

শ্রীমঙ্গলের হাইল হাওরের জনগণের জীবনমান উন্নয়ন ও জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণের আহ্বান জানিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার। তিনি বলেছেন, প্রাকৃতিকভাবে দেশীয় মাছের বিভিন্ন প্রজাতি হারিয়ে যাচ্ছে, যা শুধুমাত্র অভয়াশ্রমের মাধ্যমেই রক্ষা করা সম্ভব। একদিকে হাওর সংরক্ষণের কথা বলা হচ্ছে, অন্যদিকে হাওরে ধানের উৎপাদন বাড়াতে কীটনাশক ব্যবহার করা হচ্ছে। এই কীটনাশক পানির সঙ্গে মিশে হাওরের মাছের ব্যাপক ক্ষতি করছে। তাই হাওর রক্ষায় কীটনাশকের ব্যবহার নিয়ন্ত্রণ করা জরুরি।
রোববার সকালে শ্রীমঙ্গলের হাইল হাওরের হাজীপুর এলাকার বাইক্কার বিল মৎস্য অভয়াশ্রম সংলগ্ন পাড়ে ‘বাইক্কার বিল মৎস্য অভয়াশ্রম সংশ্লিষ্ট সুফলভোগীদের সঙ্গে মতবিনিময়’ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। তিনি আরও বলেন, যারা পাখি শিকার করে আনন্দ পেতে চান, তাদের এ ধরনের কাজ থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানানো হয়। কারণ, এ ধরনের শিকার নির্মম, অমানবিক এবং প্রাণবৈচিত্র্য ও দেশের জন্য ক্ষতিকর।
বাইক্কা বিল রক্ষার জন্য অভয়াশ্রম প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে উল্লেখ করে মৎস্য উপদেষ্টা বলেন, বিদেশি সহায়তার ওপর নির্ভর না হয়ে নিজস্ব সক্ষমতা অর্জন করতে হবে। তিনি জানান, নিজস্ব অর্থায়নে দাদুরিয়া বিল খননের উদ্যোগ নেওয়া হবে। সম্পদ ব্যবস্থাপনা সংগঠনের কাজগুলো অভয়াশ্রম রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। তবে বিল রক্ষায় মৎস্য কর্মকর্তাদের প্রতিনিধিত্ব না থাকলে কাঙ্ক্ষিতভাবে অভয়াশ্রম রক্ষা করা কঠিন হবে।
তিনি আরও বলেন, কালচারাল মাছের ওপর নির্ভর করে চলতে চাই না। অভয়াশ্রম তৈরি করে দেশীয় প্রজাতির মাছ রক্ষা করা মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের একটি বড় দায়িত্ব। তিনি জানান, অন্তর্বর্তী সরকার তরুণদের জন্য বিভিন্ন পরিকল্পনা গ্রহণ করছে। ৫ আগস্ট শহিদ পরিবার ও আহত পরিবারের সদস্যদের জন্য মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় একটি প্রকল্প গ্রহণ করেছে, যা তাদের সহায়তায় কাজ করবে।
এর আগে উপদেষ্টা শ্রীমঙ্গলের হাজীপুর এলাকার বাইক্কার বিল মৎস্য অভয়াশ্রম সংলগ্ন পাড়ে হিজল গাছ রোপণ করেন। অনুষ্ঠানে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মোসা. শাহীনা আক্তারের সভাপতিত্বে আরও উপস্থিত ছিলেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব শাহীনা ফেরদৌসী, মৎস্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. মো. আবদুর রউফ, অতিরিক্ত মহাপরিচালক মো. জিয়া হায়দার চৌধুরী, সিলেট বিভাগীয় মৎস্য অফিসের উপপরিচালক মো. আশরাফুজ্জামান, সিনিয়র সহকারী পরিচালক মো. আনোয়ার কবীর, মৌলভীবাজার জেলা মৎস্য কর্মকর্তা ড. মো. আরিফ হোসেন, সিলেট জেলা মৎস্য কর্মকর্তা সীমা রাণী বিশ্বাস, সিনিয়র সহকারী পরিচালক আল-মিনান নূর, শ্রীমঙ্গল উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. ইসলাম উদ্দিন, সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা বিনয় কুমার রায় এবং বাইক্কার বিল মৎস্য অভয়াশ্রম সংশ্লিষ্ট সুফলভোগীরা।
মন্তব্য করুন


১৫ অক্টোবরের পরিবর্তে আগামী ১৭ অক্টোবর শুক্রবার জুলাই জাতীয় সনদ স্বাক্ষরিত হবে। জনসাধারণের অংশগ্রহণের সুবিধার্থে সাপ্তাহিক ছুটির দিনে এ অনুষ্ঠান আয়োজনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
শনিবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন।
বৈঠক শেষে কমিশন সহসভাপতি অধ্যাপক ড. আলী রীয়াজ জানান, জুলাই জাতীয় সনদ স্বাক্ষর অনুষ্ঠান একটি ঐতিহাসিক ঘটনা। আগ্রহী জনগণের অংশগ্রহণের সুবিধার্থে অনুষ্ঠানটি ১৭ অক্টোবর শুক্রবার বিকেলে জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় অনুষ্ঠিত হবে। যদিও এর আগে কমিশনের তরফ থেকে জানানো হয়েছিল ১৫ অক্টোবর বুধবার বিকেলে জুলাই সনদ স্বাক্ষরিত হবে।
বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, জুলাই জাতীয় সনদ স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে দেশের বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও জোটের প্রতিনিধিরা অংশ নেবেন। এছাড়া বিভিন্ন শ্রেণি ও পেশার প্রতিনিধিদের আমন্ত্রণ জানানো হবে এতে।
বৈঠকে আরও উপস্থিত ছিলেন জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সদস্য ড. বদিউল আলম মজুমদার, সংস্কৃতি উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী ও প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দার।
মন্তব্য করুন


দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চেয়ারম্যান ড. মোহাম্মদ আব্দুল মোমেন বলেছেন, আওয়ামী লীগ সরকারের সময় ভারতের সঙ্গে করা চুক্তির মাধ্যমেই শেখ হাসিনাকে দেশে ফিরিয়ে আনা সম্ভব। তিনি জানান, দুদক এ বিষয়ে কাজ করছে।
বুধবার গণমাধ্যমে সাক্ষাতকার দেওয়ার সময় এ কথা বলেন দুদক চেয়ারম্যান।
টিউলিপ সিদ্দিককে দেশে ফিরিয়ে আনার বিষয়ে ড. মোহাম্মদ আব্দুল মোমেন বলেন, ‘ব্রিটিশ এমপি টিউলিপ সিদ্দিক আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ হারিয়েছে; দেশে ফেরাতে ইন্টারপোলের সহযোগিতা নেবে দুদক।’
এর আগে চলতি বছরের ২৩ এপ্রিল দুর্নীতির মামলায় অভিযুক্ত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার ভাগনি ব্রিটেনের সাবেক প্রতিমন্ত্রী টিউলিপ সিদ্দিককে দেশে ফিরিয়ে আনার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছিল দুদক।
প্রসঙ্গত, গণঅভ্যুত্থানের মুখে গত বছরের ৫ আগস্ট ক্ষমতা ছেড়ে ভারতে চলে যান শেখ হাসিনা। অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব গ্রহণের পর শেখ হাসিনা ও তার পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে দুর্নীতি, জালিয়াতি ও ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযোগে একাধিক মামলা হয়েছে।
এছাড়া ক্ষমতার অপব্যবহার ও জালিয়াতি করে রাজউকের আবাসন প্রকল্পে ১০ কাঠা করে ৬০ কাঠার প্লট বরাদ্দ নেওয়ার অভিযোগে শেখ হাসিনা ও তার পরিবারের সদস্যসহ ২৩ জনের বিরুদ্ধে ৬টি মামলা করেছে দুদক।
মন্তব্য করুন


অন্তর্বর্তী সরকার ‘বাংলাদেশের ইতিহাসের সবচেয়ে দুর্বল প্রশাসন’ কিছু মানুষের এই দাবি প্রত্যাখ্যান করে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের প্রেসসচিব শফিকুল আলম বলেছেন, ‘বাস্তবে সরকার মাত্র ১৫ মাসেই তাদের প্রায় সব লক্ষ্য অর্জন করেছে।’
আজ মঙ্গলবার শফিকুল আলম তাঁর ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দেওয়া এক স্ট্যাটাসে লিখেছেন, ‘আমি দৃঢ়ভাবে বলছি—এটি গত কয়েক দশকে বাংলাদেশের সবচেয়ে তাৎপর্যপূর্ণ সরকারগুলোর একটি। তারা তাদের প্রায় সব লক্ষ্যই অর্জন করেছে।’
কেউ কেউ আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি সামাল দিতে সরকারের অদক্ষতার অভিযোগ করলেও তা নাকচ করে শফিকুল আলম বলেন, ‘দেশে শান্তি ও স্থিতিশীলতা ফিরেছে।
বিপ্লব-পরবর্তী প্রতিশোধমূলক হামলা বন্ধ হয়েছে’ বলেও তিনি উল্লেখ করেন।
যুক্তরাষ্ট্র এই সরকারের দুর্বলতার কারণে ‘পাল্টা শুল্ক সুবিধা দেবে না’—এমন সমালোচনার জবাবে তিনি বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে শুল্ক চুক্তি করা হয়েছে কোনো লবিং ফার্ম ভাড়া না করেই।’
সরকারের আইন প্রণয়ন বিষয়ক কাজের উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘মাত্র ১৫ মাসে রেকর্ডসংখ্যক আইন পাস হয়েছে, যার মধ্যে বিস্তৃত শ্রম সংস্কার আইনও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।’
জুলাই ঘোষণা ও সনদের প্রসঙ্গে শফিকুল আলম বলেন, ‘জুলাই ঘোষণা একটি ঐতিহাসিক নতুন প্ল্যাটফর্ম তৈরি করেছে এবং জুলাই চার্টার এমন এক রাজনৈতিক সমঝোতা গড়ে তুলেছে, যা আগামী প্রজন্মের জন্য বাংলাদেশের রাজনীতিকে পুনর্গঠন করতে পারে।’
সরকারের অন্যান্য অর্জনের কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘সুপ্রিম কোর্ট নিম্ন আদালতের ওপর নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করেছেন, ফলে ভবিষ্যতে কোনো সরকারের রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে জামিন বা মামলাকে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করা অনেক কঠিন হয়ে পড়বে।’
তিনি বলেন, ‘বিশ্বের অন্যতম শীর্ষ বন্দর অপারেটর লালদিয়া টার্মিনাল চুক্তি স্বাক্ষর করেছে, যা বাংলাদেশের শিল্প রূপান্তরের ভিত্তি স্থাপন করেছে। এটি এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বড় ইউরোপীয় বিনিয়োগ।’
এ ছাড়া নতুন পররাষ্ট্রনীতি কাঠামো বাংলাদেশের অবস্থানকে ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলের কেন্দ্রে নিয়ে গেছে বলেও তিনি জানান।
অর্থনীতি স্থিতিশীল হয়ে পুনরায় প্রবৃদ্ধির পথে ফিরেছে উল্লেখ করে শফিকুল আলম বলেন, ‘ব্যাংকিং খাতের লুটপাট রোধ করা হয়েছে, টাকা স্থিতিশীল এবং মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে এসেছে। খাদ্য মূল্যস্ফীতি ১৪ শতাংশ থেকে নেমে ৭ শতাংশ হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘আদালতের কার্যক্রম অনুযায়ী, অতীতের নিপীড়নের জন্য জবাবদিহি শুরু হয়েছে এবং দীর্ঘ প্রতীক্ষিত ন্যায়বোধের আবির্ভাব ঘটেছে। শেখ হাসিনাকে তার অবস্থান দেখিয়ে দেওয়া হয়েছে।’
তিনি আরো বলেন, ‘গুম বন্ধ হয়েছে।
একসময়ের জাতীয় জীবনে আধিপত্যকারী বিএএল চরমপন্থী রাজনৈতিক সংস্কৃতি নিষ্ক্রিয় করা হয়েছে এবং একটি সাংস্কৃতিক পুনর্জাগরণ এসেছে। পূর্ববর্তী নির্যাতনের ওপর নির্মিত জনপ্রিয় প্রামাণ্যচিত্রগুলো এর প্রমাণ। এটি এক ফারুকি-ইফেক্ট।’
র্যাব এখন আইনের অধীনে পরিচালিত হয়, আর কোনো অনানুষ্ঠানিক মতবাদে নয়। গোয়েন্দা সংস্থাগুলোও ভিন্নমতাবলম্বীদের হয়রানি থেকে সরে এসেছে বলে শফিকুল আলম জানান।
গত ১৬ মাসে একটিও সাজানো ‘ক্রসফায়ার’ ঘটনার রিপোর্ট পাওয়া যায়নি বলে তিনি উল্লেখ করেন।
তিনি বলেন, ‘গণমাধ্যমের স্বাধীনতা ও বাকস্বাধীনতা পুনঃপ্রতিষ্ঠিত হয়েছে।’
সরকারের আরো অনেক সাফল্য রয়েছে জানিয়ে শফিকুল আলম বলেন, ‘ইতিহাসের এক আগ্রহী পাঠক হিসেবে আমার বিশ্বাস, বাংলাদেশের ইতিহাসে এত অল্প সময়ে কোনো সরকার এত কিছু অর্জন করতে পারেনি, যতটা অন্তর্বর্তী সরকার এই ১৫ মাসে করেছে।’
মন্তব্য করুন


কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর জানিয়েছেন, বেসরকারি খাতের পাঁচটি ইসলামী ব্যাংককে খুব শিগগিরই একীভূত করা হবে।
রোববার বাংলাদেশ ব্যাংকের বোর্ড রুমে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানায় গভর্নর।
একত্রিত হলেও এসব ব্যাংকের কর্মীরা চাকরি হারাবেন না বলে আশ্বস্ত করেছেন তিনি।
গভর্নর জানান, নির্বাচনের সঙ্গে ব্যাংক মার্জারের কোনো সম্পর্ক নেই। এটি একটি চলমান প্রক্রিয়া। আমরা আশা করব পরবর্তী সরকার এসে এ প্রক্রিয়াকে এগিয়ে নিয়ে যাবে। তবে নির্বাচন পর্যন্ত অপেক্ষা না করে আগামী কয়েক মাসের মধ্যেই পাঁচটি ইসলামী ব্যাংক মার্জার করা হবে। এক্ষেত্রে ব্যাংক কর্মকর্তাদের দুশ্চিন্তার কোনো কারণ নেই। তবে প্রয়োজনে শাখাগুলো স্থানান্তর করা হবে। যেসব ব্যাংকের শাখা শহরে বেশি, সেসব ব্যাংককে গ্রামে পাঠানোর ব্যবস্থা করা যেতে পারে।
তিনি জানান, পাচারকৃত সম্পদ উদ্ধারের প্রক্রিয়ায় ধাপে ধাপে অগ্রসর হতে হবে। আদালতের চূড়ান্ত রায় ছাড়া কোনো সম্পদ উদ্ধার সম্ভব নয়। এজন্য আগে সুনির্দিষ্ট তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করে আইনি নথিপত্র তৈরি করতে হবে।
ড. আহসান এইচ মনসুর আরও জানায়, আমরা চাই আদালতের মাধ্যমে যাচাই হোক—আমাদের দাবি যথাযথ কি না। আদালতের সিদ্ধান্তের ভিত্তিতেই অর্থ উদ্ধার সম্ভব হবে।
তিনি বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তির (এডিআর) প্রসঙ্গ তুলে ধরে বলেন, আদালতের বাইরে সমঝোতার মাধ্যমে অর্থ ফেরত আনার ব্যবস্থাও রয়েছে। এ পদ্ধতিতেও একটি নির্দিষ্ট প্রক্রিয়া অনুসরণ করতে হয়, যেখানে উভয় পক্ষের আইনজীবীরা আলোচনা করে সমাধান খুঁজবেন।
তিনি জানায়, কোন পথে এগোনো হবে, আদালত নাকি এডিআর, সেটি নির্ধারণ করবে সরকার। সরকারের নির্দেশনা পেলেই বাংলাদেশ ব্যাংক সম্পদ উদ্ধারে প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি সম্পন্ন করে আইনজীবী নিয়োগ করতে পারবে।
গভর্নর জানান, দেশীয় সম্পদের জন্য দেশের আদালতে এবং বিদেশি সম্পদের জন্য সংশ্লিষ্ট দেশের আদালতে মামলা পরিচালনা করতে হবে। এই লক্ষ্যে প্রস্তুতি চলছে।
মন্তব্য করুন


চলতি বছর বাংলাদেশের হজের কোটা এক লাখ ২৭ হাজার ১৯৮ জন। সেই অনুযায়ী তিন ভাগের একভাগ হজযাত্রীও নির্ধারিত সময়ের মধ্যে নিবন্ধন করেননি। রবিবার রাত ১২টায় শেষ হয় হজের নিবন্ধন প্রক্রিয়া।
সোমবার দুপুর আড়াইটায় ধর্ম মন্ত্রণালয়ের হজ ব্যবস্থাপনা বিষয়ক পোর্টালে গিয়ে দেখা গেছে, ৪৬ হাজার ৬০০ জন নিবন্ধন করেছেন।
এর মধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনায় নিবন্ধন করেছেন ৩ হাজার ৬৮৬ জন আর বেসরকারিভাবে ৪১ হাজার ৯১৭ জন। রবিবার রাত ১২টায় শেষ হয় এই নিবন্ধন প্রক্রিয়া।
এদিকে নিবন্ধনের সময় আর বাড়ানো হবে কিনা, তা আজ রাতে জানা যাবে বলে জানিয়েছে ধর্ম মন্ত্রণালয়। যদিও হজ এজেন্সিস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (হাব) নিবন্ধনের সময় আগামী ৫ নভেম্বর পর্যন্ত বাড়ানোর আবেদন জানিয়েছে।
ধর্ম মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা বলছেন, নিবন্ধনের বিষয়টি সৌদি আরবের সিদ্ধান্তের ওপর নির্ভর করছে। সৌদির রোড ম্যাপ অনুযায়ী রবিবার নিবন্ধনের সময় শেষ হয়েছে। সৌদি সরকার নিবন্ধনের সময় না বাড়ালে ধর্ম মন্ত্রণালয়ের কিছু করার নেই। সময় বাড়ানোর জন্য সৌদি কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা চলছে।
তাদের অনুমতি পাওয়া গেলেই ধর্ম মন্ত্রণালয় সময় বাড়ানোর ঘোষণা দেবে।
সূত্র জানায়, গত ২৮ সেপ্টেম্বর সরকারি ও ৩০ সেপ্টেম্বর বেসরকারি ব্যবস্থাপনার হজ প্যাকেজ ঘোষণা করা হয়। উভয় ক্ষেত্রে তিনটি প্যাকেজ ঘোষণা করা হয়। প্রাথমিক নিবন্ধিত হজযাত্রীদের আগামী ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে প্যাকেজের বাকি টাকা পরিশোধ করতে হবে। গত ২৭ জুলাই থেকে সরকারি ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনার হজযাত্রীদের প্রাথমিক নিবন্ধন শুরু হয়। সাড়ে তিন লাখ টাকা জমা দিয়ে এ প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।
চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামী বছরের ২৬ মে সৌদি আরবে হজ অনুষ্ঠিত হবে।
মন্তব্য করুন


আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কমিশন সবার জন্য লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত করতে চায় বলে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন। তিনি বলেছেন, ‘খুব শিগগিরই নির্বাচনের মুখোমুখি হব। সামনের নির্বাচনকে গ্রহণযোগ্য ও স্বচ্ছ করতে সবার সহযোগিতা দরকার। সবার জন্য লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড করতে চায় কমিশন।’
রবিবার সকালে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) দ্বিতীয় দিনের সংলাপের সূচনা বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
এসময় সিইসি দলীয়ভাবে আচরণবিধি প্রতিপালনের আহ্বান জানান।
সকাল সাড়ে ১০টা থেকে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে অবস্থিত নির্বাচন ভবনের সম্মেলন কক্ষে গণফোরামসহ ৬ দলের সঙ্গে সংলাপে বসেছে ইসি। সংলাপটি বেলা সাড়ে ১২টা পর্যন্ত চলার কথা রয়েছে।
অন্য দলগুলো হলো—গণফ্রন্ট, ইসলামীক ফ্রন্ট বাংলাদেশ, ইসলামী ঐক্যজোট, বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টি (বিএসপি) ও বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি।
এ ছাড়া দুপুর ২টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত বাংলাদেশ জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (বাংলাদেশ জাসদ), বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি (বাংলাদেশ ন্যাপ), তৃণমূল বিএনপি, কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস ও ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সঙ্গে সংলাপ করবে ইসি। বর্তমানে নির্বাচন কমিশনে বিএনপি, জামায়াতসহ ৫৩টি দল নিবন্ধিত রয়েছে।
মন্তব্য করুন


ডেস্ক রিপোর্ট:
বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ উপদেষ্টা মোহাম্মদ ফাওজুল কবির খান জানিয়েছেন, দেশে বর্তমানে বছরে ৬ হাজার কোটি টাকার এলএনজি (লিকুইফাইড ন্যাচারাল গ্যাস) আমদানি করা হয়। তিনি শনিবার (৩০ নভেম্বর) দুপুরে ইকনোমিক রিপোটার্স ফোরামের (ইআরএফ) আয়োজিত “নবায়নযোগ্য শক্তিতে দ্রুত রূপান্তর: দেশীয় আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ভূমিকা” শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন।
উপদেষ্টা বলেন, এলএনজি আমদানি আরও কতটা বাড়ানো যেতে পারে? আমাদের একটি বাধ্যবাধকতা রয়েছে যে, নবায়নযোগ্য জ্বালানিতে যেতে হবে। এটি ছাড়া আমাদের সামনে কোনো বিকল্প নেই। আমরা বলি যে, ১০ শতাংশ বিদ্যুৎ নবায়নযোগ্য জ্বালানি থেকে পাওয়া যাবে, কিন্তু বাস্তবে যদি এটি বাস্তবায়িত হয়, তাহলে আমাদের অর্জন ২০ শতাংশেরও বেশি হবে।
তিনি আরও বলেন, আমাদের এনার্জি সমস্যা মূলত প্রাইমারি এনার্জির সমস্যা। বিদ্যুৎ না থাকলে গ্রাহক বুঝতে পারে, কিন্তু একটি শিল্প কারখানা যখন গ্যাস পায় না, তখন তা চোখে পড়ে না। কিন্তু তার উৎপাদন কমে যাওয়া দেখা যায় না। বর্তমানে আমাদের দৈনিক ৪ হাজার এমএমসিএফডি গ্যাস প্রয়োজন। আমাদের দেশীয় উৎপাদন এবং আমদানি মিলিয়ে বর্তমানে ৩ হাজারের কাছাকাছি গ্যাস পাওয়া যাচ্ছে। এক হাজার এমএমসিএফডি গ্যাসের ঘাটতি রয়েছে, যা ক্রমাগত বাড়ছে কারণ আমাদের উৎপাদন কমছে। আমরা নতুন কূপ খননের মাধ্যমে আরও গ্যাস পাওয়ার চেষ্টা করছি।
এছাড়া, উপদেষ্টা আরও বলেন, সরকারি ক্রয় প্রক্রিয়া উন্মুক্ত করা হবে। এখন থেকে উপদেষ্টা বা সচিবকে চেনার প্রয়োজন নেই। যদি কারো দক্ষতা, আর্থিক সামর্থ্য ও অভিজ্ঞতা থাকে, তাহলে তিনি অফিসে বসেই ব্যবসা করতে পারবেন। কারো পরিচিতি প্রয়োজন হবে না। অর্থনৈতিক শৃঙ্খলা মুক্ত করে জনগণের অধিকার জনগণকে ফেরত দেয়ার লক্ষ্য আমাদের।
আলোচনা সভায় ইকনোমিক রিপোটার্স ফোরামের সভাপতি মোহাম্মদ রেফায়েত উল্লাহ মৃধা, সাধারণ সম্পাদক আবুল কাসেম, সিপিডির রিচার্স ডিরেক্টর খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম, সেন্টার ফর এনভায়রনমেন্ট অ্যান্ড পার্টিসিপেটরি রিচার্সের (সিইপিআর) চেয়ারপারসন গৌরঙ্গ নন্দীসহ আরও অনেক বিশিষ্ট ব্যক্তি উপস্থিত ছিলেন।
মন্তব্য করুন


ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধেই জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার মো. আনোয়ারুল ইসলাম সরকার। তিনি বলেন, সরকার সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে নির্বাচন করতে সর্বাত্মক প্রস্তুতি নিয়েছে। সুষ্ঠু নির্বাচন করতে সরকার বদ্ধপরিকর।
শনিবার সকালে পটুয়াখালীর কুয়াকাটায় ‘নির্বাচন প্রক্রিয়ায় ভোটগ্রহণকারী কর্মকর্তাদের দায়িত্ব পালনে চ্যালেঞ্জসমূহ নিরূপণ ও উত্তরণের উপায়’ শীর্ষক দিনব্যাপী কর্মশালার উদ্বোধনকালে তিনি এসব কথা বলেন।
এ সময় ইসি আনোয়ারুল বলেন, বিভিন্ন ধরনের প্রোপাগান্ডা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়ানো হচ্ছে। এই বিষয় নিয়ে চিন্তার কিছু নেই। সরকার এবং নির্বাচন কমিশন যেভাবে সিদ্ধান্ত নেবে, সেভাবে নির্বাচন হবে।
তিনি আরও বলেন, এ দেশটি আমাদের, এই দেশে বড় হয়েছি। এই দেশের ভালো-মন্দ আমার আপনার ওপর নির্ভরশীল। প্রতিটি কেন্দ্রে প্রিজাইডিং অফিসারের নেতৃত্বে যদি ভালো নির্বাচন উপহার দেওয়া যায়, তাহলে প্রত্যেকটি জেলার নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ না হওয়ার কোনো কারণ নেই।
কর্মশালায় বরিশাল অঞ্চলের আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা মো. ফরিদুল ইসলামের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ, পটুয়াখালী জেলা প্রশাসক ড. মোহাম্মদ শহীদ হোসেন চৌধুরী, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার অপু সরোয়ার ও নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের উপপ্রধান মুহাম্মদ মোস্তফা হাসান।
কর্মশালায় জেলার আট উপজেলার নির্বাচন কমিশন কমকর্তা ও সরকারি বিভিন্ন দপ্তরের ৬০জন কর্মকর্তা অংশ নেন।
মন্তব্য করুন


দেশের জনগণের মতো সেনাবাহিনীও চায় সরকারের রূপরেখা অনুযায়ী একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হোক। নির্বাচন হলে দেশের স্থিতিশীলতা আরও ভালো হবে এবং আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ধীরে ধীরে আরও স্বাভাবিক হবে।
বুধবার সেনাসদরে সেনাবাহিনীর কার্যক্রম সম্পর্কিত আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন জেনারেল অফিসার কমান্ডিং, সদর দফতর আর্মি ট্রেনিং অ্যান্ড ডকট্রিন কমান্ড (জিওসি আর্টডক) লেফটেন্যান্ট জেনারেল মো. মাইনুর রহমান।
তিনি বলেন, দেশের জনগণের মতো সেনাবাহিনীও চায় সরকারের রূপরেখা অনুযায়ী একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হোক। সে রূপরেখার মধ্যে সময়সীমাও দেওয়া আছে। আমরা আশা করি নির্বাচন হলে দেশের স্থিতিশীলতা আরও ভালো হবে, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ধীরে ধীরে আরও স্বাভাবিক হবে এবং সেনাবাহিনী তখন সেনানিবাসে ফিরে যেতে পারবে। আমরা সেদিকে তাকিয়ে আছি।
লেফটেন্যান্ট জেনারেল মাইনুর রহমান আরও বলেন, সরকার এখন পর্যন্ত নির্বাচনের যেটুকু রূপরেখা প্রনয়ণ করেছে সেটার উপর ভিত্তি করে সেনাবাহিনী যথাযথ প্রস্তুতি গ্রহণ করছে। আমাদের যে প্রশিক্ষণ কার্যক্রম এখন সীমিত আকারে চলছে তারমধ্য নির্বাচনের সময় আমাদের কী করণীয় সেটাকে ফোকাসে রেখেই প্রশিক্ষণ করছি।
তিনি আরও বলেন, প্রশিক্ষণের সঙ্গে একটি বিষয় সম্পর্কিত তা হলো শান্তিকালীন সময়ে সেনাবাহিনীর দায়িত্ব হলো যুদ্ধের জন্য প্রস্তুতি নেওয়া। আমরা বলে থাকি 'উই ট্রেইন এজ উই ফাইট'।
গত ১৫ মাস সেনাবাহিনী বাইরে আছে উল্লেখ করে সেনাবাহিনীর এই কর্মকর্তা বলেন, নির্বাচন পর্যন্ত বা তার কিছুটা পরেও যদি বাইরে থাকতে হয় তাহলে আরও কিছুদিন বাইরে থাকতে হবে। এতে করে আমাদের প্রশিক্ষণ বিঘ্নিত হচ্ছে।
লেফটেন্যান্ট জেনারেল মাইনুর রহমান বলেন, এর পাশাপাশি যে পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে গত ১৫ মাস যে চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করেছে সেনাবাহিনী; এটা সহজ পরিস্থিতি ছিল না। এ ধরনের পরিস্থিতি বাংলাদেশ প্রতিদিন ফেস করেনি। এজন্য আমরাও চায় একটা সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হোক এবং আমরা সেনানিবাসে ফেরত আসতে পারি।
গত ১৫ মাস সেনাবাহিনী বেসামরিক প্রশাসনের সহয়তায় নিয়জিত আছে এবং অত্যন্ত চ্যালেঞ্জিং ও প্রতিকূল পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে দায়িত্ব পালন করছে। এই ১৫ মাস সেনাবাহিনী অত্যন্ত পেশাদারিত্বের সঙ্গে দায়িত্ব পালন করেছে বলেও উল্লেখ করেন সেনাবাহিনীর এই কর্মকর্তা।
মন্তব্য করুন


ডেস্ক রিপোর্ট:
জাতীয় নাগরিক কমিটির মূখ্য সংঘঠক সারজিস আলম বলেছেন, ৭১ যেমন আমাদের শিকড় হিসেবে সংবিধানে স্বীকৃতি পেয়েছে, ২৪-ও আমাদের অস্তিত্বের লড়াই হিসেবে সংবিধানে ঠাঁই পাবে। এত মানুষ রক্ত ও জীবন দিয়ে সংগ্রাম করে খুনি হাসিনাকে বিতাড়িত করে তার স্বামীর সংসারে পাঠিয়ে দিলেন। ঘোষণাপত্রে এর স্বীকৃতি দেয়া উচিত কিনা। জুলাই-আগস্ট ২৪ এর অভ্যুথানের বিষটি একটি লিখিত আকারে থাকুক। এই ঘোষণাটা লিখিত আকারে সংবিধানে স্থান দেয়া হোক। আজ বুধবার দুপুরে নরসিংদীর শিবপুর উপজেলা ইটাখোলা মোড়ে এই লিফলেট বিতরণ লে তিনি এসব কথা বলেন।
এ সময় সাত দফা দাবি সম্বলিত জুলাই ঘোষণাপত্র প্রকাশের দাবি এবং জনমত গঠনে নরসিংদীতে লিফলেট বিতরণ করা হয়। এসময় পথ সভায় কথা বলেন জাতীয় নাগরিক কমিটির মূখ্য সংঘঠক সাধারণ সম্পাদক ও জুলাই-আগস্ট ২৪ এর স্বমন্বয়ক সারজিস আলমের সাথে ছিলেন জাতীয় নাগরিক কমিটির যুগ্ম আহকায়ক সারোয়ার তুষার। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও জাতীয় নাগরিক কমিটির আয়োজনে এই কর্মসূচিতে নরসিংদী ও শিবপুরের শত শত সমন্বয়ক শিক্ষার্থী-জনতা অংশ নেয়। পরে দিনব্যাপী নরসিংদীর শিবপুর, সদরসহ বিভিন্ন স্থানে লিফলেট বিতরণ কার্যক্রম পরিচালনা করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও জাতীয় নাগরিক কমিটি।
সারজিস আলম আলম আরো বলেন, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন তথা জুলাই অভুথ্যানের নেত্রীতের কথা পরিস্কার করে ঘোষণাপত্রে উল্লেখ থাকতে হবে। অভুত্থানে আওয়ামী খুনি ও ফ্যাসিস্টদের বিচার নিশ্চিত করার স্পষ্ট অঙ্গীকার ব্যক্ত করতে হবে। ১৯৪৭ সালের পাকিস্তানের আন্দোলন, ৭১ এর মুক্তিযুদ্ধ ও ২০২৪ জুলাই গণঅভ্যুত্থানের ধারাবাহিকতা পরিস্কার করতে হবে। প্রত্যেকটি বিষয় গুরুত্বপূর্ণ।
ফ্যাসিবাদি রাষ্ট্র ব্যাবস্থার মূল ভিত্তি সংবিধান বাতিল করে নির্বাচিত গণপরিষদ গঠনের মাধ্যমে সম্পূণ নতুন গণতান্ত্রিক সংবিধান প্রণয়ন করতে হবে। যে সংবিধান জনগণের কথা বলবে, সে সংবিধান থাকবে। যে ধারা জনগণের কথা বলবে না সে ধারাগুলো সংবিধানে থাকতে পারবে না।
নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্তে সব ধরনের বৈষম্য নিরসনের মধ্য দিয়ে নাগরিক পরিচয় প্রধান করে রাষ্ট্রকাঠামো গড়ে তোলার প্রতিশ্রুতি থাকতে হবে। জুলাই অভ্যুত্থানের একমাত্র প্রধান লক্ষ্য আওয়ামী ফ্যাসিবাদী সরকারকে উৎখাত করা ছিল না; বরং গত ৫৩ বছরের বৈষম্য, শোষণ ও ফ্যাসিবাদী রাজনৈতিক ব্যবস্থা বিলোপ করার লক্ষ্যে এ অভ্যুত্থান সংঘটিত হয়েছে। সুতরাং বিদ্যমান ফ্যাসিবাদী রাষ্ট্রকাঠামো বিলোপ করতে সব ধরনের সংস্কারের ওয়াদা দিতে হবে।
আমাদেরকে বিভিন্ন ভাগে ভাগ করা যাবে না। ধর্মের দোহাই দিয়ে ভাগ করা যাবে না। পেশা দিয়ে ভাগ করা যাবে না। সবাইকে সমান নাগরিক সুবিধা থাকতে হবে। একজন ভিআইপি সুবিধা পাবে অন্য জন পাবে না। তা আর হবে না। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে জুলাই অভ্যুত্থানের ঘোষণাপত্র ঘোষণা করতে হবে।
মন্তব্য করুন