

ডেস্ক রিপোর্ট:
বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জয়নুল আবদিন ফারুক বলেছেন, ভারতে বসে শেখ হাসিনা আরামে কফি খাচ্ছেন, পার্কে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। তাকে বাংলাদেশে আসতেই হবে। বিচারের মুখোমুখি দাঁড়াতে হবে।
আজ শুক্রবার জাতীয় প্রেসক্লাবে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী চালকদলের উদ্যোগে ‘নির্বাচনী রোডম্যাপ ও জন আকাঙ্ক্ষা’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, "আপনি (শেখ হাসিনা) যদি খালেদা জিয়াকে জেলখানায় পাঠাতে পারেন, তাহলে আপনাকেও কাশিমপুর কারাগারে যেতে হবে।"
ভারতকে উদ্দেশ্য করে জয়নুল আবদিন ফারুক বলেন, "আপনারা দয়া করে সোজা হয়ে যান। বিজয় দিবস নিয়ে মমতা কী বললেন, মোদী কী বললেন— তাতে আমাদের কিছু আসে যায় না। বিএনপির তিনটি সংগঠন আগরতলার উদ্দেশ্যে লংমার্চ করেছে। আগরতলার পাশেই ব্রাহ্মণবাড়িয়া আছে। ভারতের জন্য ব্রাহ্মণবাড়িয়াই যথেষ্ট। বাংলাদেশের মানুষ অনেক সচেতন। গরিব হতে পারে, কিন্তু মনটা বড়।"
তিনি আরও বলেন, "জাতীয়তাবাদী শক্তিকে ধ্বংস করার জন্য আবার ষড়যন্ত্র চলছে। শহীদ জিয়ার জনপ্রিয়তাকে নষ্ট করার ষড়যন্ত্র চলছে। দেশে আওয়ামী লীগের লোকজন ঝামেলার সৃষ্টি করে বিএনপির ওপর দায় চাপানোর চেষ্টা করছে। বাংলাদেশে অন্য ধর্মের মানুষ ভালো আছেন।"
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, "ওদের (ভারত) কথা চিন্তা করার দরকার নেই। বাংলাদেশের মানুষের কথা চিন্তা করুন। সামনে রোজা আসছে। আওয়ামী লীগের কোনো লোকজন যাতে সিন্ডিকেট না করতে পারে সে বিষয়ে দৃষ্টি রাখুন।"
আয়োজক দলের সভাপতি জসীম উদ্দিন কবিরের সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য রাখেন দেশ বাঁচাও মানুষ বাঁচাও আন্দোলনের সভাপতি কে এম রকিবুল ইসলাম রিপন, বাংলাদেশ গনতান্ত্রিক পার্টির সাংগঠনিক সম্পাদক আমীর হোসেন আমু, চালকদলের সাধারণ সম্পাদক জুয়েল খন্দকার প্রমুখ।
মন্তব্য করুন


ডেস্ক রিপোর্ট:
বাংলাদেশের সংস্কার কমিশনের কার্যক্রমে পূর্ণ সমর্থন রয়েছে বলে জানিয়েছেন ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) অ্যাম্বাসেডর মাইকেল মিলার। সংবিধান সংস্কার কমিশনের প্রধান অধ্যাপক আলী রীয়াজের সাথে সাক্ষাতে তিনি সমর্থনের কথা জানান।
মঙ্গলবার জাতীয় সংসদ ভবনে সংবিধান সংস্কার কমিশনের প্রধানের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের অ্যাম্বাসেডর মাইকেল মিলার।
সাক্ষাতে সংবিধান সংস্কার কমিশনের প্রধান সংবিধান সংস্কার বিষয়ক চলমান কার্যক্রমের অগ্রগতি সম্পর্কে ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের অ্যাম্বাসেডরকে অবহিত করেন।
সংবিধান সংস্কার কমিশনের প্রধান অধ্যাপক আলী রীয়াজ বলেন, নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সংস্কার কাজ সম্পন্ন করতে সংবিধান সংস্কার কমিশন দৃঢ় প্রতিজ্ঞ।
এসময় ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের অ্যাম্বাসেডর সংবিধান সংস্কার কার্যক্রমে সন্তোষ প্রকাশ করে বলেন, বর্তমান সংস্কার কার্যক্রমে ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের পূর্ণ সমর্থন রয়েছে। এছাড়া তিনি সংবিধান সংস্কার বিষয়ে সর্বাত্মক সহযোগিতার আশ্বাস দেন।
প্রসঙ্গত, দায়িত্ব নেওয়ার দুই মাসের মাথায় গত অক্টোবর মাসের প্রথম সপ্তাহে রাষ্ট্রের ছয় খাত সংস্কারের লক্ষ্যে ছয়টি পৃথক কমিশন গঠন করে অন্তর্বর্তী সরকার। এরপর নভেম্বরে আরও আরও পাঁচ খাত সংস্কারের জন্য পাঁচটি কমিশন করা হয়। প্রত্যেক কমিশনকে সুপারিশ জমা দিতে ৯০ দিন সময় দেওয়া হয়েছে।
মন্তব্য করুন


প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব মোহাম্মদ শফিকুল আলম জোর দিয়ে বলেছেন, আগামী ফেব্রুয়ারির ১৫ তারিখের মধ্যেই সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে এবং ‘এটাকে পেছানোর মতো কোনো শক্তি নেই।’ এছাড়া গণভোটের বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টা সিদ্ধান্ত নেবেন বলে তিনি জানিয়েছেন।
শুক্রবার সকালে নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (নোবিপ্রবি) ‘জুলাই কন্যা ফাউন্ডেশন’-এর উদ্যোগে আয়োজিত ‘মাইন্ডব্রিজ ও নলেজ কম্পিটিশন-২০২৫’-এ প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এই ঘোষণা দেন। তিনি উল্লেখ করেন, ‘যেকোনো সিদ্ধান্ত নেয়া হোক না কেন, জাতীয় নির্বাচন সময়মতোই হবে।’
প্রেস সচিব আরও বলেন, ‘বিভিন্ন রাজনৈতিক দল তাদের মতের কথা বলছেন। আমরা এটাকে হুমকি হিসেবে দেখছি না। যেটা সবচেয়ে উত্তম, সেটাই প্রধান উপদেষ্টা করবেন।’
ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মামলার বিষয়েও তিনি কথা বলেছেন এবং জানিয়েছেন, ‘১৩ নভেম্বর আদালত শেখ হাসিনার বিচারের দিন জানাবেন।’
তরুণদের জ্ঞান ও মেধার বিকাশকে উৎসাহিত করার লক্ষ্যে নোবিপ্রবির কেন্দ্রীয় অডিটোরিয়ামে জুলাই কন্যা ফাউন্ডেশনের সভাপতি জান্নাতুল নাঈম প্রমির সভাপতিত্বে এই প্রতিযোগিতাটি অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানের প্রধান পৃষ্ঠপোষক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নোবিপ্রবির উপাচার্য প্রফেসর ড. মোহাম্মদ ইসমাইল।
মন্তব্য করুন


আসন্ন নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা নিয়ে কোনো জটিলতা নেই। নির্বাচনের সময় নিয়ে কোনো সমস্যা আমরা দেখছি না। কেউ যদি সমস্যা দেখে থাকেন, তাহলে সেটা তিনি ভুল দেখছেন বলে মন্তব্য করেন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা ড. খলিলুর রহমান।
লন্ডনের ডোরচেস্টার হোটেলে শুক্রবার (১৩ জুন) শুরু হয়েছে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান এবং প্রধান উপদেষ্টা নোবেল বিজয়ী অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
ড. খলিলুর রহমান জানান, আজ নির্বাচন নিয়ে একটি যৌথ বিবৃতি প্রকাশ করা হয়েছে। এখন জাতীয় নির্বাচন নিয়ে কমিশনার খুব শিগগিরই একটি সুনির্দিষ্ট তারিখ ঘোষণা করবেন।
সংস্কার ও বিচার প্রক্রিয়া সম্পর্কে প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, ‘সংস্কার ও বিচার অনেকটাই অগ্রগতি হয়েছে। আমরা মোটামুটি আত্মবিশ্বাসী যে নির্বাচনের আগেই এটি সম্পূর্ণ করতে পারবো।’
তিনি আরও যোগ করেন, সার্বিকভাবে নির্বাচন আয়োজনের প্রস্তুতি এগিয়ে যাচ্ছে এবং সরকার এ বিষয়ে দৃঢ় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
মন্তব্য করুন


এবারের নির্বাচনকে দেশের জন্য কিছু করার জীবনের শেষ সুযোগ হিসেবে নিয়েছেন বলে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন। এ সময় সুষ্ঠু নির্বাচন করতে রাজনৈতিক দলগুলোর সহযোগিতার কোনো বিকল্প নেই বলেও জানান তিনি।
রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন কমিশন কার্যালয়ে আজ মঙ্গলবার নির্বাচন বিশেষজ্ঞদের অনুষ্ঠিত সংলাপের সূচনা বক্তব্যের শুরুতে তিনি এসব কথা বলেন।
সিইসি বলেন, ‘জাতিকে সুষ্ঠু সুন্দর নির্বাচন উপহার দিতে চায় ইসি। সুষ্ঠু সুন্দর নির্বাচন করতে রাজনৈতিক দলগুলোর সহযোগিতার বিকল্প নেই।’
জানা গেছে, নির্বাচন সুষ্ঠু করতে অংশীজনদের পরামর্শ নিচ্ছে নির্বাচন কমিশন। এরই ধারাবাহিকতায় নির্বাচন বিশেষজ্ঞ এবং নারী নেত্রীদের সঙ্গে আজ সংলাপে বসছে ইসি।
সংলাপে প্রধান নির্বাচন কমিশনারসহ অন্য চার নির্বাচন কমিশনার ও ইসির ঊর্ধ্বতন কর্মকতারা উপস্থিত আছেন।
এরপর জুলাই যোদ্ধা, রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গেও বসবে ইসি। ইতোমধ্যে সিইসি এ এম এম নাসির উদ্দিন বলেছেন, সংলাপে উঠে আসা মতামত তার কমিশন বাস্তবায়ন করবে।
উল্লেখ্য, গত ২৮ সেপ্টেম্বর ভোটের সংলাপ শুরু করে ইসি। ওইদিন সুশীল সমাজ, বুদ্ধিজীবী ও শিক্ষাবিদদের সঙ্গে সংলাপ অনুষ্ঠিত হয়। তবে সংলাপ শুরুর দিন সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের অর্ধেকেরও বেশি সুশীল ও বুদ্ধিজীবী অংশ নেয়নি।
মন্তব্য করুন


আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন ইতিহাসের সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিপূর্ণ হবে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার আনোয়ারুল ইসলাম সরকার।
তিনি বলেন, আসন্ন নির্বাচন বাংলাদেশের ইতিহাসে যতগুলো নির্বাচন হয়েছে তার মধ্যে সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিপূর্ণ হবে—এতে কোনো সন্দেহ নেই।
আজ শুক্রবার (২৯ আগস্ট) নির্বাচনী প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে দুদিনব্যাপী কোর প্রশিক্ষকদের প্রশিক্ষণ উদ্বোধন অনুষ্ঠান তিনি এ কথা বলেন।
ইসি আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, কমিশনের প্রধান দায়িত্ব একটি সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন আয়োজন করা। এর বিকল্প কোনো পথ নেই। জীবন চলে যেতে পারে, কিন্তু নির্বাচনে ফাঁকিবাজি, ধোকাবাজি করা যাবে না। কমিশন ও মাঠপর্যায়ের সবাইকে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হতে হবে।
তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশনের প্রাতিষ্ঠানিক স্মৃতি বা ‘ইনস্টিটিউশনাল মেমোরি’ দুর্বল হয়ে যাওয়ায় অনেক ক্ষেত্রেই কমিশন হোঁচট খাচ্ছে।
গোপনীয়তা রক্ষা ও দায়িত্বশীলতার মাধ্যমে কমিশনের মর্যাদা অক্ষুণ্ন রাখতে তিনি কর্মকর্তাদের প্রতি আহ্বান জানান।
তিনি আরও বলেন, ভালো নির্বাচন ছাড়া আমাদের সামনে দ্বিতীয় কোনো বিকল্প নেই। এ নির্বাচনের মূল কেন্দ্রবিন্দু হবে প্রিজাইডিং অফিসার। তাদের শক্তিশালী ও দক্ষ করে তুলতে পারলেই একটি সুন্দর নির্বাচন সম্ভব হবে।
কমিশনার প্রশিক্ষণের গুরুত্বের ওপর জোর আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, মাঠপর্যায়ের কর্মকর্তাদের সম্ভাব্য সব সমস্যার একটি তালিকা তৈরি করে সমাধানের পথ নির্ধারণ করতে হবে।
‘যদি একজন প্রিজাইডিং অফিসার সাহসী ও সৎভাবে দায়িত্ব পালন করেন, তাহলে একটি ভোটকেন্দ্র সুষ্ঠুভাবে পরিচালনা করা সম্ভব’-যোগ করেন তিনি।
মন্তব্য করুন


দেশে গত শুক্রবার থেকে নিষিদ্ধ সংগঠন হিজবুত তাহরীরের অন্তত ৩৬ জন সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়েছে। শনিবার (৮ মার্চ) প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় থেকে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এই তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে। গ্রেফতারকৃতদের মধ্যে সংগঠনটির অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা সাইফুল ইসলামও রয়েছেন। ২০০৯ সালে সরকারবিরোধী কর্মকাণ্ডের কারণে সংগঠনটিকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছিল।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার বায়তুল মোকাররম মসজিদের সামনে নিষিদ্ধ সমাবেশে অংশগ্রহণকারী সদস্যদের গ্রেফতারের লক্ষ্যে সারাদেশে অভিযান চলছে। পুলিশের মহাপরিদর্শক বাহারুল আলম জানান, সমাবেশের ভিডিও ফুটেজ বিশ্লেষণ করে হিজবুত তাহরীরের অনেক সদস্যকে চিহ্নিত করা হয়েছে এবং তাদের গ্রেফতারের কার্যক্রম চলছে।
এছাড়াও, সংগঠনের সদস্যদের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবিরোধী আইনে একাধিক মামলা দায়ের করা হয়েছে বলে পুলিশ সূত্রে জানানো হয়েছে।
মন্তব্য করুন


পতিত স্বৈরশাসক শেখ হাসিনাসহ ১২ জনের বিরুদ্ধে ‘রেড নোটিশ’ জারির জন্য আন্তর্জাতিক পুলিশ সংস্থা ইন্টারপোলের কাছে আবেদন জানানো হয়েছে। যে ১২ জনের বিরুদ্ধে রেড নোটিশ জারির আবেদন করেছে, তাঁদের প্রত্যেকের বিরুদ্ধে বাংলাদেশের আদালত থেকে বিভিন্ন মামলায় ওয়ারেন্ট বা গ্রেপ্তারি পরোয়ানা রয়েছে।
জুলাই-আগস্ট গণহত্যা মামলার আসামি বিদেশে পলাতক ওই ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে রেড নোটিশ জারি করতে ইন্টারপোলের কাছে পৃথক তিনটি ধাপে আবেদন করেছে বাংলাদেশ পুলিশের ন্যাশনাল সেন্ট্রাল ব্যুরো (এনসিবি)। শনিবার (১৯ এপ্রিল) পুলিশ ও আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
শেখ হাসিনা ছাড়া আরো যাদের বিরুদ্ধে রেড নোটিশ জারির আবেদন করা হয়েছে তারা হলেন—আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সাবেক সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান, সাবেক মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক, সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ, সাবেক বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী জাহাঙ্গীর কবির নানক, সাবেক শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) সাবেক মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস, সাবেক প্রধানমন্ত্রীর প্রতিরক্ষাবিষয়ক উপদেষ্টা মেজর জেনারেল (অব.) তারিক আহমেদ সিদ্দিক, সাবেক বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ, সাবেক তথ্য প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত ও সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদ।
বিদেশে পালিয়ে থাকা আসামিদের অবস্থান শনাক্ত করতে ইন্টারপোল সহযোগিতা করে থাকে। অন্যদিকে বিদেশে পলাতক ব্যক্তিদের সম্ভাব্য অবস্থান সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া গেলে সেটিও সংশ্লিষ্ট দেশ ইন্টারপোলকে জানায়। যে ১২ জনের বিরুদ্ধে রেড নোটিশ জারির আবেদন করা হয়েছে, সেগুলো এখন ইন্টারপোলে প্রক্রিয়াধীন।
ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে গত বছরের ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা ভারতে পালিয়ে যান। এখনো সেখানেই অবস্থান করছেন তিনি। ইন্টারপোলে রেড নোটিশ জারির আবেদনের বাইরে ভারতসহ যেসব দেশের সঙ্গে বাংলাদেশের বন্দী প্রত্যর্পণ চুক্তি রয়েছে, সে চুক্তির আওতায় বিদেশে পলাতক ব্যক্তিদের ফেরানোর চেষ্টাও রয়েছে অন্তর্বর্তী সরকারের পক্ষ থেকে।
মন্তব্য করুন


মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সম্প্রতি বাংলাদেশসহ ১৪টি দেশের ওপর নতুন করে শুল্ক আরোপের ঘোষণা দেওয়ার পর, এই সংকট মোকাবেলায় যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আলোচনায় বসেছে বাংলাদেশের একটি উচ্চপর্যায়ের প্রতিনিধি দল। অন্তর্বর্তী সরকারের বাণিজ্য ও পাট মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দিনের নেতৃত্বে দলটি বর্তমানে ওয়াশিংটনে অবস্থান করছে।
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম আজ মঙ্গলবার তার ভেরিফায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্টে জানান, 'বাংলাদেশের বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দিন বর্তমানে ওয়াশিংটনে অবস্থান করছেন এবং যুক্তরাষ্ট্রের সমপর্যায়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে শুল্কবিষয়ক আলোচনায় নেতৃত্ব দিচ্ছেন। জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা ড. খলিলুর রহমানও এই প্রতিনিধিদলের সদস্য।'
শফিকুল আলম আরও জানান, 'প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে একটি চিঠি পাঠিয়ে জানান, আগামী ১ আগস্ট থেকে যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশি পণ্যের ওপর ৩৫ শতাংশ পর্যন্ত শুল্ক আরোপ করা হবে।'
উল্লেখ্য, ট্রাম্পের ঘোষণায় শুধু বাংলাদেশ নয়, জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া, মিয়ানমার, লাওস, থাইল্যান্ড, কম্বোডিয়া, সার্বিয়া, ইন্দোনেশিয়া, দক্ষিণ আফ্রিকা, মালয়েশিয়া ও তিউনিসিয়ার পণ্য রপ্তানির ওপরও বিভিন্ন মাত্রায় শুল্ক আরোপের পরিকল্পনা রয়েছে। এর মধ্যে মিয়ানমার ও লাওসের পণ্যের ওপর ৪০ শতাংশ, থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়ার ওপর ৩৬ শতাংশ, ইন্দোনেশিয়ার ওপর ৩২ শতাংশ এবং দক্ষিণ আফ্রিকার ওপর ৩০ শতাংশ শুল্ক আরোপের পরিকল্পনা ঘোষণা করেছে হোয়াইট হাউস।
তবে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এই শুল্ক কার্যকর করার সময়সীমা ৯ জুলাই থেকে পিছিয়ে ১ আগস্ট নির্ধারণ করেছেন, যেন আলোচনার মাধ্যমে সমঝোতায় পৌঁছানো সম্ভব হয়।
শফিকুল আলম জানায়, ইতোমধ্যে মার্কিন প্রতিনিধিদের সঙ্গে একাধিক দফা আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আগামী ৯ জুলাই আরেক দফা বৈঠকের কথা রয়েছে, যেখানে শেখ বশিরউদ্দিন বাংলাদেশি দলের নেতৃত্ব দেবেন। ঢাকা আশা করছে, আলোচনার মাধ্যমে এমন একটি চুক্তি হবে, যা দুই পক্ষের জন্যই লাভজনক হবে।
হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি ক্যারোলিন লেভিট বলেন, 'শুল্ক কার্যকর হওয়ার সময় পিছিয়ে দিলেও তার হুমকির প্রভাব একটুও কমবে না। বিশ্বনেতারা প্রতিদিন প্রেসিডেন্টকে ফোন করছেন এবং একের পর এক প্রস্তাব দিচ্ছেন চুক্তিতে পৌঁছাতে।'
অন্যদিকে যুক্তরাষ্ট্রের অর্থমন্ত্রী স্কট বেসেন্ট সিএনবিসিকে বলেন, 'সামনের দিনগুলো অত্যন্ত ব্যস্ত হবে। আমার ইনবক্স ইতোমধ্যেই ভরে গেছে—নতুন নতুন প্রস্তাব, সম্ভাব্য চুক্তি নিয়ে নানা আলোচনা চলছে।'
উল্লেখ্য, মার্কিন প্রশাসন যেসব দেশের সঙ্গে দীর্ঘমেয়াদি বাণিজ্য ঘাটতি রয়েছে বলে দাবি করছে, সেসব দেশ থেকে আমদানি করা পণ্যের ওপর এই বাড়তি শুল্ক আরোপের পরিকল্পনা নিয়েছে। এরই অংশ হিসেবে বাংলাদেশের ওপর ৩৫ শতাংশ হারে শুল্ক আরোপের ঘোষণা আসে, যা ১ আগস্ট থেকে কার্যকর হওয়ার কথা। তবে এখনো আলোচনা ও চুক্তির সুযোগ রেখে দিয়েছে উভয় পক্ষ।
মন্তব্য করুন


বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, আগামী ডিসেম্বরে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র পরীক্ষামূলকভাবে চালু হবে।
মঙ্গলবার বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি উপদেষ্টা এ তথ্য জানান। তিনি বলেন, ‘আমরা নভেম্বরে চালু করার জন্য রাশিয়াকে চিঠি দিয়েছিলাম। তারা জানিয়েছে যে ডিসেম্বরে চালু করবে।’
উপদেষ্টা বলেন, ‘ইতোমধ্যে বিদ্যুৎকেন্দ্রের জ্বালানি চলে এসেছে। আইএইএ-এর একটা দল পর্যবেক্ষণ করে কিছু সুপারিশ করেছে। আমরা সেগুলো বাস্তবায়ন করছি। তারা আবার এসে ফাইনাল সম্মতি দেবে।’
রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের প্রতি ইউনিট বিদ্যুতের দাম এখনও নির্ধারণ করা হয়নি বলেও জানান তিনি।
পদ্মা নদীর তীরে পাবনায় অবস্থিত এ দুই-ইউনিটের প্ল্যান্টটি রাশিয়ার নির্মিত ভিভিইআর-১২০০ রিঅ্যাক্টর দুটি চালু হলে বাংলাদেশের গ্রিডে দুই হাজার ৪০০ মেগা ওয়াটের বিদ্যুৎ যোগ হবে। এর মধ্যে ইউনিট ১-এর নির্মাণ কাজ শুরু হয়েছিল ২০১৭ সালে এবং ২০১৮ সালে ইউনিট ২ এর কাজ শুরু হয়।
মন্তব্য করুন


প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন বলেছেন, সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য সর্বশক্তি দিয়ে প্রস্তুতি নিচ্ছি।
মঙ্গলবার (২৮ জানুয়ারি) নির্বাচন কমিশন ভবনে ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূত মাইকেল মিলারের সঙ্গে বৈঠক শেষে সিইসি এ কথা জানান।
সিইসি বলেন, ইউরোপীয় ইউনিয়ন জানতে চেয়েছে, গণতান্ত্রিক পরিবর্তনের লক্ষ্যে আগামী নির্বাচনের জন্য আমরা কতটুকু প্রস্তুত। আমরা কীভাবে প্রস্তুতি নিচ্ছি, ভোটার নিবন্ধন থেকে শুরু করে নির্বাচনী প্রক্রিয়া এগিয়ে নেওয়ার জন্য আমাদের টাইমলাইন কেমন হবে—এসব বিষয়ে তারা জানতে চেয়েছেন। বাংলাদেশের এই অগ্রযাত্রায় তারা সব ধরনের সহায়তা দেওয়ার জন্য প্রস্তুত। তারা চান, গণতান্ত্রিক উত্তরণ সফল হোক। এই পথে যতটুকু সহায়তা প্রয়োজন, তারা তা দেবেন।
কী ধরনের সহায়তা দেওয়া হবে জানতে চাইলে সিইসি বলেন, তারা বিশেষজ্ঞ পাঠাবেন। তারা পর্যালোচনা করে আমাদের জানাবেন। তাদের মিশন আসবে। নির্বাচন হলে তারা পর্যবেক্ষক হিসেবে থাকতে চান। আমরা তাদের আশ্বস্ত করেছি, সুষ্ঠু নির্বাচন হবে। কারণ, অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন নিশ্চিত করতে আমরা সর্বশক্তি নিয়োগ করেছি।
আমরা তাদের বলেছি, সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য আমাদের প্রতিশ্রুতি রয়েছে এবং আমরা সার্বিক প্রস্তুতি নিয়ে এগোচ্ছি। তারা আমাদের কথা শুনে খুশি হয়েছেন। আমরা সর্বশক্তি নিয়োগ করেছি, এটা তারা উপলব্ধি করতে পেরেছেন।
তারা বলেছেন, সংস্কারের জন্য সময় কম থাকায় তারা সংস্কারের ওপর বেশি গুরুত্ব দিচ্ছেন। তবে তারা চাপ দিচ্ছেন না, বরং পরামর্শ দিচ্ছেন।
সিইসি বলেন, আমরা আমাদের মতামত দিয়েছি। সংবিধান আমাদের যে স্বাধীনতা দিয়েছে, তা যেন নিশ্চিত থাকে, সেটা তাদের জানিয়েছি। নির্বাচন কমিশনের স্বাধীনতা ক্ষুণ্ন হোক, তা আমরা চাই না। তারা এ বিষয়টি সমর্থন করেছেন যে, নির্বাচন কমিশন স্বাধীন থাকা উচিত। অন্যথায়, জাতি যা প্রত্যাশা করে, তা পূরণ করা সম্ভব হবে না।
মন্তব্য করুন