বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী জানিয়েছে, নির্বাচন সংক্রান্ত জরুরি সংস্কারগুলো সম্পন্ন করার পরই তারা নির্বাচন চায়। দলটির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, জনগণ চায় স্থানীয় সরকার সচল হোক, এবং আমরাও চাই জাতীয় নির্বাচনের আগে স্থানীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হোক।
বৃহস্পতিবার প্রধান নির্বাচন কমিশনারের সঙ্গে বৈঠক শেষে এসব কথা জানান জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পারওয়ার। তিনি বলেন, ‘রিফর্ম ছাড়া কোনো নির্বাচন নয় ‘নো ইলেকশন উইথআউট রিফর্মস।’
তিনি ব্যাখ্যা করেন, এই ক্ষেত্রে সব সংস্কার সুপারিশ নয়, শুধু নির্বাচন সংক্রান্ত যেসব সুপারিশ অতি জরুরি, সেগুলোই সংস্কার করতে হবে। তিনি বলেন, ‘অন্তত নির্বাচন প্রক্রিয়ার সঙ্গে যেসব প্রতিষ্ঠান ও অর্গান জড়িত, সেগুলোর সংস্কার করে নির্বাচন দিতে হবে। নির্বাচনকে নিরপেক্ষ করতে যে সময়টুকু প্রয়োজন, সেটা করে নির্বাচন দিন।’
জামায়াত ৩০০ আসনে নির্বাচন করার প্রস্তুতি নিচ্ছে এবং প্রার্থী চূড়ান্ত করা হয়েছে বলেও জানায় দলটি। নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে বৈঠকের বিষয়ে গোলাম পারওয়ার বলেন, ‘নির্বাচন সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক করার বিষয়ে মতবিনিময় হয়েছে। সক্ষমতা ও সীমাবদ্ধতা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। আমরা ২৩ দফা দাবি জানিয়েছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘সংস্কার ছাড়া কোনো নির্বাচন নয়। সংস্কার ছাড়া নির্বাচন করলে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন হবে না। সেই সময় দিতে জামায়াত প্রস্তুত।’ তিনি যোগ করেন, ‘আমরা সংখ্যানুপাতিক নির্বাচনের পক্ষে বলেছি। বাংলাদেশের জন্য এটি প্রয়োজন, সংসদ কার্যকর করার জন্য প্রয়োজন। প্রবাসী ভোটারদের ভোট দেওয়ার সুযোগ করে দিতে হবে।’
জামায়াতের এই নেতা আরও জানান, নিবন্ধনের বিষয় আদালতে পেন্ডিং আছে, এবং তারা ন্যায়বিচার পাবেন বলে আশা করেন। তিনি বলেন, ‘রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন আইন বিধি কঠোর, তা বাতিল করা উচিত। সবার রাজনীতি করার অধিকার আছে।’
সংসদের আগে স্থানীয় সরকার নির্বাচনের পক্ষেও মত দেয় জামায়াত। তবে এই ক্ষেত্রে বিএনপির মন্তব্যের বিষয়ে কোনো প্রতিক্রিয়া দেননি জামায়াত সেক্রেটারি। উল্লেখ্য, বিএনপি স্থানীয় নির্বাচনের আগে জাতীয় নির্বাচন দাবি করে আসছে।
এক প্রশ্নের জবাবে গোলাম পারওয়ার বলেন, ‘জনগণের আকাঙ্ক্ষা স্থানীয় সরকার নির্বাচন আগে হোক।’
মন্তব্য করুন
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, আন্তর্জাতিক পরিস্থিতির সঙ্গে বাংলাদেশের নির্বাচনের কোনো সম্পর্ক নেই। সময়মতো দেশে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
আজ মঙ্গলবার গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে বাংলাদেশে নিযুক্ত ব্রাজিলের রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে বৈঠক শেষে এ মন্তব্য করেন তিনি।
এসময় তিনি জাতীয় স্বার্থে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানায়। লন্ডনের বৈঠক অত্যন্ত ইতিবাচক বলেও মন্তব্য করেন তিনি। এছাড়া নির্বাচন নিয়ে সব পক্ষকে ধৈর্য ধরার আহ্বানও জানান আমীর খসরু।
এর আগে, বাংলাদেশে নিযুক্ত ব্রাজিলের রাষ্ট্রদূত পাওলো ফার্নান্দো ডায়াস ফেরেসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন বিএনপির তিন সদস্যদের প্রতিনিধিদল।
বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী ও বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ।
বৈঠকে দু’দেশের কৃষি, প্রাণিসম্পদ ও খেলাধুলাসহ বিভিন্ন স্বার্থ-সংশ্লিষ্ট বিষয়ে আলোচনা হয়।
মন্তব্য করুন
সংস্কার না করে বিএনপি নির্বাচন চায়- এমন ধারণা সঠিক নয় বলে জানিয়েছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি আরও বলেন, বিএনপি গণতন্ত্রের জন্য সবসময়ই প্রয়োজনীয় সংস্কারের পক্ষে। শুক্রবার রাজধানীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশনে ফোরাম ফর বাংলাদেশ স্টাডিজ আয়োজিত এক জাতীয় সংলাপে এ কথা বলেন তিনি।
মির্জা ফখরুল ইসলাম বলেন, আমি যেটা মনে করি- আজ অত্যন্ত জরুরি একটা আলোচনা হচ্ছে যা ভীষণ জরুরি। সে আলোচনাটা যদি আমি অংশগ্রহণ করতে পারতাম পুরো সময় এবং সবার বক্তব্য শুনতে পারতাম তাহলে আমি সবচেয়ে উপকৃত হতাম। দুর্ভাগ্য আমার, যে আমি পুরো সময়টা হয়তো থাকতে পারব না। তারপরেও আমি আন্তরিকভাবে ধন্যবাদ জানাতে চাই ফোরাম ফর বাংলাদেশ স্টাডিজকে যে তারা আজকে একটা অত্যন্ত এই মুহূর্তে বাংলাদেশের জন্য একটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটা সংলাপের আয়োজন করেছেন আমি সেজন্য তাদেরকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
বিএনপির মহাসচিব বলেন, যারা আজকে এখানে উপস্থিত আছেন আমাদের দেশের জাতির অত্যন্ত বরেণ্য নেতৃবর্গ আমাদের বুদ্ধিজীবীবৃন্দ এবং আজকের এই সভায় উপস্থিত আমাদের ভাই ও বোনেরা সবচেয়ে বড় যেটা আমাদের যারা এই জুলাইয়ের যে অভ্যুত্থান সেই অভ্যুত্থানে যারা আহত হয়েছেন তারা এখানে অনেকে আছেন। যারা শহিদ হয়েছেন তাদের আত্মীয়-স্বজনরা এখানে আছেন তাদের সবাইকে আমার সালাম আসসালামু আলাইকুম। বিষয়টা এতই গুরুত্বপূর্ণ যে আমি আসলে এত স্বল্প সময়ের মধ্যে এটা আমার কথাগুলো বলা সেই সঙ্গে অন্যদের কথাগুলো শোনা এটা বোধ হয় আমার পক্ষে সম্ভব হচ্ছে না সেজন্য আমার নিজেরই আমি অত্যন্ত দুঃখিত বোধ করছি।
এই বিএনপি নেতা বলেন, বাংলাদেশ একটা অত্যন্ত সবচেয়ে জটিল একটা রাজনৈতিক সময়ের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে। এই সময়টার মধ্যে আমাদের যে কাজটা আমাদের ওপর পড়েছে সে কাজটা হচ্ছে যে ভবিষ্যতের বাংলাদেশকে আমরা যেন আমাদের স্বপ্নের মত করে দেখতে পারি সেই বিষয়টাকে কতটা স্থির করা যায় নির্ধারণ করা যায়। আজকে যে প্রশ্নগুলো সামনে এসেছে আমি খুব সংক্ষেপে চলে আসছি সামনের দিকেই এসছি যে আপনার ঐক্য- এরা যেটা নির্ধারণ করেছেন সংস্কার ও নির্বাচন। আজকে ৫৩ বছর পরে এটা আমাদের দুর্ভাগ্য জাতিগতভাবে যে ৫৩ বছর পরে আজকে আমাদেরকে এই বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা করতে হচ্ছে। আমাদের খুব ভালো হতো যদি আমরা প্রথম থেকেই এই বিষয়গুলো নিয়ে কাজ করে একটা জায়গায় এসে পৌঁছাতে পারতাম। আমরা এই ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে ২০১২ সাল থেকে আমি আমাদের দল থেকে বলতে পারি মনে করেন যে রাজনৈতিক নেতৃবর্গ আছেন আমরা কিন্তু সংগ্রাম শুরু করেছি- তাদের বিরুদ্ধে আমরা অবস্থান নিয়েছি। সেই সময়ে আমাদের অনেক রাজনৈতিক নেতাকে হত্যা করা হয়েছে অনেক রাজনৈতিক নেতাদেরকে পঙ্গু করা হয়েছে; কারাগারে দেওয়া হয়েছে এবং দীর্ঘ বছরগুলো ধরে আমরা যারা ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে সংগ্রাম করছিলাম আমরা কিন্তু সেই লড়াইটা করছি।
বিএনপির মহাসচিব বলেন, আমার দলের কথা আমি বলতে পারি যেটা আমার বলা উচিত বলে আমি মনে করি সেটা হচ্ছে আমাদের দলেই আমার ৬০ লাখ মানুষের বিরুদ্ধে মিথ্যে মামলা রয়েছে; আমাদের ৭০০ এর ওপরে নেতাকর্মীকে গুম করে দেওয়া হয়েছে। প্রায় ২০ হাজারের বেশি মানুষকে হত্যা করা হয়েছে। আয়না ঘরের কথা আপনারা সবাই জানেন- ফাঁসি দেওয়া হয়েছে বিশিষ্ট রাজনৈতিক নেতাদেরকে। এই একটা অবস্থার প্রেক্ষিতে আমরা কিন্তু কখনো থেমে থাকিনি। আজকে যে কথাটা হচ্ছে সোচ্চার হাওয়া সেই সোচ্চার আমরা প্রথম থেকে থাকার চেষ্টা করেছি। তখন আমরা অনেককে আমাদের সঙ্গে পাইনি এখন আমরা তাদেরকে সামনে দেখছি আমাদের খুব ভালো লাগছে আমরা আরও বেশি অনুপ্রাণিত বোধ করছি।
তিনি বলেন, সংস্কার ব্যাপারটা আমরা অত্যন্ত আন্তরিক আপনাদের অনেকেরই জানা থাকে যদি যারা রাজনীতির সঙ্গে জড়িত আছেন যে ২০১৬ সালে আমাদের দলের চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া তিনি ভিশন ২০৩০ একটা আপনার আমরা একটা ডকুমেন্ট বের করেছিলাম যেখানে রাজনৈতিক সংস্কারের কথা খুব পরিষ্কার করে উল্লেখ করা ছিল এবং যে বিষয়গুলো আমরা পরিবর্তন আনতে চাই সেই বিষয়গুলোর কথা আমরা উল্লেখ করেছিলাম। সেখানেই আজকে যে বিষয়গুলো একদম সামনে এসছে যে আপনার প্রধানমন্ত্রী এবং প্রেসিডেন্টের যে ক্ষমতা তার ভারসাম্য রক্ষা করা এক ব্যক্তি যেন দুবারের বেশি আসতে না পারেন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে সে বিষয়টাকে নিশ্চিত করা এবং একই সঙ্গে আপনার যে দুই কক্ষ বিশিষ্ট পার্লামেন্ট এটা কিন্তু তখনই অর্থাৎ ২০১৬ সালেই আমরা কিন্তু এই বক্তব্যটা নিয়ে এসেছিলাম। আমরা এটা আলোচনার জন্য দিয়েছিলাম জনগণের সামনে পেশ করেছিলাম। পরবর্তীতে ২০২২ সালে আমরা আমি তখন জেলে চলে গেলাম আমরা বেশ অনেকেই জেলে গেলাম; সেটা আপনাদের মনে থাকার কথা গোলাপবাগে একটা জনসভার মধ্য দিয়ে আমরা প্রথমে ১০ দফা এবং পরে সব রাজনৈতিক দলগুলো আপনারা সেটাকে সমর্থন করেন। পরে সব রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে বিশেষ করে যারা ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে আমরা আন্দোলন করছিলাম তারা আমরা কিন্তু একসঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে আমরা ৩১ দফা আমরা একটা কর্মসূচি সংস্কারের আমরা নির্ধারণ করি। এখানে মান্না আছেন, জুনায়েদ সাকি আছেন, আমার অন্যান্য রাজনৈতিক বন্ধুরা আছেন তাদের সঙ্গে আলোচনা করেই দীর্ঘ দুই বছর আমরা আলোচনা করেছি।
বিএনপির মহাসচিব বলেন, আমাদের যারা প্রখ্যাত এই বিষয়গুলোতে আপনার বিশেষজ্ঞ তাদের সঙ্গে কথা বলা হয়েছে বারবার বসেছি ড. আলী রীয়াজ আছেন তার সঙ্গে কথা হয়েছে অনেকের সঙ্গেই তখন আমরা এই কথাগুলো বলেছি আলোচনা করে নির্ধারণ করেছি সুতরাং সংস্কার পক্ষে আমরা কিন্তু প্রথম থেকে দুর্ভাগ্য আমাদের যে এখন কিছু কিছু বক্তব্য আসছে যে বিএনপি সংস্কার চায় না নির্বাচন চায় এ কথাটা সঠিক নয়। আমরা বারবার করে বলছি যে আমরা প্রয়োজনীয় সংস্কারটাকে শেষ অর্থাৎ নূন্যতম যে সংস্কার প্রয়োজন একটা নির্বাচন করার জন্যগ্রহণযোগ্য নির্বাচন করার জন্য সেই সংস্কারটুকু করে আমরা নির্বাচনে যেতে চাই। আমরা নির্বাচনের কথা বলছি কেন একথা ড. রীয়াজ বলেছেন সবাই বলছেন আর এটা বাস্তব যে গণতান্ত্রিক একটা ব্যবস্থায় যাওয়ার জন্য নির্বাচন হচ্ছে প্রধান ফটক প্রধান দরজা যেহেতু ডেমোক্রেসি। আমার কাছে মনে হয় যে আমাদের প্রধান সমস্যাটা কোথায় আমাদের প্রধান সমস্যা যে এই দেশে গণতান্ত্রিক চর্চাই হয়নি এখানে সংস্কৃতি গড়ে ওঠেনি। একটা যে কথাটা বারবার এসেছে যে এখানে একটা ডেমোক্রেটিক কালচার যদি না থাকে তাহলে আপনি সেই ডেমোক্রেসিকে বারবার বলতে হচ্ছে আমাদেরকে এই এটা করতে হবে এটা করতে হবে এটা ডেমোক্রেসি এটা এভাবে যেতে হবে এই জিনিসগুলো কিন্তু আপনার একটা চর্চা ছাড়া বারবার প্র্যাকটিস করা ছাড়া কিন্তু সেটা গড়ে উঠবে না। মির্জা ফখরুল বলেন, ইম্পোজ করে কোনো কিছু করা সম্ভব হবে না। যেমন আমি বলি কেয়ারটেকার গভর্মেন্ট সিস্টেম আপনার আমরা তিনটা ইলেকশন করেছি। এই তিনটা ইলেকশন প্রত্যেকটি ইলেকশন কিন্তু একটা আরেটার চেয়ে ভালো হয়েছে এবং গ্রহণযোগ্য হয়েছে। অর্থাৎ কেয়ারটেকার সিস্টেম আপনার মানুষ করেছে এবং তারা সেটাকে অত্যন্ত জরুরি মনে করেছে এটা মানুষের কাছে একইভাবে আমরা যদি প্রেসিডেনশিয়াল ফর্ম অব গভর্মেন্টে চলে যেতাম অন্য কিছু দিতাম সেটা ওই মুহূর্তে কিন্তু জনগণ সেভাবে গ্রহণ করতো না আমার কাছে মনে হয়েছে।
মন্তব্য করুন
আজ শুধু সমুদ্রে নয়, রাজনীতিতেও ঝড় উঠেছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেছেন, আমরা অবিলম্বে সরকারের পদত্যাগ চাই। পদত্যাগ করে নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের হাতে ক্ষমতা দিয়ে সুষ্ঠু নির্বাচনের ব্যবস্থা করতে হবে।
শনিবার (১৩ মে) নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে এক সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
৪৭ বছর পর জিয়াউর রহমানের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এর মূল কারণ হলো- জনগণের আন্দোলনকে বিভ্রান্ত করা। একই কায়দায় তারা ২০১৪ ও ২০১৮ সালে করেছিল। এভাবে নির্বাচনের আগে মিথ্যা মামলা দিয়েছে। তবে কোনো ধানাই-পানাই করে বা কেরিকাটা করে লাভ হবে না। জনগণের বিজয় হবে।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, এই দেশে উচ্চ আদালত জামিন দেয় কিন্তু নিম্ন আদালত তা বাতিল করে দেয়। যেখানে কোনো ঘটনাই ঘটেনি, সেখানে ককটেল ফাটানোর মামলা দেওয়া হয়। এসবের উদ্দেশ্য হচ্ছে- আবারও গায়ের জোরে ক্ষমতায় থাকা। সেজন্যই আবারও গায়েবি ও মিথ্যা মামলা দিচ্ছে তারা। এসবের বিরুদ্ধে আমাদের সমাবেশ। আজকে রিকশাওয়ালা সারাদিন পরিশ্রম করে বাসায় গিয়ে শান্তিতে ঘুমাতে পারেন না। কারণ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম কয়েকগুণ বেড়েছে। দিন আনে দিন খায় এমন লোকেরা আজকে অসহায়। এই সরকার শুধু দুর্নীতির মাধ্যমে নিজেদের পকেট ভরছে। সাধারণ মানুষের পকেট কেটে বিদেশে পাচার করছে। প্রত্যেকটি খাতে সাধারণ মানুষকে অতিরিক্ত টাকা দিতে হচ্ছে। হজের বিমান ভাড়াও তারা বাড়িয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী বিদেশে সফরে প্রসঙ্গে মির্জা ফখরুল বলেন, এই সরকার তিনটি দেশ সফর করেছে। কিন্তু কোনো অর্জন নেই। সবার সঙ্গে মিটিংয়ে নির্বাচনের প্রসঙ্গটি এসেছে। কারণ বিদেশিরা দেশে গণতন্ত্র, মানবাধিকার ও আইনের শাসন দেখতে চায়। দেশে-বিদেশে এটা প্রতিষ্ঠিত সত্য যে, হাসিনা সরকারের অধীনে কোনো সুষ্ঠু নির্বাচন হতে পারে না। তারা নির্বাচন করতে গেলে রুখে দেওয়া হবে। আমরা সত্যিকার অর্থেই জনগণের ভোটে নির্বাচিত সরকার ক্ষমতায় দেখতে চাই। এই দাবিতেই আমরা দীর্ঘকাল ধরে আন্দোলন করছি। আন্দোলন করতে গিয়ে বিএনপির হাজারো নেতাকর্মীকে খুন করা হয়েছে। ৩৯ লাখ মানুষকে আসামি করে মিথ্যা মামলা দেওয়া হয়েছে।
১৯৭১ সালের মতো গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ পুনঃপ্রতিষ্ঠা করতে হলে ঐক্যবদ্ধভাবে ঝাঁপিয়ে পড়তে হবে বলেও মন্তব্য করেন মির্জা ফখরুল।
ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমানউল্লাহ আমানের সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব মো. রফিকুল আলম মজনু-আমিনুল হকের সঞ্চালনায় সমাবেশে বক্তব্য দেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ড. আব্দুল মঈন খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, বেগম সেলিমা রহমান, ভাইস চেয়ারম্যান এজেডএম জাহিদ হোসেন, আহমেদ আযম খান, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক মো. আবদুস সালাম প্রমুখ।
মন্তব্য করুন
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক মো. নাহিদ ইসলাম বলেছেন, বাংলাদেশ থেকে নৌকা মার্কা (আওয়ামী লীগ) নিশ্চিহ্ন করতে হবে। আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে চলমান বিচার প্রক্রিয়ার সময় তাদের রাজনৈতিক ও সাংগঠনিক কার্যক্রম নিষিদ্ধ করা উচিত। তিনি আরও অভিযোগ করেন, বিভিন্ন ষড়যন্ত্রের কারণে জুলাই ঘোষণাপত্র এখনো প্রকাশ করা হয়নি।
শুক্রবার (২ মে) বিকেলে জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের দক্ষিণ গেটের সামনে আয়োজিত এক সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন। আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে এ সমাবেশের আয়োজন করা হয়।
নাহিদ ইসলাম বলেন, "জুলাই অভ্যুত্থানের নয় মাস পরেও আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ ও তাদের নিবন্ধন বাতিলের দাবিতে আমাদের রাজপথে নামতে হচ্ছে—এটা আমাদের সম্মিলিত ব্যর্থতা। আমরা জাতির কাছে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলাম যে, বিগত ফ্যাসিবাদী শাসনের বিচার করব এবং দেশকে সংস্কার করব।"
তিনি আরও বলেন, "বাংলাদেশের জনগণ এই প্রথমবারের মতো রাজপথে নামেনি, জীবন দেয়নি। এর আগেও বহুবার মানুষ সংগ্রাম করেছে, প্রাণ দিয়েছে। ১৯৭১ সালের পর ১৯৭২ সালে 'সোনার বাংলা'র স্বপ্ন মুজিববাদীদের হাতে বিনষ্ট হয়। দেশকে ভারতীয় শাসকগোষ্ঠীর হাতে তুলে দেওয়া হয়। মুক্তিযুদ্ধের আকাঙ্ক্ষা ও স্বাধীন বাংলাদেশের স্বপ্ন ধ্বংস করা হয়। মুজিববাদী সংবিধানে 'বাঙালি জাতীয়তাবাদ'-এর নামে বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠীর ভাষা ও সংস্কৃতির অধিকার কেড়ে নেওয়া হয়। গণতন্ত্রের নামে বাকশাল কায়েম করা হয়।"
তিনি বলেন, "বাংলাদেশে বারবার সামরিক হস্তক্ষেপ হয়েছে। নব্বইয়ের গণঅভ্যুত্থানে জনগণ স্বৈরশাসনের পতন ঘটায়। কিন্তু ৩০ বছর পর আবারও সেই স্বৈরতন্ত্র ফিরে এসেছে। গত ১৫ বছর ধরে আওয়ামী লীগ ফ্যাসিবাদী শাসন চালিয়েছে, গণতন্ত্রকে ধ্বংস করেছে।"
জুলাই-আগস্টের ছাত্র-জনতার আন্দোলন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, "যখন ছাত্র-জনতা তাদের অধিকারের দাবিতে রাজপথে নেমেছিল, তখন আওয়ামী লীগ সরকার পুলিশ, সেনাবাহিনী ও বিজিবিকে দিয়ে গুলি চালিয়েছিল। আওয়ামী লীগ কোনো রাজনৈতিক দল নয়। তাদের নিবন্ধন বাতিল করে রাজনীতি নিষিদ্ধ করতে হবে। কিন্তু বিগত নয় মাসেও এ বিষয়ে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।"
তিনি আরও অভিযোগ করেন, "যাদের গ্রেফতার করা হচ্ছে, তারা জামিন পেয়ে যাচ্ছে। মামলা-বাণিজ্য চলছে। তৃণমূল পর্যায়ে আওয়ামী লীগ পুনরায় সংগঠিত হওয়ার চেষ্টা করছে।"
নির্বাচন কমিশন সম্পর্কে তিনি বলেন, "নির্বাচন কমিশন কার স্বার্থে কাজ করবে? আমরা দেখেছি, কিছু সাংবাদিক প্রশ্ন তুলেছেন—শেখ হাসিনা কি গণহত্যাকারী? তাদের বলছি, আপনারা ফ্যাসিবাদী আওয়ামী লীগের দোসর।"
সমাবেশে তিনি আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান এবং সরকারের সমালোচনা করেন।
মন্তব্য করুন
ডেস্ক রিপোর্ট:
বিএনপি’র সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, "আপনারা আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল করেছেন, যেখানে অনেকের বিচার হওয়া উচিত। কিন্তু রাজনৈতিক শূন্যতা তৈরি করলে, জনগণ তো কথা বলবেই। কেন এতো জটিলতার সৃষ্টি করছেন?" সোমবার ঢাকায় ডেঙ্গু প্রতিরোধে সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে লিফলেট বিতরণ কর্মসূচিতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
রিজভী অভিযোগ করেন, "আলী ইমাম মজুমদারের মতো ১/১১-র গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিরা আজও সরকারে ভূমিকা পালন করছেন। তাদের উপদেষ্টা বানানো হয়েছে, কিন্তু এ বিষয়ে কিছু বলা হয় না। শেখ হাসিনার সহচরদের যারা নিঃশব্দে তাঁর স্বার্থে কাজ করে গেছেন, তারা এখনো বহাল তবিয়তে আছেন।"
বিএনপি মুখপাত্র আরও বলেন, "রাষ্ট্রপতি থাকবেন কি থাকবেন না, তা নিয়ে কেন আমরা দেশে জটিলতা সৃষ্টি করছি? আমাদের দায়িত্ব হলো শেখ হাসিনাকে দেশ থেকে বিদায় করা এবং তার সহযোগীদের বিচার করা।"
রিজভী বলেন, "গণতন্ত্রের পথে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনকারীদের অবদান ইতিহাসে লেখা থাকবে। তবে সংবিধান বহির্ভূত কিছু যেন না হয়, এ জন্য আমাদের সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে।"
তিনি শেখ হাসিনাকে আক্রমণ করে বলেন, "এ ভদ্রমহিলাকে যেন জন্মের পর করলার রস খাওয়ানো হয়েছিল, কারণ তিনি সবসময় উগ্রভাবে প্রতিরোধের কথা বলেন। তার অডিও ফাঁস হওয়ায় দেখা গেছে, তিনি তার অনুসারীদের রক্তপাতের নির্দেশ দিচ্ছেন, যা ভয়ংকর।"
এসময় বিএনপি’র অন্যান্য নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন, যেমন স্বেচ্ছাসেবকবিষয়ক সম্পাদক মীর সরাফত আলী সপু, স্বাস্থ্যবিষয়ক সম্পাদক ডা. রফিকুল ইসলাম, সহযুববিষয়ক সম্পাদক মীর নেওয়াজ আলী নেওয়াজ, এবং ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেন।
মন্তব্য করুন
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, যেহেতু বিএনপি আগামী দিনে সরকার গঠন করবে তাই আমাদের বিরুদ্ধে পরিকল্পিত মিথ্যাচার হচ্ছে। এ বিষয়ে নেতাকর্মীদের সতর্ক থাকতে হবে।
আজ মঙ্গলবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে আন্তর্জাতিক যুব দিবস উপলক্ষে যুব সমাজের প্রত্যাশা ও বিএনপির পরিকল্পনায় আগামীর বাংলাদেশ শীর্ষক ছাত্রদল, যুবদল ও স্বেচ্ছাসেবক দল আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, আমাদের নেতা (তারেক রহমান) তার নিজস্ব সংগ্রাম দিয়ে নির্বাচনকে ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে নিয়ে এসেছেন। আমাদের দায়িত্ব একটি সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ, অবাধ নির্বাচন আয়োজনের। সকল সহযোগী সংগঠনকে এ বিষয়ে কাজ করার আহ্বান জানান তিনি।
মন্তব্য করুন
‘দলীয় শৃঙ্খলার বাইরে গিয়ে কেউ কিছু করলে সংগঠন দায় নেবে না’ বলে জানিয়েছেন নেতাকর্মীদের উদ্দেশে জামায়াতে ইসলামীর আমীর ডা. শফিকুর রহমান।
বৃহস্পতিবার (২৯ মে) দুপুরে তার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এক স্ট্যাটাসে এ কথা বলেন তিনি।
দলীয় সহকর্মীদের উদ্দেশে ওই স্ট্যাটাসে ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, ‘দলীয় দৃষ্টিভঙ্গি, সিদ্ধান্ত ও শৃঙ্খলার বাইরে গিয়ে কেউ কিছু করলে সংগঠন তার কোনো দায় নেবে না এবং এ বিষয়ে সংগঠনের পক্ষ থেকে কাউকে কোনো ছাড়ও দেয়া হবে না- ব্যক্তি তিনি যেই হোন না কেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘অতএব, সবাইকে দলীয় শৃঙ্খলা, সিদ্ধান্ত ও দৃষ্টিভঙ্গির প্রতি সর্বোচ্চ আনুগত্য বজায় রেখে কাজ করার জন্য আহ্বান জানাচ্ছি। এর কোনো ভিন্নতা যেখানেই ঘটুক, সংগঠন অবশ্যই সিদ্ধান্ত নেবে।’
মন্তব্য করুন
ভরাডুবির ভয়ে কিছু খুচরা পার্টি নির্বাচন চাচ্ছে না বলে মন্তব্য করেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু।
আজ রবিবার জাতীয় প্রেসক্লাবে জনতার অধিকার পার্টির উদ্যোগে এক আলোচনা সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।
শামসুজ্জামান দুদু বলেন, কিছু খুচরা পার্টি আছে, আমরা জানি- তারা নির্বাচনে আসলে তাদের কোন সম্ভাবনা নাই। নির্বাচনে যাদের ভরাডুবি হবে বলেই তারা নির্বাচন চায় না।
তারা অবৈধভাবে কিছু মন্ত্রণালয় নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে, সেগুলোকে নিজের সম্পত্তি মনে করে। আর আমরা বলেছি, এই সরকারকে সমর্থন করছি। অন্যান্য দল করছে।
বিএনপির নেতাকর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, আগস্ট মাসে আমাদেরকে শপথ নিতে হবে, নির্বাচিত সরকার প্রতিষ্ঠা না করা পর্যন্ত আমাদের আন্দোলন চলবে।
এই আন্দোলন সমাপ্তি হবে না। কারণ জবাবদিহিমূলক সরকার মানুষের প্রতি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ থাকে। মানুষের কথা শুনতে বাধ্য এবং দেশ-বিদেশে গ্রহণযোগ্যতা পায় ও আইন মতো চলে। আগামীতে গণমুখী রাজনৈতিক ব্যবস্থা যদি প্রতিষ্ঠা করতে হয় তাহলে নির্বাচিত সরকার অবশ্যই প্রতিষ্ঠা করতে হবে।
সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন- বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, লেবার পার্টির চেয়ারম্যান লায়ন ফারুক রহমান, মুসলিম লীগের সাধারণ সম্পাদক কাজী আবুল খায়ের, কারী আবু তাহের, দেশ বাঁচাও মানুষ বাঁচাও আন্দোলনের সভাপতি কে এম রকিবুল ইসলাম রিপন প্রমুখ।
মন্তব্য করুন
রাজনৈতিক সংকট উত্তরণে দ্রুত নির্বাচনের রোডম্যাপ দেওয়ার আহ্বান জানান বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
তিনি জানায়, ‘আমরা আবারও বলছি, বর্তমানে যে রাজনৈতিক সংকট এই সংকট দূর করবার একটিমাত্র পথ তা হচ্ছে, অতি দ্রুত নির্বাচনের একটি রোড ম্যাপ ঘোষণা করা। এখানে অন্য কথা বলে লাভ নেই।’
বৃহস্পতিবার (২২ মে) থাইল্যান্ডের ব্যাংককে চিকিৎসাধীন বিএনপি মহাসচিব ভার্চুয়ালি গণমাধ্যমকে একথা বলেন।
ফখরুল জানায়, সংস্কারের যে বিষয়টা আছে সেটা চলমান প্রক্রিয়া। এটাও প্রপোজ করবে যারা জাতীয় ঐক্যমত্য কমিশনে আছে তারা অতিদ্রুত যেগুলোতে রাজনৈতিক দলগুলো ঐক্যমত্য হয়েছে সেগুলো তারা ঘোষণা করবেন। যেসব বিষয়ে ঐক্যমত্য করে সনদ তৈরি করবেন। সুতরাং এটা নিয়ে কোনো বাড়াবাড়ি করা কিংবা এটা নিয়ে টানাহেঁচড়া করা পরিস্থিতিকে জটিল করে তুলবে। সেই কারণে জনগণের প্রত্যাশা যে, অতিদ্রুত একটা রোডম্যাপ ঘোষণা করে নির্বাচনের ব্যবস্থা করতে হবে এবং চলমান যে সংস্কার প্রস্তাবগুলো যেগুলোতে ঐক্যমত্য হয়েছে সেগুলো বাস্তবায়ন করবেন। আর যেসব সংস্কার প্রস্তাবে ঐক্যমত্য হবে না সেগুলো সনদের ভেতরে নিয়ে চলমান প্রক্রিয়া হিসেবে রাখবেন।’
প্রকৌশলী ইশরাক হোসেনকে শপথ পড়ানো ইস্যুতে বৃহস্পতিবার উচ্চ আদালতে রায় ঘোষণার প্রতিক্রিয়ায় বিএনপি মহাসচিব জানান, বিচার বিভাগের উচ্চ আদালত তারা আইনের প্রতি সম্মান দেখিয়ে যেটা হওয়া উচিত সেই ধরণের রায় তারা দিয়েছেন। এই রায়ে জনগণের বিজয় হয়েছে।’
ইশরাক হোসেনের শপথ দিতে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়কে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানায় তিনি।
গত ১৪ মে চোখের অস্ত্রোপচারের জন্য বিএনপি মহাসচিব ব্যাংকক যান। পরদিন ব্যাংকক রুটনিন আই হসপিটালে তার বাম চোখে সফল অস্ত্রোপচার হয়। বর্তমানে তিনি হাসপাতালে আছেন চিকিৎসকদের নিবিড় পর্যবেক্ষণে।
মন্তব্য করুন
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের স্ত্রী ডা. জোবাইদা রহমান ও তাদের মেয়ে জাইমা রহমানের বিরুদ্ধে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ফেইক আইডি ব্যবহার করে একটি দুর্বৃত্তচক্র পরিকল্পিতভাবে নানা অপপ্রচার চালানো হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
বৃহস্পতিবার (৫ জুন) দুপুরে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন তিনি।
রিজভী জানান, একটি দুর্বৃত্তচক্র পরিকল্পিতভাবে ডা. জোবাইদা রহমান ও ব্যারিস্টার জাইমা রহমানের বিরুদ্ধে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ফেইক আইডি ব্যবহার করে নানা অপপ্রচার চালাচ্ছে, যা সম্পূর্ণ উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। বেশির ভাগ ক্ষেত্রে এআই পদ্ধতি অবলম্বন করে তা করা হচ্ছে।
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব জানান, ডা. জোবাইদা রহমান ও ব্যারিস্টার জাইমা রহমানের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে কোনো আইডি নেই।
তিনি আরও জানান, জিয়া পরিবারের নামে একটি মহল নীল নকশা তৈরি করছে। আমরা এর বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেবো। এসব ব্যাধি বন্ধের ব্যাপারে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না।
বিএনপির এই নেতা বলেন, এ সমস্ত অপকর্মের সঙ্গে যারা জড়িত তাদেরকে অবিলম্বে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির জোর দাবি জানাচ্ছি। একটি গণতান্ত্রিক সমাজে মিথ্যার কোনো স্থান নেই, তাই প্রযুক্তির সুযোগ নিয়ে মিথ্যার সংস্কৃতি প্রসারিত করার চেষ্টা করা হলেও তা জনগণ কর্তৃক প্রত্যাখ্যাত হয়।
মন্তব্য করুন