জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) ভোট দেওয়ার বয়স ১৬ বছর এবং নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার বয়স ২৩ বছর করার প্রস্তাব দেবে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের কাছে।
শনিবার (২২ মার্চ) সকালে রাজধানীর রূপায়ণ সেন্টারে জরুরি সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান দলটির যুগ্ম আহ্বায়ক সারোয়ার তুষার।
তিনি বলেন, ‘আগামীকাল (রোববার) জাতীয় ঐকমত্য কমিশনে সংস্কার সুপারিশমালা জমা দেওয়া হবে। সেখানে ভোট দেওয়ার বয়স ১৬ বছর এবং নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার বয়স ২৩ বছর করার প্রস্তাব করবে এনসিপি।’
গণ-অভ্যুত্থানের পর সংবিধান আর কার্যকর নেই উল্লেখ করে নতুন সংবিধান রচনা করার দাবি জানান জাতীয় নাগরিক পার্টির এই নেতা।
সারোয়ার বলেন, ‘এনসিপি মনে করে আগামী নির্বাচন গণপরিষদ হওয়া উচিত। সংবিধান সংস্কার কাজ শেষ করে একটা নির্দিষ্ট সময় পর এই গণপরিষদই আইন সভায় রূপান্তরিত হবে।’
বর্তমানে ভোটার হওয়ার জন্য একজনকে ১৮ বছর বয়স পূর্ণ করতে হয়। আর নির্বাচনে প্রার্থী হতে হলে ২৫ বছর বয়স পূর্ণ করতে হয়। এবার এই বয়সসীমা কমিয়ে আনার প্রস্তাব রাখতে যাচ্ছে তরুণদের নিয়ে গঠিত নতুন রাজনৈতিক দল জাতীয় নাগরিক পার্টি।
মন্তব্য করুন
ডেস্ক রিপোর্ট:
জুলাই আন্দোলনের মাস্টারমাইন্ড তারেক রহমান, বিএনপি ও ১২ দলীয় জোট উল্লেখ করে মন্তব্য করেছেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জয়েনুল আবদিন ফারুক।
রোববার (২৭ অক্টোবর) দুপুরে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে (ডিআরইউ) বাংলাদেশ এলডিপির প্রতিনিধি সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
রাজনৈতিক সংকট সৃষ্টির চেষ্টা চলছে বলেও জানান ফারুক। তিনি বলেন, “আমরা রাস্তায় ছিলাম, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের নেতারা। মাস্টারমাইন্ড ছিলেন তারেক রহমান, বিএনপি, ১২ দলীয় জোট।”
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূসের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, “আপনার প্রতি আমাদের অগাধ বিশ্বাস আছে। সেই বিশ্বাস রাখতে হলে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করে দ্রুত নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করুন।”
তিনি আরও বলেন, “আউয়াল কমিশনের মতো নির্বাচন কমিশন চাই না, যে কমিশন ঘুম থেকে উঠে ফল ঘোষণা করে। আমরা এমন নির্বাচন চাই, যেখানে দিনের ভোট দিনে হবে, রাতে নয়।”
ফারুক বলেন, “আমরা মনে করি, বাংলাদেশের বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট ঘোলাটে করার জন্য আরেকটা প্রতিক্রিয়াশীল চক্র চেষ্টা করছে। এর একটি ইঙ্গিত হচ্ছে বঙ্গভবনের সামনে নতুন করে রাজনৈতিক সংকট সৃষ্টি করার চেষ্টা।”
শেখ হাসিনাকে উদ্দেশ্য করে বিএনপির এই নেতা বলেন, “আপনি বহু মায়ের বুক খালি করেছেন। সেজন্য বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে বিদায় নিয়েছেন। ২০৪০ সাল পর্যন্ত ক্ষমতায় থেকে বাংলাদেশকে ভারতের অঙ্গরাজ্য বানানোর চক্রান্ত করছেন। বাংলাদেশের হাজার হাজার মানুষের খুনিকে ভারতের মোদী সরকার কীভাবে আশ্রয় দিতে পারে, সে প্রশ্ন বাংলাদেশের মানুষের।”
মন্তব্য করুন
নির্বাচন নিয়ে ধোঁয়াশা সৃষ্টি হয়েছে বলে মনে করছে বিএনপি। এজন্য দলের পক্ষে প্রধান উপদেষ্টার কাছে নির্বাচনী রোডম্যাপ চাওয়া হবে বলে জানিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ।
বুধবার দুপুরে রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়ে এসব কথা বলেন তিনি।
সালাহউদ্দিন আহমদ জানান, নির্বাচন নিয়ে ধোঁয়াশা সৃষ্টি হয়েছে বিভিন্ন মহলে, তা পরিষ্কারের জন্য প্রধান উপদেষ্টার কাছে রোডম্যাপ চাইবে বিএনপি। দল মনে করে জুনের আগে নির্বাচনের সব প্রস্তুতি সম্পন্ন হবে।
বিএনপির এই নেতা জানায়, সংবিধানের রাষ্ট্র পরিচালনার মূলনীতিতে কিছু বিষয়ে বিভ্রান্তি রয়েছে, পঞ্চাদশ সংশোধনীর পূর্ববস্থা বহাল চায় বিএনপি। ধর্মনিরপেক্ষতা বাতিলের বিষয়ে কোনো প্রস্তাবনা দেওয়া হয়নি, এটা নিয়ে ভুল ব্যখ্যা দেওয়া হয়েছে।
সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, শেখ হাসিনাকে ফিরিয়ে দেওয়ার বিষয়ে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সাথে প্রধান উপদেষ্টার যে আলোচনা হয়েছে তা জনগণের দাবি। এটাকে স্বাগত জানানো হয়েছে।
মন্তব্য করুন
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, আনুপাতিক হারে নির্বাচনের প্রশ্নই ওঠে না। বৃহস্পতিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) গুলশানে দলের চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে ঢাকাস্থ ভারপ্রাপ্ত ব্রিটিশ হাইকমিশনারের সঙ্গে বৈঠক শেষে তিনি এ কথা জানান।
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, জাতীয় নির্বাচনের আগে স্থানীয় সরকার নির্বাচন চায় না বিএনপি। এছাড়া, বিএনপি আনুপাতিক হারে নির্বাচনের ব্যবস্থার পক্ষে নয়।
জুলাই মাসের গণঅভ্যুত্থান বিষয়ে জাতিসংঘের প্রতিবেদনকে স্বাগত জানিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, বিগত ১৭ বছরের সব গণহত্যার জন্য শেখ হাসিনা দায়ী। তিনি আরও বলেন, দেশে কোন রাজনৈতিক দল নির্বাচনে অংশ নেবে কিনা বা নিষিদ্ধ হবে কিনা, তা জনগণই সিদ্ধান্ত নেবে।
এছাড়া, ঢাকাস্থ ব্রিটিশ হাইকমিশনার লন্ডনে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সঙ্গে বৈঠক করবেন বলেও জানান বিএনপি মহাসচিব।
মন্তব্য করুন
বিএনপি বিচার বিভাগের স্বাধীনতায় বিশ্বাস করে এবং সংবিধান মোতাবেক বিচার বিভাগের সকল কার্যক্রম যেন আইনসম্মত ও সাংবিধানিক হয়, সে বিষয়ে সতর্ক থাকার ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাউদ্দিন আহমেদ।
মঙ্গলবার জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে বিএনপির চলমান সংলাপের তৃতীয় দিনের শুরুতে তিনি এসব কথা বলেন।
সালাউদ্দিন আহমেদ জানান, আজকের বৈঠকে মূলত বিচার বিভাগ, নির্বাচন ব্যবস্থা, জনপ্রশাসন এবং দুর্নীতি দমন কমিশন বিষয়ে আলোচনা হবে।
কমিশনের সহসভাপতি আলী রিয়াজ জানায়, বিএনপির সঙ্গে আলোচনায় অনেক বিষয়ে ঐকমত্য তৈরি হয়েছে। কিছু বিষয়ে ভিন্নতা থাকলেও সেসব সংস্কারের বিষয়ে বিএনপি অত্যন্ত আন্তরিকভাবে আলোচনা করছে। তিনি আরও আশা প্রকাশ করেন, আজকের বৈঠকের মধ্য দিয়েই বিএনপির সঙ্গে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের আলোচনার সমাপ্তি ঘটতে পারে।
মন্তব্য করুন
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকারকে ব্যর্থ হতে দেওয়া যাবে না। তিনি বলেন, প্রতিবিপ্লব শক্তি ক্রমাগত উঁকি-ঝুঁকি মারছে, কিন্তু আমরা ঐক্যবদ্ধ রয়েছি এবং সেটা কোনোভাবেই সফল হতে দেওয়া হবে না।
শনিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় প্রেস ক্লাবে চব্বিশের গণ-অভ্যুত্থান নিয়ে দ্রোহের গ্রাফিতির প্রকাশনা উৎসবে তিনি এসব কথা বলেন।
রিজভী আরও বলেন, দেশে গণতন্ত্রের বিকাশের জন্য অনুকূল পরিবেশ তৈরি হয়েছে। কিন্তু ভারত এটাকে কোনোভাবেই মেনে নিতে পারছে না। তিনি উল্লেখ করেন, ভারতীয় মিডিয়া শেখ হাসিনার পক্ষ নিয়ে যেভাবে কথা বলছে, তা কোনো গণতান্ত্রিক দেশের ভাষা হতে পারে না।
তিনি বলেন, বিপ্লব ও গণতন্ত্রের প্রত্যাশা বাস্তবায়নের জন্য সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে। কারণ প্রতিবিপ্লব শক্তি সবসময় উঁকিঝুঁকি মারছে এবং সেটাকে কোনোভাবেই সফল হতে দেওয়া হবে না। তিনি আরও বলেন, এখন সরকারের সমালোচনা করলে গুম হতে হবে—এমন ভয় থেকে মানুষ মুক্তি পেয়েছে। তিনি বলেন, আমরা সমালোচনা করবো সফলতার জন্য, কিন্তু এই সরকারকে ব্যর্থ হতে দেব না।
মন্তব্য করুন
ফ্যাসিবাদী আওয়ামী লীগের পতনের পর কিছুটা হলেও মুক্তি ও স্বস্তির পরিবেশ তৈরি হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী। আজ বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদ ভবনের এলডি হল সংলগ্ন মাঠে বিএনপির বর্ধিত সভায় শোক প্রস্তাব উত্থাপনকালে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘যারা ফ্যাসিবাদ বিরোধী আন্দোলনে সাহসিকতার সাথে শেখ হাসিনার নিষ্ঠুর শাসনের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়েছিলেন, তাদের অনেকেই আজ আমাদের মাঝে নেই। তাদের অনেকেরই কোনো খোঁজ মেলেনি। কতজন নির্যাতনের শিকার হয়েছেন, কতজনকে আয়নাঘরে বন্দী করে রাখা হয়েছে, তাদের কোথায় রাখা হয়েছে, তার কোনো সন্ধান পাওয়া যায়নি। অসংখ্য নেতাকর্মী ও দেশের বিভিন্ন পেশার মানুষ নিখোঁজ হয়েছেন। আমরা তাদের সবার প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানাই এবং তাদের আত্মার শান্তি কামনা করি।’
তিনি আরও বলেন, দীর্ঘ সংগ্রাম ও রক্তের বিনিময়ে ফ্যাসিবাদমুক্ত পরিবেশে আজ দলের এই বর্ধিত সভা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। সভার শুরুতেই বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করে দলের প্রতিষ্ঠাতা, মহান স্বাধীনতার ঘোষক ও শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান বীর বিক্রমকে। তিনি ছিলেন বাংলাদেশে বহুদলীয় গণতন্ত্রের প্রতিষ্ঠাতা, দেশ গঠনের অগ্রদূত এবং জাতীয়তাবাদের প্রবর্তক। বাংলাদেশের রাজনীতিতে ন্যায়নিষ্ঠা, সততা ও দেশপ্রেমের এক অনন্য প্রতীক ছিলেন এই বীর মুক্তিযোদ্ধা।
তিনি আরও যোগ করেন, ‘যখনই দেশ ও গণতন্ত্র বিপন্ন হয়েছে, জিয়াউর রহমান তখনই আপসহীনভাবে দেশ ও গণতন্ত্রের পক্ষে সংগ্রাম করেছেন।’
বিএনপির এই নেতা আরও বলেন, গণতন্ত্রের প্রতীক ও গণতন্ত্রের মা দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার দ্রুত সুস্থতা কামনা করা হচ্ছে। এছাড়া, ২০১৬ সালের ১৯ মার্চ ষষ্ঠ জাতীয় কাউন্সিলের সময় দলের বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মী ও সমর্থকরা যারা মৃত্যুবরণ করেছেন, তাদের সবার প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানানো হয়। আজকের বর্ধিত সভায় তাদের স্মরণে শোক প্রস্তাব গৃহীত হয়েছে। এছাড়াও, দেশের বিশিষ্ট নেতৃবৃন্দ, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব, বিজ্ঞানী, শিক্ষাবিদ, সুরকার, গীতিকারসহ যাদের আমরা হারিয়েছি, তাদের সকলের আত্মার শান্তি কামনা করা হয়।
মন্তব্য করুন
সরকারের পক্ষ থেকে গুরুত্বপূর্ণ নথিপত্র চাওয়ার পরই সচিবালয়ে আগুন লাগার ঘটনায় জনমনে নানা প্রশ্ন দেখা দিয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী।
বৃহস্পতিবার (২৬ ডিসেম্বর) ঢাকার রিপোর্টার্স ইউনিটিতে এক আলোচনা সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন। রাজশাহী ইউনিভার্সিটি ন্যাশনালিস্ট এক্স-স্টুডেন্ট অ্যাসোসিয়েশন (রুনেসা) আয়োজিত ‘রক্তাক্ত মতিহার ও রিজভী আহমেদ: ২২ ডিসেম্বর ১৯৮৪ স্মরণে’ এই আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।
রিজভী বলেন, "সরকারের সংস্কারমূলক পদক্ষেপগুলো কেমন হবে, তা আমরা নির্ধারণ করতে পারি না। তবে সাম্প্রতিক সাইবার সংশোধনের দৃষ্টিতে বোঝা যাচ্ছে, এর থেকে ভালো কিছু প্রত্যাশা করা যাচ্ছে না।"
তিনি আরও বলেন, "বর্তমান পরিস্থিতিতে আমরা শঙ্কিত ও ভীত। এটি শুধুমাত্র ব্যক্তিগত নয়, বরং রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা নিয়ে ভয়। এর আগেও দেখা গেছে, জনগণের প্রতিবাদের মুখে কোনো সচিব বা মন্ত্রীর সংশ্লিষ্ট নথি গায়েব হয়ে যায় কিংবা সচিবালয়ে আগুন লাগে।"
রিজভী আহমেদ বলেন, "গতকাল (বুধবার) মধ্যরাতে সচিবালয়ে যে অগ্নিকাণ্ড ঘটেছে, এতে বহু গুরুত্বপূর্ণ নথি পুড়ে গেছে। ঘটনাটি জনমনে সন্দেহ সৃষ্টি করেছে। মাত্র কিছুক্ষণ আগেই সংবাদপত্রে প্রকাশ হয়েছিল, সরকারের পক্ষ থেকে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ নথি চাওয়া হয়েছে। এরপরই এই অগ্নিকাণ্ড ঘটে। এতে জনমনে বিশাল প্রশ্ন উঠেছে।"
তিনি এই অগ্নিকাণ্ডের বিষয়ে উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত দাবি করেন। তিনি বলেন, "শেখ হাসিনা ও তার ঘনিষ্ঠদের কিছু নথি চাওয়ার পরই সচিবালয়ে নথিপত্র পুড়ে যাওয়া এবং ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড ঘটেছে। এই ঘটনা মানুষকে ভাবিয়ে তুলেছে এবং সন্দেহ আরও গভীর হয়েছে।"
রিজভী আরও বলেন, "রাষ্ট্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা একটি রাজনৈতিক দল গঠনের চেষ্টা চালাচ্ছে। যদি গোয়েন্দা সংস্থাগুলো নির্বাচিত প্রতিনিধিদের নির্ধারণ করে দেয়, তবে মানুষের আত্মত্যাগের কোনো মূল্য থাকবে না।"
ভারতের ভূমিকা নিয়েও তিনি প্রশ্ন তোলেন। রিজভী বলেন, "গণতান্ত্রিক দেশ হয়েও ভারত কীভাবে শেখ হাসিনাকে আশ্রয় দিয়েছিল? শেখ হাসিনার মাধ্যমে ভারত তার নীতি বাংলাদেশে বাস্তবায়নের চেষ্টা চালিয়েছে। তবে শেখ হাসিনার সময়কাল শেষে একটি পরিবর্তিত বাংলাদেশকে বিশ্বের সবাই স্বীকৃতি দিলেও ভারত তা দেয়নি।"
তিনি বলেন, "বিএনপিসহ অন্যান্য দলগুলোর আত্মত্যাগকে কখনো অস্বীকার করা যাবে না। বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার বিএনপিকে দুর্বল করার চেষ্টা চালাচ্ছে কি না, তা নিয়েও জনগণের মধ্যে সন্দেহ রয়েছে।"
মন্তব্য করুন
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, ‘আমরা বিদেশে বন্ধু চাই, প্রভু নয়। এই বন্ধুত্ব হবে সমতার ভিত্তিতে। কেউ আমাদের দিকে চোখ তুলে তাকাবে, তা আমরা হতে দেব না। বাংলাদেশ মাথা উঁচু করে সসম্মানে থাকবে। দেশের বিরুদ্ধে কোনও ষড়যন্ত্র সহ্য করা হবে না।’
শুক্রবার (৩ জানুয়ারি) নাটোরের নবাব সিরাজ-উদ্-দৌলা সরকারি কলেজ মাঠে জেলা জামায়াতে ইসলামীর কর্মী সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
ডা. শফিকুর রহমান বলেন, ‘আগামীর বাংলাদেশ হবে সাম্যের বাংলাদেশ। তবে এ জন্য লড়াই করতে হবে। তাহলেই আমরা সত্যিকারের স্বাধীন দেশের গর্বিত নাগরিক হতে পারব। এই লক্ষ্যে জামায়াতে ইসলামী মানুষের দোয়া, ভালোবাসা, পরামর্শ এবং ইতিবাচক সমালোচনা প্রত্যাশা করে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা এমন একটি বাংলাদেশ চাই, যেখানে নারী-পুরুষ নির্বিশেষে সম্মানের সঙ্গে কাজ করতে পারবে। নারীদের যথাযথ মর্যাদায় দায়িত্ব পালনের সুযোগ নিশ্চিত করা হবে।’
শিক্ষার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘আমাদের সন্তানরা এমনভাবে শিক্ষিত হবে, যেন তাদের চাকরির জন্য কারও কাছে ধরনা দিতে না হয়। বরং শিক্ষাজীবন শেষ হওয়ার আগেই তারা কাজ পেয়ে যাবে। এই দায়িত্ব জামায়াতে ইসলামী পালন করবে। আমরা এমন শিক্ষা চাই, যা সন্তানদের মধ্যে দেশাত্মবোধ, মমত্ববোধ এবং মানবিক গুণাবলীর বিকাশ ঘটাবে।’
জেলার বঞ্চনার প্রসঙ্গে জামায়াত আমির বলেন, ‘নাটোরের কোনও অপরাধ না থাকলেও এখানে মেডিকেল কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় বা ইঞ্জিনিয়ারিং ইনস্টিটিউট নেই। আমরা সরকারের প্রতি আহ্বান জানাই, অন্তত একটি উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলে এ জেলার বঞ্চনার অবসান করা হোক। ভবিষ্যতে জামায়াত দেশ পরিচালনার সুযোগ পেলে নাটোরের জন্য কোনও দাবি পাঠাতে হবে না। আমি নিজেই এসব দাবি পূরণ করব।’
জেলা জামায়াতের আমির ড. মীর নুরুল ইসলামের সভাপতিত্বে এ কর্মী সম্মেলনে আরও বক্তব্য রাখেন জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান এবং কেন্দ্রীয় নির্বাহী সদস্য অধ্যক্ষ মো. শাহাবুদ্দিন প্রমুখ।
নাটোরের এই কর্মী সম্মেলনে জামায়াতের সাম্যের স্বপ্ন ও শিক্ষা ব্যবস্থার উন্নয়নের আহ্বান নতুন করে আলোচনায় এসেছে।
মন্তব্য করুন
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, আওয়ামী লীগ সরকার ভারতের কাছে দেশ বিক্রি করেও তিস্তা নদীর এক ফোঁটা পানি আনতে পারেনি। সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে লালমনিরহাটে তিস্তা বাঁচাও আন্দোলন কর্মসূচির উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ মন্তব্য করেন।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, বাংলাদেশের মানুষের সঙ্গে বন্ধুত্ব করতে হলে ভারতকে দাদাগিরি করা বন্ধ করতে হবে। ভারতের সাথে বন্ধুত্ব চাই, তবে তা সম্মানের ভিত্তিতে হতে হবে।
তিনি আরও বলেন, আমাদের ছেলেরা লড়াই করেছে। ৩৬ দিনের সংগ্রামের মাধ্যমে শেখ হাসিনা ভারতে পালিয়েছিলেন। একদিকে ভারত আমাদের পানি দিচ্ছে না, অন্যদিকে তারা আমাদের শত্রু শেখ হাসিনাকে দিল্লিতে রাজার মতো সম্মান দিয়ে রেখেছে।
তিস্তা রক্ষার আন্দোলনকে শেষ পর্যন্ত এগিয়ে নেওয়ার ঘোষণা দিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, সংগ্রামের মাধ্যমে তিস্তার পানির ন্যায্য হিস্যা এবং সব অধিকার আদায় করতে হবে।
তিনি আরও বলেন, বিএনপি নির্বাচন চায়, কারণ নির্বাচনের মাধ্যমেই দেশে স্থিতিশীলতা ফিরে আসবে।
মন্তব্য করুন
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেছেন, ২৪-এর গণ-অভ্যুত্থান কেবল একটি দলকে সরিয়ে আরেকটি দলকে ক্ষমতায় বসানোর জন্য হয়নি। বরং এটি ছিল জনগণের অধিকার রক্ষা ও গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার সংগ্রাম।
শনিবার (১৯ এপ্রিল) সকালে সংসদ ভবনের এলডি হলে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে এক বৈঠকে সূচনা বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।
নাহিদ ইসলাম বলেন, "মৌলিক ও গঠনমূলক সংস্কার করে জনগণের অধিকার নিশ্চিত করতে হবে। আমাদের লক্ষ্য এমন একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রব্যবস্থা গড়ে তোলা, যেখানে সংবিধান, প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতা, বিচারব্যবস্থা ও নির্বাচনী প্রক্রিয়া সবার জন্য সমান ও স্বচ্ছ হবে।"
তিনি আরও যোগ করেন, "জুলাই সনদ জাতির সামনে স্পষ্টভাবে তুলে ধরতে হবে। এটি আমাদের অঙ্গীকার, এবং এ অঙ্গীকার রক্ষা করতে হবে। যাতে দেশে আর কখনও স্বৈরতন্ত্র বা ফ্যাসিবাদের উত্থান না ঘটে, সে জন্য সব ধরনের নিষ্ক্রিয়তা ও পথ বন্ধ করে এগিয়ে যেতে হবে। আমরা একটি প্রকৃত গণতান্ত্রিক সংবিধান চাই।"
এনসিপির পক্ষ থেকে এ বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন দলের সদস্য সচিব আখতার হোসেন, মুখ্য সমন্বয়ক নাসিরউদ্দিন পাটোয়ারী, যুগ্ম আহ্বায়ক সরোয়ার তুষার, মুখ্য সংগঠক হাসনাত আব্দুল্লাহ, জ্যেষ্ঠ যুগ্ম আহ্বায়ক সামান্তা শারমিন প্রমুখ।
এর আগে, গত বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকারের নেতৃত্বে একটি পাঁচ সদস্যের প্রতিনিধিদল জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে বৈঠক করে।
মন্তব্য করুন