বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকারকে ব্যর্থ হতে দেওয়া যাবে না। তিনি বলেন, প্রতিবিপ্লব শক্তি ক্রমাগত উঁকি-ঝুঁকি মারছে, কিন্তু আমরা ঐক্যবদ্ধ রয়েছি এবং সেটা কোনোভাবেই সফল হতে দেওয়া হবে না।
শনিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় প্রেস ক্লাবে চব্বিশের গণ-অভ্যুত্থান নিয়ে দ্রোহের গ্রাফিতির প্রকাশনা উৎসবে তিনি এসব কথা বলেন।
রিজভী আরও বলেন, দেশে গণতন্ত্রের বিকাশের জন্য অনুকূল পরিবেশ তৈরি হয়েছে। কিন্তু ভারত এটাকে কোনোভাবেই মেনে নিতে পারছে না। তিনি উল্লেখ করেন, ভারতীয় মিডিয়া শেখ হাসিনার পক্ষ নিয়ে যেভাবে কথা বলছে, তা কোনো গণতান্ত্রিক দেশের ভাষা হতে পারে না।
তিনি বলেন, বিপ্লব ও গণতন্ত্রের প্রত্যাশা বাস্তবায়নের জন্য সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে। কারণ প্রতিবিপ্লব শক্তি সবসময় উঁকিঝুঁকি মারছে এবং সেটাকে কোনোভাবেই সফল হতে দেওয়া হবে না। তিনি আরও বলেন, এখন সরকারের সমালোচনা করলে গুম হতে হবে—এমন ভয় থেকে মানুষ মুক্তি পেয়েছে। তিনি বলেন, আমরা সমালোচনা করবো সফলতার জন্য, কিন্তু এই সরকারকে ব্যর্থ হতে দেব না।
মন্তব্য করুন
নির্বাচিত নতুন সরকারের সঙ্গে কাজ করতে মুখিয়ে আছে চীন বলে জানিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
আজ সোমবার বিকেলে রাজধানীর গুলশানে চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান তিনি।
বিএনপির প্রতিনিধিদলের চীন সফর নিয়ে মির্জা ফখরুল জানান, সফরে এক চীন নীতির প্রতি বিএনপির দৃঢ় অবস্থানের কথা জানানো হয়েছে। তিস্তা নিয়ে আলোচনা হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, দেশের প্রয়োজন জানানোর পর চীন ইতিবাচকভাবে সাড়া দিয়েছে।
এ নিয়ে দেশটি প্রস্তাব দিলে ভবিষ্যতে ইতিবাচকভাবে দেখবে বিএনপি।
রোহিঙ্গা ইস্যুতে কোনো কথা হয়েছে কিনা, জানতে চাইলে তিনি বলেন, রোহিঙ্গা সংকট নিয়ে আন্তরিকতার সঙ্গে মায়ানমারকে রাজি করানোর চেষ্টা করছে চীন বলে জানিয়েছে।
চীনা কমিউনিস্ট পার্টির আমন্ত্রণে গত ২২ জুন ৯ সদস্যের উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধিদল নিয়ে চীন সফরে যান বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। ২৭ জুন দেশে ফেরে প্রতিনিধিদলটি।
সফরে মির্জা ফখরুলের সঙ্গী হয়েছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, সেলিমা রহমান এবং চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য ইসমাইল জবিউল্লাহ, অধ্যাপক সুকোমল বড়ুয়া, জহির উদ্দিন স্বপন, মিডিয়া সেলের আহ্বায়ক অধ্যাপক ডা. মওদুদ হোসেন আলমগীর পাভেল এবং চেয়ারপারসনের একান্ত সচিব এ বি এম আবদুস সাত্তার।
মন্তব্য করুন
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)-এর মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, গত ১৫ বছরে ফ্যাসিবাদী সরকার দেশের অর্থনীতি ধ্বংস করে দিয়েছে। দেশটির সম্পদ লুট করে বিদেশে পাচার করা হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, প্রতিবছর প্রায় ১৬ বিলিয়ন ডলার বিদেশে পাচার হয়েছে এবং ১৫ বছরে প্রায় ২৮০ বিলিয়ন ডলার পাচার করা হয়েছে।
শুক্রবার (৩ জানুয়ারি) দুপুর সাড়ে ১১টায় দিনাজপুর সরকারি কলেজের অর্থনীতি বিভাগের সুবর্ণজয়ন্তী ও গুণীজন সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, “আমরা সবসময় গণতন্ত্রের কথা বলি, কিন্তু দেশে গণতন্ত্রের চর্চা হয় না। এ দেশে বারবার গণতন্ত্রকে হত্যা করার চেষ্টা করা হয়েছে। ফলে গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলো শক্তিশালী হয়নি। তবে এখন দেশ গড়ার একটা সুযোগ এসেছে। ছাত্র-জনতা সেই সুযোগ তৈরি করে দিয়েছে।”
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন দিনাজপুর সরকারি কলেজের অর্থনীতি বিভাগের চেয়ারম্যান ও প্রধান প্রফেসর জাহেদা পারভীন।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঠাকুরগাঁও সরকারি কলেজের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ প্রফেসর আ.ন.ম গোলাম রব্বানী, দিনাজপুর সরকারি মহিলা কলেজের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ প্রফেসর আব্দুল জব্বার, দিনাজপুর সরকারি কলেজের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ প্রফেসর আব্দুল কাইয়ুম এবং নীলফামারী সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর মো. মাহবুবুর রহমান।
অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন দিনাজপুর সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর একেএম আল আব্দুল্লাহ, উপাধ্যক্ষ প্রফেসর আইয়ুব আলী, অর্থনীতি বিভাগের সাবেক শিক্ষক প্রফেসর ড. আব্দুর রাজ্জাক এবং সাবেক শিক্ষার্থী মতিউর রহমান।
স্বাগত বক্তব্য দেন অর্থনীতি বিভাগের সাবেক বিভাগীয় প্রধান প্রফেসর মো. ইদ্রিস মিয়া।
উল্লেখ্য, মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর একসময় দিনাজপুর সরকারি কলেজের অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষক ছিলেন।
মন্তব্য করুন
সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া লন্ডনে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস ও জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের সভানেত্রী আফরোজা আব্বাসের কাছে দেশের সার্বিক পরিস্থিতি সম্পর্কে জানতে চেয়েছেন।
শনিবার (১১ জানুয়ারি) স্থানীয় সময় সন্ধ্যায় লন্ডনের দ্য লন্ডন ক্লিনিকে খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করতে যান আব্বাস দম্পতি। সাক্ষাতের পর গণমাধ্যমে সেই বিষয়ে তারা বিস্তারিত জানান।
মির্জা আব্বাস বলেন, “গত ১৭ বছর ধরে খালেদা জিয়া সঠিক চিকিৎসা পাননি। আওয়ামী লীগের শাসনামলে তিনি গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন। তখন শেখ হাসিনা খালেদা জিয়ার সম্পর্কে নানা বাজে মন্তব্য করতেন। তবে এখন তিনি ভালো আছেন। তার স্বাস্থ্য পরীক্ষা-নিরীক্ষা চলছে। আমরা আশা করি, তিনি দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠবেন।”
তিনি আরও বলেন, “বিশ্বের সেরা চিকিৎসকদের অধীনে তার চিকিৎসা চলছে। মানসিকভাবে তিনি সব সময় শক্ত ছিলেন এবং এখনো ভালো আছেন। আমরা তার সঙ্গে কোনো রাজনৈতিক আলোচনা করিনি। শুধুমাত্র তার স্বাস্থ্য নিয়ে কথা বলেছি। তবে তিনি আমাদের দেশের মানুষ ও বর্তমান পরিস্থিতি সম্পর্কে জানতে চেয়েছেন।”
তারেক রহমানের সঙ্গে কোনো রাজনৈতিক নির্দেশনা পাওয়া গেছে কি না এমন প্রশ্নের জবাবে মির্জা আব্বাস বলেন, “আমি প্রতি সপ্তাহেই তার সঙ্গে অফিসিয়ালি কথা বলার সুযোগ পাই। নির্দেশনা আমরা সেখান থেকেই পেয়ে থাকি। তবে এই সফরে কোনো রাজনৈতিক নির্দেশনা পাইনি।”
আফরোজা আব্বাস বলেন, “খালেদা জিয়া আমাকে নাতি-নাতনিদের খোঁজখবর নিয়েছেন। দেশের পরিস্থিতি ও মহিলা দলের সদস্যরা কেমন আছেন, সেটাও জানতে চেয়েছেন। তিনি দেশের মানুষ সম্পর্কে খুবই চিন্তিত। আমরা আশা করছি, তিনি দ্রুত সুস্থ হয়ে দেশে ফিরবেন।”
এ সময় যুক্তরাজ্য বিএনপির সভাপতি ও চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা এমএ মালেক, সাধারণ সম্পাদক কয়ছর এম আহমেদসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, মির্জা আব্বাস ও আফরোজা আব্বাস দম্পতি গত শুক্রবার লন্ডনে পৌঁছান।
মন্তব্য করুন
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন নিবন্ধন ছাড়া দলগুলোই ডিসেম্বরে নির্বাচন চায় না।
তিনি বলেন, ৫২টি দল ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন চেয়েছে। আর ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন চায় না কারা বলি, যেসব দলের নিবন্ধন হয় নাই, যাদের জন্ম ৫ আগস্টের পর। এরা ডিসেম্বরে নির্বাচন চায় না।
ডিসেম্বর বলছে বিএনপির পক্ষ থেকে। আমি বলছি কেন ডিসেম্বর, কেন সেপ্টেম্বর, অক্টোবরে নির্বাচন নয়? কোন কাজটা বাকি আমি তো দেখতেছি না।
আজ শনিবার দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবে জিয়াউর রহমানের মৃত্যুবার্ষিকীর আলোচনাসভায় তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি আরো বলেন, জনগণের ভোটে নির্বাচিত সরকারই একটি দেশের মূল শক্তি। দেশ গড়তে সবাইকে কাজ করতে হবে। ভবিষ্যতের নির্বাচিত সরকারকে সহযোগিতা করতে হবে। বিএনপি সরকার গঠন করলে তা হবে জবাবদিহিমূলক সরকার।
নির্বাচনের সময়সীমা প্রসঙ্গে আমীর খসরু বলেন, গণতন্ত্রের পথ কেউ যদি রুদ্ধ করতে চায়, শান্তিপূর্ণ ক্ষমতা হস্তান্তর প্রক্রিয়া কেউ যদি বাধাগ্রস্ত করতে চায়, জনগণকে সঙ্গে নিয়ে তাদের রুখে দেওয়া হবে। ডিসেম্বরের মধ্যেই হতে হবে নির্বাচন।
প্রধান উপদেষ্টা নির্বাচন নিয়ে যে বক্তব্য দিয়েছেন, এর দ্বারা কী অর্থ বহন করে এমন প্রশ্ন রাখেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য।
মন্তব্য করুন
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, গত দেড় দশকে শেখ হাসিনা নিজে ও তার পরিবারের সদস্যদের মাধ্যমে দেশে একটি গোষ্ঠীতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেছেন। এখন তিনি পাশের দেশ থেকে রাজনৈতিক কর্মসূচি ঘোষণা করছেন। আর যারা কারাগারে আটক রয়েছেন, তাদের মধ্যে একজন দরবেশ (সালমান এফ রহমান) কারাগার থেকে ঝাড়ফুঁক দিচ্ছেন। তিনি মাঝেমধ্যে জেলখানা থেকে বার্তা পাঠাচ্ছেন যে, এতগুলো শ্রমিক নেমে গেলেই তো হয়।
বুধবার (২৯ জানুয়ারি) দুপুরে রাজধানীর রমনার ইনস্টিটিউশন অব ইঞ্জিনিয়ার্স, বাংলাদেশ (আইইবি)-এর সেমিনার হলে এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৮৯তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে প্রকৌশলীদের সংগঠন অ্যাসোসিয়েশন অব ইঞ্জিনিয়ার্স, বাংলাদেশ (অ্যাব) এই আলোচনাসভার আয়োজন করে।
রুহুল কবীর রিজভী বলেন, ‘আমি জানি না তাদের বিচার প্রক্রিয়া কিভাবে চলছে। কিভাবে তারা সেখান থেকে বেরিয়ে এসে এই কথাগুলো বলছে। নিশ্চয়ই তাদের নানাভাবে সহায়তা দেওয়া হচ্ছে। তারা সেই সুযোগ নিয়ে কথাবার্তা বলছে।’
কারাগারে বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের ওপর নির্যাতন প্রসঙ্গে রিজভী বলেন, ‘আমাদেরকে কারাগারে নিয়ে মাদকসেবী ও ফাঁসির আসামিদের সঙ্গে রাখা হতো। আমাদের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রযন্ত্র ব্যবহার করে নির্যাতন-নিপীড়ন করা হয়েছে। শেখ হাসিনার নির্দেশে গুম-খুন করা হয়েছে, যা গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে। তিনি রাষ্ট্রীয়ভাবে পৃষ্ঠপোষকতা করেছেন।’
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সংস্কার কার্যক্রম প্রসঙ্গে রিজভী আরো বলেন, ‘সরকার সংস্কারের কথা বলছে, যা ভালো। কিন্তু সংস্কারের নামে আপনারা সময়ক্ষেপণ করবেন না। এমন সংস্কার আনুন যাতে ফ্যাসিবাদ পুনরায় প্রতিষ্ঠিত হতে না পারে। এমন সংস্কার নিয়ে আসুন যাতে মানুষ ন্যায়বিচার পায়। এমন সংস্কার আনুন যাতে ফ্যাসিবাদের কবর রচনা হয় এবং ভবিষ্যতে কোনো ফ্যাসিবাদের জন্ম না হয়। তা না হলে মানুষ ভালোভাবে নেবে না।’
অ্যাবের সভাপতি ও আইইবির প্রেসিডেন্ট প্রকৌশলী রিয়াজুল ইসলাম রিজুর সভাপতিত্বে এবং যুগ্ম মহাসচিব প্রকৌশলী এ কে এম আসাদুজ্জামান চুন্নুর সঞ্চালনায় সভায় বক্তব্য দেন অ্যাবের মহাসচিব প্রকৌশলী আলমগীর হাছিন আহমেদ প্রমুখ।
মন্তব্য করুন
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থার মধ্য দিয়ে যদি সত্যিকার স্বাধীন নির্বাচন কমিশন (ইসি) নির্বাচন পরিচালনা করতে পারে, সেখানেই স্বৈরাচারের উৎপত্তিটা বন্ধ হয়ে যেতে পারে। শুধু নির্বাহী বিভাগকে দুর্বল করার মধ্য দিয়ে, রাষ্ট্রে একটি শক্তিশালী গণতান্ত্রিক কাঠামো দাঁড় করানো যাবে না।
আজ বৃহস্পতিবার জাতীয় প্রেস ক্লাব মিলনায়তনে নাগরিক ঐক্যের এক আলোচনাসভায় তিনি এসব কথা বলেন। নাগরিক ঐক্যের ১৩তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে এই সভার আয়োজন করা হয়।
তিনি বলেন, ‘নির্বাহী বিভাগকে নির্বাহী বিভাগের কাজ করতে দিতে হবে। বিচার বিভাগকে বিচার বিভাগের কাজ করতে দিতে হবে। আইনসভাকে আইনের কাজ করতে দিতে হবে। সেখানেই থাকবে পুরো ক্ষমতার ভারসাম্য।
তাহলে পরে কোনো প্রতিষ্ঠান অন্য প্রতিষ্ঠানের ওপরে হস্তক্ষেপ করতে পারবে না। একটা আরেকটার ভারসাম্য হয়ে পাহারাদার হিসেবে কাজ করবে। বিশ্বাস করি, আমরা একটা জায়গায় ঐকমত্যে আসতে পারব। আমরা বলেছি, ১০ বছরের বেশি কোনো ব্যক্তি বাংলাদেশে প্রধানমন্ত্রিত্বের আসনে বসতে পারবেন না।
এখানেই স্বৈরাচারকে রুখে দেওয়া হলো, এখানে ফ্যাসিবাদের উপত্তি বন্ধ করে দেওয়া হলো। তারপর কী করা হবে? রাষ্ট্রের সব গণতান্ত্রিক ও সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে এই এই গণতন্ত্র রক্ষাকবজ হিসেবে শক্তিশালীর ভিত্তির ওপর দাঁড় করানো হবে। তার জন্য বিচার বিভাগের পূর্ণাঙ্গ স্বাধীনতা, গণমাধ্যমের স্বাধীনতা এবং নির্বাচনকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করতে হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা একটা প্রস্তাব দিয়েছি যে রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের ক্ষেত্রে উভয় পক্ষের এমপিরা গোপন ব্যালটে স্বাধীনভাবে ভোট দেবেন। সেটা আরেকটা বিপ্লব হবে।
আর প্রধানমন্ত্রীর মেয়াদ আমরা ১০ বছরে সীমাবদ্ধ করলাম। সেটা কি আমাদের বড় ধরনের অর্জন নয়? আমরা যদি প্রতিক্ষেত্রে নির্বাহী বিভাগকে সীমাবদ্ধ করি, তাহলে কিন্তু নির্বাহী বিভাগ দুর্বল হবে। রাষ্ট্র ও সরকার পরিচালনা করা যাবে না। আমরা সেই সংস্কার চাই, যার মধ্য দিয়ে রাষ্ট্রের একটি শক্তিশালী গণতান্ত্রিক কাঠামো নির্মিত হবে।’
মন্তব্য করুন
লন্ডনে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের যে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে, তাতে জনগণের প্রত্যাশা পূরণ হয়েছে বলে জানিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। সোমবার (১৬ জুন) যুক্তরাজ্য থেকে দেশে ফিরে বিমানবন্দরে তিনি সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত অনেক দীর্ঘ সময়। বিচার চলমান প্রক্রিয়া।
সংস্কার হবে ঐকমত্যের ভিত্তিতে। সেটা হতে এক থেকে দেড় মাসের বেশি লাগবে না।
আমীর খসরু বলেন, বিএনপি গণতান্ত্রিক পথে এগিয়ে যাবে। মানুষ ২০ বছর ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারেনি।
তরুণরা ভোট দিতে পারেনি। সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য একটি নির্বাচনের মাধ্যমে অচিরেই দেশের মানুষ ভোটের অধিকার ফিরে পাবে বলেও মন্তব্য করেন বিএনপির এই নেতা।
মন্তব্য করুন
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেছেন, ২৪-এর গণ-অভ্যুত্থান কেবল একটি দলকে সরিয়ে আরেকটি দলকে ক্ষমতায় বসানোর জন্য হয়নি। বরং এটি ছিল জনগণের অধিকার রক্ষা ও গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার সংগ্রাম।
শনিবার (১৯ এপ্রিল) সকালে সংসদ ভবনের এলডি হলে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে এক বৈঠকে সূচনা বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।
নাহিদ ইসলাম বলেন, "মৌলিক ও গঠনমূলক সংস্কার করে জনগণের অধিকার নিশ্চিত করতে হবে। আমাদের লক্ষ্য এমন একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রব্যবস্থা গড়ে তোলা, যেখানে সংবিধান, প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতা, বিচারব্যবস্থা ও নির্বাচনী প্রক্রিয়া সবার জন্য সমান ও স্বচ্ছ হবে।"
তিনি আরও যোগ করেন, "জুলাই সনদ জাতির সামনে স্পষ্টভাবে তুলে ধরতে হবে। এটি আমাদের অঙ্গীকার, এবং এ অঙ্গীকার রক্ষা করতে হবে। যাতে দেশে আর কখনও স্বৈরতন্ত্র বা ফ্যাসিবাদের উত্থান না ঘটে, সে জন্য সব ধরনের নিষ্ক্রিয়তা ও পথ বন্ধ করে এগিয়ে যেতে হবে। আমরা একটি প্রকৃত গণতান্ত্রিক সংবিধান চাই।"
এনসিপির পক্ষ থেকে এ বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন দলের সদস্য সচিব আখতার হোসেন, মুখ্য সমন্বয়ক নাসিরউদ্দিন পাটোয়ারী, যুগ্ম আহ্বায়ক সরোয়ার তুষার, মুখ্য সংগঠক হাসনাত আব্দুল্লাহ, জ্যেষ্ঠ যুগ্ম আহ্বায়ক সামান্তা শারমিন প্রমুখ।
এর আগে, গত বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকারের নেতৃত্বে একটি পাঁচ সদস্যের প্রতিনিধিদল জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে বৈঠক করে।
মন্তব্য করুন
ডেস্ক রিপোর্ট:
বিএনপি সংবিধান সংস্কার কমিশনের কাছে উপ-রাষ্ট্রপতি ও উপ-প্রধানমন্ত্রীর পদসহ মোট ৬২টি প্রস্তাবনা জমা দিয়েছে। মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) দুপুরে দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাউদ্দিন আহমেদের নেতৃত্বে দুই সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল কমিশনের প্রধান অধ্যাপক আলী রীয়াজের হাতে লিখিত প্রস্তাবনা তুলে দেয়।
পরে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন সালাউদ্দিন আহমেদ। তিনি জানান, বিএনপির পক্ষ থেকে সূচনা থেকে তফসিল পর্যন্ত মোট ৬২টি প্রস্তাবনা জমা দেওয়া হয়েছে। জুলাই-আগস্টের বিপ্লব এবং বর্তমান রাজনৈতিক বাস্তবতা বিবেচনায়, ভবিষ্যতে যেন একনায়কতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত না হয়, সেসব বিষয় মাথায় রেখে প্রস্তাবনা তৈরি করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, "আমরা বিচার বিভাগের ক্ষেত্রেও সুপারিশ করেছি। উপ-রাষ্ট্রপতি ও উপ-প্রধানমন্ত্রীর পদ সৃষ্টির প্রস্তাব দিয়েছি। নির্বাহী, বিচার বিভাগ এবং আইন বিভাগসহ সব ক্ষেত্রেই এমন প্রস্তাবনা দেওয়া হয়েছে, যাতে ক্ষমতার ভারসাম্য বজায় থাকে।"
সালাউদ্দিন আহমেদ বলেন, সংবিধান সংস্কার কমিশন এ প্রস্তাবনাগুলো সরকারের কাছে উপস্থাপন করবে। কোনো বিষয়ে দ্বিমত থাকলে ভবিষ্যতে নির্বাচিত সরকার বিষয়টি দেখবে।
অধ্যাপক আলী রীয়াজ সাংবাদিকদের জানান, বিএনপির জমা দেওয়া প্রস্তাবনা এখনো পড়ে দেখা হয়নি। তবে সবার সঙ্গে আলোচনা করে যেখানে প্রয়োজন, সেখানে সুপারিশ প্রণয়ন করা হবে।
মন্তব্য করুন
ডেস্ক রিপোর্ট:
আগামীতে অন্তর্ভুক্তিমূলক নির্বাচনের জন্য আওয়ামী লীগের অংশগ্রহণ জরুরি নয় বলে মন্তব্য করেছেন অ্যাটর্নি জেনারেল অ্যাডভোকেট মো. আসাদুজ্জামান। তিনি বলেন, যদি জুলাই হত্যাকাণ্ডের দায়ে আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ, বিশেষ করে শেখ হাসিনা দণ্ডিত হন, তবে তারা নির্বাচনে অংশগ্রহণের অযোগ্য হবেন।
শুক্রবার রাজধানীর এফডিসিতে ডিবেট ফর ডেমোক্রেসি আয়োজিত এক ছায়া সংসদে অ্যাটর্নি জেনারেল এসব কথা বলেন।
অ্যাডভোকেট মো. আসাদুজ্জামান আরও বলেন, শেখ হাসিনার পরিণতি যদি নির্মম হয়, তবে তার পাশে আওয়ামী লীগের কোনো নেতা দাঁড়াতে সাহস পাবেন না। যারা নির্বাচন ব্যবস্থা ধ্বংস করেছে, সংবিধানকে ছিঁড়ে মানুষের অধিকার লুণ্ঠন করেছে, তারা ইতিহাসের খলনায়ক হিসেবে চিহ্নিত হবে এবং বিচারের মাধ্যমে তারা কারাগারে যাবে। জুলাই বিপ্লবে শহিদরা ইতিহাসের মহানায়ক হিসেবে চিহ্নিত হবেন। এই বিপ্লব মুক্তিযুদ্ধের চেতনা এবং বৈষম্যহীন বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয়ে সংঘটিত হয়েছিল। এ বিপ্লবের অর্জনকে ধ্বংস করার চেষ্টা চলছে, কিন্তু কোনো ষড়যন্ত্রকারী এর বিরোধিতা করতে পারবে না। বিপ্লবীরা মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠায় ঐক্যবদ্ধ থাকবে। আওয়ামী লীগ ভোটাধিকার হরণ করেছিল, যা ফ্যাসিস্ট শাসনের একটি উদাহরণ।
তিনি আরও বলেন, ১৯৭৩ সালে কুমিল্লা থেকে হেলিকপ্টারে ব্যালট বাক্স ছিনতাই করে ঢাকায় এনে পছন্দের প্রার্থীকে বিজয়ী করার ধারাবাহিকতায় বিগত তিনটি নির্বাচন প্রহসনে পরিণত হয়েছিল। যারা এসব নির্বাচনের মাধ্যমে কলঙ্কিত করেছেন, তাদের বিচারের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়া উচিত।
এদিনের অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ডিবেট ফর ডেমোক্রেসির চেয়ারম্যান হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণ। সভাপতির বক্তব্যে তিনি বলেন, সাবেক প্রধান বিচারপতি খায়রুল হক তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিল করেছিলেন, যা শুধুমাত্র আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় রাখতে একটি ষড়যন্ত্র ছিল। তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিলের রায়ের বিরুদ্ধে জালিয়াতির দায়ে খায়রুল হকের গ্রেফতার এবং বিচার হওয়া উচিত। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকার জন্য একতরফা, মধ্যরাতের নির্বাচন পরিচালনা করেছে এবং নির্বাচন কমিশন, প্রশাসন, পুলিশ, রিটার্নিং অফিসারসহ নির্বাচনের সঙ্গে যুক্ত সবাইকে নির্বাচনি অপরাধে অভিযুক্ত করা উচিত। যারা নির্বাচনি অপরাধে জড়িত ছিলেন তাদের বিচার হওয়া উচিত।
ডিবেট ফর ডেমোক্রেসির চেয়ারম্যান হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণ ১০ দফা সুপারিশ তুলে ধরেন:
১. বিগত নির্বাচনকে বিতর্কিত এবং প্রশ্নবিদ্ধ করে যারা নির্বাচন কমিশনসহ নির্বাচনি অপরাধ করেছে, তাদের বিচার করা।
২. সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার নুরুল হুদার বিরুদ্ধে উত্থাপিত অসদাচরণ ও আর্থিক অনিয়মের অভিযোগের তদন্ত করা।
৩. আরপিও সংশোধনের মাধ্যমে নির্বাচনকালীন পরিবেশ না থাকলে যে কোনো সময় ভোট বন্ধের ক্ষমতা নির্বাচন কমিশনকে ফিরিয়ে দেওয়া।
৪. নির্বাচনকালীন সন্ত্রাস, ভীতি সঞ্চার, বা অন্য যেকোনো নির্বাচনি অপরাধের সঙ্গে জড়িতদের কঠোর শাস্তির ব্যবস্থা নেওয়া।
৫. দুর্নীতিবাজ, টাকা পাচারকারী, ব্যাংক লুটেরা এবং ঋণখেলাপিদের নির্বাচনে অংশগ্রহণ থেকে বাধা দেওয়া।
৬. আন্তর্জাতিকভাবে খ্যাতিসম্পন্ন নির্বাচন পর্যবেক্ষণ সংস্থাকে নির্বাচনে পর্যবেক্ষণের সুযোগ দেওয়া।
৭. নির্বাচনি গণমাধ্যম সংবাদ পরিবেশনে বাধা সৃষ্টি করা আইন বাতিল করা।
৮. নবগঠিত নির্বাচন কমিশনকে রাজনৈতিক দল এবং নাগরিক সংগঠনের সঙ্গে সংলাপের ব্যবস্থা করা।
৯. নির্বাচনী মনোনয়ন বাণিজ্য বন্ধ করার উপায় বের করা।
১০. নির্বাচন কমিশনকে রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত রাখা এবং কোনো চাপের কাছে মাথা নত না করার আহ্বান জানানো।
ডিবেট ফর ডেমোক্রেসি আয়োজিত এই প্রতিযোগিতায় বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি বিতার্কিকদের পরাজিত করে ইস্টার্ন ইউনিভার্সিটির বিতার্কিকরা বিজয়ী হন।
মন্তব্য করুন