যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা এবং স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজিব ভূঁইয়া বলেছেন, জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থান নিয়ে মিথ্যাচার করা হলে তা সহ্য করব না।
রোববার (১৬ ফেব্রুয়ারি) দিবাগত রাত ১টার দিকে সামাজিক মাধ্যম ফেসবুকে এক পোস্টের মাধ্যমে তিনি এ কথা জানান।
আসিফ মাহমুদ তার স্ট্যাটাসে লেখেন, রাজনৈতিক স্বার্থে অনেকে অনেক কিছু বলছেন। তাতে আপত্তি নেই। কিন্তু জুলাই গণঅভ্যুত্থানের ইতিহাস বিকৃত করবেন না।
উপদেষ্টা আরও লেখেন, এই প্রজন্মের রক্তের অর্জন ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থান’ নিয়ে মিথ্যাচার টলারেট করব না। সবকিছু নিয়ে চুপ থাকলেও এটা নিয়ে চুপ থাকা যায় না।
স্ট্যাটাসের শেষে তিনি মিথ্যাচারকারীদের প্রতি ইতিহাস দখলের নোংরা খেলা বন্ধ করার আহ্বান জানান।
মন্তব্য করুন
জাতীয় পর্যায়ে গৌরবোজ্জ্বল ও কৃতিত্বপূর্ণ অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে দেশের সাতজন বিশিষ্ট ব্যক্তিকে ২০২৫ সালের স্বাধীনতা পুরস্কার প্রদান করলেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
মঙ্গলবার (২৫ মার্চ) সকাল সাড়ে ১০টায় রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে এই পদক বিতরণ করা হয়।
এবছর সাতজন বিশিষ্ট ব্যক্তি দেশের সর্বোচ্চ বেসামরিক এই পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন। এরমধ্যে ছয়জনকে মরণোত্তর এই পুরস্কার দেওয়া হয়, তাদের পক্ষে পরিবারের সদস্যরা পুরস্কার গ্রহণ করেন।
এবার যারা স্বাধীনতা পুরস্কার পেলেন তারা হলেন- বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে অধ্যাপক জামাল নজরুল ইসলাম (মরণোত্তর), সাহিত্যে মীর আবদুস শুকুর আল মাহমুদ (মরণোত্তর), সংস্কৃতিতে নভেরা আহমেদ (মরণোত্তর), সমাজসেবায় স্যার ফজলে হাসান আবেদ (মরণোত্তর), মুক্তিযুদ্ধ ও সংস্কৃতিতে মোহাম্মদ মাহবুবুল হক খান ওরফে আজম খান (মরণোত্তর), শিক্ষা ও গবেষণায় বদরুদ্দীন মোহাম্মদ উমর এবং প্রতিবাদী তারুণ্যে আবরার ফাহাদ (মরণোত্তর)।
পুরস্কারের জন্য মনোনীত একমাত্র জীবিত বিশিষ্ট ব্যক্তি বদরুদ্দীন মোহাম্মদ উমর পুরস্কার নেবেন না বলে আগেই জানিয়েছিলেন। শতাধিক গ্রন্থের এই লেখক আজীবন কোনো পুরস্কার গ্রহণ করেননি। তার ব্যক্তিগত এই ভাবনাকে সরকার সম্মান জানায়, তবে তার পুরস্কারের একটি রেপ্লিকা জাতীয় জাদুঘরে রাখা হবে বলে অনুষ্ঠানে জানানো হয়।
মন্তব্য করুন
ডেস্ক রিপোর্টঃ
আওয়ামী লীগ সরকারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ১৮ নভেম্বরের মধ্যে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে হাজিরের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ৪৬ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির সঙ্গে এ আদেশ দেন ট্রাইব্যুনাল।
বৃহস্পতিবার (১৭ অক্টোবর) ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তুজার নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ এ আদেশ দিয়েছেন।
এর আগে চিফ প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম শেখ হাসিনার স্বৈরাচারী শাসন আমলের সব হত্যা, গণহত্যা, বিচার বহির্ভূত হত্যা, পিলখানা হত্যার বর্ণনা আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে তুলে ধরেন। সেই সঙ্গে শেখ হাসিনাসহ ৫০ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা চায় ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউশন টিম।
এ দিন বেলা ১১টার পর ট্রাইব্যুনালের বিচারের কার্যক্রম আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয়। ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বে বিচার কার্যক্রম শুরু হয়। সদস্যরা হলেন- বিচারপতি শফিউল আলম মাহমুদ ও বিচারক মো. মহিতুল হক এনাম চৌধুরী।
মন্তব্য করুন
ডেস্ক রিপোর্ট:
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার বলেছেন, "বাজারে সিন্ডিকেট এখনো বিদ্যমান। হাতবদলের মাধ্যমে দাম বাড়ানো হচ্ছে, আমরা চেষ্টা করছি তা নিয়ন্ত্রণ করার।"
আজ শুক্রবার সকালে রাজধানীর মিরপুরের বনফুল আদিবাসী গ্রিনহার্ট খাদ্য ও শস্য মেলায় এক অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা।
আধুনিক খাদ্য উৎপাদনের নামে সার ও কীটনাশক ব্যবহারের মাধ্যমে বীজ নষ্ট করা হচ্ছে বলে মন্তব্য করেন তিনি। তিনি আরও বলেন, "পাহাড়ে জুম চাষের জমিতে তামাক চাষ করা হচ্ছে, যা নিয়ন্ত্রণে আনা প্রয়োজন।"
উপদেষ্টা ফরিদা আখতার বলেন, "তামাক চাষ পুরোপুরি বন্ধ না করা গেলেও এর উপর নিয়ন্ত্রণ আরোপ করতে হবে।"
তিনি আরও বলেন, "ফিডে এখনো কিছু বিষাক্ত উপাদান রয়ে গেছে, তবে নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করতে সরকার কাজ করছে।"
মন্তব্য করুন
ডেস্ক রিপোর্ট:
রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরের বিনামূল্যের পাঠ্যবইয়ে পরিবর্তন আনা হচ্ছে। জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি) ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের একটি অধ্যায় যুক্ত করতে যাচ্ছে।
এতে থাকবে জুলাই মাসে হওয়া অভ্যুত্থানের গ্রাফিতি এবং দেয়ালে আঁকা কিছু ছবি। পাশাপাশি পাঠ্যবইয়ের পেছনের প্রচ্ছদে থাকা সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবি ও তার উদ্ধৃতিও বাদ দেওয়া হচ্ছে।
কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে গত জুলাইয়ে শুরু হওয়া আন্দোলন আগস্টে এক দফার সরকার পতনের আন্দোলনে রূপ নেয়। গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে সরকার পতন হলে শেখ হাসিনা দেশ ছেড়ে পালিয়ে যান। সহিংস আন্দোলনে অনেক হতাহতের ঘটনা ঘটে।
এনসিটিবি সূত্রে জানা গেছে, পাঠ্যবইয়ে পরিমার্জনের মধ্যে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের চেতনার কিছু প্রতিফলন থাকবে। তবে এই বিষয়গুলো লেখা হিসেবে না রেখে কিছু পাঠ্যবইয়ে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের গ্রাফিতি বা দেয়ালে আঁকা ছবি রাখা হবে। তারা বলছেন, যেহেতু এই অভ্যুত্থানের বিষয়টি অতি নিকট ইতিহাস এবং সময় কম, তাই লেখার পরিবর্তে ছবি ব্যবহার করা হবে। ভবিষ্যতে বিস্তারিত কিছু লেখা হবে।
এনসিটিবি জানিয়েছে, বাংলা, ইতিহাস, বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় বইয়ের প্রচ্ছদে বা বইয়ের কোনো অংশে এসব গ্রাফিতি বা দেয়ালে আঁকা ছবি যুক্ত করা হবে। বর্তমানে পাঠ্যবইয়ের পেছনের পৃষ্ঠায় ছাত্র-জনতার আন্দোলনের ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার যেসব ছবি ও উদ্ধৃতি রয়েছে, সেগুলো বাদ দেওয়া হবে। তার পরিবর্তে কিছু চিরন্তন বাণী যুক্ত হবে। এছাড়া ইতিহাস নির্ভর কিছু বিষয়ও কাটছাঁট করা হচ্ছে।
মন্তব্য করুন
বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন জানিয়েছেন, আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে বাজারে বোরো ধানের চাল আসতে শুরু করবে। তিনি আশা প্রকাশ করে বলেন, নতুন ধান ওঠার পর চালের দাম সহনীয় পর্যায়ে নেমে আসবে।
মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) ভোজ্যতেলের আমদানি, সরবরাহ ও সংশ্লিষ্ট বিষয় নিয়ে এক সভা শেষে তিনি সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।
বাণিজ্য উপদেষ্টা বলেন, "দুর্ভাগ্যবশত গত কয়েক মাস ধরে চালের দাম অস্বাভাবিক হারে বেড়েছে। তবে দুই সপ্তাহের মধ্যে বাজারে বোরো ধানের চাল আসবে। বিশেষ করে নাজিরশাইল বা মিনিকেট জাতের চাল বোরো মৌসুম থেকেই সরবরাহ করা হয়।"
তিনি আরও বলেন, "এ বছর আবহাওয়া অনুকূলে ছিল, বিদ্যুতের সরবরাহও ভালো ছিল। পাশাপাশি সারের পর্যাপ্ত জোগান নিশ্চিত করা গেছে। আমরা আশা করছি, আল্লাহর রহমতে এবারের ফসল ভালো হবে এবং ধানের উৎপাদন বাড়বে। নতুন ফসল বাজারে আসার পর চালের দাম স্থিতিশীল হবে।"
কৃষিপণ্যের মূল্যবৃদ্ধি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, "কৃষিপণ্যের বাজার গতিশীল। তবে আমরা সব পণ্যের দিকেই সতর্ক নজর রাখছি এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিচ্ছি।"
এ সময় ট্রাম্পের প্রতিনিধিদল বাংলাদেশ সফর করলে দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্যিক সহযোগিতা নিয়ে আলোচনার সম্ভাবনা আছে কি না—এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, "এ বিষয়টিই এখন প্রধান বিবেচ্য।"
মন্তব্য করুন
শেখ হাসিনাকে দেশে ফিরিয়ে আনার জন্য ভারতকে চিঠি পাঠিয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। সোমবার (২৩ ডিসেম্বর) দুপুরে এ তথ্য গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন।
তিনি বলেন, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ফেরানোর বিষয়ে ভারত সরকারকে নোট ভারবাল পাঠানো হয়েছে। আমরা বিষয়টি তাদের জানিয়েছি যে, তাকে বিচারিক প্রক্রিয়ার জন্য ফেরত চাওয়া হয়েছে। এই বিষয়ে আমরা প্রয়োজনীয় তথ্য ভারতকে সরবরাহ করেছি।
এর আগে সকালে পিলখানায় বিজিবি দিবস উপলক্ষে আয়োজিত পদক বিতরণ অনুষ্ঠানে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী জানান, শেখ হাসিনাকে দেশে ফেরানোর বিষয়ে ভারতের সঙ্গে যোগাযোগ করার জন্য পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে উদ্যোগ নিতে বলা হয়েছে। বন্দি প্রত্যর্পণ চুক্তির আওতায় তাকে দেশে ফিরিয়ে আনা সম্ভব হবে।
কীভাবে শেখ হাসিনাকে দেশে ফিরিয়ে আনা হবে, জানতে চাইলে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, “ভারতের সঙ্গে আমাদের বন্দি বিনিময় চুক্তি রয়েছে। এই চুক্তির আওতায়ই তাকে ফেরানোর প্রক্রিয়া সম্পন্ন হবে।”
উল্লেখ্য, জুলাই-আগস্টের গণহত্যার মামলায় গত ১৭ অক্টোবর আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে। এরপর তাকে দেশে ফিরিয়ে আনতে বিভিন্ন আইনি পদক্ষেপ নেওয়া শুরু হয়। গত ১৩ নভেম্বর শেখ হাসিনাকে গ্রেপ্তারের জন্য ইন্টারপোলের রেড নোটিশ জারি করার বিষয়ে প্রসিকিউশন পুলিশের মহাপরিদর্শকের কাছে আবেদন করে।
মন্তব্য করুন
রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর অবৈধভাবে পাসপোর্ট নেওয়া ঠেকাতে পুলিশ ভেরিফিকেশন প্রক্রিয়া এখনই তুলে দেওয়া সম্ভব নয় বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। সোমবার সকালে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে পাসপোর্ট অধিদপ্তর পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, পাসপোর্ট প্রদানের ক্ষেত্রে পুলিশ ভেরিফিকেশন প্রক্রিয়া তুলে দেওয়ার বিষয়ে চিন্তাভাবনা চলছে। তবে এই প্রক্রিয়া তুলে দিলে ভুয়া নাম-ঠিকানা ব্যবহার করে অনেকে পাসপোর্ট সংগ্রহের সুযোগ পাবে। এজন্য এখনই এই পদক্ষেপ নেওয়া যাচ্ছে না।
তিনি বলেন, পুলিশ সংস্কার কমিশনের সুপারিশের ভিত্তিতে এই বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
পাসপোর্ট জটিলতা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের সময় এমআরটি (মেশিন রিডেবল টেম্পোরারি) পাসপোর্ট নিয়ে যে জটিলতা তৈরি হয়েছিল, তার সমাধান ইতোমধ্যে করা হয়েছে। আর এমআরটি পাসপোর্ট এখন আর থাকবে না।”
পাসপোর্ট পেতে সাধারণ মানুষ এখনো ভোগান্তির শিকার হচ্ছে উল্লেখ করে তিনি জানান, এই ভোগান্তি কমিয়ে আনার জন্য সরকার কাজ করছে।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা আরও বলেন, “বাংলাদেশে অবস্থানরত বিভিন্ন দেশের বিদেশিদের আগামী ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত বৈধ হওয়ার সুযোগ দেওয়া হয়েছে। এই সময়ের মধ্যে তারা বৈধ কাগজপত্র দেখাতে না পারলে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
এর আগে, গত ১৭ ডিসেম্বর সচিবালয়ে জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় পাসপোর্ট প্রক্রিয়া থেকে পুলিশ ভেরিফিকেশন তুলে দেওয়ার সুপারিশ করেন জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের প্রধান আব্দুল মুয়ীদ চৌধুরী।
মন্তব্য করুন
পতিত আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে সবচেয়ে বেশি ভেঙে পড়েছে বাংলাদেশের নির্বাচন ব্যবস্থা। ভোটের প্রতি আগ্রহ হারিয়েছে মানুষ। এই অবস্থায় আসন্ন নির্বাচনে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ ভোটারদের ভোটকেন্দ্রে নিয়ে আসা। আর সেই চ্যালেঞ্জটাই নিতে চান প্রধান নির্বাচন কমিশনার এ এম এম নাসির উদ্দিন।
ভেঙে পড়া নির্বাচন ব্যবস্থার উত্তরণে দেশের সব মানুষের সহযোগিতা চেয়েছেন এই প্রধান নির্বাচন কমিশনার। ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠায় কাজ করছে তার কমিশন।
সোমবার ঢাকার সাভারে ‘বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোটারযোগ্যদের তথ্য সংগ্রহ শুরুর মাধ্যমে ভোটার তালিকা হালনাগাদ কর্মসূচি’ উদ্বোধনকালে সিইসি বলেন, ‘ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য আমরা জনগণের সহযোগিতা চাই। নির্বাচনী অনিয়ম রুখতে এবং সত্যিকারের নির্বাচন ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠায় কাজ করছে নির্বাচন কমিশন।’
সিইসি জানান, বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোটারযোগ্যদের তথ্য সংগ্রহের এই কর্মসূচি চলবে ৩ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। এরপর বায়োমেট্রিক তথ্য সংগ্রহ, ছবি তোলা এবং অন্যান্য কার্যক্রম সম্পন্ন হবে। সবকিছু শেষ করে জুনের মধ্যে হালনাগাদ কাজ সম্পন্ন করার পরিকল্পনা রয়েছে।
২০০৮ সালের ১ জানুয়ারি অথবা তার আগে যাদের জন্ম হয়েছে, অথচ ভোটার তালিকায় নাম নেই, তাদের অন্তর্ভুক্তির সুযোগ থাকছে। একইসঙ্গে মৃত ভোটারদের তালিকা থেকে বাদ দেওয়া এবং ঠিকানা পরিবর্তনের সুবিধাও রাখা হয়েছে।
নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় জনগণের আস্থা ফেরানোর উপর জোর দিয়ে সিইসি বলেন, ‘যেদিন মানুষ তাদের পছন্দের প্রার্থীকে ভয়ভীতিহীন পরিবেশে ভোট দিতে পারবে, সেদিনই ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠিত হবে। সেই সংগ্রাম আজ থেকে শুরু হলো।’
তিনি আরও বলেন, ‘ভোটের দিন অনিয়ম প্রতিরোধে জনগণকে উদ্বুদ্ধ করতে হবে। ভোটকেন্দ্র দখল কিংবা ব্যালট বাক্স লুটের মতো অনিয়মের বিরুদ্ধে সামাজিক প্রতিরোধ গড়ে তোলা জরুরি।’
তরুণদের ভোটের প্রতি আগ্রহ ফেরানোর আহ্বান জানিয়ে সিইসি বলেন, ‘অনেক তরুণ জানিয়েছেন, তারা ভোট দিতে পারেনি। তাদের ভোটের ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে চাই। এটাই আমাদের যাত্রার সূচনা।’
ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠায় বাঙালিকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়ে সিইসি বলেন, ‘বাঙালি ঐক্যবদ্ধ হয়ে অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে জানে। আমরা জনগণের সাথে আছি এবং তাদের পাশে থেকে সুষ্ঠু ভোট নিশ্চিত করবো।’
সরকার প্রধানের দেওয়া সম্ভাব্য সময়সূচি অনুযায়ী এক থেকে দেড় বছরের মধ্যে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। ইসি সেই সময়কে মাথায় রেখে কাজ করছে বলে জানান সিইসি। তবে বিএনপির পক্ষ থেকে আগামী জুলাই-আগস্টের মধ্যে নির্বাচনের দাবি করা হয়েছে।
সিইসি বলেন, ‘এ যাত্রা লম্বা হতে পারে। তবে আমরা জনগণকে সাথে নিয়ে নির্ভুল ও সুষ্ঠু নির্বাচনী ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে বদ্ধপরিকর।’
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
ডোনাল্ড ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের পর বাংলাদেশই প্রথম দেশ, যে তার প্রশাসনের সঙ্গে কোনো বড় চুক্তি স্বাক্ষর করেছে। এ বিষয়ে নিজের অনুভূতি প্রকাশ করে ফেসবুকে এক পোস্টে বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) নির্বাহী চেয়ারম্যান আশিক চৌধুরী লিখেছেন, "আমরাই প্রথম দেশ, যারা কোনো ডিল সাইন করলাম। সে হিসেবে আমরা বলতে পারবো বাংলাদেশ তার প্রথম পার্টনার।"
সম্প্রতি স্বাক্ষরিত এই বৃহৎ এলএনজি চুক্তি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ইতিবাচক আলোচনা চলছে। চুক্তির মাধ্যমে বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ক আরও দৃঢ় হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
শনিবার (২৫ জানুয়ারি) সকাল ৯টা ৪৬ মিনিটে তিনি লেখেন, ‘বাংলাদেশ সরকার আজকে ট্রাম্পের নতুন এনার্জি এক্সপোর্ট ম্যান্ডেট উপর ভিত্তি করে একটা ল্যান্ডমার্ক এগ্রিমেন্ট সাইন করেছে। ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট হবার পর আমরাই প্রথম দেশ কোনো ডিল সাইন করলাম। ট্রাম্প এর ইলেকশন প্রমিজের মধ্যে 'ড্রিল, বেবী ড্রিল' এই স্লোগানটা বেশ পপুলার ছিলো। সেটা এই এনার্জি এক্সপোর্ট কে ঘিরেই।
আমাদের দেশে গ্যাসের বিশাল সংকট। ইন্ডাস্ট্রিয়াল গ্রোথ, কর্মসংস্থান, ইত্যাদির জন্য আমাদের লং টার্ম গ্যাস সাপ্লাই সলিউশন বের করতেই হবে। মিডল ইস্ট এর বাইরে আমেরিকা একটা ইন্টারেস্টিং অলটারনেটিভ।
কিন্তু এই সাইনিং এর গুরুত্ব অন্য জায়গায়। ইকনমিক ডিপ্লোম্যাসির অ্যাঙ্গেল থেকে। ট্রাম্প সরকারের স্টাইল খুবই ডিফারেন্ট। তারা জাত ব্যবসায়ী। আঁতেল টাইপের কথাবার্তায় নাই। স্ট্রেইট অ্যাকশন দেখতে চায়। লুইজিয়ানার সিনেটর বিল ক্যাসিডি সাইনিং এর কথা শুনে আমাকে বুকে জড়িয়ে ধরলো! আগামী বছরগুলোতে আমরা যখনই বিভিন্ন ইস্যুতে ট্রাম্প এডমিনিস্ট্রেশনের কাছে যাবো, আমরা বলতে পারবো যে বাংলাদেশ কিন্তু তার প্রথম পার্টনার ছিলো। তার আমেরিকা ফার্স্ট এর সাথে আমাদের বাংলাদেশ ফার্স্ট। আর আমাদের জন্য বাংলাদেশের ইন্টারেস্ট ফার্স্ট!
অনেকের কাছে শুনি ট্রাম্প আসার পর নাকি সব শেষ হয়ে যাবে আমাদের। প্রথমত, আমেরিকার ফরেন পলিসি খুব স্টেবল। তারা হঠাৎ ১৮০ ডিগ্রি টার্ন করে না। আর দ্বিতীয়ত, আমরা সৎ হতে পারি, কিন্তু একদম গাধা না। ’
এর আগে, যুক্তরাষ্ট্রের লুইজিয়ানাভিত্তিক আর্জেন্ট এলএনজির সঙ্গে একটি বড় এলএনজি সরবরাহ চুক্তি করেছে বাংলাদেশ সরকার। এ চুক্তির আওতায় বাংলাদেশ বছরে ৫ মিলিয়ন টন (৫০ লাখ টন) তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) কিনবে।
মন্তব্য করুন