ডেস্ক রিপোর্ট:
বর্তমানে জাতি একটি ক্রান্তিলগ্নে পৌঁছেছে জানিয়ে নির্বাচন কমিশনার (ইসি) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ বলেছেন, "একটি সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজন ছাড়া আর কোনো বিকল্প নেই।" আজ সোমবার দুপুরে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
গতকাল রবিবার শপথ গ্রহণের পর আজই প্রথমবারের মতো বৈঠক করে নতুন নির্বাচন কমিশন। বৈঠকের বিষয়ে সাংবাদিকরা জানতে চাইলে আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ বলেন, “নতুন কমিশন দায়িত্ব গ্রহণের পর আজ আমরা কর্মকর্তাদের সঙ্গে পরিচিতি হয়েছি। এই সরকার কেন গঠিত হয়েছে, সে বিষয়টি আলোকপাত করা হয়েছে। জাতির প্রত্যাশা এবং আমাদের উদ্দেশ্য নিয়ে আলোচনা হয়েছে। আমাদের চাওয়া খুবই সাধারণ—একটি সুষ্ঠু নির্বাচন।"
নতুন নির্বাচন কমিশন কী ধরনের চ্যালেঞ্জ অনুভব করছে, এমন প্রশ্নের জবাবে নির্বাচন কমিশনার বলেন, "আমরা কমিশন সমন্বিতভাবে মনে করি, চ্যালেঞ্জের চেয়েও এটি একটি সুযোগ। চ্যালেঞ্জ অবশ্যই থাকবে, তবে চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করাই আমাদের কাজ।"
তিনি আরও বলেন, "আমরা এটাকে সুযোগ হিসেবে বিবেচনা করছি কারণ জাতি একটি ক্রান্তিলগ্নে এসে দাঁড়িয়েছে। এখানে আমাদের আর কোনো বিকল্প নেই, কেবল একটি সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজন ছাড়া। আর আমরা সেই ব্যক্তিরা, যাদের আল্লাহ এখানে নির্ধারণ করে পাঠিয়েছেন এই প্রত্যাশা পূরণের জন্য। আমরা আত্মবিশ্বাসী, আমরা এটি পূরণ করতে সক্ষম হব। আমরা এর জন্য ওয়াদাবদ্ধ।"
মন্তব্য করুন
গাজীপুরের টঙ্গীর তুরাগ নদীর তীরে ৫৮তম বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্বের প্রথম ধাপের আখেরি মোনাজাত সকাল ৯টা ১১ মিনিটে শুরু হয়ে ৯টা ৩৬ মিনিটে শেষ হয়। মাওলানা জুবায়ের আহমেদের নেতৃত্বে এই মোনাজাতে মুসল্লিরা মহান আল্লাহর দরবারে অশ্রুভেজা চোখে ক্ষমা প্রার্থনা করেন। এছাড়াও মোনাজাতে মুসলিম উম্মাহ ও দেশ-জাতির কল্যাণ কামনা করা হয়।
এই দিনে তুরাগ তীরে লাখো মুসল্লির সমাগম ঘটে। চোখ যতদূর যায়, শুধু মুসল্লিদেরই সারি দেখা গেছে। তারা পরম করুণাময় আল্লাহর দরবারে হাত তুলে প্রার্থনা করেন। আখেরি মোনাজাতের আগে সকাল ৬টা থেকে ঢাকার ৩০০ ফিট, ধওর ব্রিজ এবং ভোগড়া বাইপাস মোড় থেকে ইজতেমাগামী সব যানবাহনের চলাচল বন্ধ ছিল। মোনাজাত শেষে মুসল্লিরা ধীরে ধীরে ময়দান ত্যাগ করছেন। এরপরই এসব সড়ক আবারও যান চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হবে।
বিশ্ব ইজতেমার অন্যতম আকর্ষণ হলো যৌতুকবিহীন গণবিয়ে। শনিবার বাদ আসর ইজতেমা ময়দানের মূল বয়ানের মঞ্চে ৬৩ জোড়া দম্পতির বিয়ে সম্পন্ন হয়। ভারতের মাওলানা যোহাইরুল হাসান মোহরে ফাতেমা অনুসারে এই বিয়ের আয়োজন পরিচালনা করেন। ইজতেমা আয়োজক কমিটির সমন্বয়কারী হাবিবুল্লাহ রায়হান বলেন, "প্রতিবারের মতো এবারও ৬৩ জোড়া দম্পতির যৌতুকবিহীন গণবিয়ে অনুষ্ঠিত হয়েছে।"
বৃহস্পতিবার বাদ মাগরিব ভারতের মাওলানা ইব্রাহিম দেওলার আম বয়ানের মাধ্যমে ৫৮তম বিশ্ব ইজতেমার সূচনা হয়। প্রথম পর্বের এই তিন দিনের ইজতেমায় লাখো মুসল্লি অংশ নেন। শুক্রবার অনুষ্ঠিত হয় দেশের বৃহত্তম জুমার জামাত, যেখানে মুসল্লিদের ব্যাপক উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায়।
মন্তব্য করুন
জুলাইয়ে শহিদদের ত্যাগ জাতিকে একটি ন্যায় ও সাম্যভিত্তিক, বৈষম্য ও দুর্নীতিমুক্ত বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্ন দেখিয়েছে বলে মন্তব্য করেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
তিনি বলেন, ‘জুলাই আমাদের নতুন করে আশার আলো- একটি ন্যায় ও সাম্যভিত্তিক, বৈষম্য ও দুর্নীতিমুক্ত বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্ন দেখিয়েছে। হাজারো শহীদের আত্মত্যাগ আমাদের রাষ্ট্র সংস্কারের যে সুযোগ এনে দিয়েছে তা যেকোনো মূল্যে রক্ষা করতে হবে।’ সোমবার (৪ আগস্ট) জুলাই গণঅভ্যুত্থান দিবসে এক বাণীতে প্রধান উপদেষ্টা এসব কথা বলেন।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘পতিত স্বৈরাচার ও তার স্বার্থলোভী গোষ্ঠী এখনও দেশকে ব্যর্থ করার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। দলমত নির্বিশেষে সকলকে ঐক্যবদ্ধভাবে এই ষড়যন্ত্রকে মোকাবিলা করতে হবে। আসুন সবাই মিলে আমরা এমন এক বাংলাদেশ গড়ে তুলি, যেখানে আর কোনো স্বৈরাচারের ঠাঁই হবে না।’
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘বাংলাদেশের ইতিহাসের এক অবিস্মরণীয় দিন আজ। এক বছর আগে এই দিনে জুলাই গণ-অভ্যুত্থান পূর্ণতা পায়, দীর্ঘদিনের ফ্যাসিবাদী শাসন থেকে মুক্ত হয় প্রিয় স্বদেশ। বাংলাদেশের আপামর জনসাধারণ, যাদের যূথবদ্ধ আন্দোলনের ফসল আমাদের এই ঐতিহাসিক অর্জন, তাদের সবাইকে আমি এই দিনে আন্তরিক অভিনন্দন জানাই।
আরও পড়ুন: ফ্যাসিবাদের মূলোৎপাটন করে জুলাইয়ের চেতনার পরিপূর্ণ বাস্তবায়ন করতে হবে: রাষ্ট্রপতি
তিনি বলেন, আজ আমি স্মরণ করছি সেই সব সাহসী তরুণ, শ্রমিক, দিনমজুর ও পেশাজীবীদের, যারা ফ্যাসিবাদী শক্তিকে মোকাবিলা করতে গিয়ে শাহাদত বরণ করেছেন। গণ-অভ্যুত্থানে শাহাদত বরণকারী সবার প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে আহত সকল জুলাই যোদ্ধা, চিরতরে পঙ্গু হওয়া ও দৃষ্টিশক্তি হারানো সকল জুলাই যোদ্ধাকে শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করেন অধ্যাপক ইউনূস।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, টানা ১৬ বছরের স্বৈরাচারী অপশাসনের বিরুদ্ধে সম্মিলিত বিস্ফোরণ ছিল জুলাই গণ-অভ্যুত্থান। জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের মূল লক্ষ্য ছিল— একটি বৈষম্যহীন, দুর্নীতি ও স্বৈরাচারমুক্ত নতুন রাষ্ট্রব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করা। দেশের গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করে রাষ্ট্রকে জনগণের হাতে ফিরিয়ে দেওয়া। অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দায়িত্ব গ্রহণের পরে এ সকল লক্ষ্য বাস্তবায়নে রাষ্ট্রযন্ত্রের সকল খাতে ব্যাপক সংস্কার কার্যক্রম গ্রহণ করেছে বলে উল্লেখ করেন তিনি।
তিনি বলেন, জুলাই গণহত্যার বিচারের কার্যক্রম দ্রুতগতিতে এগিয়ে যাচ্ছে। জুলাই শহিদদের স্মৃতি রক্ষা ও আহত জুলাই যোদ্ধাদের পুনর্বাসনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
ড. ইউনূস বলেন, আমাদের গণতান্ত্রিক অভিযাত্রাকে ত্বরান্বিত করতে রাজনৈতিক ও নির্বাচন ব্যবস্থা এবং প্রয়োজনীয় সকল সংস্কারে রাজনৈতিক দল ও অংশীজনদের সঙ্গে আলোচনা চলমান।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, একটি টেকসই রাজনৈতিক সমাধানের পাশাপাশি শান্তিপূর্ণ, অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের কাছে রাষ্ট্রের সকল ক্ষমতা ফিরিয়ে দিতে অন্তর্বর্তী সরকার অঙ্গীকারবদ্ধ।
মন্তব্য করুন
ডেস্ক রিপোর্ট:
আগামী ২০ জানুয়ারি থেকে বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোটার হালনাগাদ কার্যক্রম শুরু করতে যাচ্ছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। ভোটার হালনাগাদ কর্মসূচি উপলক্ষে বিশেষ নির্দেশনা দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
মঙ্গলবার (১৪ জানুয়ারি) এক পরিপত্রে এই বিশেষ নির্দেশনা দেয় নির্বাচন কমিশন।
পরিপত্রে জানানো হয়, ভোটার তালিকা হালনাগাদ কর্মসূচি, ২০২৫-এ ভোটারযোগ্য ব্যক্তিদের তথ্য সংগ্রহ ও সুপারভাইজার কর্তৃক যাচাই ২০ জানুয়ারি থেকে ৩ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ভোটারদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে সম্পন্ন করা হবে। ২০০৮ সালের ১ জানুয়ারি অথবা তার পূর্বে যাদের জন্ম তাদের ও বিগত ভোটার তালিকা হালনাগাদ কার্যক্রমে যারা বাদ পড়েছেন তাদের ভোটার তালিকাভুক্তি ও মৃত ভোটারদের তালিকা থেকে কর্তন এবং আবাসস্থল পরিবর্তনের কারণে স্থানান্তরের বিষয়েও কার্যক্রম গৃহীত হবে।
এ কর্মসূচিতে হিজড়া জনগোষ্ঠীদের নাম ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করতে পারবেন।
কর্মসূচির বিশেষ নির্দেশনাগুলো হচ্ছে-
১। ২০০৮ সালের ১ জানুয়ারি বা তার পূর্বে যাদের জন্ম তাদের ও বিগত ভোটার তালিকা হালনাগাদ কার্যক্রমে যারা বাদ পড়েছেন তাদের তথ্য বাড়ি বাড়ি গিয়ে সংগ্রহ করা;
২। তথ্য সংগ্রহকালে কোনো ব্যক্তির তথ্য ফরম পূরণের পূর্বে তিনি ইতোপূর্বে ভোটার হয়েছেন কি না তা অবশ্যই নিশ্চিত করা;
৩। বাদ পড়া ভোটারদের ক্ষেত্রে বাদ পড়ার কারণ যাচাইপূর্বক নিশ্চিত হওয়া;
৪। কোনো ব্যক্তির নামের আগে বা পরে কোনো পেশা, খেতাব, পদবি, অর্জিত শিক্ষাগত যোগ্যতা ইত্যাদি সংযুক্ত না করা;
৫। ভোটারযোগ্য ব্যক্তির বাংলা নামের ইংরেজি বানান যথাযথভাবে লিপিবদ্ধ করা;
৬। বাড়ি বাড়ি গমনের সময় ভোটারযোগ্য অনুপুস্থিত ব্যক্তিদের তথ্যাদি অবশ্যই রেজিস্টারে লিপিবদ্ধ করা;
৭। নিবন্ধন কেন্দ্রে আসার জন্য নিবন্ধন স্লিপ (ফরম-৫) ফরম পূরণের সঙ্গে সঙ্গে প্রদান করা;
৮। সুপারভাইজার কর্তৃক তথ্য সংগ্রহকারীদের প্রতিদিনের তথ্য সংগ্রহের কাজ তদারকি ও নমুনা যাচাই করা;
৯। সুপারভাইজাররা তথ্য সংগ্রহকারীর পূরণকৃত ফরমের কিছু অংশ দৈবচয়নের ভিত্তিতে বাড়ি বাড়ি গমন করে শুদ্ধতা যাচাই করা এবং কোনো ভুল ধরা পড়লে তা শুদ্ধ করা;
১০। ভোটারযোগ্য নারীদের নিবন্ধনের বিষয়টি অবশ্যই নিশ্চিত করা, অর্থাৎ কোনোক্রমেই ভোটারযোগ্য কোনো নারী যেন বাদ না পড়েন তা তথ্য সংগ্রহকারী ও সুপারভাইজার কর্তৃক নিশ্চিত করা;
১১। নিবন্ধন ফরম পূরণকারীদের নিবন্ধন কেন্দ্রে উপস্থিতির বিষয়টি নিশ্চিত করা;
১২। বিশেষ এলাকার জন্য তথ্য ফরম পূরণের ক্ষেত্রে বিশেষভাবে নজর দেওয়া। বিশেষ তথ্য ফরম পূরণের সময় সংশ্লিষ্ট তথ্য যাচাই করে অন্তর্ভুক্ত করা। বিশেষ এলাকাসমূহের জন্য নিবন্ধন ফরম-২ এর সঙ্গে বিশেষ তথ্য ফরমও পূরণ করা;
১৩। এক এলাকা থেকে অন্য এলাকায় ভোটার স্থানান্তরের আবেদন সংশ্লিষ্ট কাগজপত্রসহ ভোটার কর্তৃক রেজিস্ট্রেশন অফিসারের নিকট দাখিল করা;
১৪। মৃত ভোটারের নাম কর্তনের জন্য ফরম-১২ এ তথ্য সংগ্রহকালে সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করা। কোনোক্রমেই জীবিত ভোটারের নাম মৃত হিসেবে যেন তথ্য সংগ্রহ না করা হয় সেজন্য সতর্ক থাকা;
১৫। সুপারভাইজার, তথ্য সংগ্রহকারী ও শনাক্তকারীর জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর সুস্পষ্টভাবে লিখা; এবং
১৬। কোনোক্রমেই রোহিঙ্গা এবং ভিনদেশি ব্যক্তিদের তথ্য যেন সংগৃহীত না হয় সে বিষয়ে সর্বোচ্চ সতর্ক থাকা।
মন্তব্য করুন
গত বছরের আগস্ট মাসে ড. মুহাম্মদ ইউনূস যখন বাংলাদেশে ফিরে আসেন, তখন তাকে বেশ কিছু দুঃখজনক ঘটনার মধ্য দিয়ে স্বাগত জানানো হয়। সে সময় রাস্তাঘাট রক্তে রঞ্জিত ছিল। পুলিশের গুলিতে নিহত এক হাজারেরও বেশি বিক্ষোভকারী ও শিশুর লাশ মর্গে স্তূপ করে রাখা হয়েছিল।
গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার ব্যাপক আন্দোলনের মুখে শেখ হাসিনার ১৫ বছরের কর্তৃত্ববাদী শাসনের অবসান ঘটে। তার নৃশংসতার প্রতিশোধ নিতে সাধারণ মানুষ তার বাসভবনের দিকে ধাবিত হয়। কিন্তু এরই মধ্যে শেখ হাসিনা হেলিকপ্টারে করে দেশ ছেড়ে ভারতে পালিয়ে যান।
৮৪ বছর বয়সী ড. মুহাম্মদ ইউনূস একজন বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ, যিনি দরিদ্রদের ক্ষুদ্রঋণ প্রদানের জন্য নোবেল পুরস্কার পেয়েছেন। তিনি অনেক আগেই রাজনৈতিক উচ্চাকাঙ্ক্ষা ত্যাগ করেছিলেন। হাসিনা সরকারের আমলে তিনি বছরের পর বছর ধরে নানা ধরনের হয়রানি ও নির্যাতনের শিকার হন। মূলত শেখ হাসিনা ড. ইউনূসকে তার রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে দেখতেন। ড. ইউনূসের জীবনের বেশিরভাগ সময়ই দেশের বাইরে কেটেছে।
তবে যখন ছাত্র-জনতা তাকে বাংলাদেশের গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের জন্য একটি অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের নেতৃত্ব দিতে অনুরোধ করেন, তখন তিনি এ দায়িত্ব গ্রহণে রাজি হন।
দ্য গার্ডিয়ানকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, শেখ হাসিনা দেশের যে ক্ষতি করেছেন তা নজিরবিহীন। তিনি বাংলাদেশের অবস্থা বর্ণনা করতে গিয়ে বলেন, এটি ছিল সম্পূর্ণরূপে বিধ্বস্ত একটি দেশ, অনেকটা গাজাএর মতো। ভবনগুলো ধ্বংস করা না হলেও পুরো প্রতিষ্ঠান, নীতি, মানুষ, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক সবকিছু ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছে।
শেখ হাসিনার শাসনামল নিয়ে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, হাসিনার শাসনামলে কোনো সরকার ছিল না, ছিল একটি দস্যু পারিবারিক শাসন। সরকারপ্রধানের যেকোনো আদেশই তখন পালিত হতো। হাসিনার আমলে দুর্নীতির মাত্রা এত বেশি ছিল যে এতে ব্যাংকিং খাত এবং অর্থনীতি ধসে পড়েছে।
হাসিনার আত্মীয়স্বজনেরাও আর্থিক কেলেঙ্কারিতে জড়িয়ে পড়েন। তার বোনের মেয়ে এবং যুক্তরাজ্যের সাবেক লেবার পার্টির এমপি টিউলিপ সিদ্দিকও এতে জড়িত ছিলেন। বাংলাদেশে দুর্নীতির তদন্তে তার নাম আসার পর তাকে পদত্যাগ করতে হয়। যদিও তিনি সব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
গার্ডিয়ানকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ড. ইউনূস প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে ‘ডিলমেকার’ হিসেবে আখ্যায়িত করেন। তিনি ট্রাম্পকে বাংলাদেশকে যুক্তরাষ্ট্রের কৌশলগত অংশীদার হিসেবে দেখার জন্য অনুরোধ করেন। ড. ইউনূস বলেন, আসুন, আমাদের সঙ্গে চুক্তি করুন। তিনি স্বীকার করেন যে ট্রাম্পের প্রত্যাখ্যান বাংলাদেশের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে। তবে তিনি দৃঢ়ভাবে জানান, সম্পর্ক উন্নয়নের এই গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া থেমে থাকবে না।
ট্রাম্প প্রশাসন বাংলাদেশের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ইউএসএআইডি তহবিল কাটছাঁট করেছে এবং বাংলাদেশের ওপর অভিযোগ এনেছে যে, তারা সাহায্যের অর্থ ‘চরম বামপন্থি কমিউনিস্ট’ নির্বাচনে ব্যবহার করেছে। এর ফলে বাংলাদেশের উন্নয়ন প্রকল্পগুলো ঝুঁকির মুখে পড়েছে এবং ড. ইউনূসের অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা আনার প্রচেষ্টা বাধাগ্রস্ত হচ্ছে।
এই পরিস্থিতি মোকাবিলায় ড. ইউনূস ট্রাম্পের সঙ্গে ইলন মাস্কের জোটকে কাজে লাগানোর চেষ্টা করছেন। তিনি এই বিলিয়নিয়ারকে বাংলাদেশে স্টারলিংকের স্যাটেলাইট ইন্টারনেট পরিষেবা চালুর জন্য আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। এপ্রিল মাসে মাস্কের বাংলাদেশ সফরের সম্ভাবনা রয়েছে, যা বাংলাদেশের অবকাঠামো আধুনিকীকরণের পাশাপাশি ট্রাম্প প্রশাসনের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নের একটি কৌশলগত পদক্ষেপ হিসেবে দেখা হচ্ছে।
মন্তব্য করুন
অন্তর্বর্তী সরকারের অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, সঞ্চয়পত্রের মুনাফা হার বাড়িয়ে দিলে সবাই সঞ্চয়পত্র কিনবে, ব্যাংকে টাকা রাখবে না। ব্যাংকেও তো তারল্যের ব্যাপার আছে। ব্যালেন্স করে দেখতে হবে। সঞ্চয়পত্র বিক্রি করে দিলে ব্যাংক কোত্থেকে টাকা পাবে?
আজ শনিবার দুপুর দেড়টার দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে সরকারি কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
ব্যাংক পুনর্বাসনের বিষয়ে অর্থ উপদেষ্টা জানান, খারাপ ব্যাংকগুলোকে বাংলাদেশ ব্যাংক পুনর্বাসনের চেষ্টা করছে। ইসলামী ব্যাংক এর একটি উদাহরণ। এ ব্যাংকে আস্থা ফিরে আসছে। অন্য ব্যাংকগুলোর জন্য ব্যাংক রেজুলেশন অ্যাক্ট করা হয়েছে। এটার প্রথম শর্ত হলো যারা ব্যাংকে টাকা জমা দিয়েছে, তাদের টাকা ফেরত দেওয়ার জন্য সরকার অঙ্গীকারবদ্ধ। কারও টাকা মার যাবে না। একটু সময় লাগতে পারে। কারণ টাকা নিয়ে চলে গেছে অনেকে। পৃথিবীর কোনো দেশে এরকম ঘটনা ঘটেনি।
এনবিআরে চলমান অস্থিরতা প্রসঙ্গে উপদেষ্টা বলেন, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সমস্যা সমাধানে তাদের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা হচ্ছে। আলোচনার মাধ্যমে যা যা করা লাগবে আমরা করব। পাঁচ সদস্যের একটি শক্তিশালী কমিটিও করে দেওয়া হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, বিদেশি বিনিয়োগকারী আনতে আমরা নিশ্চিত করছি ব্যবসার জন্য ১০-১২ জায়গায় যেতে না হয়। যত ধরনের ছাড়পত্র আছে, সেগুলো আমরা কেন্দ্রীয়করণের চেষ্টা করছি।
এ সময় উপদেষ্টার সঙ্গে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ দিদারুল আলম, নবীনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রাজীব চৌধুরী, নবীনগর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার পিয়াস বসাক প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
মন্তব্য করুন
ডেস্ক রিপোর্ট:
চলমান কোটা আন্দোলন ইস্যু নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, কোটার বিষয়টি আদালতের কাছে চলে গেছে। এখানে আমার দাঁড়ানোর কোনো অধিকার নেই। কোটের বিষয়টি কোটেই সমাধান করতে হবে।
রোববার (১৪ জুলাই) চীন সফর নিয়ে সংবাদ সম্মেলন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সাংবাদিকের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, যারা আন্দোলন করছে তারা আইন মানবে না, আদালত মানবে না আইন মানবে না। সংবিধান কী তা তারা চেনে না। একটা সরকার কীভাবে চলে তা সম্পর্কে আন্দোলনকারীদের কোনো জ্ঞানই নেই।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের সংবিধান কী বলে তা তাদের জানা উচিত। এখন আদালত তাদের সুযোগ দিয়েছে। তারা আদালতে যাক। কিন্তু তারা আদালতে না গিয়ে রাজপথে দাবি আদায় করতে চায়।
তিনি বলেন, সমাধান আদালতের মাধ্যমেই হতে হবে। আদালতের রায় মানতে হবে। আর যদি না মানে তাহলে কিছু করার নেই। তারা রাজপথে আন্দোলন করতেই থাকবে করুক। তবে ধ্বংসাত্মক কিছু করতে পারবে না।
শেখ হাসিনা বলেন, তারা যদি কাউকে আঘাত করতে চায়। পুলিশের ঘাড়িতে হামলা করতে চায় তাহলে আইন তার নিজস্ব গতিতে চলবে এখানে আমার কিছু করার নেই।
প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে রোববার বিকাল ৪টায় এ সংবাদ সম্মেলন শুরু হয়।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চীনের প্রধানমন্ত্রী লি কিয়াংয়ের আমন্ত্রণে গত সোমবার সরকারি সফরে বেইজিং যান। তিনি বৃহস্পতিবার দেশে ফেরেন। বেইজিংয়ে অবস্থানকালে শেখ হাসিনা চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে বৈঠক করেন। তিনি চীনের প্রধানমন্ত্রী লি কিয়াংয়ের সঙ্গেও দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করেন।
বুধবার প্রতিনিধি পর্যায়ের দ্বিপাক্ষিক বৈঠকের পর বাংলাদেশ ও চীন ২১টি সহযোগিতার নথিতে সই এবং নবায়ন করেছে। এসবের বেশিরভাগই সমঝোতা স্মারক। বৈঠকে এশিয়ার এই দুই দেশের মধ্যে শক্তিশালী উন্নয়ন এবং অর্থনৈতিক সহযোগিতার ওপর গুরুত্ব দেওয়া হয়। বাংলাদেশ ও চীন উভয়েই মুক্ত বাণিজ্য চুক্তির (এফটিএ) বিষয়ে যৌথ সম্ভাব্যতা সমীক্ষার সমাপ্তিসহ সাতটি ঘোষণা পত্র সই করেছে।
মন্তব্য করুন
বাংলাদেশ পুলিশের চারজন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাকে বদলি করেছে অন্তর্বর্তী সরকার। তাদের মধ্যে একজন অতিরিক্ত আইজিপি এবং দুইজন ডিআইজি রয়েছেন।
বুধবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ, পুলিশ-১ শাখা থেকে এক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে এই বদলির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
উপসচিব আবু সাঈদ স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়েছে, বিসিএস (পুলিশ) ক্যাডারের এসব কর্মকর্তাদের বদলি বা পদায়ন করা হয়েছে। জনস্বার্থে জারিকৃত এই আদেশ অবিলম্বে কার্যকর হবে।
প্রজ্ঞাপনটি দেখতে ক্লিক করুন
মন্তব্য করুন
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার টোকিও সফর বাংলাদেশ ও জাপানের বিদ্যমান দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে সমন্বিত অংশীদারিত্ব থেকে কৌশলগত অংশীদারিত্বে উন্নীত করেছে। এ সফরকে কৌশলগত এবং অর্থনৈতিক দিক থেকে একটা অর্জন হিসেবে দেখা হচ্ছে। আশা করা হচ্ছে, অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্জনে সামনের দিনগুলোতে জাপানের আরও সহযোগিতা মিলবে এবং কৌশলগত বন্ধু হিসেবে দেশটির সমর্থন পাওয়া যাবে।
তবে একই সঙ্গে এই সফর ঘিরে কিছু প্রশ্নও সামনে এসেছে। যেমন প্রশ্ন এসেছে চীনকে একপাশে রেখে বাংলাদেশ কি জাপান-যুক্তরাষ্ট্র জোটের দিকে বেশি ঝুঁকে যাচ্ছে? বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক কূটনীতি কি নিরপেক্ষতার আবরণ ভেঙে বিশেষ কোনো দিকে মোড় নিচ্ছে?
এ বিষয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা এবং আন্তর্জাতিক সম্পর্কের বিশ্লেষকদের বক্তব্য ও বিশ্লেষণ জানার চেষ্টা করেছে ঢাকা পোস্ট।
মন্তব্য করুন
বাংলাদেশ পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বাহারুল আলম দেশের সীমান্তবর্তী জেলাগুলোর পুলিশ সুপারদের সতর্কতা অবলম্বনের নির্দেশ দিয়েছেন।
বুধবার (৭ মে) বিকেলে রাজধানীর গুলশানে বাংলাদেশ পুলিশ বার্ষিক শ্যুটিং প্রতিযোগিতা ২০২৪-এর সমাপনী ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে তিনি এ নির্দেশনা দেন।
আইজিপি বলেন, ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধের প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশের নিরাপত্তা যেন কোনোভাবে বিঘ্নিত না হয়, সেই লক্ষ্যে সীমান্তবর্তী এলাকাগুলোতে বিশেষ নজরদারি জোরদার করা হয়েছে। তিনি আরও উল্লেখ করেন, জঙ্গি বা সন্ত্রাসী গোষ্ঠী যেন কোনোভাবেই দেশে অনুপ্রবেশ করতে না পারে, সে বিষয়ে কঠোর নিয়ন্ত্রণ রাখতে হবে।
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ পুলিশ ক্লাবের সভাপতি ও পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)-এর অতিরিক্ত আইজিপি মো. মোস্তফা কামালসহ অন্যান্য উচ্চপদস্থ পুলিশ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
মন্তব্য করুন
ডেস্ক রিপোর্টঃ
রাষ্ট্রপতির পদত্যাগের দাবিতে দ্রুতই রাজপথে কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে বলে জানিয়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক আব্দুল হান্নান মাসউদ।
কোটাবিরোধী আন্দোলনের সময় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সাধারণ শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার অভিযোগে শেখ হাসিনাসহ ছাত্রলীগের নেতাদের বিরুদ্ধে শাহবাগ থানায় মামলা দায়েরের সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি।
আব্দুল হান্নান মাসউদ বলেন, শেখ হাসিনার পদত্যাগ বিষয়ে রাষ্ট্রপতি জাতির সঙ্গে প্রতারণা করেছেন। রাষ্ট্রপতি তার পদে থাকার যোগ্যতা হারিয়েছেন, দ্রুত তাকে পদত্যাগ করতে হবে। দ্রুতই রাষ্ট্রপতির পদত্যাগের দাবিতে রাজপথের কর্মসূচি ঘোষণা করবে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। কোনোভাবেই আর রাষ্ট্রপতিকে পদে দেখতে চাই না।
এর আগে ১৫ জুলাই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সাধারণ শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার অভিযোগে শেখ হাসিনা ও ওবায়দুল কাদেরকে আসামি করে শাহবাগ থানায় মামলা করেছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক মাহিন সরকার। আসামি হিসেবে আছেন ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি ও সেক্রেটারি এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শাখা সভাপতি ও সেক্রেটারিও। ৩৮৭ জনের নাম উল্লেখ করে ১ হাজার অজ্ঞাতনামার বিরুদ্ধে এ মামলা হয়েছে।
সম্প্রতি মানবজমিন পত্রিকায় সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের একটি সাক্ষাৎকার নেন। গত শনিবার (১৯ অক্টোবর) পত্রিকার রাজনৈতিক ম্যাগাজিন সংস্করণ ‘জনতার চোখ’- এ সাক্ষাতকারটি প্রকাশিত হয়।
‘উনি তো কিছুই বলে গেলেন না...’ শিরোনামে প্রকাশিত লেখায় মতিউর রহমান উল্লেখ করেন, তিন সপ্তাহ ধরে তিনি শেখ হাসিনার পদত্যাগপত্রের বিষয়ে অনুসন্ধান চালিয়েছেন। প্রেসিডেন্ট, প্রধানমন্ত্রী ও মন্ত্রীদের পদত্যাগপত্র থাকার কথা যে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে সেখানেও তিনি খোঁজ নিয়েছেন। শেষ পর্যন্ত বঙ্গভবনে প্রেসিডেন্ট সাহাবুদ্দিনের মুখোমুখি হন।
সেখানে আলাপচারিতার একপর্যায়ে তিনি রাষ্ট্রপতির কাছে জানতে চান, আপনার কাছে কি সাবেক প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগপত্রটা আছে? জবাবে রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘আমি শুনেছি তিনি পদত্যাগ করেছেন। কিন্তু আমার কাছে কোনো দালিলিক প্রমাণ নেই। বহু চেষ্টা করেও আমি ব্যর্থ হয়েছি। তিনি হয়তো সময় পাননি’।
রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘৫ই আগস্ট সকাল সাড়ে দশটায় বঙ্গভবনে ফোন এলো প্রধানমন্ত্রীর বাসভবন থেকে। বলা হলো, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বঙ্গভবনে আসবেন মহামান্য প্রেসিডেন্টের সঙ্গে সাক্ষাতের জন্য। এটা শুনেই প্রস্তুতি শুরু হলো বঙ্গভবনে। ঘণ্টাখানেকের মধ্যেই ফোন এলো তিনি (শেখ হাসিনা) আসছেন না’।
মন্তব্য করুন