে’ রাজউকের পূর্বাচল নতুন শহর প্রকল্পে ৬০ কাঠার প্লট বরাদ্দ নেয়ার অভিযোগে গত জানুয়ারিতে ছয়টি মামলা করে দুদক। এসব মামলায় শেখ হাসিনা ছাড়াও তার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়, মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুল, বোন শেখ রেহানা, ভাগ্নি ব্রিটিশ এমপি টিউলিপ সিদ্দিক, আজমিনা সিদ্দিক রূপন্তী ও ভাগ্নে রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিক ববিকে আসামি করা হয়।
ছয় মামলাতেই হাসিনাকে আসামি করা হয়েছে। তার পরিবারের তিনটি মামলার বিচার চলছে একসঙ্গে; আলাদা আদালতে রেহানা পরিবারের তিন মামলারও বিচার চলছে একসঙ্গে।
গত ৩১ জুলাই এসব মামলায় হাসিনা ও রেহেনা পরিবারের সাত সদস্যসহ ২৩ জনের বিরুদ্ধে (একই ব্যক্তি একাধিক মামলায় অভিযুক্ত) অভিযোগ গঠন করেন আদালত। আর গত ২৩ নভেম্বর যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে হাসিনা পরিবারের মামলার রায়ের দিন ঠিক করা হয়। এছাড়া ২৫ নভেম্বর রেহানার পরিবারের এক মামলার যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে ১ ডিসেম্বর রায়ের দিন রেখেছেন আদালত।
মন্তব্য করুন


আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটরের বিশেষ পরামর্শক টবি ক্যাডম্যান আশা প্রকাশ করে বলেছেন, ভারত একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র, এবং গণতান্ত্রিক দেশের দাবিদার হিসেবে ভারতের উচিত হবে আইন মেনে চুক্তি অনুযায়ী শেখ হাসিনাকে বাংলাদেশে ফেরত দেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া।
বুধবার (১১ ডিসেম্বর) ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটরসহ অন্যান্য প্রসিকিউটর ও তদন্ত সংস্থার কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক শেষে একথা বলেন তিনি।
টবি ক্যাডম্যান বলেন, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আইনের সংশোধিত অধ্যাদেশ আন্তর্জাতিক মানের হয়েছে, তবে কিছু বিষয়ে আরও সংশোধন প্রয়োজন বলে তিনি মনে করেন। তিনি বলেন, জুলাই-আগস্টে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধে আন্তর্জাতিক মানদণ্ড মেনে স্বচ্ছ ও গ্রহণযোগ্য বিচার প্রক্রিয়ায় ট্রাইব্যুনালকে পূর্ণ সহযোগিতা করার আশ্বাস দেন।
তিনি আরও বলেন, তবে শেখ হাসিনাকে যদি ফেরত না দেওয়া হয়, তাহলে তার (শেখ হাসিনার) অবর্তমানেই সরকার বিচার প্রক্রিয়া (ট্রায়াল) নিয়ে বিবেচনা করবে এবং যদি প্রয়োজন হয়, আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের (আইসিসি) সহযোগিতা নেওয়া যায় কি না, সে ব্যাপারে সরকার পরবর্তীতে সিদ্ধান্ত নেবে।
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আইনের যে সংশোধন করা হয়েছে, তার প্রশংসা করে আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন আইনজীবী টবি ক্যাডম্যান বলেন, আইনের আরও কয়েকটি জায়গায় সংশোধনের প্রয়োজন হতে পারে। সম্মিলিতভাবে পরামর্শ করে সে বিষয়ে প্রস্তাব দেওয়া হবে।
সর্বোপরি, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে চলমান বিচার যাতে আন্তর্জাতিক মহলে গ্রহণযোগ্য হয়, সে ব্যাপারে সহযোগিতা করবেন বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন আইনজীবী টবি ক্যাডম্যান। এসময় উপস্থিত ছিলেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম, প্রসিকিউটর বি এম সুলতান মাহমুদ, আবদুল্লাহ আল মামুন, শাইখ মাহদী এবং এস এম মইনুল করিম।
লন্ডনভিত্তিক গার্নিকা থার্টি সেভেন ল ফার্মের যুগ্ম প্রধান ব্রিটিশ আইনজীবী টবি ক্যাডম্যানকে সম্প্রতি বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটরের বিশেষ পরামর্শক হিসেবে নিয়োগ দেয় অন্তর্বর্তীকালীন সরকার।
মন্তব্য করুন


অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান বলেন, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন ছাড়া গণতন্ত্র অর্থহীন। যেন অনেকটা জমিদারের ভাঙ্গা বাড়ির মতো।
বৃহস্পতিবার প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বে আপিল বিভাগের পূর্নাঙ্গ বেঞ্চে নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা ফেরাতে আপিলের ওপর রাষ্ট্রপক্ষের দ্বিতীয় দিনের শুনানিতে তিনি এ কথা বলেন।
শুনানিতে তিনি বলেন, গণতন্ত্র সুসংহত করতে সংবিধানে যেকোনো পদক্ষেপ নেওয়া হলে মৌলিক কাঠামোর পরিপন্থী হবে না। তত্ত্বাবধায়ক সরকার বাতিলের পেছনে যে যুক্তি দিয়েছিল আপিল বিভাগ তা ছিলো উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ও ভ্রান্তপ্রসূত বলেও জানান তিনি।
এর আগে বুধবার প্রথম দিনের শুনানিতে তিনি বলেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকার বাতিল হওয়ার কারণে দেশের নির্বাচনী ব্যবস্থা, গণতন্ত্র ধ্বংস হয়েছে। রাজনৈতিক বিদ্বেষমূলকভাবে আওয়ামী লীগকে সুবিধা দিতেই নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিল করা হয়।
আবারও গণতন্ত্রের স্বার্থে দেশে আবারো তত্ত্বাবধায়ক সরকার ফেরা উচিত বলে আপিল বিভাগকে জানান রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ আইন কর্মকর্তা অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান। বিএনপি, জামায়াত ও সুজনসহ বিশিষ্ট নাগরিকদের পক্ষের আইনজীবীরাও এর আগে তত্ত্বাবধায়ক ফেরাতে তাদের আইনি যুক্তি তুলে ধরেন।
মন্তব্য করুন


আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধের দাবিকে কেন্দ্র করে দেশের রাজনীতিতে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে। সম্প্রতি বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, সংগঠন ও সাধারণ জনগণের পক্ষ থেকে স্বৈরশাসন ও সন্ত্রাসী কার্যক্রমের অভিযোগ তুলে আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ করার দাবি জোরালো হয়েছে। এই দাবিকে গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করছে বলে জানিয়েছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার।
শুক্রবার (৯ মে) সরকার এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, বিষয়টি নিয়ে ইতোমধ্যেই রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপন করা হয়েছে। আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের ব্যাপারে আলোচনা করে দ্রুত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। বিশেষ করে আওয়ামী লীগের নেতা ও সমর্থকদের সন্ত্রাসী কার্যকলাপের বিষয়ে জাতিসংঘের প্রতিবেদনও সরকার বিবেচনায় রাখছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে এবং গণতান্ত্রিক ধারা বজায় রাখতে সকলকে ধৈর্য ধারণের আহ্বান জানিয়েছে সরকার।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, জনদাবীর প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে ইতোমধ্যে প্রচলিত আইনের আওতায় সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে পরিচিত ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। পাশাপাশি মানবতাবিরোধী অপরাধের সঙ্গে জড়িত সংগঠনগুলোর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত আইনে প্রয়োজনীয় সংশোধনী আনার উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে।
আওয়ামী লীগ সরকারের সাবেক রাষ্ট্রপতি ও হত্যা মামলার আসামি আবদুল হামিদের বিদেশ গমনের ঘটনায় জনমনে যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে, সে বিষয়েও সরকার অবগত রয়েছে। এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত সবার বিরুদ্ধে উপযুক্ত আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার প্রতিশ্রুতিও দিয়েছে সরকার।
মন্তব্য করুন


ঈদুল আজহা ও গ্রীষ্মকালীন অবকাশে লম্বা ছুটিতে যাচ্ছে দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো।
আজ মঙ্গলবার থেকে দেশের সাড়ে ৬৫ হাজার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও সরকারি-বেসরকারি কলেজে ঈদের ছুটি শুরু হচ্ছে।
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ঈদুল আজহা ও গ্রীষ্মকালীন অবকাশ মিলিয়ে এ বছর বন্ধ থাকবে মোট ২১ দিন। আজ থেকে ছুটি শুরু হয়ে চলবে ২৩ জুন পর্যন্ত। আগামী ২৪ জুন থেকে পুনরায় প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ক্লাস শুরু হবে।
এদিকে, ঈদুল আজহা উপলক্ষে দেশের সরকারি-বেসরকারি কলেজ ১০ দিন বন্ধ থাকবে। কলেজে শুধুমাত্র ঈদের ছুটি থাকবে। সঙ্গে গ্রীষ্মকালীন অবকাশ নেই। কলেজের শিক্ষাপঞ্জি অনুযায়ী সরকারি-বেসরকারি কলেজে ঈদুল আজহার ছুটি আজ থেকে শুরু হয়ে চলবে ১২ জুন পর্যন্ত। ১৩ জুন থেকে পুনরায় কলেজে পুরোদমে ক্লাস শুরু হবে।
এবার দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান গুলোতে ছুটির ক্ষেত্রে ভিন্নতা রয়েছে। কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ২৩ দিন বন্ধ, আবার কোথাও মাত্র ১০ দিন ছুটি। সবচেয়ে বেশি ২৫ দিনের ছুটি পাচ্ছেন মাদ্রাসার শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা, যা শুরু হয়েছে গত রোববার (১ জুন) থেকে। এছাড়াও মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও ভোকেশনালে আনুষ্ঠানিক ছুটি শুরু হয়েছে। যদিও ছুটি শুরুর আগেই শুক্র ও শনিবার সাপ্তাহিক ছুটি থাকায় গত ২৯ মে থেকে বন্ধ হয়ে গেছে এসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান।
শিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের প্রকাশিত চলতি ২০২৫ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষাপঞ্জি বিশ্লেষণে এ তথ্য জানা গেছে।
মন্তব্য করুন


কোনো ধরনের চাঁদাবাজিকে প্রশ্রয় দেয়া হবে না বলে জানান স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। সোমবার (২৮ জুলাই) সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন তিনি।
উপদেষ্টা বলেন, চাঁদাবাজিকে কোনোভাবেই প্রশ্রয় দেয়া হবে না। চাঁদাবাজ যত শক্তিশালীই হোক কিংবা যে পরিচয়ই দেয়া হোক, তাদের কোনো ছাড় দেয়া হবে না।
তিনি বলেন, নির্বাচন সামনে রেখে আগস্ট থেকে ধাপে ধাপে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের প্রশিক্ষণ দেয়া হবে।
মো. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, মাদক নিয়ন্ত্রণে জোর প্রচেষ্টা চালানো হচ্ছে। মাদক বহনকারীদের ধরা যাচ্ছে, কিন্তু মাদকের গডফাদারদের ধরা যাচ্ছে না। তাদের ধরার চেষ্টা চলছে।
মন্তব্য করুন


নানা ধরনের প্রতিবন্ধকতা থাকা সত্ত্বেও ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন করার জন্য নির্বাচন কমিশন সব রকম প্রস্তুতি নিচ্ছে বলে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার এ এম এম নাসির উদ্দিন।
আজ বুধবার নির্বাচন ভবনের নিজ কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে তিনি একথা বলেন।
সিইসি বলেন, ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন আয়োজনে কিছুটা চ্যালেঞ্জ থাকলেও প্রস্তুত ইসি। প্রধান উপদেষ্টার চিঠি পেলে কমিশন আলোচনা করে ভোটের তারিখ থেকে মাস দুয়েক আগে তফসিল ঘোষণা করা হবে।
তিনি বলেন, আমরা আশা করি, দ্রুত চিঠি পেয়ে যাবো। না পেলেও আমরা আগে থেকে প্রস্তুতি নিচ্ছি। ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচনের নানা ধরনের চ্যালেঞ্জ থাকলেও আমাদের প্রস্তুতি এগিয়ে যাচ্ছে। আমরা ভোটের মাঠ লেভেল প্লেয়িং করার কাজ করছি। তবে রাজনৈতিক দল যেন ফাউল করার নিয়ত করে খেলতে না নামে।
সিইসি আরও বলেন, আসন্ন নির্বাচনে এআইয়ের অপব্যবহার রোধ করাও বড় চ্যালেঞ্জ হবে। ভোটারদের কেন্দ্রে উপস্থিতি বাড়ানোও কেউ কেউ বড় চ্যালেঞ্জ বলে জানাচ্ছেন। তবে আমরা নির্বিঘ্ন পরিবেশ নিশ্চিত করতে চাই। যেন উৎসবমুখর পরিবেশে ভোট হয়।
আওয়ামী লীগ নির্বাচনে ভোট করতে পারবে কি না জানতে চাইলে সিইসি বলেন, আওয়ামী লীগের কার্যক্রম তো নিষিদ্ধ। তাদের বিচার চলমান রয়েছে, বিচারের পর আওয়ামী লীগকে নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। তবে আওয়ামী লীগের সমর্থকরা ভোট দিতে পারবে বলে জানান নাসির উদ্দিন।
মন্তব্য করুন


বাংলাদেশকে আবার কিভাবে গড়ে তোলা যায়, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান সেই চেষ্টা করছেন বলে জানায় দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
আজ সোমবার জাতীয় জাদুঘরের সামনে যুবদলের গ্রাফিতি আর্টসের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
জুলাই আন্দোলনে বিএরপির কোনো নেতাই মুচলেকা দেননি জানিয়ে বিএনপি মহাসচিব বলেন, গোটা বাংলাদেশ নেমে এসেছিল। জুলাই আন্দোলনে যুবদলের শহীদ ৭৯ জন, ছাত্রদলের ১৪২ জন। যার যা অবদান আছে, তা তাকে দিতে হবে। সাদাকে সাদা, কালোকে কালো বলতে হবে।
বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘কোনো একটি দল বা ছাত্র একা আন্দোলন করেননি, শিশু-বৃদ্ধ সবাই জুলাই অভ্যুত্থানে নেমে এসেছিল। সবার অংশগ্রহণে স্বৈরাচারের বিদায় সম্ভব হয়েছে’।
মির্জা ফখরুল বলেন, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের কর্মীর চাঁদাবাজি- এটা কি আমরা চেয়েছিলাম? এত তাড়াতাড়ি যদি এসব ঘটে, তবে ভবিষ্যৎ কী? গোটা বাংলাদেশ তরুণদের দিকে তাকিয়ে আছে। হাসিনা পতনের মানুষদের দিকে তাকিয়ে আছে সবাই। কিন্তু দুঃখ হয়, জোর গলায় বলতে পারছি না যে এ দেশ নতুন করে গড়ে উঠবে। দেশ এমন অবস্থা তৈরি করা হচ্ছে, যাতে ফ্যাসিস্টদের নতুন করে সুযোগ তৈরি করে দিতে পারে।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, হাসিনার বিচারের তো কিছু দেখতে পেলাম না, এক বছর হয়ে গেল। যারা প্রকাশ্যে হত্যা করল, তাদের কেন গ্রেপ্তার করা হলো না?
সংস্কার ইস্যুতে বিএনপি সব ধরণের সহযোগিতা করছে জানিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, সংস্কারের বিষয়ে সরকারের অগ্রগতি দেখা যাচ্ছে না। তবে যতই চাপ তৈরি করে বিএনপিকে বেকায়দায় ফেলার চেষ্টা করা হোক না কেন, দেশের মানুষ লড়াই করতে জানে। দেশের মানুষ লড়াই করে দেশকে মুক্ত করেছে। তারেক রহমান চেষ্টা করছেন, কিভাবে বাংলাদেশকে আবার গড়ে তোলা যায়।
মন্তব্য করুন


দক্ষিণ কোরিয়ার মুয়ান আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ভয়াবহ বিমান দুর্ঘটনায় কমপক্ষে ৬৭ জন নিহত হয়েছেন। রোববার (২৯ ডিসেম্বর) স্থানীয় সময় সকাল ৯টার দিকে থাইল্যান্ডের ব্যাংকক থেকে আসা জেজু এয়ারের একটি বিমান অবতরণের সময় রানওয়ে থেকে ছিটকে পড়ে বিধ্বস্ত হলে এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটে।
সিএনএনের প্রতিবেদন অনুযায়ী, বিমানটিতে মোট ১৮১ জন আরোহী ছিলেন, যার মধ্যে ১৭৫ জন যাত্রী এবং ছয়জন ক্রু সদস্য। এখন পর্যন্ত দু'জনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে। দুর্ঘটনায় হতাহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
দক্ষিণ জিয়ুল্লা প্রদেশের ফায়ার সার্ভিস অধিদপ্তর জানিয়েছে, উদ্ধার কাজ চলছে। স্থানীয় গণমাধ্যমে প্রচারিত ভিডিও ফুটেজে বিমানটি বিধ্বস্ত হওয়ার পর আগুন ও ধোঁয়া দেখা গেছে।
দক্ষিণ কোরিয়ার রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা ইয়োনহাপ জানিয়েছে, থাইল্যান্ড থেকে আসা বিমানটি মুয়ান বিমানবন্দরে অবতরণের সময় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রানওয়ে থেকে ছিটকে পড়ে। জেজু এয়ারের একজন মুখপাত্র জানিয়েছেন, তারা দুর্ঘটনার কারণ খতিয়ে দেখছেন।
এ বিষয়ে দক্ষিণ কোরিয়ার ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট চোই সাং-মু উদ্ধার অভিযানের জন্য সর্বাত্মক প্রচেষ্টার নির্দেশ দিয়েছেন।
মন্তব্য করুন


স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া বলেছেন, যারা ডিসেম্বরে নির্বাচন চেয়েছিল বা বিভিন্ন সময়ে নির্বাচনের দাবি করেছে তাদের অনেকেই আবার এখন নির্বাচন চাচ্ছে না কিংবা নির্বাচন পেছানোর নানা ষড়যন্ত্রে জড়িত হচ্ছে।
শনিবার রাজধানীর শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে এক অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
এর আগে তিনি পল্লী দারিদ্র্য বিমোচন ফাউন্ডেশনের (পিডিবিএফ) নবনিযুক্ত কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের ওরিয়েন্টেশন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন।
উপদেষ্টা বলেন, ‘ডিসেম্বরে নির্বাচন চেয়েছিল বা বিভিন্ন সময়ে নির্বাচনের দাবি করেছে তাদের অনেকেই আবার এখন নির্বাচন চাচ্ছে না কিংবা নির্বাচন পেছানোর নানা ষড়যন্ত্রে জড়িত হচ্ছে। এটা কেন হচ্ছে তাও খুব স্পষ্ট। আওয়ামী লীগকে ফিরিয়ে এনে ইনক্লুসিভ ইলেকশন করার পরিকল্পনা তাদের মাথায় ছিল। কিন্তু ফেব্রুয়ারিতে যে নির্বাচন হতে যাচ্ছে সেখানে ফ্যাসিবাদীদের অংশগ্রহণের সুযোগ থাকছে না বলে তাদের এখন মাথা নষ্ট হয়ে গেছে। এ ধরনের নানা ষড়যন্ত্র কিংবা পরিকল্পনা আছে।’
তিনি বলেন, ‘তবে এই সরকারের তিনটা গুরুত্বপূর্ণ এজেন্ডা– সংস্কার, বিচার এবং গণতান্ত্রিক রূপান্তর– সেদিকে এগিয়ে যাচ্ছি। জুলাই সনদের কার্যক্রম প্রায় শেষের দিকে। আমরা মনে করি সবার ঐকমত্যের মাধ্যমে এটার বাস্তবায়নের দিকে আমরা যাব এবং পরবর্তীতে সরকার নির্ধারিত সময়ে জাতীয় নির্বাচন আয়োজন করা সম্ভব হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘অনেকেই নির্বাচন বানচালের চেষ্টা করবে। তবে আমরা মনে করি যারা গণতান্ত্রিক মূল্যবোধে বিশ্বাসী, রাজনৈতিক দল থেকে শুরু করে সিভিল সোসাইটি– সবার সহযোগিতায় এবং জনগণের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণে এবার একটা সুষ্ঠু ও সুন্দর আয়োজন আমরা করতে পারব।’
মন্তব্য করুন