

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী জানিয়েছে, নির্বাচন সংক্রান্ত জরুরি সংস্কারগুলো সম্পন্ন করার পরই তারা নির্বাচন চায়। দলটির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, জনগণ চায় স্থানীয় সরকার সচল হোক, এবং আমরাও চাই জাতীয় নির্বাচনের আগে স্থানীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হোক।
বৃহস্পতিবার প্রধান নির্বাচন কমিশনারের সঙ্গে বৈঠক শেষে এসব কথা জানান জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পারওয়ার। তিনি বলেন, ‘রিফর্ম ছাড়া কোনো নির্বাচন নয় ‘নো ইলেকশন উইথআউট রিফর্মস।’
তিনি ব্যাখ্যা করেন, এই ক্ষেত্রে সব সংস্কার সুপারিশ নয়, শুধু নির্বাচন সংক্রান্ত যেসব সুপারিশ অতি জরুরি, সেগুলোই সংস্কার করতে হবে। তিনি বলেন, ‘অন্তত নির্বাচন প্রক্রিয়ার সঙ্গে যেসব প্রতিষ্ঠান ও অর্গান জড়িত, সেগুলোর সংস্কার করে নির্বাচন দিতে হবে। নির্বাচনকে নিরপেক্ষ করতে যে সময়টুকু প্রয়োজন, সেটা করে নির্বাচন দিন।’
জামায়াত ৩০০ আসনে নির্বাচন করার প্রস্তুতি নিচ্ছে এবং প্রার্থী চূড়ান্ত করা হয়েছে বলেও জানায় দলটি। নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে বৈঠকের বিষয়ে গোলাম পারওয়ার বলেন, ‘নির্বাচন সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক করার বিষয়ে মতবিনিময় হয়েছে। সক্ষমতা ও সীমাবদ্ধতা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। আমরা ২৩ দফা দাবি জানিয়েছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘সংস্কার ছাড়া কোনো নির্বাচন নয়। সংস্কার ছাড়া নির্বাচন করলে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন হবে না। সেই সময় দিতে জামায়াত প্রস্তুত।’ তিনি যোগ করেন, ‘আমরা সংখ্যানুপাতিক নির্বাচনের পক্ষে বলেছি। বাংলাদেশের জন্য এটি প্রয়োজন, সংসদ কার্যকর করার জন্য প্রয়োজন। প্রবাসী ভোটারদের ভোট দেওয়ার সুযোগ করে দিতে হবে।’
জামায়াতের এই নেতা আরও জানান, নিবন্ধনের বিষয় আদালতে পেন্ডিং আছে, এবং তারা ন্যায়বিচার পাবেন বলে আশা করেন। তিনি বলেন, ‘রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন আইন বিধি কঠোর, তা বাতিল করা উচিত। সবার রাজনীতি করার অধিকার আছে।’
সংসদের আগে স্থানীয় সরকার নির্বাচনের পক্ষেও মত দেয় জামায়াত। তবে এই ক্ষেত্রে বিএনপির মন্তব্যের বিষয়ে কোনো প্রতিক্রিয়া দেননি জামায়াত সেক্রেটারি। উল্লেখ্য, বিএনপি স্থানীয় নির্বাচনের আগে জাতীয় নির্বাচন দাবি করে আসছে।
এক প্রশ্নের জবাবে গোলাম পারওয়ার বলেন, ‘জনগণের আকাঙ্ক্ষা স্থানীয় সরকার নির্বাচন আগে হোক।’
মন্তব্য করুন


জাতীয় নির্বাচনের আগে স্থানীয় নির্বাচন চাই না বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ জাতীয় পার্টির (বিজেপি) চেয়ারম্যান আন্দালিব রহমান পার্থ। শনিবার বিকেলে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের বৈঠক শেষে তিনি এই মন্তব্য করেন।
বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টা গত ছয় মাসের বর্ণনা দিয়েছেন বলে জানান আন্দালিব রহমান পার্থ। তিনি বলেন, "সারা বাংলাদেশসহ আমরা নেতা-কর্মীরা এ সরকারের পাশে দাঁড়িয়েছি। আন্তর্জাতিক সমাজ দাঁড়িয়েছে, জাতিসংঘ দাঁড়িয়েছে। ফ্যাসিস্ট সরকার এই সরকারকে নিয়ে যে ষড়যন্ত্র করেছিল, বিভিন্ন মিথ্যা প্রচারণা চালিয়েছিল, জাতিসংঘের রিপোর্ট আসার পর তা অনেকটাই ধূলিসাৎ হয়ে গেছে। আমাদের এই ঐক্য ধরে রাখতে হবে। ছাত্র-জনতার আন্দোলনে যারা শহিদ হয়েছে, তাদের আত্মত্যাগকে আমাদের কর্মকাণ্ডে কোনোভাবেই যেন অপমানিত না করা হয়।"
তিনি আরও বলেন, "আগামী ৬ মাস কীভাবে সবাই একসঙ্গে কাজ করব, যে কমিশনগুলো কাজ করেছে, তারা কীভাবে আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করবে, আমাদের কী কী প্রস্তাব আছে সেগুলো নিয়ে কীভাবে বিস্তারিত আলোচনা করব, এই ব্যাপারে প্রধান উপদেষ্টা কথা বলেছেন।"
কোনো কোনো নির্বাচন তড়াতাড়ি চায় বলে জানান তিনি। জাতীয় পার্টির (বিজেপি) চেয়ারম্যান বলেন, "স্থানীয় নির্বাচন দিলে সাড়ে চার হাজার ইউনিয়ন পরিষদে মারামারির সম্ভাবনা আছে। ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন অনেক বেশি রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। গ্রাউন্ড রিয়েলিটি আলাদা। আওয়ামী লীগকে গ্রাউন্ড রিয়েলিটি মেনে নিতে হবে। এই সন্ত্রাস কোনোভাবে যাতে না হয়, পরিবেশ যেন স্থিতিশীল থাকে। কোনো সংস্কার যাতে জাতীয় নির্বাচন বিলম্বিত না করে। আবার অনেক রাজনৈতিক দল বলেছে যে, স্থানীয় নির্বাচন আগে হলে ভালো হবে। আমরা পাশে ছিলাম এবং সামনেও পাশে থাকব। এতগুলো আত্মত্যাগ যেন কোনোভাবে নষ্ট না হয়। এই অর্জনটা কোনো সাধারণ অর্জন নয়। আমাদের নিজেদের স্বার্থে এটাকে যেন কোনোভাবে ক্ষুণ্ণ না করা হয়। আগামীতে সিরিজ মিটিং হবে, সেটিও আমাদের জানানো হবে।"
বর্তমান সরকারের ছয় মাসের কর্মকাণ্ডে তিনি সন্তুষ্ট কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে আন্দালিব রহমান পার্থ বলেন, "আমরা সন্তুষ্ট, আমরা সরকারের পাশে আছি। সরকারের কী ভুল হচ্ছে, আবার কী হচ্ছে না, সে বিষয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে আমাদের সঙ্গে কথা হচ্ছে। আমি মনে করি, এটা জনগণের সরকার।"
মন্তব্য করুন


সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য প্রশাসন থেকে ‘আওয়ামী ক্যাডারদের’ অপসারণের দাবি জানিয়েছেন বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী।
আজ সোমবার সকালে রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে নীলফামারী জেলার বিএনপির নবগঠিত কমিটির উদ্যোগে দলের প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে তিনি এ দাবি করেন।
মাঠ পর্যায়ে নিরপেক্ষ কর্মকর্তা নিয়োগ দিতে নির্বাচন কমিশনকে আহ্বান জানিয়ে রিজভী বলেন, অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন ফেব্রুয়ারিতেই হবে। কিন্তু আওয়ামী আমলের প্রশাসন দিয়ে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব হবে না। তাই প্রশাসন থেকে আওয়ামী ক্যাডারদের অপসারণ করতে হবে।
আনুপাতিক প্রতিনিধিত্ব (পিআর) পদ্ধতির জন্য জনগণ প্রস্তুত নয় উল্লেখ করে তিনি বলেন, পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন বাংলাদেশের জন্য উপযোগী নয়। যারা পিআর দাবি করে তাদের উদ্দেশ্য নিয়ে সন্দেহ থেকে যায়।
এ সময় সাংবাদিকদের প্রশ্নোত্তরে আসন্ন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে সব মতের প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত হওয়ার আশা প্রকাশ করে রিজভী বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র প্রতিনিধিরা থাকলে শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ বজায় থাকে।
মন্তব্য করুন


আগামী নভেম্বরে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান দেশে ফিরবেন বলে জানিয়েছেন দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ। শুক্রবার গুলশানে নিজ বাসায় সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে তিনি এ কথা জানান।
সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, বড় জোট গঠনের প্রক্রিয়া চলছে। জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সঙ্গেও রাজনৈতিক যোগাযোগ রয়েছে। তবে জোট হবে কি না তা এখনো নিশ্চিত নয়।
তিনি জানান, চলতি অক্টোবর মাসের মধ্যেই ২০০ আসনে বিএনপির একক প্রার্থীকে ‘গ্রিন সিগন্যাল’ দেওয়া হবে, যাতে তারা নির্বাচনের প্রস্তুতি নিতে পারেন।
সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, নির্বাচনসংক্রান্ত আইন গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) সংশোধনের অনেক বিষয়ে বিএনপি সম্মত ছিল। তবে ২০/১ উপধারায় বলা হয়েছিল, জোটবদ্ধ হলে দলগুলো অন্য রাজনৈতিক দলের প্রতীকে নির্বাচন করতে পারবে।
বিএনপি সেটিতেই আশ্বস্ত ছিল, কিন্তু যেভাবে আরপিও পাস হয়েছে, তাতে ছোট দলগুলো জোটে যুক্ত হতে নিরুৎসাহিত হবে। এতে ছোট দলের নেতারা সুযোগ হারাবেন।
তিনি প্রশ্ন তোলেন, এই ধরনের আরপিও একতরফাভাবে কেন পাস করা হলো?
সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, বিএনপি বহুদলীয় ও শক্তিশালী সংসদ দেখতে চায়। সুষ্ঠু নির্বাচনের স্বার্থে আইনটি পুনর্বিবেচনার আহ্বান জানান তিনি।
সালাহউদ্দিন আরো জানান, এ বিষয়ে আপত্তি জানিয়ে দলটি চিঠি দেবে। ধারণা করা হচ্ছে, তারেক রহমান দেশে ফেরার পর গুলশান-২ অ্যাভিনিউ রোডের ১৯৬ নম্বর বাড়িতে থাকবেন। ১৯৮১ সালে রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের মৃত্যুর পর তৎকালীন সরকার তাঁর স্ত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে এই বাড়ি বরাদ্দ দেয়। সম্প্রতি অন্তর্বর্তী সরকার এই বাড়ির নামজারি সম্পন্ন করে এ সংক্রান্ত কাগজপত্র খালেদা জিয়ার হাতে হস্তান্তর করে। এর পাশের বাড়ি ফিরোজায় থাকেন খালেদা জিয়া।
গুলশানের ১৯৬ নম্বর বাড়িটি ব্রিটিশ-আমেরিকান টোব্যাকো বাংলাদেশ-এর কাছে ভাড়া দেওয়া ছিল।
জানা গেছে, ব্রিটিশ-আমেরিকান টোব্যাকো এ বছরের শুরুর দিকে বাড়িটি ছেড়ে দিয়েছে। এখন নতুন করে বাড়ির ভেতরে-বাইরে রং করাসহ প্রয়োজনীয় সংস্কার করা হয়।
মন্তব্য করুন


ডেস্ক রিপোর্ট:
রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের সঙ্গে তিন বাহিনী প্রধান, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা, সুশীল সমাজের প্রতিনিধি ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাদের বৈঠকের সিদ্ধান্তের পরিপ্রেক্ষিতে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে।
এছাড়া জাতীয় সংসদ বিলুপ্ত করা হয়েছে। ১ জুলাই ২০২৪ থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন ও বিভিন্ন মামলায় আটকদের মুক্তি দেওয়া শুরু হয়েছে এবং এরই মধ্যে অনেকে মুক্তি পেয়েছেন।
৬ আগস্ট বঙ্গভবন থেকে গণমাধ্যমে পাঠানো প্রেস রিলিজে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এর আগে গতকাল সোমবার (৫ আগস্ট) রাতে জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন জানান, কারাবন্দি বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াসহ সব রাজনৈতিক বন্দিকে শিগগির মুক্তি দেওয়া হবে। এসময় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহতদের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ প্রদান ও আহতদের সুচিকিৎসার প্রয়োজনীয় সহায়তা দেওয়ার কথাও জানান রাষ্ট্রপতি।
তিনি আরও বলেন, জরুরি ভিত্তিতে একটি অন্তর্র্বতীকালীন সরকার গঠন করা হবে। সব দল ও অংশীজনদের সঙ্গে আলোচনা করে অন্তর্র্বতীকালীন সরকার যত দ্রুত সম্ভব নির্বাচনের ব্যবস্থা করবে।
অন্তর্র্বতীকালীন সরকার গঠনের লক্ষ্যে গতকাল রাতে বঙ্গভবনে সেনাপ্রধান, নৌপ্রধান, বিমান বাহিনীর প্রধান এবং দেশের বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করেন রাষ্ট্রপতি।
বৈঠকে কোটাবিরোধী আন্দোলনে নিহতদের স্মরণে শোক প্রস্তাব গৃহীত হয় এবং তাদের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত ও শান্তি কামনা করা হয়। এসময় অনতিবিলম্বে একটি অন্তর্র্বতীকালীন সরকার গঠনের সিদ্ধান্ত হয়। দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির নিয়ন্ত্রণে সবাইকে ধৈর্য ও সহনশীল আচরণ করার আহ্বান জানানো হয় বৈঠকে। লুটতরাজ ও হিংসাত্মক কর্মকাণ্ড বন্ধে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণের সিদ্ধান্তও নেওয়া হয়।
সেই বৈঠকে সর্বসম্মতিক্রমে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে অনতিবিলম্বে মুক্তির সিদ্ধান্ত হয়। এছাড়া বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে এবং সম্প্রতি বিভিন্ন মামলায় আটক সব বন্দিকে মুক্তি দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। সাম্প্রদায়িক সম্প্রতি যেন কোনোভাবেই বিনষ্ট না হয় সে ব্যাপারেও সভায় ঐকমত্য হয়।
মন্তব্য করুন


জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। গণঅধিকার পরিষদসহ কয়েকটি দলের নেতাকর্মীরা এ হামলা চালিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে টিয়ারশেল ও জলকামান ব্যবহার করেছে পুলিশ।
আজ শনিবার (৩০ আগস্ট) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে এ হামলার ঘটনা ঘটে। এর আগে সোয়া ৬টার দিকে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে জাতীয় পার্টির কার্যালয়ের সামনে আসে গণঅধিকার পরিষদের নেতাকর্মীরা।
গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি ও ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুরের ওপর হামলার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল করেছে দলটির নেতাকর্মীরা। বিক্ষোভ মিছিল শেষে পুলিশকে উদ্দেশ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপেরও ঘটনা ঘটে।
এর আগে রাজধানীর কাকরাইলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হামলায় আহত গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুরকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) স্থানান্তর করা হয়। শুক্রবার (২৯ আগস্ট) দিনগত রাত সাড়ে ১২টার পর তাকে আইসিইউতে নেওয়া হয় বলে জানা গেছে।
মন্তব্য করুন


বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানির পাঠানো বিশেষ এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে মঙ্গলবার (৭ জানুয়ারি) লন্ডনের উদ্দেশ্যে যাত্রা করবেন। সোমবার রাত কিংবা মঙ্গলবার সকালের মধ্যে এই বিশেষ এয়ার অ্যাম্বুলেন্স ঢাকায় পৌঁছাবে বলে জানা গেছে।
রোববার (৫ জানুয়ারি) রাতে বিএনপি চেয়ারপারসনের একান্ত সচিব এবিএম আবদুস সাত্তার এ তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, বেগম খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা সম্পর্কে অবগত হয়ে কাতারের আমির রাজকীয় বহরের বিশেষ এই বিমান পাঠিয়েছেন। এই এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে সর্বাধুনিক চিকিৎসা সুবিধা রয়েছে।
লন্ডন যাত্রার আগে রোববার রাত ৯টার দিকে গুলশানের বাসভবন ‘ফিরোজা’-তে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্যদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন খালেদা জিয়া।
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর জানিয়েছেন, “বেগম খালেদা জিয়া তার চিকিৎসার জন্য আগামী মঙ্গলবার রাতে লন্ডনের উদ্দেশ্যে রওনা দেবেন। সেই কারণেই আমরা জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্যরা তার সঙ্গে দেখা করতে এসেছিলাম।”
৭৯ বছর বয়সী সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া লিভার সিরোসিস, হৃদরোগ ও কিডনি সমস্যাসহ বিভিন্ন জটিল রোগে ভুগছেন। লন্ডনে পৌঁছানোর পর তিনি কিছুদিন তার ছেলে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বাসায় থাকবেন।
পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য তিনি যুক্তরাষ্ট্রের মেরিল্যান্ডের জন হপকিন্স ইউনিভার্সিটি হাসপাতালের মাল্টি ডিসিপ্লিনারি কেয়ার ইউনিটে যাবেন। সেখানেই তার লিভার ট্রান্সপ্লান্ট প্রক্রিয়া সম্পন্ন হবে।
ইতিমধ্যে খালেদা জিয়ার যাবতীয় চিকিৎসা সংক্রান্ত কাগজপত্র এবং মেডিকেল রিপোর্ট যুক্তরাষ্ট্রের হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
গত বছরের ২৬ অক্টোবর, জন হপকিন্স হাসপাতালের তিনজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ঢাকায় এসে এভারকেয়ার হাসপাতালে বেগম খালেদা জিয়ার লিভার এবং পেটের ফ্লুইড জমা ও রক্তক্ষরণ রোধে বিশেষ চিকিৎসা পদ্ধতি ট্রান্সজুগুলার ইনট্রাহেপাটিক পোর্টোসিস্টেমিক শান্ট (TIPSS) সম্পন্ন করেছিলেন।
এই বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক দলই যুক্তরাষ্ট্রে তার লিভার ট্রান্সপ্লান্ট কার্যক্রম পরিচালনা করবে।
মন্তব্য করুন


নির্বাচন কমিশনের কাছে ২০২৪ সালের আয় ও ব্যয়ের হিসাব জমা দিয়েছে বিএনপি। এতে আয় হিসেবে দেখানো হয়েছে ১৫ কোটি ৬৫ লাখ ৯৪ হাজার ৮৪২ টাকা। এছাড়া ব্যয় দেখানো হয়েছে ৪ কোটি ৮০ লাখ ৪ হাজার ৮২৩ টাকা। বর্তমানে উদ্বৃত্ত আছে ১০ কোটি ৮৫ লাখ ৯০ হাজার ১৯ টাকা।
আজ রবিবার সকালে নির্বাচন ভবনে নির্বাচন কমিশনের সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদের কাছে আয় ব্যয়ের হিসাব জমা দিয়েছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবীর রিজভী। হিসাব জমা দেওয়া শেষে এ তথ্য জানান তিনি।
রিজভী জানায়, সদস্যদের মাসিক চাঁদা, বই-পুস্তক বিক্রয়, ব্যাংক সুদ, এককালীন অনুদান থেকে আয় হয়েছে। আর ব্যয় হয়েছে ব্যক্তিগত সহযোগিতা, দুর্যোগকালীন সহযোগিতা, কর্মসূচি বাস্তবায়ন, লিফলেট, পোস্টার ইত্যাদি ছাপানোয়।
এ সময় তিনি বলেন, আগে নির্বাচন কমিশন প্রাতিষ্ঠানিক স্বাধীনতা হয়েছিল, নির্বাহী বিভাগের অধীনে ছিল। ফ্যাসিবাদের অস্ত্র হয়ে উঠেছিল, দিনের ভোট রাতে করেছিল। একটি লুটের নির্বাচন করে কমিশন বৈধতা দিয়েছিল। এ ছাড়া মেরুদণ্ডহীন, চাকরিলোভী লোক দিয়ে ইসি গঠন হয়েছিল।
রিজভী বলেন, শেখ হাসিনার পদলেহী প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছিল নির্বাচন কমিশন। বর্তমান নির্বাচন কমিশনের প্রতি প্রত্যাশা তারা দায়িত্বশীল ভূমিকা রাখবে। অবাধ, সুষ্ঠু ও অন্তর্ভুক্তিমূলক নির্বাচনের পরিবেশ তৈরি করবে। নির্বাচন নিয়ে যেকোনো ষড়যন্ত্র প্রতিহত করবে ইসি। আস্থার প্রতিষ্ঠান হবে নির্বাচন কমিশন, বিএনপি এটি প্রত্যাশা করে।
মন্তব্য করুন


নির্বাহী বিভাগের ক্ষমতা খর্ব হলে রাষ্ট্র পরিচালনায় ভারসাম্য নষ্ট হবে বলে মন্তব্য করেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ। তিনি বলেন, দেশে যেন আর কখনো স্বৈরাচার বা ফ্যাসিবাদ জন্ম নিতে না পারে, সে লক্ষ্যে সংবিধান সংশোধনের উদ্যোগে বিএনপি সর্বোচ্চ সহযোগিতা করে যাচ্ছে। তবে নির্বাহী বিভাগের ক্ষমতা খর্ব করা হলে রাষ্ট্র পরিচালনায় ভারসাম্য নষ্ট হবে। জনগণের প্রত্যাশা পূরণে নির্বাহী বিভাগকে শক্তিশালী হতে হবে, দুর্বল নয়।
রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে রাজনৈতিক দলগুলোর দ্বিতীয় দফার সংলাপের ২০তম দিনে আজ সোমবার (২৮ জুলাই) জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সংলাপ থেকে কিছু সময়ের জন্য ওয়াকআউট করার পর আবার আলোচনায় যোগ দিয়ে এসব কথা বলেন তিনি।
তিনি বলেন, আমরাই প্রস্তাব করেছি, তত্ত্বাবধায়ক সরকার পুনঃপ্রতিষ্ঠিত হলে এবং পরবর্তী সংসদ এখানে কোনো সংশোধনী আনলে তা রাষ্ট্রপতির অনুমোদনের আগে গণভোটে যেতে হবে। এটি গৃহীত হওয়া মানে দেশের ভবিষ্যৎ রাজনৈতিক স্থিতিশীলতার জন্য একটি বড় পদক্ষেপ।
তিনি আরো বলেন, নির্বাহী বিভাগের জবাবদিহিতা যেমন সংসদের কাছে, তেমনি জনগণের কাছেও রয়েছে।
কিন্তু যদি কর্তৃত্ব না থাকে, কেবল দায়িত্ব আর জবাবদিহিতা থাকে, তাহলে তা কার্যকর রাষ্ট্র পরিচালনার জন্য যথেষ্ট নয়।
সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, আমাদের পক্ষ থেকেই প্রস্তাব ছিল, কেউ যেন ১০ বছরের বেশি প্রধানমন্ত্রী থাকতে না পারেন—সেটি গৃহীত হয়েছে। আমরা আরো প্রস্তাব দিয়েছি- নির্বাচন কমিশন গঠনে একটি স্বাধীন সার্চ কমিটি গঠন করা হোক, যেখানে সরকারি দল, বিরোধী দল এবং বিচার বিভাগের প্রতিনিধি থাকবে। সেটিও গ্রহণযোগ্য হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, সব বিষয়ে ঐকমত্য হবে এমন দাবি কেউ করেনি। দ্বিমত থাকবে, ভিন্নমত থাকবে, আর সেগুলোর মধ্য দিয়েই তো গণতন্ত্রের সংগ্রাম এগিয়ে যায়। আমরা মনে করি না যে ‘নোট অব ডিসেন্ট দিয়ে কাউকে ঐকমত্যে বাধ্য করা উচিত। ঐকমত্যের অর্থই হচ্ছে সবাইকে সঙ্গে নিয়ে পথচলা। বিএনপি অংশ না নিলে কিভাবে জাতীয় ঐকমত্য প্রতিষ্ঠিত হবে, সেটি নিয়েও প্রশ্ন থেকে যায়।
মন্তব্য করুন


সংবিধান সংশোধন করতে হলে তা অবশ্যই সংসদে করতে হবে। এর বাইরে সংবিধান সংশোধনের কোনো সুযোগ নেই বলে মন্তব্য করেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী।
আজ শনিবার দুপুরে রাজধানীর নীলক্ষেতের আইসিএমএবি মিলনায়তনে বিএনপির সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল মান্নানের ৫ম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে অনুষ্ঠিত স্মরণসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, সংবিধান সংশোধনের ব্যাপারগুলো এখনও আলোচনা হচ্ছে। সংবিধানের যদি কোনো সংশোধন করতে হয় তাহলে সেটা সংসদের মধ্য থেকে করতে হবে। সেটার জন্য ম্যন্ডেট জনগণের থেকে নিতে হবে প্রত্যেকটি দলকে। সেটি হতে হবে সংসদের মধ্যে।
তিনি আরও বলেন, স্বচ্ছতা এবং গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার মাধ্যমে যদি কোনো পরিবর্তন আনতে হয়, সংসদের বাইরে সেটা করার কোনো সুযোগ নেই। যারা বাংলাদেশের আগামীর গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করতে চাচ্ছে, নির্বাচনকে বাধাগ্রস্ত করতে চাচ্ছে, তারা গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে না। তারা সংসদীয় পদ্ধতিতেও বিশ্বাস করে না। তারা কোন পদ্ধতিতে যাবে তারা নিজেরাও জানে না।
রাজনৈতিক সংস্কৃতির পরিবর্তন জরুরি উল্লেখ করে বিএনপির এই নেতা বলেন, আমরা যতই সংস্কার করি, কোনো লাভ হবে না। যদি রাজনৈতিক সংস্কৃতি বদলাতে না পারি, কোনো সংস্কার কাজে আসবে না। অপরের মতকে আমাদের সম্মান জানাতে হবে। সহনশীল হতে হবে। এর মাধ্যমেই দেশকে আমরা ঐক্যবদ্ধভাবে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারবো। বাংলাদেশের জাতীয় স্বার্থে যেখানে ঐক্য দরকার, সেখানে ঐক্য করতে হবে।
ঐক্য এখনও অটুট আছে জানিয়ে আমীর খসরু বলেন, অনেকেই বলছেন, দলগুলোর মধ্যে যে ঐক্য ছিল ৫ আগস্টের পরে তা অনৈক্য হয়ে গেছে। আমি তো কোনো অনৈক্য দেখতে পাচ্ছি না। প্রত্যেকটি দলের নিজস্ব দর্শন, চিন্তাভাবনা থাকবে। যেখানে আমরা একমত হতে পারবো সেখানে একমত হবো। বাকিটা জনগণের কাছে নিয়ে যেতে হবে। জনগণ হচ্ছে মালিক। তাদের কাছে নিয়ে যেতে হবে। তাদের সিদ্ধান্ত নিয়ে সংসদে পাস করতে হবে।
মন্তব্য করুন


নির্বাচন নিয়ে ধোঁয়াশা সৃষ্টি হয়েছে বলে মনে করছে বিএনপি। এজন্য দলের পক্ষে প্রধান উপদেষ্টার কাছে নির্বাচনী রোডম্যাপ চাওয়া হবে বলে জানিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ।
বুধবার দুপুরে রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়ে এসব কথা বলেন তিনি।
সালাহউদ্দিন আহমদ জানান, নির্বাচন নিয়ে ধোঁয়াশা সৃষ্টি হয়েছে বিভিন্ন মহলে, তা পরিষ্কারের জন্য প্রধান উপদেষ্টার কাছে রোডম্যাপ চাইবে বিএনপি। দল মনে করে জুনের আগে নির্বাচনের সব প্রস্তুতি সম্পন্ন হবে।
বিএনপির এই নেতা জানায়, সংবিধানের রাষ্ট্র পরিচালনার মূলনীতিতে কিছু বিষয়ে বিভ্রান্তি রয়েছে, পঞ্চাদশ সংশোধনীর পূর্ববস্থা বহাল চায় বিএনপি। ধর্মনিরপেক্ষতা বাতিলের বিষয়ে কোনো প্রস্তাবনা দেওয়া হয়নি, এটা নিয়ে ভুল ব্যখ্যা দেওয়া হয়েছে।
সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, শেখ হাসিনাকে ফিরিয়ে দেওয়ার বিষয়ে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সাথে প্রধান উপদেষ্টার যে আলোচনা হয়েছে তা জনগণের দাবি। এটাকে স্বাগত জানানো হয়েছে।
মন্তব্য করুন