নতুন বাংলাদেশ গড়ে তুলতে জাপানের সর্বাত্মক সহযোগিতা চেয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
শুক্রবার টোকিওর জেট্রো সদর দপ্তরে জাপান এক্সটারনাল ট্রেড অর্গানাইজেশন (জেট্রো) এবং জাইকা যৌথভাবে আয়োজিত ‘বাংলাদেশ বিজনেস সেমিনার’-এ তিনি এ সহযোগিতা কামনা করেন।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘আমরা বড় বিপদের মধ্যে আছি। আক্ষরিক অর্থেই বাংলাদেশ ১৬ বছরের একটি ভূমিকম্প পার করেছে। সব কিছু ভেঙে পড়েছে। আমরা এখন টুকরো টুকরো করে গুছিয়ে তোলার চেষ্টা করছি।’
জাপানকে বাংলাদেশের বন্ধু আখ্যা দিয়ে তিনি বলেছেন, ‘একজন ভালো বন্ধু কঠিন সময়ে পাশে দাঁড়ায় এবং জাপান সেই বন্ধু। আমাদের কাজ হলো অসম্ভবকে সম্ভব করা এবং আপনি আমাদের সঙ্গী ও বন্ধু। এটি বাস্তবে রূপ দিন।’
নতুন বাংলাদেশ গড়ে তোলা একটি ঐতিহাসিক চ্যালেঞ্জ উল্লেখ করে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘আমরা ইতিহাসকে দেখাতে চাই যে এটি সম্ভব হয়েছে, তা-ও নিখুঁতভাবে। অন্য একটি বাংলাদেশের ভিত্তি স্থাপন করুন, যাকে আমরা নতুন বাংলাদেশ বলি। তাই আমাদের কাজ হচ্ছে একসঙ্গে সেই নতুন বাংলাদেশ সৃষ্টি করা। আপনাদের সহযোগিতায় এটি বাস্তবায়নযোগ্য এবং আমরা ইতিমধ্যে তার ভিত্তি স্থাপন করেছি।’
মাতারবাড়ি উন্নয়নে সহায়তা করার জন্য জাপানকে ধন্যবাদ জানিয়ে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, এটি পিছিয়ে থাকা একটি দেশের অর্থনীতির ভিত্তি গড়ে দিয়েছে। এটি কেবল অর্থ উপার্জনের বিষয় নয়। এটি মানুষের জীবন বদলে দেওয়ার ব্যাপার।’
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘বাংলাদেশ আরো বহু মিলিয়ন মিলিয়ন মানুষের জন্য দরজার মতো যেমন নেপাল, ভুটান এবং ভারতের সাতটি উত্তরপূর্ব রাজ্যের মানুষ সমুদ্রের পথ পেতে পারে বাংলাদেশ হয়ে। মাতারবাড়ি হচ্ছে বাকি বিশ্বের জন্য দরজা। আমরা তাদের জন্য এই দরজা খোলা রাখব।’
জাপানের অর্থনীতি, বাণিজ্য ও শিল্পবিষয়ক পার্লামেন্টারি ভাইস মিনিস্টার তাকেউচি শিনজি বলেন, বাংলাদেশ হলো একটি কৌশলগত বিন্দু যা এশিয়াকে সংযুক্ত করে এবং এই অঞ্চলের উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ ও জাপানের কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনের পর থেকে জাপান দেশটির উন্নয়নে সহায়তা করে আসছে। অধ্যাপক ইউনূসের নেতৃত্বে বাংলাদেশকে একটি কৌশলগত অংশীদার হিসেবে দেখতে চায় জাপান সরকার।
জাপান সরকার দক্ষিণ এশিয়ায়, বিশেষ করে বাংলাদেশে, জাপানি কোম্পানিগুলোকে বিনিয়োগে উৎসাহ দিচ্ছে বলেও জানান তাকেউচি ।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, জাপানি কোম্পানিগুলো বাংলাদেশে বিনিয়োগবান্ধব পরিবেশকে কাজে লাগিয়ে বিভিন্ন ক্ষেত্রে সহযোগিতা জোরদার করে টেকসই উন্নয়নে সহায়তা করতে পারে।
বাংলাদেশের সঙ্গে জাপানের দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য মূলত টেক্সটাইল শিল্পভিত্তিক উল্লেখ করে তিনি আরো বিস্তৃত খাতে বিনিয়োগে বৈচিত্র্য আনার আহ্বান জানান।
সভায় পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন, প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ দূত লুৎফে সিদ্দিকী, প্রধান উপদেষ্টার এসডিজি বিষয়ক মুখ্য সমন্বয়ক লামিয়া মোরশেদ, প্রধান উপদেষ্টার প্রেসসচিব শফিকুল আলম এবং টোকিওস্থ বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মো. দাউদ আলী উপস্থিত ছিলেন।
মন্তব্য করুন
বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস রোহিঙ্গাদের নিরাপদ প্রত্যাবাসনের জন্য এশীয় নেতাদের সম্মিলিতভাবে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন। আজ চীনের বোয়াও ফোরামের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে দেওয়া বক্তব্যে তিনি এ বিষয়ে জোরালো অভিমত প্রকাশ করেন।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, "মিয়ানমারের সংকট শুধু স্থানীয় পর্যায়ে সীমিত নেই, এটি পুরো এশিয়া অঞ্চলের শান্তি ও স্থিতিশীলতার জন্য হুমকি। গত সাত বছরে বাংলাদেশ ১২ লাখেরও বেশি জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দিয়েছে, যারা মিয়ানমারের নাগরিক। এখন এশীয় নেতাদের উচিত তাদের নিরাপদে ফিরিয়ে নেওয়ার ব্যবস্থা করা।"
তিনি বলেন, "গাজায় চলমান গণহত্যা বিশ্বব্যাপী নিন্দিত হলেও তা থামছে না। ফিলিস্তিন ইস্যু কেবল মুসলিম বা আরব বিশ্বের সমস্যা নয়, এটি একটি বৈশ্বিক মানবিক সংকট। অন্যদিকে, ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে বিশ্বজুড়ে সরবরাহ শৃঙ্খলে ব্যাপক বিঘ্ন ঘটছে।"
বর্তমান বিশ্ব পরিস্থিতি সম্পর্কে ড. ইউনূস বলেন, "ভূ-রাজনৈতিক সংঘাত বাড়ছে, জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব ভয়াবহ আকার ধারণ করছে, ঋণের বোঝা অসহনীয় হয়ে উঠেছে এবং মানবিক সংকট দিন দিন গভীর হচ্ছে। এই অবস্থায় এশিয়াকে শক্তিশালী ও অগ্রগতির পথে এগিয়ে যেতে হবে।"
তিনি আরও উল্লেখ করেন, "এশিয়ার উন্নয়নের জন্য এসডিজি বাস্তবায়নের পাশাপাশি অবকাঠামোগত বিনিয়োগ, দায়িত্বশীল অর্থায়ন এবং অর্থনৈতিক বৈচিত্র্য অর্জনে বড় পদক্ষেপ নিতে হবে। এছাড়া খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।"
এশিয়ার সমৃদ্ধ ইতিহাস ও সংস্কৃতির কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, "এশিয়ার সভ্যতা বহু সংস্কৃতির সমন্বয়ে গড়ে উঠেছে। শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে এখানে সাংস্কৃতিক আদান-প্রদান শুধু এশিয়াই নয়, সারা বিশ্বকে প্রভাবিত করেছে।"
তিনি এশিয়ার যুবশক্তির সম্ভাবনার ওপর জোর দিয়ে বলেন, "এই অঞ্চলের তরুণদের উদ্ভাবনী শক্তি ও উৎপাদন ক্ষমতা এশিয়াকে এগিয়ে নিতে পারে। তাদের উদ্যোক্তা হিসেবে গড়ে তুলতে আর্থিক সহায়তা নিশ্চিত করতে হবে। পাশাপাশি নারীর অর্থনৈতিক ক্ষমতায়ন এবং সবার জন্য সমান সুযোগ সৃষ্টি করতে হবে।"
এই ফোরামে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের নেতা, অর্থনীতিবিদ ও নীতিনির্ধারকরা অংশ নিয়েছেন, যেখানে বৈশ্বিক ও আঞ্চলিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সমন্বিত উদ্যোগের প্রয়োজনীয়তা নিয়ে আলোচনা করা হচ্ছে।
মন্তব্য করুন
ডেস্ক রিপোর্ট:
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় জালাল উদ্দীন নামে এক ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীকে হত্যার অভিযোগে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ১২৯ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট বেলাল হোসেনের আদালতে গত বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) নিহত ব্যবসায়ী জালাল উদ্দীনের স্ত্রী মলি এ মামলাটি দায়ের করেন। বিচারক বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করে অভিযোগটি এজাহার হিসেবে গ্রহণ করতে মুগদা থানাকে নির্দেশ দেন। রোববার (২৪ নভেম্বর) আদালত সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
মামলার অন্যান্য উল্লেখযোগ্য আসামিরা হলেন—আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস, সাবেক শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাসান মাহমুদ, সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, সাবেক আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, সাবেক তথ্য প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত, সাবেক নৌমন্ত্রী শাহজাহান খান, সাবেক সংসদ সদস্য কাজী ফিরোজ রশীদ, সাঈদ খোকন, আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য কামরুল ইসলাম, আইন সম্পাদক কাজী নজীবুল্লাহ হিরু, যুবলীগ চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ, পুলিশের সাবেক আইজিপি চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন এবং ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজি সৈয়দ নুরুল ইসলাম।
মামলার এজাহার অনুযায়ী, গত ২০ জুলাই রাজধানীর মুগদা থানাধীন মানিকনগর এলাকায় বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময় সকাল থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত ছাত্র-জনতার সঙ্গে পুলিশ, ছাত্রলীগ এবং আওয়ামী লীগের সংঘর্ষ হয়। সন্ধ্যা ৭টার দিকে ফুটপাতে ছানা ও মাঠা বিক্রি করার সময় জালাল উদ্দীন মাথায় গুলিবিদ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলেই মারা যান। পরবর্তীতে তার মরদেহ গ্রামের বাড়ি শরীয়তপুরে দাফন করা হয়।
মন্তব্য করুন
ডেস্ক রিপোর্ট:
যুক্তরাজ্যের হিথ্রো বিমানবন্দর থেকে নিজে গাড়ি চালিয়ে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে হাসপাতালে নিয়ে যান দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। এই সময় বিমানবন্দর এলাকা নেতাকর্মীদের স্লোগানে মুখরিত হয়ে ওঠে।
বিএনপির মিডিয়া সেলের একটি ভিডিওতে দেখা যায়, একটি কালো গাড়িতে খালেদা জিয়াকে নিয়ে যাচ্ছেন তারেক রহমান। গাড়িটি তিনি নিজেই চালাচ্ছিলেন।
খালেদা জিয়াকে হাসপাতালে নেওয়ার পথে তারেক রহমানের স্ত্রী ডা. জুবাইদা রহমানও গাড়িতে ছিলেন। এই সময়ে গাড়ির দুই পাশে দাঁড়িয়ে নেতাকর্মীরা স্লোগান দিতে থাকেন। প্রিয় নেত্রীর মুখ দেখার সুযোগ করে দিতে গাড়ি কিছুক্ষণের জন্য থামান তারেক রহমান।
বিএনপি চেয়ারপারসনের মিডিয়া উইংয়ের সদস্য শায়রুল কবির খান জানান, লন্ডনে খালেদা জিয়াকে স্বাগত জানাতে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান এবং যুক্তরাজ্য বিএনপির নেতাকর্মীরা আগে থেকেই বিমানবন্দরে অপেক্ষায় ছিলেন।
হিথ্রো বিমানবন্দর থেকে খালেদা জিয়াকে বিশেষ অ্যাম্বুলেন্সে সরাসরি পশ্চিম লন্ডনের ঐতিহ্যবাহী ‘লন্ডন ক্লিনিক’-এ নেওয়া হয়েছে, যেখানে তার চিকিৎসা শুরু হবে। কিছুদিন চিকিৎসার পর তিনি যুক্তরাষ্ট্রের মেরিল্যান্ডে জনস হপকিনস বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে যাবেন।
সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী লিভার সিরোসিস, কিডনি, হার্ট, ডায়াবেটিস, আর্থ্রাইটিসসহ নানা শারীরিক অসুস্থতায় ভুগছেন।
এর আগে, বুধবার বাংলাদেশ সময় বিকেল সোয়া ৩টার দিকে লন্ডনের হিথ্রো বিমানবন্দরে পৌঁছায় খালেদা জিয়াকে বহনকারী এয়ার অ্যাম্বুলেন্স। সেখানে খালেদা জিয়াকে স্বাগত জানান তার বড় ছেলে তারেক রহমান ও তার স্ত্রী জুবাইদা রহমান। বিমানবন্দরে খালেদা জিয়াকে ফুল দিয়ে স্বাগত জানান যুক্তরাজ্যে বাংলাদেশের ভারপ্রাপ্ত হাইকমিশনার হযরত আলী খান।
এছাড়া, খালেদা জিয়াকে স্বাগত জানাতে বিমানবন্দরে উপস্থিত ছিলেন যুক্তরাজ্য বিএনপির সভাপতি এম এ মালেক, সাধারণ সম্পাদক কয়সর এম আহমদসহ অনেক নেতাকর্মী।
এর আগে, বাংলাদেশ সময় ভোর ৬টায় কাতারের দোহা বিমানবন্দরে পৌঁছায় খালেদা জিয়াকে বহনকারী এয়ার অ্যাম্বুলেন্স। সেখানে আড়াই ঘণ্টা বিরতির পর এটি লন্ডনের উদ্দেশে যাত্রা করে।
বুধবার বাংলাদেশ সময় সকাল ৮টা ২৯ মিনিটে কাতার থেকে লন্ডনের হিথ্রো বিমানবন্দরের উদ্দেশে যাত্রা শুরু করে খালেদা জিয়াকে বহনকারী এয়ার অ্যাম্বুলেন্স। যাত্রার আগে কাতারে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত নজরুল ইসলাম খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার খোঁজ-খবর নেন।
তার আগে, গতকাল মঙ্গলবার রাত পৌনে ১২টার দিকে হযরত শাহজালাল (র.) আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে কাতারের আমিরের বিশেষ উপহার রয়েল কাতার আমারি বিশেষায়িত ‘এয়ার অ্যাম্বুলেন্স’ যোগে ঢাকা ত্যাগ করেন খালেদা জিয়া।
মন্তব্য করুন
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস পদত্যাগ করছেন না বলে জানান পরিকল্পনা উপদেষ্টা ড. ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ।
শনিবার সকালে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভা অনুষ্ঠিত হয়। এরপর দুপুর ১২টা ২০ মিনিটের দিকে রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে উপদেষ্টাদের রুদ্ধদ্বার বৈঠক হয়। প্রধান উপদেষ্টার সভাপতিত্বে বৈঠকে ১৯ জন উপদেষ্টা উপস্থিত ছিলেন। উপদেষ্টারা ছাড়া এই বৈঠকে কাউকে রাখা হয়নি।
বৈঠক শেষে পরিকল্পনা উপদেষ্টা ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ বলেছেন, ‘প্রধান উপদেষ্টা যাচ্ছেন না। তিনি চলে যাবেন বলেননি। তিনি অবশ্যই থাকছেন। আমাদের উপর অর্পিত দায়িত্ব বড় দায়িত্ব, এই দায়িত্ব ছেড়ে আমরা যেতে পারবো না। আমরা যে কাজ করছি এবং এসব কাজ করতে গিয়ে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হচ্ছে। আমরা সবাই প্রতিবন্ধকতা চিহ্নিত করেছি। এখন সেগুলো সমাধান করে আমাদের উপর অর্পিত দায়িত্ব পালন করবো।
এদিকে রিজওয়ানা হাসান জানান, আমরা সংস্কার নিয়ে কথা বলেছি। কে কোন কথা কোথায় বলব সেসব আলোচনা হয়েছে।
উপদেষ্টা আলী ইমান মজুমদার বলেন, আমি কিছু বলতে পারছি না। উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন ও আসিফ মাহমুদ সজীব ভুঁইয়ার কাছে বৈঠক সস্পর্কে জানতে চাইলে কোনো জবাব দেননি।
প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ইউনূস গত বৃহস্পতিবার অন্য উপদেষ্টাদের সঙ্গে এক অনির্ধারিত বৈঠকে তার পদত্যাগের ভাবনার কথা বলেছেন। বিভিন্ন পক্ষের প্রতিবন্ধকতার পাশাপাশি রাজনৈতিক দলগুলোর অসহযোগিতায় তার সরকার কাজ করতে পারছে না বলে ক্ষোভ ও হতাশা প্রকাশ করেন তিনি।
বিষয়টি গণমাধ্যমে আসে জাতীয় নাগরিক পার্টি এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলামের মাধ্যমে। তিনি বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে দেখা করেছিলেন। বিষয়টি সামনে আসার পর সব পক্ষ থেকেই প্রধান উপদেষ্টাকে পদত্যাগ না করার অনুরোধ জানানো হচ্ছে।
মন্তব্য করুন
বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটি (বিআরটিএ) মিটারের নির্ধারিত ভাড়ার চেয়ে বেশি টাকা আদায় করলে জরিমানা বা কারাদণ্ডের নির্দেশনা দিয়েছিল। তবে পরবর্তীতে এই সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসে বিআরটিএ এবং সিদ্ধান্তটি বাতিল করে সংস্থাটি।
রোববার (১৬ ফেব্রুয়ারি) ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) মিডিয়া ও পাবলিক রিলেশনস বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মুহাম্মদ তালেবুর রহমান এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, ৪ স্ট্রোক থ্রি-হুইলার যান সম্পর্কিত বিআরটিএ কর্তৃক ইস্যুকৃত সাম্প্রতিক নির্দেশনাটি বাতিল করা হয়েছে। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট সবাইকে অবহিত করা হয়েছে এবং অবরোধ প্রত্যাহার করে যান চলাচলে কোনো রকম প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি না করার জন্য ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের পক্ষ থেকে অনুরোধ করা হয়েছে।
এর আগে সকাল থেকেই রাজধানী ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় সিএনজি চালকদের অবরোধের কারণে যান চলাচল ব্যাহত হচ্ছিল। মিটারের ভাড়া ইস্যুতে সিএনজি চালকরা সড়ক অবরোধ করে যান চলাচলে বাধা দিচ্ছিলেন। রাজধানীর রামপুরা, মিরপুর ১৪ ও ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কসহ বেশকিছু গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে অবরোধের খবর পাওয়া যায়।
সরেজমিনে দেখা যায়, অবরোধের কারণে রাজধানীজুড়ে প্রচণ্ড যানজট সৃষ্টি হয়েছে। এর ফলে অফিসগামী মানুষ, শিক্ষার্থীসহ সাধারণ মানুষ ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন। অনেকেই গন্তব্যে পৌঁছাতে দেরি করছেন।
আন্দোলনকারীরা বলছেন, মিটারের ভাড়া বৃদ্ধি এবং মিটারে না চললে জরিমানার আইন বাতিল করতে হবে। বিআরটিএ এ সিদ্ধান্ত বাতিল না করা পর্যন্ত তাদের আন্দোলন চলতে থাকবে।
গত ১০ ফেব্রুয়ারি মিটারের নির্ধারিত ভাড়ার চেয়ে বেশি টাকা আদায় করলে চালকদের জরিমানা বা কারাদণ্ডের নির্দেশনা দেয় বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটি (বিআরটিএ)। নির্দেশনায় উল্লেখ করা হয়, সড়ক পরিবহন আইন ২০১৮-এর ৩৫(৩) ধারা অনুযায়ী রুট পারমিটপ্রাপ্ত অটোরিকশাগুলো যেকোনও গন্তব্যে যাত্রী নিতে বাধ্য। চালকরা মিটারের চেয়ে বেশি ভাড়া দাবি বা আদায় করতে পারবেন না। যদি কেউ এই নিয়ম লঙ্ঘন করেন, তাহলে আইনের ৮১ ধারা অনুযায়ী সর্বোচ্চ ৫০ হাজার টাকা জরিমানা, ছয় মাসের কারাদণ্ড বা উভয় দণ্ড দেওয়া হবে। এ ছাড়া চালকের লাইসেন্স থেকে এক পয়েন্ট কেটে নেওয়ার বিধান রয়েছে।
বিআরটিএ’র তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে রাজধানী ঢাকায় নিবন্ধিত অটোরিকশা রয়েছে ২০ হাজার ৮৯৪টি। ২০১৫ থেকে ২০২৪ সালের (১০ বছর) মধ্যে সবচেয়ে বেশি অটোরিকশা নিবন্ধন পেয়েছে ২০১৯ সালে। সে বছর নিবন্ধন দেওয়া হয়েছে ৬ হাজার ৮৩৯টি অটোরিকশা। তার আগের বছর ২০১৮ সালে ৫ হাজার ৬৩৭টি অটোরিকশা নিবন্ধন দেওয়া হয়।
মন্তব্য করুন
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের রেলপথ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান বলেছেন, রেলের বর্তমান পরিস্থিতির প্রধান কারণ হলো অপব্যয়।
মঙ্গলবার সকালে ঢাকা-খুলনা রুটে নতুন ট্রেন চলাচলের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপদেষ্টা বলেন, "আমাদের ব্যয়ের পরিমাণ পার্শ্ববর্তী দেশের তুলনায় অনেক বেশি। এ খরচ অবশ্যই কমাতে হবে। রেলের আয়ের মাধ্যমেই রেলকে পরিচালনা করতে হবে। সাশ্রয়ী ব্যয় নীতি গ্রহণ না করলে রেলের উন্নয়ন সম্ভব নয়। যেখানে যাত্রী সংখ্যা বেশি থাকবে, সেখানে রেল থামানোর পরিকল্পনা করতে হবে।"
এদিন ভোর ৬টায় খুলনা থেকে ৫৫৩ জন যাত্রী নিয়ে ‘জাহানাবাদ এক্সপ্রেস’ ট্রেনটি যাত্রা শুরু করে। পদ্মা সেতু হয়ে ট্রেনটি সকাল ১০টা ১৫ মিনিটে ঢাকার কমলাপুর রেলস্টেশনে পৌঁছায়। খুলনা থেকে ঢাকায় আসতে সময় লেগেছে ৪ ঘণ্টা ১৫ মিনিট।
জানা গেছে, সোমবার ছাড়া সপ্তাহের বাকি ছয় দিন ট্রেনটি চলবে। যাওয়া-আসার পথে ট্রেনটি যশোরের নওয়াপাড়া, সিঙ্গিয়া জংশন, নড়াইল, লোহাগড়া, কাশিয়ানী জংশন ও ভাঙ্গা জংশন স্টেশনে যাত্রাবিরতি করবে।
মন্তব্য করুন
উত্তরার মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে বিমান বিধ্বস্ত হওয়ার পর শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কাজে কোনো ব্যত্যয় হয়নি বলে দাবি করেছেন শিক্ষা উপদেষ্টা সি আর আবরার।
তাই নিজ থেকে পদত্যাগ করার কোনো ইচ্ছা তার নেই। তবে সরকার (প্রধান উপদেষ্টা) বললে চলে যাবেন বলে জানিয়েছেন শিক্ষা উপদেষ্টা।
আজ বুধবার সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা এ কথা জানান। এর আগে তিনি বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খানের সঙ্গে বৈঠক করেন।
রাষ্ট্রীয় শোক পালনের দিনে মঙ্গলবার শিক্ষার্থীরা সচিবালয়ের সামনে বিক্ষোভ করেছে। তারা সচিবালয়ে ঢুকে পড়েছিল। শিক্ষার্থীরা আপনার এবং শিক্ষা সচিবের পদত্যাগ দাবি করেছেন। ইতিমধ্যে শিক্ষা সচিবকে প্রত্যাহার করা হয়েছে।
উপদেষ্টার বিষয়ে কি সিদ্ধান্ত- এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে উপদেষ্টা বলেন, সেটা সরকার বিবেচনা করবে। আমার ওপর যে দায়িত্ব অর্পণ করা হয়েছে।
যে অব্যস্থাপনা হয়েছে এরপর আপনার আর দায়িত্বে থাকা উচিত কিনা- জানতে চাইলে তিনি বলেন, 'আমার মনে হয় রায় আপনারাই দিয়ে দিচ্ছেন। আমার এখানে দেওয়ার তেমন কিছু নেই। কোনো রকমের অব্যবস্থাপনা এখানে হয়নি। সেটাই বোঝাতে চেষ্টা করছি।'
তিনি বলেন, সচিবকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে। সেটা উচ্চতর একটা কমিটির সিদ্ধান্ত। সেই সিদ্ধান্তের সঙ্গে আমি জড়িত ছিলাম না। কেন দেওয়া হয়েছে সে উত্তর আমি দিতে পারবো না। নিজে থেকে (পদত্যাগ) করার কোন অভিপ্রায় নেই। এখানে আমার কাজের কোন ব্যত্যয় হয়েছে বলে আমি মনে করি না।
'আমাকে নিয়ে কথা হয়েছে। তাও যদি মনে করা হয় এখানে ব্যত্যয় হয়েছিল। আমাকে যেতে বললে আমি অবশ্যই চলে যাব। এখানে আঁকড়ে ধরার, নিজেকে জাস্টিফাই করার কোনো কিছু নেই' বলেন সি আর আবরার।
মন্তব্য করুন
দেশের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে প্রধান শিক্ষকের শূন্য পদে দ্রুত সময়ের মধ্যে নিয়োগের নির্দেশ দিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস।
সোমবার (১৪ জুলাই) বিকেলে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় এক বৈঠকে তিনি এ নির্দেশ দেন।
বৈঠকে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ড. বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার, মন্ত্রণালয়ের সচিব আবু তাহের মো. মাসুদ রানা, প্রধান উপদেষ্টার মুখ্য সচিব সিরাজ উদ্দিন মিয়াসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
মঙ্গলবার (১৫ জুলাই) প্রধান উপদেষ্টার উপ-প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার বৈঠকের বিষয়টি নিশ্চিত করে এসব তথ্য জানান।
তিনি বলেন, বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার মান সম্পর্কে এবং কোন স্কুলগুলো ভালো করছে সে ব্যাপারে মূল্যায়ন জানতে চান প্রধান উপদেষ্টা।
উপদেষ্টা বিধান রঞ্জন রায় বলেন, প্রাথমিক শিক্ষা ক্ষেত্রে অবকাঠামো উন্নয়নের জন্য অনেক অর্থ ব্যয় হয়েছে। কিন্তু মূল যে উদ্দেশ্য শিক্ষার মান বৃদ্ধি, সেটা সাধন হয়নি। আমরা মূল্যায়ন করে স্কুলগুলোকে র্যাংকিং করছি। যে সব স্কুলের বাচ্চারা পিছিয়ে আছে তাদের জন্য বিশেষ কর্মসূচি নিচ্ছি।
তিনি জানান, মূল্যায়নে দেখা গেছে যেসব স্কুলের মান ভালো সেখানে প্রধান শিক্ষকের যোগ্যতা ও তার সঙ্গে অন্য সহকর্মীদের সম্পর্ক-ব্যবহার বড় ধরনের ভূমিকা রাখছে। দেশের ৩২ হাজার প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক পদ বর্তমানে শূন্য রয়েছে। এ বিষয়ে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার প্রক্রিয়া চলমান বলেও প্রধান উপদেষ্টাকে অবহিত করেন তিনি।
বৈঠকে প্রধান শিক্ষক পদে পদায়নের পাশাপাশি নতুন নিয়োগের নির্দেশ দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা। তিনি বলেন, স্কুলগুলোতে প্রধান শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে কীভাবে যোগ্যদের নিয়ে আসা যায় সে বিষয়টিকে প্রাধান্য দিতে হবে। কয়েকটা ক্যাটাগরি করে দিতে হবে। যারা বহু বছর ধরে শিক্ষকতা করে আসছেন, অভিজ্ঞ তারা প্রাধান্য পাবেন। এর পাশাপাশি তরুণদেরও প্রধান শিক্ষক হিসেবে নিয়োগের জন্য সুযোগ দিতে হবে। এই নিয়োগ প্রক্রিয়াটি সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে হবে।
সরকারি কর্ম কমিশনের (পিএসসি) সঙ্গে সমন্বয় করে অতিদ্রুত বিজ্ঞপ্তি দিয়ে প্রধান শিক্ষক নিয়োগের প্রক্রিয়া সম্পন্নের নির্দেশ দেন তিনি। এর পাশাপাশি শিক্ষকদের বদলির ক্ষেত্রেও নীতিমালায় পরিবর্তন আনার বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা।
তিনি বলেন, অনেক সময় এক উপজেলায় নিয়োগ পেয়ে পরে অন্য উপজেলায়, শহরের কাছে কোনো স্কুলে শিক্ষকরা বদলির জন্য চেষ্টা করেন, তারা সুপারিশ-তদবির নিয়ে বিভিন্ন মহলে ঘোরেন। এক্ষেত্রে একটি সুস্পষ্ট নীতিমালা ও প্রক্রিয়া থাকতে হবে। কেবল ওই প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়েই তিনি বদলি হতে পারবেন।
স্কুলগুলোতে মেয়েদের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা, স্কুলের অবকাঠামো নারীবান্ধব কি না এসব বিষয়েও জানতে চেয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা। তিনি বলেন, স্কুলের ভবন নির্মাণের সময় কমিটিতে অন্তত একজন নারী স্থপতি রাখতে হবে যাতে নারীবান্ধব অবকাঠামো নির্মাণ হয়। পরিকল্পনায়, চিন্তায়, বাস্তবায়নে মেয়েদের বিষয় আলাদা করে গুরুত্ব দিতে হবে, সব ব্যবস্থা রাখতে হবে।
এছাড়া দেশের সব প্রাথমিক স্কুলকে ধারাবাহিকভাবে ইন্টারনেট সংযোগ ও মাল্টিমিডিয়া শ্রেণিকক্ষ তৈরির বিষয়েও জোর দেন প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস।
মন্তব্য করুন
ডেস্ক রিপোর্ট:
শেখ হাসিনা, শেখ রেহানা, সজীব ওয়াজেদ জয় এবং টিউলিপ সিদ্দিকসহ তাদের পুরো পরিবারের বিরুদ্ধে বিভিন্ন প্রকল্প থেকে মোট ৮০ হাজার কোটি টাকা দুর্নীতির অভিযোগ অনুসন্ধান শুরু করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্প, বিশেষ আশ্রয়ণ প্রকল্প, বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল (বেজা), বাংলাদেশ রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ এলাকা (বেপজা) সহ ৯টি প্রকল্পে এসব দুর্নীতি হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৭ ডিসেম্বর) দুদকের মহাপরিচালক (প্রতিরোধ) আক্তার হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। দুদকের অভিযোগে বলা হয়, আওয়ামী লীগ সরকারের বিশেষ অগ্রাধিকার দেওয়া আটটি প্রকল্পে ২১ হাজার কোটি টাকা দুর্নীতির অভিযোগ পাওয়া গেছে। এছাড়া রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র প্রকল্পে ৫৯ হাজার কোটি টাকার দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে।
দুদক সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার দুদক চেয়ারম্যান আবদুল মোমেনের নেতৃত্বে কমিশন সভায় প্রকল্পগুলোর দুর্নীতি খতিয়ে দেখার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। অভিযুক্তদের মধ্যে শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়, বোন শেখ রেহানা এবং ভাগনি টিউলিপ সিদ্দিক অন্তর্ভুক্ত রয়েছেন।
এর আগে ১৫ ডিসেম্বর রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র প্রকল্পে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং তার পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে পাঁচ বিলিয়ন (৫০০ কোটি) ডলারের দুর্নীতির অভিযোগ অনুসন্ধানে দুদকের নিষ্ক্রিয়তা নিয়ে রুল জারি করেন হাইকোর্ট। বিচারপতি ফাহমিদা কাদের ও বিচারপতি মুবিনা আসাফের বেঞ্চ এ রুল জারি করেন। আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার সাহেদুল আজম তমাল।
এছাড়া ৩ সেপ্টেম্বর রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র প্রকল্পে শেখ হাসিনা ও তার পরিবারের সদস্যদের দুর্নীতি অনুসন্ধানে দুদকের নিষ্ক্রিয়তার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে রিট করেছিলেন জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক আন্দোলনের (এনডিএম) চেয়ারম্যান ববি হাজ্জাজ। রিটে দুদক চেয়ারম্যানসহ সংশ্লিষ্টদের বিবাদী করা হয়েছিল।
মন্তব্য করুন
ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়েতে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় চারজন নিহত ও পাঁচজন আহত হয়েছেন।
হাইওয়ে পুলিশ জানায়, বৃহস্পতিবার (২ জানুয়ারি) রাত ১২টার দিকে শ্রীনগর উপজেলার নিমতলী এলাকায় একটি কাভার্ডভ্যানের পেছনে মাওয়ামুখী আব্দুল্লাহ পরিবহনের একটি বাস সজোরে ধাক্কা দেয়। এতে বাসটি দুমড়ে-মুচড়ে গেলে ঘটনাস্থলেই বাসের হেলপার মো. জীবন (৪৪) নিহত হন। তার বাড়ি শ্রীনগর উপজেলার কল্লিগাঁও গ্রামে। এ ঘটনায় বাসযাত্রী মো. রায়হান (২৭) আহত হয়ে হাসপাতালে নেওয়ার পথে মারা যান। তিনি সিরাজদিখান উপজেলার মালখানগর ইউনিয়নের দেবিপুরা গ্রামের বাসিন্দা।
অপরদিকে, শুক্রবার (৩ জানুয়ারি) ভোর ৪টার দিকে শ্রীনগরের হাসাড়া এলাকায় আরেকটি দুর্ঘটনায় আরও দুজন প্রাণ হারান। তবে নিহতদের পরিচয় এখনো নিশ্চিত করা যায়নি। তাদের আনুমানিক বয়স ৩৫ ও ২৫ বছর বলে ধারণা করা হচ্ছে।
শ্রীনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ডা. ক্যামিলিয়া সরকার জানান, রাতেই দুজনের মরদেহ হাসপাতালে আনা হয় এবং ভোরে আরও দুজনের মরদেহ আনা হয়েছে।
পুলিশ দুর্ঘটনার কারণ তদন্ত করছে এবং আহতদের চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
মন্তব্য করুন