গাজীপুর সিটি করপোরেশন (গাসিক) নির্বাচনে আগামীকাল মঙ্গলবার (৯ মে) প্রার্থীদের মাঝে প্রতীক বরাদ্দ দেবেন রিটার্নিং কর্মকর্তা। প্রতীক পেয়েই প্রার্থীরা প্রচারে নামতে পারবেন বলে জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
নির্বাচন কমিশনের (ইসি) নির্বাচন ব্যবস্থাপনা শাখার উপ-সচিব মো. আতিয়ার জানান, প্রতীক পেয়েই প্রার্থীরা প্রচারে যেতে পারবেন। তবে ভোটগ্রহণ শুরুর ৩২ ঘণ্টা পূর্বে সব ধরনের প্রচার বন্ধ করতে হবে। ভোটগ্রহণ শুরু হবে আগামী ২৫ মে সকাল ৮টায়। এ ক্ষেত্রে প্রার্থীরা ৯ মে থেকে ২৩ মে মধ্যরাত ১২টা পর্যন্ত প্রচারের সময় পাচ্ছেন। অর্থাৎ ১৫ দিন সময় পাচ্ছেন তারা।
এ নির্বাচনে মেয়র পদে ১২ জন, সংরক্ষিত আসনের কাউন্সিলর পদে ৮২ জন এবং সাধারণ কাউন্সিলর পদে ২৯০ জন মনোনয়নপত্র দাখিল করেছিলেন। এদের মধ্যে মনোনয়নপত্র বাছাই এবং প্রার্থিতা প্রত্যাহারের পর মোট প্রতিদ্বন্দ্বী রয়েছেন মেয়র পদে ৮ জন, সাধারণ কাউন্সিলর পদে ২৩৯ জন এবং সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর পদে ৭৭ জন।
মন্তব্য করুন
ডেস্ক রিপোর্ট:
জাতীয় নাগরিক কমিটির মূখ্য সংঘঠক সারজিস আলম বলেছেন, ৭১ যেমন আমাদের শিকড় হিসেবে সংবিধানে স্বীকৃতি পেয়েছে, ২৪-ও আমাদের অস্তিত্বের লড়াই হিসেবে সংবিধানে ঠাঁই পাবে। এত মানুষ রক্ত ও জীবন দিয়ে সংগ্রাম করে খুনি হাসিনাকে বিতাড়িত করে তার স্বামীর সংসারে পাঠিয়ে দিলেন। ঘোষণাপত্রে এর স্বীকৃতি দেয়া উচিত কিনা। জুলাই-আগস্ট ২৪ এর অভ্যুথানের বিষটি একটি লিখিত আকারে থাকুক। এই ঘোষণাটা লিখিত আকারে সংবিধানে স্থান দেয়া হোক। আজ বুধবার দুপুরে নরসিংদীর শিবপুর উপজেলা ইটাখোলা মোড়ে এই লিফলেট বিতরণ লে তিনি এসব কথা বলেন।
এ সময় সাত দফা দাবি সম্বলিত জুলাই ঘোষণাপত্র প্রকাশের দাবি এবং জনমত গঠনে নরসিংদীতে লিফলেট বিতরণ করা হয়। এসময় পথ সভায় কথা বলেন জাতীয় নাগরিক কমিটির মূখ্য সংঘঠক সাধারণ সম্পাদক ও জুলাই-আগস্ট ২৪ এর স্বমন্বয়ক সারজিস আলমের সাথে ছিলেন জাতীয় নাগরিক কমিটির যুগ্ম আহকায়ক সারোয়ার তুষার। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও জাতীয় নাগরিক কমিটির আয়োজনে এই কর্মসূচিতে নরসিংদী ও শিবপুরের শত শত সমন্বয়ক শিক্ষার্থী-জনতা অংশ নেয়। পরে দিনব্যাপী নরসিংদীর শিবপুর, সদরসহ বিভিন্ন স্থানে লিফলেট বিতরণ কার্যক্রম পরিচালনা করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও জাতীয় নাগরিক কমিটি।
সারজিস আলম আলম আরো বলেন, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন তথা জুলাই অভুথ্যানের নেত্রীতের কথা পরিস্কার করে ঘোষণাপত্রে উল্লেখ থাকতে হবে। অভুত্থানে আওয়ামী খুনি ও ফ্যাসিস্টদের বিচার নিশ্চিত করার স্পষ্ট অঙ্গীকার ব্যক্ত করতে হবে। ১৯৪৭ সালের পাকিস্তানের আন্দোলন, ৭১ এর মুক্তিযুদ্ধ ও ২০২৪ জুলাই গণঅভ্যুত্থানের ধারাবাহিকতা পরিস্কার করতে হবে। প্রত্যেকটি বিষয় গুরুত্বপূর্ণ।
ফ্যাসিবাদি রাষ্ট্র ব্যাবস্থার মূল ভিত্তি সংবিধান বাতিল করে নির্বাচিত গণপরিষদ গঠনের মাধ্যমে সম্পূণ নতুন গণতান্ত্রিক সংবিধান প্রণয়ন করতে হবে। যে সংবিধান জনগণের কথা বলবে, সে সংবিধান থাকবে। যে ধারা জনগণের কথা বলবে না সে ধারাগুলো সংবিধানে থাকতে পারবে না।
নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্তে সব ধরনের বৈষম্য নিরসনের মধ্য দিয়ে নাগরিক পরিচয় প্রধান করে রাষ্ট্রকাঠামো গড়ে তোলার প্রতিশ্রুতি থাকতে হবে। জুলাই অভ্যুত্থানের একমাত্র প্রধান লক্ষ্য আওয়ামী ফ্যাসিবাদী সরকারকে উৎখাত করা ছিল না; বরং গত ৫৩ বছরের বৈষম্য, শোষণ ও ফ্যাসিবাদী রাজনৈতিক ব্যবস্থা বিলোপ করার লক্ষ্যে এ অভ্যুত্থান সংঘটিত হয়েছে। সুতরাং বিদ্যমান ফ্যাসিবাদী রাষ্ট্রকাঠামো বিলোপ করতে সব ধরনের সংস্কারের ওয়াদা দিতে হবে।
আমাদেরকে বিভিন্ন ভাগে ভাগ করা যাবে না। ধর্মের দোহাই দিয়ে ভাগ করা যাবে না। পেশা দিয়ে ভাগ করা যাবে না। সবাইকে সমান নাগরিক সুবিধা থাকতে হবে। একজন ভিআইপি সুবিধা পাবে অন্য জন পাবে না। তা আর হবে না। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে জুলাই অভ্যুত্থানের ঘোষণাপত্র ঘোষণা করতে হবে।
মন্তব্য করুন
ডেস্ক রিপোর্ট:
আগামী বছর অর্থাৎ ২০২৫ সালে বাংলাদেশ থেকে মোট এক লাখ ২৭ হাজার ১৯৮ জন হজযাত্রী হজ পালনের সুযোগ পাবেন। এর মধ্যে সরকারিভাবে হজ গাইডসহ ১০ হাজার ১৯৮ জন এবং বেসরকারিভাবে বিভিন্ন এজেন্সির মাধ্যমে হজ গাইডসহ এক লাখ ১৭ হাজার জন হজ করতে পারবেন।
ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয় থেকে হজ এজেন্সিগুলোর কাছে পাঠানো চিঠিতে জানানো হয়েছে যে, ২০২৫ সালের হজযাত্রীর জন্য কোটার এই বিভাজন করা হয়েছে। চিঠি অনুসারে, চাঁদ দেখা সাপেক্ষে হিজরি ১৪৪৬ সালের হজ আগামী বছরের ৫ জুন অনুষ্ঠিত হবে। এ বছর সৌদি সরকার বাংলাদেশকে এক লাখ ২৭ হাজার ১৯৮ জন হজযাত্রীর কোটা বরাদ্দ করেছে।
চিঠিতে আরও বলা হয়েছে, হজ গাইডদেরকে হজযাত্রীর মতোই প্রাক-নিবন্ধনসহ যাবতীয় কার্যাদি সম্পন্ন করতে হবে। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে হজ গাইডদের তালিকা ধর্ম মন্ত্রণালয়ে পাঠাতে হবে।
এ বছরের হজযাত্রী নিবন্ধন শুরু হয়েছে গত ১ সেপ্টেম্বর থেকে এবং চলবে আগামী ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত। বুধবার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত হজ পোর্টালের তথ্যানুযায়ী, সরকারি ব্যবস্থাপনায় ২ হাজার ৯৪৫ জন এবং বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ৭ হাজার ৮৪২ জনসহ মোট ১০ হাজার ৭৮৭ জন নিবন্ধন সম্পন্ন করেছেন।
মন্তব্য করুন
সম্প্রতি বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশন (বিপিএসসি) ৪৭তম বিসিএসের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে। রোববার (২৯ ডিসেম্বর) সকাল ১০টা থেকে ৪৭তম বিসিএসের আবেদন শুরু হবে। প্রার্থীরা আগামী ৩০ জানুয়ারি রাত ১১টা ৫৯ মিনিট পর্যন্ত আবেদন করতে পারবেন।
পিএসসি সূত্রে জানা গেছে, ৪৭তম বিসিএস থেকে আবেদন ফি ও মৌখিক পরীক্ষার (ভাইভা) নম্বর কমানো হয়েছে। এ বিসিএসে ভাইভা নম্বর ২০০ থেকে কমিয়ে ১০০ করা হয়েছে।
আবেদন ফি ৭০০ টাকার পরিবর্তে ২০০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী, প্রতিবন্ধী এবং তৃতীয় লিঙ্গের প্রার্থীদের জন্য আবেদন ফি ৫০ টাকা ধরা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, গত ৯ ডিসেম্বর থেকে ৪৭তম বিসিএসের আবেদন শুরু হওয়ার কথা থাকলেও আবেদন ফি কমানোর প্রজ্ঞাপন না হওয়ায় আবেদন প্রক্রিয়া স্থগিত করে পিএসসি।
পিএসসি গত ২৮ নভেম্বর ৪৭তম বিসিএসের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে। বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, ১০ ডিসেম্বর সকাল ১০টা থেকে আবেদন শুরু হয়ে ৩১ ডিসেম্বর রাত ১১টা ৫৯ মিনিট পর্যন্ত চলার কথা ছিল। তবে বিশেষ কারণে আবেদন প্রক্রিয়া স্থগিত করা হয়।
এবার প্রথমবারের মতো বিসিএসে আবেদনকারীদের বয়সসীমা ৩২ বছর নির্ধারণ করা হয়েছে।
৪৭তম বিসিএসে ৩ হাজার ৪৮৭টি ক্যাডার এবং ২০১টি নন-ক্যাডার পদে নিয়োগ দেওয়া হবে। সবচেয়ে বেশি শূন্যপদ রয়েছে স্বাস্থ্য ক্যাডারে। সহকারী সার্জন পদে ১,৩৩১টি এবং সহকারী ডেন্টাল সার্জন পদে ৩০টি শূন্যপদে নিয়োগ দেওয়া হবে।
মন্তব্য করুন
স্মার্ট লাইসেন্সিং অ্যাপ চালু করেছে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন। সোমবার (৮ মে) চট্টগ্রাম সার্কিট হাউসে এ অ্যাপ উদ্বোধন করেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সচিব মো. সামসুল আরেফিন।
জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা জানান, চট্টগ্রামকে দেশের প্রথম স্মার্ট জেলা হিসেবে গড়ে তোলার জন্য বিভিন্ন উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এ উপলক্ষ্যে সোমবার উদ্বোধন করা হয় স্মার্ট লাইসেন্সিং পোর্টাল। এ পোর্টালের মাধ্যমে জেলা প্রশাসন কার্যালয় থেকে যেসব লাইসেন্স প্রদান করা হয় সেগুলো আরও সহজে এবং কম সময়ে পাওয়া যাবে। ঘরে বসেই লাইসেন্স আবেদন, নবায়ন ও বিভিন্ন ধরনের ফি দিতে পারবেন সেবাগ্রহীতারা।
এছাড়া লাইসেন্স গ্রহীতারা মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়ার আগে এবং পরে সরাসরি এসএমএসের মাধ্যমে নোটিফিকেশন পাবেন। ফলে সেবাগ্রহীতার ভোগান্তি হবে কম এবং দালালদের দৌরাত্ম্য কমবে। এছাড়া গ্রাহক নিজেই নিজের লাইসেন্সের কপি অনলাইন থেকে প্রিন্ট দিয়ে নিতে পারবেন।
মতবিনিময় সভায় স্মার্ট চট্টগ্রাম বাস্তবায়নে জেলা প্রশাসনের বিভিন্ন গৃহীত পদক্ষেপ নিয়ে একটি পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টেশন উপস্থাপন করেন চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর স্মার্ট বাংলাদেশ ভিশন ২০৪১-কে সামনে রেখে চট্টগ্রামকে দেশের প্রথম স্মার্ট জেলা হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্যে জেলা প্রশাসন ইতিমধ্যে বেশ কিছু পদক্ষেপ নিয়েছে। যার মধ্যে স্মার্ট চট্টগ্রাম বাস্তবায়ন সেল গঠন, বিভিন্ন সরকারি দপ্তরে ফোকাল পারসন নিযুক্তি, ওয়াবসাইটে স্মার্ট চট্টগ্রাম ডেডিকেটেড কর্নার সংযোজন, স্মার্ট চট্টগ্রাম বেস্ট আইডিয়া অ্যাওয়ার্ড ঘোষণা, আইডিয়াসমূহের উপর বুটক্যাম্প আয়োজন, আইডিয়া শোকেসিং ও স্মার্ট বাংলাদেশ উৎসব আয়োজন, বিশেষজ্ঞ প্যানেল তৈরি, স্মার্ট চট্টগ্রাম ২০৪১ এর রোডম্যাপ তৈরি অন্যতম।
মন্তব্য করুন
সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান বলেছেন, "আমরা একটি সুস্থ জাতি দেখতে চাই। একটি সুস্থ জাতি পেলে দেশের জন্য বড় কাজে দেবে।" শনিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) ঢাকা আন্তর্জাতিক ম্যারাথন-২০২৫ এ তিনি এসব কথা বলেন।
এদিন ভোর ৫টায় রাজধানীর ৩০০ ফিটে এই ম্যারাথনের প্রথম দৌড় শুরু হয়। এবারের প্রতিপাদ্য ছিল ‘রান ফর ইউনিটি, রান ফর হিউম্যানিটি’। এখন পর্যন্ত দেশে আয়োজিত ম্যারাথনের মধ্যে এটিই সবচেয়ে বড়। এবার ১০ হাজার দৌড়বিদ এতে অংশ নিয়েছেন। এছাড়া ১০টি দেশের বেশ কয়েকজন বিদেশি ম্যারাথনার প্রতিনিধিত্ব করছেন।
সেনাপ্রধান বলেন, "আন্তর্জাতিক ম্যারাথন অনুষ্ঠিত হবে আগামী ৩১ জানুয়ারি। আন্তর্জাতিক ম্যারাথনের পাশাপাশি এ ধরনের ম্যারাথন বড় বড় শহর ও জেলা শহরে আয়োজন করা হবে।"
তিনি আরও বলেন, "আমরা একটা সুন্দর ম্যারাথন করলাম। এখানে ১০ হাজারের ওপরে দৌড়বিদ ছিলেন। দেশি ও বিদেশি। এখানে উদ্দেশ্য জয়-পরাজয় নয়। উদ্দেশ্য ছিল, দেশ ও জাতিকে ফিজিক্যালি ল’ অন্তর্ভুক্ত করা। আজ যে সাড়া পেয়েছি, আমরা অভিভূত। পরবর্তী সময়েও এ ধরনের ম্যারাথন অনুষ্ঠিত হবে।"
জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান বলেন, "মিলিটারি একাডেমিতে এখন ক্যাডেট নেই। আগে যেমন সুস্থতা ছিল, এখন সে রকম পাই না। এর অন্যতম কারণ হলো, আজকাল তরুণরা শারীরিক কার্যকলাপে খুব বেশি সচেতন না। আগের মতো খেলার মাঠ নেই, দৌড়ঝাঁপও কমে গেছে। খেলা-ধুলায় সুযোগ-সুবিধাও কমে গেছে। এ জন্য আমরা উদ্যোগ নিয়েছি, ম্যারাথনের মাধ্যমে তরুণ প্রজন্মকে সংযুক্ত করবো।"
মন্তব্য করুন
ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) চিকিৎসাধীন মাগুরার সেই শিশুটি মারা গেছে। বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) বেলা ১টার দিকে তাকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা।
সিএমএইচের পেডিয়াট্রিক নিউরোলজি বিভাগের অধ্যাপক কর্নেল নাজমুল হক এবং বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ভেরিফাইড ফেসবুক পেজে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে। এছাড়া শিশুটির মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছে সেনাবাহিনী।
অধ্যাপক কর্নেল নাজমুল হক জানান, সকালে শিশুটির দুই দফায় কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট হয়। প্রথমবার সিপিআর দেওয়ার পর তার হৃদস্পন্দন ফিরে এলেও বেলা ১২টায় আবারও কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট হয়। এবার সিপিআর দেওয়ার পরও তার হৃদস্পন্দন ফিরিয়ে আনা সম্ভব হয়নি। শেষে তাকে মৃত ঘোষণা করা হয়।
সেনাবাহিনীর বিবৃতিতে বলা হয়েছে, অত্যন্ত দুঃখের সাথে জানানো যাচ্ছে যে, মাগুরার নির্যাতিত শিশুটি আজ দুপুর ১টায় ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেছে (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। সিএমএইচের আধুনিক চিকিৎসা ব্যবস্থা এবং বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা সত্ত্বেও তাকে বাঁচানো সম্ভব হয়নি। শিশুটির সকালে তিনবার কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট হয়। দুবার তাকে স্থিতিশীল করা গেলেও তৃতীয়বার আর হৃদস্পন্দন ফিরে আসেনি। গত ৮ মার্চ সংকটাপন্ন অবস্থায় শিশুটিকে ঢাকা সিএমএইচে ভর্তি করা হয়।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, শিশুটির শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি বাংলাদেশ সেনাবাহিনী গভীর সমবেদনা জানাচ্ছে এবং যেকোনো প্রয়োজনে তাদের পাশে থাকার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেছে। এছাড়া শিশুটির বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করেছে সেনাবাহিনী।
মন্তব্য করুন
ডেস্ক রিপোর্ট:
যুক্তরাজ্যের হিথ্রো বিমানবন্দর থেকে নিজে গাড়ি চালিয়ে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে হাসপাতালে নিয়ে যান দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। এই সময় বিমানবন্দর এলাকা নেতাকর্মীদের স্লোগানে মুখরিত হয়ে ওঠে।
বিএনপির মিডিয়া সেলের একটি ভিডিওতে দেখা যায়, একটি কালো গাড়িতে খালেদা জিয়াকে নিয়ে যাচ্ছেন তারেক রহমান। গাড়িটি তিনি নিজেই চালাচ্ছিলেন।
খালেদা জিয়াকে হাসপাতালে নেওয়ার পথে তারেক রহমানের স্ত্রী ডা. জুবাইদা রহমানও গাড়িতে ছিলেন। এই সময়ে গাড়ির দুই পাশে দাঁড়িয়ে নেতাকর্মীরা স্লোগান দিতে থাকেন। প্রিয় নেত্রীর মুখ দেখার সুযোগ করে দিতে গাড়ি কিছুক্ষণের জন্য থামান তারেক রহমান।
বিএনপি চেয়ারপারসনের মিডিয়া উইংয়ের সদস্য শায়রুল কবির খান জানান, লন্ডনে খালেদা জিয়াকে স্বাগত জানাতে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান এবং যুক্তরাজ্য বিএনপির নেতাকর্মীরা আগে থেকেই বিমানবন্দরে অপেক্ষায় ছিলেন।
হিথ্রো বিমানবন্দর থেকে খালেদা জিয়াকে বিশেষ অ্যাম্বুলেন্সে সরাসরি পশ্চিম লন্ডনের ঐতিহ্যবাহী ‘লন্ডন ক্লিনিক’-এ নেওয়া হয়েছে, যেখানে তার চিকিৎসা শুরু হবে। কিছুদিন চিকিৎসার পর তিনি যুক্তরাষ্ট্রের মেরিল্যান্ডে জনস হপকিনস বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে যাবেন।
সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী লিভার সিরোসিস, কিডনি, হার্ট, ডায়াবেটিস, আর্থ্রাইটিসসহ নানা শারীরিক অসুস্থতায় ভুগছেন।
এর আগে, বুধবার বাংলাদেশ সময় বিকেল সোয়া ৩টার দিকে লন্ডনের হিথ্রো বিমানবন্দরে পৌঁছায় খালেদা জিয়াকে বহনকারী এয়ার অ্যাম্বুলেন্স। সেখানে খালেদা জিয়াকে স্বাগত জানান তার বড় ছেলে তারেক রহমান ও তার স্ত্রী জুবাইদা রহমান। বিমানবন্দরে খালেদা জিয়াকে ফুল দিয়ে স্বাগত জানান যুক্তরাজ্যে বাংলাদেশের ভারপ্রাপ্ত হাইকমিশনার হযরত আলী খান।
এছাড়া, খালেদা জিয়াকে স্বাগত জানাতে বিমানবন্দরে উপস্থিত ছিলেন যুক্তরাজ্য বিএনপির সভাপতি এম এ মালেক, সাধারণ সম্পাদক কয়সর এম আহমদসহ অনেক নেতাকর্মী।
এর আগে, বাংলাদেশ সময় ভোর ৬টায় কাতারের দোহা বিমানবন্দরে পৌঁছায় খালেদা জিয়াকে বহনকারী এয়ার অ্যাম্বুলেন্স। সেখানে আড়াই ঘণ্টা বিরতির পর এটি লন্ডনের উদ্দেশে যাত্রা করে।
বুধবার বাংলাদেশ সময় সকাল ৮টা ২৯ মিনিটে কাতার থেকে লন্ডনের হিথ্রো বিমানবন্দরের উদ্দেশে যাত্রা শুরু করে খালেদা জিয়াকে বহনকারী এয়ার অ্যাম্বুলেন্স। যাত্রার আগে কাতারে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত নজরুল ইসলাম খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার খোঁজ-খবর নেন।
তার আগে, গতকাল মঙ্গলবার রাত পৌনে ১২টার দিকে হযরত শাহজালাল (র.) আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে কাতারের আমিরের বিশেষ উপহার রয়েল কাতার আমারি বিশেষায়িত ‘এয়ার অ্যাম্বুলেন্স’ যোগে ঢাকা ত্যাগ করেন খালেদা জিয়া।
মন্তব্য করুন
ডেস্ক রিপোর্টঃ
নর্দান ইউনিভার্সিটির কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং (সিএসই) বিভাগের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র আব্দুল জব্বার। কোটা সংস্কার থেকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে ছিলেন সক্রিয়। সরকার পতনের আগের দিন গত ৪ আগস্ট বিকাল ৩টার দিকে আন্দোলনরত অবস্থায় বুকে, মাথায় ও কোমরে গুলিবিদ্ধ হন। পাশে থাকা বন্ধুরা প্রথমে তাকে স্থানীয় একটি হাসপাতালে নেয়। পরে সেখান থেকে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। অপারেশনের মাধ্যমে তার মাথা ও বুক থেকে গুলি বের করা হলেও কোমরেরটা বের করতে পারেননি চিকিৎসকরা। দুদিন হাসপাতালে রাখার পরে ঢাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালে পাঠানো হয় তাকে।
জব্বারের বাড়ি বরগুনা জেলার পাথরঘাটা উপজেলার কাঠালতলী ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের কালিপুর কালীবাড়ি গ্রামে। দুই ভাই-বোনের মধ্যে তিনি বড়। মা প্রবাসে থাকেন। একমাত্র বোনকে নিয়ে আশুলিয়ায় থাকতেন জব্বার। বোন সেখানে কলেজে ভর্তি হয়েছে। বাবা আবুল কালাম আজাদ ব্যবসায়ী ছিলেন, এখন তার সঙ্গে কোনো যোগাযোগ নেই।
চিকিৎসার সবশেষ তথ্য জানিয়ে তিনি বলেন, ঢাকা মেডিকেল ও বেসরকারি হাসপাতালের চিকিৎসক পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর জানান, যত দ্রুত সম্ভব গুলি বের করা না হলে চিরদিনের জন্য পঙ্গু হতে পারেন। উন্নত চিকিৎসার জন্য প্রয়োজনীয় অর্থ আমার এবং আমার পরিবারের পক্ষে বহন করা সম্ভব নয়। অর্থনৈতিক অবস্থা সংকটের কারণে দুই মাস পার হলেও কোমরের গুলি বের করা সম্ভব হয়ে ওঠেনি। মৃত্যু যন্ত্রণা নিয়ে আমার দিন কাটছে।
গত ৪ আগস্ট ঘটে যাওয়া নির্মমতার বর্ণনা দিয়ে তিনি বলেন, সেদিন সকালে আশুলিয়া থেকে শাহবাগে যেতে চেয়েছিলাম। পরে কিছুক্ষণ ওখানে থেকে বাসায় চলে আসি। আবার কিছুক্ষণ পর বাসা থেকে ইপিজেডের সামনে যাই। সেখানে প্রচুর ছাত্র-জনতা জড়ো হচ্ছিলো। আমি তাদের সঙ্গে মিছিলে যাই। আশুলিয়া থানার সামনে যাওয়ার পরে দেখি পুলিশের গুলিতে অনেকে আহত হয়েছে। শিক্ষার্থীরা আক্রমণ প্রতিহত করার চেষ্টা করছিল। এ সময় পুলিশ সদস্যরা মসজিদের দিকে চলে যায়। তখন তারা আমাদের ওপরে কিছু করবে না বলে জানায়। আমরা এ সময় মিছিল নিয়ে সামনের দিকে এগিয়ে যেতে থাকি। তখন পুলিশ আমাদের একদম কাছাকাছি। এ সময় তারা আমাদের থানার দিকে নেওয়ার চেষ্টা করে এবং গুলি ছুড়তে থাকে। বেশিরভাগ গুলি ছুড়েছে ছাদ এবং টাওয়ারের ওপর থেকে। আমরা কখনো বুঝতে পারিনি এভাবে গুলি করবে। জীবন বাঁচাতে সবাই এদিকে-সেদিকে ছোটাছুটি শুরু করে। এ সময় আমার শরীরে গুলি লাগে।
জব্বার বলেন, আহত হওয়ার পর আশুলিয়ার একটি হাসপাতালে নিলে সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা নেই। ব্যথা কমলে পরের দিন সকালে আমাকে ঢাকা মেডিকেলে নেওয়া হয়। সেখানে দুইদিন রেখে১৪ দিন পরে আবার হাসপাতালে যেতে বলা হয়। পরে হাসপাতালে গেলে চিকিৎসক জানান, অপারেশন করার দরকার নেই, যেভাবে আছে সেভাবেই থাকুক। অপারেশন করলে অনেক ঝুঁকি হয়ে যাবে।
এরপর নিজ উদ্যোগে পিজিতে ভর্তি হই। সেখানে প্রায় ১০-১১ দিনের মতো ভর্তি ছিলাম। চিকিৎসকরা একটি বোর্ড গঠন করেছিলেন। তারা জানান, অপারেশন করলে প্যারালাইজড হওয়ার সম্ভাবনা আছে। নাহলে বুলেট যেভাবে আছে সেভাবে থাকবে। আমার এখন চলাফেরা করতে সমস্যা হয়। হাঁটা-চলা বেশি করলে পায়ে অনেক ব্যথা হয়। যদি বিদেশে যাওয়া লাগে তাহলে তো অনেক অর্থের প্রয়োজন। আর অপারেশনটি করলে যদি আরও খারাপ কিছু হয় সেজন্য চিন্তা-ভাবনা করতে হবে। আমার যদি কিছু হলে মা-বোনকে দেখবে কে।
তিনি আরও বলেন, থার্ড সেমিস্টারের ফাইনাল পরীক্ষা চলছে দিতে পারছি না। পড়াশোনায়ও অনেক ক্ষতি হচ্ছে। এক সময় চিন্তা করতাম বিদেশ যাবো। কিন্তু গত ৫ আগস্টের পর মনে হচ্ছে দেশে থেকেই ভালো কিছু করবো। তবে মানসিকভাবে ভেঙে পড়তে হচ্ছে। মনের মধ্যে একটা দুশ্চিন্তা চলে এসেছে যে, গুলিটা শরীরে থাকলে ভবিষ্যতে বড় কোনো সমস্যা হবে কিনা। আগে একটা স্বাভাবিক শরীর নিয়ে চলাফেরা করেছি, এখন ভিন্ন। সবসময় মনে হয় আমার হিপ জয়েন্টের মধ্যে কিছু একটা আছে।
জব্বারের বোন স্বর্ণা বলেন, ভাইকে নিয়ে আমাদের অনেক স্বপ্ন ছিল। বাবা নেই, ভেবেছিলাম ভাইয়া লেখাপড়া করে সংসারে হাল ধরবে। কিন্তু সঠিক চিকিৎসা না দিতে পারলে তো ভাইয়া আর ভালো হতে পারবে না। ভাইয়া যেন চিকিৎসা নিয়ে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসতে পারে সেজন্য সবার কাছে সহযোগিতা কামনা করছি।
সূত্র-দৈনিক ইত্তেফাক
মন্তব্য করুন
আন্তর্জাতিক উন্মুক্ত দরপত্রের মাধ্যমে আর্জেন্টিনা থেকে আমদানি করা ৫০ হাজার ২০০ মেট্রিক টন গম বাংলাদেশে পৌঁছেছে। এই গম আমদানি করেছে খাদ্য অধিদপ্তর।
বুধবার খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র তথ্য কর্মকর্তা ইমদাদ ইসলাম স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আর্জেন্টিনা থেকে আমদানি করা ৫০ হাজার ২০০ মেট্রিক টন গম নিয়ে এমভি এলপিডা জিআর জাহাজটি চট্টগ্রাম বন্দরে পৌঁছেছে।
জাহাজে থাকা গমের মধ্যে ৩০ হাজার ১২০ মেট্রিক টন চট্টগ্রাম বন্দরে এবং ২০ হাজার ৮০ মেট্রিক টন মোংলা বন্দরে খালাস করা হবে। ইতোমধ্যে চট্টগ্রাম বন্দরে গম খালাসের কাজ শুরু হয়েছে বলেও বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে।
মন্তব্য করুন
ডেস্ক রিপোর্ট:
জুলাই শহিদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক সারজিস আলম বলেছেন, ‘প্রশাসনের যাদের হত্যাযজ্ঞের সঙ্গে জড়িত ছিল, ভিডিও ফুটেজ ও ছবি দেখে তাদের শাস্তির আওতায় আনা উচিত।’
আজ শনিবার সকালে ময়মনসিংহ নগরের টাউনহলের তারেক স্মৃতি অডিটোরিয়ামে জুলাই অভ্যুত্থানে শহিদ হওয়া ৫৫ জনের পরিবারকে আর্থিক অনুদান বিতরণ অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। প্রত্যেক শহিদ পরিবারকে ৫ লাখ টাকা করে অনুদান দেওয়া হয়।
সারজিস আলম আরও বলেন, ‘কালো শকুনদের চক্রান্ত এখনও থামেনি। আপনাদের দোয়ায় যদি আমি বেঁচে থাকতে পারি, তাহলে শহিদ পরিবার ও আহতদের গায়ে একটি আঁচড়ও লাগতে দেব না। শহীদ পরিবার ও আহত ভাইদের কাউকে দুর্দশাগ্রস্ত জীবনযাপন করতে হবে না। এটি করতে হয়তো একটু সময় লাগবে, তবে আমরা আমাদের জীবনের বিনিময়ে সবটুকু দিয়ে সব সময় আপনাদের পাশে থাকব।’
তিনি বলেন, ‘আমাদের সবার দায়িত্ব, যে স্বপ্ন নিয়ে, যে স্পিরিট নিয়ে এই অভ্যুত্থান হয়েছে সেটিকে রক্ষা করা। আমরা একদিকে যেমন সরকারের গঠনমূলক সমালোচনা করব, অপরদিকে প্রশাসনসহ সব স্তরে সার্বিক কাজে সহযোগিতাও করব।’
ময়মনসিংহ বিভাগে ৯২ জন শহিদ হলেও যোগাযোগের সমস্যা কারণে আজ ৫৫ জনকে অনুদান দেওয়া হয়।
অনুষ্ঠানের আগে শহিদ পরিবারের সদস্যদের খোঁজ নিতে গিয়ে তাদের সঙ্গে কথা বলেন সারজিস আলম। অনুষ্ঠানটি উপস্থাপন করেন জুলাই শহিদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মীর মাহবুবুর রহমান স্নিগ্ধ।
অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন ময়মনসিংহ বিভাগের অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (সার্বিক) মো. ইউসুফ আলী, অতিরিক্ত রেঞ্জ ডিআইজি (ক্রাইম) মোহাম্মদ শরিফুর রহমান, জেলা প্রশাসক মুফিদুল আলম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম) শামীম হোসেন, সিভিল সার্জেন অফিসের প্রতিনিধি মেডিকেল অফিসার তুবাউল জান্নান লিমাত, শহিদ আহনাফের মা জারতাজ পারভীন প্রমুখ। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের কয়েকজন কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক ও সহসমন্বয়ক।
মন্তব্য করুন