বর্তমান রাষ্ট্র কাঠামো ও অর্থনৈতিক কাঠামোর পরিবর্তন দরকার। যেটা রাতারাতি পরিবর্তন সম্ভব নয়। গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় এটি সংস্কার করতে হবে। শনিবার (২৬ জুলাই) সকালে রাজধানীতে এক অনুষ্ঠানে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এসব কথা বলেন।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, গেলো ১৫ বছরে দেশের মানুষের সব স্বপ্নকে গলাটিপে হত্যা করা হয়েছে। অর্থনীতি, গণতন্ত্র ও রাজনীতির কাঠামো পুরোপুরি ধ্বংস করা হয়েছে। জবাবদিহিতার অভাবে রাষ্ট্রীয় সম্পদ লুটপাট করা হয়েছে।
তিনি বলেন, দেশের পুনর্গঠনে সব সমস্যাকে পাশ কাটিয়ে এগিয়ে যেতে হবে। সবাই মিলে সহযোগিতা করছে বলেই সরকার চলছে।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, বিলম্ব না করে অতিদ্রুত গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় ফিরে যেতে হবে। যৌক্তিক কারণে নির্বাচন চায় বিএনপি। অর্থনীতি ও রাজনৈতিক ক্ষেত্রে জিয়াউর রহমান বড় পরিবর্তন নিয়ে এসেছেন, যা পরিকল্পিতভাবে ধ্বংস করা হয়েছে।
তিনি বলেন, ট্রাম্পের ট্যারিফ আমাদের খুব বিপদে ফেলতে যাচ্ছে। এখান থেকে উত্তরণে বিশেষ করে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা জরুরি।
মন্তব্য করুন
দেশ থেকে পাচার হওয়া কয়েকশ কোটি ডলার এ বছরের মধ্যেই ফিরিয়ে আনা সম্ভব বলে জানিয়েছেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ। আজ মঙ্গলবার (১১ মার্চ) সকালে সচিবালয়ে ক্রয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠক শেষে তিনি এ কথা জানান।
এক প্রশ্নের জবাবে অর্থ উপদেষ্টা বলেন, "আমরা চেষ্টা করছি, বিশাল অংকের টাকা। সব টাকা আনতে সময় লাগবে। তাদের শনাক্ত করতে হবে। পাচারের সঙ্গে জড়িতরা বিভিন্ন দেশে আছেন। এখানে কতগুলো আইনের পদক্ষেপও রয়েছে, আবার সে আইনের পদক্ষেপগুলো বিদেশের সঙ্গেও জড়িত। এ জন্য একটি বিশেষ আইন করার উদ্যোগ নিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার, শিগগিরই যা অধ্যাদেশ আকারে জারি হবে।"
সরকার কয়েকশ কোটি ডলার ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করছে। এটা কি সম্ভব? এমন প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা বলেন, "হ্যাঁ, এটা সম্ভব। অনেক সময় দেখা যায় ১১-১২ জন দিয়েছে, ২০০ কোটি টাকার ওপরে অনেকের শনাক্ত করা হয়েছে। সব মিলিয়ে হয়তো আমরা আনতে পারব।"
মন্তব্য করুন
সংস্কার ও জুলাই সনদ বিএনপিসহ অন্য রাজনৈতিক দলগুলোর ঐকমত্যের ভিত্তিতে হবে বলে জানিয়েছেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী।
শুক্রবার (১৩ জুন) লন্ডনে সফররত অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে ডোরচেস্টার হোটেলে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বৈঠকের পর সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি একথা বলেন।
বৈঠকে জুলাই সনদ নিয়ে কোন কথা হয়েছে কি না যৌথ বিবৃতিতে এক সাংবাদিকের প্রশ্নে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, জুলাই সনদ নিয়ে দেশে অলরেডি আলোচনা চলছে। এ ব্যাপারে আমাদের মধ্যে অলরেডি সিদ্ধান্ত আছে যে, ঐকমত্যের ভিত্তিতে জুলাই সনদ হবে। সংস্কারের ব্যাপারে তিনি বলেন, ঐকমত্যের পরিপেক্ষিতে আমরা সংস্কার ও জুলাই সনদ দুটোই করবো। ঐকমত্যের পরিপ্রেক্ষিতে সেটার সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
প্রধান উপদেষ্টা ও তারেক রহমানের বৈঠকের পর বাংলাদেশ সময় বিকেল ৪টার দিকে যৌথ বিবৃতি করা হয়। এতে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা খলিলুর রহমান, প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী এবং হুমায়ুন কবির।
এর আগে, যুক্তরাজ্যের লন্ডনের ডোরচেস্টার হোটেলে শুক্রবার স্থানীয় সময় সকাল ৯টায় (বাংলাদেশ সময় বেলা ২টা) বৈঠকটি শুরু হয়। স্থানীয় সময় সকাল সাড়ে ১০টায় শেষ হয় প্রধান উপদেষ্টা ও তারেক রহমানের বৈঠক।
মন্তব্য করুন
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী জানিয়েছেন, ২০০৯ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর পিলখানায় সংঘটিত বিডিআর বিদ্রোহের ঘটনায় একটি তদন্ত কমিশন গঠন করা হয়েছে।
সোমবার (২৩ ডিসেম্বর) রাজধানীর পিলখানায় বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সদর দপ্তরে বিজিবি দিবস উপলক্ষে পদক প্রদান অনুষ্ঠানে তিনি এ তথ্য জানান।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, “বিডিআর বিদ্রোহের ঘটনায় ৭ সদস্যের একটি তদন্ত কমিশন গঠন করা হয়েছে। রোববার (২২ ডিসেম্বর) রাতে প্রধান উপদেষ্টা এতে অনুমোদন দিয়েছেন।”
তিনি আরও জানান, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ফেরানোর জন্য ভারতের সঙ্গে যোগাযোগের প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নিতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে চিঠি দেওয়া হয়েছে। বন্দি প্রত্যর্পণ চুক্তির আওতায়ই তাকে ফিরিয়ে আনার প্রক্রিয়া সম্পন্ন হবে।
সীমান্তে রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ বিষয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, “আমাদের নীতিগত অবস্থানে কোনো পরিবর্তন আসেনি। রোহিঙ্গাদের কোনোভাবেই প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না। শুধুমাত্র যারা অসুস্থ, তাদের মানবিক বিবেচনায় আশ্রয় দেওয়া হচ্ছে।”
তিনি আরও বলেন, “পররাষ্ট্র উপদেষ্টা যে দুই মাসের মধ্যে ৬০ হাজার রোহিঙ্গা প্রবেশের কথা বলেছেন, তা আসলে স্লিপ অব টাং। প্রকৃতপক্ষে গত দেড় থেকে দুই বছরের মধ্যে ৬০ হাজার রোহিঙ্গা প্রবেশ করেছে।”
এ সময় কুমিল্লায় মুক্তিযোদ্ধাদের হেনস্তার ঘটনায় জড়িতদের আইনের আওতায় আনার বিষয়ে তিনি বলেন, “যারা মুক্তিযোদ্ধাদের হেনস্তা করছে, তাদের অবশ্যই আইনের আওতায় আনা হবে।”
মন্তব্য করুন
ডেস্ক রিপোর্টঃ
রাষ্ট্রদ্রোহের মামলায় গ্রেপ্তার ইসকনের সাবেক নেতা ও সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ মঞ্চের মুখপাত্র চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের জামিন শুনানি পিছিয়ে আগামী ২ জানুয়ারি ধার্য করেছেন আদালত। শুনানির জন্য আসামি পক্ষের কোনো আইনজীবী উপস্থিত না থাকায় আজ মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টায় চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ মো. সাইফুল ইসলামের আদালত এই সিদ্ধান্ত দেন।
এর আগে মঙ্গলবার সকাল থেকে শুনানিকে কেন্দ্র করে চট্টগ্রাম আদালতপাড়ায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের কড়া নিরাপত্তা দিতে দেখা গেছে।এ ছাড়া প্রবেশমুখগুলোতে জনসাধারণের প্রবেশ সীমিত করা হয়েছে। প্রয়োজন ছাড়া কাউকে ভেতরে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না।
এদিকে আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফ হত্যার প্রতিবাদে আজও বিক্ষোভ হয়েছে চট্টগ্রামের আদালতপাড়ায়। মঙ্গলবার বেলা পৌনে ১১টায় একদল আইনজীবী আদালত প্রাঙ্গণে বিক্ষোভ শুরু করেন। এ সময় তারা আলিফ হত্যার বিচার চান। আইনজীবীরা আলিফ হত্যাকাণ্ড ও আদালত প্রাঙ্গণে হামলা ভাঙচুরের ঘটনায় দায়েরকৃত মামলায় চিন্ময়কে আসামি করার দাবি জানান।
উল্লেখ্য, গত ২৬ নভেম্বর চিন্ময়ের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করেন আদালত। তাকে কারাগারে নেওয়ার সময় মুক্তির দাবিতে বিক্ষোভরত হাজারখানেক অনুসারীর সঙ্গে সংঘর্ষ হয় পুলিশের। পরে ত্রিমুখী সংঘর্ষে কুপিয়ে হত্যা করা হয় সাইফুল ইসলাম আলিফ নামে এক আইনজীবীকে। সম্প্রতি যিনি সরকারি কৌঁসুলি হিসেবে নিযুক্ত হয়েছিলেন।
আইনজীবী আলিফ খুন এবং আদালত প্রাঙ্গণে পুলিশের ওপর হামলা-গাড়ি ভাঙচুরের অভিযোগে পৃথক দুটি মামলা করেন তার বাবা ও ভাই। বাবার করা হত্যা মামলায় ৩১ জনকে আসামি করা হলেও ভাইয়ের করা মামলায় এজাহারনামীয় আসামি করা হয় ১১৬ জনকে। সেই মামলায় চিন্ময় কৃষ্ণের আইনজীবী শুভাশিস শর্মাও ৩৩ নম্বর আসামি।
এ ছাড়া তার অনুসারী আরও ৫০ জনের অধিক আইনজীবীকে আসামি করা হয়েছে। মোট পাঁচটি মামলায় এখন পর্যন্ত গ্রেপ্তার ৩৯ জন। এর মধ্যে গতকাল সোমবার আইনজীবী সাইফুল হত্যায় ৯ জনকে গ্রেপ্তার দেখিয়েছেন আদালত।
মন্তব্য করুন
বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন জানিয়েছেন, আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে বাজারে বোরো ধানের চাল আসতে শুরু করবে। তিনি আশা প্রকাশ করে বলেন, নতুন ধান ওঠার পর চালের দাম সহনীয় পর্যায়ে নেমে আসবে।
মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) ভোজ্যতেলের আমদানি, সরবরাহ ও সংশ্লিষ্ট বিষয় নিয়ে এক সভা শেষে তিনি সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।
বাণিজ্য উপদেষ্টা বলেন, "দুর্ভাগ্যবশত গত কয়েক মাস ধরে চালের দাম অস্বাভাবিক হারে বেড়েছে। তবে দুই সপ্তাহের মধ্যে বাজারে বোরো ধানের চাল আসবে। বিশেষ করে নাজিরশাইল বা মিনিকেট জাতের চাল বোরো মৌসুম থেকেই সরবরাহ করা হয়।"
তিনি আরও বলেন, "এ বছর আবহাওয়া অনুকূলে ছিল, বিদ্যুতের সরবরাহও ভালো ছিল। পাশাপাশি সারের পর্যাপ্ত জোগান নিশ্চিত করা গেছে। আমরা আশা করছি, আল্লাহর রহমতে এবারের ফসল ভালো হবে এবং ধানের উৎপাদন বাড়বে। নতুন ফসল বাজারে আসার পর চালের দাম স্থিতিশীল হবে।"
কৃষিপণ্যের মূল্যবৃদ্ধি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, "কৃষিপণ্যের বাজার গতিশীল। তবে আমরা সব পণ্যের দিকেই সতর্ক নজর রাখছি এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিচ্ছি।"
এ সময় ট্রাম্পের প্রতিনিধিদল বাংলাদেশ সফর করলে দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্যিক সহযোগিতা নিয়ে আলোচনার সম্ভাবনা আছে কি না—এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, "এ বিষয়টিই এখন প্রধান বিবেচ্য।"
মন্তব্য করুন
সম্প্রতি বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশন (বিপিএসসি) ৪৭তম বিসিএসের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে। রোববার (২৯ ডিসেম্বর) সকাল ১০টা থেকে ৪৭তম বিসিএসের আবেদন শুরু হবে। প্রার্থীরা আগামী ৩০ জানুয়ারি রাত ১১টা ৫৯ মিনিট পর্যন্ত আবেদন করতে পারবেন।
পিএসসি সূত্রে জানা গেছে, ৪৭তম বিসিএস থেকে আবেদন ফি ও মৌখিক পরীক্ষার (ভাইভা) নম্বর কমানো হয়েছে। এ বিসিএসে ভাইভা নম্বর ২০০ থেকে কমিয়ে ১০০ করা হয়েছে।
আবেদন ফি ৭০০ টাকার পরিবর্তে ২০০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী, প্রতিবন্ধী এবং তৃতীয় লিঙ্গের প্রার্থীদের জন্য আবেদন ফি ৫০ টাকা ধরা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, গত ৯ ডিসেম্বর থেকে ৪৭তম বিসিএসের আবেদন শুরু হওয়ার কথা থাকলেও আবেদন ফি কমানোর প্রজ্ঞাপন না হওয়ায় আবেদন প্রক্রিয়া স্থগিত করে পিএসসি।
পিএসসি গত ২৮ নভেম্বর ৪৭তম বিসিএসের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে। বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, ১০ ডিসেম্বর সকাল ১০টা থেকে আবেদন শুরু হয়ে ৩১ ডিসেম্বর রাত ১১টা ৫৯ মিনিট পর্যন্ত চলার কথা ছিল। তবে বিশেষ কারণে আবেদন প্রক্রিয়া স্থগিত করা হয়।
এবার প্রথমবারের মতো বিসিএসে আবেদনকারীদের বয়সসীমা ৩২ বছর নির্ধারণ করা হয়েছে।
৪৭তম বিসিএসে ৩ হাজার ৪৮৭টি ক্যাডার এবং ২০১টি নন-ক্যাডার পদে নিয়োগ দেওয়া হবে। সবচেয়ে বেশি শূন্যপদ রয়েছে স্বাস্থ্য ক্যাডারে। সহকারী সার্জন পদে ১,৩৩১টি এবং সহকারী ডেন্টাল সার্জন পদে ৩০টি শূন্যপদে নিয়োগ দেওয়া হবে।
মন্তব্য করুন
আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধের দাবিকে কেন্দ্র করে দেশের রাজনীতিতে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে। সম্প্রতি বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, সংগঠন ও সাধারণ জনগণের পক্ষ থেকে স্বৈরশাসন ও সন্ত্রাসী কার্যক্রমের অভিযোগ তুলে আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ করার দাবি জোরালো হয়েছে। এই দাবিকে গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করছে বলে জানিয়েছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার।
শুক্রবার (৯ মে) সরকার এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, বিষয়টি নিয়ে ইতোমধ্যেই রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপন করা হয়েছে। আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের ব্যাপারে আলোচনা করে দ্রুত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। বিশেষ করে আওয়ামী লীগের নেতা ও সমর্থকদের সন্ত্রাসী কার্যকলাপের বিষয়ে জাতিসংঘের প্রতিবেদনও সরকার বিবেচনায় রাখছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে এবং গণতান্ত্রিক ধারা বজায় রাখতে সকলকে ধৈর্য ধারণের আহ্বান জানিয়েছে সরকার।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, জনদাবীর প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে ইতোমধ্যে প্রচলিত আইনের আওতায় সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে পরিচিত ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। পাশাপাশি মানবতাবিরোধী অপরাধের সঙ্গে জড়িত সংগঠনগুলোর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত আইনে প্রয়োজনীয় সংশোধনী আনার উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে।
আওয়ামী লীগ সরকারের সাবেক রাষ্ট্রপতি ও হত্যা মামলার আসামি আবদুল হামিদের বিদেশ গমনের ঘটনায় জনমনে যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে, সে বিষয়েও সরকার অবগত রয়েছে। এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত সবার বিরুদ্ধে উপযুক্ত আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার প্রতিশ্রুতিও দিয়েছে সরকার।
মন্তব্য করুন
২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন আয়োজনে অন্তর্বর্তী সরকার কাজ করে যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেন, আমরা ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও স্বচ্ছ নির্বাচন আয়োজনের জন্য কঠোর পরিশ্রম করছি; যাতে ক্ষমতা আসল প্রতিনিধিদের কাছে হস্তান্তরিত হয়।
আজ বুধবার (১৩ আগস্ট) সকাল মালয়েশিয়ায় এক অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন তিনি।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, আমরা গণতন্ত্রকে শক্তিশালী করতে ও ক্ষমতা জনগণের হাতে ফিরিয়ে দিতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
আমাদের সরকার শান্তি ও স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করতে মনোযোগী।
এর আগে মঙ্গলবার মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহীমের সঙ্গে বৈঠক শেষে যৌথ ব্রিফিংয়েও ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন আয়োজনের কথা জানান প্রধান উপদেষ্টা। এ সময় তিনি বলেন, ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারি মাসের মাঝামাঝি সময়ে জাতীয় নির্বাচনের জন্য বাংলাদেশ প্রস্তুত রয়েছে।
বৈঠক শেষে বাংলাদেশ ও মালয়েশিয়ার মধ্যে পাঁচটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) স্বাক্ষর এবং তিনটি নোট বিনিময় হয়েছে।
উল্লেখ্য, সোমবার তিন দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে মালয়েশিয়া গেছেন প্রধান উপদেষ্টা।
মন্তব্য করুন
প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন বলেছেন, নির্বাচন কমিশন কোনো দলের পক্ষে বা বিপক্ষে দাঁড়াতে চায় না। তিনি আরও মন্তব্য করেন যে, ইলেকশন কমিশনের বদনামের সবচেয়ে বড় কারণ হলো রাজনীতির কাছে নির্বাচন কমিশনকে সঁপে দেওয়া।
নাসির উদ্দিন বলেন, "আমরা কমিশনে যারা আছি, আমরা কোনো রাজনীতিতে জড়াতে চাই না। আমরা কোনো রাজনৈতিক দলের পক্ষে বা বিপক্ষে দাঁড়াতে চাই না। আমরা নিরপেক্ষ থাকতে চাই। আপনারা আমাদেরকে সাহায্য করবেন।"
রোববার ঢাকার আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে অনুষ্ঠিত রিপোর্টার্স ফোরাম ফর ইলেকশন অ্যান্ড ডেমোক্রেসির (আরএফইডি) বার্ষিক সাধারণ সভা ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
সিইসি বলেন, "সব জায়গায় মতপার্থক্য থাকবে। ভিন্নমত মানেই বিপক্ষে নয়। একই বিষয়ে ভিন্নমত থাকবেই। এটা সহজ হিসাব। কিন্তু এই জিনিসটা অনেকে মানতে পারে না। তবে মানার বিষয়ে আমার অভ্যাস আছে। আমাকে নিয়ে সমালোচনা করলে ধরে নেব কোনো ঘাটতি বা সমস্যা রয়েছে, তখন নিজেকে শুধরে নেব।"
তিনি তালে তাল মেলানোর সংস্কৃতি থেকে বের হওয়ার আহ্বান জানিয়ে বলেন, "সবাই তালি বাজাতে বাজাতে দেশটার ১২টা বাজিয়েছে। তালি বাজানো আমাদের ভুলে যেতে হবে। সব বিষয় বাস্তবতার ভিত্তিতে দেখতে হবে। একজন একটা কথা বলল, আর আমি তালি বাজাতে থাকলাম—এটা যাতে না হয়।"
নাসির উদ্দিন আরও বলেন, "ইলেকশন কমিশনের এত বদনাম, এত গালি দেওয়া হয়, এটা কেন হলো? ১০০টা কারণ বলতে পারবেন, ২০০টা কারণ বলতে পারবেন। কিন্তু আমার কাছে এক নম্বর কারণ হলো—পলিটিক্যাল কন্ট্রোল অব দ্য ইলেকশন কমিশন। এটি আমার কাছে মনে হয়েছে সবচেয়ে বড় কারণ। রাজনীতির কাছে নির্বাচন কমিশনকে সঁপে দেওয়া, এটি হচ্ছে সবচেয়ে বড় কারণ।"
নির্বাচন কমিশনের উপর আস্থা ফেরাতে রাজনীতিবিদদের প্রভাব বিস্তার বন্ধ করা প্রয়োজন বলে মনে করেন সিইসি। তিনি বলেন, "রাজনীতিবিদদের 'ইনফ্লুয়েন্স অন দ্য ইলেকশন কমিশন' যদি বন্ধ করা না যায়, আবার সেই পুরনো জিনিস রিপিট হবে বলে আমি মনে করি। এটি আমার কাছে সবচেয়ে বড় কারণ মনে হয়েছে অতীতে। এখান থেকে আমাদেরকে বের হয়ে আসতে হবে। আমরা যথাযথ নির্বাচন করতে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। সেজন্য আমাদের বাংলাদেশের সবার সহযোগিতা লাগবে। আমাদের একার পক্ষে এটা সম্ভব নয়—যদি না আমরা সবার সহযোগিতা পাই।"
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন নির্বাচন কমিশনার আব্দুর রহমানেল মাছউদ, বেগম তাহমিদা আহমদ, আনোয়ারুল ইসলাম সরকার, আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ এবং ইসি সচিব আখতার আহমেদ।
মন্তব্য করুন