

বাজেটে কালোটাকা সাদা করার সুবিধা তুলে দেয়া হবে, রাখা হতে পারে অপ্রদর্শিত অর্থ হিসেবে। আজ শনিবার গবেষণা প্রতিষ্ঠান র্যাপিড আয়োজিত বাজেট আলোচনায় এ কথা জানান পরিকল্পনা উপদেষ্টা ড. ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ।
উপদেষ্টা বলেন, এই সুযোগ (কালোটাকা সাদা করার সুযোগ) খুব একটা কাজে আসে না। পাঁচ কোটি টাকা দিয়ে কিনে কেউ যদি এক কোটিও দেখাতে না পারে, তাহলে এটা থাকার তো কোনো দরকার নেই। এতই যখন আলোচনা হয়েছে, তা তুলে দেয়া হোক।
এ সময় তৈরি পোশাক শিল্প মালিকরা বলেন, এলডিসি গ্র্যাজুয়েশন একটি প্রস্তুতিহীন পরিকল্পনা। তারা এর জন্য প্রস্তুত নন। এই উত্তরণ মান-সম্মানের ইস্যু নয়, বরং বাস্তবতা।
বিজিএমইএর সাবেক সভাপতি রুবানা হক বলেন, ‘এটি একটি প্রস্তুতি পরিকল্পনা, আমরা কোনোমতেই এলডিসি গ্র্যাজুয়েশনের জন্য প্রস্তুত নই।’
তবে উত্তরণ পেছানোর বিপক্ষে বাণিজ্য সচিব মাহবুবুর রহমান। তিনি বলেন, ‘গ্র্যাজুয়েশন আমাদের হয়ে গেছে ২০২১ সালে। এখন আমরা প্রথম তিন বছরের পর দুই বছর এক ধরনের গ্রেস পিরিয়ডে আছি। এখন নতুন করে যদি তিন বা পাঁচ বছর চাওয়া হয়–এটা এক ধরনের আবদার হতে পারে।’
অর্থনীতিবিদরা বলেন, গ্র্যাজুয়েশন-পরবর্তী প্রযুক্তির ব্যবহারে শিল্প খাতে কর্মসংস্থান কমার শঙ্কা আছে। এই পরিস্থিতি মোকাবিলায় সরকারকে শিক্ষা ও স্বাস্থ্য খাতে ব্যয় বাড়াতে হবে।
র্যাপিড চেয়ারম্যান আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ‘হেলথে যদি পাবলিক ইনভেস্টমেন্ট বেশি হয়, এডুকেশনে যদি পাবলিক ইনভেস্টমেন্ট বেশি করতে পারি, স্যোশাল প্রটেকশনে যদি পাবলিক ইনভেস্টমেন্ট বেশি করতে পারি–এটা হবে এমপ্লয়মেন্ট জেনারেট করার সবচেয়ে বড় জায়গা। এবং আগামী দিনে কৌশলে কিন্তু আমাদের সেটাই চিন্তা করতে হবে।’
মন্তব্য করুন


দেশের জনগণের মতো সেনাবাহিনীও চায় সরকারের রূপরেখা অনুযায়ী একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হোক। নির্বাচন হলে দেশের স্থিতিশীলতা আরও ভালো হবে এবং আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ধীরে ধীরে আরও স্বাভাবিক হবে।
বুধবার সেনাসদরে সেনাবাহিনীর কার্যক্রম সম্পর্কিত আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন জেনারেল অফিসার কমান্ডিং, সদর দফতর আর্মি ট্রেনিং অ্যান্ড ডকট্রিন কমান্ড (জিওসি আর্টডক) লেফটেন্যান্ট জেনারেল মো. মাইনুর রহমান।
তিনি বলেন, দেশের জনগণের মতো সেনাবাহিনীও চায় সরকারের রূপরেখা অনুযায়ী একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হোক। সে রূপরেখার মধ্যে সময়সীমাও দেওয়া আছে। আমরা আশা করি নির্বাচন হলে দেশের স্থিতিশীলতা আরও ভালো হবে, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ধীরে ধীরে আরও স্বাভাবিক হবে এবং সেনাবাহিনী তখন সেনানিবাসে ফিরে যেতে পারবে। আমরা সেদিকে তাকিয়ে আছি।
লেফটেন্যান্ট জেনারেল মাইনুর রহমান আরও বলেন, সরকার এখন পর্যন্ত নির্বাচনের যেটুকু রূপরেখা প্রনয়ণ করেছে সেটার উপর ভিত্তি করে সেনাবাহিনী যথাযথ প্রস্তুতি গ্রহণ করছে। আমাদের যে প্রশিক্ষণ কার্যক্রম এখন সীমিত আকারে চলছে তারমধ্য নির্বাচনের সময় আমাদের কী করণীয় সেটাকে ফোকাসে রেখেই প্রশিক্ষণ করছি।
তিনি আরও বলেন, প্রশিক্ষণের সঙ্গে একটি বিষয় সম্পর্কিত তা হলো শান্তিকালীন সময়ে সেনাবাহিনীর দায়িত্ব হলো যুদ্ধের জন্য প্রস্তুতি নেওয়া। আমরা বলে থাকি 'উই ট্রেইন এজ উই ফাইট'।
গত ১৫ মাস সেনাবাহিনী বাইরে আছে উল্লেখ করে সেনাবাহিনীর এই কর্মকর্তা বলেন, নির্বাচন পর্যন্ত বা তার কিছুটা পরেও যদি বাইরে থাকতে হয় তাহলে আরও কিছুদিন বাইরে থাকতে হবে। এতে করে আমাদের প্রশিক্ষণ বিঘ্নিত হচ্ছে।
লেফটেন্যান্ট জেনারেল মাইনুর রহমান বলেন, এর পাশাপাশি যে পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে গত ১৫ মাস যে চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করেছে সেনাবাহিনী; এটা সহজ পরিস্থিতি ছিল না। এ ধরনের পরিস্থিতি বাংলাদেশ প্রতিদিন ফেস করেনি। এজন্য আমরাও চায় একটা সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হোক এবং আমরা সেনানিবাসে ফেরত আসতে পারি।
গত ১৫ মাস সেনাবাহিনী বেসামরিক প্রশাসনের সহয়তায় নিয়জিত আছে এবং অত্যন্ত চ্যালেঞ্জিং ও প্রতিকূল পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে দায়িত্ব পালন করছে। এই ১৫ মাস সেনাবাহিনী অত্যন্ত পেশাদারিত্বের সঙ্গে দায়িত্ব পালন করেছে বলেও উল্লেখ করেন সেনাবাহিনীর এই কর্মকর্তা।
মন্তব্য করুন


রাজধানীর গুলশানে ইউএন হাউজের উদ্বোধন করেছেন জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস। শনিবার (১৫ মার্চ) সকালে তিনি আনুষ্ঠানিকভাবে ইউএন হাউজ উদ্বোধন করেন এবং জাতিসংঘের কার্যালয় পরিদর্শন করেন। এরপর বাংলাদেশ ও জাতিসংঘের মধ্যে সম্পর্ক প্রতিষ্ঠার ৫০তম বার্ষিকী উপলক্ষ্যে আয়োজিত একটি অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে বিভিন্ন আলোকচিত্র প্রদর্শনী ঘুরে দেখেন তিনি।
সংক্ষিপ্ত ব্রিফিংয়ে গুতেরেস বলেন, এই গুরুত্বপূর্ণ সময়ে বাংলাদেশকে সমর্থন দেওয়ার জন্য জাতিসংঘ দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। তিনি নিকট অতীতের তুলনায় আরও কার্যকরভাবে বাংলাদেশের পাশে থাকার অঙ্গীকারও ব্যক্ত করেন। এ সময় শিল্প মন্ত্রণালয় ও গৃহায়ণ এবং গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠান শেষে দুপুরে হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে জাতিসংঘ মহাসচিবের সঙ্গে বিএনপি প্রতিনিধি দলের সংস্কার প্রস্তাবনা নিয়ে আলোচনা হওয়ার কথা রয়েছে। এ বৈঠক শেষে তিনি তরুণ ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের সঙ্গে আরেকটি বৈঠকে অংশ নেবেন। এছাড়া, বিকেলে জাতিসংঘ মহাসচিব এবং পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন একটি যৌথ সংবাদ সম্মেলনে অংশ নেবেন বলে জানা গেছে।
মন্তব্য করুন


পঞ্চদশ সংশোধনী মাধ্যমে সংবিধানের মৌলিক কাঠামোকে ধ্বংস করা হয়েছিল বলে মন্তব্য করেছেন হাইকোর্ট।
মঙ্গলবার (১৭ ডিসেম্বর) পঞ্চদশ সংশোধনী বাতিলের প্রশ্নে রায় ঘোষণার সময় বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি দেবাশীষ রায় চৌধুরীর হাইকোর্ট বেঞ্চ এই মন্তব্য করেন। রায় ঘোষণা এখনও চলমান রয়েছে।
এর আগে, বহুল আলোচিত তত্ত্বাবধায়ক সরকার বাতিলসহ বেশ কিছু বিষয় নিয়ে সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনী কেন অবৈধ হবে না, এ বিষয়ে রুল জারি করা হয়েছিল। আজ মঙ্গলবার সকাল ১০টা ৫২ মিনিটে বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি দেবাশীষ রায় চৌধুরী রায় ঘোষণা শুরু করেন। রায়ের মূল অংশ পাঠ করেন বিচারপতি ফারাহ মাহবুব।
গত ৫ ডিসেম্বর হাইকোর্ট পঞ্চদশ সংশোধনী নিয়ে রুলের রায়ের জন্য আজকের দিন নির্ধারণ করেছিল। দীর্ঘ ২৩ কার্যদিবসের শুনানি শেষে হাইকোর্টের একই বেঞ্চ রায়ের জন্য এ দিন ধার্য করেন।
রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান, ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদ উদ্দিন। রিটকারী সুজনের বদিউল আলমের পক্ষে শুনানি করেন সিনিয়র আইনজীবী ড. শরিফ ভূঁইয়া। বিএনপির পক্ষে শুনানি করেন সিনিয়র আইনজীবী জয়নুল আবেদীন, ব্যারিস্টার বদরুদ্দোজা বাদল, ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল, অ্যাডভোকেট ফারজানা শারমিন পুতুল। জামায়াতের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ শিশির মনির, ব্যারিস্টার এহসান সিদ্দিকী। ইনসানিয়াত বিপ্লবের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট ইশরাত হাসান, চার আবেদনকারীর পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার জুনায়েদ আহমেদ চৌধুরী, ইন্টারভেনর হিসেবে শুনানি করেন ব্যারিস্টার হামিদুল মিসবাহ।
তত্ত্বাবধায়ক সরকার বাতিল করে সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনীর বৈধতা নিয়ে রুলে বিএনপির পক্ষ থেকে দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার পক্ষভুক্ত হন। এছাড়া ইনসানিয়াত বিপ্লব, গণফোরাম, চার আবেদনকারী রুলে ইন্টারভেনর হিসেবে পক্ষভুক্ত হন।
মন্তব্য করুন


কোনো ‘মব’ বা কোনোকিছু করে মুক্তিযোদ্ধা ও মুক্তিযুদ্ধকে খাটো করার সুযোগ নেই বলে জানিয়েছে সেনাসদর। সোমবার ঢাকা সেনানিবাসের অফিসার্স মেসে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান সেনাসদরের মিলিটারি অপারেশন্সের পরিচালক কর্নেল মো. শফিকুল ইসলাম।
মুক্তিযোদ্ধার বাসায় মব সৃষ্টি করে হামলার বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, মহান মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে বাংলাদেশের জন্ম হয়েছে। আমরা মুক্তিযোদ্ধাদের আগেও যেভাবে সশ্রদ্ধ সম্মান করেছি, আজও করি এবং ভবিষ্যতেও অন্তরের অন্তস্থল থেকে শ্রদ্ধা ও সম্মান করবো। কোনো মব করে মুক্তিযোদ্ধা কিংবা মুক্তিযুদ্ধকে ছোট করার কোনো সুযোগ নেই।
মুক্তিযোদ্ধা ফজলুর রহমানের বাড়ির সামনে একটি মব সৃষ্টি হয়েছিল, যখন সেনাবাহিনী মেসেজ পেয়েছে সঙ্গে সঙ্গে সেখানে আমাদের দায়িত্বপ্রাপ্ত ইউনিট উপস্থিত হয়ে মব নিয়ন্ত্রণ করেছে। এ ব্যাপারে আপনারা নিশ্চিত থাকতে পারেন সামনের দিনগুলোতে পরিস্থিতির আরও উন্নতি হবে ইনশাআল্লাহ।
মবের বিষয়ে তিনি আরও বলেন, মবের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স। যেখানে যখন মব হয়েছে সেখানে সঙ্গে সঙ্গে সেনাবাহিনী দ্রুততার সঙ্গে পৌঁছে পরিস্থিতিকে নিয়ন্ত্রণে নিয়ে এসেছে। কয়েকটি জায়গায় আমাদের যে বিলম্ব হয়েছে সেটা সোর্স থেকে তথ্য পেতে বিলম্ব হয়েছে। যে কোনো ঘটনা ঘটার পর সেখানে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী মোতায়েন হয়। তারপর সেনাবাহিনীকে অনুরোধ জানানো হয়, এরমধ্যে কিন্তু কিছু কালক্ষেপণ হয়ে গেছে, তারপর আমাদের নিকটস্থ ক্যাম্প থেকে যদি পেট্রোল পাঠায় তখনো কিছু সময় লাগে। এই সময়ের মধ্যে কোনো ঘটনা ঘটে যায় এটার দায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী নিতে পারে না। এমন একটি উদাহরণ দেখানো যাবে না যে সেনাবাহিনীকে অনুরোধ করা হয়েছে সেনাবাহিনী সেখানে যায়নি বা সেনাবাহিনীর সামনে মব হয়েছে সেনাবাহিনী যায়নি। এরকম কোনো ঘটনা ঘটেনি।
আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি দিনে দিনে অবনতির দিকে যাচ্ছে। গত এক সপ্তাহে নৃশংসভাবে কয়েকটি হত্যাকাণ্ড ও বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকীর বাসায় হামলা করা হয়েছে। যারা মব সৃষ্টি করে আইন হাতে তুলে নিচ্ছে তাদের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, গত এক বছরেরও বেশি সময় ধরে ধৈর্যের ও পরিশ্রমের সঙ্গে সরকার ও দেশের জন্য কাজ করে যাচ্ছে সেনাবাহিনী। আইনশৃঙ্খলা উন্নতি কিংবা আইনশৃঙ্খলা রক্ষা করা সেনাবাহিনীর একমাত্র কাজ নয়। সেনাবাহিনীর ম্যাজিস্ট্রেসি পাওয়ারের মাধ্যমে গ্রেফতার/আটক এবং হস্তান্তর করা যায়। কোনো জুডিশিয়ারি কিংবা আইনি প্রক্রিয়ায় সেনাবাহিনী কাউকে সাজা দিতে পারে না। সব আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে সমন্বিতভাবে একত্রে কাজ করতে হবে। অলরেডি সবাই কাজ শুরু করেছে।
অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে সেনাবাহিনীর সমন্বয়ের অভাব আছে কি না জানতে চাইলে কর্নেল শফিকুল ইসলাম বলেন, একটা ঘটনা কিংবা মবের সৃষ্টি হলো সেখানে ইমিডিয়েটলি একটি আইনশৃঙ্খলা বাহিনী গিয়েছে এবং তারা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পারেনি। পরবর্তীতে সেখানে সেনাবাহিনীকে রিকোয়েস্ট করার বিষয়টি যদি বিলম্ব হয় কিংবা আমাদেরকে পরে সংবাদ জানানো হয় তাহলে সেনাবাহিনী সেখানে পৌঁছাতে পৌঁছাতে খারাপ ঘটনার উদ্ভব হয়ে যেতে পারে। কিছু কিছু ক্ষেত্রে একটা জায়গায় ঘটনা ঘটেছে কেউ জানে না, এমনকি পুলিশও জানে না। আমরা চেষ্টা করছি আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি করার জন্য।
রাজবাড়ীতে নুরুল হক ওরফে ‘নুরা পাগলার’ মরদেহ তুলে নিয়ে পুড়িয়ে দেওয়া ও দরবারে হামলা-ভাঙচুরের ঘটনায় প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, রাজবাড়ীর ঘটনা অনেক পরে সেনাবাহিনী জানতে পারে। যখনই জানতে পেরেছে সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থলে সেনাবাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। সেনাবাহিনী মোতায়েনের পর রাত ১১টার পর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়। ঘটনার সঙ্গে যারা জড়িত তাদেরকে গ্রেফতারে পুলিশ ও সেনাবাহিনী তৎপর।
মন্তব্য করুন


ডেস্ক রিপোর্ট:
মন্ত্রিসভার আবারও সম্প্রসারণ হতে যাচ্ছে বলে একাধিক মহল থেকে গুঞ্জন উঠেছে। বিভিন্ন সূত্র বলছে, দুই দফায় ৪৪ সদস্যের মন্ত্রিসভা আরও বড় হবে। এ ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রী একাধিক মহলকে ইঙ্গিত দিয়েছেন বলে দায়িত্বশীল একাধিক সূত্র বাংলা ইনসাইডারকে নিশ্চিত করেছে। তবে ঠিক কখন কীভাবে মন্ত্রিসভার সম্প্রসারণ হবে সে সম্পর্কে সুনির্দিষ্ট কোন তথ্য পাওয়া যায়নি।
তবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা একাধিক ব্যক্তির কাছে ঈদের পর মন্ত্রিসভার সম্প্রসারণের ইঙ্গিত দিয়েছেন। তিনি আওয়ামী লীগের একজন গুরুত্বপূর্ণ নেতাকে বলছেন যে, মন্ত্রিসভা আরও বড় করছি। কারণ এখন সরকার বড় হয়েছে এবং কাজকর্ম বেড়েছে। মন্ত্রীদের কাজের পরিধি বাড়ায় মন্ত্রিসভাকে বড় করতে হবে। এরকম আলাপ করা একজন আওয়ামী লীগের নেতা বাংলা ইনসাইডারের কাছে স্বীকার করেছেন যে, প্রধানমন্ত্রী তাকে বলেছেন যে, মন্ত্রিসভা আরও করা হতে পারে। তবে ঠিক কবে বড় করা হবে সে সম্পর্কে তিনি কিছু জানেন না।
সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে, এখনও কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয়ে পূর্ণমন্ত্রী নেই। কোথাও কোথাও প্রতিমন্ত্রীরও প্রয়োজন রয়েছে। বর্তমানে যে মন্ত্রিসভা রয়েছে সেই মন্ত্রিসভায় সবচেয়ে আলোচিত গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে শুধুমাত্র প্রতিমন্ত্রী রয়েছেন। এইখানে একজন পূর্ণাঙ্গ মন্ত্রী দেওয়া হতে পারে বলে অনেকে মনে করছেন। তবে এটি কখন দেওয়া হবে বা কাকে দেওয়া হবে সে সম্পর্কে কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।
একইভাবে মন্ত্রিসভায় শ্রম মন্ত্রণালয়ের একজন প্রতিমন্ত্রীর দেওয়া হয়েছে। বিজিএমইর পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, এখানে একজনকে আইন জানা এবং সিনিয়র নেতাকে মন্ত্রী করার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে এবং বিজিএমইর পক্ষ থেকে একজন এ নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর সাথেও কথা বলেছেন বলে একাধিক সূত্র বাংলা ইনসাইডারকে জানিয়েছেন এবং প্রধানমন্ত্রী বিজিএমইর ওই নেতাকে আশ্বস্ত করেছেন যে, শ্রম আইন জানা একজন ব্যক্তিকে এই মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দেওয়া হতে পারে।
একইভাবে তথ্য মন্ত্রণালয়ের মতো একটি স্পর্শকাতর মন্ত্রণালয়ে একজন প্রতিমন্ত্রীর দেওয়া হয়েছে। তবে বিভিন্ন সূত্রগুলো বলছে, মোহাম্মদ আলী আরাফাতকে প্রতিমন্ত্রী থেকে পূর্ণমন্ত্রীতে পদোন্নোতি দেওয়া হতে পারে এবং যেহেতু শিক্ষামন্ত্রী বয়সে তরুণ পূর্ণমন্ত্রী হয়েছেন, কাজেই মোহাম্মদ আলী আরাফাতও পূর্ণমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পেতে পারেন বলে একাধিক সূত্র জানিয়েছে।
এছাড়াও পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের কোন পূর্ণমন্ত্রী নেই। পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের একজন পূর্ণমন্ত্রীর বিষয়টি ভাবা হচ্ছে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে একজন প্রতিমন্ত্রীর বিষয়টি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে আলোচনা হচ্ছে। এখানে একজন প্রতিমন্ত্রী দেওয়া হতে পারে বিভিন্ন সূত্র থেকে আভাস পাওয়া যাচ্ছে।
এছাড়াও মন্ত্রিসভায় এখন পর্যন্ত মাত্র দুইজন টেকনোক্র্যাট সদস্য রয়েছেন। আরও অন্তত দুইজন টেকনোক্র্যাট সদস্য মন্ত্রিসভায় অন্তর্ভুক্ত হতে পারেন। বিভিন্ন সূত্রগুলো বলছে যে, রোজার পর পর মন্ত্রিসভার সম্প্রসারণের একটি সম্ভাবনা রয়েছে। তবে ঠিক কতজন আবার মন্ত্রিসভায় যুক্ত হতে যাচ্ছেন সে সম্পর্কে কোনো সঠিক তথ্য পাওয়া যায়নি। তবে অসমর্থিত একাধিক সূত্র বলছেন যে, আরও তিন থেকে চারজন প্রতিমন্ত্রী নতুন মন্ত্রিসভার সম্প্রসারণে যুক্ত হতে পারেন।
মন্তব্য করুন


মানবতার বিরোধী অপরাধের দায়ে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের দেয়া পলাতক সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের মৃত্যুদণ্ড সাজার বিষয়ে পরষ্ট্রমন্ত্রনালয়ের মাধ্যমে ইন্টারপোলকে জানাবে প্রসিকিউশন। মঙ্গলবার (১৮ নভেম্বর) আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর গাজী এম এইচ তামিম বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
গাজী এম এইচ তামিম বলেন, ট্রাইব্যুনালের রায়কে চ্যালেঞ্জ করতে চাইলে শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান কামালের উচিত হবে ৩০ দিনের মধ্যে আত্মসমর্পণ করে আপিল বিভাগে আপিল করা। তা না হলে পরষ্ট্রমন্ত্রনালয়ের মাধ্যমে ইন্টারপোলকে তাদের মৃত্যুদণ্ড সাজার বিষয়ে জানানো হবে।
এর আগে সোমবার (১৭ নভেম্বর) জুলাই গণঅভ্যুত্থানে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। এছাড়া সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামালকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল।
রায়ে ট্রাইব্যুনাল বলেছেন, শেখ হাসিনাসহ তিন আসামির অপরাধ প্রমাণিত। দুটি অভিযোগে শেখ হাসিনাকে মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয়েছে। একটি অভিযোগে সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালকে মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয়েছে। অ্যাপ্রুভার (রাজসাক্ষী) হওয়ায় পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুনকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে।
বিচারপতি মো. গোলাম মর্তুজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনার-১ এ রায় ঘোষণা করেন।ট্রাইব্যুনালের অপর দুই সদস্য হলেন- বিচারপতি মো. শফিউল আলম মাহমুদ ও বিচারক মো. মোহিতুল হক এনাম চৌধুরী।
গণঅভ্যুত্থানের সময় হত্যাকাণ্ডসহ মানবতাবিরোধী অপরাধের ঘটনায় করা এটিই প্রথম মামলা, যার রায় হলো আজ।
সোমবার দুপুর ১২টা ৪০ মিনিটের দিকে ছয় অধ্যায়ে ৪৫৩ পৃষ্ঠার রায়ের প্রথম অংশ পড়া শুরু করেন বিচারিক প্যানেলের সদস্য বিচারপতি মো. মোহিতুল হক এনাম চৌধুরী। ট্রাইব্যুনাল-১ এর চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের বিচারিক প্যানেলের অপর সদস্য হলেন বিচারপতি মো. শফিউল আলম মাহমুদ।
২ ঘণ্টা ১০ মিনিটের সংক্ষিপ্ত রায় পড়া শেষে দুপুর ২টা ৫০ মিনিটে শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান খাঁন কামালের বিরুদ্ধে এ রায় ঘোষণা করেন ট্রাইব্যুনাল।
মন্তব্য করুন


প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠকের আউটকাম নিয়ে সন্তুষ্ট নয় বিএনপি। ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বৈঠকে ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনের বিষয়ে সুনির্দিষ্ট কোনো রোডম্যাপ না পাওয়ায় অসন্তুষ্ট দলটি।
প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে যমুনায় পৌনে দুই ঘণ্টা বৈঠক শেষে বেরিয়ে এসে বুধবার দুপুর ২টায় সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে এ মন্তব্য করেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, প্রধান উপদেষ্টা নির্বাচনের সুনির্দিষ্ট রোডম্যাপ জানাননি। তিনি ডিসেম্বর থেকে জুন মাসের মধ্যে নির্বাচনের কথা বলেছেন। আমরা বলেছি ডিসেম্বর নির্বাচনের কাট অফ সময়।
এখন বিএনপি কী করবে-সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, আমরা দলীয় ফোরামে আলোচনা করে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেবো।
এর আগে দুপুর ১২টায় প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনায় অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বিএনপির শীর্ষ নেতাদের বৈঠক শুরু হয়।
প্রতিনিধি দলে ছিলেন স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যরিস্টার জমির উদ্দিন সরকার, মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, সালাহউদ্দিন আহমেদ, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু এবং মেজর অব. হাফিজ উদ্দিন আহমেদ।
এর আগে ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচনি রোডম্যাপ ঘোষণার বিষয়ে আলোচনার জন্য প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে বিএনপি সময় চায় বলে জানান দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ।
তিনি বলেন, বিভিন্ন ইস্যুতে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাতের সময় চেয়েছে বিএনপি। ড. ইউনূসের সঙ্গে আলোচনার পরই পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেবে দল। নির্বাচন নিয়ে সৃষ্ট ধোঁয়াশা কাটাতে সুনির্দিষ্ট রোডম্যাপ ঘোষণা জরুরি বলেও জানান দলটির প্রভাবশালী এই নেতা।
এদিকে বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) বিকেল ৩টায় জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে বিএনপির বৈঠক অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে।
দুই বৈঠকসহ সার্বিক বিষয়ে মঙ্গলবার রাতে গুলশানে দলের চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরাম জাতীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠক হয়। লন্ডন থেকে বৈঠকে ভার্চুয়ালি সভাপতিত্ব করেন ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
বৈঠক সূত্র জানায়, এতে প্রধান উপদেষ্টা ও জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে পৃথক দুই বৈঠকে কী নিয়ে আলোচনা হবে, তা ঠিক করা হয়।
সংশ্লিষ্ট নেতারা জানান, প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠকে জাতীয় নির্বাচনের জন্য সুনির্দিষ্ট রোডম্যাপ এবং নির্বাচন ঘিরে বিভ্রান্তি দূর করা নিয়ে আলোচনা করার প্রস্তুতি নিয়ে যান তারা। কিন্তু বৈঠকে সুনির্দিষ্ট কোনো রোডম্যাপ ঘোষণা হয়নি।
এই বৈঠক নিয়ে রাজনৈতিক মহলে আলোচনা ছিল। দেশবাসী তাকিয়ে ছিল বৈঠকের আউটকাম নিয়ে। কিন্তু বিএনপি বৈঠকের আউটকাম নিয়ে সন্তুষ্ট হতে পারেনি।
মন্তব্য করুন


প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন জানান, আগামী বছর ফেব্রুয়ারি মাসের প্রথমার্ধেই ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। তবে এখনই নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হবে না। তফসিল ঘোষণার প্রায় দুই মাস আগে ভোটের তারিখ জানিয়ে দেওয়া হবে। স্বল্প সময়ের মধ্যে নির্বাচন সম্পন্ন করার প্রস্তুতি ইতিমধ্যে শুরু করেছে নির্বাচন কমিশন।
আজ শনিবার সকালে রংপুর আঞ্চলিক নির্বাচন কমিশন কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন সিইসি। শুরুতে তিনি সাংবাদিকদের নানা প্রশ্নের জবাব দেন। বিকালে রংপুর বিভাগীয় কমিশনারের সম্মেলন কক্ষে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে মতবিনিময় সভায় অংশ নেন তিনি।
সেখানে সিইসি বলেন, নির্বাচনের সময় আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি বর্তমানের চেয়ে আরো উন্নত করা হবে। প্রয়োজনে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য এবং নির্বাচনী কর্মকর্তাদের রদবদল করা হবে।
মানুষের ভোটকেন্দ্রে যাওয়ার আগ্রহ কমে যাওয়াকে বড় চ্যালেঞ্জ হিসেবে উল্লেখ করে নাসির উদ্দিন বলেন, নির্বাচন কমিশনের ওপর মানুষের আস্থা ফেরানো এখন সবচেয়ে বড় দায়িত্ব। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার (এআই) অপব্যবহারও বেড়েছে, যা নির্বাচনের জন্য নতুন ধরনের চ্যালেঞ্জ তৈরি করছে। সব চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে দ্রুত সময়ের মধ্যে অবাধ, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন আয়োজনের প্রস্তুতি নিচ্ছে কমিশন।
বিগত জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দায়িত্ব পালন করা কর্মকর্তাদের বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, তাদের ছাড়া নির্বাচন সম্ভব নয়। তাই তাদের সঙ্গেই সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন সম্পন্ন করবে বর্তমান কমিশন।
ড. মুহাম্মদ ইউনূসের দ্রুত নির্বাচন সম্পন্ন করার আগ্রহের প্রসঙ্গ টেনে সিইসি বলেন, ভোটের সময় সাংবাদিকরা যেন অবাধে তথ্য সংগ্রহ করতে পারেন, সে ব্যবস্থাও নেওয়া হবে।
রংপুরে দিনব্যাপী নির্বাচনী কর্মকর্তা ও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় শেষে আগামীকাল তিন দিনের সফর শেষে ঢাকায় ফেরার কথা রয়েছে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের।
মন্তব্য করুন


অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান বলেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাংলাদেশের গণতন্ত্রের জন্য সহায়ক ব্যবস্থা। তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা পুনর্বহালের রায়ের ফলে মানুষ নিজের ভোট নিজে দিতে পারবেন, দিনের ভোট রাতে হবে না। মৃত মানুষও ভোট দিতে পারবেন না। এর মধ্য দিয়ে দেশ গণতান্ত্রিক মহাসড়কে হাঁটা শুরু করলো।
বৃহস্পতিবার সকালে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা পুনবর্হাল করে আপিল বিভাগ রায় দেওয়ার পর তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় এসব কথা বলেন তিনি। অ্যাটর্নি জেনারেল বলেছেন, আপিল বিভাগ আগে সংখ্যাগরিষ্ঠ মতের ভিত্তিতে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিল করে রায় দিয়েছিলেন। সেই রায়টি আপিল বিভাগ সর্বসম্মতিক্রমে বাতিল করেছেন। আপিল বিভাগ এই রায়কে প্রসপেক্টিভ ইফেক্ট দিয়েছেন। অর্থাৎ আগামী সংসদ ভেঙে যাওয়ার পর এই রায় কার্যকর হবে। ফলে ত্তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা পুনর্বহাল হলো।
তিনি বলেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা সংবিধানে ১৯৯৬ সালে আনা হয়েছিল। সেটাকে সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক না বলে, এটা সাংবিধানিক বলে ঘোষিত হলো। ত্তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাংলাদেশের গণতন্ত্রের জন্য একটি সহায়ক ব্যবস্থা হিসেবেই হয়তো পূর্ণাঙ্গ রায়ে আসবে। কারণ এই লাইনে শুনানির ভিত্তিতেই কনক্লুশন এসেছে।
নির্বাচনে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা থাকলে সংবিধানের ৫৮(গ)৩ অনুসারে প্রধান বিচারপতিই কি এই সরকারের প্রধান হবেন? জুলাই সনদে কিন্তু ভিন্ন ধরনের কথা বলা হয়েছে, এমন প্রশ্নের জবাবে অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, পূর্ণাঙ্গ রায় আসলে সেটা দেখা যাবে।
পঞ্চদশ সংশোধনী মামলার সঙ্গে এই রায় কোনভাবে সাংঘর্ষিক হবে কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, পঞ্চদশ সংশোধনীর মাধ্যমে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিল করা হয়েছিল। এটা পঞ্চদশ সংশোধনীর ইস্যু। অসৎ উদ্দেশ্যে এই সংশোধনী আনা হয়েছিল উল্লেখ করে হাইকোর্ট এটাকে অসাংবিধানিক ঘোষণা করেছে। হাইকোর্ট যে রায় দিয়েছেন, সে পার্টটা আপিল বিভাগে চ্যালেঞ্জ হয়নি। যদি চ্যালেঞ্জ হয়ও, আপিল বিভাগ এই রায়টাকে অতিক্রম করবে না। এটা রিভিউয়ের রায়। রিভিউয়ে আপিলের অনুমতি দিয়ে এই রায়টা হয়েছে।
তিনি বলেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা পূর্বের অবস্থায় ফিরে গেল। পরবর্তী সংসদ ভেঙে যাওয়ার ১৫ দিনের মধ্যে তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠনের যে বিধান রয়েছে, সেটা কার্যকর হলো।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আজকের রায়ে আগে আপিল বিভাগের দেওয়া রায়টিকে কলঙ্কিত বলা হয়েছে। এটা কেন বলা হয়েছে, সেটা পূর্ণাঙ্গ রায়ে থাকবে। তবে আমি মনে করি, ওই রায়টি ত্রুটিপূর্ণ ও কলঙ্কিত বলেই তা বাতিল করা হয়েছে। শুনানিতে অনেক গুলো কারণ আমরা দেখিয়েছি। তার অন্যতম একটি হলো, ওই রায়টি লেখার ক্ষেত্রে সাবেক প্রধান বিচারপতি খায়রুল হকসহ যারা তার সহায়ক ছিলেন, তারা দণ্ডবিধির ২১৯ ধারায় অপরাধ করেছেন। আমাদের আইনে রায়ের সংজ্ঞা বলা আছে, যেটা মুখ দিয়ে ঘোষণা করা হয়, সেটাই রায়। এটা পরিবর্তনের পদ্ধতিও রয়েছে আইনে। তবে তারা কোনো কিছুই অনুসরণ না করে ঘোষিত রায়কে নিজের ইচ্ছেমতো পরিবর্তন করে দিয়েছেন। এটা একটি শাস্তিযোগ্য অপরাধ।
আরেক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকার বিলোপ করে যে নির্বাচন হয়েছিল, বাংলাদেশের গণতন্ত্রের যে কবর রচিত হয়েছিল, আর তত্ত্বাবধায়ক সরকার পুনর্বহাল হওয়ার পর গণতান্ত্রিক মহাসড়কে বাংলাদেশ হাঁটবে, কোনটা জাতির কাছে গ্রহণযোগ্য সেটা আপনারা বিবেচনা করবেন।
মন্তব্য করুন


দেশে গণতান্ত্রিক ধারা ফিরিয়ে আনতে নির্বাচন প্রয়োজন বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী।
রোববার দুপুরে রাজধানীর গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে জাতিসংঘের প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বৈঠক শেষে সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন আমীর খসরু। এ সময় বাংলাদেশে জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কারী গোয়েন লুইস উপস্থিত ছিলেন।
স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনের সময় গণতন্ত্র ও মানবাধিকারের পক্ষে অবদান রাখায় গোয়েন লুইসের প্রতি ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানান আমীর খসরু।
বৈঠকে দেশের বর্তমান পটভূমি, নির্বাচন ও গণতান্ত্রিক ভবিষ্যৎ নিয়ে দীর্ঘ আলোচনা হয়েছে বলে জানান আমীর খসরু। তিনি বলেন, গণতন্ত্রের শাসন ফিরিয়ে আনতে জাতিসংঘের যে প্রতিশ্রুতি, তা নিয়েও কথা হয়েছে।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য জানান, ফেব্রুয়ারির নির্বাচন কীভাবে সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করা যাবে, তা নিয়ে বৈঠকে আলোচনা হয়েছে। তিনি বলেন, এর বাইরে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন নিয়ে আলোচনা হয়েছে। যত দিন প্রত্যাবাসন না হয়, তত দিন রোহিঙ্গাদের বিষয়ে জাতিসংঘ কাজ করতে সমর্থন ব্যক্ত করেছে।
গোয়েন লুইস বলেন, ফেব্রুয়ারির নির্বাচনের আগে বাংলাদেশের জন্য এখন গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্ত। জাতিসংঘ নির্বাচন কমিশনকে সমর্থনের জন্য যথাসাধ্য চেষ্টা করছে। প্রযুক্তিগত স্তরে সবকিছু ঠিকঠাক আছে কি না, তা নিশ্চিত করছে।
ঐকমত্যের প্রসঙ্গে কথা বলেন গোয়েন লুইস। তিনি বলেন, রাজনৈতিক দলগুলো ঐকমত্য তৈরির ক্ষেত্রে কাজ করেছে। সবাই অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছে, যাতে এ প্রক্রিয়া এগিয়ে নিয়ে যাওয়া যায়।
রোহিঙ্গা পরিস্থিতির নিয়ে গোয়েন লুইস বলেন, শরণার্থীদের প্রতি অবিশ্বাস্য আতিথেয়তা দেখানোয় বাংলাদেশকে তারা সাধুবাদ জানান।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের পররাষ্ট্রবিষয়ক উপদেষ্টা হুমায়ুন কবির প্রমুখ।
মন্তব্য করুন