

বাংলাদেশ আর্থিক গোয়েন্দা ইউনিট (বিএফআইইউ) সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার বোন শেখ রেহানার ব্যাংক হিসাবের তথ্য তলব করেছে। একইসঙ্গে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেমোরিয়াল ট্রাস্টের ব্যাংক হিসাবের তথ্যও তলব করা হয়েছে।
সোমবার (৯ ডিসেম্বর) বাংলাদেশ ব্যাংকের আর্থিক গোয়েন্দা সংস্থা বিএফআইইউ দেশের ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের কাছে এ সংক্রান্ত নির্দেশনা পাঠিয়ে অ্যাকাউন্টের তথ্য তলব করেছে।
বিএফআইইউর এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এ নির্দেশের মাধ্যমে মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ বিধিমালা সংশ্লিষ্ট ধারা প্রযোজ্য হবে বলে বিএফআইইউর চিঠিতে বলা হয়েছে। চিঠিতে তলব করা ব্যক্তির নাম, জাতীয় পরিচয়পত্রের তথ্য দেওয়া হয়েছে।
বিএফআইইউর নির্দেশনায় আরও বলা হয়েছে, হিসাব তলব করা ব্যক্তিদের সংশ্লিষ্ট তথ্য বা দলিল যেমন হিসাব খোলার ফরম, কেওয়াইসি ও লেনদেন বিবরণী ইত্যাদি চিঠি দেওয়ার তারিখ থেকে ৫ কার্যদিবসের মধ্যে বিএফআইইউতে পাঠানোর জন্য ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে বলা হয়েছে।
বিএফআইইউর সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা জানান, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেমোরিয়াল ট্রাস্টের অ্যাকাউন্টে কোথা থেকে কীভাবে টাকা এসেছে, তা জানাতে বলা হয়েছে।
এছাড়া সেই অর্থ পরবর্তী সময়ে কোথায় খরচ হয়েছে, নগদে উত্তোলন হয়েছে কি না, এসব বিস্তারিত তথ্যও চাওয়া হয়েছে। চিঠিতে এই ট্রাস্টের ঠিকানা ধানমন্ডির ৩২ নম্বর সড়কের বঙ্গবন্ধু ভবন উল্লেখ করা হয়েছে। ট্রাস্টের চেয়ারম্যান শেখ হাসিনা। তার বোন শেখ রেহানা অন্যতম ট্রাস্টি।
এছাড়া অন্য যারা এই ট্রাস্টের সঙ্গে জড়িত কিংবা যেসব অ্যাকাউন্টে ট্রাস্টের হিসাব থেকে অর্থ স্থানান্তর হয়েছে, জমা হয়েছে, তাদের তথ্যও দিতে বলা হয়েছে।
বিএফআইইউর আরেক চিঠিতে গোপালগঞ্জের বাসিন্দা ও ধারাভাষ্যকার চৌধুরী জাফরুল্লাহ সরাফাত, তার ভাই চৌধুরী হাবিবুল্লাহ সরাফাত, এবং তাদের মা ডালিয়া চৌধুরী-র হিসাবের তথ্য চাওয়া হয়েছে।
এর আগে, তাদের আরেক ভাই ও পদ্মা ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান চৌধুরী নাফিজ সরাফাতের ব্যাংক হিসাব জব্দ করে বিএফআইইউ। তাদের পরিবারের সঙ্গে শেখ হাসিনা পরিবারের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে।
মন্তব্য করুন


আওয়ামী লীগ সরকার পতনের দিন ৫ আগস্ট সকাল থেকে রাত আড়াইটা পর্যন্ত স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী ও সাবেক আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকসহ ১২ জন জাতীয় সংসদ ভবনের একটি কক্ষে আত্মগোপন করেছিলেন। পরবর্তীতে সেনাবাহিনী তাদের উদ্ধার করে নিরাপদ স্থানে নিয়ে যায়।
বুধবার (২৩ এপ্রিল) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে শুনানির সময় পলক এই তথ্য জানান।
শুনানিতে তিনি আরও বলেন, "আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ আনা হয়েছে। আমাকে জেলগেটেই জিজ্ঞাসাবাদ করা যেতে পারে। আমি জেলগেটে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য প্রস্তুত।" শুনানি শেষে আদালত ভাটারা থানার হত্যা মামলায় তাকে দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
গত বছরের ১৫ আগস্ট পলককে গ্রেফতার করা হয়। এরপর তাকে বিভিন্ন সময় হত্যা, হত্যাচেষ্টা ও অন্যান্য অভিযোগে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। পরে গত ৬ ফেব্রুয়ারি তাকে এই মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়।
মন্তব্য করুন


ডেস্ক রিপোর্টঃ
আওয়ামীপন্থি হিসেবে পরিচিত ২০ সাংবাদিক ও কর্মকর্তার প্রেস অ্যাক্রিডিটেশন কার্ড বাতিল করেছে তথ্য মন্ত্রণালয়। গতকাল সোমবার (২৮ অক্টোবর) তথ্য মন্ত্রণালয় থেকে এ সংক্রান্ত আদেশ জারি করা হয়।
তথ্য অধিদপ্তরের প্রধান তথ্য কর্মকর্তা (চলতি দায়িত্ব) মো. নিজামূল কবীর স্বাক্ষরিত আদেশে বলা হয়েছে, উপর্যুক্ত বিষয়ে প্রেস অ্যাক্রিডিটেশন নীতিমালা, ২০২২-এর অনুচ্ছেদ ৬.৯, ৬.১০, ৯.৫ ও ৯.৬ এর আলোকে নিম্নবর্ণিত সাংবাদিকদের অনুকূলে তথ্য অধিদপ্তর কর্তৃক ইস্যু করা স্থায়ী ও অস্থায়ী প্রেস অ্যাক্রিডিটেশন কার্ড বাতিল করা হলো।
কার্ড বাতিল হওয়া সাংবাদিকরা হলেন- প্রেস ইনস্টিটিউট অব বাংলাদেশের সাবেক ডিজি জাফর ওয়াজেদ, নয়াদিল্লির সাবেক প্রেস মিনিস্টার শাবান মাহমুদ, একাত্তর টিভির প্রধান সম্পাদক মোজাম্মেল হক ও বিশেষ প্রতিনিধি ফারজানা রুপা, ওমেননিউজ২৪ ডটকমের সম্পাদক ও প্রকাশক ফরিদা ইয়াসমিন, দি ডেইলি অবজারভারের সম্পাদক ইকবাল সোবহান চৌধুরী, ভোরের কাগজের সম্পাদক শ্যামল দত্ত, বাংলাদেশ প্রতিদিনের সম্পাদক নঈম নিজাম, এবিনিউজ২৪ ডটকমের প্রধান সম্পাদক সুভাস চন্দ্র সিংহ রায়, ফ্রিল্যান্স সাংবাদিক সৈয়দ বোরহান কবীর, এটিএন নিউজের প্রধান বার্তা সম্পাদক মুন্নী সাহা, আমাদের সময় ডটকমের প্রধান সম্পাদক নাঈমুল ইসলাম খান, দৈনিক বাংলার বিশেষ প্রতিনিধি ফরাজী আজমল হোসেন, একাত্তর টিভির হেড অব নিউজ শাকিল আহমেদ, দৈনিক ঢাকা টাইমসের সম্পাদক মোহাম্মদ আরিফুর রহমান, বাসসের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ, ফ্রিল্যান্স সাংবাদিক মিথিলা ফারজানা, বৈশাখী টিভির বার্তা প্রধান অশোক চৌধুরী ও ডিবিসি নিউজের সম্পাদক প্রণব সাহা।
মন্তব্য করুন


আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের অর্থ বরাদ্দের ক্ষেত্রে কোনো কার্পণ্য করা হবে না বলে জানান অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ।
আজ মঙ্গলবার সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠক শেষে তিনি সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।
আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের অর্থ বরাদ্দের বিষয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে অর্থ উপদেষ্টা জানান, নির্বাচনের জন্য অর্থের যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছিল, সেখানে আমরা কোনো কার্পণ্য করব না।
বৈঠকের সিদ্ধান্তের বিষয়ে তিনি বলেন, চট্টগ্রাম বন্দরে কনটেইনার হ্যান্ডলিংয়ের বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়েছে। ডিএপি, ইউরিয়া সার কেনার অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এলএনজির বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এলএনজি এলে আমরা হয়তো সারের সরবরাহ বাড়াতে পারবো। রংপুরে ৩০টি স্কুল রিনভেন্ট করার বিষয়ে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
বৈঠক শেষে শ্রম ও কর্মসংস্থান উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ড. এম সাখাওয়াত হোসেনের কাছে এনবিআরকে অত্যাবশ্যকীয় সেবা ঘোষণা করে জারি করা প্রজ্ঞাপনের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, যে প্রজ্ঞাপন আপনারা দেখেছেন দ্যাট ইজ ফাইনাল। এর পরেও কোনো প্রজ্ঞাপন নেই, আগেও প্রজ্ঞাপন নেই। আমি প্রজ্ঞাপন জারি করার লোক। আই এম নট এ ডিসিশন মেকার (আমি কোনো সিদ্ধান্তদাতা নই)। ওনারা সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, আমি প্রজ্ঞাপন জারি করেছি।
আরেক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আলোচনার দরকার আছে কি নেই, সে বিষয়ে কথা বলার আগেই ওনারা প্রত্যাহার করে নিয়েছেন। এখন ওনাদের দাবি-দাওয়া আছে কি না সেটা বুঝলে পরে আমরা বসবো।
বন্দরের স্থবিরতা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, পুরোপুরি বন্ধ ছিল না। পণ্য যা বন্দরে ঢুকেছে সেগুলো এখন জাহাজিকরণ হবে। ক্ষতির পরিমাণ এখনো নিরূপণ করা হয়নি। তবে খুব বেশি একটা ক্ষতি হয়নি।
আন্দোলনকারীদের ইঙ্গিত করে শ্রম উপদেষ্টা বলেন, আপনি নেই বলে কোনো কাজ থেমে থাকবে এটা বাংলাদেশে হবে না, পৃথিবীর কোনো দেশে হয় না।
মন্তব্য করুন


ডেস্ক রিপোর্ট:
বিএনপি নেতাদের জামিনে মুক্তি প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিচার বিভাগ স্বাধীন বলে তা সম্ভব হচ্ছে।
শুক্রবার (১০ মে) বিকেলে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউর আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ঢাকা মহানগর উত্তর-দক্ষিণ ও ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগ এবং সব সহযোগী সংগঠনের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকদের যৌথসভায় তিনি এ কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি নেতারা জামিনে মুক্তি পাচ্ছেন। বিচার বিভাগ স্বাধীন বলে তা সম্ভব হচ্ছে। বিএনপি আবার নৈরাজ্য করলে, আগে তো একটি শিক্ষা পেয়েছে, এবার ডাবল শিক্ষা পাবে। আমরা বসে নেই। নৈরাজ্য, সন্ত্রাস বা অরাজকতা করলে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমরা সর্বশক্তি দিয়ে লড়ব।
পার্শ্ববর্তী দেশকে খুশি করতে আওয়ামী লীগ রাজনীতি করে, ভারত আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় টিকিয়ে রাখতে পারবে না- বিএনপি নেতা গয়েশ্বর চন্দ্র রায়ের এমন বক্তব্যের জবাবে তিনি বলেন, আমাদের ভারতকে খুশি করার দরকার নেই। আমরা নিজেদের শক্তিতে টিকে আছি, ভারতের দয়ায় নয়। তবে, ভারত আমাদের পরীক্ষিত বন্ধু। আমেরিকা নির্বাচনের সময় যে ভূমিকা নিয়েছিল, তখন ভারত কোনো কথা বলেনি, কোনো ভূমিকা রাখেনি। নিজের দেশকে এভাবে ছোট করা গয়েশ্বরের ক্ষেত্রেই মানায়।
১৭ মে কর্মসূচি পালনের আহ্বান জানিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ১৭ মে শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে। ঢাকা মহানগরসহ সব শাখা ও সহযোগী সব সংগঠন কেন্দ্রীয় কার্মসূচির সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে কর্মসূচি পালন করবে। সবচেয়ে বড় প্রোগ্রাম হবে ২৩ জুন, আওয়ামী লীগের ৭৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী, সারা দেশে আমরা ব্যাপকভাবে পালন করব।
প্রথম ধাপের উপজেলা নির্বাচন সন্তোষজনক- জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, প্রাণহানির একটি ঘটনাও নেই। এ রকম একটি নির্বাচন আমরা করেছি। এ কৃতিত্ব আমাদের দিতে হবে। যেরকম ভোট হয়েছে, তাতে খুব বেশি ভালো বলবো না, তবে সন্তোষজনক হয়েছে। বিএনপি জামায়াতসহ অনেক দল বর্জন করেছে। এমন প্রতিকূল পরিস্থিতিতে ভোটের উপস্থিতি ৩৬ থেকে ৪০ শতাংশ কম নয়।
যৌথ সভায় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য আব্দুর রাজ্জাক, মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, কামরুল ইসলাম, জাহাঙ্গীর কবির নানক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ, দীপু মনি, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, বিএম মোজাম্মেল, মির্জা আজম, আফজাল হোসেন, আইন সম্পাদক নাজিবুল্লাহ হিরু, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক মৃণাল কান্তি দাস, দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া প্রমুখ।
মন্তব্য করুন


ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিতে প্রশাসনে রদবদল চলবে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ।
বৃহস্পতিবার বিকেলে আগারগাঁওয়ের নির্বাচন কমিশন ভবনে গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে আলাপকালে এমনটা জানান তিনি।
ইসি সচিব বলেন, নির্বাচনে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিতে প্রশাসনে রদবদল চলবে। পরিপত্র রেডি করা আছে। লেভেল প্লেয়িং ফিল্ডের জন্য যা প্রাসঙ্গিক হবে, তার সব নিশ্চিত করব। যেখানে যার যতটুকু প্রয়োজন, ইসির অনুমতি-সম্মতি বা পরামর্শ সাপেক্ষে সেটি করা হবে।
সংসদীয় আসন নিয়ে হাইকোর্টের রায় নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আদালতের আদেশে সংসদীয় আসনের সীমানা পুনর্নির্ধারণ করা হবে। এ সময় সীমানা নিয়ে উচ্চ আদালতের রায়গুলো নির্বাচন কমিশনের ক্ষমতাকে প্রশ্নবিদ্ধ করছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
অপর এক প্রশ্নের জবাবে আখতার আহমেদ বলেন, প্রবাসে ভোটার আনুমানিক ১ কোটি থেকে ১ কোটি ৫ লাখের কাছাকাছি। পোস্টাল ব্যালটে ভোট দেয়ার জন্য ইতোমধ্যে ৩ লাখ ১০ হাজার ৪১৪ জন নিবন্ধন করেছেন। এখন গুগল প্লে স্টোর থেকে অ্যাপটি ডাউনলোড করতে পারবেন। এ ক্ষেত্রে ভোটের দায়িত্বে যারা থাকবেন, তারা তফসিল ঘোষণার পর ১৬ বা ১৭ ডিসেম্বর থেকে নিবন্ধন করতে পারবেন। আর কয়েদিরা ২১ থেকে ২৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত করতে পারবেন। এছাড়া আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা মোতায়েনের পর নিবন্ধন করতে পারবেন।
মন্তব্য করুন


নির্বাচনের আগে ভারি অস্ত্র উদ্ধারের অভিযান চলমান আছে। এ ব্যাপারে সরকারের কোনো ব্যর্থতা নেই বলে মন্তব্য করেছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) সকালে পূর্বাচলে ফায়ারসার্ভিসের ট্রেনিং গ্রাউন্ডে ভলান্টিয়ার সম্মাননা অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন তিনি।
পুলিশ কমিশন অধ্যাদেশ প্রসঙ্গে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, জনগণকে সেবা দেয়ার জন্য এই আইন করা হয়েছে। এতে বাহিনীগুলোর কোনো আপত্তি থাকলে তা তারা জানাতে পারে। এ সময় বিডিআর বিদ্রোহের তদন্ত প্রতিবেদন নিয়ে প্রশ্ন করলে বিষয়টি এড়িয়ে যান তিনি।
তিনি আরও বলেন, দুর্যোগ মোকাবেলায় ৫৫ হাজার ভলান্টিয়ারকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। যেকোনো সময় ফায়ার সার্ভিসের পাশে তারা থাকবে। ভলান্টিয়ারদের আরও কিছু সুযোগ সুবিধা দেওয়া যায় কি না সেই বিষয়ে সরকার ভাবছে।
এ সময় কাজে বিশেষ অবদান রাখার জন্য ফায়ার সার্ভিসের ২২ জন সদস্যকে সম্মাননা দেওয়া হয়।
মন্তব্য করুন


যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া বলেন, ইশরাকের মেয়র হওয়া না হওয়ার বিষয়টি আদালতে বিচারাধীন রয়েছে। আইনি জটিলতা থাকায় এ ঘটনায় আমাকে ব্যক্তিগতভাবে আক্রমণ করার কোনো যৌক্তিকতা নেই, আমাকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা বা দোষারোপ করা সমীচীন হবে না।
আজ মঙ্গলবার (২০ মে) দুপুরে সাভারের জাতীয় যুব উন্নয়ন ইন্সটিটিউটে "উদ্যোক্তা উন্নয়নে তারুণ্য ও আগামীর সম্ভাবনা" প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে আয়োজিত যুব সমাবেশ-২০২৫ এ প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ জানান, ইশরাকের মেয়র হওয়া না হওয়ার সিদ্ধান্ত আমি একা নিচ্ছি না।
এখানে সরকার কাজ করছে। আর সরকার যখন কাজ করে তখন ব্যক্তি হিসেবে করে না। বিষয়টি নিয়ে আমরা আইন মন্ত্রণালয়ের মতামত চেয়েছি। সেটা পেলে সিদ্ধান্ত নেব।
এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে আন্দোলন যেন জনজীবনে কোন বাধা সৃষ্টি করতে না পারে, বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখার জন্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে আহ্বান জানানো হয়েছে।
ভারত কর্তৃক পণ্য আমদানিতে নিষেধাজ্ঞা প্রসঙ্গে উপদেষ্টা জানায়, এই নিষেধাজ্ঞার ফলে আমাদের থেকে ভারত বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবে বলে আমরা মনে করি। এখন আমাদের বিকল্প ব্যবস্থা খুঁজতে হবে, বিকল্প ব্যবস্থা হওয়ার আগ পর্যন্ত ব্যবসায়ীদের সাময়িক কিছু সমস্যা হবে। তবে আমরা মনে করি, এতে করে দীর্ঘমেয়াদি ভাবে আমাদের আত্মনির্ভরশীল হওয়ার একটি সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে এবং দেশ সামনের দিকে এগিয়ে যাবে।
এর আগে যুব সমাবেশ- ২০২৫ এ প্রধান অতিথি হিসেবে অংশ নিয়ে উদ্যোক্তা হওয়ার প্রতি জোর দেন তিনি। জাতীয় যুব উন্নয়ন ইনস্টিটিউটের প্রশিক্ষণ ও প্রশিক্ষিত উদ্যোক্তাগণের সঙ্গে মেলাবন্ধন সৃষ্টিসহ রাষ্ট্রের গৃহীত পদক্ষেপ সম্পর্কে যুবক যুবতীদের অবহিতকরণের উদ্দেশ্যে এই সমাবেশের আয়োজন করা হয়।
মন্তব্য করুন


নির্বাচন কমিশন (ইসি) চলমান ভোটার তালিকা হালনাগাদ কার্যক্রম শেষ হওয়ার পর স্থগিত থাকা স্মার্ট জাতীয় পরিচয়পত্র বিতরণের কার্যক্রম পুনরায় শুরু করার নির্দেশ দিয়েছে। সম্প্রতি নির্বাচন কমিশনের এক মাসিক সমন্বয় সভায় এ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের আইডেন্টিফিকেশন সিস্টেম ফর এনহ্যান্সিং একসেস টো সার্ভিসেস (আইডিইএ) প্রকল্পের দ্বিতীয় পর্যায়ের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ আজিজুর রহমান সিদ্দিকী সভায় উল্লেখ করেন যে, ভোটার তালিকা হালনাগাদ কার্যক্রম চলমান থাকায় স্মার্ট কার্ড বিতরণের জন্য প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি সংগ্রহ করা কঠিন হয়ে পড়েছে। এছাড়া, অফিসের কারিগরি সরঞ্জামগুলো বর্তমানে হালনাগাদ কার্যক্রমে ব্যবহার করা হচ্ছে। তবে, আগামী ১১ এপ্রিল হালনাগাদ কার্যক্রম শেষ হলে স্মার্ট কার্ড বিতরণ কার্যক্রম দ্রুতগতিতে এগিয়ে নেওয়া সম্ভব হবে।
ইসি সূত্রে জানা গেছে, চলমান হালনাগাদ কার্যক্রম শেষ হওয়ার পর ১২ এপ্রিল থেকে মুদ্রিত স্মার্ট কার্ড বিতরণের কার্যক্রম শুরু করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বর্তমানে দেশে ভোটারের সংখ্যা ১২ কোটি ৩৭ লাখ ৩২ হাজার ২৭৪ জন। এর মধ্যে ৬ কোটি ৯১ লাখ ৪৯ হাজার ৩৪৯ জন ভোটার ইতিমধ্যে স্মার্ট কার্ড পেয়েছেন। তবে, এখনও ৫ কোটি ২৭ লাখ ৮১১ জন ভোটার স্মার্ট কার্ড সেবার বাইরে রয়েছেন।
চলমান বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোটার তালিকা হালনাগাদ কার্যক্রম শেষ হলে জুন মাসে আরও একটি ভোটার তালিকা প্রকাশ করা হবে। এতে দেশে আরও ৫০ লাখের বেশি নতুন ভোটার যুক্ত হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
উল্লেখ্য, ২০১৬ সালের ৩ অক্টোবর স্মার্ট কার্ড বিতরণ কার্যক্রম শুরু হলেও ৮ বছরের বেশি সময় পার হওয়ার পরও দেশের সকল নাগরিকের হাতে স্মার্ট কার্ড পৌঁছে দেওয়া সম্ভব হয়নি। নির্বাচন কমিশনের নতুন এই উদ্যোগের মাধ্যমে দ্রুত স্মার্ট কার্ড বিতরণের কার্যক্রম সম্পন্ন করার আশা করা হচ্ছে।
মন্তব্য করুন


জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব ও জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের সদস্যসচিব মো. মোখলেস উর রহমান জানিয়েছেন, ফরিদপুর ও কুমিল্লাকে আলাদা বিভাগ করার সুপারিশ করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৭ ডিসেম্বর) সচিবালয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে সচিবালয়ে কর্মরত সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এ তথ্য জানান।
এ সময় জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের প্রধান আব্দুল মুয়ীদ চৌধুরীসহ কমিশনের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব বলেন, আমরা সারা দেশের মানচিত্র দেখে ফরিদপুর ও কুমিল্লাকে আলাদা বিভাগ করার সুপারিশ করেছি। যদি সরকার মনে করে, তারা ১০টি বিভাগ করে দেবে।
মন্তব্য করুন


দেশের পরিস্থিতি একদম স্থিতিশীল আছে। শুধু সরকার বলেছে ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন এমন নয়, সব রাজনৈতিক দলও ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচনের পক্ষে তাদের কার্যক্রম শুরু করেছে। বুধবার (৮ অক্টোবর) সচিবালয়ে পরিবেশ ও জলবায়ু পরিবর্তন উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন নিয়ে প্রশ্ন তোলার কোনো অবকাশ আছে বলে মনে করি না। সংস্কার, বিচার চলমান প্রক্রিয়া। বিচার নিজস্ব গতিতে চলছে। বিচার কীভাবে চলছে সেটি সবাই দেখতে পাচ্ছে। বিচারের ক্ষেত্রে সরকার তার অঙ্গীকার দেখিয়েছে। যখন দেখেছি একটি ট্রাইব্যুনালের ওপর চাপ বেশি হয়ে যায়, তখন আরেকটি ট্রাইব্যুনাল বাড়ানো হয়েছে। বিচারকে প্রাধান্য দিয়ে কাজ এগিয়ে চলছে। অন্তর্বর্তী সরকার বিচার অবশ্যই চায় এবং অবশ্যই সুবিচার নিশ্চিত করতে চায়। সেজন্য যে পদ্ধতি করা প্রয়োজন সেটি করা হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, ঐক্যমত হয়নি কথাটা ঠিক নয়। অনেক বড় বড় বিষয়ে ঐক্যমত হয়েছে। সংস্কারকেন্দ্রিক যেসব বিষয়ে ঐক্যমত, সেগুলো কীভাবে বাস্তবায়ন হবে সেটি নিয়ে আলোচনা হয়েছে, বাস্তবায়নের বিভিন্ন অপশন নিয়ে আলোচনা হয়েছে। দু’একটি অপশনে রাজনৈতিক দলগুলো বেশি সমর্থন দিচ্ছে। রাজনৈতিক পদ্ধতিতে কিছু প্রশ্নের সমাধান চাইলে সেখানে আপস-ডাউন থাকবেই। সবাই আলোচনায় বসছেন, মতামত দিচ্ছেন। পরিবর্তন কীভাবে হবে সেটি নিয়ে রাজনৈতিক ডিবেট থাকবেই। তবে সেটি নিয়ে আশঙ্কিত- আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। সংস্কার চাপিয়ে দেয়ার বিষয় নয়, চাপিয়ে দিলে কোনো কিছু টেকসই হবে না। চাপিয়ে না দিয়ে যেটুকু সবাই একমত হবে করতে চাইবেন সেদিকেই যাবো। রাজনৈতিক আলোচনায় তাপ-উত্তাপ থাকবেই, একমত থাকবে; সবই স্বাভাবিক। সরকার আগে থেকে বলতে পারবে না কখন বিচারের রায় হবে। শুনানি, সাক্ষ্যগ্রহণ অন্যান্য প্রক্রিয়া শেষ হওয়ার পর এটি বলা যাবে।
পরিবেশ উপদেষ্টা বলেন, সরকার প্রথম থেকেই বলছে স্বচ্ছ নির্বাচন চায়। জনগণ যে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে, সে নির্বাচন চায়। জনগণের অংশগ্রহণের পথে যেন কোনো কিছু কোনো অন্তরায় না হয়, সেজন্য নির্বাচন কমিশনকে সব ধরনের সহযোগিতা করছে সরকার। নির্বাচনে কোনো রাজনৈতিক দলের অংশগ্রহণ করা না করার বিষয়টি আইনি হতে পারে। অংশগ্রহণ করা না করার বিষয়টি তাদের রাজনৈতিক গুরুত্ব অনুযায়ী মীমাংসিত হবে।
সম্প্রতি উপদেষ্টাদের সেফ এক্সিট নিয়ে কথা বলেছেন এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম। এ বিষয়ে রিজওয়ানা হাসান বলেন, নাহিদ ইসলাম কেন কোন কথা বললেন কিংবা যে নাম এবং আলোচনার বিষয় প্রকাশ করেননি, সেটি নিয়ে কেমন করে মন্তব্য করবো। খোলা চোখে দেখতে পাই, সব রাজনৈতিক দলের মতো নবগঠিত রাজনৈতিক দলের সাথেও সরকারের ভালো একটি ওয়ার্কিং রিলেশনশিপ আছে। অভিমান থেকে নাকি আসলে কোনো একটি ব্যাপারে অভিযোগ আছে, সেটি তাকেই পরিষ্কার করতে হবে। ওনি যদি কখনও পরিস্কার করেন, তখন সরকারের বক্তব্য নিয়ে কথা আসে। তার আগে তো সরকারের বক্তব্যের কোনো সুযোগ নেই।
অন্তর্বর্তী সরকার নির্বাচন করবে নাকি ছোট আকারে নির্বাচনকালীন সরকার হবে এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এমন কোনো কথা শোনেননি। এই অন্তর্বর্তী সরকারই নির্বাচন করবে। এখন পর্যন্ত এটাই অবস্থান। অনেক রাজনৈতিক দলের নেতা নানা বিষয়ে নানা কথা বলছেন। এটাই বলা তাদের অধিকার, এটাই গণতান্ত্রিক চর্চা। প্রতিটি বিষয় নিয়ে যদি প্রতিক্রিয়া দেখাই কিংবা চিন্তা করি তাহলে মন্ত্রণালয় কখন চালাবো? যখম কোনো বিষয় নিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে বলা হবে তখন অবশ্যই সরকার সে নিয়ে কথা বলবে, কাজ করবে। অনানুষ্ঠানিক বক্তব্যের প্রেক্ষিতে তো সরকারের কিছু বলা সম্ভব না।
উপদেষ্টা বলেন, সেফ এক্সিট নিয়ে তাকে (নাহিদ) তার বক্তব্যের প্রমাণ দিতে হবে। তার বক্তব্য আমার প্রমাণ করা কিংবা খণ্ডানোর বিষয় না। বক্তব্যটা স্পেসিফিক হলে হয়তো সরকারের পক্ষ থেকে কোনো কথা বলা হতো। হয়তো তাদের ধারণা, তারা মনে করে, তাদের বক্তব্য হিসেবে বলেছে। এখানে সরকারের অবস্থান নেয়ার কিংবা বক্তব্য দেয়ার কোনো সুযোগ নেই। আমি কোনো এক্সিট খুঁজছি না। আগেও অনেক ঝড়ঝাপ্টা এসেছে। সব প্রতিহত করে দেশে থেকেছি বাকিটা জীবনও দেশেই কাটিয়ে যাবো।
মন্তব্য করুন