সম্প্রতি বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশন (বিপিএসসি) ৪৭তম বিসিএসের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে। রোববার (২৯ ডিসেম্বর) সকাল ১০টা থেকে ৪৭তম বিসিএসের আবেদন শুরু হবে। প্রার্থীরা আগামী ৩০ জানুয়ারি রাত ১১টা ৫৯ মিনিট পর্যন্ত আবেদন করতে পারবেন।
পিএসসি সূত্রে জানা গেছে, ৪৭তম বিসিএস থেকে আবেদন ফি ও মৌখিক পরীক্ষার (ভাইভা) নম্বর কমানো হয়েছে। এ বিসিএসে ভাইভা নম্বর ২০০ থেকে কমিয়ে ১০০ করা হয়েছে।
আবেদন ফি ৭০০ টাকার পরিবর্তে ২০০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী, প্রতিবন্ধী এবং তৃতীয় লিঙ্গের প্রার্থীদের জন্য আবেদন ফি ৫০ টাকা ধরা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, গত ৯ ডিসেম্বর থেকে ৪৭তম বিসিএসের আবেদন শুরু হওয়ার কথা থাকলেও আবেদন ফি কমানোর প্রজ্ঞাপন না হওয়ায় আবেদন প্রক্রিয়া স্থগিত করে পিএসসি।
পিএসসি গত ২৮ নভেম্বর ৪৭তম বিসিএসের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে। বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, ১০ ডিসেম্বর সকাল ১০টা থেকে আবেদন শুরু হয়ে ৩১ ডিসেম্বর রাত ১১টা ৫৯ মিনিট পর্যন্ত চলার কথা ছিল। তবে বিশেষ কারণে আবেদন প্রক্রিয়া স্থগিত করা হয়।
এবার প্রথমবারের মতো বিসিএসে আবেদনকারীদের বয়সসীমা ৩২ বছর নির্ধারণ করা হয়েছে।
৪৭তম বিসিএসে ৩ হাজার ৪৮৭টি ক্যাডার এবং ২০১টি নন-ক্যাডার পদে নিয়োগ দেওয়া হবে। সবচেয়ে বেশি শূন্যপদ রয়েছে স্বাস্থ্য ক্যাডারে। সহকারী সার্জন পদে ১,৩৩১টি এবং সহকারী ডেন্টাল সার্জন পদে ৩০টি শূন্যপদে নিয়োগ দেওয়া হবে।
মন্তব্য করুন
ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ) শনিবার সন্ধ্যায় উত্তর ২৪ পরগনা জেলার হাকিমপুর সীমান্ত চৌকির কাছ থেকে বাংলাদেশের এক জ্যেষ্ঠ পুলিশ কর্মকর্তাকে আটক করেছে। তিনি অবৈধভাবে ভারতীয় ভূখণ্ডে প্রবেশের চেষ্টা করছিলেন বলে অভিযোগ বিএসএফের।
বিএসএফ জানায়, সন্ধ্যা ৬টা থেকে ৭টার মধ্যে নিয়মিত টহলের সময় ওই কর্মকর্তাকে সন্দেহজনকভাবে সীমান্ত অতিক্রম করতে দেখে আটক করা হয়। তার কাছ থেকে উদ্ধার হওয়া কাগজপত্রে তিনি বাংলাদেশ পুলিশের একজন সিনিয়র কর্মকর্তা বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে। তবে তদন্তের স্বার্থে তার নাম-পরিচয় প্রকাশ করা হয়নি।
পরে তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
ভারতীয় কর্মকর্তারা জানায়, এ ধরনের ঘটনা অত্যন্ত বিরল। এর আগে কোনো দায়িত্বে থাকা বাংলাদেশি পুলিশ কর্মকর্তা ভারতীয় ভূখণ্ডে এভাবে প্রবেশ করতে গিয়ে ধরা পড়েননি।
ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত বিশ্বের দীর্ঘতম আন্তর্জাতিক সীমান্তগুলোর একটি, যার দৈর্ঘ্য প্রায় ৪ হাজার ৯৬ কিলোমিটার। এর মধ্যে পশ্চিমবঙ্গেই রয়েছে প্রায় ২ হাজার ২১৭ কিলোমিটার। নদীঘেরা ভৌগোলিক অবস্থান, ঘনবসতি এবং শহরাঞ্চলের নিকটবর্তী হওয়ায় উত্তর ২৪ পরগনার সীমান্ত এলাকায় অনুপ্রবেশ, চোরাচালান ও মানবপাচারের ঝুঁকি সবসময়ই বেশি থাকে।
বিএসএফ দীর্ঘদিন ধরে এই সীমান্ত এলাকায় অবৈধ অনুপ্রবেশ, মাদক ও গরু পাচার, জাল মুদ্রা চোরাচালান রোধে কাজ করছে। এ জন্য সীমান্তজুড়ে নজরদারি বাড়ানো, উন্নত প্রযুক্তির ব্যবহার এবং বেড়া নির্মাণের মতো ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
ভারতীয় কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, আটক কর্মকর্তা এককভাবে প্রবেশের চেষ্টা করেছিলেন, নাকি কোনো চক্রের হয়ে কাজ করছিলেন—তা এখনো স্পষ্ট নয়। তদন্ত অব্যাহত রয়েছে।
এক কর্মকর্তা জানান, এ ঘটনা সীমান্তে সর্বক্ষণ সতর্ক থাকার প্রয়োজনীয়তা আরও একবার সামনে এনেছে। পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ ও গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর সঙ্গে সমন্বয় বাড়ানো হয়েছে।
সূত্র: হিন্দুস্তান টাইমস
মন্তব্য করুন
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে রাজধানীর ভাটারা থানার একটি হত্যাচেষ্টা মামলায় গ্রেপ্তার অভিনেত্রী নুসরাত ফারিয়ার জামিন দিয়েছেন আদালত। মঙ্গলবার (২০ মে) ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোস্তাফিজুর রহমানের আদালত শুনানি শেষে এ আদেশ দেন।
আসামিপক্ষের আইনজীবী মোহাম্মদ ইফতেখার হোসেন এ তথ্য জানিয়েছেন।
গতকাল সোমবার (১৯ মে) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সারাহ ফারজানা হকের আদালত এ আদেশ দেন। একইসঙ্গে জামিন শুনানির জন্য ২২ মে দিন ধার্য করা হয়।
এর আগে, রবিবার দুপুরে বাংলাদেশ বিমানের একটি ফ্লাইটে থাইল্যান্ড যাওয়ার সময় ইমিগ্রেশন পুলিশ তাকে আটক করে। পরে ভাটারা থানা পুলিশের কাছে তাকে হস্তান্তর করা হয়। পরে থানা থেকে তাকে ডিবি কার্যালয়ে নেওয়া হয়। সেখানে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।
আলোচিত এ নায়িকার বিরুদ্ধে ২০২৪ সালের বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে হত্যাচেষ্টার ঘটনায় ভাটারা থানায় একটি মামলা রয়েছে। মামলায় তাকে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের বিপক্ষে অবস্থান নিয়ে আওয়ামী লীগের অর্থের জোগানদাতা হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। হত্যাচেষ্টার ওই মামলায় আসামি করা হয়—অপু বিশ্বাস, আসনা হাবিব ভাবনা, নুসরাত ফারিয়া, অভিনেতা জায়েদ খানসহ ১৭ জন তারকাকে।
তাছাড়া সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং তার সরকারের সংশ্লিষ্ট ২৮৩ জন এবং অজ্ঞাতপরিচয় তিন-চার শজনকে ওই মামলায় আসামি করা হয়েছে।
মন্তব্য করুন
নারীর এগিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে আত্মবিশ্বাস অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। যদি কোনো নারী আত্মবিশ্বাস ও নিজের উপর আস্থা রেখে সামনে এগিয়ে যেতে চায়, তাহলে তাকে কেউ দাবিয়ে রাখতে পারে না। নারীর পিছিয়ে থাকার পেছনে অন্যতম কারণ হিসেবে আমি তার মধ্যে আস্থা ও আত্মবিশ্বাসের অভাবকেই দায়ী মনে করি।
আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষে জাতীয় বার্তা সংস্থা বাসসকে দেওয়া বিশেষ সাক্ষাৎকারে এ কথা বলেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফরিদা আখতার।
তিনি বলেন, নারীর একটি ইতিবাচক দিক হলো—সে সামান্য সুযোগ পেলেই তা কাজে লাগিয়ে সামনে এগিয়ে যেতে চায়। নারীর আত্মবিশ্বাস, নিজের উপর আস্থা রাখা এবং কাজের ক্ষেত্রগুলো প্রস্তুত করে সমাজে নিজের অবস্থান তৈরি করতে হয়।
কোনো কোনো ক্ষেত্রে নারীর এগিয়ে যাওয়ার পথে বাধা হয়ে দাঁড়ায় তার পরিবার ও কর্মপরিবেশ। ফরিদা আখতার বলেন, পরিবার বা কর্মক্ষেত্রে নারীর প্রতি সম্মান ও সহযোগিতার বিষয়টিকে গুরুত্ব দিলে নারীর এগিয়ে যাওয়া সহজ হয়।
তিনি আরও বলেন, আন্তর্জাতিক নারী দিবস সারাবিশ্বের পাশাপাশি আমাদের দেশের নারীদের জন্যও গুরুত্বপূর্ণ। একটি দেশের উন্নয়নের মানদণ্ড অনেকটাই নির্ভর করে সেদেশে নারীর অবস্থান ও অবস্থার উপর।
গত ৫ আগস্ট নতুন বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে ছেলেদের পাশাপাশি মেয়েরাও নেতৃত্ব দিয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, সে সময় থেকে একটি প্রতিক্রিয়াশীল গোষ্ঠী মাথাচাড়া দিয়ে উঠার চেষ্টা করছে। কারণ তারা দেখছে, নারীরা যেভাবে এগিয়ে আসছে, তাদের দমাতে হবে। এসব বিষয় আমাদের কারও চোখ এড়ায়নি।
তিনি বলেন, ‘এখানে ধর্মীয় কথাটা না এনে আমি বলছি—একটি প্রতিক্রিয়াশীল গোষ্ঠী মেয়েদের পিছিয়ে দিতে ধর্মের অপব্যবহার করছে। এটা আমার কাছে সঠিক বলে মনে হয়েছে। সম্প্রতি মেয়েদের ফুটবল খেলায় বাধা দেওয়ার চেষ্টা করা হয়েছে, কিন্তু তা সম্ভব হয়নি। নারীদের পিছিয়ে দিতে নানাভাবে দমিয়ে রাখার চেষ্টা চলছে।
তিনি আরও বলেন, এ ধরনের কর্মকাণ্ডকে আমি একদিকে নারী নির্যাতন হিসেবে দেখি, অন্যদিকে এটাকে সন্ত্রাস হিসেবেও দেখি। আইনিভাবে সেই দৃষ্টিকোণ থেকেই এটাকে দেখতে হবে এবং অপরাধীদের সঙ্গে কোনো আপস না করে দ্রুত শাস্তির আওতায় আনতে হবে।
ফরিদা আখতার বলেন, অধিকারের জায়গায় নারীকে নিজের উদ্যোগেই সচেতন হতে হবে। নারীকে তার প্রতিবন্ধকতাগুলো সম্পর্কে সজাগ থাকতে হবে।
নিজের মন্ত্রণালয়ে কর্মরত নারীদের কাজ অনেকটাই অদৃশ্য থেকে যায় উল্লেখ করে উপদেষ্টা বলেন, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের অধিকাংশ কাজ নারীরাই করে থাকে। মাঠপর্যায়ে যেসব খাদ্য উৎপাদন হয়, শাকসবজি চাষ, পশুপাখি ও মৎস্য উৎপাদনের পেছনে নারীর শ্রম রয়ে যায় অনুল্লেখ্য। মাঠ পর্যায়ে অনেক প্রান্তিক নারী নিরলসভাবে কাজ করছে, কিন্তু তাদের কাজের কেউ মূল্যায়ন করছে না। এখন আমার দায়িত্ব হলো এসব নারীদের স্বীকৃতি আদায়ের চেষ্টা করা এবং তাদের কর্মকাণ্ড সমাজের কাছে তুলে ধরা।
তিনি বলেন, ইতিমধ্যে স্থানীয়ভাবে নারী মৎস্যজীবীদের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করার নির্দেশ দিয়েছি, যেন পরিসংখ্যানে এসব লড়াকু নারীদের অংশগ্রহণ দেখতে পাওয়া যায়। শুধু মুখে বা কাগজে-কলমে নারীর উন্নয়নের কথা বললে হবে না। বিভিন্ন সেক্টরে কর্মরত নারীদের কাজের বিষয়টিকে সামনে আনতে হবে। অন্যদিকে, তাদের বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা দেওয়া হলে তারা আরও বেশি কাজে মনোযোগী হবে।
তিনি আরও বলেন, আমি আসলে বদ্ধ ঘরে বসে বক্তৃতার মধ্যে থাকতে চাই না। তাদের নিয়ে কাজ করতে চাই। ৮ মার্চ নারীর জন্য এ দিবসটি নারীর অধিকার ও সংগ্রামের স্বীকৃতি হিসেবে জাতিসংঘ একটি বিশেষ দিন হিসেবে রেখেছে। সুতরাং, এ দিবসটিকে সঠিকভাবে উদযাপন করা উচিত।
ফরিদা আখতার বলেন, ‘নিজের কাজের অভিজ্ঞতা থেকে বলছি, নারী কোথাও কোথাও অনেক পিছিয়ে রয়েছে।’
মন্তব্য করুন
দুর্নীতির মামলায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও তার স্ত্রী ডা. জুবাইদা রহমানকে খালাস দিয়েছেন হাইকোর্ট।
আজ বুধবার বিচারপতি মো. খসরুজ্জামানের একক হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় ঘোষণা করেন।
আদালতে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পক্ষে ছিলেন আইনজীবী আসিফ হাসান। আপিলের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী এস এম শাহজাহান, কায়সার কামাল ও জাকির হোসেন ভূঁইয়া। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মোহাম্মদ আব্দুল করিম।
আইনজীবী এস এম শাহজাহান বলেছেন, যে সম্পত্তিগুলো তারেক রহমানের নামে দেখানো হয়েছে, একটাও জ্ঞাত আয়বহির্ভূত না। একটা টাকা বা একটা সম্পত্তিও বাংলাদেশের বাইরে না।
তিনি বলেন, সেনানিবাসে মইনুল রোডের বাড়িটি শহিদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের পরিবারকে দেওয়া হয়েছিল। সেটাও এ মামলায় দুদক বলছে, এটা তারেক রহমানের অর্জিত সম্পদ এবং এটা অবৈধ সম্পদ। অথচ এটা সরকার নিয়মকানুন মেনে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছিল। আরেকটা সম্পত্তি আছে গুলশানে। সেটাও রাষ্ট্রীয়ভাবে দেওয়া। অথচ মামলায় তারেক রহমানকে দোষী সাব্যস্ত করে সাজা দেওয়া হয়েছিল। বিচারের নামে এ রকম প্রহসন আমি আমার ওকালতি জীবনে দেখিনি।
গত ১৪ মে ডা. জুবাইদা রহমানের তিন বছরের কারাদণ্ডের রায়ের বিরুদ্ধে দায়ের করা আপিল শুনানির জন্য গ্রহণ করেছিলেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে জরিমানা স্থগিত করে ওইদিন আপিল নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত তাকে জামিন দেওয়া হয়।
গত ১৩ মে আপিল দায়েরে ৫৮৭ দিনের বিলম্ব মার্জনা করেন হাইকোর্ট। বিলম্ব মার্জনার পর ডা. জুবাইদা রহমান সাজার রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করেন।
সম্পদের তথ্য গোপন ও জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে ২০০৭ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর তারেক রহমান, জুবাইদা রহমান ও তার মা সৈয়দা ইকবাল মান্দ বানুর বিরুদ্ধে রাজধানীর কাফরুল থানায় মামলা করে দুদক।
এ মামলার বিচার শেষে ২০২৩ সালের ২ আগস্ট জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে তারেক রহমানকে দুই ধারায় মোট নয় বছর এবং তার স্ত্রী ডা. জুবাইদা রহমানকে তিন বছরের কারাদণ্ড দেন ঢাকা মহানগর জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ আদালতের তৎকালীন বিচারক মো. আছাদুজ্জামান।
রায়ে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) আইন, ২০০৪-এর ২৬ (২) ধারায় তারেক রহমানকে তিন বছর এবং ২৭ (১) ধারায় ছয় বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। পাশাপাশি তাকে তিন কোটি টাকা জরিমানা করা হয়।
জুবাইদা রহমানকে ২৭ (১) ধারায় তিন বছরের কারাদণ্ড ও ৩৫ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। পরে এক আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে সরকারের নির্বাহী আদেশে তার সাজা এক বছরের জন্য স্থগিত করা হয়।
মন্তব্য করুন
কৌশলগত পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহার করে সামরিক মহড়া চালানোর ঘোষণা দিয়েছে রাশিয়া। সোমবার (৬ এপ্রিল) এক বিবৃতিতে রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, পশ্চিমা কর্মকর্তাদের কাছ থেকে উস্কানিমূলক হুমকির পরে এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে তারা।
প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, সামরিক মহড়াটি চালানোর নির্দেশ দিয়েছিলেন প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। তবে যুদ্ধের ময়দানে কৌশলগত নয় এমন পারমাণবিক অস্ত্র মোতায়েন ও এর ব্যবহারের প্রস্তুতি নিতেই ওই মহড়ার ব্যবস্থা করা হয়েছিল। ক্ষেপণাস্ত্র স্থাপন বিষয়ক দক্ষিণাঞ্চলীয় সামরিক বিভাগ ও নৌবাহিনী এতে অংশ নেবে।
মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, রুশ ফেডারেশনের বিরুদ্ধে কিছু পশ্চিমা কর্মকর্তাদের উস্কানিমূলক বিবৃতি এবং হুমকির প্রতিক্রিয়ায় রাশিয়ার আঞ্চলিক অখণ্ডতা এবং সার্বভৌমত্ব নিশ্চিত করাই এ মহড়ার লক্ষ্য।
তবে পশ্চিমা দেশগুলো ও ইউক্রেন জানিয়েছে, রুশ বাহিনী পরাজিত না হওয়া পর্যন্ত পিছু হটবে না তারা।
মন্তব্য করুন
ভারতের ওড়িশায় ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনার ‘সম্ভাব্য’ কারণ জানা গেছে। দেশটির সংবাদমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমস জানিয়েছে, দুর্ঘটনায় দুমড়ে-মুচড়ে যাওয়া চেন্নাইগামী করমণ্ডল এক্সপ্রেস ভুল লাইনে ঢুকে পড়ে। এখান থেকেই দুর্ঘটনার সূত্রপাত হয়।
সংবাদমাধ্যমটি জানিয়েছে, নাম গোপন রাখার শর্তে রেলওয়ের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, শুক্রবার (২ জুন) ওড়িশার বালেশ্বরের বাহানগর বাজার স্টেশনের লুপ লাইনে দাঁড়িয়েছিল একটি মালবাহী ট্রেন। ওই সময় চেন্নাইগামী করমণ্ডল ট্রেনের মূল লাইন দিয়ে চলে যাওয়ার কথা ছিল।
কিন্তু মূল লাইনে না গিয়ে এটি লুপ লাইনে ঢুকে পড়ে। দুর্ঘটনার সময় ১২৭ কিলোমিটার গতিতে এগিয়ে আসা করমণ্ডল এক্সপ্রেস অত্যন্ত জোরে মালবাহী ট্রেনকে ধাক্কা দেয়। তখন করমণ্ডল এক্সপ্রেসের কয়েকটি বগি ছিটকে পাশের আরেকটি মূল লাইনে গিয়ে পড়ে। এর কয়েক মিনিটের মধ্যেই বিপরীত দিক থেকে বেঙ্গালুরু থেকে হাওড়াগামী সুপারফাস্ট এক্সপ্রেস চলে আসে। লাইনের ওপর পড়ে থাকা করমণ্ডল ট্রেনের কয়েকটি বগিতে সজোরে ধাক্কা মারে সুপারফাস্ট এক্সপ্রেস। এতেই সবচেয়ে বেশি প্রাণহানির ঘটনা ঘটে।
ভারতের খড়গপুর ডিভিশনের সিগন্যাল রুমের ভিডিওতে দেখা গেছে, বালেশ্বরের ওই স্টেশনের কাছে মোট চারটি লাইন রয়েছে। এর মধ্যে দুটি লুপ লাইন। আর বাকি দুটি মেইন লাইন।
মন্তব্য করুন
অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান বলেছেন, ‘জুলাই গণহত্যার বিচারে আমরা কি প্রতিশোধ নিতে চাচ্ছি এমন অনেক প্রশ্ন আসছে। আমরা বলতে চাই, আমরা প্রতিশোধ নিতে চাচ্ছি না। আমরা বিচার করতে চাচ্ছি। কেন বিচার করতে চাচ্ছি? আমরা আগামী প্রজন্মকে ইতিহাসের একটি দায় থেকে মুক্ত করতে চাচ্ছি।’
শনিবার (২৮ ডিসেম্বর) রাজধানীর খামারবাড়ির কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশনে ‘ঐক্য, সংস্কার ও নির্বাচন’ শীর্ষক দুই দিনব্যাপী জাতীয় সংলাপের আয়োজন ‘ফোরাম ফর বাংলাদেশ স্টাডিজ’ এ অংশ নিয়ে তিনি এ কথা বলেন। শনিবার শেষ দিনের প্রথম পর্বে ‘গুম-খুন থেকে জুলাই গণহত্যা: বিচারের চ্যালেঞ্জ’ শীর্ষক জাতীয় সংলাপ অনুষ্ঠিত হয়। এই পর্বে সঞ্চালক ছিলেন সাংবাদিক মনির হায়দার।
সংলাপে অংশ নিয়ে অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, ‘বর্তমান সময়ে এসে কেউ জমি দখলে ব্যস্ত, কেউ ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য ব্যস্ত, কেউ পদ-পদবী দখলে ব্যস্ত, কেউ নিজস্ব লোক পুনর্বাসনে ব্যস্ত, কিন্তু খুনিদের ধরিয়ে দেওয়ার জন্য, খুনিদের বিচারের জন্য আমাদের উপর যে পরিমাণ চাপ প্রয়োজন ছিল সেদিকে আপনারা ফোকাস করেন নি।’
তিনি বলেন, ‘আপনারা যত বেশি চাপে রাখবেন, আমরা তত বেশি এই বিষয়টাকে (বিচার) সামনের দিকে এগিয়ে নিতে দৃঢ় চেষ্ট থাকবো। আপনারা যত বেশি অতন্দ্র প্রহরীর মত দায়িত্ব পালন করবেন, আমরা রাষ্ট্রকে এবং জনগণের দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে ততবেশি এজেন্ডা ভিত্তিক সাহসিকতা নিয়ে এগিয়ে যাবো।’
দেশে ঐক্যের প্রয়োজন উল্লেখ করে অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, ‘ঐক্য ছাড়া সংস্কার সম্ভব নয়। সংস্কার ছাড়া যৌক্তিক কোন বাংলাদেশ আপনাদের উপহার দেওয়া সম্ভব নয়। ঐক্য ছাড়া, সংস্কার ছাড়া এই বিচার প্রক্রিয়া দ্রুততম সময়ের মধ্যে করাটা কঠিন এবং দুরুহ।’
বিচারের চ্যালেঞ্জ বিষয়ে আলোচনা কম হওয়ায় কিছুটা হতাশা প্রকাশ করে রাষ্ট্রের প্রধান এই আইন কর্মকর্তা বলেন, ‘আমাদের প্রত্যাশা ছিলো চ্যালেঞ্জের জায়গাটা কি সেটা আমাদের বলবেন। আমরা সেটায় যেন যৌক্তিক সমাধানের জায়গায় যেতে পারি, সেটা সুনির্দিষ্টভাবে আমরা পাইনি।’ তিনি বলেন, ‘আমার কাছে চ্যালেঞ্জের প্রধান জায়গাটা হলো, জুলাই বিপ্লবের শহীদদের রক্তের বিনিময়ে যে চেতনায় উদ্ধুদ্ধ হয়ে আমরা রাস্তায় কাঁধে কাঁধ মিলিয়েছিলাম, সেই লক্ষ্য, সেই ইস্পাত কঠিন দৃঢ়তা, সেই কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে, হাতে হাত মিলিয়ে ব্যারিকেড তৈরি করার যে ঐক্য, সেই ঐক্যটাতে যে ফাটল ধরেছে, সেই ফাটলটাই প্রধান চ্যালেঞ্জ।’
বিভিন্ন মিথ্যা মামলা প্রসঙ্গে মো. আসাদুজ্জামান বলেন, ‘পার্সোনাল গ্রাস এক্সপোজ করার জন্য মামলা দিয়েছেন, আসামির খাতায় নাম দিয়েছেন, এই মামলাগুলোর পরিণতি কি হবে এবং এটার সাথে যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনালের যে মামলা তার কোনো কনফ্লিক্ট হবে কি-না প্রশ্ন এসেছে।’
তিনি বলেন, ‘আপনাদের আইনিভাবে, স্পষ্টভাবে বলতে চাই, মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারে যে ট্রাইব্যুনাল গঠন করা হয়েছে, সেই ট্রাইব্যুনাল ১৯৭৩ সালের আন্তর্জাতিক অপরাধ বিশেষ ট্রাইব্যুনাল-১৯৭৩ এর ১৯ নম্বর আইন। সে আইনে মানবতাবিরোধী আইনের যে সংজ্ঞা দেওয়া হয়েছে, যার মধ্যে হত্যা, নির্যাতন, গুমসহ অনেকগুলো অপরাধের কথা বলা হয়েছে, যে অপরাধগুলো রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে সিভিলিয়ান পপুলেশনের উপর ঘটনা ঘটানো হয়েছে, তার বিচার হবে। সেটি একটা দুইটা স্পেসিফিক ঘটনার দরকার নেই। ইন জেনারেল সেটার বিচার হবে। ঐ আইনেই বলা আছে, ডমেস্টিক অন্যান্য আইনে যাই বলা থাকুক না কেন, ঐটার বিচার ওখানে হবে। অর্ডিনারি গুমের বিচার, খুনের বিচার, নির্যাতনের বিচার, নিপীড়নের বিচার, এইগুলো অর্ডিনারি কোর্টে হতে কোন বাধা নেই এবং সেটাও চলবে।’
মন্তব্য করুন
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের আমন্ত্রণে চার দিনের সফরে ঢাকায় এসেছেন জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস। বৃহস্পতিবার বিকালে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে তাকে স্বাগত জানান পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন। প্রায় সাত বছর পর বাংলাদেশে এটি তার দ্বিতীয় সফর। জাতিসংঘ মহাসচিবের এ সফরে আলোচনায় অগ্রাধিকার পাবে রোহিঙ্গা শরণার্থী সংকট। এ ছাড়া মানবাধিকার ইস্যুও গুরুত্ব পাবে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, শুক্রবার (১৪ মার্চ) সকালে হোটেলে মহাসচিবের সঙ্গে প্রথমে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা এবং প্রধান উপদেষ্টার রোহিঙ্গা সমস্যা ও অগ্রাধিকারপ্রাপ্ত বিষয়াবলি-সংক্রান্ত বিশেষ প্রতিনিধি খলিলুর রহমান সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন। এরপর প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ইউনূসের সঙ্গে তার দপ্তরে বৈঠক করবেন জাতিসংঘ মহাসচিব। বৈঠক শেষে তারা বাংলাদেশ বিমানের একটি ফ্লাইটে একসঙ্গে কক্সবাজার যাবেন। সেখান থেকে তারা রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবির পরিদর্শন করবেন। রোহিঙ্গা শিবিরে জাতিসংঘের হয়ে কাজ করা বিভিন্ন সংস্থা নিজ নিজ কার্যক্রম সম্পর্কে জাতিসংঘ মহাসচিবকে ব্রিফ করবেন। শরণার্থী শিবির পরিদর্শনের পর রোহিঙ্গা ও পবিত্র রমজানের প্রতি সংহতি জানিয়ে সবার সঙ্গে ইফতার করবেন জাতিসংঘ মহাসচিব। অন্তত এক লাখ রোহিঙ্গা শরণার্থীর সঙ্গে ইফতার করবেন তিনি। রাতে কক্সবাজার থেকে ঢাকার উদ্দেশে রওনা দেবেন জাতিসংঘ মহাসচিব ও প্রধান উপদেষ্টা।
আগামী শনিবার (১৫ মার্চ) ঢাকায় জাতিসংঘের কার্যালয়ে যাবেন মহাসচিব। সেখানে জাতিসংঘের কর্মীদের সঙ্গে মতবিনিময় করবেন। এরপর দুপুরে হোটেলে ফিরে গোলটেবিল বৈঠকে যোগ দেবেন গুতেরেস। সেখানে বাংলাদেশের যুবসমাজ ও নাগরিক প্রতিনিধিদের সঙ্গে মতবিনিময় করবেন মহাসচিব। এদিন সন্ধ্যায় জাতিসংঘ মহাসচিবের সম্মানে ইফতার ও নৈশভোজের আয়োজন করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ইউনূস। ১৬ মার্চ সকালে ঢাকা ছেড়ে যাওয়ার কথা রয়েছে জাতিসংঘ মহাসচিবের।
উল্লেখ্য, ২০১৮ সালের জুলাই মাসে বাংলাদেশ সফরে এসেছিলেন জাতিসংঘের মহাসচিব গুতেরেস।
মন্তব্য করুন
বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার উন্নত চিকিৎসার জন্য যুক্তরাজ্যের লন্ডন যাত্রা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে আলোচনা চলছিল। এবার জানা গেছে, জানুয়ারির প্রথমার্ধে তিনি লন্ডন যাচ্ছেন। দলীয় সূত্র নিশ্চিত করেছে, তার শারীরিক অবস্থার উন্নতির লক্ষ্যে চিকিৎসার জন্য লন্ডনে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
সোমবার (২৩ ডিসেম্বর) রাতে মেডিকেল বোর্ডের এক বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত করা হয়। সম্ভাব্য যাত্রার তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে ৭ জানুয়ারি। তবে এটি এখনও নিশ্চিত নয়। সবকিছু খালেদা জিয়ার শারীরিক পরিস্থিতির ওপর নির্ভর করছে।
৭৯ বছর বয়সী সাবেক প্রধানমন্ত্রী হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে রওনা হবেন। তার সফরসঙ্গী হিসেবে থাকবেন ১৬ সদস্যের একটি টিম। এ টিমে তার চিকিৎসা বোর্ডের বেশিরভাগ সদস্য, তিনজন দলীয় নেতা, দুজন একান্ত সচিব, একজন প্রটোকল অফিসার, পুত্রবধূ এবং দুজন গৃহকর্মী অন্তর্ভুক্ত রয়েছেন।
হিথ্রো বিমানবন্দরে খালেদা জিয়াকে স্বাগত জানাবেন তার পুত্র ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। দীর্ঘ ৮ বছর পর মায়ের সঙ্গে তারেক রহমানের এ সাক্ষাৎ হবে।
সূত্র জানিয়েছে, খালেদা জিয়ার লন্ডন সফরের সব প্রস্তুতি ইতোমধ্যে সম্পন্ন করা হয়েছে। যুক্তরাজ্যের পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্র ও সৌদি আরবের ভিসা প্রক্রিয়া শেষ হয়েছে। যেসব হাসপাতালে তার চিকিৎসা হবে সেখানকার অ্যাপয়েন্টমেন্টও নিশ্চিত করা হয়েছে।
এর আগে খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসক ও বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য অধ্যাপক ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন এক সংবাদ সম্মেলনে জানান, খালেদা জিয়া শারীরিক ও মানসিকভাবে বিদেশ যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। তার শারীরিক অবস্থা আগের চেয়ে কিছুটা স্থিতিশীল রয়েছে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।
মন্তব্য করুন